এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদের চোখে ইসলাম

    r
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০০৬ | ৫৫৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 199.106.103.254 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৭:০২634521
  • ইসলামের কথা আলোচনা করতে গিয়ে অনেক শিবের গাজন হয়ে গেল। আমার ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য তাতে অসুবিধে নেই। আমি ফ্রয়েডিয়ান ফ্রী অ্যাসোসিয়েশানে বিশ্বাস করি। আপনি যাই নিয়েই কথা শুরু করুন না কেন শিবের গাজন এসেই যায়। জোরজার করে কোন কিছুকে স্ট্রেটজ্যাকেট করা যায় না। থ্রেডের পিউরিটি ফিউরুটিকে আমি একটিও ড্যাম দি না। আমার কথা একটাই -- শিবের গাজন ফাইন, শুধু যথেষ্ট ধান ভানা হলেই হল।

    তাই একটু ইসলামে ফিরে আসি। কোরানের শেষে বলা হয়েছে যে এই বইতে যা কিছু বলা হয়েছে তার একটা কথাও যদি আপনি অমান্য করেন তবে আপনি প্রকৃত মুসলিম নন। এ ব্যাপারে কার কি মত? এতে করে কি এই ধর্মের বিবর্তনকে একভাবে আটকে দেওয়া হচ্ছে না? কোন ডিসেন্টকে অ্যালাও না করা, এই ব্যাপারটা বেশ ভিসিয়াস। হিন্দু ধর্ম বেশ পুরোনো। কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্র্যাকটিসগুলো ইংরেজদের এবং কিছু ব্রাহ্ম ত্যাঁদড়দের চাপে পড়ে গত দুশ বছরে কিছুটা হলেও বদলেছে। এখনও হয়ত একটু একটু করে বদলাচ্ছে। মুসলিম ধর্মে এই বদলগুলো কতটা এবং কেমন ভাবে হচ্ছে? এটা বোধহয় যারা মুসলিম তারা ভালো বলতে পারবেন, সামরাম তারেকের মত মানুষরা।
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৭:৩৬634522
  • প্রসঙ্গের বাইরে-
    দমুদি,
    ডারউইনের থিওরি কিন্তু বলে না বানর থেকে মানুষ হয়েছে। এই জায়গাটায় মনে হয় আমরা সবাই ভুল করি।
    ডারউইনের থিওরিটা ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায় , বানর ও মানুষের উৎপত্তি হয়েছে একইরকম সোর্স থেকে। অর্থাৎ, এই দু গোত্রের সুত্রটা এক ( স্তন্যপায়ী, চারপেয়ে, মেরুদন্ডী, হেন তেন।)
    দু'টা কথার অর্থ কিন্তু এক নয়।
    এইখানে গিয়ে দেখতে পারো।
    http://www.darwins-theory-of-evolution.com/

    এই কথাটা মেনে নিলে কিন্তু আর এ কথা মানতে হয় না যে বিগ ব্যাং এর আগে থেকে মানুষ ছিলো। বিগ ব্যাং- এর আগে কিছুই ছিলো না, এটাই সত্যি।

    ( আদম আর ইভ কে টানছি না। ওদের নিয়ে তোমরা তর্ক করো। আমি খালি চিড়িয়াখানায় আটকানো বানর গুলোকে মানুষ হওয়া থেকে বাঁচালাম! :-))
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৭:৪২634523
  • এবারে প্রাসংগিক।

    দীপ্তেনদা ঠিক বলেছেন, কুরআন খুবই সহজলভ্য একটা বই। ওটা পড়ে নিলে আসলে অনেক রকম "নাকি' আর বলতে হতো না। এমনকি নেটেও একেবারে অনুবাদ সহ পাওয়া যায়।
    আমি অবশ্য প্রেফার করবো বাংলা অনুবাদ না পড়ে ভালো কোন ইংরেজি অনুবাদ পড়তে। বাংলা অনুবাদ অনেক বেশি কনফিউজিং।
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৭:৪৭634524
  • যুযু,
    :-)

    ১। না, ওটা সত্যি নয়। কাবা শরিফের নিচে কিছু নেই।

    ২। তালাক নিয়ে পড়েছি। ওরকম কিছু নয়। নানা হাবিজাবি শর্ত দেয়া আছে। সহজে মুক্তির কোন উপায় নেই। ( দীর্ঘশ্বাস!!)

    ৩। আপনি যখন এখনো বেঁচেবর্তে আছেন, ধরে নিতে পারেন কুরানে ওরকম করে কাউকে দেখামাত্রই কেটে ফেলার কথা বলা নাই। :-))

    ভালো থাকবেন।
  • a x | 4.159.101.163 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৮:১৩634525
  • এইবার ঝগড়া লাগবে। intelligent designএর propaganda করা সাইট থেকে ডারউইন পড়তে হবে? machine - - designer টিপিকাল আর্গুমেন্টস ভর্তি। দাঁড়াও, আমিও এইবার একখান বেদ নামাব। কে আটকায় দেখি।
    ওটার হোম পেজে গিয়ে এইবার এইটা দেখুন:
    http://www.allaboutscience.org/intelligent-design.htm। কিচ্ছু পড়তে হবেনা - তলায়ে চলে যান। একদম শেষে - "What do you think?"option গুলো দেখুন: কি বুঝলেন?
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৮:৪৫634526
  • দ্রি,
    "কুরানের শেষে বলা আছে'- এ ধরনের কথা খুব অস্পষ্ট। এবং ঠিকমত কোট করা না হলে একটু গন্ডগোল হয়ে যায় অর্থে। :-) তাই না?

    এবার আমার অভিমত জানাই।
    থিওরিটিক্যালি ইসলামের কোন পরিবর্তন হয় নি। কারন, কুরান পরিবর্তন হয় নি। যেরকম ছিল সে ভাবেই আছে। পরিবর্তন হবে বলেও মনে হয় না। লক্ষ লক্ষ লিখিত কুরান আছে পৃথিবী জুড়ে। কুরান লিখিত কপি সংরক্ষনের শুরুতে ৮ টি কপিকে মূল ধরে সেগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। ওগুলোও নানা দেশের জাদুঘরে সংরক্ষিত করা আছে। আরেকটু ব্যাপকভাবে ধরতে গেলে, প্রতিদিন নামাজে প্রায় কোটি মুসলমান কুরানের বাক্য পড়ছে, এবং অন্তত কয়েকলক্ষ মুসলমান আছে যাদের পুরো কুরান মুখস্ত ( যাদের হাফেজ বলে)। সুতরাং - কুরান বা ইসলামের লিখিত রূপটা পরিবর্তন হবে না বলেই আশা করা যায়।

    আর,প্র্যাকটিক্যালি, পরিবর্তন হয়েছে অবশ্যই।
    ৫০০ কিংবা হাজার বছর আগে মানুষ যেভাবে ইসলাম পালন করতো এখন সেভাবে করে না। কারন, মানুষের জীবন ধারনের স্টাইলে পরিবর্তন হয়েছে। জামা কাপড়- সাহিত্য সংস্কৃতি, সবকিছুতেই। ইসলামকে বলা হয় পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। ( এ কারনেই পেশাব করে কি ভাবে পরিষ্কার হতে হয় সে কথাও এখানে বলে দেয়া)। এবং এ কারনেই এটা জীবনের বাইরে নয়। জীবন ধারনের স্টাইল পরিবর্তনের সাথে সাথে তাই ব্যবহারিক ইসলামও পরিবর্তিত হয়েছে।
    এখন কথা হলো- এই পরিবর্তনটা ইসলাম সমর্থন করে কি না?
    উত্তর হচ্ছে, করে।
    যে কুরানে বলা হয়েছে এর একটি কথাও অমান্য করা যাবে না, সে কুরানেই প্রতিটি ব্যাপারের একটি বিকল্প সমাধান দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- এটা কোরো না। কিন্তু একই সাথে বলা হয়েছে, যদি রাষ্ট্রীয় আইনে থাকে, তাহলে এটা করতে পারো।
    বলা হয়েছে- এটা খেয়ো না। কিন্তু সাথে এটাও বলা হয়েছে- যদি দূর্ভিক্ষ হয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে খেতে পারো।
    সবসময় একটা জিনিসকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে- প্রথমত তুমি বেঁচে থাকো। তার জন্য যা করা প্রয়োজন করো। এবং যদি বেঁচে থাকতে পারো- তাহলে একটা নিয়মের মধ্যে বাঁচো।

    তাই কুরানের একটা ছোট্ট অংশ জানা বা কোট করা একটু রিস্কি। ব্যাপারটা তখন অন্ধের হস্তি দর্শনের মত হয়ে যায়।
    ---------

    অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।

    কিন্তু, এখানে শুধু প্রশ্ন করা হচ্ছে কেন? আমি তো ভেবেছিলাম প্রত্যেকে নিজের নিজের অভিমত বা ধারনাটাই মূলত বলবে।
    আমিও তাই করবো শুধু।
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৯:০০634527
  • অক্ষ,
    নাহ, কে ঝগড়া করবে? আমি নই। আপনি? :-)

    ঐ সাইটট প্রোপাগান্ডা- সেটা বুঝি নি।
    আচ্ছ, এই সাইটটা কি প্রোপাগান্ডা?
    http://bioweb.cs.earlham.edu/9-12/evolution/HTML/theory.html

    আপনি একটু কষ্ট করুন না, কোনখান থেকে ডারউইনের মূল থিওরিটা এখানে তুলে দিন না। তাহলে আমারো ভুল ভাংতো।
  • b | 124.7.128.46 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ০৯:৩৩634528
  • ইসলাম একটি এক ও অভিন্ন বস্তু আর অন্যান্য ননা ধর্ম বাহ্যিক বা আভ্যন্তরীন চাপে বদলাচ্ছে ও এক ও অনন্য থাকছে, এই ধারণা টা ঐতিহাসিক ভাবে ভিত্তিহীন।

    ইসলাম এর মধ্যে নানা school of thought আছে। কোরাণ এর অসংখ্য interpretation আছে, ঠিক অন্য নানা ধর্মের মত। scripture এরো নানা edition হয়, interpretation ও নানা হয়।

    'unified uniform other' এর দায় সব ধর্মের লোকেরাই অন্য লোকেদের উপরে চাপায়। কারণ তাইলে নিজেদের ignoranceanalysis এর ব্যর্থতা ঢাকা জায় আর। প্রত্যেক ধর্মে বিশ্বস অবিশ্বস ও আলোচনার প্রচুর ধারা ও ঐতিহ্য রয়েছে তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষমতাবান লোকেরা নানা ভাবে ব্যবহার করে থাকে।

    বেশির ভাগ ধর্মের ই না না theory of creation থাকে কিন্তু এই metaphysical part টা, অচার বিচার সংস্কার, গুল , divine আদেশ ফাদেশ ইত্যাদি নানা বুজরুকি দ্বারা ঢেকে যায়। ধর্মের রাজনীতি কঠিন চীজ।

    তনু, হ্যা আমি ব, বোধিসত্তঅ, পি প্রফুল্ল পোড়ার্মুখীর ন্যায়। তুমি আমারে ভয় পাও? ছ্যা ছ্যা, আমারে কেউ ভয় পায়?
  • trq | 211.28.248.189 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ১০:০২634529
  • ব,
    একমত।
    আমি তো মনে হয় এই কথাটাই বললাম। :-০

  • dri | 66.81.123.105 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ১২:১৮634531
  • তারেক, মানুষ বানর থেকে আসুক বা বানরের পূর্বপুরুষের কাছ থেকেই আসুক তাতে যুক্তির কিছু অদলবদল হয় না। আপনি যদি বলেন যে কোন মানুষ, বা বানর, বা বানরের পূর্বপুরুষ তার মায়ের পেট থেকে বেরিয়েছে এটা একটা ইনফিনিট রিগ্রেশানে গিয়ে পৌঁছবে। ভেবে দেখুন। এতে কোন ভুল নেই। লাইফের ক্রিয়েশান একটা বিস্ময়। একটা সময় নিশ্চয়ই ছিল যখন পেট থেকে না বেরিয়েও জীবন সৃষ্টি হয়েছিল। এ কথাটা বলা ভগবানকে মেনে নেওয়া নয়। এটা একটা অজানা রহস্য সম্পর্কে বিস্ময় প্রকাশ করা।

    আমাদের অধিকাংশেরই অন্য ধর্ম সম্মন্ধে জানাটা খুব ভাসা ভাসা। অনেক শোনা কথা। যাদের মুখে শোনা তারা অনেক ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণু। তাই বুঝি যা শুনছি তার সব সত্যি নয়। ব্যাপারটা আসলে কিরকম সেটা জানার সবচেয়ে ভালো উপায় একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম ধর্মটাকে কেমন ভাবে দেখেছেন সেটা বুঝতে চেষ্টা করা। তাই এত প্রশ্ন। আসল কথা হল ইসলাম সম্মন্ধে ধারণা করার মত যথেষ্ট তথ্য আমার কাছে নেই।

    এবার আমার প্রশ্নে আসি। আসলে বই পড়ার ব্যাপারে আমি বেশ অলস। বেদ, কুরান এসব টুকটাক উল্টেপাল্টে দেখেছি, খাপছাড়া ভাবে পড়েওছি। সেগুলোকে কোনোমতেই সিরিয়াস স্টাডি বলা যায় না। তবে কুরান উল্টালে উল্টাতে কিছু কিছু লাইনের দিকে বেশী চোখ পড়ে যায়, মনে থেকে যায়। তো অনেক আগে পড়া কোন কুরানের বইয়ে আমি এই ধরনের একটা লাইন দেখেছি বলে মনে পড়ল। সে বই আমার কাছে নেই, ওটা আমার ব্যক্তিগত কপি কোনোকালেই ছিল না। তবে আপনি ভালো করেছেন ঠিকমত কোট করার কথা বলে। মেয়ে ঘুমিয়েছে। আমি একটু নেট সার্চ করলাম। ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার এই ওয়েবসাইটটা পেলাম -- http://etext.virginia.edu/etcbin/toccer-new2?id=HolKora.sgm&images=images/modeng&data=/texts/english/modeng/parsed&tag=public&part=2&division=div1। এই চ্যাপটারের ২।১২১ টা দেখুন। মনে হয় এই ধরনের একটা ব্যাপার আমি দেখেছিলাম। এখানে অনুবাদ যেন একটু অন্য লাগছে।

    ফাইনালি ব এবং আপনাকে অনুরোধ করব ইসলামের রিসেন্টলি কি কি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে, কোরানের কোন অন্যায্য টেকস্টের বাইরে গিয়ে পাবলিকলি কি কি হয়েছে, বা কোরানের কি কি ধরনের লিবারাল ইনটারপ্রিটেশন হয়েছে সে সম্মন্ধে দারুন দারুন কিছু লেখা নামাতে।
  • b | 124.7.128.46 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ১২:৫০634532
  • দ্রি, আপনি ইবন রুশ্ত এর উপরে লেখা পড়ে দেখতে পারেন। এ কথা আগে আমি কোন প্রসংগে মনে নাই, আগেও কিচুটা কয়েছি। গুরু তেই।

    এছাড়া, আরেকটি এই বিষয়ে আমার শেষ বক্তব্য দুটি:

    ১। ইসলাম এ reformation হয়নি ও ইসলাম তার reformation এর জন্য অপেক্ষা করছে এই কথাটা তারেক আলি আর হোসেনুর রহমান দুজনের লেখাতেই পাই। কিন্তু এই কথাটা যখন বলা হয় তখন দুটি কথা লোকের মনে থাকেনা:

    ক। রিফর্মেশান এর যুগে উত্তর ইউরোপে বিশেষ করে জর্মানী তে যে কৃশি বিপ্লবের সম্ভবনা তইরী হয় গুটেনবার্গ পরবর্তী অধ্যায়ে, সেই টে কে রিফর্মেশান এর হোতা রা কি ভাবে হত্যা করেন। এ প্রসংগে জন অস্বর্নের martin luther নাটিকাটি পড়ে দেখা যেতে পারে।

    খ। রিফর্মেশন এর মুল কারন catholicism এর opulencepower manipulation ও দেঅদেনএ শুধু নয় trade সংক্রান্ত সমস্যাও। পোচুর লেখা আছে এই বিষয়ে। আর তাছাড়া reformist austerityconservatism খুব সহজ সরল মুক্ত জিনিস নয়।

    ২। ইসলাম ও খ্রীশ্‌ট ধর্ম যখন তৈরী হয়েছে তার মধ্যে social contextsocial revolution এর যে ইতিহাস থাকে টাকে পরবর্তী কালে ধর্ম সংক্রান্ত তুলনামুলক আলোচনায় আর ঠাঁই দেওয়া হয় না, কত গুলি জ/অগাখিচুড়ি কে তুলনায় উদা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

    ৩। গত তিরিশ চল্লিশ বছরে religious conservatism এর trend ইস্লাম এ সীমাবদ্ধ নয়। revivalism নানা ধর্মে নানা কারণে, নানা সময়ে বাড়ে, বেশির ভাগেরই রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ থাকে। এ ছড়া প্রত্যেকে ধর্মেই theocracypower তেঁকাতে গেলে এই সব লাগে।

    এই প্রসংগে আমার আর কোনো বক্তব্য নাই।

    দ্রি, আপনি ilan pape, terry eagleton, tareq ali, ahmed shouif পড়তে পারেন , FSLN এর ইতিহাস পড়তে পারেন। এ ছড়া history of the arab people বলে একতি দারুণ general history র বই আছে পড়ে দেখতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবেই আমি বইটি পড়িনি, review পড়েছি। লেখক এর নাম টা পরে কখন দেবো।
  • ta | 124.7.128.46 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ১৩:০৩634533
  • ইসলামের উত্‌পত্তি আরবে। কিন্তু এক শতাব্দী কালের মধ্যে পশ্চিমে স্পেন থেকে উত্তর আফ্রিকা হয়ে পূর্বে ইন্দোনেসিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এবং যখন ছড়িয়ে পড়ে তখনো ইসলাম একটি institution হিসেবে , centralised এবং unifiedentity হিসেবে ছ্‌হড়ায় নি। যেখনই গেছে সেখানকার সংস্কৃতি ইসলামে মিশেছে। একমাত্র ঈশ্বরের পরতি আনুগত্য ছাড়া প্রায় গোটা ইসলামে কোথাও ই কোনো ঐক্য ছিল না। প্রকৃষ্ট উদাহরণ, ধর্ম যখ্‌কন ক্ষমতার আবর্তে জড়িয়ে পড়ে তখন কারবালার যুদ্ধ।

    ইসলাম কে একটা block হিসেবে প্রথম দেখা হয় ক্রুসেডের সময়, ইউরোপীয় আখ্যানে যুদ্ধের জিগির তোলার জন্য। মজার ব্যাপার অন্যদিকে একমাত্র সিরিয়ার শাসক সালাদিন ছাড়া আর কোনো আমলেই তথাকথিত 'মুসলিম' রাজ্যগুলির শাসক নিজেরা 'মুসলিম' বলে সংঘবদ্ধ হননি। অনেক পরে, উউনবিংশ শতকের শেষ ভাগ থেকে একের পর এক তথাকথিত 'ইস্লামিক' সাম্রাজ্যের পতনের সময় ইসলামী ধর্মাবলম্বী দের মধ্যে ছোটো একতি গোষ্ঠী (দেওবন্দ স্কুল) একে pan islamist একটা দৃষ্টিভংগী দেখে একে সমগ্র 'ইস্লামের বিপর্যয়' হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। এই ব্যাখ্যা কেও তখনকার বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী রা লুফে নেন এবংঅ খিলাফতের আমলে সর্বত্র pan-islamism এর জুজু দেখতে থাকেন।

    একই ধারায় আরবের তেলের রাজঙ্কেÄর বাড়বাড়ন্ত খর্ব করতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপত্র ও একই ভাবে ইসলাম কে monolithic entity হিসেবে project করে।
  • saa | 62.254.64.15 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ১৬:২৯634534
  • সিয়া সুন্নীর ব্যাপার টা কি? এতো মুসলিম দের বিভাজন এ ই সাহায্য করে ছিলো তাই না?
    পৃথিবীর এক এক ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশে এক এক কালচার কেন? ইসলাম কি তাহলে কালচার নয়? ধর্ম?
  • ar | 141.154.222.87 | ০৮ জুলাই ২০০৬ ২০:২৯634535
  • ta

    কারবালার যুদ্ধ মুরদের স্পেন আক্রমণের প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে ঘটে।

    ব,

    ইসলামের নানা schools of thought নিয়ে কিছু লিখুন না।

    সামরান,

    তাল্লাকের অধিকার আর নিকাহ্‌ কবুলের অধিকার কিন্তু একই ধরনের rights নয়। কবুলের মতন সম্মতিপ্রাপ্তি তাল্লাকে নেই। তাল্লাকের অধিকারের ব্যাপারটায় ছেলেদের দিকেই পাল্লাটা বেশী ভারী (আমি তো বলি পুরোটাই !!); অন্তত আল্‌-কোরাণ অনুসারে।
  • trq | 211.28.248.189 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ০০:৪২634536
  • আমার এক বন্ধুকে এই থ্রেডের লিংকটা পাঠিয়েছিলাম।
    আমাকে বললো ওর পক্ষ থেকে এটা পোষ্ট করে দিতে।
    করে দিলাম।
    আমাকে পাঠিয়েছে সুশ্রী ফন্টে। ওখান থেকে প্রথমে ইউনিকোডে নিয়ে পরে বাংলাপ্লেইনে কনভার্ট করেছি, মাঝের বানান ভুল থাকতে পারে অনেক। তাই ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখলাম। খুঁএজ খুঁজে ঠিক কোরেসি, তবু কিছু শব্দ ওলোট পালোট আসতে আরেপ ,যেমন রেফ আগু-পিছু হয়ে গেছে- বা এরকম, তবে বুঝে নিতে কষ্ট হবে না আশা করি।

    পরবর্তীতে কোন মতামত দিলেও আমি পোষ্ট করে দিব এখানে।

    -------------------------
    ইসলাম সম্পর্কে একেবারেই কিছু জানার আগে যেটা জানা জরুরি সেটা হল, ইসলাম অর্থ কি? ইসলাম অর্থ হচ্ছে পরিপূর্ন আত্মসমর্পন। স্রষ্টার কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন।

    এক্ষেত্রে ইসলামের একটা ইন্টারেস্টিং কনসেপ্ট আছে। স্রষ্টার সৃষ্ট সমস্ত জীবকুলের মধ্যে কেবল মাত্র মানুষের নিজের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে, চিন্তার স্বাধীনতা আছে। ভাল বা খারাপ করার, স্রষ্টার আদেশ মেনে চলা বা না চলার ফ্রী চয়েস আছে। অন্য সমস্ত জীবকুল যেহেতু স্রষ্টার কাছে ন্যাচারালি পরিপূর্ণ আৎমসমর্পন করে আছে (সিম্পলি কজ দে হ্যাভ নো আদার অপশন!), তাই অন্য সব কিছু "মুসলিম"। একজন মানুষ যখনই স্রষ্টায় পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন করবে, তখনই সে প্রকৃতির অন্য সব কিছুর সাথে "হারমনি' তে থাকবে, তাই প্রতিষ্ঠিত হবে "শান্তি'। এই অর্থে ইসলাম অর্থ শান্তি।

    স্রষ্টার কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন অর্থ কি? স্রষ্টা যা চায় তাই করা। এর মধ্যে যেমন পড়ে সত্য কথা বলা, সততা, ন্যায় প্রতিষ্ঠার চেষ্ঠা, মানবিকতার সব গুনাবলীর নিরন্তন চর্চা, তেমনি অন্যান্য "ডিটেইলস', সমাজে চলার পন্থা, অর্থের ব্যপারে পন্থা, রাষ্ট্র চালানোর পন্থা।

    এখানে আসে একটা গুরুত্বপূর্ণ ডিসটিংশন। দ্বীন আর শরীয়াহের মধ্যে পার্থক্য। আরবি দ্বীন কথাটার আসল অর্থ হচ্ছে "পথ'। জীবন পথ, যেটা মতবাদ এবং কর্ম দিয়ে পরিপূর্ণ। এখানে ঈশ্বর চিন্তা থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে। তাই তাঐজমও ধর্ম (জীবন বিধান অর্থে), নাস্তিকতার যে কোন ফর্ম ধর্ম। এই অর্থএ দ্বীন ইসলাম, যেই পথের মূল মন্ত্রই হচ্ছে এক ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পন, তা সৃষ্টির আদিযুগ থেকে চলে এসেছে। আদম (আ) ইসলামের প্রথম বার্তাবাহক, যেমনটা একজন বলেছেন। এযাবত এক লক্ষ চব্বিশ হাজারের মত বার্তাবাহক এসেছে, মুহাম্মদ (সা) হলেন শেষ জন।

    প্রতিটা বার্তাবাহকের কাছে সে যুগের উপযোগী "ডিটেইলস' পাঠানো হয়েছে। এটা যেমন হতে পারে কয় ওয়াক্ত নামায পড়তে হবে, কোন দিকে ফিরে নামায পড়তে হবে, বিয়ে তালাক নিয়মের খুটি নাটি, যাকাত কতটুকু দিতে হবে, তেমনি টয়লেটের পরে কি করে পরিষ্কার হতে হবে, কি পোশাক পড়তে হবে এসব। এটাই "শরীয়াহ'। মুসা (আ) এর সময়ে যাকাত ছিল সম্পদের ১০% এর মত, যেখানে মুহাম্মদ (সা) এর সময়ে এটা ২।৫%। শরীয়াহ হচ্ছে আইন কানুন আর দ্বীন হচ্ছে পথটুকু, মৌলিক বিশ্বাস।

    দ্বীন কখনও বদলায় না, বদলানোর না। তাই "ইসলামে' বিবর্তন দরকার এই টাইপের কথা শুনে মুসলিমরা ক্ষেপে যায়। তবে শরীয়াহ খুবই কম্পি_কেইটেড। শরীয়াহ চারটা সোর্স থেকে নেয়া যাবে। প্রথমত কোরাঅন, তারপরে হাদীস (রাসুল (সা) এর বাণী/কাজ/সম্মতি), তারপর
    সেই সব মানুষেরা যারা এগুলো খুব ভাল করে পড়েছেন, তাদের ঐক্যমত। কোনটাকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ, কোনটাতে দেয়া উচিৎ না, এরকম। চতুর্থত, উপরের তিনটা পড়ী নিজের ব্যক্তিগত জীবনে নিজের চিন্তা শক্তি খাটিয়ে ইন্টেলিজেন্ট সিদ্ধান্ত।

    এখানে লক্ষনীয়, এটা একটা পিরামিডের মত। প্রথমত কোরাঅনের প্রতিটা কথা অলংঘনীয়। কোরাঅনের সাথে যেই হাদীসগুলো ক¾ট্রডিকটরি, সেগুলোকে ভুল বলে রিজেক্ট করতে হবে। কেউ কোরাঅন এবং হাদীসের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এগুলো নিয়ে গবেষণা করা মানুষদের সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতও মূল্যবান। কেউ যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় যেটা কোরাঅন, হাদীসের মূলনীতির দ্বারা ইন্সপায়ারড না, তাহলে সেটাকে সেটা শরীয়াহের এপ্রুভড অংশ হবে না।

    হ্যাভিং এস্টাবলিশড অল দ্যাট, আবারও রিইনফোর্স করছি, দ্বীন ইসলাম (অর্থ্যাৎ বিশ্বাস কম্পোনেন্টটা: স্রষ্টা, তার বার্তাবাহক আর মৃত্যুর পরের জীবনের উপরে বিশ্বাস) অবিবর্তনীয়। কিন্তু শরীয়াহ সময় আর সমাজ ভেদে একট ভিন্ন মনে হবে।

    ইসলাম যেহেতু নিজেকে "ন্যাচারাল রিলিজিওন' বলে দাবী করে, তাই এর একটা চেষ্টা হচ্ছে মানুষের চাহিদা, সময় আর সমাজকে বুঝা। একটা নিদরিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে। তাই অনেক ডিসিপ্লিন আছে শরীয়াহ কোন সমাজে কি রকম হবে তা নির্ধারণের। এর মধ্যে দুটো বলছি:

    ১। ফিকহ অফ ব্যালেন্স। এক এক সমাজে এক একটা জিনিসের উপযোগিতা এক এক রকম, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। #২৫৪১;/#২৫৪১; এর ঘটনার পরে ইংল্যান্ডের আলেম জাকি বাদাওয়ী একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। সিদ্ধান্তটা এরকম: ইংল্যান্ডের সেই কঠিন সময়ে কোন মেয়ে ইচ্ছা করলে হিজাব খুলে নিতে পারে, হিজাব পড়া তার জন্য জরুরি না। তাঁর যুক্তি ছিল এরকম: এখানে দুটো খারাপের মধ্যে ব্যালেন্স করতে হচ্ছে। ক। হিজাব খুলে ফেলা, যেটা কোরাঅন অনুযায়ী ফরজ। খ। নিজের জীবন বিপন্ন করা, যেহেতু মানুষ গভীর শোক থেকে হিজাব দেখে উৎতেজিত হয়ে জীবনের ক্ষতি করে ফেলতে পারে। অথচ নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য হারাম গোশত খাওয়াও ঠিক আছে, জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা ক্রুশাল।
    এখানে দুটো ফরজ ভায়োলেশনের প্রশ্ন আসল। তাঁর যুক্তিতে দ্বিতীয়্‌টা ভায়োলেট করা বেশি ক্ষতিকর। তাই তিনি অমন সিদ্ধান্ত দিলেন। লক্ষনীয় এখানে তার পুরো যুক্তিতর্ক না বুঝে শুধুই এই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না, যে তিনি বলেছেন হিজাব না পড়লেও চলবে এবং পরবর্তীতে শরীয়াহের এই রুপটা বাংলাদেশ বা অন্য সমাজে চালুর চেষ্টা করলে হবে না। হারাম গোশত শুধুই জীবন বিপন্ন হলে খাওয়া যাবে, অন্য সময় না। আবার এখন যেই পরিস্থিতিতে, সেটা আর দশ বছর পরে নাও থাকতে পারে, তাই তখনের সোশ্যাল কনটেক্সট বুঝা অন্য কারো সিদ্ধান্ত মানতে হবে তখন। এখানে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট সমাজে সিধান্ত নেয়ার প্রশ্ন আসছে! খুবই জটিল এই কনসেপ্টটা। অনেক কোরাঅন হাদীস জানা আলেমও এটা ঠিক বুঝতে পারেন না। রোকেয়া শাখওয়াতের অবরোধবাসিনীতে আছে আগুনে পুড়ে যাচ্ছে মেয়েরা তবু বাইরে বেরুবে না পদরা নষ্ট হওয়ার আশংকায়! এটাই ফিকহ অফ ব্যালেন্স না বুঝার হ্যাজার্ড।

    ২। ফিকহ অফ প্রায়োরিটি: দুটো ঘটনার মধ্যে অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হয় কোনটা আগে করতে হবে। আসলে পুরো শরীয়াহটাই এসেছে "ওভার দ্যা টাইম'। পুরো ২৩ বছর লাগিয়ে। একটু একটু করে সংশোধন করা হয়েছে, বেশি গুরুত্বপূর্ণটা আগে, কম গুরুত্বপূর্ণটা পরে।
    প্রচর উদাহরণ আছে। মদ একবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা হয় নি, প্রথমে নামায পড়তে যাওয়ার সময় মদ খেতে নিষেধ করে মদের ব্যপারে ইসলামের অসহিষ্‌ণতা বুঝানো হয়েছে। এরপরে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হিজাব, যদিও ফরজ, ফরজ করা হয়েছে শরীয়াহ আসার ১৩ বছর পরে। ১৩ বছর কিন্তু কম সময় না! তার মানে এর আগে আরও অনেক নিদরেশ এসেছে যেগুলো ঠিক করে নেয়া হিজাব পালনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একটা ইন্টারেস্টিং নোট, ইসলাম প্রচার শুর করার ২৩ বছর পরে কাবা, মুসলিমদের চোখে পৃথিবীর পবিত্রতম স্থান থেকে সনা দেব দেবীর মূর্তি গুলো সরানোর ব্যবস্থা করা হয়, যখন বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ তাই চেয়েছে।

    এভাবেই সমাজ আর সময় আসে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়, কিন্তু মূলনীতি এক থাকে! কোরাঅন অলংঘনীয় থাকে, কিন্তু কোন পরিস্থিতে আল্লাহ কি করার আদেশ দিয়েছেন সেটা বুঝতে হবে। এখানে মূলনীতি বিবর্তন হবে না, কোরাঅনের একটা আয়াতের রদ বদল হবে না।।। তবে ঐ আয়াতগুলোর ইন্টারপ্রিটেশন এবং আন্ডারস্ট্যান্ডিং বদলাতে পারে, ওহ ইয়েস। তবে র‌্যাডিক্যালি না, করাঅন আর হাদীসের অন্যান্য অংশের সাথে সামঞ্জস্যশীল থাকতেই হবে।

    সামরান, একটা কারেকশন। বদর যুদ্ধ, ইসলামের প্রথম যুদ্ধেই গিয়েছিল ৩১৩ জন মুসলিম। তাই সংখ্যাটা অনেক বড়। মক্কা বিজয়ের সময় (রাসুল (সা) এর মারা যাওয়ার সময় যখন কাছিয়ে এসেছে), মুসলিম ছিল দশ হাজার।

    দেখুন, আমি তর্কের জন্য কিছু বলি নি। একজন ইনসাইডার হিসেবে আমার মতামত বলার চেষ্টা করলাম। কোন ধর্ম বা গোষ্ঠীকে বুঝার জন্য গেস ওয়ার্কের উপর নির্ভর করা বোধ হয় খুব ওয়াইজ না, তাদের কোন টেক্সট বা মানুষকে কনসাল্ট করাটা লাভজনক হতে পারে অবশ্য!

    আমার কথায় কোন ভুল হয়ে থাকলে স্রষ্টার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

  • dri | 66.81.120.201 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ০৩:১২634537
  • তারেক আর সামরানকে ধন্যবাদ আপনাদের লেখার জন্য।

    ধর্মগ্রন্থে যা লেখা আছে সেটা যতক্ষণ আপনার বিচারের সাথে মিলে যাচ্ছে ততক্ষণ সমস্যা নেই। কিন্তু আমি দেখেছি বেদ উপনিষদের কিছু জিনিস আমার জাজমেন্টের সাথে মেলে না। বেদ উপনিষদের থ্রেডটা পড়লে আপনিও এরম ব্যাপার দেখতে পাবেন। তখন আমরা সেটা প্রকাশ করি। তাতে যে বিরাট কিছু বদলে যায় তা নয়। কিন্তু তবু ডিসেন্ট রেজিস্টার করার স্পেসটুকু আছে। আপনারা কি কখনো এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন নি? কোরানের সাথে মতে মিলছে না। একটা কনক্রিট উদাহরন দি। ধরুন আবার ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে যাই -- http://etext.virginia.edu/etcbin/toccer-new2?id=HolKora.sgm&images=images/modeng&data=/texts/english/modeng/parsed&tag=public&part=59&division=div1 -- ভার্স নাম্বার 59.2। বলছে

    "59.2": He it is Who caused those who disbelieved of the followers of the Book to go forth from their homes at the first banishment you did not think that they would go forth, while they were certain that their fortresses would defend them against Allah; but Allah came to them whence they did not expect, and cast terror into their hearts; they demolished their houses with their own hands and the hands of the believers; therefore take a lesson, O you who have eyes!

    জানিনা এই অংশটুকুকে দ্বীন বলা যাবে না শরিয়াহ। কিন্তু আমাদের আজকের দিনের মূল্যবোধ দিয়ে এটাকে কি মেনে নেওয়া যায়? অবিশ্বাসীদের ঘরদোর জ্বালিয়ে দেবেন আল্লা? এখানে কি স্পষ্ট টলারেন্সের অভাব নেই? তো এইবার কোন মুসলিম যখন এই পরিস্থিতে পড়েন, যেখানে কান্ডজ্ঞান আর শাস্ত্রজ্ঞান ডাইভার্জ করে যাচ্ছে তখন কিভাবে তার মোকাবিলা করেন? ডিসেন্টের কালচার কেমন ইসলামে? আমি আউটসাইডার। শুধু দুর থেকে দেখি ফতোয়া জারি হয় মাঝে মাঝে।
  • Kabli | 71.126.48.106 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ০৪:৪৭634538
  • আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমাকে একজন বলেছিলো হিন্দুধর্মটা খুব নতুন - এই শ-দুই-আড়াই মতো - এটা ব্রিটিশদের তৈরি - তার আগে নাকি 'হিন্দু' শব্দটি ধর্মের ব্যাপারে ব্যবহার হতো না। তার আগে ব্রাম্‌ম্‌হন্য ধর্ম (যেটা দময়ন্তী লিখেছে) - আমরা সেই নামে অথবা শাক্ত, শৈব ইত্যাদিতে পরিচিত ছিলুম। আমার বন্ধু কি ঠিক না আমায় টুপি পরিয়েছে?
  • Ishan | 67.173.95.163 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ০৮:৫৭634539
  • কাবলিদা এই একটা ব্যাপক কথা বলেছেন। আসলে "ধর্ম' বলতে এখন যেটা বুঝি, সেটা ইংরিজি রিলিজিয়ানের অনুবাদ। এই "ধর্ম' নামক কনসেপ্টটাই পশ্চিমী। এর মূল ফান্ডা হল:

    এক।ধর্ম একটি কেন্দ্রীভূত প্রতিষ্ঠান, যার এক বা একাধিক প্রধান থাকবেন।
    দুই। ধর্মের কিছু সুনির্দিষ্ট আচার/আচরণ/দর্শন থাকবে, যেগুলো ধর্মাবলম্বীরা ইউনিভার্সালি মেনে চলবেন।

    এরকম তিন, চার করে আরও পয়েন্ট দেওয়া যায়, যেটা দেবার প্রয়োজন মনে করছিনা। বাংলা কথা হল, পশ্চিম ধর্ম বলতে বোঝে রাষ্ট্রের সমতূল্য একটি ইন্সটিটিউশান। সমতূল্য বলতে আমি ক্ষমতায় সমান বলছিনা ... কিন্তু স্ট্রাকচারের দিক থেকে অবিকল এক। একজন বিশ্বপিতা, তার নিচে বসে আছেন একদিকে রাজা, অন্যদিকে পোপ, তাঁদের নিচে যথাক্রমে ডিউক, এবং বিশপ ... ইত্যাদি ইত্যাদি। স্ট্রাকচারটা অবিকল একরকম।

    এইবার, ধর্ম বলতে পশ্চিম এইরকম একটি সুশৃঙ্খল ওয়ার্ল্ড অর্ডার বোঝে। ধর্ম শব্দটির সঙ্গে সারপ্লাস মিনিং হিসেবে ঢুকে আছে ঐ ওয়ার্ল্ড অর্ডার, যার মাথায় ঈশ্বর... তারপর এক এক করে তাঁর জেনারাল, লেফটেনান্ট ও মেজররা।

    ভারতীয় হিন্দু, হিন্দুই বলি, তাদের মধ্যে এই রেজিমেন্টেশনের অভাব ছিল। বিভিন্ন জনজাতি যা পালন করত তা মূলত: লোকাচার। "ধর্ম' নামক একটি অভিন্ন ছাতা আছে, বা থাকতে পারে,যার নিচে প্রতিটি মানুষ বসবাস করে, এই ধারণাটাই ছিলনা। ফলে, আজকে "ধর্ম' বলতে যা বুঝি, সেটা ভারতে ইংরেজ আসার আগে, মেজরিটির মধ্যে সেই বস্তুটির অস্তিত্বই ছিলনা। দেবদেবী ছিল, লোকাচার ছিল, শাস্ত্রপাঠও ছিল -- কিন্তু "ধর্ম' ছিলনা। ফলে একটি ইউনিফায়েড নামেরও দরকার ছিলনা। শাক্ত, বৈষ্ণব, ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়েই চলত।

    চাকাটা ঘুরল ইংরেজ আসার পরে। এবং তথাকথিত নবজাগরণের পরে। যখন পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত একদল লোকের মনে হল, যে সালা, আমরাই বা কম কিসে? তখনই এইসব জাতি, ধর্ম, অতীত গৌরব, এইসবের শুরু। তার আগে জাতি বলতে বোঝা হত বামুন না শুদ্দুর, তখন থেকে আমরা হলাম ভারতীয়। তার আগে ধর্ম বলতে শাক্ত বা বৈষ্ণব বোঝানো হত, তখন থেক সব্বাই হল হিন্দু। শব্দগুলো সেই সময় থেকেই মানে বদলে ফেলল। ইহারে কয় ইম্পিরিয়ালিজম।

    হিন্দু ধর্মের যতগুলো রিফর্ম হয়েছে, সব কটাই এই "আমরাই বা কম কিসে' ধারণা সঞ্জাত। ব্রাহ্ম রা তো পুরো ভিক্টোরিয়ান চিন্তাভাবনাকে কপি করেছেন। বিবেকানন্দ বানালেন রামকৃষ্ণ মিশন, সেটাও গির্জার বিপরীতে একটি পাল্টা প্রতিষ্ঠান। এবং এই পদ্ধতিতে নির্মিত হল "হিন্দু ধর্ম' , যা পশ্চিমের খ্রীষ্টধর্মের একটি পাল্টা জবাব( বা আত্মসমর্পন, যে যেভাবে দেখবেন)।ফলে "হিন্দু ধর্ম' আজকে ধর্ম বলতে যা বুঝি, সেই ফর্ম্যাটে ইংরেজরা আসার আগে ছিলনা, থাকতে পারে না। অন্য কিছু ছিল, কিন্তু সেটা আজকের "ধর্ম' না।
  • trq | 211.28.248.189 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ১০:০৫634540
  • ঈশানদা,
    হিন্দু ধর্ম আর ইংরেজদের এই ব্যাপারটা একদমই জানা ছিল না। খুবই ইন্টারেস্টিং।
    সময় পেলে আরো লিখো- কারন, খুঁজে খুঁজে ধর্ম নিয়ে পড়তে কখনো উৎসাহ পাই না। এরকম আড্ডার মধ্যে এসে যতটুকু জানা যায়, সেটাই প্রাপ্তি।

    দ্রি,

    আপনি আরো কিছু সময় ব্যয় করলে পুরো কুরআনে এরকম আরো শ'খানেক বাক্য পাবেন, যেগুলো চিন্তা করলে গা শিউরে ওঠে!
    সমস্যা হচ্ছে- কুরআন অনেক রূপক কথা ব্যবহার করে।
    যেমন, পাবেন, যারা বিশ্বাস করে না, তাদের হৃদয় তালা বদ্ধ।
    অথবা, তাদের হৃদয়ে কখনো আলো প্রবেশ করবে না।
    অথবা, আরো সরলীকরন করলে, মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত।

    এখন,
    হৃদয়ে তালা বলতে আমরা কিন্তু আমাদের বুকের সাথে ঝোলানো প্যাডলক বুঝবো না।
    আলো প্রবেশ- প্র্যাকটিক্যালি- এন্ডোসকপি করা ছাড়া মানুষের শরীরের ভেতরে আলো প্রবেশের খুব একটা সুযোগ নেই।
    আর, কেউ যদি মায়েদের পায়ের তলা ধরে ধরে বেহেশত খুঁজে তাহলেও মুশকিল!

    তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়া বলতে যদি কল্পনা করি- আল্লাহ একটা ম্যাচ বাক্স হাতে নিয়ে এসে কেরোসিন ঢেলে কারো ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছেন, তাহলেই সমস্যাটা বাঁধে।
    ঘর জ্বালানো অর্থ হতে পারে- ঘরের শান্তি নষ্ট বা এরকম কিছু। এবং ঘর মানে অনেক জায়গায় মানুষের মনকেও বুঝানো হয় কিন্তু। ( একটা গানের কথা তুলে দিতে ইচ্ছে করলো- তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা? )
    সুতরাং ঘর জ্বালানো মানে মনের শান্তি নষ্টও হতে পারে।

    কুরআনের রূপক অর্থের জন্যেই- আমার ধারনা- প্রকৃত গোলযোগটা বেঁধেছে। নানা রকম অর্থ থেকে কে যে মূল অর্থটা ঠিকঠাক বুঝে নেবে সেটা ডিপেন্ড করবে ঐ মানুষটার নিজস্ব শিক্ষা আর মননের উপর।
    এখন ফতোয়াবাজরা, তাদের শিক্ষা অনুযায়িই ব্যাখ্যা করে সেরকম ফতোয়াই দিবে। তারা বলবে- আল্লাহ বলেছেন ওদের ঘর জ্বালিএয় দিবেন, আল্লাহরে আসমান থেকে কষ্ট কইরা নাইমা আসার কি দরকার,আসেন মু'মিন ভাইয়েরা আমরাই সেই পবিত্র কাজ সমাধা করি!
    আপনি বা আমি মনুষ্যত্বের দোহাই দেয়া ছাড়া তাদের তখন আর কি-ই বা বলতে পারি? কারন- তারাতো বুঝেছে কুরআনে তাই লেখা আছে!
    ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে, বা রাজনীতি করে- তারাও মূলত সেই সুযোগটাই নেয়। নিজের মত ব্যাখ্যা দাঁড় করে নেয়।
    এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, ফতোয়াবাজরা কেন ফতোয়া দেয় আর লাদেনরা কেনো টুইনটাওয়ার ভাঙ্গে- তাহলে এর একমাত্র উত্তর হলো- সেটা ঐ ফতোয়াবাজ এবং লাদেনই জানে। আর কেউ জানে না।
    মানুষ স্বাধীন বলেই এই বেঁছে নেয়া বা বুঝে নেবার সুযোগটা পেয়েছে- যেটা মানুষ হিসেবে তাদের অবস্থানটাও পরিষ্কার করে দেয়।

    ( এই সব কথাগুলৈ আমার ব্যাক্তিগত মত। আসলে ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করার ব্যাপারে কখনো আগ্রহ বোধ করিনি। এটা নিয়ে বাড়াবাড়িও কখনৈ ভালো লাগে নি। লাগে না।
    আমার কাছে আমার ধর্ম কেবলই একটা ব্যাক্তিগত বিশ্বাস। আর কিছুই না। এবং নিজের বিশ্বাস নিয়ে তর্ক বা যুক্তি দাঁড় করানোতেও আমি অভ্যস্ত নই।
    সুতরাং যারা এখানে আলোচনা করবেন, তাঁদের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন যুক্তি তোলা আমার পক্ষে সম্ভবপর হবে না, সেরকম জ্ঞান আমার নেই। খুব বেশি হলে নিজের ধারনাটুকু শেয়ার করতে পারি কেবল)।

    তবে এই আলোচনাটা চলুক। ভালো লাগছে সবার কথা পড়তে।

  • trq | 211.28.248.189 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ১৩:৩১634542
  • আবারো বন্ধুর পোষ্ট।
    আবারো সুশ্রী ইউনিকোড বাংলাপ্লেইন।
    আবারো বানানভুল - ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ।

    --------------------------------------

    দ্রী,

    এই জন্যই আমি বলেছি, ইসলামে "কনটেক্‌স্‌টটা ভীষণ জরুরি।

    কোরান একটা তৈরি বই হিসেবে আসে নি। একবারে বসে লেখা হয় নি। মুসলিমরা বিশ্বাস করে, পুরো কোরানটা এসেছে ২৩ বছর সময় লাগিয়ে, যখনকার প্রেক্ষিতে যা দরকার ছিল সেই নির্দেশ এসেছে।

    "মদ খেয়ে নামাযের কাছে ধারে যেও না"- কোরাঅনেরই আয়াত। মদ পুরো নিষিদ্ধ করার আগে এই আয়াতটা এসেছে। তবে কনটেক্সট ছাড়াঅ বিচ্ছিন্ন ভাবে এই আয়াতটা পড়লে মনে হবে নামাযের সময় ছাড়াঅ অন্য সব সময় মদ খাওয়া ঠিক আছে!

    কোরাঅনের কোন আয়াত পড়াঅর সময় কনটেক্‌স্‌ট না জানা থাকলে যেমন ইসলামিক জিলটরা ভুল করতে পারে, তেমনি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করতে গিয়ে অন্য অনেকের কাছে খটকা লাগতে পারে। সুরা হাশরের এই আয়াতটা তেমন একটা আয়াত।

    এর প্রেক্ষিতে: মদীনায় থাকা কালীন সময়ে মুহাম্মদ (সা) অমুসলিমদের সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সন্ধি করেছেন, শান্তি রক্ষাই যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল (খুব বিখ্যাত একটা হল হুদাইবিয়ার সন্ধি)। এরকম একটা সন্ধি ছিল অমুসলিম গোৎর বনু নাদিরের সাথে। তার অনেক শর্তের মধ্যে একটা অবশ্যই ছিল দুই পক্ষেরই একে অপরের প্রতি সহযোগিতা, শ্রদ্ধা।

    বিভিন্ন সময় বনু নাদির এই চুক্তি ছোট খাট নানা ভাবে ভেঙেছে। তবু চুক্তি বহাল ছিল। একটা সময় আসল, যখন বনু নাদির পরিকল্পনা করছিল মুহাম্মদ (সা) কে হ্‌ৎযা করার। যে কোন ভাবেই হোক, সেই পরিকল্পনা একজপোজড হয়ে গেছে। মুহাম্মদ (সা) তাদের কাছে ডেকে সরাসরি ঘটনা জিজ্ঞাসা করলেন। প্রমান এত সুস্পষ্ট ছিল, যে তাদের অস্বীকার করার পথ ছিল না। তখন ওদের চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে দুইটা আলটিমেটাম দেয়া হয়:
    ১। মদীনা ছেড়এ চলে যাওয়া
    ২। মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে যাওয়া

    ওরা প্রথমটা বেছে নেয়।

    এই পরিকল্পনাটা একজপোজড নাও হতে পারত। হয়েছে, সে আল্লাহ বলছেন, তিনি করেছেন বলেই। আর এভাবেই আল্লাহ মুসলিমদের আশ্বাস দিচ্ছেন, তিনি তাদের রা করবেন।

    টলারেন্সের কথা বললে বলতে হবে, টলারেন্স নিয়ে যত আয়াত আছে, সেটা এমেইজিং । যেমন:


    Allah says in His Quran: “Let there be no compulsion in religion. Truth has been made clear from error. Whoever rejects false worship and believes in Allah has grasped the most trustworthy handhold that never breaks. And Allah hears and knows all things.” [Surah al-Baqarah: 256]

    Allah also says in Quran: “If it had been your Lord’s will, all of the people on Earth would have believed. Would you then compel the people so to have them believe?” [Surah Yunus: 99]

    And Allah says: “So if they dispute with you, say ‘I have submitted my whole self to Allah, and so have those who follow me.’ And say to the People of the Scripture and to the unlearned: ‘Do you also submit yourselves?’ If they do, then they are on right guidance. But if they turn away, your duty is only to convey the Message. And in Allah’s sight are all of His servants.” [Surah Al `Imran: 20]

    Allah The Almighty has also said: “The Messenger’s duty is but to proclaim the Message.” [Surah Al-Maidah: 99]

    It is important to note that these last two verses were revealed in Madinah. This is significant, since it shows that the ruling they gave was not just contingent on the Muslims being in Mecca in a state of weakness.

    http://www.islamtomorrow.com/kill.asp


    সুতরাং শাস্ত্রজ্ঞান" আর "কান্ডজ্ঞান" আলাদা হওয়ার চান্স নাই। শাস্ত্র জ্ঞান ঠিক মত থাকলেই কান্ডজ্ঞান হবে।

    এখানে একটা ইন্টারেস্টিং ব্যপার আছে। সাধারণত ধর্মে "ধর্ম আবতার" বলতে ইনফলিবল ফিগার থাকেন। তার মাধ্যমে স্রষ্টার কাছে পৌছতে হয়, তার মাধ্যমে ব্যাখা জানতে হয়। ইসলামে প্রতিটা ইনডিভিজ্যুয়ালকে নিজে নিজে জ্ঞান অর্জনের ব্যপারে উৎসাহিত করা হয়েছে, কারণ জ্ঞান অর্জনের স্‌ৎযিই কোন বিকল্প নেই। শুধু মাৎর জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই কান্ড জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব! কোরাঅনের প্রথম শব্দ: "পড়"। মুহাম্মদ (সা) এর বানী: "জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটা মুসলিম নর এবং নারীর জন্য ফরজ"। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই যে কেউ যে কাউকে একসিড করতে পারে। একবার ইসলামের খলীফা উমার (রা) এর এসেসমেন্ট এবং সিদ্ধান্তকে ভরা মজলিসে একজন মহিলা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তিনি মেনে নিয়েছিলেন, গর্বিত হয়ে যে তার সাম্রাজ্যে তাকে শুধরে দেয়ার মানুষেরও অভাব নেই।

  • dd | 202.122.18.241 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ১৬:৪৭634543
  • তারেকের লেখাগুলি দারুন ভালো লাগছে।

    একটা প্রশ্ন : তারেক বা কেউ যদি জানেন।

    "পবিত্র দেহ মনে ও পবিত্র বস্ত্রাবৃত হয়ে অযু করে সন্মানের সঙ্গে এ গ্রন্থ পড়বেন - অপবিত্র দেহে কখনই এটি স্পর্শ করবেন না।" কোরান ও হযরত মহম্মদের জীবনি (ছাপাবইতে এ কথা লেখা থাকে - ইংরাজী ও বাংলায়)।
    আমার প্রশ্ন : এটি কি আধুনিক কোনো রীতি? পঞ্চাশ বছর আগের ছাপা ( হাতে লেখা পুঁথি নয় ) কোরানেও কি একই সতর্ক বানী থাকতো ?

    ২। কেনো ?
  • dd | 202.122.18.241 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ১৭:১২634544
  • আর নেটে যে কোরান পড়া যায়, তাতেও কি একই সাবধানবানী আছে ?
  • Kabli | 71.126.48.106 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ১৯:৪৫634545
  • ঈশান, তুমি ঠিক বলেছ। আমি একবার শুনে(পড়ে?)ছিলুম যে পৃথিবীর বেশীর ভাগ ধর্মই আসলে কাল্ট (মানে একজনের দ্বারা শুরু), যখন পপুলার হয়, তখন ধর্ম হয়ে যায়। বেশীর ভাগই শৈশবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়, যেমন এখানে David Kuresh; আবার Moon বেঁচে গেছে, কয়েক(শো) বছর বাদে ওটাও একটা ধর্ম হয়ে যাবে।

    হঠাৎ মনে পড়লো, অনেকদিন আগে একটা সিনেমা দেখেছিলুম পিটার সেলার্স এর - তাতে ওর নাম ছিলো Dr. Kabir আর একবার রুগির কাছে নিয়ে গিয়ে introduced হলো হিন্দু ডাক্তার হিসেবে। ব্রিটিশরা বোধহয় ইন্ডিয়ানদের হিন্দু বলতো।
  • S | 221.134.238.144 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ২০:৫৪634546
  • ইন্ডিয়া আর হিন্দু দুটোই তো এসেছে সিন্ধু বা ইন্ডাস শব্দ থেকে। অনেক সাদা চামড়া ভারতীয় দেখলে জিজ্ঞেস করে আমরা 'হিন্দু ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলি কিনা ... (যেন মুসলমানরা ইসলাম ভাষায় কি ইংরেজরা খ্রিস্টান ভাষায় বাক্যালাপ করে)।
  • J | 84.73.115.13 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ২১:৩৪634547
  • অনেক তো কথা হলো। "আমাদের চোখে ইসলাম" তাইলে কী?
  • Samik | 221.134.238.144 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ২২:২৯634548
  • সত্যি বলতে কী, আমার কাছে ইসলাম মানে বেসুরো গলায় ফাটা মাইকে আজান কিংবা নামাজ পড়া।
    ও হ্যাঁ, আর ঈদের দিন অদ্ভূত সুন্দর সেমাইয়ের পায়েস। কয়েকবার খেয়েছিলাম।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ জুলাই ২০০৬ ২২:৩৭634549
  • শীতের ভোরে,ঠান্ডা আর কুয়াশার মধ্য দিয়ে ভেসে আসা আজানের অপূর্ব সুর! কোনোদিন মানে বুঝিনি,সত্যি বলতে কি শব্দগুলো তেমন করে শুনতেও পাইনি।কিন্তু ঐ সুর! শীতের গভীর নির্জন ঠান্ডা ভোরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী জড়িয়ে গেছে!
    গ্রীষ্মের ভোরে শুনতে পেতাম না কেন কে জানে!

  • a x | 207.69.137.203 | ১০ জুলাই ২০০৬ ০০:০১634550
  • আচ্ছা, যেখানে সাধারন মানুষকে টেনে নেওয়া ধর্মের একটা উদ্দেশ্য, সেখানে এইরকম দ্বর্থ্যক মানে কেন? কেন মনের অশান্তি মনের অশান্তি বলেই লেখা নয়, ঘর জ্বালানো বলে লেখা? কেন অশ্ব অশ্ব না, মেঘ? এগুলো তে কি লাভ? বিশেষ করে ইসলাম, যেটা এলিটিস্ট ধর্ম না বলেই মনে হয়।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১০:১৭634551
  • সেই প্রস্তাবনাতেই একটা হোঁচোট। শুধু বিশ্বাসী আর অনুগতদের জন্যই এই কিতাব ? কিসের এই স্পর্শকাতরতা ?

    তাও পড়ি কোরান। অনুশাসন না মেনে। জানবার তাগিদে।

    যেটা ভালো লাগে (বাংলা অনুবাদে) দারুন সোজা সাপটা ভাষা। বক্তব্যের তীর সোজাই ছোটে।

    যেটা ইন্টেরেস্টিং লাগে সর্বত্রই কি আরব দেশ/ মরু নির্ভরতা।

    কি আছে কোরানে ? ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রচুর গপ্পো। নানান নিয়মবলী। স্বর্গ নরক, জিওসেϾট্রক ধরাধাম, হুরী পরী ফেরেস্তা। অলৌকিক ঘটনা। নিয়মাবলীতে আছে কনট্রাডিকশন ।

    আছে প্রচন্ড আধুনিক সহিষ্ণু মতামত, আছে দারুন হিংসক বানী। যেমন থাকে - সব ধর্মগ্রন্থেই।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১০:৪৫634553
  • কেমন ছিলো কোরানের স্বর্গ ?

    মরুভিত্তিক দেশের কল্পনা।

    আছে সুখদ উদ্যান। তাতে কন্টকহীন বদরিবৃক্ষ। কাঁদি কাঁদি কলা। সম্প্রসারিত ছায়া।

    প্রবাহমান পানি। পর্যাপ্ত ফলমূল। যা শেষ হবে না, নিষিদ্ধও হবে না।

    (বিশ্বাসীরা হেলান দিয়ে বসবে স্বর্নখচিত আসনে। তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে চিরকিশোরেরা। থাকবে আয়তলোচনা হুরেরা। (তারা দেখতে) সুরক্ষিত মুক্তার মতন।

    পরিবেশনা করা হবে পানপাত্র,কুঁজা ও প্রস্রবন নিসৃত সুরাপুর্ন পেয়ালা। সেই সুরাপানে তাদের শির:পীড়া হবে না,জ্ঞান হারা হবে না । ওরা (হুরেরা) পরিবেষন করবে ঈপ্সিত পাখীর মাংস, পছন্দমতন ফলমূল।

    চারিদিকে শুধু শান্তির বানী।

    তাদের জন্য থাকবে শয্যাসংগিনী। (ওদের সৃষ্টি করা হয়েছে) বিশেষ রূপে - ওরা চিরকুমারী,সোহাগিনী ও সমবয়স্কা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন