এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হাতে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি - পার্ট টু

    siki
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ২৯১৯১ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 14.97.176.96 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:৪৯511911
  • আকা ও পাইয়ের সঙ্গে আছি।
    বিতর্ক ও হাসির সুফল নিয়ে গুরু ও চন্ডালেরা সম্যক অবহিত। গুরুর জন্মলগ্ন থেকে টইগুলো দেখলেই বোঝা যাবে।
    আসল কথা হল সেই যে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী লিখে গিয়েছিলেন---- চাঁদের টানে যদি জোয়ারভাটা হয় তবে রামকান্তের জজিয়তি কেন হইবে না? গোছের তর্ক চলিবে না। আর বাছিয়া বাছিয়া বিদ্যাসাগর রবীন্দ্রনাথের কুষ্ঠি নিয়া বলিলে চলিবে না,--- সেই জায়গায় আসুন। অর্থাৎ চাঁদের টানে রামকান্তের জজিয়তি কিভাবে হইতে পারে!

    রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রিয়তা কমছে। সামনে ইলেকশন
    ট্যুর শুরু হয়েছে। প্রীতীশ নন্দী তখন "" ইলাস্ট্রেটেড উইকলি''র
    এডিটর। গোটা কুড়ি বড় বড় জ্যোতিষীদের ( বেজান দারুওয়ালা গোছের) বল্লেন -- ইলেকশনে কোন দল জিতবে আর আগামী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে গ্রহনক্ষত্রের অ্যানালিসিস করে প্রেডিক্ট করতে। তাতে অধিকাংশই লিখলেন ভোট কমলেও এবারও কংগ্রেস গভর্নমেন্ট, আর রাজীব প্রধানমন্ত্রী। জনা দুই বোধহয় বাজপেয়ীর কথা বলেছিলেন।
    প্রথম ফেজের ভোট হল, স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের ভোট কমল। দ্বিতীয় ফেসের ভোটের আগে আত্মঘাতী হামলায়
    রাজীবের বীভৎস মৃত্যু হল।কেউ এটা প্রেডিক্ট করতে পারেন নি, যদিও প্রেডিকশনের আর ঘটনার মধ্যে মাত্র একমাসের তফাৎ।
    হ্যাঁ, শহীদ সেন্টিমেন্টে দ্বিতীয় ফেসে কংগ্রেস আশাতীত ভোট পেল, সরকার হল।
    জ্যোতিষীরা বল্লেন -- কেন? কংগ্রেস সরকার তো হয়েছে!
    প্রীতীশ ফলিত জ্যোতিষকে ছ্যা-ছ্যা করে বল্লেন- এরা কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী বা স্থায়ী প্রধানমন্ত্রী কারো নামই বলতে পারেনি, রাজীবের মৃত্যুতো দূর অস্ত্‌!
  • ranjan roy | 14.97.176.96 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:০১511912
  • আর বিতর্ক কথাটাকে এমনভাবে ট্রিভিয়ালাইজ করাতে আমার আপত্তি আছে। রাগ-রাগিণী নিয়ে বিতর্ক, সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক! এগুলো হল কমন বেসিসে অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে বিতর্ক, ইন-হাউস বিতর্ক, --দীক্ষিতদের মধ্যে বিতর্ক, যেমন জ্যোতিষের মধ্যে সূর্যসিদ্ধান্ত ও বিশুদ্ধসিদ্ধান্তের বিতর্ক।
    কিন্তু এখানে আমাদের বিতর্কটি আদৌ এমন ইন-হাউস বা
    দীক্ষিতদের মধ্যে বিতর্ক নয়। এখানে একদল ফলিত জ্যোতিষের বেসিসটাকেই সন্দেহ করছে।
    দুই ধরণের বিতর্ককে ঘেঁটে দেবেন না।
  • Bratin | 117.194.98.84 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:০৩511913
  • রামকৃষ্ণ বাবু লিখুন। মন দিয়ে পরছি। কোথাও কিছু জানার থকলে প্রশ্ন করবো কিন্তু। আপনি সময় নিয়ে লিখুন কোন তাড়া নেই।
  • dd | 122.167.46.69 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:১৮511914
  • আসল ব্যাপারটাই সবাই এড়িয়ে জান।
    কেমিস্ট্রি,ফিসিক্স, সাতের ঘরে নামতা - এ গুলি একটাই।

    কিন্তু জ্যোতিষ একটি একমাত্র থিওরী বা শাস্ত্র নয়। প্রায় শ খানেক অ্যাস্ট্রলজি বিদ্যা হলে আছে দুনিয়ায়। ইউরোপে সাত দুগুনে আঠারো, ভারতে সেটা পৌণে চোদ্দো, চীনে কখনো উনিশ কখনো সাড়ে বাইশ - এরকম আজব কথা কখনো শুনেছেন? কিন্তু জ্যোতিষে সেটা হাল হামেশা হয়।

    একই স্থানে একই সময়ে জন্ম হলেও নানান জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে নানান ছক হবে আপনার। সেই সব ছকের ব্যাখ্যাও আদৌ মিলবে না একে অন্যের সাথে।

    ঐ যে রামকৃষ্ণ বাবু লিখছেন বিশদে, সেটির "কী ওয়ার্ড" কিন্তু দৃকদিদ্ধ পঞ্জিকা মতে। অতো সব মেনে টেনেও বাংলা দেশের বেশী প্রচলিত পঞ্জিকার হিসেব নিকেষ সম্পুর্ন আলাদা হবে - পুরোপুরি আলাদা ছক। লগ্ন রাশি - সব ই আলাদা হবে। প্রদেশ বুঝে শাস্ত্র পাল্টে যায় ভারতে। ইওরোপীয়,ইজিপশীয়ান বা চৈনিক এ গুলো যে আরো আলাদা সেটা আর নতুন করে বলার কি আছে।

    তাই "জ্যোতিষ শাস্ত্র' কতোটা বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নিয়ে কেউ কিছু বলার আগে প্রথমেই তাঁর লিখে নেওয়া উচিৎ কোন জ্যোতিষের কথা তিনি বলছেন।
  • PM | 86.96.228.84 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:২৭511915
  • আমার একটা কৌতুহল আছে। কেউ কি বলতে পারেন বাংলাদেশ আর পাকিস্থানে জ্যোতিশ কেমন প্রচলিত? তাহলে বোঝা যাবে জ্যোতিষ আমদের ধর্মিয় সংস্কৃতি-র অঙ্গ না আন্‌চলিক সংস্কৃতির অংগ।

    আকা, রামকৃষ্ণ-বাবু এতক্ষন যা বললেন তা আপনার জানা থাকলেও আমি কিছুই জানতাম না। আমি এই সম্‌ক্‌রন্ত চর্চা কখনকরি নি। যদি এই জানাটা ওনার পরবর্তি সিধ্যান্ত বোঝার জন্য দর্কারী হয়, তাহলে ওনাকে ওনার মতো লিখতে দিন। কারন পরে ওনাকে বেসিক বেপারে প্রশ্ন করে ব্যতিব্যস্ত করতে হবে না।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.137.121 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:১৩511916
  • প্রথমেই বলে রাখি- আমি জ্যোতিষ নিয়ে চর্চা করি এবং অবসরের পর এই চর্চাকে বজায় রাখার জন্য একজনের অনুরোধে বর্তমানে একটি জায়গায় - VisitingAstrologer। গুরু এবং চণ্ডালরা যাতে আরও ভসভসিয়ে হাসতে পারেন, তার জন্য এই তথ্য দিলাম।
    আমি বাংলাদেশ, ইউরোপ, আয়মেরিকার প্রচুর Client কে পেয়েছি। বাংলাদেশে জ্যোতিষ বহুল ভাবে প্রচলিত। বাংলাদেশে বহু কাগজে দৈনিক রাশিফল বের হয়। পাকিস্থান সম্বন্ধে আমার কোনো রকম প্রত্যক্ষ ধারণা নেই। তবে, বাংলাদেশী বন্ধুদের মুখে শুনেছি- সেখানেও জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রচলিত।
    অথচ,জ্যোতিষ শাস্ত্রের জোরালো বিরোধীতা চোখে পড়ে ইহুদী ও ইসলাম ধর্মে। এ দুই ধর্মে, সৃষ্টির জগতে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত সকল বস্তু ও বিষয়ের সৃষ্টিকর্তার প্রতি দ্বিধাহীন আনুগত্যের কথা আছে ; আর বলা আছে ভাল-মন্দ সব কিছু সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে হয়। আর এজন্য অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীদের দেখা যায় জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগে আলবেরুনী (৯৭০-১০৪৮ খৃ) জোতিষ শাস্ত্রের বিরুদ্ধে বই লিখেন। তাঁর এ ধরনের একটি বইয়ের নাম ছিল ‘‘জোতিষীদের মিথ্যা ভবিষ্‌য়্‌ৎ বাণীর বিরুদ্ধে সতর্কবাণী”। তাতে তিনি দেখান যে, জ্যোতিষীরা গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ভিত্তিতে ভাগ্য নির্ণয়ের দাবী করলেও তাদের বিভিন্ন ভবিষ্‌য়্‌ৎ বাণী অনেক ক্ষেত্রেই পরস্পর বিরোধী। এসব সঙ্কেÄও ইসলামী দেশগুলিতে জোতিষ শাস্ত্রের প্রচলন ভালো ভাবেই আছে।
    এবারে বলি- আমি বিশুদ্ধ সিন্ধান্ত পঞ্জিকার বিধান মেনে চলি। প্রাচীন পঞ্জিকা মানি না।
    আজ থেকে প্রায় ১১৮ বছর আগে থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাধব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অনুশীলন দিয়ে বুঝতে পারেন- প্রাচীন পঞ্জিকাতে দেওয়া গ্রহ- নক্ষত্রের অবস্থান আকাশের অবস্থানের সঙ্গে মেলে না।
    সেই সময় প্রসিদ্ধ সংস্কারবাদী পঞ্জিকার ওড়িশার মহামহোপাধ্যায় চন্দ্রশেখর সামন্ত, পশ্চিমভারতের লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক, পণ্ডিত বাপুদেব শাস্ত্রী, পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য, বাংলার মহামহোপাধ্যায় মহেশ চন্দ্র ন্যায়রত্ন, শশধর তর্কচূড়ামণি, আচার্য্য যোগেশচন্দ্র রায় প্রমুখ পণ্ডিতদের পরামর্শতে ১২৯৭ বঙ্গাব্দে, ইংরেজী ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে, প্রথম বিশুদ্ধ সিন্ধান্ত পঞ্জিকা প্রকাশিত হয়।
    অনেক পরে, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহারলাল নেহেরু ভারতের বিজ্ঞানীদের প্রতি পঞ্জিকা সংস্কারের জন্য আহ্বান জানান।
    পরে, ১৯৫৩ সালে Calendarreformcommittee তৈরী করেন।
    Prof.M.N.Saha ( মেঘনাদ সাহা),FRS, MP কে ঐ কমিটির সভাপতি (গুরু এবং চণ্ডালরা আরও ভসভসিয়ে হাসুন) এবং (প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ শ্রী নির্মল চন্দ্র লাহিড়ী , সম্পাদক হন।
    তাই আমি বিশুদ্ধ সিন্ধান্ত পঞ্জিকার বিধান মেনে চলি।
    আরও একজন Illustratedweekly র কথা বলেছেন। প্রাসঙ্গিক ব্যাপার গুলো তিনি বললেও আসল একটি ব্যাপার হয় চেপে গেছেন বা জানেন না।
    দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতিষ শ্রী বি.ভি. রমণ অনেক আগেই ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা এবং রাজীব গান্ধীর হত্যা, প্রধানমন্ত্রী হওয়া সব কিছুরই পূর্বাভাস দিয়ে ছিলেন।
    এই নিয়ে প্রীতিশ নন্দীর সাথে বাদানুবাদ হয় লিখিত ভাবে।
    আরও একটি কথা, বিজন দারুওয়ালা- প্রথম UPA সরকারের পতন হবে আর তারা কখনই ক্ষমতায় আসবে না বলে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আগাম বলেছিলেন।
    এর কোনোটাই মেলেনি।
    তাই বলছি:- সব ব্যাপার খোলা মনে বিচার করুন। সেই জন্যই আমি” বিতর্কিত ব্যাপার” বলেছি।
    এই শাস্ত্র অপার। এটা আমি বারবার বলেছি।

    অন্ধ বিরোধীতা এক ধরণের মৌলবাদ।
  • dd | 122.167.14.191 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:১২511917
  • য্যামোন ধরুন গিয়ে মাংগোলিক দোষ ? কি করে বুঝবেন? অথচ ওটা না জানলে বিয়ে করা তো আর উচিৎ নয়।

    যদি আপনার কোষ্ঠীতে মাংগলিক দোষ ধরা পরে বেনারসের কোনো শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিতের কাছে তো খামোখাই দুশ্চিন্তায় পরলেন মশাই। সোজা চলে আসুন কোনো তামিল পন্ডিতের কাছে।

    জেনে রাখুন এই অতীব ইম্পর্ট্যান্ট ইস্যুটির লক্ষণ ভারতের দুই ছকে সম্পুর্ন আলাদা। (এখন আর টুকে দিতে পারবো না)।

    আরো কমপ্লিকেটেড ইস্যু চান ? তো জগন্নাথীয় (ওড়িশার) পন্ডিতের কাছে চলে জান। অন্য বিধান পাবেন।

  • abastab | 61.95.189.252 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২০511918
  • রামকৃষ্ণবাবু লিখতে থাকুন, এতদিনে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা শেখার সুযোগ এসেছে।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২১511919
  • রিমি, সেভাবে দেখলে আগুন লাগাটাও দৈবের বিধান, আর আমাদের তা নিয়ে চেঁচামেচি করাটাও ।
    সবই তাঁর ইচ্ছা । তবে কেন চেঁচামেচি করি ? ঐ - একদিন মরে যাব বলে কি আজ বাদাম কিনব না ? সবই মায়া রে ভাই ।

    নিজের লেখা পড়ে নিজেই ঘাবড়ে যাচ্ছি । এইবার মনে হয় সত্যিই গীতায় ঢুকিয়ে দিলাম । বিশ্বরূপ এল বলে ।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.137.121 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২২511921
  • মঙ্গলের অপর নাম “ভৌম”। তাই শাস্ত্রে ভৌমদোষ কথাটি আছে। “ মাঙ্গলিক” কথাটি উত্তর প্রদেশের তৈরী।
    বিলোমে ( Anticlockwise) - লং, ( প্রথম ঘর) ৪র্থ, ৭ম, ৮ম, ১২শে মঙ্গল থাকলে, ভৌমদোষ হয়। ।অকর্কট, সিংহ, মীন, মেষ, ধনু লগ্নের জাতক/জাতিকার ভৌমদোষ খণ্ডন হয়।
    এটা সব প্রদেশের পণ্ডিতদের কাছেই এক।
  • umesh | 80.254.147.148 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২৮511922
  • raamkrishnaবাবু আপনার সাথে আলাপ হয়ে ভালো লাগলো।
    আমি জীবনে কখনো জ্যোতিষী দেখিনি (বা শুনিনি বা পড়িনি)।
    আপনাকে দেখে (বা শুনে বা পড়ে) সেটা মিটে গেলো।
    ধন্যবাদ।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.137.121 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩০511923
  • রাশি চক্রের পদ্ধতি বা চার্ট স্টাইল বিভিন্ন থাকলেও গণণা কিন্তু এক। এটা মনে রাখতে হবে।

  • umesh | 80.254.147.148 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩৩511924
  • আর একটা কথা, জ্যোতিষী সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দেবেন তো?

  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.137.121 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪১511925
  • উমেশ বাবু,
    আমি একজন নগন্য ব্যক্তি। অত পড়াশোনা নেই। তাই আমার ইন্টেলেক্টও নেই। তবে চোয়াল আছে। সেখানে কি ইন্টেলেক্ট থাকে? জানি না।
    প্রশ্ন থাকলে সানন্দে উত্তর দেবো। এতে আমার নিজেরই লাভ! চর্চাটা হবে।

  • dd | 122.167.14.191 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪৪511926
  • রামকৃষ্ণ বাবু

    দেখুন আমি অত্যন্ত অবিনয়ী লোক, তা ও বাধ্য হয়ে লিখি যে জ্যোতিষে আমার উৎসাহ খুব কম, তাই লিখা পড়াও নগন্য মাত্র। কিন্তু অল্প দু একটা বই পড়ে যা বুঝেছি সেটা হোলো জ্যোতিষ বলে কোনো সিংগল বিদ্যা নেই। অজস্র আছে। সব দেশে আছে। সব প্রদেশে বা গুরুকুল ভেদে তফাৎ আছে। সবাই নিজেকে অভ্রান্ত মনে করে এবং ফলিত বিজ্ঞান বলে প্রচার করে।
    তফাৎ টা এতো বেশী যে কহতব্য নয়। সে তো সাহেবী আর (যে কোনো প্রদেশের) ভারতীয় ছক যা নিরন্তর খবরের কাগোজে বের হয় সে সব দেখেই টের পাওয়া যায়।

    মাংগলিক নিয়ে একটু লিখে দিচ্ছি However, opinions of astrologers differ about positioning of Mars in House 1 and House 2 of Vedic astrology. North Indian astrologers advocate formation of Manglik Dosh when Mars is positioned in 1st House but South Indian astrologers differ with this opinion. In their view, Manglik Dosh is formed when Mars is placed in 2nd House in a lunar chart.

    যেহেতু এই ধরনের বিদ্যায় আমার পড়াশুনা প্রায় জিরো তাই এ বিষয়ে আর লিখতে পারবো ও না।

    আপনি তাই বেল লেখা থামাবেন না। চাপান উতোর না হলে জমবে ক্যানো?

  • Bratin | 122.248.183.1 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪৫511927
  • একটা লোকের মত একট দেশের বা রাজ্যের ছক হয় কি? হলে কীভাবে একটু বুঝিয়ে লিখবেন প্লিজ।
  • siki | 122.177.158.47 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৩২511928
  • কুকুরের ছক হয় না? বিলাইয়ের? গোরু সিংহ কচ্ছপ পিমড়ে, এদের ছক হয় না? এদের ভাগ্য নির্ধারণ করা যায় না? মাঙ্গলিক ছাগলদের জন্য কেমন বিধান?
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:৪৮511929
  • কে বলেছে হয় না, আমার পরিচিত এক ভদ্রমহিলা তাঁর পোষা বেড়ালকে সঙ্গ দেবেন বলে দেশে ছুটীতে যাওয়া পিছিয়ে দিয়েছেন......... তাঁর পরিবার এখন দেশে, তিনি আপাতত: বেড়াল সামলাচ্ছেন, ১৫ দিন পরে যাবেন.... তাঁর বক্তব্য পেট কেয়ার সেন্টার থাকার ধকলটা ত বেড়াল ১৫ দিনের বেশী নিতে পারবে না!!

    এখন যদি বল এই বেড়ালটা ভাগ্য নিয়ে জন্মায়নি, সেটাকে ঠিক হবে :)
  • aka | 75.76.118.96 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৫৮511930
  • পিএম আপনি আপনার মতন লিখুন, আমি আমার মতন লিখব।
  • PM | 86.98.43.63 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১১511932
  • একদম একমত, আকা। আপনি আপনার মতো লিখবেন, আমি আমার মতো লিখব আর রামকৃষ্ণ বাবু ওনার মতো লিখবেন। এই স্বাধিনতা পওয়ার জন্যে জন্যে-ই তো এ-পাড়ায় আসা ।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.139.29 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২৪511934
  • একটু ধান ভাঙ্গতে শিবের গীত করে নেই। সপ্তদশ শতাব্দীতে আইজাক নিউটন এবং গটফ্রিড লাইবনিৎস এই দুজনের মধ্যে কে প্রথমে ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে একটি বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। এই বিবাদটিই ইতিহাসে লাইবনিৎস ও নিউটনের ক্যালকুলাস বিবাদ নামে পরিচিত। নিউটন দাবী করেছিলেন, ১৬৬৬ সালে তিনি ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছেন। তার আবিষ্কৃত ক্যালকুলাস ছিল মূলত “ফ্লাক্সিয়ন এবং ফ্লুয়েন্টের পদ্ধতি”। কিন্তু ১৬৬৬ এরও কয়েক দশক পরে তিনি প্রথমবারের মত এই পদ্ধতির কথা গবেষণাপত্র আকারে প্রকাশ করেন। এর মধ্যে অবশ্য তার একটি প্রকাশনার পিছনের পাতায় এ সংক্রান্ত সামান্য কিছু কথা উল্লেখ করেছিলেন। অপরদিকে লাইবনিৎস ১৬৭৪ সালে ক্যালকুলাসের একটি ধরণ আবিষ্কার করেন এবং ১৬৮৪ সালেই তা গবেষণাপত্র আকারে প্রকাশ করেন। ১৬৯৬ সালে গিয়্যোম দ্য লোপিতাল লাইবনিৎসের ক্যালকুলাস বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছিলেন। অপরদিকে নিউটন ১৬৯৩ সালে প্রথম ক্যালকুলাসের কিছু অংশ প্রকাশ করেন এবং ১৭০৪ সালে সম্পূর্ণ প্রকাশ করেন। ১৬৭৬ সালে লাইবনিৎস লন্ডন ভ্রমণে গিয়ে নিউটনের একটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি দেখেছিলেন। এ কারণেই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, লাইবনিৎস নিউটনের ধারণার উপর ভিত্তি করেই ক্যালকুলাসের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন কি-না। এই প্রশ্ন থেকে একটি দীর্ঘ বুদ্ধিবৃত্তিক বিবাদের সূচনা হয়, কে আগে ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে। ১৬৯৯ সাল থেকে হালকা হালকা শুরু হয়ে ১৭১১ সালের পর এই বিবাদ পূর্ণোদ্যমে চলা শুরু করে।
    আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিল, ক্যালকুলাস এঁদের আবিস্কার নয়। এই ধারণার ভিত্তিও ছিল, আমার। ক্যালকুলাসকে কলন বিদ্যা বলা হত সুপ্রাচীন ভারতে। এই কলন বিদ্যা আবিস্কৃত হয়েছিল কেরলে। “যুক্তিভাস” গ্রন্থে জেষ্ঠদেব চতুর্দ্দশ শতাব্দীতেই কলন বিদ্যার রূপরেখা দিয়েছিলেন। লীলাবতী গ্রন্থে ভাস্করাচার্য্য বলেন- অংকস্য বামা গতি:। বাম দিক থেকে অংকের গতি। প্লেস ভালু সিস্টেম সম্বন্ধে ধারণা এই গ্রন্থেই দেওয়া হয়, যদিও এই ধারণা, ভাস্করাচার্য্য তাঁর সময়ের আগে লেখা গ্রন্থ থেকে পেয়েছিলেন । শূন্যর আবিস্কারও ভারতে। আর্য্যভট্ট শূন্যর সংজ্ঞা দিয়েছিলেন। নিউটনও কিন্তু তাঁর প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেম্যাটিকা গ্রন্থে এত কিছু লিখলেও শূন্যর সংজ্ঞা দিতে পারেন নি।
    তাই, গত ১৯/০৮/২০১০ থেকে ২৭/০৮/২০১০ সালে হায়দ্রাবাদে ইন্টারন্যাশন্যাল কংগেস অফ ম্যাথেমাটিসিয়ানস হয়ে গেছে। এই কভারেজ করেছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার (২১ শে অগষ্ট-২০১০) তরফ থেকে শ্রী পথিক গুহ। সেখান থেকে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার গুলো তুলে দিচ্ছি:- ( কেউ কেউ বাজারী পত্রিকার প্রতিবেদন বলে উড়িয়ে দিতে পারেন)
    “শুধু শূন্যই নয়, গণিত শাস্ত্রকে একলাফে আধুনিক করে দেওয়া ক্যালকুলাসের আবিস্কারও ভারতে। কে বলছেন? বলছেন এমন একজন, যিনি ভেবেছিলেন, এমন এটা ভাষা শিখব যার অক্ষরটা হবে বিচিত্র। সেই থেকে সংস্কৃতে হাতে খড়ি, প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা নিয়ে গবেষণা, ভারতবাস। এবং সেই চর্চার ফসল “ ম্যাথেম্যাটিক্স ইন ইণ্ডিয়া”। গবেষক মহলে সাড়া ফেলে দেওয়া সেই বইতেই ক্যালকুলাসের উৎস ভারতেই বলে জানিয়েছেনকিমফ্লোফকের।অআয়মেরিকার ইউনিয়ন কলেজের অধ্যাপিকা। ( হায় রে! শেষ পর্য্যন্ত, সেই বিদেশীনি যখন বলছেন, তখন তো নিমরাজী হতেই হবে! – আমার সংযোজন)
    কিম ফ্লোফকের আনন্দবাজারকে কি বলেছেন?
    “ক্যালকুলাস বলতে যদি শুধু জটিল আকৃতির ক্ষেত্রফল কিংবা বিচিত্র বস্তুর আয়তন বার করার পদ্ধতি ধরেন, তা হলে মানতে হবে সেটা পশ্চিমের আবিস্কার। কিন্তু ক্যালকুলাসের উৎস সেটা হতে পারে না। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরিমাণ বা সংখ্যা ভাবনাও তো আমাদের ক্যালকুলাসের দিকে নিয়ে যায়। সেই চিন্তা ভারতে প্রথম হয়েছিল। হয়েছিল সপ্তম শতাব্দীতে। পশ্চিমে তখনও ক্যালকুলাস আসে নি।”
    Indianmathematicianssincetheancientperiodhavecontributedtothegrowthofmodernmathematics.
    Indusvalleycivilizationholdsthedistinctionofbeingthefirsttodevelopmathematics.Muchresearchstillistobedonetoknowthefullextentoftheirachievements.Theyadoptedauniformsystemofweightsandmeasuressuggestingthattheybelongtotwoseriesbothbeingdecimalinnaturemultipliedanddividedintwogivingratiosof0.05, 0.1, 0.2, and0.5etc.Anumberofscalesformeasuringthelengthwerediscoveredduringtheexcavations.Adecimalscaleknownas‘IndusInch’basedonaunitofmeasurementof1.32inches (3.35cm) hasbeendiscovered.Anotherscale, abronzerodwasdiscoveredmarked0.367inches.Themeasurementofbuildingsrevealedthatthesescaleswereusedwithgreataccuracy.TheearliestliteraryrecordsVedashadSulbasutraswhichwereappendicesgivingrulesforconstructingaltars.Theygivegeometricalinformationhoweveritwasmeantonlyforthereligiouspurposes.Baudhayana (about800BC), Manava (about750BC), Apastamba (about600BC) andKatyayana (about200BC) composedmainSulbasutras.Thesewerescholarsandpriestandnotmathematiciansinmodernsenseoftheterm.AroundthemiddleofthethirdcenturyBCtheBrahminumeralsbegantoappear.Theseweretheearliestnumeralswhichaftercertainchangesdevelopedintomodernnumeralsusedtoday.
    ভাস্কর দ্বিতীয় তাঁর সিদ্ধান্ত শিরোমণি বইয়ে ক্যালকুলাসের ডিফারেন্সিয়েসন ব্যবহার করেছিলেন।
    ভাস্কর গ্রহের গতি বোঝাতে গিয়ে দুরকম গতির কথা বলেন, স্থূল গতি ((averagespeed) ও সূক্ষ্ম গতি বা ত্‌ৎকালিক গতি (instantaneousvelocity) ।
    l=lmean±rsina/R
    where,
    l=truelongitude
    lmean=meanlongitude
    r=radiusoftheepicycle
    a=anomaly
    and,
    R=radiusofthedeferentcycle
    তিনি সূক্ষ্ম গতি বা ত্‌ৎকালিক গতি নির্ণয় করেন ডিফারেন্সিয়েশন করে।
    “Tofindtheinstantaneousvelocity (inlongitude) oftheplanet, thekotiphalaistobemultipliedbythetimerateofchangeofanomalyanddividedbytheradius, andthequotient (thusobtained) istobeaddedtoorsubtractedfromthevelocityofthemeanplanetaccordingasitspositionisinthesixsignsfromthebeginningofCancerorCapricorn.”
    গণিতের ভাষায়,
    dl/dt=dlmean/dt± (rcos(a)/R) da/dt
    where,
    rcos(a) =kotiphala
    এই সূত্র টি তে প্রমাণ হয় যে তিনি শুধু অবকলন বিদ্যা জানতেন তা নয়, তিনি, এটাও জানতেন যে
    d(sin(a))/da=cos(a)
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.139.29 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৩৬511935
  • @dd
    আমি কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার ফলে, বিভিন্ন গুরুকুলের সাথে যেচে গিয়ে আলাপ করেছি, এই জ্যোতিষ নিয়ে। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পণ্ডিতদের কাছে আলোচনা করেছি। তারই নির্যাস আমি নিজে অনুসরণ করি। এছাড়াও আমার কাছে, উত্তরাধিকার সূত্রে একটি হস্তলিখিত পুঁথি পেয়েছি, তাতে নীচের যে কথা গুলো বলব, তার প্রমাণ আছে।
    আমার আগের লেখা যদি পড়ে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন- আমি বলেছি, ভারত কিন্তু জ্যোতিষের (astrology) স্রষ্টা নয়। আরও লিখেছি, বেদে যে জ্যোতিষের কথা আছে, সেটা astronomy। জ্যোর্তিবিদ্যাতে গণিত অপরিহার্য্য। সেই গণিতে ভারত ছিল অগ্রগণ্য। বৈদিক গণিত আছে বলে আজকাল চালানো হয়, সেটা ঠিক নয়, তার প্রমাণ দিতে আমি ওপরের পোষ্টটি দিয়েছি। যেটাকে বৈদিক গণিত বলে চালানো হয়, তাতে ঋণাত্মক সংখ্যা নেই। একই ভাবে বৈদিক জ্যোতিষ বলে কোনো শাস্ত্র নেই। সবটাই প্রচার।

    যে লেখাটা আপনি তুলে ধরেছেন, সেই লেখার ওপর সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এই রকম প্রমাণ আমি পাই নি।
    বহু পণ্ডিতদের কাছ থেকে যে টুকু আমি পেয়েছি, সেটাই ভৌমদোষ হিসেবে তুলে ধরেছি এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রেও তার প্রমাণ পেয়েছি।
    যাই হোক, আমি নিজে অন্য বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। তাই সমভাবে আর লিখে আপনাদের আর বিরক্ত করবো না।
    সব্বাইকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং নমস্কার।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৪৬511936
  • ১৯৯১ সালে, যখন প্রথম ক্যালকুলাস শিখতে শুরু করি, তখন ক্যালকুলাসের ইতিহাসের উপরে লেখা একটি বই আমার মা আমাকে এনে দিয়েছিলেন। কার লেখা মনে নেই, কিন্তু বইটি আদ্যোপান্ত বাংলায় লেখা ছিল। তাতে ক্যালকুলাসের উৎপত্তি যে ভারতে, ভাস্করাচার্য্যই যে প্রথম কোনো বস্তুর ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে ক্যালকুলাসের কনসেপ্ট আবিষ্কার করেন, তা লেখা ছিল। ভাস্করাচার্য্যের বই থেকে উদাহরণ তুলে ব্যাখ্যা করা ছিল কি ভাবে উনি ডিফারেন্সিয়েশনের তঙ্কÄ তৈরী করেন। বইটির পিছনে যে রেফারেন্স দেওয়া ছিল তাতে বেশ কিছু ইংরিজি বইএর নাম ছিল মনে আছে। খুব সহজ ভাষায় সুন্দর করে বইটা লেখা ছিল।

    পথিক গুহ এই কভারেজ দেবার আগে ক্যালকুলাসে ভাস্করাচার্য্যের অবদান কিম্বা ভারতে শূন্যের আবিষ্কার এগুলো খুব অজানা তথ্য ছিল বলে মনে হয় না।

    কিন্তু এসবের সঙ্গে জ্যোতিষের কি সম্পর্ক?
  • siki | 122.177.158.47 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৪৮511937
  • আমিও এখনও বুঝে উঠতে পারলাম না। ভাগ্য এবং ভবিষ্যৎ কোথা দিয়ে আসিতেছে।
  • PM | 86.98.43.63 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৫৪511938
  • যাচ্চলে, শেষ হয়ে গেলো নাকি? এটা তো " Mathematics & Astronomy in ancient India"-র সামারি হোলো। খুব informative , কিন্তু জ্যোতিষ কোথায়?!!!!
  • dd | 122.167.12.86 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:০১511939
  • চার ভল্যুম বেদের কাছে আমি আপাতত: নেই তাই রেফারেন্স দিয়ে কোট করতে পারছি না।

    ঋগ্বেদে যেনো একবার জ্যোতিষের সম্বন্ধে একটা উক্তি পেয়েছিলাম। জ্যোতিষই, অ্যাস্ট্রোনমি নয়। পরের সপ্তাহান্তে জানাতে পারবো।

    আর শুধু দক্ষিন/উত্তর ভারতীয় ই তো নয়। সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে আছে অজস্র লৌকিক জ্যোতিষ। ভারতেও অজস্র জ্যোতিষ আছে যাদের গ্রহসংস্থান,ছক, গননা - সবই আলাদা। নাদ/ভৃগু/সামুদ্রিক/জগন্নাথ/রাবণ/হোরা .... ইত্যকার কতো যে আছে।

    কোথাও তো একটা যুক্তির পরম্পরা থাকবে যার ফলে বলা যাবে এতো রকমের ভুল বেসিস(যথা জিও সেϾট্রক পৃথিবী)ও সম্পুর্ন আলাদা রাশি/লগ্ন/নক্ষত্র, অসংখ্য ভুলে ভরা পঞ্জিকা, ভিন্ন গননা পদ্ধতি - এ সব স্বত্তেও ফলাফল মিলবার একটা প্রসেস আছে।
  • rimi | 168.26.205.19 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৫511940
  • আমার কিছু প্রশ্ন আছে:
    ধরে নিচ্ছি যে জ্যোতিষ শাস্ত্র পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরী একটি ফলিত বিজ্ঞান। কি ভাবে জানা গেছে যে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান মানুষের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে? অভিজ্ঞতা দিয়ে। কেননা দেখা গেছে অমুকের জন্মের সময়ে বুধ মঙ্গল ও শনির অবস্থান তমুক ছিল। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা গেছে যে এই বুধ মঙ্গল ও শনির এই বিশেষ অবস্থানটি যে যে জাতকের জন্মসময়ে ছিল, তাদের সকলেরই বিবাহক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটেছে। অতএব কনক্লুশন ড্র করা যায় যে বুধ মঙ্গল ও শনির এই বিশেষ অবস্থান যে যে জাতকের জন্মলগ্নে থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিবাহ ক্ষেত্রে বিঘ্ন থাকবে।

    রামকৃষ্ণবাবু, ফলিত জ্যোতিষের এটাই ভিত্তি তো? এরপরে জ্যোতিষীদের কাজ হল, অংক কষে শুধু ভবিষ্যতে কোন সময়ে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান কিরকম তা বের করে ফেলা। ব্যস, বাকিটা বই দেখে বের করা যে ঐ অবস্থান ভাগ্যের উপরে কি প্রভাব ফেলে (এই ডেটা এসেছে পুরোনো স্টাডি থেকে)। রামকৃষ্ণবাবু, ঠিক বুঝেছি কি?
  • Bratin | 117.194.104.243 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২৭511941
  • আচ্ছা জ্যোতিষ নিয়ে রিমি এত খেপে গেল কেন? কোন টই তে ওকে এত অ্যাকটিভ দেখি না? :-))
  • tatin | 117.194.194.83 | ১২ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৯511944
  • অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা গেছে যে এই পৃথিবী পৃষ্ঠের কিঞ্চিৎ উপর অবস্থিত প্রতিটি আপেল কে পৃথিবী আপেলের ভর *.৮১ মি/সেক বর্গ হারে আকর্ষণ করেছিল, তাদের সকলেরই সেই হারে ভূপৃষ্ঠে পতন ঘটছে। অতএব কনক্লুশন ড্র করা যায় যে ভূপৃষ্ঠের উপর এই বিশেষ অবস্থান যে যে ফলাদির থাকবে তাদের প্রত্যেকের পতনের ক্ষেত্রে সমহারে ত্বরণ হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন