এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদের চোখে ইসলাম

    r
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০০৬ | ৫৫৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:১৫634554
  • তুলনায় নরক ?

    (দোষীরা) প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। ওদের অত্যুষ্ণ প্রস্রবন থেকে পান করানো হবে। ওদের জন্য য্‌বারী ( কাঁটা গাছ - যা অত্যন্ত বিষাক্ত এবং কিছুতে খাওয়া আয় না, যা মরু অঞ্চলে জন্মায়)ব্যতীত খাদ্য থকবে না।
    ... (অবিশ্বাসীদের) মাথায় ঢেলে দেওয়া হবে গরম পানি, তাদের চামড়া এবং উদরে যা আছে তা গলে যাবে এবং ওদের জন্য থকবে লৌহ মুদ্‌গর।
  • omnath | 59.145.225.101 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:১৮634555
  • কোরান থেকে কোট করতে হলে নম্বর দাও। আমি গোটা বই অন্ধের মতো খুঁজতে পারবো না। আয়াতের নম্বর ছাড়া কোনো বক্তব্য গ্রাহ্য হবে না। সাফ কথা।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:২২634556
  • গাছ পালার বর্ননা কম।
    রসালো খেজুর ফলের কথা আছে অনেকবার। আছে কুল ও কলা গাছ।

    মনুষ্যেতর প্রানীর মধ্য উল্লেখিত হয়েছে মশা,মাছি, পিঁপড়ে, মৌমাছি। মাকড়সা। মাছ। বাঘ (ব্যাঘ্রতুল্য মামুরের বর্ননা - সত্যি বাঘ নয়)।

    অবশ্যই গরু,ঘোড়া,ভেড়া,উট। আর অতি আশ্চর্য্যজনক ভাবে হাতি। সেই সুরাটি খুব ছোটো। পুরোটাই লিখছি।

  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:২৩634557
  • না ওমনাথ।
    কোরান ছোট্টো বই। পুরোটা পড়ো। আমি আদৌ রেফারেন্স দেবো না।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:৩২634558
  • " তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক হস্তিবাহিনীর প্রতি কি করেছিলেন?

    তিনি কি ওদের কৌশল ব্যার্থ করে দেন নি ?

    ওদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পক্ষী প্রেরন করেন।

    যারা ওদের উপর কংকর নিক্ষেপ করে।

    অত:পর তিনি ওদের ভক্ষিত তৃন সদৃশ করেন "
  • r | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:৫১634559
  • আলোচনা এতদূর যা এগিয়েছে তার থেকে কয়টি কথা পরিষ্কার:

    ১) "আমাদের" (আগেই বলেছি "আমরা" কারা) ইসলাম সম্পর্কে ধারণা অতি সামান্য এবং অপরিষ্কার। তাই বেশির ভাগ সময়ই আলোচনা কেন্দ্রচ্যুত হয়েছে, বা ধারণাগুলো "নাকি" স্বরে সীমাবদ্ধ থেকেছে।

    ২) ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি পঁচানব্বই শতাংশ হিন্দুর যে সমস্ত প্রেজুডিস আছে, তা এই পাতাতেও স্পষ্ট।

    ৩)যদিও অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের বেশ পছন্দের ব্যাপার, এই অসাম্প্রদায়িকতার পথ খুঁজতে গেলে যে ধর্মকে বুঝতে হয় এবং সম্প্রদায়কে বুঝতে হয়, সেই ব্যাপারে আমরা বেশি সময় নষ্ট করতে রাজি নই। কাজেই অসাম্প্রদায়িকতা আরো অন্যান্যা ভালো ভালো কথার মতো আরো একটা স্লোগান।

    আমরা অনেকেই মনে করি যে ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিশ্বাস। এইজাতীয় ইউটোপিয় চিন্তাভাবনা আমাদের উটপাখির মতো নিরাপদ আশ্রয় দেয়, যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে আমরা অনেকেই কোনো ধর্মাচরণের পথে যাই না। কিন্তু ধর্মের প্রবল সামাজিক এবং রাজনৈতিক সত্তাকে বাদ দিয়ে ধর্মের আলোচনা হয় না। যতদিন না এই সত্যকে সহজে মেনে নিতে পারব, ততদিন আমরা গগনবিহারী কিছু তথাকথিত নাস্তিক/ ধর্মনিরপেক্ষ উজবুক।

    আলোচনা আরও চলুক।
  • b | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১১:৫৫634560
  • র এই টা কয় নাই -- ধর্ম যে একটি উত্তম রাজনৈতিক রেটোরিক এটা ও স্পষ্ট হল।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১২:২৩634561
  • কাঁকরের অলৌকিক ব্যবহারের আরো উল্লেখ আছে।
    যেমন বদরের যুদ্ধে । টীকাকারের মন্তব্য : "এ আয়াতে বদর যুদ্ধের পরিনামের প্রতি ইংগিত করা হয়েছে। হযরত মোহাম্মদের (দ:) হিজরত করার ১৬ মাস পর হযরত ও তাঁর কতিপয় অনুরক্ত ভক্তকে বদরের অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। মাত্র ৩১৩ জন কার্যত: নিরস্ত্র বিশ্বাসীবৃন্দের আরব দেশের সহস্রাধিক সুসজ্জিত বীর যোদ্ধার সাথে যুদ্ধের জন্য প্রথম সাক্ষাত। সহস্র ফেরেস্তার স্বর্গীয় প্রেরনায় দৃপ্ত তিনশত মুজাহিদ মুসলমান, সহস্রধিক কোরেশ সৈনিকের প্রচন্ড আক্রমনকে প্রতিহত করেছিলো। ...যুদ্ধের চরমক্ষনে বিশ্বাসী সৈন্যরা প্রায় পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়েছিলো। এমত অবস্থায় হযরত মোহাম্মদ (দ:) একমুঠো কাঁকর নিয়ে আল্লাহর নাম করে বিরোধী পক্ষের দিকে ছুঁড়ে দেন - সামান্য কটি কাঁকর অথচ এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে ঐ কাঁকরের প্রতিটি এক একজন বিরোধী সৈন্যের চোখে পড়ে। তারা যখন চোখ নিয়ে ব্যাস্ত ,ইত্যবসরে বিশ্বাসী সৈন্যরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাদের পরাজিত করে। বদর যে্‌দ্‌ধ আল্লাহ্‌ যে অন্তরালে থেকে আপন ফেরেশ্‌তা দিয়ে বিশ্বাসীদের বিপুল সাহায্য করেছেন এখানে সে কথাই ব্যক্ত হয়েছ।"

  • trq | 211.28.248.189 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১২:২৫634562
  • ধর্মের সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রভাব বা ধারনা বা অন্যান্য সম্পূরক বৈশিষ্ঠাবলী নিয়ে আমি আমার জ্ঞান শূন্য।
    এবং এই বিষয়াবলী নিয়ে আমি আলোচনায় অপারগ।
    সুতরাং, আবারো ব্যক্তিগত বিশ্বাস কথাটা উল্লেখপূর্বক নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিলাম।

    তোমরা সবাই আলোচনা করো। মনোযোগী ও একনিষ্ঠ পাঠক হবো- সন্দেহ নেই।
    শুভেচ্ছা।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৩:৩৯634284
  • পরধর্ম সহিষ্ণুতা নিয়ে কোরানে আয়াত আছে প্রচুর। আমরা, মেকলের মান্সপুত্রেরা সেগুলো কোনো দিন পড়ি নি।

    কয়েকটা, মাত্র কয়েকটা উল্লেখ করছি।

    " ধর্মের জন্য কোনো জবরদস্তি নাই "

    " সমস্ত মানবমন্ডলী একজাতি "

    " আমি (মুহম্মদ স:) কেনল একজ্‌ন মানুষ, একজন রসুল "

    " আল্লাহ্‌ স্পষ্ট ভাবে বলেছেন রসুলের কাজ হলো প্রচার করা ; প্রচার করা ছাড়া রসুলের অন্য কোনো কর্তব্য নেই "

    " জোর জবরদস্তি করে নিজ ধর্মমতে অন্যকে দীক্ষা দিতে অল্লাহ্‌র কোথাও নির্দেশ দেন নি "

  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৩:৪৮634285
  • পৌত্তলিক দের গালি দিতো যে অধৈর্য্য মুসলমানেরা তাদের প্রতি নির্দেশ :

    " এবং যারা আল্লহ্‌কে ছেড়ে যাদের ডাকে তাদের তোমরা গালি দেবে না,কেননা তারা (সীমালংঘন করে) অজ্ঞানতাবশত: আল্লহ্‌কেও গালি দেবে। "

    " যে অন্যের উপাসককে গালি গালাজ করে বুঝতে হবে সে তার আল্লহ্‌র প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল নয় "
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৩:৫৩634286
  • এই ছোটো সুরাটো পুরোটাই লিখছি।

    " বল, ' হে অবিশ্বাসীগন।

    আমি তার উপাসনা করি না যার উপাসনা তোমরা করো।

    এবং তোমরাও তাঁর উপাসনাকারী নও - যাঁর উপাসনা আমি করি।

    এবং আমি উপাসনাকারী হবো না তার, যার উপাসনা তোমরা করে আসছো।

    এবং তোমরাও উপাসনাকারী হবে না তাঁর, যাঁর উপাসনা আমি করি।

    তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমার কাছে (প্রিয়)। "
  • dri | 66.81.196.160 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৪:১২634287
  • আচ্ছা, এবার একটি ভিন্ন বিষয়ে আসা যাক। একটা ধর্মকে বুঝতে গেলে তার বিভিন্ন আসপেক্ট দেখতে হবে। আমার চোখ পড়ে সেই সমস্ত বিষয়ে যেখানে আমি হিন্দু ধর্মের সাথে একটা কনট্রাস্ট পাই। উতারাধিকারে ছেলে ও মেয়ের অবস্থান। চলে যাব এইখানে http://etext.virginia.edu/etcbin/toccer-new2?id=HolKora.sgm&images=images/modeng&data=/texts/english/modeng/parsed&tag=public&part=4&division=div1 -- কতগুলো ভার্স রেলিভ্যান্ট।

    "4.7": Men shall have a portion of what the parents and the near relatives leave, and women shall have a portion of what the parents and the near relatives leave, whether there is little or much of it; a stated portion.

    এবং এর খানিক পর, ছেলে ও মেয়ের কার কত ভগ্নাংশ --

    "4.11": Allah enjoins you concerning your children: The male shall have the equal of the portion of two females; then if they are more than two females, they shall have two-thirds of what the deceased has left, and if there is one, she shall have the half; and as for his parents, each of them shall have the sixth of what he has left if he has a child, but if he has no child and (only) his two parents inherit him, then his mother shall have the third; but if he has brothers, then his mother shall have the sixth after (the payment of) a bequest he may have bequeathed or a debt; your parents and your children, you know not which of them is the nearer to you in usefulness; this is an ordinance from Allah: Surely Allah is Knowing, Wise.



    "4.12": And you shall have half of what your wives leave if they have no child, but if they have a child, then you shall have a fourth of what they leave after (payment of) any bequest they may have bequeathed or a debt; and they shall have the fourth of what you leave if you have no child, but if you have a child then they shall have the eighth of what you leave after (payment of) a bequest you may have bequeathed or a debt; and if a man or a woman leaves property to be inherited by neither parents nor offspring, and he (or she) has a brother or a sister, then each of them two shall have the sixth, but if they are more than that, they shall be sharers in the third after (payment of) any bequest that may have been bequeathed or a debt that does not harm (others); this is an ordinance from Allah: and Allah is Knowing, Forbearing.

    হিসেবটা জটিল। তবে মোটামুটি রুল অব থাম্ব হিসেবে বলা যায় ছেলে যা পাবে মেয়ে তার অর্ধেক পাবে। ঠিক বোঝা হল, তারেক, সামরান? সামরান এত চুপ কেন? আপনার ইনপুট এই আলোচনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    তুলনায় হিন্দুদের মধ্যে বহুদিন ধরেই ছেলেদের সব এবং মেয়েদের পণ দেবার রীতি চলে আসছে। একসময় তো প্রাইমোজেনিচার ও ছিল। বড় ছেলেই ম্যাক্সিমাম পেত, যেমন রাম। স্বাধীন ভারতেও হিন্দু ইনহেরিটেন্স ল কিছুদিন আগে পর্যন্তও মেয়েদের কানাকড়িও ঠেকাত না। হালে (বছর দুএক হল) এটা বদলে ছেলে মেয়ের সমান ভাগ করা হয়েছে।

    হাজার বছর আগেকার ভাবনা হিসেবে ইসলামের উত্তরাধিকার আইনকে প্রগ্রেসিভ বলা যায় বোধ হয়। আলোচনা?
  • r | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৪:২১634288
  • ধর্মের তুলনাত্মক বিচারে আমার আপত্তি আছে। দুইটি কারণে:

    ১) যেহেতু, ঐতিহাসিকভাবে প্রত্যেক ধর্মের উৎপত্তি, বিবর্তন এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট আলাদা আলাদা। কাজেই আপেল এবং কমলালেবুর মধ্যে ভেদবিচার করে কি পাওয়া যায়? তাও বৌদ্ধ এবং জৈনধর্ম বা ইহুদী এবং খ্রিষ্টধর্মের খানিকটা তুলনা সম্ভব। কিন্তু হিন্দুধর্ম এবং ইসলামের পুরো খোলনলচে একেবারেই আলাদা।

    ২) তুলনাত্মক বিচার মানেই তোমার এইটা ভালো, আমার এইটা ভালো। এই প্রক্রিয়াটাকে মৌলবাদীরা ভীষণ ভালোভাবে কাজে লাগায়, কারণ এই বিচারের অনেকটাই নির্ভর করে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যার উপরে। নিজের মতো ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করার চেষ্টা চলে যে ক ধর্ম কেন খ ধর্মের থেকে ভালো।

    তার থেকে একটা ধর্মকে তার নিজের প্রেক্ষাপটেই দেখি না কেন? এবং দেখি বিভিন্ন ধর্মমতগুলির নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান।
  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৪:৫৩634289
  • আমার চোখে ইসলাম নানান সময়ে নানান। বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম আমার চোখে পাল্টেছে। ছোটোবেলায় আমাদের চোখটা থাকে শিখিয়ে দেওয়া চোখ। সময় যত এগোয়, নিজের বোধ বুদ্ধি অভিজ্ঞতা দিয়ে ইসলামকে অন্যভাবে চিনতে শুরু করি।
    কোর-আন-শরীফ পড়ে যে ইসলামের ধারণা হয়, তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনের, পারিপার্শিক রেফারেন্স ফ্রেমের ইসলামের মিল অমিল দুটোই প্রচুর।
    ধর্মগ্রন্থের সবকথাতো সবাই মেনে চলে না। সবাই কেন, কেউই মানে না। আমরা মেনে চলি আমাদের সুবিধেজনক চ্যপ্টারগুলো। প্রতিটি বাক্য অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবার মতন সাহস কারই বা আছে। নিজেদের পছন্দসই বাক্যগুলোকে নিজেদের সুবিধেমত সাজিয়ে ধর্মচর্চা জগতের সব ধর্মেই প্রচলিত। ইসলাম এর ব্যতিক্রম নয়।
    ইসলাম সম্বন্ধে একটা কনসেপ্ট পৃথিবীর বহু অ-মুসলমান জনতার মনের মধ্যে শিকড় গেঁড়ে বসেছে। সেটা হচ্ছে, অসহিষ্ণুতা, পরধর্ম অসহিষ্ণুতা। এর সত্যাসত্য প্রমাণের জন্যে তারা জড়ো করেছে কিছু ঘটনাবলী, কিছু উদাহরণ। এগুলো আমার চক্ষে শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যে বৈ তো নয়।
  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৫:২১634290
  • আজানের মিষ্টি সুর, ঈদের দিনের সেমাই, মুসলিম বন্ধুর বাড়ীতে গিয়ে সুস্বাদু রান্না খেয়ে আসা, এসব অব্ধি ঠিক আছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছেলের সঙ্গে প্রেম করতেও ভালো লাগবে। কিন্তু আমার মেয়ে যদি মুসলমান কোনো ছেলেকে বিয়ে করতে চায়, যদি নিজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেচায়, আমার বাধবে। আমি ভয় পেয়ে যাবো। ইনসিকিওরিটির ভয়। অজানা ভয়। আমার ছলে যদি মুসলমান মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনতে চায়, তখন ভয় থাকবে না। থাকলেও কম থাকবে।
    এই আমি, অমুসলমান আমি, ঈশ্বরে বিশ্বাস না করা আমি। ধর্মগ্রন্থে কী লেখা আছে তা নিয়ে আমার যতটা না মাথাব্যথা, তার থেকেই বেশী প্রকট আমার কাছে আজ-কাল-পরশুর ব্যবহারিক ইসলাম। যেখানে আইনবিধি রাষ্ট্রের আইন মেনে চলে না। অন্তত: ভারতে তো নয়ই। পশ্চিমের দেশগুলোয় ইসলামের ধর্মীয় আইন কানুন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহ্য হয় না। কিন্তু ভারতে তো হয়। হয়ত এটা আমাদের সেকুলারিজমের একটা অঙ্গ। পরধমসহিষ্ণুতার অঙ্গ। ডিভোর্সের আইন ধর্মভেদে বিভিন্ন। বিয়ের আইন ধর্মবে্‌হ্‌দ বিভিন্ন। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ আইন কোন কোন ক্ষেত্রে কতটা বলবৎ আমরা নিজেরাই জানিনা।
    যখন দেখি, শ্বশুর বলাৎকার করলে গ্রামের আইন মেয়েটে্‌ক সুবিচার দেয় না। বলাৎকারকারী শ্বশুরের সাজা হয় না, বরং আদেশ হয় পুত্রবধূকে যেন শ্বশুর বিয়ে করে নেয়, তাহলেই মামলার নিষ্পত্তি। এসব আইনের কথা ইসলামের কোনো ধর্মগ্রন্থে লেখা থাকতে পারে না, কিন্তু এইসব আইন চলছে। থিয়োরিটিকাল ইসলাম ও ব্যবহরিক ইসলামের মধ্যে অনেক দূরত্ব।
    একবার এক মোল্লা শ্রেণীর ব্যক্তিকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, "আপনি কি মুসলমান?" আমি বললাম, "না, আমি মুসলমান নই"। তিনি বললেন " আগে মুসলমান হয়ে আসুন, তারপরে কথা হবে"।
    আমার এক মুসলমান বন্ধুকে দিয়ে ঐ একই মোলার কাছে কিছু প্রশ্ন করাতে গেছিলাম। সেই বন্ধুটিও প্রত্যাখ্যাত হয়। এক্ষেত্রে তাকে বলা হয়, "তোমার ইমান নাই, তোমাকে কিছু বলব না"।

  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৫:৪৬634291
  • বাড়ীতে না শিখলেও ইস্কুলের সহপাঠিনীদের কাছ থেকে ছোটোবেলা থেকেই জেনে এসেছি, ওদের ছেলেরা চারটে করে বিয়ে করে, ওরা গোরুর মাংস খায় (গোরুর মাংস খাওয়া কেন খারাপ জানি না, গোরুর দুধ খাওয়া কিন্তু খারাপ নয়, তবু সেটা নাকি খুব খারাপ), ওদের মেয়েরা বোরখা পরে থাকে। এই তিনটী জিনিসের মধ্যে প্রথমদুটো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিলো না, কিন্তু কলকাতার রাজাবাজার অঞ্চলে ছিলো আমাদের ইস্কুল, যেখানে ৯০% এর বেশি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সেই অঞ্চলে অবস্থিত হয়েও আমাদের ইস্কুলে একটিমাত্র মুসলমান মেয়ে পড়ত, এবং আমাদেরই ক্লাসে। নার্গিস। ১১০০ জন্য ছাত্রীর মধ্যে ১জন মুসলমান। আমরা ওর সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করিনি কোনোদিন।
    ইসকুলে যেতে আসতে রাস্তায় মাংসের দোকানে ঝোলানো গরুর মাংসের দিকে লুকিয়ে তাকিয়েছি। নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে তাকানোও নিষিদ্ধ কিনা তাতো জানতাম না, ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। আর ট্রামের সেনেক্‌ডক্লাসে দেখতাম বোরখাপরিহিতাদের ভীড়। ফার্স্টক্লাসে তারা সংখ্যায় কম। ট্রামে উঠে তারা মুখের ওপরের ঢাকনি খুলে দিতো। আমরা খুব কৌতুহলে উশখুশ করতাম দেখতে বোরখার নীচে কোন রঙের শাড়ী পরেছে তারা। হাতে কটা কাঁচের চুড়ি, ইত্যাদি। কেমন যেন অন্য জগতের মানুষ মনে হতো তাদের।
    ম্যাগাজিনের পাতায় বিকিনি পরা মেয়ের ছবি যেমন কৌতুহল তৈরী করত, বোরখাও কম কৌতুহলের ছিলোনা আমাদের চোখে ইস্কুলের দিনগুলোতে।
    আর ঈদের দিনে ঐ রাস্তাগুলো বন্ধ থাকত, ঈদের নমাজ পড়ার জন্যে।
  • dri | 66.81.196.160 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৫:৫৭634292
  • য, আপনি যে উদাহরনটা দিলেন তার রেলিভ্যান্ট আয়াত হল এইটা --

    "4.23": Forbidden to you are your mothers and your daughters and your sisters and your paternal aunts and your maternal aunts and brothers' daughters and sisters' daughters and your mothers that have suckled you and your foster-sisters and mothers of your wives and your step-daughters who are in your guardianship, (born) of your wives to whom you have gone in, but if you have not gone in to them, there is no blame on you (in marrying them), and the wives of your sons who are of your own loins and that you should have two sisters together, except what has already passed; surely Allah is Forgiving, Merciful.



    যদিও আমি শেষে গিয়ে মানেটা ঠিক দাঁড় করাতে পারলাম না। তবে স্মার্ট মৌলবী হলে উনি হয়ত এমন মানে করতে পারেন যে স্বামী মারা গেলে শ্বশুরের সাথে বিয়েতে আপত্তি নেই।

    মুসলিমদের কাছে কোরানে কি লেখা আছে সেটা বেশ গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপার। তার ব্যাখ্যা অবশ্যই যে যার কোলে ঝোল টেনে করে। তবু টেকস্টটা ইমপরট্যান্ট।

    আর প্রায় একই ধরনের কেস হিন্দুদের মধ্যেও ঘটে। এ ব্যাপারটা ভীষণ ভাবে মুসলিম স্পেসিফিক কিছু নয়।
  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৬:৫৯634293
  • পরধর্মসহিষ্ণুতা কোন ধর্মবলম্বীরা কতটা মেনে চলেন সেটা পরিস্থিতি নির্ভর। পাঁচজন একই ধর্মাবলম্বী যখন একইসঙ্গে বসে অন্য ধর্ম নিয়ে কম্পারেটিভ স্টাডি মূলক আলোচনা করেন, তখন দিল খোলা আলোচনা করে থাকেন, দমাদ্দম অন্য ধর্মের যেসব দিক পছন্দ নয় সেগুলো বলে দেন। কিন্তু সেই ধর্মের লোকজন সেই আলোচনা সভায় বসে থাকলে দমাদ্দম কমেন্ট করবার ফ্রীডম কমে যায়, তখন কিছুটা ভালো কিছুটা অপছন্দের দিক নিয়ে মডারেট আলোচনা হয়। বোরখা বললে সিমাইয়ের পায়েসটাও রাখতে হয়, সতীদহ বললে বিজয়ার মিসি্‌শ্‌ট-নিমকি নিয়েও দুকথা বলে ব্যালেন্স রক্ষা করতে হয়। ধর্ম বড্ড সেনসিটিভ টপিক কিনা, কে জানে হিন্দু ধর্ম নীয়ে যাতা বললে সীতা রেগে যেতে পারেন বা ইসলাম নিয়ে বললে সামরান।
    "আমাদের চোখে ইসলাম" মানে কি? "আমাদ্র" মানে কাদের? হিন্দুদের? হ্যাঁ হিন্দুদেরই তো। আমরা যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী নই, তারা। তাদের মধ্যে শখের নাস্তিক আছেন কেউ, স্বেচ্ছায় ধর্মকে অস্বীকার করা কেউ, কিছু খ্রীষ্টান, কিছু ফরোয়ার্ড হিন্দু, যারা দুমদাম হিন্দুধর্মের গোঁড়ামি, বদমায়েসী নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে আলোচনা করে থাকেন; বেদ থেকে শঙ্করাচার্য কাউক্কে ছেড়ে কথা কন না, এরা। এরা একদিকে, ইসলাম অন্যদিকে।
  • b | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৭:১৮634295
  • তাইলে কি দাঁড়ালো, ধর্ম মানে না এইরকম কোনো লোক নাই।

    আর যারা মানে না কয়, তারা ডাহা গুল মারে।

    আর সবাই কষ্ট পাবে ভেবে পর ধর্মাবলম্বী দের মধ্যে যারা খারাপ লোক তাদের নিন্দে টুকুনিও সবাই কম কইরা করতাছে?

    আর মোছোলমান দের মইদ্যে একটু যদি বুজন দার লোকা থাকতো তাইলে আর কুনো সমস্যা ছিল না।

    তাইলে তো কোনো সমস্যাই নাই।

    র, টই রিজলভড।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৭:২৪634296
  • দ্রি

    হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কি কোনো ধর্মগ্রন্থে আছে ? পেত্যয় হয় না । অগ্নিপুরান একটি কমপেন্ডিয়াম। সেখানে ইনহেরিটেন্স ল নিয়ে ইন্টেরেস্টিং তথ্য আছে। আর দায়ভাগ ও মিতাক্ষরা ? সেতো এক্সক্লুসিভলি বাংলা দেশের। ঠিক ধর্মগ্রন্থ ও নয়।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৭:৩৬634297
  • ইসলাম =কোরান = মুসলিম। এই ইকোয়েশনটাই ভুল।

    ফেরিস্তার বইটা কেউ ঘেঁটে দেখবেন ? খুব হোৎকা কিতাব। ওতে আছে ,এক সুলতান (কোনজন মনে নেই) ও ধর্মগুরুর তর্ক। ধর্মগুরু কোরান উদ্ধৃত করে সুলতানকে বলছেন কোরানের অনুশাসন অনুযায়ী সুলতানের উচিৎ অধর্মীদের (হিন্দু) হয় ধর্মান্তরিত নয় মেরে ফেলা উচিৎ। কিন্তু সুলতান আদৌ রাজী হলেন না।

    কোনো সুলতানই রাজী হন নি- সাতশো বছরের ইতিহাসে।
  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৭:৩৮634298
  • না ব। "ধর্ম মানে না এমন একটা লোক নাই" একথা আমি মানতে রাজী নই। "যারা কয় মানে না, তারা দাহাগুল মারে" এই অতি সরলীকরণের অবকাশও নেই। "ওরা কষ্ট পাবে", কিংবা রেগে যাবে, আর রেগে গেলে দাঙ্গা হতে পারে, এই ভয় অনেকেই পায়। মুসলমানদের মধ্যে ধর্মের প্রতি অটল বিশ্বাসটা লক্ষ্যনীয়। খাতায় কলমে হিন্দু লোক, বিন্দাস ধর্ম মানিনা, গোরু খাই, ঠাকুর দেবতা নিয়ে খিস্তি করি, পুজো আর্চার ধর ধারিনা, -এসব বলতে ও করতে পারে। অন্তত: আজ ২০০৬ সালে, ১০০ বছর বা ৫০ বছর আগে নয়, আজ।
    ইহাই আধুনিকতা।
    খাতায় কলমে চিহ্নিত ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা , "ঈশ্বরে বিশ্বাস" করিনা, যা খুশী তাই করি, - ইত্যাদি বলেন না। হয়ত দিনে ৫বার নামাজ পড়ে হওয়া ওঠেনা, রোজা রাখা সম্ভব হয় না, পার্টিতে অল্প-বেশি মদ্যপান করা হয়ে যায়, তবুও তারা ধর্মে ও ঈশরে বিশ্বাস রাখেন।
    বুঝদার মুসলমান কি বুঝদার নয়, তা বলতে পারছিনা, তবে ধর্মকে এক নি:শ্বাসে উড়িয়ে দিতে পারেন না তাঁরা। তা সে যতই "শয়তানের পদাবলী" লিখিয়ে হোন না কেন, প্রাণের ভয় বা অন্য কোন ভয়ে শেষমেশ মাথা নোয়ান।
  • dd | 202.122.18.241 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৭:৫৮634299
  • J কে সাপোর্ট করলাম।

    আজকের ইসলামে ধর্ম যেন সমাজটাকে আষ্টে পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। এবং মৌলবী তন্ত্র এতই গভীর ও বিস্তৃত যে এই গুরুচন্ডালীর মতন অকিঞ্চিতকর রোয়াকেও কোরানের অপছন্দের বিষয় নিয়ে লিখতে অস্বস্তি হয়। যেটা হয় না বেদ উপনিষদ নিয়ে। বা বাইবেল নিয়ে ।

    মনে হয় না আমি কি মৃত্যুযোগ্য অপরাধ করলাম - কোথাও ?
  • b | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৮:০৮634300
  • J, dd,
    হিন্দু ধর্মাবলম্বী গণ আধুনিক ও সহনশীল, ইসলাম ধর্মাবলম্বী দের তুলনায়, এই প্রস্তাবটি মানতে পারলাম না।

    এটি আজগুবি ও অবান্তর প্রস্তাব।

  • r | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৮:১৭634301
  • ইসলামের এই রক্ষণাত্মক ভূমিকার ঐতিহাসিক কারণ আছে। তা নিয়ে আলোচনা পরে। কিন্তু য-এর কথার উত্তরে দুটি কথা:

    ১) আধুনিকতা=ধর্মে অবিশ্বাস মনে হয় আধুনিকতার একটা সংকীর্ণ পশ্চিমী ধারণা। এবং মৌলবাদের যাবতীয় গন্ডগোলের শুরু এখান থেকেও। মনে রাখা ভালো যে আধুনিকতার অন্য একটা মাত্রা বহুত্ববাদ। কাজেই ধর্ম এবং নাস্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মপ্রিয়তা- দুটোরই পাশাপাশি সহাবস্থান হবে এটা মেনে নেওয়াই বোধ হয় আমাদের পক্ষে শ্রেয়।

    ২) ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানেই ধর্মপ্রিয় এটাও মনে হয় খন্ডিত ধারণা। এই বছর আমি যে দেশে এক মাস ছিলাম সেই দেশের ৯৯% ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সেই দেশে ধর্মের স্থান কেবল ব্যক্তিগত। রাজনীতিতে ধর্মের বিন্দুমাত্র উচ্চারণ হলে সেই দল বা রাজনীতিকের শাস্তি অনিবার্য। এখন যিনি প্রধানমন্ত্রী, তিনি আগেও একবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ছিলেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় বিন্দুমাত্র ইসলামীয় গন্ধ পাওয়া মাত্রই ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল তাকে বরখাস্ত করে। শুধু এই নয়। এই প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী কোনো সরকারী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান না কারণ তিনি মাথায় ওড়না জড়ান। মেয়েদের মাথার কাপড় যেহেতু ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পর্ক রাখে, তাই কোনো সরকারী অনুষ্ঠানে মেয়েদের মাথার কাপড় নিষিদ্ধ। ঠিক একইভাবে ছেলেদের মাথায় ফেজ টুপি পড়া নিষিদ্ধ। এই জাতীয় ধর্মনিরপেক্ষ জমানা মিশরে ছিল, ইরানে ছিল। এই জাতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতবর্ষে অকল্পনীয়।
  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৮:২১634302
  • ব,
    আবারো তিসরলীকরণ হয়ে যাচ্ছে। "সহনশীল" ও "আধুনিক" বলা হয়েছে কি? আচ্ছা ধরুণ বলাই হয়েছে, কিন্তু কেন? "ভয়", ধর্মভয় জিনিসটা কম হয়ে গেছে এসব ধর্মে ইসলামের তুলনায়, সময়ের সাথে সাথে। ভয় কমে গেলে অনেক বেশি খোলাখুলি আলোচনা করা যায় ব। বেশী ভয় থাকলে শুধু সেমাই, ভয় একটু কমলে বোরখার সঙ্গে ব্যালেন্স রেখে সেমাই, আর ভয় না থাকলে শুধু বোরখা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে।
    আজ থেকে ১০০ বছর আগেও কি সংখ্যাগুরু হিন্দুরা ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে কিছু বলতে সাহস পেতেন? কিম্বা ২০০ বছর আগে? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু কুপ্রথার অবসান হয়েছে। অতি জঘন্য নোংরা কিছু হিন্দু আচার আইন করে বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে যুগের সঙ্গে কিছু কিছু সংস্কার।
    বহুবিবাহ করা হিন্দুদের মধ্যে এখন বেআইনী। খ্রীষ্টধর্মেও তাই। রাষ্ট্র এই আইনের আওতায় আসতে বাধ্য করেছে হিন্দুদের। ইসলাম নিয়ে ঐ এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেনি রাষ্ট্র। ভয়ে। কোত্থেকে কী হয়ে যায় কেউ জানে না।
    শুধু এটুকু বলা আছে, সরকারী চাকুরেদের একাধিক স্ত্রী থাকলে চাগ্রী নট হয়ে যাবে। এর বেশী কিছু বলা নেই। রিসেন্টলি সূর্যনারায়নবাবুকে নিয়ে কত্তো হাঙ্গামা হলো। উনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ফেললে এত ফ্যাসাদে পড়তেন কি?
  • b | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৮:২৩634303
  • theocracy এবং conservatism এর সমস্যা ইসলামে সীমাবদ্ধ নয়। আধুনিকতা কে এবং তা গ্রহনযোগ্য কিনা এই সব নিয়েও প্রশ্ন আছে।
  • J | 160.62.4.10 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৮:৩২634304
  • r,
    "ইহাই আধুনিকতা" যদিও ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিলাম, কিন্তু ব ও r দুজনেই দেখলাম সেটি সিরিয়াসলি নিয়েছেন।
    মাথায় "হেডস্কার্ফ" ব্যান করেছিল জাক হিরাক, ফ্রান্সের ইস্কুলে। কারণ তা ধর্মের চিহ্ন বহন করে। বা ক্রস পরে আসা, সেটা ধর্ম। মাথায় পাগড়ি- ধর্ম।
    ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে যদি আরেক জুজুর আগমন ঘটে, যে কিনা সবসময় ভয় দেখিয়ে বেড়াবে, পাছে কোনোরকম ধর্মীয় চিহ্ন প্রকাশ পেয়ে যায়, তবে তো তা-ও কম ভয়ের নয়।
    হিন্দুদের সিঁদুর, শিখেদের পাগড়ি বা লম্বা চুল দাড়ি ইয়াদি রাখা, মুসলমান মেয়ের মাথায় রুমাল বাঁধা, এগুলো জোর করে নিষিদ্ধ করানো, বা করলে সাজা দেওয়াও মধ্যেও কিন্তু সেকুলারিজমের মুখোশ পরা জুজুকে দেখতে পাচ্ছি।
  • omnath | 59.145.225.101 | ১০ জুলাই ২০০৬ ১৮:৪৫634306
  • সেকুলার মৌলবাদী !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন