এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৪৫৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 14.139.128.11 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:০৪515683
  • Saikat কে এবিষয়ে আরো লেখার জন্য অনুরোধ রইল।
  • maximin | 59.93.244.151 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২০515684
  • বিদ্যাসাগর ইংরেজী শিক্ষার প্রোপোনেন্ট, এই কথার প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।
  • maximin | 59.93.244.151 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৩২515685
  • যে বাংলাভাষাকে অবলম্বন করেই গুরুচন্ডালির পথ চলা, বিদ্যাসাগরের কাছে সেই বাংলা ভাষার কিছু ঋণ ছিল।
  • aka | 75.76.118.96 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৫০515686
  • সৈকত ইন্টারেস্টিং অ্যানালিসিস। আরও চলুক। কিছু কথা বলার আছে।
  • PM | 2.50.55.221 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ০০:২০515687
  • ddবাবু কে... আপনি বলেছেন " আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি , কিন্তু ভক্তি একদম করি না"

    আপনি "ভক্তি শব্দটা যে অর্থে ব্যবহার করেছেন সেটা একটু জানতে চাই। একটা যদি উদাহরন দেন যে আপনি ঠিক কাকে কাকে "ভক্তি" করেন .... তাহলে সকলের ব্যপারটা পরিস্কার হবে।

    আপনি যে অর্থে "ভক্তি" শব্দটা ব্যবহার করেছেন সেই অর্থে "ভক্তি" আপনার মতো আমরাও কি কাউকে করি? এখানে বেশীরভাগ লোক-ই সেই অর্থে ঈশ্বর বিশ্বাসী নই .... তো ঈশ্বর ভক্তির প্রশ্ন নেই .... মা-বাবা-ও রক্ত মাংসের আর দোষে গুনে ভরা মানুষ ... শ্রদ্ধা ছাড়া absolute ভক্তির প্রশ্ন আসে না। তাহলে যে অর্থে আপনি "ভক্তি" শব্দ-টা ব্যবহার করেছেন সেই অর্থে কোনো রক্ত মাংসের মানুষ কি আমাদের "ভক্তি " পেতে পারে? তাহলে ভক্তি শব্দটা কি Dictionary থেকে তুলে দেবার সময় হয়েছে?

    dd বাবুর কাছে জানার ইচ্ছা রইলো রক্ত-মাংসের এমন কেউ আছে কিনা যাকে আপনি "ভক্তি" করেন? বা লোকের ভক্তি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
  • aka | 75.76.118.96 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ০৮:৩৫515688
  • সৈকত যে কারণে কথাটা বলছিলাম ঠিকমতন আর্টিকুলেট করি নি। একটু লেখার চেষ্টা করি। এই সময়সীমায় হিন্দু ধর্মের একটা চেঞ্জ হয়েছে। আঠেরোশ-ঊনবিংশ শতকের প্রথম দিকে বেশ কিছু হিন্দু খ্রীস্টান হয়েছিল। বেশ কিছু ধর্মান্তর। যদিও এটা খুব বেশিদিন চলে নি তবুও এর ফলশ্রুতি হিসেবেই বোধহয় হিন্দু ধর্মগুরুরা আচার বিচার খানিক সংস্কার করে নিতে বাধ্য হয়। এই ক্লেম করার মতন ঐতিহাসিক আমি নই, কিন্তু লজিকালি চিন্তা করতে গেলে মনে হচ্ছে এরই ফলশ্রুতি হল হিন্দু ধর্মের আধুনিকিকরণ। একদিকে রামমোহন, কেশব সেন, অন্যদিকে আর্যসমাজ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ র জন্ম এই গর্ভগৃহেই।

    রামমোহন, কেশব সেনের ব্রাহ্ম ধর্ম অনেকটাই এই মূর্তিপুজো ইত্যাদি ছেড়ে সমাজ সংস্কার ও আত্মার উন্নতি সাধনের কথা বলে। দয়ানন্দ সরস্বতীর আর্যসমাজের মূল কথা ছিল - 'ফিরে চলো বৈদিক লোকে'। এরাও প্রচূর সমাজসেবা টেবা করেছে। রামকেষ্টর ধারা ছিল একেবারেই ট্র্যাডিশনাল মূর্তিপুজো,ঈশ্বরের প্রতি সরল ভক্তি।

    আর অন্যদিকে এই একই প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছেন লিবারাল বিদ্যাসাগর এবং হাইলি সেকুলার পণ্ডিত নেহেরু।

    তাই বিবেকানন্দ যে রামকেষ্টরই চেলা হলেন কেশব বাবু বা দয়ানন্দ সরস্বতীর নয় বা বেশ উচ্চ ঘরে জন্ম হওয়া সঙ্কেÄও বিদ্যাসাগর বা নেহেরু হলেন না, তা কি শুধুই ঔপনিবেশিকতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়?
  • aka | 75.76.118.96 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ০৮:৪৩515689
  • আর ঠিক এই সময়েই অরবিন্দ ঘোষের উত্থান কিন্তু। মানে তুমি যে সময়ের কথা বলেছ।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩০515690
  • "রামকেষ্টর ধারা ছিল একেবারেই ট্‌র্‌যাডিশনাল মূর্তিপুজো,ঈশ্বরের প্রতি সরল ভক্তি।"

    আকা পছন্দ করবে না, কিন্তু রামকেষ্ট নিয়ে আরেট্টু পড়াশুনো করতে না বলেও তো পারি না । :)
  • v | 168.244.164.244 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৪৯515691
  • হিন্দু ধর্মের ধর্মান্তকরণ উনবিংশ শতাব্দীর আগে অন্তত ৬০০-৭০০ বছর ধরে চলছিলো, প্রধনত মুসলমান শাসকদের অধীনে। শুনেছি যে হিন্দু ধর্মের পর্দাপ্রথা আর গোঁড়ামি এই 'ধরে মোছলমান করে দেওয়ার' ভয় থেকে অনেকটা উদ্ভূত। তখন নিজের (ধার্মিক) অস্তিত্ব বাঁচানোটা মূল তাগিদ ছিলো। ইংরেজ আমলে আইন শৃঙ্খলার কিছুটা উন্নতি হলে হিন্দুরা নিজেদের স্বতন্ত্র অস্তিত্বের ব্যপারে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পেয়েছিলো।
    এটা জিস্ট, অবশ্যই কিছু কিছু পিরিয়ডে এক্সেপশন আছে।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৫৬515693
  • pinakida,

    যাঁরা কিছু ট্যাঞ্জিবল কাজকর্ম করতে গ্যাছেন, সবার মধ্যেই স্ববিরোধিতা এসেছে। প্রত্যেকদিন একই কথা আওড়ে গেলে বোরিং ও নিথর হয়ে পড়বে
  • maximin | 59.93.200.40 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:০৪515694
  • পড়ছি।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:৫৭515695
  • পুরানো পোস্ট গুলো পড়ছি- যাঁরা রামকৃষ্ণবাদ বাদ দিয়ে বিবেকানন্দ নিয়ে উৎফুল্ল তাঁদের জন্য।
    একজন লোক, বুদ্ধিমান, ইংরিজি শিক্ষিত, গ্র্যজুয়েট, আঁতেল, দুম করে সব ছেড়ে সন্ন্যাসী হল, দেশসেবা নিয়ে মাথা ঘামাল, ইত্যাদি কেন?
    আজ অবধি গোটা ভূভান্ডে কয়জন কোনো আদর্শ বা দর্শনব্যতীত শুধুমাত্র মানুষ বা দেশের দু:খে কাতর হয়ে নিজের জীবন চারে দিয়েছে?
    এই কাতর হতে শেখা, নিজের সুখতৃপ্তি জঈবিকপ্রবৃত্তি জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের জন্য কিছু করতে যাওয়া সব সময়েই কোনও অন্যতর বোধ থেকে আসে।
    বিবেকানন্দের ক্ষেত্রে সেইটি শ্রীরামকৃষ্ণ। রামকৃষ্ণের কৈবল্যদশা প্রত্যক্ষ করে 'জীবই শিব'-এর তঙ্কÄ না বুঝলে নরেন দত্ত বিবেকানন্দ হতেন না!
  • maximin | 59.93.200.40 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:৪৬515696
  • স্‌ট্‌র্‌যাটেজির আভাস পাই বাতাসে। যে যেটা পড়েছে তাকে দিয়ে একখান ছাত্রবন্ধু লিখিয়ে নেওয়া। এই যেমন সৈকত সুমিত সরকারের ছাত্রবন্ধু লিখবে। অন্যরা সেইটে পড়ে সুমিত সরকার জেনে যাবে।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:২১515697
  • অসুবিধেটা কোথায়?

    সৈকত সুমিত সরকারের ছাত্রবন্ধু লিখলেই যে সেটা পড়ে সবাই মাথায় করে নাচবে সেটা ধরে নিচ্ছেন কেন?

    আর কেউ যে সেটা পড়ে সুমিত সরকারের লেখাকেই পাল্টা প্রশ্ন করবে না এবং তার ফলে আমিও যে ঐ লেখাটাকে প্রশ্ন করব না এবং সেই সূত্র ধরেই অন্য লেখালেখিও পড়ব না, সেটাও ধরে নিচ্ছেন কেন?
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:৫২515698
  • আকাকে ভেবেছিলাম কিছু একটা উত্তর দেব। কিন্তু লোকজনের পড়াশুনোর "গরম" দেখে সে ইচ্ছে মায়া হয়ে গেল। শুধু এটা বলতে চাই, যে তুমি তোমার লেখার শেষে যে "ঔপনিবেশিকতা" দিয়ে ব্যাখ্যা করার কথা বলেছ, শুধু সেরকম কিছু করা যায় না বলে মনে হয় না। ঔপনিবেশিক পরিবেশ যে অনেক ক্ষেত্রেই রামকৃষ্ণর ভক্তকুল বাড়িয়েছিল, বড়জোর এরকম কিছু বলা যায়। কিন্তু সেটা দিয়ে এটা ব্যাখ্যা করা যায় না যে এত বহু সংখ্যক নারী কেন ওনার ভক্ত হলেন যেখানে মেয়েদের নিয়ে কথাবার্তাগুলো বিশেষ মিষ্টি ছিল না (অন্তত আজকের দিনের পরিপ্রেক্ষিতে)।
  • maximin | 59.93.200.40 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:৫৩515700
  • আমি কি তাই বললাম নাকি? পড়া ব্যাপারটা দুরকমভাবে হয়।
    ১) প্রথমে সবাই নিজে নিজে সুমিত সরকার পড়ে আসবে।
    ২) একজন পড়ে নিয়ে বলবে, যাকে বলে কীনোট অ্যাড্রেস।

    দুই ক্ষেত্রেই অন্যরাও পড়বে, কেস ওয়ানে আগে, কেস টুতে কীনোট শোনার পরে। আর যিনি কীনোট লিখেছেন, ধরে নেওয়া যায় তিনি অন্য অনেক কিছুই অলরেডি পড়েছেন। আলোচনার পরেও তিনি আবার পড়বেন আরও পড়বেন। কারণ এটা তাঁর ইন্টারেস্টের বিষয়।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:৫৩515699
  • * করা যায় না বলে মনে হয়।
  • maximin | 59.93.200.40 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৯:০৯515701
  • অপরাধ নিয়েন না সৈকত। টি এবং আকা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে, আপনি লিখুন।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৯:১৮515702
  • সৈকত হোক না। লোকজন পড়া করতে বল্লে আমরাও বকে দেব নে। আর দুখে খুব সেন্সিটিভ হয়ে আছে। সরল ঈশ্বরভক্তি খুব খারাপ কিছু একথা বলি নি তো। :)

    হ্যাঁ সৈকত এটাও ইন্টারেস্টিং মহিলারা কেন দলে দলে রামকৃষ্ণর ভক্ত হলেন? শুনি শুনি, শুনতে চাই। চলুক।
  • ppn | 202.91.136.71 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৯:২৩515704
  • হ্যাঁ, সৈকত লেখো। আমার কিছু কোশ্ন আছে।
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৯:৪০515705
  • আমাদের দেশে ধর্মের প্রভাব চিরকালই খুব বেশী (যদিও ধীরে ধীরে এই প্রভাব কমার দিকেই যাচ্ছে)। গুরুবাদ, ভক্তিবাদ ইত্যাদি প্রবল। সেইজন্যেই রামকৃষ্ণ, সারদার অত ভক্ত। যে সব নারী ভক্তরা রামকৃষ্ণ বলতে অজ্ঞান, তাঁরা, অন্তত আমি যতটুকু দেখেছি, এমনিতেই নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ বলেই মনে করেন। তাঁরা তাঁদের এই দ্বিতীয় শ্রেণীর স্ট্যাটাস শান্তভাবে অ্যাকেসপ্ট করেছেন। তাছাড়া, ভারতবর্ষে তো ধর্মগুরুদের বিধান বিনা প্রশ্নে বিনা বিবেচনায় মাথা পেতে নেবার ট্র্যাডিশন। তাই রামকৃষ্ণ বা সারদা ঠিক বল্লেন কিম্বা ভুল এই বিচার কজন শিষ্য করে?

    বিবেকানন্দ দুখেদার লিং আর আমার নামানো পিডিএফ থেকে যতটা পড়েছি, তাতে যা বুঝলাম, বিবেকানন্দ ধর্মের সাহায্য জাতীয়তাবাদ জাগাতে চেয়েছিলেন। জাতির মধ্যে সেল্ফ এস্টিম বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন ধর্মের সাহায্য, কারণ উনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার দিক দিয়ে পাশ্চাত্যের তুলনায় আমরা শ্রেষ্ঠ। উনি বুঝেছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারত কোনোদিনই পাশ্চাত্যের সঙ্গে পেরে উঠবে না। একমাত্র ধর্মই ভারতকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন দিতে পারে। তাই ধর্ম প্রচারের কাজ ওঁর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

    কিন্তু বিবেকানন্দের হিসেবে খানিক ভুল ছিল (আমার মত)। প্রথমত, হিন্দু ধর্ম অর্থ বা লোকবল কোনোদিক দিয়েই খ্রিশ্চিয়ানিটির মতন শক্তিশালী ধর্ম ছিল না। খ্রিশ্চিয়ানিটির সঙ্গে কম্পিট করতে গেলে যে পরিমাণ ধর্ম প্রচার করতে হত, আর তাতে যা টাকা পয়্‌সা লাগত, তা তখন ভারতে কোথায়?

    দ্বিতীয়ত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব মানুষের জীবনে ক্রমশই কমে আসছে। অতএব বিবেকানন্দ যেমন ভেবেছিলেন, পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ভারতের হিন্দুর ধর্মের একটি চমৎকার ট্রেড হবে, ভারত হবে পাশ্চাত্যের ধর্মগুরু, আর পাশ্চাত্যের দেশ হবে ভারতের বিজ্ঞান গুরু,সেইটি আর হল না। কেননা লাভের মূল্য দু ক্ষেত্রে সমান নয়।

    ডি: দিয়ে দিই, এ পর্যন্ত যতটা পড়ার সময় পেয়েছি তাতে এইটুকু মনে হল। আরো পড়লে আরো অন্যরকম মনে হতেও পারে। তবে অধিকাংশ লেখাতেই এত এত বেশী আধ্যাত্মিকতা যে ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছি। :-((
  • maximin | 59.93.200.40 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২০:৪৫515706
  • পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ভারতের হিন্দুর ধর্মের একটি চমত্‌কার ট্রেড হবে, ভারত হবে পাশ্চাত্যের ধর্মগুরু, আর পাশ্চাত্যের দেশ হবে ভারতের বিজ্ঞান গুরু,সেইটি আর হল না। কেননা লাভের মূল্য দু ক্ষেত্রে সমান নয়। জ্জিও রিমি।
  • dukhe | 14.99.58.181 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২১:৩৮515707
  • আরে আকা আবার দুখের সেন্সিটিভিটির কী পেল ? বিবেকানন্দ যে বলেছিলেন - রামকেষ্টবাবুর বাইরে ভক্তি, ভেতরে জ্ঞান আর ওনার নিজের বাইরে জ্ঞান, ভেতরে ভক্তি; কিংবা সারদামণি যে পরে সেই গুরুভাইদের বলছেন - তোমাদের গুরু অদ্বৈতবাদী ছিলেন - সেরেফ মূর্তিপুজো আর সরল ভক্তি থিওরিতে এগুলো ফিট করবে না । মানে রামকেষ্ট মানে ভক্তি তো বটেই, কিন্তু আবার শুধু ভক্তিও নয় - এগুলো কিলিয়ার হতে হবে তো । বা রামকেষ্ট সমাজসেবী নন ঠিক, কিন্তু নরেন নিজের মুক্তিসাধনা করবে বলায় ধাতাচ্ছেন, বটগাছ হতে বলছেন । এসবগুলো বাদ দিলে আবার উটের পাকস্থলী ।

    সৈকত কি সত্যিই লেখাটা কাটিয়ে দেবে ?
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২১:৪৪515708
  • দুখেদার হয়ে মানেবই লিখি: ধম্মো (বা শ্রী রামকৃষ্ণের বানী বা বিবেকানন্দের বানী বা সাঁইবাবার ম্যাজিকসহ বানী) হল বেলের মতন, বাইরের শক্ত খোসাটা কোনো কাজের নয়, ঐটা ফেলে দিয়ে ভিতরের শাঁসটা নিতে হয়। ভিতরের শাঁসটা হল জীবন দর্শন।

    মাইরি, বহুত কঠিন কাজ। বিবেকানন্দ পড়তে গিয়ে টের পাচ্ছি, খোসাটা এতই বেশি, আর অনেকখানি খোসার মধ্যে শাঁস এতই অল্প, যে এত কাজের মধ্যে থেকে খোসা ছাড়িয়ে শাঁস বের করাটা অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ লাভজনক হচ্ছে না।
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২১:৪৬515709
  • রামকৃষ্ণের কথামৃত আবার এমনি বেলও নয়, কয়েৎবেল। শাঁসের সঙ্গে তেল, চিনি, লংকা ইত্যাদি না মিশালে ঠিক স্বাদটি পাওয়া যায় না :-))
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২১:৫৭515710
  • আর ইয়ে, আমার মতে ইশ্বর ভক্তি, সরল কিম্বা বক্র যেমনই হউক, খুবই খারাপ। যার কোনো অস্তিত্বই নেই, (বা ধরা যাক আছে কি নেই সেইটা পরিষ্কার জানা নেই), তাকে খামোখা ভক্তি করে, আর তার নাম দিয়ে হাজার খানা ভুলভাল নিয়ম বানিয়ে তার পিছনে টাকা পয়সা এনার্জি ইত্যাদি খরচ করা এবং অন্যকে দিয়ে খরচ করানোটা অত্যন্ত খারাপ ব্যপার।

    আগে যা ছিল, ছিল। তা বলে এই ২০১২ সালেও সেই ইশ্বরভক্তি নিয়ে পড়ে থাকতে হবে??? হায় "ইশ্বর"!! :-(
  • dukhe | 14.99.44.191 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২২:০২515711
  • ধুর । সার্নে ঐ কীসব খুঁজতে যা খচ্চা হচ্ছে, ঈশ্বর তো তুলনায় অনেক সস্তা । ফুল বেলপাতা ইত্যাদি । কতই বা দাম । মূর্তিও ছোট করুন বা কাটিয়ে দিন ।
  • saikat | 116.203.187.157 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২২:২৪515712
  • আকার প্রধাণ বক্তব্য এটাই যে বিবেকানন্দর মত শিক্ষিত, ধনী ঘরের সন্তান কেন রামকৃষ্ণর চেলা হলেন, কেশব সেনের নয়?

    এখানে একটা মজা আছে। যত সহজে কেশব সেনকে, রামকৃষ্ণর মতের উল্টোদিকে বসাতে চাইছ (বা হয়ত চাইছ না, আমি সেটা ভাবছি), ব্যাপারটা যে অত সহজ নয়, সেটা বুঝতে পারবে এটা থেকেই যে উনবিংশ শতকের নবজাগরণের পুরোধা বলে যাদের মনে করি, তাদের মধ্যে কেশব সেনই হয়ত সবচেয়ে বেশী পরিমাণে রামকৃষ্ণর গুণমুগ্‌ধ হয়ে পড়েন এবং ব্রাহ্ম পরিচালিত কাগজগুলোর মাধ্যমেই রামকৃষ্ণ ইংরেজী-শিক্ষিতদের মধ্যে প্রথম পরিচিতি পান। কথামৃতর লেখক, মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (শ্রীম) রামকৃষ্ণর সাথে সাক্ষাতের আগে কেশব সেনের বক্তৃতায় আকৃষ্ট হয়ে ব্রাহ্মদের সমাজ্‌মন্দির ইত্যাদি জায়্‌গায় যেতেন। পরবর্তী সময়ে কেশব সেনের প্রতি ঐ আকর্ষণের কারণ হিসেবে বলেছিলেন - "ও: তাঁকে যে এত ভাল লাগত এবং দেবতা বলে মনে হত তার কারণ তিনি তখন বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঠাকুরের কাছে যাতায়াত করছেন এবং ঠাকুরের অমৃতময় উপদেশগুলি তাঁর নাম না উল্লেখ করে প্রচার করছেন!" এরকমও বলা হয়, যে কেশব সেনের অনুগামীদের আবিষ্কার ও প্রভাবিত করার পর ত্থেকেই ইংরেজীশিক্ষিত পেশাদার লোকজন, মধ্যবিত্ত লোকজন ও ছাত্ররা বেশী সংখ্যায় রামকৃষ্ণর কাছে আসতে থাকেন !

    বলতে চাইছি, এরকম একটা সরল সমীকরণ করলে, যার একদিকে আছে ব্রাহ্ম সমাজ তাদের উদার চিন্তাভাবনা ও কাজকর্ম নিয়ে আর অন্যদিকে রামকৃষ্ণ ও তাঁর ভক্তিভিত্তিক ধর্ম আলোচনা, সেই সমীকরণ দিয়ে সমসাময়িক জটিলতাকে বিশেষ করে তৎকালীন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কনফিউশনকে বোঝা যাবে না। হয়ত এই কনফিউশনটা আদতে ব্রাহ্মদের কাজকর্মের সত্যিকারের প্রভাব নিয়েই প্রশ্ন তোলে যেটা অবশ্য খুব নতুন কিছু নয়। এবং এই কনফিউশনটা ছিল বলেই মনে হয় বিবেকানন্দর মত কিংবা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর মত (বি এ পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছিলেন, মেট্রোপলিটান স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং সেই সময়ে মোটামুটি পড়াশোনার যা ট্রেন্ড অর্থাৎ মিল-স্পেন্সাঅর ইত্যাদি সেগুলো পড়া ছিল) শিক্ষিত লোকজন রামকৃষ্ণর দিকে ঝুঁকেছিলেন।
  • r2h | 198.175.62.19 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:০৬515713
  • মুশকিল হয়েছে আমার। আমি ব্যাদ উপনিষদ বেন্থাম মেটিরিয়া মেডিকা স্বামী শিষ্য সংবাদ কি করিতে হইবে কিছুই পড়িনি। আর পক্ষে বিপক্ষে যে যাই লিখছে তা পড়েই মনে হচ্ছে কি তুমুল যুক্তিজাল কি গিটকিরি কি দার্ঢ্য।

    আমার মানবজমিনে কেবল অনিচ্ছুক চাষি।
  • ridhhi | 192.108.242.54 | ২৩ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:০৭515715
  • তাতিন, 'আদর্শ/দর্শন ছাড়া' - অনেকেই করেছে । গান্ধী করেছে। উনি তো আর আলাদা কোন দার্শনিক সিস্টেম নামাননি, পরে জনতা পড়ে টড়ে এনালাইজ করে 'গান্ধিবাদ' তকমা এটেছে। যেটুকু দর্শন বলা যায়, ঐ সত্য, ইত্যাদি, ওটা কমন ব্যাপার , একটা স্পিরিচুয়াল ইনার লাইফ এর বাই-প্রোডাক্ট। সে বিবেকানন্দ রো ছিল। মানে উনি এই দিক থেকে অনন্য নন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন