এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গান-ফাইট

    pi
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৯৩৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 184.64.4.97 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১২:২৫698383
  • moot point, টেকনিক্যালিটি বুঝতে চাই না , শুনবো না এরকম তো আমি একবারও বলিনি। শোনার ( এবম কিছুটা বোঝার) পরেও কনভিন্সড হলামনা এটাই বলেছি। স্যানিনি ভালো করে পোস্ট পড়ছে না।
  • san | 11.39.33.220 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১২:৫০698384
  • তাহলে আমার বোঝার ভুল।
    কিন্তু তাহলে তো টেকনিকাল আলোচনা তোমার কাছে পৌঁছেই গেছে :-)
    একমত ( /কনভিন্সড) তো সবাই হবেই না।
  • sm | 53.251.91.253 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:০৩698385
  • বাপ্পি লাহিড়ি, আর ডি র মাপের না হলেও বিরাট বড় সুরকার ও গায়ক। অন্তত কাছাকাছি।কম্পোজার হিসেবেও অসাধারণ।

    আর একটা

    এই দুটো গান শুনেই বুঝবেন; কতবড় শিল্পী গায়ক ও সুরকার।

    এবার একটা বাংলা;
  • lcm | 83.162.22.190 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:০৭698386
  • ও, বাপি লাহিড়ির সুরে বাংলা গান --
  • নির্মোহ ব | 69.160.210.3 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:১৫698387
  • "কর্ড ডিসকর্ড দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না" - আবার কে লিখেছে? "কর্ড ডিসকর্ডের সম্পর্ক নেই বলেই মনে হয়" - লেখা ছিল। মনে হওয়াটা ভুল হতেই পারে। সম্পর্ক থাকলে সেটা শেখা যাবে। এইজন্যেই তো টই পড়া।

    আর পুরোনো প্রসঙ্গে, "খামোখা সেন্টি" কেন খাবে ? এ হল ঐ যাকে বলে আত্মোপলব্ধি। তো, সে বস্তু চিরকালই ছিল। সময় সুযোগে প্রসঙ্গান্তরে ভাটানোর মানে এই নয় যে আদত বিষয়ে উৎসাহ নেই বা মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসার "সহিষ্ণুতা" নেই। সেমিনারে লোকে সাইড টক করে না? তা বলে কি সে জানে না যে সে সাইড টক করছে? খুবই নর্মাল ও ক্যাজুয়াল ব্যাপার স্যাপার।
  • sm | 53.251.91.253 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:১৯698388
  • এই নির্মোহ ব টা কোন পিছন পাকা? মাঝে মাঝে স্টেজে উকি মেরে বিবেকের পার্ট করে যাচ্ছে?
  • দ্রি | 56.166.188.210 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:৪০698389
  • একটা কথা খুব মনে হচ্ছে। এই আলোচনাটা বুঝতে গেলে গানের নোটগুলো কানে শুনে বুঝতে পারতে হয়। এইটা আমি একদম পারি না। আপনি গুনগুন করে এক লাইন গাইলে আমি সেটা সারেগামার টার্মে সেটা বলতে পারব না। অনেকেই পারেন। আমার বউ আর মেয়েই পারে। কিন্তু আমি হলাম পারফেক্ট সুরকানা। তাল তবু ধরতে পারি, কিন্তু সুর, নেভার। তাই অনেক চেষ্টা করেও আলোচনার খুব কাছাকাছি পৌঁছতে পারলাম না।

    সুরের ব্যাপারে আমি হলাম একটি ব্ল্যাক বক্স। আপনি গেয়ে শোনালে আমি শুধু বলতে পারি আমার ভালো লাগলো, না লাগলো না। বাইনারীর বদলে আরেকটু ন্যুয়ান্সড ভাবে বলতে পারি হয়ত। হয়ত পাইদির মত বলতে পারি, এই দুটো লাইন ভালো লাগলো, আর ঐ দুটো লাইন লাগলো না। কিন্তু কেন লাগলো, বা লাগলো না, কোন স্বরটা গা আর কোনটা ধা, নো ক্লু।

    শুনেছি টোনডেফনেস ব্যাপারটা জেনেটিক।
  • robu | 213.132.214.81 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:৫৫698390
  • আমি একদম দৃ এর মত :-)
  • robu | 213.132.214.81 | ২১ মার্চ ২০১৬ ১৩:৫৬698391
  • Name: নির্মোহ ব

    IP Address : 69.160.210.3 (*) Date:21 Mar 2016 -- 10:55 AM

    ----------------------------------------------------------------------------------------------
    ক ।
  • ঈশান | ২১ মার্চ ২০১৬ ২১:১৬698394
  • উফ। ন্যাড়াদা ঠিকই কয়েছেন। রাগসঙ্গীতের একদম প্রাথমিক শিক্ষার্থী জানে সগপধণ হল কলাবতীর আরোহ। সমস্যা হল ওইটা প্রাথমিক শিক্ষা। অরেকটু জানলে বোঝা যায় সগপধণ মানেই কলাবতী নয়। যেমন আপনি যেটা গেয়েছেন/ বাজিয়েছেন, ওটা সগপধণ হলেও কলাবতী হয়নি। স্পর্শ স্বর আর মীড়গুলো বাদ দিলে কলাবতী হয়না। ওগুলো যোগ করে দেখুন, কোনো অনুপপত্তি থাকবেনা।

    দ্বিতীয় পয়েন হল কর্ড এবং স্কেল। এইটা আপনি সেই আগের দিনই বলেছেন। একটা কর্ডে রে মা আছে, অতএব, কলাবতীর সঙ্গে সেটা বাজবেনা, কারণ, কলাবতীতে রে মা লাগেনা। এই তো মোদা যুক্তি। তা আমি যে ডেমোটা দিলাম, তাতে ওই কর্ডটাই বাজিয়েছে, এবং বিশুদ্ধ কলাবতীও লাগিয়েছি। সেটা শুনে কি কর্ডটা বেমানান/কনফ্লিক্টিং মনে হল? তার কোনো উত্তর নাই, আগের দিনের কথাটাই আরেকবার টুকে দিলেন।

    এবার যেহেতু বেমানান লাগছেনা, কেন লাগছেনা, সেটা খতিয়ে দেখার দরকার ছিল। ওখানে ডি মাইনর লাগালে কেন বেমানান লাগবে কিন্তু বি ফ্ল্যাট লাগালে লাগবেনা, অনুসন্ধানটা সেই লাইনে হওয়া উচিত ছিল। তার একটা ব্যাখ্যা আমি ওই ক্লিপেই দিয়েছি।

    এখানে আবার এমফাসাইজ করি। সগপধণ লাগালেই উহা কলাবতী হয়না। বিশ্বেস না হলে, যে কোনো একটা ক্লাসিকাল ক্লিপ শুনে দেখুন। এবং সঙ্গে একটু বাজিয়ে দেখুন। সকল অনুপপত্তি ঘুচে যাবে।
  • ঈশান | ২১ মার্চ ২০১৬ ২১:২০698395
  • অ্যাজ ফর এক্সাম্পল, এইটা শুনুনঃ



    স্পর্শ স্বর এবং এবং মীড় গুলো খতিয়ে দেখুন। আর এটা বি ফ্লাটে গাওয়া মোস্ট প্রব্যাবলি। অতএব নির্দ্বিধায় সঙ্গে Bb Major আর A Major, এই দুটো কর্ড লাগিয়ে সঙ্গত করুন। ঠিকঠাক জায়গায় লাগালে এবং ভালোভাবে বাজালে চমৎকার লাগবে, গ্রান্টি।
  • h | 182.56.35.99 | ২১ মার্চ ২০১৬ ২২:১০698396
  • ন্যাড়া তুমি একটা কথা বলেছো 'বম্বে মারকেট কব্জা করার পরে' তো ইশান জেটাভ অ্যাড্রেস করতে চাইছে সেটা হল বম্বে জে মারকেট দখল করলো সেটা পলিসি অ্যাড্ভানটেজ সে পেয়েছে কিনা। এটুকু ই আমি এগ্রি করছি জে হিন্দী র এমার্জেন্স দুটো জে বড় ফেজ একটা স্বাধীনতার আগে পরে জেটাতে মালব্য নেতৃত্ত্ব দিছেন এবঙ্গ ভীষম্সাহনী রাও লাহোর থেকে এসে একটা সমর্থন দিচ্ছেন সেটা আর মনমোহন দেসাই বা রাজ কাপুর রা জে ভাবে সরকারী লেন্স দিয়ে সমাজ কে দেখছেন সে দুতোর সময় ও প্রকার আলাদা এবঙ্গ তাদের কে মারাথা মানুস এর ধাক্কা সামলাতে হছে। আতএব আমি নন তেক্নিকাল ব্যাপারে তোমার ইশান আর আমার বক্তব্যের সামান্যই এম্ফাসিস এর পার্থক্য দেখছি । বঙ্গ টেকনিকাল পার্ট তো মেনলি শুনছি ভালি লাগছে
  • h | 182.56.35.99 | ২১ মার্চ ২০১৬ ২২:১৭698397
  • আর আমার বিব্লিওগ্রাফি তে একটা মারাত্মক অমিসন হয়েছে সেটা হল অশীশ রাজাধ্যক্ষ্য ও পল িলেমেন কৃত বিশাল ফিল্মোগ্রাফি। আঅমি উর্বীর বই য়ের ত্য়্পে্রিপ্ত তৈরীর র সময়ে এতার সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পেয়েছিলাম।
  • pi | 24.139.209.3 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০১:৩২698398
  • আর ঐ দশক ভিত্তিক প্যাটার্নের সাথে প্যারালাল আর কমার্শিয়াল সিনেমার গানও যে মিউজিক্যাল এলিমেন্টের জন্য দিব্বি আলাদা করা যায়, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রইলো। আরেঞ্জমেন্টে কী কী তফাত ?
    ইন ফ্যাক্ট ভেবে দেখলাম, আর্ডি র ঐ যে আর্বান ঘরানা বলছিলাম, যেটা ভাল লাগে, সেটা মূলতঃ প্যারালাল সিনেমায়।
    এমনিতে ঐ গোরি তোরি তে লিখেছিলাম, ঐ কোন একটা টিপিক্যাল বলিউডি প্যানপেনে পিস এসে সব মাটি করে দিচ্ছে, এটা অনেক গানেই হয়। পুরো একমণ দুধে গোচনার মত। এরকম আরো কিছু আছে হয়তো।
  • pi | 24.139.209.3 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০২:২৬698399
  • আর এই গানটার কাটছেঁড়া শোনার ইচ্ছা রইলো কখনো। শুরুর শুদ্ধ গা থেকে শুরু ক'রে দেশে ট্রান্সফর্মেশন ( তাই তো মনে হল), পুরোটা।


    মূল কাওয়ালি এটা ছিল।


    রাম সম্পতকে নিয়ে তেমন কথাই দেখিনা। আরডির সিকিভাগও দেখিনি। এর কোন ফ্যানফলোয়িং ও দেখিনি। কেন ? তার কাটাছেঁড়াও পড়তে চাই।

    তবে এই গানটা শুনতে চাইনা। একবার শুরু করলে লুপে পড়ে রাতের ঘুম চলে যায়। আজও যাবে মনে হচ্ছে।
  • h | 182.56.34.245 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৯698400
  • পাই তোর কি খু বিস্বাস আছে দশক ভিত্তিক প্যাটার্নে , আমার নেই।প্রথমতঃ এটা পপ কলছার এর পশ্মি ক্যাটিগোরি থেকেধার করা আর এটা থিমাটিক না
  • h | 182.56.34.245 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫০698401
  • এ মানে অসম্ভব
  • lcm | 14.15.124.11 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৭:০২698402
  • রাম সম্পত - আবার কে? নতুন হিন্দি গানের সুরকারদের মধ্যে রহমান, শংকর মহাদেবন - এদের শুনেছি।
    সব তো শোনা হয় না, এর মধ্যে এখন মনে আছে বিশাল ভরদ্বাজের সুরে দুটি গান (দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি, বড়ি ধীরে জ্বলি).... পীযূষ মিশ্রর হো রি দুনিয়া, এক বগল মে চাঁদ হোগা...
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৭:৩২698403
  • রাম সম্পতের অ্যারেন্জমেন্ট এ ভাঁওরি দেবির সঙ্গে হার্ড কউর-এর র‌্যাপ শুনে দেখুন এলসিএম দা।

  • dc | 132.178.19.147 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৭:৫৪698405
  • আহা আমার ফেভারিট কোক স্টুডিওও চলে এসেছে দেখছি! কতো যে গান! খান দুয়েক দিয়ে দি।

    বক্সী ভায়েরা


    অখতার চানাল জাহরি আর কোমল রিজভি
  • dc | 132.178.19.147 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৭:৫৭698406
  • আর রুস্তম মিরলাশারির মেজাজী লায়লাঃ
  • pi | 24.139.209.3 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৮:০২698407
  • হ্যাঁ, দশক ভিত্তিক প্যাটার্ন পাই তো। কোন সময়ের সিনেমা, কোন আইডিয়া না থাকলেও গান শুনে দিব্বি আইডিয়া করা যায়। বিশেষ ক'রে সত্তরের পরের দিক, আশি, নব্বই তার আগের থেকে ভীষণভাবে আলাদা।
  • h | 184.79.160.147 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৮:৫১698408
  • এটা হয়তো ওভারল আমার ই দোষ, আমি ই হয়তো ডাইভার্ট করিয়েছি, মনে নেই। তবে বক্তব্য হল, কোক স্টুডিও যে কাজটা করছে, যেটা কয়েক বছর আগেও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি তে ইন্ডি মিউজিক কোং রা করতো। আমি মিউজিক বিজনেস এ জীবনের পাঁচ বছর কাজ করেছি। অবশ্যই ট্যালেন্ট রিসার্চে নয়, বাজে আইটি র কাজে, তাবে এই হল আমার অভিজ্ঞতা -----পপ মিউজিক এর ক্ষেত্রে----
    ক -- ট্যালেন্ট বের করে আনা , ছোটো ক্লাব থেকে পার্সোনাল রেকর্ডিং থেকে, ছোটো শহর থেকে, ঘেটো থেকে এটা হল 'ইন্ডি' লেবেল এর কাজ।
    এটা আমেরিকায় মরিস হোয়াইট , মো টাউন, বা এমনকি দের মার্লে স্টুডিও ওয়ান এর অনেক আগে থেকে চলছে। ইনসাইড লিউইন ডেভিস সিনেমাটা দেখলে এটা বোঝা যাবে। ইন্ডিভিজুয়াল প্রডুসার দের সঙ্গে কাজ করা। এটার সঙ্গে প্রথমেই বিখ্যাত হওয়া প্রথমেই বড় লেবেল এ সিলেকটেড হওয়া লেবেল এর একটা পার্থক্য আছে। স্ট্রীট ক্রেড এ।
    খ - বড় লেবেল কোম্পানীর কাজ হল এদের ক্যাটালোগ কিনে ফেলা, আর তাকে ব্যাপক ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে ফেলে দেওয়া, ইংরেজি ভাষার হেজেমনি এতে সাহায্য করে। লেবাননে ম্যাডোনা র রেকর্ড বেচা ইত্যাদি। এবং সেটা যদি পাঁচটা আরবি চার্ট বাস্টারের পরেও আশে, তাহলেও কম নয়। এবং বেসিকালি আর্টিস্ট দের আব্দার মানার ছলে তাদের জীবন নিয়ন্ত্রন করা হয়ে যেতেই পারে।
    গ- খুব বড় আর্টিস্ট রা এটাকে রেজিস্ট করেন অবশ্যই, বিশেষত হোম গ্রাউন্ডে। প্লেস হোল্ডার হিসেবে বাছি, ম্যাডোনার বা রোলিং স্টোন নিজের মিউজিক লেবেল বড় ডিস্ট্রিবিউটর দের অনেক সময়ে পাত্তা দেয় নি, কিন্তু তাদের ইন্দোনেশিয়ায় ইন্ট্যারন্যাশনাল মিউজিক বেচার নেটওয়ার্ক থাকে না, তাই একটা নির্ভরতা থেকে যায়।
    ঘ- এই মডেল বড় করে চ্যালেন্য করে ইন্টারনেট ও ন্যাপস্টার এর উৎপত্তি। কিন্তু মোনোপোলি ব্যাবসা কে ঠেকানো মুশকিল, একজন গেলে আরেকজন আসেন। কিছুদিন গেলো ফাইঅ ফর্মাট এর মনোপোলি, যেটা অ্যাপেল এর মডেল। এর পরে এলো একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ, সেটা হল, স্পটিফাই বা সাউন্ডক্লাউড, কারণ ইন্টারফেস গুলো এতো ভালো নতুন আর্টিস্ট রা সর্বদাই প্রেফার করবেন নিজেরাই। ইউটিউব ও তাই। কিন্তু এখন তাহলে কম্পিটিশন পুনরায় সাপ্লাই সাইডে, কারণ কনজিউমার সাইডে রেভেনিউ কম, তো এতে করে যেটা হয়েছে, ক য়ের নিয়ন্ত্রন আসতে আস্তে মোনোপোলাইজ্ড হচ্ছে। এবং আমাদের দেশের মত জায়্গায় যেখানে ফিল্মের গানের বাইরের ডিগিটাইজেশন কম, সেখানে কোক স্টুডিও আসছে।

    এতে মোনোপলি বিজনেস আছে, তার নেচারটা আলাদা কিন্তু এই বিতর্ক তো ইশান - ন্যাড়া আর্যো স্যান বা ইপসিতা প্রথম দিকে অন্তত করে নি। যেটা মুল কথা হচ্ছিল, ভাষার রাজনীতির হাত ধরে আজ বলিউড নিরীক্ষার জায়গায় এসে পৌঁচেছে কিনা। তোরা কি সেই প্রসঙ্গে রাম সম্পতের গান শুনছিশ? নাকি অন্য কোনো প্রসঙ্গে, জাস্ট শুনতে ভালো লাগছে বলে শুনছিশ? আমি আশোলে ঐ আলোচনার থ্রেড টা বেঁচে আছে কিনা জিগ্যেশ করছি ;-)

    পার্সোনালি হার্ড কাউর আমার খুব খারাপ লাগে না। তবে ব্রিটিশ এশিয়ান মিউজিক এর জদ্দিন মূল উদ্দেষ্য থাকবে বম্বে তে ব্রেক পাওয়া, তদ্দিন খুব নতুন কিছু হওয়া মুশকিল, রিদম ছাড়া।

    স্রি লঙ্কান একটা মেয়ে অসাধারণ করছিলো আমরা যখন লন্ডনে থাকতা, এখন আছে কিনা জানি না। এটা অভিবাসী সাহিত্যের মত এখনো ম্যাচিওর্ড না।

    বাজে জ্ঞান দিলাম একটু। গান গাইতে না জানলে কথা পায় বেশি এটা একটা সমস্যা। কিন্তু ভাষার রাজনীতি র সঙ্গে সত্যি ই সুরের চলনের সম্পর্ক আছে কিনা, নাকি এটা নেহাত ই সারা পৃথিবীর সর্বত্র হওয়া এলিট ভার্সাস পপুলার ডিবেট। কারণ আমার ধারণা একটা, সেটা হল গান এমন একটা জিনিশ, আনলাইক সাহিত্য, যেটা তে অনেক কম্প্লেক্স বিচিত্র জিনিশ মানুষ নিতে পসন্দ করেই থাকেন। সা লাগানৈ তো ব্যাপক কঠিন, সেখানে মানুষ কত গান শুনছে, ভাবলেই আনন্দ হয়।
  • h | 184.79.160.147 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৮:৫৬698409
  • মিউজিক বিজনেস কে আরেকটা বড় ধাক্কা দিয়েছে, র‌্যাপ বা গ্যারাজ মিউজিক এবং ডান্স মিউজিক। কারণ এর পপুলারিটির নেচারটা হল এটা ব্যক্তিগত অভিজ্জ্ঞতা স্পেসিফিক। ফ্যাট বয় স্লিম বা ব্ল্যাক আয়েড পিজ টিভি তে আসার অনেক আগে ওয়ার কম্প্লিটলি রেজিং পপুলার। তো এই যন্ত্রের স্বাধীনতা আমাদের দেশে এখনো আসে নি, তাই কোক স্টুডিও করে খাচ্ছে, আর কনোশিয়োর হিসেবে গুড় জল ড্রিঁক এর বিজ্ঞাপন করে খাচ্ছে। যেদিন সকলে অর্নব দের মত রেকর্ডিং করতে শিখে যাবে, সেদিন সাউন্ডক্লাউড ই যথেষ্ট, এটা প্র্যাকটিকালি করে ফেলেছিলেন এ আর রহমান, কিন্তু তখন ইনটারনেট এই স্কেলে আসে নি, তাই হল না। যাই হোক, নিজের কনজারভেটোরি হয়েছে, ধরা যাক আরো ছাত্র ছাত্রী বেরোবে, মেন স্ট্রীম গান কে আরো চ্যালেঞ্জড হতে হবে।
  • h | 184.79.160.147 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৯:০২698410
  • বেশি গাল দেবো না বাবা, যদি ওয়াডালি ব্রাদার্স এর রেকর্ডিং আর শুনতে না পাই। পাকিস্তানি বা পাঞ্জাবি রেডিও তো আসে না কলকাতায় ;-) কিন্তু ভাষার রাজনীতির তর্ক টা খুব ভলো হচ্ছিল, সত্যি সুরের চলন অ্যাফেকট করে? কল্পনা করা যায় না। আরো এভিডেন্স চাই।
  • pi | 24.139.209.3 | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৯:০৩698411
  • না, আমি কোকের বিজনেস মডেলের জন্য দিইনি। গানটার জন্য দিয়েছিলাম। আরেঞ্জমেন্ট ও গাওয়া। গানটার মিউজিক্যাল ( টেক্নিক্যাল) বিশ্লেষণের জন্য।

    কিন্তু এই ইউটিউবে তুলে ব্যবসার ব্যাপারটা ভালো জানিইনা, জানতে অবশ্য চাই।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২২ মার্চ ২০১৬ ১০:৪০698412
  • এমটিভি কোক স্টুডিওর ইউটিউব ভিডিও-র দৌলতে কিছু ভালো জিনিস দেখেছি - এই যেমন, ফারিদ আয়াজ - অনবদ্য ।
  • h | 184.79.160.147 | ২২ মার্চ ২০১৬ ১০:৫১698413
  • দশক ভিত্তিক প্যাটার্নে আমার মূল আপত্তি টা রেকর্ড করে নি। এই দশক ভিত্তিক প্যাটার্ন টা একেবারেই ফ্যাশন বা জার্নালিস্ট বা আর্কিটেক্ট দের কাছ থেকে আশা। এবং তাও সম্ভবতঃ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কাউকে , এমন কি জার্নালিস্ট দের বলতে শুনেছো, যে আর বলবেন ১৯১৭ র বিপ্লব টা ১৯০৫ হলে প্যান্টের কাট টা অন্তত বেটার হত। অবশ্য প্যারি কমিউন এ বিপ্লবি দের পরা পাজামার মত প্যান্ট নিয়ে সারা পৃথিবীর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তে অনেক কথা বার্তা হয়েছে, তবে সে দেশ ফরাসী, সেখানে নেকড়ে বাঘ ও চুরুট খায়।

    ফোটো জার্নালিজম ব্যাপক পরিমাণে বাড়ায় হয়তো ঊনবিংশ শতকেই এর খানিকটা সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু রাজা গজাদের ৫ পাঁচ বছরি ইলেকশন সামলাতেও হয় নি, ভয়ানক জুদ্ধের ফলে এক দশকে দুনিয়া পাল্টে জেতে দেখতেও হয় নি। ইমাজিন দিস, ভিক্টোরিয়ান ফ্যাশন বা আর্ট ডেকো ফ্যাশন বা জর্জিয়ান বিল্ডিং এগুলো কি বছর দশেকে র ব্যাপার?

    এই বার তাইলে গানে কেন এলো, কারণ গানে আর ফ্যাশনে আমার মনে হয় মানুষের রুচি পরিবর্তন করে তাড়াতাড়ি আর একই সঙ্গে ডকুমেন্টেশন টেকনোলোজি র ও পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু তাতে কি থেমাটিক প্যাটার্ন বড় সাইকেল গুলো অ্যাফেঅটেড হয়?

    সিনেমার গানে থিমাটিক প্যাটার্ন এর প্রভাব আমার তো আরো বেশি মনে হয়। কমিউনালাইজেশন এর আগে, এমন দিন ভারতীয় সিনেমায় গেছে, পুনায় বসে, চোখ ছলো ছলো মীরার জীবনের উপরে ভজন ওয়ালা সিনেমা বানিয়েছেন মুসলমান প্রজোযোকেরা, সেট ডিসাইন ও করেছেন তারা। তো সন্ত ফিল্ম একটা থিমাটিক প্যাটার্ন, এটা ১০ বছরের অনেক বেশি সময় ধরে থাকছে, খুব বেশি না হলেও মাঝে মাঝেই ছবি তৈরী হচ্ছে, কবীর কে নিয়ে মীরা কে নিয়ে চন্ডীদাস কে নিয়ে , মারাঠিক সন্ত দের নিয়ে এবং এটার একটা ভাশা ভিত্তি কে অতিক্রম করার ব্যাপার আছে, রিজিওন কেও অতিক্রম করার ব্যাপার আছে। একমাত্র বাংলায় বোধ হয় বাংআদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মুসলিম সোশাল ব্যাপারটা হয় নি, মুসলমান সমাজের অন্দর মহল পুরুষ নারী সম্পর্ক বিবাহে সমস্যা এসব নিয়ে সিনেমা বহু বছর ধরে মাঝে মাঝে হয়েছে, কখনৈ দশ বছর ধরে হয় নি। সিনেমার গান যেহেতু বিষয়ানুগত, গান এর ব্যাবহার ও সেরকম ভাবে হয়েছে।

    তো হ্যান` ৬০-৭০-৮০-৯০ যতটা আলাদা আলাদা বলে বলা হয়, ততটা আলাদা আলাদা কিনা আমার সন্দেহ আছে।

    অবশ্যই ১৯৭০ এর নিউ ইয়র্ক এর ছবিতে যে গাড়ির মডেল দেখবো, ১৯৮০ র ছবিতে সেই গাড়ির ছবি দেখবো কিনা সন্দেহ আছে, কিন্তু নিউ ইয়র্ক শহর কে আমেরিকার মডার্নিটির মেটাফোর হিসেবে দেখা, এটা কি খুব বদলেছে অতো তাড়া তাড়ি? বম্বের ক্ষেত্রেও তাই।
  • ঈশান | ২২ মার্চ ২০১৬ ২১:৫৭698414
  • তা, যেটা আমি লিখতে অনেক আগে মনস্থ করেছিলাম, সেটা এবার লেখা যাক। অনেক আগে, চারজন অ্যারেঞ্জার-সুরকারের নাম বলেছিলাম এই টইতে। সুধীন দাশগুপ্ত, নচিকেতা ঘোষ, সত্যজিৎ রায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ওমনাথ প্রশ্ন করেছিলেন, হিমাংশু দত্ত কেন নেই। দেখবেন, আরও অনেকে নেই, যেমন নেই কমল দাশগুপ্ত, যাঁর সুরসৃষ্টি অসাধারণ। এরকম না, যে, আমার লিস্টিতে কেউ বাকি নেই, কিন্তু হিমাংশু দত্ত বা কমল দাশগুপ্ত নেই, কারণ ওঁরা শুধুই সুরকার। নতুন ঘরানার অ্যারেঞ্জার না।

    এই সুরকার-অ্যারেঞ্জার বলতে কি বলতে চাইছি? এইটা হল সেই ঘরানা, যেটার প্রচলনের বৃহত্তম কৃতিত্ব সলিল চৌধুরির। এর আগেও গানের পিছনে বাজনা বাজত, কিন্তু সেটা মূলত সুরকে অনুসরণ করত। বা ঠেকা পড়ত। গানটি আসল, বাজনাটি অনুষঙ্গ। সলিল এসে ঘরানাটা উল্টে দিলেন। অ্যারেঞ্জমেন্টের চেয়ে গলার আওয়াজ তাঁর আমলেও জোরেই রইল, বা গানের সঙ্গে চলেনা এরকম মিউজিক দেবার চল হল, তাও নয়। কিন্তু মিউজিক গানকে দাসখৎ লিখে দেওয়া বন্ধ করল। এটা মূলত পাশ্চাত্য ঘরানা। যেখানে এক নোটে গান চলে সঙ্গত আরেক নোটে হয়। দুজনের একটা সঙ্গতি নিশ্চয়ই থাকে, যে কারণে ব্যাপারটার নামই হারমনি। কিন্তু এখানে সঙ্গত অনেক বেশি শক্তিশালী। সে গানের মুড, ঘরানা, এমনকি কখনও সখনও স্কেলও বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে। বস্তুত কণ্ঠ এখানে, যন্ত্রের মতই, অ্যারেঞ্জারের হাতের অস্ত্র। কণ্ঠ বা যন্ত্র, এ অর্থে, কেউই 'বিশেষ' নয়

    তা, এই ঘরানার অ্যারেঞ্জমেন্ট অনেকেই রপ্ত করলেন। হেমন্তর করা কিছু কিছু গান শুনে হয় যেন সলিলই করেছেন। তা এইখানে আমরা সিনেমার গান নিয়ে কথা বলছি, অতএব আপাতত যে গানটা শুনেছি সেটা নিয়েই চার কলম। 'এই রাত তোমার আমার'। কেন এইটাই, সে কথায় পরে আসছি। আপাতত গানটা একটু খুঁটিয়ে দেখা যাক।

    গানটি পাশ্চাত্য ঘরানার গান। প্রথম ঝ্যাং ঝ্যাং শুনেই সেটা বোঝা যায়। কিন্তু ঝ্যাং ঝ্যাং বা শিসের শব্দটা বড় কথা না, দুটো জিনিস উল্লেখ্য।
    ১। লক্ষ্য করলে দেখবেন, গানে 'তোমার আমার' থেকে 'শুধু' তে যে সুরের লাফটা আছে, সেটায় পাশ্চাত্য চলন স্পষ্ট। পাশ্চাত্য হিসেবে ওটা ফিফথে লাফ, Dm থেকে Am। (যদিও পর্দার হিসেবে চার ঘাট, সা থেকে গা এর মত)।
    ২। যেটা আরও ইন্টারেস্টিং, ভারতীয় মতে গানে কোনো সা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথম অংশে একদম শুরুতে 'এই' সা দিয়ে শুরু হচ্ছে ধরা যায়। কিন্তু গান আর সেখানে ফিরছেনা। আমার' অন্য জায়গায়। 'দুজনের' অন্য জায়গায়। সঙ্গে আবার একটা ফিফথে লাফ। ভারতীয় গানে এটা হওয়া চাপ। সঙ্গে আবার যা বাজছে, শুনে মনে হচ্ছে পাশ্চাত্য মাইনর স্কেল। যদি এটা মূলত Dm স্কেলের গান হিসেবে ধরি, তাহলে গানটা শুরু হচ্ছে কোমল নি থেকে, সা নয়। মাঝখানের বিরতিতেও সে সা তে এসে দান্ড়াচ্ছে না। সা, প্রথম পাচ্ছি, অন্তরাতে। 'তুমি আছ আমি আছি তাই', এই তাই তে সর্বপ্রথম এসে দাঁড়াচ্ছি সা তে। যদিও মাঝখানে অন্য একটা স্কেল ঘুরে আসা হয়ে গেছে।
    ৩। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যন্ত্রানুষঙ্গ, ব্যাকিং ভোকাল এবং হারমনি, এই পাশ্চাত্য স্কেল স্ট্রাকচার ধরে চলছে। সেটা প্রকট।

    বলাবাহুল্য এই সা খুঁজে পাওয়া বা না পাওয়া এটা ভারতীয় মতে প্রয়োজন। পাশ্চাত্য মতে জরুরি না। সেই জন্য গোটা স্থায়ীতে একবারও সা তে দাঁড়ালামনা, বা শুরুও করলাম না, ভারতীয় মতে এই ধরণের গানে সেটা কানে লাগবে। কিন্তু পাশ্চাত্য মতে তেমন লাগার কথা নয়্, এখানে পাশ্চাত্য অনুষঙ্গ থাকায় সেটা কানে লাগছেও না। বলাবাহুল্য এটা গানের দোষগুণের বিচার না। জাস্ট একটাই কথা, এই তিনটে লক্ষণই শুধু পশ্চিমী না, সলিল চৌধুরিরও। ফলে সলিল প্রভাব এখানে প্রকট।

    কিন্তু শুধু সলিল প্রভাব দেখানোর জন্য এই গানটা আমি বাছিনি। আরও একটা কারণ ছিল। সেটা হল, এই গানটির একটি হিন্দি ভার্সানও আছে। সেটাও আমি এবং আমরা সবাই শুনেছি। এই বাজারে যদি আরেকবার ঝপ করে সেটা শুনে ফেলেন, দেখবেন গানটির অরিজিনাল টিউন তাতে সামান্য বদলানো হয়েছে। অন্তরা অংশটি তে 'রাত হাসিন... মেরে দিলবর' সুরটা বাংলা অন্তরার থেকে আলাদা। এবং সুর বদলানোর পর বাংলা গানের অন্তরার মতই, সেটাও 'দিলবর' এ এসে এক জায়গায় দাঁড়াচ্ছে। এবার মজাটা হল, 'দিলবর' এর যে সুর, আর 'তুমি আছ তাই' এর 'তাই' এর, দেখবেন দুটো এক জায়গায় দাঁড়াচ্ছে না। 'তাই' দঁড়াচ্ছিল, আমার মতে 'সা' তে। আর 'দিলবর' দাঁড়াচ্ছে, আমার মতে কোমল নি তে।

    এটা শুধু টিউন বদল নয়। এতে একটি বিপুল হাতিঘোড়াও এসে গেল। কী সেটা? লক্ষ্য করুন, বাংলা গানে আমরা সা খুঁজছিলাম কী ভাবে? প্রথমে ভাবলাম একদম শুরুর 'এই' টা সা। তারপর হোঁচট খেলাম। তারপরে নানা জায়গায় বিরতিতে ঘেঁটে গেলাম। এবং অবশেষে অন্তরায় এসে গান যেখানে দাঁড়াল সেখানে সা খুঁজে পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম। এবার অন্তরায় দাঁড়ানোর জায়গাটাই যদি বদলে যায়, তাহলে আমার সা টাও বদলে যায়। হিন্দি গানে ঠিক তাই হল। আমি এতক্ষণ যাকে কোমল নি বলছিলাম, সেটা হল সা। এবং গানটা ডি থেকে সি তে চলে এল(যদি দুটো একই পিচে গাওয়া হয়েছে ধরে নিই)। ফলত মুছে ফেলতে হল শুরুর মাইনর স্কেলের ঝ্যাং ঝ্যাং, হামিং। তাতে কি হল? গানটার একটা ভারতীয় চরিত্র এল। 'যাক বাবা তাহলে সা থেকেই শুরু হয়েছে গানটা' জাতীয় স্বস্তি আর কি। এই স্বস্তিটা সচেতন ভাবে আমরা বুঝিনা। কিন্তু কান প্যাটার্নগুলো ঠিকই চেনে। বস্তুত এই গানদুটো আমরা সবাই বহুবার শুনেছি, কিন্তু এইবার ক্রিটিকালি শুনতে গিয়ে স্বস্তিটা আমি সচেতনভাবেই টের পেলাম। হিন্দিটা শুনতে গিয়েই মনে হল কী যেন একটা আলাদা, সা বদলে গেল নাকি? এবং অন্তরায় গিয়ে সা টা যখন সত্যিই বদলাল, আমি 'আঃ ঠিকই ভেবেছিলাম' জাতীয় একটা আরাম পেলাম।

    সে যাই হোক, এখান থেকে শুরু করে যদি অ্যারেঞ্জমেন্টের দিকে তাকান, যন্ত্রানুষঙ্গ এবং গায়কীতে, অবিকল একই জিনিস দেখবেন। যন্ত্রানুষঙ্গ বদলে এখানে বলিউডি স্টাইলের ভারতীয় হয়েছে। হারমনি বাদ। হামিং বাদ। বস্তুত ফিফথে জাম্প টাই বাদ। সেটাকে মেকাপ করার জন্য পশ্চিমী ব্যারিটোন মীড়ের পিছনে ব্যবহার করা হয়েছে ভারতীয় বাঁশি, যেটা একটা ভারতীয় স্পর্শস্বরের ইলুশান তৈরি করে। টুকটাক টিউন বদল আছে এই মেকপের অংশ হিসেবে। এছাড়াও আছে পারকাশান। বোঝা যাচ্ছে, পারকাশানের বলিউডি ঘরানাটি তখনও তৈরির রাস্তায়, পরবর্তীতে বলিউডি বিট এবং অর্গ্যানের প্যাঁ প্যাঁ র ঘরানাটি তৈরি হবে, তার কিছু আভাস এখানে পাওয়া যাচ্ছে, যদিও ভ্রূণাবস্থায়। পরবর্তীতে অদীক্ষিত লোকের হাতে পড়ে এই ঘরানা ফুলে ফলে পল্লবিত হবে, এবং হিন্দি গানের একটা প্যাটার্ন কান চিনতে শিখে যাবে।

    তো, কথা হল, এইটা একটা সচেতন প্রক্রিয়া। একজন শিল্পী, একটা কম্পোজিশনে যে টেকনিক, যে আবিষ্কারগুলি ব্যবহার করেছিলেন নিজের সৃষ্টির কাজে, সে ভালো হোক বা না হোক, তিনি বলিউডিকরণের প্রয়োজনে নিজেই সেই টেকনিক, সেই আবিষ্কারের চিহ্নগুলি মুছে দিচ্ছেন, ব্যক্তিগত ভাবে, এইটা আমার কাছে একটা ট্র‌্যাজেডি মনে হয়। একটা ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে, তার স্ট্রাকচারে ঢুকে সর্বভারতীয় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছতে গেলে তো কিছু একটা কমপ্রোমাইজ করতেই হবে। এইভাবেই তৈরি হবে বলিউডি মিউজিকের ঘরানা। অনেকে প্রশ্ন করছিলেন, একই গান বাংলা হিন্দি দু জায়গাতেই হয়েছে, তাহলে আলাদা কেন। হিন্দি বা বাংলা গানের তফাতটাই বা কি। এই একটা গানের বিশ্লেষণ অবশ্যই পুরোটার উত্তর জোগাবেনা। কিন্তু অন্তত একটা সূত্র পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকে, সেটা অনস্বীকার্য।
  • T | 24.100.134.204 | ২২ মার্চ ২০১৬ ২২:০২698416
  • হেবি হচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন