এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PM | 122.79.37.155 | ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:৫৩657636
  • আমার সিনেমার কনসেপ্ট খারাপ লাগে নি। মাঝখানে লাগান এর প্লট টুকলি করার কোনো দরকার ছিলো না। পুরোটাই প্রক্ষিপ্ত লেগেছে। ওটাই পুরো সিনেমাটাকে ঝুলিয়েছে বলে মনে হয়েছে। অত্যন্ত অখাদ্য হয়েছে ওটা। কার মাথা থেকে বেড়িয়েছে কে জানে।

    যে জায়্গাগুলো ভালো লেগেছে , বড়িতে বসে দেখলে লাগতো না সে বিষয়ে নিশ্চিত।
  • a x | 60.171.26.111 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:০৩657638
  • এটা অনিন্দ্য সেনগুপ্তর লেখা - ভীষনভাবে একমত এই লেখাটার সাথে। চন্দ্রবিন্দুর গান বিষয়েও।

    আমি ওপেন টি বায়োস্কোপ এখনো দেখিনি
    .
    January 29, 2015 at 12:33am

    আমি ওপেন টি বায়োস্কোপ এখনো দেখিনি, দেখলে ভালো লেগে যেতে পারে এই রিস্কেই হয়তো। কিন্তু শুভজিতের মিনিরিভিউটি শেয়ার করেছিলাম এবং সেখানে একধরণের ব্যাকহ্যান্ডে সমর্থন জানিয়েছিলাম ওর বিরক্তির। আমি সাধারণত পিকলু স্যারের সমস্ত চলচ্চিত্র-মতামতকেই সমর্থন জানিয়ে থাকি (অনেকক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একমত না হলেও) কারণ ওর ছবি দেখার চোখ-কান-মগজের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। ও বাংলা ছবি দেখতে দেখতে বিনাচিকিচ্ছায় মারা যাবে ঠিকই কিন্তু এই মৃত্যুপথযাত্রায় যাত্রীর সিনসিয়ারিটি ও সিরিয়াসনেসের প্রতি একটা স্যালুট ঠুকেই ওর মিনিরিভিউগুলিতে যাবতীয় লাইক ও শেয়ার। কিন্তু কথা হচ্ছিল ওপেন টি নিয়ে, যা আমি এখনো দেখিনি...।

    কারণ পিকলু স্যার ও আমি বাংলা ছবি নিয়ে আমাদের মতামত ছাড়াও আরেকটি জায়গায় সহমত - আমাদের বিশেষ কারণে চন্দ্রবিন্দু আর ভালো লাগে না (আমরা দুজনেই একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলাম এককালে, অনেকের মতই)। সে ব্যাপারে পিকলু স্যার গুছিয়ে লিখলে আবার শেয়ার করবো না হয়। কিন্তু ওপেন টি...।

    কারণ না দেখেও বলা যায় যে ছবিটি চন্দ্রবিন্দুর বহু গানের চলচ্চিত্র ভার্সান একটি, এবং আপত্তি সেখানেই। গানগুলো খুব ভালো। 'বন্ধু তোমায়', 'নীল নির্বাসন', 'উঠে যাওয়া সিড়ি' এখনও শুনলে প্রথমবারের মত আবিষ্ট হয়ে যাই। নস্টালজিক হয়ে পড়ি, কিন্তু ফেলে আসা বাল্য-কৈশোর কাল নিয়ে নয়, ফেলে আসা চন্দ্রবিন্দু ও বাংলা ব্যান্ড নিয়ে। নিজের প্রতি হাজারো বিরক্তি উদ্গার করে জানাচ্ছি, বাংলা ব্যান্ডের অ্যাবর্টেড সম্ভাবনা নিয়ে আমার নস্টালজিয়া আছে...। মনে হত সুমনের প্রাজ্ঞ প্রৌঢ়তার পর এ আমাদের, আমার বয়সের কন্ঠ ইররেভারেন্টলি এবং সেটা ভুল, কারণ এফ এম রেডিও ও আশা অডিও-র পৃষ্ঠপোষকতায় একটা ঢেউ-য়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধীতা থাকতে পারেনা। পরবর্তীকালে বেশিরভাগ ব্যান্ডকর্তাদের ধ্যাস্টামোর সংস্কৃতির চিয়ারলিডার হয়ে যাওয়ায় সেটাই প্রমাণিত।

    নস্টালজিয়া নিয়ে আমার অসুবিধে হয়। আমাদের বিভাগে প্রতি বছর খান দুই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি করতে হয় ছাত্রদের; যবে থেকে দেখছি তখন থেকেই দেখি যুবসম্প্রদায় দুটি ব্যাপার নিয়ে ফিকশনাল ছবি করতে চায় - এক, ফেলে আসা শৈশব, দুই, ফেলে আসা কলেজের দিন। দ্বিতীয়টি আরো গোলমেলে, কারণ তারা তখন সেই জীবনটিই অতিবাহিত করছে! বর্তমান নিয়ে নস্টালজিয়া ভীষণ কৌতুহল-উদ্দীপক - এই দুটিই চন্দ্রবিন্দু সিন্ড্রোম।

    বিশ্বাস করুন, আমাদের পাড়া ছোটোবেলাগুলো একই থাকে, পাল্টাই আমরা। তাই সেই সময় হারানো, এবং হৃত সময়কে একটা পরিসরে প্রক্ষেপ করাটা হয়তো চোখঠার দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেদের নিয়েই নস্টালজিক হই, এই আত্মপ্রেম গোলমেলে কারণ এই আত্মটি অতীতে ছিলনা, এটি এখনকার একটি তুলশীপাতা ধুয়ে নেওয়া মাত্র।

    অতীত ইতিহাসের অংশ, সেই অতীতকে dehistoricize করার রাজনীতিটাই হল নস্টালজিয়া। নস্টালজিক হলে তাতে আর ইতিহাসের ডাইনামিক্স থাকেনা, এবং বস্তুত সবকিছুই - গোলমেলে এবং খারাপ জিনিসগুলোও পেলব হয়ে যায় - একটি মাত্র, শুধুমাত্র একটি উপভোগ্য আবেগের মোড়কে জারিত হয়ে যায় তা - হারানোর মিষ্টি রিগ্রেট।

    উদাহরণ (আমি ওপেন টি দেখিনি) - আমি নব্বই নিয়ে পাড়া, প্রেম, খেলাধুলো নিয়ে নস্টালজিক হতে হতে ভুলে যেতে পারি যে গোটা নব্বইটা দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থানের সময় - এবং বীভৎসভাবে - সেটা ভুলে যাওয়াটা গোলমেলে, কারণ এখন সেটার দেজা ভ্যু চলছে।

    বরং আমি নস্টালজিক হয়ে এন্তার বাম-ব্যাশিং করতে পারি, কারণ তখন বাম (পড়ুন সিপিয়েম) রাজনীতি নিয়ে ঠাট্টা করা যতটা বিপজ্জনক ছিল এখন সেটা করা সবচেয়ে নিরাপদ - মরা হাতি লাখ টাকা। অতএব এইধরণের রাজনৈতিক অডাসিটি যেমন বর্তমানের যুক্তিতে প্রোথিত, আগের রাজনৈতিক বিস্মরণটিও বর্তমানের যুক্তিতেই।

    '৯২-র বাবরি মসজিদ থেকে পোখরান হয়ে গোধরা-গুজরাট মনে থাকে বলেই, নব্বই নিয়ে আমি নস্টালজিক থাকতে পারিনা - ওটি দুঃস্বপ্নের সময়, মাথাফাতা খারাপ হয়ে যায়, মোদীর উত্থান এবং প্রতিষ্ঠা প্রমাণ করে যে আমরা কেবলই স্বপনে রয়েছি মগন, আমরা শুধুই নস্টালজিক।

    চন্দ্রবিন্দুর সবচেয়ে মিষ্টি গানগুলোও আদ্যন্ত মিসোজিনিস্ট ছিল। একটা 'বানভাসি'তে বাকি গানগুলোর মিসোজিনি ধুয়ে যায়না। শ্রম নয়, জীবনধারণ নয়, আত্মনির্মাণ নয় - শুধু প্রেমের লক্ষ্য আর যৌনতার খুঁটি আর হস্তমৈথুনের বায়বীয় উপলক্ষ্য হওয়াই মেয়েদের উপজীব্য এই নস্টালজিয়ায়। আমি শুনতে পাচ্ছি প্রাজ্ঞ থেকে অনভিজ্ঞ অনেকেই বিড়বিড় করছেন যে উফ্ পোস্ট-হোককলরব অনিন্দ্য আবার ফেমিনিস্ট বাতেলা দিচ্ছে। বিশ্বাস করুন আমি ফেমিনিস্ট এখন'ও হতে পারিনি, এটা দাবী করা যায়না যে হয়ে বসে আছি (তবে হোককলরব আমার কিছু ভাবনাকে ইররিভার্সিভলি না পাল্টালে আমি তাকে কিইবা দিলাম?)। মিসোজিনি আক্ষরিক অর্থে নারীবিদ্বেষ হলেও, আরেকটু নরম করে নিলে সীমাবদ্ধ পুরুষদৃষ্টিও মিসোজিনি। পোস্ট-ওপেনটি দেওয়ালে দেওয়ালে তরুণীদের চন্দ্রবিন্দু স্মরণে বেশ আমোদ পাচ্ছি। যে সময়ধৃত স্থান বা পরিসরধৃত সময় নিয়ে এত হা-হুতাশ, যে বয়সটা নিয়ে - সেগুলি মেয়েদের দৃষ্টি থেকে দেখলে এক না'ও থাকতে পারে। বিশ্বাস করুন, এই নস্টালজিয়া কখনোই পাড়ার বৌদি বা বাচ্চা সুন্দরীর বা চোখের জলে ভেজা মা'য়ের দৃষ্টি থেকে দেখা হবে না - তাহলে গল্প পালটে যেত। মিস্টিক ছাত্রী, তাদের এলোমেলো দৃষ্টিপাত, তাদের আবশ্যিক অবজ্ঞা, তাদের অধরা মাধুরী - এইসব কিছু ভীষণ মিস্টি কারণ এই ভালোলাগাটা আদ্যন্ত সেক্সিস্ট। উল্টোদৃষ্টিটাকে প্রাচীরের বাইরে রেখে দেওয়াটাই এর প্রধান কাজ এবং খুকিরা পাঁচিলের ওপারে থাকলেও যাতে ক্রমাগত হাততালি দিয়ে যায় সেটাও দেখে রাখতে হয়। অর্থাৎ তাদের খুকিসত্ত্বাটাই যে প্রথম ও শেষ কথা, তাদের ভূত ও ভবিষ্যত যে খুকিপণাতেই, সেটাই তো এই নস্টালজিয়ার রাজনৈতিক সার। অথচ নস্টালজিকরা কিন্তু শুধুমাত্র খোকা থেকে যায়নি, খোকা থেকে গেলে আর সদ্যঅতীতচারণ হয় কি করে?

    আমি ওপেন টি দেখিনি, এই নোটটি সেই ছবিটি নিয়েও নয়। শিল্প মানে ক্যাটালগ নয়, শিল্প মিউজিয়াম'ও নয়। বাংলা ব্যান্ডের সবচেয়ে বুদ্ধিমান দলটি তাদের সদ্য-অতীতচারী গানকে সুগ্রন্থিত ফ্রেজের ভাঁড়ার করে তুলেছিলেন (ফ্রয়েড একধরণের বাল্যযৌনতার কথা বলতেন, যা থেকে anal hoarding নামক একটা প্রবণতার কথা ভাবা হয়), তাতে 'সময়' থাকে না; সময় - অর্থাৎ ইতিহাস এবং তাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা। শৈশব-কৈশোর-প্রথমযৌবন সেখানে 'তথ্য' হয়ে থাকে, পুরনো জিনিসে ঠাসা স্কুলবাক্সের মত, যে ভাঁড়ার তৈরি করার সময় বাদ দিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও ক্রিয়াশীল থাকে।

    চন্দ্রবিন্দুই শুধু নয়, বাংলা ব্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দর গানটি ছিল সবচেয়ে মিথ্যে, প্রায় কপট - আমি 'হলুদ পাখি'-র কথা বলছি। যে গানটি শুনলেই বোঝা যায় যে এর একটি চিত্র বা কল্প'ও বাস্তব নয়, এমনকি যদি ধরেই নিই যে কিছু ছবি আঁকা হচ্ছে রুপকথাময়, তাহলে সেগুলি যে আবেগগুলি ধরতে চাইছে তা'ও মিথ্যে। কিন্তু 'হলুদ পাখি'-র দরদকে অস্বীকার করার ধক কি আমার আছে? আমরা সিনসিয়ারলি, উজার করা লিরিকাল আর্নেস্টনেস্ দিয়ে মিথ্যে দরদ বুনেছিলাম ওয়ান্স আপন এ ফাকিং টাইম!

    আবার আমার একটি বিশ্বাসের ভিত শক্ত হচ্ছে (জয় বাবা জঁ লুক গোদার) - শিল্পের কাজ সংস্কৃতির প্রতিটি পিলার শনাক্ত করে তাতে আঘাত হানা। বাংলা ব্যান্ড সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল, ওপেন টি (যা আমি দেখিনি) সংস্কৃতি, চন্দ্রবিন্দুতেই শান্তনু মৈত্রের সম্ভাবনা প্রোথিত ছিল এবং 'অপরাজিতা তুমি'-র (একটা সময় শিগগিরি আসবে যখন এই সমস্ত ছবিগুলি নিয়েও আমরা নস্টালজিক হয়ে ভিজে যাবো)। লোকে বলবে খামোকা সহজ, 'সিম্পল', সাদামাঠা একটা কাজ নিয়ে এত কলরব কিসের, বিশেষ করে সবাই যেটার ভালোত্ব নিয়ে এতটাই একমত?

    বাঙ্গালি গেরস্থ হোক, গেরস্থের ভালো হোক, তাদের খোকারা খুকুদের ভালো করে করুক। যা কিছু গোলমেলে তাকে ধরে ধরে অতীত করে দিক - কারণ গেরস্থের অতীত ছাড়া কিচ্ছু থাকবে না। আমরা যারা বান্টুহারা আমরা সহজ, 'সিম্পল', সাদামাঠা-দের সন্দেহ করি, কারণ ওরকম কিছু হয়না, হয় সেফ্ সংস্কৃতি বা ভাইরাল শিল্প; শিল্প নস্টালজিয়াকে ইতিহাস দিয়ে, ইতিহাসকে অভাবনীয় দিয়ে আঘাত করুক।

    ওপেন্ টি বায়োস্কোপ

    নাইন টেন টায়োস্কোপ

    সুলতানা বিবিয়ানা

    সায়েব বাবুর বৈঠকখানা

    রাজবাড়িতে যেতে

    পানসুপারি খেতে

    পানের আগায় মরিচ বাটা

    ইস্স্পিরিং-য়ের চাবি আটা

    যার নাম রেণুবালা

    তারে দেবো মুক্তার মালা।

    এই ছড়াটি প্রিটেনশাস্ বায়োস্কোপগামিনী সমাজে উর্দ্ধাকাঙ্খিনী মহিলাদের নিয়ে একটি স্যাটায়ার হয়তো, এবং মূলত বাচ্চা মেয়েদের খেলার জন্য একটি নন্সেন্স রাইমে পর্যবসিত।

    এই নোটটি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ছবিটি নিয়ে নয়। ওটি আমি এখনো দেখিনি, দেখলে নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে। 'ওপেন টি বায়োস্কোপ' - অর্থাৎ বাংলা ব্যান্ডের বয়স ৪৫ পেরিয়েছে।

    আমার স্মৃতিতে সত্তর নেই, আমার আশি-নব্বই নিয়ে কোনো মেদুরতা নেই, হাতে রইলো জিরো।

    আমি ভবিষ্যতের জন্য ক্ষুৎকাতর!
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:৩২657639
  • বাব্বা, এ কে চিত্রগুপ্ত? এ তো তিলে-আঁতেল। ছবিটি দেখলে ক'পাতা নাবাবে?
  • a x | 60.171.26.111 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪২657640
  • যাদবপুরের ফিল্ম স্টাডিসের অধ্যাপক।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪৩657641
  • কেনো - ফ্রয়েড আছে, সিপিএম আছে, মিসোজিনি আছে -- আর কত ইস্মার্ট হবে লেখা।

    যাই হোক, কে যেন কইল যে এই সিনেমাতে কৌশিক সেন, শিলাজিত, শান্তিলাল মুখার্জির ছেলেরা অভিনয় করেছে।
  • byaang | 132.167.229.25 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৬:৫৪657642
  • এলসিএম, আমি কয়েছিলাম।
  • lcm | 118.91.116.131 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:৩৬657643
  • আচ্ছা।

    আমি এই ওপেন টি বায়োস্কোপ ছড়াটি এই প্রথম শুনলাম।
  • riddhi | 117.217.133.50 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১৩657644
  • এই অনিন্দ্য সেনগুপ্তর লেখাটা পুউরো নির্মল আনন্দের টইয়ে যাবে ঃ)) বেস্ট হয়, 'তাতিন'এর নতুন ভার্সান বের করে, একদম কারেন্ট আঁতলামো (যেরকম ওর লেখায় আছে) গুঁজে দেয়া।
  • !! | 59.207.216.186 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:১৭657645
  • অংক কি কঠিন দাদা - এই রকম সান্ধ্য ভাষায় লেখা অনেক দিন পর পড়লাম। নিজের ওপর কিরকম হীনমন্যতা জাগল - মাতৃভাষাটাও বুঝতেও পারি না।
  • কল্লোল | 111.63.215.6 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৭657647
  • লেখাটা অনিন্দ্যকে পাঠাতে হবে।
    কি ছবি বানিয়েছিস ভাই, না দেখেই যা নামাচ্ছে লোকে। ওফ - পরের ছবিটা বানানোর আগে এনাকে খপর দিস। আরও একপিস ফিলিম স্টাডিজ নামবে।

    ডবলাশ্চর্য্য - দুষ্কু করিসনি ভাই, আমি মনে মনে পড়তেই কেমং দাঁত কনকন কচ্চে।
  • cb | 68.106.0.240 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৮657648
  • মানিকদা মারা গেছেন ভালো হয়েছে, এইসব রিভিউয়ারের হাতে পড়লে ওনার পোঁদ মারা যেত
  • h | 127.194.233.67 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৮657649
  • কিন্তু একটা অগা সিনেমা কেন ই বা দেখবো। ট্রেলার দেখেই বোঝা গেছে কিসু নেই। আর মিসোজিনিস্ট দের কেন বুদ্ধিমান বলবো তাও বুঝি না, শুধু পোঁদপাকা বলতে পারি।
  • d | 24.96.127.250 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১২:৫১657650
  • সে যাই হোক, চন্দ্রবিন্দুর গান যে বে-এ-শ মিসোজিনিস্ট এইটা এই প্রথম কাউকে স্পষ্ট বলতে দেখলাম।
    সেজন্য আমার তরফ থেকে একটি ধন্যবাদ ওঁর প্রাপ্য।
  • riddhi | 117.217.133.50 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:২২657651
  • ^ d, কিরকম? অনিন্দ্য সেনগুপ্তদের এসব জিন্দেগীতেও জিগেস করব না। কিন্তু গুরুর একাধিক পাবলিক যখন একি কথা লিখছে, মনে হচ্ছে হয়তো কোন জেনুইন উপলব্ধির জায়গা থেকে আসলেও আসতে পারে। সেইটা জানতে চাইছি।
    সিনেমাটা অগা তো আমারো লেগেচে।
  • a x | 60.171.26.111 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৩:৩১657652
  • আমিও কি বলব মাইরি সিনেমা নয়, শুধু ট্রেলার দেখেই খাজা সিনেমা বুঝতে চিনে গেছি, এমনকি বন্ধু বান্ধবের সিনেমা না হলেও!
  • Abhyu | 85.137.12.52 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:৫৩657653
  • সেই গানটা চন্দ্রবিন্দুর না -- আজকালকার মেয়েগুলো সব স্মার্ট, তারা পরে মিনিস্কার্ট, চলাফেরায় শ্রীদেবী, মনেতে সব ফুলনদেবী আর আরশোলাটা দেখলে পরে ফ্ল্যাট? আমার রুমমেট (এখন আই আই টি রাঁচির ফ্যাকাল্টি) শুনিয়ে শুনিয়ে কানের পোকা বার করে দিত!
  • Shibir | 113.16.71.21 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৬:২৩657654
  • d এই প্রথম নয় । এর আগেও কোনো এক টক শোতে ঋতুপর্ণ চন্দ্রবিন্দুকে সেক্সিস্ট বলেছিল । তার উত্তরে ওরা কিছু একটা বলে থাকবে যেটা এখন মনে নেই । এখানে আলোচনা আর ট্রেইলার দেখে " ছবিটি চন্দ্রবিন্দুর বহু গানের চলচ্চিত্র ভার্সান একটি" ঠিক মনে হলো ।
  • Tim | 101.185.15.247 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৭:১২657655
  • লেখাটার সাথে অনেক জায়গায় একমত হয়ে যাচ্ছি, সিনেমাটা দেখলে ভালো লাগবে ধরে নিয়েও (ট্রেলার দেখে আগ্রহ জেগেছে)। কিন্তু একটা সময়কে দেখার ধরণ সবার তো সমান হবেনা (দর্শকদের দিক থেকেই বলছি)। কেউ নব্বইকে মনে রাখবে সূর্য্গ্রহণের জন্য তো কেউ বাবরি মসজিদের জন্য।
    যেটা দেখার, সেটা হলো এই যে পরিচালকের কোন বিশেষ পক্ষপাত আছে কিনা। থাকলে দোষ নাই, কিন্তু আছে কি?

    আমি চন্দ্রবিন্দুর কেনু/প্রেমের গানগুলো নিয়ে চিরকালই একটু সন্দিহান। এমনকি ভেসে যায় ইত্যাদি নিয়েও। সেই জায়গাটায় চন্দ্রবিন্দু বাকি ব্যান্ডের মতই সুখী ও মেকি। বরং টোটাল খিল্লিমূলক গানগুলো স্বস্তির লাগে।

    সিনেমা দেখার আগেই যা চলছে, ভয়ে ভয়ে আছি। ঘেঁটে চচ্চড়ি পুরো। তবে রিভিউটার মধ্যে শিশিবোতল কিছু পেলাম না, দিব্য বোঝা যাচ্ছে এবং আঁতেল সাজার চেষ্টা কিছু চোখে পড়লো না। গুরুতো ননলিনিয়ারিটির বেন্দাবন, সেখানে লোকে এইসব আবাজ দিচ্ছে দেখলে হাসি পায়।
  • sinfaut | 127.194.228.6 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:৩৮657656
  • গুরুর মান নেমে গেচে। এটা পড়েও দাঁত কনকন করতে পারে, কিংবা আঁতলামি মনে হতে পারে এ আমি ভাবতে পারিনি। ১০০শ ক লেখা।
  • হে হে | 125.124.41.34 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:৫৩657658
  • যদিও আমার কম্পু ধরার কথা নয়, লুকিয়ে এসেছিনু, তাও বলে যাই আমার মত সাধারন মানুষদের কাছে ভালো সিন্মা সেরেফ যেখানে হোঁচট খেতে হয় না। মস্তি হলে ফুল মস্তি, কোন সময় ধরলে উইদাউট নীতি কথা, সিম্পলি সেই সময়টা , কল্পনায় ভাসাতে চাইলে পুরো ভাসাতে হবে, গল্প বলতে চাইলে ঠিক ভাবে গল্প বলতে হবে। সেখানে এই সিন্মাটা অল্প কয়েকটা খিঁচ বাদ্দিলে ঐ সময়ের উত্তর কলকাতাকে অসাধারন ধরেছে। তাই ভাল্লেগেছে। অনেক অস্কার সিন্মার চেয়েও ঢের ভাল্লেগেছে।যেমন লেগেছে চতুষ্কোন।
  • কল্লোল | 111.63.81.143 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:০৫657659
  • এই ফিল্মটা মিসোজিনিক? একজন একলা মায়ের গল্প। যে ৯০তে সাহস দেখিয়েছিলো একলা মা হবার। "জিনস" পরা মেয়ের বাম ভেকধারী দক্ষিনপন্থার মুখে সপাটে থপ্পর মারার গল্প।
    গোদার উদ্ধৃত করে যা খুশী তাই বললেই হলো!

    তাহলে তো ঋত্বিকের মেঘে ঢাকা তারা, সুবর্ণরেখাও মিসোজিনিক। মেয়েরা শেষ পর্যন্ত অসহায় শুধু বাঁচতে চাই বলে কাঁদতে বা আত্মহত্যা করতে পারে। শুধু অন্যায়ের সাথে আপোষ আর মেনে নেওয়া। আর ছলনাময়ী ও খল।
  • PM | 233.223.154.71 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:৪২657660
  • কোনো কিছু ভালো লাগার আগে চুলচেরা ভাবে ভাবতে হবে মিসোজেনিক কিন, সোশালি কারেক্ট কিনা, পলিটিকালি কারেক্ট কিনা। তার্পর আপনাদের মস্তিস্ক ভালো লাগার অনুমতি দেবে। আপনাদের ক্ষি চাপ মাইরি!!
  • sinfaut | 127.194.228.6 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:২১657661
  • পলিটিকাল কারেক্টনেস এর ব্যাপারে জানিনা, সে তো বিভিন্ন প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মানের দাবী করে। কিন্তু মিসোজিনি বুঝতে যদি চুল চিরতে হয় তাহলে সে মস্তিষ্কের অনুমতি না নেওয়াই ভালো।

    কল্লোলদা, ফিল্ম না দেখে রিভিউ লিখেছে তো, মিসোজিনি নিয়ে বক্তব্য তো চন্দ্রবিন্দুর গান নিয়ে। ফিল্ম নিয়ে তো নয়।
  • | 116.78.222.130 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৪৬657663
  • ঋদ্ধি আমি ত সিনেমাটার কথা কিছু বলি নি। দেখিওনি। আপনি কি সিনেমা সম্পরকে জানতে চাইলেন না চান্দ্রবিন্দুর গান সম্পরকে?

    শিবির। জানতাম না
  • | 116.78.222.130 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৪৬657662
  • ঋদ্ধি আমি ত সিনেমাটার কথা কিছু বলি নি। দেখিওনি। আপনি কি সিনেমা সম্পরকে জানতে চাইলেন না চান্দ্রবিন্দুর গান সম্পরকে?

    শিবির। জানতাম না
  • !! | 59.207.216.186 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২১:৫৩657664
  • ফিল্ম না দেখেই যিনি সিনেমা কেন দেখব না বলে এত বড় অতি বড় বড় বাক্যের ঝুড়ি নামান, তার কথা না বুঝলে বুঝতে পারি নি বলতে পারা যাবে না, তাহকে গুরুর মান পড়ে যায় - কি জানি বাবা - আমি তাহলে মুখ্যু সুখ্যুই থাকতে চাই
  • sosen | 212.142.95.112 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:১৩657665
  • এই বিতোক্কিতো ফিলিমের ভদ্রগোছের লিং মেলে?
  • Shibir | 113.16.71.21 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:২৬657667
  • PM আর কল্লোলদাকে এক লাইন এ দেখে বেশ ভালো লাগলো । সিনেমা নিয়ে বোধহয় বেশি কিছু বলেননি ("আমি ওপেন টি দেখিনি, এই নোটটি সেই ছবিটি নিয়েও নয়।")। যা দেখলাম নস্টালজিয়া আর চন্দ্রবিন্দু নিয়ে লিখেছেন । সিনেমা দেখতে কাউকে মানা করেননিতো ।
  • Ekak | 24.99.78.10 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:২৬657666
  • ইউটিউবে আছে ,ওখান থেকেই দেখলুম তো । সময় নষ্ট :|
  • Tim | 101.185.15.247 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২২:৩৩657669
  • ইউটিউবের লিং জঘন্য। ঐ কোয়ালিটিতে তুমুল ভালো সিনিমাও বসে দেখা যায়না। মানে আমি যা পেলাম আরকি (চিকন ও দুর্বল স্বাস্থ্য লেবেলের)।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন