এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গোর্খাল্যান্ড ???

    Ananyo
    অন্যান্য | ০৪ আগস্ট ২০১৩ | ২৭৮৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:২৫617008
  • "তাই বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়াটার কোন মানে হয় না? বাংলাদেশ তো জন্মই নিলো ভাষা আন্দোলন থেকে।"

    ৬ দফা দাবী মেনে নিলে আদৌ বাংলাদেশের জন্ম হত? আর বাংলা ভাষার সমস্যার জন্য বাঙালী মুসলমানেরা নিজেরাই অংশত দায়ী, ধর্ম/জাতিসত্বার আফিমে মজে গিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছিলঃ

    "১৯৪০-এর দশকের গোড়ায় দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান গঠিত হয়নি। এমন কি, গঠিত হবে এমন নিশ্চয়তাও ছিল না। কিন্তু তা সত্বেও এ সময়ে কিছু তরুণ মুসলিম লেখক দাবি করলেন যে, তাঁদের স্বাধীন রাষ্ট্র পাকিস্তানে যে বাংলা চালু থাকবে, সে ভাষার চরিত্র হবে 'হিন্দুত্ব' বর্জিত....আবুল মনসুর আহমদ, সৈয়দ আলি আহসান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন প্রমুখ লেখক এই মুসলমানি বাংলার পক্ষে ওকালতি করেন। ...... দেশ বিভাগের আগেই এই জাতীয়তাবাদি তরুণেরা "পূর্ব পাকিস্তান রেনেসা সোসাইটি' এবং 'পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ' গঠন করেছিলেন..... কেবল তাই নয়, কেউ কেউ আবার আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাব করেন।"

    "..... ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দীন.... বলেছিলেন যে পূর্বপাকিস্তানে সরকারী কাজে বাংলা ব্যবহৃত হবে। শিক্ষার মাধ্যমও হবে বাংলা...... কিন্তু উর্দুভাষী নবাব পরিবারের সন্তান হিশেবে বাংলার প্রতি তাঁর ভালবাসা ছিল সামান্যই। তিনি এবং তাঁর সরকার তাই এসব প্রতিশ্রুতির পক্ষে তেমন কিছু করতে চেষ্টা করেননি। উল্টো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৫২ সালে জানুয়ারী মাসে ঢাকা সফরে এসে তিনি নিজেই এক জনসভায় বলেন যে প্রাদেশিক ভাষা কি হবে তা ঠিক করবেন তা ঠিক করবেন প্রদেশের লোকেরা। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।"
    (হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি; গোলাম মুরশিদ; পৃঃ ১৮৩ ও ১৮৫)

    ২১-শে ফেব্রুয়ারী আরও এক মাস পরের ঘটনা।

    পুর্ব বাংলার মানুষেরা উগ্র জাতীয়তাবোধে (কার্বাংকলের পুঁজ-রক্ত) আচ্ছন্ন হয়ে নিজেদের পছন্দের ভাষা ও সরকার গড়তে চেয়েছিলেন। তার ফলশ্রুতি ২১ শে ফেব্রুয়ারি।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:২৭617009
  • "ডিম্পাউরুটি" নামক অশালীন শব্দটি চেনা চেনা লাগছে ঈশানবাবু?
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৩০617010
  • ডিম্পাউরুটি কোনো অশালীন শব্দ নয় পিটিবাবু। খামোখাই অশান্ত হচ্ছেন।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৩৮617011
  • আপনার কাছে নয়-আমার কাছে-that's what matters to me. আর আমি বহু আগে "এত উষ্মা কেন" জাতীয় শব্দের ব্যবহার করেছি। তাতেও আপনাকে থামানো যায়নি।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৪৮617012
  • দেখুন, পরিষ্কার করেই বলি। আপনি কবে থেকে ভন্ডামি দ্বিচারিতা এসব বলে চলেছেন, সেসব খুঁজেপেতে দেখাতেই পারি। কিন্তু অতো পরিশ্রম করবনা। যেটা বলার, সেটা হল, শালীন আর অশালীন শব্দের তো মোটামুটি একটা গ্রহণযোগ্য মাপকাঠি আছে। "বোকাচোদা" বা "মিথ্যেবাদী" যে অর্থে অশালীন ও অসংসদীয়, "আপনি একই কথা পঞ্চাশবার বলে চলেছেন", বা "অন্যের কথা শুনছেন না", এগুলো তো নয়। এগুলো আমার অবসার্ভেশন। শুনলে আপনার রাগ হতে পারে ঠিকই, কিন্তু আপনার রাগ হয় বলে তো আর শব্দ অশালীন হয়ে যায়না। আপনি একাএকাই বারবার একই কথা না বলে গিয়ে অন্যের যুক্তি শুনে শান্তভাবে উত্তর দিন না। অসুবিধে নেই তো।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৫৩617013
  • আপনি কোনটা অশালীন বা অবমাননাকর মনে করবেন সেটা সম্পুর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই। আর আমি কি ভাবে উত্তর দেব সে ব্যাপারে আপনি আমার পথপ্রদর্শক নাই বা হলেন।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৫৫617014
  • একমত না হলে অসুবিধে নেই তো। সেক্ষেত্রে যা বলবেন, সেরকমই উত্তর পাবেন। গপ্পো শেষ।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৮:৫৭617015
  • তুম ভি মিলিটারি তো হাম ভি মিলিটারি!!
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৩২617016
  • "‘সেন্টার (ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস)’-এর সংস্কৃতিবিদ্যার অধ্যাপক শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ও চার পাশে এই দ্বিচারিতাই দেখছেন, “কলকাতার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থা খুব খারাপ। এখানে বাংলা ভুল বললে কেউ লজ্জিত হয় না, ইংরেজি ভুল বললে লজ্জার একশেষ!” সাহিত্য অকাদেমির প্রাক্তন সচিব, মলয়ালম সাহিত্যিক সচ্চিদানন্দন আফশোস করছিলেন, “তরুণরা ক’জন আর মলয়ালম কাগজ বা বই-টই পড়ে! সবাই ইংরেজি পড়ে!”"
    http://www.anandabazar.com/archive/1130818/18edit2.html

    বিঃদ্রঃ "দ্বিচারিতা" শব্দটি লেখকের। এর জন্য পিটি দায়ী নয়।
  • s | 182.0.249.87 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১০:৩৭615799
  • এর সংগে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সম্পর্ক কি?
    আমার মাতৃভাষা আমি কিরকম চর্চা করব না করব আমার ব্যপার। যদি একেবারেই চর্চা নাও করি তবু ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে আমি আমার জাতিসত্বার বিকাশের জন্য আলাদা রাজ্য দাবী করতেই পারি।
    প্রশ্নটা দাবি নিয়ে নয়।
    প্রশ্নটা হল গোর্খাদের দাবীকে বৈধতা দিয়ে, সরকারের তরফ থেকে এই যে গোর্খা হিল কাউন্সিল, জিটিএ এইসব গঠন করা হয়েছে, তার কি সদ্ব্যবহার সুঘিঃ বা বিগুরা আজ পর্যন্ত করেছে যে তারা নেক্স্ট স্টেপের জন্য জেদ করছে।
  • আইদার-অর আবার | 208.7.62.204 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১০:৫১615800
  • যাক, তাহলে গুরুজনদের আইদার-অর মনোভাবের আরো একটি উদাহরণ এই টইতে পাওয়া গেলঃ

    ১। শ্রমনিবিড় শিল্প তৈরীতে উত্সাহ না দিলে বড়ো শিল্প তৈরীতে উত্সাহ দেওয়া যাবেনা।

    ২। হাওয়া, সৌর ইত্যাদি বিদ্যুত প্রকল্প বানাতে হবে, পারমানবিক বিদ্যুত প্রকল্প বানানো চলবেনা।

    ৩। ভাত কাপড়ের সমস্যা সংক্রান্ত আন্দোলন না করে পরিচয় বা সত্ত্বার আন্দোলন করা চলবেনা।

    :-)
  • cm | 127.193.46.213 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১১:২৬615801
  • কি হইল আধার কার্ড পান নাই আপনে?
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১১:২৮615802
  • এতক্ষণ ধরে শুনছিলাম যে ভাষাই নাকি জাতির অন্যতম (প্রধানতম?) পরিচয়-তাই এই লিংটা দিয়েছি।
  • cm | 127.193.46.213 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১১:৪৮615803
  • এই ভাষা, সংষ্কৃতি, জাতিসত্ত্বা এগুলো কি করে মাপে একটু বলবেন কেউ। আমার রোজ কতটা খাবার চাই ক্যালোরি দিয়ে বলতে পারি, ভিটামিন বা প্রোটিন রিকোয়ারমেন্ট বলতে পারি। বছরে তিনটে জামা লাগে বলতে পারি, রোজ ৮ ঘন্টা ঘুম দরকার বলতে পারি। কিন্তু আমার ঠিক ক কিলো জাতিসত্ত্বার জন্য আন্দোলন করা উচিত বলুন তো? আমি কি সাহিত্য হিসেবে রোজ একটা ছড়া, সপ্তাহে একটা কবিতা, বছরে একটা উপন্যাস দাবী করতে পারি? এগুলো জানলেই এবারে এই আম সরি জাতিসত্ত্বার আন্দোলনে নেমে যাব।
  • কল্লোল | 111.63.209.76 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:০৫615804
  • পিটি।
    "পুর্ব বাংলার মানুষেরা উগ্র জাতীয়তাবোধে (কার্বাংকলের পুঁজ-রক্ত) আচ্ছন্ন হয়ে নিজেদের পছন্দের ভাষা ও সরকার গড়তে চেয়েছিলেন। তার ফলশ্রুতি ২১ শে ফেব্রুয়ারি।"

    ২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলন "কার্বাংকলের পুঁজ-রক্ত" এটা তুমি বলছো!!!!!! আমি কি বুঝতে ভুল করছি??

    "৬ দফা দাবী মেনে নিলে আদৌ বাংলাদেশের জন্ম হত?"
    জানি না। কি হলে কি হতো তার হিসাব কষা আজকে অর্থহীন। তবে দিনের শেষে এটাই সত্যি যে ৬ দফা মানা হয় নি। আর ২১এর ভাষা আন্দোলনই পূর্ব পাকিস্তানে বাঙ্গালীর আত্মপরিচয় জোরদার করেছিলো।

    "সেন্টার (ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস)’-এর সংস্কৃতিবিদ্যার অধ্যাপক শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ও চার পাশে এই দ্বিচারিতাই দেখছেন, “কলকাতার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থা খুব খারাপ। এখানে বাংলা ভুল বললে কেউ লজ্জিত হয় না, ইংরেজি ভুল বললে লজ্জার একশেষ!” সাহিত্য অকাদেমির প্রাক্তন সচিব, মলয়ালম সাহিত্যিক সচ্চিদানন্দন আফশোস করছিলেন, “তরুণরা ক’জন আর মলয়ালম কাগজ বা বই-টই পড়ে! সবাই ইংরেজি পড়ে!”""

    কেন দ্বিচারিতা মনে হয়েছে শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়এর? বা সচ্চিদানন্দন কেন আফশোস করছেন?
    কারন জাতি পরিচয়ের অন্যতম প্রধান যে ভাষা তাকে ভুলে গেলে জাতি পরিচয়টিই সংকটে পড়ে যায়। সেটার জন্যই এঁরা মাতৃভাষা ভুলে যাওয়া/অবহেলার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:০৬615805
  • "বিহারের বদ্দি গ্রামে স্বাধীনতা দিবস পালিত হল। দলিতরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছিলেন, সেই অপরাধে উচ্চবর্ণের লোকেরা পাঁচশো জন মিলে তছনছ চালাল, এক জনকে খুন করল, চল্লিশ জনকে গুরুতর আহত, আর বাচ্চাদের ছুড়ে ছুড়ে ফেলল বাড়ির ছাদ থেকে। স্পষ্ট হল, স্বাধীনতা কাদের নিজস্ব সম্পত্তি" (আবাপ; ১৮-ই অগস্ট, সম্পাদকীয় পাতা)।

    কল্পনা করতে পারি যে এই দুই বর্ণের মানুষই একই ভাষায় (হিন্দিতে বা হিন্দির কোন ডায়ালেক্টে) কথা বলেন, বাঙালীর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও দাদাগিরি থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৬০-৭০ বছর আগে। এবং এটাও ধরে নিতে পারি যে শুধু স্বাধীনতা দিবসেই বছরে একদিন করে এই অত্যাচার চলে না।

    তাহলে এবারে কি চাওয়া হবে?-দলিতল্যান্ড?

    (এটা "আজাদ কাশ্মীর" টইতেও যেতে পারে)।
  • h | 213.99.212.53 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:১০615806
  • কিছুক্ষণ আগে, কথা হচ্ছিল, আই আই টির ডিরেকটর কোন ভাষা গোষ্ঠী থেকে আসছে ইত্যাদি নিয়ে।

    তো আমার বক্তব্য হল, বাংলা ভাষীদের 'উচ্চতর' শিক্ষিত মনে করার কারণ হল, তার ইংরাজি শিক্ষা। সেটা বাঙালিরা নিজেরাই মনে করছেন, অথবা অন্তত বিকল্প ইত্যাদি প্রকল্পে আগ্রহে দেখাচ্ছেন না। কিন্তু তাতে তাঁদের রাজ্যটির নাম ইংরেজি রাজ্য করার দাবী তুলছেন না। কারণ তাঁরা মনে করছেন, একটা জাতি সত্ত্বার ব্যাপার। আরেকটা কাজের জগতে 'বিশ্বের সংগে সংযুক্তি' ইত্যাদি কিসু একটা ব্যাপার। প্রবল কোন আন্দোলন হচ্ছে না, সত্ত্বা পরিবর্তনের ব্যাপারে।

    তো অন্য জাতি সত্ত্বার অন্তত সেই অধিকার টুকু থাকা উচিত। তাঁরা রাজ্য পেলেন জাতি সত্ত্বার ভিত্তিতে, আর চর্চা করলেন , সংযুক্তির কারণে, ইংরেজি। অসুবিধে কোতায়?

    আর আনন্দ বাজার পত্রিকা, সংস্থা হিসেবে, বাঙলা ভাষা চর্চার ব্যাপারে যতটা দুশ্চিন্তা দেখাচ্ছে, এমনকি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় এর সংগে মতৈক্য খুঁজে পাচ্ছেন,
    ঊনবিংশ শতকের শিক্ষিত দের জগতের নানা দ্বন্দ ইত্যাদি ইতিহাস নিয়ে তাত্ত্বিক প্রবন্ধ গুলিতে খুব বেশি এক মত পোষণ করে নি, সেটাও একটা প্রাদেশিকতার সমস্যা। এবং শুধু তাই না, শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় এর পুরোনো লেখা পড়লে বোঝা যাবে, রাজনইতিক সমস্যা। শিবজী বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিবলিওগ্রাফি এখন যথেষ্ট প্রচলিত, পাঠ্যের অন্তর্গত। পিটি দা র ও পরিচয় আছে বলেই মনে হয়। অতএব শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় কে কোট করে জাতি সত্ত্বার প্রয়োজন বিশেষ নেই এটা প্রমাণ করা কঠিন। বরঞ্চ এটা প্রমাণ করা যেতে পারে, দেশীয় ভাষার প্রসার ও প্রচার প্রয়োজন। আনন্দ বাজারকে ঐটুকু কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে, মালয়লম ভাশার কথা স্বীকার করতে হয়েছে। একই উদারতা সাবজুগেটেড ভাষা সম্পর্কে অবশ্য আশা করা যায় না।
  • কল্লোল | 111.63.209.76 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:১৩615807
  • সিএম। তর্ক করতে করতে এই অদ্ভুত জায়গায় যাওয়া কোন কারন আছে কি?
    ভালোবাসা মাপতে পারেন নিশ্চই, তা না হলে মা-বাবা, আত্মীয়-পরিজন বন্ধু-বান্ধব, এদের ভালোবাসেন কোংকোয়ে?
    কষ্ট? কষ্ট মাপতে পারেন কি? কষ্ট পান নি কখনো - এমন তো নয়।
    খাবার কথা বলছিলেন। ক্ষিদে মাপতে পারেন? একদিন না খেলে আপনার কতোটা ক্ষিদে পায়? ২০০ ক্ষিদে না ২০০০ ক্ষিদে? আশা করি ক্ষিদে আর ক্যালোরীর তফাৎ বোঝেন।
  • h | 213.99.212.53 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:১৫615808
  • দলিত রা দলিত ল্যান্ড চান নি, কারণ শুধু আঞ্চলিক মেজরিটি তাঁদের নেই, সারা দেশের দেশের বিরাট অংশ জুড়েই আছে। তাও তাঁরা দেশটি দাবী করেন নি, রিপ্রেজেন্টেশন দাবী করেছেন মাত্র।
  • কল্লোল | 111.63.209.76 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:১৮615810
  • একই জাতির মধ্যে বৈরীতা থাকবে না এমন কথা কে কোথায় বল্লে??
    তর্ক হচ্ছে বলে কি যা খুশী তাই একটা যুক্তির মতো কিছু খাড়া করে দেলেই হলো??
    তাহলে আর অতো বিহার-টিহার যাওয়ার কি দরকার, বাংলাদেশই তো আছে হাতের সামনে। সেখানে খুনোখুনি হচ্ছে না?
    যতদূর জানি বুদ্ধ ও মমতা একই ভাষায় কথা বলেন ও নিজেদের বাঙ্গালী বলেই ভাবেন।
    তো??????????????/
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:২৫615811
  • কল্লোলদা

    "২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলন "কার্বাংকলের পুঁজ-রক্ত" এটা তুমি বলছো!!!!!!"

    নাঃ, একেবারেই তা বলিনি। তাহলে গোলাম মুরশিদকে উদ্ধৃত করলাম কেন? উদ্ধৃতিগুলো আবার পড়, প্লিজ। যারা ১৯৪০ থেকে উগ্র জাতীয়তাবাদকে তোল্লাই দিচ্ছিল তাদের অবস্থানকে -কার্বাংকলের পুঁজ-রক্ত বলেছি। তার মধ্যে বাংলা ভাষার মুসলনমানি করণ, আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রস্তাব ও সর্বোপরি দেশ ভাগের পরে -"উর্দুভাষী নবাব পরিবারের সন্তান হিশেবে বাংলার প্রতি তাঁর ভালবাসা ছিল সামান্যই"-এরকম একটি মানুষকে ক্ষমতার শীর্ষে মেনে নেওয়া এ সবই তো পশ্চিম পাকিস্তানের ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর হাতের পুতুল হওয়ার সমস্ত উপকরণ তৈরি করে দিয়েছিল। এরা ভাষাকে "ভালবেসে" দেশভাগ চেয়েছিল? এদের সঙ্গে ১৯৫২-র রাস্তায় নামা মানুষগুলোকে আমি মিশিয়ে ফেলিনি। যারা উন্মাদনা তৈরি করে তারা তো সব সময় গুলী খায়না। খাজা নাজিমউদ্দীন কিসের জন্যে আলাদা দেশ চেয়েছিল-বাংলা ভাষার জন্য?

    যাক "দ্বিচারিতা" শব্দটা ঠিকঠাক স্পিরিটে ধরেছ। আমিও তাই ভেবেছিলাম-ধর আমি আমার সন্তানকে বাংলা শেখাতে পারলাম না-বা আমার মত আরও অসংখ্য মধ্যবিত্ত তাদের সন্তানদের বাংলা শেখাতে পারল না-আর আমি বা আমার মত এক্দল মানুষ ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য সৃষ্টির দাবী জানাতে থাকল-সেটাতে আমি বা আমরাও কি "দ্বিচারিতা" করলাম না?

    12:06 PM-এর পোস্টিং টাও দেখো।
  • কল্লোল | 111.63.209.76 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:৪৭615812
  • "খাজা নাজিমউদ্দীন কিসের জন্যে আলাদা দেশ চেয়েছিল-বাংলা ভাষার জন্য?"
    ঠিক বুঝলাম না। খ্বাজা নাজিমুদ্দিন আবার কবে বাংলাদেশ চাইলেন?? ওনারা পকিস্তান চেয়েছিলেন ধর্মের ভিত্তিতে, তাই ভাষারও মুসলমানীকরণ করতে চেয়েছিলেন। উনি তো বাংলাদেশ হওয়ার অনেক আগেই মারা যান। উনি বরং ভাষা আন্দোলনের দমনকারীদের একজন।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১২:৫৮615813
  • এখন ইতিহাস পড়লে মনে হয়না যে কে কার হাতে খেলেছে সেটা পরিষ্কার নয়? আমি অবাক হচ্ছি এইটা ভেবে যে বাঙালী মুসলমানেরা ভাষার জন্য একদিকে "জাতীয়তাবাদি তরুণেরা "পূর্ব পাকিস্তান রেনেসা সোসাইটি' এবং 'পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ' গঠন করেছিলেন" আর অন্যদিকে এঅমন একজনের দ্বারা শাসিত হতে রাজী হয়েছিলেন এমন একটি মানুষের দ্বারা "বাংলার প্রতি যাঁর "ভালবাসা ছিল সামান্যই"!? ইনি ক্ষমতায় থাকলে বাংলা ভাষা যে অবদমিত হবেই সেটা ঐ সময়ের বাংলাভাষী পন্ডিতেরা বোঝেননি?
  • h | 213.99.212.54 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৩:১৮615815
  • পিটি দা, এটা আমার ও মনে হয়। তবে আমাদের হাইন্ড সাইট এর অ্যাডভান্টেজ আছে, ওঁদের কেন কারোর ই সেটা ছিল না।

    http://jang.com.pk/thenews/Aug2013-weekly/nos-18-08-2013/enc.htm#1

    of things not so august বলে একটা প্রবন্ধ বেরিয়েছে। পাকিস্তানের নিউজ অন সান্ডে পত্রিকায়, পড়ে দেখতে পারেন।
  • কল্লোল | 111.63.209.76 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৩:১৮615814
  • সব কিছুই যদি প্রথমেই ঠিক করে ফেলা যেতো এবং আইডিয়াল হতো, তবে তো সমস্যাই ছিলো না।
    পূর্ব বাংলায় অনেক মুসলমান তো দেশভাগ চান নি। তারা রিফিউজি হয়ে চলে আসেন নি তো। মেনে নিয়েছিলেন দেশভাগ, কারন তাদের পক্ষে মেনে নিয়ে পূর্ব বাংলায় থেকে যাওয়া সম্ভব ছিলো। এই মেনে নেওয়ার মানে এই নয়, যে পরে তাই নিয়ে প্রতিবাদ করা যাবে না। আবার অনেকে মুজিবের মতো, দেশভাগ সমর্থন করলেন। পরে আলাদা বাংলাদেশও চাইলেন। এ তো হয়ই। এমনই তো হয়।
    প্রায় সমস্ত ঘটনাই ধাপে ধাপে এগোয়। প্রায় কখনোই, একবারে সবকিছু ঠিক হয়ে যায় না।
  • PT | 213.110.243.23 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৩:২৩615816
  • "প্রায় সমস্ত ঘটনাই ধাপে ধাপে এগোয়। প্রায় কখনোই, একবারে সবকিছু ঠিক হয়ে যায় না।"

    "পিটি দা, এটা আমার ও মনে হয়। তবে আমাদের হাইন্ড সাইট এর অ্যাডভান্টেজ আছে, ওঁদের কেন কারোর ই সেটা ছিল না।"

    এবারে তাহলে পবতে বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাসের আলোচনাতে এই দর্শনটা মনে রাখব-তাইত? দেশভাগ নিয়ে কিছু লিখে কেউ "গর্ধভের ন্যাজ" হয়েছিল কিনা, বা কোন ব্রহ্মচারী দেশভাগের আগে গোর্খাল্যন্ড নিয়ে কি বক্তব্য রেখেছিল সেটা ২০১৩-তেও কেন মানা হচ্ছেনা এসব প্রশ্ন করবনা-তাইত?
  • h | 213.99.212.54 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৪:৪৪615817
  • রতন ব্রহ্মচারীর উপর যাতে আপনার রাগ কমে, তাই অশোক ভট্টাচার্য্যের লেখা আপনাকে পড়তে দিলাম, যাতে জ্যোতিবাবু রিজিওনাল অটোনোমির কথা বলছেন, তাও রাগ কম ল না? ;-)

    গর্ধভের ন্যাজ এখনো অব্দি গর্ধভের ন্যাজ ছাড়া কেউ ই হয় নি। এই রেফারেন্স টা আদৌ বুঝলাম না।

    আর নিউজ অন সানডে র টাটকা পোবোন্দো টা পড়তে দিলাম, এইটা বোঝানোর জন্য, যে মেজরিটারিয়ানিজম একটি বর্ডার নিরপেক্ষ রোগ। পূর্ব ও পশ্চিম, এবং এক্ষেত্রে, অবশ্যই, উত্তর ও দক্ষিণ। পড়ে দেখবেন কিন্তু সময় হলে। মানার দরকার নেই রে বাবা।
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৩২615818
  • কমরেড আকা, আমার অবস্থানটা এপ্রসঙ্গে এক্জ্যাক্টলি আপনার মত নয়। কারণ, 'আপনি না পড়ে কথা বলছেন', 'আপনার যুক্তিটি হাস্যকর', দুপাতা ব্যাখ্যা করে লেখার পর মুচকি হেসে 'কিসুই বুইলাম না' - এগুলো ইন্টেলেকচুয়াল এরোগ্যান্স হতে পারে, তক্কে আপারহ্যান্ড নেওয়ার চেষ্টা হতে পারে, কিন্তু কখনই ব্যক্তি আক্রমণ নয়। এগুলো এভয়েড করতে পারলে ভালো হয়, কিন্তু আমি আজ অব্দি কখনো কোনো পলিটিকাল তর্ক দেখিনি (বিশেষতঃ খুব শার্পলি পোলারাইজড ইস্যুতে) যেখানে এগুলো বাদ দিয়ে তর্ক হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে আপনার সাথে একমত যে এগুলো করলে অপর পক্ষের বিরক্তির উদ্রেক হয়। সবচেয়ে বেশী সমস্যা যেটা হয় সেটা হল অন্যের মতকে গুরুত্ব দেওয়ার ইচ্ছেটা চলে যায়। সেটা আবার একটা ইনটলারেন্সের সাইকেল তৈরী করে। কিন্তু এগুলোর থেকে সম্পূর্ণ অন্য ডিগ্রীতে বিলং করে 'মিথ্যেবাদী' 'ভন্ডামি' 'সুবিধাবাদী' 'হিপোক্রেসি' - ইত্যাদি। এবং স্পেসিফিকালি এইগুলো কন্টিনুয়াসলি বলা হয়ে চলেছে বলে আমি খুব সচেতনভাবে পিটিদাকে ডিস্টার্ব করা শুরু করি। এটা দেখানোর জন্যেই যে কোনো একটা বক্তব্যের সমস্যা নিয়ে না লিখে সেই বক্তব্যের সমর্থকদের সমস্যা নিয়ে পিটিদা যেভাবে দিনের পর দিন প্রবল 'উষ্মা'সহ (উষ্মাটা ওনাকে কোট করলাম) লিখে চলছিলেন, সেই একই ভাবে ওনার বক্তব্যকে ছেড়ে ওনার সমস্যা নিয়ে পড়লে ব্যাপারটা কিরকম দেখতে লাগে। ব্যাপারটা করতে আমার মোটেও ভালো লাগছিল না। কিন্তু করছিলাম, খুব সচেতনভাবেই। বিবির ব্যাপারটাও ছিল। ওটা নিয়ে বিশদে লিখছিনা, কিন্তু আমার ধারণা আমি এটা খুব সফলভাবে প্রমাণ করেছি বিবি কোন মোডে ব্যক্তি আক্রমণ করেন এবং এর পরে আবার এরকম করলে উনি কিরকম ব্যবহার এক্সপেক্ট করতে পারেন। পিটিদার ক্ষেত্রে এটা করেছি অবশ্যই একটা এক্সপেক্টেশন নিয়ে, যেহেতু আমার মনে হয়েছে উনি হয়তো এথেকে অন্যদিকের সমস্যাটা রিয়েলাইজ করলেও করতে পারেন। যদি দেখি করছেন না, তাহলে আর ভবিষ্যতে ওনার সাথে ডায়লগে যাব না।

    এ বাদে অন্য কারুর সাথে আমি জ্ঞানতঃ কোনো 'আনএক্সপেক্টেড' বিহেভিয়ার করি নি। করে থাকলে দেখিয়ে দিন। শুধরে নেব। আর আমার সাথে কেউ বাজে ব্যবহার করলে আমি তার সাথে বাজে ব্যবহার করতে পারি। চালাক চালাক কথা বলে আপারহ্যান্ড নেওয়ার চেষ্টা করলে আমিও একটা দূর অব্দি তার সাথে কথার জাগলারি খেলার উৎসাহ দেখাতে পারি। আবার নাও পারি। সময় এবং তখনকার মুডের উপর সেটা নির্ভর করবে। কিন্তু কখনো করব না, এ গ্যারান্টী দিতে পারব না। কারণ নিজেকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরার চাপ নিয়ে গুরু করতে আসি না। তবে নিজের থেকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে করব না - সেটা গ্যারান্টী দিতে পারি।

    অন্য কেউ কি আছেন, সেই গ্যারান্টীটুকু দেবেন?
  • ranjan roy | 24.99.183.153 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৩৫615819
  • আমার কেমন মনে হচ্ছে যে এই আলোচনা স্পষ্টতঃ দুটো স্ট্যান্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে আর এ'ব্যাপারে কেউ কাউকে একইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ।
    ফলে দুদিকেই একই আর্গুমেন্টের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তিক্ততা বাড়ছে। স্ফুলিংগ ছিটকে পড়ছে। বক্তব্য থেকে সরে গিয়ে কি ভাবে বলা হচ্ছে সেটা মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কখনো ক্লান্তিকর, কখনো অনপেক্ষিত।
    আমি চেষ্টা করছি দুটো দিকের মূলবক্তব্যকে রেখাংকিত করতে। সেটা করতে গিয়ে হয়ত কখনো নিজের কিছু শব্দ বা শব্দবন্ধ এসে যাবে, তার জন্যে আগাম ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মূলভাবনা বিকৃত হবে না-- গ্যারান্টিড। তবু যদি কোথাও ত্রুটি হয় তো ধরিয়ে দেবেন।
    ক) যাঁরা গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধেঃ
    ১) এই দাবিটি পলিটিক্যালি অনৈতিক। খামোকা আর একটা রাজ্যের সংখ্যা বাড়িয়ে কোন স্বর্গলাভ হবে? এসব পাহাড়ি আবেগপ্রবণ মানুষের ইমোশন্যাল এক্সপ্লয়টেশন করে কিছু নেতাদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা।
    ২) প্র্যাকটিক্যালি ওইটুকু( হাতেগোণা লোকসভা-বিধানসভা সীট) এলাকায় একটা আলাদা রাজ্য, রাজভবন, সেক্রেটারিয়েটের কোন মানে হয়? খামোকা পাবলিক মানির নয়ছয়। কিছু নেপো এসে দই মেরে যাবে, তার জোগাড় যন্তর।
    ৩) ম্যাচিস মেরেছে ভারত সরকারের তেলেংগানা ঘোষণা। সামনে লোকসভা ইলেকশান। চিপ পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি। ফলে দেখ এখন কতগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চাড়া দিয়েছে। প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছ -- এবার সামলাও ঠ্যালা!
    ৪) আর কংগ্রেসিদের থিংক ট্যাংক বরাবরই এরকম--সবসময়ে শর্টটার্ম লাভের চিন্তা। এই করেই রাজীব গান্ধী অযোধ্যায় রামললার বন্ধ মন্দির খুলিয়েছিলেন। ফল যা হল দুনিয়া জানে। দুইদশকের জন্যে কেন্দ্রে কংগ্রেসি সরকার হাপিশ! এবারও ফল তেমনি কিছু হবে। স্ক্যাম ঢাকতে তেলেঙ্গানা! শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়?
    ৫) আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকেও বলিহারি! সবসময় শর্টকার্ট। আরে ইনি তো কংগ্রেসেরই বাই প্রোডাক্ত! হাবেভাবে ৭০ এর দশক মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
    এই নাকি পাহাড় হাসছে? দাঁত ক্যালাচ্ছে। আগেই বলেছিলাম যে জিটিএ এর সংলগ্ন চুক্তির সময় রোশন গিরি বা গুরুংরা কেউ গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে আসেন নি। তাই ভবিষ্যতে হাসির জায়গায় দাঁত খিঁচুনি দেখতে হতে পারে। কাঙালের কথা বাসি হলে লাগে।

    খ) গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পক্ষে যাঁরা( আম্মো) ঃ
    ১) কে বলল এই দাবি অনৈতিক? জাতিসংঘের চার্টারে জাতির বা জাতিসত্ত্বার আত্ন্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার স্বীকৃত। তার কোন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় নি। "যখনই চিত্ত জেগেছে , শুনেছ বাণী, তখনই প্রভাত যাও তোমার ব্রতপালনে"-- কবিগুরু বলে গেছেন।
    ২) অবহেলিত জাতিসত্ত্বার সংগ্রামে বামপন্থীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এংগেলস-লেনিন-রোজা লুক্সেমবার্গ কপচে নিন।মাওয়ের বক্তব্য দেখুন । কেন সোভিয়েত সংঘ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল খোঁজ নিয়ে দেখুন।
    ৩) আর বিচ্ছিন্নতাবাদী কাকে বলছেন মহায়? এরা কেউ ভারত রাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে চায় নি। ক্ষেত্রফল/বিধানসভা/লোকসভা দেখাচ্ছেন? তা মণিপুর কেন আলাদা রাজ্য? ক'টা বিধানসভা-লোকসভা? আর পন্ডিচেরি? এই লাইনে বেশি লড়বেন না , কেস পুঁদিচ্চেরি হয়ে যাবে। আরে সেচেলেস/ ইস্ট টিমর জদি একটা স্বাধীন স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হতে পারে তো---।
    ৪) আর আজ কংগ্রেস কি করল, কি কাল মমতা-তাতে কিস্যু আসে যায় না। জনগণের আবেগ বড় কথা। তাকে সম্মান দিতে হবে। সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার নিজে বলছেন।
    আর এই দাবি তো অবিভক্ত সিপিআইয়ের! আজ যা-তা বললে হবে? খেয়াল করুন দার্জিলিং কোনকালে বাংলার ইন্টিগ্রাল পার্ট ছিল না। সাম্রাজ্যবাদী অসম চুক্তির ফলে বৃটিশ হাতিয়ে নিয়েছিল। এ নিয়ে এত অশ্রুপাত কিসের!
    ৫) ভয় কিসের মশাই? দার্জিলিং বাঙালীদের থাকবে না? আলবাৎ থাকবে। গরমে পূজোয় আমরাই বেড়াতে যাবো। একটু কস্টলি হতে পারে। নেপালের মত।আপনাদের শেরপা-কাঞ্চা-বাহাদুরদের হবে? ওদের তো হতেই হবে, আমাদেরও থাকবে। ট্যুরিজম ওদের ইকনমির বড় হিসসে যে!
    আরে ঠিক আপনাদের মত করে চন্ডীগড় কাদের হবে । হরিয়ানা না কি পাঞ্জাবের? এ নিয়ে বেশ খুনোখুনি হয়ে গেছে আশির দশকে। এখন সেসব গল্পকথা। এখানেও তাই হবে, ধীরজ রাখিয়ে।

    ক) গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ( রিজয়েন্ডার)ঃ
    ----------------------------------------------
    ১) এই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে বেশি বড়াবাড়ি করলে সেটা একদিন পুরো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হবেই। তাই অনৈতিক। আর জিটিএ মাত্র ছয়মাস চালিয়ে পদত্যাগ করে বেরিয়ে এসে আলাদা হওয়ার দাবি তোলা স্পষ্ত অনৈতিক, চালাকি ভরা।
    ২) মার্ক্স-এংগেলস-লেনিন-স্তালিন কবে কি পরিস্থিতিতে জাতি আর জাতিসত্ত্বা নিয়ে কি বলে গেছেন সে নিয়ে বসে থাকলে চলবে? আদৌ কি ওগুলো ফুলপ্রুফ কোহারেন্ট থিওরি ছিল? তাহলে স্তালিনকে লেনিন ধমকালেন কেন? লেনিন ও রোজার মধ্যে মতৈক্য হল না কেন? আপনারাই বলুন রাশিয়া যখন জাতিসত্ত্বার প্রশ্নে ভেঙে টুকরো টুকরো হল তার মানে থিওরিতে কিছু ফাঁক ছিল কি না? আমরা আজকে বাস্তব পরিস্থিতির বাস্তব বিশ্লেষণ করছি। এসব করে কিছু অপর্চুনিস্ট লোকেদের পকেট ভারি হবে আর কিছু না।
    আসলে মমতা নিজে ভস্মাসুর তৈরি করেছেন আর অমরা দেখছি। আর একটা কিষেনজি সিন্ড্রোম বটেক!
    ৩) জাতি ও জাতিসত্ত্বার মধ্যে তফাৎ কি বুঝিয়ে বলুন দিকি! জাতিসত্ত্বার আবেগ কি দিয়ে মাপে, ইমোমিটারে? খালি লিং দেয়ার খেলা।
    ( ওসব ট্যাকটিকস ভালই বুঝি!) আর ভাষা যদি মেন ব্যাপার তো একটা নেপাল বলে দেশ আছে ! সেখানে গেলেই হয়।
    সোজা কথায় আসুন, পেটে খেলে পিঠে সয়। ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনে কোন রাজ্য বা আপনাদের ওই জাতিসত্ত্বা ( শালা খায় না মাথায় দেয় তা লেনিন-স্তালিন ইত্যাদি ঋষিমুনিরাই ঠিক করে বলতে পারে নি তো এরা!) উন্ন্যনের রস্তায় বিশেষ এগিয়ে গেছে এমন নজির নেই। আপনারা যা বলছেন তা হল স্ট্যাটিসটিক্সের ভাষায় ফার্স্ট টাইপ অফ এরর!( নাল হাইপোথিসিসকে খারিজ করে খামোকা সিগনিফিক্যান্ত ডিফারেন্স খোঁজা!)
    ৪) আর আপনাদের যুক্তি-পরম্পরায় তো মশাই একদিন ভাঙতে ভঙতে বেহালা- নাকতলা-রামরাজাতলা সব রাজ্য হয়ে যাবে!
    আসলে আপনারা হলেন বামপন্থী কথাবার্তা ও বুকনির আড়ালে অ্যানার্কিস্ট।
    প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় আপনাদের সুখ, প্রতিষ্ঠান ভাঙতে আত্মার আরাম। সব ভেঙ্গে ফেল। বাঁধ ভেঙ্গে দাও, দামোদর-ভাকরা নাঙ্গাল সব। কোথাও তো একটু থামতে শিখুন। এই যে ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে বাম সরকার প্রথমে লিমকা বুকস ও তারপরে গিনিজ বুকস এ নাম তুলতে যাচ্ছিল তা আপনাদের সহ্য হল না।
    অম্রিগায় রিপাবলিকানদেরও ওরম রেকর্ড নেই। শুধু ইংলন্ডের রাণীর আছে। সেটাও ভেঙে যেত ব্যাগড়া না দিলে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই আমরা খারাপ, তো যে এসেছে সে তো আমাদের চেয়েও খারাপ। তাহলে? সিঙ্গুরে ন্যানো হচ্ছিল, এমপ্লয়মেন্ট বাড়ছিল। কৃষি কৃষি করে দিল সব দাঁত কেলিয়ে। এখন না কৃষি না শিল্প-- শুধু গুল্প হতিছে।
    ৫) আপনারা বামপন্থী বুকনি ঝাড়েন, কথায় কথায় মুনি-ঋষিদের কোট করেন। কিন্তু অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব না দিয়ে খালি আবেগ আবেগ! দূর! বস্তুবাদ ছেড়ে ভাববাদ? স্ট্রাকচার ছেড়ে সুপার-স্ট্রাকচার?
    নতুন কথা নয়, অনেক আগেই নজরুল বলে গেছেনঃ
    'ক্ষুধাতুর শিশুরা তো চায় না স্বরাজ,
    চায় শুধু দুমুঠো ভাত, একটু নুন।
    বেলা বয়ে যায় খায়নিকো বাছা কচি পেটে তার জ্বলে আগুন।'
    এসব প্রশ্নে চোখ বুঁজে থাকবেন। এদিকে আপনাদের এককালের কাকা আজকাল লিখেছেন যে গোর্খাল্যান্ড অধিবাসীদের মূল সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। সেখানে না দেখার ভান করবেন আর গা-জোয়ারি করবেন! দুত্তেরি, নিকুচি করেছে। ভন্ডামির চুড়ান্ত, ( দূর বাল!)

    খ) গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে( রিবাট্যাল)ঃ
    -----------------------------------------
    ১) এগুলি কি যুক্তি না রেটোরিক? গোলপোস্ট সরানো ? নাকি ফালতু চুদুর-বুদুর? দেখুন, চুদুর-বুদুর কোন অসংসদীয় শব্দ নয়। বাংলাদেশের সংসদে পাশ হয়েছে। ওরা আবাপকে বাংলাভাষার (বানান-শুদ্ধু) বেদ-প্রামাণ্য মেনেছে।
    ২) জাতিসত্ত্বার প্রশ্নে মুখ্যতঃ ভাষা, অখন্ড ভৌগলিক স্থান ইত্যাদি মহত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বটে। তবে সবচেয়ে বড় বন্ডিং হল ভাষা। কিন্তু কোন সময় কোন ফ্যাক্টর মুখ্য হবে সেটা সময়-পরিস্থিতি অনুসারে কেস বাই কেস ভ্যারি করবে। আর গোর্খাদের নেপালে পাঠাতে হলে আমাদেরও বাংলাদেশে চলে যাওয়া উচিৎ, যাবেন তো বলুন। একই যুক্তিতে মুসলমানদেরও তাহলে পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।
    ৩) কে বলেছে ভাষাভিত্তিক জাতিসত্ত্বার আলাদা রাজ্য পেলেই সব সমাধান হয়ে যাবে? অসীম যা বলেছেন তা নিয়ে কোন বিরোধ তো নেই? কিন্তু যতদিন না সমাজতন্ত্র আসছে ততদিন দলিত আন্দোলন, জেন্ডার ইস্যু, জাতিসত্ত্বা-ভাষা ইত্যাদি নিয়ে কিছু বলা যাবে না? আন্দোলন করা অনুচিত? হাতে হাত ধরে বসে থাকতে হবে? সব একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ঠিক হয়ে যাবে? আমরা যদি অ্যানার্কিস্ট তো আপনারা মশাই ফ্যাটালিস্ট, ভাগ্যবাদী।
    এই জন্যেই আপনারা বঙ্গে জমি হারাচ্ছেন। ন্যাশনাল লেভেলে আগের তুলনায় অপ্রাসংগিক হয়ে পড়ছেন।
    নইলে বলুন, ৩৪ বছর টানা বামরাজ চলাতেও শিক্ষা-স্বাস্থ্য- রোজগারে বঙ্গ ক্রমশঃ পিছিয়ে পড়ল কেন?
    ৪) আলাদা গোর্থাল্যান্ড হলে সেখানে হ্যাভ ও হ্যাভ নটের দ্বন্দ্ব বা শ্রেণী সংগ্রাম শেষ হয়ে যাবে কেন? ভারত স্বাধীন হলে সব-পেয়েছির-দেশ হবে এমন আশা তো কেউ ন্করেনি।
    মোদ্দা কথাটা হচ্ছে 'আমাকে আমার মত থাকতে দাও'। তখন ওরা নিজেরাই ঠিক করে নেবে ওদের বিকাশের বা উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি কী হবে। সেটাও আপনারাই ঠিক করেদিতে চান? পেচন-পাকামি আর কাকে বলে!

    ক) গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধেঃ
    চোপ!
    খ) গোর্খাল্যান্ডের পক্ষেঃ
    চোপ!
  • কল্লোল | 111.63.166.206 | ১৯ আগস্ট ২০১৩ ১৫:৪১615821
  • পিটি ও হনুকে।
    গর্ধভের ন্যাজ - এটি গঙ্গাধর অধিকারীকে আমার দেওয়া নাম ওনার, মুসলমান জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার নামে দলিলটির জন্য।

    একজন কমিউনিষ্ট লিখছেন যে মুসলমান একটি জাতি। সেটাও লেনিন ও স্তালিনের জাতিস্বত্ত্বা নিয়ে লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরে।
    এই দলিলটির ভিত্তিতে সিপিআই দেশভাগ সমর্থন করে। এর সাথে ধাপে ধাপে এগোনোর কোনও সম্পর্ক নাই। এমন নয় যে বিষয়টি আকাশ থেকে পড়েছিলো। প্রায় ২/৩ বছর ধরে এই নিয়ে নানান আলোচনা চলেছে। মুসলমানেদের আলাদা রাষ্ট্র চাই এমন দাবী সরাসরি না উঠলেও এর কাছাকাছি দাবী নিয়ে মুসলিম লীগ আন্দোলন করছিলো। সেই সময়কার পোলিটিকাল ডিবেটে এটা একটা বড়ো বিষয় ছিলো। তাই এই নিয়ে কেউ "মসলমান জাতি" তত্ত্ব আওড়ালে তিনি নিশ্চয় গর্ধভের ন্যাজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন