এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাম নারায়ন রাম/ Ram Narayan Ram

    সৌম্য
    অন্যান্য | ০৪ জুলাই ২০১২ | ২০২৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 140.39.149.53 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:১৮554251
  • বাবা তারকনাথের চরণে সেবা লাগে--- এই ভিক্ষাধ্বনি কতযুগ শুনিনি।
    চড়কের আগেও এরকম একটা কিছু বলে গাজন সন্ন্যাসীরা সিধে নিত। সেই ডাকও হারিয়ে গ্যাচে
  • achintyarup | 125.111.248.6 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:৩৭554253
  • যাঃ শালা, রাম নারায়ণ রাম লিখত ভুলে গেছি
  • achintyarup | 125.111.248.6 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:৩৭554252
  • বেশ খানিকটা গাঁয়ের দিকে গেলে হয়ত শুনতে পাবে এখনও। যেমন কিনা ঘেঁটুর গান।

    অন্যদের কথা শুনে আমার অশোক মিত্তিরমশাইয়ের একটা পুরোনো লেখার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কম বয়সে খুব প্রিয় ছিল লেখাটা। জানি না এখন পড়লে কেমন লাগবে। লেখার নাম আদ্যাশক্তিমহাশক্তিকালিকাকাহিনী। এখানে অনেকেই নিশ্চয়ই পড়েছেন সে প্রবন্ধ।
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১১ জুলাই ২০১২ ১১:৫৪554254
  • আবে উচ্চবিত্ত উচ্চশিক্ষিত হাই সোসাইটির মেয়ে দুষ্টু তার বর রাজার জেবন ফেরাতে কলকেতা থেকে হেঁটে তারকেশ্বর চলে গেল, কত কী ঘটলো, শেষে রাজা বেঁচেও গেলো...হালফিলের ঘটনা - জি বাংলা দেখে না কেউ?

    এখন আবার বৈজ্ঞানিক ব্যাপারস্যাপার হচ্ছে - ডিএনএ টেস্ট;-)
  • de | 190.149.51.68 | ১১ জুলাই ২০১২ ১২:৩৯554255
  • ক্কী ক্ষান্ড! সিংজীও বাংলা সিরিয়ালের গপ্পো শোনাচ্চে ঃ))

    নীলষষ্ঠী, জয়মঙ্গলবার, শিবরাত্রি, জন্মাষ্টমী, রথ, সূর্য্যপুজো, ইতুপুজো এগুলো সবই ছিলো তো -- মধ্যবিত্ত ঘরের মা-কাকিমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো! আর তেমন কিছু উৎপাতেরও ছিলো না! বরং বেশ অন্যরকম ভালো ভালো খাবার-দাবার হতো এইসব পুজো-পার্বণ উপলক্ষ্যে! আর পাড়ার মহিলাদের একটা সোস্যাল গ্যাদারিংও হতো।

    তবে এখন যেমন জ্যোতিষ-বাস্তু ইত্যাদীর বাড়াবাড়ি দেখি, তেমনি প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে রিক্সাস্ট্যান্ডে,অটোস্ট্যান্ডে নানারকম ছোটখাটো মন্দির -- বছরে পালা করে কোন একটা সময়ে উৎকট মাইক বাজিয়ে চিৎকার করে উৎসব পালন -- এগুলোও বেড়েছে!
  • kumu | 132.160.159.184 | ১১ জুলাই ২০১২ ১২:৪০554256
  • রাজা তো বেঁচেই ছিল,মরেনিতো।শুধু চেহারা পাল্টে গেছিল,সাজ্জারি করে-তাই তো?মানে আমি যতটুকু দেখেছি।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.27 | ১১ জুলাই ২০১২ ১২:৪৭554257
  • তওবা তওবা, শেষমেশ সিরিয়াল......সে তো গল্পের গরু গাছে ওঠার থেকেও বেশী কিছু, মানে আরো অন্য কিছু ভাবতে হবে, টিভি সিরিয়ালকে ডেসক্রাইব করার জন্যে!
    তারকেশ্বর, এদিকের কাঁওড়, শিবের মাথায় জল ঢালা সেই কোন কাল থেকে দেখছি এবং কলকাতায় শিবরাত্রির রমরমা....আমাদের ছোটতেই পাড়ার ক্লাবে সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা হত রাত জাগার সুবিধে করার জন্যে আর ষষ্ঠী কি একটা.....প্রতি মাসে হ্যানাত্যানা গুচ্ছের ষষ্ঠী থাকে
    তবে এটা ঠিক, আমি গ্রাম ও শহরের এক্সট্রীমে সমান ভাবে জুড়ে থাকি বলে একটা জিনিস মনে হয় গ্রামে মহিলারা আজকাল এইসব ধর্মীয় আচারের ব্যাপারে অনেক লিব্যারেল হয়ে উঠেছে এবং শহরে তেমন কিছু পরিবর্তন নেই, অনেকে অনেক কিছু করে, অনেকে অনেক কিছু করেনা!
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৪:২৪554258
  • তারকেশ্বরকান্ড এই প্লাস্টিক সার্জারির ঢের আগের কথা। আর এখন বৈজ্ঞানিক মোড় নিয়েছে বল্লাম না;-)

    এই জয়মঙ্গলবার (মঙ্গলচণ্ডী), ইতু, পূর্নিমা ইত্যাদি এম্নিতে বেশ কাজের। উৎপাত নাই। জয়মঙ্গলবারে আম-কলা-চিঁড়ে-মুড়ি-দই-সন্দেশের ফলারটা বেশ খেতে। ইতুর সময় সাবুমাখাটাও বেশ। পূর্নিমা হলে পরে লুচি বা পরোটা...
  • siki | 151.0.9.101 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৪:৪২554259
  • joymongolbaar, neelshoshthi amaar maa-ke chhotobela theke korte dekhechhi. Bodh hoy aaj-o kore.
  • গান্ধী | 213.110.246.230 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৪:৫৬554262
  • সবাই ভুলভাল কিসব লিখছে।

    SOUMO কৈ?
  • S | 213.112.82.1 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৫:১২554263
  • বালতিতে ফুটো ছিল, নতুন কিনতে গেছে বোধয়।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৫:৫৫554264
  • এইটা একটা নতুন থিওরী। এটা পড়ুন এটা পড়ুন।

    ঐ যে আমাদের ঈশেন বল্লো (যদিও ও বেসিক্যালি স্নেহের চখখেই দ্যাখে) যে এখন ষষ্ঠী,তাবিজ ইত্যাদির রমরমা বেশী হয়েছে- ওর ছোটোবেলার তুলনায়। সেটা আমারও ওরম ধারনা অথচ আমাদের দুজনের দুই ছোটোবেলায় তো প্রায় এক প্রজন্মের ফারাক। তাইলে? রহস্যটা কি ?

    অ্যাই। এইখানেই আমার থিওরী।
    আমাদের ছোটোবেলায় মাসি পিসী ঠাকুমারা এইসব করতেন, বাড়ীর কত্তারা উদাসীন ছিলেন। নট বিরোধী,যাস' উদাসীন। ফচকে ছেলেরা প্রসাদ ছাড়া কোনো ব্যাপারেই মাথা ঘামায় না।

    ইতোমধ্যে আমরা বেয়াকুল ধেড়ে হয়ে গেলাম। নিজেরাই মেশো পিসে বনে গেলাম। ছ্যাপাৎ করে এই "বড়োদের বোকামী' আমাদের নাকের সামনে চলে এলো। হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় এরম দূরত্বে। বাড়ীতে পুজো হলে বাজার করতে হয়। সন্তোষী মা হলে সেদিন কাবাবে নেবু চিপকাতে নেই। এই হট্টোগোলের আর বাইরে থাকা সম্ভব নয়।

    তাই (ডিডি'র পস্টুলেট) লেবেল অব হাঁদামী ইজ কন্স্ট্যান্ট খালি আমরা ধেড়ে হয়ে গেছি বলে চোখে লাগছে।

    চমকপ্রদ অথচ মুল্যবান এক অবজারভেষণ।
  • প্পন | 214.138.240.254 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:১৫554265
  • এই থিওরি দিয়ে কি আর সব ব্যাখ্যা করা যায়? এই ধরেন আজকের তরুণ যুবা, ঝকঝকে আইটি গাই, সে নাহলে কেন বলবে তাবিজ কবচে বিশ্বাস নাই আমার, ওগুলো বুজরুলি, তবে হ্যাঁ, নিউমেরোলজি হল সায়েন্সের মত সায়েন্স।

    শুনে গা পিত্তি জ্বলে যায়, কিন্তু স্পেস দেবার মহান দায়ের জন্য কেলাতেও পারি না।

    সে যাক, কথাখান হইল, এইসব অল্পবয়সী স্যাম্পল এই সেদিনও দেখিনি। কেন দেখিনি?
  • aka | 85.76.118.96 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:১৯554266
  • ইয়েস স্পেস দেওয়া, এই কথাটাই মনে পড়ছিল না ঠিক মতন করে।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:২৬554267
  • ধাঁ করে দি' আরেকটা থিওরী।

    আরে তোমার ছোটোবেলা তো দুরের কথা আমার ছোটোবেলাতেও জ্যোতিষ,ষষ্ঠী এইসব ছিলো। আর কিছু ছিলো না।

    বাস্তু ছিলো না। ফেং শুইএর নামও শুনিনি। লিন্ডা গূডম্যান না কে জানি সেইসব কিতাব লিখে কাঁপিয়ে দিলো, তারপর নিউমেরোলজি। এইসব পরের আমদানি। কিছু রিভাইভাল, কিছু স্রেফ ইম্পোর্টেড। খবরের কাগজে জ্যোতিষ সম্রাট রমেশ ভশচাজ্জের (শুধু ভামভেটকীরা জানবেন)বিজ্ঞাপন বেড়োতো। কিন্তু এরম গাদা গাদা "তন্ত্রসম্রাট" "এ যুগের খনা" এরম বিজ্ঞাপন ছিলো না।

    তখন লোকের অতো টাকা কই যে এইসবে মোটা খরচা করে এইসব ব্যবসা চালু রাখবে? নুন আনতেই পান্তা ফুরায়। এখন লোকের ট্যাকা প্রচুর, তাগা তাবিজ পছন্দ না হলে ইজিপশিয়ান জ্যোতিষ মানবে। পুর্ব ভারতীয় ছক না মানলে চীনা ছক মানবে। সময় সুযোগ ট্যাকা প্রচুর। মগজ শুন্য। তাই চলে।

    আরো টাকা,আরো অলস সময় থাকলে আরো নতুন জিনিস আমদানি হবে। পুরোনো জিনিস রিভাইভ করবে। নতুন ডিসাইনার গুরু আসবে। টাইমপাস টাইমপাস।

    এটা ডিডির এক্সিওম।
  • aka | 85.76.118.96 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:২৭554268
  • ঠিক দ্বিতীয় অ্যাক্সিওমে ক দিলাম।
  • প্পন | 214.138.240.254 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:৩০554269
  • ক্ক।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:৩১554270
  • আর ডিডি'র প্যারারডিম।

    গুরুবাদ মানে না? তো একটি নধর জুজুবাদ ধরুন। সময় কাটবে। আর বেশ নিজেকে মহান মহান ফিলীং হবে। জম্বে।
  • T | 24.139.128.15 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৬:৪০554271
  • দূর আগে তফাত বড় বেশী ছিল। কেমন দুমদাম নাম্বার পাচ্ছে। ফাস্টবয়ের সাথে সেকেন বয়ের কতো তফাত। হুলিয়ে নাম্বার। সাংঘাতিক শক্ত জয়েন্ট, তাতেও কেমন টপাত করে সেঁধিয়ে যাচ্ছে। ভগমান হাজার বুদ্দি দিলেও সমান সমান হওয়া যাচ্ছে না।
    আর এখন, সবাই কামাতে পারে। বিটেক মেক্যানিক্যাল টপারও যেথায় স্থান পায়, সিফডির নাম শোনেনি সে ব্যাটাও স্থান পায়। মুড়ি মিছরি একদর। ফলে আটশো মিটার সব্বাই দৌড়তে পারছে, ফলে বাকি দুশো মিটার ভগমান না দেখলে আর কে দেখবে?
  • ekak | 24.99.30.253 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৭:২৩554273
  • নিন , আরেকটু খোরাক দিয়ে গেলুম :)

  • কাজু | 131.242.160.180 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৭:৩১554274
  • এই ব্যাপার ! এবার পোনোবদার রা-প হওয়া আটকায় কে !
  • S | 213.112.82.1 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৮:০০554275
  • রাম নারায়ন বাজা বাজাতা
    ঝুম ঝুম ঝুম ঝুম ঠুমকা লাগাতা
    সব লোগো কা দিল বহলাতা রে
    রাম নারায়ন বাজা বাজাতা।।।
  • তাতিন | 80.172.225.205 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৯:৩২554276
  • া আহা বড় প্রিয় গান এইটা। ঠাকুর দীর্ঘজীবী হউন
  • তাতিন | 80.172.225.205 | ১১ জুলাই ২০১২ ১৯:৩৪554277
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১১ জুলাই ২০১২ ২১:৪৪554278
  • snehabhare naa dekhe upaay kI? aamaar chaaddike loke harabakhat pujo-paabban-taagaa-taabij-graharatnai-phe`m shui-shibaraattir kare chalechhe. mantra parhe be karachhe, maathaa nyaarhaa kare shraaddha karachhe.

    jij`Nes karale keu bale lokaachaar, keu bale anyader khushi karaar janya, keu bale hateo to paare, keu bale aami to kono xati karachhi naa, ityaadi ityaadi ityaadi. segulo konoTaai prachanDa abodhya kathaa eman naa. কাজেই... বিশ্বাস আপনা আপনা বলে মেনে নিয়েছি।

    তাতেও অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়না এমন না। আমার বাবা মারা যাবার পর আমি রইলাম লম্বা চুলো, আর আমার তুতো ভাই ন্যাড়া হয়ে কাছা লাগিয়ে ফেলল। দেখে আমারই কেমন একটা লাগতে লাগল। তবে অস্বস্তির মধ্যেও একটা স্বস্তি আছে। লোকে আর আমার অবস্থান নিয়ে সামনাসামনি প্রশ্ন টশ্ন তোলেনা। এটাও একটা অবস্থান বলে মেনে নিয়েছে। আমিও যেমন তাদের অবস্থানটা একটা অবস্থান বলে মেনে নিয়েছি। অবশ্য কানের আড়ালে তারা কি বলে জানিনা। জানতে খুব একটা আগ্রহীও নই অবশ্য। :)

    এখন এইটাই বুঝি। যে, চিৎকার করে বিশেষ লাভ নেই। যারা চিৎকার করে, অভিজ্ঞতা এটাই, যে, তারাই আসলে কার্যক্ষেত্রে "লোকাচার", "চাপ", "হলেও তো হতে পারে", এইসব বলে। সেসব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার কোনো দরকার নেই। সেগুলো মিথ্যে কথা এমনও নয়। তার চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনে নিজের কাজ নিজের মতো করে যাও। ওতেই যা হবার হবে। আর এইটাও বুঝেছি, যে, কে কি বলল, তাই দিয়ে তার অবস্থান বিচার করতে নেই। কি করল, সেই দিয়েই করতে হয়। অন্ততঃ এই ক্ষেত্রে।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১১ জুলাই ২০১২ ২১:৪৭554279
  • আমারেও বাগে খেল, তাই আরেকবার পোস্ট করি...

    স্নেহভরে না দেখে উপায় কী? আমার চাদ্দিকে লোকে হরবখত পুজো-পাব্বন-তাগা-তাবিজ-গ্রহরত্নই-ফেং শুই-শিবরাত্তির করে চলেছে। মন্ত্র পড়ে বে করছে, মাথা ন্যাড়া করে শ্রাদ্ধ করছে।

    জিজ্ঞেস করলে কেউ বলে লোকাচার, কেউ বলে অন্যদের খুশি করার জন্য, কেউ বলে হতেও তো পারে, কেউ বলে আমি তো কোনো ক্ষতি করছি না, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। সেগুলো কোনোটাই প্রচন্ড অবোধ্য কথা এমন না। কাজেই... বিশ্বাস আপনা আপনা বলে মেনে নিয়েছি।

    তাতেও অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়না এমন না। আমার বাবা মারা যাবার পর আমি রইলাম লম্বা চুলো, আর আমার তুতো ভাই ন্যাড়া হয়ে কাছা লাগিয়ে ফেলল। দেখে আমারই কেমন একটা লাগতে লাগল। তবে অস্বস্তির মধ্যেও একটা স্বস্তি আছে। লোকে আর আমার অবস্থান নিয়ে সামনাসামনি প্রশ্ন টশ্ন তোলেনা। এটাও একটা অবস্থান বলে মেনে নিয়েছে। আমিও যেমন তাদের অবস্থানটা একটা অবস্থান বলে মেনে নিয়েছি। অবশ্য কানের আড়ালে তারা কি বলে জানিনা। জানতে খুব একটা আগ্রহীও নই অবশ্য। :)

    এখন এইটাই বুঝি। যে, চিৎকার করে বিশেষ লাভ নেই। যারা চিৎকার করে, অভিজ্ঞতা এটাই, যে, তারাই আসলে কার্যক্ষেত্রে "লোকাচার", "চাপ", "হলেও তো হতে পারে", এইসব বলে। সেসব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার কোনো দরকার নেই। সেগুলো মিথ্যে কথা এমনও নয়। তার চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনে নিজের কাজ নিজের মতো করে যাও। ওতেই যা হবার হবে। আর এইটাও বুঝেছি, যে, কে কি বলল, তাই দিয়ে তার অবস্থান বিচার করতে নেই। কি করল, সেই দিয়েই করতে হয়। অন্ততঃ এই ক্ষেত্রে।
  • সিকি | 132.177.2.130 | ১১ জুলাই ২০১২ ২১:৫০554280
  • হক্কথা।
  • tatin | 183.253.136.100 | ১১ জুলাই ২০১২ ২৩:৩১554281
  • আমার ক্রমশঃ এই কনফিউশনটা আসছে, লোকাচার মেনে নেওয়াটা কি ভালো থাকার পাসওয়ার্ড নয়?
    মানে তুমি অন্যভাবে করতেই পারো, কিন্তু তজ্জনিত অস্বস্তি তোমাকেও বিব্রত করবে।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ১১ জুলাই ২০১২ ২৩:৪৪554282
  • সে তো বটেই। লোকাচার মেনে নিলে একরকম ভাবে ভালো থাকা যায়। যদি না যায়, তখনই লোকাচার বদলায়। মানে একটা বড়ো সংখ্যক মানুষ যখন অনুভব করে, যে, আচারটা স্বস্তির চেয়ে অস্বস্তি দিচ্ছে, এবং সেই মতামত যখন রেকর্ডেড হয়, তখনই লোকাচার বদলায়।

    জলপোড়া থেকে শ্রাদ্ধশান্তি থেকে ফেং শুই, সবই তাই। মানে খুচরো জিনিসগুলো। বড়ো জিনিসে কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন, মনে হয়, সহমরণ। সেটা ব্রিটিশ সরকার গায়ের জোরে বন্ধ করেছিল। সেটা অবশ্য সে অর্থে অতটা "ব্যাপক" লোকাচার ছিলনা।

    হ্যাঁ, ছোটো-বড়ো তফাতটা এখানে ডিগ্রি অফ ভায়োলেন্স দিয়ে করলাম। অন্যরকমও হতে পারে।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:২২554284
  • একটা গপ্পো মনে পড়ল। লিখেই ফেলি। ব্যক্তিগত গপ্পো।

    আমি মোটামুটি ক্লাস সেভেন টেভেন থেকে বিজ্ঞান মঞ্চ করতাম। এটা বোধ হয় নাইন-টেনের গপ্পো। একটু আগে-পরেও হতে পারে।

    তখন হুগলী জেলায় বিজ্ঞান মঞ্চের হেবি রমরমা। সদর-দপ্তর রিষড়ায়। উত্তরপাড়ার কি একটা ক্লাব (নাম মনে হয় অন্বেষা) নানাবিধ কুসংস্কার বিরোধী প্রোগ্রাম করে খুব নাম কিনেছে। তা, তারা এল আমাদের ট্রেনিং দিতে। অনেকরকম ম্যাজিকাল কাজকর্ম (যেমন থটরিডিং, চালপড়া) এইসব শিখে ফেললাম। কেন? না এই বার গ্রামে গ্রামে গিয়ে ডেমো দিতে হবে।

    এইটা সেই ডেমোরই একটা গপ্পো। সেটা হয় বেড়াবেড়ি কিংবা বাবুর ভেড়ি -- এরকম কোনো একটা জায়গায়। আমরা তখন গোটা দশ বারো প্রোগ্রাম করে ফেলেছি। আত্মবিশ্বাসও ভালই। প্রোগ্রাম বলতে আমরা বিভিন্ন ইশকুলে কিংবা আটচালায় গিয়ে নানাবিধ কুসংস্কার বিরোধী বক্তব্য রাখতাম। আর হাতে কলমে নানা জিনিস করে দেখাতাম। ভালই হত। লোকে ভিড় করে দেখতও খুব। তা, এইখানেও মানে, হয় বাবুর ভেড়ি কিংবা বেড়াবেড়ি , অনুষ্ঠান ভালই হল। মিটে যাবার পর, এক শুঁটকো মতো ভদ্রলোক একটা চালার নিচে দাঁড়িয়ে বেশ জোরে জোরেই আমাকে বললেন "ওসব বিজ্ঞান-ফিজ্ঞান করে কিছু হবেনা"।

    বলে কি? পরে জানা গেল ইনি একজন বিশিষ্ট ওঝা। প্রফেশনাল নন, মাঝে মাঝে প্র্যাকটিস করে থাকেন। সাপে কামড়ানোতেই এঁর স্পেশালিটি। শুনে তো আমি হুব্বা। ওঝাদের দুই হাত দুই পা থাকে জানা ছিল ঠিকই, কিন্তু এরকম ইশকুল মাস্টারের মতো হাবভাব? পোশাক আশাক? তার উপর, সময়টা ভেবে দেখুন। নিশ্ছিদ্র বামফ্রন্ট জমনা। ওই প্রত্যন্ত গ্রামে বিরোধীদের একটা ঝান্ডা ধরারও লোক নেই। তার উপর তখন যুক্তিবাদেরও রমরমা। প্রবীর ঘোষের বই বেস্ট সেলার হতে চলেছে, বা কিছুদিন পরেই হবে। তারও কিছুদিন বাদে প্রবীর ঘোষের সঙ্গে মার্ক্সবাদীদের "মার্কসবাদ বনাম যুক্তিবাদ" নিয়ে ধুন্ধুমার বিতর্ক হবে। মোদ্দা কথা যুক্তিবাদ তখন ইন থিং। সেই বাজারে বাবুর ভেড়ি ( বা বেড়াবেড়ি) হাটতলায় দাঁড়িয়ে জনৈক ওঝা আমাকে চ্যালেঞ্জ করছেন?

    উদুম তক্কো হল। গাঁ গঞ্জ বলে ভয়ের কিছু নেই, কারণ, আগেই বলেছি, বানফ্রন্ট জমানা। অতো লেখা যাবেনা। ভদ্রলোক যা বললেন, তার নির্যাস হল এইঃ

    "ঝাড়ফুঁক করে কিছু হবেনা সবাই জানে। তাও লোকে আসে কেন বলোতো? সাপের কামড়ে অর্ধেক লোক মরে ভয়ে (এটা আমরাও জানতাম, বিজ্ঞান মঞ্চের লিটারেচারেই ছিল। এছাড়াও আমরা জানতাম যে অধিকাংশ সাপই বিষধর নয়)। আমরা ছাই-পাঁশ যা-ই করি লোকে সাহস পায়। নইলে অর্ধেক লোক মরেই যেত।"

    সে নাহয় অর্ধেক লোকের জন্য হল। বাকি অর্ধেক?

    "জাতসাপ কামড়ালেই আমরা টের পাই। কেউটে কি গোখরো কামড়ালে কতক্ষণ টাইম থাকে জানো? চার-পাঁচ ঘন্টা বড়োজোর (এইটার সত্যমিথ্যে যাচাই করার বিদ্যে আমাদের ছিলনা)। হাসপাতালে পাঠাতে গেলে প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স যোগাড় করতে হবে। তারপর সিঙ্গুর হাসপাতাল। সেখান থেকে শ্রীরামপুরে রেফার করবে। শ্রীরামপুর থেকে চন্দননগর। চন্দননগরেও বেশিরভাগ সময়েই ওষুধ থাকেনা। তখন কলকাতা। অতক্ষণ বাঁচবে রোগি?"

    তা বলে এখানেই ফেলে রাখবেন?

    "কে বলল ফেলে রাখি? বাঁধন দেওয়া, চিরে রক্ত বার করা, ঝাড়ফুঁক করে সাহস দেওয়া, সব তো আমরাই করি। নইলে কেউ চার ঘন্টাও টিকতনা। জাতসাপ হলে আমরাই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। কেউ কি যেচে নিজের পসার খারাপ করে নাকি? তবে কেউই প্রায় ফেরেনা"।

    তা বলে কি বিজ্ঞান ভুল নাকি?

    "আমরা না থাকলে অর্ধেক লোকই মরে যেত। আমরা কি ভুল নাকি? তোমাদের বিজ্ঞান কি বলে খোকা?"

    বাকি সব কিছু মন থেকে বানিয়ে লিখলাম। মানে কথোপকথনগুলো। কিন্তু "খোকা" শব্দটা এক্কেবারে জেনুইন। ভাবলেই পরিষ্কার মনে পড়ে। আর মনে পড়ে "ওসব বিজ্ঞান ফিজ্ঞান করে কিছু হবেনা"।

    ভদ্রলোক গুলবাজ ছিলেন কিনা জানিনা। তবে হাসপাতাল সংক্রান্ত কথাগুলো একদম ঠিক বলেছিলেন। এবং এই কথোপকথনের সময়টা হল ১৯৮০র শেষ বা বড়োজোর নব্বইয়ের শুরু। তখনও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয়নি। কিন্তু তাতেও এই তথ্যটা বদলায়না, যে, অকুস্থলের দূরত্ব ছিল শহর কলকাতা থেকে ৩২ কিলোমিটার। মানে, নস্যি আর কি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন