এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদের চোখে ইসলাম

    r
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০০৬ | ৫৫৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dam | 199.244.214.30 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০১:০০634488
  • সামরান,

    ঐতিহাসিক তথ্য কিন্তু অন্য কথা বলছে। এই মুহুর্তে হাতের কাছে বইপত্র নাই, তাই দীপ্তেনদা আর রঙ্গনের ওপরে ভরসা।

    যাই হোক লজিক্যালি ভেবে দেখো, মানুষ বাঁদর থেকে মানুষ হয়ে, তখনও টলমল করে হাঁটছে --- গা থেকে সব লোম ঝরে নি, মাথাটা থ্যাবড়া মত, এই অবস্থায় কোন ধম্ম বানাতে পারে? তখন তারা সব প্রাকৃতিক শক্তিকেই ভয় পেত। আর তাই বজ্র, বিদ্যুৎ, বৃষ্টি, দাবানল, মানে আরো যা যা আছে আর কি -- সবকেই ঠাকুর বাকুর ভাবত। আর সব ধম্মেরই মূল লক্ষ্য, ইন ফ্যাক্ট মানুষ জাতিরই মূল লক্ষ্য হল নিজের কোলে ঝোল টানা। তাই সকলেই আদিম মানবেরে নিজের বলে দাবী করে। ও দাবী null & void

    সারদা,

    বুদ্ধদেবের ধর্ম ছিল সেইসময়কার অন্ধ ব্রাহ্মন্য ধর্মের গালে একটা সপাটে চড়। বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে ব্রাহ্মণ্যধর্ম প্রায় মুছে যেতে বসেছিল। এটিকে পুনরুদ্ধার করেন শঙ্করাচার্য্য। সেইসময় বৌদ্ধসঙ্ঘের অনেক নিয়মকানুন শঙ্করাচার্য্য তাঁর মঠের নিয়মকানুন হিসাবে adopt করেছিলেন।

    বুদ্ধকে হিন্দুদের অবতার এবং বৌদ্ধধর্মকে ব্রাহ্মন্যধর্মের শাখা বলে চালানোর চেষ্টাটা প্রবর্তী ব্রাহ্মন দের ধান্দাবাজী।
  • dam | 199.244.214.30 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০২:০৭634489
  • সারদা,

    শুধু চাইনিসরা বলবে কেন, আমরাও তো অনেকে বলি ধর্ম নেই। আমি তো সব ফর্মেই none লিখি। কেউ তো ঝামেলা করে না। সেই মাধ্যমিকের ফর্মের সময়ে প্রবল ঝামেলা হয়েছিল। ব্যাস। আসলে কেউ বোধহয় পড়েও দেখে না, কিছু অক্ষর থাকলেই হয়। আর চাইনিসরা লিখবে সেটা তো স্বাভাবিক ই।
  • samran | 59.93.196.149 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০২:১২634490
  • দমু,
    ক্কোরান, হাদীস এবং যাবতীয় ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী হযরত আদম (আ:) ই প্রথম মানব। ( একথা আমি বলছি না, যে কোন ইসলামিক বই/ কিতাব ঘাটলেই পেয়ে যাবে)। প্রথম নারী হযরত হাওয়া। যিনি 'ইভ' নামেও পরিচিত খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে।

    আগের পোষ্টে বলেছি, ক্কোরান অনুযায়ী একজন নবীর পরে আরেকজন নবীর আসার মাঝে কেটেছে কয়েকশ বছর কখনও বা হাজার বছর। একজন যখন এসেছেন তখন মানুষকে বুঝিয়েছেন কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক। কোনটা করনীয় কোনটা করনীয় নয়। কিছু মানুষ শুনেছে কিছু মানুষ শোনেনি।

    হজরত আদম (আ:) থেকে হযরত মুহম্মদ (সা:) এর মঝে অসংখ্য নবী এসেছেন। ( ঠিকঠাক সময় ও সংখ্যা বলতে পারছি না, বইপত্তর ঘাটতে হবে, এখন এই মাঝরাত্তিরে ঘুমে ঢুলে ঢুলে সেটা সম্ভব নয় ) এই নবীদের মাঝে চারজন আসমানী কিতাব পেয়েছেন। 'তাওরাৎ, জাবুর, ইঞ্জিল, ক্কোরান''। যে চারজন এই আসমানী কিতাব পেয়েছেন তারা 'রাসুল'। ( হযরত আদম (আ:) একজন নবী ছিলেন, তিনি কোন আসমানী কিতাব পাননি)। যারা পেয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন, হযরত দাউদ, হযরত মুসা, হযরত ইসা,ও হযরত মুহম্মদ (সা:)।

    প্রথম প্রথম যতদিন নবী/রাসুল ছিলেন ততদিন কিছু লোক তাঁর কথা শুনেছে। তিনি ( নবী/ রাসুল) যতদিন ছিলেন ততদিনই সেই নিয়ে চর্চা চলেছে। কিন্তু কেউ সেভাবে কিছু লিখে রাখেনি। কাজেই ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সবই আবার যে কে সেই। আর এই যে এক নবীর যাওয়া ও পরেরজনের আসার মাঝে এক বিশাল সময় গেছে তখন মানুষ পশু দের মত জীবন যাপন করেছে। তাদের মধ্যে শিক্ষা দীক্ষা ছিল না। তারা সবকিছুকেই ভয় পেত, ঠাকুর দেবতা বলে মানতে শুরু করত সবকিছুকেই।

    এর সবকিছুই ক্কোরানে এসেছে। প্রথম নবী আদম থেকে নিয়ে শেষনবী মুহম্মদ(সা:) পর্যন্ত সমস্ত কিছু ক্কোরনে লেখা আছে আছে। নবীদের কথা। তাদের প্রাপ্ত কিতাবের কথা। কিভাবে ও কেন কত জাতি ধংসপ্রাপ্ত হয়েছে তার কথা। সমস্তই লিপিবদ্ধ আছে ক্কোরানে।

    শেষনবীর ওফাতের পরে তার সাহাবীরা ( যাঁরা জীবদ্দশায় নবীজীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন ও তার অনুসারী ছিলেন তদেরকে সাহাবী বলা হয় ) তাঁরা ঠিক করলেন যে ক্কোরান লিখে ফেলতে হবে তা নইলে আমরা ( সাহাবীরা) যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই এ থাকবে আমাদের মুখে মুখে, আমাদের ( সাহাবীদের) পরে লোকজন হয় ভুলে যাবে নয়ত মুখে মুখে বিকৃত হয়ে যাবে। যেমন আগে হয়েছে। কাজেই ক্কোরান তখন লেখা হয়ে গেল। দিনে দিনে মুসলমানের সংখ্যা বড়তে লাগল। মক্কা, মদীনা থেকে সহাবীরা দেশে দেশে ধর্ম প্রচারের জন্যে বেরিয়ে পড়লেন। অন্য লোকজনদেরও পাঠাতে লাগলেন । এভাবেই ইসলাম প্রচার ও প্রসার পায়।

    এগুলো সবই তর্কের ( কারও জন্যে বিশ্বাসের )বিষয় আর এই তর্কের শেষ কোনদিন হয়নি হবে না। একদল এক রকম মানে, বিশ্বাস করে তো অন্যদল একেবারেই অন্যরকমটা মানে।

    সামরান
  • Arijit | 82.39.106.111 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০২:২৪634491
  • ব্যাপারটা হল প্রথম যে নবি, আদম বলো আর যাই বলো - হিঁদু ধর্মে মনু - এই লোকগুলো এলো কোত্থেকে? নর্মাল বা সিজারিয়ান ডেলিভারি, যাই হোক না কেন, একটা বাপ-মা তো থাকতে হবে - তাহলে এরা আর প্রথম নবি হল কোন যুক্তিতে? বইয়ে লেখা আছে জেহোভা তৈরী করেছেন, হিঁদুরা বলবে ব্রহ্মা তৈরী করেছেন - বল্লেই তো হল না।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০২:৪৭634492
  • এরিক ফন দানিকেন বলেন গ্রহান্তরের বুদ্ধিমান জীবেরা যারা নাকি কোনো অদ্ভুত কারণে মানুষের মতন দেখতে(অবশ্য হবে নাই বা কেন?), নেমে এসেছিলেন,তারপর তাদের ছেলেপিলেদের এট্টু বড়ো সড়ো করে রেখে গেছেন সভ্যতা বানাতে--এদেরই থেকে আমরা পজ্জন্ত চলে এসেছি!!!
    ভাবো একবার,এই হিসাবে আমরা সব এলিয়েন!!!
    মনু,আদম,শতরূপা,ইভ,মানকো কাপাক,মামা ওয়েলো সব সেই এলিয়েন!!!ভাবা যায়!
    কিন্তু তারা মানে ঐ ওরা যারা নামলো ছেলেপিলেকে রেখে যেতে, তারা এলো কোত্থেকে??? অ্যাঁ???

  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০২:৫৪634493
  • তবে এই মিস্টিরিয়াস অপৌরুষেয় বেদ অথবা "আসমানী কিতাব" কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার!
    লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে,বিভিন্ন সময়ের লোকেরা পেয়েছেন।একবারে না।অনেক শত বছর তফাতে তফাতে হয় তো! কিন্তু পেলেন কাদের কাছ থেকে? যারা পেলেন তারা কি স্বপ্নে পেয়েছেন অথবা হাতে হাতে সত্যি সত্যি লিখিত আকারে পেয়েছেন নাকি ভাবসমাধি র মধ্যে পেয়েছেন?

  • dri | 199.106.103.254 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০২:৫৫634494
  • না কিন্তু এই যুক্তিটাকে আপনি যদি অ্যাড ইনফিনিটাম লাগিয়ে যান তাহলে দাঁড়াবে যে মানুষ বিগ ব্যাংএর আগে থেকেই আছে। যাকেই প্রথম মানুষ বলা হবে আপনি যদি বলেন তার মা বাবা কে তবে তো তার কোন শেষ নেই। সামান্য একটু ইভলিউশন লাগালেও ব্যাপারটার কোন সুরাহা হয় না। মনে করুন বলা হল যে আদম আর ইভ আর মনুই হল প্রথম তিন মানুষ। এদের মা বাবা ছিলেন বাঁদর। তাহলেও এটা মেটে না। সেই বাঁদরের বাবা কে, তার মা কে ... ইত্যাদি।

    একটা সময় নিশ্চয়ই ছিল যখন কোন মানুষ ছিল না। তারপর মানুষ হল। সেই সময়টা নিশ্চয়ই ছিল খুব ইনটারেস্টিং। লাইফের ফরমেটিভ স্টেজ। আমাদের সে সম্মন্ধে কোন ধারনাই নেই। কারন আমরা আসেপাশে এই ধরনের কিছু দেখিনা।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:০৩634495
  • আর একটা জিনিসও খুব আশ্চর্য! একটা নতুন ধর্মের যেমন বৌদ্ধ বা জৈন বা শিখ বা ইসলাম বা খ্রেষ্টান বা বৈষ্ণব বা অন্য কোনো ধর্মের যখন প্রবর্তন বা পুন:প্রবর্তন হয়,তখন আদর্শ যতটা প্রবল থাকে,যত নি:স্বার্থ অনুগামী থাকেন,পরে আর তা থাকে না কেন?
    আরো একটা প্রশ্ন হলো,নতুন ধর্মের উদ্ভবই বা হয় কেন? মানে যারা আগের ব্যবস্থায় মানিয়ে গুছিয়ে থাকতে পারছে না বা প্রচন্ড অত্যাচারিত হচ্ছে,তারাই কি নবধর্ম অনুগামী হয়? সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো আগের ব্যবস্থার কোনো লোককেই বেরিয়ে এসে নতুন ব্যবস্থাটা করতে হয়,সেই প্রথম লোকটি বেরোন কিকরে? কোনো ট্রান্সের মধ্যে প্রত্যাদেশ পেয়ে?
    কারণ একবার ইতিহাস বইয়ে পড়লাম আকবরের দীন ই ইলাহী চললো না,কারণ আদিষ্ঠ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ ধর্ম প্রবর্তন করতে পারেন না।করলেও চলে না।
    কথা হলো এই আদিষ্ট ব্যাপারটা কি? আদেশ দেনই বা কে?
  • dri | 199.106.103.254 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:০৬634496
  • আরেকটা খুব ইনটারেস্টিং ব্যাপার হল নবীরা লিখিত আসমানী কিতাব না থাকয় এত সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন যে লাস্টে ফ্রাস্টু খেয়ে লিখে ফেলেছিলেন। আমাদের মুনি ঋষিরা কিন্তু কিছু না লিখেই দিব্যি চালিয়ে দিলেন। কোন সমস্যা হল না?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:১৩634498
  • ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং দ্রি।
    এই যে স্মৃতি ও শ্রুতি,বেদ কে বলতো।
    ভাবুন যে লোকগুলো মুখস্থ করে রাখলো তারা মরে গেলেই ব্যস... তাই শিষ্যপরম্পরায় বংশানুক্রমে রাখার মতন রাখা।কিন্তু মানুষের মন! কত বদল হয়তো হয়ে গেছে গুরু থেকে শিষ্যে!
    কিন্তু বড়ই গন্ডগোলের ব্যাপার হলো কোনো গুরু যদি রেগে গিয়ে শিষ্যকে বলতো,"দে যা শিখিয়েছি ফেরৎ দিয়ে চলে যা।" তখন? স্মৃতি থেকে মুছবে কিকরে?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:১৮634499
  • শুধু লিখে ফেল্লেই যে কেল্লাফতে তাও তো না! ইতিহাসে যত বই পোড়ানো হয়েছে,সেকথা না ভাবাই ভালো।
    কথা হলো,স্কুল অব থট হিসাবে বাঁচতে পারে কিনা আইডিয়াগুলো বা ধর্মের হিসাবে নির্দেশ আদেশগুলো।
    সেক্ষেত্রে কিছু উদ্দীপক দরকার না? সে বই হোক,বা গান,বা মন্ত্র বা যজ্ঞ বা অন্যকিছু।
    কি দ্রি,এই ব্যাপারে আপনার যুক্তি কি বলে?
  • dam | 208.251.193.3 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:২৪634500
  • সামরান,

    তোমার দাবীটা ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। তুমি যদি বল, ইসলাম প্রাচীনতম ধর্ম এবং এটা তোমার বিশ্বাস, তাহলে আমি বলব খুব ভাল কথা। কিন্তু বিশ্বাস নিয়ে তর্ক চলে না। তর্কের জন্য হার্ড ফ্যাক্টস চাই। শুধু কোরানে লেখা আছে বললে হবে না, তার ঐতিহাসিক ভিত্তি কি সেটাও জানাতে হবে। একই দাবী অন্য ধর্মও করে থাকে কাউকে না কাউকে নিয়ে। আর লজিক্যালি দুটো মানুষ হঠাৎ তৈরী হল আর তার থেকে ভুরভুরিয়ে সব মানুষ হতে লাগল --- এই দাবীটা হাস্যকর।

    এবারে দ্যাখো হিন্দুদের দাবী হল, মানুষ আসলে হিন্দু হয়েই জন্মায়, তারপরে তাকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে হয়। এটাও বহু লোক বিশ্বাস করে। কাজেই ঐ যে বলেছি, বিশ্বাসের সাথে তর্ক চলে না, লাভ নেই। ।
  • dam | 208.251.193.3 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৩১634501
  • তনু,

    এগুলো এই থ্রেডের বিষয়ই নয়। বুদ্ধদেব কিন্তু কারো আদেশ পান নি। নিজেকে জেনেছিলেন, আত্মোপলব্ধি। তাই তাঁর মূল কথা হল "আত্মদীপো ভব"। পরে কখনও লিখব খন এই নিয়ে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৩৫634502
  • ঐতিহাসিকভাবে দেখলে অবশ্যই একটা সময়কাল পাওয়া যায় অন্তত এই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মসমূহের।
    যেমন আড়াই হাজার বছর আগে বৌদ্ধ জৈন কনফুসীয়।দুহাজার বছর আগে খ্রীষ্টীয়।তার মোটামুটি ৫৭০ থেকে ৬০০ বছর পরে ইসলাম।
    রামমোহন ও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের আমলে ব্রাহ্মধর্ম,গুরু নানকের আমলে শিখ!
    এখন এগুলো ঐতিহাসিক,কিন্তু বিশ্বাসের বীজ কোথায় ছিলো খুঁজতে গেলে কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে হবে।সিঙ্গুলারিটির মতন ব্যাপার।সেখানে আর থই পাওয়া যায় না।
    তাই মোটামুটি ঐতিহাসিক সময় ধরেই আলোচনা চালালে ক্ষতি কি? উৎকর্ষ তো তাতে বাড়ে বই কমে না?
  • a x | 192.35.79.70 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৩৮634503
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৪৭634504
  • কনফুসিয়াস বা মহাবীরজিন বা তার আগের পরেশনাথ-এরাও সম্ভবত আত্মোপলব্ধিই করেছিলেন।
    অদ্ভুত একটা ব্যাপার,সক্রেতিস প্রায় এই সময়েরই লোক,তিনিও প্রায় একই রকম দর্শনের কথা বলেন,কিন্তু কোনো ধর্ম প্রবর্তন করেন নি।এটা হয়তো দেশ সমাজ ইত্যাদির উপরে নির্ভর করে।
    বলা যায় না,হয়তো মোজেস, যীশু, মহম্মদও ও আত্মোপলব্ধিই করেন,কিন্তু সমাজ-দেশ-রীতি অনুসারে তাদের বলতে হয় প্রত্যাদেশ পেয়েছেন।
    বুদ্ধ নিজে আত্মদীপ হবার কথা বল্লেও কিন্তু পরবর্তীকালে জাতককাহিনি অনেক মিস্টিসিজম ঢুকিয়েছে।তারপরে বোধিলাভের সময় সেই মারের সঙ্গে যুদ্ধ,তাতে জয়ী হওয়া,হয়তো সবই রূপক,তবু গল্প আকারে চলে গেছে।
    সেই আহত হাঁসের পরিচর্যা বা সুজাতার পায়েস কিন্তু খুব ভালো কাহিনি। :-)))

  • dam | 208.251.193.3 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৫০634505
  • কিন্তু a_x কি বলতে চাইছেন? আপনার কোন বক্তব্য নেই এই নিয়ে ---- তাই কি? :-)
  • dri | 199.106.103.254 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৫১634506
  • যখন প্রবর্তন হয় তখন আদর্শ প্রবল থাকার ব্যাপারটা ইনটারেসটিং। আসলে এইসব আদর্শ আসলে কয়েকজন প্যাশনেট মানুষের হাত ধরে আসে। আসেপাশে অনেকেই ক্যারিড হয়ে আসে কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই অতবড় আদর্শকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার জোর নেই। ক্রমে সেই মানুষগুলো বুড়ো হয়, মরে যায় বা হেজে যায়। আর যে অপ্রেসিভ সিচুয়েশন এই আদর্শ তৈরী করেছিল তারও পরিবর্তন হয়। যেমন বৌদ্ধ ধর্ম যখন ভীষণ ভাবে এসে গেল, হিন্দু ধর্মের মাথারা বুঝলেন তাদের নিজেদের কিছুটা পরিবর্তন না করলে এটা টিকবে না। এই করে হিন্দু ধর্মও হয়ত কিছুটা কম অত্যাচারী হয়েছিল। এতে করে মানুষের ঢিলেমি চলে আসে। আদর্শ থেকে সরে আসে। শুধু ধর্মের ক্ষেত্রে নয়। ধরুন ক্যাপিটালিজ্‌ম। এই ক্যাপিটালিজ্‌ম যখন কমিউনিজ্‌ম, বা সিভিল রাইট্‌স মুভমেন্ট বা আরো নানা রকম মুভমেন্টের সম্মুখীন হয় তখন নিজের সারভাইভালের জন্য একটু সফট হয়ে যায়, লেবার রাইট্‌সের কথা বলে, মেয়েদের, ব্ল্যাকদের ভোটিং রাইট্‌স দিয়ে দেয়, কোম্পানীদের সু করা ব্যাবস্থা করে দেয় হ্যানা ত্যানা। এইসব করে দিলে মানুষের মনের রাগটা কিছুটা ডাইলুট হয়ে যায়। তখন আদর্শের পিউরিটি আর থাকে না। এ তো গেল হিন্দু ধর্ম আর ক্যাপিটালিজ্‌ম, যেগুলো অন্য ধর্ম বা ইডিয়লজি সারভাইভ করেছে। ইসলাম আর ক্রিশ্চান ধর্মের কেসগুলো আলাদা। এগুলো সফলভাবে আগের ধর্ম বা নিয়মগুলোকে রিপ্লেস করে দিয়েছে। এবং কালে কালে নিজেরাই অ্যান্টিএশ্‌টাব্লিশমেন্ট থেকে এশ্‌টাব্লিশমেন্টে পরিনত হয়েছে।
  • dam | 208.251.193.3 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৩:৫৬634507
  • রাঙা কি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছিস রে? আমাদের চোখে ইসলাম ধর্ম? নাকি আমাদের চোখে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ আর সেই সূত্রে ছিটেফোঁটা ধম্ম? কেননা ধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা করবার খুব একটা আগ্রহ আমার অন্তত নেই, খুব বেশী লোকের আছে বলে তো মনে হয় না। তাহলে এত "নাকি" " নাকি" আসত না। কথা হচ্ছে যেগুলো আমরা সচরাচর বলি না বা বলতে চাই না, সেগুলো বোধহয় ঠিক ধর্ম সম্পর্কে নয়।
  • a x | 192.35.79.70 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:০১634509
  • ভুল করে এন্টার মেরেছি আগেরটায়ে।

    এই যুক্তিটা ঠিক বুঝছিনা। ধর্মগ্রন্থে আছে তাই সেটাই ঘটনা, এরকম তো পৃথিবীর তাবত ধর্মগ্রন্থই বলে। এই প্রসঙ্গে এর থেকে প্রচুর দূরে সরে গিয়ে একটা জিনিস টোকার লোভ সামলাতে পারছিনা:

    ".... The first step to appreciating this aspect of Darwin's contribution is to see how the world looked before he inverted it. By looking through the eyes of two of his countrymen, John Locke and Davi Hume, we can get a clear vision of an alternative world-view - still very much with us in many quarters - that Darwin rendered obsolete....
    Locke begins his proof by alluding to one of philosophy's most ancient and oft-used maxims, Ex nihilo nihil fit: nothing can come from nothing. Since this is to be a deductive argument, he must set his sights high: it is not just unlikely or implausible or hard to fathom but IMPOSSIBLE TO CONCEIVE that "bare incogitative Matter should produce a thinking intelligent Being.".....
    So if Locke is right, Mind must come first - or atleast tied for first. It could not come into existence at some later date, as an effect of some confluence of more modest, mindless phenomena. This purpots to be an entirely secular, logical - one might almost say mathematical - vindication of a central aspect of Judeo-Christian and also Islamic) cosmogeny: in the beginning was something with Mind - a "cogitative Being," as Locke says.The traditional idea that God is a rational, thinking agent, a Designer and Builder of the world, is here give the highest stamp of scientific approval: like a mathematical theorem, its denial is supposedly impossible to conceive.
    And so it seemed to many brilliant and skeptical thinkers before Darwin. "
    _ Darwin's Dangerous Idea: Evolution and the Meaning of Life - Daniel Dennett.

  • a x | 192.35.79.70 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:১৪634510
  • দময়ন্তী, ধর্মগ্রন্থ নিয়ে সত্যিই কোনো বক্তব্য নেই - চিড়বিড়ানি প্রচুর আছে :-))
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:১৬634511
  • অক্ষ,ইকুয়ালি উইয়ার্ড ব্যাপার হলো হাতী ঘোড়া গরুভেড়া বাঁদরের মতনই আরেকটা প্রাণী,মানুষ--মাত্র কয়েক লাখ বছরের মধ্যে আগুনটাগুন জ্বেলে,পোশাক বানিয়ে, বাড়ীঘর বানিয়ে,অস্ত্র বানিয়ে, লড়াই মারামারিহানাহানি করে,লুঠ করে,সম্পত্তি আইডিয়া বানিয়ে, মন্ত্রতন্ত্র বলে, অংকটংক করে বোমটোম ফাটিয়ে গ্রহটাকে ছান ছান করে ফেলে চাঁদে অবধি ঘুরে এলো!!!!
    এটা খুব খুব পিকিউলিয়ার ব্যাপার! সোজা সরল ভাবে এই ধাঁধাটা সমাধান মনে হয় অসম্ভব!

  • a x | 192.35.79.70 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:৩৪634512
  • আর হাতি একটা আস্ত কদবেলের ভেতরের মাল খেয়ে আস্ত খোলাটা বাইরে বার করলো - সেইড্যা ভুলে গ্যালেন?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:৩৭634513
  • অক্ষ,
    তবু প্রায় ততলাখ বছর বা তার বেশী সময় পাওয়া সত্বেও হাতীরা অংক শিখলো না,রকেট ফকেট স্পেসশিপ টিপ বানালো না,চাঁদে গেলো না!!!!
    ভাবুন হাতীরা গেলে কি বিরাট স্পেসশিপ লাগতো!
  • a x | 192.35.79.70 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:৪৫634514
  • এই প্রকৃত ইসলাম, মৌলবাদি ইসলাম (একই সাথে উদার হিন্দু ধর্ম বনাম গেরুয়া হিন্দুধর্ম) এইটা আমি যাস্ট মানিনা। ধর্ম থাকলে মৌলবাদ থাকবেই।
  • dri | 199.106.103.254 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৪:৫৯634515
  • আবার, ধর্মও থাকবেই।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৫:০৫634516
  • সবই থাকবে,শুধু সময় থাকবে না।
    "সময় তো থাকবে না আ আ আ মাগো/শুধু মাত্র কথা রবে।"

  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৫:০৬634517
  • :-))))
  • dam | 208.251.193.3 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৫:২৮634518
  • a_x এর এই কথাতায় ডিট্টো। ধর্ম থাকলেই তার গোঁড়ামি থাকবে। কমবেশী টা ফালতু কথা, জাস্ট সুযোগের অভাব বা প্রাচুর্য্য ইত্যাদি ব্যাপার।
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৬:৪৪634520
  • বাহ। বেশ ইন্টরেস্টিং টপিক। মাঝখানে কিছু ট্র্যাকচ্যুতি না ঘটলে আরো ইন্টারেস্টিং থাকতো।
    পড়ছি খুব মন দিয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন