এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হাতে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি - পার্ট টু

    siki
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ২৯৩৭৬ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫৯512011
  • রামকৃষ্ণ বাবু, আমাদের গুরু তে কিছু জনতা আছে যারা নিজে দের সবজান্তা ভাবে। তা ভাবুক । তাতে আপতি নেই। কিন্তু এরা মাঝে মাঝে ই এমন কমেন্ট করে যাতে যে কোন সহানুভূতি সম্পন্ন মানুষ আহত হতে পারে। জাস্ট ইগনোর দেম।

    আমরা অনেকে আপনার লেখা পড়ছি। শিখছি। কিন্তু কোথাও কোথও প্রশ্ন ও করবো সেটা শুধু জানার ইচ্ছে থেকে। আশা করি বোঝাতে পারলাম
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.132.14 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৫৩512012
  • ভূমিকা
    বিজ্ঞানের সত্যতা, প্রমান্য, শক্তি, ব্যাপ্তি আজ সর্বজনস্বীকৃত। বিজ্ঞান কখনৈ প্রকাশ করে না যে সবকিছু জানা সম্ভব হয়ে গেছে বরং বিজ্ঞান সর্বদাই অস্পষ্টতা থেকে স্পষ্টতায় যেতে চায়। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই বিজ্ঞান তার সত্য উপলব্ধির ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করে। জ্যোতিষবিদ্যাকে বড় বড় বিজ্ঞানী ও বহু প্রাজ্ঞ সচেতন মানুষ একে ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তকর বলে অভিহিত করেছেন। এটি এখন অনেক লোকের কাছেই ভূয়ো বিজ্ঞান বলে পরিচিত। তাতে জ্যোতিষীদের ( ভূয়ো + আসল) দাপট এক চুলও কমেনি। সুতরাং এটা বোঝা এবং ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন - কেন সুপ্রাচীন কাল থেকে বর্তমান পৃথিবীতেও কেন এর এত প্রচলন? শুধুই কি কুসংস্কার?
    আসুন দেখা যাক!
    প্রাচীনকালে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই মানুষ তার কৃষিকর্ম, নৌ-চালনা, জোয়ার ভাঁটা, ঋতু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ- জানার তাগিদে পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছে।অকারণ, তাদের মনে তখন সূত্রের ধারণাটা এসেছে পাণিণির ভাষা সূত্র থেকে ( বৈয়াকরণিক)। বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এই পৃথিবী একটা সূত্রের অধীন। তখন জ্যোতিষবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। কারণ তখন কোন টেলিস্কোপ ছিল না, গণিত ও অন্যান্য বিজ্ঞানের সেরকম উন্নতিও হয়নি বলে ধারণা করা হয়।
    কিন্তু, সেটা ভুল। ভূ মধ্য রেখা সম্বন্ধে বরাহমিহিরের আনুমানিক (৫০৫ - ৫৮৭ খ্রীষ্টাব্দ ) “সূর্যসিন্ধান্ত” তে লেখা আছে:-(এই অংশটি পঞ্চসিদ্ধান্তিকার একটি পর্ব।অপঞ্চসিদ্ধান্তিকা: ৫৫০ খ্রীস্টাব্দে(দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকাল) রচিত । পাঁচটি খণ্ড নিয়ে গঠিত এই বইটিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের সংক্ষিপ্তসার বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। পাঁচটি খণ্ড হচ্ছ: সূর্যসিদ্ধান্ত, রোমকসিদ্ধান্ত, পৌলিশসিদ্ধান্ত, পৈতামহসিদ্ধান্ত এবং বাশিষ্ঠসিদ্ধান্ত।)
    মধ্য-রেখামাহ
    যল্লঙ্কোজ্জয়িনী- পুরোপরি- কুরুক্ষেত্রাদি দেশান স্পৃশ্‌ৎ।
    সূত্রং মেরুগতং বুধৈনির্গদিতা সা মধ্যরেখা ভূব:।অ। ৪৮।
    রাক্ষসালয় –দেবৌক:শৈলয়োর্মধ্য-সূত্রগা:।
    রোহীতকমবন্তী চ যথা সন্নিহিতং সর:।অ। ৪৯।
    অস্যার্থ:- দক্ষিণে রাক্ষসালয় লঙ্কা ( বর্তমান শ্রী লঙ্কা) এবং উত্তরে দেবালয় সুমেরু ( হিমালয়?) পর্বতের সমসূত্র পাতে যে রেখা কল্পিত হইয়া থাকে তাহার নাম “ মধ্যরেখা”। ঐ রেখার সন্নিহিত প্রদেশে উজ্জয়নী, রোহীতক নগর এবং কুরুক্ষেত্র দেশ প্রভৃতি অবস্থিত আছে।
    ( আমার সংযোজন:-আমরা এখন জানি-ভূমধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর সকল স্থানের দ্রাঘিমা বা দূরত্ব নির্ণীত হয়।) সূর্য যখন বিষুব রেখার মধ্যগত হন, তখন ঐ মধ্যরেখার ওপর ছায়ামাত্র পতিত হয় না, এজন্য উহাকে নিরক্ষবৃত্ত কহে। ৪৮ ও ৪৯ নং শ্লোকের এটাই অর্থ।
    প্রশ্ন এখন ওঠে, এই সত্যিগুলো, অনুমান, গবেষণা লব্ধ না দৃকসিদ্ধ ( এটা হলে সমস্ত পৃথিবী ঘুরতে হত)
    প্রথমে অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে, তবুও পাণিণির কথা আমায় বলতেই হবে। না হলে, এই ভূমিকা তরল হয়ে যাবে।
    আমরা কোলকাতার বিড়লা তারামণ্ডলে গেলে, পাণিনির একটি আবক্ষ মূর্ত্তি দেখতে পাব। তা এই পাণিনি ভদ্রলোকটি কে? কি বা তাঁর পরিচয়? আমাদের এই পোড়া দেশটার একটা দুর্ভাগ্য আছে। গ্রীকদের হেরোডেটাস ছিল, কিন্তু কলহন ছাড়া কেউ আর আমাদের প্রাচীন ইতিহাস লেখেন নি বা লিখলেও তা আর নানা কারণে পাওয়া যায় না। তাই কলহনের আগে জানতে হলে, আমাদের বিভিন্ন বিদেশী পর্য্যটকদের লেখা বিবরণ, জনশ্রুতি, উপকথার ওপর নির্ভর করতে হয়।
    এই সবের ওপর ভিত্তি করে, বলা যায় যে, পাণিনি খ্রীষ্টপূর্ব্ব ৯ম থেকে খ্রীষ্টপূর্ব্ব ৪র্থ শতাব্দীর মধ্যে কোন এক সময় জীবিত ছিলেন। তবে গবেষকরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, পাণিনির জীবনকাল খ্রীষ্টপূর্ব্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষে বা খ্রীষ্টপূর্ব্ব ৭ম শতাব্দীর প্রথম দিকে ছিল। পাণিনির জন্মস্থান নিয়েও একই রকম বিভ্রান্তি থাকলেও গবেষকরা মোটামুটি ভাবে একমত যে তিনি, গান্ধার প্রদেশের (বর্তমান- পাকিস্তান) শালাতুর (বর্তমান- লাহোর) গ্রামে জন্মেছিলেন।
    পাণিনির জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে মগধের রাজধানী পাটলীপুত্রে। তাই কিছু পণ্ডিতের মতে পাণিনির পূর্বপুরুষেরা শালাতুর গ্রামের হলেও পাণিনির জন্ম হয়েছিল, পাটলীপুত্রে।
    পাণিনি ছিলেন একজন শিষ্ট। শিষ্টেরা ছিলেন এক ধরণের ব্রাহ্মণ। শাস্ত্রের ওপর ছিল তাঁদের অসামান্য অধিকার।
    পার্থিব সুখ, স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়ে তাঁরা একটি বিশেষ অঞ্চলে বসবাস করতেন(গবেষণা? ) । বাস স্থানের উত্তরে ছিল হিমালয়, দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বতমালা, পূর্বে বঙ্গভূমি এবং পশ্চিমে আরাবল্লী পাহাড়ের রেখা।
    পাণিনি ছিলেন, পণি নামে এক ঋষির সন্তান। এবার পণি বা পাণিন একটি গোত্র নাম। সংস্কৃত সাহিত্যে পণি নামে একটি গোষ্ঠীর নাম পাওয়া যায়।
    পণি, ফিনিকিয়, পিউনিক এবং ফিনিসীয় গোষ্ঠীর লোকেরা একসময় ভারত মহাসাগরের উপকূলে বসবাস করতেন।
    পাণিনির বাবা ছিলেন ফিনিকিয় পণি গোষ্ঠীর মানুষ। তাঁর নাম ছিল, শলঙ্ক। তাই পাণিনির আর এক নাম ছিল শালাঙ্কি। পাণিনির মা ছিলেন ডেসিয়ান। দক্ষ জাতির মহিলা। তাই তাঁর নাম দাক্ষি। তিনি রূপে গুণে অতুলনীয়া ছিলেন। পাণিনির আর এক নাম তাই দাক্ষিপুত্র। পাণিনির ভক্ত পতঞ্জলি পাণিনি কে এই নামে বিখ্যাত করেছেন।
    পাণিনি ছিলেন অহিগলমালা শিবের উপাসক। সেইজন্য তাঁকে আহিক বলা হয়েছে।
    অতএব, পাণিনির পুরো নাম হলো:-
    আহিক দাক্ষিপুত্র শালাঙ্কি শালাতুরীয় পাণিন পাণিনি।
    এই নামের মধ্যে পাণিনির ইষ্ট,মাতা,পিতা, জন্মস্থান, গোত্র সবকিছুর পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।
    এবার আসা যাক, তাঁর ব্যাকরণ সম্বন্ধে।অপাণিনির আগে কি ব্যাকরণ ছিল না? ছিল। বেদের যে ষড়ঙ্গ অর্থাৎ ৬ টি অঙ্গ (শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, ছন্দ, নিরুক্ত ও জ্যোতিষ) তার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাকরণ।
    বেদ মন্ত্রের প্রকৃত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে হলে, ভাষাতঙ্কÄ, (Linguistics), উচ্চারণ বিধি বা (Phonetics ) এবং ব্যাকরণ শাস্ত্র(Grammar) এই তিনটি বিষয় ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    পাণিনির আগে মোট ৮ টি ব্যাকরণের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেগুলি হলো:- ঐন্দ্রং, চান্দ্রং, কাশকৃৎস্নং, কৌমারং,সারস্বতং , আপিশলং, শাকলং এবং শাকটায়নং। এর মধ্যে শাকটায়নং ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ।
    পাণিনি এইসব ব্যাকরণ ভালভাবেই পড়েছিলেন এবং এইসব ব্যাকরণ থেকে অনেক কিছু নিয়েছেন। তিনি এইসব ব্যাকরণের ভুল ধারণা গুলিকে বাদ দিয়েছেন এবং শেষ পর্য্যন্ত সবাইকে অতিক্রম করে গেছেন।
    পাণিনি তাঁর ব্যাকরণে বৈদিক ভাষা (ছান্দস) এবং আঞ্চলিক ভাষা ( লৌকিক) এই ২টি ভাষাকে গ্রহণ করেছেন। এই ব্যাপারটি পৃথিবীর কোন ব্যাকরণে আগেও ঘটেনি এবং পরেও না।
    এখানে বলে রাখা ভাল, রামায়ণে যখন সুগ্রীব ছদ্মবেশে হনুমানকে পাঠিয়েছিলেন রামচন্দ্রের পরিচয় জানতে, তখন হনুমানের কথা শুনে, রামচন্দ্র লক্ষণকে বলছেন যে হনুমান পরিশীলিত ও ব্যাকরণ সম্মত কথা বলছেন। রামচন্দ্র এও বলছেন যে হনুমান ব্যাকরণ বেশ ভালভাবে আয়ত্ত করেছেন।
    সুতরাং প্রাচীন যুগে যে ব্যাকরণের চর্চা ছিল, এব্যাপারে কোন বিতর্ক উঠতে পারে না।
    এখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, পাণিনি কি এমন করেছিলেন? এবার আসা যাক সেই প্রসঙ্গে।
    পাশ্চাত্যের প্রাচীন ভাষা হল, প্রধানত গ্রীক ও ল্যাটিন। ভারতবর্ষের প্রাচীন ভাষা হল সংস্কৃত। আমাদের দেশে, প্রধান ভাষা হল ১৫ টি। এই ১৫ টি প্রধান ভাষার উৎপত্তি কিন্তু সংস্কৃত।
    সংস্কৃত সাহিত্যের যে ভাণ্ডার, তা অকল্পনীয়। এই সংস্কৃত সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ হলো ঋগ্বেদ।
    বেদোত্তোর যুগে পাণিনি তাঁর সমসাময়িক বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
    বলা হয় পাণিনি হিমালয়ে গিয়ে ১৮ দিন ধরে শিবের তপস্যা করে শিবকে সন্তুষ্ট করেন। নৃত্যের ভঙ্গীতে শিব ১৪ বার ঢক্কা বা ঢাক বাজান।অপ্রতিবার ঢাক বাজানোর সাথে এক একটি নতুন শব্দের সৃস্টি হলো। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, নটরাজ মূর্ত্তি শিবের আর একটি প্রতিরূপ। নটরাজ মূর্ত্তি পৃথিবীর ছন্দ এবং তালের রূপক।অঢাকের শব্দ ছন্দ এবং তালের সমার্থক।
    এখানে মনে হতে পারে, তালবাদ্য থেকে কি বর্ণের সৃষ্টি হওয়া কি সম্ভব? বলে রাখা ভাল প্রতিটি তালবাদ্যের বোল অথবা বাণী বিভিন্ন বর্ণের সাহায্যেই তৈরী হয়েছে।
    তবলার বোল :‘ধিন ধাগে তেরে কেটে’, পাখোয়াজের বোল:‘তেটে কতা গদি ঘেনে’, ঢোলের বোল:‘টাক ডুমা ডুম ডুম’ , খোলের বোল:‘ঝাগুড় ঝাগুড় ঝিনি ঝিনি ঝিনি’, ইত্যাদি সব কিছুই বিভিন্ন বর্ণের সমাহার। তালবাদ্যের বোল অথবা বাণীর মাধ্যমে সমস্ত বর্ণকে প্রকাশ করা যায়।
    এবার, নৃত্যের ভঙ্গীতে শিব ১৪ বার ঢক্কা বা ঢাক বাজানর পর এক একটি নতুন শব্দের সৃষ্টি হলো। প্রতিটি শব্দ বিভিন্ন বর্ণের সমষ্টি। শব্দগুলো হল:-
    ১) অ ই উ ণ ২) ঋ ৯ ক ৩) এ ও ঙ ৪) ঐ ঔ চ ৫) হ য র ট ৬) ল ণ ৭) ঞ ম ঙ ণ ন ম ৮) ঝ ভ ঞ ৯) ঘ ঢ ধ ষ ১০) জ ব গ ড দ শ ১১) খ র্ফ ছ ঠ থ চ ট ত ১২) ক প য ১৩) শ ষ স র ১৪) হ ল ।
    বলা হয়, শিবের উপদেশে, পাণিনি এই শব্দগুলিকে ১৪ টি সূত্র হিসেবে গ্রহণ করলেন।
    এই ১৪ টি সূত্র শিবসূত্রজাল অথবা মাহেশ্বর সূত্র । এই সূত্রগুলি পাণিনির ব্যাকরণের চাবিকাঠি। এই শিবসূত্রজালের জন্য পাণিনি বিখ্যাত, এবং তাই তিনি অন্যান্য বৈয়াকরণদের থেকে একেবারে আলাদা।
    শিবসূত্রের প্রত্যেকটির নাম সংজ্ঞা।অসেজন্য, এটির আর ১ টি নাম সংজ্ঞাসূত্র। মনে রাখার সুবিধার জন্য পাণিনি এগুলোকে আরো সংক্ষিপ্ত করলেন। নাম দিলেন:- প্রত্যাহার সূত্র। প্রত্যাহার মানে সংক্ষেপিত।
    এক বা একাধিক সূত্রের প্রথম ও শেষ বর্ণটি জোড়া দিয়ে যে শব্দটি তৈরী হয় তাকে প্রত্যাহার বলে। যেমন ‘অণ’ একটি প্রত্যাহার,যার অর্থ অইউ । অক একটি প্রত্যাহার যার অর্থ অইউঋ৯।
    আবার ‘অচ’ প্রত্যাহারটির মানে অইউঋ৯এঊইঔ। প্রকৃতপক্ষে অণ, অচ, অল, ইক, উক, জশ, হল প্রভৃতি প্রত্যাহারগুলি এক ধরণের ‘কোড’বা ‘ক্রিপ্টোগ্রাফি’(সাংকেতিক ভাষা) যার সাহায্যে পাণিনির ব্যাকরণের অনেক সূত্র তৈরী করা হয়েছে। পাণিনির ব্যাকরণে এরকম ৪৪ টি প্রত্যাহার আছে। প্রথম প্রত্যাহারটি ‘অণ’ হওয়ায় শিবসূত্রকে অণাদি(অণ-আদি) সূত্রও বলা হয়। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, ‘অচ’ প্রত্যাহার টির মধ্যে সমস্ত স্বরবর্ণ এবং ‘হল’ প্রত্যাহার টির মধ্যে সমস্ত ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ‘অল’ প্রত্যাহার টির মধ্যে সমস্ত বর্ণগুলি রয়েছে। সুতরাং ‘অল’ মানে ALL বোঝা যেতে পারে। তাহলে শিবসূত্রজালের বিভিন্ন নামগুলি হোলো:-
    শিবসূত্র
    মহেশ্বরসূত্র
    সংজ্ঞাসূত্র
    প্রত্যাহারসূত্র
    অণাদিসূত্র
    এখানে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করার আছে। চর্তুদশ সূত্রের প্রত্যেকটির শেষে হসন্তযুক্ত যে বর্ণগুলি আছে সেগুলি ‘ইৎ’ হয়। পাণিনির ব্যাকরণের ভাষায় ‘ইৎ’ মানে লোপ পাওয়া, কিন্তু বিনষ্ট হওয়া নয়। উদাহরণ:- ‘অণ’ মানে অইউ। এখানে ‘’ বর্ণটি ‘ইৎ’হয়েছে। সমস্ত প্রত্যাহারের শেষের বর্ণটি ‘ইৎ’ হবে, যা পৃথিবীর অন্য কোন ব্যাকরণেই নেই।
    শিবসূত্র জালের বর্ণমালাকে ভিত্তি করে সমকালীন বৈদিক এবং সংস্কৃত ভাষার ওপর পাণিনি তাঁর সুবিখ্যাত অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ রচনা করেন। পাণিনির ব্যাকরণে মোট ৩৯৭৮ টি সূত্র আছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখা এমন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যাকরণ সারা বিশ্বের কোনও পণ্ডিত রচনা করতে পারেন নি। পরবর্তী কালে পাণিনির ধারণা নিয়ে অন্যান্য দেশের ব্যাকরণ গুলি লেখা হয়েছে।
    অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ শুধু ব্যাকরণ নয়, এটি হলো ভাষার বিজ্ঞান। পাণিনির সংস্কৃত বেদের ভাষা থেকে সরল হলেও তা একটি জটিল ভাষা। তাই প্রবন্ধের আরম্ভেই বলেছিলাম; সংস্কৃত শিখে পাণিনি পড়তে হয়। না হলে পাণিনির সন্ধির সূত্রগুলি বুঝতে অসুবিধা হয়। প্রচুর পড়াশোনা এবং কোন ভাষ্যকারের সহায়তা ছাড়া পাণিনির সূত্রগুলি বোঝা যায় না। পাণিনি তাঁর ব্যাকরণে শব্দের উৎপত্তি, ধ্বনিতঙ্কÄ, বর্ণমালা, উচ্চারণবিধি, সন্ধির নিয়ম নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে আলোচনা করেছেন। তাঁর সমকালীন প্রতিটি শব্দের ব্যূৎপত্তি নির্ণয় করেছেন এবং ৩৯৭৮ টি সূত্র সাহায্যে অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণটি রচনা করেছেন। ব্যাকরণের প্রধান বিষয়বস্তু হলো ভাষা। তাই ভাষাতঙ্কেÄর বিশ্লেষণ নিয়ে পণ্ডিতেরা পুরুষানুক্রমিক ভাবে পাণিনির ব্যাকরণে ওপর চিন্তাভাবনা করে চলেছেন। পাণিনির সূত্রগুলি বহুদিন ধরে ব্যাকরণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।অবিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ বলেছেন পৃথিবীর সমস্ত ভাষার উৎস হলো পাণিনির অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ। পাণিনির সময় থেকে ভাষা একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠেছে। তাঁর সময় থেকেই এই ভাষার নাম হয়েছে সংস্কৃত (মার্জিত) যা প্রাকৃত (অমার্জিত) থেকে আলাদা।অপ্রাকৃত ভাষা প্রাকৃতিকভাবেই অর্থাৎ নিজের থেকেই গড়ে উঠেছিল।
    এবার পতঞ্জলির কথায় আসা যাক। পতঞ্জলির কথা না বললে পাণিনির অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।অপতঞ্জলি ছিলেন খ্রীস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর লোক এবং ভোজপুর নিবাসী ব্রাহ্মণ। পতঞ্জলি ছিলেন পাণিনির একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি পাণিনিকে আচার্য্য, ভগবান, মহর্ষি এইসব নামে সম্বোধন করেছেন। পাণিনির ব্যাকরণের ৩৯৭৮ টি সূত্রর মধ্যে পতঞ্জলি মাত্র ১৭২০ টি সূত্র বেছে নিয়েছিলেন, যে গুলো সমালোচিত হয়েছিল। কে প্রধানত: সমালোচনা করেছিলেন? ইনি হলেন বার্ত্তিককার কাত্যায়ন। পাণিনির উত্তরসূরিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হলেন এই কাত্যায়ন। তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম হলো বার্ত্তিক। তাই তিনি বার্ত্তিককার কাত্যায়ন নামে পরিচিত। তাঁর জীবনকাল সম্বন্ধে সঠিকভাবে কিছু জানা যায় না। কিন্তু তিনি যে পাণিনির চেয়ে ন্যূনতম ১ শতাব্দী পরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। তার কারণ বার্ত্তিককার কাত্যায়ন তাঁর গ্রন্থে বেশ কিছু ভাষা ব্যবহার করেছেন যেগুলি পাণিনির সময়ে প্রচলিত ছিল না। বার্ত্তিককার কাত্যায়ন ব্যাকরণের অন্য এক শিক্ষাধারায় গড়ে উঠেছিলেন যার নাম কাতন্ত্র বা কলাপ ব্যাকরণ। বলা হয়, দেবসেনাপতি কুমার কার্ত্তিক এর স্রষ্টা। কাত্যায়ন, পাণিনির অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণের কিছু সূত্রের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি কিছু সূত্রের পরিবর্তন, কিছু সূত্রের পরিবর্ধন এবং কিছু সূত্রকে পরিত্যাগ করেন।অতাছাড়া তিনি তাঁর সময়ে প্রচলিত কিছু নতুন শব্দগুলির জন্য অতিরিক্ত কিছু সূত্র গঠন করেন।
    এবার যাঁরা পাণিনিকে অনুসরণ করতেন তাঁদের মনে হলো কাত্যায়ন, পাণিনির ওপর সুবিচার করেন নি, উপরন্তু তাঁকে বিকৃত করেছেন।আনেকেই চেস্টা করেছিলেন এই বিকৃতি থেকে পাণিনিকে বাঁচাবার, কিন্তু সফল হন নি। প্রথম যিনি সফল হয়েছিলেন, তিনি পতঞ্জলি। তাই পতঞ্জলি এখানে প্রাসঙ্গিক। পতঞ্জলি যে ৪ টি বই লেখেন, সেগুলো হলো ১) যোগদর্শন(এটি ভারতীয় ষড়দর্শনের অন্যতম; সাংখ্য, বেদান্ত, যোগ, বৈশষিক, ন্যায় এবং মীমাংসা)।২) মহাভাষ্য, এগুলি তিনি লিখেছিলেন চিত্তশুদ্ধির জন্য।৩) আয়ুর্বেদ, দেহশুদ্ধির জন্য।৪) ব্যাকরণ, বাক শুদ্ধির জন্য।(এই ৪ পতঞ্জলি ১ ই ব্যক্তি কিনা; তাই নিয়ে মতভেদ আছে, তবে সেটা প্রসঙ্গান্তরে আলোচনা করা যাবে সময় এবং সুবিধা মত।)
    পতঞ্জলির মহাভাষ্য প্রন্থটি গ্রীক পণ্ডিত প্লেটোর মত সংলাপের ভঙ্গিতে লেখা। তাঁর গ্রন্থে পাণিনির কিছু সূত্রকে বিকল্পভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর বর্ণনা দেখলে মনে হয় পাণিনির বিরুদ্ধবাদীদের নিরস্ত করার জন্যই তিনি এই কাজ করেছিলেন।
    পাণিনির সমালোচনা করে বার্ত্তিককার কাত্যায়ন যা লিখেছিলেন এবং কাত্যায়নকে সমালোচনা করে পতঞ্জলি যা লিখেছিলেন সবগুলৈ শেষ পর্য্যন্ত পাণিনির অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণেরই অঙ্গ হয়ে উঠল। সেই জন্য পাণিনির অস্টাধ্যায়ী ব্যাকরণকে ত্রিমুনি ব্যাকরণ বলা হয়। এই ৩ জনের সম্মিলিত অবদানের জন্য সাধারণভাবে এই ব্যাকরণকে পাণিনি ব্যাকরণ, পাণিনি তন্ত্র বা পাণিনিনয় নামে বলা হয়ে থাকে।
    পাণিনির এই বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জন্য শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়েছে:- “AHIKDAKHSHIPUTRASALANKISALATURIYAPANINPANINIwasnotonlythebestgrammarianofVedicandSanskritlanguage, butalsoaSacrificer, Priest, Logician, Philosopher, Mathematician, Astronomer, Poetandpolitician.HewastheprecursorofthemostintelligentandpowerfulcomputingsystemandtheprobabilityforPhysicsoftheCosmos.Inthatwayhis‘PANINIMACHINE’isthemostpowerfulmodelofrecentComputers.”

    (চলবে)
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.132.14 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩০512013
  • তাই সূত্র যে একটা আছে, যে কোনো বিষয়েই, সেটা আর্যভট্ট, ভাস্কর, বরাহমিহির, শঙ্কু, অমর সিংহরা গণণা করেছেন পুরাতনকালে। সেইসব গণণাকে ভ্রান্ত ধারণা বলে উড়িয়ে দিয়ে, আজকের যুগে অচল এমনকি হাস্যকর বলা হলেও সভ্যতা ও বিজ্ঞানের উন্নতিতে এদেরও যথেষ্ট অবদান ছিল। আয়ালেকজাণ্ডারের ভারত আক্রমণের সময়ে ভারতে নিরন্তর গবেষণা চলছে। সৌভাগ্য, আয়ালেকজাণ্ডারের সঙ্গে কিছু গ্রীক পণ্ডিতও এসেছিলেন। গ্রীসে “এপিকুরিয়ান” নামে একদল পন্ডিত ছিলেন যাঁরা জোতিষ শাস্ত্র মানতেন না। তারা বলতেন আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের গতি প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘটে। কিন্তু, অপর দল যারা এখানে এসেছিল,তাদের একটা বদ্ধ ধারণা ছিল আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের গতি প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটলেও, মানুষের জীবনে তার প্রভাব আছে ।
    প্রমাণ নেই তাদের কাছে। প্রমাণের জন্য দরকার কিছু সূত্র, যে সূত্রে আছে
    আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের গতির নিয়ম। মেগাস্থিনিস(৩৫০ খ্রীস্টপূর্ব-২৯০ খ্রীস্টপূর্ব) আলেকজান্ডারের সেনাপতি ও বন্ধু সেলুকাসের রাজত্বকালে গ্রীক দূত হিসাবে ভারতে এসেছিলেন। তিনি লেখেন- সমস্ত ভারতে তখন তোলপাড় , গ্রীকদের এই নিয়মে।
    ( চলবে)

  • PM | 86.98.43.63 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৩০512014
  • কি কান্ড, আপনি কি থিসিস-টা গুরু-তেই লিখবেন ঠিক করলেন? :)

    আমি যতদিন গুরু পড়ছি, সেই সময়কালে এটা সবচেয়ে ব্যপ্তি সম্পন্ন আর সবচেয়ে informative লেখাগুলোর একটা।

    লেখার conclusion যাই হোক না কেনো, আমি একমত হই বা না হই , কিচ্ছু এসে যায় না। আপনার লেখাটা যে কোনো অবস্থাতেই গুরুত্বপুর্ন থাকবে।

    আমাদের পাড়ায় লেখার জন্য ধন্যবাদ।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:২৬512015
  • কার্ল সাগান : অ্যাস্ট্রোলজির উপরে

  • Sibu | 74.125.59.177 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:৩৬512016
  • শিকাগো ইউনি পানিনি সম্বন্ধে যে কথাটা বলেছে তার উৎসনির্দেশ পাওয়া যাবে?
  • ridhhi | 24.153.164.97 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:০৩512018
  • রামকৃষ্‌ন বাবু, একটা অনুরোধ আছে। চেমবারে যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা গুলো পান , সেগুলো ও একটু শেয়ার করুন , অবশ্যই লেখার ফ্লো-র ব্যঘাত না ঘটিয়ে।
    ডাক্তার আর উকিল হলে লোকের গল্প খুব শোনা যায়, ভাল মাগ্গা করতে পারি না বলে হয়ে ওঠা হয়নি।
    আর অন্য টই টা (দেখতে পাচ্ছি না এখন ) ই আপনার কমি থেকে জ্যোতিষী হয়ে ওঠা র ওপোরেও একটু লিখবেন। আমি অনুমান করছি আপনি পার্টির খুব কাছের লোক, এত জানেন, এগুলো শুধু জিকে মুখস্থ করে হয় না।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.134.120 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪৬512019
  • প্রথমেই বলে রাখি, আমি এই বিষয় নিয়ে লেখার একটা চেষ্টা বহুদিন আগে থেকেই করে আসছি। ২০০৩ এ অবসরের পর, এই নিয়ে একটু আধটু পড়াশোনা শুরু করেছি।
    লেখা শুরু করার জন্য অনেকেরই অনুরোধ ছিল, কিন্তু উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
    মনে হল, এই টইতেই লিখি। এটাকে ঠিক থিসিস বলা যাবে না। কারণ, সেই পরিমাণ পড়াশোনা আমার নেই। তবু, একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। তবে, এই লেখাটা বেশ বড় হবে।
    পাণিনি নিয়ে যে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্তিটি দিয়েছি, তা আপনারা EncyclopediaBritannica ( 9thedition, Vol- 21) পাবেন।
    এছাড়া, আমার ছোটো ভাই রামানুজ গত ২৫ বছর ধরে শিকাগো নিবাসী। তার কাছ থেকে একটি চটি বই পেয়েছিলাম। সেখানেও এই উক্তিটি প্রায় এরকম না হলেও, প্রায় একই রকম ছিল।
    আমার বরাবরই অভ্যেস, কিছু দরকারী তথ্য পেলে, সেটাকে একটা খাতায় টুকে রাখা। সেখানে দেখছি, কোনো কারণে সেই বইটার রেফারেন্স লিখে রাখি নি।
    আর আসল বইটা, আমার কোনো এক বন্ধু, মার্ক টোয়েনের কায়দায় নিয়ে গেছেন।অভাই ও আর বইটি ওখানে খুঁজে পাচ্ছে না।অফলে, আমি অসহায়।
    আমি, কোনো এককালে কমিউনিষ্ট পার্টির একজন সামান্য কাঠবেড়ালী ছিলাম। সেটা যে কোনো বাঙালীর অনেক জন্মগত অভ্যাসের মধ্যে একটি। আমি পরে ভেবে দেখেছি, তখন, মেয়েদের মধ্যে একটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী মনোভাব ছিল। তাই মেয়েদের ইম্প্রেস করার জন্যও আমি পার্টি করতাম।
    তাই, এতে প্রমাণ হয় না, আমি পার্টির কাছের লোক।
    তবে, হ্যাঁ!
    আমি মার্কসবাদী। কোনো নির্দ্দিষ্ট দলের নই।
    একজন বলেছিলেন ( মনে হয়, মানবেন্দ্র রায়):- Therearemorecommunistsoutsidethecommunistparty। আমি, সেই দলে পড়ি।
    কিছু মনে করবেন না, মার্কসবাদী হলেই যে জ্যোতিষী বা অন্য কিছু হওয়া যায় না, এই তঙ্কেÄ আমি অবিশ্বাসী। এটাও এক ধরণের মৌলবাদ বলে আমার বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসকে আমি প্রাণপণে বিশ্বাস করি।
    ভারতবর্ষের যে অপার জ্ঞান সমুদ্র ছিল, সে ব্যাপারে আমি নি:সন্দেহ। শুধু, রক্ষণাবেক্ষণ, বাইরের আক্রমণ, গুরুকুল পরম্পরা রক্ষা করার তাগিদ, কুসংস্কার, ব্রাহ্মণ্য সম্প্রদায়ের অত্যাচার, পশ্চিমীদের বিরুপ প্রচার( তারা এটা করতো হীনমন্যতার জন্য) প্রভৃতির জন্য, এই পরম্পরা হারিয়ে যেতে বসেছে।
    বেশ কিছু বই আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে পেয়েছি। তার মধ্যে, ১৮৫০ থেকে- ১৯৫১ পর্যন্ত বই রয়েছে।
    এমনকি, হ্যালহেডের প্রথম বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের একটা ফোটোকপি পেয়েছি। উৎসটা না হয়, উহ্যই থাক।
    প্রসঙ্গত বলে রাখি, এই লেখাতে অনেকের মনে হবে, আমি outoffocus মাঝে মাঝে হয়ে যাচ্ছি। সেটা কিন্তু নয়।
    আমি, লেখার চেষ্টা করবো, ভারতের এই পরম্পরা থেকে কি ভাবে জ্যোতিষের উদ্ভব হয়েছে। পারবো কি পারবো না, সেটা সময় বলবে।
    আর , এটা লিখিত হিসেবে টই তে থাক। বিশ্বাস বা অবিশ্বাস যার যার, তার তার ব্যাপার।
    পশুদের মধ্যে, বিয়ের প্রচলন নেই। থাকলে হয়তো, সেখানে মাঙ্গলিক ইত্যাদির ব্যাপার আসতো।
    আপনারা ধৈর্য্য ধরে, এই অধমের লেখা পড়ছেন, সেটাই আমার কাছে “ নোবেল পুরস্কারের” সমতুল্য।
    চেস্বারের অভিজ্ঞতা না লিখলে, এই লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
    অলমতি!
  • Update | 123.242.248.130 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫৩512021
  • Name:TMail:Country:

    IPAddress:14.139.128.11Date:15Dec2011 -- 11:00AM

    জ্যোতিষের উদ্ভব কিভাবে ইত্যাদি বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু ঘনাদা, যেটা বুঝছি না, সেটা হল মানুষের জীবনে গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে এই ধারণার ভিত্তি কি? গ্রীকরা বার করলেও তার পিছনে লজিকটা কি? পাণিনি ব্যাকরণ সংক্রান্ত প্রচুর কাজ করেছেন, গ্রহ নক্ষত্রের গতিনিয়ম ইত্যাদি নিয়ে চর্চা করেছেন বোঝা যাচ্ছে, সুতরাং এই লজিক্যাল লোকটি নিশ্চয়ই গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব ইত্যাদি সম্পর্কে কোন লজিক্যাল কনক্লুশনে পৌঁছেছিলেন। সেইটি এবং তার ভিত্তি জানার জন্য ঔৎসুক্য বোধ করছি। মনে হচ্ছে এগুলো পরবর্তী লেখাতে পরিষ্কার হবে।

    আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় জ্যোতিষ ব্যাপারটা পুরোটাই একটা লুকপ টেবিল।

    Name:RamkrishnaBhattacharyaMail:[email protected]Country:

    IPAddress:223.223.135.97Date:15Dec2011 -- 11:12AM

    দেখুন ভাই T
    আপনি যখন আমার ডাকনামটি জানেন, তখন নিশ্চয়ই আমাকে কোনো না কোনো কারণে চেনেন।
    এবারে, আমি আগেই বলেছি- একটা লজিকাল কনক্লুশান হয়েছিল।
    আর সেটাই লেখার চেষ্টা করছি।
    সফল হবো কি হবো না, সেটা বড় দূরে।
    এই লেখার মাধ্যমে আমি কিন্তু, কাউকেই জ্যোতিষে বিশ্বাস করতে বলছি না।
    আবার বলি, আমি শুধু বলছি ভারতের অপার জ্ঞান সমুদ্রের কথা।

    Name:TMail:Country:

    IPAddress:14.139.128.11Date:15Dec2011 -- 11:42AM

    ঘনাদা আপনিও চেনেন আমায়। খালি এখানে অন্যরূপে বিরাজ করছি। যাইহোক অবশ্যই লিখুন, পড়ার জন্য মুখিয়ে আছি। ইতিহাস পড়তে আমার হেব্বি লাগে।

    Name:SCMail:Country:

    IPAddress:75.145.34.170Date:15Dec2011 -- 11:53AM

    এসে গেছে, এসে গেছে!! এখানেও মার্ক্সবাদ এসে গেছে।
    জ্যোতিষের সাথে মার্ক্সবাদের কি সম্পর্ক, এই নিয়ে ভাবছিলাম কোচ্চেন করব।
    যাহোক রামকৃষ্ণগ বাবু, আপনি লিখে যান, আমি রসিকতা করলাম।
    আমি আবার কিছু মাইন্ড করিয়েন না যেন।
    জ্যোতিষ ও মার্ক্স নিয়ে আপনাকে পরে জিগেস করব।
    এই উইনিকোডে আবার আপনার নামের বানান লিখতে পারছি না।

    Name:sikiMail:Country:

    IPAddress:123.242.248.130Date:15Dec2011 -- 12:28PM

    বাংলা বানানবিধি অনুযায়ী, এবং ইউনিকোডে মূর্ধণ্য ষ আর মূর্ধণ্য ণ জুড়ে তৈরি হয় ষ্ণ। বাংলাপ্লেনে এটা ভুলভাবে তৈরি করা হয়, ষ আর ঞ মিলিয়ে। আসলে ষ + ণ হবে।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.142.124 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩৩512022
  • বরাহমিহিরকে আধুনিক ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের(Astronomy) জনক বলা হয়। তাঁর আগে ভারতবর্ষের জ্যোতিবির্জ্ঞানের মূল গ্রন্থ ছিল বেদাঙ্গ জ্যোতিষ, যা খ্রীস্টপূর্ব ১৪শ শতকে রচিত হয়েছিল। এটি অনুসারে ৬৭টি চান্দ্র মাস নিয়ে গঠিত পাঁচ বছরে একটি যুগ হয় এবং এটিতে রাহু ও কেতু নামের দুইটি ধারণা দিয়ে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। বেদাঙ্গ জ্যোতিষ, প্রায় ১৫০০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রধান আকরগ্রন্থ (reference) ছিল। কিন্তু বরাহমিহির তাঁর সূর্যসিদ্ধান্ত নামক রচনাতে যে সূর্যকেন্দ্রিক ব্যবস্থার কথা বর্ণনা করেন, তা ছিল অনেক বেশি সঠিক। ফলে এর পর থেকে ভারতে তাঁর বর্ণিত ব্যবস্থাটিই প্রচলিত হয়ে যায়।
    পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞানে বরাহমিহিরের জ্ঞান ছিল অনুপুঙ্খ। তার মহাগ্রন্থ পঞ্চসিদ্ধান্তিকায় তিনি প্রথমে ভারতীয় স্থানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারাগুলির বর্ণনা দেন এবং শেষের দুইটি খণ্ডে পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলিতে গ্রীক ও আলেকজান্দ্রীয় ঘরানার গণনা, এমনকি টলেমীয় গাণিতিক সারণি ও ছকের পূর্ণাঙ্গ রূপ স্থান পেয়েছে।
    বরাহমিহিরের রচনাবলিতে খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতকের ভারতবর্ষের একটি বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। দুইটি বিখ্যাত গ্রন্থ বৃহজ্জাতক ও লঘুজাতক।
    বৃহ্‌ৎসংহিতা: একটি প্রসিদ্ধ জ্যোতিষ গ্রন্থ যা পদ্য আকারে লিখা। এতে তিনি জ্যোতিষী দৃষ্টিকোণ থেকে বহু পাথরের বিবরণ এবং পাক-ভারতের ভৌগলিক তথ্য সন্নিবেশিত করেন। এছাড়াও এতে সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও প্রভাব, আবহবিদ্যা, স্থাপত্য এবং পূর্তবিদ্যার নানা বিষয় প্রসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হয়েছে। এই বইয়েই তিনি ব্রজলেপ নামে একটি বস্তুর প্রস্তুতপ্রণালী ব্যাখ্যা করেছেন যা আধুনিককালের সিমেন্টের সমগোত্রীয় ছিল। সে সময় ভারতে বরাহমিহির উদ্ভাবিত এই ব্রজলেপ দিয়েই বড় বড় দালান কোঠার ইটের গাঁথুনি তৈরীতে ব্যবহৃত হতো।
    এই মনীষীর জন্ম ভারতের অবন্তিনগরে (বর্তমান উজ্জয়িনী)। গুপ্ত রাজা বিক্রমাদিত্যের(?) (দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত) সভার নবরত্নের অন্যতম হিসেবে তিনি স্বীকৃত। ভারতীয় পঞ্জিকার অন্যতম সংস্কারক ছিলেন তিনি। তিনিই বছর গণনার সময় বৈশাখকে প্রথম মাস হিসেবে ধরার প্রচলন করেন। আগে চৈত্র এবং বৈশাখকে বসন্ত ঋতুর অন্তর্গত ধরা হতো। পৃথিবীর আকার এবং আকৃতি সম্বন্ধে তার সঠিক ধারণা ছিল। তার জন্ম ৫৮৭ ধরা হলেও কারও কারও মতে তা ৫৭৮।
    বরাহমিহির ছিলেন শক জাতিভুক্ত। সেসময় আফগানিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও রাজপুতানা (বর্তমান রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ) নিয়ে গঠিত এক বিরাট এলাকা জুড়ে শকস্তান নামের এক রাজ্য অবস্থিত ছিল। শকরা ছিল মূলত পূর্ব ইরান থেকে আগত একটি গোত্র। মিহির নামটি ফার্সি "মিথ্রা" শব্দ থেকে এসেছে। প্রাচীন মথুরা রাজ্যের নামও এই ফার্সি শব্দটি থেকে এসেছে।
  • Ramkrishna Bhattacharya | 223.223.142.124 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:০০512023
  • প্রসঙ্গত বলে রাখি, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে রামায়ণ, মহাভারত সহ অনেক বই, আবার নতুন করে লেখা হয়েছিল। আর এটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে, করা হয়েছিল। কারণ ছিল ষ্পষ্ট! মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখা। না হলে শাসক- শ্রেণী শাসন করতে পারবে না যে!!!!!!
    এবারে, একটা প্রচলিত ধারণা আছে, প্রাচীন ভারতে সমুদ্র যাত্রা ছিল না।
    সেটা কিন্তু ভুল।
    অন্বেষার একটা চেষ্টা ছিল নানা কারণে। ব্যবসা তার মধ্যে একটি প্রধান কারণ।
    সমুদ্র পথে ব্যবসা করতে গিয়েই, নাবিকরা গ্রহ নক্ষত্রদের সম্বন্ধে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণণা করেছেন, যেটা পরে পণ্ডিতরা হজম করে লিখেছেন। এটাও সত্যি। নাবিকদের কথা ভুলেও উচ্চারণ করেন নি।
    অকূল দরিয়ায় নাবিকরা গ্রহ নক্ষত্রদের সম্বন্ধে ধারণাটা করেছিল, মূলত দিক ঠিক রাখার জন্য। তবে, তারা এটাও দেখল, বিশেষ বিশেষ নক্ষত্র উদয়ের সাথে, তাদের অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এটাও তারা লিপিবদ্ধ করল।

    ব্যাবিলনীয় বা মিশরীয় সভ্যতা যদি মানুষের গণিতজ্ঞানকে দুধ-দই দিয়ে থাকে, তা হলে ভারতীয় সভ্যতা দিয়েছে একেবারে ক্ষীর। শূন্য আবিষ্কার নয়, সেই ‘ক্ষীর’ হল সংখ্যা লেখার ডেসিমেল বা দশমিক পদ্ধতি।
    লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি-তে স্বর্ণপদক, মেসরার বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-তে তিরিশ বছরের শিক্ষক রাধাচরণ প্রাচীন ভারতের গণিতচর্চা নিয়ে গত ৫০ বছর ধরে গবেষণা করছেন। গত তিন দশক ধরে সম্পাদনা করছেন গণিত- ইতিহাসের জার্নাল ‘গণিত ভারতী।’ ৭৫ বছরের অধ্যাপক আজ এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “আরও অনেক সভ্যতার মানুষ শূন্যের মতো জিনিস আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু দশমিক পদ্ধতি, অর্থাৎ সংখ্যার মধ্যে কোনও চিহ্নের আসল মান যে নির্ভর করে তার স্থানের উপরে, সেটা দু’হাজার বছর আগে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল এই ভারতেই।”
    উদাহরণও দিলেন বৃদ্ধ—“৭৯ বোঝাতে আমরা এখন কত সহজে ৭ আর ৯ পর পর বসিয়ে লিখে ফেলি! ওটা তো আসলে ৭X১০+৯। সংখ্যাটির মধ্যে ৭-এর অবস্থান বলে দেয়, ওটা শুধু ৭ নয়, ৭X১০ বা ৭০। প্রাচীন মিশরীয়রা ৭৯ লিখত কী ভাবে? সাতটি ১০ চিহ্নের (উল্টানো ঘোড়ার ক্ষুরের মতো) পাশে ন’টি ১ চিহ্ন (বাংলার দাঁড়ির মতো) লিখে। তার পাশে আমাদের কৌশলটা কত সহজ ভাবুন! তা হলে বুঝতে পারবেন, এটা কত বড় লাফ। তাই বলি, গণিতচর্চাকে ভারত ক্ষীর উপহার দিয়েছে।”
    এমন একটা কৌশল কেন ভারতেই আবিষ্কৃত হল?
    “অনেক ভেবেছি।”— বলছেন রাধাচরণ, “তবে স্পষ্ট উত্তর খুঁজে পাইনি। যত দূর মনে হয়, প্রথম শতাব্দীতে ভারতে নিশ্চয়ই ব্যবসা-বাণিজ্য একটি বিরাট ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সহজে গণনার উপায় বার করার চেষ্টা চলছিল। ৭৯ লিখতে সাত বার ১০ আর ন’বার ১ লিখতে হলে দোকানদারের সময় তো ওতেই ফুরিয়ে যাবে! সে খদ্দের সামলাবে কখন?” পাশাপাশি তিনি এ-ও মনে করেন, কোনও সংস্কৃতিকে একক ভাবে অনুসন্ধান করা ঠিক নয়। সমকালে অন্য সংস্কৃতিগুলো কী অবস্থায় ছিল, তা-ও মাথায় রাখা উচিত। “আমি তাই সব সময়ে ভারতের গণিত-গবেষণাকে টাইম অ্যাণ্ড স্পেসের দৃষ্টিকোণে দেখতে চেয়েছি।”— জানিয়ে দেন রাধাচরণ। ( কৃতজ্ঞতা:- আনন্দবাজার পত্রিকা, শনিবার ২৮ অগস্ট ২০১০)
    HISTORY শব্দটার উৎপত্তি- বহু হাজার বছর আগের গ্রীক শব্দ-HISTOR থেকে। এর অর্থ:- ‘knowledgeandjudgment' । সোজা বাংলায়- জ্ঞান এবং বিচার! পরে ল্যাটিন শব্দ 'historia' এতে আরও একটি অর্থ যোগ করে যার অর্থ:-
    বর্ণণ বা Narration
    আমি আগেই বলেছি:- আমাদের দুর্ভাগ্য- গ্রীকদের মত আমাদের কোনো হেরোডোটাস ছিল না! খুব পুরোনো যে ইতিহাস আমরা পাই- তা হলো, কল্‌হনের “ রাজতরঙ্গিনী”। তাই, রামায়ণ আর মহাভারত আমাদের একটা সময়ের ইতিহাস! এই ইতিহাস আবার Rewrite করা হয়েছিল:- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে। ফলে,অনেক তথ্য ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্য বশত:, জোর্তিবিদ্যা ভাগটুকু বাদ দেওয়া হয় নি, মূলত কিছু নবরত্নের জন্য। এঁরা হলেন:- ঘটকর্পর, শঙ্কু, অমর সিংহ, বেতালভট্ট এবং অবশ্যই বরাহমিহির।
    বরাহমিহির, ধ্বন্বত্বরি বা কালিদাসের লেখা বিষয় গুলো পাওয়া যায়, কিন্তু বাকীদের আর কোনো অস্তিত্ব আর পাওয়া যায় না! ভেবে দেখেছেন কি, কেন? কারণ, এরাই ছদ্মনাম ব্যাবহার করেছিলেন, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার জন্য।
    ছদ্মনাম গুলো ছিল:- ভৃগু, পরাশর, চুন্টেশ্বরী আর জৈমনী।
    আজকাল যদি, historiography বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ইতিহাস লেখা বা পড়ানো না হয়, তবে ৭০০০ বছর পরেও আমাদের একই অবস্থা হবে!
    Hagiography বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক ইতিহাস লেখা হলে, আমাদের ভবিষ্‌য়্‌ৎ- LOADSHEDDING!
    যাই হোক, ভারতীয়রা, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী- এই প্রবাদে বিশ্বাসী ছিল। তাই সড়কপথে ব্যাবসা তো করতৈ, সেই সঙ্গে প্রাচীন ভূগোলের সাহায্য নিয়ে এটা বুঝতে পেরেছিল- সমুদ্রে যাত্রা করলে, অনেক জায়গার সন্ধান পাওয়া যাবে, আর ব্যবসাও করা যাবে।
    এটা কিন্তু, ভারতীয়রা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল। আজ এটা বুঝতে পারা যাচ্ছে, তার প্রধান কারণ হলো-
    খ্রীষ্টপূর্ব ত্রিশের দশক থেকেই, যে এই মহাযাত্রা শুরু হয়েছিল তার প্রমাণ- এশিয়া, ইউরোপের ধর্মগ্রন্থে, সাহিত্যে, পুরাণে, ভাস্কর্যে, চিত্রকলায়, প্রস্তর লিপিতে, ধাতুর মুদ্রায় এবং আরো নানারকম নমুনায় এই প্রমাণ পাওয়া গেছে।
    খুব সম্প্রতি সরস্বতী উপত্যকার সভ্যতা আবিস্কার হওয়ার পর এই বিষয়টা যে আরও পুরোনো, সেটা নিশ্চিত করা গেছে। ভারতের এই ব্যাবসার ব্যাপারটা প্রায় তিন থেকে, পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো।
    ভারত আর ইউরোপের সমুদ্রপথে ব্যাবসা- বাণিজ্যের আরও প্রচুর উদাহরণ পাওয়া গেছে।
    বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেন্টে ভারতের কয়েকটা জায়গার নাম আর বেশ কয়েকটা পণ্যের উল্লেখ আছে।
    সুদূর প্রাচ্যে, উত্তর আফ্রিকায়, পশ্চিম এশিয়ায় আর দক্ষিণ ইউরোপে পাওয়া মোহোরে আর মাটীর পাত্রের ভাঙ্গা টুকরোয়-নোঙ্গর, সাধনী (tool) যন্ত্রপাতি, রান্নার সরঞ্জামের ছবি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এখানকার উপকূলবর্তী দেশগুলিতে- যেমন সুমের, মিশর, ক্রীট, পারস্য, দক্ষিণ চিন, শ্যামদেশ ( তাইল্যাণ্ড), জাভা, সুমাত্রা প্রভৃতি দেশে। সমুদ্রপথে প্রচুর পণ্য এই সব দেশে, তখনকার সময়ে গেছিল।
    ঋগ্বেদ থেকে একটি সামুদ্রিক প্রার্থনার উদ্ধৃতি দিচ্ছি:-
    “দ্বিষো নো বিশ্বতোমুখাতি নাবেব পারয়।
    স ন: সিন্ধুমিব নাবয়তি পর্ষা স্বস্তয়ে।অ।”

    (হে পরমাত্মা, তুমি বিশ্বের সবদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখো; শত্রুকে তার জলযানে সমুদ্রের অপর পারে পৌঁছে দিগন্তের সাথে বিলীন করে দাও। আমাদের তরীকে বিশাল শান্তির সমুদ্র পার করে পুণ্য ও সমৃদ্ধির দেশে পৌঁছে দাও)
    কি বুঝলেন? তার মানে এখানেও আজকালকার ভাষায় CORPORATEWAR ছিল। ওদের যেন জাহাজ ডুবে যায়, আর আমরা নিশ্চিন্তে গিয়ে ব্যবসা করি। কত সেয়ানা!!!
    মোদ্দা কথাটা হচ্ছে, সমুদ্রপথে ভালৈ ব্যবসা হতো! আর লাভ তো ছিলৈ! আমার নিজের মনের হয়- রাবণ ভালৈ ব্যবসা করতো সমুদ্র পথে। তাতেই রামের যত রাগ!
    আরও একটি এগিয়ে,নিকট অতীতেও দেখি, ক্রুশেড যে দুশো বছর ধরে হয়েছিল, তার মূল কারণ কিন্তু ব্যবসা। আরবরা ব্যাবসা করবে ইতালী আর ইংল্যাণ্ডের বন্দর দিয়ে, আর আমরা কলা চুষবো? দে, ধর্মের নামে যুদ্ধ লাগিয়ে! তখন বুঝবি- HOWMANYPADDYGIVESHOWMANYRICE!
    রাম- রাবণের যুদ্ধ তো এই কারণেই! দে রাবণকে CHARACTERASSASINATION করে! সীতাকে লাগিয়ে দে রাবণের পেছনে! অনার্য রাবণ ব্যাটা সুন্দরী মহিলাকে দেখে ফাঁদে পড়বে আর অন্যান্য অনার্য জাতিদের বলা যাবে, দেখো তোমাদের জাতভাইয়ের কাণ্ড!!!
    অতএব এসো, আমাদের সাথে!!! আমরাই তোমাদের ত্রাতা! সেই TRADITION আজও চলছে! রাজনীতিতে ধর্ম আমদানী কর! হয়ে যা বজরং বা ফিঁদায়ে! আর আমরা আমাদের বেওসা করি!!! যুদ্ধের অস্ত্র বিক্রি করে!
    বুড়ো হয়েছি তো! অন্য কথায় চলে যাচ্ছি!! ফিরে আসি জ্যোতিষে!
    (চলবে)
  • PM | 86.96.228.84 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:২৬512024
  • বেদের শ্লোকের বামপন্থী ভাষ্য !!!!!! গুরুতেই প্রথম
  • PM | 86.96.228.84 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:১২512025
  • রাধচরনবাবুর কথা প্রসংগে আর একজনের reference দি। স্বামী বিদ্যারন্য ( বিভুতিভুষন দত্ত)। ভদ্রলোক প্রেম্‌চাঁদ রায়চাঁদ স্কলার আর DSc। কলকাতা বিশ্ববিদ্যলয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগে গনিত আর Luner and Planetory Theory র অধ্যাপক ছিলেন। History of Hindu Mathematics নমে বই লেখেন যা পরে দেশ বিদেশে খ্যাতি লাভ করে। ত্রিশ এর দশকে সন্যাস নেন। তার পরে Mathematics পত্রিকায় প্রচীন হিন্দু জ্যোতিষ নমে এক লেখা ধারাবাহিক ভাবে প্রকশিত হয়।
    ইনি দর্ষন শস্ত্রের ওপোর-ও বেশ কিছু বই লেখেন। তার মদ্যে বৌধ্য দর্শন বইটি সম্প্রতি হাতে এসেছে। খুব ভলো লেখা, সহজ ভাষায়। কিন্তু বাকী বইগুলো দেখার সুজোগ হয় নি। আপনি কি পড়েছেন? আমার পড়ার খুব আগ্রহ কিন্তু পাচ্ছি না। যাক গে, আপনি লিখুন, পরে এ বিষয়ে কথা হবে।
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.135.147 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:২৪512026
  • স্বামী বিদ্যারণ্যর ( বিভুতিভুষন দত্ত) নাম আমার শোনা। আমারই লজ্জা, যে ওনার লেখা পড়ার আমার সৌভাগ্য হয় নি। আসলে, ওনার নাম মনে ছিল না! এটা, আমার বেদনা জাগিয়ে দিল।
    আপনাকে ধন্যবাদ। যত শিগ্গীর পারি, বইগুলো কিনে পড়ব।
    অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।

  • PM | 86.96.228.84 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:৫৭512027
  • অসংখ্য টাইপো-র জন্য দু:খিত। আমার স্ক্রিন-এর ডান দিকে বাংলা আসছে না, তাই অসুবিধা হচ্ছে।

    ঘনাদা (:)) আমি লাস্টবার যখন দেশে গেছিলাম তখন কলেজ স্ট্রীট-এ খোজ করেছিলাম ওনার বই গুলোর। কিন্তু পাই নি।
  • dukhe | 117.194.234.85 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:০৫512029
  • অতি চিত্তাকর্ষক এবং তথ্যবহুল লেখা । PM যা বলেছেন ।
    চলুক, চলুক ।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:০৬512030
  • রামকৃষ্ণবাবু, পানিনির সম্পর্কে এই কোটটা এনসাইক্লোপিডিয়ার 9th এডিশন, ভল্যুম 21এর কোন আর্টিকলে আছে? আর যদি দয়া করে পেজ নাম্বারটা বলে দিতে পারেন আরো ভালো হয়। আমি পুরো লেখাটা পড়তে চাই।
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.132.191 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:০৭512032
  • @rimi
    এই লিংকটা খুঁজুন, মনে হয় পেয়ে যাবেন। আমি লাইব্রেরী থেকে টুকে এনেছিলাম। তাই সঠিক মনে পড়ছে না।
    তবে, এটা সঠিক তথ্য।
    http://www.britannica.com/EBchecked/topic/39646/Astadhyayi

  • ekak | 14.96.6.198 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১০512033
  • জ্যোতিশ খুব মোজ র জিনিস। জর মোজ নিতে পরেয় তদের জোন্ন্যে থিক অছে।

    জর মোজ কোরে পোরেয় ফ্যলে , তদের খেত্রে অবসে্‌স্‌য়া পোরিত্যজ্যো !
  • PM | 86.98.43.63 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৭512034
  • মনে হয় ঘনাদা এই বইটির কথা বলছেন-
    Studies in Indian Logic and Linguistics
    Universals
    Cloth $85.00

    ISBN: 9780226769998

    Published March 1988
    University of Chicago Press: 1427 E. 60th Street Chicago, IL 60637 USA | Voice: 773.702.7700 | Fax: 773.702.9756


    এরকম একটা কোট পাচ্ছি-

    Panini's grammar (6th century BCE or earlier) provides 4,000 rules that describe the Sanskrit of his day completely. This grammar is acknowledged to be one of the greatest intellectualachievements of all time. The great variety of language mirrors, in many ways, the complexity of nature and, therefore, success in describing a language is as impressive as a complete theory of physics. It is remarkable that Panini set out to describe the
    entire grammar in terms of a finite number of rules. Scholars
    have shown that the grammar of Panini represents a universal
    grammatical and computing system. From this perspective it
    anticipates the logical framework of modern computers. One
    may speak of a Panini machine as a model for the most
    powerful computing system.


  • PM | 86.98.43.63 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৪512035
  • বইটির কন্টেন্ট-
    Preface
    Introduction
    1. Universals, Shadowy and Substantial
    2. The Evidence from Indian Logic
    3. The Evidence from Indian Linguistics
    4. Seven Reviews
    5. Conclusions
    Bibliography

    Part I - Indian Logic
    1. Correlations between Language and Logic in Indian Thought
    Bulletin of the School of Oriental and African Studies 23 (1960): 109-22
    2. Formal Structures in Indian Logic
    Synthese: An International Quarterly for the Logical and Psychological Study of the Foundations of Science 12 (1960): 279-86
    3. Means of Formalization in Indian and Western Logic
    Proceedings of the XIIth International Congress of Philosophy, Florence 10 (1960): 221-27
    4. The Theory of Definition in Indian Logic
    Journal of the American Oriental Society 81 (1961): 122-26
    5. Contraposition in Indian Logic
    Logic, Methodology and Philosophy of Science: Proceedings of the 1960 International Congress, Stanford (1962): 634-49
    6. Negation and the Law of Contradiction in Indian Thought: A Comparative Study
    Bulletin of the School of Oriental and African Studies 25 (1962): 52-71
    7. The Concept of paksa in Indian Logic
    Journal of Indian Philosophy 2 (1973): 156-66

    Part II - Indian Linguistics
    8. Euclid and Panini
    Philosophy East and West 15 (1965): 99-116
    9. A Method of Linguistic Description: The Order of Consonants according to Panini
    Language 38 (1962): 1-10
    10. Context-Sensitive Rules in Panini
    Foundations of Language 1 (1965): 63-72
    11. Panini Tested by Fowler's Automaton
    Journal of the American Oriental Society 86 (1966): 206-9
    12. Syntactic and Semantic Relations to Panini
    With Paul Kiparsky. Foundations of Language 5 (1969): 83-117

    Part III - Reviews

  • Sushanta | 117.198.48.217 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৩512036
  • জ্যোতিষ নিয়ে লেখাটি খুব ভালো এগুচ্ছে। এটি ঠিক যে জ্যোতিষ আর জ্যোতির্বিদ্যা বহুদিন হাতে হাত ধরে ইতিহাসের পথ হেঁটেছে। তবে কিনা, আমার মতে একটি মূলগত তফাত এই দুই বিদ্যার মধ্যে, একটি যখন সার্বজনীন স্বার্থ নিয়ে কাজ করে অন্যটি তখন একেবারেই ব্যক্তিগত। আমি কিন্তু রাশিফল দেখি। ভালো বললে বেশ মন ভালো হয়ে যায়। আর খারাপ বললে? যাহ! মিথ্যে লিখেছে! ওরা কী জানে আমার ভবিষ্যত! এমনি মজা লাগে! বিশেষ করে যদি বলে , আমার এ সপ্তাহে প্রেম হবে! বা ধরুন চাকরি হবে! আজকের যুগে জ্যোতিষকে পোলাপানের খেলা বলেই নেয়া যেতে পারে। ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের কৌতুহল চিরদিনের। কিন্তু ভবিষ্যত জেনে যাওয়াটা জীবনের এগুবার পক্ষে খুব কাজের কথাও নয়, মজার কথাও নয়। তবে এর ইতিহাস না জানলে, বিজ্ঞানের বহু কথাও অজানা থেকে যাবে।, সুতরাং লেখাটা চলতে থাকুক।
  • ridhhiman | 129.116.155.244 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:২৪512037
  • মেয়েরা ইম্প্রেসড হত? তবে এখন আবার ট্রাই কর্তে পারেন - পার্টি করা। মেয়েরা দশগুন বেশী প্রতিষ্ঠান - বিরোধী হয়ে উঠছে, ওপেন সিসন।
    আপনার লেখনী খুব ভাল লাগলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি , এই মন্তব্যটা আমার ভাল লাগেনি। আমার পিসেম ও তার ভাই রা পার্টির ইন্দুর ছিলেন (আপনি তো তাও কাঠবিড়ালি) তারা কিন্ত যেটুকু করছে সৎ ভাবে করেছে। আপনার এই নিয়ে পরে কোন অনুশোচনা হয়নি? এখনকর এস এফ আই এর ছোকড়ার ক্যান্টিনে বসে চে র ছবি লাগিয়ে মেয়ে জমাছে মান যায়, কিন্তু মশাই তখন তো যাকে বলে হেডে ওফ রেভোল্লিউশান । রনজন বাবু ,কল্লোল বাবুর লেখা পড়ুন, মাগি** ঠিক আছে, কিন্তু সেকেন্ডারি, কসাল ফ্যাকটর কোনোদিনি ছিল না। আপনি খুব পন্ডিত মানুষ, কিন্তু এই যে চেমবার খুলেছেন, এটা তো আর টোডির হাসপাতাল না, একটা আদর্শ আছে তো এটার পেছনে। অন্তত একটা কিছুর প্রতি তো একটা মানুষকে সৎ থাকতে হবে,
    আপনি লিখে যান, তবে এই মন্তব্যের প্রতিবাদ না জানিয়ে পারলাম না।।
  • ridhhiman | 129.116.155.244 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:২৭512038
  • আর একটা কথা, একজন মানুষ মার্ক্সবাডি আর জ্যোতিষী একসাথে হতে পারে না। সোসালিস্ট হতে পারে, সে তো অনেক ক্রিশচান সোসালিস্টো আছে। কিন্ত মার্ক্সবাদের একটা মূল পয়েন্ট হল নাস্তিকতা। ফায়ারবাখ-বাদীও হতে পারে না। কমিউনিস্ট সোসালিস্ট হতে কোন আপত্তি নেই।
  • nk | 151.141.84.194 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:৩৯512039
  • জ্যোতির্বিদ্যা জ্যোতিষবিদ্যা গণিত ইতিহাস ভাষাতত্ব অর্থনীতি পানিনি বরাহমিহির এই সব ওয়ালা আলোচনা খুবই অভিনিবেশের সঙ্গে অনুসরণ করছি।
  • abastab | 61.95.189.252 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:০৩512040
  • রামকৃষ্ণবাবুর লেখা বেশ লাগছে। সাথে সাথে তথ্যসূত্র পেলে আরো ভাল হত।
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.141.223 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:১৯512041
  • @ঋদ্ধিমানবাবু,
    আমি কিন্তু খুব স্‌ৎ ভাবেই আমার পার্টি করার বিষয়টা লিখেছি। কোনোরকম রাখঢাক রাখিনি। তাতে, কারও অপমান হলে, করযোড়ে ক্ষমাপ্রার্থী।
    ভারতীয় এবং বাঙালী হিসেবে মার্কসবাদীদের মূল্যায়ন, মনে হয় এখনও সঠিক ভাবে হয় নি।
    যাই হোক, ঐ যে ইংরেজীতে বলে না!!!!
    Experienceismineandinterpretationisyours!
    খুব খোলা খুলি বলতে গেলে, চেম্বারটা আমার নয়, আমি একজায়গায় VisitingAstrologer. । বসার প্রথম কারণ:- কিছু টাকা পয়সা হয়, যেটা আমি আমার নিজের জন্য খরচ করি। সিগারেট কেনা, বই কেনা, কম্পিউটার সারানো ইত্যাদি। এটা আমি করি আমার ছোট ছেলের আপত্তি সত্বেও।
    দ্বিতীয় কারণ:- চলাফেরা বজায় রাখলে, শরীরটা সচল থাকে।
    তৃতীয় কারণ:- অনেক রকম ছক দেখে নিজের একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যেটা বই পড়ে কোনোদিন হবে না।
    এবার:-
    PM যে তথ্যসূত্র দিয়েছেন, সেটাই সঠিক। এটা আমি আমার সংগ্রহে সংযোজিত হলো তবে ঐ বইটার কথা আমি বলি নি। আমি আগেই বলেছি, আমার একটা নোট বই আছে, সেখানে যা যা আমার মনে হয় দরকারী, সেটা লিখে রাখি। ওগুলো লেখা ছিল, আমার নিজের সন্তুষ্টির জন্য। লিখতে যে হবে, সেটা কোনোদিনও ভাবি নি। আর আমি সেই হিসেবে লেখকও নই। তবে, এটা বুঝি, লিখতে গেলে তথ্যসূত্র দেওয়া উচিত। সেটা করি নি, তাই এটা অপরাধ, মেনে নিচ্ছি।
    তবে, ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো এই সবের তথ্যসূত্র এবং ঋণ স্বীকার করতে।
    সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.141.223 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৬512043
  • একটা কথা পরিস্কার ভাবে বলতে চাই। জ্যোতিষ নিয়ে এই লেখাটা কিন্তু লোকেদের বিশ্বাস জন্মানোর জন্য নয়। এটা বারবার বলছি।
    এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ফসল।
    যেহেতু, এই লেখাটি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংকলিত, তাই এই লেখাটার কোনো কপিরাইট নেই।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন