এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমার সেই পথ হাঁটার গপ্পো

    kk
    অন্যান্য | ০৩ আগস্ট ২০১২ | ৯৭৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nina | 22.149.39.84 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০০:০৩564883
  • কলি এবার খান সাহেবের মতন একটা ফিটনেস টই খুলে ফেল---সব্বার উপকার হবে--
  • kk | 117.3.243.18 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০০:০৬564885
  • নিনাদি,
    এটাই তো সেই টই :-)।
  • | 116.215.45.49 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০০:০৬564884
  • হ্যাঁ কলি। এক পিস ডায়েট চার্ট যাই আমার। তোমাকে মেলাচ্ছি।
  • nina | 22.149.39.84 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০০:০৯564886
  • কলি
    একেবারে গুছিয়ে ব্যায়ম--খাওয়া-বয়েস অনুযায়ী কখন কি করা--একটা বই --চটি!
    স্বাস্থ্য বাইবেল!
  • | 116.215.45.49 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০০:১৫564887
  • সেই QBMI নামে এক পিস জিনিস আছে না। সেটা র হিসাবেই কি সব কিছু ঠিক করা হয়?
  • কেলো | 116.209.205.82 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০১:৪১564888
  • কলিদির লেখাটি যে 'লেখা' হিসেবে অসাধারন সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কলিদির সব লেখাই তাই। শুধু কলিদির নয়, গুরুতে যাঁরা নিয়মিত বা অনিয়মিত লেখেন তাঁদের সবার লেখা সম্পর্কেই সেই একই কথা প্রযোজ্য। সেইজন্য কলিদিকে লেখার জন্য আর অনাবশ্যক ধন্য ধন্য করছি না। সোজা কলিদির তোলা বিষয়ে চলে যাচ্ছি।

    কলিদি যা বলেছেন সেটা অবিশ্বাস্য। মানে ওই মধ্য তিরিশে ওরকম অবস্থা হওয়াটা।
    তার ঠিক পরেই কলিদি যেটা বলেছেন সেটা যে চেনা জানা কারোর মুখ থেকে শুনব সেটা ভাবি নি। কলিদি ওই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার যে উপায় বলেছেন সেটা তো আমার দর্শনের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। কিভাবে .. সেটাই বলছি..

    খবরের কাগজ খুলুন, শেয পাতায় বিশাল লম্বাটে একটা বিজ্ঞাপন পাবেন –
    “আমি ** ** ক্যাপসুল খেয়ে আমার উচ্চতা বাড়িয়ে তুলি। যাতে আমার বিয়ের জন্য স্মার্ট ও লম্বা ছেলেদের সঙ্গে সম্বন্ধ আসতে শুরু করে। এখন আমি আমার পছন্দের ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে করতে পারব। আগে তো ছেলেরা আমাকে দেখে বলত যে বেঁটে মেয়ের সঙ্গে আমরা বিয়ে করব না। এখন সব ছেলেই আমাকে বলছে যে আমি শুধু তোমাকেই বিয়ে করব। এখন আমি খুব লম্বা ও সুন্দরী হয়ে গেছি।” (ভাষা অপরিবর্তিত)

    মেদ ঝরাতে চান বা লম্বা হতে চান ? আপনাকে কিচ্ছুটি করতে হবে না, স্রেফ ক্যাপসুলেই কাজ হবে। এদিকে এফ এম রেডিওতে দুবেলা সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর বলে চলেছে “ট্যাবলেট খেলে লম্বা হওয়া যায়, এরকম কোন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না”।
    আজই সকালে বাজার ফেরত দেখলাম এক প্রতিবেশী ভদ্রলোকের বাজারের থলে থেকে লম্বা ধুপকাঠির প্যাকেটের মত একটি প্যাকেট উঁকি মারছে। প্যাকেটটা ওই ** ** ক্যাপসুলের। ভদ্রলোকের একটি বিবাহযোগ্যা কন্যাও আছে। তার হাইট খুব বেশী না হলেও খুব কমও নয়, অ্যাভারেজ বাঙ্গালী মেয়েদের যা হাইট হয় ওনার মেয়েরও তাইই। আমি চিন্তায় পড়লাম - ক্যাপসুলটা কি ভদ্রলোক মেয়ের অনুরোধে কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন? নাকি মেয়ের অভিভাবক হিসেবে উনিই ক্যাপসুলটা মেয়েকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ? যাতে তাঁর মেয়ে চট্ করে খুব লম্বা ও সুন্দরী হয়ে যায়, আর সব ছেলেই শুধু 'তার সঙ্গেই' বিয়ে করতে চায়। ইচ্ছে থাকলেও ওনাকে জিজ্ঞেস করে সন্দেহ নিরসন করতে পারলাম না কারন আমি নিজে (আধবুড়ো হলেও) অবিবাহিত লোক! তাইএই পশ্শকাতর বিষয়ে ইন্টারেস্ট দেখানোটা ঠিক সমীচীন মনে হল না।

    আমার ছোটমামা দেবী শেঠির হাসপাতালে যাবেন চেকআপ করাতে। আমাকে বললেন “সঙ্গে থাকতে পারবি? ওরা একজনকে সঙ্গে থাকতে বলে”। আমি রাজি। গিয়ে তো কোন কাজ নেই শুধু কখন কোথায় ডাক পড়বে, ঠান্ডা ঘরে বসে বসে তার অপেক্ষা করা। পকেটের ফোন বার করে একগাদা মেল করা রিপ্লাই দেওয়া, হাবিজাবি জিনিষ খোঁজা ও পড়া এইসব করতে লাগলাম নেট থেকে। সবার শেষে ডায়েটিশিয়ানের কাছে ডাক পড়ল। তিনি বাকি সব রিপোর্টে টিপোর্ট দেখে বললেন যে আপনাকে বেশ খানিকটা করে হাঁটতে হবে। মামা বললেন আমি তো রোজ ২০ মিনিট করে হাঁটি ওয়াকার দিয়ে। ডায়েটিশিয়ান মহিলা চমকে গেলেন – ওয়াকার নিয়ে হাঁটেন? আপনার পায়ে বা কোমরে কোন সমস্যা আছে নাকি? বাকি রিপোর্টে তো সেটা দেখছি না! মামা কনফিডেন্টলি বললেন – ওয়াকার 'নিয়ে' নয়, ওয়াকার 'দিয়ে'। মানে ??... মহিলা তো আকাশ থেকে পড়লেন। কিন্তু আমি তো হাসি চাপলাম, কারন ব্যাপারটা আমি জানি। একটা ছোট মোটর লাগানো যন্ত্র আছে, টিভিতে যেটার খুব অ্যাড করে, তার ওপর W এর মত প্যাড লাগানো। শুয়ে পড়ে যন্ত্রটার ওপর W এর দুটো খাঁজে পায়ের গোড়ালিদুটো রেখে যন্ত্রটা চালিয়ে দিলেই ওটা নড়তে থাকে। তাতেই নাকি কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হাঁটার কাজ হয়। বিলকুল পরিশ্রম না করেই। :) তা - মামা মহিলাকে সে কথা বোঝাতেই উনি মাথা নেড়ে সব নাকচ করে দিলেন। বললেন – ওতে হবে না। ছাদ থাকলে ছাদে গিয়ে গোল করে হাঁটুন, কম করে পনের মিনিট।
    বেরিয়ে এসে মামা বললেন – এই মেয়েটা কিচ্ছু জানে না। ওয়াকার দিয়ে হাঁটার পর আমি স্পষ্ট দেখছি আমি উপকার পাচ্ছি, আর ও বলে দিল যে - ওতে কিচ্ছু হবে না? দুর! বাদ দে এদের কথা।
    এটাই মুস্কিল, মামা 'দেখছেন' যে তিনি ওয়াকার ব্যবহার করে স্পষ্ট উপকার পাচ্ছেন। আমার প্রতিবেশীর মেয়েটি হয়ত স্পষ্টই 'দেখছে' সে ক্যাপসুল খেয়ে খুব লম্বা আর সুন্দরী হয়ে যাচ্ছে। সব লম্বা আর স্মার্ট ছেলেরা এবার নিশ্চয়ই শুধু 'তার সঙ্গেই' বিয়ে করতে চাইবে।

    আমি কেবলই দেখেছি যে আমরা সবই চাই বড় সহজে। পরিশ্রম করব না কিছুতেই। পরিশ্রম করাও যে সহজ সেই বোধটাই আমাদের নেই। আমরা যে কতটা পরিশ্রম করতে পারি নেই সেই ধারনাও। যেটুকু হেঁটেই যাওয়া যায় আমরা সেটার জন্যও বাস ধরি বা গাড়ী বার করি। মধ্য কলকাতায় অন্তত গাড়ীর চেয়ে হাঁটা বেটার অপশন। কিন্তু কতটুকু রাস্তা কতক্ষনে হাঁটতে পারব সেই ধারনাটাই যে আমাদের নেই!

    কলিদিই বড্ড জোর দিয়ে বললেন যে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই, নেই কোন শর্টকার্ট। তাই কলিদির লেখাটা বড় ভাল লাগল। বেজায় উত্সাহ পেলাম আমি যে দর্শনে বিশ্বাস করি সেটায় আর একজন সম্পূর্ন বিশ্বাস রেখে এমন ফল পেয়েছে দেখে। আমার বিশ্বাস/ভরসা কয়েক দাগ বেড়ে গেল এই দর্শনের ওপর।

    এই টইয়ে কলিদি সাধ্যমত জবাবও দিচ্ছেন সকলের প্রশ্নের এও বড় ভাল কথা।
  • VB | 161.141.84.239 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০৩:২১564889
  • ওঃ কৃষ্ণকলি, অসাধারণ একটা ব্যাপার, তোমার এই ফিটনেস ট্রেনিং আর লেখাটা।
    ভেবে দেখলাম কত্তকাল থেকে তোমার লেখাকে চিনি, সে-এ-এই বা লা র আমল থেকে তোমার লেখার সঙ্গে পরিচিত, সে নয় নয় করে হয়ে নয়/দশ বছর, তোমার প্রত্যেক লেখা পড়েই মনে হতো মরমী সাধকের লেখার মতন, "ঘরের কাছে আর্শিনগর সেথা এক পড়শী বসত করে" এর মতন। কিন্তু তোমার জীবনের কাহিনি তার চেয়েও আসাধারণ সেটা কেবল ছায়া ছায়া মালুম দিতো, এখন পুরোপুরি দেখতে পেলাম।
    ভালো থেকো, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
  • ব্যাং | 132.167.209.140 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০৯:৩৫564890
  • "কিন্তু কতটুকু রাস্তা কতক্ষনে হাঁটতে পারব সেই ধারনাটাই যে আমাদের নেই!"

    কেলো, খুব ভালো লাগল আপনার লেখা।
  • Binary | 80.76.78.47 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০৯:৩৮564891
  • আকা, কলি (আগে কোনোদিন সম্বোধন করিনি তো, তাই সবাই বলছে বলে এই নাম টাই বল্লাম) যা বল্ল। ভুঁড়ি কমানোর কোনো সহজ দাওয়া-ই নেই। আমি যেখানে যাই, সেখানকার কনসাল্টান্ট -ও তাই বলে। সারা শরীরের চর্বি কমে সঙ্গে ভুঁড়ি। যেহেতু ভুঁড়ির চর্দির পরিমান বেশী তাই কমতে-ও সময় লাগে। আমার-ও প্র্থমে টার্গেট ছিলো পেট।

    তবে অ্যাব মাসেলের স্পেশাল ওয়েট ট্রেনিং আছে, তাতে মাসেল বাড়ে, আর চর্বি তুলনা মুলক কম দেখায়। কলি, ঠিক বলতে পারবে ঠিক কি ওয়েট, কি অনুপাতে করতে হবে।

    ওয়েট ট্রেনিং বাড়ীতে করার একটাই মুশকিল যে, ওয়েট টার্গেট , মন দিয়ে করলে তাড়াতাড়ি অ্যাচিভ হয়ে যায়। তখন আবার নতুন ডাম্বেল কিনতে হয়। মানে অপশন কম থাকে। এই আর কি। আমি-ও বাড়িতে ১৫পাউন্ড * ২ নিয়ে সুরু করেছিলাম, এখন ওগুলো আন্ডার ওয়েট মনে হয়।

    কলি নিশ্চই আরো ভাল বলতে পারবে, আমার মনে হয় ওয়েট ট্রেনিং টা মাস্ট, কার্ডিয়াক-এর এফেক্টটা বুস্ট করার জন্য। মোর মাসেল গেইন্ড, মোর ক্যালোরি বার্নড।

    আর কার্ডিয়াক-এর একটা ফরমুলা আছে। টার্গেট হার্ট রেট , ২১০ বিয়োগ বছরে বয়স, তার ৮০%। এতে রেখে টাইম কন্ট্রোল করার চেষ্টা আমি করি সাধারণত।

    এসব কিছুই জানা ছিলো না। সব-ই নিজেকে মোটিভেট করার জন্য জানতে হয়েছে।
  • কেলো | 233.180.179.54 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫৫564893
  • কলিদি যেমন বলেছেন যে তাঁর চরিত্রে একটা ডিনায়াল আছে, সমস্ত জ্বলন্ত সমস্যাগুলোকে উনি মনের পেছনের বেঞ্চে ঠেলে পাঠিয়ে দেন। এটা নাকি ওঁর সমস্যা। আমার আবার ঠিকএর উল্টো সমস্যা আছে। পেছনের বেঞ্চের সমস্যাগুলোকে সামনের সারিতে টেনে এনে বসিয়ে রাখা। এতে কিন্তু সুবিধাই আমার হয়েছে, মধ্য তিরিশের কলিদির সাফারিংটা আর আমাকে ভোগ করতে হয় নি। আপনারা বলবেন তাহলে উল্টোটা তো ভাল, একে 'সমস্যা' বলছেন কেন?
    আমি না, আমার এক তামিল বন্ধু পি. ওয়াস্কর (ভাস্কর) একে সমস্যা বলেই আইডেন্টিফাই করে গেছে। ছোটবেলা থেকেই আমার একের পর এক আত্মীয় আমার চোখের সামনে নানাভাবে মারা যান। কেউ রোগে ভুগে, কেউ সুস্থ থেকে, কেউ বয়সের ভারে, কেউ বা অকালে। বহু ক্ষেত্রেই শেষ সময়ে একেবারে একা আমিই ছিলাম তাঁদের পাশে। আমার একটি প্রিয় কথা, যা আমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবকে বা আমার চেয়ে বয়েসে ছোটদের মাঝে মাঝেই ঠাট্টাচ্ছলে বলে থাকি - “আজ যে নিঃশ্বাসটা নিচ্ছিস খেয়াল পোযযন্তো কচ্ছিস না, একটা এমন দিন আসবে যেদিন এই নিঃশ্বাসটুকুই বাইরে থেকে টেনে শরীরে ঢোকানো কঠিন হয়ে যাবে।” এটাকেই বলতে চাইছি কলিদির স্বভাবের ঠিক উল্টো, ব্যাকবেঞ্চের সমস্যাকে সামনের সারিতে এনে বসানো। তামিল ভাস্কর আমার ওই আগের বলা হিস্ট্রীটা জানত। সে বলত অল্প বয়স থেকে ব্যধি আর মৃত্যু দেখে দেখে তোমার মানসিক রোগ হয়ে গেছে তাই তুমি এসব কথা চিন্তা করতে পার। এটা একটা 'সমস্যা'। ওর কথাই হয়ত ঠিক, কলিদির ওই ডিনায়ালের সমস্যার উল্টোটা হওয়াও একটা সমস্যা। কলিদির এক্সট্রীম ডিনায়াল বা আমার ওভার/প্রি রেস্পন্সিভনেস দুটোই সমান খারাপ।
    কিন্তু,
    আমার ওই – কাল তো নিশ্বাসটুকুও নিতে পারব না, আজ তাই নিজেকে নিংড়ে পুরো প্রাণশক্তি উপভোগ করি না কেন। এই দর্শন নিজের কাছে খুব খারাপ লাগে নি। ঠিক এই বিশ্বাসেই আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে, যখন বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে পড়ি/রিসার্চ করি তখন আমার ডিপার্টমেন্টে উঠতে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটেই উঠতাম। লিফ্ট ব্যবহার করতাম না। যাঁরা বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ চেনেন তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন যে ওখানে সবার চেয়ে ওপরে হল মেরিন সায়েন্স , বাকি সব ডিপার্টমেন্টই সাবমেরিন। মেরিন হল ন তলায়, তার ওপর শুধু দশতলায় ছিল ক্যান্টীন।
    লিফটে না চড়ে আমি অনেককিছু মিস করেছি। বিশেষত লিফ্ট পলিটিক্স ও লিফ্ট অ্যাকাডেমিক্স। লিফ্ট একটা এমন জায়গা যেখানে সবাই সমান এবং শৌচাগারের মত সবাইকেই এখানে আসতে হয়। ছাত্র ও শিক্ষক একই লিফটের যাত্রী, ধীরগতি লিফ্ট, ফলে দীর্ঘ সময় পাওয়া যায় ছাত্র শিক্ষক ইন্টারাকশ্যানের। এটাই হল লিফ্ট অ্যাকাডেমিক্স, সঙ্গে ফাউ লিফ্ট পলিটিক্স। এটুকু মিস করে আমার খুব একটা ক্ষতি হয় নি। রেজাল্ট তো তাই ই বলছে। লিফ্টম্যানরা পুজো বখশিস চাইতে একটু কুন্ঠিত বোধ করত আরকি। আমার উপরি পাওনা ছিল ফুরফুরে শরীর ও উদাস মন। আর প্রতি শরতকালে তো সাত আটতলায় এসে আটকে যেতাম, সিঁড়ির বিশাল জানালা দিয়ে দিগন্তে দেখা যেত সায়েন্স সিটির বিরাট গম্বুজ, ময়ূরকণ্ঠী নীল আকাশ সাদা মেঘের দল আর হু হু হাওয়া। নিচ থেকে রিফ্লেক্ট হয়ে আসা অদ্ভুত একটা স্বর্গীয় আলো। ওখানে দাঁড়ালে এমনিতেই মন উদার/উদাস হয়ে যায়, তার সঙ্গে তুলনা ওই লিফটের ঘেমো পরিবেশ আর পলিটিক্সের ?? ছোঃ

    আজ এই মধ্য চল্লিশেও দশ বিশতলা হেঁটে উঠতে কোন অসুবিধা বোধ করি না। দু তিন তলা অব্ধি সিঁড়িতে লোক থাকে তার ওপর থেকে পুরোটা ফাঁকাই থাকে। আজকালকার বাড়িগুলোতে ছোট ছোট ধাপের সিঁড়ি, ওই তিনতলার ভীড়টুকু টুকটুক করে উঠে কাটিয়ে দেবার পরে বাকিটা হাল্কা করে জগিং এর স্টাইলে উঠে যাই (পায়ে চপ্পল না থাকলে), খুব একটা অসুবিধা হয় না। কেউ দেখে ফেললে ভাববে বুড়োটার শখ দেখেছ – হার্টফেল করে মরবে যে।

    ডিঃ - সঙ্গে কেউ থাকলে অবশ্য চিরকালই লিফট ব্যবহার করি। কোনরকম পাঁয়তারা মারি না। আমার সৌভাগ্য যে ৯৯% সময়েই আমি একেবারে একা।

    আপনাদের অনেকেই তো লিফট ব্যবহার করেন। তাঁরা কি ভাবছেন ? ভাবছেন কি যে কাল থেকেই একটু একটু সিঁড়ি ভেঙ্গে দেখবেন? প্রথমেই অতটা না করে তাঁরা বরং অন্য একটা কাজ করতে পারেন, তাতে আমি বেজায় কৃতজ্ঞ থাকব। সেটা হল এসক্যালেটরে উঠে ঠায় দাঁড়িয়ে না পড়া। ইদানীং এই অসুবিধাটা ভীষন ফীল করি। সর্বত্র এস্ক্যালেটরে দেখি অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে থেকে বুড়োবুড়ী সবাই উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ে। দাঁড়ালে একদিক ঘেঁষে দাঁড়া যাতে অন্য দিকটা খালি থাকে, তা না ! পুরো ধাপ জুড়ে যেখানে যার পা পড়েছে সেখানেই সে দাঁড়িয়ে যাবে। এমনকী শুধু ওঠার সময় নয়, নামার সময়েও একই অবস্থা। ধরুন আমার পকেটে মেট্রোর স্মার্টকার্ড, সিঁড়িটা লাফিয়ে লাফিয়ে নেবে টুক করে ট্রেনটা ধরে নেব, তা না, চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন বেরিয়ে যাবে, কারন আমার সামনের আমার হাঁটুর বয়েসী বাচ্চারও এস্কেলেটরে হেঁটে নামতে অনীহা। কি যে হতাশ লাগে, কি বলব। এসক্যালেটর আমার কাছে একটা সিঁড়িমাত্র, যেটা যত বড় দেখাচ্ছে আসলে তত বড় নয়। চট করে ফুরিয়ে যায়।

    কলিদির উদাহরন দেখে আপনারা যাঁরা নানারকম প্রতিজ্ঞা করে ফেলছেন, তাঁরা এটাও প্রতিজ্ঞা করুন না, যে খালি এস্ক্যালেটর পেলে দাঁড়িয়ে না পড়ে একটু হেঁটে উঠবেন/নাববেন। নিদেনপক্ষে একদিক ঘেঁষে দাঁড়াবেন, যাতে অন্য দিক দিয়ে আমি (কে জানে! হয়ত কলিদিও) মনের সুখে সিঁড়ি ভাঙ্গতে পারি। :)
  • | 24.96.72.152 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ১০:০২564894
  • এস্ক্যালেটর জুড়ে দাঁড়ানো লোকদের আমি গাঁক গাঁক করে 'এক্সকিউস মিই' বলি। তাতে কাজ হলে (৯৯% কেসে কাজ হয় না ) আরো গাঁক গাঁক করে বলে 'দেখিই একটু সাইড দিন তো, একধার করে দাঁড়ান'। লোকে খুব বিরক্ত হলেও জায়গা ছেড়ে দেয়।

    তবে অফিস টাইমের মেট্রোর কোনও অভিজ্ঞতা নাই।
  • | 24.96.72.152 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ১০:১৬564895
  • এই শুয়ে শুয়ে হাঁটার যন্তরটা আমাদের অফিসে বেচতে এসেছিল। টিমের ছানাপোনাগুলোকে গিয়ে বললাম যে শুয়ে শুয়ে হাঁটার যন্তর কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। সবকটা দলবেঁধে নামল দেখতে। নেভি ব্লুয়ের ওপরে সোনালি চকরা বকরা টাই পরা এক ফড়ফড়ে ছোকরা প্রথমে হেব্বি জ্ঞান দিল কি নাকি ১৫০০০ মাইল হাঁটার সমান হবে, কতক্ষণ যেন শুয়ে থাকলে ---- আরো কি কি সব। ব্যাস! শুরু হয়ে গেল এদের হ্যাহ্যা হিহি। একজন বলে চল তাহলে দিল্লী যাই, আরেকজন বলে না না আরেকটু বেশীক্ষণ শুয়ে থেকে চল কাবুলটা টুক করে দেখে আসি। আরেকজন বলে নেহি নেহি চলো হাম জার্মানি চলতে হ্যায়। আরেক বঙ্গসন্তান তাই শুনে ' আরে না না জার্মান বহুত কঠঠিন ভাষা হ্যায় বোল নেহি পায়েগা'। চলো হাম ইউ কে যায়েগা।

    এরপরে সে ছোকরাকে ধরে কোন যন্ত্র ইউকে হাঁটার সমান দূরত্ব হাঁটাবে সেটাকে দেখানোর দাবী। তার মধ্যে ইমিগ্রেশান পেরোনর উপায় আলোচনা --- সে এক মহা ক্যাওস।

    ছোকরা পরে এইচ আরে কমপ্লেইন করেছিল। এইচ আর আমাকে ডেকে টিমকে কেন কন্ট্রোল না করে হ্যা হ্যা করে হাসছিলাম তাই নিয়ে দুকথা শোনাল।
  • শ্রাবণী | 69.94.99.43 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ১০:২২564896
  • কলির লেখার সাথে সাথে কেলোর লেখা পড়তেও ভালো লাগছে, দেশী উপায়!
  • kumu | 132.160.159.184 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ১৩:০৯564897
  • কেকে,(কলি বলে ডাকি না কেন সেটা পরে বলছি),আমার কয়েকটা কোশ্চেন আছে,একটু গুছিয়ে নিয়ে লিখে রাখব,সময়মত উত্তর দিও।
  • kd | 69.93.241.152 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ১৬:২৫564898
  • কলির নাম যাই হোক না কেন, ও কিন্তু বেশ ফর্সা। নাহ'লে "বিলিতি" না বলে "দিশি" বলতো।
    (রেফঃ ৩রা আগস্ট, রাত ১১টা) ঃ)

    ডিঃ টইটা বড্ডো সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে, তাই ভাবলুম.....
  • kumu | 132.160.159.184 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ১৯:৩৮564899
  • কিকির জন্য-

    ১। স্টেশনারী বাইকিং দিয়ে শুরু করার কথা কেউ বলেছিলেন না তুমি নিজেই শুরু করেছিলে?আমি বলতে চাইছি এই fitness regime তুমি নিজেই চক আউট করেছ তোমার প্রয়োজন বুঝে ও পড়াশোনা করে?

    ২।খাওয়াদাওয়ার প্রশ্নটা আমারো।

    ৩।গত দশ বছর ধরে সকালে ও রাতে খাওয়ার পর কুড়ি-তিরিশ মিনিট হাঁটি।এতে কিন্তু আমার ওজন মোটেই কমে নি,তবে বাড়েও নি-তার জন্য দায়ী একশোটা ফ্যাক্টর আছে অবশ্য।সামান্য হাঁটুর সমস্যা আছে-ওজন কমাতে হলে কার পরামর্শ নেব?
    অর্থোপেডিক?লাভ হয় নি।ফিটনেস ট্রেনার ?সে আমার অন্য জটিল সমস্যা বোঝে না।তবে?

    আর আমাকে ঘ্যানঘ্যান করার জন্য কে বকল?একবার সামনে আসুক,তার জন্যেও অ্যাকোয়া রিজিয়া রেকেচি।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ২০:১৭564900
  • কুমুদি,

    ১। স্টেশনারী বাইকিং শুরু করেছিলাম তার কয়েকটা কারণ আছে। এক, এটা খুব লো ইম্প্যাক্ট ব্যয়াম, পায়ের ওপরে খুব বেশি চাপ দিতে হয়না। যাঁদের শরীর খুব ফিট নয় তাঁদের লো-ইম্যাক্ট ব্যায়াম দিয়েই শুরু করা উচিৎ। দুই, আমি জিমে যাইনা। বাড়িতে একটা কার্ডিও মেশিন কিনে রাখতে চেয়েছিলাম, তা একটা বাইক-কাম- ইলিপ্টিক্যাল সবচেয়ে বাজেটের মধ্যে পাওয়া গেছিলো।

    ২। খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক ডিটেলে লেখার আছে যে একটু বেশ সময় পেলে লিখছি।

    ৩। আপনার যাবতীয় প্রশ্ন আমার কাছে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। আশা করছি আপনার জটিল সমস্যা বুঝতে পারবো, কিছুটা অন্তত সাহায্য করতে পারবো। হাঁটুতে কি ধরণের ব্যথা, আর বাকি সমস্যা গুলো কি কি সব বলুন। আর আপনার হাইট ও কারেন্ট ওয়েট কত তাও। এখানে না জানাতে চাইলে আমায় ই-মেল করতে পারেন। পাই এর কাছে ঠিকানা পাবেন। কিন্তু শেষে আপনিও আমায় 'কিকি' বলে ডাকলেন? ঃ((

    কেলোবাবু,

    আপনার লেখার আমি বেজায় ভক্ত। কিন্তু আপনি যে বড্ড কম লেখেন।এই টইয়ের খাতিরে যে পড়তে পেলাম সেই আ দারুণ ব্যপার! এই যে বলছেন না সমস্যা পেছনে পাঠানো বা সামনে টেনে আনা নিয়ে আমাদের দুজনের স্বভাব উল্টো? কিন্তু দেখুন স্বভাব যেমুখীই হোক না কেন, এটা আমাদের একই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এই যে স্বভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকাটাই যে কত বড় একটা প্রাপ্তি তা আমি খুব ফীল করি। এই ব্যপারে আমি আপনার সাথে ১০০% একমত, 'লীভ লাইক ইউ আর ডায়িং' মতে আমিও বেজায় বিশ্বাসী। বড় ভালো লাগছে আপনার লেখা ভাই, ঝপ করে থেমে যাবেন না প্লিজ।

    কেডি,

    দারুণ ! তবে কিনা আমি চোরাবালির জমিদার মশাইয়ের কথা হুবহু কোট করে লিখেছিলাম।

    বাইনারীর কথাগুলো একদম ঠিক। আমি পেট কমানো নিয়ে পরে আবার লিখবো, একটু সময় নিয়ে।
  • শ্রাবণী | 69.94.99.43 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ২০:২৭564901
  • আমার স্টেশনারী বাইক টা দুবছর আগে বাড়ির কাজের সময় কিছু জিনিস পড়ে খারাপ হয়ে গিয়েছিল (সস্তার ছিল, অনেক পুরনোও, তবু ওটা থাকলে এই দিল্লীর আবহাওয়ায় হাঁটা সবসময় হয়ে ওঠেনা বলে বা সময়ের অভাবেও তবু কিছু হত, আমার ভালোও লাগত। কিন্তু ওটা গিয়ে আর সেটা হতনা বলে একটা কেমন মনে হত, নিয়মিত কিছু করছিনা, সন্ধ্যেবেলায় পড়া করছিনা টাইপের) !
    দুবছর ধরেই কথা হত একটা আনা দরকার, পুরনোটা দিয়ে দেওয়ার জন্যে অল্প ঝগড়ার মতও হত তবে আসেনি এতদিন। কাল বললাম, ওটা আমার চাইই আর আজ এসে গেছে, নতুন প্রোলাইনের শোরুম থেকে। শুধু একটাই খিঁচ, বলছে ওটাই নাকি এবছরের গিফট :(((
  • kiki | 69.93.210.105 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ২১:২৭564902
  • কলি,
    ঃ)

    আরে আমি আসলে বেশ পরিশ্রমের কাজ ও অনেকখন ধরে অনায়াসে করতে পারি। মোটামুটি পঁয়তাল্লিশ মিনিট হাঁটলেও হাঁপিয়ে পরিনা, ইত্যাদি থেকে ফিট ধারনা এয়েছিলো। তবে ভেবে দেখলুম, ঠিক ই তো, এই যে ঝিমিয়ে চলেছি তবে ফিট কেমন করে!

    যাগ্গে, মন দিয়ে পড়ে চলেছি।
  • kd | 69.93.243.12 | ০৪ আগস্ট ২০১২ ২৩:১৩564904
  • বাই দ্য ওয়ে, আমার কাছে একটা ট্রেডমিল (পাওয়ার্ড) আছে। যারা আমার বাড়ী এসেছে, দেখেছে একটি হিংস্র বস্তু এককোনে দাঁড়িরে থাকতে। ডাক্তার বলেছিলো, গেট এ ট্রেডমিল - সো, আই গট ইট। এখন ব্যাটা বলে কিনা, ওটা চালাতে হবে। স্লা আগে বললে অনেক পয়সা বেঁচে যেতো।

    এনি টেকার্স? নিজের শক্তিতে/পয়সায় নিয়ে যেতে হবে কিন্তু।
  • | 24.99.204.166 | ০৫ আগস্ট ২০১২ ০৮:৪১564905
  • কেডির পোস্টটা দেখে মনে হল কেউ কি জানে সেকেন্ড হ্যান্ড ট্রেডমিল কলকাতায় কোথায় কিনতে পাব আর কিরকম দাম হবে?
  • i | 134.149.47.137 | ০৫ আগস্ট ২০১২ ১৬:৫৬564906
  • কেলোবাবুর লেখাও খুব ভালো লাগল।
    সামনে সিঁড়ি পেলে পারতপক্ষে এলিভেটরে চড়ি না; কিছুটা নিজেকে সচল রাখতে আর বাকিটা ক্লস্ট্রোফোবিয়া। এই ক্লস্ট্রোফোবিয়া সাম্প্রতিককালে ভয়াবহরকম বেড়ে গেছে। কি করে সারবে জানতে টই খুলব ভাবছি...
  • kiki | 69.93.194.199 | ০৫ আগস্ট ২০১২ ২৩:৩৯564908
  • আর মোটা লোক ও খুব কম।
  • kiki | 69.93.194.199 | ০৫ আগস্ট ২০১২ ২৩:৩৯564907
  • যদিও তোমরা আমায় মোটে পাত্তা দেবে না, তবু বলবোই বলবো। অনেকজন মানুষ একসঙ্গে থাকলে, মানে রোজ গুচ্ছ লোকের সাথে মিলেঝুলে থাকতে হলে বোধায় এসব কোনো ফোবিয়া থাকে না।

    কাল মাসী বাড়ী থেকে এসে মনে হলো। লোকজন বেবাক বিন্দাস টাইপ। রোগ, জ্বালা, পি এন পিসি, হাঙ্গাম হাট্টোগোল নিয়ে এখন ও দিব্যি আছে। ভুলভাল অসুখ যেটা আমাদের শহরে থাকে সেসব নেই। চান্স ই নেই। রোজ উঠতে বসতে গুচ্ছ মানুষ নিয়ে চলতে হবে। হবেই। এখন ও গ্রামগুলো অন্যরকম ।সব থেকে বড় ভাল্লাগ্লো ধৈর্য্য দেখে। আমাদের ঘর দোর কেউ এসে তোলপার করলে মাথা গরম হয়ে যায়। এদিকে মাসীর বাড়ী তো বটেই, আসপাশের বাড়ী ও লোকজন দিব্যি চলে যাচ্ছ, স্নান করে ফেলছে, ঘুমিয়ে পরছে। এ নিয়ে কারোর তাপ উত্তাপ নেই। সবাই জানে এটাই স্বাভাবিক। মানে কিরকম অন্যরকম। ওখানে অবসাদগ্রস্থ একা মানুষ প্রায় দেখলুম ই না।
  • kiki | 69.93.194.199 | ০৫ আগস্ট ২০১২ ২৩:৪৫564909
  • আর এত জায়গা নিয়ে বাড়ী আর তার এমন সিস্টেমের ঠেলা যে বাড়ীতেই সারাদিনে যা চলতে ফিরতে হয় তাতে পরিশ্রম ও দিব্যি হয়ে যায়। ভাবচি গ্রামের দিকেই চলে যাবো। আর ভোরবেলাটাও এখন ও দিব্যি, সেই ছোটবেলার মামাবাড়ীর মতন । ঠান্ডা, একটা মেঠো গন্ধয়ালা , পাখির ডাকের ভোর। আর খাওয়া দাওয়ার ধরনটাও খুব স্বাস্থবিধি মেনেই করে। আর সেটা বোধহয় পুরুষানুক্রমে অর্জিত বলে ভীষন স্বাভাবিক।কিছু চাপিয়ে দেওয়া মনে হয় না।
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০০:০৮564910
  • কেকেদিকে আমার প্রশ্ন,

    আমার স্লিপ ডিস্ক আছে, দুটো হাঁটুই ড্যামেজড। ফিজিও আর জিম নিত্যসঙ্গী। আপাতত মাস চারেক দুটৈ বন্ধ থাকবে। বাড়িতে স্ট্রেচিং গুলো চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু ওয়েট ট্রেনিঙ্গগুলো কি করে সাবস্টিটিউট করব?
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৩:৪৪564911
  • Zzzz, হ্যাঁ,ফিজিওর ব্যায়ামগুলো বাড়িতেও করা সম্ভব হলে করে যান। আপনি ওয়েট ট্রেনিং কি কি করেন একটু জানান। এমনিতে ওজন হাতের কাছে না পেলে ক্যালিস্থেনিক্স (বডি ওয়েট এক্সারসাইজ) দিয়ে মাস্‌লের কাজগুলো করা যায়। আপনার লিস্টটা পেলে দেখতে পারি সেগুলো কোনো ক্যালিস্থেনিক্স দিয়ে রিপ্লেস করা সম্ভব কিনা। ইয়ে, আপনার নামখানি লেখা একটু শক্ত, চারজি বা ফোরজি এই ধরণের কোনো সহজ নামে ডাকতে পারি?
  • Zzzz | 109.227.143.99 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৬:১৪564912
  • কেকেদি,

    যে নামে খুশী ডাকতে পারো, নো প্রবলেম। খালি আপনি না বললেই হল।

    আমি স্টিফ লেগ ডেডলিফ্ট করি। hanging leg raise দু পায়ের মাঝে ডাম্বেল নিয়ে, স্কোয়াট, লেগ প্রেস, bosu স্কোয়াট্স - এইগুলো করি। খুব বেশি ওয়েট তুলি না। নিজের ওজন নিয়ে সমস্যা নেই, আপাতত রোজ কুড়ি মিনিট মত পাওয়ার ওয়াক করছি।
  • kk | 117.3.243.18 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৭:৫৭564913
  • ফোর্জি,

    চমৎকার। এই মুভগুলো সবগুলোই তুমি বাড়িতে করতে পারবে। এক এক করে উপায় বলি।

    ১। স্টিফ লেগ ডেডলিফট -- একটা প্লাস্টিকের বালতি নাও। হাতলে ভালো করে একটা কাপড় জড়িয়ে নাও যাতে একটু কুশনিং এফেক্ট হয়। বালতিতে এতটা জল ভরো যতটা তুমি তুলতে পারবে। দু'হাতে বালতি ধরে স্টিফ লেগ ডেডলিফট করো। একটু স্লো শুরু করো, যাতে আচমকা ঝটকা না লাগে।

    ২। স্কোয়াট -- এই ক্ষেত্রে আমি বলবো বল-ওয়াল স্কোয়াট করতে। তোমাদের ওখানে এক্সারসাইজ বল কিনতে পাওয়া যায় নিশ্চয়ই? পেলে একটা কিনে নাও। নয়তো বড় একটা বীচ বল হলেও হবে। এবার দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে বলটা কোমরের ঠিক পেছনে আর দেওয়ালের মাঝে রাখো। দু হাত কোমরে রাখো বা সামনে হাত জোড় করার ভঙ্গীতে রাখতে পারো। এবার বলের ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটু ভেঙে স্কোয়াট পোজিশনে এসো। খুব বেশি ডীপ করার দরকার নেই, হাঁটুতে লাগবে। যতখানি নামতে পারো তাই নামবে। এবারে আস্তে আস্তে সোজা হয়ে দাঁড়াও। এভাবে যতগুলো রেপিতেশন চাও করো।
    এই লিংক দেখো, বুঝতে সুবিধা হবে।



    বল নিতান্ত না পেলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে ওয়াল স্কোয়াট করতে পারো। সেক্ষেত্রে বারবার ওঠানামা না করে একবার নেমে স্কোয়াট পোজিশনটা হোল্ড করবে, যতক্ষণ সম্ভব।



    ৩। হ্যাংগিং লেগ রাইজের বদলে যেটা করবে ত
  • | 24.96.98.60 | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০৮:০২564915
  • কলি,

    তুমি কি টেনিস এলবোর যন্ত্রণা চলাকালীন সময় কিছু ব্যায়াম করতে?
    আমার ডানহাতে হয়েছিল, ডাক্তার কিছুদিন এলবো গার্ড বাঁধতে বলেছিলেন। কমে নি। তারপর তিন সপ্তাহ ব্যবধানে কনুইয়ের হাড্ডি ফুঁড়ে দুইখান ইন্জেকশান ঠুকলেন। তাতে মাস দেড়েক ব্যথা ছিল না। কিন্তু এখন আবার ইন্জেকশানের জায়গাটায় ব্যথা শুরু হয়েছে, আর অন্যান্য লক্ষণগুলো, যেমন কাপড় নিংড়ানো বা কোনোকিছু ঝাঁটাপেটা করতে ব্যথা শুরু হচ্ছে।

    এদিকে ডাক্তার আগে বলেছিলেন ইন্জেকশান দুটো দিলেই ১০০% কিওর হবে। এখন বলছেন না না হাত সম্পূর্ণ রেস্টে রাখতে হবে বাকী জীবন। আমার তো ডাক্তারকে ভুলভাল লাগছে, কথা হল এখানে আর ঠিকঠাক ডাক্তার পাই কোথায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন