এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমার সেই পথ হাঁটার গপ্পো

    kk
    অন্যান্য | ০৩ আগস্ট ২০১২ | ৯৭৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৪564643
  • এইখানে আমার এক পথ হাঁটার গল্প লিখবো। গল্পটা ভারী একান্ত। কিন্তু আমি জানি যে অনেকেরই এমন এক একটা পথ হাঁটা আছে। হয়তো তাদের নিজেদের কথার সাথে মিলে যাবে। হয়তো আরো কারুর কারুর দরজা খুলে রাস্তায় পা বাড়ানোর ভয়টুকু কেটে যাবে। তাইই লিখছি। অরণ্য, স্যান, আকা শুনতে চেয়েছিলে, তাইই লিখছি।

    ওজনের সমস্যা আমার অনেকদিনের। ছিলাম একটা গোল্লু বাচ্চা। বড়ও হলাম গোল্লু হয়েই। দীর্ঘদিনের হস্টেলবাস আর তৎজনিত আজেবাজে ফুডহ্যাবিট ..... ফলটা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু কেয়ার করতাম না তেমন। কে আর করে কম বয়সে? তখন অন্য অনেক কিছু থাকে ভাবার জন্য। তবে একেবারে যে ইগনোর‌্যান্ট ছিলাম তা নয়। জানতাম কি কি করা উচিৎ, কি কি বাদ দেওয়া উচিৎ। কিন্তু 'জানতাম', ঐ অব্দিই। কিছুই করা হয়ে উঠতো না, শেষ পর্যন্ত। অনেকবার তেড়েফুঁড়ে শুরু করতাম ডায়েট, এক্সারসাইজ। বড়জোর এক সপ্তাহ। তারপরেই লক্ষ্য সরে যেতো। আবার যে কে সেই।

    কিন্তু সবকিছু সারা জীবন একরকম থাকেনা। আস্তে আস্তে সমস্যা বাড়ছিলো। আমার মধ্যে জানেন, একটা অদ্ভুত ডিনায়াল আছে। সমস্যাগুলোকে আমার মন খুব ডিনাই করে। আমি সেগুলোকে মনের পেছনের বেঞ্চে ঠেলে পাঠিয়ে দিয়ে এমন ভাব করি যেন তারা আদপে কোনদিন ছিলোইনা। এই করে করে এমন একটা দিন এসে দাঁড়ালো যখন অবস্থা যাকে বলে রীতিমতো সঙ্গীন।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৫564754
  • দুটো হাতেই টেনিস এলবো বেশ কায়েমী বাসা করেছিলো। ডানে বেশি, বাঁয়ে সামান্য কম। সেই রামধনু-অলিন্দ যুগের বন্ধুরা জানেন এই ব্যথার কথা। ঘাড়ে ছোট্ট মতো একজন স্পন্ডিলোসিস একটা মোড়া পেতে বসলো। ডান কাঁধে কি এক কারণে ক্রনিক ব্যথা দিব্যি পাকাপোক্ত ঘর তুললো। ক্রমে ক্রমে অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে ভারী জিনিষ তোলা তো দুরের কথা ছুরি দিয়ে একটা আলু কাটলেও তারপরে দু তিন ঘন্টা হাত নাড়াতে পারিনা।

    পায়েরা আবার হাতেদের খুব ভালোবাসে জানেন তো? কাজেই সাম্যবাদ বজায় রাখার জন্য দু পায়েরই অ্যাকিলিস টেন্ডন ছিঁড়ে গেলো। ডানে বেশি, বাঁয়ে সামান্য কম। শেষে এমন দিন এলো যে দশ মিনিটের বেশি একটানা দাঁড়িয়ে থাকলেই পায়ের গোড়ালী ফুলে লাল হয়ে টসটস করে। গ্রোসারী স্টোরে বাজার করতে যতটুকু হাঁটতে হয় তাতেই অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। ল্যাবে সারাদিন কাজ করার পরে বাড়ি ফিরে আর দাঁড়িয়ে থাকার সামর্থ্য থাকেনা।

    ডাক্তারবাবু দেখে বললেন এর তো কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। প্রিভেন্টিভ মেজার নিয়ে ব্যথা যতটুকু কমাতে পারো দেখো। কমে না,কমে না। কোন ব্যথাই কমেনা আমার। ল্যাবে অটোক্লেভের দরজা বন্ধ করতেও কারুর সাহায্য চাইতে হয়। রান্নাবান্না, সব্জি কাটা, বাসন ধোয়া ..... সাহায্য চাইতে হয়। কোথাও বেড়াতে গিয়ে গাড়ি করে যেটুকু ঘোরা যায় তার বেশি আমার পা রাজী হয়না। কনফারেন্সে গিয়ে পোস্টার অন্য কাউকে দিয়ে প্রেজেন্ট করাতে হয় । আমি অতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো কি করে? এরপরে শুরু হলো হাঁটুতে অসহ্য যন্ত্রনা। আবার ছোটো ডাক্তারবাবুর কাছে। দুটো নীক্যাপই বাইরের দিকে বেঁকে গেছে। হাঁটা, দাঁড়ানো সমস্যা তো ছিলোই, এবার সিঁড়ি ভাঙাও বাদ! উঠতে বসতে খচখচ করে লাগে। রাত্রে ঘুম ভেঙে যায় যন্ত্রনায়। প্রায়ই। ডাক্তারবাবু বলেন 'যাতে ব্যথা বাড়ে সব বাদ দাও'। বাদ দেবো? হাঁটা,চলা, দাঁড়ানো, সব বাদ ? লেখা, বেকিং, ঘুরতে যাওয়া, সব, স-অ-ব বাদ ?
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৬564848
  • অবশ্য এর সাথে ওজনের এক্কেবারে সরাসরি সম্পর্ক নেই। না ডাক্তারবাবু আমাকে কোনদিন বলেননি যে ওজন না কমালে ব্যথা কমবেনা। অন্য কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। বলেছিলেন ফিজিক্যাল থেরাপী করে দেখো। বলেছিলেন একটা হুইলচেয়ার কিনতে হবে হয়তো, শেষ অব্দি। অবশ্য এও বলেছিলেন যে দুর্বল জয়েন্টগুলোর আশে পাশের মাস্‌ল শক্ত করতে পারলে কাজ হবে। আমি চেষ্টা করেছিলাম কি? হ্যাঁ করেছিলাম। কিন্তু ঐ, মোটিভেশনের অভাব। মেরেকেটে এক সপ্তাহ, তারপরেই সব ছেড়ে যায়।

    আমি বরাবরই খুশি ধরণের মানুষ জানেন? খুব ছোট্ট কারণেই আমি খুশি হই, খুশি থাকি। কিন্তু জীবনের এই পর্যায়ে এসে আস্তে আস্তে সব খুশি হারিয়ে ফেলছিলাম। মধ্য তিরিশেই যার জীবন এত রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যায় তার খুশি ডানা মুড়ে বসারও জায়গা পায়না আর। সবটুকু যখন ব্যথাতেই ভরে থাকে তখন খুশির বিন্দুগুলো থাকবে কোথায়? আমার ক্লান্ত লাগে সব সময়ে, বেরঙীন লাগে সবকিছু। সবসময়ে শুধু পরে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। আমার ভীষণ ভীষণ স্বাধীনচেতা সত্বা ক্ষতবিক্ষত হতে হতে অজান্তেই মরে যেতে থাকে। আমার দিন, রাত্রি, আমার বিকেল, দুপুর সব জুড়ে শুধু মনোটোনে একটা হতাশা ছেয়ে থাকে।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৭564870
  • আমি আরেকবার শুরু করলাম। সব ব্যাগেজ ডাম্প করে। আমি শিখলাম যে একটা একটা করে ধাপ পেরোতে হয়। একটা একটা করে খারাপ অভ্যেস ছাড়া, একটা একটা করে ভালো অভ্যেস গড়া। একসাথে অনেক গুলো সিঁড়ি টপকাতে গেলে মানুষ গড়িয়েই পড়ে। আমি শিখলাম 'ডায়েটিং' বলে কোনকিছু হয়না। ভালো খাওয়া, খারাপ খাওয়া হয়। ভালো খাওয়া মানেই দুনিয়ার যাবতীয় সুখাদ্য ছেড়ে দিয়ে সারাদিনে শুধু লেটুশ আর শশা দাঁতে কেটে থাকা নয়। পেট ভরে, মন ভরেও ভালো খেয়ে থাকা যায়। ভালো অর্থে হেলথি, খারাপ অর্থে আন-হেলথি সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবেনা কাউকে?

    আমি শিখলাম এক্সারসাইজ করা মানেই দিনে পাঁচ মাইল দৌড়োতে হবেনা। আস্তে আস্তে নিজের সাধ্যের মধ্যেই এক্সারসাইজ করা যায়। আস্তে আস্তে বাড়াতে হয়, যেমন যেমন ক্ষমতা বাড়ে। আমি একেবারে লো লেভেল রেজিস্ট্যান্সে স্টেশনারী বাইকিং শুরু করলাম। হ্যাঁ, সমস্যা হতো। প্রতিদিনই ব্যয়ামের শেষে পায়ে বরফ দিতে হতো। মোটিভেশন এক এক সময়ে প্রচন্ড ডানা ঝাপ্টাতো। কিন্তু আমি শুধু মনে মনে বলতাম 'for just once, stand up and finish what you've started'। বারবার বলতাম, নিজেকে।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৭564859
  • একদিন ঘটনাচক্রে একজনের একটা 'টক' শোনার সুযোগ হলো। ভদ্রলোকের নাম বব হার্পার। আমাদের ঘরের কাছেই ন্যাশভিলের লোক। ফিটনেস ট্রেনার। অনেক কথার মধ্যে কটা কথা আমার মনের মধ্যে গেঁথে বসে গেলো -- ' একবারটির জন্য সব ব্যাগেজ ডাম্প করে ফেলে আয়নার সামনে দাঁড়াও। দেখো নিজেকে কেমন দেখতে লাগছে। একবারটির জন্য উঠে দাঁড়িয়ে যা শুরু করেছো তা শেষ করো।'

    -- ব্যাগেজ সব ডাম্প করে ফেলা কি সত্যিই যায়? বব?

    -- নিজেকে একবারের জন্য বিশ্বাস করেই দেখো না যায় কিনা। হারানোর জন্য আর তো কিছু বাকি নেই।

    ভদ্রলোক ফিটনেস ট্রেনার। 'বিগেস্ট লুজার' শো এর।

    আমি বিগেস্ট লুজার দেখতামনা কোনদিন। ডাউনোলোড করলাম সবকটা এপিসোড। দেখতে থাকি, দেখতে থাকি। এই এতগুলি লোক, প্রত্যেকেই মর্বিডলি ওবীস। অমানুষিক পরিশ্রম করছে স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য। না স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য নয়, প্রাণ বাঁচানোর জন্য। কষ্টের চোটে কাঁদছে, চিৎকার করছে, তবু লড়ে যাচ্ছে লোকগুলো। শেষ অব্দি জীবনকে খুঁজে পাচ্ছে ওরা। নিজেদের খুঁজে পাচ্ছে।

    আমার মধ্যে অদ্ভুত একটা রিয়ালাইজেশন আসে। হারানোর জন্য কিছু তো বাকি নেই। নিজেকে একবারের জন্য বিশ্বাস করেই দেখো না। আমার মাথার মধ্যে একটা গান ঢুকে যায় -- 'হোয়াট অ্যাবাউট নাও? হোয়াট অ্যাবাউট টুডে? হোয়াট ইফ ইউ আর মেকিং মী/ অল দ্যাট আ'ওয়াজ মেন্ট টু বী/ বেবি বিফোর ইট'স টু লেট''।
    এই লোকগুলো যদি পেরে থাকে আমিই বা না পারবো কেন?
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৮564881
  • আস্তে আস্তে দিন বদলাতে লাগলো। কষ্টগুলো কমতে লাগলো। ব্যথারা জায়গা ছেড়ে দিতে লাগলো, যেখানে খুশি এসে বসতে পারে। খুব ধীরগতিতে, তবু দিন বদলে যাচ্ছিলো। আমি বদলে যাচ্ছিলাম। যখনই কোনো নেগেটিভ ফিলিং এসে থাবা তুলতো আমি মনে মনে ভাবতাম যে কম্ফর্ট জোনের ঠিক বাইরেই জীবনের শুরু হয়। আমি ভাবতাম 'আর মাত্র একবার করো, তারপরেই ছুটি। মাত্র এক মিনিট আর বাইক চালাও, মাত্র একটা আরো পুশ-আপ করো, তারপরেই ছুটি'। নিজেকে পুশ করা, নিজের কম্ফর্ট জোনের বাইরে।

    শুরুতে লেভেল ওয়ানের বাইক চালাতাম, দু হাতে তিন তিন পাউন্ড ডাম্ববেল নিয়ে ওয়েট ট্রেনিং করতাম। আস্তে আস্তে জোর বাড়তে লাগলো। ক্ষমতা বাড়তে লাগলো। বাইক ছেড়ে ইলিপ্টিকালে দৌড়োতে শুরু করলাম।

    যে আমি দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না সেই আমি এখন লেভেল টুয়েল্ভ অব্দি অনায়াসে পারি। ইলিপ্টিকালে দুবার হাফ ম্যারাথন দৌড়েছি। ১৩. ১ মাইল। 'দৌড়েছি'।

    সব্জি কাটলেই যে আমি হাত চেপে বসে পড়তাম সেই আমি এখন দু হাতে পঁচিশ পঁচিশ পাউন্ড ডাম্ববেল নিয়ে বেঞ্চপ্রেস করি। আমরা নিজেদের ক্ষমতা কত তা নিজেরাই জানিনা আসলে। নিজেকে একটা সুযোগ দিতেই চাইনা তাই। সেদিন থেকে আজ কতটা এগিয়ে এসেছি ফিরে দেখলে আমার নিজেরই অবাক লাগে।

    হ্যাঁ, এখনও আমার প্রচুর লিমিটেশন আছে। অনেক ব্যয়াম আমি করতেই পারিনা, অন্যদের থেকে অনেক স্লো আমার প্রোগ্রেসন। তবু আমি এটা জানি যে আমি এগোচ্ছি। হোক না কচ্ছপের গতিতে। আমার হাতে তো সারা জীবন রয়েছে।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৯564892
  • যে অবস্থা থেকে আমি এতদূর এসেছি তার পরে জোর গলায় বলতে পারি যে দুনিয়ার যেকোনো লোকের পক্ষেই এতদূর আসা সম্ভব। এর জন্য কিচ্ছু স্পেশ্যাল স্কিল লাগেনা। শুধু লাগে একটুখানি কমিটমেন্ট আর নিজের ওপর বিশ্বাস।

    গল্প শেষই হয়ে এলো। শুধু একটা কথা বলেই বন্ধ করবো। আমি আগে যখনই বাকেট লিস্ট বানাতে চেষ্টা করতাম, দেখতাম্সেরকম কোনকিছুই নেই লিস্টে লেখার। তখন মনে করতাম নিজের জীবন নিয়ে আমি খুবই স্যটিসফায়েড, আমার সব শখই তাহলে মিটে গেছে, তাইই আর কিছু লেখার পাইনা। এখন যদি বাকেট লিস্ট বানাতে বসি দেখি কতকিছু যোগ হয় -- রক ক্লাইম্ব করা, হোয়াইট ওয়াটার র‌্যাফটিং করা, ম্যারাথন দৌড়োনো .....। আজ বুঝতে পারি, জীবনের এই দিকটাই আমার কাছে এতদিন বন্ধ ছিলো। এখন আমার জীবন নতুন করে শুরু হয়েছে, মরার আগে অনেক কিছু করার আছে। অনেক কিছুই তো করার আছে -- হোয়াট অ্যাবাউট নাও? হোয়াট অ্যাবাউট টুডে?

    ** পরিশেষে -- আমি এখন ফিটনেস ট্রেনার হবার জন্য পড়ছি। চৌদ্দটার মধ্যে আর দুটো পরীক্ষা বাকি আছে। এটা শেষ হলে NCSF এর পরীক্ষায় বসবো, তাহলে বোর্ড সার্টিফায়েড ফিটনেস কোচের লাইসেন্স পাবো।
  • aka | 178.26.215.13 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৪৫564903
  • জ্জিও। হাই ফাইভ।
  • san | 24.96.63.49 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৪৬564914
  • কলিদি নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়লাম। খুব খুব খুব ভালো লাগছে এখন।
  • RATssss | 73.192.82.30 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:১০564644
  • কলিদি...
    স্যালুট।
    প্রচুর জোর পেলাম মনে।
    সম্ভব, এখনো সম্ভব। একবার চেষ্টা করেই দেখা যাক, লেগে থাকতেই হবে, পারতেই হবে অধরা কে ধরতে। থ্যা`ঙ্কু। এই টইতে ফিরে আসবো বারবার
  • একক | 24.99.30.108 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:১১564655
  • ভীষন ভালো লাগলো পড়ে । সত্যি । ফিটনেস ব্যাপারটা একদম জ্ঞান দিয়ে হয়না যদি ভেতর থেকে ইচ্ছে না আসে। আরে পারছেন , পেরেছেন জেনে খুউউব ভালো লাগলো । জ্জ্জিও ! চালিয়ে যান !!
  • ব্যাং | 132.178.206.17 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:২১564666
  • কলি, কতটা ভরসা পেলাম তোমার লেখা পড়ে, বলে বোঝাতে পারব না।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:৩০564677
  • সব্বাইকে থ্যাংকু। এই পড়ে একজনও যদি কোনো মোটিভেশন পান তো জানবো লেখার কোনো মানে থাকলো।

    এই টইতে লেখার জন্য সবাই ওয়েলকাম। ফিটনেস নিয়ে, নিউট্রিশন নিয়ে, মোটিভেশন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে, বা এমনিই আলোচনা করতে চাইলে নির্দ্বিধায় লিখুন। ভালো লাগবে।

    এই রে,র‌্যাটাসকেই আমি আগে রতনদা বলতাম। যাক গে, আজ থেকে নাহয় উল্টোটাই হোক ;-)।
  • pi | 138.231.237.8 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৫564688
  • এই নেগেটিভ ফিলিং এর থাবা থেকে নিজেকে বের ক'রে আনতে পারা, সত্যি অ্যাচিভমেন্ট, কলিদি।
  • sp | 217.239.86.106 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৮564699
  • কেকেঃ দারুন লিখেছেন, পুরোটা একেবারে পড়্লাম, এবং অনেক এন্থু পেলাম। এটা খুব সত্যি কথা যে আমরা শরীরের ওপর ততদিন যত্ন নিইনা যতদিন না পরিস্থিতি এক্দম এক্স্ট্রীম হয়ে যায়। অথবা চূড়ান্ত ল্যাদের কারনে মধ্য তিরিশের আগে খেয়াল পরে না। আর সবার মধ্যেই সেলফ ডিনাই মোড আছে, কারো বেশি কারো কম, আপনাকে অভিনন্দন আপনি নিজের ভিতরকার বাধা সরিয়ে বেরোতে পেরেছেন। যারা দীর্ঘকাল কোনো ক্রোনিক অসুখ/অসুবিধা থেকে মোটামুটি সুস্থ শরীর (সুস্বাস্থ্য নয়) ফিরে পেয়েছেন তারা জানেন এটা কতবড়ো কনফিডেন্স বুস্টার। আপনি এগিয়ে যান, জিন্দেগী তো সবে শুরু।
  • siki | 96.98.44.250 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০২:৫৬564710
  • কলিদি,

    সেলাম।
  • Nina | 78.34.167.250 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:০৯564721
  • কলিয়া
    ক্যাবাৎ! আজকেই আমার মোটুরামকে তোর এই লেখাটা পড়াব-----আর তার ছানাটাকেও---if there is a will, there is a way
    কুর্নিশ খান সাহেব!
    may all your dreams come true in life
  • | 60.82.180.165 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:১৮564732
  • কলি, খুব ভাল্লাগলো। আরেকটু বিশদে লেখো। কতটা ওজন কমলো, খাবারদাবারে কি কি পরিবর্তন করলে- আর সবচে বড় কথা,তোমার ডাক্তার কি বল্লেন?
  • Zzzz | 209.119.232.2 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:২০564743
  • কলিদি,

    হ্যাটস অফ। মাঝে মাঝে যন্ত্রনায় মনে হয় আর সম্ভব নয় ছেড়ে দি। ছেড়েও দি। তখন আবার এই ফিজিক্যাল পেইনই আমার মোটিভেশনের কাজ করে। এখন থেকে তোমার এই লেখা আমার মোটিভেশন। চালিয়ে যাও।
  • pipi | 139.74.191.52 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:২১564755
  • হ্যাট্‌স অফ!
  • RATssss | 73.192.82.30 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:২৯564766
  • এই রে... আমি লিখতে গিয়ে ভা্বছিলাম... বোধহয় কলির পরে দি লেখাটা ঠিক হচ্ছে না। অনেককাল পরে তো!

    ডিটেলে কত গুলো জিনিষ জানতে ইচ্ছে করছে।

    ১) খাবার দাবারে কি কি পরিবর্তন করলে
    ২) কোন কারনে ২ -৪ দিন পথে না হাঁটতে পারলে মানসিক চাপ কতটা হয়?
    ৩) রুটিন বা চার্ট বানিয়েছিলে কি কিছু? অবশ্যই সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পালটে গেছে, গোল অ্যাচিভ করে ফেললে পরের গোল সেট করেছ। এই চার্ট বা রুটিনের বিবর্তন টা কি একটু ডিটেলে লেখা যায়?
  • i | 147.157.8.253 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩১564777
  • আরে ক্কি ক্কান্ড কেকে! এই কি টেলিপ্যাথি!! কদিন হোলো একটা গল্প লেখা শুরু করেছি- গল্প মানে আমার গল্প যেমন হয় আর কি-সেখানেও ফীটনেস ট্রেনিংএর কথাই লিখছি...
    খুব ভালো লাগল পড়ে...
  • maximin | 69.93.246.61 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩২564788
  • অসাধারণ অ্যাচিভমেন্ট। আর লিখেছও চমৎকার, আগামি দিনের জন্যে অনেক শুভেচ্ছা কৃষ্ণকলি। ফিট থাকার চেষ্টা করিনা একদমই করিনা। দেখি পারি কিনা। সহজ নয়।
  • kc | 204.126.37.78 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩৩564799
  • কেকে, খুব ভাল লাগছে। ডিটেলে লিখুন। আমারও ওজন কমানো এখন একমাত্র লক্ষ। কমাতেই হবে।
  • maximin | 69.93.246.61 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩৮564810
  • আমার হাজারটা লক্ষ্য। প্রথম লক্ষ্য রাত না জাগা। এখন রাত সাড়ে তিনটে। তাহলে টা-টা (হাসিমুখ)
  • Abhyu | 107.81.108.14 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:৪৪564821
  • কলিদিকে আমার চিরকালই খুব ভালো লাগে (যারা ভালো রান্না করে তাদের সবাইকেই ভালো লাগে, তাছাড়া যারা লীলা মজুমদার পড়ে তাদেরও ভালো লাগে, তাছাড়া...) তো এই লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগল।
  • pi | 138.231.237.8 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৪:১৫564832
  • কলিদি, একটা প্রশ্ন ছিল। ডাক্তার এটার রেমিডি হিসেবে ওজন কমানোর কথা বলেননি কেন ?
    আর একটা কথা, এই, করাটা একটা অভ্যেস করে ফেলতে পারলে, কোনো কারণে না করতে পারলে কি খুব অস্বস্তি হয়, খারাপ লাগে ? মানে, অনেকে তো হেল্থ ফ্রিকও হয়ে যায়, সেই হওয়াটা নিয়ে কী মত ?
  • hu | 34.13.11.220 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৪:৩১564843
  • কলিদির এই লেখাটা একদম গল্পের মত। গল্পের মত ঘটনা যখন এভাবে সত্যি হয়ে যায় তখন যারা পড়ে তাদের যে কতখানি অনুপ্রেরণা আসে তা বলার নয়। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
  • Binary | 80.76.78.47 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫২564847
  • খুব খুব খুব ভাললাগল পড়ে।

    আমিও। ঠিক এই টুকু একটু একটু মোটিভেশন নিয়ে সুরু করেছি। আমারো, ঐ হত। দু হপ্তা, বড়জোর একমাস। তারপর ...

    কিন্তু, এখন প্রায় ছয় মাস হল, নিজেকে চালিয়ে রাখছি। প্রতিদিন, ইলিপটিকালে উঠে মনে হয়, আজ আর হবে না, কিন্তু ঐ, প্রতি দুমিনিট করে মোটিভেট করি। এই তো আর দুমিনিট। আর একটু। আর দুমিনিট। সুরু করেছিলাম ২৫ মিনিট করে, এখনে ৬০ মিনিট হয়ে যায়, ঐ দুমিনিট মোটিভেশনে।

    একদম ঠিক। কোনো খাওয়া বন্ধ করতে হয়নি। শুধু মাপ টা একটু খেয়াল রাখতে হয়েছে।

    ফল । আমার অসুধ খেয়ে-ও হাইপার্টেনশন কন্ট্রোল থাকত না। ১৫০-১০০ হত হামেশা-ই। এখন ১৩৫-৮০। স্টেবল। নো মেডিসিন।

    ফল। আমার বিএমাই ছিলো ৩১। ছ-মাস আগে। এখন ২৬। ওজনের কথা বললে ঠিক ছবিটা আসবে না। তাই বিএমাই বললাম।

    ফল। রেগুলার আগে ঘুমের ওষুধ খেতে হত রাতে। এখন একদম-ই লাগে না।

    আর ফ্রিক হওয়া টা নিজের ব্যাপার। দুদিন মিস করলে অপরাধ বোধ হয় ঠিক-ই, কিন্তু সেটাতো ভালই। ঐ যে, মোটিভেশন।
  • de | 190.149.51.69 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১১:০২564849
  • অ-সা-ধা-র-ণ!! এতো ভালো লাগলো পড়ে বলে বোঝাতে পারছি না--

    আসলে সময়ের এতো অভাব -- রাত্তিরে শুধু আধঘন্টা সময় পাই ব্যায়াম করার, তাও রাত ন'টার পর, জিমে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না -- আগামী পাঁচ বছরে সময় হবে না-- সারাদিনই ব্যস্ততায় কাটে-- সারাদিনের কাজের পর রাত্তিরের ব্যায়ামটুকু ছেড়ে দিতেই মন চায়। আজ থেকে কলির এই লেখাটার কথা ভেবে আরেকটু মোটিভেশান পাবো!

    কলি,
    জিমে যাওয়া, ওয়েট ট্রেনিং বা বাইকিং করার মোটে সময় নেই। করার মধ্যে শুধু কিছু ফ্রী-হ্যান্ড আর কয়েকটা যোগব্যায়াম। এতে কি কিছু হবে? এমনিতে কোন অসুস্থতা নেই অবশ্য, তবে সারাদিন কম্পুর সামনেই কাটে --

    আর পারলে ডায়েট নিয়েও একটু লিখো -- এই আমাদের মতো দম ফেলতে সময় না পাওয়া লোকেরা কি করে প্রপার ডায়েট মেনটেন করবে -- এইসব আর কি!

    আবারো বলি -- হ্যাটস অফ!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন