এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.199.116 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০০:৩৯585703
  • জমি অ্যাকোয়ার করতে সরকারের ১৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে অলরেডি। টাকাটা টাটারা ফেরত দেবে কীভাবে কতদিনে? তাতে করে টাটারা মোট যত টাকা ফেরত দেবে তার প্রেজেন্ট ভ্যালু কত দাঁড়ায়, হিসেবটা সহজ করেই বলেছেন। সরকারি ডকুমেন্টে প্রেজেন্ট ভ্যালুর হিসেব যে বলা ছিল না, তা অশোক মিত্রর লেখা থেকে স্পষ্ট।

    The discounted present value of what the Tatas have agreed to pay, any respectable accountant will vouchsafe, will hardly exceed Rs 50 crore. প্রেজেন্ট ভ্যালুর হিসেব যদি সরকার নিজেই দাখিল করত তাহলে অশোক মিত্রকে হিসেব করতে হত না, অ্যাকাউন্ট্যান্টকে vouchsafe-ও করতে হত না।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.199.116 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০০:৪১585704
  • কেসি, আপনার বক্তব্যের ভিত্তি বললাম।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.199.116 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০০:৪২585705
  • *আমার বক্তব্যের ভিত্তি বললাম।
  • প্পন | 190.215.73.121 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০০:৫৬585706
  • হ্যাঁ, অনিন্দ্য জানার লেখাটা এখন পড়া যাচ্ছে (আইই অনলি)।

    http://www.anandabazar.com/archive/1070326/24nibon.htm
  • S | 109.26.201.94 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০০:৫৭585707
  • হ্যাঁ এটা আমারও মনে পড়ছে যে বুদ্ধবাবু খুব কনফিডেন্ট ছিলেন যে সিঙ্গুরে কারখানা হবেই। টাটার লোকেদের সাথে কথাও মনে হয় চলছিলো। ইনফ্যাক্ট কারখানাটা অতটা হয়ে যাওয়ার পরে কেউ চলে যাবে সেটা বোধয় কেউ ভাবেনি। এবং কোলকাতার জনগনও খুব আশাবাদি ছিলো। হঠাত একদিন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর অনেক গুলো কারণ ছিলো বলে মনে হয়ঃ
    ১) অ্যাতো ঝামেলা করে কেউ ব্যবসা করতে চায়না। নিরাপত্তা ইত্যাদি।
    ২) সময়ের দাম আছে। ডেস্ট্রাকশন অব প্রপার্টির ফলে লাভ কমে যাবে।
    ৩) ভেতরে ভেতরে বোধয় টাটারা তিনোদের সাথে রফা করতে ব্যর্থ হয় (এটা আমার জাস্ট মনে হয়)। এই কারণে বলছি যে তিনোদের খুব ধারণা ছিলো যে টাটা আর সরকারের চুক্তিতে সিপিয়েমকে পাইয়ে দেওয়ার মতন গোপন কিছু আছে। সেই ধারণাটা কেন হোলো সেটা একটা ভাবার বিষয়।
    ৩) গুজরাত অনেক বেটার প্যাকেজ দিয়েছে।
    ৪) টাটারা বোধয় তিনোদের-বাঙ্গালীদের শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন। মানে, আমাদের এতো বিরোধিতা। দেখ এইবারে আর কেউ একটা ইঁটও পুঁতবে না।

    এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে সিঙ্গুরেও সিপিয়েম হয়তো অনেক অন্যায় করেছিলো। সেই অন্যায়্গুলোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিলো। প্রতিবাদ দরকার ছিলো। কিন্তু তার বদলে যেটা হোলো তা হোলো কারখানাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটা সিপিয়েমের গুন্ডা আজ পর্যন্ত্য শাস্তি পেয়েছে কি? আর কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তিনোদের দেখে মনে হোলো যে তাদের কাজ সম্পন্ন। এবারে এটাকে ইউটিলাইজ করে ভোটে জিততে হবে।
  • a x | 138.249.1.202 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০৩:৫৬585708
  • তন্ন তন্ন করে "কুচি কুচি করে স্টোন চিপসের সাথে ..." ইত্যাদি পেলাম না। ওটা তাহলে পোয়েটিক লাইসেন্স ছিল?

    আর যেখানে একটা মশা মাছি ঢুকতে পারেনি, সেখানে কী হয়েছে কে বলবে? বিনয় কোঙ্গার? লক্ষ্মণ শেঠ? নাকি সিপিএমের পালিত পুলিশ? মেডিকাল সার্ভিস টিম গিয়ে কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট লিখেছে, এমন আজব দাবী এত বুকনির পরে আসবে ভাবিনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ঘটল মনে হচ্ছে।

    আর অনিন্দিতা ডকুতে দেখিয়েছেন, মেডিকাল সার্ভিস টিম লিখিত জানিয়েছেন - অনিন্দিতা অ্যাটলিস্ট আপনাদের থেকে এথিকাল এটুকু বুঝলাম।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.40.75 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ০৯:৩৫585709
  • হয়তো বা মনে হয় বা স্বপ্নে দেখেছিনু সি পি এম এই ঐ তাই করেছে কিন্তু https://aitmc.org/news_details.php?nid=1233 বলছে যে "
    10,24,521 job opportunities were created during 2012-13 fiscal year."

    কোন হয়তো বা মনে হওয়া বা স্বপ্নের কথা নেই। তা কেউ এটা একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হয়।
  • kc | 204.126.37.78 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১০:১৩585710
  • অ। তা মেডিকাল সার্ভিস টিম ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এর নামে প্রোপাগাণ্ডা লিখলে আর সেই প্রোপাগাণ্ডা ছাপালে সেটাকে কিরকম লাইসেন্স কয়?
  • PT | 213.110.246.230 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১০:২৬585711
  • স্টোন চিপসের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা কবির সুমন তারা বাংলার লাইভ প্রোগ্রাম থেকে প্রচার করেছিলেন। শুধু মেশানো নয়-তার ওপর দিয়ে রোড রোলার চালিয়ে দেওয়ার কথাও প্রচার করেছিলেন। সেই প্রোগ্রামটি আমি নিজে দেখেছি। এমনকি কসু একজন সংখ্যালঘু মানুষের মোবাইল নাম্বারও দিয়েছিলেন যিনি এই ঘটনা "নিজের চোখে" দেখেছেন বলে জানিয়েছিলেন। আমি নিশ্চিত যে এই শিশুহত্যার গপ্পের একটিই উৎস ছিল-এবং সেই গপ্প সম্প্রচারের দায়িত্ব সংহতিও নিয়েছিল। কাজেই শাক দিয়ে তিমি মাছ ঢাকার চেষ্টা করে কোন লাভ নেই।

    আরো একটা কথা উচ্চৈঃস্বরে বলা দরকার। সরকার মোটেই একদল "নিরস্ত্র" গ্রামবাসীর ওপরে গুলি চালায়নি। বাচ্চা আর মেয়েদের সামনে রেখে একদল কাপুরুষ সশস্ত্র নৈরাজ্যবাদী নন্দীগ্রামে উপস্থিত থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছিল। ১৪ জনকে গুলি করে মারাটা যেমন অন্যায়, দেশের একটা অঞ্চল দিনের পর দিন বিচ্ছিন্ন করে রাখাটাও দেশদ্রোহিতা। নন্দীগ্রামের ভেতরে অস্ত্রের ভান্ডারেরও যে কোন কমতি ছিলনা নিশিকান্ত মণ্ডলের হত্যার পরে সেকথা জলের মত পরিষ্কার।

    আর যেখানে মশা-মাছি ঢুকতে পারতনা সেখানে শুধু একটা দুটো কাগজের সাংবাদিক কি করে ঢুকতে পারত? আর ঐ জায়্গার লোক বর্তমান আর দৈনিক স্টেট্সম্যান ছাড়া কোন কাগজ পড়বে না সেই সিদ্ধান্তই বা কার?

    নন্দীগ্রামের ঘটনাকে ট্রিভিয়ালাইজ করার যেমন জায়্গা নেই, সেরকম নন্দীগ্রামকে ভিয়েৎনামের সঙ্গে তুলনা করে গ্লোরিফাই করাটাও বালখিল্যপনা। এইসব সমস্যা সরাসরি address না করে আমার এথিকস নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে অন্য কোন টই খোলা হোক।
  • কল্লোল | 125.241.112.240 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১১:০০585713
  • পশ্চিমবঙ্গে সমবায়, গুজরাটে ন্যানোর জমি ও প্রণব বর্ধন।
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=2701&boxid=17185062
    দাঙ্গামোদী আসছেন পশ্চিমবঙ্গে। যাদের দরকার, তারা ওর থেকে শিখে নিক কি করে ন্যানোর জমি পেতে হয়।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১১:১২585714
  • "নরেন্দ্র মোদি টাটাকে জমিটা খানিকটা অন্যায় ভাবে দিয়েছে-এটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি..."-উ-প-প-প-স!!! তাহলে ওখানে মেধা, অগ্নীবেশ, অনুরাধা, কোন নকশাল-খ্যাঁকশাল এদের কাউকে রাস্তায় নামতে দেখলাম না তো। তাহলে কি এদের সঙ্গে দাঙ্গামোদীর অন্য কোন equation ছিল-যেটা বুদ্ধবাবুর সঙ্গে ছিল না?
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.60.79 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১১:১৯585715
  • কল্লোলদার থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার করে নিতে চাই। তবে প্রশ্নটা রাখার জন্য একটা পুরোনো পোস্ট ব্যবহার করব।

    (কল্লোল Date:25 Mar 2013 -- 10:10 PM
    "১০০০ টাকা আয়। ১০০ জনের। জিডিপি ১০ টাকা
    আসলে ৯০০ টাকা আয় করে ১০ জন। জিডিপি ৯০ টাকা। ১০০ টাকা আয় করে ৯০ জন। জিডিপি ১।১১টাকা। এই তো জিডিপি।
    আসল কথা অসাম্য কমানো। ")

    এই উদাহরণের পরিপ্রেক্ষিতে সমবায় হলে কি তা ১০০ জনকে নিয়েই হবে নাকি ঐ ৯০ জন এবং খালি তাদের অ্যাসেট দিয়ে হবে।

    ডিঃ আপনার আজকের লিঙ্ক এখনো পড়া হয় নাই।
  • কল্লোল | 111.63.199.216 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১৩:৫৬585716
  • চান্দু। সমবায়ের সাথে ঐ উদাহরণটার একঃএকে সম্পর্ক নেই। আমার আজকের এইসময়ের লিংক পড়ে ফেললেই পরিষ্কর হয়ে যাবে কাদের নিয়ে সমবায়।

    পিটি।
    সে তো বটেই। দাঙ্গামোদী আর মেধার সম্পর্ক সেই নর্মদার সময় থেকেই খুবই মধুর। গুজরাটে জম্মে কোন কালে নকু ছিলো না। তবে তাতে কি? তাতে তো সম্পক্কো মধুর হতে আটকায় না। কিন্তু সিপিয়েমও গুজরাটে পতিবাদ করে নি। কি জানি সিপিয়েমের সাথেও.......ঃ-)

    আর হেঁহেঁ ঐ সমবায়্টা?ঐ যে প্রনববাবু বল্লেন - সমবায়? সমবায় বল্লেই তুমি কেমন ভাব করো যে ওটা কোন হিব্রু বা গ্রেকো-লাতিন শব্দ। বা ঐ শব্দটা কেমন যেন তুমি দেখতেই পাও না। কেন গো?
  • s | 69.177.206.208 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১৪:২৯585717
  • এই তো ওনারা শিখতে গেছেন।
    http://www.anandabazar.com/27desh2.html
    হ্যাপি হোলি পিটিদাদা।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১৫:২০585718
  • s
    হ্যাপি হোলি। অন্য সবাইকেও হ্যাপি হোলি!!

    কল্লোলদা
    সমবায় তো ভাল জিনিস। কিন্তু সেটা সর্বমঙ্গলকারী কিনা আমার সন্দেহ আছে। যেমন কিনা কৃষিজাত শিল্প - যা নাকি কারও মতে দারুণ ব্যাপার-করতে গিয়ে মহারাষ্ট্র জল ফুরিয়ে ফেলেছে।

    আর সিপিএম সানন্দের ব্যাপারে চুপ করে থেকে তো ঠিকই করেছে। প্রতিবাদ করলেই তো এখানে দ্বিচারিতার প্রতিবাদে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ত। হয়ত সানন্দ করাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতেও বেশী ভাল কিছু পেয়ে থাকতে পারে গুজরাটের মানুষ-ইতিহাস তার বিচার করবে।

    তবে আমার কাছে এই বাম বিরোধী রামধনু জোটের চরিত্রটা মোটামুটি পরিষ্কার। মেধা-অগ্নিবেশ-তলোয়ার-সংহতি সবাই মিলে পব-র দীর্ঘস্থায়ী সর্বনাশ করে দিয়েছে।

    হোলিতে রঙিন থাকবে আশা করি।
  • কল্লোল | 111.63.230.104 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১৫:৫৪585719
  • পিটি। তোমাদের দোল শুভ যাক।
    আর বোলো না ভাই। পচা কর্ণাটকে দোলে ছুটি নাই। সন্ধ্যেবেলা বন্ধুসমাগমে এট্টু রঙ্গীন হওয়ার আশা করছি।

    সক্কলকে হোলী হ্যায়.....................................সারারারা
  • Ekak | 69.99.230.125 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১৬:২৯585720
  • ইয়ে সমবায় মানে সবাই মাইল নবদংকা ফলানো নয় । বা দুধপুকুরে কে দুধ ঢালবে তাই নিয়ে গা ঠেলাঠেলি ও নয় । পুরো রেভেনিউ জেনেরেশন মডেলেই কাজ করা যায় সদিচ্ছা থাগলে ।

    যাই হোক , সবাই আনন্দ করুন ।আমারও ছুটি নাই । আপিস খাটি কচ্চি মাটি ইঃ ইঃ
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.36.205 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ১৭:২৮585721
  • কল্লোলদা একটি প্রশ্নের উত্তর দেন নি, সমবায় ১০০ জনকে নিয়ে নাকি ঐ বাকি ৯০ জনের অ্যাসেট নিয়ে। এ কথাটা কেন জানতে চাইছি, ঐ ৯০ জনের হাতে আসলে তত কিছু নাই। যদি ওদের অ্যাসেট ধরি জমি আর তার সব আলগুলো হঠিয়ে দি তাহলেও ওদের আয় মোটেই ডাবল হবেনা আর তাহলেও মোট জিডিপি-তে ওদের অবদান খালি সমবায় করে বিশেষ করে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবেনা।

    আপনার লিঙ্ক পড়ে মনে হল সমবায়ের মাধ্যমে উন্নতির প্রক্ষেপিত কারণ হল ১) ক্ষুদ্র জমির একীকরণ এবং ২) কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার। কিন্তু এর কোন পরিমাণগত ধারণা পেলে ভাল হত।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:০৬585722
  • কসু জিনিসটি কিভাবে ও কোন পরিস্থিতিতে জেনেছিলেন ও জানিয়েছিলেন, তার বিশদ বর্ণনা আছে তাঁর বইতে। পড়ে নিন। অতো টাইপানো কঠিন।

    তবে এত ক্যাচাকেচি করে লাভ কি। নন্দীগ্রামের ওই দুদিন সম্পর্কে অনেক কিছু প্রচারিত হয়েছে, যা আসলে ঘটেনি, এটাই বক্তব্য তো? আমার ধারণা, সেটা ঠিক। ব্যক্তিগত ধারণা। অনেককিছু ঘটেছে তা যেমন জানা যায়নি, যাবে বলেও মনে হয়না, তেমনই অনেক কিছু "জানা" গেছে, যা আসলে হয়নি।

    কোশ্নো হল, এর দায় কার? অনেকেরই আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমারও আছে। যেহেতু আমি অনেক "খবর" বিভিন্ন লোককে পৌঁছে দিয়েছি। একই ভাবে দায় রাজ্য সরকার এবং সিপিএম পার্টিরও আছে। অনেক বেশি পরিমানে। একটা জায়গা অবরুদ্ধ, যেখানে কি ঘটছে জানা যাচ্ছেনা। নারকীয় কান্ডকারখানা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অন্ততঃ আমি ভেবেছিলাম, যেটুকু যা ফাঁকফোকর দিয়ে জানা যাচ্ছে, দুনিয়াবাসীকে জানানো দরকার। তাতে কিছু বাড়াবাড়ি হলে হোক।

    আমি এবং আমার মতো অনেক লোক ঝুঁকি নিয়ে এটা করেছিল। আমার তেমন ঝুঁকি ছিলনা, কিন্তু বাকি অনেকের ছিল। তার দায় স্বীকার করতে অসুবিধে কি আছে? কিন্তু কোশ্নো হল ভুল করেছিলাম কি? নাঃ এখনও মনে করি করিনি। ভবিষ্যতে আবার কোনো সরকার একই জিনিস ঘটালে আবার ওই একই ভাবে রিঅ্যাক্ট করব। যদি ধক তখনও অবশিষ্ট থাকে।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:১৭585724
  • তবে অনেক কিছুই ধোঁয়াটে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে তোলা সারিসারি মৃতদেহের ছবি আমি দেখেছি। অনেকেই দেখেছেন। প্রশ্ন হল এই লোকগুলি কারা? বাইরের "যোদ্ধা"? কোনো পক্ষই যাদের নাম প্রকাশ করতে নারাজ? জানিনা।

    সূর্যোদয়ের প্রস্তুতি পর্বের বিবরণ কসুর লেখায় পড়েছি। লেখার জন্য তাঁকে প্রচ্চুর সেলাম। আর কেউ সেসব লেখেননি, বলা উচিত লেখার সাহস দেখাননি। কেউ প্রতিবাদও করেননি অবশ্য। সে বিবরণে যা পড়েছি, তা একটি গৃহযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্ব ছাড়া আর কিছু না। তারপর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হল, মানুষ মারা গেল, কিন্তু তার লিস্টি পাওয়া গেলনা? রহস্যজনক লাগে খুব।

    সূর্যোদয়ের পরে-পরেই ভূমিরক্ষা কমিটি একটা বিরাট মিছিল বার করে। হাজার কুড়ি লোকের। সিপিএম তার উপর গুলি চালায়। এ একদম নির্জলা সইত্য। অপর পক্ষ থেকে চালানো হয়েছিল কিনা জানিনা। কিন্তু হতাহত কারা হল? জানা যায়না। কেন?

    লাশ পাচার। মৃতপ্রায় লোকজনকে পাচার করতে গিয়ে আটক হলেন তপন-সুকুর। পাচার কথাটা মিথ্যে না, তার মানে। কোশ্নো হল, তাহলে কোথায়, কাদের পাচার করা হয়েছিল? কোথায় তার লিস্টি? পাচারই যদি করা হয়, তো সেটা খুঁজে বার করতে তো খুব সময় লাগার কথা নয়।

    এগুলোর উত্তর নাই। অন্ততঃ আমার কাছে নাই। ইতিহাস লিখতে বসলে একদিন এইসব ফাঁকফোকরগুলো ভরাট করতে হবে।
  • PT | 213.110.243.23 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:২৮585725
  • "একটা জায়গা অবরুদ্ধ"-মানে? সরকার অবরুদ্ধ করে রেখেছিল না অবয়বহীন মানুষেরা গ্রামের মানুষদের দিয়ে রাস্তা কাটিয়ে, গাছ ফেলিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিল। কি করে যেন সেই "অবরুদ্ধ" জায়্গাতে দু-একটি খবরের কাগজ আর তাদের সাংবাদিকরাই প্রবেশ করতে পারছিল!!

    আরও যেটা জানা দরকার যে "শিশুদের নলী কেটে দেওয়া', "হাজার হাজার" মেয়েদের ধর্ষণের খবর (এক ধর্ষকের ফাঁসির সঙ্গে তুলনামূলকভাবে জড়িয়ে দিয়ে) কারা কেমন করে তৈরি করে ছড়িয়ে দিচ্ছিল গ্রামে-গ্রামন্তরে।

    এমন তো হতেই পারে (assumption) যে এই অবরোধ, মিথ্যা প্রচার না থাকলে ১৪ জনের মৃত্যু ঘটত না। কেননা জমি যে নন্দীগ্রামে নেওয়া হবেনা সেকথা তো মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বার দুয়েক ঘোষোণা করেছিলেন প্রকাশ্য জনসভায়। তার পরে আর অবরোধ কেন?

    কেউ যদি অবিশ্যি বলে দেনঃ "বেশ করেছিলাম-এসব না করলে বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যেত না"-তাহলে কোন তক্ক নেই!!
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৩১585726
  • পিটির পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। অ্যাত্তো নাইভ হয়ে রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন কিকরে?

    দাঁড়ান, সাতেঙ্গাবাড়ি ও কবীর সুমনের প্রতিবেদন নিয়ে আমি চাট্টি লেখা লিখেছেলাম। পোস্ট করে দিচ্ছি।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৩৩585727
  • মদন ঘোষ, কবীর সুমন এবং সাতেঙ্গাবাড়ি
    ------------------------------------------------------------------

    সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মদন ঘোষ সম্প্রতি "মানুষের দরবারে' নামক একটি লেখা লিখেছেন গণশক্তিতে। http://bangla.ganashakti.co.in/shownews.php?w=1284&h=1386&year=2011&mo
    nth=7&date=6&page=4&dpn=257857

    (মদন ঘোষ কে যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য একটু ছোট্টো করে পরিচিতি। মদন ঘোষ সম্ভবত সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সবচেয়ে লো-প্রোফাইল সদস্য। যদিও শোনা যায়, তিনি দলটির পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক হতে চলেছেন। এটা অবশ্যই শোনা কথা, যা সত্য নাও হতে পারে।)

    --------------------------------

    লেখাটিতে মদন ঘোষ অনেকগুলো পয়েন্ট করে করে নানা বিষয়ে মূল্যায়ন করেছেন। মূলতঃ সিপিআইএম এর "বিপর্যয়' বিষয়ক মূল্যায়নই। সেগুলি ক, খ, গ, ঘ করে দেওয়া আছে। এরকমই একটি পয়েন্ট ট। সেখানে মদনবাবু একটা কথা যা লিখেছেন, ইতিপূর্বে সিপিএমের কোনো শীর্ষনেতা লেখেন নি। প্রকাশ্যে বলেন ও নি।

    কি লিখেছেন মদন বাবু?

    "কেউ কেউ সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের ঘটনাকে এক ব্যাকেটে রাখেন। বিষয়টি আদৌ ঠিক নয়। নন্দীগ্রামে সরকারের এক বর্গমিটার জমিও অধিগ্রহণের প্রস্তাব ছিলনা। সরকারের পরিকল্পনায় ছিল পেট্রোরসায়ন শিল্প স্থাপন। এর জন্য বন্দর সংলগ্ন জমি প্রয়োজন। স্থানীয়স্তরে কোন আলোচনায় বিষয়টি এসেও থাকতে পারে। সম্ভবত তাতেই আতঙ্কিত হয়েছিলেন হলদিয়ার চর জমির আইনী অধিকারহীন কিছু মানুষ। বিরোধীশক্তি একে ব্যবহার করেছিল ধর্মীয় রং মিশিয়ে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস আক্রমন কর হয়েছিল মিথ্যাশ্রয়ী অজুহাতে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা দেওয়া হয়েছে সর্বতোভাবে। তারপরের অধ্যায়ে তথাকথিত "মাওবাদী'দের যুক্ত হওয়র কথ সকলের জানা। অস্ত্র পাওয়া-র নাটক চলছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন তুলছেন না তৃণমীলের সাংসদ কবীর সুমনের লেখা পুস্তকে সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় সম্পর্কে। এক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকায় দুঃখজনকভাবে প্রাণ গেছে কিছু মানুষের। স্বাভাবিক ভাবেই দায় বর্তেছে সরকারের উপর। বিরোধী রাজনৈতিক অভিসন্ধির বিষয়টা আড়ালে চলে গেছে'।

    ----------------------------------

    এসব যুক্তিগুলি আমরা আগেও শুনেছি। নতুন কিছু না। সেটা নিয়ে চাপান-উতোর করার জন্য এই টই খোলা হয়নি। এখানে যেটা নতুন, সেটা হল কবীর সুমনের পুস্তকের প্রসঙ্গ। এবং বিশেষ করে সাতেঙ্গাবাড়ি পর্বের উত্থাপন।

    আমরা ইদানিং সাঁইবাড়ি বা ছোটো আংরিয়া নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা শুনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক ইতিহাসে, আমার ব্যক্তিগত মতে পুবে সাতেঙ্গাবাড়ি, পশ্চিমে ধরমপুর, এবং এরকম আরও কয়েকটি জায়গায় "আসলে' কি ঘটেছিল, সে নিয়ে আলোচনা স্থান পাওয়া উচিত। মদনবাবুকে ধন্যবাদ, তিনি সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় এবং কবীর সুমনের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। কবীর সুমনের বিবরণের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলতে বলেছেন কবীর সুমনের লেখা সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় নিয়ে।

    ঠিক সেইটাই আমি করতে চাই এই লেখায়। আর অন্য কিচ্ছু না।

    -----------------------------------

    সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায়ে ঢোকার আগে একটা ছোট্টো ই®¾ট্রা। কবীর সুমনের যে বইটির নাম মদনবাবু লেখেননি, সেটি হল "নিশানের নাম তাপসী মালিক'। বইটি ছেপেছেন মিত্র ও ঘোষ। উৎসর্গ করা হয়েছে কিষেণজি, অসীম গিরি, এবং সমস্ত সংসদীয় দলের অতি সাধারণ সমর্থকদের যাঁরা দলীয় সংঘর্ষে প্রাণ হারান, ঘর হারান ইজ্জৎ হারান।

    বইটিতে উঠে এসেছে বঙ্গের রাজনীতির এক অতি-আলোচিত অধ্যায়ে রাজনীতিক প্রবাহের মধ্যে কবীর সুমনের যাত্রার ধারাবিবরণী। লেখার বিষয়গুলি বিতর্কিত, সাধারণ রাজনৈতিক আলোচনায় এসবের জায়গা হয়না, মূলতঃ ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। ভঙ্গীটি অননুকরণীয়, সুমনের কথার মতোই। পক্ষে থাকুন বা বিপক্ষে, দুই পক্ষের কোনো একটি হন, বা তৃতীয় জন, আমার ব্যক্তিগত মত এই, যে, সুমনের ব্যক্তিগত এই যাত্রাটি সকলেরই অবশ্যপাঠ্য। এই সময়ের একটি দলিল বিশেষ।

    --------------------------------

    এবার সিধে সুমনের বই। সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায়।

    ২০০৭। নভেম্বরের শুরু। নন্দীগ্রাম। তারিখটা বইয়ে স্পষ্ট করে লেখা নেই। ধরে নেওয়া যেতে পারে ১৪ই মভেম্বরের মোটামুটি দিন পনেরো আগে। পুনর্দখলের ফাইনাল রিহার্সাল চলছে সাতেঙ্গাবাড়িতে। "সংঘবদ্ধ', "সুপরিকল্পিত' হামলা চালিয়ে সিপিআইএমের "খুনে বাহিনী' ধ্বংস করেছে সাতেঙ্গাবাড়ি। কিন্তু তারা তখনও পাকাপাকি দখল নিতে পারেনি। গ্রামবাসীরা নিশ্চয়ই পাল্টা আঘাত হেনেছেন, নইলে তো ওখানে সিপিএমের শিবির থাকার কথা।

    সুমন চলেছেন সাতেঙ্গাবাড়ির পথে। মমতার নির্দেশে। সুমনই কেন? আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সংখ্যায় ভারি শাসক বাহিনীর সংঘবদ্ধ আক্রমন ঠেকিয়ে দিয়েছেন যে গ্রামবাসীরা তাঁরাই সুমনকে দেখতে চেয়েছেন। কথা শুনতে চেয়েছেন। কেন সুমনই? সুমন জানেন না।

    সুমনকে মমতা নির্দেশ দিচ্ছেন ফোনে। সুমনের সঙ্গে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অসীম গিরি। আছেন সুকুমার মিত্র। কয়েকজন "নন-পলিটিকাল' বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলছেন মমতা। সুমন নিজেও তখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। ফলে সূত্র খুব জটিল না বলেই মনে হচ্ছে সুমনের। সিপিএমের বিরাট সশস্ত্র বাহিনীকে একদিনের জন্যেও হটিয়ে দেবার ক্ষমতা ধরেন যে গ্রামবাসীরা, তাঁরা সম্ভবত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। মনে হচ্ছে সুমনের।

    ---------------------------

    সুমন মিডিয়াকে নিয়ে যেতে চাইছেন না। প্রতিরোধকারীদের খুঁটিনাটি মিডিয়ায় প্রচার হতে দিতে চাইছেন না।

    সিপিএম বাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমন করেছে গ্রামে। নির্বিচারে ধ্বংস, লুটপাট, ধর্ষণ করেছে। একের পর এক বাড়ি ধ্বংস। সুমনদের দেখে বেরিয়ে আসছেন মেয়েরা। বলছেন তাঁদের চরম বিপদের কথ। ঘরের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে অক্রমনকারীরা। লুট করে নিয়ে গেছে অবশিষ্ট সবকিছু। যাবার আগে পুড়িয়ে দিয়ে গেছে বাড়ি। গ্রামবাসীরা বলছেন -- সিপিআইএম হানাদাররা কোনও কোনও বাড়ির গোরুগুলোকে একটি ঘরে আটকে, বাইরে থেকে দরজা ভালমতো বন্ধ করে দিয়ে সেই ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। গোরুগুলো আর্তনাদ করতে করতে জ্বলেপুড়ে মরেছে।

    মেয়েরা জড়ো হচ্ছেন। এক প্রবীণা আর্তনাদ করছেন। তাঁরও বাড়ি শেষ এবং স্বামী খুন হয়েছেন। ওয়ান মোর ক্যাজুয়ালটি ইন আ ওয়ার জোন। বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল।

    সুমনের সঙ্গী অধ্যাপক বলছেন -- কী করা যায় বলুন তো? কিছু টাকা দিলে কি খারাপ দেখাবে?

    আহ, এই তো তারিখ লিখেছেন সুমন। লিখছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ভাড়াখাটা ঘাতক সাভিম্বির কার্যকলাপ দেখেছেন তিনি। কিন্তু সেই নভেম্বরের তিন তারিখ সাতেঙ্গাবাড়িতে যা দেখেছেন, তার কোনো তুলনা নেই।

    তার মানে এটা তিন তারিখ। ১৪ তারিখের ১১ দিন বাকি।

    --------------------------
    (চলবে)
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৩৪585728
  • ওয়ার জোনে ধানক্ষেতে উপুড় হয়ে আছেন কোনও কোনও গ্রামবাসী। হাতে ওয়ান শটার। কোনো কোনো বন্দুক সুমনদের দিকে তাক করা। কোনও কোনও বন্দুক উল্টো দিকে। ওয়ার জোনে টহলদারী চলছে।

    সুমনদের পাহারা দিতে এসেছেন চার যুবক। তাঁদের মুখের অনেকটা ঢাকা। কাঁধে ওয়ান শটার বা টু শটার।

    নন-পলিটিকাল লোক ছাড়াও অন্য একটি গাড়িতে আছেন শেফ সুফিয়ান এবং শিশির অধিকারী। তাঁদেরও পাহারা দিতে এসেছেন কয়েকজন যুবক।

    আজ হটিয়ে দেওয়া গেছে, কিন্তু আজ বা কালই আধুনিকতম অস্ত্র নিয়ে আবার আক্রমন হবে এই এলাকায়। সিপিআইএম বাহিনী ছেড়ে দেবেনা। এই অবস্থায় এই প্রতিরোধকারীদের অবস্থান ফাঁস সুমন হতে দিতে পারেন না। চান না। তিনি তাই মিডিয়া চান না। তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন? করছেন, লিখেছেন সুমন। যুদ্ধপরিস্থিতিতে বাছবিচার তিনি করবেন। "আমি, আমরা যুদ্ধে আছি'।

    -------------------------

    দিনে দুপুরে গ্রামের রাস্তায় কয়েকটা কুকুর একসঙ্গে কেঁদে কেঁদে ফিরছে। সাতেঙ্গাবাড়ির কুকুর।

    প্রত্যেকটি বাড়ি ধ্বংস। পোড়া। "বিহার ঝাড়খন্ড আর ওড়িশার ডাকাতদের নিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচা করে এক বিশাল খুনে বাহিনী তৈরি করেছে সিপিআইএম। তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। তারা কিছুটা দূরে শিবির গেড়ে অপেক্ষা করছে।'

    ভোর থেকেই শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ। গুলি চালাচ্ছে "ভাড়া করা খুনীগুলো' তাদের শিবির থেকে। গ্রামের একটি জায়গা থেকে দেখাও যাচ্ছে শিবিরটা। অন্য নানা দিক থেকেও গুলি চলছে। সিপিআইএম বাহিনী ঘিরে ফেলেছে এই গ্রাম। বড় ধরনের আক্রমন আসন্ন।

    কিন্তু গতকালের আক্রমনটা প্রতিহত করল কে? কোন শক্তি? লুটপাট করে পালানোর জন্যই কি এসেছিল হানাদররা? কোথাও যেন হিসেবটা মিলছে না। গ্রামবাসীদের মধ্যে একদল নিশ্চয়ই আছেন, যাঁরা প্রশিক্ষিত।

    কোথাও তৃণমূলের কোনো পোস্টার নেই। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নিশানও অনুপস্থিত। তাহলে আক্রমনটা ঠেকাচ্ছে কারা? কোথাও স্পষ্ট কোনো জবাব নেই। যেই ঠেকাক, "সূর্য সেনের সেই বংশধরদের' প্রণাম জানাচ্ছেন সুমন। মনে মনে।

    -------------------------

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাড়াতাড়ি গ্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন। বেলা পড়ে আসছে। সন্ধ্যে হলে হানাদাররা আক্রমন করতে পারবে আরও সহজে।

    গ্রামবাসীরা সভার আয়োজন করেছেন। বিদ্যুৎ নেই গ্রামে। জেনারেটর নেই। ব্যাটারি চাইত মাইক নেই। ছোটো মেগাফোন নেই। শুধু একটা বেঞ্চি এনেছেন গ্রামবাসীরা। সামনে মাটিতে বসে আছেন মহিলারা। দূরে মাঠে বন্দুকধারী প্রহরীরা।

    এক-দুজন মিডিয়াম্যান ক্যামেরা নিয়ে কিকরে যেন চলে এসেছেন। তাঁদের ক্যামেরা খুলতে বারন করেছেন সুমন। এখানে কারা আছে কি করছে তা বাইরের কারও জানার দরকার নেই আপাতত। "আমরা যুদ্ধে আছি। এখানে রাজনীতি-রাজনীতি খেলা হচ্ছে না।'

    -----------------------

    পার্থ খালি গলায় অতি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিচ্ছেন। একটাই কথাঃ নন্দীগ্রামের কথা আজ সারা বিশ্ব জেনে গেছে। সিপিএমের অপশাসন আর বেশিদিন চলবেনা। আমরা আছি আপনাদের সঙ্গে। ব্যস।

    পার্থ সুমনকে বলছেন, আসল বক্তা আপনি। আপনি যা যা বলার বলুন। শীতের শেষ বেলার ধূসর আলোয় সুমন তাকিয়ে আছেন সারি সারি মুখের দিকে। ময়লা পোশাক। অপুষ্টির ছাপ। আর চোখে অদ্ভুত এক দৃষ্টি।

    বাকপটু সুমন বলতে উঠে বিপন্ন বোধ করছেন। এই মানুষদের, এই রকম মুহূর্তে, কি বলবেন তিনি? তিনি নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। সংহতি জ্ঞাপন করছেন। বলছেন বাইরের লোকেদের সনজে ঢুকতে দেবেন না। বলছেন, সিপিআইএম যা করেছে ও করছে তার জবাব কি হওয়া উচিত আপনারা ভালই জানেন। তরুণরা জোরে জোরে হাততালি দিচ্ছেন।

    সুমন লড়াইয়ের কথা বলছেন। প্রয়োজনে মেয়েদেরও অস্ত্র হাতে লড়তে হতে পারে বলছেন। যদি কিছু সাহায্য লাগে, অবশ্যই জানাতে বলছেন।

    --------------------

    বক্তৃতা শেষ হবার পর শ্রোতাদের সারি থেকে উঠে আসছেন এক প্রবীণ। মাথায় সাদা টুপি। গালে সাদা দাড়ি। দীর্ঘদেহী সেই মানুষটি বলছেন --

    "আমায় নামাজ পড়তে যেতে হবে, বেশি সময় নেই। শুনুন -- আমি বেঁচে থাকলে আপনি ভাত পাবেন। তাই চাল ডাল পাঠাবেন না আমাদের। একখানা এস এল আর দিন।'

    সাংবাদিকতার রিফ্লেক্সে সুমন ভাবছেন, এস এল আর? ক্যামেরা? এই পরিস্থিতিতে? ক্যামেরা কেন?

    এক গ্রামবাসী সুমনের উদ্ধারে এগিয়ে এসে বলছেনঃ চাচা বলছেন কালাশনিকভ রাইফেলের কথা। সিপিএমের সঙ্গে ওয়ান-শটার টু-শটার দিয়ে লড়াই করা যাচ্ছেনা। ম্যাগাজিনওলা বন্দুক চাই। এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা দাম। একটা যদি দেন তো খুব উপকার হয়।

    -------------------

    সুমন ফিরে আসছেন সাতেঙ্গাবাড়ি থেকে। মাথায় কালাশনিকভ। তৃতীয় বিশ্বের মুক্তির প্রতীক।

    এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলতে পারব চাচা। ভাবছেন সুমন। কিন্তু কালাশনিকভ? সে কোথায় পাওয়া যায়?

    (চলবে)
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৩৫585729
  • সুমনের লেখায় সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় এখানেই শেষ।

    তবে আমার লেখা শেষ নয়। তার প্রথম কারণ, এই, যে, আমি, এই ব্যক্তিলেখকের এখানে সুমনের কাছে একটু ক্ষমা চাওয়ার আছে। ঠিক হোক বা ভুল, এই লেখা সুমনের, আমার নয়। ফলে লিখতে গেলে তাঁর হুবহু বক্তব্যই দেওয়া উচিত। তৃতীয় ব্যক্তির বয়ানে দিলে বক্তব্য মার খেতে বাধ্য।

    ব্যক্তিগতভাবে এই লেখায় সুমনের লেখার স্পিরিটটা হুবহু রাখার চেষ্টা করেছি। একেবারেই পারিনি বলবনা, কিন্তু সুমনের ভঙ্গীকে হুবহু ধরা বোধহয় শুধু আমি না, অন্য কারো পক্ষেই অসম্ভব। বিশেষ করে সে যদি ব্যক্তিগতভাবে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে না যায়।

    ফলে বক্তব্যকে ছোটো করে বলতে গিয়ে যদি কিছু ড্যামেজ ঘটিয়ে থাকি, সে জন্য ক্ষমা প্রার্থনীয়। সুমনের বক্তব্য হুবহু যদি কেউ জানতে চান, তাঁর আসল বইটি পড়ে নেওয়াই উচিত। এই লেখা নয়।

    ---------------------------

    কিন্তু লিখলামই যখন, তখন এর সঙ্গে পাঠকের সুবিধার্থে একটি ছোট্টো ফুটনোটও দেওয়া প্রয়োজন। সুমন এখানে লিখেছেন তিন তারিখের কথা। এর দুদিন পরে পাঁচই নভেম্বর আক্রমনের মুখে সাতেঙ্গাবাড়ির "প্রতিরোধ' ভেঙে পড়ে। নামহীন সেই চাচার কালাশনিকভের প্রয়োজন ফুরোয়। এলাকা "পুনর্দখল' হয়। কোন পক্ষে কতগুলি লাশ পড়ে সে হিসেব সকলেই অবশ্য কম্বলের নিচে চেপে দিয়েছেন।

    তারিখটা মনে রাখুন। পাঁচই নভেম্বর, ২০০৭। এ হল সেই অভিযানের প্রথম ভাগ, যাকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী "সূর্যোদয়' আখ্যা দিয়েছিলেন।

    --------------

    লেখা শুরু করেছিলাম শ্রী মদন ঘোষ এর উদ্ধৃতি দিয়ে। শেষও মদনবাবুকে দিয়েই করা যাক।

    মদনবাবু লিখেছেন সুমনের বই এর সাতেঙ্গাবাড়ি অধ্যায় নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলছেন না কেন। এই একই অভিযোগ নিয়ে ইয়েচুরিরা নাকি দিল্লীও গিয়েছিলেন শুনেছি। চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সাথে ছিল জেরক্স করা এই পরিচ্ছেদটি।

    মদনবাবু এই লেখা পড়বেন কিনা জানিনা। যা দিনকাল, পড়েও ফেলতে পারেন। পড়ুন বা না পড়ুন, স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সুমনের লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। জানতে চাইছি ওড়িশা বিহারের ডাকাতদের হাতে আধুনিক অস্ত্র তুলে দিয়ে "খুনে বাহিনী' কি বানানো হয়েছিল? হলে কোন আদর্শের ভিত্তিতে? কি কারণে? গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে "খুনে বাহিনী'কে দিয়ে অবাধে খুন-জখম-লুঠতরাজ কি করানো হয়েছিল? হলে কেন? বিপক্ষ "বাহিনী'র ঠিক কতজনকে হত্যা করা হয়েছিল? এবং সর্বোপরি নিজের দেশের, নিজের রাজ্যের মানুষের বিরুদ্ধে শাসক পার্টি এই অভিযান কেন চালিয়েছিল? স্রেফ "শিক্ষা' দিতে?

    পৃথিবীর সবাই আপনার পার্টির ক্যাডার নয় মদনবাবু। যে, মুখপত্রে যা লিখলেন, মাছিমারা কেরানির মতো সেটাই বেদবাক্য বলে মেনে নেবে। কেউ কেউ অরিজিনাল টেক্সটগুলিও পড়ে। পড়লে, তারা প্রশ্নগুলো আপনাদের দিকেই তুলবে।

    আপনি বলবেন, নন্দীগ্রামের লোকেরা কি ওয়ান-শটার ধরেনি? ধরেছিল মদনবাবু। কিন্তু আপনিও জানেন, আমিও জানি, আক্রান্ত এবং আক্রমনকারীর বলপ্রয়োগ কক্ষনো এক মাপকাঠিতে মাপা হয়না। আপনারা বলশালী ছিলেন। আপনারা ক্ষমতাবান ছিলেন। আপনারা বিরুদ্ধমতকে কেন নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলেন, এই প্রশ্ন যেকোনো অ-ধামাধরা লোকের মাথায় সর্বপ্রথম আসবে, যদি সে এই লেখাটি পড়ে, যা আপনি পড়তে বলেছেন। সে জানতে চাইবে না, আক্রমনের মুখে পড়ে কেন নন্দীগ্রামের লোক বন্দুক হাতে নিয়েছিল। কোনঠাসা লোক হিংসার পথ নিলেও সে জনতার সহানুভূতিই পায় মদনবাবু।

    আপনি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন। কিন্তু এই সোজা সত্যটি বোঝেন নি। লোকে তাই আপনাদের ছুঁড়ে ফেলেছে। এখনও না বুঝলে আবারও ফেলবে। শিখ হত্যার দায় নিয়ে কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে যা করেছেন, তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান কমরেড। অন্য কোনো ভাবেই আপনারা "ঘুরে' দাঁড়াতে পারবেন না।

    (শেষ)
  • PT | 213.110.243.23 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৩৬585730
  • নাঃ তক্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ে না।

    "সিপিএম তার উপর গুলি চালায়। এ একেবারে নির্জলা সইত্য"-কি করে বোঝা গেল? বুলেটে আলিমুদ্দিনের ছাপ মারা ছিল?

    দিল্লী থেকে ফিরে কলকাতা বিমান বন্দরে পা দিয়েই সিদ্ধার্থ রায় জানিয়েছিলেঃ "হেমন্ত বসুকে সিপিএম খুন করেছে"-সে এক বিখ্যাত উক্তি। তাতে সিপিএমের এক নেতা সিদ্ধার্থ রায়কে মনুষ্যেতর এক প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। নন্দীগ্রামের গুজবের প্যাটার্ন দেখলে আমার এই কথাটা বার বার মনে আসে।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৩৮585731
  • মদন ঘোষের লেখার লিংক টা ঠিক আসেনি। আরেকবার দিলাম।

    http://bangla.ganashakti.co.in/shownews.php?w=1284&h=1386&year=2011&month=7&date=6&page=4&dpn=257857

    আর অবরোধ প্রসঙ্গে প্লিজ মনে রাখবেন বিনয় কোঙারের উক্তি। তিনদিক থেকে ঘিরে ধরে লাইফ হেল করে দেব (প্যারাফ্রেজিত)। অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছিল সেই কথা।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৪১585732
  • দ্যাখেন তক্কো করতে চাইলে করতেই পারেন। ওরকম করলে কতকিছুই বলা যায়। নন্দীগ্রাম বলে একটা জায়গা আছে কে বলল, অবধি।

    সূর্যোদয়টা যদি আপনি বিশ্বাস করেন, যে খালি হাতে ডান্ডি অভিযানের মতো অহিংস গান্ধীবাদী মতে হয়েছিল, তো আপনার সঙ্গে সত্যিই আর কোনো তক্কো নাই। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। :)
  • PT | 213.110.243.23 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২০:৫৫585733
  • সুর্যোদয়ে এলাম কেন? আমার হিসেবে অবরোধ না থাকলে, গুজব না ছড়ালে হয়্ত ১৪-ই মার্চই ঘটত না। তাহলে তো সুর্যোদয়েরও প্রয়োজন হত না!

    সিপিএমের তো ক্ষমা চাওয়া উচিতই। কিন্তু তার সঙ্গে কবীর সুমন সহ অন্যরা যারা মিথ্যা প্রচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন (এবং জানতেন যে গুজব চাড়াচ্ছেন) তাঁরাও প্রকাশ্যে নাক-কান মুলে ক্ষমা চান। কেননা তাঁরাও এই ১৪ জনের মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে দায়ী।
  • pi | 78.48.231.217 | ২৭ মার্চ ২০১৩ ২১:১০585735
  • আগের টইয়ে একটা ডকু দিতে শুরু করেছিলাম। পার্ট ওয়ানটা দেবার পরে তার অল্টারনেট ব্যাখ্যার জন্য কত অপেক্ষা করলাম। এল না ঃ(

    অন্ততঃ নন্দীগ্রামে ১৪ জন মারা গেছিলেন মাওবাদীদের গুলিতে, এটা কি একবারও শুনবো না ?

    যাই হোক, এই টইতে সূর্যোদয় নিয়েই যখন এল, এটাও থাক ঃ

    http://ibnlive.in.com/videos/52234/cpm-cadres-fired-5000-bullets-in-nandigram.html

    কারা 'আক্রমণকারী', তাই নিয়ে কিছু কথা আছে। আরো কিছু কথা আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন