এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১২:১৮644877
  • সস্তা কাগজে ছাপা, ভাঙাচোরা টাইপ, আঁকাবাঁকা ফর্ম্যাটিং, কয়েকটা পাতা। কারুর কাছে পাওয়া গেলে সে সোজা পৌঁছে যাবে রুনুপুলিস নয় দেবীপুলিসের করুণার স্বর্গে । পাতাগুলো প্রথম ধরার সময় হাত কাঁপতো কয়েক সেকেন্ড । জানিনা, ভয়ে না উত্তেজনায় । তার পর মাথার ভিতরে কাঁপ, অনেকক্ষণ। একটা সময় ছিলো। নিজের ভিতর থেকে খোলস ছেড়ে আরেকটা মানুষের বেরিয়ে আসা। একটা প্রচন্ড চড়, অনুভবে....

    এক ঝটকায় বালক থেকে 'মানুষ' হয়ে যাবার বেজোড় অভিজ্ঞতা, এই কবিতাটা দিয়েছিলো বালক বয়সে ....

    " .....যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায়
    আমি তাকে ঘৃণা করি-..."
    ---------------------------
    বহু, বহুদিন পরে একদিন সর্বমান্য পন্ডিত সুধীর চক্রবর্তী মশায়ের সঙ্গে আড্ডা । জানতে চাইলুম, ন্যারেটিভ বাংলা গদ্য কী পড়েন এখন? তখন শ্রীহর্ষের সাম্রাজ্য বিস্তার সদ্য শুরু হয়ে গেছে নিমাই-শংকরের ঐতিহ্য অনুসরণ করে । তিনি বলেন নবারুণ পড়ি; আড্ডা ক্রমে জমে ওঠে।
    ---------------------------
    নবারুণ কি কাউকে 'ভালো' লাগানোর জন্য লিখতেন ? উত্তরটা এককথায় 'না'। কখনো-ই লেখেননি । যাদের 'ভালো' লেগেছে, লেগেছে । না লাগলেও কোনও মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়না। ভিন্নরুচির অধিকার মানুষের জন্মসিদ্ধ সঞ্চয়। তাঁর লেখা যাঁদের পাঠযোগ্য মনে হয়না, সেই সব পাঠকের প্রতি তাঁর কোনও অনুযোগ নেই । থাকার কথাও নয় । নবারুণ তো কোনও 'লেখক' ন'ন, তিনি একটা ধারণা। যেমন, কমলকুমার বা বিনয় মজুমদার । সবার ধারণা যে এক হবেই সে রকম মাথার দিব্যি তো কেউ কখনও দেয়নি। যাঁর ভালো লাগেনি, তিনি সময় পেলে আরেকবার পড়ার প্রয়াস নেবেন । তাও যদি মনে হয় পন্ডশ্রম, ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেন। কোনও গাছের একটা পাতাও ঝরে পড়বেনা । ভাবনার জগতে যাঁরা উচ্চমন্যতায় ভোগেন তাঁরা আসলে খুব গরিব। পাঠক সাধারণের মধ্যে শ্রেণী তৈরি করার যে সতর্ক বাণিজ্য প্রেরণা সতত ক্রিয়াশীল, তার বিরুদ্ধেই সাবভার্সিভ ন্যারেটিভের যুদ্ধ। রুচিশীল মানুষের বিচারে, অশালীন, অশ্লীল শব্দসমূহ ও তার আপত্তিকর ব্যবহারপ্রকরণ, একান্তভাবে পরিহার্য। তথাকথিত রুচিবিরুদ্ধ শব্দগুলি অস্ত্রের মতো। সাহিত্যে তার সঠিক ব্যবহার অনুশীলন সাপেক্ষ। নবারুণ কতোটা 'সফল' সাহিত্যিক তার বিচার মহাকাল করবে । কিন্তু তিনি একজন আগুনখোঁজা মানুষ। বরফশীতল মর্গের শান্তিতে সুসম্পন্ন একটি মানবসমাজে তিনি কিছু তাপ এনে দিতে চেয়েছিলেন । সেই আগুন অল্পপ্রাণকে বাঁচিয়ে তুলবে, নিষ্প্রাণকে দাহ করে সমাজকে কলুষমুক্ত করবে। এরকমই আশা-আকাঙ্খা দেখে গেছি তাঁর মধ্যে। আপাততঃ তাঁর ভূমিকা ছিলো এরকমই। তাঁর যাবতীয় অক্ষরবদ্ধ প্রয়াসকে সেভাবেই ভাবিনা কেন, আজ?

    তিনি তো নোবেলপিয়াসী কলমজীবী ছিলেন না, কোনও কালেই।
  • dc | 133.201.214.199 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১২:২০644888
  • এককের পোস্টটা খুব ভাল্লাগলো। আমি কতো লেখকের কতো বই পড়িনি শুধু না, তাদের নামই শুনিনি। কোন বন্ধু বা আত্মীয় দুএক সময়ে বলে, আরে তুই এনার নাম শুনিসনি বা এনার লেখা পড়িসনি? আমি বলি দুর বাল, নাম শুনিনি তো শুনিনি, তাতে কার কি? নো পিয়ার প্রেসার! (সাহস করে একটা খিস্তি করে নিলাম, এই টইতে কেউ মনে করবেন না আশা করি)
  • quark | 24.139.199.12 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১২:২৬644899
  • "আম আদমি" আর "সিকি" কে অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম অনেকের কাছে অপ্রিয় হ'তে পারে জেনেও মনের কথাটা খুলে জানাবার সাহস দেখে।

    উল্টোদিকের "কী দরকার", "পড়ে নিন না", "সব সবার জন্যে নয়" ইত্যাদি বেশ চোখে লাগল।
  • কল্লোল | 125.185.148.43 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১২:৪৪644910
  • এতো ঝামেলার কি আছে?
    কেউ পড়ে বলবে ভালো, কেউ না।
    কেউ না পড়ে বলবে ভালো, কেউ না।
    কারুর আগে ভালো লাগেনি, এখন ভালো লাগে।
    কারুর আগে ভালে লাগতো, এখন না।
    কারুর মনে হয় লোকটা সাংঘাতিক, কেউ মনে করে ভন্ড।
    এই তো?
    এতে রাগারাগির কি আছে। ডিফেন্স অফেন্স বলে আর কি হবে।
    আমার একটা কোশ্ন ছিলো -
    শিল্পী ও তার সৃষ্টিকে আলাদা করা উচিত না উচিত না?
    সোজা কথা নবারুণকে কি ফ্যাতারু বা হার্বার্ট বা অ্যানর্কিষ্ট হতেই হবে?

    বলো বলো বলো সবে..................
  • bh | 125.111.248.6 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১২:৫২644921
  • "শুধু আমার দেশ বা উন্নয়নশীল গরিব ও অন্যান্য দেশ নয়, গোটা দুনিয়ার মানুষকে এক নিষ্ঠুর "ভুলা মাসানের পাকে"ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই অপদেবতাকে আমি ঘৃণা করি ও তার নিঃশর্ত মৃত্যু চাই। সে আমাকে নতিস্বীকার করাতে চায়। বোঝাতে চায় যে ইতিহাসের সামনে আর কোনও পথ নেই, মতাদর্শ নিছকই হাত উড়ে যাওয়া মানুষের ফাঁকা আস্তিন যা গুটিয়ে কোনও লাভ নেই। সে যত একগুঁয়ে আমিও তার কথা বুঝতে ততটাই নারাজ। শেষ হাসিটা অপদেবতা নয়, মানুষই হাসবে। ইতিহাস সেই ভরসাই দেয়।"
  • /\ | 69.160.210.2 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৪:৪০644932
  • আমার মতে উপন্যাস সমগ্র থেকে প্রথমে যুদ্ধপরিস্থিতি, লুব্ধক, হারবার্ট পড়ে নবারুণ ভট্টাচার্যের ছোটো গল্প (প্রতিক্ষণেরটা) পড়ে ফিরে এসে উপন্যাস খেলনানগর, অটো ও ভোগী পড়ে ছোটোগল্পের অন্যান্য সংকলনের (নবারুণ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ গল্প (দে'জ), হালাল ঝান্ডা, অন্ধ বেড়াল) শেষে ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচাক পড়ে, কাঙাল মালসাট, মসোলিয়াম, ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক একটানা পরপর পড়ে অবশেষে নতুন বইগুলো (মহাযানের আয়না, আনাড়ির নাড়িজ্ঞান, অ্যাকোয়রিয়াম, আংশিক চন্দ্রগ্রহণ) পড়লে ভালো হবে। পুলিশ করে মানুষ শিকার, এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না, মুখে মেঘের রুমাল বাঁধা, রাতের সার্কাস, বিদেশী ফুলে রক্তের ছিঁটে, বুলেটপ্রুফ কবিতা (সন্দর্ভ প্রকাশ) - এইসব কবিতার বই পাশে রাখবেন। যে কোনো গল্প ও উপন্যাস পড়ার মাঝে মাঝে ২-১ টা করে পড়বেন। একসাথে বেশি কবিতা পরপর পড়বেন না। দে'জ ও সন্দর্ভ প্রকাশ ছাড়া ভাষাবন্ধন ও সপ্তর্ষিতে গেলেই সব বই পেয়ে যাবেন। ই-বুকের জন্যে গুগুলে ভরসা রাখুন। প্রতিক্ষণের বইটার হার্ড কপি আর পাবেন না। তবে ছোটোগল্পের প্রায় সবই এবই সেবই এ মিলিয়ে মিশিয়ে পেয়ে যাবেন। একান্তই ""সব"" নবারুণ পড়ার মতো রোখ উঠলে অন্য কিছু পত্র-পত্রিকার লেখা খুঁজে পড়তে হবে। তখন সাহায্য করা যাবে। সমকালীন বাংলা সাহিত্য পাঠক হিসেবে মনে হয় উপরের বইগুলো পড়া উচিত। এই লেখককে না চিনলে সমকালীন সাহিত্যের একটা পথ, একটা ধারা না-ছোঁয়া থেকে যাবে। যদিও এ পথে হাঁটার লোক বেশি অবশিষ্ট নেই। অবিলম্বে কাঁটাঝোপ লতাগুল্মে ঢেকে আড়াল হয়ে যাবে এই পথটিও।
  • /\ | 69.160.210.2 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৪:৪৭644943
  • "যদিও আমার লেখার শুরু ষাট দশকের শেষে, কিন্তু আমার প্রথম বই, কবিতার বই ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। ১৩৮৯-এর পয়লা বৈশাখ।

    এ বারে পুরো গল্পটা বলি। বই করার কথা, আমার লেখা যে কখনও বই হবে, তা ঘুণাক্ষরেও আমার মাথায় আসেনি। একটা সময় ভাবতাম, বই করা তো দূরের কথা, কবিতা ছাপার জন্যও কোথাও দেব না। নিজেই স্টেনসিলে লিখে সাইক্লোস্টাইল করব, হাতে হাতে দেব কয়েক জনকে। জোগাড়ও করেছিলাম রোলার, বোর্ড, কালি— ব্যাপারটা করতে গিয়ে দেখলাম যেমন ভেবেছিলাম সেটা চূড়ান্ত গুবলেট কেস হয়ে গেল। তবুও মনে হয়, হলে বেশ হত। অনেকটা গোপন ইস্তাহার ছাপিয়ে বিলি করার মতো।

    যাই হোক, প্রথম বইয়ের গোটা ব্যাপারটাই সম্ভব করেছিল ‘প্রমা’-র কর্ণধার সুরজিতের (প্রয়াত সুরজিৎ ঘোষ) আমার প্রতি বিশেষ ভালবাসা। ও জোর না করলে আমার প্রথম কবিতার বই, প্রথম গল্পগ্রন্থ (হালাল ঝাণ্ডা) বা প্রথম উপন্যাস (হারবার্ট) হয়তো বেরোতই না। ‘হারবার্ট’ তো ও আমায় দিয়ে কার্যত লিখিয়েই নিয়েছিল শারদসংখ্যা ‘প্রমা’ পত্রিকার জন্য।

    ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ শিরোনামের কবিতাটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। তাই ওই নামেই কাব্যগ্রন্থটির নামকরণ।

    দেরিতে বই করার পিছনে ছিল কিছুটা অনীহা, কিছুটা কুণ্ঠা- সব মিলিয়েমিশিয়ে এক অদ্ভুত অসাড় অনুভূতি। কিন্তু মনে মনে সারা ক্ষণ জানতাম যে আমি লেখক, সারা ক্ষণের লেখক। কিছু লেখবার জন্যই আমি এসেছি। আজ তিরিশ বছর পর কথাগুলি ভাবলে অদ্ভুতই লাগে যে আজকে আমার অনেকগুলো বই। যার মধ্যে মৃত্যু উপত্যকাও ফুরিয়ে যায়নি। ছাপা রয়েছে। যদিও পালটে গিয়েছে প্রকাশক।

    প্রথম বইকে তো রেলগাড়ির ইঞ্জিন হিসেবেও দেখা যেতে পারে, যে অন্যান্য বইয়ের কামরাগুলোকে টেনে নিয়ে যায়। রেলগাড়িটা কোথায় যাবে, সেটা ইঞ্জিনই জানে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে এ রকমই হয়েছে। রেলগাড়ি অবশ্য অনেক রকম হয়। অনেক লোক বেড়াতে যায় বা কাজের খোঁজে যায়। কখনও আবার রেলগাড়ি করেই হতভাগ্যদের নিয়ে যাওয়া হয় মৃত্যুশিবিরে।

    বইটির প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ছিল আমার। আমি তখন সোভিয়েত দূতস্থানের প্রচার বিভাগে চাকরি করতাম। সেখানেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শহিদ সোভিয়েত পার্টিজান জয়া কসমোদেমিয়ানস্কায়া-র একটি ফোটোগ্রাফ পাই। নাত্সি-রা অবর্ণনীয় অত্যাচারের পর জয়া এবং শুরা- এই দুটি মেয়েকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। এঁদের জীবনীও এক সময় ‘জয়া শুরার গল্প’ নামে অনেকেই পড়েছেন।

    ছবিটি আমি সুরজিৎকে দিই, যার ভিত্তিতে শিল্পী দেবব্রত রায় প্রচ্ছদটি নির্মাণ করেন। মোট কবিতার সংখ্যা ছিল চৌত্রিশটি। উৎসর্গঃ বাবা ও মাকে। দ্বিতীয় প্রমা-সংস্করণ বেরোয় ১৯৯৭-তে, যেখানে ‘পুলিশ করে মানুষ শিকার’ সংকলনের সতেরোটি কবিতা সংযোজিত হয়। এই বইটি ১৯৮৭-তে একটা ছোট পুস্তিকার মতো করে বেরিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল, এক মনোভাবের লেখাগুলো একই অভয়ারণ্যে ছেড়ে রাখা ভাল।

    মৃত্যু উপত্যকা হিন্দি ভাষাতেও অনূদিত হয়, সেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন প্রখ্যাত কবি মঙ্গলেশ ডবরাল। পরে শ্রদ্ধেয় কেদারনাথ সিং ও অন্য অনেকের কাছে শুনেছি এই কবিতাগুলি হিন্দি কবিতার জগতে বিশেষ ভাবে আদৃত হয়। সেটা ছিল বিক্ষুব্ধ সময়, বিক্ষোভের সময়, মৃত্যু উপত্যকার সেই রক্তাক্ত ঘরানা আজও অব্যাহত।

    শিরোনামের কবিতাটি বারাসত বরানগরের আট জন শহিদ যুবকের হত্যার প্রতিবাদে লেখা। বিষ্ণু দে-র ‘সাহিত্যপত্র’-য় ১৯৭২-এর মে মাসের সংখ্যায় কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং তার পর পরই বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায়ও অনুবাদ হতে থাকে। এই প্রথম ছাপা মৃত্যু উপত্যকা-র মাথায় চে গুয়েভারা-র লেখা থেকে একটা অংশ রেখেছিলাম। বইতে এই অংশটা আর যায়নি। সুযোগ পেয়ে এখানে তুলে দিলাম সেই লাইন ক’টা—
    উর ফ্রীদোম অন্দ ইত্স দইল্য সুস্তেনে অরে থে োলৌর ওফ ব্লূদ অন্দ স্বোল্লেন িথ স্রিফিে।
    উর স্রিফিে ইস অ োিঔস ওনেঃ ঈত ইস ইন পয়্মেন্ত ফোর থে ফ্রীদোম ে অরে বুইল্দিঙ্গ। — হে

    কবিতাটি ছাপার জন্য অন্ধ্রে জনৈক সম্পাদককে গ্রেফতারও করা হয়েছিল! সেই আট জন শহিদ যুবকের প্রসঙ্গ ‘হারবার্ট’-এও আছে, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’-তেও আছে। সেই সময়ের রেশ আমার মধ্যে রয়ে গিয়েছে, থাকবেও।

    ‘দেশ’ পত্রিকায় বইটির একটি সুন্দর সমালোচনা হয়েছিল। সেখানে সমালোচক ঠিক ভাবেই বলেছিলেন, অনেক কথা বলতে গিয়ে আমি হাঁপিয়ে যাই। অনেক কথা যখন বলার আছে, তখন হাঁপিয়ে যেতে তো হবেই। কষ দিয়ে ফেনাও গড়াতে পারে!

    এর পরে অবশ্য কবিতায় মিতকথন আমার ক্ষেত্রে এসেছে। তবে দীর্ঘ কবিতা লেখার ঝোঁকটা আমার আছে। বাংলায় দীর্ঘ কবিতায় অনেক সময় যে গল্প বলার একটা রেওয়াজ দেখা যায় আমি মনে করি সেটা কবিতার ধর্ম নয়, অনেক ক্ষেত্রে তা কবিতাই নয়!

    মূলত রাজনীতি-বিষয়ক হলেও, মৃত্যু উপত্যকা’য় অনেকগুলি অন্য রকম তীব্র রোমান্টিক ভাবনার বা মিনিমালিস্ট চিত্রকল্পের সন্ধান- এ সবও কিন্তু ছিল। যদিও বসন্তের বজ্রনির্ঘোষে তা অনেকটাই আড়ালে চলে যায়।

    কেউ যদি ধারাবাহিক ভাবে আমার কবিতা পড়েন, তা হলে দেখবেন কন্টিনিউটি থাকলেও ব্রেকও রয়েছে। যদিও সব মিলিয়ে একটাই মহা কবিতা লেখার চেষ্টা আমি করে চলেছি, যেটা শেষ অবধি কী চেহারা নেবে, সেটা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় এখনও আসেনি।

    অপ্রাসঙ্গিক হবে না মনে করে একটা দুঃখের কথা বলি। বর্তমানে ছোটগল্পকার, ফ্যাতাড়ু কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ঔপন্যাসিক হিসেবেই আমার একটা পরিচিতির ছাপ পড়ে গিয়েছে। কিন্তু লেখক হিসেবে, আমার মতে, নবারুণের আত্মপরিচয় এক জন কবি হিসেবেই, যে পেট্রল দিয়ে আগুন নেভাবার স্বপ্ন দেখে। যার সংগ্রহে থাকে প্রস্রাবাগার থেকে কুড়িয়ে নেওয়া কিছু ন্যাপথালিনের চাঁদ, যার ফুটো পকেট থেকে খুচরো তারাগুলো পড়ে হারিয়ে যায়।

    মৃত্যু উপত্যকা লেখার সময় আমি জানতাম, যে রাস্তায় আমি পা দিয়েছি, সেই রাস্তায় অনেক জ্যোতিষ্ক, অনেক মহাজন হেঁটে গিয়েছেন; দেশে ও বিদেশে। এঁদের নিয়েও আমি কবিতা লিখেছি। যেমন, নাজিম হিকমেত, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, লোরকা, নেরুদা, অরুণ মিত্র, সুভাষ মুখোপাধ্যায়। রাস্তাটা খুব সহজ নয়। এখানে হোঁচট খেতে হয়, মুখ থুবড়ে পড়ে যেতেও হয়, কিন্তু থামলে চলে না।

    ১৯৮২-র গ্রীষ্মে যে দিন আমার প্রথম বই বাড়িতে এসে হাজির হয়, সে দিনটার কথা একটা অন্য কারণে মনে আছে। তখন আমি তেড়ে নাটক করি। সেই কারণেই প্রয়াত বিশিষ্ট নাট্যসংগীত-স্রষ্টা দেবাশিস দাশগুপ্ত এসেছিলেন আমার কাছে, আমার একটি নতুন প্রযোজনার ব্যাপারে। তখনই সুরজিতের পাঠানো কুড়ি কপি বই প্রথম আমার কাছে আসে। কাঁচা রঙের গন্ধ পেয়েছিলাম। কেমন একটা ভিজে ভিজে ভাব, যেন মৃত্যু উপত্যকার কুয়াশা থেকে এইমাত্র উঠে এল! আজ সেই বইয়ের মাত্র একটিই কপি জীর্ণ অবস্থায় হলেও রয়ে গিয়েছে। পোকা ফুটো করে দিয়েছে। যাদের গ্রন্থপ্রেম সকলেই মেনে নিতে বাধ্য। চেষ্টা করছি আরও কয়েকটি কপি যদি সংগ্রহ করা যায়!

    প্রথম বই বেরনোর সঙ্গে একটা ট্র্যাজেডিও ঘটে গিয়েছিল। বাবা সেটা দেখে যায়নি। শিরোনামের কবিতাটি যদিও বাবার পড়া ছিল। মৃত্যু উপত্যকায় সব হিসেব মেলে না। ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটায় নিমেষে কত কিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

    তিরিশ বছর পরে বইটি হাতে নিলে ও চোখ বোলালে সে যেন আমাকে বলে, দ্যাখো আমিই হলাম তোমার লেখকের দেশে যাওয়ার পাসপোর্ট! আমি ছিলাম বলে তুমি ঠিক কি ভুল এতটা এগিয়েছ। এই কথাটা কখনও ভুলে যেও না। আমি ভুলিনি। মৃত্যু উপত্যকায় আমি আরও কিছু কথা বলব। কবিতাতেই বলব।"
  • de | 190.149.51.67 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৪:৫৬644950
  • বাঃ!, সোমনাথের আলোচনা ভালো লাগছে -- মাঝখানে তাপসের লেখা একটা প্যারাও খুব ভালো লাগলো - আলোচনা চলুক। বক্রোক্তির চাইতে আলোচনা কার্য্যকরী।
  • কল্লোল | 111.63.87.132 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৫:১৩644951
  • নবারুণের আত্মপরিচয় এক জন কবি হিসেবেই, যে পেট্রল দিয়ে আগুন নেভাবার স্বপ্ন দেখে। যার সংগ্রহে থাকে প্রস্রাবাগার থেকে কুড়িয়ে নেওয়া কিছু ন্যাপথালিনের চাঁদ, যার ফুটো পকেট থেকে খুচরো তারাগুলো পড়ে হারিয়ে যায়।
    চমৎকার বাঙ্গলা।
    সেই জন্যই কোশ্নটি - লেখক ও লেখা কি আলাদা? না, আলাদা নয়।
  • /\ | 69.160.210.2 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৫:২১644953
  • http://bhashabandhanpotrikasampadakio.blogspot.in/
    এখানে ভাষাবন্ধনের কয়েকটা সম্পাদকীয় রাখা আছে। পড়তে পারেন, তবে অন্যান্য গল্প-উপন্যাস পড়ার পরে পড়লেই ভালো।

    "বেবি K ও পারিজাত" আর "পুরন্দর ভাটের কবিতা" বই দুটোর উল্লেখ করলাম না। বাকিগুলোতে ওগুলোর সবই পাওয়ার কথা।

    কল্লোলদা,
    ফ্যাতাড়ু সিরিজ ও নবারুণ - নামক অন্য একটা টই কে তোলা হয়েছে। আপনার বর্তমান প্রশ্নটি নিয়ে ওখানেই এর আগের আলোচনাগুলি হয়েছিল। ওখানেই এটা নিয়ে কন্টিনিউ করলে ভালো হয়। এই টইটাকে অনুগ্রহ করে আপনার জেনেরেল "লেখক ও লেখা কি আলাদা, না, আলাদা নয়" - আলোচনার হাত থেকে মুক্তিদানের অনুরোধ রাখব।
  • cm | 127.247.113.18 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৬:৫৮644955
  • আমিও জানিয়ে যাই কাঙাল মালসাট নিয়ে আমিও কদিন লড়াই চালিয়েছি, কিন্তু ঠিক মাথায় ঢোকে নাই।

    পিকাসোর মিনোটরম্যাকি দেখেছেন? প্যারিসে থাকার সময় আসলে একাধিক আর্ট ইন্টারপ্রেটারের সাথে আলাপ হয়েছে, ওটিও একটি স্বীকৃতপেশা।
  • Ishani | 24.96.32.221 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৫৪644957
  • অনেকগুলো লিঙ্ক পেলাম | ধীরে ধীরে পড়ব | ধন্যবাদ |
  • a x | 138.249.1.206 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ২২:৪০644958
  • মিঠু একটা দারুন জিনিস দিল!
  • a x | 138.249.1.198 | ০১ আগস্ট ২০১৪ ২২:৪৪644959
  • বাবাকে নিয়ে কিছু লিখেছিলেন বা বলেছিলেন কোথাও?
  • Ranjan Roy | ০১ আগস্ট ২০১৪ ২৩:১৩644960
  • গত বছর আমাদের শুদ্ধসত্ত্ব বিজন ভট্টাচার্য্যের" নবান্ন" নাটকের একটি দৃশ্য সামুহিক পাঠ করে--- টেগোর রিসার্চ ইনস্টিট্যুট হলে। নবারুণ ও তাঁর স্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন।
    শেষে বলছিলেন ২০১৫ তে বিজন ভট্টাচার্য্যের শতবার্ষিকীতে সরকারি সাহায্য না নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নাট্যোৎসবের পরিকল্পনার কথা;-- ছোট ছোট দলকে সুযোগ দিয়ে। বলছিলেন নবান্নের জন্যে অনেকে এখন থেকেই অনুমতি চাইছে। কিন্তু অন্য নাটকগুলো?
    আমি বললাম-- আমার মনে হয় শুদ্ধসত্ত্বের দল "দেবীগর্জন" করতে চাইবে।
    শুদ্ধ সায় দিল। উনি খুশি হলেন। বিজয়গড়ে ওনার অফিসে ডেকে ছিলেন। ছত্তিশগড় নিয়ে কথা বলতে চান, গল্প শুনতে চান। ল্যাদ খেয়ে যাওয়া হয় নি। সেই শেষ দেখা।
    ওঁর" ভাষাবন্ধন" পত্রিকায় অরুণ সোমের অনুবাদে মিখাইল বুলগাকোভের "মাস্টার অ্যান্ড মার্গারিতা" ( স্তালিনের সময় নিষিদ্ধ) প্রকাশিত হচ্ছিল। তিরিশ কিস্তিতে সমাপ্ত হওয়ার কথা। জানিনা এখন কী হবে!
  • Ranjan Roy | ০১ আগস্ট ২০১৪ ২৩:৩৩644961
  • অক্ষ,
    হ্যাঁ, সেই শুদ্ধ আয়োজিত সন্ধ্যায় অনেক কথাই বলেছিলেন। গাঁজা পার্কের পাশ দিয়ে বিজনের হেঁটে বাড়ি ফেরা, তখন রাস্তায় ফুটপাথে নানারকমের মানুষ দেখা। সেই সব প্রান্তিক মানুষদের মুখের ভাষা, প্রকাশের হস্তমুদ্রা, বডি ল্যাংগোয়েজ -- সেসব অসংকোচে ছেলে নবারুণকে বলা এই সব। শুদ্ধসত্ত্বের হয়তো বিশদ মনে আছে।

    @সে,
    কিছু বলুন। আমি জানি নবারুণের লেখালেখি জীবনযাত্রা নিয়ে আপনি অন্তরঙ্গ ভাবে জানেন। তাই হয়তো এই মুহূর্তে আপনার পক্ষে কিছু বলা কঠিন। তবু, যেদিন পারবেন, আশায় থাকব।

    সোমনাথকে ধন্যবাদ।
    এইভাবে আরেকবার নবারুণ সাহিত্য পড়ার চেষ্টা করি, আজ থেকেই।
  • /\ | 127.194.198.1 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ০১:০৬644962
  • কারেকশনঃ
    Date:01 Aug 2014 -- 02:47 PM
    এই প্রথম ছাপা মৃত্যু উপত্যকা-র মাথায় চে গুয়েভারা-র লেখা থেকে একটা অংশ রেখেছিলাম। বইতে এই অংশটা আর যায়নি। সুযোগ পেয়ে এখানে তুলে দিলাম সেই লাইন ক’টা—

    Our freedom and its daily sustenance are the colour of blood and swollen with sacrifice.
    Our sacrifice is a conscious one: It is in payment for the freedom we are building. — Che
  • কল্লোল | 111.63.194.186 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ০৭:২৩644964
  • /\ অনুরোধ রাখলুম। তবে অনুরোধের ভাষায় আপত্তি রইলো।
    আপনারা উত্তাপ নিন।
  • /\ | 127.194.194.192 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ১১:৩৮644967
  • পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্ট - (অন্য গল্প) - নবারুণ ভট্টাচার্য - প্যাপিরাস (২০১০)

    পাঠাগার ডট নেট এর সৌজন্যে প্রাপ্ত। সকলের শুধু পড়ার উদ্দেশ্যে।

    http://www.mediafire.com/view/eog0nyuto1h0og1/Nabarun_Bhattacharya_-_Prithibir_Shesh_Communist.pdf
  • kumu | 52.104.24.238 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ১২:৪৬644968
  • সোমনাথ চার্ফুটকি শিবাংশু মিঠি তাপস সবাইকে ধন্যবাদ।
  • তাপস | 126.202.198.129 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ১৪:১২644969
  • রোবু তো নাই ! বলবে বলেছিল ! সদাও বলেননি । ওই আলোচনাটা আর এগোলো না । তবে ফেবু থে এট্টু পরিচিতজনের পোস্ট এহানে দিয়ে যাই ।
    ..........................................................................................................................................................

    " গর্জে উঠুক দল মাদল / প্রবাল দ্বীপের মত আদিবাসী গ্রাম / রক্তে লাল নীলক্ষেত / শঙ্খচূড়ের বিষ-ফেনা মুখে আহত তিতাস / বিষাক্ত মৃত্যুসিক্ত তৃষ্ঞায় কুচিলা / টণ্কারের সূর্য অন্ধ উৎক্ষিপ্ত গান্ডীবের ছিলা / তীক্ষ্ম তীর হিংস্রতম ফলা- / ভাল্লা তোমার টাঙ্গি পাশ / ঝলকে ঝলকে বল্লম চর-দখলের সড়কি বর্শা / মাদলের তালে তালে রক্তচক্ষু ট্রাইবাল টোটেম / বন্দুক কুকরি দা ও রাশি রাশি সাহস / এত সাহস যে আর ভয় করে না

    আরো আছে ক্রেন, দাঁতালো বুলডোজার কনভয়ের মিছিল / চলমান ডাইনামো টারবাইন লেদ ও ইনজিন / ধ্বস-নামা কয়লার মিথেন অন্ধকারে কঠিন হীরার মতো চোখ / আশ্চর্য ইস্পাতের হাতুড়ি / ডক জুটমিল ফার্ণেসের আকাশে উত্তোলিত সহস্র হাত

    না ভয় করে না / ভয়ের ফ্যাকাশে মুখ কেমন অচেনা লাগে
    যখন জানি মৃত্যু ভালোবাসা ছাড়া কিছু নয় ...."

    বিশ্বাস করুন এই অলৌকিক পংক্তিগুলিও নবারুণেরই লেখা । এবং এমনই আরও অসংখ্য কবিতা যা বাজারের হৃদপিণ্ডে নিরানন্দ ছড়াতো। বিশ্বাস করুন এই নবারুণ নাটক করতেন, ...হাঁসখালির হাঁস' কতদিন ধরে কোথায় কোথায় করেছেন আজ কে তার হিসাব রাখে? বিশ্বাস করুন এই নবারুণ শুধুমাত্র হাবার্ট আর ফ্যাতারুর জন্মদাতা নয়। খিস্তিখেউর করে পাবলিককে আনন্দ দেওয়ার জন্মভাঁড় নন।

    বিশ্বাস করুন নবারুণই জানতেন সাবভারশান মাইনাস পলিটিক্স ইজ পারভারশান....
    এবং পলিটিক্স মানে দলবাজি নয় ....
  • aranya | 78.38.243.218 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ২০:৩৩644970
  • বড় ভালবাসতাম, নবারুণের লেখা। গত বছর দশেক, পশ্চিম বঙ্গের লেখক-দের মধ্যে উনিই সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন।
  • শ্রী সদা | 113.225.177.112 | ০২ আগস্ট ২০১৪ ২২:৩৯644971
  • এই টইতে লেখার আহ্বান পেয়ে আমি একই সঙ্গে খুবই বিব্রত এবং সম্মানিত বোধ করছি, মানে লেখালিখিতে তো আমার দৌড় সি প্রোগ্রাম পর্যন্ত ঃ) যাই হোক, যথাসাধ্য চেষ্টা অবশ্যই করবো, নবারুণের লেখা পাঠ, আলোচনা এবং সমালোচনা আমার প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে পড়ে। বাকিরাও প্লিজ লিখতে থাকুন, অনেক কিছু জানছি, শিখছি । বিশেষ করে নবারুণের কবিতা তো কখনোই সেরকম পড়া হয়নি।
  • I | 24.96.181.133 | ০৩ আগস্ট ২০১৪ ০০:০১644972
  • সাবভার্সন সম্বন্ধে নবারুণ নিজে-
    " একটা কথা মাঝেমধ্যে শুনি- এই ব্যবস্থার মধ্যে ঢুকে সাবভার্শন চালানো দরকার। আমার মতে সিভিল সোসাইটি যে সব উন্নত দেশে আছে সেখানে হয়তো অমন করা যায়। এখানে বরং নিজেরই সাবভার্টেড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।"
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৩ আগস্ট ২০১৪ ০০:৩৯644973
  • সাবভার্সন-ডা কি?

    উইকি কয় - subversion কথাটি আইসে লাটিন subvertere শব্দটি থেকে যার বাংলা মানে হইল overthrow। ডেফিনিশন কয়, - Subversion refers to an attempt to transform the established social order and its structures of power, authority, and hierarchy. Subversion refers to a process by which the values and principles of a system in place, are contradicted or reversed.

    নবারুণ কি সাবভার্সিভ লেখক ?
    ডাক্তার ও গুরুভাইয়েরা - ল্যাখেন পিলিজ।

    আসলে জানি না, তেমন কিছুই পড়া হয় নাই, বিচ্ছিন্ন এক দুই খান গল্প - তাই শুধাই। একবার একখান বই পড়া শুরু করসিলাম কাঙাল ,আলসাট-ই হইব, ভালো বুইতে পারি নাই, বেশীদূর এগোতে পারি নাই।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৩ আগস্ট ২০১৪ ০০:৪০644975
  • *কাঙাল মালসাট
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন