এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হাতে কুদর্শন জ্যোতিষ আংটি - পার্ট টু

    siki
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ | ২৯৩৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • GHANADA | 223.223.130.109 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৩৫512111
  • kd বাবু
    আমি দমদমে থাকি। আমার ই মেলে মেল করুন। আড্ডা মারার দিনক্ষণ স্থির করা যাবে।

  • GHANADA | 223.223.130.109 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৪৯512112
  • Standardparticleofphysics কিন্তু আগামী দিনে বদলাবেই। তার আভাস আপনারা পেয়ে থাকবেন- ১৩ ই ডিসেম্বর ২০১১ সালের গোয়াতে বিজ্ঞানীদের বক্তৃতায়। Higgs- Boson বা ঈশ্বর কণার আবিস্কার স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
    এই নিয়ে তন্ত্রের ব্যাখার ইচ্ছে রইল। ( জানি না পারবো কিনা)

  • Fevi | 217.162.214.78 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:৩১512113
  • প্রচুর গন্ডোগোল আছে ঘনাদা। দম্‌দমে থাকেন যখন একদিন আড্ডা হবে।
  • nk | 151.141.84.221 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:১৩512114
  • মনে হয় টাইপো আছে। Standard particle of Physics বলে তো কোনো কথা হয় না, আসলে ব্যাপারটার নাম হোলো Standard Model । এটা particle physics এর এখন পর্যন্ত জানা ছয়টা কোয়ার্ক ছয়টা লেপ্টন আর গেজ বোসনগুলো (ফোটন, গ্লুওন, ডাব্লু জেড )---এগুলোর ইন্টার-অ্যাকশনগুলো খুব ভালোভাবে ব্যখা করতে পারে। এটা যে কমপ্লিট কোনো তত্ব না, সেটা প্রথম থেকেই পদার্থবিদেরা জানেন, কারণ এই মডেল কোনো এলিমেন্টারি কণার ম্যাস থাকার কোনো কারণ দেখাতে পারে না, আর কেন যে সবচেয়ে হাল্কা দুখানা কোয়ার্ক(আপ আর ডাউন) আর সবচেয়ে হাল্কা দুখানা লেপ্টন(ইলেকট্রন আর ইলেকট্রন-নিউট্রিনো) ছাড়া ভারী কোয়ার্কগুলো আর ভারী লেপ্টনগুলো থাকবে, তারও কোনো কারণ দেখাতে পারে না। তাই শুরু থেকেই বিজ্ঞানীদের ধারণা যে এই Standar Model এর সীমা ছাড়িয়ে ব্যাপ্ততর তত্ব আছে।
  • fevi | 217.162.214.78 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৪:২৪512115
  • "of " টাকে বোধহয় একটু বামপন্থী হতে হবে। নক্‌শাল হলে, আরেকটা f লাগবে।
  • nk | 151.141.84.194 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:৪৬512116
  • এদিকে আমারো টাইপো হয়েছে, একটা d ভ্যানিশ হয়ে গেছে। :-) শেষেরটাও Standard model হবে। :-)

    আর এই হিগস বোসন কিন্তু সাংঘাতিক রহস্যময় কিছু না, এই যে ঈশ্বর কণা টনা বলে সাংবাদিকরা পাব্লিকের একটা বিরাট উৎসাহ জাগায় আর পদার্থবিদেরা ও কিচ্ছুটি বলেন না (ঘোষিত নিরীশ্বরবাদী বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে একজন আবার রেগে গিয়ে আড়ালে বন্ধুদের কাছে কী একটা গালাগালি পার্টিকল বলেছিলেন :-) ), কারণ ফান্ডিং তো আসতে হবে, শেষ অবধি তো সবই পাব্লিকের পয়সা। :-)
    আসলে হিগস ফিল্ড একটা প্রস্তাবিত স্কেলার ফিল্ড, যার কোয়ান্টাগুলো হোলো হিগস পার্টিকল। প্রস্তাবিত তত্বে বলা হয়েছে যেসব কণা ম্যাসিভ, সবাই এই হিগ্‌স ফিল্ডের সাথে ইন্টার-অ্যাক্ট করে করেই ম্যাস পায়, যারা করে না, তারা ম্যাসলেস যেমন ফোটন গ্লুয়ন এরা ম্যাসলেস। এদিকে যারা খুব মাখামাখি করে মানে স্ট্রংলি ইন্টার-অ্যাক্ট করে তারা বেশী বেশী ম্যাস পায়, যেমন টপ কোয়ার্ক সবচেয়ে ম্যাসিভ এলিমেন্টারি কণা, সবচেয়ে চোস্ত ইন্টার-অ্যাকশন।
    কিন্তু এটা প্রস্তাবিত তত্ব, এটা নাও ঠিক হতে পারে, আবার ঠিকও হতে পারে। লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের এক্সপেরিমেন্টে তাই আঁতিপাঁতি করে এই হিগসকে খোঁজা হবে।
    অতীতে আমরা অনেক অপ্রত্যাশিত চমক পেয়েছি পদার্থবিদ্যায়, এবারো সেরকম হতে পারে। হয়তো হিগ্‌স না পেয়ে হিডেন ডাইমেনশনের খোঁজ পাওয়া গেল, হয়তো দেখা গেল স্ট্রিং তত্ব অনুসারে যেরকম প্রেডিকশন করা হচ্ছিলো এক্সপেরিমেটে সেগুলো মিলছে না, অন্যরকম হচ্ছে! কী যে হতে পারে সেই বিষয়ে কিছুই বলা যায় না।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:৫২512117
  • nk খুব সুন্দর লিখেছ।
    হিগস বোসনের সঙ্গে তন্ত্রের বা জ্যোতিষের বা ইশ্বরের কি সম্পর্ক? রামকৃষ্ণবাবু কি বলতে চাইলেন বুঝলাম না।
  • rimi | 75.76.118.96 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:১০512118
  • রামকৃষ্ণবাবু, এনসাইক্লোপিডিয়ার লিংকের জন্যে ধন্যবাদ। আজই দেখলাম।
    তবে ঐ লিংকে বিশেষ কিছুই তো পেলাম না।
  • nk | 151.141.84.194 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:২৫512119
  • এদিকে আমি বরাহমিহির সম্পর্কে খুঁজতে খুঁজতে চমৎকৃত হয়ে যাচ্ছি, এই লোকের সম্পর্কে তো বহুরকম কথা জানা যাচ্ছে, একদল গবেষক তো ওনাকে প্রাচীন ইরাণীয় অগ্নি-পুরোহিত সম্প্রদায়ের উত্তরাধিকারী বলেও খুঁজে বার করেছেন।
    এদিকে বৃহৎজাতক তো ডাউনলোডালাম, কিন্তু দেখি পাতা আর লোড হয় না। কী অবস্থা! কবে পড়া হয় দেখা যাক। আদৌ কিছু বুঝতে পারবো কিনা সেই সন্দেহ তো আছেই। :-)
    আচ্ছা, এই বরাহমিহির ই কি খনাকে বিবাহ করলেন? খনাও কি শকজাতির মেয়ে?
    এই মিহির সোজা লোক না, এঁকে নিয়ে রীতিমতন রহস্য-উপন্যাস লেখা যায়!!!
  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:৪৪512121
  • নিশি কি সংস্কৃত ভাষাটা ভাল জানেন ? মানে এই সব বইপত্তর কি সংস্কৃতেই পড়েন না ইংরিজীতে?
  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:১০512122
  • দুখে, 'বাবু'-টা বাদ দিন। আসলে আপনার ওয়ান লাইনারগুলোর আমি মারাত্মক ফ্যান। তবে অধিকন্ত ন দোষায়, মাল্টি লাইনারেও আপত্তি নাই। আপনার কী বোর্ড থেকে যা বেরোয়, তাই মনোগ্রাহী।
    এদিকে আমি বেচারা মানুষ শুধু গল্প শুনতে চেয়েছিলাম, দুই 'র' মানে রুপঙ্কর আর রামকৃষ্ণ বাবুর কাছে, ওদের অভিজ্ঞতার ঝুলি ঝেড়ে কিছু যদি শেয়ার করতেন। আপাতত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই।

  • nk | 151.141.84.194 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:২১512123
  • অরণ্য, আরে না না। সংস্কৃত!!!! দাঁতগুলো সব উড়ে যাবে না? অভিদ্রবন্তী ত্বিষাম্পতি নভস্য বপ্রক্রীড়া করিকরভ টাইপের শব্দ, মানে বোঝা তো দূরস্থান উচ্চারণ করতে গেলেই মারা যাবো! :-(
    ইংরেজী বা বাংলা অনুবাদ ছাড়া কিসুই বুঝি না। :-(

  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৪৬512124
  • ক্লাস টেন অব্দি সংস্কৃত পড়েছিলাম, দারুণ লাগত। তার পর যা হয়। সব বিস্মৃতির অতলে। শুনেছি প্রচুর মণিমুক্তো আছে, সংস্কৃত সাহিত্যে। আমাদের দেশেরই ভাষা, চর্চার অভাবে মৃত।
  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৪৮512125
  • হ্যাঁ! ওটা টাইপো হয়েছে। ওটা- Standardmodelofphysics হবে।
    আপনারা কি মনে করেন, এই Goddamparticle আগে বোঝা যায় নি? আমি কিন্তু, তন্ত্র বলেছি। ঈশ্বর বলি নি। গডস পারর্টিকেলের বঙ্গানুবাদ করেছি। তন্ত্রের আভিধানিক অর্থ হলো:- রাজ্য বিষয়ক চিন্তা। তন্ত্র বলতে- লাল কাপড় পরে, লাল টীকা লাগিয়ে- বলি টলি দেওয়া নাকি?
    তালে- স্নায়ুতন্ত্র, গনতন্ত্র এই সবের মানে কি? যাক!
    আসলে তো ওটা হিগস- বোসোন কণা। আমি যখন লিখেছি, তখন তার ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য। দ করে একটু অপেক্ষা করুন। তারপর না হয় খিস্তি দেবেন। আর বুড়ো হয়েছি বলে সব তো শুকোয় নি!!! মাথার খচরামিটা বহাল আছে।( হো হো করে হাসার স্মাইলি)
    আড্ডা মারার জন্য আমি সবসময় রাজি।

  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫০512126
  • আমি, আজ একটা পিকনিকে যাচ্ছি। মহিষবাথান। তাই সারাদিন থাকবো না। ফিরে এসে লড়ালড়ি করা যাবে।
  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:০৫512127
  • @aranya
    আরে সংস্কৃত খুব একটা কঠিন না। একটু অং বং চং করে নেবেন। ব্যাস!( হাসি)
    আমার জ্ঞান ঐ নর:, নরৌ নরা:
    বেঞ্চির ওপর দাঁড়া:!
    অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবো। যে যার মত খিস্তি করবেন। তাতে পৃথিবীর আহ্নিক গতি ব্যাহত হবে না।

  • aranya | 144.160.226.53 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:১৫512128
  • ঘনাদা, আপনার স্পিরিট-টা ভাল লাগছে। খিস্তি যারা করে তারা নিজের রুচিহীনতাই প্রকাশ করে। হয়ত শকথেরাপি করে লোকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়, বা শালীন ভাষায় নিজের যুক্তি প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই, কিছু একটা হবে। ওগুলো পাত্তা না দেওয়াই ভাল।
  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:১৬512129
  • বরাহমিহির সম্বন্ধে কয়েকটা কথা:-
    বরাহমিহিরকে আধুনিক ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের(Astronomy) জনক বলা হয়। তাঁর আগে ভারতবর্ষের জ্যোতিবির্জ্ঞানের মূল গ্রন্থ ছিল বেদাঙ্গ জ্যোতিষ, যা খ্রীস্টপূর্ব ১৪শ শতকে রচিত হয়েছিল। এটির অনুসারে ৬৭টি চান্দ্র মাস নিয়ে গঠিত পাঁচ বছরে একটি যুগ হয় এবং এটিতে রাহু ও কেতু নামের দুইটি ধারণা দিয়ে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। বেদাঙ্গ জ্যোতিষ, প্রায় ১৫০০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রধান আকরগ্রন্থ (reference) ছিল। কিন্তু বরাহমিহির তাঁর সূর্যসিদ্ধান্ত নামক রচনাতে যে সূর্যকেন্দ্রিক ব্যবস্থার কথা বর্ণনা করেন, তা ছিল অনেক বেশি সঠিক। ফলে এর পর থেকে ভারতে তাঁর বর্ণিত ব্যবস্থাটিই প্রচলিত হয়ে যায়।
    পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞানে বরাহমিহিরের জ্ঞান ছিল অনুপুঙ্খ। তার মহাগ্রন্থ পঞ্চসিদ্ধান্তিকায় তিনি প্রথমে ভারতীয় স্থানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারাগুলির বর্ণনা দেন এবং শেষের দুইটি খণ্ডে পশ্চিমা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলিতে গ্রিক ও আলেকজান্দ্রীয় ঘরানার গণনা, এমনকি টলেমীয় গাণিতিক সারণি ও ছকের পূর্ণাঙ্গ রূপ স্থান পেয়েছে।
    বরাহমিহিরের রচনাবলিতে খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতকের ভারতবর্ষের একটি বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। দুইটি বিখ্যাত গ্রন্থ বৃহজ্জাতক ও লঘুজাতক।
    বৃহ্‌ৎসংহিতা: একটি প্রসিদ্ধ জ্যোতিষ গ্রন্থ যা পদ্য আকারে লিখা। এতে তিনি জ্যোতিষী দৃষ্টিকোণ থেকে বহু পাথরের বিবরণ এবং পাক-ভারতের ভৌগলিক তথ্য সন্নিবেশিত করেন। এছাড়াও এতে সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও প্রভাব, আবহবিদ্যা, স্থাপত্য এবং পূর্তবিদ্যার নানা বিষয় প্রসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হয়েছে। এই বইয়েই তিনি ব্রজলেপ নামে একটি বস্তুর প্রস্তুতপ্রণালী ব্যাখ্যা করেছেন যা আধুনিককালের সিমেন্টের সমগোত্রীয় ছিল। সে সময় ভারতে বরাহমিহির উদ্ভাবিত এই ব্রজলেপ দিয়েই বড় বড় দালান কোঠার ইটের গাঁথুনি তৈরীতে ব্যবহৃত হতো।
    এই মনীষীর জন্ম ভারতের অবন্তিনগরে (বর্তমান উজ্জয়িনী)। গুপ্ত রাজা বিক্রমাদিত্যের(?)(দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত) সভার নবরত্নের অন্যতম হিসেবে তিনি স্বীকৃত। ভারতীয় পঞ্জিকার অন্যতম সংস্কারক ছিলেন তিনি। তিনিই বছর গণনার সময় বৈশাখকে প্রথম মাস হিসেবে ধরার প্রচলন করেন। আগে চৈত্র এবং বৈশাখকে বসন্ত ঋতুর অন্তর্গত ধরা হতো। পৃথিবীর আকার এবং আকৃতি সম্বন্ধে তার সঠিক ধারণা ছিল। তার জন্ম ৫৮৭ ধরা হলেও কারও কারও মতে তা ৫৭৮।
    বরাহমিহির ছিলেন শক জাতিভুক্ত। সেসময় আফগানিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও রাজপুতানা (বর্তমান রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ) নিয়ে গঠিত এক বিরাট এলাকা জুড়ে শকস্তান নামের এক রাজ্য অবস্থিত ছিল। শকরা ছিল মূলত পূর্ব ইরান থেকে আগত একটি গোত্র। মিহির নামটি ফার্সি "মিথ্রা" শব্দ থেকে এসেছে। প্রাচীন মথুরা রাজ্যের নামও এই ফার্সি শব্দটি থেকে এসেছে।
  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:২৪512130
  • একটা ইতিহাস থাকা দরকার বলে আমার বারবার মনে হয়। তাই লিখছি অরণ্যবাবু। আমি এই সব করে অযথা সময় নষ্ট না করলেও হতো। তালে বেশ কিছু রুপিস ইনকাম হতো।অআসলে, আমরা এত সাহেব ভজনা করেছি, যে সাহাবেরা না বললে কোনো কিছুই বিশ্বাস করতে চাই না। তাই সাহাবানীর বচন দিয়েই শুরু করেছি।
    বৈদিক গণিত নিয়ে আমার একটাই বক্তব্য। এটা পরে কায়দাবাজী করে লেখা হয়েছে। বৈদিক গণিত নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করা হয়। টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফাণ্ডামেন্টাল রিসার্চ-এর বিজ্ঞানী ও ICM -2010 এর আয়োজক কমিটির চেয়্যারম্যান এম এস রঘুনাথন বলেছিলেন:- “ইটস আ ব্যাগ অফ ক্যালকুলেশনাল ট্রিকস। অ্যাণ্ড ম্যাথ্‌স ইজ মাচ মোর দ্যান মিয়ার ক্যালকুলেশন।”
    ওনার মতের সঙ্গে, আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধি এবং যেটুকু অঙ্ক পড়া আছে, তাতে, আমি; এম এস রঘুনাথনের সাথে একমত।
    অরণ্যবাবু, ধন্যবাদ!

  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৩৯512132
  • আমার এটা আজকের মত শেষ লেখা। আগামীকাল থেকে আবার নেমে পড়বো। আগে লেখা ছিল বলে এখানে সাঁটাতে পারলাম।
    সূত্র, ভারতীয় সঙ্গীতেও আছে। আর এই সূত্র গুলো খুব দরকারী। লিখে রাখলাম। যাদের ইচ্ছে হয় পড়বেন। আমি লিখলাম এই কারণে যে, গণিতকে বিজ্ঞানের রাণী বলা হয়। সেটা কিন্তু জ্যোতিষে বা জ্যোর্তিবিদ্যাতেও দরকার হয়।
    একটা সংস্কৃত শ্লোকের উল্লেখ করি।
    ওঁ পূর্ণমদ: পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
    পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবশিষ্যতে।অ।((শ্রীঈশোপনিষদ, আবাহন)
    আপনারা ভাবছেন, এ কি রে বাবা! জ্যোতিষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, এ আবার কি পড়ছি সব! যত্ত সব অং, বং, চং! একে, জ্যোতিষ বড্ড গোলমেলে বিষয়, তার ওপর সংস্কৃত!!!
    ধ্যূর! পড়বৈ না!
    আরে, একটু পড়ুন! ভালো না লাগলে পড়বেন না! একটু বাংলা করে দি!
    “যা কিছু পরম পূর্ণ থেকে উদ্ভূত হয়েছে তা সবই পূর্ণ। পরম পূর্ণ, তাই সেটা থেকে অসংখ্য ও অখণ্ড পূর্ণ বিনির্গত হলেও পূর্ণরূপই অবশিষ্ট থাকে।”
    স্বামী বিবেকানন্দ এই শ্লোকের একটা ইংরেজী রূপান্তর করেছিলেন:-
    TheInfiniteisthee.Theinfiniteisthat! IfyoutakeInfinitefrominfinite, theinfiniteonlyremains.
    প্রাচীন ভারতের বিষয় ছিল ‘প্রকাণ্ড সংখ্যার ভাবনা’। এটা এখন গবেষণার বিষয়বস্তু।
    অখণ্ড কালকে ছন্দ দিয়ে ভাগ করাকেই “তাল” বলে। (প্রসঙ্গত বলে রাখি; নটরাজ মূর্ত্তি পৃথিবীর ছন্দ আর তালের রূপক।) “মাত্রা” হচ্ছে স্বরের স্থায়িত্বকাল নির্দেশক। তাল, কয়েকটি মাত্রার সমষ্টি। সংগীতের আর একটি বিশেষ অংশ হচ্ছে “লয়”। সংগীত শাস্ত্রে কালের গতিকেই লয় বলা হয়। নাচ, গান, বাজনা; এমনকি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এই লয়ের গুরুঙ্কÄ অপরিসীম। লয় তিন রকম: -
    • বিলম্বিত
    • মধ্য
    • দ্রুত
    তালের বিরাম স্থানের নাম- “মান”
    মান আবার চার রকম:-
    • সম
    • বিষম
    • অতীত
    • অনাঘাত
    প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞানে এদের প্রয়োগ দেখা যায়। অদ্ভূত হলেও সত্যি।
    আমি ব্যক্তিগত ভাবে প্রাচীন ভারত নিয়ে গর্ব বোধ করি! এই গর্ববোধের প্রচুর কারণ রয়েছে। জ্ঞান- বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সাহিত্য- সব ব্যাপারেই প্রাচীন ভারত এগিয়ে ছিল।অনাটক এবং গানেও পেছিয়ে ছিল না, আমাদের এই সুজলাং সুফলাং মাতৃভূমি।
    কবিগুরু বলেছেন-
    “প্রথম প্রভাত উদয় তব গগনে
    প্রথম সাম রব তব তপোবনে”

    বৈদিক যুগে ঋগ্বেদ আর সামবেদের স্তোত্রগুলো বিভিন্ন সুরে আবৃত্তি করা হত। সেই উদাত্তসুরে গাওয়া বেদ স্তোত্র গুলিই আদি ভারতীয় সংগীত বলে মনে করা হয়। এই স্তোত্র গুলির ছিল এক বিশেষ সুর বৈশিষ্ট্য। বিশেষ প্রয়োগ পদ্ধতি ছিল এর আরও একটা গুণ।
    এই যুগে সেই সংগীত লোপ পেয়েছে। গবেষকরা স্থির নিশ্চিত, এই লোপ পাওয়ার পেছনে বৈদিক যুগের মানুষরাই দায়ী। গুরুমুখী বিদ্যার নাম করে এই সব আজ লোপ পেয়েছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা যেটা বলেছেন-ইন্দ্রীয়ের প্রীতিসাধন সংগীতের একটি উদ্দেশ্য, এ কথা যেমন সত্যি, তেমনই সত্যি এই সংগীতের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল- ভগবানের প্রীতিসাধন।আযোগ্য লোকের হাতে পড়লে সংগীতের মূল্য খর্ব হতে পারে। সেই ভয়ে, গুরুর নাম করে স্তোত্র-সংগীতের সুর ভঙ্গিমাকে গোপন করে রাখতেন। আর এই গোপনীয়তাই আদি সংগীতের লুপ্ত হওয়ার কারণ।
    প্রাচীন ভারতে সংগীত নিয়ে অনেক গুরুঙ্কÄপূর্ণ বই লেখা হয়েছিল। কয়েকটা নাম নীচে দিলাম।
    • ভরতের রচনা-“নাট্যশাস্ত্র”
    • মতঙ্গর রচনা-“বৃহদ্দেশী”
    • নারদের রচনা-“সংগীত মকরন্দ”
    • শার্ঙ্গদেবের রচনা-“সংগীত রত্নাকর”
    এই সব বইয়ে ভারতীয় সংগীতের বিভিন্ন সুর ও লয়ের উল্লেখ আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্য; প্রয়োগ পদ্ধতির তেমন উল্লেখ নেই।
    এবার দেখা যাক, এই যে সুরসপ্তক- সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি; এদের উৎপত্তি কিভাবে হয়েছে!!!!!
    • প্রথম মত:-
    এই সুরসপ্তক উদ্ভব হয়েছে, চারটি বেদ থেকে।
    ঋগ্বেদ থেকে- “সা” এবং “রে”
    সামবেদ থেকে-“গা” এবং “পা”
    যজু:বেদ থেকে-“”মা” এবং “ধা”
    অথর্ববেদ থেকে- “নি”
    • দ্বিতীয় মত: -
    প্রথম পাঁচটি স্বর মহাদেবের আবিস্কার আর পরের দুটি স্বর পার্বতীর আবিস্কার। ( ৫+২=৭)
    • তৃতীয় মত: -
    ময়ূরের কণ্ঠ থেকে- সা
    বৃষের কণ্ঠ থেকে-রে
    ছাগলের কণ্ঠ থেকে-গা
    বকের কণ্ঠ থেকে- মা
    কোকিলের কণ্ঠ থেকে-পা
    ঘোড়ার কণ্ঠ থেকে-ধা
    হাতির কণ্ঠ থেকে-নি
    ( সময় হয়ে এসেছে। আমার গার্জেন তাড়া দিচ্ছেন। আজ উঠি। আবার আগামীকাল। নমস্কার)

  • rupankar sarkar | 113.193.21.34 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৫৭512133
  • siki - " আমি কুসংস্কারে বিশ্বাস করিনা, অথচ জ্যোতিষে বিশ্বাস করি" - যে কোটেশন চিহ্‌ণ দিলেন, তা আমার কোন ডেটের কোন পোস্ট থেকে দিলেন, তা তো বললেন না। আমি অবশ্য "জ্যোতিষে" বিশ্বাস করি, একথাটা অনেকবার বলেছি, আবার বলছি। 'কুসংস্কার' কোনটা আগে জানতে হবে, তারপর বলতে পারব আমার মতামত। এই পুরো টইতে কোনওদিন 'কুসংস্কার' সম্বন্ধে কিছু বলেছি বলে আমার স্মরণ নেই

    রিদ্ধিবাবুকে রাগ করতে বারণ করলুম গোপালদার ঠিকানা দিতে না পারার কারনে। আরে মশাই ভাল করে তো পড়ুন আগে।

    শালিক পাখি বা খনার বচন টেনে আনবার কারণ টা খঁজে পেলেননা ? কিংবা উদ্ভট মনে হলো ? কেন এনেছিলাম তা তো পষ্টো করেই লিখলুম। আবার বলি, যেমন শালিখ সুখ-দু:খের কারন নয়, শনি গ্রহও সাত দিন বৃষ্টির জন্য রেস্পন্সিবল নয়, শুধু কেউ কেউ নজর করেছে, শনিবারে জমিয়ে বৃষ্টি নামলে সাত দিনের আগে ছাড়েনা। তার মানে কি ? এটা হলে ওটা হয়। আর বারবার হলে সেটাকে স্বত:সিদ্ধ ধরা হয়। তেমনি জ্যতিষ শাস্ত্রও এমনি সব অবসার্ভেশনের ওপর গড়ে উঠেছে।

    আমার প্রশ্নগুলি আবার সাজিয়ে দিতে লিখেছেন :

    ১) জ্যোতিষ শাস্ত্র অবৈজ্ঞানিক ( বুজরুকি ইত্যাদি বিশেষণ অনেক পরে টইতে এসেছে) একথা বলার মূলে কিছু (বা অনেক) মানুষের অভিজ্ঞতা, যে জ্যোতিষীদের প্রেডিকশন মেলেনা।

    ২) তার উত্তরে আমি বললুম, বহু ক্ষেত্রে ডাক্তারদের ডায়াগনোসিসও মেলেনা (সার্জারি, ইমিউনাইজেশন ইত্যাদি নয়) তাবলে কি সেটাও তাহলে অবৈজ্ঞানিক?

    ৩) একটা ধাপ্পাবাজ লোক আমার নিজের এবং পরিবারের আশ্চর্য রকমের ঘটনাবলী দীর্ঘ সময় ধরে মিলিয়ে দিচ্ছে ( সে গল্প ডিটেলে বলেছি, আর সম্ভব নয়)। মিলিয়ে দেয়াই যদি ক্রাইটেরিয়ন হয়, তবে তার কাআর্যকলাপ কি বৈজ্ঞানিক? সে লোকটি কিন্তু জ্যোতিষী নয়।
  • rupankar sarkar | 113.193.21.34 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:০৩512134
  • siki - " আমি কুসংস্কারে বিশ্বাস করিনা, অথচ জ্যোতিষে বিশ্বাস করি" - যে কোটেশন চিহ্‌ণ দিলেন, তা আমার কোন ডেটের কোন পোস্ট থেকে দিলেন, তা তো বললেন না। আমি অবশ্য "জ্যোতিষে" বিশ্বাস করি, একথাটা অনেকবার বলেছি, আবার বলছি। 'কুসংস্কার' কোনটা আগে জানতে হবে, তারপর বলতে পারব আমার মতামত। এই পুরো টইতে কোনওদিন 'কুসংস্কার' সম্বন্ধে কিছু বলেছি বলে আমার স্মরণ নেই

    রিদ্ধিবাবুকে রাগ করতে বারণ করলুম গোপালদার ঠিকানা দিতে না পারার কারনে। আরে মশাই ভাল করে তো পড়ুন আগে।

    শালিক পাখি বা খনার বচন টেনে আনবার কারণ টা খঁজে পেলেননা ? কিংবা উদ্ভট মনে হলো ? কেন এনেছিলাম তা তো পষ্টো করেই লিখলুম। আবার বলি, যেমন শালিখ সুখ-দু:খের কারন নয়, শনি গ্রহও সাত দিন বৃষ্টির জন্য রেস্পন্সিবল নয়, শুধু কেউ কেউ নজর করেছে, শনিবারে জমিয়ে বৃষ্টি নামলে সাত দিনের আগে ছাড়েনা। তার মানে কি ? এটা হলে ওটা হয়। আর বারবার হলে সেটাকে স্বত:সিদ্ধ ধরা হয়। তেমনি জ্যতিষ শাস্ত্রও এমনি সব অবসার্ভেশনের ওপর গড়ে উঠেছে।

    আমার প্রশগুলি আবার সাজিয়ে দিতে লিখেছেন :

    ১) জ্যোতিষ শাস্ত্র অবৈজ্ঞানিক ( বুজরুকি ইত্যাদি বিশেষণ অনেক পরে টইতে এসেছে) একথা বলার মূলে কিছু (বা অনেক) মানুষের অভিজ্ঞতা, যে জ্যোতিষীদের প্রেডিকশন মেলেনা।

    ২) তার উত্তরে আমি বললুম, বহু ক্ষেত্রে ডাক্তারদের ডায়াগনোসিসও মেলেনা (সার্জারি, ইমিউনাইজেশন ইত্যাদি নয়) তাবলে কি সেটাও তাহলে অবৈজ্ঞানিক?

    ৩) একটা ধাপ্পাবাজ লোক আমার নিজের এবং পরিবারের আশ্চর্য রকমের ঘটনাবলী দীর্ঘ সময় ধরে মিলিয়ে দিচ্ছে ( সে গল্প ডিটেলে বলেছি, আর সম্ভব নয়)। মিলিয়ে দেয়াই যদি ক্রাইটেরিয়ন হয়, তবে তার কাআর্যকলাপ কি বৈজ্ঞানিক? সে লোকটি কিন্তু জ্যোতিষী নয়।
  • dukhe | 117.194.235.243 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৩৮512135
  • জ্যোতিষকে কেন ডাহা ঢপবাজি বলা হবে না ? ন্যায্য প্রশ্ন ।
    হাঁ, ম্যয় জ্যোতিষকো ঢপবাজি বলুঙ্গা । লেকিন আকেলে জ্যোতিষকো হি নেহি বলুঙ্গা । পহলে উস ডাক্তারিকো ঢপবাজি বোলো জিসকা পন্ডিতনে এক হি পেশেন্ট পে পাঁচ রকম কা ডায়াগোনসিস কিয়া থা । পহলে উস স্ট্যাটকো ঢপবাজি বোলো জিসকা পণ্ডিতনে প্রি-পোল সার্ভে করকে হাই কনফিডেন্স ইন্টারভ্যাল মোতাবেক NDA কা দোবারা জিতনেকে বিধান দিয়া থা । ইত্যাদি ইত্যাদি (হিন্দিটা আর চালাতে পারছি না) ঔর উসকে বাদ সিকি ভাই, তুম জিসকো ঢপবাজি বোলো ম্যয় সাইন করুঙ্গা ।
  • T | 14.139.128.11 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৪৩512136
  • এই যুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীতে সমস্ত কিছুই ঢপবাজী।
  • tatin | 117.194.200.48 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:০৮512137
  • ইলিশমাছ ভাজা ও খিচুড়ি ব্যতীত।
  • kd | 59.93.206.226 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩৩512138
  • হ্যাঁ, দুয়ে দুয়ে চারও ঢপবাজি। সবসময় তো হয় না - কখনও কখনও দুধও হয় (শিব্রাম)। :)
  • kanti | 202.90.105.49 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪৭512139
  • ঘনাদা,জ্যোতিষ নিয়ে আপনার লেখা পড়তে পড়তে প্রায় আপনার চন্ডাল শিষ্য হয়ে গিয়েছিলাম।খুব আগ্রহ তৈরি হচ্ছিল। এক সময় বিশেষ কারনে জ্যোতিষ নিয়ে একটু পড়াশুনোর চেষ্টা করেছিলাম। তাতে জেনেছিলাম,ভারতিয় জ্যোতিষেধরা হয় যে প্‌থিবীকে কেন্দ্র করেসূর্য্য,চন্দ্র এবং গ্রহগুলি রাশি চক্রের উপরে থেকে নিজের নিজের অবস্থান
    পরিবর্তন কোরছে। এবং রাশিচক্রের রাশিগুলিও প্রতিদিন পর পর পূর্ব দিগন্তে সূর্যের মতই উদিত হোয়ে পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যাচ্ছে, আবার ২৪ ঘন্টা পরে পূর্ব দিগন্তে আবির্ভুত হচ্ছে। কোন জাতকের জন্ম সময় পূর্ব দিগন্তে
    যে রাশি অবস্থান করে সেই রাশিকেই জাতকের লগ্ন ধরা হয়। একই ভাবে ২৭ নক্ষত্র মন্ডলীও আবর্তিত হচ্ছে। জন্মকালে যে নক্ষত্র পূর্ব দিগন্তে থকে জাতকের সেই নক্ষত্র
    হয়। আমি ভুল বুঝে থাকলে শুধরে দেবেন। যুক্তি সম্মত ব্যাখ্যা না পেয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আপনার লেখা পড়ে আবার আগ্রহ জন্মাচ্ছিল। কান্তি।
  • GHANADA | 223.223.134.238 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০২512140
  • কান্তিদা
    আমি এই মাত্র পিকনিক থেকে ফিরলাম। আপনি আমার লেখা পড়ছেন, এটা আমার সৌভাগ্য।
    আপনি যেটা বলেছেন, সেটা সবটা ঠিক না হলেও কিছুটা ঠিক। সবটা নয় কেন, সেটা অল্প বলছি।
    সৌরমণ্ডলে যেমন সূর্য্য এপিসেন্টার, তেমনই জ্যোতিষশাস্ত্রে রবি বা সূর্য্য কে মূল কেন্দ্র ধরা হয়।
    বরাহমিহির এই প্রচলনটা করেন। এবার পৃথিবীকে স্থির ধরলে, সব কিছুই গণ্ডগোল হয়ে যায়। রবির চলনটা যদি ঠিক ভাবে ধরা না হয়, তবে গণণা গুলো ভুল হয়। এই ভুলটা আমিও করেছি। কিছুটা মিললেও সবটা মেলে না। দশা, মহাদশার ক্ষেত্রেও ভুল হয়।
    আর লগ্নের কথাই যদি বলেন, সেটাও কিছুটা ঠিক। কারণ, রাশির উদয়কালকে লগ্ন বলে। এবার রাশি না লগ্ন- কোনটা ধরে গণণা করা হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বাকী, আপনি যা লিখেছেন সবই ঠিক। আমার বাতুলতা ক্ষমা করবেন।
    যে বরাহ মিহির সম্বন্ধে আমরা বলছি, সেই বরাহ মিহিরই স্বয়ং ভুলটা করেছিলেন বলে বড় বড় পণ্ডিতদের কাছ থেকে শুনেছি। অবশ্য কোনো তথ্যসূত্র নেই। তাই তিনি ভুলটা পরে শুধরে নেন। তাঁর সন্তানের ক্ষেত্রেই এই ভুলটা হয়েছিল।
    দাদা, আমি এখনও শিক্ষার্থী। এই অপার শাস্ত্র আয়ত্ত করা ভীষণ কঠিন। অন্তত আমার পক্ষে। তাই, আপনি যদি এখানে লেখেন, তাহলে আমি অন্তত উপকৃত হব।
    আমি এখানে লিখছি, শুধু একটা রেকর্ড রাখার জন্য। কাউকে শেখানোর বা বিশ্বাস করানো আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি নিশ্চিত, আপনি এটা বুঝবেন।
    আমার সশ্রদ্ধ নমস্কার এবং প্রণাম নেবেন।

  • rupankar sarkar | 113.193.22.57 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৪১512141
  • ঘনাদা,বরাহমিহির সম্ভবত: নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিলেন পুত্রবধু খনার সংশোধনীতে। খনাকে সে সময়ে Astronomer বলা হত, astrologer নয়। শোনা কথা এই, যে, তাঁর আদেশেই খনার পিতার দেয়া শ্রীলংকা থেকে আনা পুঁথি গুলি খনা সমুদ্রে বিসর্জন দিতে বাধ্য হন। অ্যাস্ট্রোলজি আর অ্যাস্ট্রোনমির বিতর্ক অনেক আগেই থেমে যেত সে সব থাকলে। আপনি পন্ডিত মানুষ অনেক ভাল বলতে পারবেন।
  • aka | 75.76.118.96 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২২512143
  • দুখে, ডাক্তারির সাথে জ্যোতিষের পার্থক্য হল ডাক্তারির আন অ্যানসারড কোশ্চেন কিন্তু ডাক্তার গবেষকরা সলভ করার চেষ্টা করেন, জ্যোতিষ কেন নিজের প্রশ্ন সলভ করেন না, সব দোষ ডাক্তারির? বলে কান্নাকাটি করেন না। টিপিকাল সিউডোসায়েন্স ফিচার, গবেষণা নেই, যোগসূত্রগুলো মেলানোর কোন প্রচেষ্টা নেই, শুধু একরাশ বিশ্বাস। এককালের সিউডোসায়েন্স অ্যালকেমি গবেষণা করেই কেমিস্ট্রি হয়েছে, শুধু বিশ্বাস আর কান্নাকাটি দিয়ে নয়। জ্যোতিষের যদিও বা সায়েন্স হয়ে ওঠার কোন চান্স কোনদিন থেকে থাকে তা এই বিশ্বাসেই ভোগে ভ হয়ে যাচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন