এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে নির্মোহ বিশ্লেষণ-

    tatin
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ২৩৯০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 117.194.233.20 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৩০532925
  • আরো এট্টু । বুড়ো বেশ্যার ধামা পোঁদ পড়ে একবারও মনে হয়নি নারীদের হেয় করলেন । বোঝালেন সিদ্ধাই যশ খ্যাতি এগুলোকে হেয় করলেন । বেশ্যার বিষ্ঠার মত । এখন বেশ্যা সামাজিকভাবে যত ঘৃণিত, কোন পুরুষের উদাহরণ এনে সেই ঘৃণার আবহাওয়া দিতে পারতেন কি ? এটি একটি পারফেক্ট উপমা বলে আমার মনে হয় ।

    কিন্তু তিনি স্বয়ং বেশ্যাকে আদৌ ঘৃণা করেননি। হ্যাঁ, আহার-নিদ্রা-মৈথুনের জীবন তাঁকে তৃপ্তি দিত না । চাইতেন মানুষ ঈশ্বরের কথা ভাবুক । সেটা কারো ভালো নাই লাগতে পারে । মানে আইনক্স ছেড়ে ঈশ্বর কেন জিগালে বিকজ মে বি ইটস দেয়ার - এর বেশি কিছু দুখের বলার নেই ।

    এরকম প্রত্যেকটা উদাহরণকে ধরে ধরে কাউন্টার করা বড্ড চাপ । বিশেষত: রঞ্জনদা এত বেলায় নামলেন যখন এই দীর্ঘ তক্কোটায় পূর্বনির্ধারিত অবস্থান পাল্টানোর আর কোন সম্ভাবনা দেখছি না ।
  • dukhe | 117.194.233.20 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৩৪532926
  • রঞ্জনদা, vice versa-ও সম্ভবত: । দুর্ভাগ্য আমাদের একজন লেডি শ্রীম নেই । নইলে সন্তানহারা মহিলাকে (সম্ভবত: বিধবা) কেন বলবেন তুমি তো সৌভাগ্যবতী, যার কেউ নেই সে ভগবানকে ডাকতে পারে ।
    বন্ধন কাটো, বন্ধন কাটো - এই তো বলেছেন । ইন এসেন্স ।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৪৬532927
  • এইবার দুখে ছড়াল। বেশ্যার মাধ্যমে কামিনি না কাঞ্চন কাকে রিজেক্ট করতে বললেন ঠাকুর? যশ, খ্যাতি নেগেট করতে হলে বেশ্যা লাগবে কেন?
  • ranjan roy | 14.97.44.3 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৫৩532928
  • দুখে,
    আপনার অবস্থানের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে দুটো কথা বলছি।
    এক,
    সাধনা-মোক্ষ ইত্যাদির পথে কাম বাধা এটা প্রাচীন ম্যাক্সিম, সব ধর্মে, সব দেশে।
    দুই, যেহেতু সব ধর্ম এবং ধর্মোপদেশক পুরুষশাসিত সমাজের প্রোডাক্ট , তাই সহজেই কাম= কামিনী হয়ে গিয়েছে।
    আকা'র সঙ্গে সামান্য দ্বিমত-- "কামুক' শব্দটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যেই ডেরোগেটরি অর্থে প্রযুক্ত হয়। কিন্তু, "কামিনী'' শব্দটি নারীর জন্যে অত্যন্ত আদরের সঙ্গে হয়। তাই মেয়েদের নাম কামিনী, রমা ইত্যাদি হয়। কামুক কোন পুরুষের নাম হয় না।
    তিন,
    স্বর্গের এবং নরকের কল্পনায় দেখুন-- সুখ মানে নারীদের নিয়ে ফুল মস্তি। নারীদের ভোগের বস্তু হিসেবে দেখা এক সুপ্রাচীন অভ্যাস।
    তাই ঠাকুর নিজেও সচেতন ন'ন যে উদাহরণ গুলো মেয়েদের প্রতি অবমাননাকর হচ্ছে।
    চার,
    মহামানবদের স্ত্রী রা সদাই কাব্যে উপেক্ষিতা।
    গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী যশোধরা, চৈতন্যের স্ত্রী , রামকৃষ্ণের স্ত্রী সারদামণি বা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা সবাই লক্ষণের স্ত্রী উর্মিলার মত তাঁদের স্বামীদের "মহৎ"' আদর্শের বলি, at best, ওঁদের প্রতিধ্বনি।
    ওনারা নিজেরা কি চেয়েছিলেন সেটা কে জানতে চাইছে? এঁরা কেউ আগে থেকে স্বামীদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় ওদের স্ত্রী হন নি। হয়েছেন ঘটনাচক্রে। তাই বিষ্ণুপ্রিয়া থেকে সারদামণি , সবাই স্বাভাবিক স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘর করতে চেয়েছিলেন।
    সারদামণিও তাই চেয়েছিলেন। তাঁর নিজের কথাতেই আছে। উত্তরে ঠাকুর কি বলেছিলেন আপনিও জানেন। সেটাকে এই ব্যবস্থায় মেনে নেওয়া ছাড়া ওনার কোন গত্যন্তর ছিল না। তাকে মহঙ্কেÄর পর্যায়ে উন্নীত করা আপনাদের ভক্তদের দর্শন। কিন্তু কতটা যুক্তিযুক্ত?
    খুব হাল্কা উদাহরণ দিচ্ছি।
    আমার স্ত্রী উপায় না দেখে আমার সঙ্গে ছত্তিশগড়ের গ্রামে জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওনার চয়েস থাকলে দিল্লিতে BHEL এর স্কুলে পড়াতেন। উনি সেই গ্রামীণ জীবনে tried to make the best সেটা অন্য প্রসঙ্গ। তাতে মূল গা-জোয়ারির গল্পটা মিথ্যে হয়ে যায় না।
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৫৯532929
  • প্রথমেই স্বীকার করে নিই, আজ আমার বড়ই ভালো লাগার দিন। এর জন্য আকাবাবুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দুখে রেফারেন্স দিয়েছেন শ্রীম থেকে আর আকা শ্রীন থেকে (আই মিন নেম-এর সম্পর্কে তো লোকে শ্রীন-ই বলবে না কি?) ওফ, ভাবা যায় না :-)
    যাগ্গে, আকাবাবু, "অলমোস্ট" নিম্ফোম্যানিয়াক মানে কি? হাফ প্রেগন্যান্টের মত কিছু? বুঝতে চাই!
    আর, আমার লেখায় তো স্পষ্ট করে কাম প্রবৃত্তির কথা এবং পরবর্তী বহু পোস্টে বিদ্যা-অবিদ্যা মায়ার কথার উল্লেখ আছে। এই সামান্য কয়েকটা পোস্টে খেই হাইরে ফেলচেন -- হুই মোটা কথামৃত পড়লে তো এই রকম সব কনক্লুশনই করবেন!
    দুখে একখানি লংবাআআ পোস্ট বা পেস্ট দিয়ে যে কোশ্নটি আপনাকে করেছেন সময়মত তার উত্তর দিয়ে দেবেন। কেমন?
    আর একটা ডি: আমার কোনও বায়াস নাই!
    রঞ্জনবাবু, আমি এই কথা গুলিকে একে বারেই অন্য আলোয় দেখি। সে হয় ত মিশনের লোকেদের সঙ্গেও মিলবে না। তবু, আমার মনে হয়েছে, কথামৃত পড়ার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হয়। কিছু কিছু জায়গায় কথামৃত ক্লাস হয়। আমি যদিও সে সব কোনও দিন অ্যাটেন্ড করি নি, তবু মনে হয়েছে আধ্যাত্মিকতা একটা পুরো সময়ের বিষয়। কিছু বেসিক ম্যাথ জেনেই যেমন আমি ফিজিক্সের সমস্ত থিয়োরি বুঝতে চেষ্টা করতে পারি না আর বুঝতে না পারলে আইনস্টাইন এই রকম বদ আর সেই রকম হিপোক্রিট ছিলো বলে "আলোচনা"য় অংশ নিতে পারি না, ঠিক তেমনই আধ্যাত্মিক বিষয়। সেখানকার জন্য বই আছে, সেই বই পড়ার জন্য গুরু (বা শিক্ষক বা টিচার)-এর কাছে যাবার ব্যাপার আছে। তদ্বিদ্ধি প্রনিপাতেন পরি প্রশ্নেন সেবা করারও প্রয়োজন আছে। ও রকম হুট করে নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলারের মত পড়া যায় না। আর এই মানসিক প্রস্তুতি এক দিনেই তো হয় না। ধীরে ধীরে নিজেকে সে যোগ্যোতা অর্জন করতে হয়!
    আর জ্ঞান দেবো না কারণ ফিসিক্স বা ইকনমিক্স নিয়ে আমাদের কিছু পড়া না থাকলে সেই নিয়ে মন্তব্য করতে দ্বিধাবোধ করি, কিন্তু আধ্যাত্মিকতা নিয়ে মন্তব্য আমাদের জন্মগত অধিকার বলে ধরে নিই। আশ্চর্য, নয়?
    কতটা মূর্খ হলে আমরা ভেবে নিই, এই যে বেলুড়ের ইউনিভার্সিটির উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ বা এই সেদিন ভাটনগর পুরস্কার পাওয়া মহান মহারাজ বা এই রকমই শত সহস্র বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সমাজসেবী সকলেই মূর্খ -- কি না এই কথামৃত পড়ছেন এবং পড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। কতটা আত্মম্ভরী হলে আমরা ভেবে নিই আমরাই ঠিক ঠাক বুঝছি আর এত মানুষ যাঁরা ঐ বইতে বর্ণিত আদর্শের উপর ভিত্তি করে সমস্ত জীবন আধ্যাত্মিক পথে, আলোর পথে হেঁটে গেল -- তারা সব ভুল বুঝেছে। কতটা নীচ দৃষ্টি হলে এত মানুষের সাধনাকে এক কথায় খিল্লি করে উড়িয়ে দিতে পারি। তবু, তবু ভাবব না, আমার কোথাও বোঝার ভুল হচ্ছে না তো? ফিরে দেখি তো! এই বিষয়ে যিনি মাস্টার তাঁকে জিজ্ঞাসা করি তো! তেমন কেউ এখনি নেই, তবে একটু অপেক্ষা করি... না হয় বৈটা এখন তোলা থাক। হয়ত এটা আমার বিষয় নয়, হয়ত আমার আরও চিত্তশুদ্ধির প্রয়োজন আছে, হয়তো...
    কত অজস্র, সহস্র হয়ত আছে সেগুলিও কি ভাবতে পারি না?
    তবু আমি আপনার ৩:২৪, ৩:৩৩ আর ৩:৫৩র উত্তর দেবো। ১২:৫৫-টা আর দিলাম না কারণ সেটা শেষের তিনটি পোস্টেরই পুনরুক্তি মাত্র।
    রঞ্জনবাবু, আমি এই কথা গুলিকে একে বারেই অন্য আলোয় দেখি। সে হয় ত মিশনের লোকেদের সঙ্গেও মিলবে না। তবু, আমার মনে হয়েছে, কথামৃত পড়ার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হয়। কিছু কিছু জায়গায় কথামৃত ক্লাস হয়। আমি যদিও সে সব কোনও দিন অ্যাটেন্ড করি নি, তবু মনে হয়েছে আধ্যাত্মিকতা একটা পুরো সময়ের বিষয়। কিছু বেসিক ম্যাথ জেনেই যেমন আমি ফিজিক্সের সমস্ত থিয়োরি বুঝতে চেষ্টা করতে পারি না আর বুঝতে না পারলে আইনস্টাইন এই রকম বদ আর সেই রকম হিপোক্রিট ছিলো বলে "আলোচনা"য় অংশ নিতে পারি না, ঠিক তেমনই আধ্যাত্মিক বিষয়। সেখানকার জন্য বই আছে, সেই বই পড়ার জন্য গুরু (বা শিক্ষক বা টিচার)-এর কাছে যাবার ব্যাপার আছে। তদ্বিদ্ধি প্রনিপাতেন পরি প্রশ্নেন সেবা করারও প্রয়োজন আছে। ও রকম হুট করে নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলারের মত পড়া যায় না। আর এই মানসিক প্রস্তুতি এক দিনেই তো হয় না। ধীরে ধীরে নিজেকে সে যোগ্যোতা অর্জন করতে হয়!
    আর জ্ঞান দেবো না কারণ ফিসিক্স বা ইকনমিক্স নিয়ে আমাদের কিছু পড়া না থাকলে সেই নিয়ে মন্তব্য করতে দ্বিধাবোধ করি, কিন্তু আধ্যাত্মিকতা নিয়ে মন্তব্য আমাদের জন্মগত অধিকার বলে ধরে নিই। আশ্চর্য, নয়?
    কতটা মূর্খ হলে আমরা ভেবে নিই, এই যে বেলুড়ের ইউনিভার্সিটির উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ বা এই সেদিন ভাটনগর পুরস্কার পাওয়া মহান মহারাজ বা এই রকমই শত সহস্র বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সমাজসেবী সকলেই মূর্খ -- কি না এই কথামৃত পড়ছেন এবং পড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। কতটা আত্মম্ভরী হলে আমরা ভেবে নিই আমরাই ঠিক ঠাক বুঝছি আর এত মানুষ যাঁরা ঐ বইতে বর্ণিত আদর্শের উপর ভিত্তি করে সমস্ত জীবন আধ্যাত্মিক পথে, আলোর পথে হেঁটে গেল -- তারা সব ভুল বুঝেছে। কতটা নীচ দৃষ্টি হলে এত মানুষের সাধনাকে এক কথায় খিল্লি করে উড়িয়ে দিতে পারি। তবু, তবু ভাবব না, আমার কোথাও বোঝার ভুল হচ্ছে না তো? ফিরে দেখি তো! এই বিষয়ে যিনি মাস্টার তাঁকে জিজ্ঞাসা করি তো! তেমন কেউ এখনি নেই, তবে একটু অপেক্ষা করি... না হয় বৈটা এখন তোলা থাক। হয়ত এটা আমার বিষয় নয়, হয়ত আমার আরও চিত্তশুদ্ধির প্রয়োজন আছে, হয়তো...
    কত অজস্র, সহস্র হয়ত আছে সেগুলিও কি ভাবতে পারি না?
    তবু আমি আপনার ৩:২৪, ৩:৩৩ আর ৩:৫৩র উত্তর দেবো। ১২:৫৫-টা আর দিলাম না কারণ সেটা শেষের তিনটি পোস্টেরই পুনরুক্তি মাত্র।
    ক) কাম-কাঞ্চন নিয়ে আগে আলোচনা হয়ে গেছে। পুরোনো পোস্ট দেখতে পারেন। শ্রীরামকৃষ্ণ কম বয়সী ছেলেদের কাছে উপদেশ দেবার সময় কামিনী শব্দের ব্যবহার করেছেন যেটি স্বামী বিবেকানন্দ এবং পার্ষদরা কাম বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমি খন্ডন ভব বন্ধন-এর উল্লেখ করে আগে বলেছিলাম সেখানে আছে "বঞ্চন কাম-কাঞ্চন"। আর আকাও একটি প্রামান্য লিং সেই সঙ্গে দিয়েছিল। কাজেই এখন আবার নতুন করে ব্র্যাকেটে "লক্ষ্য করুন" বলা অর্থহীন।
    ১) এইখানে নারী শরীরের বর্ণনা দিয়েছেন এক পুরুষ (বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্ড) ধর্মার্থীর (বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্ড) কাছে, কি ভাবে নারী শরীর থেকে মোহ দূর হবে সেই সম্পর্কে। শরীর ভোগেচ্ছা থেকেই কাম যা কি না ষড় রিপুর একটি আর আধ্যাত্মিক পথের অন্তরায়। প্রথমে বলতেই হবে আমি দেহ নই, তার পর আমি মন নই, আমি বুদ্ধি নই, আমি অহংকার নই। যে শেষ অবধি পৌঁছাতে চায় আমি নিত্য মুক্ত শুদ্ধ বুদ্ধ আত্মা তার নেগেশন ছাড়া পথ কি? নিজের দেহকেই তিনি বলছেন "হাড় মাসের খাঁচা"! সেখানে বহির্মুখী মনকে অন্তর্মুখী করার জন্য দোষদৃষ্টি ছাড়া উপায় কি?
    আর পুরুষ শরীর? সে যে কেমন তা আপনিই লিখে দিন যখন রোগশয্যায় রয়েছেন, নরেন বলছে "আপনি আপনার মাকে বলুন শরীরটা ভালো করে দিতে। কি উত্তর দিলেন তিনি? তিনি বললেন্ন -- না: থাক, আপনিই বরং টুকে দিন রঞ্জনবাবু এই সব পাঠকেরা আপনাকে রেফারেন্স দেবার জন্য প্রশংসা করছে তারও তো একটা মূল্য আছে না কি? ওদের ভালো লাগবে আপনাকে "ক" দিতে বা পোস্ট লাইকাতে!

    ২)এই হরিনামের কৌশলটি কি শ্রীরামকৃষ্ণের না কি নিত্যানন্দের? উনি যাস্ট কোট করেছিলেন? আমার ঠিক মনে নেই। ডাবল চেক করে দেবেন, প্লিজ?
    ৩)ইয়েস, শক্তি লোপটা ঠিক কয়েছেন! সেক্সের জন্য অনেকখানি এনার্জি ক্ষয় হয়। তাতে প্লেজার আসে। আবার ফুলেস্ট কনসে®¾ট্রশন দিয়ে আধ্যাত্মিক চিন্তার জন্য অনেক শক্তি লাগে আর তাতেও প্রচুর আনন্দ লাভ হয়। এখন শক্তি আমাদের প্রত্যেকেরই সীমিত। তাই ধর্মার্থীদের তিনি কামে শক্তি ক্ষয় না করে সেটি স্পিরিচুয়াল ইমপ্রুভমেন্টের জন্য ব্যবহার করতে বলেছেন। এনি প্রবলেম?

    ৪) নিত্যগোপালকে বলছেন নারী থেকে দূরে থাকতে। কেন নিত্যগোপালই? কেন কেশব সেন নয়? পড়ে দেখুন স্বামী চেতনানন্দের লেখা they lived with God। নিত্যগোপাল বিয়ে করেছিল এবং সেই জনিত কারণে শেষ অবধি একটা মিসারেবেল লাইফ লিভ করেছিল। তো, তার দুর্বলতা তার গুরু দেখেছেন আর সেই অনুযায়ী তার পরমার্থ লাভের জন্য সতর্ক করেছেন। এনি প্রবলেম?
    আর, এই সূত্রেই আরও একবার মনে করিয়ে দিই, কবে কাকে কখন কোথায়... এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে না পারলে কথামৃতর একটা কথারও মানে বোঝা যাবে না ঐ গপ্পোগুলো ছাড়া যেগুলো বাংলা পড়তে পারলেই ক্লাস ফাইভের বাচ্ছাও পড়বে। কথামৃতের প্রতিটা কথা নিয়ে রীতিমত গবেষণা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বই গুলো না পড়ে মন্তব্য করা আর যাস্ট ইংরেজি জানি বলে আইনস্টাইনের থিয়োরী অফ রিলেটিভিটি পড়তে যাওয়া একই ফলদায়ক।
    ৫) আর ১ নং পয়েন্টের দ্বিরুক্তি করলাম না যেহেতু শ্রীরামকৃষ্ণ সংঘে কামিনী অর্থ কাম করা হয়।

    ্‌্‌্‌্‌
    টানা লিখব ভেবেছিলাম কিন্তু এই খানে এসে হোঁচোট খেতে হল কারণ দুইবার ৫) এসেছে। আসলে মন ছড়িয়ে থাকলে যা হয় আর কি! তো, ৩:৩৩ পোস্টের ৫ নং থেকে শুরু করি?
    ৫)এই খানে, এই প্রশ্নের উত্তরে, আমার কোনও কথা বলার নেই শুধু একটি লিং দেওয়া ছাড়া
    http://www.srisaradamath.org/
    আর, একটি তথ্য, স্বামী বিবেকানন্দকে জিজ্ঞাসা করেছিল শরৎ চক্কোত্তি, মেয়েদের ভালো কিসে হবে জাতীয় প্রশ্ন। স্বামী শিষ্য সংবাদ পড়ে নিন। স্পষ্ট উত্তর, তাদের কিসে ভালো হবে তা বলে দেবার তুমি কে হে? তাঁর গুরুও সে ধৃষ্টতা দেখাননি। শুধু নীরবে তৈরী করেছেন তাঁকে, যাঁকে দেখে নিবেদিতা বলবেন, ভারতীয় নারী সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণের শেষ বাণী! ওয়েবপেজটাও সেই জন্যই দিলাম।

    ৬) আমি বুঝি নি এই উদাহরণে কি আপত্তি? উনি তো বার বারই বলেছেন সতীর পতির উপর যে টান, সেই টানটা নাও। সেই রকম টান ঈশ্বরকে দাও। অসতী বা ওয়াটেভার, তার যে ডেডিকেশন -- সেটা তো অ্যাপ্রিশিয়েবল। তিনি সেটা শিখতে বলছেন। ঐ ডেডিকেশন ঈশ্বরে আনতে বলছেন? কি সমস্যা এই উদাহরণে?
    ৭) ১৮৮৪ সাল। সেই সময় বিধবাদের কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়। জাতিভেদ চূড়ান্ত ভাবে সমাজে প্রচলিত। বিধবার পদস্খলন সমাজে খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার। সেই নিন্দার গভীরতা আজ ২০১২-তে আমাদের কল্পনার অতীত। সন্ন্যাসীর পক্ষে অর্থলোভ তেমনই নিন্দনীয়।
    আমাদের ন্যায়শাস্ত্র অত্যন্ত ডিপ ফাউন্ডেশনের উপর দাঁড়িয়ে আছে। উদাহরণ সব সময়ই টাইম, স্পেস আর পারপাস স্পেসিফিক। ন্যায়শাস্ত্রে উদাহরনের ডিফিনিশন কি আছে আগে দেখে আসুন তার পর এই উদাহরণ এফেক্টিভ কি না ডিসকাস করবেন, কেমন?

    ৮) লীলাপ্রসঙ্গ পড়ুন মশায়, লীলাপ্রসঙ্গ পড়ুন। যোগীন-মা বলছেন, "লোকে বলে মেয়েদের তিনি না কি দেখতে পারতেন না। তাও তো আমরা এখনো মরি নি। শুনে হেসে বাঁচিনা। সকলের উপরেই তাঁর যে কি অসীম করুনা ছিল, তা কে জানবে?"-- যদিও কোটের মধ্যে দিলাম তবু ছত্রগুলো একটু দেখে নেবেন। হাতের কাছে বই নেই তো, তাই!
    ৮) ঐ দিনের ডয়েরীতেই পাবেন, স্ত্রীলোকের পুরুষের প্রতি আর পুরুষের স্ত্রীয়ের প্রতি সহজেই মন আকৃষ্ট হয়। তো সেই জন্য তিনি বিচার করেন, আর দেহ-বুদ্ধিতে দোষ থেকে সেই বুদ্ধি থেকে সতর্ক থাকেন। সেটাতে প্রবলেম কি? আপনার এই পয়েনটাও বুঝলাম না!

    ৯) তখনকার দিনে বুড়ো বয়সেও কুলীনরা বিয়ে করতে থাকত আর তজ্জনিত নানা ঝামেলায় ভুগত আর বাচ্ছা মেয়েটাকেও ভোগাতো। সেই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে আর সতর্ক থাকার কথা হচ্ছে। তাতে কি এলো গেলো?

    দ্বিতীয় খন্ড:
    ১) এও ৮ নংএর পুনরাবৃত্তি। সময়ের কি দাম নাই?

    ২) এও ৬, ৭ নং-এর রিপিটেশন। হ্যাঁ, এইখানে আপনার আপত্তির কারণ কি বুড়ি বলায়? কয়েকটা পার্মুটেশন কম্বিনেশন প্র্যাক্টিস করেন:
    বুড়ি মাগী (দেওয়া আছে)
    বুড়ো মিনসে
    ছুঁড়ি মাগী
    ছোঁড়া মিনসে
    এইবার ইয়ং ছেলেদের কাছে কার হাগাটা সবচেয়ে নিন্দনীয় মনে হবে? আমার তো মনে হয় প্রথমটাই। তাই সেটা ব্যবহার করে সিদ্ধাই কত খারাপ বলেছেন। সমস্যা কি?

    ৩) এতক্ষন বকবক করলাম রঞ্জনবাবু এই বার একগ্লাস জল খাওয়াবেন? কথামৃতে যেখানে ভবতারিনীর পটের পাশে রমনীর উঁকি মারার গপ্পোটা আছে সেটা টুকে দেবেন? বা বেশ্যার মধ্যে শ্রীরাধার দর্শন? বা কলকাতার পথে গাড়ি করে যেতে যেতে বেশ্যাদের দেখে "মা তুই এখানে এই ভাবে রয়েছিস" বলে আভূমি নত হয়ে প্রণামের কথাটা? প্লিজ?

    ৪) বিদ্যামায়া আর অবিদ্যামায়া নিয়েও আমরা এই টইতে আগে আলোচনা সেরে ফেলেছি। তাই পুনরাবৃত্তির ইচ্ছে নেই।
    ৫) অনিচ্ছের কাজও যে মেয়েদের (বৌ বা উপপত্নীর) চাপে পড়ে করতে হতে পারে, স্বাধীনতা কমপ্রমাইজড হতে পারে অনেক আগে দুখে সে কথা কোট করে দিয়েছে। এও তাই পুনরাবৃত্তিমাত্র!

    সব শেষে, এই কি "গোটা ছবি"? পাঁচ খন্ডের কথামৃত পড়ে আপনি এই কয়েকটা ছত্রে "গোটা ছবি" দেখে নিলেন? বাপ রে!

    মেয়েরা বুঝেছেন আর সেই শক্তি, নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা, আপনাকে মানে হরিদাস পালকে বললেন : ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা! :-)
    আর একটা প্রশ্ন, যাঁরা শ্রীরামকৃষ্ণের নারী ভাবনা নিয়ে চিন্তিত তার কারণটা কি? এই শিক্ষা কি সমাজে অবক্ষয় ডেকে আনছে? এই আদর্শে শিক্ষিত যুবককুল কি রেপটেপ করে, মেয়েদের ইস্কুল কলেজ থেকে সরিয়ে, কন্যাভ্রূণ হত্যা করে সমাজকে অন্ধকার দিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে? যারা এমন করছে তাদের ক'জন মিশনের ছাত্র, এনি স্ট্যাটিস্টিক্স?
    বুঝতেই পারছেন, তবু গোদা বাংলায় লিখে দিই, লাস্ট লাইনটা মজা। তবে, এত কথা লেখার পরেও আমি বিশ্বাস করি আপনি এই কথাগুলোর কপি-পেস্ট ভবিষ্যতেও করবেন। কারণ, ঐ যে বললাম, দেখার মনটাও তো চাই, তাই না?
  • ranjan roy | 14.97.44.3 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:০৩532930
  • দুখে,
    সাবির দাসীগিরি ছেড়ে বেশ্যা হয়ে সুখে থাকার গল্পটা?
    বড়বাবুর রাঁঢ় গোলাপকে ধরে কার্যসিদ্ধি?
    আর আপনি যাকে দুর্ভাগ্য বলছেন সেটাই বাস্তব অবস্থা। নারীদের শিক্ষা দিতে একজন নারী ঠাকুর কেন লাগবে? ঈশ্বরের অবতার পরমহংস তো স্ত্রী-পুরুষে সমদর্শী হবেন! উনি নারীদের ডিস্ট্রাকশন না বলে ""কাম'' কে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যে ডিস্ট্রাকশন বলবেন।
    আপনারা যতই বলুন, বারবার ওনার উদাহরণে ""কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ'' উঠে আসছে, ""কাম-কাঞ্চন'' নয়। সেটাই স্বাভাবিক। ঠাকুরকে ইতিহাস-সমাজ এর উর্দ্ধ্বে স্বয়ম্ভু না ভাবলে কোন অসু বিধে নেই।
  • dukhe | 117.194.235.45 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:০৭532931
  • রঞ্জনদা, আপনার পরের পোস্টগুলো এবং নেমের পোস্ট এখনও পড়া হয়নি (খুদে দুই নারী আমাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করে চলেছে) । vice versa নিয়ে পাই একটা কোট দিয়েছে । সেটা বলতে মিস করেছিলাম । বাকি পরে ।
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:০৯532932
  • **আই মিন, ঘুম্পেয়েছের লাইনটা মজা করে বলা।
    কিছুটা অংশ দুবার এসে গেছে। মন দিয়ে কোন কাজটাই বা করি! আকা এটা আত্মসমালোচনা বলে ধরতে পারেন।
  • dukhe | 117.194.235.45 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:১০532933
  • আর - আমি লেডি শ্রীম চেয়েছি । যিনি নারীদের দেওয়া উপদেশ ডকুমেন্ট করবেন । লেডি ঠাকুর না ।
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:১৩532935
  • রঞ্জনবাবু, আপনি প্লিজ কারও কাছে ভারতীয় দর্শনের ন্যায়শাস্ত্রে "উদাহরণ" কাকে বলে ও তার বিষয়ে কি ফান্ডা আছে একটু জেনে পড়ে নিন। নইলে, উদাহরণ নিয়ে প্রচন্ড কনফিউজড থাকবেন। আর তাতে কথামৃতর একআনা রসও অনুভব করতে পারবেন না। অনুভব করেছি, তাই বলছি।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:১৬532936
  • নেমের পোস্টের পুরোটা পড়া হয় নি। একটাই কথা বলে যাই, ভাটনগর পাওয়া পাঁড় বিজেপি কিছু কম দেখি নাই মহায়। ভাটনগর পাওয়া মানেই প্রায় ঠাকুরের কাছাকাছি চলে গেলেন এমন ধারণা রাখবেন না।

    আর শেষটা তো পুরো নির্মল টাইপ যুক্তি। :)

    যাক আর এক খুদে (নারী নয়) আমাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করে চলেছে, অতএব গুন্নাইট।

  • aka | 75.76.118.96 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:১৭532937
  • নেমের এই সক্কলকে পড়ার উপদেশটা হেবি লাগে। আমার ছেলের মতন, অংক না পারলেই বলে আমি ঠিক করেছি তোরাই জানিস না। :)
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:২১532938
  • তার চেয়েও বেশী হাসি আমার পায়, আকা (৯:১৭), আপনার না পড়ে কমেন্ট করা বা পড়ার কথা বললেই আপনার কোনও না কোনাও অছিলায় উল্টোদিকে দৌড়টা দেখতে। :-)
  • tatin | 117.197.68.90 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:২৬532939
  • মেয়েদের কত কী বলেছিলেন ডকুমেন্ট আকারে প্রকাশ করতে পারবো না। কিন্তু সারা ইতিহাসই তো মেয়েদের পরপুরুষ দেখো না- সূর্য অবধি স্পর্শ না করতে পারুক তোমাদের ইত্যাদি বলে এসেছে। অর্ধেক মেয়ের জন্য ব্রহ্মচর্যের বিধান যে সমাজে বিদ্যমান সেখানে আলাদা করে মেয়েদের জন্যে ঠাকুর বিধান না দিলেই বা কী?
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:২৮532940
  • রঞ্জন দা, আপনার গোল্লায় যাবার উদাহরণ টা একটু মডিফাই করে যদি বাবা বলে, ' ঐ ছেলেটা , তিনটে এক্স-বক্স ওয়ালা ! জন্মদিনে সবাইকে মিউসিকাল টিফিন বাক্স দিয়েছিল ? ওকে দেখেই তোমার বড়লোকি চাল বেড়ে গেছে, খবরদার ! গোল্লায় জাবি ', এটা এই পরিপ্রেক্ষিতে আরও যথাযথ নয়? এখানে ছেলেটা কে কি হেয় করা হল?
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৩০532941
  • ওহ, বিজেপি! তা বিজেপি হলেই ভাটনগর হয়? এমন ভাট তো নির্মল ভাট!
    আর আমি আরও একজনের নাম করেছি সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য?
    আরও কিছু পড়া-লিখা মানে যাকে বলে "শিক্ষিত" সাধুর নাম চাই? নন-বিজেপি? না কি সিপিয়েম বা নক্সাল হতে হবে? কেমন সাপ্লাই চাই আপনার?
    এটুকু ব্রতীন বা দুখে যে কেউ করে দেবে।
    ঘুমাতে যান, আকাবাবু। নির্মল ওয়ান লাইনার দুটির জন্য দুটি নকুলদানা রেখে দিলাম। কা এসে নিয়ে নেবেন, কেমন? :-)
  • ranjan roy | 14.97.44.3 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৩১532943
  • শ্রদ্ধেয় নেমেবাবু,
    আমি অতি পাষন্ড, অজ্ঞ, মূর্খ। তাই ক্লাস সিক্স থেকে টেন অব্দি রামকৃষ্ণ মিশনে পড়েও নিয়মিত প্রতি রোববার ধর্মক্লাস অ্যাটেন্ড করেও আপনাদের বক্তব্য বুঝতে অপারগ। বহুবছর মিশনের কালীকীর্তনের দলে ছিলাম, আনন্দের সঙ্গে আরাত্রিক, ভজনের সময় কর্তাল বাজিয়ে চৌতাল, তেওরা, ত্রিতাল ইত্যাদির সঙ্গে পরিচয় হয়ে নান্দনিক আনন্দ পেয়েছি। কিন্তু ভক্তের তৃতীয় নয়নে দেখা হয়ে উঠলো না। যিনি বলেন -- আমার বিচার ভুলিয়ে দে মা! বিচার করবে না, বিচারে কিছু পাওয়া যায় না। তাঁকে আমার জীবনের মার্গদর্শক বলে মানতে পারছি না। শ্রীম প্রণীত কথামৃত অতীব প্রসাদ্‌গুণ সম্পন্ন একটি লেখা। বহুবার পড়েছি। এর বৈশিষ্ট্য (ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য) বেদান্তদর্শনের উপপাদ্যগুলো সাধারণ মানুষের উপযোগী ভাষায় জীবন্ত উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরা। আর তাতে একটি বিশেষ সময় সমাজ ধরা পড়েছে একটু হলেও, সেটাই আমার আকর্ষণ, তাই পড়ি। কিন্তু একই কারণে সেই সময়ের জেন্ডার-বায়াস ও মিথ্যে হয়ে যায় না।
    ২) আপনার সঙ্গে মতে মেলেনি বলে ধরে নিলেন এই বাষট্টি বছরের বুড়ো, যার বাবা-মা-পিসি-খুড়ি সবই রামকৃষ্ণ মিশনে দীক্ষিত, স্কুল জীবনের পাঁচ বছর মিশনের হোস্টেলে কাটিয়েছে সে ""লীলাপ্রসঙ্গ '' পড়েনি? সরাদামায়ের জীবনী, ওনাকে নিয়ে শরত মহারাজের লেখা পড়ে নি? অভেদানন্দের বেদান্তের ওপর লেখা গুলো পড়ে নি? বিবেকানন্দের গদ্‌য়্‌সাহিত্য-কবিতা পড়ে নি?
    নম্‌স্‌কার। আসলে এই বয়সেও যখন বোধবুদ্ধি হল না আর কোন দিন হবার আশা নেই।
    ৩)
    ""যুবতী মেয়ের কোল'' ইত্যাদি নিত্যানন্দ মহাপ্রভূর ট্যাকটিক্স বলে কথামৃত অনুযায়ী ঠাউর নিজেই সকারাত্মক উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। চৈতন্য সাহিত্যে পাইনি। ওনার উদাহরণ গুলো এমন কেন?

    কাজেই দেখতে পেলেন আমি কতবড় মূর্খ? কিন্তু আমি কেউ বাহবা দেবেন বলে লিখছি না, তাহলে এই দীর্ঘটইয়ের গোড়াতেই লিখতাম। লিখেছি ঠিক সেইজন্যেই যেজন্যে আপনিও লিখেছেন। নমস্কার।
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৩১532942
  • **কাল
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৪১532944
  • সেই জন্যই তো দুখে বলল রঞ্জনবাবু (৯:৩১) এই আলোচনায় কোনও লাভ নেই। কারণ আপনি স্বীকার করেই নিয়েছেন আপনি "বায়াসড"। বিপপালও নরেন্দ্রপুরের ছাত্র, আপনিও তেমন মিশনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ঐ যে বললাম, মনটা চাই। আমার বিচারগুলো একটাও যুক্তিগ্রাহ্য মনে হল? হবে না। সবটাই সবার টাইম পাস।
    আমি লিখি একটা কারণে, এই সূত্রে যেমন নটী বিনোদিনীর কথা পড়লাম। বিজয়ের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ ফিরে দেখলাম। আলোচনাটা না চললে তো সেটা সম্ভব হত না, তাই!
    তবে, এই বিষয়টা এমনই যে বয়স দিয়ে কিছু মাপা যায় না এখানে। চিত্তশুদ্ধি টাইপের ব্যাপার আছে তো তাই?
    ওহ, বৈষ্ণব-তথা-চৈতন্য-নিত্যানন্দ সাহিত্য সব পড়ে ফেলেছেন মশায়? আরিব্বাস! দারুন তো!
    শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের কথা কোটেশন বলে মিথ্যে বলছেন, তাই না কি? সত্যস্বরূপ তিনি এমন মিথ্যাবাদীও ছিলেন না কি?
  • ranjan roy | 14.97.44.3 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৯:৪৭532947
  • নেমে,
    আপনি যদি ন্যায়শাস্ত্র হিসেবে আমার বক্তব্যে ভুলটা ধরিয়ে দিতেন!

    [ যথারীতি ধরে নিয়েছেন যে আমি ন্যায়্‌দর্শন ( গৌতম ও উদয়ানাচার্য) ও ভারতীয় ন্যায়ের পঞ্চপদী
    লজিক পড়িনি। বা পাশ্চাত্ত্য দর্শনের ত্রিপদী ডিডাক্টিভ এবং ইন্ডাক্টিভ লজিক পড়িনি]

    তাতিন,
    ঠিকই বলেছেন। নারীকে ডিস্ট্রাকশন হিসেবে দেখানো সমস্ত প্রাচীন যুগে এবং ধর্মশাস্ত্রে আছে। ঠাকুর এগুলো বিশেষ করে পরবর্তী কালে বলেছেন যা আজকের যুগে গ্রহণীয় নয়, এটুকুই।

    নেমে,
    কোন স্কুল (মাদ্রাসা, ক্রিশ্চান, বুদ্ধিস্ট, সরকারী ) থেকে রেপিস্ট, মার্ডারার দলে দলে বেরোচ্ছে যদি জানান!
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০০532948
  • আমি তো দাবী করি নি, রঞ্জনবাবু (৯:৪৭) মাদ্রাসা না কি বুদ্ধিস্ট না কি সরকারী কোথাও-ই নারীকে খারাপ ভাবে দেখানো হচ্ছে বলে আমার গায়ে লাগছে! তাই সেটা দেখাবার দায় তো আমার নয়। যাঁরা এই চিন্তাধারাকে খারাপ বলছে কেন বলছে সেটি তো তাঁদের নিজেদেরই ডিফেন্ড করার দায়!

    ও, পড়েছেন? আমি আবার পঞ্চপদী বা সপ্তপদী গমনের সুযোগ পাই নি। তাই ভুলটুল কি করে ধরাব? তা আপনিই বরং বলে দিন "দৃষ্টান্ত" কাকে বলে? সমস্কিতো ভার্সটা... ঐ ভাষাটার জোরটা বেশ একটু প্রাণে বল দেয় কি না, তাই!
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০১532950
  • **"এই" মানে শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শের শিক্ষাকে
  • ranjan roy | 14.97.44.3 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০১532949
  • নেমে,
    এবার তো ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে গেলেন। তাই আর পোস্ট করব না।
    আমি কিন্তু বিষায়াশ্রিত কথা বলেছি, আপনাদের কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি।সব পড়েছি এটুকু বলিনি, যেটুকু পড়েছি তাই বলেছি।
    কৃষ্ণদাস কবিরাজ প্রণীত "" চৈতন্যচরিতামৃত'' এবং বৃন্দাবনদাস প্রণীত ""চৈতন্যভাগবত'' পড়েছি। সেখানে ''যুবতী মেয়ের কোল'' উদাহরণটি আমার চোখে পড়েনি। আপনি আমাকে গাল না দিয়ে আমার মুখে কথা না বসিয়ে এটা দেখিয়ে দিন না কোথায় আছে, ল্যাটা চুকে যায়।
    ঠাকুরকে আদৌ মিথ্যেবাদী বলিনি। উদাহরণটি কথামৃতেই পেয়েছি এবং সেখানে উনি এটাকে তারিফ করেই উল্লেখ করেছেন--এটুকু বলেছি।
    উপরোক্ত ছাড়া চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, কবিশেখরের পআবলী এবং রাধাবিনোদ গোস্বামী ও শশিভূষণ দাশগুপ্তের লেখা "শ্রীরাধার ক্রমবিকাশ'' পড়েছি।
    কারণ, আমার দাদু ও ঠকুমা ত্রিপুরার গোস্বামীদের ব১ম্‌শপরম্পরায় মন্ত্রশিষ্য। কিন্তু এসব বলে কি হবে? দেখতেই পাচ্ছেন আমার দাড়ি পাকলেও বোধবুদ্ধি পাকেনি। কাজেই--। আর আমি বিষয়পরক আলোচনায়/বিতর্কে আগ্রহী, ব্যক্তিগত ব্যঙ্গবিদ্রুপে নয়। তাই নমস্কার।
  • name | 69.211.11.201 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:০৫532951
  • না, ব্যক্তিগত আক্রমনে আমি নামিনি। রঞ্জন (১০:০১) আমার যুক্তির একটাও প্রতিযুক্তি আপনি দেখান নি শুধু মুধু নিজেকেই আবেগ দিয়ে মূর্খ টূর্খ বলছেন। আপনি যুক্তি দিয়ে কথা বলুন, আমিও বলব। আগের দিনই বলেছি যুক্তি না থাকলে লোকে "পোস্ট" করব না জাতীয় সেন্টিমেন্টাল পোস্ট করে। QED
  • tatin | 117.197.68.90 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:১১532952
  • বিষয় বিদ্যাসাগর:

    ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইতেছেন ও কিয়্‌ৎক্ষণ ভাবে দাঁড়াইয়া আছেন। ভাব সংবরণ করিবার জন্য মধ্যে মধ্যে বলিতেছেন, জল খাব। দেখিতে দেখিতে বাড়ির ছেলেরা ও আত্মীয় বন্ধুরা আসিয়া দাঁড়াইলেন।

    ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া বেঞ্চের উপর বসিতেছেন। একটি ১৭/১৮ বছরের ছেলে সেই বেঞ্চে বসিয়া আছে — বিদ্যাসাগরের কাছে পড়াশুনার সাহায্য প্রার্থনা করিতে আসিয়াছে। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট, ঋষির অর্ন্তদৃষ্টি; ছেলের অন্তরের ভাব সব বুঝিয়াছেন। একটু সরিয়া বসিলেন ও ভাবে বলিতেছেন, “মা! এ-ছেলের বড় সংসারাসক্তি! তোমার অবিদ্যার সংসার! এ অবিদ্যার ছেলে!”

    যে-ব্যক্তি ব্রহ্মবিদ্যার জন্য ব্যাকুল নয়, শুধু অর্থকরী বিদ্যা উপার্জন তাহার পক্ষে বিড়ম্বনা মাত্র, এই কথা কি ঠাকুর বলিতেছেন?

    বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া একজনকে জল আনিতে বলিলেন ও মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, কিছু খাবার আনিলে ইনি খাবেন কি? তিনি বলিলেন, আজ্ঞা, আনুন না। বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া ভিতরে গিয়া কতকগুলি মিঠাই আনিলেন ও বলিলেন, এগুলি বর্ধমান থেকে এসেছে। ঠাকুরকে কিছু খাইতে দেওয়া হইল, হাজরা ও ভবনাথও কিছু পাইলেন। মাস্টারকে দিতে আসিলে পর বিদ্যাসাগর বলিলেন, “ও ঘরের ছেলে, ওর জন্য আটকাচ্ছে না।” ঠাকুর একটি ভক্তছেলের কথা বিদ্যাসাগরকে বলিতেছেন। সে ছোকরাটি এখানে ঠাকুরের সম্মুখে বসে ছিল। ঠাকুর বলিলেন, “এ-ছেলেটি বেশ স্‌ৎ, আর অন্ত:সার যেমন ফল্গুনদী, উপরে বালি, একটু খুঁড়লেই ভিতরে জল বইছে দেখা যায়!”

    মিষ্টিমুখের পর ঠাকুর সহাস্যে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে কথা কহিতেছেন। দেখিতে দেখিতে একঘর লোক হইয়াছে, কেহ উপবিষ্ট, কেহ দাঁড়াইয়া।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — আজ সাগরে এসে মিললাম। এতদিন খাল বিল হদ্দ নদী দেখেছি, এইবার সাগর দেখছি। (সকলের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর (সহাস্যে) — তবে নোনা জল খানিকটা নিয়ে যান! (হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ — না গো! নোনা জল কেন? তুমি তো অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর! (সকলের হাস্য) তুমি ক্ষীরসমুদ্র! (সকলের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর — তা বলতে পারেন বটে।

    বিদ্যাসাগর চুপ করিয়া রহিলেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন —

    বিদ্যাসাগরের সাঙ্কিÄক কর্ম —“তুমিও সিদ্ধপুরুষ”

    “তোমার কর্ম সাঙ্কিÄক কর্ম। সঙ্কেÄর রজ:। সঙ্কÄগুণ থেকে দ হয়। দর জন্য যে কর্ম করা যায়, সে রাজসিক কর্ম বটে — কিন্তু এ রজোগুণ — সঙ্কেÄর রজোগুণ, এতে দোষ নাই। শুকদেবাদি লোকশিক্ষার জন্য দ রেখেছিলেন — ঈশ্বর-বিষয় শিক্ষা দিবার জন্য। তুমি বিদ্যাদান অন্নদান করছ, এও ভাল। নিষ্কাম করতে পারলেই এতে ভগবান-লাভ হয়। কেউ করে নামের জন্য, পুণ্যের জন্য, তাদের কর্ম নিষ্কাম নয়। আর সিদ্ধ তো তুমি আছই।”

    বিদ্যাসাগর — মহাশয়, কেমন করে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য) — আলু পটল সিদ্ধ হলে তো নরম হয়, তা তুমি তো খুব নরম। তোমার অত দ! (হাস্য)

    বিদ্যাসাগর (সহাস্য) — কলাই বাটা সিদ্ধ তো শক্তই হয়! (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তুমি তা নও গো; শুধু পণ্ডিতগুলো দরকচা পড়া! না এদিক, না ওদিক। শকুনি খুব উঁচুতে উঠে, তার নজর ভাগাড়ে। যারা শুধু পণ্ডিত শুনতেই পণ্ডিত, কিন্তু তাদের কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি — শকুনির মতো পচা মড়া খুঁজছে। আসক্তি অবিদ্যার সংসারে। দ, ভক্তি, বৈরাগ্য বিদ্যার ঐশ্বর্য।

    বিদ্যাসাগর চুপ করিয়া শুনিতেছেন। সকলেই একদৃষ্টে এই আনন্দময় পুরুষকে দর্শন ও তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন।
  • tatin | 117.197.68.90 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:১২532953
  • শ্রীরামকৃষ্ণ — তাঁর কৃপা পেতে গেলে আদ্যাশক্তিরূপিণী তাঁকে প্রসন্ন করতে হয়। তিনি মহামায়া। জগ্‌ৎকে মুগ্‌ধ করে সৃষ্টি স্থিতি প্রলায় করছেন। তিনি অজ্ঞান করে রেখে দিয়েছেন। সেই মহামায়া দ্বার ছেড়ে দিলে তবে অন্দরে যাওয়া যায়। বাহিরে পড়ে থাকলে বাহিরের জিনিস কেবল দেখা যায় — সেই নিত্য সচ্চিদানন্দ পুরুষকে জানতে পারা যায় না। তাই পুরাণে কথা আছে — চন্ডীতে — মধুকৈটভ১ বধের সময় ব্রহ্মাদি দেবতারা মহামায়ার স্তব করছেন।

    “শক্তিই জগতের মূলাধার। সেই আদ্যাশক্তির ভিতরে বিদ্যা ও অবিদ্যা দুই আছে, — অবিদ্যা — মুগ্‌ধ করে। অবিদ্যা — যা থেকে কামিনী-কাঞ্চন — মুগ্‌ধ করে। বিদ্যা — যা থেকে ভক্তি, দ, জ্ঞান, প্রেম — ঈশ্বরের পথে লয়ে যায়।

    “সেই অবিদ্যাকে প্রসন্ন করতে হবে। তাই শক্তির পূজা পদ্ধতি।

    “তাঁকে প্রসন্ন করবার জন্য নানাভাবে পূজা — দাসীভাব, বীরভাব, সন্তানভাব। বীরভাব — অর্থাৎ রমণ দ্বারা তাঁকে প্রসন্ন করা।

    “শক্তিসাধনা — সব ভারী উৎকট সাধনা ছিল, চালাকি নয়।

    “আমি মার দাসীভাবে, সখীভাবে দুই ব্‌ৎসর ছিলাম। আমার কিন্তু সন্তানভাব, স্ত্রীলোকের স্তন মাতৃস্তন মনে করি।

    “মেয়েরা এক-একটি শক্তির রূপ। পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলা দেশে জাঁতি থাকে;— অর্থাৎ ঐ শক্তিরূপা কন্যার সাহায্যে বর মায়াপাশ ছেদন করবে। এটি বীরভাব। আমি বীরভাবে পূজা করি নাই। আমার সন্তানভাব।

    “কন্যা শক্তিরূপা। বিবাহের সময় দেখ নাই — বর-বোকাটি পিছনে বসে থাকে? কন্যা কিন্তু নি:শঙ্ক।”
  • tatin | 117.197.68.90 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:১৫532954
  • মণি বিবাহ করিয়াছেন, তাই ব্যাকুল হইয়া ভাবিতেছেন, কি হইবে! বয়স ২৮, কলেজে পড়িয়া ইংরেজী লেখাপড়া কিছু শিখিয়াছেন। ভাবিতেছেন, বিবেক-বৈরাগ্য মানে কি কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ?

    মণি (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি) — স্ত্রী যদি বলে, আমায় দেখছ না, আমি আত্মহত্যা করব; তাহলে কি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গম্ভীরস্বরে) — অমন স্ত্রী ত্যাগ করবে, যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন করে। আত্মহত্যাই করুক, আর যাই করুক।

    “যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন দেয়, সে অবিদ্যা স্ত্রী।”

    .
    .
    কিয়্‌ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আবার কৃপাদৃষ্টি করিয়া সস্নেহে বলিতে লাগিলেন, “দেখ, তোমার লক্ষণ ভাল ছিল, আমি কপাল, চোখ — এ-সব দেখলে বুঝতে পারি। আচ্ছা, তোমার পরিবার কেমন? বিদ্যাশক্তি না অবিদ্যাশক্তি?”

    মাস্টার — আজ্ঞা ভাল, কিন্তু অজ্ঞান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিরক্ত হইয়া) — আর তুমি জ্ঞানী?

    তিনি জ্ঞান কাহাকে বলে, অজ্ঞান কাহাকে বলে, এখনও জানেন না। এখনও পর্যন্ত জানিতেন যে, লেখাপড়া শিখিলে ও বই পড়িতে পারিলে জ্ঞান হয়। এই ভ্রম পরে দূর হইয়াছিল। তখন শুনিলেন যে, ঈশ্বরকে জানার নাম জ্ঞান, ঈশ্বরকে না জানার নামই অজ্ঞান। ঠাকুর বলিলেন, “তুমি কি জ্ঞানী!” মাস্টারের অহঙ্কারে আবার বিশেষ আঘাত লাগিল।
  • tatin | 117.197.68.90 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:২৪532955
  • যেটা আমার মনে হয়: বিদ্যা অবিদ্যা এটসেট্রা শুধু মামণি-স্পেসিফিক নয়, পণ্ডিত, কর্মী এঁদের মধ্যেও রয়েছে।
    এবার মণি-মাস্টার জাতীয় পুরুষ ভক্তদের উপদেশ দেওয়ার সময়, যাঁরা আইদার বিবাহিত অর বিবাহেচ্ছু, স্ত্রী স্পেসিফিক করে বিদ্যা-অবিদ্যার তুলনা আঞ্ছেন তিনি
  • Tim | 98.249.6.161 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:৩৩532956
  • মাইরি, এত তক্কো বিতর্কের পরেও বুঝতে পারলাম না, মেয়েদের ঈশ্বরপ্রাপ্তির পথে শুধুই ডিস্ট্র্যাকশন বল্লে কেন অবমাননা হয়।

    কাউকে যদি বলা হয় যে সিনেমা থিয়েটার দেখিস না, ওতে পড়াশুনোয় ব্যাঘাত হয়, তাহলে কি সিনেমা থিয়েটারের সাথে জড়িত জনতার অবমাননা হয়, না কি এটাই বলা হয়, যে বাপু তুমি দুদিক সামলাবার জন্য যথেষ্ট ইকুইপ্‌ড নও, অতএব ( রেজাল্ট ভালো করতে চাইলে) পড়াশুনোটাই করো।

    এইটা আগেও কে জানি বললো, কিন্তু ডিস্ট্র্যাকশনের পয়েন্টটা লুপে ফিরে ফিরে আসছে।
  • dd | 59.97.120.173 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১০:৩৫532958
  • নেমে লিখলেন "আমার কোনো বায়াস নেই।"

    আমি শুধু ব নেই পুরো বাংলা বর্ণমালা হয়ে গেলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন