এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাম নারায়ন রাম/ Ram Narayan Ram

    সৌম্য
    অন্যান্য | ০৪ জুলাই ২০১২ | ২০২৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 214.54.36.245 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:২৭554285
  • যাঃ গপ্পোটা কেন লিখলাম, সেটাই বলা হয়নি।

    বলছিলাম, যে, এও এক ধরণের লোকাচার। মানুষকে একটা লেভেলে স্বস্তিই দেয় নিশ্চয়ই। অন্ততঃ ওই লোকটা সেরকমই ক্লেম করেছিল।
  • pi | 147.187.241.6 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:৩১554286
  • বাকিটাও অনেকটা ঠিকই বলেছিলেন। বাকি ঐ নির্বিষ সাপে ভয়ে মরা ইত্যাদি।
  • pi | 147.187.241.6 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:৩৩554287
  • মানসিক স্বস্তিরই অপর নাম প্লাসিবো ঃ)

    বিজ্ঞানচর্চার পীঠস্থানে প্লাসিবো চর্চার সেন্টার তৈরির হল ঃ
    http://programinplacebostudies.org/about/people/
  • aka | 178.26.215.13 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:৪৩554288
  • ঠিকই বলেছিলেন অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। কিন্তু ওঝাদের সম্বন্ধে যা বলেছিলেন সেটা ভুল। ওঝারা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে এমন ওঝা মনে হয় উনিই প্রথম এবং শেষ।
  • aka | 178.26.215.13 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:৪৬554289
  • আমার দাদুর মাকে গোখরো সাপে কামড়েছিল। আমাদের বাড়ি থেকে চন্দননগর যেতে শুধু গঙ্গা পেরোতে হয়। আর বাড়ি থেকে গঙ্গার ঘাট হেঁটে ৭ মিনিট। তা সত্ত্বেও ওঝাই এসেছিল। সারারাত ঘুমোতে দেয় নি, হাঁটিয়েছিল, বাঁধন দিয়েছিল ইত্যাদি কিন্তু চন্দননগর নিয়ে যেতে বলে নি। সাপটা মনে হয় ঠিকমতন বিষ ঢালতে পারে নি তাই বেঁচে গিয়েচিলেন।
  • Spark | 161.141.84.239 | ১২ জুলাই ২০১২ ০২:৫৫554290
  • কিন্তু বাড়ীর লোকেরা নিয়ে গেলো না কেন? অবশ্য অত কাল আগে(দাদুর মায়ের সময় ধরে নিচ্ছি অনেক কাল আগে, প্রায় ৭০/৮০ বছর আগের কথা) হয়তো চন্দননগরেও ঠিকমতন ওষুধ থাকতো না।
    এই ওঝা ইত্যাদির ব্যাপারে আরো মনে হয়, অ্যান্টিভেনম সিরাম একটা শহরের চেয়ে গ্রামে গঞ্জে দরকার বেশি, ছোটো ছোটো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ পাঠিয়ে দিলেই তো অনেক যুক্তির কাজ হতো, রুগীকে অত দূরে নিতে হতো না, কাছাকাছি থেকেই ইঞ্জেকশন নিয়ে এসে দিয়ে দেওয়া যেত।
  • riddhiman | 118.218.136.234 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৪:২৫554291
  • ঈশানবাবু, 'যুক্তিবাদ বনাম মার্ক্সবাদ' বিতর্কের কোন লিন্ক বা ডকু পাওয়া যেতে পারে?
  • pi | 147.187.241.6 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৫:৩১554292
  • হাতুড়ে, ওঝা, এদেরকে ট্রেইন করলে, কিছু ঠিকঠাক রিসোর্স দিয়ে ইক্যুইপ করলে, এই যেমন, ওঝাদের কাছে কিছু অ্যান্টিভেনম রেখে দেওয়া ( লায়োফেলাইসড সিরাম, যেটা এমনি তাপমাত্রায় স্টোর করা যায়), সেটা দিতে শেখালে অনেক কাজের কাজ হবে।
    গ্রাম গঞ্জের এইসব এক্সিস্টিং সিস্টেমকে নিয়েই প্যারামেডিক্যাল ফোর্স তৈরি করা যেতে পারে। যদিও এতে নানা আশংকার কথাও উঠতে পারে, তবু এই অপশনটা নিয়ে সিরিয়াস চিন্তাভাবনা করলে, ঠিকমত ট্রেনিং , মনিটরিং প্রসেস রাখলে এই লিমিটেড ডাক্তার, হাসপাতাল, পরিবহন পরিষেবার মধ্যেও বেটার কিছু করা যায়।
  • aranya | 154.160.226.53 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৫:৫০554293
  • পাই-কে ক, কাজ করার ইচ্ছেটাই আসল।
  • aka | 85.76.118.96 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৬:৫৩554295
  • স্পার্ক, সময়কাল ১০০ বছরেরও আগে ১৯০৮-০৯ হবে। কেন নিয়ে যায় নি ঠিক জানি না, মনে হয় ওঝার প্রতি বিশ্বাস থেকেই।

    আরও একটা গল্প বলি, এটাও আমার বাড়ির কথা। মাস কয়েক আগে এক সাধু/সাপুড়ে/ওঝা দু একজন শাগরেদ নিয়ে বাড়িতে এসেই বলল তোমাদের বাড়িতে সাপ আছে। তারপর মাটি নিয়ে শুঁকে টুকে বলল ঐ অমুক দিকে নারকোল গাছের তলায় একটা আছে, শিগগির যা। শাগরেদ গেল সবার চোখের সামনে খানিক মাটি কোপাতেই ফোঁস করে উঠল একটা কেউটে।

    আবার বাবা মাটি নিয়ে গন্ধ শুঁকে বলল আরও একটা আছে, কোনদিক ঠিক বুঝতে পারছি না। খানিক চোখ বন্ধ করে বলল ঐদিকে বেল গাছের নীচে আছে। এবারে সেখান থেকে বেরলো চন্দ্রবোড়া।

    এরপরে আমার এক দাদাকে পেড়ে ফেলল। বলল তোদের বাড়িতে খুব অসুখ - মা তখনও বেঁচে - তোর মেয়ের লিভারের খুব অসুখ। ভাইঝির তখন জণ্ডিস। ব্যাস, শুনেছি বেশ কয়েক হাজারের জক দিয়েছে কয়েকটি শিকড় আর লাল রঙের বিনিময়ে।

    ফোন করে যখন বললাম সাপগুলো আগে থেকে রাখা ছিল। সবাই প্রচণ্ড রেগে গেল।

    এই তো ওঝা, এদের হাতে অ্যান্টি ভেনম তুলে দিলে নয় পয়সার জন্য বেচে দেবে নয়, নয়তো চড়া দামে ব্ল্যাক মার্কেটিং করবে।
  • bb | 127.195.163.159 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৮:৪১554297
  • দেখুন ঈশান লোকাচার নিয়ে যা নিয়ে লিখেছেন সেটাই ঠিক। য্খন রক্ত গরম তখন আমিও এইসব নিয়ে গন্ডগোল করেছি, নিজের পৈতেতে চুল কাটব না এই নিয়ে প্রচুর বিতর্ক করেছি (পৈতে তে রাজি ছিলাম কারণ সাইকেল পাব বলে !!!!)। পরে বুঝলাম এই গুলি দিয়ে কোন পরিবর্তন হয় না যতক্ষণ মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হচ্ছে।
    নইলে এখনও বিঞ্জানের PHD তাবিজ পরেন, বাস্তু, নিউমরলজি ইত্যাদি মানেন- চুপচাপ দেখে যাই - নিজের ব্যাপার বলে । এখনও বামুন ছাড়া পুজো হয় না, শ্রাদ্ধে নিমতন্ন পেলে লোকে বামুন বিদায় দেয় ।
    আরও মজার ব্যাপার- আমি ঠাকুর মানিনা, মন্দির যাই না, অথচ সোসাইটির সরস্বতীপুজা পুরোহিত না পাওয়ায় আমাকে ইন্টারনেট থেকে পুজার পদ্ধতি ডাউনলোড করে পুজা করতে হল- নইলে পুজা বন্ধ হয়ে যেত বলে।
    আগে কম বয়েস হলে করতাম না,এখন করলাম- কারণ আমি জানি আমি না করলেও এঁদের বিশ্বাস এ পরিবর্তন করতে পারব না।শুধু আমি আগেই বলে দিয়েছিলাম আমার অবিশ্বাসের কথা তাঁদের।
  • tatin | 140.39.149.53 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৮:৪১554296
  • 'হাতুড়ে।ওঝা'দের ডাক্তার/বিজ্ঞানী দিয়ে ট্রেইন করবার পাশাপাশি ডাক্তারদের ওঝা দিয়ে ট্রেইন করার প্রকল্পটাও কিন্তু রাখা দরকার।
  • tatin | 140.39.149.53 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৮:৫৯554298
  • লোকাচারের মধ্যে মিশে আছে ইতিহাসগতভাবে মানুষ নামক প্রাণীটিরেকটি অর্জন, সেইটা তার নিজস্ব নিরাময় পদ্ধতি। কখনো তা দেহের অ-সুখের, কখনো মনের অসুখের, কখনো সামাজিক অসুখের। কোথাও লোকাচারের ভূমিকা ভেষজ প্রতিষেধকের, কোথাও মানসিক অসুস্থতা কাটানোর।
    আমাদের অসুখগুলির প্রকৃত চরিত্র নিয়ে আমরা, আধুনিক বিজ্ঞানেও খুব নিশ্চিত নই মনে হয়। বিশেষ্তঃ যাঁরা বিজ্ঞানের ডিটেল না জেনে জাস্ট একটা বিশ্বাস ব্যবস্থা হিসেবে বিজ্ঞানকে নিচ্ছি তারা তো নয়ই। সেক্ষেত্রে, জানা বিজ্ঞানে ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে লোকাচার বা পরম্পরাকে স্রেফ বাতিল করে দেওয়া মূর্খামি বলেই মনে হয়।
  • পাই | 82.83.87.188 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৯:২৬554299
  • তাতিন,হ্যাঁ, পারস্পরিক তো। ওঁদের থেকে শেখার কিছু নেই, মনে করিনা তো। লোকায়ত,পরম্পরায় চলে আসা জ্ঞান ( এই শব্দটা নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে হয়তো), প্রচুর অভিজ্ঞতা ছাড়াও স্থানীয় মানুষের আস্থা অর্জন করা, মানুষের ভরসার জায়গা হওয়া, লোকজন কথা শুনবে সেরকম একটা জায়গা তৈরি করতে পারা, মাটির কাছাকাছি মানুষজনের সমস্যাকে মাটির কাছাকাছি থেকে বোঝা... এগুলো থেকে শেখার তো আছেই।

    অ্যাকচুয়ালি, বহু টাকাপয়সা ঢালার পরেও বহু সরকারি প্রোগ্রামকে দেখেছি ফেইল মেরে যেতে ( বেশ কিছু স্বাস্থ্য প্রকল্পের কথাই বলতে পারি), বা ইনপুটের তুলনায় অনেক কম আউটপুট আসতে। তার একটা তো বড় কারণ, লোকজনের মধ্যে পৌঁছতে না পারা, তাদেরকে প্রোগ্রামগুলো নিয়ে কন্ভিন্স করতে না পারা, স্থানীয় অনেক ঠিকঠাক আচরণ, রীতি, রেওয়াজকে উপড়ে ফেলে বাইরে থেকে কপি পেস্ট করার চেষ্টা ইত্যাদি ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে এঁদের মাধ্যম করলে, স্টেকহোল্ডার বানাতে পারলে অনেক প্রোগ্রামই অনেক কার্যকর হত। কোথাও কোথাও সেগুলো হয়েওছে। কিন্তু কম। উদ্যোগ নিয়ে এটা করা, তেমন আর কই হয় ?
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১২ জুলাই ২০১২ ০৯:৪২554300
  • রিসেন্টলি একটা হেল্‌থ প্রোজেক্টের কাজে শালবনির একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। ভদ্রলোক কোয়াকদের নিয়ে প্রায় একই কথা বললেন - ওই ইশানের 12 Jul 2012 -- 02:22 AM-এর মত।
  • aka | 85.76.118.96 | ১২ জুলাই ২০১২ ১০:৪৬554301
  • যেখানে কিছু নেই সেখানে যা পাওয়া যায় তাই ভালো। সে ওঝা হলে ওঝা, হাতুড়ে ডাক্তার হলে হাতুড়ে ডাক্তার। কিন্তু তাই দিয়ে কলকাতার ৩০ কিমি দুরে ওঝার রমরমা ব্যাখ্যা করা যায় না।

    যেখানে ডাক্তাররা যায় না, সেখানে ধাই মারাই এখনও প্রসব করায়, কারণ অন্যান্যদের থেকে তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং সেটাই সবথেকে ভালো ব্যবস্থা। লক্ষ্য সেখানেও ডাক্তার নিয়ে যাওয়া, যদ্দিন ডাক্তারের ব্যবস্থা না করা যাচ্ছে তদ্দিন কোন টেম্পোরারি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু ধাইমারা বিরাট কিছু জানে এই দাবী করাটা বাড়াবাড়িই।

    জয়মঙ্গলবার, নীলের ষষ্ঠী, পৈতে, বারোমাসে তেরো পার্বণ লোকাচার কিন্তু টিভি চ্যানেলে জ্যোতিষের রমরমা আদৌ লোকাচার নয়।
  • bb | 24.99.88.21 | ১২ জুলাই ২০১২ ১১:৩১554302
  • aka আমি শুনেছি ভারতের অনেক জায়্গায় এই সেমি বা অল্প ট্রেনড লোকগুলিকে ট্রেনিং দিয়ে কি করে আরও মানুষের কাছে স্বাস্থ্য ব্যব্স্থা সহজে পৌঁছে দেওয়া যায় তার চেষ্টা চলছে। আমার কাছে এই ব্যব্স্থাটি সঠিক মনে হয়েছে।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ১২ জুলাই ২০১২ ১১:৩৫554304
  • ধাইমা বাচ্চা প্রসব করিয়ে মায়ের কাছে দিয়ে দেন । আর মাল্টি/সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বাচ্চাকে তৎক্ষণাৎ আলাদা ইউনিটে নিয়ে গিয়ে কলোস্ট্রাম থেকে বঞ্চিত করেন ও মিটার চড়ান ।
  • de | 213.197.30.2 | ১২ জুলাই ২০১২ ১১:৩৫554303
  • ঈশানের লেখাটা পড়ে মহাশ্বেতা দেবীর সেই সাপের ওঝা নিয়ে গল্পটা (নাম মনে পড়ছে না ঃ((() আর আরোগ্য নিকেতন মনে পড়ে গেলো-- একই রকম আর্গুমেণ্ট! সরকারী ভাবে ধাইমা বা ওঝাদের অঙ্গনওয়াড়ীর ট্রেনিং দেওয়া গেলে গ্রামেগঞ্জে বিনা চিকিৎসায় একটু কম মানুষ মারা যেত। আলটিমেটলি এই কাজগুলোকে যারা পেশা হিসাবে নিচ্ছেন, পেশাগত অভিজ্ঞতা ছাড়াও কিছু পরিমাণ ভালোবাসাও তো আছে কাজের ওপরে -- ট্রেনিং দিলে সেইটে সাধারণ মানুষের কিছুটা হলেও উপকারে আসতো।

    আর বিয়ে, শ্রাদ্ধ, পৈতে ইত্যাদীতে ঐ মাথা মুড়ানো, কাছা নেওয়া ইত্যাদী করার জন্য প্রচুর সামাজিক চাপ, ব্ল্যাকমেলিং, আত্মীয়স্বজনের শো-অফ ইত্যাদী থাকে -- এই চাপটাকে চুপচাপ সয়ে নিতেও সাহস আর ক্ষমতা লাগে! তবে ঈশানকে এক্কেরে ক্ক' -- বেশী কথাবার্তা-তক্কো-বিতক্কের মধ্যে না গিয়ে চুপচাপ নিজের জীবনেই নিজের বিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা ভালো!
  • kc | 204.126.37.78 | ১২ জুলাই ২০১২ ১১:৪৯554306
  • মাল্টি/সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সব বাচ্চাকেই তৎক্ষণাৎ আলাদা ইউনিটে নিয়ে গিয়ে কলোস্ট্রাম থেকে বঞ্চিত করা হয় নাকি? যাদের করা হয়, সাধারণভাবে তাদের বাঁচার চান্স খুব কমই থাকে।

    দেশের ডাক্তারদের মধ্যে অতটা পাষণ্ডভাব এখনো আসেনি, যে একটা সদ্যজাতকের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করবেন।

    এটা আমার ধারণা এবং বিশ্বাস। ঠিক যেমন 11:35 AM পোস্টটা দুখের ধারণা এবং বিশ্বাস।
  • b | 135.20.82.164 | ১২ জুলাই ২০১২ ১১:৫২554307
  • বেয়ারফুট ডক্টরস?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ১২ জুলাই ২০১২ ১১:৫৪554308
  • সবই তো ধারণা আর বিশ্বাস । এই যেমন চাঁদে মানুষ গেছে ।
    ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ইস্কুলের বই, খপরকাগজ হ্যানোত্যানো মিলিয়েই তো ধারণা আর বিশ্বাস গজায় ।
  • kc | 204.126.37.78 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:০১554309
  • এই যেমন আমার ধারণা আর বিশ্বাস হল দুখে যা লেখে তা বিশ্বাস করেনা। অন্য কারুর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার খপর শুনেই এরকম ধারণা আর বিশ্বাস গজিয়েছে।
  • ব্যাং | 132.178.201.121 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:০৬554310
  • কেসি, দুখে সদ্যোজাত বাচ্চার ব্যাপারে যা লিখেছে, সেই অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। ব্যাঙাচি জন্মানোর সাথে সাথে তাকে নার্সারিতে নিয়ে গিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল, পেডিয়াট্রিশিয়ান বারবার বলা সত্বেও কিছুতেই তাকে মায়ের বেডে রাখা হয় নি। সকাল সাড়ে আটটায় জন্মানো বাচ্চাকে সন্ধ্যেবেলায় একবার তার মা কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিজের কোলে পেয়েছিল, তা বাদ্দিলে সারাদিন নার্সারির কটে শুয়েছিল সেই বাচ্চা।। খোদ কোলকাতা শহরে উডল্যান্ডস নার্সিংহোমের ঘটনা। নয়বছর আগে।
  • kc | 204.126.37.78 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:১১554311
  • বেঙি, তুই যা লিখলি তার একদম উল্টো অভিজ্ঞতা আমারও আছে, খোদ কলকাতা শহরেই, আমরিতে। এগারো বছর আগে।
  • Toba Tek Singh | 131.241.218.132 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:১২554312
  • বুঝলাম না। এগুলো যে অদরকারেই সে সম্পর্কে এত নিশ্চিত হই কী করে?

    ঋকের জন্মের পর ওকে নার্সারীতে রাখা হয়েছিলো - ওয়াশিংটনে।
    ঋতির জন্মের পর ওকে মায়ের কাছেই রাখা হয়েছিলো - নিউক্যাসলে।

    পেডিয়াট্রিশিয়ানের সাথে এই সময় অবস্টেট্রিশিয়ানেরও নিশ্চয় মতামত থাকে...
  • ব্যাং | 132.178.201.121 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:১৭554313
  • কেসি, হতেই পারে। তোর অভিজ্ঞতার জন্য দুখে যা লিখলো তা শুধু শোনা কথা হতে যাবে কেন? ব্যাঙাচির জন্মের সময়, আমার বা ব্যাঙাচির দুজনের কারুরই এমন কোনো অবস্থার সৃষ্টি হয় নি যার কারণে বাচ্চাকে আলাদা রাখা হবে। বাচ্চার ডাক্তার বলা সত্বেও তাকে মায়ের কাছে দেওয়া হবে না।
  • একক | 24.99.231.163 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:৩৬554314
  • বিরোধের জায়গা তা পরিস্কার হওয়া দরকার । ওঝা -গুনিন এরা আমাদের প্রাচীনতম চিকিত্সক । চরক-সুশ্রুতের আমলেও ছিল। এখনো আছে । কোনো ডাক্তার ই বিজ্ঞানী নন । ডাক্তার রা হোলেন শরীরের ইঞ্জিনিয়ার । এখন কিছু ইঞ্জিনিয়ার সারাজীবন নিজেকে আপডেট করেন নতুন টেকনোলজির সঙ্গে । কিছু ঘ্যাটা মাল থাকে যা শিখে বেরিয়েছিলো তাই দিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয় । গ্রামের ওঝা দের সেখাতে গেলেও এটা হয়।আর-কে-এম থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে যখন ক্যাম্প করা হত অনেকসময় এই লোকাল কোনো কম্পাউনডার ,কবরেজ মশাই এমনকি ওই ওঝা গোত্রীয় দের নেওয়া হত । কিন্তু সবাই আবার শিখতে চান না । পুরনোটাই আঁকড়ে পড়ে থাকেন , অথচ শিখলে কী ভালো হত তাই না ? ওঝা রা যেভাবে সাপ চেনেন সেভাবে আমরা কেও চিনিনা । কত তারাতারি এপ্রপ্রিয়েট এন্টিভেনম দেওয়া যেত । কিন্তু সবক্ষেত্রে হয়না । কারন শিখতে চান না ।
    এই মানসিকতা সর্বর্ত্র । পশ্চিমবঙ্গে তখন ল্যাপেরস্কপি চালু হয়নি । এক নামকরা ডাক্তার ঝারা এক ঘন্টা তাঁর "অভিজ্ঞতা " দিয়ে আমাকে বুঝিয়েছিলেন কোনভাবেই ল্যাপেরস্কপি করে গলব্লাডার এর সার্জারী হয়না । অথচ আমার মামা তখন ইউকে গিয়ে শুওর এর পেট কেটে ল্যাপেরস্কপি সিক্ছেন । এই হলো মানসিকতার পার্থক্য। এলোপ্যাথি চিকিত্সক হলেও ওই ডাক্তার কে আমি ওঝা-গুনিন দের পর্যায় এই ফেলবো ।
  • kumu | 132.160.159.184 | ১২ জুলাই ২০১২ ১২:৫৮554315
  • ব্যাং,আমার ছেলেরা দিল্লীতে জন্মেছিল,গঙ্গারামে।আমি colostrumএর ব্যাপারটা জানতাম বলে,জ্ঞান ফেরামাত্র জোর করেছিলাম বাচ্চাকে আমার কাছে দেয়ার জন্য,অবশ্যই কোন অসুবিধা না থাকলে।
    তাতে দেখেছিলাম সিস্টাররা একটু অবাক,কেন,ভগবান জানে।তবে এনে দিয়েছিল।

    দ্বিতীয়বার বলতে হয়নি,এমনিতেই নিয়ে এসেছিল।

    এখন সেই ছেলেদের কথা শুনে চলতে হয়!!!!!!
  • | 24.99.81.202 | ১২ জুলাই ২০১২ ১৩:৪৫554317
  • কিছু এম বিবিএস ডাক্তার পুরো ওঝা টাইপেরই হয়। আমি নিয়মিত রক্তদান করে থাকি। ২০০৬ তে আমার হাইপোথাইরয়েড ধরা পড়ল। খুব একটা ফ্লাকচুয়েট করে না--- কিন্তু ঐ আর কি ---- আছে, নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তো ২০০৭ এর মাঝামাঝি অবধি গুরগাঁওতে ছিলাম। রক্ত দিয়েওছি কোনও অসুবিধে হয় নি। এর পর পুণে এলাম। ২০০৯ এ অফিসের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত এম বি বি এস ডাক্তার আমাকে কিছুতেই রক্ত দিতে দিল না। দাবী কি না আমার রক্ত যার শরীরে যাবে তারও থাইরয়েডের সমস্যা হবে। আমি প্রথমে ভেবেছি ইয়ার্কি মারছে ----- ওমা দিল না তো দিলই না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন