এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 188.91.253.22 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৩০657525
  • ঃ-)))
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৩৮657526
  • ন্যাড়াদা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ঊঠছেন। কারও দরকার পড়ছেনা, নিজেই নিজেকে খিল্লিত করছেন।
  • Tim | 188.91.253.22 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৪৫657527
  • স্বয়ম্ভু বলবো ভাবছিলাম কিন্তু হিনী পড়বে বলে বলিনি
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১৫657528
  • ছিঃ ছিঃ, কী অপমান করল!
  • kc | 198.71.205.20 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:২২657529
  • ধুস! ন্যাড়াদার স্ট্যান্ডার্ড পড়ে গেছে। :-((
  • kabya | 59.249.81.46 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:২৮657530
  • এখানে এই সিনেমা টা নিয়ে এতো আলোচনা হলো যে কাল দেখেই ফেললাম। এখন প্রশ্ন হলো কেমন লাগলো? ঐ যে কিসের যেন পাহাড় ওটার মতো খাজা নয় আবার হেব্বি কিছি ব্যাপার ও নয়। প্রথম অর্ধে কিন্চিত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কিন্তু তারপর বেশ লাগলো
  • কল্লোল | 111.63.213.129 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩০657531
  • ওয়াঁ, এই যে শুনলুম গোটা গুরুরই স্যান্ডার্ড পড়ে গেছে। ন্যাড়া তো গুরুরই একজন, নাকি?
  • Tim | 188.91.253.22 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৯657532
  • যাব্বাবা গুরু পড়ে গেলেও ন্যাড়াদা দাঁড়িয়ে থাকবে এটাই তো প্রত্যাশা। যেমতি -মাটির ঢিবি ঝরে যায়, জেগে উঠে ওড়ে স্পেসশিপ

    (ডিঃ আমার ওয়েস্ট কোস্টে যাবার কথা নেই শিগ্গির)
  • kc | 198.71.205.20 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫০657533
  • কিসব ভুলভাল পড়ছি। হিনী দিতে গিয়ে আরেকবার পড়তে গিয়ে ভুল ভাঙল। চশমা নিতে হবে বোধহয়।
  • Arpan | 233.227.68.148 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৯:৪৯657535
  • টিমের যেমতি জুতের হয়নি, যেমতি হতে হয় এমনটা -

    "জাহাজ – ক্যাপ্টেন তুমি, বাকি সব মাঝি আর মাল্লা"

    বাকি লাইনটা ন্যাড়াদা নিজগুণে পূরণ করে নেবে।
  • কল্লোল | 125.185.159.119 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:০৩657536
  • মাইরী কেসি আম্মো চম্মা পড়েও ভুল দেকলুম।
  • riddhi | 117.217.133.50 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪০657537
  • কল্লোলদার প্রায় প্রত্যেক পোস্টকে ক , আর অক্ষদির প্রায় প্রত্যেক পোস্টকে ঙ।

    ফেবুতে এসব নিয়ে ভাটিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি। কিন্তু খুউব সং ক্ষেপে বলি, এই মিসোজিনি ব্যাপারটাই ৯০% ধপ।

    একজন মেয়ের পার্স্পেক্টিভে, তার বড় হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে, একটা পংক্তি কন্ডিসেন্ডিং, পেট্রোনাইজিং লাগতেই পারে, কিন্তু সেটা পৃথিবীর সব মেয়ের বাস্তবতা নাও হতে পারে। কিন্তু সে আগ বাড়িয়ে বলে দিল সেটাই এবসোলিঊট দৃষ্টি সেটাই মিসোজিনি। এই এই জিনিসের বাইরে গেলে সেটা মিসোজিনি, ঐ ঔ হলে সেটাই প্রেম, অমুক অমুক হলে ওটা অপমান।
    বাকি সব মেয়েরা মূক বোকা, আমরা 'এনলাইটেন্ড , আর আমারা তাদের "চেতনা জাগ্রত'" করব । এইটা হল মৌলবাদ। ঐ "চেতনা জাগ্রত " করবার চক্করে কমিরাও পড়েছে, ফল ভাল হয়নি

    একটু কঠোর শোনাতে পারে, কিন্তু অনিন্দ্য বাবুরা ফিল্মের টেক্নিকাল ক্রিটিসিম্স্ম নিয়ে নিজেদের রেস্ট্রিক্ট করলেই ভাল হয়। মিসোজিনি কি, ভালবাসা কি, ঘৃণা কি, এগুলো মনস্তত্বের বিষায়। যা প্রতিনিয়ত আপদেটেদ হয়। যথেশ্ট পড়াশোনা না করে, একটা বস্তাপচা আইডিওলজি আকড়ে এগুলো নিয়ে কপচাতে গেলে পদে পদে খোরাক হতে হবে।
  • Ishan | 24.99.207.204 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:১৬657538
  • মিসোজিনি প্রসঙ্গে আমিও খুব সংক্ষেপে বলি, জিনিসটা শুনতে "সিপিএম/তৃণমূলের দালাল" এইরকম লাগে। তা, দালাল কি আর এক আধটা সত্যি ই নেই, না মিসোজিনিস্ট নেই। কিন্তু যত্রতত্র মুড়িমুড়কির মতো মিসোজিনিস্ট শব্দটা ব্যবহার করলে ক্রমশ খিল্লিই বাড়বে, আর কিছু না।
  • Ishan | 24.99.207.204 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৯:৩১657539
  • আর এই অনিন্দ্যবাবুর লেখাটা প্রসঙ্গে দুটো কথা। এটা আসলে তথাকথিত ফিল্মি আঁতেলদের সংকট। ছ্যা ছ্যা অনিন্দ্য চাটুজ্যের সিনেমা দেখবা শেষে? ও আমরা দেখিনা -- এইটাও আছে, ওদিকে পপুলার স্পেসে সিনেমাটা এত বাইট খাচ্ছে দেখে হাত নিশপিশও করছে, তাই একটা ইউনিক রাস্তা নিতে হচ্ছে। " ও সিনেমা দেখিনা ঠিকই, কিন্তু কি মাল বানিয়েছে তো জানিই, না দেখেই কমেন্ট করতে পারি" ... এইরকম একটা গোলগাপ্পা জায়গা। এতে দেখে ফেলায় নাক কাটাও গেলনা, আবার চাট্টি নাক সিঁটকানো প্রকাশ করাও হয়ে গেল। :-)

    তবে, ওই আর কি, এরকম করলে নিজের গুরুত্বই লঘু হবে। এটা তো চন্দ্রবিন্দু প্রোডাকশন নয়, কাজের চন্দ্রবিন্দুর গপ্পো না এলেও চলবে। তবে ফিল্ম নিয়ে লেখার প্রথম শর্ত হল ফিল্ম দেখা, সেটা না দেখে রিভিউ করলে, আপনি যত বড়ো বোদ্ধাই হোন, বেসিকালি ভাট বকছেন। ফলে উত্তর দেবারই প্রয়োজন নেই, দিলামও না। গুরুত্ব তো না ই। লক্ষ্য করুন, আগের প্যারাগ্রাফে এই জন্যই ফিল্মি আঁতেলের আগে তথাকথিত বসিয়েছি। মানে বেসিকালি আপনাকে জাতিচ্যুত করলাম। :-)
  • !! | 59.207.215.54 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১১:৪২657540
  • শুধু তাই নয়, না দেখেই আলোচনায় গদার এসে গেছেন, পোমা আর নিও রিয়েল ইত্যাদি। তার ওপর ভাষা না বোঝায় আওয়াজ এক গুরুর মান পড়ে গেছে - এক্কেবারে অস্তিত্বের সংকট!!!
  • l | 226.17.99.157 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৬657541
  • হাতি না দেখে হাতির ক্রিটিক করাটা ভালো নয় সে যতোই হাতি-বিষয়ক অধ্যাপক হন না কেন।
  • Tim | 101.185.30.121 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫৭657542
  • এমনকি যুদ্ধ না দেখেও যুদ্ধের ইতিহাস লেখা খুব বিপজ্জনক ;-)
  • গজ উকিল | 72.210.74.186 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:০০657543
  • হাতির সাথে যুদ্ধ মিলিয়ে ফেলবেন না।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:২৭657544
  • আর, হাতির গান শুনে হাতির সিনেমার বিচার করবেন না। তাতে করে প্রতিমা বড়ুয়া, বা, রাজেশ খান্না - কেউই খুশি হবেন না। এ নিয়ে বেশি এগোলে হাতাহাতি হতে পারে।
  • শ্রী সদা | 126.75.65.125 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৩৮657546
  • বাপস, বাঁচলুম। এই অখদ্দে রিভিউ দেখে ও দুটো খিস্তিখাস্তা করার সাহস হচ্ছিল না, পাছে কেউ বকে দেন। এখন বুঝলাম অনেকেরই ঝুল লেগেছে।
    একে অনিন্দ্য চাটুজ্জের সিনেমা (সেরকম পেডিগ্রী নেই), তারপরে আবার ক্ষী সাহস, নব্বই এর দশকের মিষ্টি নস্টালজিয়া দেখিয়েছে কিন্তু ডানপন্থী রাজনীতির উপদ্রব দেখায়নি (কে না জানে বামপন্থা বাদে কোনো পন্থা থাকতেই পারেনা, বামপন্থীদের দাপটেই সারা দুনিয়ার বুর্জোয়া আর প্রলেতারিয়েত এক ঠেকে মাল খায়)। ব্যাস, চোথা কমন পড়ে গেছে, গড়গড়িয়ে রিভিউ নামিয়ে দিলেন ঃ)
  • Abhyu | 78.117.213.246 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:০১657547
  • কেন বাপু? মাধ্যমিকে তোমার প্রিয় বই রচনা লেখার জন্যে কোনটা দরকার ছিল - সেই বইটা পড়া, না পি আচার্যের রচনাবই পড়া? আর অধ্যাপক মশাইয়ের লেখাটার কি ভাষা, কি বাঁধুনি, কি কোটেশন, এমন লিখতে পারলে কুড়িতে সতের পেয়ে যেতাম মশাই!
  • aka | 34.96.239.132 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:২৮657548
  • একন সন্দেহ হল রিভিউ না পড়েই লোকে রিভিউর রিভিউ করছে। ওটা আসলে সিনেমার রিভিউই নয়। সন্দেহ নয় নিশ্চিত। ঃ)
  • PM | 53.251.91.243 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:৫০657549
  • ওটা সিনেমার রিভিউ নয় নিশ্চিত, কিন্তু ওটা সিনেমার জনপ্রিয়তার জনপ্রিয়তা সুযোগ নিয়ে নিজের আঁতলামোটাকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা।

    চন্দ্রবিন্দুর গান নিয়ে বলার থাকলে এই সময়্টাকে বেছে নেবার কোনো কারন নেই। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে সিনেমাটার রেফারেন্স দেওয়াও অর্থহীন
  • aka | 34.96.239.132 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:০৪657550
  • সুব্র্ত ভটচায যেখানেই যাক সে মোহনবাগানেরই ছেলে।

    আরে তাতো হবেই। সব সিনেমা নিয়ে, গান্নিয়ে, লেখানিয়ে লোকে প্রবন্ধ লিখবে নাকি। প্রবন্ধ লিখলাম কিন্তু কেউ পড়লনা, ভালো লাগে নাকি। বলুন। ঃ)
  • Atoz | 161.141.84.175 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৫657551
  • তুল্লাম
  • Tim | 101.185.27.63 | ০৮ মে ২০১৫ ০০:১৭657552
  • অবশেষে দেখা হলো ওপেন্টি। আমি অনিন্দ্যবাবুর লেখাটা আর ফিরে এখন পড়লাম না, দুটো কারণে। প্রথমতঃ তাতে দেখে যা মনে হলো সেগুলো ভুলে যেতে পারি। দ্বিতীয়তঃ, উনি সিনেমাটা দেখেন নি, রিভিউ ও সেইরকমভাবে বলতে গেলে, লেখেন নি। যাগ্গে কাজের কথায় আসি।
    প্রথমেই বাইরের খোলস। ওপেন টি যে সময়ের গল্প, সেই সময়টা অন্যরকম ছিলো। আমরা যারা নব্বইয়ের দশকে বড়ো হয়ে উঠেছি তারা জানি, সেই সময়ের গল্প, সিনেমার ভাষায় বলা কত কঠিন। কারণ সময়কে তো সত্যিই, বিরিঞ্চিবাবার কথায় "শিশিতে ভরে লেবেল সেঁটে দেওয়া যায়না"। তারওপর আবার সেটা একটা ট্রানজিশন। একদিকে পড়ে আছে হতাশাগ্রস্ত প্রজন্ম, আক্ষরিকভাবেই বড়োদের যুগ, যেখানে মানুষের চাকরি নেই রোজগার নেই অথচ আত্মসম্মানবোধ টনটনে। অন্যদিকে স্ট্রিট স্মার্ট, যেনতেনপ্রকারেণ আইটির অজস্র গলিঘুঁজিতে ঢুকে যাওয়া প্রজন্ম। মাঝে নব্বই, যখন জয়েন্টের লিস্টে কতিপয় নাম, বাকিদের জন্য লম্বা রেসট্র্যাক।
    তো, এই সময়টা ধরতে চওয়ার উচ্চাশার জন্য আমি পরিচালককে ধন্যবাদ দেব।
    কিন্তু মুশকিল হলো, একটা ভাবনা বা স্বপ্ন, তা সে যত ভালো ভাবনাই হোক না কেন, ভালোভাবে রূপায়িত করার দায়টা থেকেই যায়। সেখানে ওপেন টি কে বেশি নম্বর দেওয়া যাচ্ছেনা। ছবির কলাকুশলীদের সাক্ষাৎকার আর ট্রেইলার দেখে মনে হয়েছিলো প্রচুর পড়াশুনো হয়েছে। মেথড অ্যাকটিং হ্যান ত্যান।
    দেখতে বসে অবাক হলাম। ইন্টারভিউতে এত জার্গনের বাহার, অথচ ডিটেলিং বেশ খারাপ কোথাও কোথাও। গল্প বলাটা হয়েই উঠলো না। ক্লাইম্যাক্সেরও অনেক আগে থেকে বোঝা যেতে শুরু করলো কী হতে চলেছে। সবটাই লো বাজেটের দোষ তো হতে পারেনা। একজন ফুটবল কোচ দলের সবথেকে নির্ভরযোগ্য প্লেয়ারকে গাবদা স্নিকার দিচ্ছে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেতে নামার আগে। উত্তর কলকাতায় যারা বড়ো হয়েছেন ঐ সময়ে, তাঁরা বলতে পারবেন পাড়াটা কতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে দেখানো হলো, আমি শুধু যেগুলো চোখে লাগলো বলি। লুম্পেন সংস্কৃতি সব সময়েই ছিলো, সব পার্টির ছত্রছায়াতেই, কিন্তু বাম আমলে সেটা অনেক স্মার্টলি ক্যামুফ্লেজড ছিলো বলে আমি মনে করি। এদিক দিয়ে দক্ষিণ কতটা আলাদা ছিলো জানিনা, তবে আমার দেখা পাড়াগুলোয় পার্টির ছত্রছায়ায় ক্লাব করা লোকজন, স্লোগানের লিড ভয়েস যাদের ছিলো সেই সময় (ছবিতে বিশ্বনাথের চরিত্র), তারা এরকম ছিলো বলে মনে করতে পারিনা। খেলাধুলোর সুবাদে নানা এলাকায় যাওয়া আসা ছিলো, সেখানে যাদের দেখেছি তারা এরকম না। খারাপ লোক তো অনেকেই, কিন্তু তারা সাটল ছিলো, এরকম বোকা ভিলেন না। কৌশিক সেন বেশ ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু জন অরণ্য থেকে প্রায় টুকে এই চরিত্রটা তৈরী। উপরি এখানে সে অমরীশ পুরী টাইপ ভিলেন। জন অরণ্যতেও কিন্তু সেই নেতাটি সোজাসুজি কাদা ঘাঁটতে নামেন নি, বড়ো বদমাইশের মত ঢিলের আওতার বাইরেই থেকেছেন। এই সাদা কালোয় দাগিয়ে দেওয়া চরিত্রগুলোকে দুর্বল করেছে।

    ছবির মূল বিষয় নস্টালজিয়া। কিন্তু পরিচালক নষ্ট লজিকের নেশাটা চড়তেই দিলেন না। ঋতুপর্ণ হীরের আংটি ছবিতে রেডিওতে মহালয়া অনুষ্ঠানটা চমৎকার ব্যবহার করেছিলেন। প্রচলিত সুর, শব্দ, ছবি। এবং সময়। টাইটেল কার্ডে নাম দেখানোর শেষেই মূলত সিনেমাটা দর্শককে নস্টালজিয়ার মাটিতে পেড়ে ফেলে। এখানে আকাশবাণী শুরু হওয়ার সেই অমোঘ সুর পরিচালক বাজিয়ে হাওড়া ব্রিজ দেখিয়েই সরে গেলেন। ফলতঃ স্মৃতিটা দানা বাঁধলোনা। গোটা সিনেমা জুড়ে এরকম অসংখ্য মুহূর্ত আছে যেগুলো আরেকটু সময় ও যত্ন পেলে বারবার ফিরে দেখতে হতো। তিতির ফোয়ারাকে চলে যাওয়ার কথা বলতে আসার দৃশ্যটির কথা বলবো। যাঁরা হার্বার্ট দেখেছেন বুকি আর হারুর বিচ্ছেদ মুহূর্তটি ভাবুন। দুটো দৃশ্যেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু হার্বার্টে আমি সেই বিচ্ছেদে আহত হলাম, আর এখানে তা আমায় স্পর্শ করলোনা। এরকম ভাবে, একে একে, হেরে যাওয়া ফুটবল কোচের নোংরা রাজনীতি ও লুম্পেনদের বিরুদ্ধে লড়াই , প্রথম প্রেম ও বিচ্ছেদ সঙ্গে শ্রেণীচেতনা, বন্ধুত্ব ও বিট্রেয়াল, বাবার মৃত্যু/নিরুদ্দেশ উপলক্ষে মা ও ছেলের তিক্তমধুর সম্পর্ক, নাইট স্কুলে পড়াতে এসে পাশাপাশি ভাবা যায়না এমন লোকের সাথে প্রেম এগুলো কোনটাই দাগ কাটেনা। সোলার একলিপ্সের মত ম্যাজিকাল এলিমেন্ট নিয়ে পরিচালক যা করলেন সেটা জন্ম নিয়ন্ত্রনের বিজ্ঞাপণ ছাড়া কোথাও ভাবা যেতনা।
    শুধু মৃত্যুটি, ভাগ্যিস, দাগ কাটলো। ঐ একটা সময় শুধু দৃশ্যটার মধ্যে দর্শক হিসেবে বাস করা গেল। আর একেবারে শেষে, ফোয়ারার ফেয়ারোয়েলে। মধ্যে বেশ কটি ভালো মুহূর্ত, বিশেষত যেখানে যেখানে সুদীপ্তা, কৌশিক, সুরঙ্গমা বা রিদ্ধি এসেছেন। বেশ ভালো লাগলো এঁদের কাজ। বয়স হয়ে যাওয়া মায়ের ভূমিকায় সুদীপ্তা যে টোনে কথা বললেন, যথাযথ বললে কমই বলা হয়। গানগুলো মিশে গেছে দেখেও ভালো লাগলো, যদিও বিভিন্ন ছবিতে অনুপম রায়ের ঘ্যানঘ্যান করে একই কথা পার্মু-কম্বি করে গেয়ে যাওয়া অসহ্য হয়ে উঠছে। হে সখা মম-- ভালো লাগলো আর পাগলা খাবি কী উত্তাল।
    পরিশেষে, সময় নিয়ে না বুঝে ইয়ার্কি করতে নেই। প্লট নিয়েও না। হেলে না ধরেও কেউটে ধরা যায়, বা সেই দুঃসাহসকে আমি তাচ্ছিল্য করিনা। কিন্তু সাপকে ছাগলছানা ভেবে ধরতে গেলে মুশকিল। হেলে কেউটের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ যেমন জিনিসটাকে সাপ হতে হবে, তেমনি পাল্প বা শাঁখা-নোয়া ইত্যাদি হওয়ার আগে জিনিসটাকে ফিকশন হতে হবে। গল্পটাই বলতে পারলাম না, দর্শককে ক্লাইম্যাক্সে টেনশনে ফেলতে পারলাম না, তালে আর কি হলো? কোনিও হলোনা চক দে ও হলোনা সবটাই খালি কোলাজ। ঐ কিছুর একটা পাহাড় বা বাদশাহী সার্কাসের থেকে ভালো, এই প্রশংসার জন্য এত খাটুনির দাম নাই।
  • ranjan roy | 24.99.219.18 | ০৮ মে ২০১৫ ০০:৩৯657553
  • টিমের সঙ্গে অনেকটাই সহমত।
  • Tim | 101.185.27.63 | ০৮ মে ২০১৫ ০০:৪৮657554
  • আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেলাম। যে খেলা নিয়ে এত কান্ড সেখানে সিপুএম আর্জেন্টিনার আর কবচ লাল জার্সি পরে খেল্লো। ঃ-)
    তবে যে বাচ্চাগুলো খেলছিলো (অভিনেতারা না), ওরা খেলাধুলো করে।
  • শ্রী সদা | 24.99.144.17 | ০৮ মে ২০১৫ ০১:০০657555
  • টিমদার লেখায় মনে পড়লো, হারবার্ট। আজকাল যে কোনো নতুন বাংলা সিনেমা দেখলেই ওটার সাথে কমপেয়ার করতে বসি। হতাশ হই, প্রত্যেকবারেই। সুমনবাবু নিজেও কখনো আর ঐ বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করতে পারবেন বলে মনে হয়না।
    ওপেন টি দেখতে যাওয়ার সময় খুব বেশী এক্সপেক্টেশন নিয়ে যাইনি। ঠিকঠাক সিনেমা, একবার দেখাই যায়।
    সুদীপ্ত আর রজতাভর অভিনয় বেশ ভালো লেগেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন