এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হাতে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি - পার্ট থ্রি

    Samik
    অন্যান্য | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ | ৩৪৩৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Netai | 121.241.98.225 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৩০506335
  • গুপ্তবিদ্যায় এমন করা যায় বলে বিশ্বাস না করা ছাড়া উপায় নেই।
  • dd | 124.247.203.12 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৩২506346
  • আরে, কুচবিহারে আমিও ছিলাম । চীন ভারত যুদ্ধের সময়। বছর আড়াই। সাগরদিঘীর পাড়েই বাবার কোয়ার্টার ছিলো।

    কুচবিহারে সেই সময়েও খুব ভুত প্রেত ছিলো, ওঝা,ডাকিনী বিদ্যা। এখনো আছে কিনা জানি না। এর আগে ও পরে, আরো শহরে (সিউড়ি,মালদা,বর্ধোমানে ছিলাম), আর কোথাও এরকম অলৌকিকের রমরমা দেখি নি।

    কিন্তু আমি দেখি নি। একটিও ভুত দেখি নি।

    তবে যদি সিধে প্রশ্ন করেন "অলৌকিক" কি ঘটে ? তাইলে আমি একবাক্যে হ্যাঁ কইবো। এ বিষয়ে আমার হাতে গরম থিওরী আছে। কিন্তু সেটা আমি এখন কইতে গ্যালে টই ভন্ডুল,আপনার ল্যাখা চৌপাট, আর আমার ও আপিস কাছারী মাথায় উঠবে।

    ওটা পরের বছর লিখবো।

    আর 'ভৃগু' নিয়ে আপনি কইলেন অনেক রিসার্চ হয়েছে/চলছে শুনেই আমি খ্যা খ্যা করে হেসে ফেল্লাম। যদি সত্যি ই ওরম কিছু অ্যাট অল থেকে থাকে তো গত হাজার বছরের মধ্যে অল্প কয়েকজনই তা চোখে দেখেছে - রিসার্চ তো দূরস্থান। ওটাকে নেহাৎই গুল্পো বলেই জানি।
  • GHANADA | 223.223.140.246 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৪৩506357
  • @ সিকি
    তাহলে, বাদই দিলাম। আমাকে কেউই দূরভাষে টইয়ের তরফ থেকে কিছুই বলে নি।
    @dd
    আমি আবার অলৌলিকে বিশ্বাস করি না। কি? কি মনে হচ্ছে?
    হ্যাঁ! ঠিকই বলেছি !!!!
    কারণ, পৃথিবীতে অলৌলিক বলে কিছু নেই। সবই লৌকিক। শুধু, ব্যাখ্যা পাই না বলে অলৌলিক বলি।
    পরের লেখাটা লিখছি। একটু দেরী হবে পোষ্টাতে। হাতে বড় ব্যাথা, বাতের জন্য। কোলকাতাতে এবার বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে। তার ওপর গতকাল পিকনিকে গিয়ে, আবার ঠাণ্ডা লেগে যাচ্ছেতাই অবস্থা।
    দেখি, একটা পাথর পরা যায় কিনা!!! ( ফিচকে হাসির স্মাইলি)

  • abastab | 61.95.189.252 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৫০506368
  • ঘনাদা আপনি চালিয়ে যান, অন্য টই-য়ে আলোচনা চলুক।
  • rupankar sarkar | 117.194.242.116 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:১২506379
  • আর কাউকে নয়, শুধু সিকিকে উদ্দেশ্য করেই খানিক লিখি। সম্ভবত: টইতে আমার শেষ পোস্ট। ঘনাদা অনেক কিছু বলবেন, কেউ শুনলেও বলবেন, না শুনলেও। রিমিদেবী, পাইকে এখনও চিনলেননা ? ও কেবল এগেনস্ট দ মোশন লেখে, টই বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে।

    শেষ পোস্ট এই কারণে বললাম, জ্যোতিষের মতই মানুষের স্বভাবও অনিশ্চিত ( :) ) কে বলতে পারে আবার প্রলোভনে পা দেবনা ?

    বেশ কিছুক্লাল ধরে অনেকের মুখেই শুনছি 'অ্যানেকডোটাল'শব্দটা । আমার সব বিষয়ের মত ইংরিজীর জ্ঞানও খুবই অল্প। তবু, যতদূর জানতাম, এ শব্দের অর্থ, - এমন ইতিহাস, যা লিপিবদ্ধ নয়। তা সত্যিই যদি তাই হয়, তাহলে তা উল্লেখ করা যাবেনা কেন? হুজুর, এটা কি কোর্টের ট্রায়াল হচ্ছে ? যে অথেন্টিক ডকুমেন্ট প্রেজেন্ট করতে হবে ? টই মানে তো আলোচনা। সেখানে নিজের এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করা যাবেনা ? পাড়ার আড্ডায় তো আকছার হয়। তবে হ্যাঁ সেখানে এত জ্ঞানী-গুনি মানুষজন থাকেননা। অবশ্য একটু ঘুরিয়ে 'মিথ্যে' বললে আলাদা কথা। তা সেই কথা বলার চেয়ে তো ঋদ্ধিমানবাবুর খিল্লি ভাল। অন্য একটা টইতে তো একজন বলেই দিলেন, আমার এত বয়স হয়েছে, আমি কি মিথ্যে বলছি? ( কাকে বললেন, তা নন্দ তেলীও বুঝবে)।

    আচ্ছা মিথ্যে বলা অ্যালাউড তো ? কাল্পনিক গল্প লেখার সময়ে তো অনেকে ফার্স্ট পারসনে লেখেন । আমাকে কি একটা গল্প বলতে অনুমতি দেয়া হবে? না দিলে বয়েই গেল। মডারেশন নেই তো - মিথ্যে বললে আটকাচ্ছে কে ?

    যে লোকটার গল্প বললাম (মিথ্যে) মানে যাকে আব্রাহাম কভুরের কাছে পাঠানোর পরামর্শ কেউ কেউ দিলেন, এটা তাঁরা জেনেই বললেন, যে, সে ক্ষমতা আমার কোনওদিন হবেনা। যাক সে কথা। অমনটি কিন্তু আমিও পারতাম, এখনও পারি ( ডাহা মিথ্যে, খবরদার বিশ্বাস করবেননা )

    অবশ্য সেই অমুক চ্যাটার্জীর মত বলে বলে পারতাম না। হঠাৎ হঠাৎ চোখের সামনে ছবি ভেসে উঠত। তেনার মত পারলে তো বড়লোক হয়ে যেতাম মশাই।

    ১৯৭৫ সাল। আমাদের কিন্তু ছুটির দিনেও প্রায়শই অফিস যেতে হত। আর তার বদলে কমপেনসেটরি লীভ চাইবে এমন বাপের ব্যাটা খুব বেশি ছিলনা (হুজুর এটা মিথ্যে নয়, ক্যান বি ভেরিফায়েড)। সেই দিনগুলো অবশ্য গো অ্যাজ ইউ লাইক। ক্যাজুয়াল ড্রেসে অফিস যাওয়া যেত, সাত খুন মাফ ( সিনেমাটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই)। আমি যেতুম পাঞ্জাবী পাজামা পরে, পাঞ্জাবীটা মোর অফটেন দ্যান নট, গেরুয়া রঙের থাকত। তার ওপর আমার জর্জ বার্ণার্ড শ' এর মত একমুখ দাড়ি ছিল। কম বয়সের আঁতলামো আর কি।

    আমাদের 'অ' এর তখন প্রচূর গার্ল ফ্রেন্ড। তারা ছুটির দিনে অফিস থাকলে সেখানেও হানা দিত। সে দিন বেশ কয়েকজন এসেছেন, 'অ'কে মহা বিরক্ত করছেন। 'অ' ধান্ধা করছে অন্য কোথাও পার্ক করার। হঠাৎ একজনকে বলল, ঐ যে দাড়িওয়ালা, খুব ভাল হাত দেখে। আমি 'সব্বোনাশ' বলে কাটবার চেষ্টায় ছিলাম, যুবতী ঝাঁপিয়ে পড়লেন, - আপনাকে দেখেই বোঝা যায়, খুব বড় জ্যোতিষী, প্লীজ -

    আমি জ্যোতিষের 'জ'ও জানিনা। যত বলি, তিনি বলেন, বিনয় করছেন কেন, আমাদের মতন আজেবাজে লোকের হাত আপনি দেখেননা, তাই বলুন। তারপর বললেন, বুঝেছি, আমার হাত এক চমক দেখেই বুঝে গেছেন, সাংঘাতিক কোনও ফাঁড়া আছে, তাই বলবেননা। বলুননা, আমি মনে মনে তৈরী।

    হে প্রভু, রক্ষা কর। হঠাৎ মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল - আপনি হাত দেখাচ্ছেন কেন, আপনার সমস্যা তো একটাই, ছোট ভাইটা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছিল, বড় আদরের ভাই। যুবতীর চোখ বিষ্ফারিত, মুখ হাঁ, খালি বলছেন কি করে বললেন, কি করে বললেন, কত জ্যোতিষী দেখালাম, কেউ তো এমন বলেনি। আমি কি করে বললেম, তা যদি নিজেই জানতাম

    তাঁর হাঁ বন্ধ হবার আগেই বললাম, তাওবা হাত দেখাচ্ছেন কেন ? সে ব্যাটাচ্ছেলে তো পরশুদিন ফিরে এসেছে। উনি টেবিলের তলা দিয়ে প্রণাম করার একোটা বিফল চেষ্টা করলেন। ( গল্পটা অ্যানেকডোটাল শুধু নয়, ডাহা মিথ্যে। তবু টাইমপাস হিসেবে খারাপ না, বলেন ? আপনাদের মধ্যে দু একজন ত আমার গল্পের 'পাখা' বলেছিলেন'

    ১৯৯০/৯১ হবে, তখন মধ্য কোলকাতায় পোস্টেড। একটা মিনিবাসে রোজ অফিস যাই। প্রায় দিনই সঙ্গে থাকে বন্ধুবর সমীরণ। বাসটা ল্যান্সডাউন রোড দিয়ে যেত। সেদিন হঠাৎ বললাম, জানিস কমল মিত্র মারা গেছেন। সমীরণ বলল, ভ্যা:, এই তো সেদিন দেখেছি মনে হল। আমি বললাম, সেদিন দেখেছিস, আজ তো দেখিসনি, আরে ভাই আনন্দবাজারের মাঝামঝি জায়গায় ছোট্ট খবরটা একেবারে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। সমীরণ বলল, নারে ভাই তক্কো করবনা, তুই তো আবার সিওর না হয়ে কিছু বলিসনা - একটি অল্প বয়সী যুবক উঠল সেই স্টপ থেকে। বলল, দাদা, দেখুন বাজার গরম করবেননা। উনি বহাল তবিয়তে বেঁচে আছেন এবং দীর্ঘদিন থাকবেন। আমি এই পাড়ারই ছেলে। কেন খামোখা আজে বাজে কথা রটাচ্ছেন ? মুখ নীচু করে মানে মানে ( হ্যাঁ স্যার, মিথ্যে গল্প কিন্তু, মাঝে মাঝে রিমাইন্ডার দিই) পরের দিন দেখলাম কমলবাবু আলোয়ান গায়ে দিয়ে কলা কিনছেন বাড়ির সামনে। যাক বাবা - দুদিন অফিস যাইনি কোনও কারনে। যেদিন গেলাম, ওঁর বাড়ির সামনে দেখি সাদা ফুল দিয়ে খাট সাজানো হচ্ছে। শালপ্রাংশু দেহটা মোটা ফ্রেমের চশমা সমেত পরম শান্তিতে শুয়ে আছে। পরদিন সকালে তড়বড়িয়ে আনন্দবাজারটা খুলেই দেখি ঠিক সেই জায়গায়, সেই কলামে যেমনটি দেখেছিলাম, তেমনি খবরটা জ্বলজ্বল করছে।

    গত মাসে একদিন সন্ধ্যায় আমার চোখে ভেসে উঠল, কাল সকালে 'বিডি' মারা যাবে। অন্য কেউ হলে মন খারাপ হত বৈকি। এর বেলা হলনা। ভেবে দেখলা, রোজ অন্নগ্রহণ, মলত্যাগ, চুল্লুসেবন এবং চুটিয়ে পরনিন্দা ছাড়া এর দুনিয়ায় কোনও কনট্রিবিউশন নেই। মরলে কারো কিছু যাবে আসবে না। পরদিন সকালে সে মারা গেল।

    শত শত ঘটনার মধ্যে তিনটে মাত্র বললাম। (মিথ্যে কত আর বলা যায়) মজার কথা, আমার ছেলেও পারে এমনি সব কান্ড (এটাও মিথ্যে)। তবে স্যার আব্রাহাম কভুরের কাছে আমায় নিয়ে গেলে তো পশ্চাদ্দেশে পদাঘাত পাব। কেননা, হঠাৎ করে যে ছবি দেখতে পাই তাই বলি, আপনি যদি এসে বলেন বলুনতো আমি কবে মরব? আমি বলব বালাই ষাট, আপনার দীর্ঘজীবন কামনা করি।

    সেই যুবতীর ঘটনার পর এত লোক বিরক্ত করত, যে বেনহ্যামের বইই কিনে ফেললাম (কিরো পড়ে কিস্যু হয়না) কার্তিক চন্দ্র দেববর্মার কোষ্ঠী এবং দশ বিচারও কিনেছিলাম, কিন্তু সময় কোথায় সারাদিন চাকরী, সন্ধেয় রিহার্সাল রাত দশটা পর্যন্ত। আমার আর ওদিকে কিছু হলনা। (কোনওদিকেই কিছু হলনা)

    ওপরের গল্পগুলি অক্ষরে অক্ষরে মিথ্যা। মিথ্যা বলাও একটা শিল্প। বলেন ?
  • siki | 123.242.248.130 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২৩506401
  • পড়লাম। রোমাঞ্চিত হলাম। এবং মুচকি হাসলাম।
  • Shakti Bhattacharjya | 14.96.141.162 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২৩506390
  • ভারতীয় জ্যোতিষের সব থেকে পুরোনো বই বৃহৎসংহিতা। এইটা পুরো পড়ে ফেললে দুই পক্ষের লোকদের তর্ক করতে সুবিধে হবে।

    http://www.wilbourhall.org/pdfs/BrhatSamhitaSanskrit.pdf
  • PM | 86.96.228.84 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১৩506412
  • দয়া করে বেপথু হবেন না। আপাতত: এই টই এর বিষয় শুধুমাত্রো জ্যোতিষ-এর যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা।

    অলৌকিক নিয়ে না হয় পরে আলোচনা করা যাবে। মে বি অন্য টই
  • GHANADA | 223.223.140.246 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১৭506423
  • রূপঙ্কর ভাই
    আমি বিশ্বাস কোরলাম।

  • nyara | 203.110.238.17 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:২৭506435
  • আবার চেষ্টা করি।

    জ্যোতিষ ঠিক না ভুল, সে নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা হল সিকি, রিমি, আকা এদের হৈহৈ করে 'জ্যোতিষ বুজরুকি। উসকো ল্যাজ কাট দো' বলে লাফিয়ে পড়ায়। তো কেন বুজরুকি? না জ্যোতিষের অধিকাংশ প্রেডিকশন মেলে না। গুগুলে নাকি আছে। ঠিক আছে। ধরে নিলাম, আছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় ডাক্তারি প্রেডিকশন জ্যোতিষ প্রেডিকশনের থেকে অনেক বেশিবার মেলেনি। (গুগুলে কোন স্টাডি আছে কিনা জানিনা)। তো এই মাপকাঠিতে - মানে প্রেডিকশন মেলার মাপকাঠিতে জ্যোতিষ আর ডাক্তারি কেন তুলনা করা যাবে না, ভগা জানে। তা সত্বেও রিমি ছাগলের দাড়িতত্ব দিয়ে চলেছে।

    তারপরে বলা হল যে এক্সপেরিমেন্টাল রিপিটেবিলিটি। সায়েন্সের মূল শর্ত। সেটা জ্যোতিষে করা যায়না, তাই জ্যোতিষ সায়েন্স নয়। তাই জ্যোতিষ বুজরুকি। (যদিও এই লজিকের ধারাটি ফ্যালাসির কোন অঙ্গে পড়ে, রিমি জানায়নি) তো রিপিটেবিলিটি প্রশ্নে আবার আমি ডাক্তারির উল্লেখ করলাম - ডাক্তারিতেও এক্সপেরিমেন্টাল রিপিটেবিলিটি সম্ভব নয়। রিমি ছাগলের দাড়িতত্ব আনল। সিকি বলল, মানুষ এখনও শরীরতত্বের সব জানেনা তাই ডাক্তারিতে ঐ ছাড় আছে। কিন্তু কে বলেছে মানুষ গ্রহনক্ষত্রের সব জেনে গেছে? তাহলে জ্যোতিষের ছাড় নেই কেন?

    জাস্ট দুটো উদাহরণ দিলাম। এমন খেলা খেলে চলে গোরা রায়, ভাগ্যবানে শুধু দেখিবারে পায়। আবার বলছি, জ্যোতিষ নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। জ্যোতিষের জায়গায় আয়ুর্বেদ হতে পারে, জলপড়া হতে পারে। তাতে আমার পজিশন পালটায় না। স্বঘোষিত মুক্তমনাদের গোঁড়ামি দেখে - সায়েন্সের প্রিটেক্সটে - আমি জ্যোতিষের দলে খেলছি এখন।

    (বাই দ্য ওয়ে, সিকি, জ্যোতিষ মানে ভাগ্যগণনা নয়। ওটা সাইড এফেক্ট। আসলে কী, সেটা যাকে বলে set as an exercise to the reader।)
  • GHANADA | 223.223.140.246 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০৪506446
  • বিজ্ঞান কিছু বলার বহু আগেই, জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রণেতা গণ ( এদের আর্য্য ঋষি বলা হয়- বরাহমিহির, তার মধ্যে অন্যতম) জ্যোতিষ শাস্ত্রে রবির প্রাধান্য দিয়েছেন।
    ফলিত জ্যোতিষ ভালো ভাবে জানা থাকলে, জ্যোতিষ শাস্ত্র ভালো ভাবে বোঝা যায়।
    জ্যোতিষের তঙ্কÄ ভালো ভাবে জানতে হলে- মনোবিজ্ঞান, গণিত বিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, আয়ুর্বেদ, শরীরতঙ্কÄ, ( আমি ওষুধ বেচতাম, ফলে শরীরতঙ্কÄ শিখতে হয়েছিল) সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে ঠিকঠাক ফলাফল বলা সম্ভব নয়।
    এটা কিন্তু, শাস্ত্র প্রণেতারাই বলেছেন। ( ওঁরা এগুলো জানতেন? নাকি-'অ্যানেকডোটাল!!!!!!!!!!!!!!!!!!’ তবে, প্রাচীন ভারতের কথা যাঁরা জানেন, তাঁদের কাছে নয়।)
    সূর্য্য কম- বেশী এক অংশ করে সরতে সরতে ৩৬৫ দিন, ৬ ঘন্টা, ৯ মিনিট, ৯ সেকেণ্ড পরে, ঠিক যে বিন্দু থেকে যাত্রা করেছিল, ঠিক সেই বিন্দুতেই ফিরে আসে। এই গতিপথকে গণিত জ্যোতিষের ভাষায় বলে- রবি মার্গ ( পথ) বা ক্রান্তিবৃত্ত ( Ecliptic)।
    এই মার্গ হচ্ছে ফলিত জ্যোতিষের মূল ভিত্তি। এর কারণ হচ্ছে, রবির এই পথের ওপরেই গ্রহদের অবস্থান নির্দ্দিষ্ট হয়ে থাকে।অএই জ্যোর্তিময় গোলোকটির আকার আছে, কিন্তু জ্যোতির কোনো আকার নেই, এটা মনে রাখতে হবে।
    সূর্য্য থেকে ৬০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা শীঘ্রগামী। ৬১ থেকে ৯০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা সমগামী, ৯১ থেকে ১২০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা মৃদুগামী, ১২১-১৮০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা বক্রগামী ( Anti- clockwise, আসলে তা নয়।অআপেক্ষিক গতির জন্য পৃথিবী থেকে দেখে মনে হয় তারা উল্টো ঘুরছে।),১৮১-২৪০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা অতি বক্রগামী, ২৪১-৩০০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা সরলগামী, ৩০১- ৩৬০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা শীঘ্রগামী।
    চন্দ্র সব সময়েই শীঘ্রগামী।
    ( চলবে, আজ আঙ্গুল ব্যাথা করছে। প্রচুর অন্য লেখাও লিখতে হয়েছে। আবার ২২/১২/২০১১ থেকে লিখবো)
  • T | 14.139.128.11 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩৯506457
  • @nyara, কারেন্ট লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্কে যেসমস্ত আক্সিওম ধরা আছে সেই অনুযায়ী ফিজিক্স কেমিস্ট্রী ম্যাথমেটিক্স বায়ূলজি এগুলো সায়েন্স, কিন্তু আস্ট্রোলজি নয়। কারণ এর মূল অনুমানগুলিকে ঐ আক্সিওম দিয়ে ভুল প্রমাণ করে দেওয়াই যায়। এখন প্রকৃতিতে যা সমস্ত ঘটছে তার অল্টারনেট ব্যাখ্যা যে এগজিস্ট করে না সেটা কেউ বলতে পারে না। আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি কিছু আক্সিওম ট্রু ধরে নিয়ে, অন্য সমস্ত ঘটনার ব্যাখ্যা করা গেলেও আস্ট্রোলজির ক্ষেত্রে করা যাচ্ছে না, অতএব কারেন্ট ফ্রেমওয়ার্কে যাকে আমরা সায়েন্স বলে জানি তার মধ্যে এটা আসবে না, বা একই গোত্রে পড়বে না। জ্যোতিষ কি বিজ্ঞান এই প্রশ্নটাই অর্থহীন।
    আপনি বলতে পারেন ভবিষ্যতে মানুষ আবিষ্কার করতেই পারে যে গ্রহ নক্ষত্রের কিছু ভুমিকা আছে, সেক্ষেত্রে কারেন্ট ফ্রেমওয়ার্কে আরো কিছু আক্সিওম যোগ হবে এবং জ্যোতিষ মান্যতা পাবে। আপাতত এটি শুধুমাত্র এক বৃহত লুকআপ টেবিল ছাড়া আর কিছু নয়। প্রাথমিক অবস্থায় হয়ত এটি খুব সাধারণ কিছু অবজারভেশনের উপর ভিত্তিতে তৈরী হয়েছিল, পরে বারংবার রিফাইনড হয়েছে।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৫২506468
  • আহা ন্যাড়াদা, এদিকে বলছেন জ্যোতিষের দলে "খেলছেন", আবার ওদিকে এত কষ্ট করে নিজেকে মুক্তমনা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন ? খেলাটা তো মাটি হল পুরো :-))

    জ্যোতিষে প্রেডিকশান মেলা ছাড়াও আরো অনেক কথা বলা হয়েছে। সেগুলো ছেড়ে শুধুই প্রেডিকশন নিয়ে পড়লেন কেন কে জানে?

    জ্যোতিষ ঠিক না ভুল সেগুলো নিয়ে না হয় আপনার মাথা ব্যথা নেই (এতক্ষণে বুঝলাম যে মাথাব্যথা আসলে জ্যোতিষের আক্রমণকারীদের নিয়ে ;-)), ডাক্তারিকে আপনি সায়েন্স মনে করেন কি না, না করলে কেন করেন না, আর করলে কেন করেন সেইটা বলুন না। দেখি আপনার যুক্তিগুলো কেমন??
    কিন্তু "তোমাদের মতন লোকেদের কাছে কিছুই প্রমাণ করার দায় নেই
    " জাতীয় কথা বলে পালালে কিন্তু ন্যাড়াদা, বড্ড দু:খু পাবো। স্বঘোষিত মুক্তমনা বলে কি মানুষ নই কো??? :-(
  • PM | 86.98.43.63 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:০৯506479
  • এইমাত্র রিমি বলল যে "এটা জ্যোতিশ টই ডাক্তারি নিয়ে আলোচনা চলবে না... নিজেই আবার টেনে ডাক্তারি নিয়ে আসছে :)
  • PM | 86.98.43.63 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১১506490
  • এখন পর্য্যন্ত আমার ধারনা T এর বকে্‌ত্‌ব্‌য়র খুব কাছাকাছি
  • pinaki | 122.174.9.59 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২০506501
  • ন্যাড়াদা, তোমার ক্ষেত্রে যদি জ্যোতিষের প্রেডিকশন ডাক্তারের প্রেডিকশনের থেকে বেশীবার মিলে থাকে তাহলে কি ধরে নেব তুমি ডাক্তার না দেখিয়ে জ্যোতিষীর কাছেই গিয়ে থাকো নিজের জীবনে? ব্যক্তিগত উদাহরণের প্রশ্নে ডিডিদার তোলা এই প্রশ্নটা সবচেয়ে ভ্যালিড - যেটা তোমার বক্তব্যটাকে প্রতি মুহুর্তে নালিফাই করে। ডাক্তারি আর জ্যোতিষে তুলনা করাটা ব্যক্তিগত রেফারেন্সের প্রশ্নেও জাস্ট দাঁড়ায় না।

    দ্বিতীয়ত:, তোমার বা দুখেদার এই যে এপ্রোচটা, অর্থাৎ যা জানিনা তার প্রতি ওপেন থাকাই ভালো, সেটাকে না জেনে বুজরুকি বলার কোনো মানে হয় না - এটা সত্যি বলতে শুনতে ভালো কিন্তু আইডিয়ালিস্ট স্ট্যান্ড। বাস্তব জীবনে আমাদের কম জেনেও সামাজিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যে কারণে 'ডাইনি হত্যা' নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তুমি নিশ্চই তার বিরুদ্ধে বলবে, ডাইনি বিদ্যা, তন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে বিশ্বাসীদের তুলনায় তোমার জানাবোঝা কম থাকলেও। বাস্তবে আমরা অজানার ক্ষেত্রেও কোনটা গ্রহণ করব আর কোনটা গ্রহণ করব না, কোনটার প্রতি নিউট্রাল থাকব আর কোনটাকে ভিহিমেন্টলি আক্রমণ করব প্রচুর গভীর চর্চা না করেও, তার একটা মাপকাঠি নিজেদের মধ্যেও ক্যারি করি। যারা এখানে সেই আক্রমণাত্মক স্ট্যান্ডটা নিয়েছে, বুঝতে হবে, তারা জ্যোতিষের প্রতি নিউট্রাল তো নয়ই বরং এগুলোকে ক্ষতিকারক সামাজিক চর্চা এবং লোক ঠকানোর উপায় বলে মনে করে। তাই তারা এই দায় বোধ করে যে কেউ ট্র্যাডিশনাল উইজডম আর নিজের বিশ্বাসের দোহাই দিয়ে এরকম ক্ষতিকারক জ্ঞানকে সমাজে নিয়ে আসলে সেটাকে যুক্তি দিয়ে আক্রমণ করাটা দরকার। যতক্ষণ অব্দি কাউকে জোর করে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে না, বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে না, ততক্ষণ 'ঝাঁপিয়ে পড়ে' তক্ক করলে অসুবিধে কোথায়?
  • PM | 86.98.43.63 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৩৫506512
  • পিনাকি আপনি কি টই-তেও সোস্যাল রেস্পোন্সিবিলিটি দেখ ভাল করার জন্য আড্ডা মারেন।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৪৫506523
  • ইয়ে, ন্যাড়াদা তো জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন না। শুধু আমি আকা আর সিকির দম্ভ দেখে ওঁর রাগ হয়েছে, তাই উনি জ্যোতিষের "দলে খেলছেন"। এইটা খেলা তো!! নয়ত সত্যি কি আর আমাদের ন্যাড়াদা এতই ছেলেমানুষ যে জ্যোতিষে বিশ্বাস করবেন?? :-))
  • t | 59.152.100.116 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৫৪506534
  • 'সূর্য্য কম- বেশী এক অংশ করে সরতে সরতে ৩৬৫ দিন, ৬ ঘন্টা, ৯ মিনিট, ৯ সেকেণ্ড পরে, ঠিক যে বিন্দু থেকে যাত্রা করেছিল, ঠিক সেই বিন্দুতেই ফিরে আসে।'

    এটা তো পৃথিবীর আবর্তন সময় বলে জানতাম! যদিও এটাও জানতে হয় যে সূর্ষ বা পৃথিবী কখনৈ ঠিক আগের কোনো অবস্থানে ফিরে আসে না।

    'সূর্য্য থেকে ৬০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা শীঘ্রগামী। ৬১ থেকে ৯০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা সমগামী, ৯১ থেকে ১২০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা মৃদুগামী, ১২১-১৮০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা বক্রগামী ( Anti - clockwise , আসলে তা নয়।আআপেক্ষিক গতির জন্য পৃথিবী থেকে দেখে মনে হয় তারা উল্টো ঘুরছে।),১৮১-২৪০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা অতি বক্রগামী, ২৪১-৩০০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা সরলগামী, ৩০১- ৩৬০ ডিগ্রির মধ্যে গ্রহরা শীঘ্রগামী।
    চন্দ্র সব সময়েই শীঘ্রগামী।'

    মানে কী? ডিগ্রি তো অ্যাংগল মাপার একক। ০' কোনটাকে ধরছেন? কোন পয়েন্ট? আর সেটা হরাইজন্টাল বা ভার্টিক্যাল অ্যাক্সিস প্লেন?

    মোটামুটি নয়টা গ্রহই সূর্যের বিষুব রেখার কাছাকাছি হরাইজন্টাল তল ধরে আবর্তন করে। ব্যতিক্রম শুধু প্লুটো। এইটা দেখুন

    http://tinyurl.com/d2rh7sa
  • pinaki | 122.174.9.59 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১২506546
  • PM,

    আমি নিমিত্তমাত্র। অম্মাকে নিয়ে এখানে আলোচনা হচ্ছিল না। :-)

    কিন্তু আড্ডা মানে তো শুধু বিনয়ের অবতার হয়ে মতবিনিময় নয়। উত্তাল তর্কবিতর্কও তো আড্ডার পার্ট। আর কেউ যখন কোনো বিষয় নিয়ে প্যাশনেটলি তক্ক করে, সেটা সিপিএম-তিনোমূল হোক, কি এফ ডি আই, বা জ্যোতিষ, সেখানে কোনো এক ধরণের দায়বদ্ধতাবোধ তো থাকেই। সিপিএম তিনোমূল তক্কে লোকে উত্তেজিত হয় কেন? অপরপক্ষের মতটা প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলে সমাজের ক্ষতি হবে - এই বোধটাতো ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকেই। এবারে র‌্যাশনাল হলে মানুষ সেই বোধকে ক®¾ট্রাল করে, এক্সট্রীমে যেতে দেয় না, এটা বুঝে যে এই তক্ক হেরে যাওয়া দিয়ে বিশাল ক্ষতি তেমন কিছু হবে না। কিন্তু হয় নিজের ইগো স্যাটিসফ্যাকশন, নয় কোনো না কোনো ধরণের দায়বদ্ধতার বোধ - এদুটো ছাড়া তক্কে প্যাশনেটলি কিকরে ইনভলভ হওয়া যায় - আমার জানা নেই।
  • pinaki | 122.174.9.59 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৫506553
  • *আমাকে*
  • pinaki | 122.174.9.59 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৬506554
  • *আমাকে*
  • GHANADA | 223.223.136.6 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:২৮506555
  • কৌণিক দূরত্ব ছাড়া তো কোণ হয় না। তাই অনুভূমিক তল দিয়েই তো করতে হবে। তাছাড়া, পৃথিবী বা সূর্য্য কোনোদিনই এক জায়গায় ফিরে আসে না। তাই দশা- মহাদশা আছে।
    হাত ব্যাথা করছে বলে, আর লিখি নি। পরে লিখতাম। তবে আর আজকে লিখতে পারবো না। খুব হাত ব্যাথা করছে।

  • nyara | 122.172.170.161 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:১৬506556
  • পিনাকী, আমি একবারও বলিনি আমার ক্ষেত্রে ডাক্তারের থেকে জ্যোতিষীর প্রেডিকশন বেশিবার মিলেছে। আবার পড়ো। বলেছি ডাক্তারের প্রেডিকশন জ্যোতিষীর থেকে বেশিবার মেলেনি। তার কারণ খুব সোজা। আমি বা আমার ঘনিষ্ঠ পরিবার-পরিজন-বন্ধু কোনদিন কোন জ্যোতিষীর কাছে যাইনি। অন্তত: আমার জ্ঞানত:। কোন প্রেডিকশন করাইনি। কাজেই না মেলার সংখ্যা শূণ্য। অন্যদিকে ডাক্তারের প্রেডিকশন অনেবার মেলেনি।

    T-এর বক্তব্য অনেক র‌্যাশনাল লাগছে আমার। যদিও এটার উল্টো যুক্তি আছে। কিন্তু সেটা মোর অফ আ ফিলোসফিকাল ডিসকাশন। এই থ্রেডে হবে না।

    রিমি চটে আলুদ্দম। বুঝতেও পারছে না আমি নিজেকে মুক্তমনা-বদ্ধমনা এসব প্রমাণ করতে বাজারে নাবিইনি। ওসব হত যখন মাথায় চুল ছিল। এখন সব টাইমপাস। জ্যোতিষ ছাড়া দিব্যি চলে যাছে। যেমন কোয়ান্টাম ফিজিক্স না জেনে বা গাড়ির গিয়ার ট্রেন কী করে কাজ করে কিম্বা প্যারাসিটামল কী করে জ্বর কমায় সেসব না জেনেই এ জীবন বেশ চলছে।
  • nyara | 122.172.170.161 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:১৯506557
  • পিনাকী, আর একটা ব্যাপার। ডাইনি হত্যার প্রতিবাদে জেনেরালি কোমর বেঁধে জ্যোতিষ বুজরুকি বলা অনেকটা পণের জন্যে হত্যার প্রতিবাদে বিয়ে ব্যাপারটা তুলে দেওয়ার মতন। মাথা ব্যথা করলে মাথা কেটে ফেলা ছাড়া আর কি কোন পন্থাই নেই?
  • rupankar sarkar | 116.202.219.47 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০৫506558
  • আবার আমার পোস্ট উড়ে গেল? বললাম তো, নাক মলছি, কান মলছি, আর টইতে লিখব না, এটাও তো সমাপতন দেখছি, খালি আমার পোস্টই উড়ে যায় ? শেষ পোস্টটাও গেল? যাক তাহলে। জ্যোতিষে বিশ্বাস রাখার কি শাস্তি।
  • dukhe | 117.194.226.2 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৭506559
  • অতি অল্পই পড়ে উঠলাম । তবে মনে তো হচ্ছে কাল কিংবা পরশু সবাই যে যেখানে ছিলাম, আজও তাই । অবস্থার কিছু ইতরবিশেষ হওয়ার আশাও দেখি না ।
    ঘনাদাই লিখুন ।
    রূপঙ্করবাবুর গল্প থেকে 'দৃষ্টিপ্রদীপ' মনে পড়ল ।
  • dukhe | 117.194.226.2 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৮506560
  • nk কে অনেক ধন্যবাদ । পোমো পোকোর ফুল ফর্মের জন্য । কিন্তু সেই ফুল ফর্মগুলোর মানে কে জানেন দাদা ? মানে আমার গুপ্ত কি জ্যান্ত পোমো সাজতে আপত্তি নেই, কিন্তু রোলটা এট্টু কিলিয়ার হলে সুবিধে হয় ।
  • nk | 151.141.84.194 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪২506561
  • আমি তো বহিরঙ্গের মানে কইলাম দুখে, অন্তরঙ্গে হয়তো আরো মারাত্মক সব মানে আছে, সে বিষয়ে হায় কিছুই জানি না। :-(
    কিন্তু আপনি ওয়ান লাইনার একেবারেই ছেড়ে দিলেন? :-)
  • dukhe | 117.194.226.2 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৫৭506563
  • না: - এত লম্বা লম্বা পোস্টের জবাবে কি আর ওয়ান-লাইনার লেখা যায় ?
    সিকি লিখল - ভালো পড়াশোনা করলে চাকরি হয়, কিন্তু আবার সবসময় তা হয় না (অথচ তার আগেই লিখেছে ওর চাকরি করাটা পুরো ওর হাতে ছিল !), তা বলে কি পড়াশোনা বুজরুকি ? সঙ্গমে বাচ্চা হয়, কিন্তু নাও হতে পারে, সঙ্গম কি বুজরুকি ? পঞ্চমে বৃহস্পতি থাকলে অমুক হয়, কিন্তু সবসময় হয় না, তা বলে কি বুজরুকি ? এইরকম সব ফুলটসে একটা হাল্কা টোকা দিতে হলেও মাল্টি-লাইনার হয়ে যায় ।
    সবই কপাল ! দুখের এই হাল দেখেও লোকে বলবে ভাগ্য বলে কিছু নেই ?!?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন