এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গান-ফাইট

    pi
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৯৩৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২৩:৩৭698483
  • সেটা তো বেসিক তর্কের একটা প্রেমিস। ঈশান যেমন দাবি করছে সুরের ভারতীয়করণ বা বলিউডিকরণ জিনিসটা সচেতন ভাবে করা হয়েছে একটা উদ্দেশ্যে। শ্রোতার মধ্যে ইমোটিভ ফ্যাক্টর ঢোকানোর চেষ্টাই তো হল । এই থিওরিতে স্বাভাবিকভাবেই সকলে একমত হচ্ছেন না , বা হবেন না।
  • Paramita | 109.72.224.255 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২৩:৪০698484
  • স্রষ্টা মানে কি? সুরকার? নিশ্চয়ই একা সুরকার স্রষ্টা নন। তাহলে একই গান একজনের কন্ঠে নিষ্প্রান আর আরেকজনের কন্ঠে যাকে বলে "বাঙময়" হোতো না। আর ইমোশান তো একটা রেজাল্ট- "কজ" হিসেবে সুর তাল ছন্দ ছাড়াও যার একটা মেজর পার্ট আছে। সেই পার্টটা হোলো অ্যাক্টিং। সেইখানে পার্ফরমারের রোল চলে আসে। মান্না দে, দেবব্রত রেন্ডিশনে সেটার ছড়াছড়ি। নিশচয়ই সেটারও টেকনিকাল আলোচনা সম্ভব টু সাম এক্সটেন্ট - যদিও এখনো অবধি এখানে গানে অ্যাক্টিং-এর কোনো টেকনিকাল আলোচনা দেখিনি।

    তবে সুরকার সবসময় এতো ভেবে সুর দেন আমার মনে হয় না। আমার মনে হয় ওটা অনেকটাই ট্র্যায়াল অ্যান্ড এররের খেলা। স চৌ আর সুমনের অনেক গানের "হয়ে ওঠা"র গল্পে সেটা ধরা পড়েছে।
  • NB | 127.194.197.252 | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০০:৪৭698485
  • গানে অ্যাক্টিং কে আবার সুমন ভাবালুতা বলে একটা দূর্বলতাই বলতে চাইলেন মনে হল। প্রতিদিনের লেখাটায়। সে, মুকেশের গানে আমি মোটেও অ্যাক্টিং পাই না। উনি গানটা গান জাস্ট সুরকার গীতিকারের হাত থেকে বেরোনো প্রোডাক্টটার এমবডিমেন্টের পারপাসে - এমনটাই লাগে। অ্যারেঞ্জার প্রোডাক্টটাকে সাজিয়ে দেন আরেকটু।
  • কল্লোল | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১০:০৫698486
  • এই টইতে আমি লিখবোনা ভেবেছিলাম। গান ভালোবাসি, কিন্তু এই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ আলোচনায় ঢোকার মত জ্ঞান গম্যি আমার নেই।
    এই গানটা নিয়ে কথা হচ্ছে তাই.........
    আমার মনে হয় দুটো গান আলাদা। ঘটনাচক্রে সুর এক। তবে গানতো শুধু সুর দিয়ে হয় না। গানের কথা-গাওয়া-সঙ্গীতায়োজন এগুলো-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
    বাংলা গানটি সলিলের স্বপ্রকাশ। কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে দূরে, অভিমানে, নানান "বদনামের" জবাব বা বলা যায় স্বগোতক্তি। সেটার
    গায়ন এক রকমের, যা হেমন্তর গলায় অসাধারণ।
    হিন্দি গানটি সিনেমার প্রয়োজনে - হৃদি ভেসে যায় অলকনন্দার জলে। ছেড়ে আসা প্রেমিকার স্মৃতি। কোথাও সামান্য মিল আছে উদাসী হাওয়ায় ভেসে আসা কষ্টরাজিতে। সলিল এখানেই স্রষ্টা হিসাবে অনবদ্য। গায়ক হিসাবে মুকেশ - মান্না, হেমন্ত, কিশোরের কাছাকাছিও নন। কিন্তু ঐ যে অদ্ভুত টোন, ঐ যে আশ্চর্য নাক। হয়তো এই গানটি শ্যামল মিত্তির গাইলে অন্য উচ্চ্তায় যেতে পারতো। তবে শ্যামলের হিন্দি উচ্চারণ হয়তো ততো ভালো নয়, তাই.....
    এই গানটি কিশোর (যার গলায় প্যাথোজ আমার তো বেশ লাগে) গাইলেও এখানে যেতো না। বা মান্নার শিক্ষিত গলাতেও এটা ঐ জায়গায় পৌঁছাতো না হয়তো (যেমন ঐ সিনেমার জীন্দগী মান্না ছাড়া ভাবা যায় না)। তাই মুকেশ। খেয়াল করুন, ধ্রুব তার-আ-আ -র ক্রোম্যাটিক চলনটি হেমন্তর গলায় যেভাবে এসেছে, মুকেশের গাওয়ায় ততোটা স্পষ্ট নয়। সলিল যা খুঁতখুঁতে তাতে উনি চাইলে এটা করিয়েই ছাড়তেন। উনি চাননি। ওটা করলেই গানে একটা দার্ঢ্য এসে যেতো, যেটা গানটাকে মাটি করে দিতো। তাই, দিনের শেষে আলাদা এটি একটি গান। এর পুরো কৃতিত্ব সলিলেরই।
  • কল্লোল | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১০:০৯698487
  • পোস্টটা করার পর মনে হলো, ম্যায়নে তেরে লিয়ে - কিশোরের গলায় অনেক অনেক অনেক ভালো হতো। কেন যে সলিল ওটা মুকেশকে দিয়ে গাওয়ালেন কে জানে? টাকাপয়সা? নাকি মুনির মতিভ্রম।
  • dd | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১০:১২698488
  • সব্বার লেখা খুব মনযোগ দিয়ে পড়ে পড়ে শেষে কল্লোলের লেখাটাই মনে ধরলো। এমনই গুছিয়ে লিখেছে যে আমি পজ্জন্তো ধাঁ করে বুঝে গেলেম। বাঃ বাঃ
  • sm | 53.251.91.107 | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১০:৫০698489
  • কি চমত্কার গেয়েছে।
  • sm | 53.251.91.107 | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১০:৫৪698490
  • ২ আর ৫ নম্বর গান দুটো।
  • কল্লোল | ২৭ মার্চ ২০১৬ ১৩:০১698491
  • আমার পুত্র ঋজু ওর মতামত জানালো বলো কি আছে গো গানটা নিয়ে -

    রাহুলদেবের সাথে মদনমোহন, নৌশাদ বা এমনকি শচিনদেবের বেসিক ফারাক হলো মদনমোহন, নৌশাদ, শচিনদেবের ট্রেনিং, বেড়ে ওঠা সবই উত্তর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ভিতর দিয়ে। অন্য দিকে রাহুলদেবের ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ভিত যথেষ্ঠ পাকা পোক্ত হওয়া সত্তেও সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব হিসাবে পৃথিবীর নানা সঙ্গীতে আগ্রহ সাংঘাতিক।
    ফলে মদনমোহন, নৌশাদ বা শচিনদেব একটি situation পেলে প্রথমেই সেটাকে একটা রাগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাবতেন। কারন উত্তর ভারতীয় রাগ situation ভিত্তিক। তাই তাঁরা গানে সাধারনতঃ রাগরূপ অটুট রাখতেন, যতটা সম্ভব। কিন্ত রাহুলদেবের সঙ্গীতভাবনায় রাগের চেয়ো বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিলো notes। অমুক situationএ কি কি note লাগালে সেই আবেগটা বেরিয়ে আসবে সেটাই ছিলো driving force। ঐ noteগুলোর arrangement/rearrangemantএ অনেক সময়েই একটা রাগরূপ ফুটে উঠতো, কারন রাগগুলিও আসলে arrangement/rearrangemant of notes। তাই হয়তো বলো কি আছে গো - পুরোপুরি কলাবতী নয়, noteএর arrangement কলাবতীর মতো হয়ে উঠেছে।
    কিন্তু এটা সব গানের ক্ষেত্রে নয়। কিছু গান যেমন র‌্যায়না বীত যায় বা বিতি না বিতাই রায়না সেগুলোর ক্ষেত্রে আমার ধারনা রাগ ভেবেই করা। যদিও র‌্যায়না বীত যায়ে টোড়ি দিয়ে ঢুকে সঞ্চরীতে গিয়ে খাম্বাজ অঙ্গে নিয়ে যাওয়া হলো। সেটা বেশ কৃতিত্বের।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০১:০৬698493
  • স্রষ্টার গাওয়া গান।


    স্রষ্টা কে ছাপিয়ে যাওয়া গান!


    স্রষ্টা কে দ্বিগুন ছাপিয়ে যাওয়া।
  • b | 135.20.82.164 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ১০:৩২698494
  • ঐ দুটো গানে লিরিকের চলন আলাদা। আংলায়

    আমায় প্রশ্ন করে। নীল ধ্রুবতারা।।
    আর কতোকাল আমি। রবো দিশাহারা।।

    অর্থাৎ ৮।৬ পর্বভেদের পয়ার। সেখানে হিন্দিটা

    কহিঁ দূর যব। দিন ঢল যায়ে।।
    সাঁঝ কি দুলহন। বদন চুরায়ে। চুপকে সে আয়ে।।

    প্রথম লাইন ৬।৬। দ্বিতীয় লাইন ৬।৬।৬। শুধু তাই নয়, এর পরে আরো ভ্যারিয়েশন আছে।
    একজন সুরকার যখন সুর দিচ্ছেন তাঁকে এই পর্বভেদগুলো মনে রাখতে হবে না? (উত্তর জানি না, কারণ তালকানা ও সুরকানা)। আপনারা কেউ বলুন।
  • NB | 69.160.210.3 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ১১:০১698495
  • আমায় প্রশ্ন করে। নীল ধ্রুবতারা।।
    আর কতোকাল আমি। রবো দিশাহারা। রবো দিশাহারা।

    এর চলনটার সাথে প্যারিটি রাখতে হিন্দিতে টেনে টেনে মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।

    হিন্দিতে উচ্চারণ ভিত্তিতে যদি শোনেন লাইনগুলো আসলে -
    হয়েছে
    কহিঁই দূঊর যব। দিন ঢল যায়ে।।
    সাঁআঝ কি দুলহন। বদন চুরায়ে। চুপকে সে আয়ে।।

    রবো দিশেহারা র ডবল টাকে হিন্দিতে ডবল না করে অন্য শব্দ ব্যবহারের অ্যাডভান্টেজ নেওয়া হয়েছে।
  • ঈশান | ২৮ মার্চ ২০১৬ ২২:১৮698496
  • যাই হোক, বার্নি এমন শো দিলেন যে দুদিন আর কিছু লেখা টেখা হয়নি। নইলে আমার আরও চাট্টি অবসার্ভেশন লেখার ছিল। সেগুলো লিখে দিই।

    ১। এই দুখানা গান নেওয়া হয়েছে, দুটোই একই সুরকার এবং একই সুর বলে। নইলে অন্য কেউ ভাবতে পারেন আপেল আর বাঁধাকপির তুলনা করা হচ্ছে। নইলে গানদুটো এক একেবারেই না। বস্তুত সুরের মিল ছাড়া কিছুই এক না। সেইজন্যই এই দুটি গান নেওয়া হয়েছে।

    ২। গানের অ্যারেঞ্জমেন্ট যদি দেখি, দেখব, বাংলা গানে পাশ্চাত্য অ্যারেঞ্জমেন্ট একদম স্পষ্ট। এবং একেবারেই খাপছাড়া লাগছেনা। উল্টোদিকে হিন্দি গানে পাশ্চাত্য অ্যারেঞ্জমেন্ট মুছে ফেলা হয়েছে। মজা হচ্ছে, 'কহি দূর যব' গানটায় অন্তরার ঠিক আগে যে ইন্টারলুড ব্যহবার করা হয়েছে, তার আওয়াজ এবং কনটেন্ট ওই সময় বা তার একটু পরের 'টিপিকাল' হিন্দি গানের মিউজিক বলি তাই। এই চড়া দাগের সিন্থেটিক সাউন্ড, দেখবেন, হিন্দি গানের ইন্টালুডে অহরহ ব্যবহার করা হয়েছে। যার কাজ একটাই, খুব লাউডলি, শ্রোতাকে সপ্তকটা চিনিয়ে দেওয়া। যেন সে মেলডি থেকে একেবারেই বিচ্যুত না হয়। এরকম অ্যারেঞ্জমেন্ট নব্বইয়ের দশকে ব্যান্ড পার্টিতে ব্যবহার করা হত (এখনও হয়তো হয়, কিন্তু আমি নব্বইয়ের পর আর ব্যান্ডপার্টি শুনিনি), যার উদ্দেশ্যই হল হট্টগোলের মধ্যে চড়া সুরে মূল সপ্তক এবং মূল টিউনটায় শ্রোতাকে পৌঁছে দেওয়া, যাতে সে কিছুতেই খেই না হারায়। এই অ্যাপ্রোচটাই হিন্দি গানে ছ্হিল, যেটা এই গানে, অতটা চড়া দাগে না হলেও শোনা যাচ্ছে।

    ৩। গায়নভঙ্গী। এটা তুমুল ইন্টারেস্টিং। এই দুটো কেস স্টাডির দুটোই বাংলায় গেয়েছেন হেমন্ত। তাঁর গলা পাশ্চাত্য ব্যারিটোন ধরণের। ব্যারিটোন মডিউলেশনটা মোটামুটি, চড়ায় মডিউলেশন তেমন নাই। এবং ভারতীয় কাজ একদমই নেই। (এটা গানগুলোর ভিত্তিতে বললাম, উনি কি পারতেন না পারতেন তার হিসেব না)।

    উল্টোদিকে একটা হিন্দি গান গেয়েছেন মুকেশ। তাঁর গলা পাশ্চাত্য একেবারেই না, বরং ভারতীয় হিসেবে মিঠে গম্ভীর ধরণের গলা। যে গানটা উনি গেয়েছেন, সেটায় পাশ্চাত্য ঢং টা বাদ দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি উনি টিপিকাল ভারতীয় ঘরানায় গেয়েছেন? তা কিন্তু না। গানটার পরিবর্তিত রূপে প্রচুর ভারতীয় অর্ধস্বর স্পর্শসর, খোঁচা, টুকরো কাজ থাকা সম্ভব (ধরুন, 'বদন চুরায়ে' তে এ-এ-এ-এ বলে চারটে খাঁজ দেওয়া যেত)। কিন্তু উনি সেটা দেননি। গানটায় ওনার গলায় মডিউলেশন নেই। এবং গোলগোল মীড় ব্যতীত কোনো কাজকর্মও নেই (আবারও উনি পারতেন কিনা সেটা আমার বিচার্য নয়)। ভারতীয় গানে প্যাথোজ তৈরির নানা পদ্ধতি আছে। যেমন ধরুন 'আয়ে না বালম কা করু সজনী' (ইচ্ছে করেই এভাবে লিখলাম, কারণ আমরা গানটা এভাবেই শুনি)। সেখানে প্রথমে একটা সূক্ষ কাজ (আয়েনা বালম), তারপরে একটা সোজা স্বর (কা), তারপর, একটা মডিউলেশ সহ মীড় (করু সজনী), --এটা একটা টিপিকাল ভারতীয় প্যাথোজ তৈরির পদ্ধতি। সবাইকে ক্লাসিকাল ঢঙে গাইতে হবে একেবারেই তা নয়, কিন্তু পয়েন্টটা হল টিপিকাল ভরতীয় পদ্ধতিও এখানে ব্যবহার করা হয়নি। পাশ্চাত্য মডিউলেশনও না। যেটা করা হয়েছে, সেটা হল একটি মিঠে গলায়, স্রেফ মীড় সমেত মডিউলেশনহীন একটা গায়নভঙ্গী তৈরি করা হয়েছে। উদ্দেশ্যটা এখানেও অ্যারেঞ্জমেন্টের সঙ্গে অ্যালাইনড। 'গপ্পো বেশি কমপ্লিকেটেড কোরো না বস, সোজাসাপ্টা মেলডিটা মিঠে গলায় সোজা করে গেয়ে দাও।'

    এবং এই ভঙ্গীটা এই সময় এবং এর পরে, দীর্ঘদিন ধরে বলিউডি গানে ব্যবহার করা হবে, প্রায় ব্যতিক্রমবিহীনভাবে। লতা গাইবেন, সেখান থেকে শুরু করে কবিতা কৃষ্ণমূতি, অনুরাধা পাড়োয়াল পর্যন্ত। অনেকে আশাকে আলাদা করবেন, কিন্তু আশার টোনাল কোয়ালিটি এবং ক্ষেত্রবিশেষে গায়নভঙ্গী কিছুটা আলাদা হলেও, ঘরানাটা একই। বাংলায় 'বড়ো আশা করে' টা মনে করুন। তাহলেই কেসটা বোঝা যাবে।

    পুরুষ গায়কদের ক্ষেত্রে গপ্পোটা আলাদা রাস্তা নেবে স্লাইট, কিন্তু ঘরানাটা মূলত একই। বাকি নাম আর বললাম না, বাকি সবাইকে ছেড়ে দিলেও মান্না দে ও এই একই জিনিস করবেন, এমনকি তথাকথিত রাগপ্রধান গাইবার সময় (এই টইতে ভীমসেন ও মান্না দের একটা গান আছে, সেরকম এক-আধটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে)।

    কিন্তু শুধু এইটুকু ই না। পুরুষ গায়কদের ক্ষেত্রে আরেকটা মজার টার্ন আছে। সেটা এই দুটো গান থেকেই বোঝা যাচ্ছে। ধরুন, 'এই রাত তোমার আমার' একটি পাশ্চাত্য ব্যারিটোন গলার গান। ভারতীয় মিঠে গম্ভীর গলায় ওই ব্যারিটোন ভঙ্গীটা আনতে গেলে আপনি কি করবেন? চেষ্টা করে দেখুন, একটু 'হ' সহ গাইতে হচ্ছে। 'হেই হ্রাত তোহোমার হামার' -- এইরকম। এবার, একটু জোর দিয়ে গানটা গান। জোরে জোরে। দেখবেন, আদ্যক্ষরে জোর চলে আসছে। সবক্ষেত্রে ঠিক আদ্যক্ষরে না, যেখানে যেখানে হ আছে সেখানে। একটু এক্সাজারেট করে বাংলায় লিখলেঃ 'ইয়েহেই রাহাত ত্তোহোমার আমার' এইরকম দাঁড়াবে। কেস হল, এই ভাবে হিন্দি গান গাঐবার স্টাইল কার? বলে দিতে হবেনা, কিশোর, আড্ডি। এঁরা কেসটা চালু করেছেন, পরবর্তীতে যাঁরা গেয়েছেন, শানু বাপ্পি লাহিড়ি এরকম আরও গুচ্ছ লোকের। বস্তুত ফ্ল্যাট, গোলগোল মীড় এবং পুরুষ হলে সঙ্গে আদ্যক্ষরে বীরত্বব্যঞ্জক ভঙ্গীতে গাওয়া এক দীর্ঘসময়ের হিন্দি গানের সিগনেচার।

    লক্ষ্য করে দেখবেন, এই গায়নভঙ্গী, ওই চড়া সোজাসাপ্টা ইন্টারলুড, এবং তৎসহ চড়া হিন্দি সিনেমা, তার চড়া ডায়লগ এবং রঙ সহ একেবারে খাপে খাপ পঞ্চার বাপ।

    অনেক লিখে ফেলছি, আন্না। আবার পরে।

    পুঃ কাইন্ডলি ভাগাবেগে আঘাত করছি বলে নেবেন্না। কত লোকের কত কিছুই ভালো লাগে। আমার যেমন রঙ্গিলা ভালো লাগে, আশার গান সহ হেলেনের নাচ ভাল্লাগে। তার সঙ্গে অ্যানালিসিসের কী সম্পক্কো?
  • Robu | 11.39.37.225 | ২৮ মার্চ ২০১৬ ২৩:৪৬698497
  • বাহ।
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ০৫:০১698498
  • বাপ্রে! এ কি গ্গান না হ্রেষাধ্বনি!
  • aka | 80.212.2.186 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:১৭698499
  • মাক্কালি জীবনে কোনদিন কন্হি দুর যব দিন ঢল যায়ে ব্যান্ড পার্টিতে শুনি নি। খাইকে পান বনারস ওয়ালা শুনেছি আর শুনেই নাচ পেত এও মনে আছে।
  • sinfaut | 74.233.173.58 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:৫১698500
  • যাহ বলতে না বলতেই ভাবাবেগে নিয়ে নিল।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ১০:১৮698501
  • অনেক প্রশ্ন আছে। পরে করবো।
    রফি, মান্নার মডিউলেশন সমেত অনেক গানই আছে মনে হয়।

    সে যাহোক, এটা একটু রেখে গেলাম, পরে খুঁজে পাবোনা বলে রেখে গেলাম। যদিও মূলতঃ গানের কথা বনাম কবিতা নিয়ে তর্ক, তবে সুর নিয়েও অনেক কথা আছে।
    সলিল চৌধুরীর অন্তবিহীন নিয়ে চন্দ্রিলের ১২ঃ৪৪ নাগাদ নিয়ে বক্তব্য শুনবেন ঃ)
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ১০:২১698502
  • আমি ব্যান্ডপার্টির বাজানো ভীমসেন, বড়ে গোলাম আলি -- সব শুনেছি -- বাবুল মোরা থেকে, ক্যা করু সজনি
  • aka | 74.134.124.213 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ১০:২৭698505
  • পাইয়ের লিন্কটা কি অনেকক্ষণ ধরে শুনতে হবে কিন্তু যে ভদ্রলোক প্রথমে বলছিলেন রে বা রয় ওনার কিন্তু বলিউডিকরণ হয় নি। কি সুন্দর ওয়েস্টার্ণ ভঙ্গিমায় কথা বললেন। মাঝে মাঝে ভ্রম হচ্ছিল উনি আদৌ বাঙ্গলায় কথা বলছেন তো? কি সুন্দর অ্যাকসেন্ট ও ভঙ্গি। কথা বলার রাগ থাকলে একটা অ্যানালিটিকাল লেখা নামানো যেত। আছে কি?
  • Tim | 108.228.61.183 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ১১:১৩698506
  • এইরকম একটা অনুষ্ঠানের এত বিরক্তিকর একজনকে প্রশ্ন করতে বসিয়ে দিলো? কেউ কষ্ট করে রয়ের পার্টগুলো মিউট করে দিতে পারলে পুরোটা দেখতাম। পুরো মনে হচ্ছে সানি দেওলকে কবিতা পড়তে ডাকা হয়েছে।
  • S | 108.127.180.11 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ১১:৩১698507
  • চা একটা তরল এই নিয়ে কি যেন একটা কোস্নো করলেন।
  • b | 24.139.196.6 | ২৯ মার্চ ২০১৬ ১৪:০৭698508
  • গাহান খুহুব শহকত জিনিহিস।
  • ঈশান | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০১:৪৫698509
  • আগের লেখায় একটা ডিঃ দেওয়া উচিত ছিল। একটা নয় দুটো। সে দুটো এখন লিখে দিই।

    ১। বলিউডিকরণ আর ভারতীয়করণ এই দুটো শব্দ আমি সমার্থকের মতো ব্যবহার করেছি। বলিউডিকরণ বস্তুটা কি মোটামুটি লিখেওছি। কিন্তু কেউ বলতেই পারন, এটা কি করে ভারতীয়করণ হল। অ্যাকচুয়ালি আমার বলে দেওয়া উচিত ছিল, ভারতীয়করণ এখানে কেবল একটি নাম। হিন্দি সিনেমা বা বলিউডকে যেভাবে 'ভারতের মুখ' বা 'ভারতের ঐক্যসূত্র' হিসেবে প্রজেক্ট করা হয়েছে বা হয়(একই ভাবে হয় ক্রিকেটকে), তাকে খানিকটা মক করে, এই টার্মটা ব্যবহার করেছি। এইটুকুই। তবে আমার কাছে না থাকলেও হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তানের প্রজেক্টে এই 'ভারতীয়করণ' এর বড়ো ভূমিকা আছে।

    ২। বলিউডিকরণ বলতে যা বুঝিয়েছি, এটাও লিখে দেওয়া উচিত ছিল, যে, সেটা একটা পদ্ধতি। যেটা একদিনে তৈরি হয়ে যায়নি। চিহ্নগুলি গজাতে গজাতে একটা সময়, ধরুন ষাটের দ্বিতীয়ার্ধে বা সত্তরে তারা ফাইনাল ডেস্টিনেশানে পৌঁছেছে। এর সঙ্গে কেউ রঙিন ছবির রমরমাকে রিলেট করতে পারেন, রাজনৈতিক পটবদলকে রিলেট করতে পারেন। সেসব দিকে আমি যাবনা। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ডিভিশনটা খুব ক্লিয়ার। আশির দশকের শুরুতে, আমি যখন বেড়ে উঠছি, তখন হিন্দি গানের দুরকম ক্যাসেট পাওয়া যেত। একটা হল ষাটের শেষ থেকে আশি পর্যন্ত হিট গান, যেগুলো লোকে হইহই করে শুনত। আর আরেকটা হত 'ওলড সংগস', যা তার আগের, সেগুলো তরুণ প্রজন্ম ছুঁয়েও দেখতনা। আমি বলিউডিকরণের পরিপূর্ণ রূপ হিসেবে ওই 'হিট' গানগুলিকেই ধরেছি।

    তার আগে, অর্থাৎ, ষাটের প্রথমার্ধ্ব পর্যন্ত রকমারি কান্ড ঘটেছে। তার ইতিহাস লেখার বিদ্যে আমার নেই। কিন্তু রকমারি গান পরে শুনেছি বলতে পারি। যেমন সায়গল, খুব ভালো, বলিউডিকরণের ছায়াও নেই। আবার রাজকাপুরের ম্যায় আওয়ারা হু, সরল ও গোলগাল কিন্তু চমৎকার অ্যারেঞ্জমেন্ট, যদিও গাওয়াটা কেমন একটু স্ট্ফ, কিন্তু উনি পরে যা গাইবেন, একেবারেই তার মতো না। ইন ফ্যাক্ট কাছাকাছি সময়ে রফির কী একটা গান, নাম মনে পড়ছেনা, সেও আমার বেশ লাগে, যেটা রফির পরে হিটসমূহ যেমন ধরুন 'কিতনা প্যারা ওয়াদা'র মতো একেবারেই না।

    এই গপ্পোটা ওই সময় থেকেই বদলাতে শুরু করে, এবং ক্রমশ বদলায়। গানপত্তরে পূর্বকথিত চিহ্নগুলি দেখা যেতে শুরু করে। 'ম্যায় আওয়ারা হু' থেকে 'রাম তেরি গঙ্গা মইলি (পারফেক্ট টিপিকাল বলিউডি গান)' -- এই যাত্রাটাই বলিউডিকরণ। সায়গলের 'বাবুল মোরা'র কারুণ্য থেকে 'মেরা কুছ সামান'এ প্যাথোজের উচ্চকিত ব্যান্ডপার্টিকরণ, ইহাই বলিউডিকরণ।

    এইটা লেখা হয়নি। গান ধরে ধরে শুনে শুনে লেখা চাপ, অত পরিশ্রম পড়তায় পোষাবেনা। তাই একবারে লিখে দিলাম। বাকি ফির বাদমে।
  • sosen | 177.96.24.48 | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:১৮698510
  • রাজ কাপুরের ম্যায় আওয়ারা হুঁ ? রাজ কাপুরের গাওয়া?
  • ঈশান | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:২৪698511
  • না। সিনেমায় শব্দটা বাদ গেছে। আর উনি বলতে মুকেশকে মিন করা হয়েছে।
  • ঈশান | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:২৭698512
  • আর আপনি এ টই এখনও পড়ছেন দেখে কিঞ্চিৎ আশ্চর্য হলাম।
  • sosen | 177.96.3.193 | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:৩১698513
  • "আওয়ারা হুঁ"-সুরকার শঙ্কর জয়কিষেণ-মেল লিড মুকেশ, মান্না দে। রাম তেরি গঙ্গা মইলি-সুরকার রবীন্দ্র জৈন, মেল লিড সুরেশ ওয়াদেকার।
    শঙ্কর জয়কিষেণ তাহলে ছাড় পাচ্ছেন?
  • sosen | 177.96.3.193 | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:৩২698514
  • মাঝে সাঝে আশ্চর্য হওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ঃ)
  • ঈশান | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০২:৪০698516
  • দ্যাখেন নিটপিকিং করতে গেলে কতই করা যায়। যেমন আমি চোখ গোলগোল করে প্রশ্ন করতে পারতাম, "আওয়ারা হুঁ" নামে সিনেমাও হয়েছে নাকি? কিন্তু করলাম না, কারণ, বোঝা যাচ্ছে।

    যাক পড়তে থাকুন, আরও লিখব। তবে এখন আর না। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন