এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লণ্ডন: রয়ট বিক্ষোভ বিদ্রোহ নকি ম্যনুফ্যাকচরড প্রতিবাদ ?

    pi
    অন্যান্য | ১১ আগস্ট ২০১১ | ৯০২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.231.22.133 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০১:১৪481790
  • রেসিডেন্সিয়াল স্কুলগুলো নিয়ে দ্রির কী বক্তব্য ?
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০১:২৮481791
  • বাচ্চাদের ওপরে শুধু বাবা-মার প্রভাব থাকা কি ভাল? বাচ্চার ওপরে সব কিছুর প্রভাবই অল্প-বিস্তর থাকা দরকার বলে মনে হয়। খানিক বাবা-মা, খানিক বন্ধু-বান্ধব, খানিক স্টেট (নয় কেন?)। কোন দিক থেকে কতটা সেটা অবিশ্যি ডিবেটেবল। তবে ডে-কেয়ারের ইস্যুটা ততটা বিতর্কিত নয় বলেই মনে হয়। স্টেট ডে-কেয়ার সাবসিডাইজ করবে বলেছি, প্রোভাইড করবে এমন তো নয়।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০১:৩০481792
  • শিবু, এক কথায় ব্যালান্স! সবের ব্যালান্স। ক্ক! দিলুম তোকে।(এইটাতে)
  • dri | 117.194.225.63 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০১:৩৭481793
  • কথাটা ঠিক তা নয়।

    বাচ্চা খুব ইম্পর্ট্যান্ট রিসোর্স। ও বড় হয়ে কি ভাববে সেটা ইম্পর্ট্যান্ট। বাচ্চার মত নিয়ে কাড়াকাড়ি আছে।

    যেখানে ইনফ্লুয়েন্সের অনেক ভ্যারাইটি আছে সেটা আমার কাছে অত অস্বস্তিকর নয়। একজন অমুকের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হবে, আরেকজন তমুকের দ্বারা।

    কিন্তু যদি দেখা যায় একটা হোল জেনারেশান একটা পার্টিকুলার কার্টুন ক্যারাকটার দ্বারা প্রভাবিত, সেখানে একটা স্টীমরোলিং আছে।

    তখন ব্যাপারটা ঐ ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ডের দিকে মুভ করে।
  • dri | 117.194.225.63 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০১:৪৩481794
  • আসলে এই ইস্যুটা নিয়ে অল্প টাইপ করে কোন মিনিংফুল আলোচনা করা সম্ভব না।

    আর আমি কিছুতেই বেশী টাইপ করব না।
  • Su | 86.145.156.234 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০২:২৪481795
  • ইশানের কথাটাই সত্যি - কি লিখতে এসেছিলাম আর কি লিখছি আর কি ই বা লিখবো আগে থেকে প্ল্যান না করে এলে এই হয়- তবে চড়াই উৎরাই ঢাল তরোয়াল সব কিছু পেরিয়েও সে মহাভারতের বাইরে যেতে পারবেনা- তাই নাহয় ফস্টার পেরেন্টসের কথাই একটু বলি প্রথমে?
    এদেশে ফস্টারিং করলে প্রচুর টাকা পাওয়া যায়- এক এক টা বাচ্চার পিছনে £400? প্রতি week? টাকার অ্যামাউন্টটা ঠিক জানিনা তবে এমনই কিছু একটা বেশ বেশি ই । এটা ভ্যারি করতে পারে - গ্রামের দিকে একটু কম লন্ডনে অনেক বেশি মোটকথা বেশিরভাগই পয়সার জন্যে ফস্টারিং করে, আমার আগের স্কুলে অনেক পেরেন্টসরা ফস্টারিং করতো পেশা হিসেবে। নিজেদের দু তিনটে বাচ্ছা তার ওপরে আরো দুটো ফস্টার বাচ্ছা। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা ম্যানেজেবল থাকতোনা। নিজের সন্তান দুষ্টুমি করছে আরো বেশি বেশি টিচার ডেকে পাঠালে আসতে পারছেনা এদিকে ফস্টার ছেলেপিলে তো আরো ইচ্ছে করে বদমাশি করে যাতে তারা কিছুদিনের মধ্যেই এই পেরেন্টকে ফেড আপ করিয়ে আবার অন্য পেরেন্টের কাছে যেতে পারে। সরকার বিপদে পড়ে মাঝখান থেকে ফস্টার পেরেন্টের না পোষালে রাখবেনা আর বাচ্ছাও জানে যে সে টাকা পাচ্ছে ওদের নামে তাই তাকে যতো নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো যায়! এটা খুব চেনা চিত্র! কিছু আছে যেখানে ভালোবাসা, মায়া পড়ে যায়!
    অ্যাডামের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বাপ মা নেই- অথবা জেল এ- ঠিক জানিনা- সত্যকুলজাত অ্যাডাম ছিলো আপনভোলা! ভ্যাবলা ছেলেটা ক্লাসে বসে জানলা দিয়ে তন্ময় হয়ে থাকতো- ঘন্টা পড়ে গেলেও কোনো হুঁশ নেই কি যে এতো ভাবতো ভগমান জানে! কিন্তু সামহাউ ওকে কেউ বুলি করতোনা - হয়তো ক্লাসের ছেলের একটু ওকে সহানুভুতির চোখেই দেখতো। আমরা সামার টার্মের শেষ দিনে চেসিংটনে বেড়াতে নিয়ে যাই! থীম পার্ক- নানারকমের রাইড এটা সেটা- - ফিরে আসার সময় অ্যাডাম নিখোঁজ! কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা - শেষকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হল- ওর ফস্টার মা কেঁদে সারা! তারপরে দেখা গেল পার্ক বন্ধ করতে গিয়ে সিকিওরিটি অ্যাডামকে কোন ঝোপের মধ্যে খুঁজে পেয়েছে- প্রায় ঘাড় ধরে মুর্গিছানার মত টেনে এনেছে! ওর ক্লাসের ছেলেরা যারা ওকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছিলো তারা তো এক হাত নিলো ওকে- তারপর স্কুলে ফিরে দেখি সেই ফস্টার মা দাঁড়িয়ে আছে- ছেলেকে জড়িয়ে ধরে তার দুফোঁটা জল - ভিজিয়ে দিয়েছিলো সেই সন্ধেটা। এই প্রফেশানে এসে আমি নিজে মা না টিচার ভুলে যাই সব সময় এই মুহুর্ত্ত টাও তেমনি সব ভুলিয়ে দিলো- ইচ্ছে হলো অ্যাডমের কপালে আমিও একটা চুমু দিয়ে যাই! সোহমের মুখটা ভাসে আবার এই সব সময়! আমিও যা একটা কাঁদুনে!
  • Su | 86.145.156.234 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০২:৩৭481796
  • আরেকটা ফস্টারপেরেন্টের গল্প বলার আগে একটু ব্যাকগ্রাউন্ড টা বলা দরকার - আমার স্কুলের ছেলে জবিউল - এসেছিলো রিফিউজি হয়ে এক এক আফগানিস্তান থেকে - ওর বাবাকে তালিবান নিয়ে গেছিলো রিক্রুট করে- কিন্তু মা চায়নি জবিউলও তালিবানে যোগ দেয়- তাই এজেন্সী ধরে ওকে পাঠিয়েদিয়েছিলো ইউকে তে- ট্রাকের ভেতরে করে ফ্রান্সের বর্ডার পেরিয়ে জবি এসেছিলো এখানে - সে এক রোমহর্ষক গল্প- তবে জবি একা নয় এমন অনেক ছেলে আসে এখানে- আন্দার এজ বলে তাদের ফেরত পাঠায়না কেউ। ফস্টার পেরেন্টদের কাছেই এরা থাকে- জবিউল প্রথমে ছিলো এক ব্ল্যাক ফ্যামিলিতে- তারা নাকি খুব রেসিস্ট!ওকে তালিবান বলতো গালি দিতো খেতে দিতোনা- তখন জবিউলকে এক শ্রীলঙ্কান পরিবারে স্থান দেওয়া হয় - জবি দিব্বি মানিয়ে নিয়েছিল- দুজনেই দুজনের ব্যথাটা বুঝতো। শ্রীলঙ্কান তামিলদের কথা আগে বলেছি- দুজনেই ঘর হারানোর ব্যথা বোঝে- তবু জবিউল আজো মন খারাপ করে- দেশে মা দিদি কেমন আছে কে জানে? জবিউল কে নিয়ে আমি একটা লেখা লিহেছিলাম বাংলা স্ট্রিট বলে একতা ম্যাগাজিনে। এখানে দিয়ে দিই?
  • pi | 128.231.22.133 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০২:৪৪481797
  • হ্যাঁ, দাও !
  • Su | 86.145.156.234 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০২:৫৯481798
  • কাঁচির ভার কার হাতে জানিনা - টই এর জন্যে স্যুটেবল না হলে কেটে দিও প্লিজ! এটা রিফিউজি উইক এ আমার রিফিউজি ছাত্রদের নিয়েলেখা- মজলিশে দিয়েছিলাম মনে হয়- তবু রাখলাম এখানে। এট্টুস বেশি ইরেলেভ্যান্ট হয়ে গেলে বাদ্দিয়ে দিয়ো। কিছু মনে করবোনা।

    রাণীর দেশে কাবুলিওয়ালা

    ছেলেটাকে দেখলে আমার কেমন যেন দেশের কথা মনে পড়ে যায়! গরমকালের কাঠফাটা দুপুরে জানলা বন্ধ করে সবাই যখন ঘুমোয় তখন হয়তো এই ছেলে শিল কাটাইইই বলে সুর করে হেঁটে যেতে পারে, কিম্বা ডুগডুগি হাতে বাঁদরনাচওয়ালার মতো পেরিয়ে যেতে পারে পিচগলা রাস্তা - কিম্বা কাঁচের বাক্সে গোলাপি রঙের ফেনা ফেনা চিনির বুড়ির চুল বিক্রি করতে পারে এই ছেলেটা।
    কেমন যেন মায়া মাখানো করুণ চোখ দুটো, আর মিয়োনো হাসিতে মেঠো সুর।
    কাবুলিওলা আমরা কখনো দেখিনি। লম্বা চওড়া সহজ সরল পাহাড়ী মানুষগুলোর কথা ভাবলে আম বাঙালির মনে ছোট্টো মিনি আর তার সামনে দাঁড়ানো এক দীর্ঘদেহী কাবুলি আফগান পিতা ই এসে দাঁড়ায় বারবার! এমন ই এক আফগানী বালক জবিউল। দূর থেকে অনেক সময় ওকে দেখেছি এর আগে। কখনো কথা বলা হয়নি তেমন করে।
    জবিউল সেদিন কথা বলে যাচ্ছিলো এক নাগাড়ে, কখনো ভাঙা ইংরিজিতে, কখনো পাশতো অথবা ঊর্দ্দু তে।
    ফিজিক্স ল্যাবের ম্যাগনেট, কম্পাস, ইলেকট্রিক সার্কিট, গাদাগাদা টেক্সটবুকের বাইরের জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি মাথার ওপর রূপোলি আকাশ। রোদে ধোয়া সবুজ ছককাটা খেলার মাঠ। সার সার পাইন গাছগুলোয় নিথর নির্জনতা। জবিউল আফগানী রিফিউজি। যেন বেঞ্জামিন জাফনিয়ার বই থেকে উঠে আসা রিফিউজি বয়।
    জাফনিয়ার কবিতার সেই আকুতি যেন এই ঘরছাড়া জবিউলের চোখেমুখে
    I am told I have no country now
    I am told I am a lie
    I am told that modern history books
    May forget my name

    ঠান্ডা কুয়াশা ঘেরা পাহাড়ী দেশের গল্প বলছিলো জবিউলা। হতদরিদ্র পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলেও সুখের কমতি ছিলোনা। ও যখন ছোটো ছিলো বাবার সঙ্গে ফুটবল খেলতো, বাবার হাত ধরে পাহাড়ের ঢাল ধরে দৌড়তো! দৌড় দৌড় দৌড়! বাবাকেও হারিয়ে দিতো জবি , তখন বাবা ওকে খুব আদর করে দিতো। লম্বা চওড়া দরাজ বুকের মধ্যে ছোট্টো কচি ছেলেটা হারিয়ে যেতো। হঠাৎ যে কি হলো তখন জবিউলের দশ বছর বয়স, বাবাকে কারা যেন বাড়ি থেকে নিয়ে চলে গেলো। তার পর থেকে আর কোনোদিনও সে বাবাকে দেখেনি। জানেওনা বাবা বেঁচে আছে কিনা। কিন্তু মাসে মাসে এসে তারা মাকে টাকা দিয়ে যেতো। তারা যে কারা জবি জানেনা। পরে জেনেছিলো ওর বাবা তালিবানের হয়ে কাজ করে। আর এদেশে আসার পরে শুনেছে যে তাদের টেররিস্ট বলে। অথচ জবি জানতো ই না যে ওর বাবা জঙ্গি, উগ্রপন্থী! কেমন করে হতে পারে! এমন স্নেহময় বাবা কখনো বন্দুক দিয়ে মানুষ মারতে পারে? বাবাকে কাছে পেলে ও ঠিক জিজ্ঞেস করতো
    Arterial blood is red,
    Veinal is blue
    My dear loving father
    Is that really you?
    How could you fire those guns
    to kill fellow Afghans?

    তখন সবে সবে কারজাই সরকার এসেছে ক্ষমতায়। সেদিন রাতে জবি আর তার বোনের সবেমাত্র রাতের খাওয়া শেষ হয়েছে। মা আর দিদি তখনো খায়নি। এমন সময় দরজায় কড়া নড়ার আওয়াজ! আফগানী পুলিশ টা জবির হাত ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গেল। ফিরেছিলো সে দু মাস পরে। তখন মায়ের কাছে প্রায়ই পুলিশ আসতো বাবার ঠিকানা চাইতে। মা আর দিদি কোনোদিনো জবিকে বলেনি সেসব অত্যাচারের কথা। দুমাস পরে জবি যখন বাড়ি ফিরলো.... জবিও বলতে চায়নি কিছুই.... কিন্তু কুয়াশাগোলা আঁধার রাতে, টিমটিমে লম্ফর আলোয় আর আকাশ ভরা তারার আলোয় মায়ের অন্তর্যামী মন ঠিকই বুঝে নিয়েছিলো। সোহাগ ভরে দশ বছরের জবির গায়ের চাবুকের দাগ গুলোতে আঙুল বুলিয়ে দিয়েছিলো জননী । আর জবি? কান্না চেপে জলভরা বীরপুরুষ হাসি হেসেছিলো ঠোঁটের কোণে! ভাবখানা এই,'আমি আছি ভয় কেন মা করো?'

    হাতে মাত্র একমাস সময় এর মধ্যে বাবার ঠিকানা না দিলে কি হবে সেই সমন নিয়ে মাঝেমাঝেই আফগানী পুলিশ আসতো বাড়িতে, দিদির শরীরটা লোভী চোখ দিয়ে চেটে নিতো বারবার। জবির দিকে কটমট করে তাকিয়ে অশ্লীল গালি দিয়ে বলে যেতো একমাসের মধ্যে তোর বাপ কে না পেলে তোদের মজা দেখাবো। যাবার সময় দরজার পাশে একদলা থুতু ফেলে দিয়ে চলে যেত কারজাই গভর্নমেন্টের পুলিশ।
    মা জানতো জবি ওখানে থাকলে হয় কারজাই পুলিশ ওকে মেরে ফেলবে নয়তো তালিবানরা জবিকেও ওর বাবার মত নিয়ে চলে যাবে। দুমুঠো ভাত জোটাতে ওর বাবা চলে গেছে কিন্তু একমাত্র ছেলেকে মা কেমন করে এই বিপদের মুখে রাখতে পারে?
    তাই একদিন গভীর রাতে জবি ঘর ছেড়ে বেরোলো। আকাশে তখনো ঘুমন্ত চাঁদ পাহারা দিচ্ছে ক্ষণস্থায়ী রাতটাকে। বুক পকেটে বাড়ির ঠিকানা লেখা চিরকুটটা সযত্নে ভরে দিলো দিদি। জবিটা এখনই মায়ের চেয়ে মাথায় লম্বা হয়ে গেছে। মাথা ঝুঁকিয়ে মায়ের থেকে চুমো নিলো কপালে। নেশার অচেতনে তলিয়ে যাওয়া মানুষ যখন সাগরজলে ডুবুরীর মত এক একটা লাল নীল পলাপাহাড় খুঁজে পায়, কিম্বা ঝিনুক খুলে মুক্তো গোণে, ঠিক সেই আনন্দ এখন মা'র চোখে। এজেন্টের হাত ধরে জবিকে পাঠিয়ে দেবে মা সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর পারে। লন্ডন জায়গাটার নাম শুধু শুনেছে জবি, সেটা কোথায়, সেখানে কেমনতরো মানুষ থাকে সেকথা কিছু জানেওনা। শুধু জানে সেখানে গেলে তারা ওকে ফিরিয়ে দেবেনা, জল রুটি, আচ্ছাদনের ব্যবস্থা হবেই।
    নিশিডাকে সম্মোহিতের মতো জবি চলতে থাকে, পায়ের নীচে পড়ে থাকে অমসৃণ অতীত, যার নাম দেশ। বালুচরে ঘর বাঁধা হাজার মানুষের মাঝে জবির মতো এমন কতো মানুষ আছে যাদের আঁজলা ভরে শুধু নোনা জলই ওঠে, তেষ্টা মেটেনা তাতে। জবি দৌড়তে থাকে জল কাদা মাঠ পাহাড় ডিঙোয়, সব গাছগুলোকে একরকম দেখতে লাগে একসময়, কানের পাশ দিয়ে গরম সীসের গুলি দৌড়ে যায়, গাছপোড়া গন্ধ নাকে এসে লাগে।
    এই পথ ধরেই একদিন বৃটেনে এসেছিলেন মনস্তত্ববিদ সিগমন্ড ফ্রয়েড, দার্শনিক কার্ল মার্কস, জিনিয়াস বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইন, লেখক জোসেফ কনর‌্যাড, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার্স এর প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল মার্কস।
    জবির পাশ দিয়ে পেরিয়ে যায় রামধনুরঙ কতো দেশ, জঙ্গল, পর্বত, জনপদ। এজেন্টও বদল হতে থাকে। ইরাণ, তুর্কমেনিস্তান পেরিয়ে ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডের বর্ডারে এসে পৌঁছোয় জবি একা। মায়ের কথা দিদির কথা মনে পড়ে। ঝমঝমে বৃষ্টিতে চুপচুপে হয়ে ভিজে জবি রাস্তার ধারে একটা বেঞ্চিতে বসেছিলো। আজ রাতে ট্রাকে ভরে দেবে বলেছে শেষ এজেন্ট। ইউকেতে পৌঁছে দেওয়া অবধি ওদের দায়িত্ব। এর পরে সব দায় ওর নিজের। ভিজে শ্যাওলার আঁশটে গন্ধটা চেনা লাগে। অভ্যেসমত বুকপকেটে হাত দিয়ে দিদির দেওয়া কাগজটা ছুঁতে চায় জবি। ভিজে জবজবে কাগজটা থেকে সব লেখা ধুয়ে মুছে গেছে, ওর শোবার ঘরের পাশের নিমগাছটার জিরিজিরি নিমফুলের ছবি আঁকা যেন পাতা জুড়ে, ডালপালায় কয়েকটা শালিক পাখীর রঙ ইতিউতি ছড়িয়ে আছে। জবিউল কাঁদতে থাকে এতাল বেতাল, এই কাগজ মুছে যাওয়া মানে মা কে হারিয়ে ফেলা। ছোটোবেলায় মা কোল থেকে একটু নামিয়ে দিলেই কেঁদে আকুল হতো জবি, আর আজ মা যে হারিয়েই গেলো চিরদিনের জন্যে ওর জীবন থেকে.... মায়ের গায়ের গন্ধ ভরা একটা ঘুমপাড়ানী গান মনে পড়ে যায়! হাউহাউ উথালপাথাল কান্না আর সেই পাশতো গানের সুর ভাসতে থাকে ফ্রান্সের বর্ডার শহরে। ট্রাক এসে যায়, জবি ট্রাকের ভিতরে মুড়িসুড়ি দিয়ে বসে পড়ে-- এটাই যাত্রার শেষভাগ। এভাবে কতোক্ষণ চলেছিলো কে জানে! ইংল্যান্ডে পেট্রোল পাম্পে ট্রাক দাঁড়ায় তেল ভরতে, এজেন্ট ধূমকেতুর মত এসে হাজির হয়, উর্দ্দুতে বলে যাও এবারে নিজের রাস্তা দেখো বাছা, এই হলো ইংল্যান্ড! আমাদের কাজ শেষ!
    এই সেই ইংল্যান্ড? জবির কিছুতে বিশ্বাস হয়না। এতো যেন তার আফগানিস্থানই মনে হচ্ছে। সার সার পাইন ঝাউ দেওদার গাছের মধ্যে দিয়ে ওঠানামা পাহাড়ের ঢেউ, সরু চড়াই উৎরাই এর দুপাশে গহীন খাদ। আউলবাউল জিপসি মেয়ে ঘোড়ার আস্তাবলে খাবার দিতে এসে ভ্যাবলার মতো বেমক্কা শীতজ্যোছনায় বেভুল হয়ে কি যেন ভাবছে। ট্রাকের শব্দে চমক ভাঙে। জবি একদম একা এই উন্মত্ত দুনিয়ায়!
    ভুগোলরেখা মিলে যায় জীবনানন্দের কবিতায়
    ' আর তারা চিনিয়াছে মহাসময়ের পৃথিবীকে
    সীমান্তহীন হাওয়াদের গানের সেই দেশ আজো বসে আছে'
    এর পরের ঘটনা খুব ই সিনেম্যাটিক, কোনো সহৃদয় ব্যক্তি সেই রাতের মতো জবিকে আশ্রয় দেন, পরের দিন সকালে ক্রয়ডন হোম অফিসে ছেড়ে দিয়ে যান একাকী বালককে।
    ইন্টারপ্রেটার আসে, সোশ্যাল ওয়ার্কার আসে, চাইল্ড প্রোটেকশান অফিসার ও আসেন। ফস্টার পেরেন্টের ও যোগাড় হয়ে যায় -- এক সপ্তাহের মধ্যে। আফ্রিক্যান ফ্যামিলিতে জবির স্থান হয়। পালক মা বাবা যতোটা না স্নেহের বশে আশ্রয় দেন তার চেয়েও বেশি হয়ে দাঁড়ায় সরকার থেকে অর্থসাহায্যটাই। ভালোবাসার কাঙাল জবি মাকে খুঁজে বেড়ায় এখানে সেখানে।
    ক্যাথলিক স্কুলের চ্যাপেল ঘরে আমার সাথে দেখা জবির। ধর্মাধর্মের বেড়াজাল পেরিয়ে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আছি করুণাময় যীশুর সামনে, জবির বাবাকে সংবাদ মিডিয়া ইসলামিক টেররিস্ট বলে ডাকে ডাকুক-- সেদিন এই সরল সহজ বালকটির নিষ্পাপ দুচোখে একটাই প্রার্থনা ছিলো -- মায়ের কাছে ফিরে যাবার! মায়ের কোলে মুখ ডুবিয়ে কয়েকটা কান্নাভেজা মুহুর্ত্তের ভিক্ষা !

    লাঞ্চ বেল পড়ে যায়! জবির গল্পও ফুরিয়ে যায়!
    কাবুলিওয়ালা গল্পে পালা বদল হয়ে যায় যেন! স্নেহকাতর রহমানের সামনে ছোট্টো মিনির বদলে যেন পরবাসী ভিনদেশি এক মায়ের সামনে স্নেহবুভুক্ষু বালক জবিউল! ইচ্ছে করে ওর মাথায় স্নেহের হাত রাখতে কিন্তু হয়ে ওঠেনা।
    জবির এখন স্কুলে অনেক বন্ধু তারা এসে ওর খোঁজ করে, এটা যে খাবার সময় , গল্পের সময়! জবি সুখে আছে, বৃটিশ নাগরিকের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ই সে পাচ্ছে আজ। কিন্তু সুদূর আফগানিস্তানে পাহাড়ী পথের বাঁকে হয়তো তার মাকে আজো অত্যাচার করে কোনো কারজাই পুলিস!
    'খোঁখী তুমি সসুরবাড়ি যাবিস?' -- চমকে উঠলাম, জবি বললো এ কথা? নাতো! ও জিজ্ঞেস করছে,'মিস, হুম ডু ইউ লাইক? অমিতাভ বচ্চন অর শারুখ খান?' আমি প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করি,'তুমি?' ও কিছুক্ষন ভেবে বলে,'ইয়ং অমিতাভ!' --- বুঝতে পারি কথা ফুরোবেনা! মিনিকে তাই সরিয়ে আনি কাবুলিওয়ালার কাছ থেকে। প্রফেশন্যাল গোণাগাঁথার হিসেবি সঙ্কÄ¡ জেগে ওঠে। এমন যে আমার কতো ছাত্রছাত্রীই আছে! 'লক্ষ পুত্র কন্যা যার কারে বাসি ভালো! তোমারে জিজ্ঞাসা করি সত্যি করে বলো?' মনে পড়ে যায় সোমালিয়ান রিফিউজি ছাত্রী শুক্রিয়ার কথা, এমনিই আঁকড়ে ধরতে চাইতো মেয়েটা, সেদিন রাস্তায় দেখা হতে জড়িয়ে ধরেছিলো, মিস আমি এখন অক্সফোর্ডে ইকনমিক্স পড়ছি। কঙ্গোর রিফিউজি জেনিন, ওর মতো এতো উজ্বল, ঝকঝকে ছাত্রী আর দুটো দেখিনি, সে এখন সেন্ট জর্জেস মেডিক্যাল স্কুলে ডাক্তারী পড়ছে। কুর্দিশ মেয়েটা রবিনা --- ওকে দেখে আমার সরস্বতীর কথা মনে হত। খুব কম কথা বলতো, ইংলিশ তখনো তেমন সড়গড় হয়নি ওর, আমার কাছে আসতো খুব, ভাবতো হয়তো আমি ওর ভাষা বুঝতে পারবো। আজ ঐ চুপচাপ লাজুক মেয়েটা মিডিয়া স্টাডিজ পড়ছে ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনে! তবে রিফিউজিরা কি শুধুই সাকসেস স্টোরি? কসোভো থেকে এসেছিলো এলেনা তাকে আমি ক্রয়ডন হোটেলে কল গার্ল হিসেবে কাজ করতে দেখি আজকাল । লাজুক স্কুল ইউনিফর্ম পরা মেয়েটা সব হোম ওয়ার্ক কমপ্লিট করে নিয়ে আসতো, সেই মেয়ে এমন খোলামেলা বেশবাসে, ঠোঁটের কোণে সিগারেট ঝুলিয়ে এমনভাবে হোটেলের বারে বসে থাকে! তবে রাস্তায় দেখা হলে কিন্তু সেদিনের সেই শিশুটিই যেন জড়িয়ে ধরতে চায়! 'মিস!!!' জড়িয়ে ধরেছে এলেনা। চড়া পারফিউমের গন্ধে নি:শ্বাস থেমে আসে এক মুহুর্ত্তের জন্যে। ধীরে ধীরে আমায় ঘিরে ধরে শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, আলজেরিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া এমন সারা পৃথিবীর অগুণতি ছাত্রছাত্রী। তাদের নামের আগে রিফিউজি শব্দবন্ধ। এদের কেউ কেউ আজও তাদের হারিয়ে যাওয়া ভাইবোনকে খুঁজে বেড়ায়। দেশ তাদের কাছে অশরীরি আত্মার মত। এদের তীব্র যন্ত্রণা গর্ভস্রাবী আর্ত্তনাদের মত সদ্যোজাত কান্নাজলের সঙ্গে মিশে যায়! তবুও ম্যাগনোলিয়া গাছটা থেকে ফুলশিশির ঝরে পড়ে টুপটাপ........
    জবির বুকপকেট থেকে বেরিয়ে আসে জরাজীর্ণ কাগজে ভুষিকালি মাখা দুটি হাতছাপ।
    স্নেহমাখা হাত রাখি বালকের মাথায় মনে মনে।

    কৃতজ্ঞতা:
    Jackie Bowie: EAL (English as Additional Language) Coordinator, St Joseph's College, London
    Benzamine Zaphania:
    http://www.poemhunter.com/poem/we-refugees/
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০৩:০৭481800
  • দিলি তো আবার কাঁদিয়ে, তায় অফিসে বসে :-((
    অপূর্ব্ব!
  • pi | 128.231.22.133 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ০৩:৩১481801
  • ভালো লাগলো , সুচেতনাদি।

    আচ্ছা, ফস্টার পেরেন্টস যারা পায়না, তাদের কী গতি হয় ? হোম ? সেখানে থাকা ছেলেপুলেদের নিয়ে শিক্ষিকা হিসেবে কেমন অভিজ্ঞতা ?

    আর একটা প্রশ্ন ছিল। বল্লে যে, অনেকে ফস্টার পেরেন্ট টাকার লোভে রাখেন, যত্ন-আত্তি করেননা ইত্যাদি। তো, এই ছেলেপুলেদের থেকে কোনোরকম ফিডব্যাক নেওয়া হয় না ?

    দেশে যেমন দেখেছি অ্যাডপ্ট করলে , বেশ কিছুটা সময় অব্দি বাচ্চাটার থেকে ফিডব্যাক নেওয়া হয়। বাড়িতে সারপ্রাইজ ভিজিট দেওয়া হয় টয়।
  • Su | 86.145.156.234 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ১২:১৮481802
  • পাই,
    আমি যতোদুর জানি ষোলো বছরের নীচে কেউ হোমে থাকেনা। তবে ফস্টার পেরেন্টের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আমি একটা ভলান্টারী প্রজেক্টে কাজ করতাম, ওরা আমাকে খুব বলেছিল ফস্টার করতে। এশিয়ান ফস্টার পেরেন্ট আরো কম। উনি বলেছিলেন আপনারা না রাখলে আমাদের বাচ্চারা কোথায় যাবে?
    কিন্তু আমি স্বার্থের বৃত্তের বাইরে বেরোতে পারিনি সেটা আমার সীমাবদ্ধতা -

    এমনিতেই ফস্টার কেয়ারে থাকা ছেলেপুলেদের পড়ানো খুব কঠিন ব্যাপার! কারন তাদের মাথায় ঘুরছে যে ওদের ভাঙিয়ে লোকজন টাকা করছে। তাই টিচাররাও বাদ নেই- অপরাধপ্রবণতা, অন্যকে দোষী ঠাওরানো, দায়িঙ্কÄহীনতা খুব কমন- কিন্তু কথা হল দোষ কার? সরকার তো সব দিয়েছে ভালোবাসাটা কেমন করে দেবে? বেশিরভাগের ই বায়োলজিকাল বাবা মা হয় ড্রাগ অ্যাডিক্ট, নয় জেল এ আছে তাই তারা বাচ্ছার কাছে থাকার থেকে না থাকা ভালো। কিন্তু এর পরের পার্টে এসেই গুলিয়ে যায়! বাচ্ছাকে জামা কাপড় ব্ল্যাকবেরি দিলেই তাদের মর‌্যাল চরিত্র গড়ে ওঠেনা- ভালোবাসার ও দরকার হয়! নইলে সারা দুনিয়াটাকেই তারা শত্রু ভাবতে থাকে। অকারনে।
    যারা ফস্টারে নেই- এমন অনেক অনেক বাচ্ছাকে আমি পার্সোনালি জানি যে তাদের বাবা মার কাছে থাকা উচিত নয়- কিন্তু ফস্টার পেরেন্টের সংখ্যা খুব কম তার মধ্যেও তারা যখন তখন না বলে দিতে পারে- এই ছেলেটাকে পোষাচ্ছেনা নিয়ে যাও- তখন সরকারের উপায় নেই - কি জে বিপদ! আমি এখানেও দুই এক্সট্রিম দেখি- ইন্ডিয়াতে রেললাইনের ধারের বাচ্চাদের নিয়ে আমাদের দেশের সরকার যতোটাই উদাসীন এখানে আবার পুরোটাই সরকারের দায়িঙ্কÄ!

    কাল সকালে আমাদের বাড়ির থেকে 5 মিনিট হাঁটা একটি রেসিডেন্সিয়াল ওল্ড এজ কেয়ার হোমে আগুন দিয়েছে লুটেরা রা। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ডিমেন্টেড, হুইলচেয়ার বাউন্ড, যারা এক সময় কনট্রিবিউট করেছেন ইকনমিতে- প্রায় সবারই ই হয়তো আশির ওপরে বয়স।
    পাশের বাড়ির নেবার ডেকে বললো এবারে রেসিডেন্সিয়াল এলাকাতেও আসতে শুরু করছে - হোয়াট নেক্সট?
    হোয়াট নেক্সট জানিনা-
    কয়দিন প্রচুর লিখলাম- মতের মিল হল অমিল হল - চেষ্টা করেছি কারুকে কোনো আঘাত না দিয়ে নিজের বক্তব্যটুকুই তুলে ধরতে- এই মহাভারত ফুরোবার নয়- গুরু ও চন্ডাল সবাইকে আমার নমস্কার! ভালো থাকুন- সবাই।
  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ১৩:৪০481803
  • সুচেতনাদি,

    একঘর। অসাধারণ। টুপি খুললাম।

    প্রথম বিশ্বের মধ্যেও এইভাবে মিশে থাকে তৃতীয়, চতুর্থ বিশ্ব? ...
  • kiki | 59.93.170.127 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ১৫:৪৩481804
  • সু,
    ক্ষী ক্ষেলো! গুডবাই করে দিচ্ছো না নিশ্চয়।প্লিজ একটা টই পঞ্চকন্যা নিয়ে বা সেরকম কিছু নামাও না ।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ১৭:৫০481805
  • শিক্ষিকা সুচেতনার এই আঁখো দেখা হাল ভালো লাগল। আরো হোক।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ১৮:৩৪481806
  • সুচে,
    লিখলাম !!! মানে---??
    আরও চাই--এবং যেমন কিকি বলেছে---নানা ধরণের লেখা যার জন্য তোর কলম আমাদের প্রিয়---আর আঁখো দেখা হাল ও চলুক---
    সব হোক--অপেক্ষায় রইলাম :-))
  • Du | 14.99.125.92 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ১৮:৫৭481807
  • সুচেতনা, লুটপাট তোমার বাড়ির কাছে হয়েছে শুনে উদ্বিগ্ন। পুলিশ পর্যাপ্ত পরিমানে দিতে বলো তোমরা। সাবধানে থেকো।
  • dri | 117.194.245.68 | ১৭ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৭481808
  • ওল্ড এজ কেয়ার হোমে আগুন তো আমার মনে হচ্ছে ইনসাইড জব। ইউ এস, ইউকের সরকার তো এখন স্টেট সাপোর্টে থাকা বুড়োদের পেছনে লেগেছে।

    সুচেতনা, বিশপ অকল্যান্ডের গল্পটা তো হল না।
  • dri | 117.194.224.177 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০০:৫০481809
  • লন্ডনের মেয়রকে লেকচার দিল একটি বাচ্চা ছেলে।


  • Su | 86.145.156.234 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০১:২৭481811
  • এইরে সত্যি ই তো দ্রি বিশপ অকল্যান্ডের কথা বলাই হয়নি। ভুলেই গিয়েছিলাম। এমনি করে ডাক দিলে তো আমি ই ধন্য হয়ে যাই! আসলে ভাবছিলাম এই কদিন অ্যামন বক্সবক্স করলাম এট্টু গ্যাপ দিলে বুঝি ভালো হয়।
    তার আগে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি? আপনি কি ইউকেতে থাকেন বা ছিলেন? আপনার মতে আমার অমত হতে পারে কিন্তু আপনার পড়াশুনো বা ইন্টারেস্টের গভীরতা অনস্বীকার্য্য। ইনফ্যাক্ট কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো আমি একমতই হয়েছি।

    সিকি মানে শমীক? থ্যাংকিউ- ভীষণ ভালো লাগছে- হাই ফাইভ কেমন?
    কিকি আমি জানিনাযে কি করে টই খুলতে হয়। শিখিয়ে দিয়ো। বাকি সবাই যারা বকরবকরের পার্মিশান দিলেন বকতে থাকবো আমি - কখনো ওভারডোজ হলে থামিয়ে দিয়ো।
  • ranjan roy | 122.168.15.105 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০২:০৬481812
  • এই তো! এটাই আশা করেছিলেম। আগে ঠিক বোঝাতে পারিনি। সু কে বি এল থেকেই জানি তো। চাইছিলাম ও বলুক, ওর দেখা ছোট সময়ের ছোট ইতিহাস, তৃণমূল লেভেলের।
    তারপর সেগুলোকে আতসকাঁচের নীচে ফেলে দেখা,
    প্রচলিত/অপ্রচলিত/নবীন সোশিও-অ্যানথ্রোপলজির থিওরির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা, সামান্যকরণ-- সেসব তো হবেই। দরকারও। কিন্তু সমস্যাটা যে বহুমাত্রিক। কাজেই সুচেতনার ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স ভাল র' মেটিরিয়াল হবে।
    খোলাপাতায় সমালোচনা/আলোচনা হবেই, কাম্য ও বটে।

  • kiki | 59.93.215.247 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১০:১৮481813
  • সু,
    টই পত্তরের পাতায় দেখবে
    কালো রঙের সর্বশেষ আপডেট হওয়া বিষয় লেখা আছে, তার ঠিক মুন্ডুর উপর নীল রঙের আলোচনা শুরু করার আহ্বান আছে:P।ওখেনে ক্লিকালেই চিচিং ফাঁক ।আর তেমন অসুবিধা হলে ভাটে একটা পোষ্ট ছেড়ে আসবে, যদি ভাটিয়ালী পাড়ায় যাও, কোন না কোন বন্ধু খুলে দেবে।:)

    অপেক্ষায় রইলাম তোমার মনিমুক্তো গুলোর...............:)
  • kiki | 59.93.215.247 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১০:২২481814
  • আর সুচের সাথে গলা মিলিয়ে বলে যাই, আমিও দ্রি-র খুব ফ্যান।ঐ একই কারনেই।
  • Su | 86.160.55.135 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ২০:০৫481815
  • বিশপ অকল্যান্ড- ইংল্যান্ডের একটা ছোট্টো শহর। শহর না বলে গ্রাম বললেই মানায় বেশি। মাইলের পর মাইল পাহাড়ি চড়াই উৎরাই- সবুজে সবুজ মেডো, ভেড়ার পাল, গরুমোষ পেরিয়ে এলে আবার একটুখানি জনপদ, ছোট্ট নিউজএজেন্ট, কবরস্তান, চার্চঘর - এমনি ইংল্যান্ড যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসে। ইন্দ্রনীলের লেখায় বার্নলে যেমন কতকটা তাই। ডার্লিংটন বা ডারহ্যামের মত কুলীন শহরের তুলনায় এই মানুষগুলো গরীব সেটা বুঝতে দেরি লাগার কথা নয়। শুনেছিলাম আইসিআই বন্ধ হবার পরে এই এলাকা পুরোটাই প্রায় বেকার হয়ে গিয়েছিল। দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট রাস্তাঘাটে, সাজসজ্জায়, চেহারায় কিছুটা ভাষায়ও।
    স্কুলটার নাম ছিল বিশপ ব্যারিংটন। ছোট স্কুল ৬০০ র মত সাকুল্যে ছাত্রছাত্রী।
    লন্দন থেকে আসার সময় ছাত্রীরা এমনকি টিচাররাও বলেছে লন্ডন ছেড়ে যাচ্ছো কোন দু:খে? ওখানে দেখবে রেসিজম কাকে বলে! রেজিগনেশান দেবার দিনে হেড টিচার বললো দেখো মানুষ তো ইগনোর‌্যান্ট তাই তোমাকে হয়তো রেসিজম ফেস করতে হতে পারে। সেরকম হলে কিন্তু নিজের আওয়াজ তুলতে ভুলোনা। লন্ডনের সাহেবরা হয়তো নিজেদের উদার ভাবে তাই বললো একথা! সে যাই হোক আমি তো নিরুপায়! যেতে তো হবেই।
    ক্লাস নিতে গিয়ে প্রথম যেটা আমাকে অবাক করলো সেটা ছাত্রদের চেহারা! ক্ষুদি ক্ষুদি কচি কচি দেখে মনে হয় প্রাইমারী ওর ফাইভে পড়া! ক্লাস টেন এর ছাত্র লন্ডনে বিশাল লম্বা একটা মানুষের মত। আমি তো ওদের কাঁধের কাছেই পড়ি- আর এই গুলো কোথা থেকে এলো? সেটা আমার প্রথম চমক! এরা এমন কেন?
    কলিগকে জিজ্ঞেস করলাম- সত্যি বলতে সেই কলিগ ও তেমন! ইংলিশম্যানের কল্পনার চেহারাটা একদম মেলেনা মি:স্টুয়ার্টের সাথে- পাক্কা জর্ডি অ্যাকসেন্ট বললো এই বাচ্ছারা ডিপ্রাইভড এরিয়ার বাচ্ছা - তাই ওদের এমন চেহারা! আমি ওদের খাওয়ার প্যাটার্ন ফলো করতে লাগলাম- দেখি প্রায় অনেকেই ফ্রী স্কুল মিল পায় (এটা যারা ইনকাম সাপোর্ট বা লো ইনকাম ফ্যামিলি ক্রেডিটে আছে তাদের জন্যে।) ফ্রী স্কুল মিল এর সংখ্যা দিয়ে ধার্য্য হয় কোন ইকনমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্ররা আসছে। কিন্তু খাওয়াদাওয়া তো বেশ ভালো ই মনে হয়- তবু এমনি জেনেটিক গঠন কেন এই উত্তর পাইনি - তবে হয়তো পাঁচ ছয় জেনেরেশানের ইতিহাস ফলো করলে কারনটা বোঝা যাবে।
    এদের অধিকাংশই খুব একটা বড়ো কাজ কর্ম করেনা কিন্তু কিছু করে বা করার চেষ্টা করে। সামান্য কাজ হয়তো তবুও সেটাও করে আর তাই নিয়ে খুব প্রাউডও। ছোটো গ্রাম মোটামুটি সবাই সবাইকে চেনে - আমি যতোটুকু দেখেছি বেশিরভাগই ডাবল পেরেন্ট ফ্যামিলি মনে হয়েছে। হয়তো চার্চ গোয়ার বলেই কিনা জানিনা ক্রিমিন্যাল বিহেভিয়ার দেখিনি বড়ো একটা। ইউজুয়াল টিনএজ ট্যানট্রামস আছে যেমন থাকে। কিন্তু অনর্থক নিজেদের মধ্যে ফাইট করা বা গালিগালাজ করা বড়ো একটা পাইনি।
    এই স্কুলে সবই আমার কাছে অন্য রকম লাগতো অচেনা অজানা! টিচাররা এতো হেল্পফুল- পুরো স্কুলটাই যেন একটা পরিবার। দুষ্টু ছেলেগুলোর জন্যে কেমন মায়া হতো স্নেহ হতো। ওরা নাইকি, গুচি কিম্বা আর্মানি নিয়ে মাথা ফাটায়না - বস্তুতান্ত্রিক সভ্যতার থেকে যেন এই মানুষগুলো বহুদুর মঙ্গলগ্রহে বাস করে। অল্পে খুশি- ভিডিও গেম বাপমা দিতে পারেনা তার জন্যে এদের গপ্পের বিষয়ের কোনো অভাব নেই। এমনকি ওরা মাঝে মাঝে সায়েন্স ম্যাথসের মার্ক নিয়েও আলোচনা করে। একটা ছেলেকে মেন্টরিং করতে হয়েছিলো ভেনাসের মত দেখতে ছেলেটা- অপুর্ব গিটার বাজাতো- ওর স্বপ্ন ছিলো খুব বড় মিউজিশিয়ান হবে- কিন্তু আমি জানতাম হয়তো হবেনা ওর এই স্বপ্ন পুরন কারন? কারন ও জিপসী! এরকম অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা এখনো রোমা- যাযাবর- আর অনেকে আছে যারা এক প্রজন্ম আগেও জিপসী ছিলো ধীরে ধীরে মেনস্ট্রিমে ফিরছে।
    গ্রীনলেন বলে একটা জায়গা ছিলো সেখানে সারসার ক্যারাভ্যান - এরা ঘুরে বেড়ায় দেশে দেশে- সবচেয়ে মজার কথা হল এরা ফর্ম্যাল এজুকেশানে বিশ্বাস করেনা - এরা ভাবে জীবন ই সবচেয়ে বড় শিক্ষক! এতোদিনে এখানে রেসিজমের আসল কম্পোনেন্টটা বুঝতে পারলাম- আমি একা এশিয়ান আমার সাথে কোনো রেসিজম নেই এদের - লড়াইটা জিপসীদের সাথে। জিপসীরা সবচেয়ে বড়ো এথনিক মাইনরিটি গ্রুপ। কিন্তু তবু কোথাও যেন একটা সহানুভুতিও আছে কারন এদের অনেকেই আগের প্রজন্মে অথবা তার আগের প্রজন্মে জিপসী ছিলো।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১৮ আগস্ট ২০১১ ২২:১৩481816
  • খুব ভাল লাগছে রে সুচে। এত কাছ থেকে এত আন্তরিকভাবে দেখাচ্ছিস ---দেখা জায়গাও কেমন wonderland হয়ে যাচ্ছে----বসে রইলাম আরও শোনার অপেক্ষায়
  • yuban | 82.44.59.184 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:৪৪481817
  • সুজোগ পেলে লুটে পুটে খেতে কে না চায়?
    এখানে পূলিশ কে কেউ ভয় পায় না। তার কারন ২০০৯ এর জি২০ সামিটের লাঠি চার্জের পর পূলিশ কেই কাঠ গড়ায় তোলা হয়েছে। কোর্টের অর্ডারে পূলিশের হাত বন্ধ। লুট পাট এর খবর ছরাতেই দলে দলে গুন্ডা বদমাশ সুজোগ বুঝে লুট করেছে। বেশি কারন খোজার কোন দরকার দেখিনা।
  • Su | 86.160.55.135 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০৩:২১481818
  • এই জিপসীরা ঘুরে বেড়ায় আবার ওদের জন্যে পিচ বরাদ্দ থাকে ক্যারাভ্যান পার্কিং এর জন্যে। ওরা থাকলে আশেপাশের বাড়ির দাম কমে যায়- নোংরা বর্জ্য পদার্থে এলাকা ভরে যায়! অন্য ছেলেপুলেরা বলে সকাল বিকেল রাত বিরেত ওরা নাকি চিৎকার করে কথা বলে , গালি দেয় মাতলামো করে।
    আমাদের কিছু ছেলেমেয়ে ছিলো তারা বছরের প্রায় ছ মাস থাকতোনা- পোট্যাটো পিকিং! আলু তুলতে যেতো! আলু তুলবে কি গো? এইটুকখান ছেলেপিলে? চাইল্ড লেবার হয় যে! দেশে কি আইনকানুন নেই? চোখ কপালে উঠতো প্রশাসনের - কিন্তু ওরা বুড়োআঙুল দেখিয়ে চলেই যেতো আবার আসবে মাসছয়েক বাদ! পরীক্ষা, হোম ওয়ার্ক- সত্যি ই কি কাজে লাগবে? যখন ফিরতো- অন্যরা ওদের ধারেকাছে বসতে চাইতোনা- ইউরিনের গন্ধ নাকি ওদের গায়ে। স্যানিটেশান খুবই খারাপ সন্দেহ নেই- তাই অসুখবিসুখও বেশি। কিছু জিপসী ছেলেমেয়ে কেমন যেন মেঠোভাষায় কথা বলতো - এটা ঠিক বলে বোঝানো যাবেনা! বুঝতে পারতাম না যে তাই নয় কিন্তু এই ভাষার থেকে কুইন'স ইংলিশ লক্ষ যোজন দুরে! ভূমিপুত্র জিপসীদের গায়ে যেন সভ্যতার ছোঁয়া লাগেনি। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে তাদের বাবারা প্রায়ই রাস্তা দিয়ে যেতো খটখটিয়ে। একবার একটা মেয়ে বলেছিলো ওর মা নেই , ডায়াবেটিসের রুগি ঠিকমত সময়ে ইনজেকশান নিতে ভুলে যেতো- ওর মা নাকি পড়তে পারতোনা! মা মারা গেছে কিন্তু ওর বাবা আবার বিয়ে করেছে নতুন মা খুব ভালো - একটা ছোটো ভাইও আছে।
    তবে বিশপ ব্যারিংটনে জিপসীদের জন্যে অনেক কিছু সুবিধে ছিলো- আর সবচেয়ে বড়ো কথা যেটা সুখের যে জিপসী হওয়াটাকে ট্যাবু বলে ভাবতোনা ওরা! ওরা জিপসী -- ওরা ওদের মতো আছে অনাদি অনন্তকাল ধরে! স্থানীয় লোক কি বললো না বললো তাতে কি ই বা এসে যায়- ভুমিপুত্র রা শুধু নিজেদের মতো করেই বাঁচতে চায়! সভ্যসমাজের ভাষায় ওরা কথা বলবেনা এই জেদ থেকেই যতোরাজ্যের বিপত্তি। তাই যতো রাগ বিদ্রোহ অ্যাটিচুড প্রবলেম!
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০৪:৫৮481819
  • বিশপ অকল্যান্ডের গল্প খুব ভালো লাগছে।
  • i | 137.157.8.253 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০৯:৪৩481820
  • ভালো লাগছে। এই সুতোর লেখা। সু র লেখা। অন্যান্য বিশ্লেষণ। চলুক।
  • Sibu | 70.1.155.155 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:৪১481822
  • আমার এক রুমানিয়ান কলীগ বলত জিপসীরা নাকি আদতে ভারতীয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন