এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে নির্মোহ বিশ্লেষণ-

    tatin
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ২৩৮৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PM | 2.50.43.93 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:১৮533025
  • আমার একটু কোন্‌ফুসন হচ্ছে ---- রামুদা কি সকলকে কামিনী কাঞ্চন ছাড়তে বলেছিলেন না ওটা শুধু সন্ন্যসীদের প্রতি বানী?

    আমার মনে হচ্ছে যে রামুদার তিন সেট বানী ছিলো একটা নরেন, লাটু দের জন্য। একটা সেট গিরিশ ঘোষ দের জন্য আর একটা সেট সাধারন গৃহস্ত দের জন্য। আমার ধারনাটা কি ঠিক ? অনেক পড়শোনা যারা করেছেন শুধ্রে দেবেন প্লিজ।
  • PM | 2.50.43.93 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:২৩533026
  • কথমৃতের কোথায় একটা দেখলাম জে লেখক বলছেন রামুদা মহিলা ভকতদের কথা পুরুষে্‌দর সামনে আলোচনা করতে পছন্দ করতেন না।
    ওটা আর খুজে পাচ্ছি না।

    মনে হয় এটাই কারন কথামৃত তে রমুদার মেয়েদের প্রতি দেওয়া বানী-র উল্লেখ বেশী না থাকা। কারন লেখক শোনেন নি।
  • pinaki | 85.231.137.195 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:০৫533027
  • উফ, বিদ্যা অবিদ্যা বা* বি* ! লোকে পারেও! এই নিয়ে পাতার পর পাতা তক্কো!!

    শুধু একটাই কথা। একটা অন্যায় হচ্ছে। তাই মুখ না খুলে পারছি না। নেম এসে বার বলছেন, ওনার কোনো ভক্তিরস নেই। উনি শুধু যুক্তির কথা বলছেন, অথচ কেউ সেটাকে যুক্তি দিয়ে অ্যাড্রেস করছে না।

    আমি দেখছি এই কথাটা কেউ নোটিশ করছে না। হ্যয় কোয়ি মাই কা লাল, যে নেম এর ভক্তিবিহীন যুক্তির কথাকে যুক্তি দিয়ে অ্যাড্রেস করতে পারবে? নাহলে বুঝবো সবাই হেরে গেছে। নেম চ্যাম্পিয়ন।

    সেক্ষেত্রে নেমকে 'যুক্তিরত্ন' খেতাব দেওয়ার জন্য মামুর কাছে রেকমেন্ড করে গেলাম।

    আর তাতিনকে কিছু কথা বলব। পার্সোনালি। ফোনে।:-D
  • dukhe | 117.194.235.104 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:১৪533028
  • কত যে লেখা হচ্ছে কবে পড়ে উঠব জানি না ।
    বক্তব্য সামান্যই । আমার উল্টোদিকে বলছিস মানেই তো বোঝা যাচ্ছে তোর কোন যুক্তি নেই, কেউ আমার অপছন্দের কথা বলার সাহস দেখালে আমার তাকে ঠাটিয়ে চড় মারতে কি তারকার মুখে ছাই দিতে হেব্বি লাগবে, এম্মা ছি ছি তুই ভক্তিরস খাস ডায়েট করিস না আমাকে দ্যাখ কেমন যুক্তিরসে নিমজ্জিত অদ্ভুত মৌমাছি, আম্মাকে পড়াশোনা দেখাস না বে - দুপাতা পড়ে নিজেকে লাটসাহেব ভাবিস, রাকৃ ভুলভাল বকেছে আর লোকে খেয়েদেয়ে কাজ নেই রেকর্ডও করেছে - এইসব পোবোল যুক্তিবাদী পরাক্রমের কাছে আমি নতশির । এর কোন উত্তর আমার জানা নেই ।
    রঞ্জনদাকে কয়েকটা কথা বলার আছে । কিন্তু তার আগে ওনার পোস্টগুলো পড়ে শেষ করতে হবে ।
  • pinaki | 85.231.137.195 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:৩০533029
  • দুখেদা লেট। নেম এর যুক্তিবাদী পরাক্রমের কাছে সবাই বহু আগেই রণে ভঙ্গ দিয়েছে।
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:৩২533030
  • আমিও কবেই ছেড়ে দিয়েছি। দুখে লেট। এবারে দুখে বলবে আগে গেলে বাঘে খায়। ;)

    টিম, কথামৃতর পাতায় পাতায় মেয়েদের অবজেক্ট হিসেবে ট্রিট করা হয়েছে। পুরুষ এবং নারীর মধ্যে সম্পর্ক মানেই সেক্স এতো আছেই। তারপরে ধরা যাক কামিনি থাকলেই কাঞ্চন লাগবে, কেন? এক, হতে পারে কামিনির কামের জন্য ঘুঁষ হিসেবে সোনা দিতে হবে, দুই, কামিনিকে পুষতে হলে কাঞ্চন মানে অর্থ, যশ ইত্যাদি ইত্যাদি লাগবে। আর সেই কামিনিকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করতে গেলে কাঞ্চন লাগে না? দুই ক্ষেত্রেই নারী এক অবজেক্ট যার সামাজিক রূপ ডিপেন্ড করছে পুরুষ তাকে কিভাবে দেখবে তার ওপরে। তা সে যুগের পরিপ্রেক্ষিতে সেই ধারণা হয়ত খুব অস্বাভাবিক নয়। আবার খুব স্বাভাবিকও নয়, কারণ সেই সমাজ থেকেই রামমোহন, বিদ্যাসাগর মেয়েদের এমপাওয়ারমেন্টের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। সে যাইহোক রামকৃষ্ণকে তাঁর সামাজিক অবস্থান, সরল ভক্তিরসের কারণে নাহয় ডিসকাউন্ট দিলাম। কিন্তু সেই রামকৃষ্ণকে যখন ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করে যুগোত্তীর্ণ মহানায়কের রূপ দিয়ে স্কুলে স্কুলে - এমনকি মেয়েদের স্কুলেও - ফটো সেঁটে মেয়েদের পুজো করতে শেখানো হয় তাতে আজকের যুগে আলোকপ্রাপ্ত মেয়েরা যদি এই প্রশ্ন তোলে যে মেয়েদের সমানে অবজেক্ট হিসেবে ট্রিট করেছে তাকে আমি পুজো করব কেন? কেন সে আমার আদর্শ পুরুষ তাহলে সেটা কি খুব অন্যায্য? মোদ্দা কথা রামকেষ্ট কাল্টকে যুগোতীর্ণ (বানামটা জানি কেমনতর) ঈশ্বরজ্ঞানে পুজো করার চেষ্টা চলবে ততবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। দোষটা রামকেষ্টবাবুর যতনা বেশি তার থেকে অনেক বেশি তাঁকে যাঁরা ভগবান রূপ দিয়েছে এবং ক্রমাগত দেবার চেষ্টা করে চলেছে।
  • tatin | 117.197.73.221 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:৪৮533031
  • "পুরুষ এবং নারীর মধ্যে সম্পর্ক মানেই সেক্স এতো আছেই। "

    লে:
    "বিদ্যরূপিনী স্ত্রী যথার্থ সহধর্মিনী। দু-একটি সন্তানের পরে ভ্রাতা ভগিনী-র মতো থাকে। দুজনেই ঈশ্বর ভক্ত -- দাস দাসী। তাদের সংসার বিদ্যার সংসার ---- তারা জানে ঈশ্বর-ই একমাত্র আপনার লোক -- অনন্তকালের আপনার। সুখে দু:খে তাকে ভোলে না।"
  • sda | 117.194.197.152 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:০৪533032
  • সাহেবদের এসব কনফিউশন নেই। আম্রিকান পানুতে প্রায়ই দেখা যায় অভিনেতা- অভিনেত্রীদের তারস্বরে ohh myyyy goddd বলে চিল্লামিল্লি করতে।
  • ranjan roy | 59.161.20.251 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:১৪533033
  • পাই,
    রামকৃষ্ণদেব মেয়েদের সম্পর্কে কি বলেছেন তা ad verbatim কথামৃতে ধরা আছে। সেটা নিয়ে আমার কৌতূহল, হিয়ার সে নিয়ে নয়। সে তিনি যতই নামী হোন। হাতে পাঁজি মঙ্গলবার, কথামৃত দেখলেই হয়।
    আদৌ আমার উদ্ধৃতিগুলো ভুল(মিথ্যে?) বা সেগুলো কারো টীকাটিপ্পনীর অনুসারী বা বিপরীত কি না সেটাই বিচারণীয়।
    তাতিন,
    সাংখ্য সম্বন্ধে (এবং যোগদর্শন সম্বন্ধে) যা বুঝেছি তা সংক্ষেপে বলছি, ভুল হলে ধরিয়ে দিও।
    পুরুষ হল নিষ্ক্রিয়, অচেতন, শুদ্ধ মুক্ত রূপ। প্রকৃতি হল সক্রিয় , আদ্যাশক্তি(কোন কোন মতে)। তাই সঙ্কÄ-রজ:-তম: আদি ত্রিগুণ হল প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, পুরুষের আদৌ নয়।
    এই ত্রিগুণের সাম্যাবস্থার বিচলন থেকে অন্য তঙ্কÄ গুলি উদ্ভুত হয়। আমাদের দেখা জাগতিক দুনিয়া সৃষ্ট হয়।
    এটাকে অন্যভাবে বলা হয় যে প্রকৃতি তার মোহিনীস্‌ঘক্তি দিয়ে পুরুষকে ভোলায়। অবিদ্যারূপী ময়লায় পুরুষের শুদ্ধ চেতনা আবিল হয়। বদ্ধ পুরুষ ও প্রকৃতির মিলনে জাগতিক দুনিয়া সৃষ্ট হয়।
    যোগের কোন স্বতন্ত্র দর্শন নেই।
    যোগ হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে চিত্তবৃত্ত্রিনিরোধ করে পুরুষ প্রকৃতির অবিদ্যাজনিত মায়ার ফা১ন্দ থেকে মুক্ত হতে পারে। তার আটটি পদ্ধতি আছে--স্মরণ,নিদিধ্যাসন, ঈশ্বর প্রণিধান ইত্যাদি।
    সাংখ্যে প্রমাণের অভাবে ঈশ্বর অসিদ্ধ। যোগদর্শনে ঈশ্বর এক শুধ্‌হ বিকারহীন পুরুষ মাত্র। ঈশ্বরপ্রণিধান পুরুষকে তার শুদ্ধ রূপে ফিরে যাওয়ার অনেক উপায়ের মধ্যে একটি উপায় মাত্র।
  • Tim | 98.249.6.161 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৩৫533035
  • আকাদা,
    আবারও বলছি, আমার স্ট্যান্ড বুঝতে ভুল হচ্ছে। রাকৃ একজন যুগোত্তীর্ণ ভগবান একথা আমি বলিনি বা সমর্থন করিনি। কোন মেয়ের ওনাকে অশ্রদ্ধা করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। রেফারেন্স নিয়ে যে কচকচিটা চলছে সেটায় ঢুকছিনা।

    কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে সেখানেই, যখন যারা অপছন্দ করছে তারা দাবী করছে যে সেম রিয়্যাকশন অন্য সবাই দেবে। আমি মনে করি রাকৃ ভালো কথার পাশাপাশি বেশ কিছু ভুলভালও বলেছেন ( আগের একটা পোস্টে এরকম লিখেছিলাম)। আমার মনে হয়েছে ভালো কথার তুলনায় খারাপ কথার পার্সেন্টেজ কম, কিন্তু সেটা নেই একথা বলিনি। বরং বলার চেষ্টা করছি যে কেন ওনাকে "" ঠাঁটিয়ে চড় মারতে ইচ্ছে করেনা""। বোঝা গেল কি?
  • ranjan roy | 59.161.20.251 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৪৪533036
  • পাই,
    বিবেকানন্দের কথা প্রসঙ্গে:
    রামকৃষ্ণদেবকে গুরু মানলেও বিবেকানন্দের দর্শন ও ব্যবহারিক পদ্ধতিতে তফাৎ আছে। তাতে আশচর্য্যের কিছু নেই। দুজনের লক্ষ্য আলাদা। প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভিন্নতা এসে যায়। সেটা স্বতন্ত্র চর্চার জায়গা।
    বঙ্কিম,বিদ্যাসাগর ও আরো অনেকের সঙ্গে আলোচনা দেখলে পাওয়া যাবে ঈশ্বর প্রণিধান্ব ঠাকুরের মতে প্রথম এবং সর্বোছ লক্ষ্য, হাসপাতাল খোলা , স্কুল করা, জনসাধারণের কল্যাণ করা নয়। ওনার বক্তব্য ছিল ঈশ্বর্দর্শন প্রাপ্তি হলে সেসব আপনিই হবে। অবিদ্যাজনিত অহংকারের ফলে লোকে এইসব ভাবে।
    কিন্তু, ""বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কওথা খুঁজিছ ঈশ্বর,
    জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর'', আদৌ পূর্বোক্ত মতের সঙ্গে খাপ খায় না।
    এতে আশচর্য্যের কিছু নেই।
    গান্ধীদর্শনের থেকে তাঁর দুই প্র্যাকটিক্যাল শিষ্য প্যাটেল ও নেহরুর রাস্তা কত আলাদা।
    একইভাবে মার্ক্সের শিষ্যেরা?
    সত্ত্যি যত মত,তত পথ।:)))))
  • ranjan roy | 59.161.20.251 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৫২533037
  • টিম,
    না তো। কেউ দাবি করেনি রা কৃ'র নারী সম্বন্ধীয় দৃষ্টিকোণ নিয়ে সবাই একমত হবে। বরজোরএটা একটু প্রচলিত ভক্তিরসের বিরুদ্ধে বলে বিস্তৃত ভাবে উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
    হেরেটিক ভিউ বলে কানে একটু বেশি লাগছে আর কি! বরং ভক্তিরসের বাহকদের কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন-- অমুক পড়ে আসুন, তমুকের থেকে পাঠ নিন;"" কতবড় মূর্খ হলে'' এই ধরণের কথা বলা যায় ইত্যাদি।
    যখন বলা হল ভুলটা কোথায় বলে দিন, বা অমুক বই পড়েছি-- তখন দায় অস্বীকার করে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করা হল। সেটা নাকি পরমযুক্তিজাল!
    কিন্তু তুমার , তাতিন বা দুখের সঙ্গে একমত না হয়েও আমার কথা বলতে কোন অসুবিধে হচ্ছে না।
  • tatin | 117.197.73.221 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৫৩533038
  • রঞ্জনদা, ভুল করছেন, পুরুষ চেতন কিন্তু প্রকৃতির ক্রিয়ার অধীন। প্রকৃতি ত্রিগুণ সম্পন্না এবং জড় (অচেতন)। প্রকৃতিকে সুতরাং চেতন পুরুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেইটাই উদাসীনতা বা কৈবল্য। এই অবস্থায় কূটস্থ পুরুষকে মুক্ত বা শিব বলা হয়।
    পুরুষ যেহেতু বহু, ফলে বহু শিব সম্ভব। এইখানে বেদান্ত বহু শিবকে আসলে একই ব্রহ্ম বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু সেই কথা থাক- এই কূটস্থ পুরুষই ঈশ্বর থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ আবিস্কার করেন যে জীব মাত্রেই শিব হতে পারে - 'জীবই শিব' এইটে তার কথা। বিবেকানন্দকে স্বীয় মুক্তির বাইরে এসে জীবের মুক্তি বা আত্মজ্ঞান লাভের জন্যে উদ্বুদ্ধ করেন। বিবেকানন্দ অতিরিক্ত মাত্রায় উগ্র অদ্বৈতবাদী হলেও, শ্রীরামকৃষ্ণের জীবই শিব তঙ্কেÄর প্রতি নিষ্ঠ থেকেই কাজ করেছেন।
  • tatin | 117.197.73.221 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৫৬533039
  • বিদ্যাসাগরকে অহংকারী বলেন নি তো, বলেছেন স্বঙ্কÄগুণের (প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত) প্রাধান্য। ঈশ্বরদর্শন হলে সেই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ কমে যাবে। রাদার ওনার ঈশ্বরদর্শন (প্রবাবলি কুণ্ডলিনী জাগা) হয়নি বলে দু:খ করেছেন। কিন্তু বিদ্যাসাগরের স্বাঙ্কিÄকতা, দয়াকে ঈশ্বরের কাছের বলেও মেনশন করেছেন।
  • PM | 2.50.43.93 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:১৬533040
  • রন্‌জনদা, আমি বেশ কিছু উদাহরন দিয়েছি, রাকৃ-র নারী সংক্রান্ত উক্তির। সব কথামৃত থেকে। এর মধ্যে কিছু কি আপনার আপত্তিজনক লাগছে? ধর্মীয় ভিত্তি সম্পর্কে আপত্তি থকতে পারে। কিন্তু জেন্ডার বায়াস পাচ্ছেন কি?
  • ranjan roy | 59.161.20.251 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:১৭533041
  • পাই,
    আগের পোস্ট প্রসঙ্গে:
    উদাহরণ স্বরূপ, আমেরিকার বেদান্ত সোসাইটি , যদ্দূর জানি, বেলুড়ের শাখা নয়। স্বামী অভেদানন্দ (কালী মহারাজ নাকি রাজা মহারাজ)বিবেকানন্দের জীবিতকালেই বৈচারিক মতভেদের ফলে ওনার থেকে আলাদা হয়ে কোলকাতায় বেদান্ত মঠ ও পরে আমেরিকায় বেদান্ত সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকায় বেদান্তের প্রচারে ওনার বিশেষ ভূমিকা ছিল।
  • pinaki | 85.231.137.195 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:২৩533042
  • ছোটোবেলায় শুনতাম এই কুন্ডলিনী জাগানো যায় বীর্যধারণ করে। সেটা কি ঠিক? কুন্ডলিনী জাগা - কেসটা আসলে কি?
  • ranjan roy | 59.161.20.251 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৩০533043
  • সরি তাতিন! কাম ব্যাক টু বেসিকস্‌।
    তোমার কথা অনুযায়ী ""চেতন পুরুষ কিন্তু প্রকৃতির অধীন''। তাহলে পুরুষ ত্রিগুণাত্মিকা প্রকৃতিকে কী করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? যে অধীন সে প্রভূকে নিতন্ত্রণ করবে!
    একবার সাংখ্যের চতুর্বিংশতি তঙ্কÄ অনুযায়ী সৃষ্টিরহস্য বা ক্রমবিবর্তন দেখে নাও।
    জড় চেতন অবস্থার স্তরভেদ মাত্র। প্রকৃতিই অ্যাকটিভ এলিমেন্ট, কারণ সঙ্কÄ: রজ: তম: গুণ প্রকৃতিরই বৈশিষ্ট্য, পুরুষের নয়। পুরুষ নিশ্চল, নির্বিকল্প। অবিদ্যা বা মায়ার ফলেই প্রকৃতি পুরুষকে অধীন করে রাখে --যা তুমি উল্লেখ করেছ।
    তাই তন্ত্রে শুদ্ধ পুরুষের প্রতীক শিব অচেতন হয়ে আদ্যাপ্রকৃতি কালীর পায়ের নীচে মুর্ছিত, কালী নৃত্য করছেন পুরুষের বক্ষে চড়ে।
    এই ব্যাপারটা ব্‌ড়মসূত্রে পরমত পরাজয়ের যে ডিবেট ( সাংখ্য বনাম বেদান্ত, প্রধানমল্লনিপাত সূত্রে) আরও স্পষ্ট হবে।
  • ranjan roy | 59.161.20.251 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৪533044
  • PM,
    ভাই তুমি যে উদাহরণ গুলো কোট করেছ তাতে কোন ভাবেই বক্তার ধর্মীয় বা জেন্ডার বায়াস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। আর আমার কনসার্ন ধর্মীয় নয়, শুধু জেন্ডার বায়াস।
    তাতে কি হল? একই বই থেকে আমি যে উদাহরণ গুলো দিয়েছি সেগুলো সংখ্যায় এবং জেন্ডার বায়াসের ঝাঁঝে অনেক অপমানজনক। তাইলে সব মিলে কি দাঁড়াল?
    সম্মান্‌জনক কথা বলা হবে, সেটাই তো একস্পেকটেড; অপমানজনক কথা বলা হলেই তো আপত্তির প্রশ্ন।
    ধরা যাক, তোমার রঞ্জনদা জনৈক হরিদাসপালের সম্বন্ধে বলল--উনি আমার প্রতিবেশি, ভাল লোক, ভাল স্বামী, ভাল প্রতিবেশি, ভাল বক্তা।পন্ডিত মানুষ, কিন্তু খুব ঘুষখোর, রেড লাইট এলাকায় যায়, মদ খেলে কান্ডজ্ঞান থাকে না।
    এরপর প্রথম বলা ক'টা ভালো কথার ভিত্তিতে হরিদাসবাবু সম্বন্ধে কার কতটুকু আগ্রহ থাকবে?

  • dukhe | 14.99.187.162 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:০২533046
  • পিনাকীর কথামত (এবং আকার প্রতিধ্বনিমত) নেমের পোস্ট খুঁজে চড়থাপ্পড় বা পড়াশোনায় অ্যালার্জির কথা পেলাম না । আকা নাহয় অন্যের পোস্ট পড়ে না, পিনাকীর মনও বোঝা এত কঠিন হয়ে গেল ! কী দিনকাল !

    রঞ্জনদাকে কিছু বলার আগে একটা বায়াস স্বীকার করে যাই । রঞ্জনদার বাস্তুহারা টই দিয়ে আমার প্রথম গুরুতে ঢোকা । ওনার লেখার শৈলী এবং উপাদান - দুটোতে বরাবরই আকর্ষণ বোধ করে এসেছি । অতএব বায়াস রয়েছে । অনস্বীকার্য ।

    রঞ্জনদার কাছে এইটার এট্টু ডিটেল চাই -
    " ওনারা নিজেরা কি চেয়েছিলেন সেটা কে জানতে চাইছে? এঁরা কেউ আগে থেকে স্বামীদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় ওদের স্ত্রী হন নি। হয়েছেন ঘটনাচক্রে। তাই বিষ্ণুপ্রিয়া থেকে সারদামণি , সবাই স্বাভাবিক স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘর করতে চেয়েছিলেন।
    সারদামণিও তাই চেয়েছিলেন। তাঁর নিজের কথাতেই আছে। উত্তরে ঠাকুর কি বলেছিলেন আপনিও জানেন। সেটাকে এই ব্যবস্থায় মেনে নেওয়া ছাড়া ওনার কোন গত্যন্তর ছিল না। তাকে মহঙ্কেÄর পর্যায়ে উন্নীত করা আপনাদের ভক্তদের দর্শন। কিন্তু কতটা যুক্তিযুক্ত?"
    সারদামণি ও ঠাকুরের কোন কথোপকথন বললেন ধরতে পারলাম না । এট্টু বিশদ দিন ।

    বেশ্যাদের নিয়ে রাকৃ বাবুর বক্তব্য এট্টু দিই -

    "দেখি কি - যেন গাছপালা, মানুষ, গরু, ঘাস, জল সব ভিন্ন ভিন্ন রকমের খোলগুলো ! বালিশের খোল যেমন হয়, দেখিসনি ? -
    কোনটা খেরোর, কোনটা ছিটের, কোনটা বা অন্য কাপড়ের, কোনটা চারকোণা, কোনটা গোল - সেই রকম । আর বালিশের ঐ সব রকম খোলের ভেতরে যেমন একই জিনিস তুলো ভরা থাকে - সেই রকম ঐ মানুষ, গরু, ঘাস, জল, পাহাড়, পর্বত সব খোলগুলোর ভেতরেই সেই এক অখণ্ডসসচ্চিদানন্দ রয়েছেন । ঠিক ঠিক দেখতে পাই রে, মা যেন নানা রকমের চাদর মুড়ি দিয়ে নানা রকম সেজে ভেতর থেকে উঁকি মারচেন ! একটা অবস্থা হয়েছিল যখন সদা-সর্বক্সণ ঐ রকম দেখতুম । ঐ রকম অবস্থা দেখে বুঝতে না পেরে সকলে বোঝাতে, শান্ত করতে এল । রামলালের মা-টা সব কত কি বলে কাঁদতে লাগল; তাদের দিকে চেয়ে দেখছি কি যে, (কালীমন্দির দেখাইয়া) ঐ মা-ই নানারকমে সেজে এসে ঐ রকম করচে ! ঢং দেখে হেসে গড়াগড়ি দিতে লাগলুম আর বলতে লাগলুম, 'বেশ সেজেচ !' একদিন কালীঘরে আসনে বসে মাকে চিন্তা করচি; কিছুতেই মার মূর্তি মনে আনতে পারলুম না । তারপর দেখি কি - রমণী বলে একটা বেশ্যা ঘাটে চান করতে আসত, তার মতো হয়ে পূজার ঘটের পাশ থেকে উঁকি মারচে ! দেখে হাসি আর বলি, 'ওমা, আজ তোর রমণী হতে ইচ্ছে হয়েছে - তা বেশ ঐরূপেই আজ পূজো নে !' ঐ রকম করে বুঝিয়ে দিলে - 'বেশ্যাও আমি - আমি ছাড়া কিছু নেই!' আর একদিন গাড়ি করে
    মেছোবাজারের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখি কি - সেজেগুজে, খোঁপা বেঁধে, টিপ পরে বারাণ্ডায় দাঁড়িয়ে বাঁধা হুঁকোয় তামাক খাচ্চে, আর
    মোহিনী হয়ে লোকের মন ভুলুচ্চে ! দেখে অবাক হয়ে বললুম, 'মা! তুই এখানে এইভাবে রয়েছিস ?' - বলে প্রণাম করলুম!"

    এই তো ব্যাপার । আমরা বেশ্যাটেশ্যা শুনলে যে রে-রে করে নারীত্বের অবমাননা বলে তেড়ে যাচ্ছি, সেটা কতটা রাকৃর মানসিকতার জন্য আর কতটা আমাদের চিন্তাভাবনার জন্য এইটা ভেবে দেখার । আমাদের কাছে যশ-প্রতিষ্ঠা-খ্যাতি হয়তো খুব লোভনীয় ব্যাপার, কিন্তু রাকৃ তাকে বুড়ি বেশ্যার পায়খানার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন না । কেন ? তাঁর কাছে ঈস্বরানন্দের কাছে আর সবই তুচ্ছ । তিনি চান সেখানেই পুরো মন দেওয়া হোক, স্ত্রীপুত্রকন্যার পেছনে খরচ হয়ে গেলে যেমন, তেমনি যশ-খ্যাতির দিকে সেই মন দৌড়লে ঈশ্বরকে দেবে কি ? অনেক পরে এক কবি যেমন তরুণ কবিদের অবশ্যমান্য এই লাইনগুলি লিখবেন (স্মৃতি থেকে লিখছি, ভুলচুক ক্ষমাড়) -
    ... কিন্তু আসল কাজ
    মন দিয়ে লেখা । সেই মন যদি নামটাকাউন্নতি
    সেই মন যদি যোগাযোগ প্রকাশক
    এইসবে যায়, তাহলে লিখবে কবে ?

    মন, মন । ছড়িয়ে পড়া মনের টুকরোগুলো একত্র করে না আনলে এমন কোন কাজ কী করে করা যাবে যা সর্বস্ব দাবি করে ? কাঞ্চন সম্পর্কে একালের এক স্টার্টাপ ওস্তাদ যেমন বলেন -
    I'vefoundtherearetwotypesofthoughtsespeciallyworthavoiding—thoughtsliketheNilePerchinthewaytheypushoutmoreinterestingideas.OneI'vealreadymentioned:thoughtsaboutmoney.Gettingmoneyisalmostbydefinitionanattentionsink.

    মনকে ঈশ্বরে দাও - এই ফোকাস বাদ দিলে, আমার মনে হয়, রাকৃর কিছুই বোঝা যাবে না ।

    আমার ধারণা যে কোন ধর্মগুরুই সমাজের অবহেলিত এবং তলার মানুষদের একটা মর্যাদা দেন । একটা সমাজবিপ্লবীর রোল তাঁরা চান বা না চান প্লে করেন । চৈতন্য, খ্রিস্ট এবং সম্ভবত: বুদ্ধও এর উদাহরণ হবেন (যদিও এ নিয়ে সিরিয়াস তক্কাতক্কি হলে আমি ইস্তফা দেব, অত পড়াশুনো নেই) । রাকৃ যে সেটা করেছিলেন নটী বিনোদিনী থেকে গোপালের মা তার নিদর্শন ।

    যৌনতাকে পাপ বলে মনে করলে রাম বা কৃষ্ণ অবতার হবেন কী করে ? মূল কথা - সম্ভবত:, অনাসক্তি । রাম সীতা উদ্ধারের জন্য দীর্ঘ লড়াই করলেন, কিন্তু যখন প্রয়োজন হল, কর্তব্য বলে মনে করলেন (সে বিষয়ে দু:খে বা রঞ্জন কী মনে করে সেটা অবান্তর) সীতাকে ত্যাগ করলেন এবং অনুতাপ বিলাপ ছাড়াই কাটিয়ে দিলেন । আবার মনে পড়ল অশ্বমেধের আয়োজনে, কারণ যজ্ঞে পত্নীর থাকা প্রয়োজন ।
    কিন্তু তবু সীতাকে না ফিরিয়ে স্বর্ণসীতা বসালেন ।
    রাম বা কৃষ্ণ সন্ন্যাসী নন, সংসারত্যাগী নন, তাঁদের জীবনের যৌনতা ঈশ্বরত্বের বা অবতারত্বের বাধা নয় কারণ যৌনতা বা সাংসার কিছুই তাঁদের সেই বন্ধনে জড়াতে পারে না, যাতে আমরা, আম-আদমি অসহায়ভাবে মায়ায় ভালোবাসায় নিত্যদিন জড়িয়ে আছি । আমাদের এই মন ঈশ্বরকে কতটুকু দেওয়া সম্ভব ? সেই অবকাশ কোথায় ?
  • tatin | 117.197.73.221 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:১০533047
  • রঞ্জনদা, টইপ করে উঠতে পারছিনা, কাল স্ক্যান করে পঠিয়ে দেব। কিন্তু বিশ্বাস করুন, প্রকৃতি জড়াত্মিকা, সে শুধু ত্রিগুণ অনুযায়ী কর্ম করে যায়। সাংখ্যকারিকার বক্তব্য অনুযায়ী তা-ই। প্রকৃতির ডেফিনিশনই জড়াত্মিকা।
    পুরুষ চেতন, কিন্তু চৈতন্য বিকশিত না হওয়ায় সে প্রকৃতির অধীনতা বোঝে না। তবে চেতন বলেই দু:খ পায়, দু:খবোধ থেকে উপলব্ধি করে প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণ, তখন মোক্ষের জন্য সচেষ্ট হয়। যে জন্য বিনোদিনীকে ঠাকুর বলেন তোমার চৈতন্য হোক।
  • pinaki | 85.231.137.195 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:১৫533048
  • দরকারটাই বা কি?
  • pinaki | 85.231.137.195 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:১৫533049
  • দুখেদার লাস্ট লাইনের সাথে।
  • dukhe | 14.99.187.162 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:২১533050
  • আমি রাকৃর পার্স্পেক্টিভে বলছি পিনাকী। আমাদের মন কামকাঞ্চনজনিত বন্ধনে আটকে আছে, মুক্তির সন্ধান করতে হলে এসব কাটাতে হবে - এই তো বলেছেন ।

    দরকার কী সে যদি দুখে বলতে পারত তাইলে কি আর ক্লায়েন্টের চরকায় তেল দিয়ে জীবন কাটাত ?
  • r2h | 68.46.95.16 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:২৬533051
  • রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ এবং মিশনের প্রতি আমার কিঞ্চিৎ শ্রদ্ধা আছে, রাকৃমি-র কাছে থেকে কার্যকলাপ শৈশব কৈশোরে দেখেওছি, তবে মুখ্যু, পড়াশুনো মোটেই নাই। কথামৃত একটু আধটু পড়েছি। স্কুলেরও একটা ভুমিকা ছিল। এতদিন ধারনা হয়েছিল রামকৃষ্ণ ঠাকুর খুব সহজ ভাষায় অনেককিছু বুঝিয়েছেন, মোটামুটি সবাই বুঝতে পারে এইরকম।

    কিন্তু নেমের লেখাপত্র পড়ে কিরকম সংশয়াকুল হয়ে গেলাম। কথামৃত পড়তে বা বুঝতে গেলে তৈরী হওয়া চিত্তশুদ্ধি এসব তো পুরো টুপি আলখাল্লা পরা সিক্রেট সোসাইটির মত ব্যাপার। তারপর আবার ন্যায়শাস্ত্রও বুঝতে, উদাহরন বিষয়ে নির্মোহ ব হতে হবে হবে, কি সাংঘাতিক। সহজিয়াপনার হাতে হারিকেন তো।

    আর হাজার পন্ডিত লোকেরা মেনে নিয়েছেন বলে আমার সংশয় হবে না এটা পড়েও চাপ হয়ে গেল।
  • ranjan roy | 14.97.229.45 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:২৭533052
  • দুখে,
    এক, সারদামণির ব্যাপারে বইটা শরতমহারাজ বা লাটু মহারাজ? আমার অনেক আগে পড়া, ঠিক ঠিক রেফারেন্স দিতে পারছিনা।
    যদ্দূর মনে আছে বলছি- স্বাভাবিক সমস্ত নারীর মত সারদাও স্বামীর কাছে সন্তান চেয়েছিলেন। না পেয়ে মৃদু অনুযোগ করায় ঠাকুর বলেছিলেন- আসবে, তোমার এক নয়, একাধিক সন্তান আসবে।
    তারপর নরেন্দ্র, কালী, ভবনাথ দ্বাদশ সন্তান এল।
    দুই,
    চৈতন্য, বুদ্ধ এবং খ্রীস্ট যে নিজের সময়ের সমাজবিপ্লবী ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু রামকৃষ্ণের হাত ধরে অক্ষয়কুমার-মহেন্দ্রলাল সরকারের র‌্যাশনালিজম কে হারিয়ে দিয়ে যে হিন্দু পুনরুত্থানবাদ এল সেটা আমাদের এগিয়ে দিল কি পিছিয়ে-- তা নিয়ে ভিন্ন মত আছে। সেটা নিয়ে এখানে আলোচনার অবকাশ নেই।
    আর যশোধরা, বিষ্ণুপ্রিয়া, উর্মিলার ট্র্যাজেডি তো চলেই আসছে।
    ( সিপিএম এর বৃন্দা কারাত ও :))))।--মানে পুরুষ অহং এর বলি হিসেবে।
  • dukhe | 14.99.187.162 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:২৯533053
  • মানে আমি তো এভারেস্ট কি মঙ্গলে কেন যেতে হবে তাও বুঝি না । তবে যেতে হলে ফ্যামিলি পিকনিকের প্ল্যান করা সুবিধের হবে না মনে হয় ।
  • ranjan roy | 14.97.229.45 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৩১533054
  • তাতিন,
    তোমার প্রথম তিনটে লাইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। ঈশ্বরকৃষ্ণের সাংখ্যকারিকা তাই বলেছে। কিন্তুপুরুষ চেতন বলেই দু:খ পায় ইত্যাদি জায়গাটা স্ক্যান করে দিও।
  • ranjan roy | 14.97.229.45 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৩৮533055
  • দুখে,
    পিনাকীকে লেখা পোস্ট পড়ে:
    মুক্তির জন্যে কাম-কাঞ্চন ত্যাগ, বা অন্যান্য কোল্যাটারাল ড্যামেজ নিয়ে কোন আপত্তি নেই তো! আমার আপত্তি শুধু জেন্ডার বায়াস নিয়ে। কেন মেয়েদের মুক্তির জন্যে সমানভাবে স্বামীত্যাগের ফরমান নেই? মুক্তি কি শুধু পুরুষদের জন্যে? ব্যস্‌ এইটুকু।
    ( আমি নিজে ধার্মিক নই, মুক্তি চাইনে। বরং গোড়ার দিকের শিবুর পোস্টের সঙ্গে আমার জীবনলিপ্সা মেলে,:)))। কিন্তু যাঁরা আধ্যাত্মিক মুক্তি প্রত্যাশী তাঁদের লজিক্যাল স্ট্রাকচারটি বুঝতে বা স্বীকার করতে কোন অসুবিধে নেই।)
    ডি: বইমেলায় দেখা হলে খুব ভাল লাগত।
  • dukhe | 14.99.187.162 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৩৮533058
  • রঞ্জনদার এক নিয়ে একটু ঘেঁটে দেখতে হবে । বইপত্তরও নাই । তবে যেটা বলার ছিল - বেশ্যাটেশ্যার উপমা দেওয়া মানেই মেয়েদের হীন প্রতিপন্ন করা নয় । অন্তত: যিনি বেশ্যাদের জগন্মাতার প্রকাশ হিসেবে দেখেন তাঁর কাছে ।
    দুই টা আপাতত: আউট অফ স্কোপ রাখাই ভালো । শুধু একটি কোশ্নো - কথামৃতের গোড়ায় যে বৃন্দের কথা আছে, ওনার পদবী কি কারাত ?
    মেলাবেন তিনি মেলাবেন ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন