এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিদ্ধার্থ | 116.51.242.30 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৫:৩১644734
  • অটো নিয়ে কেউ কিছু লিখুক। শুধুই ফ্যাতাড়ু আর হারবার্ট পড়ে হেজে গেলাম। ঈশানদা অটো নিয়ে লেখো। নবারূনের অন্যতম সেরা কাজ মনে করি।
  • সিদ্ধার্থ | 116.51.242.30 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৫:৩৫644735
  • তবে, ওই আর কি! নবারূন মরে গেল, মেগ রায়ান বুড়ি হয়ে গেল। এবার পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেই জ্বালা জুড়োয়। কি একটা গ্রহাণু নাকি ছুটে আসছে। শান্তি !!!
  • h | 127.248.137.134 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৬:৫৫644736
  • অটো , খেলনানগর, লুব্ধক, কাঙাল মালসাট, হার্বার্ট, মহাযানের আয়না - এরকম ভাবে সাজিয়ে দেখলাম কেমন লাগে। পরের বার হয়তো অন্য ভাবে সাজাবো। অটো অন্যতম শ্রেষ্ঠ তাতে কোনো সন্দেহ নাই। তবে এগুলো তে , নিয়ারেস্ট টু গ্রেটনেস। গ্রেট কিনা সেটা আমার মেয়ের জেনারেশন বা তার ছেলে মেয়েদের জেনারেশন বলবে।

    সম্পাদকীয় গুলো পড়ে আর কয়েকটা ইন্টারভিউ দেখে আর বক্তৃতা শুনে মনে আমার মনে হয়েছিল, একটা পোয়েটিক্স লেখার সময় এসেছে, কিন্তু কি যে অসুখ হল, কি যে সাংঘাতিক যন্ত্রনা পেলেন শেষে, ভাবলেই কষ্ট হয়।
  • d | 116.78.202.128 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৭:৫৩644738
  • আমি খেলনানগরকে একে রাখবো।
  • d | 116.78.202.128 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৭:৫৩644737
  • আমি খেলনানগরকে একে রাখবো।
  • robu | 122.79.38.23 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৮:০৬644739
  • খেলনানগর শীত শীত ভয়ন্কর।
  • সিদ্ধার্থ | 116.51.242.12 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৪৫644740
  • মসোলিয়াম সবথেকে ঝাঁটু লেগেছিল।
  • সিদ্ধার্থ | 116.51.242.12 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৫২644741
  • তবে ওই সোভিয়েত স্টেটকে অ্যাটাক করা নিয়ে এই মনোভাব, মানে 'আমার ছেলে বখে গেছে তাকে আমি ক্যালাব, তুমি বলার কে হে?' এই টাইপটা ওই সময়ের ফসল। লেট ফর্টিস/আর্লি ফিফটিসে জন্ম, গণনাট্য বাম আন্দোলন যুক্তফ্রন্ট নক্সাল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা এবং অনুপ্রাণিত হয়া, এই জেনারেশনটার মধ্যে একটা ছেলেমানুষী আছে সোভিয়েত নিয়ে। যতই নিজেরা খিস্তোক না কেন, অন্যে কেউ কিছু বললেই ঘ্যাঁক করে কামড়ে ধরবে।

    আমারো মাঝে মাঝে মনে হয়, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ যদি এতই খারাপ তবে তার বিপর্যয়ে এত ভেংগে পড়া কেন? পরে বুঝেছি যুক্তি দিয়ে সব কিছুর ব্যাখ্যা মেলে না। এই ভালবাসার কোনো লজিকাল কনসিস্টেন্সি নেই। আমাদের বাবা কাকাদের সিপিএম কে ভালবাসার মতন। সারাবছর ধরে গাল দিয়ে গিয়ে ভোটটা সেই সিপিএমকেই দেবে। অন্তত আমার বাবার বেলায় তো তাই দেখেছি
  • সিদ্ধার্থ | 116.51.242.12 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ২০:০৩644742
  • নবারুনের ক্ষেত্রে, নিজেকে যতই স্ট্রীট ফাইটার বলুন না কেন, ওনার রাজনীতি নিয়ে আমার বিশাল বড়সড় কৌতুহল আছে। উনি ঠিক কি বলতে চান সত্যি-ই বারবার পড়েও বুঝিনি অনেক জায়গায়। একটা উদাহরণ দি-ই।

    হারবার্টে, নক্সাল আন্দোলনের বারুদ গিয়ে ফাটল কুড়ি বছর পর। এই পর্যন্ত ঠিক-ই ছিল। অসাধারণ ক্র্যাফটস্ম্যানশিপ। কিন্তু কেউ খেয়াল করল না, যে বোমাটা ফাটল একজন ফ্রডস্টারের মাধ্যমে, যে নাকি লোক ঠকিয়ে খায়। এই যে শেষটুকু, এ আমার বুদ্ধির বাইরে। কেন এমন দেখাতে গেলেন, ইচ্ছে করেই করলেন কি না।
  • একক | 24.99.187.231 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ২১:৩৮644744
  • এইখানে আমার একটা কথা মনে হয় যেটা উনি বেঁচে থেকে আরও লেখালেখি করলে পরিস্কার বুঝতে পারতুম । মানে সিওর হওয়া যারে কয় । কিন্তু সেত আর সম্ভব নয় । নবারুনের মৃত্যু আমার কাছে ঠিক "মিস করছি " নয় , একটা ভয়ঙ্কর নাটক চলতে চলতে হলে লোডশেডিং হয়ে যাওয়া । উত্তর ফুত্তর না দিয়ে ভো । হতাশ লাগে ।
  • a x | 86.31.217.192 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ২১:৫৬644745
  • ফ্রডস্টার বলে ঠিক ডেপিক্ট করতে চেয়েছেন বলে তো মনে হয়নি। মানে পুরো চরিত্রর গড়ে ওঠা, ব্যাকগ্রাউন্ড, বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্স সব কিছু মিলিয়ে দেখলে। একটা অল্টার্নেট রিয়ালিটি তে বিশ্বাস করে এমন কেউ। তার সাথে যুক্তিবাদী সমিতিকে কিঞ্চিৎ খিল্লি, রিয়ালিটি কি, তা নিয়ে প্রশ্ন এবং অ্যাট দ্য এন্ড উত্তরাধুনিক ভাবধারায় সব রিয়ালিটিকেই গ্রাহ্য করা ও একই সাথে ক্রিটিসাইজ করার পরম্পরা।
  • শ্রী সদা | 212.142.95.164 | ১৬ আগস্ট ২০১৪ ২২:০৯644746
  • a x কে ক। হারবার্ট ঠিক ফ্রডস্টার নয়, আতাক্যালানে উদগান্ডু টাইপের চরিত্র যে নিজে বিশ্বাস করেই লোককে "মৃতের সহিত কথোপকথন" করায়।
  • /\ | 127.194.202.146 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ০০:২৬644747
  • বোমাটা কার মাধ্যমে ফাটল সেটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়, বিস্ফোরণ যে অনিবার্য এবং আনপ্রেডিক্টেবল সেটা ইম্পর্ট্যান্ট।

    " ... কখন কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং কে তা ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনও বাকি আছে।"
  • | 183.17.193.253 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ০০:৪৮644748
  • আমার আবার কখনো ই হারবার্ট কে আতাক্যালানে মনে হয় না। মনে হয় একজন চলমান রহস্যময় লোক। যার অন্ধকার আর আলো দুটোতেই লুকিয়ে যাতায়াতঃ)
  • তাপস | 126.202.199.78 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ০০:৫৫644749
  • আতাক্যালানে নয় - কিন্তু কী? একটা অস্তিত্ব যে তাড়া খেয়ে বেড়াচ্ছে, কিঞ্চিত নির্ভরতার খোঁজে, আবার তেমন এলিয়ে পড়া টাইপ না - একটা বা অনেকগুলো একটু একটু জমি চাইছে - এবং পাচ্ছে না, সে তো আশ্রয় খোঁজেই । তীব্র যুক্তিপনার উল্লাস তাকে লাইনের ওপারে ঠেলে দিতে চায় - সে কি লাইনের ওপারে গেল? এপারে রইল ? আবছায়া? নাকি এক্সেস?
  • একক | 24.99.181.114 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ০১:২৯644750
  • এঃ এঃ এইটাই ! দ্য এক্সেস । দ্য ফাকিং হেগেলিয়ান শিট । অন্নময় প্রাণের পরে যে হাগু । যা হজম হয়না :)
  • Ishan | 74.134.163.74 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ০৫:১১644751
  • না না আমি ফ্যাতাড়ুই লিখব, কিন্তু আগে পাঠ্যতালিকা শেষ করি। :-)
  • i | 134.170.215.209 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ০৭:০৫644752
  • আমার হার্বার্ট পাঠে বিস্ফোরণ ও তৎ সংক্রান্ত দর্শনে চমক ছিল, কিন্তু আকর্ষণ ছিল না। বরং একাধিকবার ফিরে যাওয়া ছিল শেষ পরিচ্ছেদে। নবম পরিচ্ছেদ শেষ লাইন ছিল " কখন কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং কে তা ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনও বাকি আছে।"পাতা ওল্টাতেই - "বৃথা আসি, বৃথা যাই/কিছুই উদ্দেশ্য নাই"। অন্ততঃ দুটি লাইনে আছে-'এরকম তো হয়েই থাকে/ সেরকম হওয়ারই কথা'। লেখা শেষ হয় এইভাবে-'ফ্লপ ছবিতে পিকচার নেই, কেবলই সাউন্ড। তাও কমতে কমতে অস্ফুট উচ্চারণ যা প্রায় শোনাই যায় না, ক্যাট ব্যাট ওয়াটার ফিশ....' । হার্বার্টের দাহ শেষে শ্মশান ফেরতা পরদিনের ভোরের কুয়াশায় এরকমই তো ভাবার কথা আমার মত সাধারণ পাঠকের। অথচ হার্বার্ট যতদিন বেঁচে ছিল। ,এই লাইনগুলি আসেই নি। চিলছাদে তুবড়ির খোল ফেটে ছিল, মেঘ ডেকেছিল, শিল পড়েছিল,আর বাজ-অথচ কেউ বলে নি 'ভোরের কুয়াশায় চিলছাদ বড়ই অস্প্ষ্ট ও অবুঝ।' কিন্তু শেষ পাতায় এরকমই লেখা ছিল।
    তাড়াহুড়োয় এই পোস্টটা করে আমি এবার ঘরদোর পরিষ্কার করব, ফুলকপিতে ফোড়ন দেব, ঋতু গুহ শুনতে শুনতে ইস্ত্রি করব .. আমার মত পাঠক যাঁদের 'জগতে আনন্দ যজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ' বিশ্বাস করে বেঁচে থাকার ট্রেনিং , তাদের একটা বড় সংকট সৃষ্টি হয় 'টিখতে ' গিয়ে। এটা আমার মনে হয়েছে।এই ট্রেনিংএ আমরা চিলছাদে আসি নি কখনও। খোড়ো রবিকে এড়িয়ে চলেছি, 'মৃতের সহিত কথোপকথন' লেখা সাইনবোর্ড দেখলে শাড়ির কুঁচি আলগোছে তুলে জল কাঁদা বাঁচিয়ে উল্টো ফুটে গিয়ে ট্যাক্সি ডেকেছি। অথচ এই জগত আমাদের স্বপ্নে রাদার দুঃস্বপ্নে এসেছে-যে জগত যাকে আমরা 'টিখতে 'চেয়েছিলাম।
    আমি হার্বার্ট পড়তে নিজেকে আবিষ্কার করি এইভাবে-'হয় তো বা এর অনেকদিন পরে,... কোনো একটি বাচ্চা ছেলে তার বাবা, মা-র হাত ছাড়িয়ে, দৌড়ে গিয়ে কোনো অ্যান্টিকের দোকানের ধুলোমাখা কাচের ভেতরে হাতে আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরীকে দেখে তন্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চাইবে। তকে তার বাবা ও মা জোর করে নিয়ে আসার পর তার ঠোঁট হয়্তো থরথর করে কাঁপবে অভিমানে। এরকম অবশ্য নাও হতে পরে। যদি হয়, তাহলে এরও পরে সেই ছেলেটা ঘুমের মধ্যে কেঁপে কেঁপে ওঠে, তাহলে কারও চোখে পড়বে না।'
  • /\ | 127.194.204.216 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ১০:৩৫644753
  • হারবার্ট কে আতাক্যালানে উদগান্ডু টাইপের চরিত্র বানিয়ে তোলার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শুভাশিস ও সুমন মুখোপাধ্যায়ের।
  • i | 134.168.20.211 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ১১:৩১644756
  • তাড়াহুড়োতে বানানভুল , টাইপো, শব্দ ও বাদ পড়ে গেছে এখন দেখছি।আরও দু একটা বাক্য লিখেছিলাম, সে সব কোথায় ফেল্লাম কে জানে।
  • | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ১২:৪২644757
  • খেলনানগর আর লুব্ধক নিয়ে কেউ দু চারকথা লিখবে না? অটো তো নির্ঘাৎ লিখবেই কেউ জানি।
  • i | 134.168.20.211 | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ১৩:২০644758
  • আমি সেই অর্থে কেউই নই এখানে লেখার। অতি নগণ্য পাঠক। বড়জোর শ্মশানবন্ধু, হারবার্টের দাহ শেষে নিমপাতা দাঁতে কেটে লোহা ছুঁয়ে ঘরে ঢুকেছি।
    সেই জায়্গা থেকে বিস্ফোরণ ও তৎসংক্রান্ত দরশনকে তুচ্ছ লাগা হয়তো একদম ধৃষ্টতাই-বইটা পড়ার এত বছর পরে আজ আর বিস্ফোরণকে তেমন তীব্রও মনে হয় না অথচ এত দিন পরেও একটা দৃশ্যকল্প কেমন জ্বালায়-ঐ শেষ পরিচ্ছেদের একটা দৃশ্যকল্প- হার্বার্টের সেই সাইনবোর্ড বেলুন বন্দুকওলা কিনে নেয় এবং এর ওপরে কাঁটা পেরেক ঝুলিয়ে বেলুন ঝোলাবার ব্যবস্থা করে-সব বেলুন ফেটে গেলে পেরেকের মধ্যে হয়তো বা চোখে পড়বে, উল্টো হরফ- 'মৃতের সঙ্গে কথোপকথন' প্রোঃ হারবার্ট সরকার- ।
  • | ১৭ আগস্ট ২০১৪ ১৪:৩৮644759
  • এটাকেও চিপকে রাখি তাহলে

  • pi | 24.139.221.129 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৮:৫০644761
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৮:৫০644760
  • পরশু, ১২ঃ৩০-৭ঃ৩০ - প্রেসিডেন্দির ডিরোজিও হলে।

    Memories of Nabarun Bhattacharya with Theatre, Music, Poem, Paintings.

    Drama: Lubdhak & Faytarur Kissa
    Songs By: Ganabishan
  • pi | 24.139.221.129 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৮:৫২644762
  • /\ | 127.194.198.23 | ২১ আগস্ট ২০১৪ ০০:০৯644765
  • অবিচুয়ারি
    আনন্দবাজার
    http://www.anandabazar.com/calcutta/%E0%A6%A8%E0%A6%AC-%E0%A6%B0-%E0%A6%A3-%E0%A6%AD%E0%A6%9F-%E0%A6%9F-%E0%A6%9A-%E0%A6%B0-%E0%A6%AF-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A7%9F-%E0%A6%A4-1.55614

    নবারুণ ভট্টাচার্য প্রয়াত
    নিজস্ব সংবাদদাতা

    ১ অগস্ট, ২০১৪, ০২ঃ১৫ঃ২৬



    বেশ কিছু দিন ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে মারা গেলেন সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য। বয়স হয়েছিল ৬৬। নাট্যকার-অভিনেতা বিজন ভট্টাচার্য এবং সাহিত্যিক-সমাজসেবী মহাশ্বেতা দেবীর পুত্র নবারুণ একাধারে কবি, গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক হিসেবে একটি স্বকীয় ধারা গড়ে তুলেছিলেন।
    দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ‘সোভিয়েত দেশ’ পত্রিকায়। নাটক করেছেন কলকাতার মঞ্চে। ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’-র মতো কবিতা, ‘যুদ্ধপরিস্থিতি’-র মতো গল্প, ‘খেলনানগর’, ‘হারবাটর্’ বা ‘কাঙাল মালসাটে’র মতো উপন্যাস এক ধরনের প্রতিষ্ঠান-বিরোধী পরিচিতি তৈরি করেছিল নবারুণের। জীবনযাপনেও ছিলেন অনাড়ম্বর। ঘোরতর রাজনৈতিক লেখা লিখেও বাম বা ডান, কোনও সরকারেরই কাছের মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেননি কোনও দিন। যদিও চিন্তার দিক থেকে বরাবরই বামপন্থী ছিলেন। এবং মূলস্রোতের বাইরে থেকেও তরুণ প্রজন্মের কাছে ‘ফ্যাতাড়ু’-স্রষ্টা বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন। ‘ফ্যাৎ ফ্যাৎ সাঁই সাঁই’-এর মতো শব্দবন্ধ, পুরন্দর ভাটের লেখা কবিতার লাইন তাদের অনেকেরই মুখে মুখে ঘোরে।
    নবারুণের লেখা থেকে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়-সুমন মুখোপাধ্যায়রা মঞ্চসফল নাটক করেছেন। সুমনের তিনটি ছবি ‘হারবার্ট’, ‘মহানগর@কলকাতা’ এবং ‘কাঙাল মালসাট’ও নবারুণের রচনা অবলম্বনে। সুমন বলছিলেন, “যে তির্যক রাজনৈতিক অন্তর্ঘাত নবারুণের লেখায় আসত, তাঁর যে অনন্য রচনাশৈলী, সমকালে তার জোড়া ছিল না। নবারুণ নিজেই একটা ধারার জন্ম দিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতেই সম্ভবত তার শেষ হল।”
    বৃহস্পতিবার নবারুণের দেহ পিস হেভ্নে রাখা হয়। শুক্রবার সকাল ন’টা নাগাদ কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া ঘুরে তাঁর বাসভবন হয়ে দুপুরে কেওড়াতলায় লেখকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। নবারুণ যখন শ্মশানে পৌঁছবেন, প্রায় তখনই শহরের মঞ্চে অভিনীত হওয়ার কথা তাঁর অনুবাদ করা নাটক, ‘যারা আগুন লাগায়’। অন্তিম সমাপতন!

    সম্পাদকীয়

    http://www.anandabazar.com/editorial/%E0%A6%A6-%E0%A6%B0-%E0%A6%B9-%E0%A6%AD-%E0%A6%AF-%E0%A6%B8-1.56091

    দ্রোহাভ্যাস
    ৩ অগস্ট, ২০১৪, ০০ঃ০৮ঃ৫৬



    বাংলা সাহিত্যে এক সময়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার প্রবল কৌলীন্য ছিল। প্রকৃত সাহিত্যিককে প্রতিষ্ঠানবিরোধীই হইতে হইবে— এই বাধ্যতায় অনেকে বিশ্বাস করিতেন। যে লেখকগণ কোনও প্রতিষ্ঠানের মদতে খ্যাত বা ধনী হইতেন, সাধারণ মানুষ তাঁহাদের লইয়া উত্তেজিত ও আপ্লুত থাকিলেও, চর্চাবান মহলে তাঁহাদের নিতান্ত মেরুদণ্ডহীন, লোভী ও আত্মবিক্রয়কারী জীব হিসাবে ধরা হইত। পাশাপাশি ইহাও ধরিয়া লওয়া হইতঃ তাঁহারা লেখক হিসাবেও ব্যর্থ। বিশ্বাস করা হইত, লেখকের কাম্য কেবল নিজ সাধনায় সিদ্ধি। ‘সিদ্ধাই’য়ের দাপটে বিচ্যুত হইলে, বাড়ি-গাড়ির ফাঁদে জড়াইয়া পড়িলে, নিষ্কলুষ সংস্কৃতিযাপন সম্ভব নহে, আজ নহিলে কাল এই বস্তুগত স্বাচ্ছন্দ্যের খাজনা দিতে হইবে, আপন কাজটিকে তরল ও সরল করিয়া। জনপ্রিয়তার দায় ও সম্পদের আমোদ, লেখককে উৎকর্ষ ও স্বাতন্ত্র্যের পথ হইতে ছিন্ন করিয়া বাজার-বশ্যতার দরবারে আনিয়া ফেলিবে। রাজাকে তুষ্ট করিতে অভ্যস্ত ও ব্যস্ত সভাকবি, নিজের মতানুযায়ী কবিতা না লিখিয়া, রাজার রুচিমাফিক কাব্যরচনায় অভ্যস্ত হইয়া যাইবেন। জনপ্রিয়তায় প্রকৃত শিল্পের ক্ষতি হয়, জ্যা শিথিল হইয়া পড়ে, ইহাও অনেকেরই মত ছিল। যদিও এই মতামতের নেপথ্যে বহু সময় কাজ করিত ঈর্ষা, দ্বেষ, নিজে প্রতিষ্ঠানসিদ্ধ হইয়া উঠিতে না পারিবার আক্ষেপ, কিন্তু অনেক লেখকই এই উগ্র মতাবলম্বনের অগ্নি হইতে নিজ উত্তাপ ও অস্ত্র খুঁজিয়া পাইয়াছিলেন। সহজ প্রতিষ্ঠার পথে, স্থূল জনপ্রিয়তার পথে কিছুতে হাঁটিব না— এই প্রতিজ্ঞা বাংলা সাহিত্যের কিছু লেখককে অতি মৌলিক ও স্পর্ধিত সাহিত্য রচনায় প্রণোদিত করিয়াছে। বৈপ্লবিক ভাবনা ও আশ্চর্য আঙ্গিক লইয়া ইঁহারা সাহিত্যপ্রয়াস লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। কেহ ‘কাল্ট’ হইয়াছেন, কেহ হন নাই, কিন্তু এই প্রকল্পগুলিই একটি ভাষা ও সংস্কৃতিকে আগাইয়া লইয়া যায়, কিছু লোক পাঁচিল ভাঙিতে গিয়া আহত হয় বলিয়াই বহু লোক উন্মুক্ত প্রান্তরে পদচারণার স্বাদ পাইয়া থাকে। সদ্যপ্রয়াত নবারুণ ভট্টাচার্য তাঁহার ঘোরতর প্রতিষ্ঠানবিরোধী স্বকীয়তায় বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিয়াছেন।
    কিছু লেখকের সত্তায় নিহিত থাকে এক সদাবিদ্রোহী স্রোত, যাহা তাঁহাকে যে কোনও মূলস্রোতের বাহিরে থাকিতে, যে কোনও ক্ষমতার নিকটে না যাইতে শিক্ষা দেয়। ইহাতে তিনি সতত স্বাধীন থাকিতে পারেন। নীতিনিষ্ঠ থাকিবার নিরন্তর অধ্যবসায় ও অতিরিক্ত সাবধানতা তাঁহাকে কখনও হয়তো অপ্রয়োজনীয় প্রখর করিয়া দেয়, কিন্তু প্রচল-সরণিকে প্রত্যাখ্যানের চর্চা এতই কঠিন, ইহার জন্য প্রবল দহন ও দাহিকাশক্তির ব্যবহার আবশ্যক। বাংলার শতেক লিট্ল ম্যাগাজিন একদা এই সমান্তরাল বা মূলস্রোতবিরোধী সাহিত্যের নিশান সগর্বে বহন করিয়াছে। ছোট পত্রিকার নিজস্ব আইকন, ঘরানা, বিকল্প তত্ত্ববিশ্ব ও তর্কবিশ্ব তৈয়ারি হইয়াছে। এই প্রবণতার বিপদও রহিয়াছেঃ কেবল মূলস্রোতে থাকিবার লোভটি পরিহার করিতে পারিয়াছে বলিয়াই অধিকাংশ পত্রিকা ও লেখক এমন আত্মগুরুত্বে স্ফীত হইয়া পড়িতেন যে, তাঁহারাও নিজ সাধনার অধিক জরুরি মনে করিতেন নিজ প্রতিষ্ঠানবিরোধী পরিচয়টিকেই। ফলে তাঁহাদেরও সাহিত্যচর্চা নিতান্তই ব্যাহত হইত, লেখা অপেক্ষা বিষোদ্গার ও শিবিরস্থাপন করিবার প্রতি অধিক মনোযোগ ও আত্মপ্রয়োগ ধাবিত হইত। প্রতিষ্ঠানের সকল লেখককেই— লেখার মান ও ভাবনাভঙ্গি নির্বিশেষে— পরিত্যাজ্য ও অপাঠ্য বলিয়া দাগিয়া দিবার একদেশদের্শিতা ও সাম্প্রদায়িকতার দোষও অধিকাংশের স্কন্ধেই ভর করিত। তিক্ততার ভাগ অধিক হইয়া পড়িলে কোনও সৃষ্টিই ফলবতী হয় না। আজ এই আন্দোলন তাহার জ্যোতি বহুল পরিমাণে হারাইয়াছে। চতুর্দিকে বাজারের নিরঙ্কুশ জয় ও নিজভূমে প্রতিভার অভাব তাহার মূল কারণ। নবারুণের ন্যায় শক্তিশালী লেখকের প্রয়াণ বাংলার এই দ্রোহসংস্কৃতিকে আরও স্তিমিত করিবে।

    আজকাল
    http://www.aajkaal.net/01-08-2014/news/225907/

    নবারুণ ভট্টাচার্য প্রয়াত



    আজকালের প্রতিবেদনঃ ‘ফ্যাতাড়ু’র স্রষ্টা, স্বতন্ত্র ভাবনার সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য প্রয়াত৷‌ বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর৷‌ বেশ কিছু দিন ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে অসুস্হ ছিলেন৷‌ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিট নাগাদ ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷‌ এদিন তাঁর মরদেহ রাখা হয় পিস হাভেনে৷‌ আজ, শুক্রবার সকাল ৯টায় তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ক্রিক রো-তে গণসংস্কৃতি পরিষদের দপ্তরে৷‌ এখান থেকে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া ঘুরে শোকযাত্রা তাঁর গলফ গ্রিনের বাসভবন হয়ে যাবে কেওড়াতলা শ্শানে৷‌ ওখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷‌ তাঁর বাবা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব প্রয়াত বিজন ভট্টাচার্য, মা মহাশ্বেতা দেবী৷‌ নবারুণ ভট্টাচার্য রেখে গেলেন মা, স্ত্রী প্রণতি ভট্টাচার্য, পুত্র তথাগত ও অসংখ্য অনুরাগীকে৷‌ তাঁর মৃত্যুতে বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া৷‌ ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন বহরমপুরে তাঁর জন্ম৷‌ ছোট থেকেই নাটক, সিনেমা, সাহিত্যের প্রতি তাঁর টান ছিল তীব্র৷‌ ছোটবেলায় ঋত্বিক ঘটকের শুটিংয়ে একবার যে রিফ্লে’র ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন, এ কথা বলতে তিনি গর্ব অনুভব করতেন৷‌ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন৷‌ কলেজ স্ট্রিটের স্টুডেন্টস হলে অঙ্গন নাট্যে একসময় অভিনয় করেছেন নিয়মিত৷‌ ’৭৩ থেকে ’৯১ পর্যম্ত ‘সোভিয়েত দেশ’ পত্রিকার সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন৷‌ কবিতা দিয়েই তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু৷‌ পরবর্তী কালে গদ্যেই তাঁর মনোযোগ ছিল বেশি৷‌ তাঁর সৃষ্ট ‘ফ্যাতাড়ু’র তুল্য নজির বাংলা সাহিত্যে নেই৷‌ ‘হারবার্ট’ তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যার জন্যে তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান ১৯৯৭ সালে৷‌ এই উপন্যাসের জন্যই পেয়েছেন বঙ্কিম ও নরসিংহ দাস পুরস্কারও৷‌ তাঁর কবিতা লেখার ভাষাও ছিল স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল৷‌ ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ তাঁর বিখ্যাত কবিতার বই৷‌ তাঁর গদ্যগ্রম্হগুলির মধ্যে ‘ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচাক’, ‘ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক’, ‘হারবার্ট’, ‘কাঙাল মালসাট’, ‘হালালঝাণ্ডা ও অন্যান্য’ উল্লেখযোগ্য৷‌ এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর নতুন গল্পগ্রম্হ ‘আংশিক চন্দ্রগ্রহণ’৷‌ তাঁর প্রবন্ধের বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আনাড়ির নাড়িজ্ঞান’ ও ‘অ্যাকোয়ারিয়াম’৷‌ তাঁর ফ্যাতাড়ু প্রথম মঞ্চে আসে সংসৃতির প্রযোজনায় দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০০৪ সালে৷‌ তার পর সুমন মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘কাঙাল মালসাট’কে মঞ্চস্হ করেন৷‌ এই কাহিনী নিয়ে সুমন চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন৷‌ ‘হারবার্ট’ও চলচ্চিত্রায়িত করেছেন সুমন৷‌ তাঁরই পরিচালনায় সদ্য মঞ্চে এসেছে নবারুণ ভট্টাচার্যের নাটক ‘যারা আগুন লাগায়’৷‌ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘ভাষাবন্ধন’ পত্রিকা৷‌ দশ বছর মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশের পর কিছু দিন আগে ‘ভাষাবন্ধন’কে তিনি ত্রৈমাসিক হিসেবে প্রকাশ করা শুরু করেন৷‌ তাঁর লেখালেখির শুরু লিটল ম্যাগাজিনেই৷‌ প্রধানত তিনি লিটল ম্যাগাজিনেরই লেখক ছিলেন৷‌ সব সময়েই অন্য ভাষার সন্ধান করেছেন৷‌ বিকল্প লেখালেখিকে জায়গা করে দিতেই তাঁর ‘ভাষাবন্ধন’ পত্রিকার সূচনা৷‌ পাঠক-ভোলানো ফর্মুলার লেখা থেকে সততই শতহস্ত দূরে থেকেছেন তিনি৷‌ নিজস্ব ভাবনা এবং ভাষাই তাঁকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে, যা থেকে তিনি কখনও নিজেকে সরিয়ে নেননি৷‌

    তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দশ বছর আগে নবারুণদার ‘ফ্যাতাড়ু’ মঞ্চস্হ করি৷‌ শুরু থেকেই এই প্রজন্মের দর্শকদের কাছে ফ্যাতাড়ু জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷‌ দেবেশ বলেন, আসলে আমাদের সময়ের ভাষাকে জাপটে ধরেছিলেন নবারুণদা৷‌ এবং তাঁর ভাবনার ও ভাষার স্বাতন্ত্র্যের জোরে তিনি পরবর্তী সময়কে শাসন করতে পেরেছেন৷‌ দেবেশ বলেন, নবারুণদার ‘লুব্ধক’ নিয়ে নাটক করার প্রস্তুতি চলছে ভেতরে ভেতরে৷‌ এই নাটক নবারুণদাকে দেখাতে পারব না কোনও দিন৷‌ এটাই সবচেয়ে আক্ষেপ ও বেদনার বিষয়৷‌

    তাঁর লেখা থেকে সবচেয়ে বেশি নাটক ও চলচ্চিত্র করেছেন সুমন মুখোপাধ্যায়৷‌ সুমন বলেন, আমার প্রথম ছবি ‘হারবার্ট’ নবারুণদার লেখা থেকে, আমার সাম্প্রতিক নাটক ‘যারা আগুন লাগায়’ও নবারুণদার লেখা৷‌ অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আমি বারবার কেন ওঁর লেখার কাছেই পৌঁছে যাই৷‌ আসলে শিকড়ের টানটা কোথায়, সেটা আমি কী করে বোঝাব? আমার কাছে তিনি ছিলেন অনেক কিছু৷‌ আজ একজন অভিভাবককে হারালাম, যে শূন্যতা কখনও পূর্ণ হবে না৷‌

    প্রতিদিন

    http://www.sangbadpratidin.in/web/guest/story/-/asset_publisher/dbQQWH2f26c3/content/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%AD%E0%A6%9F%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AF-l

    প্রয়াত সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য

    প্রয়াত সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য l বহুদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি l আজ বিকেল ৪:২০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় l মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর l

    দেশব্রতী - খণ্ড ২১, সংখ্যা ২৫ ঃ ৭ অগাস্ট, ২০১৪
    http://aajkerdeshabrati.files.wordpress.com/2014/08/deshabrati_08072014.pdf

    সাহিত্যের সার্কাসের আউটসাইডার নবারুণ ভট্টাচার্য – অমিত দাশগুপ্ত

    বাংলা সাহিত্যের কেয়ারি করা ফুলবাগানে নবারুণ যেন ফণিমনসার বেয়াড়া ঝাড় – সংঘমিত্রা রায়

    লেখার নন্দন ঃ নবারুণ ভট্টাচার্য - সৌভিক ঘোষাল

    যুগান্তর
    http://www.jugantor.com/literature-magazine/2014/08/08/131948

    নবারুণের চলে যাওয়া
    টোকন ঠাকুর
    প্রকাশ ঃ ০৮ আগস্ট, ২০১৪


    সাহিত্যিক-কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের পরলোক যাত্রার পর আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস লিখি- ‘গোল পার্কের রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিকী থেকে, সেই মে মাসের পোড়া পোড়া দুপুরে ট্যাক্সিতে গেলাম গলফ গ্রিন, তখনকার সময়ে মহাশ্বেতা দেবীর বাসায়। আমি আর শাহনাজ মুন্নী। আমাদের সঙ্গে ছিলেন আকাদেমীর আরুণি দা এবং বাপ্পা দা। অবশ্য ট্যাক্সিতে তিনি বলেননি যে, তিনি নবারুণ ভট্টাচার্য।’ মৃত্যু উপত্যকাকে যিনি নিজের দেশ বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তো মহাশ্বেতা দেবীর সামনেই তিনি সিগারেট ধরালেন এবং সিগারেটের প্যাকেটটা তিনি আমার দিকে বাড়ালেন। আমি জড়তা ফিল করছিলাম, ২০০২ সালে, মহাশ্বেতা দেবীর সামনে, তারই বাসার ড্রইংরুমে কীভাবে সিগারেট টানি! হাজার চুরাশির মা তা টের পেয়ে বললেন, ‘শোনো, তুমি তো আমার নাতির বয়সী। বাপ্পা যদি টানে, ও তো আমার ছেলে, তুমিও টানো।’ বাপ্পা দা বলতে নবারুণ ভট্টাচার্য। বললাম, ‘নবারুণ দা, বাংলাদেশের বিপ্লবী স্বপ্নের বারান্দায় বসা ছেলেমেয়েদের সম্ভবত সব্বারই মুখস্থ, এই জল্লাদের ভূমি আমার দেশ না।।।’
    মাঝে-মধ্যে আমি সিদ্ধেশ্বরীতে, প্রতীতি দেবীর সঙ্গে আড্ডা দিতে যাই। ভবির বয়স এখন ৮৯। ভবি, ভবার যমজ। ভবা হচ্ছেন ঋত্বিক ঘটক। সঙ্গত কারণেই কথা হয় খুকু ওরফে মহাশ্বেতা দেবীকে নিয়ে, তিনি প্রতীতি দেবীর তিন মাসের ছোট। ঋত্বিক-প্রতীতির বড় ভাই মনীশ ঘটকের মেয়ে খুকু। খুকুর ছেলেই, বিজন (ভট্টাচার্য)-পুত্র নবারুণ। নবারুণ ভট্টাচার্য চলে গেলেন। কয়েক মাস আগে, প্রতীতি দি’ই একদিন বাপ্পা দার চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে আমাকে ফোন করে এমনভাবে বললেন, যেন এ ব্যাপারে আমার কিছু করার ছিল! দিদি বললেন, ‘শোনো, খোকনকে মুম্বাই না নিয়ে দিল্লি নেয়া কি ভালো হলো?’
    চলে গেলেন। তো গেলেনই। তবু মৃত্যু উপত্যকায়, জল্লাদভূমিতে, হার্বাট-এর হারু।।। নবারুণ দা, এত সহজে আপনার মৃত্যু হয় না।
    দুই বাংলার কাগজেই বেশ লেখালেখি হচ্ছে তাকে নিয়ে। পড়ছি। এই রচনায় আমি কলকাতার দুটো কাগজের নবারুণ মূল্যায়ন তুলে ধরলাম। সঙ্গে উইকিপিডিয়ার রিপোর্ট। লক্ষ করার বিষয়, কলকাতার একটি কাগজ তাদের চিরাচরিত প্রাতিষ্ঠানিক ভঙ্গিতে নবারুণের জীবন সত্তার মূল্যায়নে বলেছে ‘দ্রোহাভ্যাস’। দাদা আনন্দবাজার। এই দাদারা বলছেন, ‘বাংলা সাহিত্যে এক সময়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার প্রবল কৌলীন্য ছিল। প্রকৃত সাহিত্যিককে প্রতিষ্ঠানবিরোধীই হইতে হইবে- এই বাধ্যতায় অনেকে বিশ্বাস করিতেন। যে লেখকগণ কোনো প্রতিষ্ঠানের মদদে খ্যাত বা ধনী হইতেন, সাধারণ মানুষ তাহাদের লইয়া উত্তেজিত ও আপ্লুত থাকিলেও, চর্চাবান মহলে তাহাদের নিতান্ত মেরুদণ্ডহীন, লোভী ও আত্মবিক্রয়কারী জীব হিসেবে ধরা হইত। পাশাপাশি ইহাও ধরিয়া লওয়া হইত ঃ তাহারা লেখক হিসাবেও ব্যর্থ। বিশ্বাস করা হইত, লেখকের কাম্য কেবল নিজ সাধনায় সিদ্ধি। ‘সিদ্ধাই’য়ের দাপটে বিচ্যুত হইলে, বাড়ি-গাড়ির ফাঁদে জড়াইয়া পড়িলে, নিষ্কলুষ সংস্কৃতিযাপন সম্ভব নহে, আজ নহিলে কাল এই বস্তুগত স্বাচ্ছন্দ্যের খাজনা দিতে হইবে, আপন কাজটিকে তরল ও সরল করিয়া। জনপ্রিয়তার দায় ও সম্পদের আমোদ, লেখককে উৎকর্ষ ও স্বাতন্ত্র্যের পথ হইতে ছিন্ন করিয়া বাজার-বশ্যতার দরবারে আনিয়া ফেলিবে। রাজাকে তুষ্ট করিতে অভ্যস্ত ও ব্যস্ত সভাকবি, নিজের মতানুযায়ী কবিতা না লিখিয়া, রাজার রুচিমাফিক কাব্যরচনায় অভ্যস্ত হইয়া যাইবেন। জনপ্রিয়তায় প্রকৃত শিল্পের ক্ষতি হয়, জ্যা শিথিল হইয়া পড়ে, ইহাও অনেকেরই মতো ছিল। যদিও এই মতামতের নেপথ্যে বহু সময় কাজ করিত ঈর্ষা, দ্বেষ, নিজে প্রতিষ্ঠানসিদ্ধ হইয়া উঠিতে না পারিবার আক্ষেপ, কিন্তু অনেক লেখকই এই উগ্র মতাবলম্বনের অগ্নি হইতে নিজ উত্তাপ ও অস্ত্র খুঁজিয়া পাইয়াছিলেন। সহজ প্রতিষ্ঠার পথে, স্থূল জনপ্রিয়তার পথে কিছুতে হাঁটিব না- এই প্রতিজ্ঞা বাংলা সাহিত্যের কিছু লেখককে অতি মৌলিক ও স্পর্ধিত সাহিত্য রচনায় প্রণোদিত করিয়াছে। বৈপ্লবিক ভাবনা ও আশ্চর্য আঙ্গিক লইয়া ইহারা সাহিত্য প্রয়াস লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। কেহ ‘কাল্ট’ হইয়াছেন, কেহ হন নাই, কিন্তু এই প্রকল্পগুলোই একটি ভাষা ও সংস্কৃতিকে আগাইয়া লইয়া যায়, কিছু লোক পাঁচিল ভাঙিতে গিয়া আহত হয় বলিয়াই বহু লোক উন্মুক্ত প্রান্তরে পদচারণার স্বাদ পাইয়া থাকে। সদ্যপ্রয়াত নবারুণ ভট্টাচার্য তাহার ঘোরতর প্রতিষ্ঠানবিরোধী স্বকীয়তায় বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিয়াছেন।
    নবারুণের মতো শক্তিশালী লেখকের প্রয়াণ বাংলার দ্রোহসংস্কৃতিকে আরও স্তিমিত করিবে।’
    আরেকটি কাগজ, আজকাল লিখেছে, ‘ফ্যাতাড়ু’র স ষ্টা, স্বতন্ত্র ভাবনার সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বেশ কিছু দিন ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন তার মরদেহ রাখা হয় পিস হাভেনে। আজ, শুক্রবার সকাল ৯টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ক্রিক রো-তে গণসংস্কৃতি পরিষদের দফতরে। এখান থেকে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া ঘুরে শোকযাত্রা তার গলফ গ্রিনের বাসভবন হয়ে যাবে কেওড়াতলা শ্মশানে। ওখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার বাবা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব প্রয়াত বিজন ভট্টাচার্য, মা মহাশ্বেতা দেবী। নবারুণ ভট্টাচার্য রেখে গেলেন মা, স্ত্রী প্রণতি ভট্টাচার্য, পুত্র তথাগত ও অসংখ্য অনুরাগীকে। তার মৃত্যুতে বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া। ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন বহরমপুরে তার জন্ম। ছোট থেকেই নাটক, সিনেমা, সাহিত্যের প্রতি তার টান ছিল তীব্র। ছোটবেলায় ঋত্বিক ঘটকের শুটিংয়ে একবার যে রিফ্লে’র ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন, এ কথা বলতে তিনি গর্ব অনুভব করতেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। কলেজ স্ট্রিটের স্টুডেন্টস হলে অঙ্গন নাট্যে একসময় অভিনয় করেছেন নিয়মিত। ’৭৩ থেকে ’৯১ পর্যন্ত ‘সোভিয়েত দেশ’ পত্রিকার সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন। কবিতা দিয়েই তার সাহিত্যজীবন শুরু। পরবর্তীকালে গদ্যেই তার মনোযোগ ছিল বেশি। তার সৃষ্ট ‘ফ্যাতাড়ু’র তুল্য নজির বাংলা সাহিত্যে নেই। ‘হারবার্ট’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যার জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান ১৯৯৭ সালে। এই উপন্যাসের জন্যই পেয়েছেন বঙ্কিম ও নরসিংহ দাস পুরস্কারও। তার কবিতা লেখার ভাষাও ছিল স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল। ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ তার বিখ্যাত কবিতার বই। তার গদ্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচাক’, ‘ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক’, ‘হারবার্ট’, ‘কাঙাল মালসাট’, ‘হালালঝাণ্ডা ও অন্যান্য’ উল্লেখযোগ্য। এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার নতুন গল্পগ্রন্থ ‘আংশিক চন্দ্রগ্রহণ’। তার প্রবন্ধের বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আনাড়ির নাড়িজ্ঞান’ ও ‘অ্যাকোয়ারিয়াম’। তার ফ্যাতাড়ু প্রথম মঞ্চে আসে সংস্কৃতির প্রযোজনায় দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০০৪ সালে। তার পর সুমন মুখোপাধ্যায় তার ‘কাঙাল মালসাট’কে মঞ্চস্থ করেন। এই কাহিনী নিয়ে সুমন চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। ‘হারবার্ট’ও চলচ্চিত্রায়িত করেছেন সুমন। তারই পরিচালনায় সদ্য মঞ্চে এসেছে নবারুণ ভট্টাচার্যের নাটক ‘যারা আগুন লাগায়’। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘ভাষাবন্ধন’ পত্রিকা। দশ বছর মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশের পর কিছু দিন আগে ‘ভাষাবন্ধন’কে তিনি ত্রৈমাসিক হিসেবে প্রকাশ করা শুরু করেন। তার লেখালেখির শুরু লিটল ম্যাগাজিনেই। প্রধানত তিনি লিটল ম্যাগাজিনেরই লেখক ছিলেন। সব সময়েই অন্য ভাষার সন্ধান করেছেন। বিকল্প লেখালেখিকে জায়গা করে দিতেই তার ‘ভাষাবন্ধন’ পত্রিকার সূচনা। পাঠক-ভোলানো ফর্মুলার লেখা থেকে সততই শতহস্ত দূরে থেকেছেন তিনি। নিজস্ব ভাবনা এবং ভাষাই তাকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে, যা থেকে তিনি কখনও নিজেকে সরিয়ে নেননি।
  • /\ | 127.194.198.23 | ২১ আগস্ট ২০১৪ ০০:৩৬644767
  • http://jolbhumi.blogspot.in/2014/08/blog-post_7.html
    নবারুণ ভট্টাচার্য স্মরণ সংখ্যা

    বিশেষ সম্পাদকীয়
    নবারুণঃ মৃত্যুউপত্যকা থেকে স্মৃতিউপত্যকায় - ইমতিয়ার শামীম
    নবারুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী - জাহেদ আহমদ
    নবারুণের চলে যাওয়া - টোকন ঠাকুর
    নবারুণ ভট্টাচার্য এর একগুচ্ছ কবিতা

    এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
    গাজা-প্যালেস্টাইন
    অভাগীর স্বর্গ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন