এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কারাগার, বধ্যভূমি ও একঝাঁক স্মৃতি বুলেট

    kallol
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ১৩৩৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 220.226.209.5 | ০৩ মে ২০০৮ ১৪:২৫695765
  • ওদিকে দীপকদা আর সঞ্জয়দা দাবার ছকে গুম। এটা কিন্তু সকালে উঠে নয়, সারা রাতই চলেছে। আমিই সঙ্গ দিয়েছি প্রায় রাত একটা পর্যন্ত। ওদের দুজনেরই রাতে ঘুম হয় না।
    একটু পরেই স্বপন এবেলার বিড়ি বিলি করবে। মাথা পিছু এক বেলায়, তিনটে বিড়ি পাওনা।
    তারপর নটা নাগাদ গুনতি হয়ে গেট খুলবে। এবার স্নান ইত্যাদি সেরে নীচের ওয়ার্ডে জ্যোতিদা-আকুল-শম্ভূর সাথে আড্ডা ও চারমিনার। ঐ ওয়ার্ডেই থাকেন আর এস এস এর বংশীলাল সোনী এবং তাদের বাংলার দলবল। ওদের মধ্যে একটি ঢাকুরিয়ার ছেলে ছিলো, নামটা মনে পড়ছে না। বাবার সহকর্মীর ছেলে। তার সাথেও আড্ডা হতো মাঝে মাঝে। যেদিন জ্যোতিদার সাথে হামদি বে আর মিমিদি দেখা করতে আসতো, সেদিন ফিল্টার্ড উইলস আর সন্দেশ। সাথে বাইরের নানান খবর, সেটা হামদির কল্যানে।
    - সঞ্জয় গান্ধী পুরো মন্ত্রীসভাকে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ করে দিয়েছে। সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ইন্দিরা গান্ধীর বৈঠকখানায় মূলত: সঞ্জয়-মানেকা আর তার চামচাবৃন্দের ইচ্ছেমত। এমনকি ইন্দিরারও করার কিছু থাকছে না।
    - দিল্লীর ঝুপড়ি উচ্ছেদ নিয়ে আপত্তি করতে গিয়ে, খাবার টেবিলে সঞ্জয়ের হাতে চড় খেয়েছেন ইন্দিরা।
    - মানেকার সাথে রোজ ঝগড়া হচ্ছে ইন্দিরার।
    - নব কংগ্রেসের পুরোনো নেতারা - জগজীবন রাম, চন্দ্রশেখরেরা বিতশ্রদ্ধ।
    - সঞ্জয় ছোট গাড়ি বানানোর কারখানা খুলছে। বিড়লা এমনকি টাটাকেও লাইসেন্স দেওয়া হয় নি - সঞ্জয়ের আপত্তিতে।
    - এই কারখানার জন্য জমি, পুঁজি সবই গায়ের জোরে আদায় করা হচ্ছে।

    এইসব খবর আমার মারফৎ আমাদের ওয়ার্ডে আসছে। তাই নিয়ে তুমুল আলোচনা। সঞ্জয় গান্ধীর মত পুঁজিপতিকে কোন শ্রেণীতে ফেলা হবে। দেবাশিস কিসব বইটই ঘেঁটে বার করলো - লুম্পেন বুর্জোয়া।

    এর মধ্যে খবর এলো - জানুয়ারী মাসে - ৮ই জানুয়ারী মারা গেলেন - চৌ এন লাই। আর তার পরপরই শোনা গেলো মাওএর স্ত্রী ইয়াং সমেত আরও তিনজন সে¾ট্রাল কমিটি সদস্য গ্রেফতার। ওরা নাকি মাও বেঁচে থাকতেই ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। এই চারজনেই ছিলেন সাংষ্কৃতিক বিপ্লবের প্রথম সারির নেতা। হুও গুও ফেংকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
    ভীষন একটা গোলমাল হয়ে যাচ্ছিলো। চীনা পার্টির প্রতি অন্ধ আনুগত্য অনেকেকেই দিশেহারা করে তুলছিলো। এর মধ্যে কিভাবে যেন কোর্টে যাতায়াতের সময় কেউ কেউ লুকিয়ে একটা ট্রান্সিসটার সেট বানানোর মাল মাশালা নিয়ে এসে - বানিয়েও ফেললো। তাতে পিকিং রেডিও ধরা যাচ্ছিলো।
    তখন পিকিং রেডিওতে সাংষ্কৃতিক বিপ্লবের বাড়াবাড়ি আর গ্যাং অফ ফোর এর সমালোচনার বান ডেকেছে। চারটে ওয়ার্ডের প্রায় সকলেরই বিদ্ধস্ত অবস্থা।
  • kallol | 122.167.87.125 | ০৬ মে ২০০৮ ০০:২৪695766
  • তখন গোটা সাতখাতা জুড়ে অদ্ভুত এক অনিশ্চয়তা। তবে এর মধ্যে কারা যেন বলে দিলো - ওসব বুর্জোয়া প্রচার। চেয়ারম্যানের চীনকে ছোট করার কে জি বি চক্রান্ত। নকশালবাড়ি ঘটার পর পরই, যবে থেকে চীনা পার্টি সোভিয়েৎ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ বলতে শুরু করেছে, তবে থেকে সি আই এ-র বাজার গেছে। সি আই এ-র দালালরা লজ্জায় মুখ লুকিয়েছে। তাদের জায়গা নিয়েছে কে জি বি। বিজ্ঞানে বলে না, শূণ্যতা থাকে না কখনো!!
    তা, আমরা অনেকেই এই তঙ্কÄ গিলতে রাজি ছিলাম না। জোরদার আলাপ আলোচনা শুরু হলো। সাংষ্কৃতিক বিপ্লব নিয়ে বইপত্র আনানোর চেষ্টা চলতে থাকলো। সাংষ্কৃতিক বিপ্লবের পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল তর্ক। আমার কেন যেন মনে হয়, আজও মনে হয়, সমস্ত বাড়াবাড়ি সত্বেও ব্যাপারটার মধ্যে অন্যরকম একটা রাস্তা হাঁটার ডাক ছিলো - সেটা ছিনতাই হয়ে যায়। খারাপ দিকে মোড় নেয়।
    আমার আজও মনে হয় মাও এখানেই অসাধারন। যে পার্টিটার তিনি চেয়ারম্যান, ক্ষমতাসীন সেই পার্টিটাকেই - ""আমলাতান্ত্রিকতায় ভরে গিয়েছে"" বলে ভেঙ্গে দেওয়া এবং ডাক দেওয়া - লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে নতুন পার্টি গড়ে উঠুক। এটা করতে হিম্মত লাগে। দিব্যি চেয়ারম্যান হয়ে থাকতে পারতেন - রাষ্ট্রের সর্বেসর্বা হয়ে। তা না করে, নিজের দলের বিরুদ্ধেই পোস্টার মারছেন - এই হিম্মত গান্ধীরও ছিলো না। যদিও ৪৭-এর ঠিক আগে থেকেই এবং ৪৭-এর পর, তার যা হাল করে ছেড়েছিলেন নেহেরু আর প্যাটেল মিলে, তাতে তিনিও তাই করার কথা ভাবতে পারতেন।
    হ্যাঁ, আর একজন পেরেছিলেন। চে। তাঁর পারাটা অন্য রকম। ক্ষমতার নিশ্চিন্দি অবহেলায় সরিয়ে চলে গেলেন বলিভিয়া। কিন্তু নিজের দলের বিরুদ্ধে, সেই দলের সর্বোচ্চ পদে থেকে, সেই দলকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া, তার ওপর সে দলই কিনা ক্ষমতায় - এটা আজও আমায় নাড়া দেয়।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৬:২৭695767
  • কল্লোলদা, এই সুতোটার কথা মনে আছে?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ ১৬:৩৪695768
  • মনে আছে রে। নানা কারনে লেখা হয়ে ওঠে না। কখনো অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া। কখনো নিজেই কেমন বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, আর কখনো আলসেমী। লিখবো, আবার শুরু করবো।
  • ami | 203.110.243.21 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১০:০১695769
  • এটা কি আর এগোবে না?
    আর, অনেক পুরোনো একটা দাবীই তুলছি- এটাকে পিডিএফ করে আপলোডানো হোক।
    আর কল্লোলদাকে, প্রিয়ব্রত বসু মানে কি বেলঘরিয়ার?
  • d | 203.143.184.10 | ২৪ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৪৬695770
  • এই যে ভাই "তুমি'

    আপনাকে তো মেল করেছিলাম। কোথায় গেলেন তারপর?
  • Debu | 170.213.132.253 | ২৫ নভেম্বর ২০০৮ ০২:২৭695771
  • দাদা প্লিজ লেখাটা শেষ করুন
  • kallol | 122.167.88.192 | ২৬ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:১৪695772
  • তুমি - হ্যাঁ, প্রিয়ব্রত বেলঘোরিয়ার।
  • kallol | 122.167.75.253 | ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ ১৮:০১695773
  • চীন নিয়ে বাগবিতন্ডায় সাতখাতা গরম। আমরা সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে উড়িয়ে দেবার পক্ষে নই। আমাদের মনে হয়েছে, শুধু অর্থনৈতিক কার্যক্রম দিয়ে সমাজতন্ত্র আসবে না। তার প্রমাণ রাশিয়া। কোথাও একটা ""নতুন মানুষ"" গড়ে তোলার কাজ করতে হবে। সমাজতন্ত্র শুধুই অর্থনৈতিকভাবে আরও ভালো থাকা নয়। সমাজতন্ত্র মানে ভালো থাকার নতুন সংজ্ঞা তৈরী করা। শুধুই অর্থনৈতিকভাবে আরও ভালো থাকা-টা ফেলে আসা সমাজের পুরোনো চিন্তা। যেভাবে মাও-চৌ রা রাষ্ট্রের কর্ণধার হয়েও খুব সাধারন জীবন যাপন করতেন, গাড়ি না চড়ে সাইকেল ব্যবহার করতেন, সেটা আমাদের কাছে খুব বড় ব্যাপার বলে মনে হত। অন্য মতও ছিলো। তারা চীনা রেডিয়োর সুরে চার চক্রী (মাওয়ের স্ত্রী চিয়াং ও আরও তিন জন - ঝ্যাং চুংকাও, ইয়াও ওয়েউআন আর ওয়াং হংগোয়েন) আর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বিরোধীতা করছিলেন। কিন্তু গোটা ব্যাপারটাই চলত হাওয়াতে, কারন ঠিক্‌ঠাক খবর কারুর কাছেই ছিলো না।
    শেষ পর্যন্ত হুয়ো গুয়ো ফেং সিপিসির চেয়ারম্যান হলেন। শোনা গেলো তিনি মধ্যপন্থী, ফলে কেস আরও গুলিয়ে গেলো।
    এতে একটা ব্যাপার ভালো হলো, চীনের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা সহজ হলো। আমাদের পরিস্থিতি আমাদেরই বিচার করে কি করনীয় তা ঠিক করতে হবে, আর পিকিং রেডিয়ো বা পিকিং রিভিয়ুয়ের মতামতের অপেক্ষা করতে হবে না। এর মাত্র কিছুকাল পরেই, এই ব্যাপারটা যে কি সাংঘাতিক কাজে লেগেছিলো তা বলার নয়।
    এইসব করতে করতে নতুন বছর।
    ১৯৭৭। ২৩ জানুয়ারী ইন্দিরা গান্ধী নির্বাচন ঘোষনা করলেন।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৯ ডিসেম্বর ২০০৮ ১২:২৫695775
  • নির্বাচন ঘোষনার ফলে আমরা যারা এপিডিআরওয়ালা তারা খুব উৎসাহিত। যত যাই হোক, একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। কিন্তু অন্যদের বিশেষ হেলদোল নেই। তারা তো আগে থেকেই নির্বাচন বয়কটের লাইনে। নির্বাচন হলো কি না হলো তাতে কি বা আসে যায়। কিন্তু একটু কিন্তু কিন্তু ছিলো অনেকের মনে মনে।
    আমি আর দেবাশিস পড়শোনা শুরু করলাম। লেনিন কোন পরিস্থিতিতে ১৯০৫এ ডুমা বয়কটের পর আবার নির্বাচনের মাধ্যমে ডুমায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। তার ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা চলছে তারকদা, সমীরদা, সুধাংশুদা, পরিমলদা, সঞ্জয়দার সাথে। সকলেই একমত অন্তত: এই নির্বাচনে যোগ দেওয়া উচিত। আমরা প্রার্থী দিতে পারবো না, কিন্তু ভোট তো দিতে পারবো। যেকোন ভাবেই স্বৈরতান্ত্রিক ইন্দিরা-সঞ্জয় চক্রকে হারাতেই হবে।
    পড়াশোনা চলছে, আলোচনা চলছে। খবর আসছে - চন্দ্রশেখর, জগজীবন রাম এরা নব কংগ্রেস ছাড়ছেন। ইন্দিরা-সঞ্জয় চক্র দুর্বল হচ্ছে।

  • b | 117.193.33.206 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৩৩695776
  • এটা একটু লিখুন। হারিয়ে যাচ্ছে।
  • Shoubh | 125.18.104.1 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৫:২৮695777
  • এই উদয়ন কি লেখক উদয়ন ঘোশ?
  • . | 207.179.11.216 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:৪৪695778
  • গেগএ
  • b | 117.193.32.252 | ০৪ এপ্রিল ২০০৯ ২৩:০৩695779
  • কল্লোলদা......
  • kallol | 122.167.14.178 | ১৭ মে ২০০৯ ০৮:৩২695780
  • জেল কমিটির মিটিং বসেছে। আমরা - আমি, দেবাশিস, সমীরদা, তারকদা, পরিমলদা, সঞ্জয়দা - প্রস্তাব রাখলাম - নির্বাচনকে লাড়াইয়ের অংশ হিসাবে দেখতে হবে। অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক দাবীতে মানুষের লড়াই (সশস্ত্র বা সশস্ত্র নয়) যখন তুঙ্গে তখনও নির্বাচন বয়কট একটা কৌশল। আর যখন মানুষের লড়াই স্তিমিত তখনও নির্বাচনে যোগদান একটা কৌশল মাত্রই। সিপিআইএমএল ৬৭-তে যেভাবে নীতিগতভাবে নির্বাচন বয়কটের কথা বলেছিলো তা ভুল। যুক্তি হিসাবে তখন বলা হয়েছিলো - এটা মাওয়ের যুগ। লেনিনের যুগ শেষ, মুমূর্ষু ধনতন্ত্রের সাম্রাজ্যবাদী হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শৈশবের দিনগুলোয় যে লেনিন যুগের শুরু, আজ সমাজতন্ত্রের জয়যাত্রায় আর সাম্রাজ্যবাদের পরাজয়ের লগ্নে তার সমাপ্তি ঘটেছে - শুরু হয়েছে মাওয়ের যুগ - সাম্রজ্যবাদ আজ ঝরা পাতার মত কাঁপছে - দুনিয়া জুড়ে সমাজতন্ত্রের জয় ঘোষিত হচ্ছে বসন্তের বজ্রনির্ঘোষে। তাই লেনিনের যুগের কৌশল ও নীতি আজ প্রাসঙ্গীকতা হারিয়েছে।
    কিন্তু এই নীতির যাঁরা উদ্‌গাতা সেই চীনা কম্যুনিষ্ট পার্টির দশম কংগ্রেসে স্বয়ং মাও ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন - আমাদের যুগের মূল্যায়নে ভুল ছিলো। লেনিনের যুগ ও তার নীতি-কৌশলসমূহ আজও প্রাসঙ্গীক।
    তাহলে এই নির্বাচনে আমাদের যোগ দেওয়াটা অবশ্য কর্তব্য। স্বৈরতন্ত্রকে হঠানোর জন্য - এটাও বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ।
    খুব হৈচৈ শুরু হলো। সোমনাথদাদের উত্তর কলকাতা গোষ্ঠী আমাদের সাথে একমত। অসিত সিন্‌হার নেতৃত্বে কানু সান্যালদের গোষ্ঠী কোন মত দিচ্ছে না। তাদের কথা - কানুদার সাথে কথা না বলে কিছু করা যাবে না। ওঁদের মধ্যে একমাত্র দীপকদা (দীপক বিশ্বাস) আমাদের যুক্তিগুলো মানলেন, কিন্তু, গোষ্ঠীর প্রতি দায়বদ্ধতার কারনে অসিতদাদের সাথেই থাকলেন।
    শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো যারা ভোট দিতে চান দেবেন, যারা দিতে চান না দেবেন না। দিন কতক বাদেই অসিতদা-কানুদাদের কোর্টের দিন পড়েছে। সেদিন কানুদার সাথে আলোচনা করে অসিতদারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
  • kallol | 122.167.30.179 | ১৭ মে ২০০৯ ১১:৩৬695781
  • আমাদের অনেকেরই (বোধহয় কারুরই) ভোটার তালিকায় নাম নেই। জেল কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলো নাম তোলার জন্য।
    এর মধ্যে জেল অফিস থেকে খবর রটেছে - নকশালরা ভোট দেবে। একদিন জ্যোতিদাদের ওখানে আড্ডা চলছে। আমি আকুল আর শম্ভু আড্ডা মারছি। জ্যোতিদা সম্ভবত: গৌরদার সাথে দেখা করতে গেছেন এবং সেখানেই সংবাদটি পেয়েছেন। ফিরে এসে আমায় দেখেই ধরেছেন। কি ব্যাপার তোমরা নাকি ভোট দেবে? আমি উৎসাহে সবিস্তারে ব্যাখান করছি কেন আমাদের এই ভোটে অংশ নেওয়া উচিত। জ্যোতিদা মাঝে মাঝে কিসব লিখে নিলেন। পরদিন স্টেটসম্যানে বড় করে খবর - Naxals for election। ভুল করে খবরটা কানু সান্যালদের মত বলে ছাপা হয়।
    ব্যাস, ওমনি শুরু হলো ঝামেলা। অসিতদারা ক্ষুব্ধ। ওরা মনে করলেন ওদের ব্ল্যাকমেইল করতে খবরটা সোমনাথদারা দিয়েছে। সে এক ধুন্ধুমার কান্ড। আমি দু-একবার বলার চেষ্টা করলাম - ওটা ভুল হয়ে গেছে। জ্যোতিদাকে বললাম। জ্যোতিদা মানলেনও। কিন্তু যা হবার তা হয়ে গেছে। ও আর শোধরানো গেলো না।
    ওদিকে অসিতদাদের কেসের তারিখ চলে এলো। অসিতদারা প্রেসে দেবে বলে একটা বিবৃতি তৈরী করে নিয়ে গেলো। তাতে ভোটের কথা কিছু ছিলো না। শুধু ছিলো "স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের লড়াই সমর্থনযোগ্য।
    অথচ সেদিন সান্ধ্য হিন্দুস্থান-এ (আনন্দবাজারের সান্ধ্য ইংরাজি কাগজ) লেখা হলো কানু সান্যাল নির্বাচনে অংশ নেবার কথা বলেছেন। ওদের বিবৃতির ঐ অংশটার ছবিও দেওয়া আছে - যারা আজকের এই সময়ে নির্বাচনের বিরোধীতা করছেন, তারা প্রকারন্তরে স্বৈরতন্ত্রের হাতকেই শক্তিশালী করছেন। আমাদের তো প্রায় - জানলায় কাক / আমি তো অবাক - অবস্থা।
    পরে দীপকদাকে ধরে জানা গেলো গল্পটা।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৮ মে ২০০৯ ১০:২১695782
  • সেদিন রাতে দীপকদাকে ধরলাম। কি হলো? হঠাৎ মত পাল্টালো কেন?
    কানুদাদের সাথে একই কেসে ছিলেন মহাদেব মুখার্জি। মহাদেব মুখার্জি আসানসোলের শ্রমিক নেতা। বহু পুরোনো ট্রেড ইউনিয়ান করা মানুষ। ৬৭-তে সিপিএম ছেড়ে চলে আসেন ও সিপিআইএমএল-এ যোগ দেন। চিরকাল চারু মজুমদারের ও লিন পিয়াও লাইনের সমর্থক। ৭৭-এ ছাড়া পাওয়ার পর আজিজুল হক, নিশীথ ভট্টাচার্যের সাথে সিপিআইএমএল দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। পরে বেরিয়ে এসে সিপিআইএমএল(মহাদেব মুখার্জি) তৈরী করেন। ভীষণ বেশী রকম আবেগী। প্রায়ই বক্তৃতা করতে করতে বা কর্মী সভায় বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন।
    সে হেন মহাদেববাবু কাগজে পড়েছেন কানুদরা নির্বাচনে অংশ নেবার কথা বলেছেন (যেটা ভুল করে ছাপা হয়েছিলো)। ব্যাস, যেই না কোর্টে কানুদাকে দেখা, ওমনি শুরু হয়ে গেলো - এই সব সাম্রাজ্যবাদের দালাল কুত্তারা শাসকদের পায়ে মাথা দিয়ে, নির্বাচনে অংশ নেবার কথা বলে, জেল ত্থেকে মুক্তি চাইছে........ ইত্যাদি নানান বিপ্লবী গালাগাল। কানুদারা সেই সব শুনে ঠিক করেন ও আগে থেকে লিখে আনা বিবৃতিতে ঐ লাইন যোগ করে দেন - যারা আজকের এই সময়ে নির্বাচনের বিরোধীতা করছেন, তারা প্রকারন্তরে স্বৈরতন্ত্রের হাতকেই শক্তিশালী করছেন।

  • intellidiot | 220.225.245.130 | ১৮ মে ২০০৯ ১৬:১২695783
  • ভীষণ জীবন্ত বিবরণ
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৮ মে ২০০৯ ১৭:৫৭695784
  • তা সে যাই হোক, কানুদারাও নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সাথে একমত হলেন। সেটা ভালো-ই হলো।
    ভোটার তালিকায় নাম তোলাতে দেখলাম অনেকেরই গড়িমসি। আসলে এতকালের অভ্যাস। আর শুধু অভ্যাসই বা বলি কেন। এতোকালের পরিচয় চিহ্ন নিজহাতে মুছে ফেলা - বেশ শক্ত। নকশালরা ভোটের রাজনীতি করে না। এটা মুছে যাবে! তখন অনেককে দেখেছি বলতে - যুক্তি-টুক্তি সবই ঠিক আছে, কিন্তু ভোটে ইন্দিরাকে সরানো যাবে আদৌ? সবই তো ওর হাতে। যেমন খুশী ভোট করিয়ে নেবে।
    সত্যি কথা বলতে কি এর কোন জবাব আমাদের কাছেও ছিলো না। কিন্তু চেষ্টা তো করতে হবে। যদিও আমাদের মত মুষ্টিমেয় কজন বেঁড়ের চেষ্টায় কিই বা হবে। তবু..........
    একটা ব্যপার বুঝতে পারছিলাম। আমরা কজন ছাড়া অন্যরা মানতে পারছিলেন না। যুক্তিতে পেরে উঠছেন না, কিন্তু - আবার সেই ""ইলেকশন""!! মন মানছে না। যার বিরোধীতা করে বিপ্লবের রাস্তায়। ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানো। বস্তিতে, গ্রামে, হদ্দ গরীব মানুষের সাথে দারিদ্র ভাগ করে নেওয়ার কষ্ট। পেছনে ক্ষ্যাপা কুকুরের মত তাড়া করে ফেরা পুলিশ। যে কোন সময় ""না"" হয়ে যাবার আশঙ্কা। এই জেল, পুলিশের মার-অপমান....... কত জনের অর্ধেক জীবন জেলেই তো কাটলো। সব যেন মিথ্যে হয়ে যাবে।
    একে একে কথা বলছিলাম ওঁদের সাথে। এটা শুধু যুক্তি-তর্কের বিষয় নয়। বিশ্বাসেরও বটে। আমরা ভুল করেছিলাম। ৬৭-তেই নির্বাচন নীতিগত ভাবে বয়কট করে ভুল করেছিলাম। সেদিন মাঠের আর পার্লামেন্টের লড়াইকে মেলানোর প্রয়োজন ছিলো। ভারতের, অমনকি প:বাংলার নানান জায়গার অসম অর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বিকাশকে আমরা ধরতে পারিনি। লড়াই শুধু সিংহের মত মাথা উঁচু করেই নয় - শুওরের মতে মাথা নীচু করেও লড়ে যেতে হয়। ওঁরা সারা দিচ্ছিলেন।
    কিন্তু কি একটা প্রশাসনিক গন্ডোগোলে আমাদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হলো না।
    নির্বাচন হয়ে গেলো। মানুষ রায় দিয়েছেন। এখন ফল প্রকাশের অপেক্ষায়................
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৯ মে ২০০৯ ১৭:২১695786
  • গুলতানি করতে করতে দিন গেলো। ভোট গোনা শুরু হলো।
    একে একে ইন্দ্রপতনের খবর আসছে। মধ্যপ্রদেশে বিদ্যাচরণ শুক্ল, কমলনাথ....... ক্রমশ: অস্থির হচ্ছে সাতখাতা। চার চারটে ফাইলের সকলেই ঝুঁকে পড়েছে একমাত্র রেডিও সেটের ওপর। খবর এলো আমেঠি থেকে সঞ্জয় গান্ধী হেরেছেন বাঁধ ভাঙ্গলো সবার। নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া বা ভোট বয়কট - সকলেই সব ভুলে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরছি। চোখে চোখে বিদ্যুত ঝলক - মুক্তির দিন হয়তো বা আগতপ্রায়। এমন সময় বাইরে থেকে স্লোগান যেন ভেসে এলো - ইনকিলাব জিন্দাবাদ। চকিতে স্তব্ধ হয়ে গেলো গোটা সাতখাতা। সেই মুহুর্তে আমাদের হৃদপিন্ড একবারের জন্য থেমে গিয়েছিলো। বাইরে কারারক্ষীরা স্লোগান তুলেছেন। ওঁদের অনেকেই আরএসপির ইউনিয়ান করতেন। ইন্দিরা পরাজিত।
    সারা সাতখাতা তার সমস্ত লোহার গারদ আর পাথর দেওয়াল ফাটিয়ে গর্জে উঠলো - ইনকিলাব জিন্দাবাদ। একশ কুড়িটি প্রাণ একসাথে গেয়ে উঠলো - জাগো জাগো জাগো সর্বহারা / অনশণ বন্দী ক্রীতদাস / শ্রমিক দিয়াছে আজ সারা / উঠিয়াছে মুক্তির আশ্বাস.......
    পাগলের মত লাগছে, স্রেফ পাগলের মতো। আমরা যারা জরুরী অবস্থায় বা তারও অনেক আগে থেকেই বন্দী, আমরা ধরেই নিয়েছিলাম আরও অন্তত: দশ-পনেরো বছর নিশ্চিন্তে..........
    হট্টগোল থেমে এলো। রাত নামে প্রেসিডেন্সি জেলের চারপাশ জুড়ে, রাত নামে ডিহি কলকাতার অলিগলি আর পাড়ার পাড়ায়, রাত নামে নকশালবাড়ি আর ডেবরার মাঠ জুড়ে..... রাত নামে প্রতিটি হারিয়ে যাওয়া ছেলেমেয়ের বুকে আর তাদের জন্য অপেক্ষা - অপেক্ষা - অপেক্ষা করতে - করতে - করতে থাকা মানুষের চোখে।
    ঘুমের মধ্য আলতো করে ভেসে আসে, পাশের কম্বলে শান্তনুদা গুনগুনিয়ে গাইছেন - ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে.........
  • a | 203.201.231.35 | ২০ মে ২০০৯ ১১:৩৯695787
  • রোম খাড়া হয়ে গেলো কল্লোলদা
  • kallol | 122.167.11.9 | ২১ মে ২০০৯ ১১:১২695788
  • পরদিন থেকে শুরু হয়ে গেলো নতুন বিতর্ক। তবে কি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে পরিবর্তন আনা যায় ? একদলের বক্তব্য - এই তো ইন্দিরাকে সরানো গেল। এটা যে আদৌ হতে পারে তা তো কস্মিনকালেও ভাবা যায় নি। আমাদের তখন পর্যন্ত ভোটে জিতে আসা অকংগ্রেসী সরকারের অভিজ্ঞতা কেরালা আর প:বঙ্গ। দু জায়গাতেই জোর করে সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। কিন্তু এবার তো কেন্দ্রেই অকংগ্রেসী সরকার !
    অন্য এক দলের কথা - সরকারে থাকা দলের শ্রেণীচরিত্র তো পাল্টায় নি। গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ। সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের তাঁবেদারদের হাত থেকে ক্ষমতা গেলো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালালদের হাতে।
    আমাদের মত এপিডিআর-ওয়ালাদের (তখন মানবাধিকার শব্দটি এতটা মান্যতা পায় নি। তাই আমাদের গণতান্ত্রিক শক্তি বলে উল্লেখ করা হত - মানে বিপ্লবী নয় তবে বিপ্লবের সহায়ক আর কি) অন্য একটা মত ছিলো। এই বা ঐ সাম্রাজ্যবাদের দালাল তঙ্কেÄ আমাদের আর আস্থা ছিলো না। আমরা মনে করতাম একটা আপেক্ষিক স্বাধীনতা আমাদের শাসককূলের আছে। সেই জায়গা থেকে পরিবর্তন আসতেই পারে। আর সেই পরিবর্তন আর্থ-রাজনৈতিক নীতির ক্ষেত্রেও হতে পারে।
    ওদিকে আমাদের প্রতিবেশী পার্টি ফাইলে গোলমাল চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। সত্যনারায়ন সিন্‌হার নেতৃত্বে সিপিআইএমএল (তখনকার সিপিআইএমএল গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী), কৌশিক ব্যানার্জির নেতৃত্বে ইউনিটি কমিটি (যারা মনে করতো সব সিপিআইএমএল গোষ্ঠীকে আবার একজায়গায় এনে - মতাদর্শগত লড়াই চালিয়ে আবার একটা সিপিআইএমএল গড়ে তুলতে হবে) - এরা নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান পাল্টাচ্ছে। ওঁরা বলছেন - ৬৭র নির্বাচন বয়কট সঠিক ছিলো। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অংশ নেওয়াই ঠিক হত। জনগন তা প্রমান করে দিয়েছেন। আমাদের ভুল হয়েছে।
    ওদিকে অন্য সিপিআইএমএল গোষ্ঠীগুলো বিশেষ করে বিনোদ মিশ্রের নেতৃত্বে ""প্রো-চারু অ্যান্টি লিন"" (অর্থাৎ চারু মজুমদারের লাইনে মানছেন কিন্তু চীনা পার্টির দশম কংগ্রেসের লাইনও মানছেন - ফলে লিনপিয়াওয়ের মাও যুগের তঙ্কেÄর বিরোধী - পরে এরাই লিবারেশন নামে খ্যাত), আজিজুলদা, নিশীথ ভট্টাচার্য্য, মহাদের মুখার্জির নেতৃত্বে বিশেষ করে বিনোদ মিশ্রের নেতৃত্বে ""প্রো-চারু প্রো লিন"" গোষ্ঠী (অর্থাৎ বিনোদ মিশ্রদের মতই কিন্তু লিনের তঙ্কÄ মানছেন - পরে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটি নামে খ্যাত) - এরা সরাসরি ওদের প্রতিবিপ্লবী শিবিরের পায়ে মাথা বিকিয়ে দেওয়া - জেল থেকে ছাড়া পাবার জন্য পেতি-বুর্জোয়াসুলভ আকুলতার শিকার বলে গাল পাড়ছেন।
  • kallol | 122.167.11.9 | ২১ মে ২০০৯ ১১:১৮695789
  • ** আজিজুলদা, নিশীথ ভট্টাচার্য্য, মহাদের্ব মুখার্জির নেতৃত্বে - এর পরে - বিশেষ করে বিনোদ মিশ্রের নেতৃত্বে - এটা বাদ যাবে। কাট-পেস্টের গন্ডোগোল।
  • r | 125.18.104.1 | ২১ মে ২০০৯ ১৩:৩৭695790
  • আগের পর্যায় থেকে এই পর্যায় বেশি ইন্টারেস্টিং হবে। সারাক্ষণ লোম খাড়া হয়ে থাকলে ভাববার ক্ষমতা কমে যায়।
  • b | 117.193.41.82 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২১:৫৭695791
  • এটা একবার ওপরে তুললাম।
  • kallol | 115.184.112.130 | ২৫ অক্টোবর ২০০৯ ০৮:০২695792
  • লেখাটার প্রথম পর্ব শেষ করেছি। গুচ র সকলকে কৃতজ্ঞতা। ছাপা গুরুর জন্য পাঠাচ্ছি।
  • NB | 122.167.169.160 | ২৮ জুলাই ২০১০ ১২:৩৬695793
  • কল্লোলদা, আপনার লেখায় জোর আছে । পড়তে পড়তে ডুবে গিয়েছিলাম । ক্রমে ক্রমে শুনতে শুনতে দেখি নিজের voice নিজেরই কানে ভালো লাগছে । নি:সন্দেহে লেখার গুণ :)

    আপনার অনুমতি থাকলে আপনার পুরো লেখার এই page-গুলির reading রেকর্ড করে (এবং, অবশ্যই, তা যদি পাতে দেওয়ার মত হয়) এখানে link দিতে চাই । please মতামত জনান ।
  • kallol | 124.124.93.205 | ২৮ জুলাই ২০১০ ১৭:৫১695794
  • লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব আনন্দ হলো।
    অনেক ধন্যবাদ।
    আর, আপনার ইচ্ছে হলে লেখাটার পাঠ আপলোড করতেই পারেন। তবে কি লেখাটা আরও সম্পাদিত হয়েছে। কিছু যোগ হয়েছে, কিছু বাদ গেছে, কিছু পাল্টেছে। সেটা ছাপা গুরুতে ধারাবাহিক হিসাবে যাচ্ছে।
    আপনি কোনটা পাঠ করতে চান জানাবেন। আমার কোনটাতেই আপত্তি নেই।
  • Shibanshu | 59.97.224.97 | ২৯ জুলাই ২০১০ ১৮:১৩695795
  • প্রিয় কল্লোল,

    আমি আপনার সময়ের কিছু পরের লোক। ঐ সময়টার সঙ্গে আপনার মতো সরাসরি যুক্ত ছিলাম না, কিন্তু যোগাযোগ ছিলো অন্যভাবে। যখন বিহারে আমাদের শহরে বারো বছরের ঊর্দ্ধে যেকোন বাঙালি ছেলেকে অভিযোগ ছাড়াই নক্‌শাল বলে সোজা হাজারিবাগ জেলে পাঠিয়ে দেওয়া যেতো। ওখানে ঢোকা খুব সহজ, বেরোনো প্রায় সেলুলার জেলের নিয়মে। আমার বাবাকেও পুলিস হুমকি দিয়েছিলো, কেন তিনি সেই সব ছেলেদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান, যাদের নাম পুলিসের খাতায় আছে। যেহেতু তিনি একজন স্বীকৃত সামাজিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, বিহার পুলিস বেশি সাহস দেখাতে পারেনি। আমার কয়েকজন কলকাতার বন্ধু আপনার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছে। তাদের সেকালের কথাবার্তার প্রতিধ্বনি আপনার লেখায় পেলাম। ভালো লাগলো। যদি একটু গুছিয়ে ডকুমেন্টেড করেন, তবে একালের ছেলেরা ফেলে আসা সিঁড়িগুলোর খবর কিছু পেতে পারে। ভালো থাকবেন।
  • kallol | 124.124.93.205 | ২৯ জুলাই ২০১০ ১৮:২৪695797
  • শিবাংশু - ছাপা গুরুতে ৪র্থ সংখ্যা থেকে এটা ধারাবাহিক হয়ে বের হচ্ছে। তাতে যতটা পারা যায় 'গুছিয়ে' লিখেছি। কিন্তু একটা গন্ডোগোল থেকেই যাবে। সেই অসম্ভব অগোছলো সময়কে খুব গুছিয়ে ধরা বোধহয় যায় না। ফলে একটা অগোছালো ভাব থেকেই যাবে। তাই........
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন