এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌভিক | 24.99.9.29 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০০:১৫644643
  • কবি তখন শায়িত পিস হেভেন এর মেঝেতে। একটু পরেই বরফ কফিনে তিনি আচ্ছাদিত হবেন। তারপর কাল শেষ যাত্রা। আমরা দাঁড়িয়ে আছি কবিকে ঘিরে। নিমীলিত তাঁর চোখ। মুখখানি শান্ত। দীর্ঘ রোগভোগের ক্লান্তির সব চিহ্ন তখন উধাও সেখান থেকে। যে মৃত্যু উপত্যকা তার দেশ ছিল না, আপাতত সেখানেই তিনি। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমাদের মনে পড়ে যাচ্ছিল তাঁকে পড়ার কথা, তাঁর ঋজু স্বল্প স্পষ্ট কথাগুলিতে আন্দোলিত হবার কথা। মনে পড়ে যাচ্ছিল নিজের লেখা সম্পর্কে তাঁর সেই অমোঘ উক্তি, " আমি লেখার ব্যাপারটা যেভাবে বুঝি সেটা নিছক আনন্দ দেওয়া বা নেওয়া নয়। আরো গভীর এক অ্যালকেমি যেখানে বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে।" একটা বিকল্প রণনীতি ছিল তাঁর সুখপাঠ্য আখ্যান থেকে নিজের লেখাকে পৃথক করার। একটা গভীর বিশ্বাস থেকে সেই রণনীতি তৈরি হয়েছিল। "পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্টের মৃত্যু হলেও ... সারা দুনিয়া জুড়ে কমিউনিস্টরা ফিরে আসবে। হ্যাঁ আসবে। তবে তার জন্যে আগামী সতেরো বছর বা তারও বেশি সময়ের প্রত্যেকটি ঘণ্টা ও প্রত্যেকটা মিনিট কাজে লাগাতে হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে কমিউনিস্টরা ফিরে আসবে। আসবেই। আর দশ নয়, দশ হাজার দিন ধরে দুনিয়া কাঁপবে।" সাহিত্যের কোন ভূমিকা পালনের জন্য কবি কলম ধরেছিলেন তা জানিয়ে একটি গল্প সংকলনের ভূমিকায় তিনি বলেছিলেন, " মানুষের এগিয়ে চলার, শোষণমুক্তি ও সমাজব্যবস্থা পাল্টানোর মডেল, পুঁজি ও প্রতিক্রিয়ার আঘাতে ও বামপন্থীদের আবশ্যিক আত্মসমীক্ষার অভাবের কারণে অনেকটাই তছনছ হয়ে গেছে। যে শতক সবচেয়ে আশা জাগিয়েছিল সেই শতক শেষ হচ্ছে অবসাদে বিষাদে যন্ত্রণাজর্জর অবস্থায়। আমি দৈনন্দিনতায়, প্রত্যহ নিকটে ও দূরে, নিয়ত যা দেখতে পাই তা হল পরতে পরতে স্তরে স্তরে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন বর্গের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শোষণ, নতুনতর ঔপনিবেশিকতা ও সংস্কৃতি সাম্রাজ্যবাদের অমানুষীকরণের দেখা না দেখা হাতকড়া ও চোখভুলোনো ঠুলির ভার। সামন্ততন্ত্র বা পুঁজিবাদের বালক বয়সের প্রত্যক্ষ নিষ্ঠুরতার চেয়েও এ যেন অধিকতর মারাত্মক, জঘন্য ও অপমানজনক। এই দলিত মথিত মানুষ ও তাদের জীবনের এক বিচিত্র ক্যালেইডোস্কোপের মধ্যে আমার জীবন কাটছে। চারপাশে তাই আমি দেখি। কিন্তু চূড়ান্ত নিরিখে এই বাস্তবকে আমি চিরস্থায়ী বলে মানি না। বাস্তবকে পাল্টাতে হবে। হবেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চেতনা তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহিত্যের অবশ্যই একটি বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে।"
    এই ভূমিকা পালন করে আমাদের সামনে উড়ে যাচ্ছে একের পর এক পাতা। কোনটা উড়ে এসেছে হারবার্ট, ভোগী, যুদ্ধ পরিস্থিতি, খেলনা নগর, কাঙাল মালসাট, লুব্ধক অটো বা মসোলিয়ম এর মতো উপন্যাস থেকে কোনটা বা হালাল ঝাণ্ডা, অন্ধবেড়াল, ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচাক বা কুম্ভীপাক এর মতো গল্পের বইগুলো থেকে। পুলিশ করে মানুষ শিকার, মুখে মেঘের রুমাল বাঁধা, রাতের সার্কাস এর মত কবিতার বইগুলিতে যিনি বলতে চেয়েছেন বারবার "এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়" - সেই কবি নবারুণ ভট্টাচার্যই কি এখন আমাদের সামনে শেষ শয্যায় শায়িত পিস হেভেনের মেঝেতে ?
  • aam aadmi | 160.212.31.4 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৪:০৭644754
  • ওনার কিছু লেখা পড়ার চেষ্টা করেছি, বেশিদূর বুঝিনি। কিছু স্ট্রিট স্মার্ট ছড়া দেখেছি, পুরন্দর ভাট বলে একটি চরিত্র বলে।তাতে প্রচুর কারণে অকারণে খিস্তি থাকে, ফেসবুকে "খুব বুঝি" স্মার্ট ছেলেমেয়ে রা কোট করে। এগুলো কেন অসাধারণ সাহিত্যসৃষ্টি, আমার মাথায় ঢোকেনি। গল্প দু একটি দেখেছি, ওরকম খিস্তিতে ভরা। আমার তাতে খুব একটা আপত্তি নেই, কিন্তু এইগুলো অসাধারণ কেন, সেটা আমার মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেছে। হার্বার্ট বলে একটা সিনেমাও দেখেছিলাম। তাতেই বা কি হয়েছিল, কেন হয়েছিল, পুরো উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।

    দু একবার সাহস করে জিগ্গেস করেছিলাম, লোকে "তোর নবারুণ বোঝার মত বিদ্যে আছে?" বলে কাটিয়ে দিয়েছে। তাই আজকে সিরিয়াসলি জানতে চাইলাম। আপনারা যারা ওর লেখা পড়েছেন, একটু ভালো করে বুঝিয়ে বলুন ওনার লেখা সম্পর্কে। আমি জানতে আগ্রহী।
    ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
  • সিকি | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৭:০৬644865
  • আম আদমির শেষ প্যারার প্রতিধ্বনি করলাম।

    আমি নবারুণ এক লাইনও পড়ি নি, হার্বার্টের ট্রেলার দেখেছি, আর ঐ কিছু স্ট্রিট স্মার্ট ছড়া পড়েছি। এদিক সেদিকে শেয়ার করা। সেগুলো আপাতভাবে মেদহীন ছড়া লাগলেও, খিস্তির আধিক্য - কেন এগুলোকে ঠিক উঁচুদরের সাহিত্য বলা হবে, আমার মাথায় ঢোকে নি।

    না, নবারুণ পড়ার চেষ্টাও করা হয় নি। মূলত অনীহা, ট্রেলার দেখেই মূল লেখা পড়ার ইচ্ছে চলে গেছে, কিছুটা সময়াভাব। যে কারণেই হোক, জোগাড় করে পড়া হয়ে ওঠে নি।

    যাঁরা পড়েছেন, ঋদ্ধ হয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকেই বরং শুনি নবারুণের লেখার গল্প। দেখি, যদি এই টই পড়ে নতুন করে পড়বার ইচ্ছে জেগে ওঠে।
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৭:৫৩644952
  • কী দরকার? যে যেমন যা ভালবেসে পড়েছেন তাইই পড়ুন না। ভাল না লাগলে পড়বেন না, চুকে গেল।
  • byaang | 132.178.199.218 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৭:৫৪644963
  • সিকি আর আম আদমির মতন অবস্থা আমারও।

    এই টইয়ে আমিও চোখ রাখলাম।
  • সিকি | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৮:০৬644974
  • তা বললে তো হয় না দ। চারপাশে শোকের আবহে আমার কিছুই শোকতাপ হচ্ছে না, এতে বডডো পিয়ার প্রেশার অনুভব করছি। মনে হচ্ছে কিছু মিস করেছি। কী মিস করেছি সেইটা যদি সবাই মিলে একটু একটু করে লেখে, অসুবিধা কী।
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৮:১৬644985
  • সব লেখাই সকলের জন্য হয় না তো। সকলের সবকিছু ভালও লাগে না, লাগার কথাও নয়। যাঁরা শোকগ্রস্ত তাঁরা নিজের শোক হাল্কা করার জন্যই হোক বা স্বাভাবিক আগ্রহে আলোচনা করার জন্যই হোক নিজেরা আলোচনা করতেও পারেন, নাও পারেন। কিন্তু যাঁদের ভাল লাগে নি বা যাঁরা শোকগ্রস্ত নন তাঁদের 'বোঝানোর' চেষ্টা করা আমার মতে বাতুলতা।

    আর এর আগেও গুরুতে নবারুণকে নিয়ে বড়সড় আলোচনা হয়েইছে। অল্প কিছুদিন আগেই পাইয়ের সাথে হল।

    বাংলা সাহিত্যের একটাস্বতন্ত্র ধারার স্রষ্টার লেখার কাটা ছেঁড়া হতেই পারে, হওয়া উচিৎও। কিন্তু 'আমি বুঝি নি, আমায় বোঝানোর জন্য লিখুন' অতেব মোজাখিল্য দাবী।
  • Ishani | 125.244.227.141 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৮:২৪644996
  • আমিও কিন্তু হারবার্ট ছাড়া নবারুণের লেখা তেমন পড়িনি | আসলে টুকরোটাকরা চোখ বুলিয়েছি যখন , বুঝতেই পারিনি | বুদ্ধিশুদ্ধি নিতান্ত কম আমার | তাঁর লেখার কাছে পৌঁছতেই পারিনি | আমার বহু বন্ধুবান্ধব নবারুণের অনুরাগী | আমি আমার এই না-জানার , না-বোঝার কারণে দীর্ঘকাল চাপা হীনমন্যতায় ভুগছি | এই টই -তে আমিও চোখ রাখব | নবারুণের লেখা নিয়ে যা কিছু আলোকপাত হবে .. তাতে | না, আমাকে বোঝানোর জন্য নয় ; তাঁর ভিন্নধর্মী লেখা নিয়ে দু'চার কথা পড়ব এবং জানব বলে |
  • কনফেশন | 233.176.11.101 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৮:৩২645007
  • কেহই বোঝেনি মোরে
    কেহই বাঁধেনি ডোরে
    কেহই দেয়নি গলে মালা,
    সকলেই লাথায়েছে
    বঁড়শিতে গাঁথায়েছে
    বলিয়াছে,মর তুই শালা
    তাই আমি বলি ধিক
    হাসি শুধু ফিক ফিক
    গোপনে করিয়া যাই ট্রাই,
    কবে সব শালাগণে
    জড়ো করি কচুবনে
    একযোগে করিব জবাই
  • dd | 132.167.168.53 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৯:১০644644
  • ঐ যে। আমার মস্তো পি পাকামী। তাই হেথায়ও ফুট কেটে যাই।

    নরারুণ বাবুর পদ্যগুলি খুব বাজে লাগে। নতুন ধারা বলতে যদি "খিস্তি" ইউস করাটাই একমাত্র (একমাত্র) উপায় হয় তো বলি এ গুলি হাই ইশ্কুলের ছাত্রোরা অনেক আগেই রপ্ত করেছে।

    যে টুকু উইট আছে তা ঐ খিস্তিতেই সীমাবদ্ধ। ওর বাইরে কিছু নেই।

    আমার আর্লি যইবনে কমল কুমার আর বিনয় মজুমদার নিয়ে খুব মারামারি হোতো। এই দু জনেই আমার হেভী ফেবারিট। কিছু লোকেরা প্রচন্ডো ক্ষেপে যেতো,বলতো "তুই হচ্ছিস স্রেপ ফ্রড পাব্লিক। পুরো ফেক"। বিশ্বাসই করতো না এদের লেখা ভালো লাগতে পারে।আম্মো "তোরা মাথামোটা" বলে তর্কো শেষ কত্তেম।

    এখনেও দেখি প্রায় সে রকম।

    আমার ভাল্লাগে নি। অন্য কারুর দারুন লেগেছে। এই রকমই তো হয় রে দাদুভাই।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৯:২৯644655
  • দ বোধ হয় আমার বক্তব্যটা বোঝে নি, অথবা বুঝতে চাইছে না - ডিফেন্সিভ হয়ে যাচ্ছে। "আমি বুঝি নি, আমায় বোঝানোর জন্য লিখুন" আমি তো একেবারেই লিখি নি। স্পষ্ট লিখেছি, আমি পড়ি নি। সামান্য যেটুকু ছিটেফোঁটা এদিক সেদিক পেয়েছি, তাতে ইন্টারেস্ট জাগে নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এত লোকের ইন্টারেস্ট দেখে জানবার ইচ্ছে হচ্ছে। যাঁরা জানেন, তাঁরা একটু একটু করে লিখলে অনেক কিছু জানা যায়। তাতে ইন্টারেস্ট নতুন করে জাগবে কিনা জানি না। জাগতেও পারে।

    এখন, এই কথার খুব সোজা একটা উত্তর হয় - জানবার ইচ্ছে তো বই জোগাড় করে পড়ে নাও না বাপু। এই লাইনে খেললে কিসুই বলার নেই।

    অ্যাকচুয়েলি, এই দুনিয়ায় অনেকেরই অনেক বই পড়া নেই, অনেকেরই অনেক সিনেমা দেখা নেই। একজন দুজন পড়ে, দ্যাখে, ভালো লাগলে রিভিউ লেখে, সমালোচনা করে, গুরুর পাতায়, অন্যত্র। অন্যকে ইন্টারেস্ট জাগাতেই হবে, এটাই যদি মটো হত, তা হলে এই রিভিউ সমালোচনাগুলো করারও কোনও মানে হয় না। কেন লোকে তা হলে সিনেমা দেখে ভালো লাগলে এখানে দু লাইন লিখে যায়? কেন লোকে বইপত্র ভালো লাগলে এখানে তাই নিয়ে আলোচনা করে?

    আমার ভালো লেগেছে, ওর ভালো লাগে নি, ইন ফ্যাক্ট ও পড়েই নি, ওকে ভালো লাগানোর দায়িত্ব আমার নয় - এইভাবে ভাবলে আমি একটু চাপ খেয়ে যাই। এই আর কি।

    ব্যক্তি নবারুণ, কবি নবারুণ, লেখক নবারুণ সম্পর্কে আমি প্রায় কিছুই জানি না। তাঁর অনুরাগী বা বিরূপ কোনওটাই নই। একটা ধারণা গড়ে তোলার জন্য রিকোয়েস্টটা করেছিলাম। সদ্যপ্রয়াত একজনের ওপর খিল্লি করার জন্য লিখি নি। বোঝবার ভুল হলে, দুঃখিত।
  • তাপস | 126.203.173.197 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ০৯:৫২644677
  • আর একটা কবিতা আমার কাছে সফ্ট কপি ছিল

    যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায়
    আমি তাকে ঘৃণা করি-
    যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছে
    আমি তাকে ঘৃণা করি-
    যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরাণী
    প্রকাশ্য পথে এই হত্যার প্রতিশোধ চায় না
    আমি তাকে ঘৃণা করি-
    আটজন মৃতদেহ
    চেতনার পথ জুড়ে শুয়ে আছে
    আমি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাচ্ছি
    আট জোড়া খোলা চোখ আমাকে ঘুমের মধ্যে দেখে
    আমি চীৎকার করে উঠি
    আমাকে তারা ডাকছে অবেলায় উদ্যানে সকল সময়
    আমি উন্মাদ হয়ে যাব
    আত্মহ্ত্যা করব
    যা ইচ্ছা চায় তাই করব।
    কবিতা এখনই লেখার সময়
    ইস্তেহারে দেয়ালে স্টেনসিলে
    নিজের রক্ত অশ্রু হাড় দিয়ে কোলাজ পদ্ধতিতে
    এখনই কবিতা লেখা যায়
    তীব্রতম যন্ত্রনায় ছিন্নভিন্ন মুখে
    সন্ত্রাসের মুখোমুখি-ভ্যানের হেডলাইটের ঝলসানো আলোয়
    স্থির দৃষ্টি রেখে
    এখনই কবিতা ছুঁড়ে দেওয়া যায়
    ’৩৮ ও আরো যা যা আছে হত্যাকারীর কাছে
    সব অস্বীকার করে এখনই কবিতা পড়া যায়
    লক-আপের পাথর হিম কক্ষে
    ময়না তদন্তের হ্যাজাক আলোক কাঁপিয়ে দিয়ে
    হত্যাকারীর পরিচালিত বিচারালয়ে
    মিথ্যা অশিক্ষার বিদ্যায়তনে
    শোষণ ও ত্রাসের রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে
    সামরিক-অসামরিক কর্তৃপক্ষের বুকে
    কবিতার প্রতিবাদ প্রতিধ্বনিত হোক
    বাংলাদেশের কবিরাও
    লোরকার মতো প্রস্তুত থাকুক
    হত্যার শ্বাসরোধের লাশ নিখোঁজ হওয়ার স্টেনগানের গুলিতে সেলাই হয়ে
    যাবার জন্য প্রস্তত থাকুক
    তবু কবিতার গ্রামাঞ্চল দিয়ে
    কবিতার শহরকে ঘিরে ফেলবার একান্ত দরকার।
    এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
    এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না
    এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না
    এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না
    আমি আমার দেশকে ফিরে কেড়ে নেব
    বুকের মধ্যে টেনে নেব কুয়াশায় ভেজা কাশ বিকেল ও ভাসান
    সমস্ত শরীর ঘিরে জোনাকি না পাহাড়ে পাহাড়ে জুম
    অগণিত হৃদয় শস্য, রূপকথা ফুল নারী নদী
    প্রতিটি শহীদের নামে এক একটি তারকার নাম দেব ইচ্ছে মতো
    ডেকে নেব টলমলে হাওয়া রৌদ্রের ছায়ায় মাছের চোখের মত দীঘি
    ভালোবাসা-যার থেকে আলোকবর্ষ দুরে জন্মাবধি অচ্ছুৎ হয়ে আছি-
    তাকেও ডেকে নেব কাছে বিপ্লবের উৎসবের দিন।
    হাজার ওয়াট আলো চোখে ফেলে রাত্রিদিন ইনটারোগেশন
    মানি না
    নখের মধ্যে সূঁচ বরফের চাঙড়ে শুইয়ে রাখা
    মানি না
    পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা যতক্ষণ রক্ত ঝরে নাক দিয়ে
    মানি না
    ঠোঁটের ওপরে বুট জ্বলন্ত শলাকায় সারা গায়ে ক্ষত
    মানি না
    ধারালো চাবুক দিয়ে খন্ড খন্ড রক্তাক্ত পিঠে সহসা আ্যালকোহল
    মানি না
    নগ্নদেহে ইলেকট্রিক শক কুৎসিৎ বিকৃত যৌন অত্যাচার
    মানি না
    পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা খুলির সঙ্গে রিভলবার ঠেঁকিয়ে গুলি
    মানি না
    কবিতা কোন বাধাকে স্বীকার করে না
    কবিতা সশস্ত্র কবিতা স্বাধীন কবিতা নির্ভীক।
    চেয়ে দেখো মায়কোভস্কি হিকমেত নেরুদা আরাগঁ এলুয়ার
    তোমাদের কবিতাকে আমরা হেরে যেতে দিইনি
    বরং সারাটা দেশ জুড়ে নতুন একটা মহাকাব্য লেখবার চেষ্টা চলছে
    গেরিলা ছন্দে রচিত হতে চলেছে সকল অলংকার।
    গর্জে উঠুক দল মাদল
    প্রবাল দ্বীপের মত আদিবাসী গ্রাম
    রক্তে লাল নীলক্ষেত
    শঙ্খচূড়ের বিষ-ফেনা মুখে আহত তিতাস
    বিষাক্ত মৃত্যুসিক্ত তৃষ্ঞায় কুচিলা
    টণ্কারের সূর্য অন্ধ উৎক্ষিপ্ত গান্ডীবের ছিলা
    তীক্ষ্ম তীর হিংস্রতম ফলা-
    ভাল্লা তোমার টাঙ্গি পাশ
    ঝলকে ঝলকে বল্লম চর-দখলের সড়কি বর্শা
    মাদলের তালে তালে রক্তচক্ষু ট্রাইবাল টোটেম
    বন্দুক কুরকি দা ও রাশি রাশি সাহস
    এত সাহস যে আর ভয় করে না
    আরো আছে ক্রেন, দাঁতালো বুলডজার বনভয়ের মিছিল
    চলামান ডাইনামো টারবাইন লেদ ও ইনজিন
    ধ্বস-নামা কয়লার মিথেন অন্ধকারে কঠিন হীরার মতো চোখ
    আশ্চর্য ইস্পাতের হাতুড়ি
    ডক জুটমিল ফার্ণেসের আকাশে উত্তোলিত সহস্র হাত
    না ভয় করে না
    ভয়ের ফ্যাকাশে মুখ কেমন অচেনা লাগে
    যখন জানি মৃত্যু ভালোবাসা ছাড়া কিছু নয়।
    আমাকে হ্ত্যা করলে
    বাংলার সব কটি মাটির প্রদীপে শিখা হয়ে ছড়িয়ে যাব
    আমার বিনাশ নেই-
    বছর বছর মাটির মধ্য হতে সবুজ আশ্বাস হয়ে ফিরে আসব
    আমার বিনাশ নেই-
    সুখে থাকব, দুঃখে থাকব সন্তান-জন্মে সৎকারে
    বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন
    মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন।
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:০৭644699
  • ডিফেন্সিভ? কী দুঃখে? আমার ডিফেন্সের অপেক্ষায় ওঁর লেখাপত্রকে বসে থাকতে হয় না (থ্যাঙ্কফুলি)\

    গুরুতেই নবারুণের গদ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কবিতা নিয়ে একেবারেই হয় নি। হার্বার্ট নিয়ে চমৎকার লেখাপত্র আছে। এবারে তাতে আগ্রহী হলে বইপত্র খুব দুর্লভ নয়। সদা দিয়েছিল, এমনিতেও আগ্রহী হলে যোগাড় করা অসম্ভব নয়।

    আমার বক্তব্য একলাইনে এরকমঃ বুঝতে চাইলে ওঁর লেখাই পড়তে হবে। পড়বেন কিনা সেটা আপনার চয়েস।
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:১২644710
  • এই গল্প সমগ্রটাই বোধহয় শ্রী সদা শেয়ার করেছিল।
  • তাপস | 126.203.173.197 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:১৮644721
  • সিকি এবং অন্য অনেকের যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেটা আমার কাছে খুব প্রত্যাশিত l নবারুণ তো সাবভার্সিভ ডিসকোর্স তৈরির চেষ্টা করে গেছেন । ক্রমাগত করে গেছেন । সে ডিসকোর্সে অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে খিস্তি । খিস্তিকে উনি নিজে কতদূর অবধি কন্ট্রোল করতে পেরেছেন, বা করেছেন, বা করেননি, এইখানে গিয়ে একটা থিন লাইন তৈরী হয় । যে থিন লাইনের ওপারে এবং এপারে আমরা সবাই ঘোরাঘুরি করি বিভিন্ন সময়ে । স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, এইবার সাবভার্সিভ টেক্সটের নামে খিস্তিবাজি চালু হবে । যেমন শক্তি নকলে অনেকে খালাসিটোলাকেই তাঁদের আরাধ্য করে তুলেছিলেন, কবিতাকে করে তুলতে পারেননি । সাবভার্সিভ টেক্সটকে রাজনৈতিকভাবে যথাযথ হয়ে ওঠা জরুরি । কারণ সাবভার্সন ইটসেলফ ইস আ পলিটিক্যাল প্রসেস । সেই বয়ানে যখন ক্রমশ ঢুকে পড়তে থাকে চালু খিস্তিরা, তখন তাকে স্রেফ এক্সপ্রেশনস হিসেবে নেওয়া হবে, নাকি পড়তে হবে সেই খিস্তির উত্পত্তির সামাজিক কন্টেক্স্টকেও সেটা চর্চার বৈকি ! অন্তত আমার কাছে সে চর্চা অতীব প্রয়োজনীয় ও বাঞ্ছিত ।
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:২৩644732
  • উপন্যাসের লিঙটা খুলছে না।
  • robu | 122.79.39.65 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:৩৫644743
  • তাপসদাকে ক।
    কাল আপিস না গেলে লিখব। সদাও লিখুক।
    সিকি যুদ্ধ পরিস্থিতি দিয়ে শুরু করুক।
  • de | 69.185.236.51 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:৩৯644766
  • আহা, তাপসের দেওয়া কবিতাটা! কতদিন পর পড়লাম!
  • sch | 192.71.182.106 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১০:৪৩644777
  • কোনো লেখকের লেখা পাঠকের হয় ভালো লাগে, বা লাগে না বা পাঠক বুঝতে পারেন না। এর বাইরে আর কিছু হওয়া সম্ভব বলে মনে করি না। পাঠক বুঝতে না পারলে পাঠকও বলতে পারেন না এটা ভাটের লেখা বা লেখকও বলতে পারেন না - দূর মশাই আপনার যোগ্যতা নেই আমার লেখা পড়ার - দুজনকেই মেনে নিতে হবে তাদের পারষ্পরিক ইন্টারেস্ট এক নয়। এটুকুই।

    এই নিয়ে তক্কের সুযোগ কোথায়। হার্বার্ট ছাড়া নবারুণের আর যে যে লেখা পড়েছি, বুঝতে পারি নি। কিন্তু তাতে লেখক হিসেবে নবারুণ যে খ্যাতি পেয়েছেন আমি তাকে অগ্রাহ্য বা অসম্মান করতে পারি না আর তিনিও বলতে পারেন না আমি একটা গান্ডু।

    তাঁর লেখায় যে খিস্তির আধিক্য, সেটাকে সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের স্বাভাবিক দৈনন্দিন ভাষা বলে মেনে নিলেই হয়। কালিঘাট অঞ্চলে কিছু কাজ করার সময় যে সব ভাষা এক দু ঘন্টাইয় রাস্তায় শুনেছি তার তুলনায় নবারুণ সুললিত। আমরা সবটাই মাপি আমাদের পরিচিত জগতের প্রেক্ষিতে।

    যে মানুষটি সদ্য চলে গেছেন আজ আর তাকে নিয়ে তক্ক না করাই মনে হয় ভালো - একটা দিন না হয় না বুঝেই শ্রদ্ধা জানালাম
  • সিকি | 131.241.127.1 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:১২644788
  • শুরু করব, সত্যিই শুরু করব।

    তবে দ বডডো রেগে গেছে, নইলে আমাকে আপনি করে কথা বলে? এইগুলোই তো ডিফেন্সিভনেসের লক্ষণ।

    সব্বাইকে ধন্যবাদ। সদা আগে দিয়েছিল বোধ হয়, আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। আপাতত তাপসকে ফুল ও সদাকে হাফ থ্যাঙ্কু।
  • Du | 230.225.0.38 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:১৪644799
  • আমি তো ওনার লেখা পড়িনি তেমন। কিন্তু বইমেলাতে দেখেছিলাম সামনে থেকে, আর সেইটাই মনে পড়ছে থেকে থেকে।
  • Arpan | 125.118.23.170 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:২৫644810
  • সিকি, অটো ও ভোগী দিয়ে শুরু করতে পারো।
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:২৮644821
  • আমার গায়ে রাগ বা ডিফেন্সিভনেসের ্ভ্হ্হাপ্পা মারাটা আসলে নিজের ডিফেন্সিভনেসের লক্ষণ। সদার ফেবু ট্যাটাসটা মনে পড়ল।

    শুভ রাবার স্ট্যাম্পিং
  • | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:২৯644832
  • *ছাপ্পা মারাটা
  • lcm | 118.91.116.131 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:৩৫644843
  • বেশী পড়ি নি।

    খিস্তি, ফ্যাতাড়ু, সাবল্টার্ন, বিপ্লব্চেতনা.... এসবের বাইরে নবারুণ ভট্টাচার্যের বাংলা লেখার স্টাইলটি খুবই আকর্ষনীয় ও সুখপাঠ্য।

    এই যেমন, রাতের ছুটন্ত ট্রেনের বিবরণ ---

    "...ট্রেন ছুটে আসাতে লাইনের দুধারে পালাতে গিয়ে সিগনালের তারে পা জড়িয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যায় অন্ধকার... ... বাতাস হা হা শব্দ করে গাছগুলোকে জড়িয়ে ধরে..."

    রাতের ট্রেনে বসে বাইরে তাকানোর অনুভূতিকে যিনি এভাবে ধরেছিলেন, তার লেখনীকে সেলাম।
  • সিকি | 131.241.127.1 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:৪২644854
  • ঠিক আছে। পড়তে থাকব। তবে এই টইতে আর লেখা থেকে সরে দাঁড়ালাম। এরকমের উগ্র ব্যবহার আশা করি নি।
  • Ekak | 229.64.69.98 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১১:৪৩644866
  • সবাইকে । সব । বুঝতেই । বা । হবে ক্যানো ?

    সব লেখক সবার জন্যে নন । এমনকি একই লেখকের সব লেখাও সবার জন্যে নয় । পিআর প্রেসার আছে বলে বুঝতে হবে এ ওতি বাজে আবদার । অমন পীআর দের ত্যাগ করুন । অপছন্দের জিনিসপত্র এড়িয়ে চলার সম্পূর্ণ অধিকার আছে সবার ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন