এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরীক্ষা ভীতি দূর করার ঊপায়- মতামত জানান

    bb
    অন্যান্য | ২৭ জুলাই ২০১২ | ৯২৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cb | 212.156.11.234 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৭:৪৫565891
  • সামনের ৪ টে বছর এটা থাকবেই, কলেজে উঠলে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। এখন কম পড়তে বললেই, বা অন্যদিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করলেই বলবে, "না, আমার ঐ বন্ধুরা যেরকম প্রিপারশন নিতে পারছে, আমি সেরকম পাড়ছি না"। ঐরকম লোড একটু হবেই। আপনারা ওকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যান, একসঙ্গে বসে মজার বই পড়ুন, হো হো করে হাসুন, দেখবে পড়ার দিকটা ব্যালান্স করে ফেলছে। আপনাদের প্রথম চ্যালেন্জ আসবে ১২ ক্লাসের পর, মেয়ের সামনে আইআইটি নিয়ে ইনডিফারেন্ট থাকুন।
  • cb | 212.156.11.234 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৭:৪৬565892
  • *পারছি না
  • aka | 85.76.118.96 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৮:১৯565893
  • বিবির মেয়ে যদি বাবা মায়ের তাড়না ছাড়াই বেশি বেশি পরীক্ষার পড়াশুনো করে তাতে অসুবিধা কি? ভালই তো, রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড। ফেলিওর এলে সামলাতে হবে? নিশ্চয়ই, কিন্তু সে তো অন্য সমস্যা। সেটা ফেলিওর আসার আগে কে কিভাবে সামলাবে বলা শক্ত। পরীক্ষা, রেজাল্ট ইত্যাদি নিয়ে সবাই ভয় পায় বলেই আমার ধারণা। আমি এক অত্যন্ত ফাজিল, ফাঁকিবাজ তাও পরীক্ষা ও রেজাল্ট নিয়ে টেনশন ছিল। মানে আমার ধারণা ছিল না খাটাখাটনি করে পরীক্ষা টরীক্ষা দিলেও কখনো সখনো রেজাল্ট ভালো হতে পারে, বাইচান্স। না খেটে ফলের জন্য টেনশন আর প্রতিবার পরের বার ভালো করার অঙ্গীকার।

    মোদ্দা কথা কোন কিছুই স্বতঃসিদ্ধ নয়। কেউ যদি রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড পড়াশুনোয় কামফর্টেবল হয় তাতে জোর করে সেটা ভাঙার কারণ কি যদি না সত্যি কোন সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা হলে অন্য কথা। তখন উপায় ভাবলেই হয়।

    গুরু ফ্রেডি বলেছেন ডোন্ট ট্রাই সো হার্ড সে যাই হোক না কেন। ক্যাজ ছেলেমেয়েকে ওভার সিরিয়াস করার দরকার নেই, আবার ন্যাচারালি সিরিয়াস কাউকে খামোকা ক্যাজ করারই বা কি দরকার। দুটোই হার্ড ট্রাই। আমার মতে।
  • pi | 147.187.241.6 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৮:২৮565894
  • ওভার সিরিয়াস বলে হয়তো একটু ক্যাজ করতে চাইছেন। আর তার সাথে ভীতি জড়িয়ে আছে বলে।
    মানে, পড়ে আমার তাই মনে হল। তবে, পরীক্ষায় খুব ভাল করতেই হবে, খুব ভালো না হলে কী হবে, খুব ভালো পারবো না, সেই ভীতি , নাকি কিছুই পারবো না, এই ভীতি ?
  • bb | 127.195.173.78 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৮:৪০565895
  • আকা - পড়াশোনা নিজে নিজে করে, কিছু বলতে হয় না এই অবধি ঠিক আছে। কিন্তু তার জন্য নিজেকে অত্যধিক চাপে নেওয়া, সারাক্ষণ পড়া, খেলতে না যাওয়া, তস্য সো তস্য জিনিষ পরীক্ষা নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস হওয়া এইটা নিয়েই চিন্তিত।
    কিছুই জোর করিনা , কারণ এখন সময় আলাদা, বয়েসটা টিন (ভীষণ সেস্নেটিভ)। কিন্তু আমার ধারণা আমাদের কিছু আচরণে আমারা নিশ্চই কিছু belief কে রি-ইন্ফোর্স করে থাকি যেগুলি ওকে চাপে ফেলেছে।
    দেখুন আমরা সাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া করে আজ জীবনের যেখানে এসেছি তাতে আমাদের জীবনের প্রতি কিছু সেই রকম না-পাওয়ার অভিযোগ নেই। ওকে আমাদের ব্যাচের রি-ইউনিয়্ন- এ নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছি দেখ এ-আমাদের ব্যাচের ট্পার ছিল আজ এইখানে কাজ করে। আর এ- কিছুই হত না ক্লাসে, কিন্তু এখন টপারের চেয়েও ভাল (!!) চাকরি করে। তাই একটা জায়গার পর পড়াশোনাই সব নয়।
    এমনকি আমার মেজ-শালীর ছেলে এবার মাধ্যমিকে প্রথম ২০র মধ্যে র‌্যান্ক করেছে 96.7%, সেটাতেও আমরা অতি উচ্ছাস দেখাই নি যাতে ওর ওপর চাপ না হয়।
    এটাও বোঝাই যে ডাঃ, ইঞ্জিঃ বাইরেও অনেক বড় জগত আছে। ওর এই অত্যধিক সিরিয়াসনেসটা যাতে আগে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তাই নিয়ে এখন থকে চিন্তিতঃ। হয়্ত বাবা হিসাবে ওভার-রিয়াক্ট করছি।
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৮:৪৭565897
  • অভ্যুর লেখাটা ভালো লাগল। ঠিকই, আমাকেও চাপ থেকে নিজেকেই বের করতে হয়েছিল, কিন্তু অনেক সময় লেগেছে। ঃ-(

    বিবি যে এটা নিয়ে ভাবছেন সেটা ভাল লাগল। হায়, আমার বাবা মাও যদি ভাবত।
  • aka | 85.76.118.96 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৮:৪৭565896
  • বিবি বুঝতে পারছি। কিন্তু মুশকিল হল বাবা মা হিসেবে যতই বোঝাই না কেন আশেপাশে সবাই তো ডাক্তারি আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়েরই চেষ্টা করছে। স্কুলে ভালো ছাত্র/ছাত্রীরাই টিচারের প্রিয়। সোশাল সেটিংয়ে আইআইটিয়ানদের মূল্যই আলাদা। এসবরেও তো প্রভাব আছে।
  • b | 135.20.82.165 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৯:১২565898
  • অংক বড়ই নিষ্ঠুর। ঐ একটাই ঠিক উত্তর, ভাল হলে ১০, ভাল না হলে শূন্য।
    আমার এক ভাই বেশ ভালো করেছিলো। জেঠু বলেছেন প্রশ্নপত্রে উত্তর লিখে নিয়ে আসতে। সেটি চেক করতে গিয়ে দেখলেন যে, বেশ কঠিন কঠিন অংক সাবলীল ভাবে কষে ফেলেছে ভাই, অথচ জেঠুর এস্টিমেটে, ও সব তার কোনোদিন-ই পারার কথা নয়। চেপে ধরাতে ভাই প্রথমে বলল, যাও, কি করে করেছিলাম ভুলে গেছি! তারপরে পেটানির ভয় দেখাতে সব্গুলো বসে বসে করল, কিন্তু সব-ই ভুল। আরো জেরার মুখে পড়ে অবশেষে কনফেশন এলোঃ উত্তরগুলো সব ফার্স্ট বা সেকেন্ড বয়ের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে টোকা।
    জেঠু এই গল্পটা করে হাসতে হাসতে বলেছিলেনঃ
    "এমন দেহি নাই। লোকে পরীক্ষার সময় অংক টোকে, বলদাটা বইয়া বইয়া পরীক্ষার পরে উত্তর টোকসে"।
  • pi | 147.187.241.6 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৯:১৪565899
  • ঃ)
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:২৮565901
  • বিবির খোলা টইটা দেখে থেকে কাল থেকে লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে। কিন্তু ছোট মুখে ছোট কথা বলতেও ঠিক সাহস পাচ্ছি না। ঃ-(
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:৩০565902
  • ব- আজকের অংক কঠিন নয়, কারণ এরা স্টেপ ঠিক করলেও মার্কস পায়।উত্তর যদি ভুল হয়ও।
    রিমি - ভাবতে তো হবেই আমাকে তাই না- বিফোর ইট্স টু লেট।
    আমি আবার বাস্তব জগতের লোকেদের থেকেও পরামর্শ নিচ্ছি কারণ তারা আমাদের চেনেন, ভুল ত্রুটি বেশী ভাল ধরতে পারবেন।
    অভ্যু ও এখন ছোট তাই ঐ নিজে বেরানোটা করতে পারছে না। তফাৎ একটা দেখেছি আমার মা- বাবা থাকলে। মা স্কুলে পড়াতেন তাই বাচ্ছাদের সাইকোলজি ভাল বোঝেন। ঐ কাউন্সেলিং আর ওকে বেশী সময় দেওয়া, বাংলা বই (সুকুমার থেকে সত্যজিৎ) পড়ে পড়ে শোনান এই সব করেন।
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:৩১565903
  • ব্যাং - ওয়েল কাম, মন খুলে লিখুন- আমি পরামর্শ চাইছি, ভুল বুঝলে আমার প্রবলেমই সলভ হবে না- তাই লিখুন যা মন চায়।
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:৩৭565904
  • আকার পয়েণ্টা সত্যি-স্কুলে ও বেশী এটেন্স্যান পায়- ভাল ছাত্রী বলে। প্রতি বছর অ্যাসেম্বলীতে প্রাইজ পায়, এগুলিরও কদর করে। তাই ভাবে খারাপ ফল করলে কেউ ওকে ভালবাসবে না বা ঐ পেডেস্টালটা থেকে নেমে আসতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
    আমরা এইগুলি ডি-মিথিফাই করার চেষ্টা করি- সফল হই যে নি সেতো বোঝাই যাচ্ছেঃ(
  • Du | 127.194.195.112 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:৩৮565905
  • আমার কিন্তু ওর কিছু সমস্যা আছে মনে হচ্ছেনা। ও পড়াশোনা ভালোবাসে আর কম্পিটিটিভ এরকমই মনে হচ্ছে। কিছু বেশি গ্রুপ অ্যাক্টিভিটি করে দেখতে পারে ব্রিটিশ কাউন্সিল টাইপের জায়গাগুলো এধরনের ওার্কশপ করে রেগুলার।
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:৪৪565906
  • @Du এমনিতে সমস্যাহীন খুবই ভাল মেয়ে। কিন্তু পরীক্ষার ১মাস আগে থাকতে রাত্রে শুতে যেতে চায় না, সকাল ৪টে উঠে পড়তে বসে, বার বার প্রশ্ন করে আমি পারব তো? ফেল করলে কি হবে। আমাকে আর মায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ চায় (আমি কাউকে পারতপক্ষে প্রণাম করি না- নিও না)। এইগুলো একদম ওসিডি টাইপের হয়ে যায় - যেটা আমাকে চিন্তায় ফেলেছে।
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১০:৫৩565907
  • আমি বোধহয় বোঝাতে পারছি না। সাধারণত কোন প্রবেলেম ওর নেই, কিন্তু এই পরীক্ষাকালীন ভীতি আর ওব্শেসন আমাকে ভাবায়। উদাহরণ এবার ফিজিক্স পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যা ৬টায় আমি দেখলাম আর্কিমিডিস প্রিন্সিপ্যাল পড়ছে।আবার রাত্র ১২,৩০ শুতে যাবার সময় দেখলাম সেইটাই পড়ছে। জিঞ্জাসা করতে বললো এটা 2nd রিভিশান আর কাল সকালে পরীক্ষার আগে পুরো চ্যাপটার গুলি উনি ৩বার পড়বেন, আর তাই সকাল ৪ টে উঠতেই হবে। আমি বললাম আমরা পরীক্ষার আগে একবারই পড়তাম না ভাল করে। উত্তরে ব্ল্ললো "না বাবা এখন কম্পিটিশন বেশী, আমার বন্ধু ক এর মধ্যেই আজ ৩ বার পড়ে ফেলেছ, আমি তো পিছিয়ে আছি"।
    একে কি করে বোঝাব? জোর করতে গেলে হিতেবিপরীত হতে পারে, শুতে পাঠালে কাঁদতে শুরু করে ইত্যাদি।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:০৪565908
  • এই প্রবলেমের পূর্ব লক্ষণ আমার মেয়ের মধ্যেও দেখতে পাচ্ছি। ঃ(
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:১৩565909
  • ভারতে বাচ্চাদের বড্ড চাপ
  • pinaki | 132.164.243.160 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:২০565910
  • বাবা-মার কাছে এটা যে সত্যি একটা চিন্তার ব্যাপার সেটা বলাই বাহুল্য। আর মুশকিলটা হল ক্ষতিকারক ভাবনাগুলো এক্ষেত্রে স্কুল থেকে, বন্ধুবান্ধব থেকে রিইনফোর্সড হচ্ছে। তাই বাড়ীর দিক থেকে সচেতন থেকেও খুব লাভ হচ্ছে না। জানি না এক্ষেত্রে কি করা উচিত। নিজের মেয়ের ক্ষেত্রে হলে হয়তো পরীক্ষা টরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে এই ব্যাপারটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতাম। জিজ্ঞেস করতাম - ধরো তোমার রেজাল্ট কোনোকারণে খারাপ হল - কী ক্ষতি হবে বলে তুমি মনে কর? উত্তরটা শুনে বোঝার চেষ্টা করতাম তার অ্যাংজাইটির কারণ আর চরিত্রটা ঠিক কী। তারপর সেটা নিয়ে প্রথমে নিজেরা (মেয়েকে বাদ দিয়ে) কোনো কাউন্সেলরের সাথে আলোচনা করতাম। বাকীটা তাঁর পরামর্শমত এগোতো।
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:২১565912
  • প্পন - এখন থেকেই ভাব ভাই।আমার মত অবশ্থায় পৌঁছবার আগে।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:২৬565913
  • বিবি,
    ছেলেমেয়েদের যা কিছু অভ্যাস বা ভালোবাসা বা নেশা যাই বলুন না কেন, বড়দের চোখ দিয়ে দেখলে সমস্যা বলে মনে হয়, তার কোনোটাই কিন্তু ওদের কাছে সমস্যা বলে মনে হয় না, ওদের কাছে সেটা শুধুই ভালো লাগা বা ভালোবাসা। এবারে আমারা দুইভাবে ওদের সাথে কানেক্ট করতে পারি, ওদের ভালোলাগা/ভালোবাসাটাকে রেকগনাইজ করে সেটাকে ঠিক বলে ওদের সাথে একাত্ম হয়ে গিয়ে ওদের সাহায্য করতে পারি। আর আরেকটা হল ওরা যেটা নিজের থেকে করছে তার বাইরের পৃথিবীটাকে তুলে ধরা, ওদের কাছে।
    এবার এই দ্বিতীয় পদ্ধতির সমস্যাটা হল, ছোটদের মনে হতেই পারে, যে বাবামা আমাকে বুঝছে না, আমাকে বুঝতে চাইছে না। সে তার ভয়গুলো, টেনশনগুলো খুলে বলতে দুবার ভাববে, আর যদি বা বলেও হয়তো কিছুটা রেখেঢেকে বলবে, যাতে বাবামা আরো বেশি না ভয় পায় বা ভুল বোঝে। এতে করে ছোট মানুষটির কনফিউশন আরো একটু বাড়িয়ে দেওয়া হবে। (আমরা ওদের ভালোমন্দ নিয়ে যতটা ভাবি, ওরা কিন্তু আমাদের ভালোমন্দ নিয়ে তার থেকেও বেশি ভাবে)
    এবার আপনার মেয়ের বিপরীত মেরুতে রাখুন একটা খেলাপাগল ছোট্ট মানুষকে। হায়তো তার লক্ষ্য হল যেভাবেই হোক জাতীয় দলে ঢুকে পড়া। আর তার জন্য সে তার জীবনও বাজি রাখতে প্রস্তুত। আর তার বাবামা তার কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করছে "ওরে, অত খেলা খেলা করিস না। একটু শান্ত হয়ে বস দিকি নি! ইতিহাস বইটা কতদিন খুলিস না খেয়াল আছে?" তার বাবামায়ের মনে ভয় বাচ্চাটি যদি নিজের তৈরি করা লক্ষ্য ছুঁতে না পারে, বাচ্চাটির পৃথিবীও হয়তো টালমাটাল হয়ে পড়বে। বা সে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যে কোনো পথ নিতে প্রস্তুত।
    তো, আমি যতটুকু দেখেছি এগুলো সবই বাবামায়ের নিজেদের তৈরি করা ভয়, নিজেদের অসফলতার কষ্ট মনে করে সন্তানও যদি অসফল হয়, সন্তানও যদি খুব কষ্ট পায়। বেসিকালি, বাবামায়ের টার্গেট হল সন্তানকে কষ্ট পেতে না দেওয়া কোনোভাবেই। তো সন্তানের লক্ষ্য তার স্বপ্ন, আর বাবামায়ের টার্গেট হল স্বপ্ন ভেঙে গেলেও বাচ্চাকে আঘাত পেতে না দেওয়া। এই দুটো মেলাবার একটাই রাস্তা আমার স্বল্প বুদ্ধিতে জানা আছে, সেটা হল সন্তানের ভালোলাগা, ভালোবাসাটাকে নিজের ভালোবাসায় পরিণত করা। সন্তান অনেকটা বেশি ভরসা পাবে, আর নিজের চিন্তা-ভয়গুলো অনেক বেশি শেয়ার করবে বাবা-মায়ের সাথে।

    এবার আপনাকে একটু বকুনি দিই। আপনার ব্যাচের লোকজনের উদাহরণ দেখে কেন আপনার মেয়েকে শিখতে হবে? আপনার-আমার ব্যাচের লোকজনরা কোন হাতেমতাই? ব্যাটারা একসময়ে টপ করেছিলা, তারপরে আর সামাল দিতে পারে নি বলে, আপনার মেয়েরও এরকম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, এইটে ওকে এক্ষুনি বোঝানোর কোনো দরকার আছে কি? আমরা বাবামায়েরাই ছেলেমেয়েদের সর্বনাশের কারণ। নিজেরেআ এত বেশি জেনেবুঝে গেছি যে ওদের জানাবোঝাটাকে স্বীকার করতে চাই না। আপনার মেয়ে তার লক্ষ্যটা উঁচু তারে বেঁধেছে, আর আপনি চাইছেন সে তারটা একটু নীচুতে বাঁধুক, যাতে জীবনের ওঠাপড়া গায়ে না লাগে! এটা একটা পাতে দেওয়ার মতন কথা হল!! দুনিয়ার লুজারদের উদাহরণ টেনে এনে ওকে বোঝাতে চাইছেন - বেশি জোরে দৌড়াস নি বাপু, পড়ে গেলে বড্ড লাগে। ওকে জিজ্ঞেস করুন, ও কী করতে চায়, নিজের জন্য কী স্বপ্ন দেখছে। আর সেই স্বপ্নটার যতটা কাছকাছি ওকে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারেন, করুন। আমরা বাবামারা নিজেদের খুব বেশি সীমাবদ্ধ করে রাখি, নিজেদের দেখা উদাহরণগুলোর মধ্যে। তার বাইরে আরেকজন কোন উদাহরণগুলো দেখছে সেটা মাথাতেই রাখি না। আপনার মেয়ে হয়তো মারী কুরির থেকেও বড় বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখে, পড়াশুনো করতেই সে বেশি আরাম পায়, আর আপানি তাকে তার কামফোর্ট জোন থেকে টেনে বার করতে চাইছেন।
    আপনার জায়্গায় আমাকে রাখুন। এবার ভাবুন, আমি আমার ছেলেকে বোঝাচ্ছি, "ওরে সবাই কি আর ওয়ার্ল্ড কাপের ক্রিকেট টীমে ঢুকতে পারে! ক্রিকেটই জীবনের শেষ কথা নয়। তুই ক্রিকেটটা তো খুবই ভালো খেলিস, কিন্তু তুই ইন্ডিয়া টিমে না ঢুকলেও আমি কিচ্ছু মনে করব না। সব্বাই কি আর অত বড় ক্রিকেটার হতে পারে। ঐ দ্যাখ, নিখিল হলদিপুর, স্কুল লেভেলে তোর থেকেও অনেক ভালো খেলত, কী সব স্ট্যাট ওর স্কুল লেভেলে! কিন্তু পরে আর কিছুই করতে পারল না। রঞ্জি ম্যাচগুলোতেও তেমন কিছু করতে পারল না!" এবার আমার জায়্গায় যুবরাজ সিংয়ের মাকে রাখুন, আর ভাবুন তিনি যূবরাজের বাবার উদাহরণ দিয়ে ছেলের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার কষ্টের আঁচ কমাতে চাইছেন!! ভাবুন, আশুতোষ মুখুজ্জ্যের মা বলছেন "ওরে অত পড়িস নি, বাইরে গিয়ে ডাংগুলি খেলে আয়।" অথবা আলাউদ্দীন খাঁয়ের মা বলছেন "সারাদিন কী বাজনা বাজাস, সব্বাই কি ওস্তাদ হতে পারে! চল তোকে সেলাই শেখাই" !!! দেখুন সেই আমাদের দেনা উদাহরণগুলোই দিচ্ছি, সেই চেনা নামগুলোই বলছি, তার চেয়ে বেশি কিছু ভেবে উঠতেই পারছি না।

    আপনার মেয়ে কোথায় পৌঁছাতে চায়, তার জন্য ও কী করতে চায় সেটাও ওকে ঠিক করতে দিন, ওকে বলুন ও যাই করুক না কেন, আপনি ওকে সাপোর্ট করবেন। আর ও আপনার থেকে কী ধরণের সাহায্য প্রত্যাশা করে ওর স্বপ্নটাকে ছুঁতে, সেটা ও যাতে খোলাখুলি আপনাকে বলতে পারে, ওকে সেই ভরসাটুকু জোগান। ওর নিজের ক্ষমতার উপরে আপনি নিজেও বিশ্বাস করুন আর ওকেও বিশ্বাস করতে শেখান।

    পরীক্ষার আগের দিন সিনেমা দেখতে বলবেন না, বাইরে খেতেও নিয়ে যাবেন না। ওকে মনোনিবেশ করতে দিন। লেখাপড়ায় অত্যধিক সিরিয়াস হওয়া, কোনো অসুখ নয়, ওষুধ খুঁজতে যাবেন না প্লিজ। ও ওর নিজের পথ নিজে খুঁজে নিচ্ছে, খুঁজে নিতে দিন।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:২৮565914
  • আমার ভাইপো ক্লাস টেনে এখন। অমানুষিক চাপ, কম্পিটিশন, খেলাধূলোর কোন সিন নেই - টোটাল পুঁদিচ্চেরী অবস্থা।
  • Tim | 108.249.6.161 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:৩৪565915
  • বাবা মায়েদের চাপও কম না। প্রত্যাশা না করলে ছেলেমেয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে পারে, করলে বেশি প্রেশারাইজ্‌ড হয়ে ডিসর্ডার হয়ে যাবে।
    এর চেয়ে বোধয় সেই আগেই ভালো ছিলো। যখন চাগ্রি বাকরি কিসুই ছিলোনা, কম্পিটিশন করো আর না করো, এম্প্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে লটারির মত একটা সঃ চাঃ পেলে তো পেলে, নইলে জেবন বৃথা। এখন খুড়োর কল এসে এই এক মুশকিল হয়েছে।

    আমার এক ছাত্রীর মধ্যে এই ওসিডি টাইপের আচরণ দেখতাম। অনেকদিন আগের কথা, তখন বুঝিওনি ভালো করে। অভ্যু আর রিমিদির পোস্ট পড়ে এখন বুঝতে পারছি সে কেন একের পর এক পরীক্ষায় সব জানা জিনিস ভুল করে আসত।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:৩৪565916
  • বিবি,
    এই পাতায় যারা আপনার সমস্যা দেখে আপনার সমস্যাটাকে (একদমই আপনার সমস্যা, আপনার মেয়ের কোনো সমস্যাই নেই) সমস্যা বলে মানছে, তাদের কাউকে কাউকে আমি ছাত্রজীবনে দেখেছি, তাই তাদের উল্টো কথাগুলো বললাম। আপনার মেয়ে ভোর চারটেয় উঠে পড়ে তো কী হয়েছে, সেটা সমস্যা কেন? পৃথিবীর অসংখ্য বাচ্চা ভোর চারটেয় খিদের জ্বালায় জেগে ওঠে, কাজ খুঁজতে বেরোয়, কয়েক মাইল হেঁটে যায় , হাঁটলে তবে কাজ পাবে, তবে পেটে দুটো দানা পড়বে সেই আশায়। আপনার মাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ চায়, এটাকে আপনি এভাবে কেন দেখছেন যে আপনি যা বিশ্বাস করেন না, আপনার মেয়ে নিজের মানসিক দৌর্বল্যের পরিচয় দিচ্ছে সেটায় বিশ্বাস করে। আপনার মায়ের স্পর্শ ওকে অন্য কনফিডেন্স দিচ্ছে, সেটা ভাবছেন না কেন? নিজের বিশ্বাসের বাইরে বাকি সব কিছু কুসংস্কার, মানসিক দুর্ব্বলতা, এই ধারণাও একরকমের কুসংস্কার। বেরিয়ে আসুন। ওকে ওর মতন থাকতে দিন। ও খেতে না চাইলে ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওর পছন্দের খাবার নিজেরা খান আর ওকে ওর অপছন্দের খাবারগুলো খেতে দিন ব্রাহ্মী শাক ইত্যাদি, দেখি কেমন নিজের পছন্দের খাবারগুলো না খায়!
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:৩৯565917
  • আর আজকাল মশাই নম্বর পাওয়া বেজায় সহজ হয়ে গেছে আর তাই নিজের পছন্দের কলেজে সীট পাওয়াও আরো বেজায়রকম শক্ত হয়ে গেছে। ওর বন্ধুরাও একই দৌড় দৌড়াচ্ছে। আপনার মেয়েও দৌড়াতে চাইছে, ছিটকে পড়লে কী হবে ভেবে ওকে আস্তে দৌড়াতে বলবেন না। জদি ছিটকে পড়ে, তখন আপনি ওকে তুলে আবার দৌড়ের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেওয়ার জন্য থাকবেন শুধু সেটুকু ওকে বোঝালেই যথেষ্ট। বাকিটা ও নিজেই সামলে নেবে।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:৪৩565918
  • আর আর্কিমিডিসের সূত্র বারবার পড়া দেখে যা বুঝলাম আপনার মেয়ে বেজায় রকমের পারফেকশনিস্ট, তো তাতে আপনার এত টেনশনের কী কারণ? ওসিডি আপনার আছে, আপনার মেয়ের নয়। আপনিই বা ও কতবার কোন চ্যাপ্টার পড়ছে, তার হিসেব রাখতে যাচ্ছেন কেন? আপনি ক্যাজ বলে আপনার মেয়েকেও হতে হবে, এ কী ধরণের আব্দার রে বাবা!
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১১:৪৫565919
  • বিবি, ভেবে কিছু কুলকিনারা পাচ্ছি না। কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে যেতে হয়ত।

    যেটা অবাক করছে যে প্রথম বারেই সফল না হলে অদ্ভুত একটা হতাশা আসছে। যেমন আমি একটা ছবি আঁকলাম, এখন সেইটা সে বড়দের মত কেন আঁকতে পারছে না সেই নিয়ে কান্নাকাটি। বাচ্চাদের ছবি যে বাচ্চাদের মতই হবে, বড়রা পেন্সিল ভেঙ্গে ফেললএও যে বাচ্চাদের ছবি অনুকরণ করতে পারবে না, এমনকী নেট খুঁজে দেখানো দুনিয়ার বাচ্চারা ছবি আঁকার সময় একই রকম ভাবে কল্পনাপ্রবণ এইসব বলে কোন লাভ তো হচ্ছে না।

    এদিকে ক্লাসের রেজাল্টও খুব ভালো। ক্লাসের পড়ার ভালোই চাপ। সে নিয়ে সমস্যা নেই। সমস্যাটা আসে অন্যভাবে। ধরা যাক ক্লাসে নিউজস্টোরি পড়ে শোনাতে হবে (ক্লাস ওয়ানেই, ক্ষী চাপ!)। তো, আমরা এক এক লাইনের তিনটে স্টোরি লিখে দিলাম - ওলিম্পিক, ইন্ডিয়া-শ্রীলংকা ক্রিকেট আর ফেডেরারের উইম্বলডন বিজয় নিয়ে (তিনটেই সে টিভিতে দেখেছে, কাজেই বিষয়টা অজানা নয়)। পড়বার সময় স্বভাবতই কিছু ওয়ার্ড মনে থাকছে না কীভাবে উচ্চারণ করতে হয়, তো, আমরা বললাম ওতে কিছু যায় আসে না, কোথাও আটকে গেলে ম্যামকে জিগ্গেস করতে, ম্যাম ঠিক বলে দেবে। আমাদের ছোটবেলায় এসব কিসুই আমরা পারতাম না, ইত্যাদি।

    এসব বলাতে উল্টো এফেক্ট হল যে তাকে বলা হচ্ছে যে সে কিসুই পারে না। অতঃপর আমরা যখন রাতের খাওয়া সারছি সে পুরো সময়টা ধরে পাতাটা অন্তত দশবার পড়ল। রিভিশন করে সে যখন শুতে গেল তখন বাজে সাড়ে বারোটা।

    পরেরদিন নিজেই স্কুল থেকে ফিরে আমাকে আপিসে ফোন করে বলল সে আর আরেকটি মেয়ে বাদে কেউ পুরোটা পড়তে পারেনি। আর সারা ক্লাস ক্ল্যাপ দিয়েছে। আমি বললাম যে তুমি ট্রাই করেছ অনেকবার তাই পেরেছ, কিন্তু তুমি শুরুতে পারছিলে না বলে কাঁদছিলে কেন?

    উল্টোদিক থেকে শুনলাম - ওকে, আর কাঁদব না, প্রমিস। যদিও জানি নেক্সট টাইম ঠিক এক জিনিস হবে। ঃ(
  • | 116.209.66.187 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১২:৪৬565920
  • আমার মনে হয় সব থেকে বড় সমস্যা হল আমদের বেশীর ভাগ পড়াশুনা টাকে ভালো না বেসে শুধু পরীক্ষা পাস করে ডিগ্রী এবং চাকরী বাগানোর জন্যে করে থাকি। এর কারন কয়েক টাঃ

    ১। যোগ্য শিক্ষকের অভাব যারা ছাত্র/ছাত্রী দের ভেতরে শেখার খিদে টা জাগাতে পারবে। সব a থেকে z পড়িয়ে দেওয়া বা নোট্স দেওয়া নয়। ছাত্র দের স্বাধীন ভাবে চিন্তা করার দিকে গুরুত্ব অনেক ই দেন না। অথচ এটা খুব গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

    ২। প্রশ্নের ধরনঃ আমরা যখন পড়েছি বর্ননা মূলক প্রশ্ন অনেক থাকতো। চোখ বুঁজে মাধ্যমিকের ইতিহাস প্রশ্ন মনে করতে চেষ্টা করলাম। ব্রেক আপ ট এই রকম ছিল ১* ৯ = ৯; ৩*৫ = ১৫,৯*৬ = ৫৪, ১* ১২ = ১২ । এক্ষেত্রে আমাদের সত্যি কথ বলতে ভালোবেসে পড়ার সুযোগ ছিল না। পাতি গাঁথানো। এই রকম অনেক বিষয়েই ছিল।

    তবে আশার কথ এখন দ্রুত পরিবর্তিন ঘটছে এই ধরনের প্রশ্নের ধরনের।

    ৩। আগে বেশীর ভাগ বাবা মা র একাধিক সন্তান থাকতো। প্রত্যেক ছেলে মেয়ে দের প্রতি টা খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর দেওয়ার সময় বাবা মা ছিল না। অব্শ্য কম্পিটিশ্যান ও এত তীব্র ছিল না যে একটা ক্লাস টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে চাপ হতে পারে। সে দিন থেকে দেকলে আজ কাল কার বাবা মা রা অনেক বেশী কনসার্নড। হয়তো তাদের উপায় ও নেই।

    আরো কটা পয়েন্ট আছে পরে লিখবো।
  • bb | 24.96.60.0 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১৫:৪৪565921
  • বাং এই আউটসাইড ইন ভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ। পরে বড় করে লিখব, কিন্তু এটা আমাকে অন্যভাবে ভাবাতে শেখাল।
  • a | 75.204.229.11 | ২৮ জুলাই ২০১২ ১৫:৫৮565923
  • ওকে বলুন, পরীক্ষা খারাপ হলে ওয়ার্স্ট কি হতে পারে, মজা করেই বলুন, কিন্তু ও যেন বুঝতে পারে যে এটাই শেষ নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন