এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মারুতি কারখানা ঃ কী হয়েছিল

    পাই
    অন্যান্য | ১৯ জুলাই ২০১২ | ৮৬৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pinaki | 148.227.189.8 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:২২566725
  • রঞ্জনদা, 'আপডেটে অসমর্থ' দেখালে বিশ্বাস করবেন না। মামুর কল একটু বেশী বিনয়ী হয়ে পড়ে মাঝেমধ্যে।
  • h | 213.99.212.54 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:২৪566727
  • অসমর্থ কিন্তু তিনবার করেছে...এই যে রঞ্জনদার লিটল ন্যাক ফর অবসিনিটি, আই অ্যাম শিয়োর এই জায়্গাটাই কাবলে দার সবচেয়ে ভালো লাগে, অ্যাপার্ট ফ্রম আটার হনেস্টি , ইন্টিগ্রিটি, হিউজ রিডিং অ্যান্ড আদার বোরিং থিংস ;-)

    জাস্ট ক্যাওড়া করলাম
  • pinaki | 148.227.189.8 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:২৪566726
  • রঞ্জনদা, আপনিও বিনয়ী হয়ে পড়লেন যে। ওটা তিনবার নয়। ছবার হয়েছে। :-)
  • pi | 82.83.90.116 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:২৭566728
  • উঁহু। ছ'বার ঃ)
  • ranjan roy | 24.96.126.26 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:২৮566730
  • হনু,
    ঠিক কথা। এ'সব সত্ত্বেও, given a chaance, আমি কোনো সেন্ট্রাল ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে চাইব। ওদের ফোরসাইট ও মালিকদের প্যাঁচ-পয়জার, লেবার কমিশনারদের নাটক, সব নিয়ে অভিজ্ঞতা বেশি।
    এই নতুন ইউনিয়নের জন্যে আমার খালি নিজের প্রথমজীবনের আনাড়িপনার কথা মনে পড়ছে, অনেক বেশি রিলেট করতে পারছি।
    আমাদেরও চাকরির শর্ত অনুজায়ী কিছুই দেয়া হচ্ছিল না। তিন বচর ধরে মেডিক্যাল, এইচ আর এ কিছুই না। যদিও অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে এসব কিছুই ছিল। খালি ঘোরাচ্ছিল।
    শেষে যখন বোর্ড মিটিংএর সময় মেম্বারদের ঘেরাও করে রাখলাম তারপর যা হল--। ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিলের বয়োবৃদ্ধ নেতা( সিপিআই) বলেছিলেন-- বিছে কামড়ালে কি করতে হবে সেই মন্তর জানা নেই, সোজা সাপের গর্তে হাত ঢুকিয়ে দিলে?
    সিপিআই/সিটু'র বক্তব্য নিয়ে কোন কনফিউশন নেই।কমরেড শ্যামের বক্তব্যেও সেই কথা প্রকারান্তরে উঠে এসেছে।
  • h | 213.99.212.54 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:৩৪566731
  • মানে পাশ্চিম বঙ্গের বাইরে বলে কি এই অ্যাটাচ্ড হওয়ার জন্য কনফিডেন্স টা বেশি, অ্যাজ অ্যান অ্যাসাইড? ;-)
  • ranjan roy | 24.96.126.26 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:৫৩566732
  • হনু,
    বাংলা ও হিন্দি ভাষার নিরীহ মিসইউজ ( ইকবাল বানুর বিখ্যাত গজলে "মাসুম গুনাহ") আমার ইউ এস পি!
    ইংরেজির দুর্দশার কথা আর নাই ব্ল্লাম।
    সেবার ব্যাংক তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হবে। সেই কম্পিউটারহীন হাতে-লেখা ব্যাংকিংয়ের পাষাণ যুগ।
    আমি মেয়েটিকে ভাউচার গুলো চেক করে ফাইনাল এন্ট্রির জন্যে দিচ্ছি, কাটাকুটি না করে তাড়াতাড়ি লিখতে বলছি। তবু ওর কিছু কাটাকুটি ওভাররাইটিং চোখে পড়ল। তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বল্লাম-- ফির তুম পেল দিয়ে? অউর কিতনী টাইম লাগাওগী?
    -- নহি স্যার, নহি পেলি হুঁ। অউর আপ ইতনে ধীরে ধীরে দেতে রহেঙ্গে তো ম্যাঁয় ক্যা করুঁ?
    ( না স্যার! কিছু ঢুকিয়ে টুকিয়ে গন্ডগোল করিনি। আর আপনি এত ধীরে ধীরে দিতে থাকবেন তো আমি কি করব?)
    আমার দুই সহকারী অফিসার মুখে রুমাল চেপে বাইরে বেরিয়ে গেল। পরে ওরা আমাকে বোঝাল যে ছত্তিশগড়ি ককনিতে প্রযুক্ত "পেলনা"র মানে পুশ করা , আর পেনিট্রেশনও। আমি উদাস চাউনি দিলাম।
  • ranjan roy | 24.96.126.26 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৬:৫৫566733
  • হনু,
    হয়তো।
  • maximin | 69.93.219.183 | ২৪ জুলাই ২০১২ ১৭:২১566734
  • সাস্পেনশন তুলে নেবার দাবিটা ইমিডিয়েট দাবি ছিল, দাবিটা এসেছিল সেদিনকার ঘটনার ফলে। কিন্তু বৃহত্তর সংগ্রাম আগে থেকেই চলছিল, যার মধ্যে দুটো প্রধান দাবি হল ছুটির মাইনে না কাটা এবং মাইনে বাড়ানো। দুটো দাবি পরস্পর রিলেটেড। কারণ মোট মাইনের একটা অংশ ফিক্সড, অন্য অংশ রাখা থাকে 'ইন্সেনটিভ' হিসেবে -- ছুটি নিলে কাটা যায়।

    মালিক পক্ষের বক্তব্য হল শ্রমিক ইউনিয়নের লেটেস্ট দাবি ছিল এখন যারা ১৭ হাজার টাকা পায় তাদের মাইনে ৩৫ হাজার করতে হবে আর মালিক পক্ষের অফার ছিল ১০ হাজার বাড়ানো হবে কিন্তু খেপে খেপে, প্রথম বছরে ৬ হাজার ও তারপর প্রতি বছর দুহাজার করে।

    সকলে তো ১৭ হাজার পায় না। কেউ কেউ ৭ হাজার পায়। এই ৭ হাজারেরও একটা অংশ ফিক্সড অন্য অংশ 'ইন্সেন্টিভ"। মালিক পক্ষ এদের পাকা চাকুরে বলে মনেই করে না তো কমিট কী করবে? মিনিমাম ওয়েজেস আইন মেনে চললেই হল। কিন্তু ৭ হাজার পাওয়া লোকদের জন্যে মারুতি ইউনিয়ন কত টাকা বাড়ানোর দাবি করেছিল?
  • pi | 82.83.90.116 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:০৫566735
  • নানা শ্রমিক ও অন্যান্য গণ সংগঠন থেকে মেমোরাণ্ডাম।

    To

    The Residence commissioner
    Haryana Bhawan , Govt. of Haryana
    Copernicus Marg, New Delhi

    Sub: - Memorandum on behalf of Mass Organizations in solidarity with workers of the Maruti Suzuki Workers Union (MSWU)

    Sir,

    As you are aware with the recent developments in the Manesar Plant of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd. in which 91 workers have been arrested and many others have been detained. One H.R. manager has died and hundreds of workers and other managerial Staff have suffered grievous injuries.

    The incident shows total apathy from the state government, its labor department, civil as well as police administration towards worker’s cause. Workers are facing tough time due to highhanded approach of maruti management, who is in clear connivance with state government and its labor department and they are entirely responsible for the prevailing industrial relations in the manesar unit of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd.

    The incident of 18th July is one stark example of management manipulation to push the worker in corner. In the afternoon of 18th July, a supervisor in the shop floor abused and made castist comments against a dalit worker of the permanent category, which was protested by the worker. Instead of taking action against the said supervisor, the management immediately suspended the worker concerned without any investigation as was demanded by the workers. When the workers along with Union representatives went to meet the HR to demand against the supervisor and revoke the unjust suspension of the worker, the HR officials flatly refused to hear worker’s concern. The management’s attitude was quite clear: they were in no mood to resolve the issue amicably. They had another nefarious design in their mind. More than 150 bouncers (private goons on the roll of management) were called from outside the plant to attack the workers. They blocked the ingress and
    out-gress of the plant with clear motive to attack the unarmed workers. This is criminal act on part of the management which must be condemned and immediate cognizance of the issue must be taken by those who are responsible for bringing out industrial peace. The move of the management caused fear in the mind of workers and chaos prevailed over efforts of worker’s union to arrive on an amicable settlement.

    In melee one executive from HR department died due to suffocation caused by smoke generated through fire set by the bouncer (As per cause of death ascertained in MLC/postmortem report).

    As alleged by Maruti Suzuki Workers Union (MSW), the bouncers brutally attacked the workers with sharp weapons and arms. It has been further alleged that they were joined by some of the managerial staff and police who brutally beaten up a number of workers who have been hospitalized with grievous injuries. Maruti Suzuki Workers Union (MSW) has further alleged that bouncers also destroyed company property and set fire to a portion of the factory.

    The incident of 18th July 2012 is not an isolated incident of industrial chaos prevailing in Manesar plant of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd. It would be totally absurd to blame workers for the same. Since a long time the workers were demanding recognition and registration of their union which is their legal right guaranteed under Indian constitution. However management is not ready to give them even inch of space for their right of association and making collective demand for improvement of their working conditions. Labor department, local police as well as civil administration are also on the management side making the workers condition vulnerable. Workers of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd. have been burdened with 103 point, code of conduct which is unique in its nature and alien to the industrial atmosphere where worker is held responsible for violation of code of conduct, if he spent 2 more minutes during urinating or do not wear good looking clothes. It
    is pertinent to mention here that generally there are 10 to 20 code of conduct in other industrial unit. Management often try to break the unity of the workers and for that purpose keep conspiring. The incident of 18th July is result of management’s nefarious design. It must be checked immediately, otherwise situation may worsen in future.

    it is pertinent to mention here that the management side is getting strength from anti-worker economic policy of government of India toed by government of Haryana. There is undeclared abandonment of existing labour laws once promulgated under pressure of national and international labor movement. Policy of hire and fire, contractualisation, casualisation has become norms. Labor department and state government is well aware with the rampant violation of labor laws in these companies like other industries situated in Gurgaon, however they do not feel any necessity to intervene in the matter to check the super exploitation of workers by the management. Contrary to their administrative responsibility assigned under the law of the land, they are hobnobbing with the management and resorted to repress the workers movement.

    Haryana government claims that it has gone ahead with industrialization of the state, however we have found that these are hell for the workers. No job security, no wage norm, no labor law and sheer exploitation of the workers are only norm in these industrial areas of Haryana.

    We undersigned organizations feel that the management of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd. Is entirely responsible for18thJuly incident. We also condemn aftermath police action on innocent workers and demand that:-

    1. An independent inquiry by reputed agency of India is constituted immediately to inquire into the whole incident including the role of management in 18th July incident.
    2. Security in-charge of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd. be interrogated to get the whereabouts of bouncers involved in the incident of 18th July 2012 and they must be arrested immediately.
    3. Managerial staff responsible for employing bouncers must be arrested immediately.
    4. Innocent workers who have been falsely implicated in this case be released immediately and witch hunt of workers be stopped immediately.
    5. The labor minister of Haryana Government should resolved the labor dispute by calling a meeting of Maruti Suzuki Workers Union (MSWU) and management of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd.
    6. Restore labor laws in Maruti Suzuki India Pvt. Ltd as well as in other industries in Haryana.
    7. F.I.R. under S.C./S.T. prevention of atrocity act be registered against supervisor who have made castist abuse against worker.
    8. The suspension of worker who is also a victim of castist abuse be revoked immediately.
    9. Workers of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd who have got grievous as well as simple injury be compensated proportionately by the management of Maruti Suzuki India Pvt. Ltd.

    All India Federation of Trade Unions (New), Inqlabi Mazdoor Kendra, Krantikari Lokadhikar Sangathan, Krantikari Naujawan Sabha, Krantikari Yuva Sangathan, Mazdoor Patrika, Mehnatkash Mazdoor Morcha, Mazdoor Ekta Committee, Shramik Sangram Committee, Bigul Mazdoor Dasta ,National Confederation of Human Rights Organisations, People’s Union for Democratic Rights, People’s Front, Peoples’ Democratic Front of India, Pragatisheel Mehnatkash Mazdoor Morcha, Pragatisheel Mahila Ekta Kendra, Radical Notes, Students For Resistance, Mission Bhartiyam, Sanhati-Delhi, Jati Unmulan Andolan, Shramik Duniya, Vidyarthi Yuvjan Sabha,

    http://sanhati.com/articles/5332/
  • pi | 82.83.90.116 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:১১566736
  • সেদিনই বল্লো মাওবাদী জুজু অন্ততঃ এখানে দেখছে না, আজ ইঃ টাঃ এর খবর Red flag for India Inc: Maruti's Manesar woes may be part of a wider Naxal plan ঃ)

    ..."There is enough documented information which reveals that trade unions are the new hunting grounds of Maoists. If we get good evidence that there was indeed a Maoist link to the Maruti violence, then we would invoke the anti-terror law," a senior IB official told ET on condition of anonymity. The official says intelligence agencies suspect the attack on the Maruti plant was "premeditated" and believe that the union leaders could have links to top Maoist leaders. He cautioned it was early to reach any conclusion.

    Former home secretary GK Pillai told ET: "The government has had information that Naxals have been trying to infiltrate labour organisations in urban areas for a while now. That information was passed on to states, and in some places action was taken."

    Pillai was home secretary when the government launched a concerted operation by central paramilitary forces to drive Maoists out of their traditional heartland, the tribal-dominated areas of central India....
  • pi | 82.83.90.116 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:১২566737
  • জুজু দেখেছে যখন , তখন নিগ্ঘাত পেয়েও যাবে।
  • dukhe | 127.194.230.168 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:১৮566738
  • প্রকৃত সৎ ব্রাহ্মণ রাষ্ট্রপতির উচিত গয়ায় গিয়ে আজাদ আর কিষেণজির নামে পিণ্ডি দিয়ে আসা । নইলে এই জুজু থেকে মুক্তি নেই ।
  • pi | 82.83.90.116 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:২৫566739
  • সেই ঃ))
  • ব্যাং | 132.167.107.170 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:২৬566741
  • দুখে ঃ-))
  • maximin | 69.93.243.80 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:৪১566742
  • এখানে কেউ রাখী সাইগলের নাম জানেন?
  • | 94.235.72.57 | ২৫ জুলাই ২০১২ ১৮:৫৫566743
  • সবাই জানে। কুন্দনলাল সাইগলের মেজো নাতবৌ।
  • h | 127.194.251.177 | ২৫ জুলাই ২০১২ ২২:১৭566745
  • এফ টি র লেখা যেরকম আশা করা গেছে। ডিসকন্টেন্ট(ক্ষোভ) ততক্ষন গ্রহণযোগ্য যতক্ষণ সেটি আদর্শে রুপান্তরিত হওয়ার বিপক্ষে বা অন্তত সম্ভাবনা রহিত। আর গৌতম মোদির কথাটা যদিও ঠিক, তবে, সম্পাদকীয় বা লেখকের এনডোর্সমেন্ট হল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিয়নের প্রতি।
    বলছিলাম যে এদের কাছে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিয়ন ততক্ষন গ্রহণযোগ্য, যতক্ষন তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট, মিডিয়া-বিশুদ্ধতার কারণে একলা, বেশি ইউনিয়ন হলেই মুশকিল।
    আরো বলছিলাম, যে প্রায় কপিবুক কেস, ঠিকা শ্রমিক দের আলাদা ইউনিয়ন, বাড়তে থাকা ঠিকা শ্রমিক, কাঁটা বেছে নেওয়া পার্মানেন্ট শ্রমিক দের ইউনিয়ন, সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা। তাতেও ক্ষোভ ও ম্যানেজ করা গেল না, আদর্শ ছাড়েন। ইকোনোমিক টাইমস এর বড় বড় আর্টিকল, হেডলাইন, অপ-এড দেখলে মনে হবে মারুতীর শ্রমিক রা গেরিলা, আসিতেছে আসিতেছে।
  • সোমেন রায় | 125.187.32.38 | ২৬ জুলাই ২০১২ ১৫:১১566746
  • আমার একটা কথা বলার আছে। অবশ্যই এটা অকথা এবং হয়ত কুকথাও...

    শুধু এক অফিসার এক শ্রমিককে জাতপাত তুলে (কিংবা ধরে নিচ্ছি, আরো কুৎসিত) কোনও উক্তি করলেই কি একসাথে শতাধিক কর্মচারী-শ্রমিক তাঁদের ম্যানেজমেন্টের ওপর সর্বস্ব বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন?

    মারুতি-সুজুকি সত্যিই একটি বৃহৎ উদ্যোগ... ভারতবর্ষের গর্ব। কিন্তু তার মানে পূঁজির কাছে সংবিধানের নতিশিকার করা সম্ভব কি ?

    নিরপেক্ষ তদন্তে যতটুকু জানা গেছে, তা থেকে মনে হয় ঘটনাটি ঘটেছিল হয়ত এইরকম -

    ১) ১৮ই জুলাই সন্ধ্যেবেলা এক সুপারভাইসার শপ-ফ্লোরে কর্মরত এক স্থায়ী শ্রমিককে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। শ্রমিকটি সেই কথার প্রতিবাদ করলে ডিপার্টমেন্ট তাকেই সাসপেন্ড করে।

    ২) এরপর সম্মিলিত শ্রমিকেরা তাঁদের ইউনিয়ানকে সাথে নিয়ে কোম্পানীর মানব-সম্পদ-দপ্তরে গিয়ে ঐ সুপারভাইসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চান এবং এই বেআইনি সাসপেনশন তুলে নেবার দাবি জানাতে যান। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে, দপ্তরের আধিকারিক এই বিষয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা শুনতেই অস্বীকার করেন।

    ৩) এরপরেই কারখানার দুটি মেন-গেট দিয়ে শতাধিক গুন্ডা কারখানায় ঢুকে আসে এবং তারা দুটি গেটই নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়, যাতে কোনও শ্রমিক বাইরে বেরিয়ে যেতে না পারে। ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা নষ্ট করে দেওয়া হয়। শুরু হয় লেবার-ঠ্যাঙ্গানি। এবার, শ্রমিকরা রুখে দাঁড়ান। কোম্পানী স্পনসর্ড ঠ্যাঙ্গাড়ে-বাহিনী এবং শ্রমিক-কর্মচারীর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে তুমুল ভাঙ্গচুর চলতে থাকে। মারুতি-সুজুকি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ানের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনীই কারখানার এক অংশে আগুন লাগিয়ে দেয়।

    ৪) পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী মানব-সম্পদ-দপ্তরের আধিকারিকের মৃত্যুর সরকারী কারণ হিসাবে অগ্নি-সংযোগের ফলে উদ্ভূত ধোঁয়ার জন্য অক্সিজেনের অভাবই দেখানো হয়েছে।

    এবার, কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য যা আমার মতন মাথামোটা লোককেও চমকে দেয় -

    ১) শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য মারুতি কোম্পানীর ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’-এ ১০৩টি পয়েন্ট আছে, যার অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে কোম্পানীর নিয়ম-লঙ্ঘনকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয় যার মধ্যে প্রস্রাবাগারে সর্বাধিক দুই মিনিট থাকার আদেশও আছে। ড্রেসের সামান্য অপরিচ্ছন্নতাও নিয়ম-লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপ। “এই রে, মারুতি বুঝি চলে গেল এদেশ থেকে” বলে হা-হুতাশ করার আগে একবার ভাবুন, এই নিষেধাজ্ঞা যদি আপনার ওপরেও থাকত...!

    ২) শতাধিক গুন্ডার অনুপ্রবেশ ঘটল কারখানায়, যার ফলে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটে গেল, অথচ মারুতি কর্তৃপক্ষ তথা রাজ্য-প্রশাসন কারখানার সিকিউরিটি-ইন-চার্জকে জবাবদিহি চাইল না কেন?

    কে করল, কি করল, কতটা করল, কিসের জন্য করল... এই সব কিছু বিন্দুমাত্র প্রমাণিত হবার আগেই যখন রাষ্ট্র এবং লগ্নী-পূঁজি হাতে হাত মিলিয়ে মাওবাদী মাওবাদী বলে চেঁচাতে থাকে, তখন বিরক্ত লাগে। বিশ্বাস করুন, সত্যিই বিরক্ত লাগে। সেই পুরোনো বই খুলে বসতে হয়। পড়তে হয়... যেখানে লেনিন অনুমান করছেন, “সাম্রাজ্যবাদী স্তরে, লগ্নী পূঁজির উদ্ভবের ফলে পূঁজিবাদী একচেটিয়া সংস্থাগুলির বাণিজ্যিক কাজকর্ম অনিবার্যভাবেই ফিনান্সিয়াল অলিগার্কির আধিপত্যে পরিণত হয়।’’... ... “এভাবেই লগ্নী পূঁজি, বলা যায় আক্ষরিক অর্থে, বিশ্বের সব দেশে তার জাল ছড়াবে কারণ পূঁজিবাদের মূল নিয়মই হল অসম বিকাশ”।

    এ কথা অনস্বীকার্য যে সংসদীয় গণতন্ত্র জনগণের মধ্যে একধরণের মোহ তৈরী করে, যাতে শ্রেণী ও গণসংগ্রামের তীব্রতা যথেষ্টভাবে কমে যায়। এই মোহ থেকে একপ্রকার পূঁজিবাদের প্রতি এক কারণবিহীন বিশ্বাসযোগ্যতা জন্মায়। সাধারণ মানুষ ক্রমাগত রাষ্ট্র, পূঁজি এবং তাদের তল্পিবাহক মিডিয়ার প্রচার শুনতে শুনতে মিথ্যেটাই বিশ্বাস করতে ভালোবাসবে, যতক্ষণ না তার গায়ে আঁচ এসে লাগে।

    SEZ-এর নামে সমস্ত প্রচলিত এবং জনকল্যাণকারী আইন নস্যাৎ করে বৃহৎ পূঁজির এই নির্লজ্জ তোষণ এই দেশের শ্রমিক শ্রেণীর ওপর এক দুর্বিসহ বোঝা নামিয়ে এনেছে। সেই তালে বাকী সংস্থাগুলিও শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিতে উঠে পড়ে নেমেছে।

    কোণঠাসা শ্রমজীবী, আদিবাসী মানুষেরা এক দিন ঠিকই ফেটে পড়বে, এটাই ভবিতব্য। আর মাননীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর, বৃহৎ পূঁজি, সে আপনারা একে যে নামেই ডাকুন... ...
    ...................................সোমেন রায়
  • কল্লোল | 111.63.217.244 | ২৬ জুলাই ২০১২ ১৫:৫৮566747
  • এই তদন্তটি কারা সম্পন্ন করেছেন?
  • a x | 109.16.10.200 | ২৬ জুলাই ২০১২ ১৭:৩০566748
  • http://kafila.org/2012/07/26/death-and-the-factorythe-casualties-of-maruti-suzuki-manesar/

    As I write, ninety one workers of the Maruti-Suzuki factory in Manesar have been sent into judicial custody and are currently in Bhondsi Jail. The Haryana police are looking for five hundred unnamed others.

    The magistrate, in an unusual departure from procedure, delivered her decision to send the workers into judicial custody in a police station. The accused in any case are supposed to be presented before magistrates so that they can record their statements without fear or coercion, thereby enabling the magistrate to take a clear preliminary view of their culpability. Here, since it was a manager in a company as important as Maruti Suzuki that had died, it seems that the magistrate, police, and the Haryana government found it fit that normal procedure be kept in abeyance. Ministers (of the government of Haryana and the centre) made statements. Narendra Modi (as befits a prime minister in waiting) went to Japan and invited Suzuki Corporation to sup at his table. Editorial writers polished their turns of phrase. Captains of industry called for ruthless measures. Notwithstanding the Maoists’ well known contempt for the industrial proletariat, The ministry of home affairs hinted at the involvement of Maoists. Angry, righteous and right-wing bloggers and television commentators found a made-to-order opportunity to ventilate their well honed class-hatred against workers. Everyone who mattered, seemed to want to scrap labour laws.
  • a x | 109.16.10.200 | ২৬ জুলাই ২০১২ ১৭:৩৩566749
  • Meanwhile, a lawyer representing the accused in a communication to me yesterday said that many of the young workers who are currently being held in Bhondsi jail were not even in the factory at the time that the unfortunate incidents of violence occurred, as their shift had not yet started. The matter of timing and presence, so crucial as evidence in an ordinary criminal trial is a minor and dispensable detail in this extraordinary case. What matters is that ninety one young workers are in jail, currently being persuaded by the Haryana Police to implicate themselves in this tragedy, so that the angry bloggers, captains of industry, editorial writers and the good and the great of this land can have their moment of outrage. Perhaps a Maoist or two or three will be discovered amongst them by the Ministry of Home Affairs, with the same diligence with which it has recently found Maoist spirits lurking within the bodies of dead children in Cchatisgarh.

    The Haryana Police is combing the country side around Manesar, and further afield. The Haryana Police is not known for its gentle investigative procedures. It is going to the tenements that workers (many of them migrant) live in, in the villages around Manesar, in Rohtak and Jhajjhar. They are threatening anyone they can. Families are being told that unless they give up their sons, they will be held responsible, and that the police will not hold themselves responsible for what they do to make them give up their sons.
  • রাজদীপ | 230.227.106.153 | ২৬ জুলাই ২০১২ ১৮:৫৮566750
  • কল্লোল দার প্রশ্ন টা সঙ্গত, কিন্তু গণ আন্দোলনে এরকম লিংক ছাড়া তদন্ন্ত রিপোর্ট তো আগেও এমনকি সাম্প্রতিককালেই অনেক হয়েছে , তো এটা নতুন কিছু নয় যে ওনাকে কিছু "প্রমাণ " করতে হবে ।

    সোমেন বাবুর লেখা এই পয়েন্টটাই সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ

    ""এই মোহ থেকে একপ্রকার পূঁজিবাদের প্রতি এক কারণবিহীন বিশ্বাসযোগ্যতা জন্মায়। সাধারণ মানুষ ক্রমাগত রাষ্ট্র, পূঁজি এবং তাদের তল্পিবাহক মিডিয়ার প্রচার শুনতে শুনতে মিথ্যেটাই বিশ্বাস করতে ভালোবাসবে, যতক্ষণ না তার গায়ে আঁচ এসে লাগে।
    ""
  • a x | 109.16.10.200 | ২৬ জুলাই ২০১২ ১৯:০৬566752
  • ম্যাক্সিমিন রাখি সায়গলের নাম করলেন কেন? ইপিডাব্লিউর লেখাটার রেস্পেক্টে?
  • কেলো | 127.99.185.69 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০২:২০566753
  • অনেক দিন আগে এই টইএ একটিমাত্র পোস্ট করেছিলাম। সেটা টই এর মূল বিষয়ের সঙ্গে অসংলগ্ন পোস্ট। কিন্তু সেটা পিটিদার 21 July এর একটা পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে করা। পিটিদা তাঁর পোস্টটিতে একটি পিডিএফের লিঙ্ক দিয়ে বলতে চেয়েছিলেন যে অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকদের অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে খারাপ বই ভাল নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের শিপব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রীর কর্মীদের উদাহরন দিয়েছিলেন ওই পিডিএফটি তে।

    আমি পিটিদার পোস্টটির সঙ্গে সম্পূর্ন একমত হয়েছিলাম ও সমর্থন জানিয়েছিলাম। ওনার পিডিএফটিতে যা বলা তা যথার্থ। আমি বলেছিলাম প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার কিঞ্চিত প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাও আছে এবং বাস্তব আরও ভয়ঙ্কর। পিটিদাকে আমি এও মনে করিয়ে দিয়েছিলাম যে, অন্য রাজ্যের শিপব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রী ও তার শ্রমিকদের দুরবস্থার দিকে আঙ্গুল তোলার সঙ্গে সঙ্গে এও মনে রাখা উচিত, যে আমাদের রাজ্যের পূর্বতন সরকার কৃষির সঙ্গে শিল্পায়নকেও গুরুত্ব দিতে গিয়ে যে শিল্পগুলিকে আহ্বান করেছিলেন, তার মধ্যে এই কুখ্যাত জাহাজ-ভাঙ্গা শিল্প অন্যতম ছিল।

    আমি পোস্টটি করে আর এদিকে নজর দেই নি। মনে করিনি যে আমার পোস্টটি এই টইয়ে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব পাবার যোগ্য। কারন সেটি এই টইয়ের মূল বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি কয়েকজন সেটির ওপর তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার সবকটির সঙ্গে আমি আবার একমত নই। সুতরাং আমারও বোধহয় উচিত দেরীতে হলেও আমার বক্তব্য পরিস্কার করে দেওয়া। …..বেটার লেট দ্যান নেভার।

    অনেক দেরীতে লিখছি বলে যে যা বলেছেন সেটা ফের একবার কপি করে দিয়ে তার জবাব লিখছি। এতে কিছু বাইট নষ্ট হবে বটে কিন্তু পাতা উল্টে দেখার ব্যান্ডউইডথ টুকুন বাঁচবে। :)

    a দা লিখেছেন Date:21 Jul 2012 -- 07:33 PM
    কেলোবাবুর বোধহয় গাড়ি মার্কেট সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই। নইলে মারুতি সাধারনের জন্যে গাড়ি বানানো ছেড়ে দিয়েছে, এই রকম বাতুল মন্তব্য করতে পারতেন না।
    তা যাই হোক, ওনার "জনসাধারনের গাড়ি"র ডেফিনেশনটা শুনতে আগ্রহী হয়ে রইলুম।

    উঃ - সত্যি দাদা, গাড়ী বা জাহাজ কিচ্ছুর মার্কেট সম্পর্কেই সম্যক ধারনা নেই, আমি সামান্য আদার ব্যাপারী...। কিন্তু মারুতি সাধারনের গাড়ী বানানো ছেড়ে দিয়েছে এ কথা আমি তো বলি নি। বলেছিলাম মারুতির ওই মানেসর ফ্যাক্টরীতে জনসাধারনের গাড়ী বলে যে মডেলগুলি বিখ্যাত সেগুলি তৈরী হত না। (প্পনদার কথা মত মারুতি সুজুকি অল্টো, ওমনি, ইকো)। সেখানে তৈরী হত স্যুইফট ডিজায়ার ও এস এক্স ফোর। আমাদের বৌবাজারে কোলে মার্কেটের পাশে আছে রিক্সা পট্টি। এখানে সর্বপ্রকার টানা-রিক্সা, তৈরী ও রিপেয়ার করা হয়। এখানের কর্মীরা যে পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করেন তাঁদের অবস্থা আর বেঞ্জ, ফোর্ড বা বি এম ডব্লু কর্মীদের ওয়ার্কিং কন্ডিশন একইরকম হবে নাকি? হলে কোন যুক্তিতে হবে? টানা রিক্সা ম্যানুফ্যাক্চারিং ইয়ার্ডের মালিক বলবেন আমাকে যে দামে যে প্রোডাক্ট সাপ্লাই দিতে হয় তাতে এর থেকে বেশী পারিশ্রমিক বা সুযোগসুবিধা আমি শ্রমিকদের দিতে পারব না। টানা রিক্সার চেয়ে সাইকেল রিক্সা ওপরে তার ওপর অটোরিক্সা। তেমনি মারুতি ৮০০র ওপর অল্টো তার ওপর ইকো, তার ওপর ডিজায়ার তার ওপর এসএক্স ফোর। তাই যে কারখানায় মারুতি ৮০০ তৈরী হয় সেখানে শ্রমিকরা যদি হিসুর জন্য দেড় মিনিট সময় পান তবে অল্টো কারখানার শ্রমিকরা পাবেন এক মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড … এই হিসেবে, ঐকিক নিয়মে ডিজায়ার বা এস এক্স ফোরের কারখানার শ্রমিকরা পাবেন সর্বোচ্চ তিন মিনিট। ওভারটাইমের ক্ষেত্রেও তাঁরাই শীর্ষে - ঘন্টায় কুড়ি টাকা। জনগনের গাড়ী তৈরী করতে গেলে খরচ কম রাখতে হবে বলেই কি মারুতি কতৃপক্ষকে তাঁদের প্রিয় কর্মীদের ওপরে এইরকম অমানবিক হিসুর টাইম ও ওভারটাইম লাগু করতে হয় নি? মারুতি কি আমাদের মহান ও দূরদর্শী নেতা মহামান্য শ্রী সঞ্জয় গান্ধীর স্বপ্নের সার্থক রূপায়ন নয়? আমার মনে তো সে রকমই ধারনা ছিল। আপনাদের এর আগের লেখা থেকেই জানতে পারলাম যে মারুতির নেপথ্যে সুজুকিরাই প্রধান। কবে যে সেটা হল সেটা তো আপনাদের অনেকের মত আমিও জানতেই পারি নি। আমি ঠিক এই কথাটুকুই লিখেছিলাম।
    আর আমার তো নিজের কোন জনসাধারনের গাড়ীর ডেফিনেশন নেই দাদা, তবে মনের মধ্যে ঝাপসামত একটা ধারনা আছে যে মার্কেটের সবচেয়ে কমদামী যে গাড়ী মোটামুটি মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত চড়ে বেড়াতে পারে, সেটাকেই মহান দেশনেতারা/শিল্পপতিরা 'জনসাধারনের গাড়ী' বলেন। এই যেমন ন্যানো, মাইক্রা, স্পার্ক, ব্রায়ো, মারুতি ৮০০, অল্টো, ওমনি, ইকো ইত্যাদি। ডিজায়ার বা এস এক্স ফোর এদের ঠিক ওপরে।

    a দা র পরে bb সস্নেহে বলেছেন Date:21 Jul 2012 -- 09:27 PM
    ভাই কেলো - Mukund Steel খুব বড় গ্রুপ ইস্পাত শিল্পে- বহুদিন আছে আর বীরেন শাহের কোম্পানি এটা অনেকেই জানেন।
    ইস্স্পাত শিল্পে দু-ধরণের কোম্পানী হয়- এক ধরণের কোম্পানী আছে যারা আয়রণ ওর ব্যবহার করে আর অন্যেরা recycled ইস্পাত থেকে করে, মুকুন্দ ও এই ধরণের এক কোম্পানী।
    কিন্তু বাকিটা আপনার অনুমান আর তার উপর ভিত্তি করে আপনি অভিযোগ ও করে ফেল্লেন । এগুলো কি বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা?

    উঃ - বিরোধিতা?? কোথায় দেখলেন? আমি তো পিটিদাকে ভরপুর সাপোর্টই করলাম। শুধু মনে করিয়ে দিলাম শিপব্রেকিং এর জুজুকেসোনাকে আমরা ভয় পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে অচ্ছ্যুত করে রাখি নি, সাদরে তাকে কুলপীতে বরন করে নিয়েছি।
    আপনার মুকুন্দ স্টীল সম্পর্কে ধারনাটি সঠিক এবং অতীব কিলিয়ার। কিন্তু সব্বারই তাই হবে নাকি? পরের পোস্টেই দেখুন না কল্লোলদা আমাকে সাপোর্ট করে একখানি লিঙ্ক দিতে গিয়ে এটা পরিস্কার করে দিয়েছেন যে বীরেন জে শাহের মুকুন্দের কুলপীতে আসার খবরটা উনি জানতেন না। ওনার লিঙ্কে শিপ ব্রেকিং না মেকিং সে নিয়ে কথা নেই। কাজেই উনি ব্রেকিং বা মেকিং যাই হোক ওরা যে এসেছে সেটা জেনেই আমাকে সাপের্ট করে বসেছেন। এদিকে তার জবাব দিতে গিয়ে আপনি দেখলাম লিখেছেন -
    “কল্লোলদা আমি কুলপী বন্দর জানি আর ক্যাভেন্টারের গল্পটাও জানি। কিন্তু শিপ বিল্ডিংকে পরে শিপ ব্রেকিং করে দেওয়া হবে এটা ওনার কল্পনা বলেছি। আর আপনি নিশ্চয় জানেন ক্যাভেন্টার অ্যাগ্রো এখনও ব্যব্সা করছে। শিল্পপতি মানেই মিথ্যুক এই ভাব্নাটাকে আমি প্রশ্ন করছি। তিনি ব্যবসা করতে আসছেন মুনফা করবেন। সেটা সৎ পথে হলে আর আইনী হলে মিথ্যা ভয় খাওয়ার কারণ নেই।
    আজকের যুগে আমাদের মত লোককে বাজারে রুটি দেয় এই সব শিল্পপতিরাই, তাই অয্থা তাদের নিয়ে এই ভীতির আমি কোন মানে দেখিনা।”
    …..সত্যি আপনি কুলপী জানেন? ক্যাভেন্টার জানেন? P&O থুড়ি DP World জানেন? তাহলে এটা জানেন না কেন যে কুলপীতে শিপ ব্রেকিং কমপ্লেক্স বানাবার জন্য সে জমানায় প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সে আমলের ওই এমাউন্ট ফ্যালনা নাকি?
    আপনার হঠাত মনেই বা হল কেন যে আমার ধারনা টা অনুমান? আর আমি অনুমানের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ করে ফেল্লাম? কিম্বা শিপ বিল্ডিং টাকে ব্রেকিং করে দেওয়াটা আমার কল্পনা? কুল্পী প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার দুর্ভাগ্য এ অধমেরও হয়েছে দাদা, মেমোরান্ডামের একটা কপি আমার কাছেও ছিল বা আছে। সন্ধে থেকে খুঁজে খুঁজেও পেলাম না যদিও, তাতে পস্টো গোটা একটা চ্যাপ্টার আছে শিপ রিসাইক্লিং কমপ্লেক্স নিয়ে। ওটাকেই ভদ্রভাষায় শিপব্রেকিং ইয়ার্ড বলে। নেটেও বহু উল্লেখ থাকা উচিত, কিন্তু আমার মোটে ৭৩ কেবি ডাটা বাকি আছে কাল পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য তার মধ্যে এই পোস্টটাই হবে কিনা সন্দেহ, ও সব খোঁজাখুঁজি তো বিলাসিতা। কুলপীর প্রপোজড শিপব্রেকিং কমপ্লেক্স সম্পর্কে মনপ্রান লাগিয়ে খুঁজলে অবশ্যই পাবেন।
    আর শিপমেকিং টাকে ব্রেকিং করে দেওয়া আমার কল্পনা নয় দাদা। বাস্তব। গুরু তো ইকোনমিক্সের পন্ডিতে ঠাসা। আপনি নিজে তাঁদেরই একজন না হলে, তাঁদের যে কাউকে জিজ্ঞেস করুন। জবাব পাবেন যে - অর্থনীতির সু সময়ে বিশাল আকারের, আরও বিশাল আকারের সব জাহাজ তৈরী হয়, এই আশা নিয়ে - যে আরও সুসময় এলে তার পুরো ইউটিলাইজেশন হবে। কারন জাহাজ তো আর পট্ করে বানিয়ে ফেলা যায় না। সময় লাগে বানাতে। অর্থাত অর্থনীতির সুসময়ের শুরুতে জাহাজ বানানোর বুম হয়। কিন্তু উল্টোটা ঘটলে??? মানে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়লে?
    সমুদ্র-প্রযুক্তিবিদরা আপনাকে এ কথা বলবেন যে - জাহাজ বানানোর খরচ খুব একটা বেশী নয়। বেশী হল জাহাজ মেনটেন করার খরচ। অনেকটা হাতি পোষার মত। জাহাজের ইঞ্জিন একবার চালু হলে সেটা তার পুরো লাইফটাইম জ়ুড়ে চালিয়েই রাখতে হয়, এমনকি ড্রাই ডকিং এর সময় পর্যন্ত ইঞ্জিন বন্ধ করা যায় না। ধরুন কোন জাহাজে চারটে ইঞ্জিন থাকলে পালাক্রমে কোন একটা চালু রাখতে হয়। চারটের চারটেই বন্ধ করে দিলে ফের জাহাজটাকে চালু করতে গ্রীডের পাওয়ার লাগবে। মালবাহী জাহাজের ইঞ্জিন কি চাট্টিখানি কথা নাকি? সবচে ছোট মালবাহী জাহাজের এক একখানা ইঞ্জিনই এক একটা ত্রিতলিকা বাসের সমান বড়। তার পাশে কোথায় লাগে রেলের ইঞ্জিন! বয়ে নিয়ে যাওয়ার মত মাল না পেলে বসিয়ে বসিয়ে সেই ইঞ্জিন চালু করে রাখার মত মাজার জোর আচ্ছা আচ্ছা শিপিং কোম্পানীর নেই। …... তাই অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়লে, কিছুদিনের মধ্যে জাহাজ ডোবার, জাহাজ চরায় বা কেল্প ফরেস্টে আটকানোর বা আগুন লাগার মত ঘটনার হিড়িক পড়ে যায়। ব্রেকিং ইয়ার্ড এ সবের চেয়ে ভাল বিকল্প। তাই অর্থনীতির সুসময়ে যেমন মেকিং এর বুম দেখা যায়, ঠিক তেমন অর্থনীতির খারাপ সময়ে ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রী বুম হয়। এর কোনটাই আমার কল্পনা নয়। বাস্তব সত্য। এবার কুলপীর বন্দরের পরিকল্পনার খসড়া বাস্তব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির টাইম-স্কেলে বিচার করলে দেখবেন খাপে খাপে মিলে গেছে।

    শিল্পপতিদের সমর্থন করার তবু আপনার একটা দায় আছে বলেছেন। আমার কিন্তু শিল্পপতিদের বিরোধিতা করার কোন রকম দায় নেই। :)
  • maximin | 69.93.244.108 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০৬:৩০566754
  • অক্ষ না। হিরো হন্ডায় ঠিকা মজুদুররা নিজেদের সঙ্গঠন গড়ে তুলেছে এবং সেই সঙ্গঠনের নেতা একজন মহিলা, এটা দেখে ভালো-ই লেগেছিল। সেজন্যেই নামটা বলেছিলাম। ইনি যে বিখ্যাত লোক, ইপিডাবলিউতে লেখেন, এ আমি জানতামই না।
  • maximin | 69.93.244.108 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০৬:৫৪566756
  • নামটা পেয়েছিলাম একটা খবরে -- Fears of Maruti shifting operations prompt unlikely alliances (The Hindu 23 July).
  • maximin | 69.93.244.108 | ২৭ জুলাই ২০১২ ০৬:৫৬566757
  • হ্যাঁ ওটা পড়েছি। আপনি বলায় সার্চ দিয়ে পড়লাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন