এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৪৫৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 59.93.200.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০২:২২515850
  • ঐ ইন্টারপ্রেটেশন পার্থ চ্যাটার্জির নহে উহা ত্যাগানন্দ স্বামীর ইন্টারপ্রেটেশন। শেষে কিনা ভিকিকে ছেড়ে ত্যাগা? কী বিপদের কথা।
  • rimi | 168.26.205.19 | ২৪ জানুয়ারি ২০১২ ০২:২৬515851
  • হ্যাঁ, ম্যাক্সিদি, শুধু ব্যক্তিত্ব কেন, চেহারাও তো কম আকর্ষনীয় ছিল না। :-)
    তবে দেশি মেয়েদের থেকে বিবেকানন্দের ভয় পাবার তেমন কিছু ছিল না। কটা দেশি মেয়ের সেই সময়ে এমন সাহস ছিল যে নিজে থেকে এগিয়ে এসে অমন এক শিক্ষিত তেজস্বী যুবককে প্রেম নিবেদন করবে?
    মেমদের কথা অবশ্যি চিরকালই আলাদা।
  • সুশান্ত | 127.203.164.191 | ২৮ অক্টোবর ২০১২ ১৫:১১515852
  • আমার আমীর আলি পড়া ছিল অনেক আগে। পড়ে মনে হয়েছে, ব্রিটিশ সংসদের অধীনে ভারতের চলে যাবার পর নতুন যে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জায়গা তৈরি হচ্ছিল তাকেই ধর্মীয় বৈধতা দেবার জন্যে হিন্দু মুসলমান দু'পক্ষই তৈরি হচ্ছিলেন। ইসলাম থাকছিল না আগের মতো, হিন্দু ধর্মও। পড়লে দু'পক্ষেই প্রচুর মিল পাওয়া যাবে। বঙ্কিমের কৃষ্ণচরিত্র আর আমীর আলির হিস্ট্রি অব স্যারাসিনসের মধ্যে আমি কোন তফাৎ পাইনি। দু'জনই প্রায় একই চোখে দুই অবতার পুরুষের মানসমূর্তী গড়ে তুলছেন। চরিত্র দুটোই বিপ্লবী। সমাজের ধাঁচা পালটে দিচ্ছে। হিন্দু মন বিবেকানন্দে মজে গেল, আমির আলিতে নয়। একতা বিকল্প আখ্যান সমস্ত চিন্তার বাইরে চলে গেল। হিন্দু বিশ্বাস করতে শুরু করল, কৈ আমাদের মতো ওদেরতো একজন বিবেকানন্দও নেই! :) এটা হতে কি পারে? এটা কেউ ভাবলৈ না!
  • pi | 24.139.209.3 | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:৫২515853
  • একটু তুললাম।
  • বিপ | 132.172.106.60 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৩:২৯515854
  • শুধু শুধু জটিল চিন্তা ভাবনা।

    গোটা পৃথিবীটা হচ্ছে শুধু কেনা, আর বেচা।

    বিবুদা, নিজেকে ভালো বেচেছেন। ক্যালি লাগে।
  • শুধু | 72.210.24.163 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:১২515855
  • বালস্য বাল বিপ্পোবাল নিজেকে আর বেচে উঠতে পারল না। যাই লেখে তাতে কয়েকশো ভুল আর খেলো ফালতু বক্তব্য। পোঁদো মোছা যায় না ঐ দিয়ে
  • pi | 24.139.209.3 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০০:৫১515856
  • এটা বিবেকানন্দের বক্তব্য ?

    মনে হয় ঠিকই। হলে বানরসেনাদের এই বিবেকানন্দকে টেনে লাফালাফি একটু বন্ধ হবে। ভগৎ সিং নিয়ে করতে গিয়েও যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি হবে। ঠিকঠাক প্রচার পেলে।

  • avi | 113.252.164.223 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০০:৫৫515857
  • হ্যাঁ, ওনারই কথা। ছোটবেলায় যে "যুগপুরুষ বিবেকানন্দ " বইটা পড়তাম, তাতেও এই গল্পটা থাকত দেখতাম। পরে অন্য জায়গাতেও দেখেছি, ইনক্লুডিং সুনীলের প্রথম আলো।
  • Abhyu | 208.137.20.184 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৫515858
  • স্বামী-শিষ্য সংবাদ বলে একটা বই আছে যেটা স্বামীজীর রচনাবলীতেও ইনক্লুডেড। সেখানে এই ঘটনাটার কথা আছে।
  • Abhyu | 208.137.20.184 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৭515861

  • স্থান—কলিকাতা, প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়ের বাটী, বাগবাজার
    কাল—ফেব্রুআরি(শেষ সপ্তাহ), ১৮৯৭

    প্রথমবার বিলাত হইতে ভারতে ফিরিবার পর তিন চারিদিন হইল স্বামীজী কলিকাতায় পদার্পণ করিয়াছেন। আজ মধ্যাহ্নে বাগবাজারের রাজবল্লভপাড়ায় শ্রীরামকৃষ্ণ-ভক্ত শ্রীযুক্ত প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে স্বামীজীর নিমন্ত্রণ। সংবাদ পাইয়া বহু ভক্ত আজ তাঁহার বাড়িতে সমাগত হইতেছেন। শিষ্যও লোকমুখে সংবাদ পাইয়া মুখুয্যে মহাশয়ের বাড়িতে বেলা প্রায় ২ টার সময় উপস্থিত হইল। স্বামীজীর সঙ্গে শিষ্যের এখনও আলাপ হয় নাই। শিষ্যের জীবনে স্বামীজীর দর্শনলাভ এই প্রথম।
    শিষ্য উপস্থিত হইবামাত্র স্বামী তুরীয়ানন্দ তাহাকে স্বামীজীর নিকটে লইয়া যাইয়া পরিচয় করাইয়া দিলেন। স্বামীজী মঠে আসিয়া শিষ্যরচিত একটি ‘শ্রীরামকৃষ্ণস্তোত্র’ পাঠ করিয়া ইতঃপূর্বেই তাহার বিষয় শুনিয়াছিলেন; শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভক্তগরিষ্ঠ নাগ-মহাশয়ের১ কাছে তাহার যে যাতায়াত আছে—ইহাও স্বামীজী জানিয়াছিলেন।
    শিষ্য স্বামীজীকে প্রণাম করিয়া উপবেশন করিলে স্বামীজী তাহাকে সংস্কৃতে সম্ভাষণ করিয়া নাগ-মহাশয়ের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করিলে এবং তাঁহার অমানুষিক ত্যাগ, উদ্দাম ভগবদনুরাগ ও দীনতার বিষয় উল্লেখ করিতে করিতে বলিলেন—‘বয়ং তত্ত্বান্বেষাদ্ হতাঃ মধুকর ত্বং খলু কৃতী’২। কথাগুলি নাগ-মহাশয়কে লিখিয়া জানাইতে শিষ্যকে আদেশ করিলেন। পরে বহু লোকের ভিড়ে আলাপ করিবার সুবিধা হইতেছে না দেখিয়া, তাহাকে ও স্বামী তুরীয়ানন্দকে পশ্চিমের ছোট ঘরে লইয়া গিয়া শিষ্যকে ‘বিবেকচূড়ামণি’র এই কথাগুলি বলিতে লাগিলেনঃ

    মা ভৈষ্ট বিদ্বন্ তব নাস্ত্যপায়াঃ
    সংসারসিন্ধোস্তরণেহস্ত্যুপায়ঃ।
    যেনৈব যাতা যতয়োহস্য পারং
    তমেব মার্গং তব নির্দিশামি।।৩

    এবং তাহাকে আচার্য শঙ্করের ‘বিবেকচূড়ামণি’ নামক গ্রন্থখানি পাঠ করিতে আদেশ করিলেন।
    নানা প্রসঙ্গ চলিতেছে এমন সময় একজন আসিয়া সংবাদ দিল যে, ‘মিরর’৪- সম্পাদক শ্রীযুক্ত নরেন্দ্রনাথ সেন স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছেন। স্বামীজী বলিলেন, ‘তাঁকে এখানে নিয়ে এসো।’ নরেন্দ্রবাবু ছোট ঘরে আসিয়া বসিলেন এবং আমেরিকা ও ইংলণ্ড সম্বন্ধে স্বামীজীকে নানা প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। উত্তরে স্বামীজী বললেনঃ
    আমেরিকাবাসীর মতো এমন সহৃদয়, উদারচিত্ত, অতিথিসেবাপরায়ণ, নব নব ভাবগ্রহণে একান্ত সমুৎসুক জাতি জগতে আর দ্বিতীয় দেখা যায় না। আমেরিকায় যা কিছু কাজ হয়েছে, তা আমার শক্তিতে হয়নি; আমেরিকার লোক এত সহৃদয় বলেই তাঁরা বেদান্তভাব গ্রহণ করেছেন।
    ইংলণ্ডের কথায় বলিলেনঃ ইংরেজের মতো োন্সের্ভতিভে (প্রাচীন রীতিনীতির পক্ষপাতী) জাতি জগতে আর দ্বিতীয় নেই। তারা কোন নূতন ভাব সহজে গ্রহণ করতে চায় না, কিন্তু অধ্যবসায়ের সহিত যদি তাদের একবার কোন ভাব বুঝিয়ে দেওয়া যায়, তবে তারা কিছুতেই তা আর ছাড়ে না। এমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা অন্য কোন জাতিতে মেলে না। সেইজন্য তারা সভ্যতায় ও শক্তি-সঞ্চয়ে জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে।
    উপযুক্ত প্রচারক পাইলে আমেরিকা অপেক্ষা ইংলণ্ডেই বেদান্ত-প্রচারকার্য স্থায়ী হইবার অধিকতর সম্ভাবনা, ইহা জানাইয়া স্বামীজী বলিলেনঃ
    আমি কেবল কাজের পত্তন মাত্র ক’রে এসেছি। পরবর্তী প্রচারকগণ ঐ পন্থা অনুসরণ করলে কালে অনেক কাজ হবে।
    নরেন্দ্রবাবু। এইরূপ ধর্মপ্রচার দ্বারা ভবিষ্যতে আমাদের কি আশা আছে?
    স্বামীজী। আমাদের দেশে আছে মাত্র এই বেদান্তধর্ম। পাশ্চাত্য সভ্যতার তুলনায় আমাদের এখন আর কিছু নেই বললেই হয়। কিন্তু এই সার্বভৌম বেদান্তবাদ—যা সকল মতের, সকল পথের লোককেই ধর্মলাভে সমান অধিকার প্রদান করে—এর প্রচারের দ্বারা পাশ্চাত্য সভ্য জগৎ জানতে পারবে, ভারতবর্ষে এক সময়ে কি আশ্চর্য ধর্ম -ভাবের স্ফুরণ হয়েছিল এবং এখনও রয়েছে। এই মতের চর্চায় পাশ্চাত্য জাতির আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি হবে—অনেকটা এখনই হয়েছে। এইরূপে যথার্থ শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি লাভ করতে পারলে আমরা তাদের নিকট ঐহিক জীবনের বিজ্ঞানাদি শিক্ষা করে জীবন-সংগ্রামে অধিকতর পটু হবো। পক্ষান্তরে তারা আমাদের নিকট এই বেদান্তমত শিক্ষা করে পারমার্থিক কল্যানলাভে সমর্থ হবে।
    নরেন্দ্রবাবু। এই আদান-প্রদানে আমাদের রাজনৈতিক কোন উন্নতির আশা আছে কি?
    স্বামীজী। ওরা (পাশ্চাত্যেরা) মহাপরাক্রান্ত বিরোচনের৫ সন্তান; ওদের শক্তিতে পঞ্চভূত ক্রীড়াপুত্তলিকার মতো কাজ করছে; আপনারা যদি মনে করেন, আমরা এদের সঙ্গে সংঘর্ষে ঐ স্থূল পাঞ্চভৌমিক শক্তি- প্রয়োগ করেই একদিন স্বাধীন হবো, তবে আপনারা নেহাত ভুল বুঝছেন। হিমালয়ের সামনে সামান্য উপলখণ্ড যেমন, ওদের ও আমাদের ঐ শক্তি- প্রয়োগকুশলতায় তেমন প্রভেদ। আমার মত কি জানেন? আমরা এইরূপ বেদান্তোক্ত ধর্মের গূঢ় রহস্য পাশ্চাত্য জগতে প্রচার করে, ঐ মহাশক্তিধরগণের শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি আকর্ষণ ক’রে ধর্মবিষয়ে চিরদিন ওদের গুরুস্থানীয় থাকব এবং ওরা ইহলৌকিক অন্যান্য বিষয়ে আমাদের গুরু থাকবে। ধর্ম জিনিসটা ওদের হাতে ছেড়ে দিয়ে ভারতবাসী যেদিন পাশ্চাত্যের পদতলে ধর্ম শিখতে বসবে, সেইদিন এ অধঃপতিত জাতির জাতিত্ব একেবারে ঘুচে যাবে। দিনরাত চীৎকার করে ওদের—‘এ দেও, ও দেও’ বললে কিছু হবে না। আদান-প্রদানরূপ কাজের দ্বারা যখন উভয়পক্ষের ভিতর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির একটা টান দাঁড়াবে , তখন আর চেঁচামেচি করতে হবে না। ওরা আপনা হতেই সব করবে।
    আমরা বিশ্বাস—এইরূপে, ধর্মের চর্চায় ও বেদান্তধর্মের বহুল প্রচারে এদেশ ও পাশ্চাত্য দেশ—উভয়েরই বিশেষ লাভ। রাজনীতিচর্চা এর তুলনায় আমার কাছে গৌণ(সেোন্দর‌্য) উপায় বলে বোধ হয়। আমি এই বিশ্বাস কাজে পরিণত করতে জীবনক্ষয় করব। আপনারা ভারতের কল্যাণ অন্যভাবে সাধিত হবে বুঝে থাকেন তো অন্যভাবে কাজ করে যান।
    নরেন্দ্রবাবু স্বামীজীর কথায় সম্মতি প্রকাশ করিয়া কিছুক্ষণ বাদে উঠিয়া গেলেন। শিষ্য স্বামীজীর পূর্বোক্ত কথাগুলি শুনিয়া অবাক হইয়া তাঁহার দীপ্ত মূর্তির দিকে অনিমেষ নয়নে চাহিয়া রহইল।
    নরেন্দ্রবাবু চলিয়া গেলে পর, গোরক্ষিণী সভার জনৈক উদ্যোগী প্রচারক স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করিতে উপস্থিত হইলেন। পুরা না হইলেও ইঁহার বেশভূষা অনেকটা সন্ন্যাসীর মতো—মাথায় গেরুয়া রঙের পাগড়ি বাঁধা, দেখিলেই বুঝা যায় ইনি হিন্দুস্থানী। গোরক্ষা-প্রচারকের আগমন-বার্তা পাইয়া স্বামীজী বাহিরের ঘরে আসিলেন। প্রচারক স্বামীজীকে অভিবাদন করিয়া গোমাতার একখানি ছবি তাঁহাকে উপহার দিলেন। স্বামীজী উহা হাতে লইয়া নিকটবর্তী অপর এক ব্যক্তির হাতে দিয়া তাঁহার সহিত নিম্নলিখিত আলাপ করিয়াছিলেনঃ
    স্বামীজী। আপনাদের সভার উদ্দ্যেশ্য কি?
    প্রচারক। আমরা দেশের গোমাতাগণকে কসাইয়া হাত হইতে রক্ষা করিয়া থাকি। স্থানে স্থানে পিঁজরাপোল স্থাপন করা হইয়াছে। সেখানে রুগ্ন, অকর্মণ্য এবং কসাইয়ের হাত হইতে ক্রীত গোমাতাগণ প্রতিপালিত হণ।
    স্বামীজী। এ অতি উত্তম কথা। আপনাদের আয়ের পন্থা কি?
    প্রচারক। দয়াপরাবশ হইয়া আপনাদের ন্যায় মহাপুরুষ যাহা কিছু দেন, তাহা দ্বারাই সভার ঐ কার্য নির্বাহ হয়।
    স্বামীজী। আপনাদের গচ্ছিত কত টাকা আছে?
    প্রচারক। মারোয়াড়ী বণিকসম্প্রদায় এ কার্যের বিশেষ পৃষ্ঠপোষক। তাঁহারা এই সৎকার্যে বহু অর্থ দিয়াছেন।
    স্বামীজী। মধ্য-ভারতে এবার ভয়ানক দুর্ভিক্ষ হয়েছে। ভারত গর্ভনমেন্ট নয় লক্ষ লোকের অনশনে মৃত্যুর তালিকা প্রকাশ করেছেন। আপনাদের সভা এই দুর্ভিক্ষকালে কোন সাহায্যদানের আয়োজন করেছে কি?
    প্রচারক। আমরা দুর্ভিক্ষাদিতে সাহায্য করি না। কেবলমাত্র গোমাতাগণের রক্ষাকল্পেই এই সভা স্থাপিত।
    স্বামীজী। যে দুর্ভিক্ষে আপনাদের জাতভাই লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হল, সামর্থ্য সত্ত্বেও আপনারা এই ভীষণ দুর্দিনে তাদের অন্ন দিয়ে সাহায্য করা উচিত মনে করেননি?
    প্রচারক। না। লোকের কর্মফলে-পাপে এই দুর্ভিক্ষ হইয়াছিল; যেমন কর্ম তেমনি ফল’ হইয়াছে।
    প্রচারকের কথা শুনিয়া স্বামীজীর বিশাল নয়নপ্রান্তে যেন অগ্নিকণা স্ফুরিত হইতে লাগিল, মুখ আরক্তিম হইল; কিন্তু মনের ভাব চাপিয়া বলিলেনঃ
    যে সভা-সমিতি মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে না নিজের ভাইঅনশনে মরছে দেখেও তার প্রাণরক্ষার জন্য এক মুষ্টি অন্ন না দিয়ে পশুপক্ষিরক্ষার জন্য রাশি রাশি অন্ন বিতরণ করে, তার সঙ্গে আমার কিছুমাত্র সহানুভূতি নেই; তার দ্বারা সমাজের বিশেষ কিছু উপকার হয় ব’লে আমার বিশ্বাস নেই। কর্মফলে মানুষ মরছে—এরূপে কর্মের দোহাই দিলে জগতে কোন বিষয়ের জন্য চেষ্টাচরিত্র করাটাই একেবারে বিফল বলে সাব্যস্ত হয়। আপনাদের পশুরক্ষার কাজটাও বাদ যায় না। ঐ কাজ সম্বন্ধেও বলা যেতে পারে—গোমাতারা নিজ নিজ কর্মফলেই কসাইদের হাতে যাচ্ছেন ও মরছেন, আমাদের ওতে কিছু করবার প্রয়োজন নেই।
    প্রচারক। (একটু অপ্রতিভ হইয়া) হাঁ, আপনি যাহা বলিয়াছেন, তাহা সত্য; কিন্তু শাস্ত্র বলে—গরু আমাদের মাতা।
    স্বামীজী। (হাসিতে হাসিতে) হাঁ গরু আমাদের যে মা, তা আমি বিলক্ষণ বুঝেছি—তা না হলে এমন সব কৃতী সন্তান আর কে প্রসব করিবেন?
    হিন্দুস্থানী প্রচারক ঐ বিষয়ে আর কিছু না বলিয়া (বোধ হয় স্বামীজীর বিষম বিদ্রুপ তিনি বুঝিতেই পারিলেন না) স্বামীজীকে বলিলেন যে, সেই সমিতির উদ্দেশ্যে তিনি তাঁহার কাছে কিছু ভিক্ষাপ্রার্থী।
    স্বামীজী। আমি তো সন্ন্যাসী ফকির লোক। আমি কোথায় অর্থ পাবো, যাতে আপনাদের সাহায্য করব? তবে আমার হাতে যদি কখনও অর্থ হয়, আগে মানুষের সেবায় ব্যয় করব; মানুষকে আগে বাঁচাতে হবে- অন্নদান, বিদ্যাদান, ধর্মদান করতে হবে। এ-সব ক’রে যদি অর্থ বাকী থাকে, তবে আপনাদের সমিতিতে কিছু দেওয়া যাবে।
    কথা শুনিয়া প্রচারক মহাশয় স্বামীজীকে অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিলেন। তখন স্বামীজী আমাদিগকে বলিতে লাগিলেনঃ
    কি কথা বললে! বলে কিনা—কর্মফলে মানুষ মরছে, তাদের দয়া করে কি হবে? দেশটা যে অধঃপাতে গেছে, এই তার চূড়ান্ত প্রমাণ। তোদের হিন্দুধর্মের কর্মবাদ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে দেখলি? মানুষ হয়ে মানুষের জন্যে যাদের প্রাণ না কাঁদে, তাদের কি আবার মানুষ?
    এই কথা বলিতে বলিতে স্বামীজীর সর্বাঙ্গ যেন ক্ষোভে দুঃখে শিহরিয়া উঠিল। পরে স্বামীজী শিষ্যকে বলিলেনঃ
    আবার আমার সঙ্গে দেখা করো।
  • sosen | 177.96.24.48 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০২:২১515862
  • টি ২০১২ তে ছিল?
  • b | 24.139.196.6 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৭:৫৯515863
  • আচ্ছা ইয়ে, এমন কোনো বিবেকানন্দ সমগ্র পাওয়া যায় কি যেখানে ইংরাজি ও বাংলা লেখাগুলি বা চিঠিগুলি আলাদা আলাদা ভাবে আছে? বাণী ও রচনায় মনে হচ্ছে সমস্ত ইংরিজি বইগুলি অনুবাদ করে দেওয়া।
  • Abhyu | 85.137.5.201 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:২৬515864
  • নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে।
  • b | 24.139.196.6 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৪৮515865
  • পাই,মুশকিল হল, ঐ স্বামী শিষ্য সংবাদের পরের পাতাতেই বিবেকানন্দ বলছেন, মেয়েদের শিক্ষা দিয়ে ভালো গিন্নি করে তুলতে হবে ইত্যাদি। সেটা আবার বানরসেনাদের পছন্দ হবে।

    কোটেশন দিয়ে কোটেশন কাউন্টার করার একটা বিপদ আছে। বিশেষ করে এমন ব্যক্তির কোট যিনি আজ থেকে একশো বছরের-ও আগে চলে গেছেন।
  • pi | 74.233.173.185 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৩515866
  • ঐ গিন্নি করার পুরো কোটটা পাওয়া যাবে ?
  • পুরো কোট | 24.139.196.6 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৯:৪০515867
  • শিষ্য॥ কেন মহাশয়, আজকাল মেয়েদের জন্য কত স্কুল-কলেজ হইয়াছে। কত স্ত্রীলোক এম।এ, বি।এ পাস করিতেছে।

    স্বামীজী॥ ও তো বিলাতী ঢঙে হচ্ছে। তোদের ধর্মশাস্ত্রানুশাসনে, তোদের দেশের মত চালে কোথায় কটা স্কুল হয়েছে? দেশে পুরুষদের মধ্যেও তেমন শিক্ষার বিস্তার নেই, তা আবার মেয়েদের ভেতর! গবর্ণমেণ্টের স্ট্যাটিস্টিক-এ (সংখ্যাসূচক তালিকায়) দেখা যায়, ভারতবর্ষে শতকরা ১০।১২ জন মাত্র শিক্ষিত, তা বোধ হয় মেয়েদের মধ্যে one per cent (শতকরা একজন)-ও হবে না, তা না হলে কি দেশের এমন দুর্দশা হয়? শিক্ষার বিস্তার—জ্ঞানের উন্মেষ—এ-সব না হলে দেশের উন্নতি কি করে হবে? তোরা দেশে যে কয়জন লেখাপড়া শিখেছিস—দেশের ভাবী আশার স্থল—সেই কয়জনের ভেতরেও ঐ বিষয়ে কোন চেষ্টা উদ্যম দেখতে পাই না। কিন্তু জানিস, সাধারণের ভেতর আর মেয়েদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার না হলে কিছু হবার যো নেই। সেজন্য আমার ইচ্ছা, কতকগুলি ব্রহ্মচারী ও ব্রহ্মচারিণী তৈরী করব। ব্রহ্মচারীরা কালে সন্ন্যাস গ্রহণ করে দেশে দেশে গাঁয়ে গাঁয়ে গিয়ে mass-এর (জনসাধারণের) মধ্যে শিক্ষাবিস্তারে যত্নপর হবে। আর ব্রহ্মচারিণীরা মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার করবে। কিন্তু দেশী ধরনে ঐ কাজ করতে হবে। পুরুষদের জন্য যেমন কতকগুলি েন্ত্রে (শিক্ষাকেন্দ্র) করতে হবে, মেয়েদের শিক্ষা দিতেও সেইরূপ কতকগুলি কেন্দ্র করতে হবে। শিক্ষিতা ও সচ্চরিত্রা ব্রহ্মচারিণীরা ঐ সকল কেন্দ্রে মেয়েদের শিক্ষার ভার নেবে। পুরাণ, ইতিহাস, গৃহকার্য, শিল্প, ঘরকন্নার নিয়ম ও আদর্শ চরিত্র গঠনের সহায়ক নীতিগুলি বর্তমান বিজ্ঞানের সহায়তায় শিক্ষা দিতে হবে। ছাত্রীদের ধর্মপরায়ণ ও নীতিপরায়ণ করতে হবে; কালে যাতে তারা ভাল গিন্নী তৈরী হয়, তাই করতে হবে। এই সকল মেয়েদের সন্তানসন্ততিগণ পরে ঐসকল বিষয়ে আরও উন্নতি লাভ করতে পারবে। যাদের মা শিক্ষিতা ও নীতিপরায়ণা হন, তাঁদের ঘরেই বড় লোক জন্মায়। মেয়েদের তোরা এখন যেন কতকগুলি manufacturing machine (উৎপাদন-যন্ত্র) করে তুলেছিস। রাম রাম! এই কি তোদের শিক্ষার ফল হল? মেয়েদের আগে তুলতে হবে, mass-কে (জনসাধারণকে) জাগাতে হবে; তবে তো দেশের কল্যাণ—ভারতের কল্যাণ।

    *********
    শেষ তিনটে বাক্যে ক্ক-এ ক্ক। কিন্তু ঐ গিন্নির লাইনটায় খটকা আছে। সে থাকুক।
  • Abhyu | 85.137.5.201 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৯:৪৮515868
  • ভালো গিন্নি করব না বললে কি আর নিবেদিতার স্কুলে মেয়ে আসত? সমাজের প্রেক্ষিতটা তো ভুললে চলবে না। তখনকার দিনে সে-ই ছিল অনেক। তবে এটাও ঠিক যে ওনারা অর্থোডক্স স্কুলের লোক ছিলেন। বিদ্যাসাগরকে বিদ্রূপ করেছেন - বিধবাদের স্বামীর সংখ্যা ইত্যাদি।
  • আজ | 132.177.52.119 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১০:৪৫515869
  • অনেকদিন পরে ফিরে গোটা টইটা আবার পড়লাম।

    অভিজিৎ রায়ের জন্য মনখারাপ হল, রিমি দুখে ইত্যাদিদের প্রচণ্ড মিস করলাম।
  • d | 144.159.168.72 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১০:৫৫515871
  • ২০ পাতা পড়লে বসে .... উফ লোকের হাতে কত সময়।

    রিমিকে আমিও ক্ষুব ক্ষুব মিস করি।
  • টইটা উঠে | 132.177.52.119 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১১:১০515872
  • খুব উপকার হল আসলে। একজন গত পরশ্ব আমাকে হুমকি দিয়েছেন, তিনি বিবেকানন্দ পড়া শেষ করে আমার সঙ্গে তক্কে বসবেন, কেন আমি বিবেকানন্দকে বিশাল ব্যক্তিত্ব মনে করি না, কেন আমি অন্যান্য ধর্মের সঙ্গে হিন্দুধর্মের প্রতিও হেটফুল। বড় চাপে আছি সেই থেকে - বিবেকানন্দ সেই অর্থে কিসুই পড়া নেই আমার। গীতা বা কোরানও পড়ি নি সেইভাবে, খানিক খানিক করে এগিয়ে ছেড়ে দিয়েছি, এত রিপালসিভ লাগছিল। টইটা পড়ে মুখস্থ করে ফেললে তাও খানিক লড়তে পারব।
  • PM | 233.223.155.50 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১১:১৬515873
  • রিমি বলেছিলেন কথামৃত পুরো পড়ে এসে রামুদার গালে আরো গুটি কতক চড় মারবেন----- হায়-- কেউ কথা রাখে না ঃ(
  • নির্মোহ ব | 74.233.173.181 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১১:১৯515875
  • নির্মোহ ব ২ আর ৩ এর লিন্ক ও এখানে থাকা উচিত। ৪ বোধ হয় আর হয় নি। কিন্তু এটা যে পুরোটা নয় আরো কন্টিনুয়েশন অছে সেটা এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে না।
  • ওই একটি বই | 132.177.52.119 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১১:১৯515874
  • পুরোটা পড়লে মাথা ঠাণ্ডা রাখাই চাপ হয়ে যায়। রামুদা কেন, সামনে যে কাউকে চড় মেরে দেওয়া যায় :)
  • Ekak | 212.62.91.54 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১২:১৪515877
  • আচ্ছা এই কথামৃত কেস টা খুবই সন্দেহের । আদৌ রামকৃষ্ণের মুখে বসানো কথাগুলো রাম্ক্রিশ্নের ?

    ব্যাপক সন্দেহের অবকাশ আছে । সন্দেহ অনেকেই পোষণ করেছেন । কিন্তু তাঁরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে চেয়েছেন একটা অশিক্ষিত লোক অত বেদ -বেদান্ত নিয়ে ফান্ডা দিল কিকরে। আমার মনে ওটা সন্দেহের জায়গায় নয় । যাত্রাপালা -কথকতা শুনে বড় হওয়া একটা ছেলে যার কমন সেন্স আছে সে চাট্টি সলোকের সঙ্গে রিলেত করতে পারবে এতে অস্বাভাবিক কিছুই নেই ।

    সন্দেহ একদম উল্টো জায়গায় । এইযে রামকৃষ্ণ মানে যত মোট ততো পথ। উনি নাকি ইসলাম -ক্রিশ্চান সব মতে আচরণ করেছিলেন ( চর্চা নয়, আচরণ , খয়াল রাখুন ) এইটা একটা বিশাল বড় ফেব্রিকেশন বলে মনে হয় । ইটা ওই ডিরোজিও দোল থেকে আসা ছোকরা গুলোর কাজ । ওরা রামকৃষ্ণ কে মাঝখানে রেখে একটা মিথ বানিয়েছিল ইবিং সেই মিথ বিল্ডিং এ এরকম সমন্বয় এর গল্প জরুরি ছিল । ডিরোজিও সম্প্রদায়ী একটা বড় অংশের ছেলেপুলে একচুয়ালি ক্রিসচিয়ান মরালিটি আর উপনিষদের এক এর ধারনাকে মেলাবার স্বপ্ন দেখত । এসব ওদের লেখা আলাদা করে পড়লে বোঝা যায়। এই পুরো রামকৃষ্ণ ইকুয়াল টু ধর্ম সমন্বয় এই মিথ মডেলিং টা ওদের ই কীর্তি। কথামৃত ও খুবই প্ল্যান্দ উপায়ে লেখা একটা বই । এর অনেক অংশের সেকেন্ড সাপর্তিভ অপিনিয়ন আপনি পাবেন । যেখানে রামকৃষ্ণ বিভিন্ন শিষ্য বাড়ি গেছেন । সেগুলো অন্য বই তেও আছে । কিছু অংশ একদম কোনো সেকেন্ড সাপোর্ট নেই । খুবই সন্দেহ জনক ।

    আমার মনেহয়েছে , একজন বামাখ্যাপা গচ্চের লোক কে হাতের কাছে পেয়ে একদল উচ্চাকাঙ্খী যুবক যারা নিজেদের থিওরি দিয়ে কিছু করার স্বপ্ন দেখছিল , তারা সেই লোকটিকে মাঝখানে রেখে একটা মিথ এর সাম্রাজ্য গড়ে তোলে । মহেন্দ্র বাবু কেও হাত করে । যাতে একেবারে লিখিত ইতিহাস বলে মান্যতা দেওয়া যায় ।
  • PM | 233.223.159.19 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১৩:১৬515878
  • কোনো কিছুকে ইউনিক নতুন অ্যাঙ্গেল দিতে এককবাবুর জুড়ি নেই ঃ) ঃ)

    পুরো একটা জমে ক্ষীর কন্সপিরেসি থিওরি নামিয়ে দিলেন ঃ)

    কেশব্চন্দ্র, বংকিম, বিনোদিনী ইত্যাদিদের সাথে কথোপোকথন কিভাবে এই কন্সপিরেসিতে ফিট করবে? ঃ)
  • b | 24.139.196.6 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১৩:২৮515879
  • কিছুটা ঠিক তো বটেই। কারণ রামকৃষ্ণের বাংলা ভাষা, শ্রী ম-র ভিক্টোরিয়ান পালিশ সত্ত্বেও, আকাঁড়া গ্রাম্য বাংলা। সুতরাং সবটাই মিথ তা নয়।
    (বিনোদিনীর সাথে কথোপকথন কি কথামৃততে আছে?)
    কিন্তু এর সাথে ভক্তের নিজের মনের মাধুরিও আছে, সে থাকবেই। যেমন বঙ্কিমকে রামকৃষ্ণ ওনার স্টক কোয়েশ্চেন " মানুষের কর্তব্য কি এসব জিগ্গেস করেছিলেন। বঙ্কিম বলেছিলেন আহার নিদ্রা ও মৈথুন। তাতে রামকৃষ্ণ এক্কেবারে স্ক্যান্ডালাইজড। গুটিকয় কথা শোনাবার পরে দেখা গেল বঙ্কিম কি সব ভাবছেন। আমার ঠাকুমার কাছে কথামৃতের যে ভার্সনটি ছিলো, তাতে এর পরের প্যারাগ্রাফে বোল্ড টাইপ ফেসে লেখা ছিলো
    "বঙ্কিম কি ভাবিতেছিলেন?"
    রেটরিক্যাল প্রশ্ন।
  • san | 113.245.14.101 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১৪:১২515880
  • আপন মনের মাধুরীর কথা নিশ্চিত হয়ে তো বলতে পারি না , তবে রামকৃষ্ণের 'ইমেজ বিল্ডিং' এ মিশনের প্রবল ভূমিকা। মোটামুটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শেণীর কাছে রামকৃষ্ণের এই পরিমাণ অ্যাকসেপ্টেন্স কি এমনি এমনিই হয়ে গেছে নাকি ? ভদ্রলোকের যত মত তত পথ বক্তব্যের কথা সক্কলে জানে । বক্তব্যটা শ্রদ্ধাযোগ্যই। তা বলে উনি যে দাবী করেছিলেন প্রেতলোকের বাসিন্দারা রাতে এসে ওনার সঙ্গে কথা বলে গেছে , এটা শুনলে ওনার মানসিক সুস্থতা নিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষিত লোকেরই সন্দেহ জাগবে এবং তারা সকলে হার্ডকোর নাস্তিক নয় :-) তো কোন তথ্য জনমানসে ছড়াতে হবে আর কোনটা সেন্সর করতে হবে এ নিয়ে মিশন খুবই সচেতন থেকে কাজ করেছে বলেই মনে হয়। ( এর বিপ্রতীপে বলতে পারি অনুকূল ঠাকুরের ভক্তরা গুরুর মণিমুক্তোগুলি সেন্সর না করেই নির্দ্বিধায় প্রচার করেন টরেন)।

    ডিঃ মতামত ব্যক্তিগত।

    বাই দ্য ওয়ে এককের কথা আমি পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারছি না। তোতাপুরী বা ভৈরবী শিক্ষাগুরুর কথা তো জানা যায়। ইসলাম বা ক্রিশ্চিয়ানিটি বিষয়ে কারা রামকৃষ্ণের মেন্টর ছিলেন , কোথাও কোনো তথ্য আছে ?
  • Ekak | 212.62.91.54 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১৯:৫৫515882
  • কন্সপিরেসি মনে হোক বা যাই হোক :

    দেখুন ভক্তি আন্দোলন এর একটা সিডিং প্রসেস থাকেই । নিমাই অত বড় তার্কিক সে হার মেনেছে মানে, না জানি ইশ্বর কত বড় গমের দানা । এইতো ইন্দুর দের লজিক । এখানেও এই ছোকরা গুলো কেও বেম্মো কেও ডিরোজিওর ম্যাও। এরা নিজেরা কেও ওরকম ভক্তির বাণী দিলে লোকে আঁতেল বলে উড়িয়ে দিত । ব্যাটা রা একজায়গা হয়ে রাম্ক্রিশ্নের কাছে হার মানার একটা স্ট্রাকচার খাড়া করেছে উইথ গল্প গাছা । সেখান থেকে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন