এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে নির্মোহ বিশ্লেষণ-

    tatin
    অন্যান্য | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ২৩৯১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 59.97.121.183 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:০২532825
  • বা এ ভাবেও ভেবে ফেলা যায়।

    গতো দু বছরে আমি আরি সিঁটিয়ে গেছি, এক খ্যাড় খ্যাড়ে বুভুক্ষু চেহারা,কলপ দিয়ে কিছু ঢাকা যাচ্ছে না কেনো না ভুরুর চুলও সাদা হয়ে যাচ্ছে, পুরো শ্বেতসন্ত্রাস চলছে। ভুরুতে গভীরতর ভাঁজ। ভয়ের চোটে আর আয়নার মুখোমুখী হই না।

    হয়তো ও কারনেই আমার ল্যাখা বদলে যাচ্ছে,নট দা আদার ওয়ে রাউন্ড।
  • i | 124.169.152.103 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:১৯532826
  • বিনোদিনীর আমার কথা থেকে লিখছি আকার জন্য। সুবর্ণরেখা প্রকাশন । পৃষ্ঠা ৪৩-৪৪।

    আমি মহপ্রভুর দয়ায় কত ভক্তি-ভজন সুধীগণের কৃপার পাত্রী হইয়াছিলাম। এই চৈতন্যলীলার অভিনয়ে ---শুধু চৈতন্যলীলার অভিনয়ে নহে আমার জীবনের মধ্যে চৈতন্যলীলা অভিনয় আমার সকল অপেক্ষা শ্লাঘার বিষয় এই যে আমি পতিতপাবন (স্বর্গীয় চিহ্ন)পরমহংসদেব রাম্‌কৃষ্ণ মহাশয়ের দয়া পাইয়াছিলাম। কেননা সেই পরম পূজনীয় দেবতা ,চৈতন্যলীলা অভিনয় দর্শন করিয়া আমায় তাঁর শ্রীপাদপদ্মে আশ্রয় দিয়াছিলেন!অভিনয়কার্য্য শেষ হইলে আমি শ্রীচরণদর্শন জন্য অখন অপিস ঘরে তাঁহার চরণসমীপে উপস্থিত হইতাম ,তিনি প্রসন্নবদনে উঠিয়া নাচিতে নাচিতে বলিতেন:"হরি গুরু,গুরু হরি,"'বল মা "হরি গুরু,গুরু হরি"'' তাহার পর উভয় হস্ত আমার মাথার উপর দিয়া আমার পাপ দেহকে পবিত্র করিয়া বলিতেন যে,''মা তোমার চৈতন্য হউক।''তাঁর সেই সুন্দর প্রসন্ন ক্ষমাময় মূর্তি আমার ন্যায় অধমজনের প্রতি কি করুণাময় দৃষ্টি!পাতকীতারণ পতিতপাবন যেন আমার সম্মুখে দাঁড়াইয়া আমায় অভয় দিয়াছিলেন। হায়!আমি বড়ই ভাগ্যহীনা অভাগিনী!আমি তবুও তাঁহাকে চিনিতে পারি নাই। আবার মোহ জড়িত হইয়া জীবনকে নরক সদৃশ করিয়াছি।
    আরেকদিন যখন তিনি অসুস্থ হইয়া শ্যামপুকুরের বাটিতে বাস করিতেছিলেন,আমি শ্রীচরণ দর্শন করিতে যাই তখনো সেই রোগক্লান্ত প্রসন্নবদনে আমায় বলিলেন,''আয় মা বোস'',আহা কি স্নেহপূর্ণ ভাব!এ নরকের কীটকে যেন ক্ষমার জন্য সতত আগুয়ান! কতদিন তাঁহার প্রধান শিষ্য নরেন্দ্রনাথের(পরে যিনি বিবেকানন্দ স্বামী বলিয়া পরিচিত হইয়াছিলেন)''সত্যম শিবম''মঙ্গলগীতি মধুর কন্ঠে থিয়েটারে-এ বসিয়া শ্রবণ করিয়াছি।আমার থিয়েটার কার্যকরী দেহকে এইজন্য ধন্য মনে করিয়াছি। জগত যদি আমায় ঘৃণার চক্ষে দেখেন,তাতেও আমি ক্ষতি বিবেচনা করি না।কেননা আমি জানি যে ''পরমারাধ্য পরম পূজনীয় (স্বর্গীয় চিহ্ন)''রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব"'আমায় কৃপা করিয়াছিলেন!তাঁর সেই পীযূষপূরিত আশাময়ী বাণী ---''হরি গুরু ,গুরু হরি"আমায় আশ্বাস দিতেছে। যখন অসহনীয় হৃদয়ভারে অবনত হইয়া পড়ি,তখনি যেন সেই ক্ষমাময় প্রসন্ন মূর্তি আমার হৃদয়ে উদয় হইয়া বলেন যে,''বল---হরি গুরু গুরু হরি'' এই চৈতন্যলীলা দেখার পর তিনি কতবার থিয়েটারে আসিয়াছেন,মনে নাই। তবে'বক্সে '' যেন তাঁর সেই প্রসন্ন প্রফুল্লময় মূর্তি আমি বহুবার দর্শন করিয়াছি।

  • de | 180.149.51.67 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:৪৭532827
  • দু'দিন পরে আসতে সময় হলো -- কত্তো পিছিয়ে পড়তে হবে! নির্মোহ ব' দিলেই টই হিট! মমদিদিকে বা সুশান্ত ঘোষ কে নিয়েও কি একই হবে?

    আকা,

    সেক্স এডুকেশন অবশ্যই জরুরী, কেউ অস্বীকার করেনি তা! কিন্তু সেক্স এডুকেশন বলতে কি বুঝি সেই ডেফিনিশনটাই মাঝে মাঝে ক্লীয়ার হয় না। শুধু প্রাইভেট পার্টস, ব্যাড টাচ আরো ডিটেলে ফিজিওলজিক্যাল ডেস্ক্রিপশন ইত্যাদী সব কিছুই স্কুলে শেখানো হয় কিন্তু এতো সবের মাঝে যেটা অবহেলিত থেকে যায় সেটা হলো মেন্টাল ডেভেলপমেন্ট। বেড়ে ওঠার এই বয়সটাতে শরীরকে চেনার সঙ্গে একইরকমভাবে দরকার মনটাকে চেনা আর সেটাকে তৈরী করা -- সেই ব্যাপারটাতে বিশেষ জোর দেওয়া হয় না এখানে! বয়:সন্ধি এক বিচিত্র সময়, নানা রকম মেন্টাল টানাপোড়েনের সময়। এতো সাটল সব ফীলিংস আর ভাবনা থাকে সেগুলো শেয়ার করতে না পারলে অত্যধিক চাপে ভোগে বাচ্চারা! চেহারায় বা শরীরেই এরা বড়ো মানুষের মতো হয়ে যায়, মনটা এতো দোটানায় ভোগে, নিজেরা বড় না ছোট সেটা নিজেরাই ঠিক করতে পারে না!

    আমি অনেক ভাবে শিখছি (রয়াদার শিখতে চেষ্টা করছি) এখন কিভাবে বয়:সন্ধি নিয়ে ডিল করতে হয়। নেটে যা বইপত্র/লেখাপত্র পাই পড়ি, কিন্তু ভালো বইয়ের বড় অভাব বর্তমানে ফীল করছি! খ্‌বুব লাইট কমেন্ট দেখলে তাই অদ্ভুত লাগে, অতি সরলীকরণ বলে মনে হয়!

    ডি: -- যথারীতি এই পোস্টেও দাড়িদাদু নাই :))
  • de | 180.149.51.67 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:৫৫532828
  • ছোটাইয়ের বিনোদিনী পড়ার পর একটা জেনেরিক কমেন্ট --

    বাংলা থিয়েটার যাঁর জন্য বেঁচে আছে সেই গুণী শিল্পীর এতো হীনম্মন্যতা আর পাপবোধ দেখে দু:খই হয় শুধু! যদিও "থিয়েটারে লোকশিক্ষে হয়" বলেছিলেন ঠাকুর, কথামৃতে কিন্তু আছে রিলিজিয়াস থিয়েটারকেই ভালো বলেছিলেন তিনি, সাধারণ আমোদ-প্রমোদ সম্বলিত থিয়েটারকে নয়।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:৪৮532829
  • ছ্‌হ্‌য়া ছ্যা । বিনোদিনীর কী ভক্তিরস ! ম্যাগো । পড়লেও গা গুলোয় । যে রামকেষ্ট মেয়েদের জগদম্বার অংশ-ফংশ বলে এত হীন প্রতিপন্ন করে গেল, তুই কিনা তার পায়ে গড়াগড়ি দিলি ! আরে রামো : ।
  • de | 180.149.51.67 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:০৪532830
  • পায়ে গড়াগড়িতে আপত্তি নাই, নিজেকে এতো ছোট ভাবায় আছে --

    কোন রসই বেশী ভালো নয় -- বড্ড চ্যাট-চ্যাট করে :))
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:০১532831
  • দে কি এখনও যুক্তিরসে চুবেন নাই?
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১০532832
  • ছোট আই, থ্যাংকু। এতে কাম-কাঞ্চন দেখতে পেলাম না। ক্রমশ ধারণা হচ্ছে রামকৃষ্ণ তাঁর যে কয়েকজন নারী ভক্তকে জীবদ্দশায় পেয়েছিলেন তাঁদের কাম-কাঞ্চন নিয়ে কিছু বলেছিলেন কিনা কারুর জানা নেই। ঠারেঠোরে, অমুকটার মানে তমুক, তমুকটার মানে কামুক এছাড়া গত্যন্তর নেই। কথা হল, এই অবস্থায় ওনার নারী, যৌনতা নিয়ে কথাগুলো যদি কোন নারীর খারাপ লাগে তাহলে বলার কিই বা থাকতে পারে।

    দে, মোটামুটি ক।
  • i | 124.169.133.206 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১৩532833
  • প্রিয় নেম, আপনার ২:৩৭ এ এম এ যে প্রশ্ন করেছেন, আমার কাছে তার উত্তর নেই।তার কারণ আধ্যাত্মিক চিন্তা, ঈশ্বরলাভ নিয়ে কোনদিন কিছু ভাবিই নি এ যাবৎ, ফলত: সংকটও সৃষ্টি হয় নি কিছু এ নিয়ে, আর যেহেতু আমার সংকট নেই, মুক্তির পথও জানা নেই।

    মনে হচ্ছে, আমার অনেক পড়াশোনা করা আবশ্যক এই টইতে কথা বলতে গেলে।
    আপাতত: কথামৃত পড়ি।আরও কিছু বই যোগাড়ের প্রয়োজন।
    অবিশ্বাসী, সংশয়ী মানুষের যা হয় আর কি।
    আপনার বইটি পড়া হলে এখানেই লিখব আপনাকে।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১৮532836
  • কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ করলে বিবাহিত পুরুষ চিরতরে গৃহত্যাগী হবে । সেই চিন্তায় গিন্নিরা যে আঁতকে উঠে কান্না জুড়বেন আর রামকেষ্টকে শাপান্ত করবেন এ তো নর্মাল ।
  • nk | 151.141.84.239 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২১532837
  • ছোটাই, কী বলবো। খুবই ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছা হচ্ছে, আসলে কী বলবো বুঝতে পারছি না। নির্মোহ ব য়ের আমলে নিজেকে মোহাভিভূত ম বলে মনে হচ্ছে।

    বিনোদিনীর লেখা বইটা পাওয়া যায়? শুধু বর্ণনার মুনশিয়ানা না, এতো ভালো শুদ্ধ বাংলা, সেই আমলের একজন মেয়ে লিখছে, যে আমলে কিনা উচ্চমধ্যনিম্ন কোনো বিত্তের পরিবারের প্রায় কোনো মেয়েই লেখাপড়া শেখার সুযোগই পেতো না। এই বইটা যেমন করে পারি যোগাড় করে পড়তে ইচ্ছুক।

    ইন্দ্রাণীদি, আবারো ধন্যবাদ টুকরোটুকুর জন্য।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৩532839
  • রামকেষ্টর শিক্ষা যখন কামিনীর মানে অলমোস্ট নিম্ফোম্যানিয়াক করে তখন নারী কেন অনেকেই শাপ শাপান্ত করতে পারে। দ্যাখেন দ্যাখেন বাংলা ভাষায় রামকেষ্টর প্রভাব কতটা।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৩532838
  • বিনোদিনীর বই তো সহজেই পাওয়া যায় বইপাড়াতে ।
  • i | 124.169.133.206 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৪532840
  • প্রিয় এন কে,
    সুবর্ণরেখা থেকে বইটি প্রকাশিত। দেখো খোঁজ করে। না পাওয়ার কথা তো নয়।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৬532841
  • এইটা আকা আবার কোন কোটে পেল ? রেফারেন্স দেবেই নির্ঘাত ।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৭532842
  • কেন এই কোন এক টইতে নেমে কামিনির এই মানেই করেছিল তো।
  • nk | 151.141.84.239 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৯532843
  • কী! আকা!!!!! এটা কী কইলেন? কী সর্বনাশ!!!!
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩০532844
  • রেফারেন্স, কমরেড, রেফারেন্স ।
  • nk | 151.141.84.239 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩১532845
  • ইন্দ্রাণীদি, থ্যাংকু। আমি খোঁজ করে যোগাড় করে নেবো।
  • nk | 151.141.84.239 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৩532847
  • তারাশংকরের গল্পে এক কামিনী ডাইনী ছিলো, কে যেন রাস্তা ভুল করে ওর পাল্লায় পড়েছিলো, মায়া বিস্তার করে টেনে নিয়েছিলো। কারুর মনে আছে গল্পটা?

    আর আকা, এখানে রামকৃষ্ণ যদি কামিনী বলতে ওরকম বুদ্ধের "মার" এর মতন কোনো কন্সেপ্ট এর কথা বলে থাকেন, তাইলে তো কোনো গোলই থাকে না, নারী ও পুরুষ কারুরই নাখোশ হবার কথা না।
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৪532848
  • Name:nameMail:Country:

    IPAddress:69.210.252.190Date:23Jan2012 -- 11:52PM

    অন্য টইয়ে একটা কনফিউশন দেখছি নারী আর কামিনীদের মধ্যে। সব মানুষেরই মধ্যে কাম প্রবৃত্তি অল্প বিস্তর থাকে। যদি সেটা বেশী মাত্রায় থাকে তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে কামুক আর মেয়েদের ক্ষেত্রে কামিনী বলে। এখন কামুকের থেকে মেয়েদের নিজেদের বাঁচাবার কথা শুধু শাস্ত্র মুখে নয়, সাধারণ জ্ঞানেও বার বার বলা হয়েছে। তবু যদি কেউ (মানে, ধরে নিই কোনও নারী) কামুক সান্নিধ্য পছন্দ করেন তাতেও দোষের কিছু নাই। একটাই অসুবিধা ঐ পুরুষ তাঁর জীবন সঙ্গী হলে ঈশ্বর সাধনা বা কোনও রকম তপস্যা মায়া হয়ে যাবার সম্ভবনা বেশী। (উদাহরণ সুবর্ণলতা)। তো, এই জন্য যদি অপশন থাকে মেয়েদেরও বলা হবে কামুক থেকে দূরে থাকো। এইবার পুরুষ শব্দগুলির স্থানে মেয়ে লাগিয়ে আর কামুকের স্থলে কামিনী ব্যবহার করে দেখুন একই অর্থ থাকছে। এখন, শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে যে সব ছেলেরা আসছে, ধরা যেতে পারে তারা একটু ধর্ম কর্ম করতে আগ্রহী। তো, উনি ওদের উপদেশ দিয়েছে "কামিনী" থেকে দূরে থাকতে। মনে রাখতে হবে সেই সময়ের কলকাতায় কি পরিমান বাঈজী ইত্যাদি কালচার চলছিল আর এই ছেলেগুলির বয়েস কুড়ি থেকে ত্রিশের মধ্যে!
    সকলকে তিনি একই উপদেশ দিতেন না। তিনি কাম বর্জন করতে বলতেন। "খণ্ডন ভববন্ধন"-তে আছে "বঞ্চন কাম কাঞ্চন" (মাইন্ড ইট, কাম, নট কামিনী)। শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাত্মবুদ্ধি ছিল না। নারীদের প্রতিও যে সমদৃষ্টা ছিলেন তার আভাস লীলাপ্রসঙ্গে পাওয়া যায়। প্লাস, ধর্মের দিকে ঝোঁক আছে বলে নয়, কিছুটা পড়ালেখা আছে বলেও আধুনিক মেয়েরা একবিংশ শতাব্দিতে ইউএসেতে ন্যানোটেকনলজির প্রজেক্ট লিখতে লিখতেও দেখতে পান শ্রীরামকৃষ্ণের মুচকি হাসি!

    এখন কাম কেন খারাপ, কাম না থাকলে সৃষ্টি হত না এই সব বোকা কথা বলে ঝগড়া করবেন না। কারণ, চৈতন্যচরিতামৃতে বহুকাল আগে বলা হয়ে গেছে "আত্মেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছে কাম, কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছে প্রেম।" আত্মেন্দ্রিয় প্রীতি মানে স্বার্থপরের মত এই ছোটো আমি নিজের সুখের কথা ভেবে যা করি। আর কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছে হল গিয়ে পরার্থে যা কিছু নিবেদন করি।
    শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেম ত্যাগ করতে উপদেশ দেন নাই, কাম ত্যাগ করতে বলেছেন। নারীকে ত্যাগ দেন নাই, কামীনিকে এড়িয়ে চলতে বলেছেন।

    প্রত্যেক শব্দের অর্থ বুঝতে হবে তো না কি? শ্রদ্ধা আর ভক্তি, ধর্ম আর আধ্যাত্মিকতা, কাম আর প্রেম ... সব মিলিয়ে জগা কর্তৃক রন্ধিত খিচুড়ি হইলেই তো আর খাদ্য হইবে না!

  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৬532849
  • শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি) -- আগে অত আসতে; এখন আস না কেন?
    বিজয় -- এখানে আসবার খুব ইচ্ছা, কিন্তু আমি স্বাধীন নই। ব্রাহ্মসমাজের কাজ স্বীকার করেছি।
    শ্রীরামকৃষ্ণ -- কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে। জীবের স্বাধীনতা যায়। কামিনী থেকেই কাঞ্চনের দরকার। তার জন্য পরের দাসত্ব। স্বাধীনতা চলে যায়। তোমার মনের মতো কাজ করতে পার না।
    “জয়পুরে গোবিন্দজীর পূজারীরা প্রথম প্রথম বিবাহ করে নাই। তখন খুব তেজস্বী ছিল। রাজা একবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তা তারা যায় নাই। বলেছিল, ‘রাজাকে আসতে বল’। তারপর রাজা ও পাঁচজনে তাদের বিয়ে দিয়ে দিলেন। তখন রাজার সঙ্গে দেখা করবার জন্য, আর কাহারও ডাকতে হল না। নিজে নিজেই গিয়ে উপস্থিত। ‘মহারাজ, আশীর্বাদ করতে এসেছি, এই নির্মাল্য এনেছি, ধারণ করুন।’ কাজে কাজেই আসতে হয়; আজ ঘর তুলতে হবে, আজ ছেলের অন্নপ্রাসন, আজ হাতেখড়ি -- এই সব।
    “বারশো ন্যাড়া আর তেরশো নেড়ী তার সাক্ষী উদম সাড়ী -- এ গল্প তো জান। নিত্যানন্দ গোস্বামীর ছেলে বীরভদ্রের তেরশো ন্যাড়া শিষ্য ছিল। তারা যখন সিদ্ধ হয়ে গেল, তখন বীরভদ্রের ভয় হল। তিনি ভাবতে লাগলেন, ‘এরা সিদ্ধ হল, লোককে যা বলবে তাই ফলবে; যেদিক দিয়ে যাবে সেইদিকেই ভয়; কেননা, লোক না জেনে যদি অপরাধ করে, তাদের অনিষ্ট হবে।’ এই ভেবে বীরভদ্র তাদের বললেন, তোমরা গঙ্গায় গিয়ে সন্ধ্যা-আহ্নিক করে এস। ন্যাড়াদের এত তেজ যে, ধ্যান করতে করতে সমাধি হল। কখন জোয়ার মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে হুঁশ নাই। আবার ভাঁটা পড়েছে তবু ধ্যান ভাঙে না। তেরশোর মধ্যে একশো বুঝেছিল -- বীরভদ্র কি বলবেন। গুরুর বাক্য লঙ্ঘন করতে নাই, তাই তারা সরে পড়ল, আর বীরভদ্রের সঙ্গে দেখা করলে না। বাকী বারশো দেখা করলে। বীরভদ্র বললেন, ‘এই তেরশো নেড়ী তোমাদের সেবা করবে। তোমরা এদের বিয়ে কর।’ ওরা বললে, ‘যে আজ্ঞা, কিন্তু আমাদের মধ্যে একশোজন কোথায় চলে গেছে।’ ঐ বারশোর এখন প্রত্যেকের সেবাদাসীর সঙ্গে থাকতে লাগল। তখন আর সে তেজ নাই, সে তপস্যার বল নাই। মেয়েমানুষ সঙ্গে থাকাতে আর সে বল রইল না; কেননা সে সঙ্গে স্বাধীনতা লোপ হয়ে যায়। (বিজয়ের প্রতি) তোমরা নিজে নিজে তো দেখছ, পরের কর্ম স্বীকার করে কি হয়ে রয়েছ। আর দেখ, অত পাশ করা, কত ইংরাজী পড়া পণ্ডিত, মনিবের চাকরি স্বীকার করে তাদের বুট জুতার গোঁজা দুবেলা খায়। এর কারণ কেবল ‘কামিনী’। বিয়ে করে নদের হাট বসিয়ে আর হাট তোলবার জো নাই। তাই এত অপমানবোধ, অত দাসত্বের যন্ত্রণা।”

    [ঈশ্বরলাভের পর কামিনীকে মাতৃভাবে পূজা ]

    “যদি একবার এইরূপ তীব্র বৈরাগ্য হয়ে ঈশ্বরলাভ হয়, তাহলে আর মেয়েমানুষে আসক্তি থাকে না। ঘরে থাকলেও, মেয়েমানুষে আসক্তি থাকে না, তাদের ভয় থাকে না। যদি একটা চুম্বক পাথর খুব বড় হয়, আর-একটা সামান্য হয়, তাহলে লোহাটাকে কোনটা টেনে লবে? বড়টাই টেনে লবে। ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    একজন ভক্ত -- মহাশয়! মেয়েমানুষকে কি ঘৃণা করব?
    শ্রীরামকৃষ্ণ -- যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন, তিনি কামিনীকে আর অন্য চক্ষে দেখেন না যে ভয় হবে। তিনি ঠিক দেখেন যে, মেয়েরা মা ব্রহ্মময়ীর অংশ, আর মা বলে তাই সকলকে পূজা করেন। (বিজয়ের প্রতি) -- তুমি মাঝে মাঝে আসবে, তোমাকে দেখতে বড় ইচ্ছা করে।

    নিম্ফোম্যানিয়াক ? :)
  • aka | 168.26.215.13 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৮532850
  • দুখে মনে হয় নেমেকে এই প্রশ্ন করেছে। :)
  • nk | 151.141.84.239 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৪২532851
  • কেউ একজন "মার" এর কথাটাও একটু বুঝিয়ে দেবেন প্লীজ। সেই যে বোধিলাভের বাধা দিচ্ছিলো যে, সেই "মার"। ভালো করে লিখুন প্লীজ।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৪৯532852
  • বন্ধন । সংসারের হাট বসানো মানেই বন্ধন । দায়িত্ব বাড়ল, কর্তব্য বাড়ল, স্বাধীনতা মার খেল । স্বাধীনতা চাইলে কামিনী (অতএব সন্তানাদিও) বাদ দাও, কাঞ্চন বাদ দাও। মনে রাখতে হবে তখনও 'সময়শকট - ফিরে দেখুন যৌবন' প্রকল্পের খসড়া হয়নি।

    তার মানে কি নারীকে গালাগাল ? যাদের বলা হবে 'ব্রহ্মময়ীর অংশ'?
  • pinaki | 138.227.189.8 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:০২532853
  • ঈশ্বরলাভের আগে অব্দি গালাগাল, ঈশ্বরলাভ হয়ে গেলে তারপর মাতৃজ্ঞানে পুজো। :-)

    সাধারণের তো ঈশ্বরলাভ হইব না। অতএব ভান্ডারে ঘৃণাটুকুই পড়ে রইল।

    তবে ভাই এর আগে এসব পড়ি নি। এখন পড়ে মনে হচ্চে ভাগ্যিস পড়ি নি। :-)

    অতি কষ্ট করেও দুখেদার কোটেশনে মেয়েদের প্রতি সম্মান খুঁজে বের করতে পারলাম না। :-( আমার মনে হয় নির্মোহ ব হয়েছে। :-(
  • tatin | 122.252.251.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:০৬532854
  • মেয়েদের ঘৃণা করতে হবে এইটা কোথায় বল্লেন? মুখে কথা বসানো হচ্ছে!
  • pinaki | 138.227.189.8 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:০৯532855
  • তবে কি মেয়ে মানুষকে ঘৃণা করব?

    উত্তর হল ঈশ্বরলাভের পরে মাতৃজ্ঞানে পুজো করবে।

    এই দিয়ে আর আগের প্যারায় কামিনীর দ্বারা সৃষ্ট সমস্যার ভিভিড বর্ণণা দিয়ে আমি সেটাই বুঝলাম।

    বল্লাম তো - মনে হয় নির্মোহ ব হয়েছে আমার। সেইজন্যেই উল্টোপাল্টা বুঝছি। :-)
  • tatin | 122.252.251.244 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:১৫532856
  • দাদুমৃত কনফার্মস:

    ১) চন্দ্রা। যাই বল বিশুবেয়াই, যক্ষপুরীতে এসে তোমরাই মজেছ। আমাদের মেয়েদের তো কিছু বদল হয় নি।

    বিশু। হয় নি তো কী। তোমাদের ফুল গেছে শুকিয়ে, এখন 'সোনা সোনা' করে প্রাণটা খাবি খাচ্ছে।

    চন্দ্রা। কখ্‌খনো না।

    বিশু। আমি বলছি হাঁ । ঐ-যে ফাগু হতভাগা বারো ঘন্টার পরে আরও চার ঘন্টা যোগ করে খেটে মরে, তার কারণটা ফাগুও জানে না, তুমিও জান না। অন্তর্যামী জানেন। তোমার সোনার স্বপ্ন ভিতরে ভিতরে ওকে চাবুক মারে, সে চাবুক সর্দারের চাবুকের চেয়েও কড়া।

    চন্দ্রা। আচ্ছা বেশ, তা চলো-না কেন, এখান থেকে দেশে ফিরে যাই।

    বিশু। সর্দার কেবল যে ফেরবার পথ বন্ধ করেছে তা নয়, ইচ্ছেটা সুদ্ধ আটকেছে। আজ যদি-বা দেশে যাও টিঁকতে পারবে না, কালই সোনার নেশায় ছুটে ফিরে আসবে, আফিমখোর পাখি যেমন ছাড়া পেলেও খাঁচায় ফেরে।

    ২)
    চন্দ্রা। ওমা! ওদের নিজের ঘরে কি স্ত্রী নেই। তারা কী বলে।

    বিশু। তারাও সোনার তালের মদে বেহুঁশ। নেশায় স্বামীদের ছাড়িয়ে যায়। আমরা তাদের চোখেই পড়ি নে।
    চন্দ্রা। বিশুবেয়াই, তোমার ঘরে তো স্ত্রী ছিল, তার হল কী। অনেকদিন খবর পাই নি।

    বিশু। যতদিন চরের উচ্চপদে ভরতি ছিলুম, সর্দারনীদের কোঠাবাড়িতে তার তাসখেলার ডাক পড়ত। যখন ফাগুলালদের দলে যোগ দিলুম, ওপাড়ায় তার নেমন্তন্ন বন্ধ হয়ে গেল। সেই ধিক্কারে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে।

    চন্দ্রা। ছি, এমন পাপও করে!

    বিশু। এ পাপের শাস্তিতে আর-জন্মে সে সর্দারনী হয়ে জন্মাবে

    ***** কামিনী-কাঞ্চন, কামিনী-কাঞ্চন *******
  • pinaki | 138.227.189.8 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:১৬532858
  • পুরো ব্যাপারটা আমি যা বুঝলাম, ঈশ্বরলাভের পথটায় মেয়েরা হল সব রকমের ডিস্ট্র্যাকশন সৃষ্টিকারী। কাজেই এড়িয়ে চলো। একবার ঈশ্বরলাভ হয়ে গেলে তারপরে তুমি হয়ে যাবে বিশাল ম্যাগনেট। তখন মেয়েরা তোমাকে ডিস্ট্র্যাক্ট করতে পারবে না। বরং তুমি তাদের তখন টেনে নেবে তোমার দিকে। তখন মহামায়ার অংশ ভেবে পুজো টুজো কোরো।

    গভীর নির্মোহ ব কেস। (কালো চশমা স্মাইলি)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন