এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাম নারায়ন রাম/ Ram Narayan Ram

    সৌম্য
    অন্যান্য | ০৪ জুলাই ২০১২ | ২০২৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kc | 204.126.37.78 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৪:২৫554218
  • ডিডিদা,
    হাঁদাযুগ ফিরে আসছেনা বলেই মনে হয়। সারফেস লেয়ারে হাঁদামো রেখে আসল লোকেরা ব্যাপক হারে ক্ষীর খেয়েই চলেছে। এই গুরুর কল্যাণেই অনেককাল আগে একটা বই পড়েছিলাম, কনফেশন অব ইকনোমিক হিটম্যান বলে। সেই রকম সোস্যাল লেভেলেও কিছু হিটমানের গেম এগুলো বলে বলে হয়। কারণ এইসব হাঁদামো, সমাজের সারফেসে থাকলেও কিন্তু অ্যাকচুয়াল হাঁদাদের বিশেষ কিছু উবগার কিন্তু হচ্ছেনা।
  • বৈ | 132.248.183.1 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৫:০৩554219
  • মার্ক্স ধর্মকে বলেছিলেন লজিক ইন দ্য পপুলার ফর্ম। ধর্ম কি হবে বা না হবে তা নির্ভর করবে এই পপুলার ফর্মের বিবর্তনের উপর। উনিশ দশকে শিক্ষিত বাঙালী যুবকদের মধ্যে ধর্মচর্চার একটা প্রবল ঝোঁক ছিল। কিন্তু তার অনেকটাই ইন্টেলেক্টনির্ভর। ব্রাহ্মদের নিজস্ব বাওয়ালি, অন্যদিকে ব্রাহ্ম বনাম বিবেকানন্দ, বা শেষ বয়সের বঙ্কিম, নিবেদিতার কালীবন্দনা- প্রায় প্রত্যেকটা বড়ো এপিসোডের পিছনে অনেকটা পড়াশুনা ও ভাবনাচিন্তার প্রেক্ষাপ্ট ছিল। এমন কি কর্তভজা বা সাহেবধনীদের গানেও নিজস্ব দার্শনিক প্যারাডাইম তৈরি করার মতো চিন্তাভাবনা ছিল।

    কিন্তু মেইনস্ট্রিম সংবাদপত্রের পাতার পর পাতা জুড়ে মারণ-উচাটন-বশীকরণের অ্যাড উনিশ শতক কেন, কয়েক দশক আগেও দেখি নি। প্রায় পাঁচ ছয়টা বাংলা চ্যানেল জুড়ে মূলতঃ কিছু জোচ্চোর তন্ত্র মারণ উচাটন জ্যোতিষ নিয়ে চব্বিশ ঘন্টা বক্তৃতা দেয়। জাপানী তেলের মতো একটা ফ্রড এখন প্রাইমটাইম টেলিভিশনের অ্যাডের মূল রেভিনিউ সোর্স। কাউকে শুনি নি প্রতিবাদ করতে। বিজ্ঞান মঞ্চ যুক্তিবাদী মঞ্চ ইত্যাদি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো সংগঠন প্রায় নিভন্ত। জ্যোতিষ নিয়ে কিছু বললে প্রতিদিনের মতো মেইনস্ট্রিম পত্রিকা আদাজল খেয়ে জ্যোতিষের সমর্থনে নেমে পড়ে। লক্ষণীয় কে বা কারা আমাদের সংস্কৃতি ও মিডিয়ার সিংহভাগ অর্থের যোগানদার। মূলতঃ একধরনের "গ্রুপ অফ কোম্পানি"- চিট ফাণ্ড, প্রোমোটারি, এবং রিজর্ট ব্যবসার পয়সা।

    আমার বাড়ি যাওয়ার পথে একটা রাস্তা অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে বহুদিন। মধ্যে এক রক্ষেকালীর থান। থান ভাঙা যায় না, তাই রাস্তা ওদিকে অর্ধেক, এদিকে অর্ধেক, মধ্যিখানে ফাঁকা। এইবছর দেখলাম পাশেই থানের বিকল্প জায়গা বেছে আর একটি চাতাল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। মনে হল এবার রাস্তা হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেখছি বিশাল লাল শালুর ব্যানার। মায়ের অলৌকিক দর্শন হয়েছে। মা বলেছেন ওখানেই উনি থাকতে চান। মায়ের আদেশে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির মতো থানরক্ষা কমিটি তৈরি হয়েছে। পাশে ম্যারাপ বেঁধে জনগণকে খাওয়ানো চলছে। প্রতিদিন বিপুল ভিড়, পিল্‌পিল্‌ করে মানুষ আসছে। এটা কলকাতার প্রায় বুকের উপর হয়ে চলা ঘটনা।

    রিভেঞ্জ অফ কি জানি না। তবে "পরিবর্তন" তো হচ্ছেই। গত এক দশক ধরেই হচ্ছে মনে হয়।
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৫:০৯554220
  • যাঃ বাইপাস এক্ষটেনশনটা মায়ের ভোগে...
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৫:২৩554221
  • হক কথা।

    যে সব বিজ্ঞাপন আমাদের ছোটোবেলায় শুধুমাত্র পঞ্জিকাতে ছিলো সেগুলো এখন দেখি মেইন লাইন মিডিয়ায় গাব্দা গাব্দা করে ছাপায়। টিভিতেও দেখায় ? আমার সেই সব চ্যানেল নেই। রক্ষে।

    আর সেই সাঁইবাবার থেকে শুরু হোলো অলৌকিক বাবাদের জমজমাট - যেনো এক মিছিল চলেছে। কতোজনে জেলে হাজতে গেলো , তাও থামে না।

    নিশ্চিত কোথাও কোনো অসুখ রয়েছে।
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৫:২৯554222
  • তারানন্দ আর চব্বিশ ঘন্টা - দুটোই বেশ রেগুলারলি জাপানী তেলের অ্যাড দেখায়।

    আগে বাড়ি যাতায়াতের পথে রাণীকুঠিতে একটা শনিমন্দির পড়তো। এখন রাণীকুঠির মোড়ে পৌঁছনোর আগে তিনটে, তার মধ্যে দুটো জিডি বিড়লার মোড়ের দুই ফুটপাথে - মুখোমুখি। রাণীকুঠির বড় মোড়ে একটা বেশ বড়সড়। আরো এগিয়ে মুর অ্যাভিনিউয়ে আরো দুটো। কালীতলা ব্রীজ পেরিয়ে আরো দুটো। শনিবার সন্ধ্যেবেলা আশেপাশের হাউজিংগুলো থেকে বেশ কিছু লোক ভিড় জমায় - যাদের দেখে কিন্তু নিম্নবিত্ত মনে হয় না।
  • | 24.99.186.241 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৬:১২554223
  • আমার ছোটবেলায় ভাড়া কিম্বা কেনার জন্য বাড়ী দেখতে গেলে যাঁরা দেখাতেন তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করতেন বাড়ী কতটা খোলামেলা, কেমন আলো হাওয়া খেলে, পুব দক্ষিণ খোলা কিনা ইত্যাদি। আর এখন প্রথমেই বলে বাস্তু-কমপ্লায়েন্ট। হাড়পিত্তি জ্বলে যায় শুনলেই।
  • aka | 178.26.215.13 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৮:০০554224
  • নতুন করে হল না, ছিল এখন শুধু আরও বেশি ভিজিবল জানি না। কিন্তু চ্যানেলে চ্যানেলে জ্যোতিষ, বাস্তু, কাগজে জাপানী তেলের বিজ্ঞাপন চোখে লাগে।
  • পাই | 82.83.87.188 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৮:০৭554225
  • বৈবাবু যেটা লিখেছেন, গত দশ বছর ধরেই এগুলো বাড়ছে।
  • ঊমেশ | 90.254.147.148 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৯:১৪554226
  • জাপানী তেল টা নতুন লাগলো।
    আগে শুনি নি।
    জিনিস টা কি, কেন? খায় না গায়ে মাখে?
  • সিকি | 132.177.2.130 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৯:১৬554228
  • হ্যাঁ, গায়েই মাখে বলতে পারেন। "পুরুষদের বিশেষ মুহূর্তের সঙ্গী"। বুইলেন কিনা?
  • b | 135.20.82.165 | ১০ জুলাই ২০১২ ১৯:৫৮554230
  • কি সাংঘাতিক! গিফ্ট ভাউচার-ও আছে।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ১০ জুলাই ২০১২ ২০:৪৫554231
  • ডিডিদার সেইসব চ্যানেল নেই মানে! হার্গিস আছে। একটু রাত করে চ্যানেলে চ্যানেলে দেখবেন টেলিমার্কেটিঙের আসরে কী কী পণ্য বিক্রি হয়। বাংলা, হিন্দি, কন্নড়, কিড্‌স, নিউজ চ্যানেল কিচ্ছুটি বাদ যায় না।

    ইন্টারনেট আর মিডিয়া বিপ্লবের কল্যাণে হাঁদারা ইদানীং বেশ একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পেয়ে গেছে।
  • aka | 85.76.118.96 | ১১ জুলাই ২০১২ ০৮:৩২554232
  • জ্যোতিষ নিয়ে কিছু বললে সায়েন্সের ফাণ্ডামেন্টালিজম নিয়ে বা কালচারাল কো-এক্সিটেন্স নিয়েও আদাজল খেয়ে লেগে পড়ে এমন ব্যক্তি কিছু কম নয়।

    ক্রমশ যে কথাটা মনে হচ্ছে, আমরা মিডিয়াকে গাল দিই, সরকারকে গাল দিই, কিন্তু মিডিয়া, সরকার সবই মনে হয় ব্যক্তিগত আমিরই একটা রিফ্লেকশন। প্রতিদিনে জ্যোতিষের সপক্ষে লেখা হয় কারণ জ্যোতিষকে সিমপ্যাথাইজ করার মতন লোকের অভাব নাই।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১১ জুলাই ২০১২ ০৯:২৭554233
  • "...ন্যাশনাল রিডারশিপ সার্ভের রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার পাঠকবর্গের জীবনযাত্রার ধারা। কলকাতা থেকে নিয়মিত বিমানে ভ্রমণকারী প্রতি দু’জনের একজন, পশ্চিমবঙ্গে নামকরা গাড়ির মালিকদের ৪০%, রাজ্যের ওয়াশিং মেশিন আছে, এমন মানুষদের অর্ধেকেরও বেশি, পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক মাইক্রোওয়েভ মালিক, রাজ্যের সমস্ত এয়ার কন্ডিশন মালিকের ৪০% আনন্দবাজার পত্রিকার সমৃদ্ধ পাঠক-তালিকা খুব দীর্ঘ।

    আর এই পাঠককুল অসংখ্য বিজ্ঞাপনদাতার কাছে এক সত্যিকারের স্বর্ণখনি। যে-বিজ্ঞাপনদাতা বাজারে একটুখানি ভাগ পাওয়ার জন্য পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। বিজ্ঞাপনদাতারা জানেন, পশ্চিমবঙ্গে সামগ্রী ও পরিষেবা বিপণন করতে গেলে আনন্দবাজার পত্রিকা অপরিহার্য। কারণ, এই পত্রিকা ‘শুধু এক বৃহৎ সংবাদপত্র নয়, এক বৃহৎ বাজার’।"
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১১ জুলাই ২০১২ ০৯:৩৪554234
  • আজ নয়। সেই ১৯৮০-৮৫ কোন সাল থেকে দেখে আসছি। যে বছর জয় বাবা তারকনাথ রিলিজ করল। তার পর থেকে তারকেশ্বরের জলযাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলল। কি বিচিত্র ব্যাপার। বামফ্রন্ট যত বিপুল ভোটে জেতে, যত বিজ্ঞানমঞ্চের সংগঠন বাড়ে, তত জলযাত্রীদের সংখ্যা বাড়ে। নব্বইয়ের দশকে দেখলাম শ্রাবণ মাসের রোব্বার সিঙ্গুরের রাস্তায় লোকাল লোক আর কেউ বেরোচ্ছে না। এখন শুনেছি আরও বেড়েছে। রোব্বার রাতে নাকি কৈকালা থেকে তারকেশ্বর অবধি জল ঢালার লাইন পড়ে।

    কে জানে কি রহস্য।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১১ জুলাই ২০১২ ০৯:৪৮554235
  • ছোটোবেলায় জানতাম শিবরাত্রি। শিবমন্দিরে খুব ভিড় করত মেয়েরা। আর বিধবাদের একাদশী। এছাড়া আর কোনো বিশেষ "দিন" দেখেছি বলে মনে পড়েনা। ও মা শহরের আপিসে এসে কত ষষ্ঠী জেনে গেলাম। একটা মনে আছে। নীল ষষ্ঠী। এক ঝা চকচকে মহিলা আরেকজনকে নীলষষ্ঠী পালনের কথা বলছিলেন। প্রথমবার শুনে তো আমি হাঁ। আস্তে আস্তে মেয়েদের হাতে দেখতে শুরু করলাম নানারকম তাগা। মাদুলি। সেগুলো অবশ্য নতুন আমদানি, নাকি স্লিভলেস পোশাকের ব্যাপক প্রচলনের ফলে হঠাৎ করে দৃশ্যমান হল জানা নেই।

    এমনিতে আমি নির্বিরোধী লোক। তাগা-তাবিজ-মাদুলি-আংটি-কবচ পরলে কাউকে কিচ্ছু বলিনা। ষষ্ঠী করলেও না। এমনকি আমার খারাপও লাগেনা। লোকে যার যা খুশি করুক। মারামারি কাটাকাটির চেয়ে তো ভালো। লোকের নানা সেন্টিমেন্ট, কারণ এসবও নির্ঘাত থাকে। কিন্তু সংখ্যায় ব্যাপারটা এত বেড়েছে এত বেড়েছে, যে বড্ডো চোখে লাগে।

    এত তাবিজ-মাদুলি-ষষ্ঠীর পিছনেও নির্ঘাত কোনো রহস্য আছে। কে জানে কি।
  • kc | 204.126.37.78 | ১১ জুলাই ২০১২ ০৯:৫৮554237
  • আমার বাড়ি কলকাতা থেকে বহুদূরে। কালেজে পড়তে আসার আগে কখনও কলকাতা দেখি নাই। আমার দুই জেঠু কলকাতা একবারও না দেখেই ইহলোক ছেড়ে চলে গেছেন। তো এহেন আমি কিন্তু আমাদের আশেপাশে এইসব জোতিষ, জলপড়া, বাটি চালানো, ঝাড়ফুঁক, ডিকে লোধ, পচ্চুর দেখতে দেখতেই বড় হয়েছি।

    তা এখন এগুলোর কলকতাতেও রমরমা হয়েছে। তাতো হওয়ারই ছিল। ''গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরব'' বলেছিলেন না?
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:১১554239
  • মেডিকেল কলেজে আমার ভাগ্নীর ক্লাসে এক হবু ডাক্তারনি হাতে মাদুলিতে কিসব ঘাসটাস বেঁধে এসেছিলো। তো স্যার তাকে বেশ বকেছেন - যে তুমি হাতে এসব বেঁধে আসলে ওটি-র পেশেন্ট তোমার ওপর ভরসা রাখবে কী করে। তাতে সেই হবু ডাক্তারনি বেজায় খচে গিয়ে বন্ধুদের কাছে নালিশ করছিলো। ভাগ্নী আবার স্যারের কথা সমর্থন করায় প্রায় বন্ধুবিচ্ছেদ হবার যোগাড়।
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:১২554240
  • যেটা বলতে ভুলে গেলাম - এই হবু ডাক্তারনি শহুরে, এবং বেশ হাই কেলাস।
  • riddhi | 118.218.136.234 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:১৪554241
  • 'অবাঙ্গালী প্রভাব' কথায় আপত্তি আছে, বা অবাঙ্গালী=বড়লোক টাইপ ইকুএশানে । কল্কাতয় বহুকাল ধরে তো বিহারী পাবলিকের বাস তাদের ছট পূজো ইত্যদির তো কোন প্রভাব পড়েনি । আমার এখনো ধারণা, যারা আগে থেকে ধর্মভীরু ও এখন পয়্সাওয়ালা, তারাই আর একটু স্টাইল মেরে এগুলো করে।
  • tatin | 140.39.149.53 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:১৭554242
  • নিলস বোর-এর বাড়ির সামনে ঘোড়ার নাল ঝোলানো। জনৈক সাংবাদিক বা ওরোম কেউ জিগ্যেশ করলেন, ওসবে আপনি বিশ্বাস করেন নাকি?
    বোর- মোটেই না। তবে যে দিয়েছে সে বললো, বিশ্বাস না করলেও ওতে কাজ দ্যায়।
  • pi | 82.83.87.188 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:১৭554243
  • আমি কিছুটা ঐ সিরিয়ালের অবাঙালী মিন করছি।
  • riddhi | 118.218.136.234 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:২৮554244
  • এমনিতে ধার্মিকতার বাড়াবাড়ির কোন কারণ নেই। গুরুর পাবলিক লিবারাল জায়াগা পত্তর থেকে এসেছেন , মোটামুটি অধার্মিক একটা পরিবেশ গিভেন।
    এবারে এনারা কলকাতার বাইরে গিয়ে একটু অন্যরকম রেশিও পান। তাতে কিন্তু বাইরের দুনিয়া আগেও যা ছিল তেমনি থাকে। (এটা অবশ্য ঈশান বাবুর অভিজ্ঞাতার জন্য খাটে না) যেমন বাবাঅ১৯৬০ সালেই বাণী ছেড়ে দিয়েচেন আর কোটি কোটি লোক সেটা পড়েওছে। আমরা প্রথমবার পড়ে শিহরিত হচ্চি।
  • কান্তি | 135.20.14.90 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:৩২554245
  • রিদ্ধির কথার সূত্রে, ছটের আড়ম্বর কোলকাতায় বসে বোঝা যায়না।
    অই সময়ে বিহার গামী ট্রেন গুলোর ভিড় অবশ্য কিছুটা যানান দেবে।
    ওই সময়ে দুর্গাপুরে এলে ছট পরব কি জিনিষ বুঝতে পারবেন।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ১১ জুলাই ২০১২ ১০:৫৯554246
  • ধুর, ঈশান জানে না।

    নীলষষ্ঠী সেই আদি কাল থেকে ছিল (এখনো আছে)। ঈশান জানত না বলে আগে দেখিনি। এই যেমন আমি জয়মঙ্গলবার বলে একটা ব্রত হয় এই গুরুর পাতায় এসে জানলাম।

    তারকেশ্বর নিয়ে হাইপ শুনেছি। ওখানের লোকেরা এবং আম ভক্তগণ তারকেশ্বর লাইন বোঝাতে "বাবার লাইন" এই ফ্রজ ইউজ করেন। তবে শহরে থাকার জন্য সেইসব ক্রেজ চোখে পড়েনি।

    কিন্তু প্রবলভাবে ছিল (এবং হয়ত আছেন) সন্তোষী মা। শুক্রবারে টক খাওয়া যাবে না। সেই ক্লাস থ্রি না ফোর তখন থেকে দেখছি সরকারী কর্মচারীর মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে বলছে "কাকিমা, আজ তো শুক্রবার, আমি টক খাবো না, মাংসটা বরং আরেকটু দাও'।

    ঈশান সন্তোষী মার কথা বলল না?
  • প্পন | 122.133.206.25 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:০১554247
  • * ফ্রেজ
  • S | 213.112.82.128 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:০২554248
  • আচ্ছা, সবাই মিলে বাবা-র এতো খিল্লি ওড়ানো টা কি ঠিক হচ্ছে?
    এই যে কেষ্টা বেটা এত্তো গোপীসঙ্গ কল্লে, পরস্ত্রী-কে নিয়ে নীলে কল্লে, যেখানে সেখানে বাণী কিয়ে বেড়ালে, এমনকি কুরুক্ষেত্রে খেলা শুরু হবে হবে, বল সেন্টার সার্কেলে বসানো হয়ে গেছে, দুই দল নিজের নিজের ফর্মেশনে রেডি, রেফারি শিঙ্গা ফুঁকতে চলেছে, তখন সব থামিয়ে এত্তো শ্লোক বল্লে... কই তখন তো কেউ আপত্তি কল্লে না? আর বাবা নেহাত বালক বলে ....???

    "হাম করে তো শালা ক্যারেক্টার ঢিলা হ্যায়?"
  • | 24.96.136.146 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:১৬554250
  • উরে বাবা নীলষষ্ঠী আর শিবরাত্রি সেই ছোট্টবেলা থেকে দেখে আসছি। কিন্তু সে তো বছরে একদিন করে। বাবা তারকনাথের উৎপাত শুরু ৭৭ কিম্বা ৭৮ সালে। সেই যে একবার সাংঘাতিক বন্যা হল, সেইসময় পাড়ার ক্লাব থেকে যে লঙ্গরখানা টাইপ করেছিল তাতে অনবরত বাজত
    'চলে সতী মুখে তার বাবারি যে নাম
    তার মন নিষ্কাম আর তনু নিষ্কাম'
    তারপর আরেকটা
    'আজ তোমার পরীক্ষা ভ-অগ-অ-বা-আ-আন'

    হাওড়া মেন লাইনের যাত্রীরা এই বাবার উৎপাতের ভুক্তভোগী। বৈশাখ আর শ্রাবণ হল গিয়ে বাবার মাস। সোমবার সকাল থেকে বেলা দুটো পর্যন্ত হাওড়াগামী ট্রেনে ওঠা, বিশেষতঃ মহিলা কামরায় --- এক দুঃসাধ্য ব্যপার। জল ঢেলে কাদামাখা বাঁক ও জামাকাপড় নিয়ে হাপু পরা দামড়া দামড়া লোকেরা উঠে মহিলা কামরা ভর্তি করে রেখে দিত। গোলাপী কমলা ঘুন্টি ফুল ইঃ লাগানো ত্রিশুল বাঙ্কের ওপর থেকে বেরিয়ে থাকত।

    সন্তোষী মায়ের উৎপাত তেমন কিছু ছিল না, বাড়ী বাড়ী পোস্টকার্ড পাঠিয়ে আরো ১৫১ জনকে একই চিঠি পাঠানোর অনুরোধ ও না পাঠালে ধনেপ্রাণে মৃত্যুর হুমকী দেওয়া চিঠি ছাড়া। বরং গাঁকগাঁকে মাইক লাগিয়ে লোকনাথ বাবা বহুত জ্বালিয়েছে, এখনও জ্বালায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন