এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • বাম-বুজি-রূপকথাঃ প্রাণের আরাম

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    নাটক | ০৬ মে ২০১৪ | ৪২৩৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | ২৮ মে ২০১৪ ২২:০৩639527
  • "...
    ছাগলের পুষ্টি ও খাবার

    ছাগল কি খায়- কচিঘাস, আগাছা, লতাপাতা খেতে এরা খুব ভালবাসে। কাঁঠাল পাতা, কুলপাতা, সজনে, নিমপাতা, বকফুল, নটে, কপি, মূলা, পালং, গাজর প্রভৃতি পাতা এরা খেয়ে থাকে। সিম, বরবটি, অড়হর পাতা ছাগল ভাল খায়। এছাড়া তরি-তরকারির খোসা, চারিদিকে পড়ে থাকা কমদামী খাবার খাইয়েও এদের পালন করা যায়। অধিক উত্‌পাদনের জন্য সুষম খাদ্য এবং চাষ করা সবুজ খাদ্য যেমন বারসীম, লুসার্ন, কাউপি, ওটস, ভুট্টা, জোয়ার ইত্যাদি খাওয়ানো দরকার। সুবাবুলের পাতা বেশী পরিমাণে খাওয়ানো ভাল নয়।
    ছাগল কি পরিবেশ ধ্বংস করে- ছাগল সহজে খেত খামারে বা চাষের জমিতে ঢোকে না বরং চারপাশের উঁচু আইলে ঘাস বা আগাছা খুঁটে খুঁটে খায়। বেড়া ভেঙে না ঢুকে দুপায়ে ভর দিয়ে লতা-পাতা সংগ্রহ করে।

    খাদ্যে উপাদান-
    ১) শর্করা বা শ্বেতসার (কার্বোহাইড্রেট)
    ২) প্রোটিন বা আমিষ
    ৩) ফ্যাট বা তৈল পদার্থ
    ৪) ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ
    ৫) খনিজ পদার্থ বা ধাতব লবণ (মিনারেল মিক্সচার)
    ৬) জল

    সুষম খাদ্য- ছাগলের দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতি পূরণ অধিক উত্‌পাদন ইত্যাদির জন্য যে সব উপাদান দরকার সেগুলি উপযুক্ত পরিমাণে যদি কোন খাদ্যে থাকে তবে তাকে সুষম খাদ্য বলে। এই সুষম খাবার বিভিন্ন প্রকারের হয়।
    ১) বাচ্চার জন্য কিড স্টাটার বা মিল্ক রিপ্লেসার বা দুধের বিকল্প খাবার।
    ২) বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গ্রোয়ার খাবার।
    ৩) বড় ছাগলের জন্য ফিনিশার খাবার।
    "...
  • cm | 233.234.97.226 | ২৮ মে ২০১৪ ২২:২৬639528
  • ঢ্যাঁড়শ নিয়ে একটু আলোচনা করুননা। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।
  • | ২৮ মে ২০১৪ ২২:২৭639529
  • আচ্ছা দীপু কই গেল? এই ছাগল বৃত্তান্ত আর মাজরা পোকা না কি একটা পোকা নিয়ে পালবাবুর টইতে দীপুই দিয়েছিল না?
  • | ২৮ মে ২০১৪ ২২:৩১639530
  • এহেহে রমজমদাদা কি পুরো শুবা বৃত্তান্তটা মিস করেছেন নাকি? সেইসব মহতী কবিতা ও হুতোর ছবি?
    এঃহে
  • | 60.82.180.165 | ২৯ মে ২০১৪ ০০:৩৯639531
  • খবর্দার! ছাগোলের আলোচনার মধ্যিখানে ঢ্যাঁড়শ আনবেন না বলে দিলাম। লদলদে ঐ বস্তু বা তার পাতা ছাগোলেও ছোঁয় না।
    এরপর ছাগোলের'' ব্যায়াম গৃহ'' সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
    মনের ব্যায়ামের জন্যে ছাগোল কি করে সেদিকেও যদি একটু....
  • :-I | 69.93.240.55 | ২৯ মে ২০১৪ ০১:৫৭639532
  • *******
    শুনেছি গরু-ছাগলের সামনে অচেনা লোক বালতি কি ঘটি হাতে গেলে দুধের বদলে ঢুঁসো দেয়!!
    *******
    ১)সামনে তো যায় না। ওরা ঘোড়ার মতো চাঁট মারতে পারে না কিনা, তাই ....

    ২) ছাগলের আকার আগল খুলে মাঝে মাঝে গোল হয়ে যাচ্ছে কেন? অ-নাদি কাল থেকে ওগুলো গোলাকার বলে?

    ৩) শুনেছি ছাগলের দুধ খেলে হৃদয় সবল হয়, কিন্তু গায়ে দুর্গন্ধ হয়। এককালে বাঙাল বাড়িতে শিশুকে ছাগলের দুধ খাওয়ানো হোত হার্ট শক্ত করার জন্য এবং কষে বেবী পাউডার মাখিয়ে দুর্গন্ধমুক্ত করা হোত শুনেছি।

    প্রশ্ন - কিন্তু এতে কি আঁক কষার ক্ষমতা কমে যায়? আমার এক আত্মীয়া অঙ্কে দুর্বলতা কাটাতে না পেরে বায়ো সায়েন্সে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু আক্ষেপ করে ভাইদের বলতেন, "আমি ছাগলের দুধ খেয়েছি বলে ছাগলের মত বুদ্ধি হয়েছে।"
    প্রশ্ন - কতটা সত্যি এটা? গান্ধী কি ব্যতিক্রম?

    ৪) পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়। উপরের খাদ্যতালিকা থেকে তা বোঝা যাচ্ছে না।
    প্রশ্ন - কথাটা কি ভুল তাহলে?

    ৫) ছাগলে যে গাছে মুখ দেয়, সে গাছের সেই প্রান্তেই বৃদ্ধি শেষ। গাছটির কালে মৃত্যুও ঘটে। বাড়িতে গোলাপ গাছের পরিণতি থেকেই এটা আরো সত্যি মনে হয়।
    প্রশ্ন - ছাগলের লালার রাসায়নিক বিশ্লেষন কি বলে?

    উত্তর পরবর্তী (এরপর যেদিন দেখবো) অধিবেশনে পড়ে নেবো। তবে উত্তরগুলো সহৃদয় কেউ দেবেন দয়া করে।
  • | 60.82.180.165 | ২৯ মে ২০১৪ ০৫:০৬639533
  • ১,আপনি চান্স পেলে গোরু/ছাগল দুইয়ে দেখার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।কি খেলেন জানাতে ভুলবেন না।
    ২,নাদির সঙ্গে সম্পর্ক রহিত ভাবে শুধু আহ্লাদেও ও কার দেওয়াই বিধি
    বিশেষ কোনো গাছের প্রতি অধিক স্নেহ জন্মালে ওনারা সেটা কদিন পর পর চান্স পেলেই মুড়িয়ে খান-ফলে নতুন পাতা জন্মানোর চান্স কমে গিয়ে গাছ পটলডাঙায় যাত্রা করতে পারে।
  • লাল সোয়েটার | 78.65.169.66 | ২৯ মে ২০১৪ ০৭:৪৯639534
  • ইশান বলেছেন ছাগল লতাপাতা সংগ্রহ করে। মানে প্রিমিটিভ অ্যাকুমুলেশন। শিল্পায়ন চাই। যত শিল্প তত প্রলেতারিয়েত। যত প্রলেতারিয়েত তত বিপ্লব। যত বিপ্লব তত ভোট।
    আর মনে রাখতে হবে - ছাগল সহজে চাষের জমিতে ঢোকে না। আর একবার ঢুকলে আবার ছাড়েও না। কারণ লতাপাতা কি আকাশে হবে?
  • Ranjan Roy | ২৯ মে ২০১৪ ১২:০৮639535
  • ছাগল! কি যন্ত্রণা! কী যন্ত্রণা!!
    আজ থেকে ৩৫ বচর আগে এই অধম ৩৬গড়ের একটি আদিবাসী জেলায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমে পকেটে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া কোন এক ছাগলের না ছাগীর কাটা কান নিয়ে ভেটেরিনারি ডাক্তারকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তিনি অফিসে নেই, কোন গাঁয়ে গেছেন। আবার বীমা কোম্পানি ওনার সার্টিফিকেট ছাড়া ক্লেইম অ্যাকসেপ্ট করবে না। আমার লক্ষ্য--বীমার পয়সা পাওয়া, নইলে গরীব আদিবাসীকে পুরো লোন রি-পেমেন্ট করতে হবে।
    সাতদিনের চেষ্টায় সব কিছু করে-- তখন কাটা কান পচে গন্ধ বেরোচ্ছে-- যখন বীমা কোম্পানিতে গেলাম, ওরা আমাকে হাঁকিয়ে দিলো। বলল-- ছাগলের কানে যে পেতলের বিল্লা লাগানো আছে সেটা ওরিএন্টাল কোম্পানীর, কিন্তু কাগজটি আমাদের--মানে নিউ ইন্ডিয়া। মানে আপনি অন্য কোন ছাগলের কাটা কান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানে আদিবাসীটি হয়ত ছাগলটি বেচে দিয়েছে বা কেটে রান্না করে খেয়ে ফেলেছে আর আপনিও হয়ত প্রসাদ পেয়েছেন-- নইলে এইসব ফ্রড ক্লেইম নিয়ে কেন বাড়ি বয়ে ইয়ার্কি করত এসেছেন!
  • /\ | 69.160.210.2 | ২৯ মে ২০১৪ ১৩:১৬639538
  • এবার দুধের দিকে ডাইভার্ট হচ্ছে। কমলেন্দুবাবুর টইতে পাঠিয়ে দিন।
  • ঈশান | ২৯ মে ২০১৪ ২০:৫৩639539
  • প্রতিপালন ও প্রজনন

    সঠিক অনুপাতে (১০ টি ছাগীর জন্য ১টি পাঁঠা) ছাগী ও পাঁঠা পালন করতে হবে। পাঁঠা এবং ছাগীকে কখনও একত্রে খাদ্য খেতে ও মাঠে চরানো যাবে না, কারণ পাঁঠা ছাগীকে খাদ্য খেতে অসুবিধার সৃষ্টি করে এবং অনেক সময় মারামারি করে ক্ষতের সৃষ্টি করে থাকে। প্রজননক্ষম পাঁঠা ছাগীকে নিয়মিত (বছরে ৫-৬ বার) ০.৫% মেলাথিয়ন দ্রবণে চুবিয়ে বহিঃপরজীবী থেকে মুক্ত রাখতে হবে। বাচ্চার ক্ষেত্রে যাতে উক্ত দ্রবণ নাকে বা কানে যেন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। (গর্ভের ১ম মাসে ১-১.৫ মিলি ভিটামিন এ.ডি.ই এবং গর্ভের শেষ দুই সপ্তাহে ১-১.৫ মিলি ৪৮ ঘন্টা পরপর ইনজেকশন দিতে হবে)। প্রসবের লক্ষণ দেখা দিলে ছাগীর পিছনের অংশ ও ওলান পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর ০.৫-১% দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে মুছে দিতে হবে। বাচ্চা প্রসবের পর জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল চাকু বা ব্লেড দ্বারা নাভি ২-৩ সেঃমিঃ রেখে বাকি অংশ কেটে দিতে হবে। (এ সময় ছাগীর জরায়ুতে যাতে ইনফেকশন না হয় সেজন্য পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গনেট দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং এরপর ক্যাপলেট (মাত্রাঃ১ ক্যাপলেট/১০-২০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য) অথবা বোলাস (মাত্রাঃ ১-২ বোলাস) জরায়ুতে দিতে হবে)। প্রসবের ২৪ ঘন্টা পরও ফুল বা প্লাসেন্টা না পড়লে অক্সিটোসিন (মাত্রাঃ ১-২ মিলি/ ১০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য) ইনজেকশন দিতে হবে। বাচ্চার বয়স যখন ৩-৫ সপ্তাহ তখন শিং ওঠা বন্ধ করা উচিত। বাচ্চা বয়স ২-৪ সপ্তাহ হলে তাকে খাসী করানো উচিত।
    খাসী করতে হলে টেবিল বা এ জাতীয় উচু জায়গায় রেখে পিছনের পা দুটো টেনে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এরপর অন্ডকোষকে ৩% টিংচার দ্রবণ দিয়ে ভাল করে মুছে দিতে হবে। অন্ডকাষকে চামড়ার বিপরীতে চেপে ধরে চামড়ার নিচের দিকে একটি মাত্র পোচে কেটে অন্ডকোষ দুইটি বের করে রগ (Spermatic cord) কেটে দিতে হবে। এরপর অন্ডকোষ থলিকে টিংচার অব আয়োডিন দ্বারা পরিষ্কার করে ক্ষতস্থানে পাউডার লাগিয়ে দিতে হবে।
  • তাপস দাশ | ২৯ মে ২০১৪ ২১:২৫639540
  • হয় সমাপ্ত আর নিলে ডট - কিছু একটা তো দিতে হত রে বাবা !
  • ঈশান | ২৯ মে ২০১৪ ২১:৪১639542
  • মহাকাব্য কখনও শেষ হয়? মহাকালের হিসেবে কীইবা ডট, কেইবা দাঁড়ি।
  • একক | 24.99.116.246 | ২৯ মে ২০১৪ ২৩:০২639543
  • আপনাদের খাসিকরণ বন্ননা শুনে মনে পল্লো :
    খাসিতন্ত্র পড়ুন ও পড়ান :) শৈবাল বাবুর ওই একটিমাত্র লেখা উত্সাহ নিয়ে গোটা টা পড়তে পেরেছিলুম । আহা সেই মোহনদাস তরাগের ধারে কচুবন সাফরত কল্কি অবতার । লেখাটা নিয়ে সিনেমা করার ইচ্ছেও হইছিলো ।
  • Ranjan Roy | ২৯ মে ২০১৪ ২৩:০৭639544
  • একটি মাত্র পোচে কেটে পাউডার লাগিয়ে দেওয়া?
    ---------------------

    একেবারে মহাকাব্যিক সমাপ্তিঃ)))))))
  • কল্লোল | ৩০ মে ২০১৪ ০৫:৫৬639545
  • উঁহু। এতে হিংসার গন্ধ আছে। কি হিংসা, ক্ষীই হিংসা। বলে কিনা বিচি কেটে দিতে!!! ছাগলের মতো এরোম অহিংস প্রাণীরে লয়্যা এতো হিংসা ক্যনো, ক্যানো ক্ষ্যানো????
  • সিকি | 135.19.34.86 | ৩০ মে ২০১৪ ১১:০১639546
  • এরকম ভয়ংকর বর্ণনা পড়ে আমার সেই বীরবল নামের ছাগলটার গল্প মনে পড়ে গেল।
  • ঈশান | ৩০ মে ২০১৪ ২১:০৪639547
  • প্রজননের সমস্যা ও তার সমাধান

    অনেকে ভাবেন খাসি করলে ছাগলের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে ছাগলের প্রজনন সম্ভব। একটি ছাগীকে প্রাকৃতিক নিয়মে পাঁঠা দ্বারা প্রজনন করালে একবারে যে পরিমাণ বীজ ব্যবহৃত হয়, একই পরিমাণ বীজ দ্বারা হিমায়িত কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির সাহায্যে ২৫ থেকে ৩০ ছাগীকে প্রজনন করানো যায়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফল পাওয়া যায় প্রাকৃতিক প্রজনন থেকে ২৫ থেকে ৩০ গুণ বেশি। এই হিমায়িত বীজ ব্যবহার বিলুপ্তপ্রায় ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন পশুবিজ্ঞানীরা।

    দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৭টি সুস্থ-সবল পাঁঠা এবং শতাধিক ছাগী সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই নিয়ে গবেষণা করা হয়। গবেষণা ফিল্ডে সংগ্রহকৃত পাঁঠার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে উন্নতজাতটি বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত পাঁঠার বীজের গুণাগুণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করা হয়। বীজ প্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হলে তা হিমায়িত করে এআইগানের মাধ্যমে ছাগীকে কৃত্রিম প্রজনন করিয়ে উন্নতজাতের পাঁঠা উত্পাদন করা হয়। এভাবে প্রকল্পটির মাধ্যমে দ্রুত ব্ল্যাক বেঙ্গলের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক নিয়মে একটি পাঁঠার সঙ্গে একটি ছাগীর প্রজননের সময় ছাগী যে পরিমাণ বীজ গ্রহণ করে তার মাত্র কয়েক শতাংশ কাজে লাগে, বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু হিমায়িত বীজ দ্বারা কৃত্রিম প্রজননে ওই পরিমাণ বীজ বেশক’টি ভাগে ভাগ করা হয়, যা ২০ থেকে ২৫টি ছাগী গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে সমপরিমাণ বীজ দ্বারা ২০ থেকে ২৫ গুণ বেশি ফল পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গেছে, এই হিমায়িত বীজের দ্বারা কৃত্রিম প্রজননে ছাগীর বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা ৫০ শতাংশের বেশি, যা গাভীর বাচ্চা ধারণ ক্ষমতার প্রায় সমান। এসব হিমায়িত বীজকে তরল নাইট্রোজেনের মাধ্যমে মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এসব হিমায়িত বীজের গুণাগুণ ৫০ বছর অটুট থাকবে, যা ভবিষ্যতে ছাগলের কৃত্রিম প্রজননে ব্যবহার করা যাবে। গবেষকরা আশা করছেন, বিলুপ্তপ্রায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হওয়ায় এটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও কাজে লাগানো যাবে।
  • Ranjan Roy | ০১ জুন ২০১৪ ০৪:৩৭639549
  • জ্জিও! আশা করছি এর ফলে গ্রামীণ অঞ্চলে , যেখানে আদিবাসী ও প্রান্তিক কৃষকরা ছাগল-পালনকে একটা সাইড ইনকামের উপায় ভাবেন (বাড়ির ছোট বাচ্চা বা মেয়েদের শ্রমসময় ব্যবহার করে)-- এই ইউনিট গুলো অনেক বেশি আর্থিক হিসেবে লাভজনক হবে ও প্রজননজনিত হাঙ্গামা কম হবে।
  • pi | 24.139.221.129 | ০৩ জুন ২০১৪ ১৮:৩৬639550
  • সিকি | 131.241.127.1 | ০৪ জুন ২০১৪ ১৭:২১639552
  • নিতাই, এটা কি পন্ডিতের ক্যান্টিন? এক নম্বর আর দুনম্বরের মাঝখানে?
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ০৪ জুন ২০১৪ ১৭:৪২639553
  • ঃ((
    ভাইদার ক্যান্টিন মনে হয়।
  • কল্লোল | 111.63.146.54 | ০৪ জুন ২০১৪ ১৭:৫৪639554
  • অধ্যক্ষের পদবীটি মচৎকার - ঝম্পটি।
  • সিকি | ০৪ জুন ২০১৪ ১৮:৩৩639555
  • হ্যাঁ, জ্যোতির্ময় ঝম্পটি। আমরা ঝম্পু বলতাম।

    ঝম্পুর অনেক গল্প আছে। লিখে বোঝানো যায় না। সাক্ষাতে ক্যারিকেচার করে দেখাব।
  • কল্লোল | 125.241.122.12 | ০৪ জুন ২০১৪ ১৯:০৯639556
  • আয় আয়। চলে আয়।
  • jhiki | 149.194.248.185 | ২৯ জুন ২০১৪ ০৮:৫৫639557
  • রঞ্জনদা বা অন্য কেউ, যারা অপারেশন বর্গার প্রবল সমর্থক, এই বিষয়ে কিছু বলবেন?

    http://www.anandabazar.com/editorial/অপ-র-শন-বর-গ-য-ক-ষত-কর-ছ-1.45451

    গ্রামের কিছু মাঝারি আর বড় চাষীদের (সাথে অন্য জীবিকাও ছিল) আত্মীয়তা সূত্রে আশি-নব্বই-এর দশকে যোগাযোগ ছিল। তারা অনেকটা এই ধরণের কথাই বলতেন। লিখিত ভাবে এর আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছেনা।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৯ জুন ২০১৪ ০৯:৩৯639558
  • "জমির মালিকের হাতে জমি থাকলে কৃষি ও শিল্পের দ্বার উন্মুক্ত হত।"

    ঐজন্যেই না সাহেবরা জনগনের উবগারের জন্যে পার্মানেন্ট সেটলমেন্ট না কি যেন করেছিল!!
  • sm | 122.79.39.69 | ২৯ জুন ২০১৪ ১১:১৭639560
  • ঝিকি যে পোস্ট তা করেছে,সেটা ইন অ নাটশেল চমত্কার ভাবে বর্গাদারী ও বাম সরকারের ভূমিকা বোঝোন হয়েছে। যেটা মেন প্রতিপাদ্য, সেটা হলো সরকারের তুঘলকি আচরণ। যেহেতু ওরা জমির মালিক, সেহেতু ওরা জোতদার। তাই জন্য, বর্গাদারদের সব বিলিয়ে দাও।কোনো পাইলট প্রজেক্ট নেই, কোনো সুস্থ চিন্তা ভাবনা নেই বা কোনো রকম কমপেনসেশন এর ব্যবস্থ্যা নেই। এটা সহজ উপায় কারণ সরকারের টাকা খরচা হচ্ছে না। ওই জিনিসের ই রিপিটেশন হয়েছে, রাজারহাটে। নতুন উপনগরী করব, তাই কৃষকের জমি নাম মাত্র মূল্যে ছিনিয়ে নাও। বেগর বাই করলে রক্তচক্ষু ও মার।
    কিন্তু অনেক কিছু করা যেত। জমির মালিক কে উপযুক্ত সম্মান, চাকরির আশ্বাস, কোনো বড় প্রজেক্ট এ শেয়ার এর অংশিদারিত্ব। পেনসন এর ব্যবস্থা, বা বিকল্প সমপরিমান জমি, অন্যত্র প্রদান করা। মনে রাখতে হবে,কৃষক কৃষিকাজ তাই জানে, তাকে দিয়ে পাহারাদারের কাজ নাও করানো যেতে পারে।এমন একটা পরিকল্পনা, যেখানে জমির মালিক বা কৃষক রা অসহায় বোধ না করেন। ওই কৃষক যখন দেখেন, কয়েক বছর পর সরকারই তার জমি কয়েক লক্ষ টাকায় প্রতি কাঠা হিসেবে বিক্রি করছে, আর তিনি কয়েক হাজার টাকা বিঘে প্রতি পেয়েছেন , তখন সহজেই তার মনের অবস্থা কি সেটা অনুমেয়।
    সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামেও প্রায় সেই জিনিস ই হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন