এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভাট: ভার্চুয়াল থেকে রিয়্যাল - 2

    Samik
    অন্যান্য | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ | ২১৪৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৪:১৬463239
  • এই রে, গান তো ধরে রাখা হয় নাই।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৪:১৯463240
  • হে তো আমাগো দেওর-ঠাকুরঝি কিসুই নাই। তার লাইগ্যা কান্দিও না।
  • kumudini | 59.178.153.70 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৫:১২463241
  • কল্লোলদা, "আমার হৃদয় ভেঙে টুকরো করে ছড়িয়ে দেব তারায়,তারায়"গানটির লিং দেবেন এট্টূ?

  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৫:২০463242
  • http://www.shapludu.com/1416/album.php
    কিন্তু গানের নাম লেখা আছে - আর হৃদয় ভেঙ্গো না:-(((
  • Shibanshu | 117.195.187.141 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৫:২৯463243
  • 'অভিজাত' শব্দটি নিয়ে ওপাড়ায় কিঞ্চিৎ কোলাহল হয়েছিলো একবার। সংযোগবশত তখনও আমিই ছিলুম ঘূর্ণির কেন্দ্রে। M হয়তো সেটাই উল্লেখ করেছেন। তবে M একজন এমন মানুষ যার প্রতি গদাফিও রেগে থাকতে পারবে না, আমি তো নেহাত পাতি বাঙালি :-)। আর তখন যে কথাটা আমি সেখানে বলেছিলুম তাই আবার বলছি। 'অভিজাত' শব্দটি যাঁদের সৃষ্টি সেটি শুধু তাঁদের প্রতিই প্রযোজ্য হতে পারে। অর্থাৎ জোড়াসাঁকোর দ্বারকানাথ ঠাকুরের গলির বাইরে সে অর্থে আমি কোনও 'অভিজাত' বাঙালি দেখিনি। তাই আমার প্রতি শব্দটি প্রযুক্ত হলে আমি তাকে বন্ধুজনের পরিহাস হিসেবেই গণ্য করি। এহ বাহ্য....

    উদারতা যদি বাঙালির 'আভিজাত্যে'র একটি লক্ষণ হয়, তবে বলি সেদিন কাবলিদার মধ্যে সেটা দেখেছি। আমি তাঁকে আলাদা করে সেদিন আমন্ত্রন জানাইনি দ্বিধাভরে। কারণ তাঁর সঙ্গে আমার তেমন যোগাযোগ ঘটেনি কখনও। কিন্তু তিনি যখন রঞ্জন এবং কল্লোলের কাছে জানতে পারেন যে ওঁরা আমার বাড়ি ভাট করতে আসছেন, তখন সম্পূর্ণ স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে, ঈষৎ অপটু শরীরে, , একা নয়, আবেশদাকে সঙ্গে নিয়ে সহযাত্রী হন। এই উদ্যোগটি আমাকে এবং স্ত্রীকে মুগ্‌ধ করেছে। এই প্রবীণ মানুষটির সামাজিক সম্মানের তকমা তাঁকে অপেক্ষাকৃত লঘুকোটির মানুষজনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মিশে যাবার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। তাই তাঁকে চন্ডালদের গোষ্ঠীপতি হবার জন্য কোনও সশ্রম প্রয়াস নিতে হয়না। যে পারে সে অমনি পারে.... ইত্যাদি।

    সেদিন আমাদের আড্ডায় কতো রকমের, ধরণের, প্রকারের বিষয় নিয়ে কথাপাত হয়েছে তার বোধ হয় ইয়ত্তা নেই। কাবলিদা তাঁর বাল্য-শৈশবে পুরোনো দিল্লির জামা মসজিদের পাশের গলিতে বসবাসের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মনে মনে আবার পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। সেই মস্তো বাড়িগুলো, যাদের ছাদগুলি পরস্পর জোড়া, এক ছাদ থেকে লাফিয়ে অন্য বাড়ি যাবার রোমাঞ্চিত পুলকে আবার মগ্ন হলেন নতুন করে। আবেশদা পৌঁছে গেলেন তাঁর চা বাগানের ফিরে যাওয়া স্মৃতি সরনীতে। তার মধ্যেই বিলায়তের বাজনা কেন এতো শুনতে ভালো লাগে তার চর্চা প্রসঙ্গে যখন বলা হলো বিলায়ত সচরাচর সেতারটির খরজ অনেক উপরে বাঁধেন, রবি শংকরের মতো করে নয়। রবি শংকর মন্দ্র সপ্তকের খরজে বাঁধা আলাপ শুনলে মনে হয় বীণা শুনছি না তো? অথবা নিদেন সুরবাহার? রেকর্ডের বাজনাতেও দশ মিনিট খাড়া স্বরে খরজে আলাপ করেন ভারি মিড় দিয়ে, যেটা শুধু কানে শোনা শ্রোতাকে সেই তৃপ্তি দিতে পারেনা যা বিলায়তের যন্ত্র দিতে পারে। বীনকারি অঙ্গ আর গায়কি অঙ্গের খুঁটিনাটি নিয়ে কথাবার্তা। কাবলিদার আদেশে কল্লোল তাঁর গিটারে মন্দ্র খরজের সুরটি ঠিক কেমন শোনায় তা বাজিয়ে শোনালেন। এর মধ্যেই কখন আলোচনা চলে গেছে বামপন্থী রাজনীতির চর্চায় বোঝা যায়নি। এ বিষয়ে আমি এবং কল্লোল মুখোমুখি হলে 'কুছ শোলা তো জরুর ভড়কেগা'। এককালের অতিবাম আজ চরম প্রতিবাম। আমি অবাক হইনা, কারণ আমি বহু 'মোহ'মুক্ত বামপন্থীর সঙ্গ করেছি। কিন্তু আমার 'মোহ'মুদ্‌গর এখনও বেশ মজবুত রয়েছে। এর কারণ হয়তো আমি কখনও কোনও চরমপন্থী দর্শনে বিশ্বাস রাখতে পারিনি। গৌতম বুদ্ধের মধ্যবাদী দর্শনকে চিরকাল প্রকৃত ভারতীয়ত্বের সার ভেবেছি। ভিতরের লাল কোনদিন অন্য রং নেবে এখনও তা ভাবতে পারিনা। স্ট্যালিনের পতন, মাওয়ের পতন অথবা সমাজবাদ পুঁজিবাদেরই অপরপিঠ ভাবতে ভাবতে কল্লোল যখন বলে ওঠেন আমি তো এই দর্শনে বিশ্বাসের জন্য একদিন খুন হয়েও যেতে পারতাম, তবুও আশা করে থেকেছি কতোদিন.... এতো দূর বলার পর এক আর্ত মৌনতা.... এক গর্ভবতী নীরবতায় আমি, রঞ্জন, এমনকি কল্লোলও এক আশাভঙ্গের বেদনায় এক হয়ে যেতে পারি। আবার নতুন করে জেগে উঠি আমরা সব মতান্তরকে স্বাগত জানিয়ে। এটা তখনই সম্ভব যখন গানের ভিতর দিয়ে ভুবনটিকে দেখতে চাই আমরা। কল্লোল আবার গান ধরেন।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৮:০৩463244
  • শিবাংশু - দারুন হচ্ছে। আবার নতুন করে আড্ডাটা ভাবতে পারছি।
  • lcm | 69.236.176.177 | ২২ মার্চ ২০১১ ১৯:৩৯463245
  • বাহ! এই ভাটের ছবিগুলো ভালো এসেছে।
  • Du | 216.110.92.7 | ২২ মার্চ ২০১১ ২০:৩১463246
  • বাউল আর ব্লুজ এর কথায় মনে এলো , বহুদিন আগেই জিগাবো ভেবেছিলাম - কেউ কি অসমীয়া একধরনের গান শুনেছেন - ঢিমে সুর - ছোটকালের শোনা তাই বলতেও পারিনা নাম -- সত্রীয়া গোছের কিন্তু আবার বিহুতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাইতো - একজন টানা কথার মতো অনেক কিছু বলে - আর বাকীরা 'হয়' বলে দোহার দেয়। প্রথম পুরোনো দিনের ব্লুজ শুনে ঐ গানগুলোই মনে পড়েছিলো।
  • kallol | 115.242.238.119 | ২২ মার্চ ২০১১ ২০:৫৯463247
  • দু- গানের নাম সম্ভবত: হুচরী (হুসরী)। গৃহস্থের কল্যানের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাওয়া হয়।
  • Du | 216.110.92.7 | ২২ মার্চ ২০১১ ২১:০৫463249
  • ধন্যবাদ কল্লোলদা। একটু মিল কি লেগেছে আপনারও?
  • kallol | 115.242.174.20 | ২২ মার্চ ২০১১ ২১:৫৮463250
  • আমি ঠিক জানি না যে গানের কথা আপনি জানতে চাইলেন, আমি সেই গানের কথাই বললাম কি না। তাতে, আমার তো মিল আছে বলে মনে হয় নি। তবে প্রত্যেকের অনুভুতি আলাদা রকমের, তাই........
    আসলে আমি আমার জানা কোন বাংলা লোকসঙ্গীতের আঙ্গীকের সাথে ব্লুজের মিল পাই না। আমার কেন যেন মনে হয়, বাংলার যন্ত্রনার বহি:প্রকাশে একটা সমর্পন আছে, যা সাঙ্গীতিকভাবে অনেক বেশী কাব্যময়। বাউল-ফকিরি বা মারিফতি সে ঝুমুর বা ভাটিয়ালী কি সারী বা পালাগনের আঙ্গীকে হলেও, সুর যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায়, যন্ত্রনার ওপারে। ব্লুজের যন্ত্রনায় রক্তক্ষরণ আছে, যা হয়তো একধরনের সাঙ্গীতিক আর্তনাদ। যেটা শ্রোতাকে এবং অবশ্যই গায়ককে যন্ত্রনার মর্মস্থলে নিয়ে যায়।
    অবশ্য এসব আমার অল্প জানার জ্ঞান। কে না জানে, মূর্খেরা চিরকালই সাহসী।
  • Shibanshu | 117.195.146.201 | ২২ মার্চ ২০১১ ২২:২৯463251
  • রঞ্জন সম্প্রতি মসুরিতে ( মূল নামটা এরকমই) পাহাড়ের গায়ে এক BS র উপর কর্মশালায় কয়েকদিন চর্চা করে এসেছেন। গত দুচার দশকে আমাদের দেশে BSর উপর অনেক রকম গবেষণা হয়েছে। টেকনিকগুলি মূলত পশ্চিম ঘেঁষা, কিন্তু কিছু কিছু ভারতীয়করনও হয়েছে। আমি পেশাগতভাবে দীর্ঘকাল মার্কামারা HR র লোক হয়ে যাবার ফলে ব্যাপারটা সামান্য জানি। রঞ্জন এ নিয়ে অন্য একটি টইতে লিখছেন এখানে। যে টেকনিকটি উনি ঐ কর্মশালায় দেখে এসেছেন সেটিতে অর্জিত ব্যক্তিত্ব ভেঙে ফেলে ইন্সটিংটিভ প্রবণতা অনুযায়ী নৈতিকতার নতুন সংজ্ঞা সন্ধান করার খেলা করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে যদি নৈতিক ডিকন্সট্রাক্‌শন থেকে নতুন পথ খুঁজতে হয় তবে য়্যানার্কিজমের সম্ভাবনা একটা থেকেই যায়। এই তত্ব অনুযায়ী তৈরি ছাঁচ ভেঙে ফেলাটাকেই গঠনমূলক প্রয়াস মনে করা হয়। কিন্তু ছাঁচ ক্রমাগত ভেঙে ফেলার চেষ্টায় য়্যানার্কিজম একদিন নিহিলিজম হয়ে যেতে পারে, অন্তত ইতিহাস তার সাক্ষী। সেক্ষেত্রে আমাদের রিপুর সংজ্ঞা কি ইন্সটিংটিভ মাপদন্ডে বিচার করবো না সামাজিক ছাঁচে। খুব চিন্তা করার মতো বিষয়। তা নিয়ে আমরা মেতে থাকলাম অনেকক্ষণ। তার পর আবার ফিরে আসা গানে। কারণ মাঝে মাঝেই কল্লোল গিটারটি স্ট্রাম করতে করতে নতুন গানে ফিরে যাচ্ছিলেন। ফিরে যাচ্ছিলেন শেষ সত্তরের দিনগুলিতে শোণিতসিক্ত জেলখানার ইতিবৃত্তে। তিনি সে সময়টিতে তরুণ হলে আমি ছিলুম কিশোর। সময়টির স্মৃতি এখনও অমলিন জেগে থাকে। রঞ্জনও নিতান্ত বিজড়িত ছিলেন এই সব আত্মসন্ধানী, অথচ আত্মঘাতী দেশহিতৈষণার ধাঁধা লাগানো কর্মকান্ডে।

    যে গানটি কল্লোল গাইছিলেন সেটির সুর ছিলো বাউলঘেঁষা, কিন্তু চলনটি ছিলো অন্য রকম। এভাবেই আমাদের নানা মুখ্য লোকসুর, বাউল, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া ইত্যাদির প্রতিরূপ সাগরপারের কালোমানুষদের গানের সঙ্গে কীভাবে মিলিয়ে দেখতে পারি, তার কোনও সহজ সূত্র কি ধরা যায়? এভাবেই আসে কেন আমার মনে হয় নিমাই পন্ডিত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য অবতার তাঁর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের উপলক্ষ্য মাত্র, এর অধ্যাত্মিক পরিপ্রেক্ষিত গৌণ। সমবেত নগর সংকীর্তন প্রথম বাংলা রাজনৈতিক সঙ্গীত। কল্লোল হই হই করে সহমত হন।

    কীভাবে বন্ধুর সঙ্গে একজনের বৈঠকখানায় গিয়ে শচীনকত্তা আর আখতারিবাইয়ের প্রতিকৃতি টাঙানো দেখে কল্লোলের বিস্মিত হওয়া, তার পর আরও বিস্ময় জাগায় শশ্ম্রূসংকূল গৃহকর্তার পরিচয়, যাঁর নাম রবি গুহমজুমদার। বাংলা গানের জগতে একটি বিশিষ্ট নাম। বেগম আখতারকে দিয়ে যিনি বাংলা গান গাইয়েছিলেন। তার পিছু পিছু আসে বড়ি মোতিবাইয়ের সেই বিখ্যাত উক্তি, 'আখতারি আজ বেগম বন গই, হমলোগ তো বাই হি রহ গই'।

    রবিশংকরের বারাণসীর বাড়ির অতিথশালায় গজল্লা করতে করতে স্বয়ং পন্ডিতজির মুখে প্রায় থ্রি এক্স জোক শোনার দুর্লভ অভিজ্ঞতা নিয়ে কল্লোলের রোমাঞ্চিত সংযোজন।

    এর মধ্যেই আসে ভারতীয় গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়, সেই প্রসঙ্গে বিহারের প্রত্যন্ত গহিন গ্রামে ভোট সঞ্চালনের ভুল খেলায় ম্যাজিস্ট্রেটের 'গুরু' দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি কী দেখেছি তার ইতিবৃত্ত। কাবলিদা পুলকিত হন আমার দেশজ হিন্দির পারদর্শিতায়।

    রঞ্জন বলেছিলেন তাঁর শুধু ধনে পাতায় য়্যালার্জি আর ডিমের প্রতি অচল পক্ষপাত। আবার কল্লোলের মাছের প্রতি বাঙালে দুর্বলতা। কাবলিদার যেকোনও খাদ্যপদার্থের প্রতি বিশেষ অনীহা আবার আবেশদার নির্লিপ্ত আসক্তি, সব যত মত, তত পথের মতো এক লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সমবেত ভোজ্যপদগুলিকে সসম্মানে আত্মস্থ করার প্রয়াসের প্রতি। রন্ধনশিল্পীটি সবিশেষ তৃপ্ত হন এই সব গুর্মের প্রশস্তি শুনে, তাঁর শ্রম সার্থক হয়ে ওঠে এভাবেই।
  • ranjan roy | 122.168.208.69 | ২২ মার্চ ২০১১ ২৩:৪৮463253
  • কেয়াবাৎ! কেয়াবাৎ!
    শিবাংশু যেভাবে খুঁটিনাটি বর্ণনায় সেদিনের আড্ডার চলনটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন তাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারছিনে।
    সব মিলিয়ে এমন হয়েছিল যে ফিরে এসেও রেশ যায় নি। কাবলিদার ঘরে আমি, আবেশদা ও কল্লোল আড্ডা জমাই। মাঝে মাঝে কাবলিদা বলেন--রঞ্জন, ওই প্যাকেটটা খোল। ওতে কোলকাতার জামরুল আর আঙুর আছে। একটু খাও, গলা ভিজবে, বুক হালকা হবে।
    আমাদের অবস্থা তখন--""সকল জনম ধরে ও মোর দরদিয়া! কাঁদি, কাঁদাই তোরে, ও মোর দরদিয়া!''
    কেমন মনে হতে থাকে যে এই জনমে কত কিছু করার ছিল,
    কিন্তু কমলকুমারের ভাষায়-""কি যে শালার জীবন হইল!''
    শেষে কল্লোল কে বলি--- ওরে, রাত চারটে হল। কাল সকালে সাতটায় স্টুডিওর গাড়ি আসবে। প্রথম স্লটে তুই, তারপর আমি। সুমেরুকী ইজ্জত কা সওয়াল হ্যায়। কাল ছ"টায় ডেকে দেবো?
    -- না, না! আমি পাঁচটায় উঠে গলা সেধে নেব।

    আমি দশটায় স্টুডিওতে পৌঁছে দেখি মেক আপ নিয়ে কল্লোল গাছতলায় ই-টিভি বাংলার পরিচালক রবিরঞ্জন মৈত্র মশায়কে গিটার বাজিয়ে একের পর এক গান শোনাচ্ছে। আমি উৎসাহ দেই,--- কল্লোল, ওইটা, সেইটা।
    স্থানীয় তেলুগু একস্ট্রা স্ত্রী-পুরুষ ভীড় জমান।
    শেষে শুটিংয়ের টাইম হয়েযাওয়ায় রবিরঞ্জন অন্যদের অনিচ্ছায় গান সমাপ্ত করে কল্লোলকে নিয়ে ভেতরে গিয়ে হট সীটে বসান।

  • ranjan roy | 122.168.208.69 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০০:১৮463255
  • পিনাকী ও বড়মা,
    সত্যি, ইদানীং আমার একটু সমস্যা হয়েছে।
    এমনিতে শরীরমন সব ভাল। কোন সমস্যা নেই। আর্থিক-পারমার্থিক-- সব ঠিকই আছে।
    কিন্তু, যা শিবাংশু বলেছেন--- গত মাসে হিউম্যান বেসিক ল্যাব এর অ্যাডভান্সড্‌ কোর্স করতে গিয়ে আমার ব্যক্তিত্বের ওপর ভাল চোট পড়েছে।
    আমার আয়না ধরে দেখানো হল যে উদার, অন্যকে স্পেস দেয়া, সর্বদা বড়ভাইয়ের রোল করা রঞ্জন আসলে সেল্ফ সেন্টারড্‌, হীনমন্যতায় ভোগা, প্রচারের আলোকে থাকতে চাওয়া, ভন্ড; নিজের স্বার্থের জন্যে সবসময় পাওয়ার-দ্যাট-বী'র গুডবুকে থাকতে চায়; তার জন্যে পলিটিক্স করে।
    আমি কনফিউজড্‌ হলাম, শেষে ফেসিলিটেটরকে চ্যালেঞ্জ করলাম।
    তাতে প্রমাণ হল আমি অত্যন্ত শার্প,নিজের মত করে এভিডেন্সকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম এক শাতির ব্যক্তিত্ব।
    আমি ভেঙে গেলাম।
    হাউ হাউ করে কেঁদে বল্লাম-- আমি কোন নাম কামাতে চাই না। লাইমলাইট চাই না, শুধু ভাল মানুষ হতে চাই।
    আমাকে হেল্প কর। আমি তোমাদের কথা কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।

    এই গল্পটাই আমি নাম-ধাম পাল্টে ""আলোঅন্ধকারে যাই'' টইয়ে লিখতে চেষ্টা করছি।
    সে এক অভিজ্ঞতা!
    যেমন আমি কারো পায়ে হাত দিইনে, প্রণাম নিইনে। আবার মেয়েদের হাগ্‌ করা আমার চোদ্দপুরুষে করেনি। আমার মেয়েরা করে, আমি ওদের আদৌ ভুল বলি না; নিজেকে সেকেলে বা আলাদা ভাবি।
    কিন্তু একটি মেয়ে আমাকে বল্লো-- আপনি তাহলে নিজের ইমোশনকে লুকিয়ে রাখেন। আমি বুঝতে পারছি আপনি আমাকে ক'দিন ধরে হাগ করতে চাইছেন।
    আ মোলো যা!
    শেষে আমাকে বীরপুরুষ হতে গিয়ে সবার সামনে মেয়েটিকে হাগ্‌ করতে হল।
    তাতে হয়তো আমার ভালই হল। জেন্ডার ইস্যুতে কুন্ঠার অপবাদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেলাম।
    যাকগে, সেসব বলার জন্যে আলাদা টই আছে। এর ছাপ হয়তো চেহারায় পড়েছে। তবে ষাট পেরিয়েছি- অটাও তো সত্যি কথা:))))।

    কিন্তু শিবাংশুর বাড়ি ও হায়্‌দ্‌রাবাদের রামোজী রাও স্টুডিওতে এইকদিন সত্যি আমার জন্যে টনিকের কাজ করেছে।
    আজ রায়পুরে একটি নাট্যদলের সঙ্গে "" কাঞ্চনরঙ্গ'' নামে শম্ভু মিত্র মশাইয়ের বিখ্যাত কমেডিতে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হয়ে গেলাম( গিন্নীর প্রভূত আপত্তি সঙ্কেÄও)।
    এছাড়া আমার মেয়েরা বলেছে মাত্র পাঁচদিনে ওরা তোমার ব্যক্তিত্বের এক্সরে, সোনোগ্রাফি করে ফেললো?
    শোনো বাবা! মনে হয় ওরাব তোমাকে অনেক কড়া করে বিচার করেছে। অনেক হার্শলি!
    আমরা সবাই একটু লো- সেল্ফ এস্টিমে ভুগি, একটু হাততালি পেতে ভাল বাসি।
    আর ষাট বছর বয়সে তুমি যা, তাই থাকো। তোমাকে আর বদলাতে হবে না।
    কারণ তোমার চারপাশের লোকজন-- আমরা, সহকর্মী, বন্ধুরা, এবং গুরুচন্ডালি--- তুমি যেমন আছো, তেমন ভাবেই তোমাকে অ্যাকসেপ্ট করেছে। তাহলে তোমাকে আর বদলানোর দরকার নেই। আর ওই সব ল্যাবে যেওনা।:)))))
  • aka | 168.26.215.13 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০০:২৩463256
  • এইটা কি? সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে তোলা তো হিউম্যান রাইটসের এগেইনস্টে।
  • dri | 117.194.224.75 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০০:৩৬463257
  • :-))

    আপনি মরতে ওখানে গেছিলেন কেন?

    সাইকোঅ্যানালিসিস বিষয়টাই তৈরী হয়েছিল একটা পাওয়ার রিলেশানকে ফার্মলি এস্ট্যাব্লিশ করার জন্য।
  • r.h | 198.175.62.19 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০০:৪৩463258
  • না না আমি কিছু বলবো না। আমার মনে বড় পাপ।

    তবে রঞ্জন্দাকে বলি, নিজেকে চেনার জন্যে এতো আঁকুপাঁকু করারইবা কি দরকার বুঝিনা। সে কখনো সময় সুযোগ মত নিভৃতে আলাপ পরচেয় করলেই তো হয়, না হয় দুপাত্র ভদকাই খাওয়াতে হলো নিজেকে তার জন্যে। নিজেকে বইতো নয়।
  • I | 14.99.7.113 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০০:৫১463260
  • তাচ্চেয়ে বিক্রমের গান শুনুন ইউটিউবে-অনেক নতুন গান আপলোড হয়েছে। এইটাই শুনুন-তুমি কিছু দিয়ে যাও
    .
  • lcm | 128.48.44.141 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০২:০৫463261
  • এ কি! এটা কি কেস? আপনি কি ঐ সোসাইটি অপ বিহেভোরিয়াল সায়েন্স... এ গিয়েছিলেন? এদের কথা একজনের কাছে শুনেছিলাম। আপনার আলো-অন্ধকারে থ্রেডটা কোথায় গেল!
  • Du | 216.110.92.7 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০২:১৮463262
  • এমনও তো হতে পারে ওনার ইচ্ছে হয়েছিল আপনি ওকে হাগ করুন :) ছোট তো নয় যে আমার ছেলের মতন বলবে - 'আদর চাই' - তাই অ্যানালিসিসের জারিজুরি - :)
  • Abhyu | 97.81.103.39 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৪:২০463263
  • রঞ্জনদা, সুখে থাকতে ভুতে কিলোচ্ছিলো?
  • kallol | 115.242.149.145 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৭:০৫463264
  • রঞ্জন রে। ওসবে অতো কান দিসনি। সব আচরনেরই সাঁত্রিশ রকমের ব্যাখ্যা হতে পারে।
    এই আমায় দ্যাখ। আমি নিজেকে নির্লজ্জ গায়ক বলি, কারন সামান্য বা কোন অনুরোধ ছাড়াই গান শুনিয়ে থাকি। আমার গান গাইতে ও শোনাতে ভালো লাগে। শুনে লোকে ভালো বল্লে আরও ভালো লাগে। তাতে যদি কেউ বলে আমি প্রচার চাই, মধ্যমনি হতে চাই, তো কিই বা বলার আছে! কিছুটা সত্যিও তো বটে।
    এই যে একটা স্মতিকথা লিখে ফেললুম, সেকি শুধু ইতিহাসকে ধরে রাখার তাগিদ? নাকি আত্মপ্রচারও বটে, মানুষ হিসাবে, লেখক হিসাবে। আমার কাছে দুটোই সত্যি।
    আমরা এগুলো সবই করি, আবার সে রকম সঙ্গী পেলে সেই রোববার রাতভোর চার বুড়োয় মিলে হুহু করে কেঁদেছি। সেখানে আর কেই বা মধ্যমনি, কেই বা নজরকাড়া। সেখানে তো - মনের পাশে মন ছিলো / চোখের পাশে চোখ / হাতের মধ্যে হাত ছিলো / হৃদয় আবলোক।
    ভালো থাকিস। দেখা হবে আবার। অনেক আড্ডা আর গান হবে। হবেই।
    শিবাংশু - চালিয়ে যাও। তুমি অনেকদিন বাদে একটা মায়াবী অনুভব দিলে। দূর থেকে নিজেকে দেখা।
  • kallol | 115.242.149.145 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৭:১৪463265
  • আর হ্যাঁ, বুকে জড়ানো। হয়তো খেয়াল করেছিস, আমি করি। সক্কলরে করি। নারী-পুরুষ-তৃতীয় লিঙ্গ নির্বিশেষে করি। এটার মধ্যে যৌনতা আছে, আবার যৌনতা ছড়িয়ে অন্য কিছুও আছে। কোথাও বন্ধুকে বলতে চাওয়া, আছি, আমি আছি। অবশ্য বন্ধু মানে আমার কাছে বন্ধু। সবার বন্ধুত্বের ধারনা এক নয়। সেদিন শিবাংশুর বাসার আড্ডায় বন্ধুত্ব নিয়েও অনেক কথা হয়েছিলো।

  • Samik | 123.242.248.130 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৮:৩৬463266
  • এখানে জমা করে রাখলাম।

    বিক্রমের গান: তুমি কিছু দিয়ে যাও।

    .

  • siki | 123.242.248.130 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৮:৩৮463267
  • সরি, ভুল জায়গায় পোস্টিং দিয়ে দিয়েছি। সঠিক জায়গায় আপলোড করে দিয়েছি এবার।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৮:৪০463268
  • না বোধহয়। ভুল করে ঠিক জায়গায় পোস্টিং।
  • siki | 123.242.248.130 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৮:৫৩463269
  • আলিঙ্গনে যৌনতা? হ্যাঁ যৌনতা ভাবলে আছে, যৌনতার ওপারে কিছু ভাবলে তাও আছে।

    মেয়ে, ছেলে নির্বিশেষে, আলিঙ্গন করতে চাওয়া বা না-চাওয়া কখনও নিজের ইমোশনকে স্বতস্ফুর্তভাবে প্রকাশিত হতে দেওয়া, নিজের ইমোশনকে ক®¾ট্রালে রাখা, অন্যের ইমোশনকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের ইমোশনকে চেপে দেওয়া, সবরকমই আছে।

    কলেজে একটা ছেলে ছিল, তাকে আমি মানুষ হিসেবে একেবারেই পছন্দ করতাম না। কিন্তু গরমের ছুটি বা পুজোর ছুটির পরে অনেকদিন বাদে দেখা হলে সে প্রায় সকলকেই জড়িয়ে ধরে এইভাবে hug করত। ছেলেটিকে পছন্দ করতাম ন বলে তার আলিঙ্গনে আমি কখনও স্বচ্ছন্দ বোধ করি নি, কিন্তু তাকে না-ও বলতে পারি নি।

    পশ্চিমী কেতা কায়দায় অভ্যস্ত হতে হতে নিজেদের ইমোশনকে চাপা দিতে শিখেছি, আস্তে আস্তে মুখোশকে মুখ বানিয়ে ফেলেছি। খুব পছন্দের মানুষকেও এখন দেখা হলে হাত বাড়িয়ে দিই হ্যান্ডশেক করার জন্য। খুব অপছন্দের মানুষকে দেখলেও তার বাড়ানো হাতে হাত মেলানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। আলিঙ্গন ব্যাপারটা এখন নিতান্তই একটা গেঁয়ো বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার হয়ে গেছে। কিন্তু হায়দ্রাবাদে ঐ দুদিনে যে কী হয়ে গেল, ছেলেমেয়েগুলোর সাথে যাবার দিন পর্যন্ত রাত তিনটে অবধি গানবাজনা সারার পরে যখন ট্যাক্সি এসে হর্ণ বজালো, আমাদের কাউকে দ্বিতীয়বারের জন্য ভাবতে হয় নি একে অপরকে আলিঙ্গন করার জন্য। অনেকদিন, অনেএএএক দিন এমন ভালো বন্ধুসঙ্গ পাই নি।

    আস্তে আস্তে তাদের খুঁজে পাচ্ছি, অর্কুটে, ফেসবুকে, ফ্রেন্ডস লিস্টে। মণিমুক্তোর দল। আজকের জেনারেশন। ফোনে কথা হচ্ছে। ঐ দুটো রাতের হ্যালু ছেড়ে এখনও প্রায় কেউ বেরিয়ে আসতে পারছি না। আমরা বিভিন্ন বয়েসী ছিলাম, বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। কমন ব্যাপার বলতে একটাই, সবাই বাঙালি। ভুল বললাম, বনশ্রীদির হাজব্যান্ড ছিলেন তামিল। বিয়ের পরে বাংলা শিখেছেন এবং রীতিমতো ঝরঝরে বাংলা বলেন। আমাদের শোনালেন এস পি-র গাওয়া কিছু আনকমন তামিল গান, যা হিন্দি গান এবং হিন্দি ডাবিংয়ের ভিড় ঠেলে উত্তরভারতে পৌঁছয় নি কখনও। আমরা গলা মেলালাম একই গানের তামিল আর হিন্দি ভার্সনে।

    গান এমন একটা জিনিস, সব বেরিয়ার ভেঙে দেয়, সব।
  • sana | 58.106.36.195 | ২৩ মার্চ ২০১১ ০৯:৪৩463271
  • রনঞ্জন দ,অনেক্ষন ধরে ভব্লাম লিখবো কিন,কিন্তু শেষ অবি্‌দ্‌দ ন লিখে পরলাম ন....আপনার ঐ লাইন টা,'কেমন মনে হতে থাকে এ জনমে কতো কিছু করর ছিলো'।।।বড্ড চুঁয়ে যায়,তাই না লিখে আর পারা জায় না;জীবনের এই মানে খোঁজা যার একবার শুরু হয়,অমি জানি রনঞ্জন দ এই মানে কিছুটা অন্তত স্‌প্‌ষ্‌ট ভাবে না জানা পর্যন্ত তার নিস্তার নেই।আমি আপনার মেয়ের বয়সী-ই হব হয়ত....আমার খোঁজ আর উত্তর হয়্‌ত কজেই লাগবে না আপনার...,তবু,কিছু বই এর নাম, কিচু ওএয়্‌ব সাইট খুব খুব শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে আপনার সঙ্গে,আমাকে,প্লীজ একটা মেইল করবেন sanasm10@gmail-এ অথবা আপনার মেইল আয়ে্‌ড্‌রস টা একটু পাওয়া যাবে?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন