এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমার সেই পথ হাঁটার গপ্পো

    kk
    অন্যান্য | ০৩ আগস্ট ২০১২ | ৯৭৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 4z | 109.227.143.99 | ১২ আগস্ট ২০১২ ২৩:৪৪564771
  • গুল্পো এগোনোর আগে দু একটা কথা বলি। যাদের কিক বক্সিংএর ছবি দেখে ধুরুম ধুরুম করে মারতে ইচ্ছে করছিল, তাদের বলি, দুম দাম করে পাঞ্চিং ব্যাগে মারতে শুরু কইরেন না তাতে নিজের ক্ষতি হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। আর প্রপার ট্রেনারের কাছে ট্রেনিং করাই ভালো। আর আগে থেকে চোট থাকলে বা কোনো রকম শারীরিক অসুবিধে থাকলে আগে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে নিয়ে তারপর শুরু করুন। এটা সব থেকে জরুরি। মার্শাল আর্টস যে কোনো বয়সে শিখতে শুরু করা যায়। সুতরাং শিখতে চাইলে এখন শুরু করে দিন কিন্তু আগে নিজের শরীর বুঝে।
  • kk | 117.3.243.18 | ১২ আগস্ট ২০১২ ২৩:৫৭564772
  • হু,

    আগে জানতে হবে রেস্টিং বিপিএম হাই কেন? যদি পঁচাশির ওপরে হয় তাহলে একবার ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিৎ। যদি তার নীচে হয় তাহলে সাধারণ কার্ডিও, আমি ওপরে যে রেটে বলেছি তা করতে কোনো বাধা নেই। কার্ডিওর ফলে হার্ট ও লাংসের ক্ষমতা বাড়ে, তখন দেখবে রেস্টিং বিপিএম অনেক কমে যাবে নিজের থেকেই। আমার নিজের তিরিশ বছর হবার আগে ৮২-৮৩ থাকতো। তিরিশে ওঠার পর ৭৫ এর আশে পাশে। এখন গত দেড় বছর যাবৎ কমতে কমতে এখন ৫৮-৬০। আমার ডাক্তার এই নিয়ে খুব খুশি।

    ফোর্জি,

    আমি মার্শাল আর্ট ক্লাসে ভর্তি হবো তা অনেক দিন ধরে ভাবছি। তোমার লেখা পড়ে আরোই ইচ্ছে বেড়ে যাচ্ছে। তাই আগে ভালো করে সবটা জেনে নিতে চাইছি।
  • hu | 34.13.11.220 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০০:১৭564773
  • ডাক্তারকে বলেছি। যেহেতু আমার প্রেশার খুব ভালো তাই এটা নিয়ে চিন্তা করতে বারন করেছেন। কিন্তু কার্ডিও করতে গেলে খুব তাড়াতাড়ি HRM এর ৬০-৭০% এ পৌঁছে যাই। রোজ করলে পারফরমেন্স সামান্য ভালো হয়। তবে তা সত্বেও আশির নিচে নামছে না।
  • কেলো | 120.227.243.36 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০১:০২564774
  • ক বছর ধরেই রোজ সন্ধ্যাবেলা সাঁতার কাটতে যাবার পথে ঋষিকেশ পার্কে দেখি কতগুলো ছেলেমেয়ে সাদা কুর্তাপাজামা পরে মুখে ইইক ইইক আওয়াজ করতে করতে মার্শাল আর্টের কোন ফর্ম প্র্যকটিস করছে।
    জানেন তো শীতকালে কলকাতায় সাঁতার থাকে না। কলকাতার সাঁতারের সীজন হল পয়লা বৈশাখ থেকে মহায়লয়া। কোন কোন ক্লাব অবশ্য মার্চের শুরুতেই শুরু করে দেয়। মহালয়া থেকে ওর মার্চ পর্য্যন্ত সন্ধ্যেবেলাটা আমি ভাবছিলাম ঋষিকেশ পার্কে ওদের সঙ্গে একটু হাত পা ছুঁড়ব। গত বছরই প্ল্যান ছিল। কিন্তু তালে গোলে হয় নি। এবার দেখা যাক...
    মুস্কিল হল, যদি তাতে মন লেগে যায় তবে রুটিন পাল্টাতে হবে। জলে কম সময় থাকলে আমি তো বাঁচব না।

    আর ফোর্জিদিদি, আপনার সঙ্গে এই তো কদিন আগে অ্যান্ড্রয়েড আর মোবাইল নিয়ে এত কথা হল। আমি দিদি বলি নি নাকি? গুরু জন দের আমি চিরকালই প্রাপ্য সম্মান দিই। হুঁ হুঁ বাবা!
  • 4z | 109.227.143.99 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৪২564775
  • সিনেমা দেখে দেখে ধারনা হয়েছিল ক্যারাটে কুংফু মানেই খালি হাত পা কায়্দা করে ছুঁড়ে বিপক্ষকে ধরাশায়ী করা। তাই প্রথম দিন মাস্টারের কথা শুনে মোটামুটি চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছিল। মাস্টারের প্রথম কথাই ছিল, যে শুধু তায়কোন্ডো নয়, যে কোনো মার্শাল আর্টের প্রথম কথা মার দেওয়া নয়, মার খেতে শেখা। এর পরের তিন-চার মাস ধরে এই কথাটার মানে বুঝেছিলাম। স্পারিং-এর সময় শুধু ডিফেন্ড করার পার্মিশন ছিল, পাল্টা মার দেওয়ার নয়। কোনোদিন ভুল করে একটা কিক করে ফেললে, শাস্তি ছিল হাত পিছেমোড়া করে বেঁধে স্পারিং করতে নামিয়ে দেওয়া। উরে দাদা রে সে যে কি শাস্তি! সব স্পারিং ছিল কোনো গার্ড ছাড়া। বিপক্ষ আপনাকে মনের সুখে কেলিয়ে পাট করে দিচ্ছে আর আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মার খেয়ে যাচ্ছেন নয়ত মার এড়াতে সারা দোবাক দৌড়ে বেড়াচ্ছেন! এটা ছিল সেল্ফ কন্ট্রোলের প্রথম পাঠ। ক্ষমতা থাকলেই সেটা ব্যবহার না করে ধৈর্য্য ধরে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা।

    প্রথম প্রথম প্রচণ্ড রাগ হত। প্রায়ই নিজেকে আটকাতে পারতাম না। ফলস্বরূপ শাস্তি। স্পারিংএর শেষে ভাল করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকত না। কিন্তু যত দিন যেতে লাগল, বাড়তে লাগল নিজেকে আটকানোর ক্ষমতা। দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে বলতাম আর একটু, আর একটু, একদিন আমারও পাল্টা অ্যাটাকের সুযোগ আসবে, তখন দেখে নেবো। মাস চারেক বাদে সে সুযোগ যখন এল তখন দেখে নিই নি, উল্টে নিজে অবাক হয়ে গেছিলাম নিজের ফাইটিং টেকনিকে অদ্ভুত রকম বদল দেখে। আমি আর মাথা গরম করে অ্যাটাক করছি না, মাথা ঠান্ডা করে সুযোগ খুঁজছি বিপক্ষের ভুল করার। খুব খুশী হয়েছিলাম নিজের এই বদল দেখে। কারণ এক আমি ছাড়া আমার ভিতরের ডেমনটাকে কেউ চিনত না। আমি প্রচণ্ড মাথা গরম পাবলিক ছিলাম। রেগে গেলে নিজেকে সামলাতে পারতাম না, আর রেগেও যেতাম চট করে। এই সুযোগটাকে আমার ভিতরের শয়তানটা কাজে লগিয়েছিল। একদিন রাগের মাথায় নিজের খুব প্রিয় একজনকে খুব বাজে ভাবে আঘাত করেছিলাম। যখন মাথা ঠান্ডা হল তখন নিজেকে বুঝিয়েছিলাম না এভাবে চলতে পারে না, কিছু করতে হবে, কিছু একটা করে এই শয়তানটাকে শেষ করতেই হবে। তাই খুশি হয়েছিলাম যখন দেখলাম প্রচণ্ড মার খেয়েও মাথা গরম করছি না, তেড়ে যাচ্ছি না বিপক্ষের দিকে। বুঝে গেছিলাম আমি পারব। নিজের কনফিডেন্স লেভেল অনেক বেড়ে গেছিল যখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে আমিও পারি। আগে এই কনফিডেন্সটাই তো ছিল না আমার মধ্যে।
  • 4z | 109.227.143.99 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৪৩564776
  • ও কেলোদা,

    তখনও তো বলেছিলাম কেন দিদি বলে লজ্জা দিচ্ছেন?
  • VB | 161.141.84.239 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০১:৪৭564778
  • কেলো, আপনি কি বলতে চাইছেন এই দিদি মানে তো দিদি না, পথে ঘাটে অল্পচেনা মহিলাকে দিদি বা দিদিমণি বলেন বলে যেরকম ভদ্রলোকেরা, সেরকম একটা সম্ভাষণ। তাই তো?
    আমার তাই মনে হচ্ছে, তা হয়ে থাকলে আমারো খুবই ঠিক লাগছে।
  • কেলো | 120.227.243.36 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০২:২০564779
  • এ তো খুব কনফিউশনে ফেলে দিলেন। সেটা ভালো না খারাপ কে জানে।

    আমি কিন্তু খুব ভক্তি ভরেই বলি।
  • কেলো | 120.227.243.36 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০২:৩৩564780
  • কলিদির এই পথ হাঁটার টইটা মোটেও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নোত্তরের টই নয়। এটা আত্মোপলব্ধির টই। আত্মশক্তির স্ফুরনের টই।
    ফোর্জিদি সেটা সঠিক উপলব্ধি করেছেন। উনি কোন লাইনে সুর ধরেছেন দেখেছেন? নাঃ আত্মরক্ষার টই একেবারে গড়াগড়ি যাবে দেখছি। একে একে এককদা প্রভৃতিরাও এখানে এসেই খাপ খুলবেন। আমি এক্কেবারে শিওর।

    ঈশেনদা বরং তাঁর প্রভাব খাটিয়ে ওই আত্মরক্ষার টইয়ের নাম পাল্টে সংস্কৃত নামাকরনের টই করে দিন..
  • kk | 117.3.243.18 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০৩:৩৯564781
  • হু,

    তাড়াতাড়ি হার্টেরেট উঠে গেলে সেই অব্স্থাটাই মেইন্টেন করো। মানে তার থেকে বেশি জোরে কোরোনা। তুমি কি কার্ডিও ইকুইপমেন্টের মনিটর দেখে হার্টরেট ডিটারমাইন করো? ওগুলো কিন্তু খুব রিলায়েবল নয়। সবচেয়ে ভালো হলো একটা আঙুল ডানদিকের ক্যারোটিড আর্টারীতে (গলার কাছে) রেখে পাল্স নেওয়া। দশ সেকেন্ড গুনে তাকে ছয় দিয়ে গুণ করে বিপিএম হিসেব করা।

    তুমি কতদিন হলো কার্ডিও করছো? আমার মনে হয় নিয়মিত করে যাও, হয়তো আরো একটু সময় লাগবে তবে কমে যাবে শেষ অব্দি।
  • 4z | 109.227.143.99 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০৫:১৬564782
  • নাহ কেলোদা ঠিক বলেছে। এই টইটা ঘাঁটা ঠিক হচ্ছে না। আমি ঐ টইতেই লিখি।
  • nina | 78.34.167.250 | ১৩ আগস্ট ২০১২ ০৮:০৭564783
  • ফোর্জি
    সঙ্গে আছি--
  • Ananya | 160.148.218.189 | ১৪ আগস্ট ২০১২ ০০:১৪564784
  • কলিদি আমাকে একটু email করবে please [email protected] কিছু জিনিশ জানার ছিলো।
  • 4z | 109.227.143.99 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১০:৩৮564785
  • কলিদি,

    ঐ টইতে না লিখে তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

    ১। যত বেশিদিন প্রফেশন্যাল ট্রেনারের কাছে শিখতে পারবে ততদিন ভালো। ট্রেনার হয়ত তোমাকে সপ্তাহে এক বা দু'দিন ট্রেইন করবে, বাকি দিনগুলো তোমাকে নিজেকে প্র্যাক্টিস করতে হবে। তুমি যদি মার্শাল আর্ট শুধু শরীরচর্চার জন্য শিখতে চাও বেশি টেকনিকের দিকে না গিয়ে, তাও মিনিমাম এক-দেড় বছর তো শেখা উচিত।

    ২। ক্রাইটেরিয়া বলতে কোনো মেজর চোট থাকলে বা হেল্থ ইস্যু থাকলে যতক্ষণ না ডাক্তার বলছে ততক্ষণ মার্শাল আর্ট থেকে দুরে থাকাই ভালো। বেসিক ফিটনেস প্র্যাকটিস করতে করতে এসে যায়। আলাদা করে কোনো মিনিমাম ফিটনেস ক্রাইটেরিয়া কিছু নেই।

    ৩। অমানুষিক না আনুসাঙ্গিক খাটনি। যদিও কিছু কিছু লোকজনের কাছে সেগুলো অমানুষিক খাটনিই ছিল। :) খাটনি বলতে এই ধরো এক একটা পায়ে কম করেও ১৫০-২০০টা শ্যাডো কিক, পাঞ্চিং ব্যাগে কিক আর পাঞ্চ করে যাওয়া, কিকিং টার্গেটে না থেমে দুপায়ে কিক করে যাওয়া এই আর কি।। যত উপরের লেভেল, খাটনি তত বেশি। মাঝে মাঝে মনে হত হাত পা খুলে আসছে কিন্তু পারফেকশন আনতে গেলে এইটুকু তো করতে হবে। এর সঙ্গে ছিল knuckle dips, পায়ের জোর বাড়ানোর জন্য ওয়েট বেঁধে কিক প্র্যাকটিস, রোড রানিং ইঃ প্রঃ। তবে এগুলো যে সবাইকে করতে হয় তা নয়।

    ৪। এইটা একটু ট্রিকি উত্তর দেওয়া। শুরু হয় হোয়াইট বেল্ট দিয়ে, আল্টিমেট ব্ল্যাক বেল্ট (প্রথম ডান, তারপর হয় সেকেণ্ড ডান, থার্ড ডান ইত্যাদি কিন্তু সবই ব্ল্যাক বেল্ট)। একদম বেসিক টেকনিক দিয়ে শুরু হয়, র‌্যাঙ্ক বাড়ার সাথে সাথে টেকনিকও অ্যাডভান্সড হতে থাকে। এর সঙ্গে থাকে প্যাটার্ন্স - systematic, prearranged sequence of martial techniques. এটা তোমার খুব ভালো কন্ডিশনিং টুল। এটাও তোমার র‌্যাংক বাড়ার সাথে সাথে আরো অ্যাডভান্স হতে থাকে। একটা উদাহরন দি, ধরো শুরুতে তুমি শিখলে প্রপার স্টান্স, ফ্রন্ট কিক, স্টপ কিক এইগুলো সঙ্গে বেসিক প্যাটার্ন্স। এর পরের র‌্যাংকে শিখলে সাইড কিক, রাইন্ড হাউস, সঙ্গে বিভিন্ন ব্লকিং। এছাড়া ধীরে ধীরে শিখবে ক্লোজ রেঞ্জ স্ট্রইকিং যেমন ওয়ান ইঞ্চ পাঞ্চ, জানবে প্রেশার পয়েন্ট - কিভাবে বিপক্ষের প্রেশার পয়েন্টে ঠিক কি রকম আঘাত করলে কতটা ড্যামেজ হতে পারে, তফাত শিখবে স্পোর্টস তায়কোণ্ডো আর মেইন আর্টের মধ্যে। কিছু কিক আছে যেমন হ্যামার কিক। পার্ফেক্টলি এক্সিকিউট করা গেলে প্রচণ্ড ডেডলি। যে কোনো টুর্নামেন্টে এটা ব্যবহার করা স্ট্রিক্টলি বারন। এই শেখাগুলোই বিভিন্ন লেভেলে ছড়িয়ে আছে।

    এগুলো শিখতে শিখতে যত জানা যায়, দেখে বা বলে তত বোঝা যায় না। তবু তোমার প্রশ্নগুলো কর, যতটা সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
  • I | 24.99.48.9 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১২:০৬564786
  • এই ফোর্জিদিদিরে আমার খুব ভালো লেগে গ্যালো। ইয়ে ভেবে দুম করে আবার কিক/পাঞ্চ করে বসবেন না য্যানো !
  • I | 24.99.48.9 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১২:১২564787
  • এই টইটা আগে মিস করে গেছিলাম। খিষ্টো এত জানে কেন? আমি এট্টুও এক্ছার্সাইজ করি না। ভাল্লাগে না। তবে এক্টোমর্ফিক। নেশা-ভাঙ করি নে। ও খিষ্টো, আমার কী হবে?
  • aka | 85.76.118.96 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১২:১৪564789
  • আর আমি নেশা ভাঙও করি, এখ্সারসাইজও করি, মেরা কেয়া হোগা কালিয়া? সান্নাটা?
    বিটিডব্লু, একে হঙ্গল নো মোর।
  • aks | 116.212.21.189 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১৫:২৩564790
  • ফোর্জিদি,
    ওয়ান ইঞ্চ পাঞ্চ তায়কোণ্ডোতেও আছে?
  • 4z | 109.227.143.99 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১৮:১৫564791
  • aks,
    ট্র্যাডিশনালি নেই। এটা কুং ফুর। কিন্তু এফেক্টিভ ক্লোজ রেঞ্জ কমব্যাট টেকনিক হিসেবে আমাদের শেখান হয়েছিল।
  • kk | 117.3.243.18 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ১৯:০২564792
  • ফোর্জি,

    খুব ভালো করে বুঝিয়ে লিখেছো। তোমার লেখা পড়ার পর আমি এক্কেবারে ডিটারমাইন্ড জে মার্শ্যাল আর্টে ভর্তি হবোই হবো। হয়তো এখনই সম্ভব হবেনা। তবে হবোই। এখন এটাই ডিসাইড করতে হবে যে তাইকোয়ান্ডো না কুংফু, না ব্রাজিলিয়ান জিউজিৎসু।

    ইন্দোদা,

    তোমার ওজন কমানোর দরকার নেই সে তো ছবি দেখেই বুঝতে পারি। কিন্তু যেকোনো এক্সারসাইজ যদি করতে পারো দেখবে মনটা খুব খুব ভালো লাগবে। সত্যি বলতে কি এই জিনিষটা মনের মধ্যে একজন বিল্ট-ইন গোলাপীবাবু এনে দেয়। তুমি নিজে ডাক্তার, কাজেই আমার থেকে ভালো জানো যে কোনো ফিজিক্যাল এক্সাসাইজ এন্ডরফিন আর সেরোটনিন সিক্রিশন বাড়ায় যেগুলো ফীল গুড হর্মোন। উল্টোদিকে কর্টিসল সিক্রিশন কমায়। কাজেই ডিপ্রেশন, স্ট্রেস এগুলোও কমে যায়। তোমার লেখা পড়ে আমার মনে হয় একটা মনখারাপ তোমাকে ছেয়ে থাকে সবসময়। সেটা কিন্তু একদম চলে যাবে। "হাম এক্প্সপেরিয়েন্স সে বোলতা হ্যায়" ।

    আকা,

    তোমার কিসের চিন্তা? ঠিক পথেই তো হাঁটছো।
  • 4z | 109.227.143.99 | ২৬ আগস্ট ২০১২ ২৩:২২564793
  • কলিদি,

    জুডো, ক্যারাটে, আইকিডো, হপকাইডো, তাই চি - এই অপশনগুলোকে বাদ দিলে কেন? :)

    বোঝাতে পেরে ভাল লাগছে। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কোরো। বিভিন্ন ক্লাবগুলো ঘুরে দেখ। কোন স্টাইলটা পছন্দ হচ্ছে দেখে তরপর ডিসাইড কর। আর ক্লাবগুলো সম্বন্ধে কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে লিকে দিও, আমি উত্তের দেওয়ার চেষ্টা করব।
  • kk for aka | 117.3.243.18 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৯:৩৮564794
  • গতকাল রাতে যখন দৌড়ের জায়গায় গেলাম তখন দেখি সেখানে গিজগিজ করছে লোক। অনেকটা দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে কলেজ স্ট্রীট বা মহঃ আলি পার্কে যেমন লোক হয় সেইরকম। এত লোক একসাথে আমেরিকায় কোনোদিন দেখি নি। একদিকে জগঝম্প রক অ্যাণ্ড রোল হচ্ছে, কোথাও দক্ষিণী বার-বি-কিউ বিক্রি হচ্ছে, বিরাট স্ক্রীনে সেইসব আবার লাইভ দেখানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ। কাতারে কাতারে ছেলে, বুড়ো, মেয়ে, মা দৌড়নোর জন্য রেডি। ৫ কিমি দৌড়তে হবে বলে সকাল থেকে আমি একটু টেনশনে যাবার পথে দেখি প্রো দৌড়বীরেরা দৌড়নোর জন্য গা ঘামানোর জন্য আর একটু দৌড়ে নিচ্ছে। তাতে টেনশন বেড়ে গেল। যাহোক গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম ভীড়ের মধ্যে। আমাকে চিয়ার করতে রেলিংয়ের ওধারে বউ আর ছেলে। ঠিক বারোটায় কামান গর্জনে দৌড় শুরু হল। তা দৌড়ব কি, এত লোক যে দৌড়নোর জায়গাই পাওয়া যাচ্ছে না। কোনরকমে জগ করতে করতে এগোতে লাগলাম। অল্পবয়সী ছেলে মেয়েরা এরই মধ্যে জোড়ে জোড়ে প্রচন্ড জোরে দৌড়তে শুরু করেছে। মিনিট পাঁচেক পরে এক পাড়ায় ঢুকলাম সেখানে দেখি প্রতি বাড়িতে লনে টেবিল সাজিয়ে, রাস্তার ধারে চেয়ার পেতে লোকে দৌড় দেখার নামে পিকনিক লাগিয়েছে। চোখে পড়ল ভদকার বোতল ইত্যাদি। তারা আবার দৌড়বীরেদের সুবিধার জন্য পাইপে করে জল দিচ্ছিল, যাতে গরম খানিক কমে বা মুখে একটু জল যায়।
  • kk for aka | 117.3.243.18 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৯:৩৯564795
  • এরপর আরও মাইল খানেক দৌড়নোর পরে দেখা গেল ভীড় পাতলা হতে শুরু করেছে। অত্যুৎসাহী অল্পবয়সীদের দল তখন কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে হ্যা হ্যা করে হাঁপাচ্ছে। আমাদের মতন আধবুড়ো, এবং অনেক একেবারে বুড়োরা তখন আস্তে আস্তে এগিয়ে চলেছে। আগের পাড়া ছেড়ে বড় রাস্তা পেরিয়ে ঢুকলাম অন্য পাড়ায়। সব মিলিয়ে মনে হয় ততক্ষণে অর্ধেক রাস্তা হয়েছে। একটু এগোতে শুনতে পেলাম প্রচণ্ড জোরে ব্যাণ্ডপার্টির বাজনা, অনেক লোক, সবাই চিৎকার করছে, দৌড়বীরেদের চিয়ার করার জন্য। প্রথম দিকে জগ করার জন্যই মনে হয়, দিব্যি বেশ ফুরফুরে লাগছে। অতটা দৌড়েও কোন অসুবিধা হচ্ছে না। একটু এগিয়ে দেখলাম রাস্তায় দারুণ লাইট দিয়ে সাজানো। সেই দেখে এক অষ্টাদশী বলে উঠল - 'সো রোমান্টিক, হোয়ার ইজ মাই হাজব্যান্ড'? মনে হল ছেলেবেলায় পুজো প্যাণ্ডেলে শোনা - 'এই আমার বরটা কোথায় রে'? এদেশে এমন কথা তো শুনি নি। এরা তো বিয়ের কথা দুম করে ভাবে না। দক্ষিণ বলেই বোধহয়। তখনও বেশ ফুরফুরে লাগছে, ততক্ষণে মনে হয় সাড়ে তিন কিমি হয়ে গেছে। ভাবছি আজ ৩৫ মিনিটের কমেই দৌড়ে ফেলব। হঠাৎ ক্র্যাম্প। পা ফেললে অসহ্য যন্ত্রনা। বার দুয়েক থামলাম, তারপর দেখি আমাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল অন্তত ৭২ বছরের একজন। হিন্দি সিনেমার হিরোর মতন মরতে মরতেও বেঁচে উঠে দৌড়তে শুরু করলাম। দৌড়চ্ছি, পায়ে ব্যথা হচ্ছে, সামনের বুড়োকে দেখছি আবার দৌড়চ্ছি। আস্তে আস্তে আবার সেই প্রথম পাড়ায় ঢুকে পড়লাম। লোকজন তখনও প্রচণ্ড চিৎকার করে চিয়ার করে চলেছে। তাতে গালিও চলছে। একজান চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলছে, 'মা*ফা"স রান রান'। বলেই চলেছে। দিল্লি না কলম্বাস গুলিয়ে গেল। এবারে দেখা যাচ্ছে শেষ লাইন। ততক্ষণে পায়ের ব্যথা অনেকটাই কম। দৌড় যখন শেষ করলাম তখন দেখি সেই বাহাত্তুরে দাদু আমার আগেই লাইন ছুঁয়েছেন।
  • hu | 22.34.246.72 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৯:৪৪564796
  • বাহ! আকাদার দৌড়ের গল্প খুব ভালো লাগল।
  • kk | 117.3.243.18 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৯:৪৯564797
  • তিলের তেল নিয়ে কে জানতে চাইছিলে? এইখানে লিখি। তিলের তেল বেশ ভালো জিনিষ। এতে প্রচুর ভিটামিন ই আছে। তাছাড়া কিছু রিসার্চে দেখা গেছে যে এটা ব্লাডপ্রেশার কমাতে সাহায্য করে। এক আউন্স তিলের তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট দু গ্রামের কাছাকাছি, সেটা খুব বেশি নয়। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটই বেশি আছে -- এক আউন্সে মনো আনস্যাট ফ্যাট পাঁচ গ্রামের একটু বেশি, পলি আছে ৬ গ্রামের মত। এই আনস্যাট ফ্যাটগুলো ওভার-অল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। মনো আনস্যাট ফ্যাটরা HDL বা ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে এতে মনো আনস্যাট ফ্যাটের পরিমান HDL বাড়াবার পক্ষে একটু কম। কাজেই আপনার কোলেস্টেরল লেভেল বেশি হলে শুধু তিলের তেলের ওপর ডিপেন্ড না করে অন্য ওমেগা থ্রী সোর্সও খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এমনিতে রান্নার জন্য তিলের তেল ব্যবহার করতেই পারেন। তবে সব রান্নাই ওতে না করে ক্যানোলা, অলিভ বা সানফ্লাওয়ার তেলের সাথে মিলিয়ে মিশিয়ে করলে আরো ভালো। তিলের তেলের গন্ধটাও বেশ স্ট্রং হয়, এশিয়ান রান্নায় খুব ভালো যায়। অন্য সব রান্নায় সবসময় ম্যাচ করেনা। তিলের তেল খুব তাড়াতাড়ি র‌্যানসিডও হয়ে যায়। কাজেই একে ফ্রিজে রাখবেন।
  • kk | 117.3.243.18 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ১৯:৫০564798
  • এবার আকাকে,

    শাব্বাস !! জিতে রহো বাচ্চে।
  • aka | 178.26.215.13 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ২০:৪২564800
  • আরে আগে দেখি নি, কেকে এটা এখানে তুলে দিয়েছে। থ্যাংকু সবাইকে মরাল সাপোর্টের জন্য। আসছে বছর হাফ ম্যারাথন। ঃ)
  • 4z | 84.115.197.224 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ২০:৫৬564801
  • আকাদাকে অনেক অনেক কনগ্র্যা আর পরের বছরের জন্য ঢের ঢের শুভেচ্ছা।
  • ranjan roy | 24.97.205.117 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ২১:০৬564802
  • কেয়াবাৎ আকা, কেয়াবাৎ!
  • একক | 24.99.74.34 | ২৭ আগস্ট ২০১২ ২১:৩১564803
  • বাহ্ আকা বাবু কে অভিনন্দন রইলো । দৌড়ঝাঁপ করার লোক আজকাল মেলা ভার ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন