এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • কাগুজে গুরুর বইমেলা অভিযান - ৩

    Samik
    বইপত্তর | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ৯৫৫৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 132.177.83.213 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ২১:১৯531597
  • আজকের সেল সম্ভবত চার হাজার ক্রস করে গেছে। আর গুরু আজ জাস্ট ফাটায়ে দেসে। কে না আসে নি আজ গুরুর স্টলে।

    লিখব রাতের দিকে। তর না সইলে আমায় এখন কল করে নিতে পারো।
  • dukhe | 127.194.241.144 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ২১:৩৩531598
  • শীলা দীক্ষিত লাজবাব ক পিস নিল? চিদম্বরম নির্ঘাত অঢেল লুঙ্গি কিনেছে।
  • pi | 78.48.231.217 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ২১:৪৬531599
  • :D

    শ্রাবণীদির কাছে শুনলুম ঃ)
  • siki | 132.177.83.213 | ০৯ মার্চ ২০১৩ ২২:১৭531600
  • চার হাজার একশো কুড়ি।

    আজকের বিক্কিরি।

    খেয়ে উঠে বসছি।
  • siki | 132.177.83.213 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০০:০৩531601
  • গতকাল থেকেই শুরু করি। বিকেলবেলায় পৌঁছলাম যখন বইমেলায়, তখন দেখি নেতাই একগাল হাসি মুখে ঝুলিয়ে বইমেলার বাইরে পায়চারি করতে করতে কাকে যেন ফোন করছে। আমি তো স্কুটার রেখে টেখে সবে ঢুকতে যাচ্ছি, নেতাই এসে ঠিক সেই একই নিরুদ্বেগ শান্ত শীতল গলায় বলল, শমীকদা, একটু আগে এলে মিস করতে না। তসলিমা এসেছিলেন আমাদের স্টলে।

    আমি তো শুনে জাস্ট হুব্বা! বলে কী? তসলিমা এসেছিল? তাও আমাদের স্টলে? কেসটা কী? তারপরে শুনলাম বিকেল বিকেল এসেছিলেন। আনন্দর স্টলে তসলিমার কোনও বই আছে, সেখানে সই দিতে এসেছিলেন। নেতাই গিয়ে সাহস করে তসলিমার বডিগার্ডের বন্দুক এড়িয়ে গিয়ে তসলিমাকে বলেছে, আপনি আমাদের স্টলে একটু আসবেন? তাতেই নাকি মোহিত হয়ে তসলিমা চলে এসেছিলেন গুরুর স্টলে। স্টলে তখন নেতাই আর পিবি, মানে স্বপনবাবু। গুরুর একজন ইরেগুলার নীপা। তসলিমা এলেন, গুরু সম্বন্ধে জানলেন, নিজের ব্লগ পড়তে বললেন, গুরুর ব্যানারটা খুঁটিয়ে পড়ে একটা প্রিন্টিং মিসটেক দেখালেন (guruchandali.com-এর আগে জাস্ট দুটো ww ছিল, তিনটের বদলে)। তারপরে ক্যালেন্ডার কিনে দাম দিতে চাইলে নেতাই হাঁহাঁ করে উঠে সেটা ও তার সঙ্গে একটা গুরুচন্ডালি গুরু সংখ্যা কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে তসলিমাকে দেয়। কাঁপা হাতে দু একটা ছবিও নেয়, তসলিমা তাতে আরও খুশি হয়ে শ্রাবণীর বইতে একটা অটোগ্রাফ দিয়ে চলে যান।



    এর বাইরে উল্লেখযোগ্য ঘটনা কিছু ঘটে নি কাল। নিতান্ত নিরামিষ্যি ভাবে পাঁচশো সামথিং টাকার বিক্রি সেরে আমাদের ফিরতে হয়েছিল।

    সব উসুল হয়ে গেছে আজ।

    একটু দেরি করে স্বর্ণালীকে নিয়ে যখন ঢুকলাম, তখন বইমেলার ঠিক এন্ট্রান্সেই দেখি গোল করে চেয়ার পেতে কী একটা আলোচনাসভা চলছে। সব্বাই খুব উত্তেজিত। আমি কাটিয়ে দিয়ে সোজা চলে গেলাম গুরুর স্টলে। সেখানে বসে শুনছি একজন খুব ঝাড়ছে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনকে। "আপনারা আমাদের ডেকে এনেছেন, মিষ্টির প্যাকেট দিয়েছেন, হাতে মাইক দিয়েছেন, কারণ কি না, কাল যাতে আমি আমার কাগজে কিছু লিখি আপনাদের এই বইমেলা সম্বন্ধে। আপনি বলুন তো, আমি কেন লিখব? লেখার মত ঠিক কী উপকরণ আছে এই মেলায়? কটা লোককে এখানে আনতে পেরেছেন? কতটা প্রচার করেছেন? কতটা ভিড় রয়েছে এখানে?"

    গুটি গুটি এগিয়ে উঁকি মেরে দেখি, কিছু রথী মহারথীরা বসে আছেন। কথায় বার্তায় টের পেলাম, এঁরা সব প্রেসের লোক, আনন্দবাজার পত্রিকা, টিওআই ইত্যাদি। শ্রাবণী আমাকে জানাল, ঐ যে ভদ্রলোক কথা বলছেন, উনি হলেন জয়ন্ত ঘোষাল, আনন্দবাজারের একজন টপ লেভেলের হর্তাকর্তা, মমতার খুব কাছের লোক, ওনাকে পারলে একবার স্টলে এনো।

    বিতর্কসভার শেষে তাঁকে ডাকা হল। খুব খুশি মনেই এলেন গুরুর স্টলে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানলেন গুরু কীভাবে চলে, বই কীভাবে ছাপানো হয়, দিল্লি পর্যন্ত আনা হল কীভাবে, এত কম টাকায় বই বেচে আমাদের পকেটে কী থাকে, আমরা কেন এত কম দামে বই বেচছি, এই সব দিয়ে শুরু করে, বাংলা প্রিন্টের জগতে এখনকার অবস্থা, কলকাতার প্রেসের অবস্থা, বাংলাদেশের অনলাইনে লেখার বাংলা টুলের অভাবনীয় উন্নতি, সব টপিক ছুঁয়ে উনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এখানে কোথাও মীট করো না? কবে কবে মীট করো? বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের কতজনকে চেনো? তোমার বয়েস কত? বিয়ে করো নি এখনও?

    কথা বলছেন আর একটা দুটো করে বই তুলে উল্টে পাল্টে দেখছেন। আমার যৌনতা-র বিষয়বস্তু, বন্দরের সান্ধ্যভাষার বিষয়বস্তু খুব পছন্দ হল, সবশুদ্ধ প্রায় তিনশো টাকার বই কিনলেন। দুটো বই কমপ্লিমেন্টারি করে দুশো টাকার বিল ধরালাম। খুশি মনে টাকা দিয়ে ধরে নিয়ে এলেন অগ্নি রায় কে। আনন্দবাজারের দিল্লি করেসপন্ডেন্ট। জয়ন্ত ঘোষাল আর অগ্নি রায় দুজনেই খুশি মনে তাঁদের ইমেল অ্যাড্রেস লিখে দিলেন আমাদের খাতায়। নিজের ফোন নাম্বারও দিলেন, আমার আর শ্রাবণীর ফোন নাম্বারও নিয়ে বললেন যোগাযোগ রাখতে, মানে সে এক উত্তাল খেজুর আর কি।

    ওদিকে প্ল্যানিং কমিশন থেকে এসেছেন একজন অদিতি রায়। জানালেন, সরকার থেকে কম সার্কুলেশনের পত্রিকাকে বঢ়াবা দেবার জন্য সরকার নিজের খরচায় তাদের পত্রপত্রিকা ছাপানোর স্কিম বানিয়ে রেখেছে। প্ল্যানিং কমিশনের সাইটেই নাকি অনলাইন ফর্ম পাওয়া যায়, উনি ইমেল আর ফোন্নং দিয়ে বললেন মেলার পরে যোগাযোগ করতে, আমাদের ছাপাইয়ের কাজ সরকারি স্কিমে করিয়ে দেবার ব্যাপারে উনি সাহায্য করবেন। গুরুর বই পড়ে উনিও ইমপ্রেসড। বেশ কিছু বই নিয়ে গেলেন।


    উনি যেতেই আবার ফিরে এলেন জয়ন্ত ঘোষাল। সাথে এক মহিলা। আলাপ করিয়ে দিলেন, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। জয়ন্তবাবু এবার নিজে নিজেই গুরুর সুখ্যাত করলেন মৌসুমীর কাছে। মৌসুমী অবশ্য নিলেন না কিছু, বললেন এক্ষুনি অফিস যেতে হবে, তবে কাল আসবেন।

    শ্রাবণী এবং পটাশম্যামকে এইখানে জিন্দাবাদ জানিয়ে রাখি গুরুর ভিজিটিং কার্ড ছাপানোর আইডিয়া আনার ব্যাপারে। সব্বাইকে ভিজিটিং কার্ড ধরানো হচ্ছে, আর ইমেল অ্যাড্রেস টুকে নেওয়া হচ্ছে।

    ততক্ষণে জমে উঠেছে ভিড়। সুমন রেশমী চলে এসেছে। নেতাই রুবি স্যান এরা তো ছিলই।

    এলেন কাবলিদার বন্ধু। নিজের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে। ঠিক কাবলিদার মতই রসিক, আমুদে। এসেই হইহই করে, "কী ব্যাপার, আগের বছর যে ইমেল ঠিকানা নিলে, আমি মেল পাই নি ক্যানো?" সান্ত্বনা দিতে তাঁকে টফি খাওয়ানো হল। ও হ্যাঁ, বলেছি কি, এটা গুরু দিল্লির বৈশিষ্ট্য। লোক টানার জন্য, লোকে বই নিক বা না নিক, আমাদের স্টলে রাখা থাকে টফির কৌটো। টফি দেওয়া হয় প্রায় সবাইকেই।

    ফরিদার এক বন্ধু সস্ত্রীক এসেছে বইমেলায়, তখনই স্যান নিয়ে ঢুকল শ্রীজাতকে।


    শ্রীজাতর আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণে বক্তব্য রাখার কথা। তো, দেখলাম, ফরিদার সেই বন্ধুর বউ শ্রীজাতর কলেজজীবনের বান্ধবী। আবার বছর কুড়ি পরে দেখা হল আজ গুরুর স্টলে।


    লোকের তখন ঢল নেমেছে। ফরিদার অসাধারণ মার্কেটিং স্কিলের দৌলতে লোকজন আসছে, হু হা কিনছে বইপত্র। চোখের সামনে বিলের অ্যামাউন্ট টপকে যাচ্ছে এক হাজার, দু হাজার, তিন হাজার ...

    সন্ধ্যের মুখে এক ভদ্রলোক এলেন। বয়স্ক, টিপিকাল উত্তর ভারতীয় চেহারা, কপালে কালীবাড়ির তিলক কাটা। এসেই, প্রথমেই লা জবাব দিল্লি বইটা টেনে নিলেন র‌্যাক থেকে। আমি এগিয়ে গিয়ে বইটা সম্বন্ধে বলতে লাগলাম, বাংলাতেই, উনি দেখি কোনও কথা বলেন না, খালি মুচকি মুচকি হেসে "হুঁ, হুঁ" করছেন আর বইয়ের পাতা উল্টোচ্ছেন। দিল্লির খাওয়া দাওয়ার সেকশনটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দু পাতা পড়ে ফেললেন, তারপরে পেছনের মলাটে ব্লার্বটা পড়লেন, পড়ে টড়ে আমার দিকে ফিরে বললেন, ভেরি গুড বুক, ভেরি গুড রাইটিং, ম্যায় বাদ মে লে জাউঙ্গা। বলে চলে গেলেন।

    আমি টোটাল হুব্বা। কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে বাঙালি নন, অথচ যে স্পিডে বাংলা পড়ে ফেললেন দু পাতা, কেসটা কী?

    ভাবার সময় পাই নি, বিক্রিবাটা চলছে তখন, খানিক বাদে সৃষ্টিসুখের স্টলের দিকে যেতে গিয়ে দেখি সেই ভদ্রলোক কার যেন একটা বই উদ্বোধন করছেন। আমি ভাবলাম, হবে কেউ লোকাল হোমরা চোমড়া। জানার চেষ্টাও করি নি লোকটা কে।

    ঠিক কুড়ি মিনিটের মাথায় সেই ভদ্রলোকের প্রবেশ। সঙ্গে আরও সাঙ্গোপাঙ্গ। এসেই লা জবাব দিল্লি তুলে, "কিতনা প্রাইস হ্যায়? এক লেনা হ্যায় মেরে কো"। দাম বললাম, দাম শুনেই, "ইতনা সস্তা? ফির তো মুঝে ... দো কপি, নহী নহী, তিন কপি দিল্লি দে দো।"

    আমি বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করলাম, আপ কো বঙ্গালি আতি হ্যায়? উনি একগাল হেসে বললেন, হাঁ আতি হ্যায়। এমনিতে আমি উত্তাখণ্ডের লোক, বাট আই বিলং টু বেঙ্গল ক্যাডার, প্রফেশনের কারণেই আমাকে বাংলা শিখতে হয়েছে, আমি কলেজ লাইফে আপনাদের সমস্ত নামকরা লিটারেচার পড়েছি, তবে হিন্দিতে, পরে আমি বাংলাতেও পড়েছি, আমি বাংলা ভালো বলতে পারি না, তবে পড়তে পারি।

    এই বলে বাকি দুটো বই পেছনের সাঙ্গোপাঙ্গদের বিলিয়ে, তোমরাও পড়ে দ্যাখো, বেঙ্গলি মিষ্টি নিয়ে আমাদের কী রকম ধারণা, কত সুন্দর লিখেছে এখানে। লোকে বেঙ্গলি সুইট বললেই রসগোল্লা বোঝে, দিস গাই হ্যাজ গন বিয়ন্ড রসগোল্লা, কেমন করে কমপেয়ার করেছে দিল্লির মিষ্টি আর বাংলার মিষ্টি। এমন করে লিখেছে, পড়তে খুব ভালো লেগেছে।

    "বেঙ্গল ক্যাডার" শুনেই বুঝেছি, আইএএস। পেছনের সাঙ্গোপাঙ্গদের একজন আমাদের জানালেন, ইনি হলেন চীফ রেসিডেন্ট কমিশনার, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল।

    এই যে, তখন তো ছবি নিতে পারি নি, নেট ঘেঁটে ওঁর ছবি পেলাম।


    ছবিটা আসবে না JPGকে jpg করে দিলে। মুল সাইটটা এইখানে।
    http://rcwb.in/rcwb/

    আমরা জাস্ট হাঁ। উত্তরাখণ্ডের লোক গুরুর স্টলে এসে বাংলা বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, যিনি জাস্ট প্রফেশনাল কারণেই বাংলা পড়তে শিখেছেন, এমন ঘটনা গুরুর ইতিহাসে প্রথম। আমি তো কথা বলতে ব্যস্ত ছিলাম, ছবি অন্য কেউ তুলেছে হয় তো। উনি এমনকি আমাদের ভিজিটর্স বুকে নিজের ইমেল অ্যাড্রেস পর্যন্ত লিখে দিয়ে গেলেন।

    মুগ্ধতার কোটা পূর্ণ করে আমাদের বেরোতে হল পৌনে আটটা নাগাদ। বেরনোর সময়ে সাড়ে তিন হাজার টাকার বিক্রি হয়ে গেছিল। রাতে শ্রাবণীকে ফোন করে জানলাম, চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

    কাল শেষ দিন। দেখি কী হয়।
  • siki | 132.177.83.213 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০০:১৩531603
  • :)
  • :-) | 127.194.199.55 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০০:২২531604
  • জিনসেংকন্যা আর বালক সাওতুন পটাশম্যামের হাতে ঘুরেছে কি?
  • siki | 132.177.83.213 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০০:২৭531605
  • না। তবে জিনসেং কন্যা আর চুক আর গেক হস্তান্তরিত হয়েছে।
  • শ্রাবণী | 69.94.104.85 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০০:৩৫531607
  • জয়ন্ত ঘোষালকে আমি অনেকবার এন ডি টিভি বা টাইমস নাওয়ের প্যানেলে দেখেছি, তেমনিই টিভিতে দিল্লীতে কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখেছি তাই চিনতে পারলাম, সেইকথা বললাম, আমার মনে হয় শমীক ভুল বুঝেছে মুখ্যমন্ত্রীর ক্লোজ কিনা আমার তা জানা নেই আমি বলিও নি :))
    তবে খুব ভদ্রলোক, একবার গিয়ে শুধু বললাম "দাদা আমাদের স্টলে যাবেন?" রাজী হয়ে খুশীমনে এলেন।
    আর ওনাকে নিয়ে যেতে বলেছিলেন অদিতিদি, যার সঙ্গে আজই আলাপ।
    পরে বিস্তারিত লিখবে, শুধু সিকির আর একটা করেকশন TOI এর ভদ্রমহিলার নাম মহুয়া, মৌসমী নয়। এছাড়া এরপরে এসেছিল সকালবেলার (:)) রেসিডেন্ট এডিটর, আমাদের তার কাগজে লিখতে অনুরোধ করে গেল!
  • rabaahuta | 78.46.93.195 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০১:০০531608
  • গুরুর ভিজিটিং কার্ড কেমন দেখতে? দেখতে পাই?
  • pi | 78.48.231.217 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৩:০০531609
  • pharida | 132.161.141.71 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৭:৫৬531610
  • ৯ ০৩ ২০১৩

    “দেখেছেন এই বইয়ের অথর বসে আছেন – আপনি যদি না নেন বইটা – পরে কিন্তু আমাকে বলবেন আমি আপনার সঙ্গে ভালো করে কথাই বলিনি।”

    “এটা নিয়ে দেখুন – লা জবাব দিল্লি, এই বছর রিপ্রিন্ট করাতে হল জানেন – গেলবার তো এই বই বেচেই তিন মাস পেটের ভাত জুটল”

    “সবারই কিছু না কিছু অ্যাম্বিশন থাকে, থাকে না? আমারও আছে – যে একদিন আমিও একটা এস ইউভি কিনব একদিন – এই ভদ্রলোকের কথা পড়ুন যার অ্যাম্বিশন হল একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের লুঙ্গি পরবে সে একদিন – কোথায়, কোন স্তরে থাকলে এমন এক সাধ হতে পারে বলুন তো মানুষের – দেখবেন না?”

    এইসব কথা, কথার পিঠে কথা, রাখা হয়, সাজিয়ে বা ইচ্ছাকৃত অগোছাল ভাবে কাউকে জায়গা দিতে হয় পছন্দের বইতে মুখ ডোবানর। বা কাউকে বলতে হয় – “এইতো দেখেই চিনেছি – এই বই আর অন্য কাউকে প্রাণে ধরে রেকমেন্ড করি নি – আপনিই বুঝবেন।“

    পুরনো ইস্কুলের বন্ধুকে আনন্দবাজারের স্টল থেকে পাঁজাকোলা করে তুলে আনি- সেই স্টলের ভদ্রলোক কপট রাগ দেখান – আমার খদ্দের ভাঙাচ্ছেন – বলি এ যে স্কুলে পড়ত যখন তখন আমি ওর পাশে বসতাম- বললেই হল “আমার খদ্দের” !

    গেলবারের মতো দিল্লি হাটার্স আসেন। এবার বই কিনতে চাই – ওরা বই এমনিই দিয়ে দেন – লেখা পাঠাতে বলেন। গতবারের কথা রাখা হয় নি। তবুও ধারকর্জ করে কথা দিয়ে ফেলি।

    বাবা মায়ের সঙ্গে অন্য স্টলে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হয়ে মাটিতে পা ঠুকে যাওয়া খুদেটিকে ইশারা করি ক্যান্ডি দেখিয়ে। একটা টফি কেউ নেউ নাকি বলে আরো একটা টফি গুঁজে দিয়ে বলি – অ্যায় তোর জন্যও দারুণ বই রেখে দিয়েছি। তেনালি রামা, মোগলি র ছবি দেখে সে তো খুশি কিন্তু বাংলায় যে নিরক্ষর - বললাম বাবাকে বলবি পড়ে দেবে। তারপর সে ছেলে ছবি দেখে তার বাপ মা কে নিয়ে পড়ি।
    প্রিয় কবি শ্রীজাতকে স্টলে বগলদাবা করে নিয়ে আস স্যান – তারপরেই নাটক- শুনি বর্ণালি বলছে – “অ্যাই শ্রীজাত, তুই!”
    কবি কি কারুর বন্ধু হন ? আমরাও সবাই ওই ফ্যালফ্যাল করি কিছুক্ষণ, সম্বিত ফিরলে ছবি তুলি। মেলাতে মেলাতেও থাকে গুরু, বন্ধুকে বছর কুড়ি পরে।

    শ্রাবণীর সুস্বাদু চিঁড়ের পোলাও হামলে পড়ে শেষ করি। কথার মাঝখানে দু একটা চিঁড়েও আর চ্যাপ্টা হতে না পেরে বেরুতে চায়। বই ঠিক করে রাখার আছিলায় তাদের সাইজ করে কথা আলাদা করে নি চিঁড়েদের থেকে।

    কুমুদি ছাড়া ফুল টিম ছিল। স্যান, সিকি, স্বর্ণালি, শ্রাবণী, নেতাই, রুবি, রেশমী। বিল কাটার চেয়ারে শ্রাবণী আর রুবি পালা করে, বাকিরা ফিল্ডে পুরো টোটাল ফুটবল খেলে যাচ্ছে। গুরুর স্টলের সামনের প্যাসেজ দিয়ে বাংলায় কথা বলতে পারা মানুষ তো দুরস্থান, একটা মাছির ও স্টলে না ঢুকে পাস করা মুস্কিল।

    রেশমী বল্ল – খিদে পেয়েছে দেখ না যদি ঝালমুড়ি পাওয়া যায়- বললাম দাঁড়া একটু ওয়েট কর এখন ওই মহিলাকে দেখছি – সে তো চোখ কপালে তোলে আর কি – সবার সামনে এ কেমন কথা!
    না, যে যাই বলুক , সেই মহিলাকে ম্যানেজ করে স্টলে চালান করে তবেই মুড়ি কিনতে যাওয়া।
    এইসব চলতে থাকে, চলবে – এই বছরে আর একটা দিন, তারপরেও......
  • কল্লোল | 111.63.228.34 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৮:০০531611
  • জ্জিও দিল্লী। ক্যাবাৎ।
    খুব ভালো লাগছে তোদের সবার লেখা পড়ে। মনে মনে প্রায় পৌঁছে যাচ্ছি গুরুর স্টলে।
  • siki | 132.177.201.172 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৯:১৭531612
  • নেতাই আর ফরিদা ফটো তোলে ন কাল?
  • pharida | 192.64.58.180 | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৯:২১531613
  • কালকের ফোটোক দিলাম তো কল
  • pi | 78.48.231.217 | ১০ মার্চ ২০১৩ ১৮:৫৯531614
  • দিল্লি আজ ছক্কা হাঁকাচ্ছে ঃ)
  • san | 24.98.181.91 | ১০ মার্চ ২০১৩ ২১:০৬531615
  • ১) কালকে সিকি আর শ্রাবণীদির মার্কেটিং স্কিলের প্রশংসা করেছিলাম , আজকে ফরিদাদার প্রস্পেক্টিভ খদ্দেরের সঙ্গে বাক্যালাপ শুনে ধরাশায়ী হয়ে গেছি ঃ-) উরিবাবারে ।

    ২) কুমুদির বানানো চিকেন নাগেটস আর রেশমীদিদের বাড়ির পাটিসাপ্টা। এছাড়া নানাপ্রকারের মিষ্টি। কাল ছিল চপ সিঙ্গাড়া আর শ্রাবণীদির বানানো চিঁড়ের পোলাও । খাওয়াদাওয়া চলছে চলবে।

    ৩) ওহে ওমনাথদা , আজ কুমুদিকে বালক সাউতুন দিয়ে এসেছি।

    ৪) বিক্রিবাটা প্রচণ্ড। মানে প্রচণ্ড।
  • san | 24.98.181.91 | ১০ মার্চ ২০১৩ ২১:১০531616
  • আমি জমজমাট আসর ছেড়ে সাততাড়াতাড়ি উঠে এলাম তার আগেই পাঁচহাজার ক্রস করে গেছিল। টোটাল কতো হল কেজানে !
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১০ মার্চ ২০১৩ ২১:২৭531618
  • দারুণ দারুণ !!!
  • siki | 132.177.242.181 | ১০ মার্চ ২০১৩ ২২:৪৮531619
  • টোটাল ষোলহাজার। ছ দিনে। কেবল আজই ছ হাজার ছুঁইছুঁই।
  • শ্রাবণী | 69.94.107.171 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০০:০৭531620
  • প্রিয় শ্যামলদাকে আমি আজ একটি বিশেষ গিফট দিলাম, তারপরে সেই গিফট হাতে দুজনে মানে কুমুদি ও শ্যামলদা এবং আমি ছবি তোলা হল একাধিক ক্যামেরার ক্লিকের গুঞ্জনে গুরুর স্টল ভরে গেল............সকলের বিশেষ অবগতির জন্যে জানিয়ে যাই গিফট টি হল (মেহেরবান কদরদান, যরা দিল থামকে বৈঠিয়ে কিঁউ কি ওয়হ গিফট থা).....................................লুঙ্গী, একটি সুন্দর সাদার ওপর সোনালী বর্ডারের কেরালার মুন্ডু বা লুঙ্গী!

    পেলেকার লুঙ্গী টেবিলের নীচে পাচার করা কুমুদির হাসি হাসি মুখে লুঙ্গী হাতে ছবি দেখার জন্যে...ওভার ট্যু বইমেলায় গ্রুর অফিশিয়াল ফোটোগ্রাফার নিতাই.......................
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০২:০৪531622
  • জ্জয়গ্গুরু।
    এবার খালি দুটি দাবী।
    ১। লুঙ্গীসহ কুমুদির ছবি চাই।
    ২। বেঙ্গালুরুতে পরের বছর থেকে বইমেলা চাই। কিকরে জানিনা, কিন্তু চাই। ব্যস।
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০২:১৮531623
  • ১। ছবিটি গুরুতে পোস্ট করা হোক।
  • | 126.203.129.100 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০২:৩৪531624
  • ওফ সুমন। টোটাল টোটাল।

    ১৬? যাতা তো। দিল্লীর সব চন্ডাল দের হার্দিক অভিনন্দন।
  • Paramita | 132.172.185.124 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০২:৪১531625
  • সত্যি - লুরু কেন পিছিয়ে থাকবে, কেন কেন?
    ভুতো-ভুতিনীর ফ্রেশার্স ওয়েলকামে মুখ্য অ্যাজেন্ডা হউক বইমেলা।
    কিন্তু লুরুতে কি বইমেলা হয়? হ্যাঁ কল্লোলদা? শুনি নি তো। এয়ার শো, ফ্লাওয়ার শো, আইআপ্পার পুজো ইত্যাদি হয় বছর বছর।
  • | 126.203.129.100 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০২:৪৫531626
  • দুর্গা পুজোর সময় আমরা বসতে পারি না পারমিতা দি? অনেক গুলো হয় তো? মারথাল্লি তে ৩ তে কোরামঙ্গলায় ৪ টে মনে হয়...
  • কল্লোল | 125.241.20.89 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০৫:৫৬531627
  • ঠিক। ভূ-ভূ'র স্বাগত ভাটে - কথা হোক।
    দুগ্গো পূজোয় কত্তে চাইলে, বিইনবি'র পূজোয় স্টল দেওয়াই যেতে পারে। আমি দায়িত্ব নিলাম। এটা হয়ে যাবে। সেটা এবারের পূজোতেই। পরেরবার বইমেলা নিয়ে ভাবা হোক। গুডফ্রাইডের সময় হলে কেমং হয়? শুক্র-শনি-রবি। একটাই চাপ, অনেকেই ল-উ-এ বলে বেড়াতে যায়।
    চলো ২৩ বা ২৪এ কথা হোক। ও, হ্যাঁ, ২৩ না ২৪ কবে হচ্ছে?
    গুরুচন্ডালসগল ভাটের টইতে রেসপন্স করো।
  • ব্যাং | 132.167.218.29 | ১১ মার্চ ২০১৩ ০৬:৪৭531630
  • লুরুতে একটি ছোট মাপের বইমেলা হয় প্যালেস গ্রাউন্ডে। প্রতি বছরই হয়। কোরামঙ্গলা ইন্ডোর স্তেডিয়ামেও একবার একটা বইমেলায় গেছিলাম, মনে পড়ছে, সেটয় অবশ্য কোনো বাংলা বইয়ের চিহ্ন ছিল না। প্যালেস গ্রাউন্ডেরটায় এক্দুইবার আনন্দ ও দে'জের দেখা পেয়েছি। গত পাঁচ-ছয় বছর ঐ মেলাটায় আর যাই নি, সেকথাও সত্যি। তাই এখনকার কথা জানি না। তবে প্যালেস গ্রাউন্ডের মাঠের বইমেলাটা হয়। বেশিটাই পড়ার বইএর মেলা সেখানে। গল্পের বইএর স্টল খুব কম থাকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন