এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গোর্খাল্যান্ড ???

    Ananyo
    অন্যান্য | ০৪ আগস্ট ২০১৩ | ২৭৯০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.243.23 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৩:২৬615888
  • "বাল গঙ্গাধর তিলক-লালা লাজপত রায়- ভগৎ সিং গান্ধীর কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট"- ইত্যাদিকে আমি অর্থহীন বললাম? -কোথায়? এটা তো চাঁদের আলোকিত দিকটি যেটা সারাক্ষনই দেখতে পাই-মানে সেই চোখ মেলে তাকানোর বয়স থেকেই দেখছি। আমি চাঁদের অন্ধকার দিকটাও দেখতে চাইছিলাম।

    ১৯৪৭-এর ১৫-ই অগাস্ট পতাকা তুলে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে লক্ষ লক্ষ ছিন্নমূল মানুষগুলো নিত্যানন্দ হয়ে হাড়িকাঠে গলা দিয়েছিল? মানে ওরাও এইরকম স্বাধীনতা চেয়েছিল? নাকি এসবই কোল্যাটারাল ড্যামেজ? এসব নিয়ে আলোচনা না করাই বোধহয় ভাল-বিশেষতঃ দুপুরে ভাত খাওয়ার সময়!

    "when the Bengal ministers sought his blessings, Gandhi told them, “Today, you have worn on your heads a crown of thorns. The seat of power is a nasty thing. You have to remain ever wakeful on that seat. You have to be more truthful, more non-violent, more humble and more forbearing. You had been put to test during the British regime. But in a way it was no test at all. But now there will be no end to your being tested. Do not fall a prey to the lure of wealth. May God help you! You are there to serve the villages and the poor.” http://www.telegraphindia.com/1090815/jsp/opinion/story_11347661.jsp

    এ সবই পেয়েছি আমরা ৬৬ বছরে (দুটো প্রজন্ম) নাকি এসব ধাপে ধাপে হবে?

    কিন্তু যেটার উত্তর এখনও পেলাম না ৪৭-এ " ঠিক কাদের উপকারের জন্য বাঙলা ভাগ হয়েছিল?"

    আর "সাম্য প্রতিষ্ঠা" হলে আদৌ গোর্খাল্যান্ড চাওয়ার কোন প্রয়োজন থাকবে?
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৩:৩২615889
  • অধুনাকালে, ভাষা/সংস্কৃতি/গোষ্ঠী নিয়ে ভাগাভাগির অনবদ্য উদাহারণ হল - যুগোস্লোভিয়া। এমন কিছু বড় দেশ ছিল না ( অন্ধ্রপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র জুড়ে দিলে যতটা জায়গা হয় তার চেয়ে একটু বেশী), ধর্মীয় ভাগাভাগি ছিল, তবে শুধু ধর্ম নয়, ভাষা/সংস্কৃতির ক্ষুদ্রতম ভাগাভাগি, এমন কিছু তফাৎ নয়, গোষ্ঠী বলা যেতে পারে - তাই নিয়ে যুগোস্লোভিয়া সাতটা দেশে ভাগ হয়েছে
    - স্লোভেনিয়া
    - ক্রোয়েশিয়া
    - বসনিয়া
    - মন্টেনেগ্রো
    - সার্বিয়া
    - ম্যাসাডোনিয়া
    - কোসোভো
    এটা ভাল না খারাপ তাই নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত আছে।

    গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আমার মূল কনফিউশন হল সাইজ নিয়ে। এত ছোট সাইজ, এবং, ছোট জনসংখ্যা নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবী টেঁকানো মুশকিল।
  • PT | 213.110.243.23 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৩:৩৬615890
  • আমার অন্য একটা কন্ফুশন আছেঃ সারা বিশ্ব জুড়ে ছোট ছোট দেশ হলে- আর তারা পরস্পরের দিকে দাঁত-নোখ তাক করে রাখলে আমেরিকার কি খুব লাভ হয়?
  • নাম | 208.7.62.204 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৪:১৪615891
  • এই খেলাটা তো ভারতেও খেলা হচ্ছে! যতো বেশি করে ছোটছোট রাজ্যের দাবী উঠবে, তারা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করবে, প্রভুদের তো ততো বেশি করে সুবিধা হবে! এগুলো না হলে ১% কীভাবে ৯৯%কে দাবিয়ে রাখবে?
  • h | 213.132.214.156 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৩৬615892
  • বুঝলাম না, কিন্তু তাইলে বড় রাজ্যে কাদের এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে, সেটাতে এতো ১% , ৯৯% প্যাটার্ন এর থেকে নতুন কি আসে, সেটা জানার আগ্রহ রইলো।

    আর বড় রাজ্য যদি সমাধান হবে, তাইলেই ছোটো রাজ্যের দাবী উঠবে আদৌ কেন?

    ট্র্যাডিশনালি, কংগ্রেস বড় রাজ্যের পক্ষে, আর নতুন পাওয়ার এসটাবলিশমেন্ট তৈরি করার জন্য, বিজেপি ছোটো রাজ্যের পক্ষে। প্লাস কিছু ইসু থাকে। যেমন ধরুন উত্তরাখন্ডের ইসু তে বিজেপি র একটা অংশ যত সাপোর্ট করেছিল, বা গোর্খাল্যান্ডে যা সাপোর্ট করছে, সেটা বোডোল্যান্ডের বেলায় করবে না, বা প্রথমে ঝাড়খন্ডের জন্য করে নি, তেলেংগানায়, বিজেপি এই ইসু তে ইরেলিভ্যান্ট।

    এটার মধ্যে একটাই প্যাটার্ন বেরিয়ে আসছে, সেটা হচ্ছে, হিন্দু নেশনহুডের যে মার্শাল ইমেজ রয়েছে (ধরুন, আদবানীর রথের রামের ছবি, আর আপনার কৃত্তিবাসে দেখা রামের ছবি তো আলাদা, প্রথম টা অনেক বেশি, ওয়ারিয়র লাইক) তার সংগে যা ম্যাচ করবে, বা ধরণ আদিবাসী দের ক্ষেত্রে 'পুনরহিন্দুকরণ' সম্ভাবনা যেখানে আচে সেখানে তার ন্যাচারাল সমর্থন বেশি পাওয়া যাবে।

    বাকিটা তো আকচা আকচির খেলা। ঠিক আমাদের এই টই এর মত ;-) পাওয়ার ইকিউএশনে রেলেভ্যান্ট হওয়ার জন্য, একটা এলাকায় রেলিব্যান্ট হওয়ার জন্য কে কি করে কোনো ঠিক নাই। কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ত্বের একটা অংশ গ জ মুর ডাকা সর্বদলীয় সভায় ছিল।

    প্লাস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব আর লোকাল নেত্R্তিত্ত্ব সব সময়ে একই দৃষ্টিভংগী নিয়ে চলে না, সব দলেই। লোকাল কংগ্রেস নেতার কাছে, সর্ব দলে যোগ দেওয়াটা নিজের এলাকায় রেলিভ্যান্ট থাকার তাগিদ হতে পারে, আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের কাছে সেটা জাস্ট অয়্নাদার বার্গেন হতে পারে।

    তবে গোর্খাল্যান্ড এর ক্ষেত্রে কংগ্রেস চাইতেই পারে, বিজেপির জেটা সিটে একটা পজিশন চাইতেই পারে। সিকিম এ যেমন , রাজ্য জন্মানোর সময় থেকে, কংগ্রেস মূল নেতৃত্ত্বে।

    ----
    ইশান, ফাইন, ফেয়ার এনাফ। তবে পিটিডা একটা লিংক দিয়েছে, বলে নিজের বক্তব্য কে গুরুচন্ডালির বক্তব্য বলে চালাতে পারে কেন তোর মনে হল, সেটা বুঝি নি।
  • নাম | 103.115.84.195 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৫:২৫615893
  • 'বুঝলাম না, কিন্তু তাইলে বড় রাজ্যে কাদের এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে, সেটাতে এতো ১% , ৯৯% প্যাটার্ন এর থেকে নতুন কি আসে, সেটা জানার আগ্রহ রইলো।

    আর বড় রাজ্য যদি সমাধান হবে, তাইলেই ছোটো রাজ্যের দাবী উঠবে আদৌ কেন?'

    এখানে বোধহয় কার্য্য-কারণ সম্পর্ক উল্টো করে দেখা হচ্ছে। বড়ো রাজ্যে কারুর এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে, বা বড়ো রাজ্যে ১%-৯৯% বিভেদ নেই, একথা বলিনি। বলতে চেয়েছি, ছোটছোট রাজ্যের দাবী তৈরী করা, সাধারণ লোককে উস্কানো, এটা মূল সমস্যার থেকে নজর ঘোরানোর একটা কৌশলমাত্র। ৯৯% যতো এইসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করবে, ১% এর ততো সুবিধে। এই দাবীগুলো যে সবসময়ে কৃত্রিম ভাবে তৈরী করা, ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া, তাও নয়। অনেকসময়ে কিছু ন্যায্য দাবীও থাকে। কিন্তু এগুলো ওস্কায়, এগুলোর থেকে ফায়্দা তোলে সেই ১%।

    একটা সাম্প্রতিক উদাহরণ দি। কংগ্রেস ঘোষণা করলো তেলেঙ্গানা হবে, সেই নিয়ে কোরকমিটি, বৈঠক, কাগজে কাগজে কত জল্পনা চললো। আবার তেলেঙ্গানা হবার পরেই আরো পঞ্চাশটি রাজ্যের দাবী মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো, আরো জল্পনা হলো, কংগ্রেস মুখপাত্র গন্ভীর গলায় ঘোষণা করলেন, না, আপাতত আর রাজ্য নয়, কাগজে-টিভিতে এই নিয়ে আরো কিছু জল্পনা হলো। দারিদ্র্য আমাদের মূল সমস্যা, বেকারি আমাদের মূল সমস্যা, নিত্য মূল্যবৃদ্ধি আমাদের মূল সমস্যা, এসবের বদলে আমরা দিব্যি আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, এবার তেলেঙ্গানা হবে? এবার কি গোর্খাল্যান্ড হবে?
  • h | 213.99.212.53 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৬:০৬615894
  • হ্যাঁ এগ্রিড, যে জার্নালিস্টিক রিপোর্টিং এর একটা সমস্যা হল, গোটাটাই একটা পাওয়ার গেম হিসেবে দেখানো হয়, এবং আসল ইস্যু গুলো কে ট্রিভিয়ালাইজ করা হয়।

    এবং তার দ্বারা যদি আন্দোলন বা সরকারী নেতৃত্ত্ব প্রভাবিত হয় তার এভিডেন্স ও নিশচয় ই আছে।

    কিন্তু এটা ভুললে চলবে না, সংবাদ মাধ্যমে যে রিপোর্টিং হয়, যেটাতে আমরা আকৃষ্ট হই, সেটা যাই থাক, সরকার আর আন্দোলন কারী অথরিটির মধ্যে যে লিখিত লিগাল ডকুমেন্ট গুলো হয়, সেগুলোতে আইনের ফ্রেমওয়ার্ক এর মধ্যেই ডিটেল এর দর কশাকশি হয়। যেমন ধরুন জিটিএ চুক্তিতে গোর্খাল্যান্ড শব্দের ব্যবহার আছে আর তার আগের চুক্তি তে নেই। জাতি প্লাস এলাকার মান্যতা আছে, দার্জিলিং - গোর্খা হিল কাউন্সিল কিন্তু শুধু জাতির নেই।

    যেটা মূল রাজনইতিক বিষয় থেকে খুব দূরে না। ইনস্পাইট অফ মিডিয়া র‌্যাম্ব্লিংগ্স।
  • PT | 213.110.243.23 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৭:৪৬615895
  • স্ত্রীঃ তুমি যে বলেছিলে পাকিস্তান হলে আমাদের সব দুঃখ ঘুচে যাবে?

    স্বামীঃ গরীবের হিন্দুস্তানও নাই পাকিস্তানও নাই, আছে শুধু গোরস্তান!

    (পালঙ্ক; রাজেন তরফদার)
  • h | 213.99.212.53 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৯:০০615896
  • আমি সিরিয়াসলি বুঝতে পারছি না, দেশ ভাগ আর রাজ্যভাগ কে এক বিষয় করে দেখছেন কেন?
  • কল্লোল | 125.242.246.156 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২১:১৪615898
  • কারন বলা হচ্ছে যে গোর্খাল্যান্ড হলে যদি গোর্খাদের মধ্যে সাম্য না আসে, যদি উন্নয়ন না হয়, তবে গোর্খাল্যান্ড চাওয়ার মানে হয় না।
    সেই প্রেক্ষিতেই এলো বাংলাদেশ। সাম্য আসেনি, উন্নয়নও হয় নি। তবে বাংলাদেশ হবার কোনও মানে নেই।
    এই আর কি।
  • cm | 127.193.41.125 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২১:১৯615899
  • ঈশানবাবুর Page 35, Date:19 Aug 2013 -- 09:33 PM পোস্টের অংশবিশেষ ( "অর্থনীতির বিষয়গুলি হল প্রায়োরিটি। এবং বাকি গুলি কম প্রায়োরিটি।" বা "স্ট্রাকচারই আসল, সুপারস্ট্রাকচার নয়"। এইগুলো হচ্ছে চান্দুমিয়ার অবস্থানের ভিত্তি। এর অনেকগুলি অনুসিদ্ধান্ত হতে পারে। তার অনেকগুলি চরম, মানে এক্সট্রিম। তার একটিতে চান্দুবাবু বিলং করছেন। অর্থাৎ, "অর্থঐতিক উন্নয়ন বাদ দিয়ে বাকি যা কিছু সবই মূল সমস্যাটাকে ঘুলিয়ে দেবার চেষ্টা।" ) পড়িয়া আমার বাকরহিত হইয়াছে। আমি এই সব কহিয়াছি। আমি কি তবে পন্ডিত হইয়া গেলাম? মূর্খামির দিন কি তবে শেষ? স্মরণে আসিতেছে না কোথায় এরূপ কহিয়াছি। স্মরণ করাইলে বাধিত হইব। খুঁজিয়া দেখিলাম গোদা ভাষায় মেঠো চাহিদাগুলি
    (Date:15 Aug 2013 -- 11:27 PM "যদি লড়তে হয় হাল বদলের লড়াই হোক।"
    Date:17 Aug 2013 -- 10:39 PM "আসল এজেন্ডায় যাওয়া যাক। আপাতত যেটা সবার মাথায় পাকা ছাদ, পানীয় জল আর খাদ্য।") ব্যক্ত করিয়াছি মাত্র।

    একই সাথে স্বীকার করি পোস্টখানি পড়িয়া কিঞ্চিৎ আহ্লাদও হইয়াছে। হইবে না? অবশেষে পানীয় জল মিলিয়াছে ( "প্রত্যেকের জন্য চাই বিশুদ্ধ পানীয় জল।" ) তৃষ্ণায় গলা ফাটিতেছিল আর উনি ভাষা সংষ্কৃতি জাতিসত্ত্বার উপর ভাষণ করিতেছিলেন। (Date:18 Aug 2013 -- 12:37 AM "সেইজন্যই বলি, ভাষা, সংস্কৃতি, জাতি বাদ দিয়ে "আমাদের" উন্নতি মাপা অবস্তব।" ) আঃ অবশেষে তৃপ্ত হইলাম। সে পানীয় জল উনি গোর্খার বেলচায় পুকুর কাটিয়া আনিবেন না অন্য কাহারো বেলচায় তাহা লইয়া আমার চিন্তা নেই। সহজেই অনুমেয় উনি সস্তায়, পরিবেশ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করিয়া ব্যবস্থা করিবেন। বেলচা গোর্খার লোহার না ডিডিদার সোনার আমার তাহা লইয়া কি? অর্থনীতিবিদেরা, পরিবেশবিদেরা আছেন, উহারা ভাবিবেন। আমার ন্যায় আর যে যে গোল করিতেছিলেন শান্ত হউন, হিটিং এর দাবীটিও (Date:18 Aug 2013 -- 12:51 AM
    " কি জিনিস অগ্রাধিকার পাবে সেটাই জরুরী যথা গোর্খা ভাষার বিকাশ না দার্জিলিং এর লোকের শীতকালের হিটিং?") বিবেচিত হইতেছে।

    পরিশেষে জানাই এ সকল দাবীদাওয়ার সহিত আমি কোন জাতিসত্ত্বার বিশেষ যোগ দেখিতেছি না তাই আশা রাখিব সকলের জন্যই অনুরূপ দাবীর সুরাহা হইবে।
  • কল্লোল | 125.242.246.156 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২১:২৭615900
  • ঈশেন তো লিখলো - "যা যা বললাম, প্রতিটিই পরিমাপযোগ্য। বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি, জলস্তর নেমে যাওয়া, আর্সেনিকের প্রাবল্য, উচ্ছ্দে। সবকটা। কিন্তু এর কারণটা, যে অর্থে পরিমাপ শব্দটা বলছেন, সেটা পরিমাপযোগ্য নয়। কারণ সমস্যাটা ধারণাগত। "গোষ্টীগত", "জাতিগত" প্রজ্ঞাকে পাত্তা না দিয়ে "অর্থনৈতিক উন্নয়ন" নামক একটি ফ্যাশানেবল বস্তুর স্টিমরোলার চালানো। এই ধারণাটাতেই আমার আপত্তি। "স্ট্রকচার" আর "সুপারস্ট্রাকচার" এখানে আঞ্চলিক সংস্কৃতির সঙ্গে অচ্ছেদ্য। কোনোটাকে বাদ দিয়েই অন্যটাকে ভাবা যায়না।

    এখানেই আঞ্চলিকতা বা জতিগত সত্ত্বার গুরুত্ব। সায়ত্বশাসনেরও গুরুত্ব। দিল্লীবাসীর "উন্নয়ন" আর ছত্তিশগড়ের "উন্নয়ন" এক নয়। সে জন্যই এদের আলাদা বিকেন্দ্রিক ছাতা দরকার। সেটা "রাজ্য" নামক একটি বর্গ দিয়ে হতে পারে। বা অন্য কোনো বর্গ দিয়েও হতে পারে। অসুবিধে নেই।"

    এতে তো জাতিস্বত্ত্বা আর আঞ্চলিকতার কথাই আছে। তা বাদ দিয়ে উন্নয়ন হয় না।
  • cm | 127.193.41.125 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২১:৩২615901
  • কল্লোলদা কি আমায় বললেন? আমার পোস্টটি আরেকবার পড়তে অনুরোধ করব।
  • PT | 213.110.240.200 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২১:৪০615902
  • না তা দেখছি না।
    তবে exploitation-এর প্যাটার্নটা বোধহয় একই রকম। এক্ষেত্রে কাক কাকেরই মাংস খায়। ইউপি কেটে চার টুকরো করলেও, মধুচন্দ্রিমা কেটে গেলে বা প্রথম প্রজন্মের শাসকরা চলে গেলে চারটি রাজ্যেই একই ধরনের অনাচার শুরু হবে যেটা আগের গোটা ইউপি জুড়েই ছিল। আর সেটা চলছে বলেই-যদি একটা বাইরের মাপকাঠিতে দেখি- UNDP-র HDI-তে আমরা কিছুতেই ওপরের দিকে উঠতে পারছি না।

    আসলে পরিবর্তন, তা সে শাসক বদলেই হোক কিংবা রাজ্য টুকরো করেই হোক-কার বা কিসের জন্য হচ্ছে সেটা আগে পরিষ্কার হওয়া খুব জরুরী।

    বাংলাদেশে একই ধর্ম, একই ভাষা-আমরা ভাষা দিবস পালন করে আপ্লুত-তাতে বেশীরভাগ বাংলাদেশীর কি এল গেল? স্বাধীনতার চার দশক পরে সেখানে কি অবস্থা?

    ১। A new elite was created, whose members drive 4x4s, eat at Pizza Hut (which has great cachet in Dhaka), play golf and send their children to study in the US. “The garment trade offers easy money, a lucrative means to invest in any other sector or a route into parliament,” said Anu Mohammed. “Officially, only 29 of the 300 members of parliament are textile factory owners. But in reality, if you include those whose interests are registered under another name, there are many more. In Bangladesh, it’s hard to find anyone with power who isn’t linked to the world of textiles. And the BGMEA is at the controls.” http://mondediplo.com/2013/06/06bangladesh

    ২। Bangladesh: 2011 Findings on the Worst Forms of Child Labor. http://www.dol.gov/ilab/reports/child-labor/bangladesh.htm
  • lcm | 118.91.116.131 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২২:২৩615903
  • জাতিস্বত্তার প্রকাশ বা অধিকার যেমন একটা দিক (যেটা মানবাধিকারের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত হতে পারে), তেমনই, একসঙ্গে মিলেমিশে থাকাও একটা দিক, তারও কিছু সুযোগ সুবিধা আছে বইকি। নিজেদের সংস্কৃতির মধ্যে অন্য সংস্কৃতির জন্য স্পেস দেওয়া - সেটারও প্রয়োজন একেবারে নেই কি। অবশ্যই সেটা একতরফের হতে পারে না। দাদু বলে গেছেন - বিবিধের মাঝে দেখো মিলন.... এসেট্রা... দাদু কিন্তু "বিবিধ"-র অস্তিত্বকে গুরুত্ব দিয়েই বলেছেন...

    যুগোস্লোভিয়া ভেঙ্গে সাত সাতটা আলাদা দেশ হবার উদাহারণ এই জন্যে দিয়েছিলাম, যে, কোথায় যেন পড়লাম - এক দল পন্ডিতের মতে এগুলো আবার জুড়বে - হয়ত একশো দেড়শো বছর পরে। মনে রাখতে হবে তিব্বতের অনেক মানুষ কিন্তু খুশী চায়না নিয়ে নেওয়াতে।
  • উন্নয়ন | 103.115.84.195 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২২:৩০615904
  • 'উদাহরণ দিই। পরিবেশ নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের থেকে। ধরুন জলসমস্যা। প্রত্যেকের জন্য চাই বিশুদ্ধ পানীয় জল। এ একটা মৌলিক চাহিদা। এই চাহিদাটি "উন্নয়ন"এর ধারণার চেয়ে অনেক অনেক আগে এসেছে। এবং মানুষ বিভিন্নভাবে এটাকে ডিল করার চেষ্টা করেছে। সংস্কৃতির নিরিখে এই পদ্ধতিটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম। পশ্চিমবঙ্গে পুকুর কেটে, বৃষ্টির জল জমিয়ে পানীয় জলের সমস্যাটি দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। নদীমাতৃক এলাকা, নদীর সঙ্গে জড়িয়ে থেকে বাঁচা, ভাটিয়ালি, আর জলকে নিজের মতো করে ব্যবহার করা -- এসবই পাশাপাশি এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে।'

    সত্যি বলতে, এই জায়্গাটা আমি আদপেই বুঝতে পারিনি। জল ধরে রাখার এই যে উদাহরণ, সেটাতো পৃথিবীর যেকোন নদীমাতৃক এলাকাতেই প্রযোজ্য! সেখানে বাঙ্গালিরা থাকুক, মারাঠিরা থাকুক, চিনেরা থাকুক বা যারাই থাকুক, যেকোন ভাষাভাষী বা জনজাতি থাকুক, তারা তো একই পদ্ধতিতে জল ধরে রাখবে! সংস্কৃতির সাথে এর সঠিক কি সম্পর্ক? একইভাবে পাহাড়ি এলাকায় অন্য কোন প্রযুক্তি বা পদ্ধতি ব্যবহার করে জল ধরবে, সেই পাহাড়ে গোর্খারাই থাকুক, বা বাঙ্গলিরাই থাকুক, বা কোন আদিবাসীরাই থাকুক। এর কারণও সহজ - গোর্খাই হোক, কি বাঙ্গালি, কি কাশ্মিরী, আদতে সবাই মানুষ। একদল মানুষের যে পদ্ধতি কাজে লাগে, আরেকদল মানুষেরও অনুরূপ পরিস্থিতিতে সেই একই পদ্ধতি কাজে লাগে। এর সাথে আলাদা জনজাতি হওয়ার বা আলাদা রাজ্য পাওয়ার ঠিক কি সম্পর্ক বুঝিনি।

    অন্য অনেকরকম উন্নয়নের উদাহরণ কল্পনা করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু সেই উন্নয়ন শুধু গোর্খাদেরই কাজে আসবে, বা শুধুমাত্র গোর্খাল্যান্ড তৈরী করতে পারলেই সেই উন্নয়ন ফলপ্রসু হবে, এরকম কোন উদাহরণ আমার মাথায় তো এলোনা।
  • h | 127.194.230.60 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৫১615905
  • সে তো ধরুন ইংরেজ আসাতে এবং কিছুতেই না যাওয়াতে আমাদের পূর্বপুরুষ দের অনেকেই খুশি ই হয়েছিলেন।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৭:৫৪615906
  • সিএম্র বক্তব্য বুঝি নাই। বক্রোক্তি করার চেষ্টা হয়েছে বুঝলাম। পরিষ্কার করে লিখলে নিশ্চয়ই উত্তর দেব।

    উন্নয়ন নামে যিনি লিখছেন, কেন নানাবিধ নামে লিখছেন জানিনা, যাইহোক, তাঁর বক্তব্যটা বরং পরিষ্কার। "একদল মানুষের যে পদ্ধতি কাজে লাগে, আরেকদল মানুষেরও অনুরূপ পরিস্থিতিতে সেই একই পদ্ধতি কাজে লাগে। এর সাথে আলাদা জনজাতি হওয়ার বা আলাদা রাজ্য পাওয়ার ঠিক কি সম্পর্ক বুঝিনি।"

    না বোঝাই স্বাভাবিক। বড়ো-বড়ো রাজ্যটাজ্যের কথা ছাড়ুন। ধরুন স্থানীয় স্বশাসন। পঞ্চায়েত। তার কাজটা কি? একটা পুকুর খোঁড়া, তিনটে টিউবওয়েল বসানো, আর দুটো স্থানীয় মোরামের রাস্তা বানানো, এই তো? এর কোনটা পঞ্চায়েত বাদ দিয়ে করা যায়না? লোকের জল দরকার কি আইএ এস পাশ করা আধিকারিকরা জানেন না? পুকুর খুঁড়তে কি রাস্তা বানাতে কি ইঞ্জিনিয়াররা জানেন না? সবাই জানেন। তাহলে পঞ্চায়েতের দরকার টা কি বলেন? যে লাইনে ভাবছেন, তাতে মাথা খুঁড়েও বার করা মুশকিল।

    কিন্তু আপনি-আমি যেটা বুঝবনা, বুঝিনা, সেটা হল, বীরভূমের কালুহা গ্রামে কটা পুকুর দরকার, কেন দরকার। পুকুর দরকার না কুয়ো দরকার। এমন কিছু হাতিঘোড়া জিনিস নয়, দুবছর ওই গ্রামে থাকলে আমরাও পারব। কিন্তু আমরা তো থাকিনা, তাই বুঝিনা। বড়ো কত্তারাও ওই কারণেই বোঝেন না। সে কারণে তাঁরা দায়িত্ত্বে থাকলে স্রেফ টাকা খরচা করতে হবে বলে যেখানে সেখানে টিউবওয়েল বসানো হবে, তারা সারাবছর খোঁড়া হয়ে পড়ে থাকবে। এই জন্যই লোকাল স্থানীয় স্বশাসন এবং বিকেন্দ্রিকরণের ধারণার উৎপত্তি।

    এবার ধরুন, পঞ্চায়েত কেন গ্রাম ধরে হয়? স্রেফ জনসংখ্যাকে দশ দিয়ে ভাগ করে বাউন্ডারি টেনে দিলেই তো হয়। কিন্তু সেটা করা হয়না। কারণ গ্রামভিত্তিক জনগোষ্টীগত কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, কিছু নির্দিষ্ট প্রজ্ঞা আছে, সেটা গ্রামের জন্য কাজে লাগানোর কথা ভাবা হয়। গ্রামের মাঝখান দিয়ে লাইন টেনে পঞ্চায়েত বানিয়ে দেওয়া হয়না।

    এই একই ফান্ডা রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিকেন্দ্রীকরণ তো স্রেফ এক ধাপে হয়না। এলাকার যেমন জনগোষ্ঠীগত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, তেমনই একটি রাজ্যেরও থাকে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলি বাইরের লোকের পক্ষে নির্দিষ্ট করে বোঝ সম্ভব নয়। যেমন আপনি বুঝছেন না। বুঝছেন না বলেই আলাদা স্বশাসনের পদ্ধতি দরকার।

    এর সঙ্গে দুটো কথা যোগ করব।
    এক, স্বশাসনের পদ্ধতি মানেই আলাদা রাজ্য হতে হবে তার কোনো মানে নেই। দরকার কি দরকর নয়, অন্যভাবে প্রশ্নটা মেটানো যায় কিনা, সেটা বোঝাবুঝি একটা দ্বিমুখী প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় বনাম স্থানীয় একটা আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন।
    দুই, রাজ্য বা আঞ্চলিক স্বশাসন উন্নয়নের গ্যারান্টি নয়। নানাবিধ কারণে অনেক কিছুই ফেল করে। অজস্র পঞ্চায়েতও প্রতি বছর ফেল করে। তার নানাবিধ কারণ আছে। কিন্তু তার জন্য পঞ্চায়েত ব্যবস্থা উঠিয়ে দেবার কথা কেউ ভাবেনা।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৮:০৪615907
  • আর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ দেখা কিভাবে একটি রাজ্যের পক্ষে সম্ভব সেটাও বুঝিয়ে বলি। ধরুন মাশুল সমীকরণ নীতি। সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু পণ্যের "সারাদেশে একই মাশুল" নীতি চালু করা হয়েছিল। খুবই শুভ উদ্যোগ। কিন্তু পূর্বঞ্চল (অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ তার মধ্যে অন্যতম), এই নীতিতে বাঁশ খেয়েছিল। বিশদে লিখছিনা, সকলেই জানেন। মোদ্দা যেটা হয়েছিল, যে, "দেশ"কে প্রায়োরিটি দিতে গিয়ে একটি অঞ্চলকে বাঁশ দেওয়া হয়েছিল। ইচ্ছা না অনিচ্ছ্হাকৃত সে আমরা জানিনা। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্বঞ্চলের রাজ্যগুলির ক্ষমতা ছিল উন্নয়নের স্বার্থে ওই নীতিটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এটা হল "উন্নয়ন"এর স্বার্থে আঞ্চলিকভাবে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধতা। উন্নয়নের স্বার্থেই সেটা প্রয়োজন।

    আঞ্চলিকতা সবসময় নিজের ভূমিকা পালন করতে পারেনা, আগেই লিখলাম, সেটাও এই ইতিহাসেই সুস্পষ্ট। যখন বিরোধিতার দরকার ছিল, পূর্বাঞ্চল নীতিটির বিরুদ্ধতা করেনি। চায়নি, বা পারেনি, বা দুটোই। এটা আঞ্চলিকতার ফেল মারার উদাহরণ। কিন্তু সেই না পারাকে রাজ্যগুলিই আবার শুধরে নিয়েছে, যখন, আঞ্চলিকতা জোরদার হয়েছে। ফেডারাল স্ট্রাকচার জোরদার হয়েছে। রাজ্যগুলির চাপ এবং নিউ ইকনইক পলিসি, যোগপৎ কারণে নীতিটি তুলে নেওয়া হয়েছে। সেটা আঞ্চলিকতা না থাকলে সম্ভব হতনা।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৮:২৭615910
  • এবার নির্ঘাত কোচ্চেন আসবে, এর সঙ্গে ভাষার কি সম্পর্ক। অনেক রকম সম্পর্ক। আপাততঃ শুধু সরাসরি টাকার সঙ্গে ভাষার কি সম্পর্ক সেটা ছোট্টো করে লিখে দিই।

    এই তথ্য আর যোগাযোগের যুগে, ভাষা স্রেফ ধুতি পরে সাহিত্যসভায় যাবার জিনিস নয়। ভাষা টাকাপয়সার দিক থেকেও একটা অ্যাসেট। অন্য সব বাদ দিন, বলিউডি সিনেমা ২০১২ সালে, এক্স্যাক্ট ফিগার মনে নেই, নেটে দেখলেই পাওয়া যাবে, যদ্দূর মনে হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। বলিউডি সিনেমার আর্থিক বিচারে এই বিপুল সাফল্য কি নায়ক-নায়িকাদের অবদান? একেবারেই না, এর সঙ্গে হিন্দিকে সর্বভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক করে তোলার একটা প্রোজেক্ট কাজ করেছে। এর সঙ্গে বইয়ের বাজার, সিডির বাজার, সফটওয়্যারের বাজার, গ্রিটিংস কার্ডের বাজার, টিশার্টের বাজার -- সব যোগ করলে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সে বলা ভারি শক্ত। ওহো, টিভি চ্যানেলের বিজনেস তো বাদই দিলাম।

    কাজেই কেয়ারফুলি ভাষা আর সংস্কৃতিকে প্রোমোট করলে সেটা টাকায় অনুদিত হতে পারে। হয়। উন্নয়নের সঙ্গে যার প্রগাঢ় যোগাযোগ।
  • lcm | 74.134.235.80 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৯:০১615911
  • সেটা ঠিক। পৃথিবী জুড়ে ইংরেজি/হলিউড যা, ভারত জুড়ে হিন্দি/বলিউড তাই।
  • PT | 213.110.243.23 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১০:২৬615912
  • এই ভাষা-অর্থনৈতিক যুক্তি অনুসারে সমস্ত আঞ্চলিক ভাষায় সিনেমা তৈরি বন্ধ করে হিন্দিতে ছবি তৈরি করা শুরু করা হোক। অর্থাৎ এই তাত্বিক ব্যাখ্যা আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতি প্রচারের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে।

    In fact অনেক বাঙালী চিত্রপরিচালক নাকি ইংরিজিতে ছবি করতে শুরু করেছেন বিশ্ববাজারে একটু জায়গা করে নেওয়ার জন্য। এই কারণেই কি কুণাল বসুর মত বাংলা ভাষায় অতি দক্ষ একজন লেখক তাঁর নিজের ভাষা পরিত্যাগ করে ইংরিজিতে বই লিখছেন?
  • কল্লোল | 125.241.27.237 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:১৩615913
  • ইশান বল্লে - "কাজেই কেয়ারফুলি ভাষা আর সংস্কৃতিকে প্রোমোট করলে সেটা টাকায় অনুদিত হতে পারে। হয়। উন্নয়নের সঙ্গে যার প্রগাঢ় যোগাযোগ।" উদা হিন্দি সিনেমা। হিন্দি পারলে বাংলাও পারবে বা আঞ্চলিক ভাষাগুলোও পারবে।
    আর পিটি বুঝলো উল্টো।

    পিটি - কুনাল বাংলায় লিখতো? তোমার মনে থাকলে বইয়ের নাম দাও, দেখি জোগাড় করতে পারি কি না। কলকাতায় যাবো ২৩শে। অনেকদিন পর যাদবপুরে অনুষ্ঠান করবো, ইন্দুমতি সভাগৃহে। প্রায় ২০ বছর পর।
  • h | 213.99.212.54 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:২৪615914
  • সালেম স্টিল প্ল্যান্ট টা বাই দ্য ওয়ে, রানীগঞ্জে তৈরী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ঐ অজানা কারণে হয় নি।

    সায়ত্ত্ব শাসন এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্থানীয় উন্নয়ন এর যে যুক্তি আছে তার বাইরেও মনে হয় আরেকটা দিক দেখা দরকার। এবং সেটা অ্যাকচুয়ালি তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক দিক দিয়ে বেশি প্রবলেমেটিক। সেটা হল আলাদা আঞ্চলিক সায়ত্ত্ব শাসন যারা চাইছেন, তাদের নেতৃত্ত্বের একটা বৃহৎ অংশ, উন্নয়ন বলতে যা বুজছেন, সেটা আদৌ বিকল্প কোন উন্নয়ন কিনা। এবং তাই যদি না হয়, তাইলে আর আলাদা রাজ্যের দরকার কি?

    আমার সংক্ষিপ্ত মত হল, উন্নয়নের ধারণা, এবং একেবারে স্থানীয় উন্নয়নের বাইরের যে উন্নয়ন বা বলা ভালো অর্থনইতিক নীতি/দর্শন/কার্যক্রম(ধরুন রাজ্য হলে, গোর্খাল্যান্ড এর আর্থনইতিক নীতি কি হবে, শিল্প নীতি কি হবে, কৃষি নীতি কি হবে ইত্যাদি) সেটা যদি সাংঘাতিক কিসু বিকল্প নাও হয়, তাহলেও আলাদা রাজ্যের দাবী সংগত। সিম্পল কারণ একটাই, সেটা হল, সত্যিকারের ফেডেরাল রিপাবলিক গড়ে তুলতে গেলে, এইটেই একমাত্র রাস্তা। হ্যাঁ অবশ্যই, রেভিনিউ ডিস্ট্রিবিউশন এর নীতিগত পরিবর্তন ও দরকার। আমার বক্তব্য হল, মিজোরাম সরকার, বা নাগা অথরিটি যদি মনে করে তারা ব্যাংকিং ফাইনান্স ইন্ডাস্ট্রি করবে, করুক, আই টি করবে করুক, তাতে যদি লোকাল রেজিস্টান্স হয় হবে, সেটা তারা সামলাবে। কিন্তু বিরাট বিকল্প কিসু নীতি না থাকলেও, এতো দিনের গ্রিওগ্রাফিক ডিসপারিটির ইতিহাস মিথ্যা হয় না।
  • h | 213.99.212.54 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:২৫615915
  • *জিওগ্রাফিক
  • h | 213.99.212.54 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:৩১615916
  • বাংলাকে পারতেই হবে, কেন, সেটা আমার কাছে পরিষ্কার না। মানি স্পিনিং করার ভাষা ইংরেজি, সেটা কলোনিয়ালিজম ইতিহাসের ডিরেক্ট হ্যাংঅওভার। স্প্যানিশ টা খানিক টা কম হলেও তাই।

    বাণিজ্যে আরবিক ভাষার প্রসার পশ্চিম এশিয়ায় সীমাবদ্ধ।

    পপুলেশন, ইমিগ্রেশন আর 'উন্নয়ন' এর লজিক একটা বা দুটো ভারতীয় ভাষা বা একটা চীনের ভাষা র গুরুত্ত্ব হয়তো আপেক্ষিক ভাবে বাড়িয়েছে। কিন্তু তাই বলে কি নেপালি ভাষা বা অন্যান্য অসংখ্য ভাষাকে ঐ মডেল ফলো করতে হবে ? নাই করতে পারে।

    মানে করবে না করবে না, সেটা সেই ভাষা ভাষী দের গল্প?
  • h | 213.99.212.54 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:৩৩615917
  • মানে ভাষার উন্নয়ন করার জন্য আমার কলোনী বানাতে ইচ্ছে করতে নাই পারে। এইটা খুব ই চাপ।
  • h | 213.99.212.53 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:৪৭615918
  • চাপ মানে, প্রায় বেজিং এ দুর্গোপুজোর রিপোর্টিং এর মধ্যে এইটেই রাজনীতি।
  • জীবনশৈলী | 103.115.84.195 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১২:৪৯615919
  • ইশাণের পোষ্ট দুটো পড়ে আমার মনে হচ্ছে, কোথাও যেন আপনি জীবনযাপনের পদ্ধতির সাথে প্রথাগত উন্নয়নের ভাবনাকে গুলিয়ে ফেলছেন। প্রতিটি জাতির, বা জনগোষ্ঠির, বা এমনকি ছোট্ট পাহাড়ি এলাকাতেও আলাদা জীবনশৈলী থাকে, আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, থাকাটাই স্বাভাবিক। ইংরেজিতে যাকে বলে way of life.

    কিন্তু এর সাথে পদ্ধতিগত বা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ভাব্না এক করে ফেললে তো ভারী মুশ্কিল! গোর্খাদের আলাদা জীবনশৈলী আছে, তাদের অধিকার আছে সেটা রক্ষা করার, এবং তাদের ও সমতলের মানুষদের দায়িত্ত্ব সেটাকে বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু এর সাথে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কী সম্পর্ক? বড়জোর বলা যেতে পারে যে পাহাড়ের উপযোগী করে যেন উন্নয়ন হয়, কিন্তু এখনো অবধি প্রায় সেরকমই তো হয়েছে! দার্জিলিংএ না রাজ্য, না কেন্দ্র, কেউ কখনো এমন কোন ভারী প্রকল্প হাতে নিয়েছে যাতে ওখানকার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে? বৈষম্য নিশ্চয়ই আছে, যেমন সারা দেশেই আছে, কিন্তু জিটিএ, গজমু ইত্যাদিরা সেই বৈষম্য দূরীকরণে এখনো ওবধি কতটুকু কি করেছে?

    পরিশেষেঃ

    'এই একই ফান্ডা রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিকেন্দ্রীকরণ তো স্রেফ এক ধাপে হয়না। এলাকার যেমন জনগোষ্ঠীগত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, তেমনই একটি রাজ্যেরও থাকে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলি বাইরের লোকের পক্ষে নির্দিষ্ট করে বোঝ সম্ভব নয়। যেমন আপনি বুঝছেন না। বুঝছেন না বলেই আলাদা স্বশাসনের পদ্ধতি দরকার।'

    দেখুন, কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করা মানেই সেটা আমি বুঝছিনা, এরকম ভাবাটা বোধহয় ভুল। এমনও তো হতে পারে যে এই ব্যাপারে আপনিই বুঝছেন না? আমি সব বুঝে গেছি, আর অন্যপক্ষ বোঝেনি, এরকম ভেবে বসলে মত বিনিময়ের জায়্গাটা আর থাকেনা।
  • h | 213.99.212.53 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১৩:১০615922
  • তিস্তা ব্যারেজ টা কে ভারী প্রকল্প বলা যেতে পারে। তাতে কিছু লোকের আপত্তি থাকতে পারে। তবে ভারী প্রকল্প হয় নি এটাও অন্য কিছু লোকের আপত্তি থাকতে পারে। এবং দু দলের ই রাজ্য চাহিদা হতে পারে। এই প্রবলেম টা এই আলোচনায় অ্যাড্রেস্ড হয় নি।

    আমার মনে হয়েছে, যে আর্বানাইজেশন এর একটা মডেল, (পূর্ব, দক্ষিন পূর্ব এশিয়া থেকে নেওয়া), সেটা র সংগে জুড়ে বসেছে, একটা হেজেমোনিক ধারণা যে মানুষের কাজের অধিকারের দরকার নেই, চাকরির দরকার নেই, সামাজিক সুরক্ষার দরকার নেই, শুধু এন্টারপ্রিনিয়োরশিপ হলেই চলবে(পড়ুন ক্রোনি ক্যাপিটালিজম) অর্থাৎ যে যা পারবে লো স্কিল ব্যবসা করে খাবে, এই ধারণাটার হেজেমোনিক শক্তি এতটাই ব্যাপক ও দৃঢ়, যে কৃষি আন্দোলন করা নেতা মন্ত্রী হওয়ার পরে, লোকের পেনসন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিল, পাবলিক ট্রাঅন্স্পোর্ট প্রায় সাকসেসফুলি তুলে দিল, এবং বিমল গুরুং হয়তো দার্জিলিং এ হয়তো ঝিন্চ্যাক উন্নয়ন টা কেই একমাত্র উন্নয়ন মনে করবে। এটার লোকাল রেজিস্টান্স হবে। তবে হ্যাঁ তার আগে, সায়ত্ত্ব শাসন টা দরকার, কিছু তো লোকের চাগরি হবে রে বাবা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন