এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমার সেই পথ হাঁটার গপ্পো

    kk
    অন্যান্য | ০৩ আগস্ট ২০১২ | ৯৭৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • খী খান্ড | 24.99.163.66 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৮:১১564916
  • নিংরানো, ঝাঁটাপেটা করা --- রীতিমতো ভায়োলেন্ট একটিভিটি সব । করার দক্কার কী বাপু !
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৮:১৮564917
  • দুত্তোর মাঝপথে পোস্ট হয়ে গেলো !!

    ৩। হ্যাংগিং লেগ রাইজের বদলে যেটা করবে তার নাম আমি দিয়েছি 'হোমমেড হ্যামস্ট্রিং কার্ল'। একটা শক্তপোক্ত ব্যাগে কটা বই ভরে নাও। যত ওজনের ডাম্ববেল নিয়ে লেগরাইজ করো ততটাই যেন এই ব্যাগের ওজন হয়। এবার উপুড় হয়ে শুতে হবে। খাটে বা কোন বেঞ্চ কি মজবুত টেবিলে শুতে পারো। খেয়াল রেখো যেন হাঁটু দুটো বাইরে বেরিয়ে না থাকে। মোটামুটি কাফ মাসলের অর্ধেক থেকে বাকি পা দুটো খাট বা টেবিলের বাইরে মেলে রাখো। এবার কাউকে বলো ব্যাগের হ্যান্ডেলটা তোমার পায়ের কব্জিতে বেঁধে দিতে যাতে ব্যাগটা পা থেকে ঝুলে থাকে। হ্যান্ডেলটা খুব লম্বা হলে একটু গুটিয়ে নিও যাতে ব্যাগটা মাটিতে ঠেকে না যায়। এবারে পা ভাঁজ করে তোলো ও নামাও ঠিক যেভাবে তুমি হ্যাংগিং লেগরাইজ করো।

    ৪। লেগপ্রেসের বদলে এই ব্যাগ দিয়েই একটা কোয়াড্রিসেপের এক্সারসাইজ করবে। তারও নাম আমি দিয়েছি 'হোম মেড টু লেগ কার্ল'। একটা চেয়ারে পা ঝুলিয়ে বসো। চেয়ারে কটা বই বা কুশন দিয়ে এতটা উঁচু করে নিও যাতে পা মাটি থেকে বেশ কিছুটা ওপরে ঝুলে থাকে। পা দুটো মাটি থেকে মোটামুটি দশ- বারো ডিগ্রী ওপরে তুলে রাখো। তেবার ঐ ব্যাগটাই আবার পায়ের কব্জিতে বেঁধে ঝুলিয়ে দাও। এবার হাত দিয়ে চেয়ারের হাতল বা পিঠটা শক্ত করে ধরে পা গুলো ধীরে ধীরে তোলো যাতে মাটির সাথে সমান্তরাল হয়। এই সময়ে থাই এর সামনের দিকে কিছুটা প্রেশার অনুভব করবে। এবার আস্তে আস্তে নামাও, ঐ যে দশ-বারো ডিগ্রী থেকে শুরু করেছিলে সেই অব্দি। মনে রেখো, কক্ষণো একেবারে মাটির সাথে পার্পেন্ডিকুলার অবস্থা থেকে ব্যগ সমেত পা তুলবেনা। তাহলে কিন্তু হাঁটুতে খুব চাপ পড়বে।

    এই মুভদুটোর লিংক নেই। আমি কি ঠিক মতো বোঝাতে পারলাম?

    ৫। বোস্যু স্কোয়াট বাড়িতে করা একটু মুশকিল। অনেকে একটা বড় তোয়ালে রোল করে নিয়ে সেটাকে বোস্যু বলের মত ইউজ করেন। মানে ঐ তোয়ালের রোলের ওপরে দাঁড়িয়ে স্কোয়াট আর কি। একবার করে দেখতে পারো।

    তোমার ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট কোনো কোর স্ট্রেংদেনিং এর এক্সারসাইজ দেননি? স্লিপ ডিস্কের জন্য সাধারণত কোর শক্ত করা জরুরী হয়। ওঁকে একবার জিগ্যেস করতে পারো কোনো কোর এক্সারসাইজ করবে কিনা।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৮:৩৫564918
  • দমুদি,

    এই টেনিস এলবো জিনিষটা ভয়ানক হতচ্ছাড়া। তোমার ডাক্তারের দুটো কথাই আমার ঠিক মনোমত হলোনা। স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিলে কিছুদিনের জন্যই কমে, পুরো সারেনা। আবার সারা জীবন রেস্টেও রাখা তো কারু পক্ষেই সম্ভব হয়না। কয়েকটা উপায় বলছি, দেখো করে কিছু লাভ হয় কিনা।

    ১। প্রথম হলো RICE, অর্থাৎ, রেস্ট, আইস, কম্প্রেশন, এলিভেশন। যখনই ব্যথা হবে আইস প্যাক দাও, নিয়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বা এলবো ব্রেস দিয়ে বেশ কম্প্রেস করে রাখো। উঁচু বালিশ বা কিছুতে কনুই তুলে রাখো, এবং রেস্ট, রেস্ট, রেস্ট, অন্তত ব্যথা কমা অব্দি। কাপড় নিংড়ানো, ঝাঁটাপেটা একদম নয় তখন। কিছু কাজ করতে হলে অন্য হাতে করো।

    ২। দুটো স্ট্রেচিং বলছি, এগুলো প্রতি দিন অন্তত দু'বার করে করো। যে হাতে ব্যথা সেটা সোজা করে সামনে মেলে দাও। হাতের পাতাটা সোজা রাখো, মানে হাতের রেখার দিকটা তোমার সামনের দেওয়ালের দিকে ফেস করে থাকবে।এবার অন্য হাত দিয়ে ব্যথা হাতের আঙুলগুলো ধরে আঙুলগুলো পেছনের দিকে বাঁকিয়ে দাও, যতদূর পারো। এইভাবে ধরে রেখে কুড়ি গোনো। হাত ছেড়ে দিয়ে দশ সেকেন্ড রেস্ট দিয়ে আরেকবার করো।

    দু নম্বর স্ট্রেচিংটাও এইভাবেই, খালি এবার হাতের পাতাটা নীচের দিকে করে রাখো, মানে আঙুলগুলো মাটির দিকে থাকবে। এবার অন্য হাত দিয়ে ধরে আঙুলগুলোকে তোমার কব্জির দিকে টেনে ধরতে হবে। বোঝাতে পারলাম কি?

    তবে দুঃখের কথা হলো এইসব করে সাময়িক আরাম হয়, ক'দিন পরে যে কে সেই। চেষ্টা কোরো ব্যথা হাতে বেশি কাজ না করতে।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৮:৩৬564919
  • এই যে এই লিংকে দেখো
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৯:১৮564920
  • কেকেদি,

    থ্যানকু থ্যানকু। হ্যাঁ, কোর স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজের কথা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন প্ল্যান্ক এক্সারসাইজ করি। তাছাড়া পুশ আপস, ব্যাক ব্রিজ, অবলিক টুইস্ট, ব্যালেন্স বল আর wobble বল - এগুলো আছে। এগুলো করে অবস্থা আগের থেকে অনেক বেটার।
  • san | 24.96.234.205 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ১৩:২৬564921
  • কেকেদি, আমারো একটু জিজ্ঞাস্য আছে। আমি আগে নিয়মিত দৌড়তাম। স্ট্রেচিং এর পরে স্কোয়াট, হ্যাংগিং লেগ রাইজ , পুল-আপ, লেগপ্রেস, লেগকার্ল, বেঞ্চপ্রেস, পুলডাউন, শোলডার প্রেস, শোল্ডার ফ্লাই, ক্রাঞ্চ, লেগরেইজ এইসব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করতাম। কলকাতায় আসার পরে এসব কিছুদিন বন্ধ ছিল। তারপরে আবার শুরু করবার আগেই হল কোমরে স্লিপড ডিস্ক আর তার চাপে কোমর থেকে পায়ে নেমে আসা নার্ভে ব্যথা। বিভিন্ন ডাক্তারের বিভিন্ন মতের ঠেলায় অনেকদিন প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল , অর্থোপেডিকদের উপরেই প্রায় ভরসা উঠে যাবার হাল ঃ-) তার উপরে ডাক্তার, ফিজিও, জিম সবার পরষ্পরবিরোধী দাবিদাওয়া।সে যাক। এখনও সব ওয়ার্ক আউট বন্ধ। ভরসা করে শুরুও করতে পারিনা। তোমার গল্পটা শোনার খুব দরকার ছিল । এরপরে আমাকে বলো আমি কি আবার শুরু করতে পারব বা করা সম্ভব হলে কী কী দিয়ে শুরু করব?
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ১৩:৩৬564922
  • আমারও ঐ স্লিপ ডিস্ক নাকি ডিস্ক বালজিং হয়েছিল। পাঁচদিন শুয়ে ছিলাম। প্রায় অজ্ঞান মত হয়ে গেছিলাম। এখনও ভারি কিছু তুললে বা ছানাকে কোলে নিয়ে থাকলে বেশিক্ষন অল্প ব্যাথা শুরু হয়।
  • i dir kabitaa | 24.96.234.205 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ১৭:৩১564923
  • মেলান-কলি আমি তারেই বলি
    বিষাদবিলাস বলে অন্য লোক
    কষ্টকলি ফুটতে দেখ তুমি
    মন খারাপের নতুন জামা হোক।

    ইতি কবি আই।

    ********************
    এর সঙ্গে ফিটনেসের কোন সম্পক্ক না থাকলেও হারিয়ে গেলে ভারী দুঃখ পাব, তাই এখানে তুলে রাখলাম ।

    ******************
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ১৯:২৩564924
  • স্যান,

    অবশ্যই তুমি ওয়ার্ক-আউট শুরু করতে পারো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সাঁতার কাটতে পারো। না'হলে জলের মধ্যে গলা অব্দি ডুবিয়ে জগিং করলেও অনেক কাজ হবে। এগুলো খুব লো ইম্প্যাক্ট, কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি পোড়ায়, আর ভালো স্ট্রেচিং ও হয়। পুলের অ্যাকসেস না থাকলে হাঁটো। আর নয়তো জিমে যেতে পারলে রেকামবেন্ট বাইকে সাইক্লিং করতে পারো। রেকামবেন্ট বাইকে একটা ব্যাকরেস্ট থাকে, কাজেই পিঠে-কোমরে সাপোর্ট থাকে। তুমি ইলিপ্টিক্যাল বা ট্রেডমিলেও হাঁটতে পারো। তবে দৌড়িওনা এখনই। পাওয়ার ওয়াক দিয়ে শুরু করা ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং করতে পারো। মানে এক মিনিট জোরে হাঁটলে, তারপরেই এক মিনিট খুব স্লো হাঁটলে। এই ভাবে ১০-১২ বার করলে অনেক কাজ হবে। তবে যাই করো তার আগে পাঁচ মিনিট ওয়ার্ম-আপ করে নিতে ভুলোনা।

    ওয়েট ট্রেনিং এখুনি করতে বলছিনা। আগে একমাস এই যেকোনো একটা কার্ডিও করে যাও। তারপর ধীরে ধীরে ওয়েটের গুলো করবে। তখন বলে দেবো কোনগুলো করতে পারো, কোনগুলো নয়।

    ফোর্জি যেমন বলেছেন, কোর শক্ত করার ব্যয়াম গুলো কিন্তু খুব জরুরী। কোরের জন্য সবচেয়ে ভালো হলো প্ল্যাংক। তবে আমার মনে হয় তুমি একবারটি দাক্তারকে আগে জিজ্ঞেস করে নাও যে তোমার ডিস্কের এখন যা অবস্থা তাতে কোর স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজ করা চলবে কিনা। করলে কি কি বাদ দিতে হবে। ডাক্তারের মতামত শোনার পরে আমি তোমাকে কতগুলো কোর এক্সারসাইজ বলে দেবো। সেগুলো করলে উপকার পাবে।

    সিঁফো,

    কষ্ট হলো তোমার অবস্থা শুনে। এখন কি কোনরকম চিকিৎসা করাচ্ছো? শোনো, ভারী জিনিষ তুলোনা রে বাছা। আমার দিদিরও তোমার দশাই আছে, তার ওপরে ছানা কোলে করে করে খুবই বাজে জায়গায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে।
  • aka | 178.26.215.13 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ১৯:৩৯564645
  • ব্যালান্সড ডায়েট চাই উইথ মাসে একবার পাঁঠা, উইকেন্ডে মদ্য, মাসে একবার নুচি ইত্যাদি এবং ভুঁড়ি কমবে, গায়ে গত্যি লাগবে।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ১৯:৪৩564646
  • আকা,

    আজ দুপুরের দিকে লিখবো।
  • san | 24.96.234.205 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২০:১৩564647
  • কেকেদি অনেক থ্যাংকু। সাঁতার বা গলা ডুবিয়ে জগিং করা যাবেনা,সল্লেক সুইমিং পুলের জল বেশ নোংরা । যা হোক, ট্রেডমিল তো আছেই বাড়িতে। যদিও সেটার দিকে তাকালে মন খারাপ হয়ে যায় দৌড়োতে পারছিনা ভেবে । জোরে-আস্তে কম্বিনেশন টা জানতামনা। করে দেখবো।

    আর ডাক্তার প্রসঙ্গে, কারোর দাবি ব্যথা সহই নর্মাল লাইফ লিড করো, কারো দাবি রেস্টে থাকো শুয়েবসে, কারো দাবি অপারেশন করো। আমি তিতিবিরক্ত হয়ে আর কাউকেই দেখাতে যাইনা। একটাই কমন আছে সামনে পিছনে ঝোঁকা চলবেনা, এটা সকলে বলেছিলেন। কাজেই এই টুকু বাদ দিয়ে যা কোর এক্সারসাইজ তুমি ভালো বোঝো, বলে দিও।
  • | 69.161.140.185 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২০:২৫564648
  • অনেক ধন্যবাদ কলি। আমি চেষ্টা করে দেখলাম ব্যায়ামদুটো। এইদুটো পারছি।

    পরে অন্য প্রশ্ন আছে। সেগুলো করব ধীরেসুস্থে।
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২১:০১564649
  • স্যান,

    আমি একটু নাক গলাই। আমি যে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম সে একটাই কথা বলেছিল যে এ জিনিষ সারার নয় তবে কন্টোল করা যায়। কিভাবে করব সেটা নিজের ওপর। আর বলেছিল কোনো ভারী কিছু না তুলতে, রেগুলার ব্যায়াম করতে আর টানা বসে বা দাঁড়িয়ে কোনো কিছু না করে রেস্ট নিয়ে নিয়ে করতে যাতে লোয়ার ব্যাকে চাপ না পড়ে। এগুলো ফলো করে মোটামুটি ঠিক আছি। ভারী জিনিষ না তোলার কথাটা সব সময় মেনে ওঠা হয় না কারন ছানারা। তবে চেষ্টা করি মাটিতে নি বেন্ড করে বসে ওদের কোলে নিতে।
  • san | 24.96.234.205 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২১:৪৪564650
  • জিজি , নাক গলানো বলবেন না ঃ-)

    আপনার কাছেও প্রশ্ন করি। কেকেদিকেও। একজন ডাক্তার আমায় বেডরেস্ট বলেছিলেন আরেকজন তখন কিছু যোগাসন দিয়েছিলেন। যোগাসন করতে গিয়ে আরো ব্যথা হওয়ায় আমি বেডরেস্টে শিফট করে যাই ঃ-) প্রশ্ন হল, স্লিপ ডিস্ক সহ ব্যায়াম করার প্রথম দিকটায় কি খুব বেশি ব্যথা হওয়ারই কথা? সুস্থ অবস্থাতেও ওয়ার্ক আউট শুরু করলে প্রথম প্রথম হালকা হালকা ব্যথা হয়ই, সেটার কথা বলছিনা কিন্তু। বেশ বেশি ব্যথা, মানে শুয়ে পড়তে হবে এমন। এটা কি তাহলে সহ্য করে চালিয়ে গেলে আস্তে আস্তে কমত? আমরা ভাবলাম আরো বেশি কিছু সমস্যা হয়ে যেতে পারে কিনা তাই থামিয়ে দিলাম। প্লাস কোন ডাক্তারের কথা শুনবো বুঝতে পারছিলাম না এটাও একটা কারণ।

    কেকেদির লেখা পড়ে আমার এটা স্ট্রাইক করল। লিখেছে না, প্রথমদিকে রোজ বরফ দিতে হত ইত্যাদি। সেইজন্য জিজ্ঞেস করছি। এভাবে বারবার একই কথা নিয়ে পড়ে থাকতে অবশ্য একটু খারাপ লাগছে। তাও।
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২২:৪৩564651
  • স্যান,

    কি কি আসন ডাক্তার তোমায় দিয়েছিলেন জানিনা, কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি শুরুতে কিন্তু ফিজিওথেরাপি অনেক বেশি নাম দেয়। কোনো ভালো প্রফেশনাল থেরাপিস্টের কাছে কয়েকটা সেশন কোরে তারপর নিজে ব্যায়াম করা ভালো। আর প্রথমে একদম হাল্কা কিছু কোরে
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২৩:০৫564652
  • ধ্যাৎ আগেই পোস্ত হয়ে গেল।

    যেটা বলছিলাম, প্রথমে কিছু হাল্কা কোর এক্সারসাইজ দিয়ে শুরু করাই ভাল। একটু স্ট্রেচ ফিল করা ছাড়া খুব বেশি ব্যাথা কোনোভাবে লাগেনি। আর হ্যাঁ প্রথমদিকে আমাকে ট্র্যাকশানও ব্যবহার করতে হয়েছে কিন্তু সেটা অপশনাল। আমার ফেরার তাড়া ছিল বলে ওটা দিয়েছিল যাতে তাড়াতাড়ি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি।

    আমি এটাই বলব, হাল্কা কিছু কোর এক্সারসাইজ দিয়ে শুরু কর। প্রথমেই নিজেকে বেশি পুশ কোরো না। আস্তে আস্তে স্ট্রেংথ বাড়াও। নইলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।

    কিছু ভুল লিখলে কলিদি ঠিক করে দিও।
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২৩:১৪564653
  • ও হ্যাঁ, আমিও বরফ দিয়েছি প্রথম প্রথম। এখন আর লাগে না। হাল্কা ব্যাথা হবে কিন্তু শুয়ে পড়ার মত কিছু নয়।

    আর তুমি চাইলে অমি কলকাতায় যে ডাক্তার আর ফিজিওথেরপিস্ট দেখিয়েছি তাদের ডিটেল্স দিতে পারি।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২৩:২৪564654
  • স্যান,

    শোনো, খারাপ লাগার কিচ্ছু নেই। এই টই খোলার একটা উদ্দেশ্যই ছিলো যাতে সবাই নিজেদের প্রশ্ন আর কনফিউশন নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

    আমি ফোর্জির সাথে একমত। ফিজিও থেরাপীতে খুব কাজ হয়। আমি হাঁটুর জন্য করাতাম তো। প্রথম তিন সপ্তাহ রিহ্যাব সেন্টারে গিয়ে করিয়ে আসতাম, তারপের ওঁরা শিখিয়ে দিলেন বাড়িতে কিভাবে ঐ ব্যয়াম গুলো করবো। খুবই উপকার পেয়েছি। তুমি একজন প্রোফেশন্যাল থেরাপিস্টের কাছে যাও, দেখবে অনেক লাভ হবে।

    এবারে কয়েকটা কথা বলব। ব্যথা নিয়ে জোর করে কোনো ব্যয়ামই করা উচিৎ নয়। মানে তুমি যে ধরণের ব্যথার কথা বলেছো। ওতে ভালোর থেকে খারাপ বেশি হয়। আমি বরফ দেবার কথা যেটা লিখেছি, সেটা ছিলো ইনফ্ল্যামেশন জনিত ব্যথা। কিন্তু তোমার ব্যপারটা তার থেকে একেবারেই আলাদা। স্পাইনাল কলামের কোনো অসুবিধাকে লাইটলি নেওয়া একদমই ঠিক নয়। এর থেকে পার্মানেন্ট ড্যামেজ হয়ে যাবার চান্স খুব বেশি। আমার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধা ছিলো(এখনও আছে) তার জন্য আমি অর্থোপেডিক ও স্পোর্ট্স মেডিসিনের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছিলাম, কি কি করা চলবে, কি চলবেনা সেই জেনে তবেই করেছিলাম, ও করি। আমি বুঝতে পারছি যে দুজন ডাক্তার দু'রকম বলেছেন বলে তুমি কনফিউজড হয়ে যাচ্ছো। আমি নিজের ক্ষেত্রে, আর আরো কয়েকজনের ক্ষেত্রে দেখে যা বুঝেছি এইসব সমস্যা পুরোপুরি কখনো সারেনা। ঐ, কিছু কিছু প্রিভেন্টিভ মেজার্স আছে যা করে কন্ট্রোলে রাখা যায়। ফোরজি যেমন বলেছেন। ব্যথা নিয়েই একেবারে নর্ম্যাল লাইফ লীড করা যেটা তোমায় একজন ডাক্তার বলেছেন সেটা সম্ভব হয়না। তবে বিশেষ কিছু ব্যয়াম করলে ব্যথাটা কমবে। আবার খুব বেশি ব্যথার সময়ে হয়তো বেডরেস্টই দরকার।

    আমি তোমায় কোর এক্সারসাইজ গুলো বলে দিতে পারি। কিন্তু এথিক্যালী সেটা ঠিক কাজ নয়। কারণ আমি শুধু শুনে তো বুঝতে পারবোনা তুমি ঠিক কি অবস্থায় আছো? শোনো, আমি তোমায় কয়েকটা ব্যায়ামের নাম বলে দিই। তুমি একজন ফিজিও থেরাপিস্টকে দেখাও, এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করো যে ঐ ব্যায়ামগুলো তোমার করা চলবে কিনা। উনি যদি করতে বলেন তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই। প্লাস, থেরাপিস্ট নিজেও তোমায় প্রয়োজন বুঝে কিছু ব্যায়াম বলে দেবেন।

    আমি কোর এক্সারসাইজ যেগুলো বলছিলাম তার নাম হলো - প্ল্যাংক, সাইড প্ল্যাংক, ব্রীজ, সুপারম্যান, ডেডবাগ।

    এই পোস্টে যা বললাম সেগুলো সব ব্যথা সংক্রান্ত। আগে যে কার্ডিওর কথা বলেছি তার সাথে কিন্তু এর সম্পর্ক নেই। কার্ডিও তুমি এমনিই করতে পারো। তবে করতে গিয়ে যদি কোমরে বা পিঠে ব্যথা হয় তাহলে কিন্তু কখনোই ব্যথার মধ্যে দিয়ে পুশ থ্রু করবেনা। কেমন?
  • san | 24.96.234.205 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ২৩:৪৪564656
  • কেকেদি আর জিজি, অনেক অনেক ধন্যবাদ। জিজি ফিজিওথেরাপিস্টের নাম সাজেস্ট করলে আমার খুব উপকার হয়। আমার মেইল আইডি হল sanjuktasg.2509 , জিমেলে।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০০:২৪564657
  • খাওয়াদাওয়া নিয়ে লিখবো বলেই যাচ্ছি সেদিন থেকে। এবার না লিখলে আকা আমায় ঝপাংটা দিয়ে ভতাং করে দেবে।

    মনে রাখবেন, 'ডায়েটিং' বলে কিন্তু আসলেই কিছু হয়না। যা হয় তা হলো ব্যালান্সড খাওয়াদাওয়া। 'ডায়েটিং' এর কনসেপ্ট আগে ছিলো, মানে যতদিন না ওজন কমে ততদিন স্ট্রিক্টভাবে কিছু জিনিষ খাওয়া, কিছু জিনিষ একেবারেই বাদ দেওয়া, পরিমাণে কম খাওয়া, এইসব। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এই কনসেপ্টটি অতি ভুলভাল। এইসব করে ওজন তো কমবে, কিন্তু চর্বির থেকে এতে মাস্‌ল লস হবে অনেক বেশি।

    প্লাস,এইরকম এক্সট্রীম 'ডায়েট' সারাজীবন ধরে চালানো কারুর পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই 'টার্গেট ওয়েটে পৌঁছে গেছি, কাজেই এখন আর ডায়েটিং এর দরকার নেই' এই ভেবে যেইনা আপনি নরমাল খাবারে ফিরবেন অমনি আপনার হারানো ওজন সব ফিরে আসবে। এইবেলা কিন্তু মাস্‌ল আর ফিরবেনা, যা এসে জমা হবে সবই পিওর চর্বি। কাজেই কোনো রকম এক্সট্রীম 'ডায়েটিং' এর চক্করে না পড়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তার বদলে এমন খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন যা আপনি সারাজীবন ধরে চালিয়ে যেতে পারবেন।

    কাজটা খুব কঠিন নয়। খাওয়া নিয়ে কয়েকটা নিয়ম একটু বুঝে নিতে পারলেই পুরো ব্যপারটা খুব সহজ হয়ে যাবে। নিয়মগুলো কি কি তা লিখি –

    ১। প্রথমেই মনে রাখুন যে কম খেলেই ওজন কমবে এটা খুব ভুল ধারণা। যখন আপনি দরকারের থেকে কম খাচ্ছেন তখনই আপনার শরীর ভেবে নিচ্ছে যে আপনি কোনো অ্যাডভার্স সিচুয়েশনে আছেন। শরীর তখন সারভাইভাল মোডে চলে জাবে। ও ভাববে যে খাবারের জখন এত অভাব তখন যেকরেই হোক সঞ্চিত চর্বি-ভাঁড়ারকে রক্ষা করতে হবে। অতএব আপনি রোগা তো হবেনই না, যেটুকু চর্বি আছে তাও কোনমতেই কমবেনা। এখন নতুন মন্ত্র হচ্ছে 'ওজন কমাতে বেশি খাও -- ঈট মোর টু লুজ মোর'। কাজেই কোনো মীল স্কিপ করবেননা, পেট খালি রেখে খাবেননা।

    ২। দিনের সবচাইতে জরুরী খাবার হলো ব্রেকফাস্ট। আমাদের মধ্যে অনেকেই সকালে তাড়াহুড়োর কারণে ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে দেন। নয়তো যাহোক তাহোক চাট্টি মুখে ফেলে দেন। এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। আগের রাত্রে ডিনারের পর থেকে পরদিন সকাল অব্দি প্রায় ৭-৮ ঘন্টা পেট খালি থাকে। এরপর যদি দিনের শুরুতেই আপনি ঠিকমতো না খান তাহলে আপনার মেটাবলিজম চলবে কি করে? বিনা তেলে গাড়ি চালানোর চেষ্টার মতই একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে সেটা। আপনার ব্লাড শ্যুগার লেভেল ড্রপ করবে, ঝিমুনি কাটতে চাইবেনা, মেজাজ বিগড়োতে থাকবে, মাথায় ব্যথা হবে এবং সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগবে। তার ওপরে মেটাবলিক রেট খুব কমে যাওয়ায় শরীর চর্বি বার্ন করার মত কঠিন কাজে মোটেও কোনো এনার্জী খরচ করবেনা। উল্টো দিক থেকে, যদি একটা সলিড ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিন শুরু করেন, আপনার মেটাবলিজম সারাদিন দৌড়োবে, চর্বি বার্ন করতেও অনেক সুবিধা হবে।

    ৩। সাধারণ ভাবে গড় বাঙালীর অভ্যেস হলো দিনে তিনটে বড় মীল খাওয়া। সে অভ্যেসটা বদলে দিনে পাঁচ থেকে ছ'টা ছোট ছোট মীল খাবার অভ্যেস করুন। প্রতি তিন থেকে চার ঘন্টা অন্তর কিছু খেতে হবে, এইটা মনে রাখুন।শুনতে একটু গড়বড় লাগছে, কিন্তু কাজটা খুব কঠিন নয়। ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চের মাঝে একটা ছোট স্ন্যাক খান, লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝে আরো একটা। তাহলেই তো পাঁচটা মীল হয়ে গেলো। আরো ভালো হয় যদি রাত্রে খাবার একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে পারেন। রাত্রে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া বাজে অভ্যেস। ওতে আরো বেশি চর্বি জমে। বরং একটু আগে আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন, শোবার আগে ছোট্ট একটা স্ন্যাক খেয়ে শোবেন, যদি ইচ্ছে করে। স্ন্যাক হিসেবে কি খাবেন তা একটু পরেই বলছি।

    ৪। এইবার একটা খুব জরুরী জিনিষ বুঝে নিন। প্রত্যেকটা মীলেই একটা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, একটা লীন প্রোটীন ও কিছু হেলথি ফ্যাট থাকা খুব দরকার। তবেই সেটা হবে ব্যলান্সড মীল। কমপ্লেক্স কার্ব কোনগুলো? ব্রাউন ব্রেড, ওট, আটা, ব্রাউন রাইস, যেকোনো সব্জি, ডাল এইসব। লীন প্রোটীনের মধ্যে আসবে চিকেন, মাছ, ডিমের সাদা ইত্যাদি। আর হেলথি ফ্যাট হলো বাদাম, সূর্য্যমুখী ফুলের বীজ, কুমড়োর বীজ, অলিভ তেল, ক্যানোলা তেল এইসব।

    এই নিয়ম মেনে ধরুন প্রাতরাশে আপনি খেলেন ব্রাউন ব্রেড টোস্ট করে, সঙ্গে ডিমের সাদার অমলেট বা স্ক্র্যাম্বল, অথবা আটার রুটি-ডিমের কিম্বা ছানার ভুর্জি, বা দুধ দিয়ে ওটমীল বাদামের কুচি ছড়িয়ে। সঙ্গে কোনো একটা ফল খেতে পারলে আরো ভালো। এবার মিড মর্নিং স্ন্যাকে খেলেন একটা আপেল আর এক টেবলস্পুন পীনাট বাটার, অথবা যেকোনো ফল আর দই। দুপুরে ভাত বা রুটির সাথে ডাল-সব্জি-মাছ। বা চিকেন সেদ্ধ কি টার্কি (যাঁদের কাছে অ্যাভেলেব্‌ল )দিয়ে স্যান্ডুইচ আর সব্জি রোস্ট বা বেক, বা স্যালাড। সব্জি যেন কিছু একটা খাওয়া হয়ই, সেটা মাস্ট।

    বিকেলের স্ন্যাকে ছোলাভিজে বা মুগভিজে খান, কিম্বা ফলের টুকরো দিয়ে ছানা মেখে খান (চিনি দিয়ে নয় কিন্তু), বাদাম-শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা- কিসমিস মিশিয়ে খান একমুঠো, দুধের মধ্যে প্রোটীন পাউডার গুলে খান ...যেটা সুবিধে হয়। যাঁরা অ্যামেরিকায় থাকেন তাঁদের বলি কাশী গো লীন বার একটা খুব ভালো স্ন্যাক অপশন।

    রাত্রে আটার রুটি, সব্জি, ডাল বা চিকেন। কোনদিন রাজমা বা কাবলী চানা বা নিউট্রিলার তরকারী খান। বা পনীরের তরকারি। খেয়াল করে দেখুন এইসব মীলেই কিন্তু ঠিক ঐ কম্বিনেশন থাকছে -কমপ্লেক্স কার্ব-লীন প্রোটীন- হেলথি ফ্যাট।

    এইখানে একটা কথা বলে রাখি, বাদাম খুব ভালো ফ্যাট। হার্ট হেলথি, কাজেই মোটা হবার ভয়ে বাদাম বাদ দেবার কোনো দরকার নেই। কিন্তু দিনে ১০-১২ টার বেশি না খাওয়াই ভালো।

    (ক্রমশঃ)
  • nina | 22.149.39.84 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০০:২৬564658
  • সুপার কলি---চলুক চলুক---রোগা না হতে পারি কিন্তু আর মোটাও হচ্ছিন --ঃ-)
  • kk | 117.3.243.18 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০০:৫৭564659
  • দোকানের কেনা স্যালাড ড্রেসিং ভুলেই খাবেননা। এতে চিনি আর ফ্যাট দুইই প্রচুর। স্যালাড খেতে চাইলে লেবুর রস, ফেটানো দই এইসব দিয়ে খান।

    ৬। এবার বলি তেলের কথা। আমি শুরুতেই বলেছি আমাদের কাবার কোনো এক্সট্রীম নিয়ম মেনে চলবেনা। কাজেই সব খাবার সেদ্ধ খেতে হবে, তেল একেবারে বন্ধ এমন কোনো ব্যাপার কিন্তু নেই। বরং আপনাকে জানতে হবে যে সব ফ্যাটই আপনার শত্রু নয়। আগেই তো হেলথি ফ্যাটের কথা একবার বললাম। তা তেল কি ইউজ করবেন, কতটা করবেন? দেখুন অলিভ অয়েল তো খুব ভালো বতেই, তবে দাম ও অ্যাভেইলেব্‌লিটি নিয়ে সমস্যা হয়। পারলে অলিভ অয়েল খান, না পারলেও চিন্তার কিছু নেই। ক্যানোলা অয়েল বা রাইসব্র্যান অয়েলও ভালো। নিশ্চিন্তে ইউজ করুন। তবে হ্যাঁ, কোনো তেলেরই পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। সব থেকে ভালো হয় অয়েল স্প্রে ইউজ করলে। ভারতে অনেক জায়গায় এই স্প্রে পাওয়া যায়না। কিন্তু স্প্রে বট্‌ল তো সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। সেরকম একটা বোতল কিনে তাতেই রাখুন তেল। দেখবেন রান্নার সময় স্প্রে করে তেল দিলে অনেক কমেই আপনার কাজ হয়ে যাবে। স্প্রে দিয়ে বেক বা গ্রীল করলেও খুব কম তেলে অত্যন্ত সুস্বাদু রান্না হয়, পারলে করে দেখুন।

    সর্ষের তেল নিয়ে অনেক ডিসপিউট আছে। আমি নিজে সর্ষের তেল খাইনা। এই নিয়ে সম্ভবত কুমুদি ভালো বলতে পারবেন।

    যেসব ফ্যাট আপনার শত্রু তারা হলো স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট। ঘি, মাখন,শর্টনিং, ডালডা, রেডমীটের চর্বি এইসব। এগুলো সর্বতো ভাবে এড়িয়ে চলুন। অনেক মার্জারিনে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। লেবেল পড়ে দেখুন,পার্শিয়ালি হাইড্রোজিনেটেড বা মডিফায়েড অয়েল এই কথাগুলো থাকলে সেই মার্জারিন থেকে দূরে থাকুন।

    ফ্যাট নিয়ে ডিটেলে আমি একবার অন্য জায়গায় লিখেছিলাম। পরে এখানে তুলে দেবো। আপাতত এই কটা নিয়মই মনে রাখুন।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০০:৫৮564660
  • আরে দুত্তোর একটা পোস্ট বাদ গেলো। ঐ ছয় নম্বরের আগে আসবে এইটা --

    ৫। এবারে কি কি খাওয়া এড়িয়ে চলবেন তাই একটু বলি। আপনার শরীরের সব থেকে বড় শত্রু হলো রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট। তারা কারা? চিনি, সাদা ভাত, সাদা পাঁউরুটি, চিঁড়ে, আলু, সাদা ময়দা আর ময়দার তৈরী পাস্তা বা নুডলস এইসব। চিনি একদম বন্ধ করে দিন, চা কফিতেও না। নিতান্তই কোন কিছু মিষ্টি করতে হলে আধ চামচ মধু দিন। আর্টিফিশিয়াল শুগার সাব্স্টিট্যুটও কিন্তু আখেরে খুব ক্ষতিকর। কাজেই সেটাও ব্যবহার না করলেই ভালো। মিষ্টি, জ্যাম-জেলী, কেক-পেস্ট্রী, চাটনী এইসব কিন্তু বন্ধ করতেই হবে। ময়দার বিস্কুট, ক্রীম দেওয়া বিস্কুট এসব বাদ দিয়ে দিন।

    ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খেতে পারলে খুব ভালো। ভারতে এটা করা সবসময় সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণ কম করে দিয়ে দাল সব্জি মাছ দিয়ে পেট ভরান। ভাতটা খান নামমাত্র। যদি ভাতের বদলে আটার রুটি বা দালিয়া খেতে পারেন তো আরো ভালো। বিদেশে কিন্‌ওয়া বলে একটা গ্রেণ পাওয়া যায়, সেটা ভীষণ উপকারী। কেউ পেলে অনায়াসে ভাতের বদলে খান।
    পাঁউরুটি খেলে ব্রাউন ব্রেড খান। এটা ভারতেও সব জায়গায় পাওয়া যায়, কাজেই সমস্যা নেই। সুজিও একটা ভালো অপশন, প্রাতরাশ বা দুপুরের খাবারে সব সব্জি দিয়ে সুজির উপমা খুব ভালো।

    রুটি অবশ্যই আটার খান। পাস্তা খেলে হোলহুইটের পাস্তা খান, নুডল্‌সও তাই।

    আলু বেশি না খেলেই ভালো। আসলে আলু একতা সম্পূর্ণ কার্ব। যদি আপনি আলু খান তাহলে সেই মীলে আর অন্য কোনো কার্ব রাখবেননা।

    অতিরিক্ত ফ্যাট এড়িয়ে চলুন। ডীপ ফ্রায়েড কোনো খাবার সে ফ্রায়েড চিকেনই হোক বা চপ শিঙাড়া কচুরী,রোল -- বাদ দিন।

    অরীকটা জিনিষের আমি খুবই বিরোধী, তা হলো প্রসেসড ফুড। ইন্স্ট্যান্ট স্যুপ, ম্যাগী, ফ্রোজেন খাবার, বিদেশের টিভি ডিনার, জারের পাস্তা স্যস বা পিজ্জা স্যস এগুলো খুব খুব খারাপ। কেমিক্যাল আর সোডিয়ামে ভর্তি। মনে রাকহবেন, যত বেশি ঘরে তৈরী খাবার বা হোলফুড খাবেন ততই শরীরের পক্ষে তা ভালো। দোকানের কেনা স্যালাড ড্রেসিং ভুলেই খাবেননা। এতে চিনি আর ফ্যাট দুইই প্রচুর। স্যালাড খেতে চাইলে লেবুর রস, ফেটানো দই এইসব দিয়ে খান।
  • nina | 22.149.39.84 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০১:০৩564661
  • কলি
    সর্ষের তেলে কি প্রবলেম? কাঁচা তেল মেখে খেলে? অবশ্যই অল্প!
  • kk | 117.3.243.18 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০১:১১564662
  • ৭। এইবারে আকার প্রিয় বিষয় -- অ্যালকোহল। অ্যালকোহল প্রচন্ড পরিমানে ফ্যাটেনিং। সপ্তাহে দুই থেকে তিনটে ড্রিংক, তার বেশি খাবেননা।

    ৮। এতক্ষণ সব এই বাদ সেই বাদ বলে গেছি। আপনি হয়তো এতক্ষনে নিতান্ত হতাশ হয়ে গেছেন। তবে নিরাশার কিছু নেই বন্ধু। শুনে রাখুন সপ্তাহে একটি দিন আপনি যা খুশি তাই খেতে পারেন। ঐ দিন হলো গিয়ে আপনার 'চিটিং ডে'। ঐ একটা দিন ইচ্ছেমতো শখ মিটিয়ে খান। তাহলে সেন্স অফ ডিপ্রাইভেশন আসবেনা। সপ্তাহের মাঝে কখনো কিছু খেতে খুব লোভ হলে নিজেকে বলবেন 'এই তো, চিটিং ডে এলেই তো খেতে পাবো'। দেখবেন লোভ জয় করতে পারবেন। বাইরে, রেস্তোরাঁতে খাবার ব্যাপারেও এই নিয়ম ফলো করুন। ঐ চিটিং ডে ছাড়া অন্য কোনদিন বাইরে খাবেননা।

    আমি অবশ্য এখন আর একটা পুরো দিন চিট করিনা, শুধু একটাই মাত্র চিটমীল রাখি। তবে আপনাকে এখুনি তা করতে বলছিনা। রয়ে সয়ে এগোনোই ভালো।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০১:১৬564663
  • এই হলো গিয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যপার। কোনো প্রশ্ন থাকলে করুন।

    আকা,

    গায়ে গত্তি অর্থাৎ মাসল বিল্ড করতে চাইলে ডায়েট ও এক্সারসাইজ দুইই কাস্টোমাইজ করতে হবে। তুমি চাইলে হাইট-ওয়েট আর কোনো ব্যথা ইত্যাদির সমস্যা আছে কিনা জানিও। সেই মতো প্ল্যান বানাতে হবে।

    নিনাদি,

    কাঁচা সর্ষের তেল খাওয়া নিয়ে বালাতে কৌস্তুভের ব্লগে লিখেছিলাম তো। কৌস্তুভও লিখেছিলো। আর রিপীট করলাম না।
  • nina | 22.149.39.84 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০১:১৯564664
  • ওরে কলি আর এপাড়ার বাঙালীরা? সর্ষের তেল খায়না?
  • nina | 22.149.39.84 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০১:২০564665
  • কলি অ্যালকোহল বোলে তো? মানে ওয়াইন আর স্কচ কি একইরকম? আর ভদকা? কি মিশিয়ে খেলে কম ফ্যাট?
  • kk | 117.3.243.18 | ০৭ আগস্ট ২০১২ ০১:৩৪564667
  • নিনাদি,

    আমি অ্যালকোহলের ব্যপারে বিশেষ জানিনা। অত ডিটেল তো জানিই না। তুমি যাইই খাও, তিন শটের বেশি যেন না হয়। মিক্সড ড্রিংক্সের ক্ষেত্রে ফ্রুটজ্যুস মেশালে তাতে চিনির পরিমাণ বেশি হবেই। তাই একটু বুঝে শুনে খেতে হবে আর কি। এ নিয়ে খুব বেশি বলতে পারলাম না গো। অন্য কেউ জানলে জানালে ঠিক বোঝা যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন