এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদের চোখে ইসলাম

    r
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০০৬ | ৫৫৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.251 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৩:১৭634340
  • আর কোথাও যদি ধর্মের সঙ্গে আইনের আড়ি লেগে যায়?
    তাহলে অবশ্যই আইনটাকেই মানতে হবে।
    আইন যদি একুশে আইন হয়? তবে ঝঞ্ঝাট ঝামেলা করে গোলমাল পাকিয়ে প্রতিবাদ করে আইন পাল্টাতে হবে,কিন্তু আইন না মেনে ধর্ম মানা যখন ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিকে বলছে "যাও,অন্যের ক্ষতি করো,মারো,কাটো,জ্বালাও,এইভাবে অদৃশ্যের সম্মান দাও," তখন সেটা চলবে না।
    নিজের অপরাধ ধর্মের দোহাই দিয়ে ঢাকা চলবে না।
    মানুষের জন্যই ধর্ম,ধর্মের জন্য মানুষ তো নয়!

  • tan | 131.95.121.251 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৩:২১634341
  • তবে এতে অনেক প্যাঁচ ও জিলিপি আছে।

  • Ishan | 130.36.62.126 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৩:২৫634342
  • যা লিখলাম তা দিয়ে পুরোটা বলা হলনা। যদি ব্যক্তিগত স্ট্যান্ড পয়েন্টের কথা বলেন, তবে "ইসলাম কি?' এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমি জাস্ট আবোলতাবোল ডকুমেন্ট খুঁজব। মহম্মদ আলি, বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হিসাবে ইসলামকে দেখেছেন, আর জর্জ বুশ দেখেছেন ওয়েপন অফ মাস ডেস্ট্রাকশান হিসেবে। এই দুই এক্সট্রিমের মাঝখানে ইসলামের যে অজস্র শেড, সেগুলো কেউ যদি খোঁজেন , আমি সেই জার্নিতে আগ্রহী। কোন তাড়নায় কতগুলো তাজা যুবক, একদিন সাতসকালে প্লেন নিয়ে বেরিয়ে পড়ল টুইন টাওয়ারে ঢুসো মারবে মারবে বলে? কোন সেই ইসলাম যা এতো ঘৃণা উৎপন্ন করতে পারে? -- আমি সেটা জানতে আগ্রহী। ফ্রান্সের মেয়েরা কেন মাথায় স্কার্ফ গুঁজে ইশকুলে যেতে চায়? ইসলাম তাদের "স্বাধীনতা' দেয়না, তবে কি দেয়? আমি সেটা জানতে আগ্রহী। বাংলাদেশ। অতো বড়ো একটা ভাষা আন্দোলন করার পরেও, ভাষা নয়, একদল তরতাজা যুবক ইসলামে আশ্রয় চাইছে -- সেটাই বা কোন ধরণের ইসলাম?

    বোঝাই যাচ্ছে, এর সঙ্গে কোরানের কোনো সম্পর্ক নেই। কোরানে আমি ইন্টারেস্টেডও নই। কারণ ধর্মগ্রন্থ মাত্রেই মৃত। জ্যান্ত লোকেদের নিয়ে আমার ইন্টারেস্ট। জ্যান্ত ইসলামকে নিয়ে। সেখানে কোরান টোরান নেই।

    বোঝাতে পারলাম কি?
  • tan | 131.95.121.251 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৩:৩৭634343
  • কিন্তু, সঠিক আইনটি দেবে কে? সেটা সবার জন্য সমান হবেই বা কিকরে?
    প্রতিবাদ করে আইন পাল্টানোর অধিকার কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই "ধর্মরক্ষার অধিকার" কথাটাও অস্বীকার করা যায় না।
    কারুর কারুর ক্ষেত্রে ধর্ম পালন আইডেন্টিটির মতন ব্যাপার,পাওয়ারের রঙ সাইডে পড়ে গিয়ে তাদের জ্যান্ত হয়ে বাঁচার ও স্বাভিমানকে সান্ত্বনার একটিমাত্র পথ হয়তো ধর্ম। সেক্ষেত্রে খুব কঠিন তাদের আইন টাইনের কথা বলা।
    কারণ আইন বানায় কারা?
    সেই শেষে পাওয়ার প্লে এসে পড়ছে দ্রি,ঘুরে ফিরে আমড়াতলার মোড়ে এসে পড়ছি।:--(((

  • tan | 131.95.121.251 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৩:৪৩634344
  • আবার এরা পাওয়ারে এলে অন্য যারা রঙ সাইডে পড়ে গেলো,তাদের অবস্থা এদের মতন হবে,তারাও ধর্মরক্ষার অধিকার নিয়ে লড়বে।
    এইভাবে সেই চক্রবৎ ...
    ঈশান তোমার টেরি ঈগনটনের থ্রেডের লেখাটা ও তো চক্রবৎ একটা কিসের মধ্যে ফেলে দিলো।:-(((
    সমাধান তো দিলে না????
  • a x | 192.35.79.70 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৩:৫৭634345
  • "পাওয়ারের রং সাইডে বসে ....একটিমাত্র পথ ধর্ম" - এটা খাটিয়েই তো বাজারে ধর্ম চলছে, কাজেই চলতে দেওয়াটাই জাস্টিফাইড? কাজেই গরীব এলাকাতেই মাথা তুলুক গির্জা? ঠিক যে যন্ত্র টা দিয়ে exploited সেই exploitationএর দোহাই দিয়ে যন্ত্র টার প্রয়োজন বোঝালেন তো !!
  • tan | 131.95.121.251 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৪:০৪634346
  • একটুও জাস্টিফায়েড না,একটুও না অক্ষ।
    কিন্তু তাহলে এমন আইন বানান যা সত্যি সত্যি নিরপেক্ষ,পাওয়ারে থাকাদের কোলে ঝোল টানছে না,সবাইকে ইকুয়াল ফুটিং এ নিচ্ছে।
    তাহলে আপসে আপ কমে যাবে এই আকচাআকচি।
    কিন্তু নিরপেক্ষ আইন হলো ইউটোপিয়া।
    আমরা পড়ে আছি লুপহোলে,অথবা ঘুরে চলেছি একই জায়্‌গায়।
  • dam | 208.251.193.3 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৪:৪৫634347
  • কিছু ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ আইন তো অবশ্যই করা উচিত। ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। খ্রীস্টান এবং মুসলমান উভয়েই সংখ্যালঘু। গত জনগননার রিপোর্ট অনুযায়ী খ্রীস্টানদের সংখ্যা মুসলমানদের থেকেও কম। তাহলে ইসলামের দোহাই দিয়ে একাধিক বিয়ের আইন চালু থাকবে কেন? 'তালাক' এর মত একটা অতি কুৎসিত প্রথাই বা চালু থাকবে কেন? ইসলামের দোহাই দিয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী চোরের হাত তো কেটে দেওয়া হয় না, তাহলে?

    সতীদাহ বা বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন তো ওয়েল এস্টাব্লিশড হিন্দুরাই শুরু করেন। তাহলে মুসলমানরা এত বছর পরেও কুপ্রথাগুলো বন্ধ করতে আন্দোল্‌ন করেন না কেন? নাকি করেন, আমিই জানি না?
  • a x | 192.35.79.70 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৪:৫৩634348
  • এক্টা অদ্ভূত শিফ্‌ট লক্ষ্য করছি। পুরো দুনিয়া সুন্দর ভাবে আস্তে আস্তে রাইটে যাচ্ছে। এখন লেফট হওয়া মানে লিবেরাল মডারেট হওয়া।
  • a x | 192.35.79.70 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৪:৫৭634350
  • কদাচ মিথ্যে বলিবেনা, চুরি করিবেনা - সবই ইউটোপিয়া। ইউটোপিয়া বলে, অন্যটাই চলুক, চলতে দাও, এবার তর্ক কর, কি করে চলছে।
  • dri | 199.106.103.254 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৫:৪২634351
  • আরে বাবা। চলতে দিচ্ছেন কেন? করুন না চেষ্টা কি করা যায়। কি করলে লোকে আর মিথ্যে কথা বলবে না? জানেন? এক কাজ করতে পারেন। পাড়ায় পাড়ায় সারাদিন মাইকে ঘোষনা করতে পারেন। কিন্তু এতসব করার পরও কিন্তু আপনি যখন ভোট নেবার ব্যবস্থা করবেন তখন ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাইবেন। কেন চাইবেন? সবাই সত্যি কথা বললে তো তার দরকার ছিল না। অর্থাৎ আপনার ডিজাইনে আপনি ধরে নেবেন যে লোকে মিথ্যে কথা বলতে পারে। আপনি যখন বাড়ী ছেড়ে বেরোবেন তখন তালাচাবি লাগিয়ে বেরোবেন আর গয়নাগাঁটি সব ব্যাঙ্কের লকারে রেখে দেবেন। কারণ আপনি ধরে নেবেন যে লোকে চুরি করতে পারে। আমরা সবাই সাদা ঘুঘুপাখির মতই শান্তিপ্রিয়। কিন্তু আমরা কি কেউ চাইব ভারতের কাছে একটা অস্ত্রও না থাকুক। ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টটাই উঠে যাক? আমরা ধরে নি যে কেউ আমাদের আক্রমণ করতে পারে। পৃথিবীতে কেউ যদি কাউকে আক্রমণ না করত এটা খুব অ্যাট্রাকটিভ ভাবনা, কিন্তু প্র্যাকটিকাল না। একই ভাবে আপনি যখন একটা রাষ্ট্র, তার নিয়মকানুন হ্যানা ত্যানা বানাবেন আপনাকে ধরে নিতে হবে যে ধর্ম ব্যাপারটা নানা ফর্মে থাকবে। আপনার ভালো লাগুক আর নাই লাগুক। আর ব্যক্তিস্বাধীনতা দেওয়া আর ধর্ম একদম না করতে দেওয়া এ দুটো একসাথে যায় না। আপনার ভালো না লাগলেও আরেকজনের মনে হতে পারে আমি ধর্মকর্ম করব। আপনি তাকে আটকাবেন কি ভাবে? তার চেয়ে দম যে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের কথা বলেছেন সেটা অনেক বেশী সম্ভব এবং প্র্যাকটিকাল।

    তবে এ ব্যাপারে আপনার যদি খুব স্ট্রং ফিলিংস থাকে তবে একটা মুভমেন্ট শুরু করুন না। কিছুদিন বাদে যেন দেখি পৃথিবীতে ধার্মিক মাইনরিটি হয়ে নানা রকম সুযোগ সুবিধা চাইছে।
  • a x | 4.159.95.235 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৭:০৩634352
  • তালা চাবি যেমন দেওয়া হয়, তেমনই ধরা পরলে তার পিটুনিটাও জোটে। এখানে পিটুনিটা বাদ দিয়ে শুধু চৌর্য্যবৃত্তির অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়াটাও হাস্যকর। ব্যাক্তিস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে তো তাহলে অনেক কিছুই চালানো যায়। আমি মনে করি অমার মেয়ের সাত বছর বয়েসে বিয়ে দেব। গৌরীদান হবে। আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা। আমি মনে করি, আমার ছেলেই চাই, মেয়ে ভ্রুণ abort করব। এটা তো একেবারেই আমার ব্যক্তিস্বাধীনতা। ইউনিফর্ম সিভিল কোড আজকের গল্প না। ওটাও হবেনা। ওটাও আরো কিছু লোক বলবে ইউটোপিয়া।
    দময়ন্তী, সতীদাহ, বহূবিবাহ যেমন হয়না, তেমনই প্রেম করে বিয়ে করার সময়ও মেয়ের বাপ কে খাট থেকে আলমারি দেবার রেওয়াজ মোটামুটি অক্ষুন্ন। এটাও যেমন সত্যি, তেমনই সত্যি আমি কোনো শিক্ষিত মুসলমানকে একের বেশি বিয়ে করতে দেখিনি, এবং তালাক দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতেও দেখিনি। আপনি অর্কূটে আছেন। ওখানে পাকিস্তানি সোশ্যালিস্ট ফোরামে দেখবেন - হিন্দু সোশ্যালিস্টদের থেকে অন্য কিছু না :-)। আমি যার সাথে কাজ করি, তিনি বাঙ্গালি, পদবী মুসলিম। আজ অবধি আমি যতজন কে নাম বলেছি এনার, without exception প্রথম প্রশ্ন, "বাঙ্গলাদেশের?" যেন প:ব: এ বাঙ্গালী খান, সৈয়দ, হক নেই। এত ব্যাপ্ত এই বিভাজন। আমরা আমারা। ওরা ওরা। ওদের ধর্ম নিয়ে বলতে গেলে ভয়ে ভয়ে বলতে হয়, কিছু মনে করলনাতো, আমি যে ধর্মনিরপেক্ষ, সেটা বুঝলো তো? ওদের মনে হয় প্রতি মুহূর্তে যেন ডিফেন্ড করতে হচ্ছে নিজেকে। বারবার বলতে হচ্ছে, না আমার ধর্ম যা দেখছ/দেখাচ্ছে তা নয় আসলে। এত কিছুর পরেও একজন হিন্দুকে এই গুরুতে নিজের ধর্ম ডিফেন্ড করতে হয়না। সামরানের লেখাতে আমি একটা কিন্তু কিন্তু ভাব পেয়েছিলাম। আমার মনের ভুল হলে আমি খুবই আনন্দ পাব। এক ভাষা, এক সংস্কৃতি, এক গয়না বড়ি সব কিছুর পরেও। কেন? ধর্ম। ব্যাক্তিস্বাধীনতার দোহাই দিলে এই বিভাজন কে স্বীকৃতি দেওয়াই হয়।
  • dam | 208.251.193.3 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৭:৪৯634353
  • a_x,

    আমি দেখেছি একাধিক বিবাহ করতে। তালাক দিতে দেখি নি কিন্তু শুনেছি। সংবাদপত্রে আসা অতি পরিচিত কেস নয় একেবারে মফস্বলের লোকজন। না শিক্ষিত নয় অবশ্যই। তবে একটি ক্ষেত্রে পুরুষটি মাদ্রাসা শিক্ষিত ছিল। অবশ্য এগুলি কোনটাই আপনার কলকাতায় নয়। কলকাতায় হয় কিনা জানি না, আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই।

    পণের ক্ষেত্রে দীপ্তেনদাঅর কথায় একেবারে ডিট্টো। আমি ৫ টি হায়দ্রাবাদের মুসলিম ছেলের কথা জানি যাদের মধ্যে সর্বনিম্ন পণের পরিমাণ ছিল ১৮ লক্ষ। কারণ ছেলেটির তখনও 'অনসাইট এক্সপিরিয়েন্স' ছিল না।

    বিয়েতে মেয়ের বাড়ী থেকে নেওয়া জিনিষপত্রের ক্ষেত্রে, এটা কিন্তু আইনত দন্ডনীয়। এই প্রথাটা চলে আসার পেছনে অনেকক্ষেত্রেই মেয়েদের লোভও কাজ করে। আর যা অন্যায় তা অন্যায়ই। একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটা অন্যায় চালু রাখার জাস্টিফিকেশান কখনও হয় না।

    আর এই ডিফেন্ড করার ব্যপার কি বাংলাদেশে হিন্দুদের মধ্যে নেই বলছেন? আমি কোন ওয়েবসাইট দেখতে ইচ্ছুক যেখানে মেজরিটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী লোক লেখালিখি করেন এবং ঠিক এইরকম উৎসাহের সাথে সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ বা জৈন ধর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বা হয়। না খ্রীস্টান ধর্ম নিয়ে হয় কিনা জানতে আমি উৎসুক নই।

    ইউনিফর্ম সিভিল রাইট সম্পর্কে আপনার বক্তব্য বুঝলাম না।
  • dri | 199.106.103.254 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৭:৫০634354
  • এক মিনিট। আপনার প্রস্তাবটা ধরতে পারলাম না। ধর্ম ঠেকাতে আপনি কি করতে বলছেন? চুরি ধরা পড়লে গারদে পোরাটা যেমন একটা কনক্রিট প্রস্তাব। তেমন কি করতে হবে? ধর্মাচরন করা চলবে না এইটা করে দিতে হবে? মন্দির মসজিদগুলোকে ইস্কুল বানিয়ে দিতে হবে? পরীক্ষায় পাস দিয়ে কালিঘাটে পুজো দেওয়া চলবে না? নামাজ পড়া চলবে না? এই করলেই বিভাজন জোড়া লেগে যাবে? পদবিগুলো? ঐ দেখেও তো চেনা যায় কে হিন্দু কে মুসলিম। ভেবেছেন ঘৃনা এত সহজে যাবে? সব পদবী এক করে দেবেন? তাও কি সম্ভব?

    কি কি পদক্ষেপ নিলে এই বিভাজন যাবে সেইটা ভালো বুঝলাম না।
  • trq | 211.28.248.189 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৯:৩১634355
  • ঈশানদা,
    তোমার ভাবনায় কিছু ফিউয়েল জোগাই।
    বাংলাদেশে যেসব জংগি ধরা পড়েছিলো তাদের নেতারা বাদে বাকি বেশিরভাগই ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
    ওদের সবার ব্যাকগ্রাউন্ড মাদ্রাসা থেকে।
    ধরা পরবার পরে আদালতে ওদের জিজ্ঞেস করা হলো তোমরা কেন মানুষ মারতে চাইছো?
    ওরা বলে, তাহলে ওরা বেহেশতে যেতে পারবে।
    ওদেরকে একথা বলেছে ওদের নেতারা।
    এবং, এটা কোন না কোন ভাবে ওদের মাথায় পার্মানেন্টলি ইন্সটল করে দেয়া। রিমুভের কোন অপশন আছে বলে- অন্তত- পত্রিকা পড়ে আমার মনে হয় নি।

    উপরেরগুলো তথ্য।
    এবার, নিজের কথা।

    মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড বলে শুধু তাদের মনোভাবই এরকম এটা ঠিক নয়। স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়টুকুতেও আমি এমন অনেককে দেখেছি, যারা শিক্ষিত ( ওয়েল, নিজের সহপাঠীদের শিক্ষিততো বলাই চলে, নাকি?)- কিন্তু তাদের মনোভাব ভীষন উগ্র।
    অর্থাৎ- সম্ভবত সুযোগ পায় নি বলেই ওরা জংগি হয় নি। নইলে হয়ে যেত।
    অনেকদিন আগে, মজলিশে আমি নিজেও জঙ্গিবাদের পেছনে অশিক্ষাকে দায়ী করেছিলাম। কিন্তু, এখন আমি জানি, বুঝি, এর পেছনে অশিক্ষার চেয়েও যেটা বড়া ভূমিকা পালন করছে অপ-শিক্ষা।

    ডারবানে থাকাকালীন, প্রায় শেষের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ওখানে গেছিলেন পি,এইচ,ডি-র জন্যে।
    কোন একদিন কথা প্রসঙ্গে উনি উনার কোন এক সহকর্মীর কথা বলছিলেন, যিনি হিন্দু, এবং আকস্মিক তাকে মালাউন বলে গাল দিয়েছিলেন। ( মালাউন শব্দের অর্থ জানি না। এটা আমি, সপ্তম শ্রেনীতে উঠে হোষ্টেলে যাবার আগে কোনদিন শুনি নি। তখুনি জেনেছি হিন্দুদের মালাউন বলে গাল দেয়।)
    সেদিন প্রচন্ড রাগে অস্থির হয়ে আমি সাথে সাথে রুম ছেড়ে চলে আসি। আর কোনদিন তাকে সম্মান করে কথা বলি নি।
    কিন্তু, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কি শিক্ষার অভাব আছে?
    সুযোগ পেলে তিনিও কি জঙ্গি হবেন না?

    বাংলাদেশের যুবকেরা কেমন করে ইসলামের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে সে প্রসঙ্গে লিখব পরেরবার।
  • dd | 202.122.18.241 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৯:৪০634356
  • ঈশেন ! ঈশেন !!
    কি তুখোড় পোস্টিং কচ্ছ এই আর অন্য থ্রেডে। এইসব ছেড়ে কি কত্তে যে সি ই ও হয়ে যাচ্ছো ?

    বিপুল বিত্ত, অতুল প্রভাব,এইই কি সব ? হায়, টই শুধুই টই - আর কিছু নয় ?

    তুমি ঠিক ই বলেছো। খামোখাই মৃত সব অচল ধর্ম পুস্তিকার আলোচনার নাম খাঁড়ার ঘা চলেছে। সহিত্য গুন বা অন্য কিছু ইন্টেরেস্টিং তথ্য না থাকলে এই সব কিতাবের আলচনা আমি আর করবো না। বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন কোনো অ্যাডালটকেই আর "বোঝানো"র কিছু নেই।

    কেনো আজকের মুসলিম সমাজে এতো সুইসাইড বম্বার ? শুধু ব্রিটেইন আমেরিকা আর ইজরায়েলের বিরুদ্ধেই নয়, পকিস্তান আর ইরাকেও - সিয়া সুন্নি বিভেদেও । নারী শিশুঘাতী- মসজিদ ভেঙে - এই আত্মত্যাগের গরিমা কোথায় ? মোটিভেশন ?

    আছে আছে। আমার একটা (সেকেন হ্যান্ড) থিওরী আছে। পরে লিখছি।
  • trq | 211.28.248.189 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৯:৪৪634357
  • দমুদি,
    ১০০ ভাগ ঠিক কথা।
    বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যেও একইরকম ভাবে ডিফেন্সিভ ব্যাপারটা আছে।
    সেটা আসে অনেক কষ্ট থেকে। নিজের ধর্ম পালন করার ভয় থেকে, নিজের বাড়ি, নিজের জমি, এবং নিজের পরিবারের অনিরাপত্তাবোধ থেকে।
    আমার দু'জন বেস্ট ফ্রেন্ডের একজন হিন্দু( অর্কুটে তুমি তার ছবিও দেখে থাকতে পারো- রাজীব নাম।) ওর এবং ওর পরিবারের- শুধু হিন্দু-হবার-অপরাধের কষ্টটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি।
    একজন বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে ক্ষমা করতে আমার অনেক পাপমোচন করতে হবে, সন্দেহ নেই।

  • trq | 211.28.248.189 | ১১ জুলাই ২০০৬ ০৯:৫৯634358
  • বিভাজন মিটবে বলে আমার মনে হয় না।
    বিভাজনের প্রধান বৈশিষ্ঠই এই যে, তা কখনো মিটবার নয়।

    একসাথে খাই, পড়ি আড্ডা দেই। ক্রিকেট মাঠে গলা ফাটাই। কিন্তু যখুনি হিন্দু- মুসলিম এলো, তখুনি পরিচিত বন্ধুর গলার স্বর বদলে যেতে দেখেছি।

    এইখানে, এইসব ফোরামে- কত যুক্তি তর্ক ভালোলাগা শেয়ার করা সাহিত্য গল্প খেলা।
    তবু এখানেও, ধর্ম প্রসঙ্গ এলে তুমি আমি বদলে যাই। বদলে যায় কনফু , টুপি পড়া মুহাম্মদ তারেক হয়ে যায় তখন সে। তুমি কোলকাতার আর আমি বাংলাদেশি, তো আমাদের মধ্যে চলে আসবে রৌমারি সীমান্ত। তুমি বিএসএফ আর আমি বিডিআর ।
    আমাদের আর কোন পরিচয় নেই তখন।

    এ কথা লিখে দেয়া যায়। বিভাজন মিটবার নয়।
    লিখে যান যা ইচ্ছা, ভাষার দোহাই দেন, তবু নয়।
    শরীরে বিভাজন হলে, তা মনকেও ছাড়ে না। দাগ রেখে যায়, সময়ের সাথে যে দাগ মুছে না কখনো- বেড়ে যায় আরো, গভীর হয়। গভীরতর হয়।
  • dd | 202.122.18.241 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১০:১৩634359
  • না তারেক না।
    অত গভীর নয় আদৌ পার্মানেন্ট নয়।

    সখের নয়, রীতিমতন খুনোখুনি খুনোখুনি হয় রাজনৈতিক কারনে, শয়ে শয়ে লাশ পরে।। আবার থিতিয়ে যায়। দাংগা বাঁধ বাংআলী আসামীতে,কন্নর আর তামিলে। বহুদিনের পুরোনো বিবাদ। নর্থ ইস্টের দুই উপজাতিতে। গ্রাম জ্বলে যায়।

    বাঙালী অবাঙালী কথা উঠলে গলা বদলে যায়। ব্রাহ্মন দলিত কুর্মি যাদবে গলা বদলে যায়, হিন্দু মুস্লিমে গলা বদলে যায়। সিয়া সুন্নিতে। হুটু টুতসীতে। প্রটেসান্ট ক্যাথলিকে।

    দুটো লোক থাকলেই - দ্বন্দ । আমি আর ও। আমরা আর ওরা। এটা নেহাৎই হিন্দু মুসলিমের চিরকালীন বিভাগ ভেবো না। আদৌ না।
  • dri | 66.81.197.52 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১০:৪১634361
  • একেবারেই মিটবে না? খুব ফেটালিস্টিক শোনাচ্ছে। একটু আশা থাকা ভলো। কোনদিনই মিটবে না ধরে নিলে মেটানোর চেষ্টাও যে থাকে না আর।

    এই যে ইওরোপের দেশগুলো কয়েক শতাব্দী আগেও কি মারপিট করেছে। এখন তো দিব্যি ইওরোপীয়ান ইউনিয়ান বানিয়েছে। ব্যাবসা করছে। ক্যাথলিক প্রোটেস্টান্টও এখন পার্টনার ইরাক যুদ্ধে। তাই আশা আছে। তবে সে অনেক সময়ের ব্যাপার। অনেক ধৈর্য্যের। হয়ত আমাদের জীবদ্দশায় নয়। কখনো। এই সমস্যার কুইকফিক্স নাই।
  • saa | 62.254.64.15 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১১:১৭634362
  • কালকের খবরে শুনলাম না কি জিদানকে টেররিস্ট বলে গালি দিয়েছিলো বলে ই ও রেগে গুঁতিয়েছিলো।
    আজকাল এই ইউরোপিয়ান দের মধ্যে মুসলমান মানেই টেররিস্ট এর ফান্ডা টা প্যাথেটিক।
    এর ফলে ই নিরীহ ব্রাজিলিয়ান কে গুলি খেয়ে মরতে হল লন্ডন এ গত বছর, দোষ হল তাকে এশিয়ানের মত দেখতে! কোনো সাদা চামড়ার লোক এমন দৌড়ে পালালে তাকে কিছুতেই টেররিস্ট ভেবে মারতোনা!
    আর সব এশিয়ান ও যে মুসলিম নয় এটা কে বোঝাবে? আর সব মুসলিম ও যে টেররিস্ট নয়!
    মানুষের fixed idea থেকে মুক্তি নাই! সে বিশ্বের যে দেশ ই হোক না কেন।
  • Arjit | 128.240.229.7 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৩:০৯634363
  • তারেকের কথার সুত্র ধরে বলি - বেশ কয়েকবছর আগে আবাপ-তে একটা চিঠি বেরিয়েছিলো - এক মুসলমান ভদ্রলোকের লেখা - ঠিক এই কথাগুলো - উগ্রপন্থী হিসেবে যারা ধরা পরে তারা অধিকাংশই অল্পবয়সী, মাদ্রাসা-শিক্ষিত। তখন উগ্রপন্থী নিয়ে এত হইচই ছিলো না, কারণ ৯/১১ হয়নি - তখন অন্যান্য অপরাধ নিয়ে কথা উঠেছিলো - আবাপ-র সম্পাদকীয়তে কোন একটা লেখার পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিঠি। ভদ্রলোক লিখেছিলেন যে এই ছেলেগুলো যে মাদ্রাসায় পড়ছে, তার পরে কিন্তু কোন ভবিষ্যত নেই - আর সেটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ হঠকারি পথে পা বাড়ানোর। মাদ্রাসাগুলোকে আধুনিক করে অন্যান্য স্কুল-কলেজের মতন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করলে অনেক উন্নতি সম্ভব, ইত্যাদি ইত্যাদি। আর্কাইভ খুঁজলে পেলেও পেতে পারেন।
  • Arjit | 128.240.229.7 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৩:১২634364
  • একটা কারেকশন - তারেক নয়, কনফুর কথার সুত্র ধরে লিখেছিলাম। আসলে, দ্রি বা অক্ষ সকলে কনফুকে চেনেন কিনা জানি না তো, তাই প্রথমে কনফু যে নামে লিখেছিলো সেই নামটাই ব্যবহার করলুম - তাপ্পরে ওপরে কনফুর আরেকটা চিঠি পড়ে মনে হল আমিও কি ওই ভুলই করছি? তাই কনফু - হরবখত কনফুই।
  • Arjit | 128.240.229.7 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৩:১৭634365
  • প্রাসঙ্গিক কিনা জানি না, তবে গতকাল রাতের হেডলাইন - http://news.bbc.co.uk/1/hi/uk/5167332.stm
  • J | 160.62.4.10 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৭:৫৭634366
  • হুম। মধ্য এশিয়ার রিপাবলিকগুলোতে আর পশ্চিম এশিয়ারও সিংহভাগ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাই বসবাস করত। তা ততার হোক বা উজবেক বা কিরঘিজ বা তাজিক, তুর্কমেন, কাজাখ, আজারবাইজানি, মানে ম্যাক্সিমাম লোকই মুসলমান। তাদের ছেলেদের মুসলমানী করা হয়ে থাকে ছোটো বয়েসে, ঘরে নয়, ডাক্তারের দ্বারা। মেয়েরা মাথায় রুমাল দেয়, কিন্তু হাঁটু অবদি ফ্রক পরে। ছেলেরা মাথায় টুপি পরে, এদিকে ভোদকাও খায়। নামাজ পড়তে অনেকেই জানে না। কোরান অধিকাংশই চোখে দেখে নি, কিন্তু মনে প্রাণে তারা ইসলামে বিশ্বাসী, যদিও আরব দেশের বা অন্য দেশের মুসলিমদের মতো সবকটি ধর্মীয় আচার মানে না। মসজিদে যাওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ঈদের কোনো ছুটিও থাকত না, ১৯৯১ এর পর থেকে ধর্মীয় ছুটি চালু হয়। খ্রীস্টমাসের কোনো ছুটিও ছিলো না। বরাবর ২৫শে ডিসেম্বর ইউনিভার্সিটি-ইনস্টিটিউট খোলা থাকত। মহরম ব্যাপারটা ওদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তেমন চালু ছিলো না।
    হালাল মাংস বোধয় পাওয়া যেত। তবে সরকারী দোকানে নয়। হাতে হাতে। ইসলাম অধ্যুষিত অঞ্চলে শুয়োরের মাংসের সসেজের প্রোডাকশান খুবই কম ছিলো।
    ট্যাক্সিতে উঠলে ট্যাক্সি ড্রাইভার হামেশাই জিগ্যেস করত, আমরা মুসলমান কিনা। যদি কোনো মুসলমান সওয়ারী পেত, তখন হাল্কা ধর্মাচোলনা করত তারা।
    সেতুলনায় মদ্যএশিয়ায় চার্চ একদমই ছিলো না। তবু অর্থোডক্স চার্চের অধীনে খ্রীস্টান সম্প্রদায় ঈশ্বর ও ধর্মকে মেনে চলত।
    প্রচুর লোক ছিলো যারা আথেইস্ট। তাদের নাম শুনতে মুসলমানদের মতো, কিন্তু তারা আথেইস্ট। এমন বেশ কজনকে চিনি ও জানি। তবে তারা এরকম হয়েছিলো গুপ্তচরের ভয়ে কিনা সেনিয়ে যতই তর্ক হোক না কেন, আমি কিছুতেই বিশ্বাস করব না।
  • J | 160.62.4.10 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৮:০২634367
  • ভালো কথা, উজবেকিস্তানের বুড়ো প্রেসিডেন্টের নাম - ইসলাম আব্দুগানিয়েভিচ করিমভ। মানে লোকটার নাম ইসলাম। সে দীর্ঘকাল কমুনিস্ট পার্টি করেছে। সেই পেরেস্ত্রোয়িকার ঢের ঢের আগের সময় থেকে পার্টি করে উজবেক সোশ্যালিস্ট রিপাব্লিকের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো। সেই ব্রেজনেভের আমলের লোক। তার নাম ইসলাম বলে কোনো ক্ষতি হয় নি। তাহলে?
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৮:১২634368
  • দেশে-বিদেশে-তে মুজতবা "মীর আসলম" বলে এক মৌলবীর কথা বার বার বলেছেন - অত্যন্ত জ্ঞানী এবং সৎ লোক। সেই মীর আসলম একবার বলেছেন "রুশ দেশের মুসলমানদের উচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা - সরকার ওদের হজ করতে যেতে দেয় না" - সম্ভবত বুখারা-সমরখন্দের নামই করেছিলেন। মুজতবা অবিশ্যি নিজে রুশ এমব্যাসীতে যাঁদের সাথে আলাপ ছিলো তাঁদের কথার সুত্র ধরে প্রশংসাই করেছেন। তবে একই রকম কথা বহু বইয়ে পড়েছি - অবশ্যই সবকটা আমেরিকান বা ব্রিটিশ লেখকের লেখা - সেখানে ইহুদীদের নিয়ে - যাদের নাকি জেরুজালেম যেতে দেওয়া হত না - ফরসাইথের অর্ধেকের বেশি থ্রিলারে এই বক্তব্যটা আছে।

    কতটা সত্যি, কতটা মিথ - আসল ঘটনাগুলো কোনদিনই জানা হল না।
  • J | 160.62.4.10 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৮:২৪634369
  • আরো আছে। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছে - নুরসুলতান নাজারবায়েভ।
    নুরসুলতান! একি কমুনিস্ট আথেইস্ট নাম হোলো? এও তো সেই ইসলাম করিমভের আমলের লোক। নিশ্চয় ঝানু লোক। নইলে রাজনীতির শিখরে পৌঁছলো কেমন করে? পার্টি কি এদের নাম বদলে দিয়েছিলো???
    উ:, কী প্রোপাগ্যান্ডা, কী প্রোপাগ্যান্ডা!
    মূল আলোচনা থেকে দূরে সরে যেতে চাই না তবু না বলেও পাচ্ছি না, শুনতুম কমুনিস্ট দেশে (এক্ষেত্রে সোভিয়েত দেশ) নাকি ভোর হয় অ্যামেরিকা কে গাল পেড়ে আর রাতে এরা শুতে যায় অ্যামেরিকাকে গাল পেড়ে। চব্বিশ ঘন্টা নাকি অ্যান্টি ক্যাপিটালিস্ট প্রোপাগান্ডা চলছে। সার্ফের জলে ব্রেণ ওয়াশ কচ্ছে সবার।
    দেখলাম উল্টো জিনিস। অ্যামেরিকাকে বেশ ভক্তিছেদ্দা করে দেশের সাধারণ লোকজন।
    আরেকটা জিনিস হচ্ছে, এন্তার সিনেমা দেখেছি ঐ দশ বছরে, স্থানীয় সিনেমা। যুদ্ধের ফিলিমে জার্মানীকে সেঁকেছে, তা সে সেঁকবেই, কিন্তু অ্যান্টি অ্যামেরিক্যান কোনো সিনেমা দেখিনি। হয়ত আছে। একদম নেই কিনা তাতো হলফ করে বলতে পারবো না। তবে অ্যামেরিক্যান ফিলিমের ডাবিং হয়ে দিব্যি হলে চলতো।
    মুশকিল হচ্ছে, প্রচুর অ্যামেরিক্যান অ্যাকশন ফিলিম দেখেছি, যেখানে অ্যাকশান হিরো সিক্রেট মিশনে যাচ্ছে কোনো রাশিয়ান বদমাস বা কেজিবির গুষ্টির তুষ্টি করতে। রাশিয়ান বা কমুনিস্ট মাত্রেই ওসব ফিলিমে হাড় হারামজাদা, তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিউক্লিয়ার ওয়ার, আর ভোলে ভালা কচি কচি সুবোধ ক্যাপিটালিস্ট দেশের ক্ষতিসাধন। তারা সব ভয়ানক অস্ত্র বানিয়ে রেখেছে, আরেকটু হলেই সেই অস্ত্র গুড়ুম করে উঠতে পারত কিন্তু আমাদের অ্যামেরিকান মানবদরদী অ্যাকশান হিরো প্রচুর কসরৎ করে দুনিয়াকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিলো।
    এরম ফিলিম একটা নয়, একধারসে দেদার আছে। এগুলো প্রোপাগান্ডা নয়? এগুলো ব্রেণওয়াশ নয়?
  • a x | 4.159.95.149 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৮:৩৩634370
  • দময়ন্তী,
    একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটা অন্যায় জাস্টিফাই করিনি। আপনি সতীদাহ, বহুবিবাহ বন্ধ হয়েছে হিন্দুদের, মুসলমানদের তালাক কেন আছে, এই comparisonটা করেছিলেন - একটা ভালোর সাথে একটা খারাপ। তাই আমি পাশাপাশি দুটো খারাপ দেখিয়েছিলাম। আইন করে বন্ধ হওয়া (সতীদাহ -হিন্দুদের)আর সচেতনতার মাধ্যমে কমে যাওয়া (চার বিয়ে - মুসলমানদের), দুটোর মধ্যে একটা আরেকটা চেয়ে বেশি গ্লোরিফাইড এমন তো না।
    বাঙ্গলাদেশে হিন্দুদের ওপর কি হয় না হয় তা ইন্টারনেটে ভালই প্রচারিত। কিন্তু সারা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে, মনে হয়না আর কোনো ধর্মকে এত defensive হতে হয়।

    দ্রি,
    তারেককে আপনি আশার বাণী শোনাচ্ছেন, কিন্তু ধর্ম থাকবে আর তাকে ব্যাবহার করে বিভাজন থাকবেনা, এর চেয়ে বড় ইউটোপিয়া আমার কাছে নেই।
    আপনার আগের কথা প্রসঙ্গে, population control করতে সঞ্জয় গান্ধীর পন্থা ছাড়াও যে আরো রাস্তা রয়েছে, সেতো দেখাই যাচ্ছে। obviously আমার হাতে কোনো 10 step প্রোগ্রাম নেই, কিন্তু tolerance with constant discouragement একটা শুরু হতে পারে।

    তারেকের শেষ পোস্টটা যেকোনো সভ্য মানুষের কাছে কতটা লজ্জার এবং দু:খের। এই সূত্রটা শুরু হয়েছিলম, খোলখুলি আলোচনা করা খুব জরুরী নাকি। শেষে, আরো একবার কয়েকজন মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া হল তোমরা এই আমরা এই। আমাদের এই এই ভালো হয়েছে, তোমাদের কি হয়েছে? আপনাদের কথা জানিনা। আমার গ্লানি বোধ হয়।
  • J | 160.62.4.10 | ১১ জুলাই ২০০৬ ১৮:৩৪634372
  • শুধু হজ কেন? সমাজতান্ত্রিক দেশ চাড়া অন্য দেশে যাবার পার্মিশান পাওয়া টাফ ছিলো। পরে পেরেস্ট্রৈকার সময় থেকে সেটা শিথিল হয়।
    উল্টোটাও সত্যি। ঐ কোল্ড ওয়ারের যুগে, কিম্বা তারো আগে, কটা ধনতান্ত্রিক দেশের লোক সমাজ তান্ত্রিক দেশে বেড়াতে যেতে পারতো? তাদের ধনতান্ত্রিক সরকারের কি কোনো চরই ছিলো না? তারা কি হিসেব রাখত না, কজ উড়ল মস্কো বা বুখারেস্তের ফ্লাইটে? মজা হচ্ছে, ধনতান্ত্রিক দেশের ভিসা পাসপোর্টে সিধে ছাপ মেরে হয়। সেটা প্রমাণ থেকে যেতো। কিন্তু সোশ্যালিস্ট কাϾট্রগুও ছিলো চালাক। পাসপোর্টে কোনো ছাপ দিতো না, আলাদা কাগজে ভিসা ইস্যু করত। এমনকি ১৯৮৯ তে যখন ইস্ট জার্মানীর ভিসা নিয়েছি, এই পন্থাই ছিলো। পোল্যান্ডও তাই। আর সোভিয়েত দেশে এতকাল থেকেছি পাসপোর্টে একটা হাল্কা ছাপ, তাও ভালোকরে পড়া যায় না তাকে কি লেখা আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন