এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরীক্ষা ভীতি দূর করার ঊপায়- মতামত জানান

    bb
    অন্যান্য | ২৭ জুলাই ২০১২ | ৯২৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৪৮565616
  • ডিজর্ডার বলে কিছুতেই মানতে পারলাম না। তাহলে আমাদের জীবনের আরো বহু কিছুকেই ডিজর্ডার বলে মানতে হয়।
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৪৯565618
  • ভিবি, একদম একমত।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৪৯565617
  • আর কার মাথা কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে এই স্ট্রেস নেবার ফলে, সেটাও একেকজনের থেকে একেকজনের ভিন্ন ভিন্ন রকম।
    এক তুতো মামা একবার বলছিলেন তিনি তার শ্বশুরবাড়ীর আত্মীয় এক খুব পড়াশুনোয় ভালো ছেলেকে দেখেছেন, সেই ছেলে নাকি পড়ার চাপে বেঁটে হয়ে আছে। তখন সেই ছেলে ক্লাস টেনে পড়তো। পরবর্তীকালে সেই ছেলের শুনেছি রীতিমতন মানসিক চিকিৎসার দরকার হয়েছিলো।
    এগুলো রীতিমতন সাংঘাতিক ব্যাপার।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৫১565619
  • রিমি রে, এই অ্যাংজাইটি আর ইনসিকিউরিটিতে আমিও কম ভুগি নি রে। এই দুটোর কামড় যে কী জিনিস সে আমি ভালোই জানি। ওষুধ খেয়েও লাভ হয় নি।
    কিন্তু এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, মেয়েটি একটু বেশি রিঅ্যাক্ট করলেও সেটা ডিজর্ডার বলা বা অসুখ বলাটা খুবই বাড়াবাড়ি।
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৫৩565620
  • ডিজর্ডার বলবি কি বলবি না সেইটা অন্য ব্যপার। তবে অশান্তি হয় এসব থেকে, সেইটা সত্যি। ছোটোবেলায় তত বোঝা যায় না। বড় হয়ে ক্লোজ রিলেশনশিপগুলোতে সমস্যা শুরু হয়। অন্তত আমার তাই হয়েছে। আর হবার পরে বিভিন্ন বই টই পড়ে আর কাউন্সেলার টেলার দের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পরিষ্কার বুঝলাম যে পারফর্ম্যান্স-ওরিএন্টেড পরিবেশে বড় হবার ফলে অ্যাংজাইটি আমার মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে, আর তার প্রভাব সব ব্যপারেই পড়ছে।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৫৫565621
  • এই মূল জায়্গাটার গোড়া ধরে টান না মারলে রোগ সারবে না। আস্তে আস্তে হলেও এই গাঁতানো ব্যব্স্থার কোনো বিকল্প তৈরী করা দরকার। কারণ আজ একজনের কথা জানছি, আরো বহু ছেলে ও মেয়ে হয়তো খুব চাপা, তারা ভুগছে আর বলছেও না। সবক্ষেত্রে বাবামাও সতর্ক থাকেন না, হয়তো তারা ব্যস্ত, সেসব ক্ষেত্রে ধরাও পড়ছে না কিশোর ছেলেটি বা কিশোরী মেয়েটি কতটা স্ট্রেস এর মধ্যে আছে।
    আমাদের স্কুল ব্যাচেরই তো বেশ কয়েকটি মেয়ে স্ট্রেস রিলেটেড অসুখে মারা যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো কিছু করার ছিলো না, রোগ ব্যধির উপরে কার বা হাত আছে, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা নিজের হাতে নিজেরা মরেছিলো। অথচ জীবন তখনও তাদের শুরুই হয় নি ভালো করে, মাত্র পনেরো বছর বয়স।
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৫৭565622
  • গত বছর সামার থেকেই আমি এই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি, মানে করতে বাধ্য হয়েছি। এই সামারে কাউন্সেলিং নিতে শুরু করলাম। স্ট্রেস আর অ্যাংজাইটি থেকে আমি সবসময় রিঅ্যাক্ট করতাম, সেগুলো এখন কমানোর চেষ্টা করছি। এই স্ট্রেস আর অ্যাংজাইটির জন্যে আমার বাবা মা, বাড়ির পরিবেশ, স্কুলের পরিবেশ, আত্মীয় স্বজন সবকিছুই দায়ী। কারণ সব ক্ষেত্রে সবাই আমার অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের উপরেই জোর দিয়েছে, আমার রিয়েল আইডেন্টিটি নিয়ে কেউ কখনো ভাবে নি, আমিও না।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০০:৫৯565623
  • কিন্তু আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারছি না, আমরা আমাদের বড় হওয়ার সঙ্গে এর বড় হওয়াটাকে গুলিয়ে ফেলছি কেন। আমরা জেসময় স্কুলে পড়েছি, কমবেশি প্রায় সব্বর উপরেই বাড়ির থেকে চাপ থাকত ভালো রেজাল্ট করার। জারা ভালো রেজাল্ট করত, তাদের উপর চাপ থাকত আরো ভালো করার। এক্ষেত্রে মেয়েটির উপর বাড়ির থেকে কোনো চাপ নেই, মেয়েটি নিজে লেখাপড়াটাকে ভালোবাসে বলে আরো ভালো করতে চাইছে। এক্ষেত্রে আমার ছেলের ক্রিকেট ভালোবেসে আরো বেশি ভালো খেলতে চাওয়া বা দুয়ের ছেলের ফুটবল ভালোবেসে আরো ভালো ফুটবল খেলতে চাওয়ার মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? এটা কি আমাকে বোঝাতে পারিস রিমি? আমার ছেলে যেসব জামা পরে খেলতে নামে প্রায় সব কটায় মার্কার দিয়ে ৩৩৩ আর ১৮ লেখা আছে (ক্রিস গেইল আর কোহলির জার্সি নম্বর), এটার সাথে বিবির মেয়ের পরীক্ষার আগে বাবা-মাকে প্রণাম করা কোথায় আলাদা। এখন আমি এগুলোকে বলি ছেলেমানুষি আর সেটা জদি তোরা বলিস ডিজর্ডার, তাহলে আলাদা কথা।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:০০565624
  • যেসময়, যারা, যে, যদি, সব্বার
  • a x | 109.50.243.38 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:০৯565627
  • ব্যাং, *শুধু* পড়াশোনা করতে ভালো লাগলে, একজন (বাচ্চা ও বুড়ো) সকাল চারটেতে উঠে একই জিনিস যা আগে পড়া তা তিনবার পড়েনা। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডিনায়াল বড় রকমের ক্ষতি করে। ভুরি ভুরি উদাহরণ দেখেছি।

    আর আগে ফার্স্ট হত পরে সেরকম কিছু করতে পারেনি মানে তাকে লুজার আখ্যা দেওয়াটাও কিঞ্চিত প্রবলেমের।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:০৯565626
  • খুব সোজা বোঝা। ব্যাঙাচি বেকহ্যামের মত ফ্রিকিক এখনই মারতে পারে না বলে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় না। খেলাটাকে সে আনন্দ হিসেবেই নেয়।

    (কান্নাকাটিটাকে আমার মেয়ের সাপেক্ষে বললাম। বিবির মেয়ে কী করে সেইটা বিবি বা বাচ্চাটির মা এরা ছাড়া ঠিক করে কেউ বলতে পারবেন না)
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:১০565628
  • যাগ্গে, আমার কথা বাদ্দাও।

    স্ট্রেস রিলেটেড সমস্যা অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। রিসেন্টলি এখানে একটি ভারতীয় (দক্ষিণ) ছেলের খবর পেলাম। ছেলেটির জন্ম শিক্ষা সবই আমেরিকায়। কিন্তু ভারতীয় পরিবারে যা হয়, ছোটো থেকেই পারফরম্যান্সের চাপ। ছেলেটি জর্জিয়া টেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেল স্কলারশিপ নিয়ে, দুই সেমিস্টার বাদে তার গ্রেড নামতে লাগল, সম্ভবত একটা দুটোয় ফেলও করেছিল, সে সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিল। তারপরে বাড়ি ফিরে এল। এখন কারুর সঙ্গে কথা বলে না, ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। বাবা মা এখন কাউন্সেলিং করাচ্ছে তাকে।

    আরো একটি ভারতীয় মেয়ের সঙ্গে কথা হল দুমাস আগে। মেয়েটি এখন হাইস্কুলে পড়ে। তারও বাড়িতে সেই একই এক্ষপেক্টেশনের চাপ। সেই মেয়েটি আমাকে একটা দামী কথা বলেছে। বলেছে যে তার বাবা মা সবসময়ে তাকে ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তুলনা করে, কিন্তু বাবা মা এইটা বোঝে না যে সেই ছাত্রছাত্রীরা খুব লাভিং আর সাপোর্টিং ফ্যামিলি থেকে এসেছে। তারা যদি আর্ট বা ইতিহাস নিয়ে পড়তে চায়, কিম্বা এপি ক্লাস নিতে না চায়, কিম্বা ভালো গ্রেড না পায়, তাদের বাবা মায়েরা কখনো তাই নিয়ে কোনোরকম রিঅ্যাক্ট করবে না, দে উইল বি ওকে উইথ দ্যাট।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:১৩565629
  • আমি একজনের কথা জানি, সে ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস টুয়েল্ভ অবধি মারাত্মক পরীক্ষাভীতিতে ছিলো, পরে কলেজে গিয়ে সেটা ডিজর্ডার ই দাঁড়িয়েছিলো প্রায়, সেই মেয়ের ২৪ বছর বয়স অবধি মান্থলি সাইকল অবধি রেগুলার হয়নি, এতটাই স্ট্রেস ছিলো ভিতরে ভিতরে। কোনোবার ছয়মাস পরে পরে কোনো বার তিনমাস পরে পরে হোতো।
    সবকিছু তার রেগুলেটেড হোলো নিজের সমাজ পরিবেশ লোকজন সব ছেড়ে বহুদূরে চলে যাবার পর। ২৫ বছর বয়স থেকে সে হিউম্যান বিইং এর জীবন যাপন করতে শুরু করতে পারলো, তার আগে অবধি ছিল রোবট-জীবন।
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:১৪565630
  • এই উদাহরণ গুলো এমনি বল্লাম, স্ট্রেসের প্রব্লেম হিসেবে।

    বিবির মেয়ের সম্পর্কে আমি তো বিশেষ কিছু জানি না। কিন্তু বিবি যা লিখেছেন তাতে আমার এইটা পুরোপুরি অ্যাংজাইটি জনিত স্ট্রেস মনে হয়েছে, এইটা ব্যাঙাচির ফুটবল খেলা থেকে আলাদা,।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:১৫565631
  • রিমি, আমি ঠিক এটাই বলতে চাইছি। এক্ষেত্রে তো মেয়েটির উপর ভালো করার জন্য কোনো চাপ নেই তার বাড়ির থেকে। পড়াশুনা নিয়ে সিরিয়াস হাওয়াটা তো মেয়েটির নিজের চয়েস।
  • pi | 82.83.90.116 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:১৯565633
  • ব্যাঙদি, আমার পোস্টটা পড়েছিলে ? আমি তো লিখলামই, বাড়ি থেকে সেভাবে চাপ না দেওয়া হলেও, নিজে বেছে নিলেও চাপ হয়? আর তখনও অতটা নয়, কিন্তু কোনোভাবে বেরোতে পারলে, ফিরে দেখে সেটা বোঝ যায়। আফশোসও হয়।
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:১৯565632
  • নিজের চয়েস হলে ভালই। তবে ক্লাস নাইনের পক্ষে একটু বেশিই সিরিয়াস। ঠিক নর্ম্যাল রেঞ্জের মধ্যে নয় বলেই মনে হচ্ছে ব্যপারটা, অন্তত বিবি যা লিখেছেন।
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:২০565634
  • বাচ্চারা অংক, ফুটবল, ছবি আঁকা, কম্পুটার পার্ট্‌স করছে --- আর, ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার স্যাপার - সিনেমা, টিভি, ম্যাগাজিন, গেম্‌স, ডিগবাজি - এসব ব্যাপারে কারো মন নাই।

    বাচ্চারা বড্ডো সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে, ওদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে....
  • rimi | 85.76.118.96 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:২৩565637
  • আমি যতটুকু বুঝি, লেখাপড়ার প্রতি ভালোবাসাটা অন্য জিনিস, যেটা ভিবি বলল।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:২৩565635
  • আমার উল্লেখ করা উপরোক্ত উদাহরণে মেয়েটির উপরে বাবা মায়ের চাপ ছিলো না, তারা সাধারণ কিছু এক্সপেক্টেশন ছাড়া কিছুই কোনোদিন করেন নি ওর থেকে, বাই চান্স নম্বর কম হলে কোনো বকেন ও নি, কিন্তু সেই মেয়ে তা সত্ত্বেও স্ট্রেস এ থাকতো, কারণ চারপাশের দুনিয়া থেকে চোখ বুজে থাকবে কী করে? সেখানে তো একটু ভালোরাই এক টিচারের ভাষায় "বুস্টার ডোজ" নিয়ে দৌড়াচ্ছে, বহুরকমের স্ক্রীনিং টেস্ট চারপাশে অপেক্ষা করছে, টাকাকড়িও ইনভল্ভ্ড। এটা শেষ অবধি তো একজন সন্তানের কাছে তার বাপমায়ের দায়িত্ব ও এক্সপেক্টেশন থাকে না, শেষ অবধি সমাজ এসে পড়ে। "ফেইলিওর ইজ নট অ্যান অপশন", নীরবে এই কথাই তো বলে যাচ্ছে সব ইভেন্ট। সতর্ক মানুষের মাথা এই সিগ্ন্যাল অগ্রাহ্য করবে কী করে?
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:২৫565638
  • অক্ষ,
    বিবির ব্যাচের টপারদের সম্পর্কে যা লিখেছিলাম সেটা কপি পেস্ট করি "ব্যাটারা একসময়ে টপ করেছিলা, তারপরে আর সামাল দিতে পারে নি বলে, আপনার মেয়েরও এরকম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, এইটে ওকে এক্ষুনি বোঝানোর কোনো দরকার আছে কি?"
    এর কয়েক লাইন পরে লিখেছিলাম "দুনিয়ার লুজারদের উদাহরণ" ইত্যাদি। মধ্যিখানে অন্য দু-চারটে কথাও বলেছিলাম।
    এখন কাকে লুজার আর সফলদের তুলনামূলক আলোচনায় যেতে ল্যাদ লাগছে। পরে অন্য কোনো সময়ের জন্য বিশেষ এই তক্কোটা মুলতুবি রাখলাম। আর তোমার শেষের লাইনটাও ততদিনের জন্য মেনে নিলাম।
  • pi | 82.83.90.116 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:২৬565639
  • আর তাছাড়া, ওর অতিরিক্ত উদ্বেগের কথা তো লিখেছ্নই । একেবারে স্টেডি না থাকতে পারা। নিজের উপর অনফিডেন্স না রাখতে পারা ( অথচ যেটা না থাকার কোন কারণ নেই) নইলে আর এত কথা আসতো কেন, উনি এখানে লিখতেনই বা কেন, অন্যরাই বা কে কী বলতো।
    আর বিশুদ্ধ 'বাই চয়েস' বলে কিছু আইডেন্টিফাই করা সহজ কি ? সোশ্যালি ক্কী করে বলা যায়, এটা সোস্যালি কন্ডিশন্ড নয়, ওর আশেপাশে ও যা যেভাবে দেখছে, তাই দিয়ে, এটা প্রভাবিত নয় ? সে সব কিছুই কোন না কোন ভাবে প্রভাবিত করাই, বাবা মা উল্টোঅটা বল্লেও, কিন্তু অন্য অপশনগুলো ওকে জানাতে অসুবিধা কীসের ? ওকে তো ওভাবে পড়া না করার জন্য জোরজার করা হচ্ছে না। ওকে অসুস্থও বলতে বলা হচ্ছে না। ওর সামনে একমাত্র যে জীবনটার ছবি সামহাউ খাড়া হয়ে রয়েছে, তার অন্য শেডগুলোও দেখনোর কথা বলা হচ্ছে। এটুকুই তো।
  • VB | 161.141.84.221 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩১565641
  • এই গাঁতানো ব্যবস্থায় যতদূর বুঝি কারুর যদি সত্যি সত্যি ই কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ উৎসাহ থাকে, ভালোবেসে যেটা সে শিখতে চায়, জানতে চায়, সেটা নিয়ে পড়ে থাকতে চায়, সেই বিষয়ে নতুন ধরনের চিন্তা ও কাজ করতে চায়---সেই ভালোবাসার গোড়া মেরে দেওয়া হয় প্রথমেই। তারপরে গাঁতানো, খাতায় ঢালা, নম্বর--এই চক্র। কারণ জানা র জন্য ও কাজের জন্য তো পড়া নয়, পড়া তো নম্বরের জন্য, আর সেই নম্বর হোলো মোটা টাকার চাকরির জন্য। যে যত মোটা টাকার চাকরি করবে, সে তত "সফল"। সাফল্যের এই ডিফিনিশন জেনে বা অজান্তে মাবাবারাই রোপণ করে দেন, কারণ "ভালোবেসে পড়েশুনে" তুই যদি ফেকলু ফকীর হয়ে রইলি, তবে নাফা হলো কোথায়?
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩১565640
  • আর হাল্কা করে ডিজর্ডার সবারই থাকে। পরিবেশ, সমাজ, অর্থনৈতিক চাপ, কর্মক্ষেত্র বা গৃহস্থালীর চাপ, পরিবারের বাকিদের এক্সপেক্টেশন সব কিছুই এর জন্য দায়ী। সবকিছুর সুষম ব্যালান্স আর কার মধ্যেই বা থাকে।

    কিন্তু একটা থ্রেশোল্ডের পরে সেইটা চলে গেলে স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায়। তখন সেইটা নিজেকে তো অ্যাফেক্ট করেই, একটা পর্যায়ের পরে যাদের সাথে ওই নিকট সম্পর্ক তাদেরও সেই এক্সট্রিম বিহেভিয়ার ধীরে ধীরে গ্রাস করতে থাকে।

    তো, বলার কথা এইটাই যে ডিজওর্ডার মানেই এক্সট্রিম বিহেভিয়ার নয়। তবে সন্দেহ হলে সেইটার জন্য প্রফেশনাল (বোল্ড এন্ড আন্ডারলাইন্ড) কাউন্সিলরের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো এবং সেইটা যত আগে হয় ততই ভালো। আর হ্যাঁ, ছোট এবং বড় সবার জন্যই ব্যপারটা সত্যি।

    আর যার ডিজওর্ডার এক্সট্রিম লেভেলে চলে যাচ্ছে বা যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে তার পক্ষে ব্যপারটা বুঝতে পারা এবং অনেক সময়ই স্বীকার করাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই তার সাথে যাদের নিকট সম্পর্ক তাদের ব্যপারটা নিয়ে ভাবনাচিন্তাটা শুরু হয়। আগে এসব হলে পাতি কেলাত (বয়সে ছোটদের), যেন কেলালেই ব্যপারটা নন-এক্সিস্টেন্ট হয়ে যাবে, এখন আশার কথা সেইভাবে অনেকেই ভাবে না।

    ডিঃ এতসব কথা বিশেষ কেউ ডিজওর্ডারের রোগী এমনটা ভেবে বলা নয়। জাস্ট এ বিষয়ে আমার যা মনে হয় তাই লিখলাম।

    জয়হিন্দ। ঃ)
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩২565642
  • দেখানো তো হয়েছে, দেখিয়েও কি কোনো লাভ হয়েছে? তাকে নিজের ইচ্ছের বাইরে সরানো গেছে কি? পরীক্ষার আগের রাতে কেইই বা নিজের উপর কনফিডেন্স রাখতে পারে? একটা মেয়ে নিজের তৈরি পড়া বারবার করে পড়ে শিওর হতে চাইছে, সে নিজের কাজটা থিকমতন করছে, কোথাও কোনো ফাঁক রাখছে না। সেটাকে অ্যাংজাইটি যদি বা বলতে পারি, ডিজরডার বলে কিছুতেই মানব না। আর আমারা সবাই আমাদের দেখা খারাপ কেসগুলোর উদাহরণ তেনে এনে ইন্ডাক্শন লাগিয়ে বলে দিচ্ছি এও এভাবে চলতে থাকলে পরে সমস্যা হবেই হবে। আমাদের দেখা সেটের বাইরেও কিছু হতে পারে, সেই অপশনটাকে মাথাতেই রাখছি না।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩৩565644
  • আমার আগের পোস্ট পাইয়ের উদ্দেশ্যে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩৩565643
  • কিন্তু, কথা হল, যা আমি নিজের মত থেকে ভালোবেসে করি, যা এনজয় করি, তা নিয়ে এত চাপ, এত টেনশন কেন হবে, এত ভয় ই বা কিসের, এত চিন্তাই বা কিসের।
    সত্যিই কি নিজের মন থেকে ভালোবেসে? নাকি ভালোবাসি শুধু ১০০-য় ৯৯ পেতে?

    তোপসে, অনেক প্রশ্ন রে, অনেক প্রশ্ন....
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩৫565645
  • শচীন তেন্ডুলকর আজও, এত বছর পরেও, প্রতিটি ম্যাচের আগে সবচেয়ে বেশি সময় নেটে কাটান, পুরো টীমের মধ্যে।
  • ব্যাং | 132.167.94.77 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৩৬565646
  • প্পনের শেষ পোস্টের ইঙ্গিতগুলো বড্ড বেশি স্পষ্ট। এতটাই স্পষ্ট যে উত্তর দিতে ইচ্ছে করছে না।
  • প্পন | 122.133.206.25 | ২৯ জুলাই ২০১২ ০১:৪০565648
  • সেইটা মনে হলে আর কী করা যাবে। সব মিলই কাকতালীয়।

    আর মাক্কালি, কাউকে বলার হলে আমি সোজাসুজিই বলি। যেমন 11:47 PPM-এর পোস্টে বলেছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন