এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গান-ফাইট

    pi
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৯৩৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Paramita | 109.72.224.255 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৪২698450
  • একদন ঘোড়ার মুখ থেকে শুনেছিলাম, খুব অপ্রাসঙ্গিক হবে না হয়তোঃ

    পরবাস ঃ ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল শুনতে গিয়ে ইনিসিয়েশন লাগে বলে মনে হয় না আপনার?

    সুচিত্রা মিত্রঃ আমি কিন্তু ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল শুনতে ভীষণ ভালোবাসি। কেনো ভাবোবাসি আমি বলবো? বোধহয় আমি টেকনিকালিটিজ জানি না বলে। কিন্তু আমাদের ক্লাসিকাল মিউজিক আমি জানি বলে কোথায় শুদ্ধ মধ্যম লাগলো, কোথায় কি লাগলো তার পেছনে ছুটে বেড়াই। I am very fond of instrumental music. কারণ এটা মনটাকে ছেড়ে দেয় অনেকটা, আমি হারিয়ে যেতে পারি একদম।..

    পঃ তার মানে আপনি বলছেন যে ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল এনজয় করতে হলে দীক্ষিত হবার প্রয়োজন নেই?

    সু মিঃ না, তা আমি বলি না। যাঁরা দীক্ষিত, তারা হয়তো অন্যভাবে অ্যাপ্রিশিয়েট করছেন, কিন্তু আমি জানি না বলে হয়তো অন্যরকম। আমি একদম সুরের ভেতরে হারিয়ে যাই।

    [..]
    ---------

    সুচিত্রা মিত্রর "না জেনে সুরের ভেতরে হারিয়ে যাওয়া" আর আমাদের মত আমজনতার বুকে সুর এসে ধাক্কা লাগার মেকানিজমে নিশ্চয়ই তফাত আছে। তবু মনে হয় গানের শেষ কথাই এই। গান শুধু সুর, কথাই, তালের সমষ্টিই নয়। গান একটা গন্ধ, সময়, মানুষের ছবি আর তীব্র অ্যাসোসিয়েশন। গান আমার কছে সকাল সাতটা চল্লিশের রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরে চান করে স্কুলে যাওয়া। গান আমার কাছে বেণী দুলিয়ে ক্লাসে "কাঁটা বনবিহারিণী" গলায় তোলা আর সুপূর্নাদির কাছে বি পেয়ে মনখারাপ করা। গান মানে জেইউতে লাল চেয়ারে ফার্স্ট ইয়ারে সুপ্রতীকের গলায় কিশোরের দুঃখের গান ঝরে পড়া। গান মানে স্প্রিং ফেস্টের সন্ধেয় গায়ে কাঁটা দেওয়া জগজিৎ সিং-এর গজল শোনা। গান মানে প্রেমে পড়ে "আজ কাল পাও জমিন পর নহি পড়তে মেরে"। এমনকি গান মানে ব্যাক্গ্রাউন্ডে "ও আমার গুরুদক্ষিণা" চলছে আর পাড়ার পুজোয় দৃষ্টিবিনিময়। গান মানে সুমনের গানে নিজের ভাষা খুঁজে পাওয়া। গান মানে বিদেশে বসে জনগনমন শুনে অকারণে উদ্বেল হয়ে ওঠা।

    আমাদের সবার ভালো লাগার গান ও গানের কান দুটোই অলরেডি যে যার জায়গায় তৈরী - দীক্ষা(অপশনাল) আর ইমোশান/স্মৃতির মিশেলে(ম্যান্ডেটরি)। এখানে নোট এক্স্চেঞ্জ হচ্ছে, ভালই লাগছে পড়তে - তবে এক একজনের ভালো লাগার প্যারামিটার এক এক রকম। তার ওপর আবার প্রতিটা প্যারামিটারের ওয়েটেজও এক এক রকম। এই আর কি।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৫১698451
  • ওহ্‌! হিয়ার হিয়ার
  • Tim | 108.228.61.183 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৩:৫৩698452
  • এই টইয়ের আলোচনা খুব ভালো লাগছে। আমি নোট কানে শুনে বুঝিনা বেশিরভাগ সময়, একেবারেই অদীক্ষিত। কিন্তু গান যে শুধুই কতগুলো টেকনিকালিটির সমষ্টি না সেটা অনেকেই উল্লেখ করলেন এবং আমি তাতে একমত। এটা সবথেকে ভালো বোঝা যায় ইন্স্ট্রুমেন্টাল শুনলে। সেখানে ভাবপ্রকাশের জন্য কথা নেই, তবু ভাবটা কমিউনিকেটেড হচ্ছে, মূলত শিল্পীর ইন্টারপ্রিটেশনের ওপর ভর করে। ধরুন মুনলাইট সোনাটা তো খুবই প্রচলিত সুর, অনেকবারই শুনেছি। কিন্তু সেটাই যখন একেকজন বাজাচ্ছেন মেসেজের পার্থক্য হচ্ছে। আমি নিশ্চিৎ এইটাও নোটেশন ধরে ধরে অঙ্কের মত করে ব্যাখ্যা করা যাবে, কিন্তু সেটা না বুঝেও মেসেজটা পেতে আমার অসুবিধে হচ্ছেনা, এবং এইখানেই ম্যাজিক।





    আমার ব্যক্তিগতভাবে ভ্যালেন্তিনা লিসিৎসার ক্লিপটা বেশি ভালো লাগলো। কেমন মনে হচ্ছে অনেক বেশি কথা বলছে ওটা। সময়ের এফেক্ট? হতে পারে।

    অথচ আরো অন্য একইরকম তুলনায় দেখছি তফাৎ টের পাচ্ছিনা। হয়ত যে সাটল পরিবর্তন হচ্ছে শৈলীতে ধরতে পারছিনা। অথ্চ এতে আমার কাছে কিছু শব্দ অধরা থেকে গেল।

    তো, যেটা বলার, গান একটা মেসেজও। আজকাল আমার মনে হয় গানে কথা থাকা একটা বাহুল্য, তাতে যে অযুত সম্ভাবনা নিয়ে সুরটা তৈরী হয়েছিলো সেটার অপমৃত্যু হয়। গল্পগুলো ভেঙে যায়।
  • Tim | 108.228.61.183 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৩:৫৯698453
  • পরিশেষেঃ পৃথিবীতে সব সময়ই দু ধরণের মানুষ থাকবে। একদল যাবতীয় পদার্থ ও অপদার্থ কাটাছেঁড়া করে বুঝে নিতে চাইবে, আরেকদল সেই কাটাছেঁড়ার গুরুত্ব বুঝতে চাইবেনা/পারবেনা। এ বেসিকালি হিসেব আর বেহিসেবের যুদ্ধ, এতে আজ অবধি কেউই জেতেনি। ঃ-)

    পামিতাদির লেখাটা ভালো লাগলো।
  • কথা | 205.154.56.44 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৪:২৫698454
  • ‌এই টোন-স্কেল-তান-মীড় ভার্সাস আনপড় শ্রোতার হৃদয় মাঝারে অনুভবের বাইরে একটা কথা ছিল।

    এখানে ইশেনবাবু শুরুতেই বলেছিলেন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় (ফিল্ম কেন্দ্রিক )হিন্দি সংগীতের প্রসার ও সংগীতের 'গোলগাপ্পাকরণ' (ডাম্বিং ডাউন?) করেছে। সে বিষয়ে আলোকপাত হবে আশা করছি।
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৪:৩১698455
  • গানে/ বাজনায় টেকনিকালিটির অতিরিক্ত যে ফ্যাক্টরের অস্তিত্ব নিয়ে জনতা বলছেন , তা শ্রোতার পার্সপেক্টিভে। যিনি রসসৃষ্টি করছেন তাঁকে ঐ অতিরিক্ত ফ্যাক্টরটি তৈরি করতে সেই টেকনিকালিটির সাহায্যই নিতে হচ্ছে। আমরা গানে/বাজনায় যতই ইমোশন বা অ্যাসোসিয়েশন বা অন্য কোনো ফ্যাক্টর পাই ( যা পাই বলেই গান আমাদের কাছে গান হয়ে ওঠে) স্রষ্টার হাতে কিন্তু এক ছটাক ইমোশন বলে কোনো উপাদান নেই :-) বড়জোর টেকনিকালিটির কোনো একটা দিক ক্যামোফ্লেজ করা আছে , যা শ্রোতা শুনে মাথা নেড়ে ভাবছে এই ফ্যাক্টরকে অ্যানালিসিসে ধরা যাবেনা। সুরকারেরাও সেরকম ভাবলে কোনো সুরসৃষ্টিই হত না :-)
    কোথা হইতে কি হইয়া গেল গানে অনির্বচনীয় সৌন্দর্যের উদ্ভব হইয়া গেল এইভাবে বোধয় গান বা সুর তৈরি হয়না ! তাই যাঁরা সুরের তৈরি হওয়া নিয়ে ভাববেন , কিভাবে ও কখন শ্রোতার কানে ঐ 'অতিরিক্ত' ফ্যাক্টরটিকে প্রবেশ করানো যায় ভাববেন , তাঁরা টেকনিকালিটি দিয়েও সেটা ব্যাখ্যা করতে চাইবেন - এটাও বোধ হয় খুব স্বাভাবিক।
  • pi | 74.233.173.185 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৫:৩৩698456
  • স্রষ্টার হাতে একছটাক ইমোশন থাকে না, এতে পুরো চন্দ্রবিন্দু দিলাম। সুরকার থোড়াই সবসময় এত টেকনিকালিটি অনুসরণ করে মেপেজুখে সুর দেন!
    সুরের মধ্যে একটা বড় এলিমেন্টই থাকে স্বতঃস্ফূর্ততার। কবিতা মতই। সুরও আসে।
    কিন্ত্য তার সাথে কাটাছেড়ার কী ?
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৬:১৫698457
  • স্রষ্টা ইমোশনরহিত সুপারকম্পিউটার নন আমি জানি। বা অঙ্ক কষে সুর দেবেন এমনও না । আমার বক্তব্য ছিল ইমোটিভ ফ্যাক্টরটা ফাইনালি কোনো না কোনো উপাদানের ( সুর, তাল, লয়, কথা) মাধ্যমেই গানে প্রবেশ করাতে হবে , ইমোশন বা স্বতঃস্ফুর্ততাও প্রকাশের মাধ্যম তো সেই সুর , তাল এটসেটরা-ই । ফলে ইমোটিভ ফ্যাক্টরের আলোচনাতেও ঐ উপাদান বা কম্পোনেন্টগুলির অ্যানালিসিস জরুরি।
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৬:২৫698458
  • ** স্বতঃস্ফূর্ত
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৬:৫৭698460
  • বাই দ্য ওয়ে গান ভাল লাগার জন্যে ব্যক্তিগত স্মৃতি বা অ্যাসোসিয়েশন কেন ম্যান্ডেটরি তাও আমি রিলেট করতে পারিনি :-) কিন্তু এহ বাহ্য। পামিতাদির তুলে দেওয়া সুচিত্রা মিত্রের অংশটুকু ভাল লাগল। পুরোটা পড়তে পেলে আরো ভাল লাগবে। লিং আছে নাকি ?
  • pi | 74.233.173.177 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৭:৩৪698461
  • একটা জিনিস যখন সুর হয়ে বেরোচ্ছে সেতো অবশ্যই তার আনালিসিস করা সম্ভব , খুব ইন্টারেস্টিঙ্গ ও । যে করতে সক্ষম করবে , যে শুনতে আগ্রহী শুনবে, আনন্দ নেবে। গানের রস নেবার এটাও একটা রাস্তা।

    স্রষ্টার সৃষ্টির সময় ইমোশান নেই পয়েণ্টে আপত্তি ছিল। ইন ফ্যাক্ট ইমোশন ছাড়া কম সৃষ্টিই সম্ভব মনে হয়। হয়না এমন জা হলেও।
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৭:৫১698463
  • স্রষ্টার ইমোশন নেই না , ইমোশন জিনিসটা গানের ট্যানজিবল উপাদান হিসেবে আলাদা করে খানিকটা হাতে নেই। যেমন সুর , তাল, কথা সব দিলাম এবার ২০ গ্রাম ইমোশন দিয়ে দি এরকম কেস তো না। ইমোশন কিভাবে উপচে পড়ল সেটা দেখতেও কথা সুর তালের মাপই নিতে হবে।
  • Google | 74.233.173.181 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৭:৫১698462
  • পরবাস আর টেক্সট টার অংশ দিয়ে সার্চালে আসছে না?
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৮:০৫698464
  • হ্যাঁ ওভাবে সার্চ করে পেলাম , অনেক ধন্যবাদ ।
  • Abhyu | 81.12.145.52 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১৮:৪৬698465
  • ঐ একই সাক্ষাৎকার কি না জানি না, কিন্তু ঠিক ঐ রকম কথা সুচিত্রা মিত্রের একটি সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম টিভিতে। তখন ওনার সাদা চুল। মাথা ঝাঁকিয়ে বলছেন হারিয়ে যাই।
  • π | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২০:৪৩698466
  • সুর তাল খামোখা ইমোশনবিহীন হতে যাবেই বা কেন তাই তো বুঝলাম না। মানে ইমোশান থেকেই তো কোন একটা সুর ছন্দ আসে। গানের ক্ষেত্রে এগুলোই তো তার ভেহিকল।
  • aka | 34.96.82.109 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২০:৪৭698467
  • ইমোশন না হয়ে ইন্টিউশন মনে হয় বেটার ওয়ার্ড। মিউজিকাল ইনটিউশন যা অনেকের ইমোশনকে ছুয়ে যায়।

    অন্কের ও হয়। অনেক গাতিয়ে একটা অন্ক কোনরকমে কষে দেখতাম অঘো কবেই সেটা কত সিম্পলি করে ফেলেছে। দুজনেই একই বই পড়তাম। আবার আমার ক্রিকেটের ইনটিউশনটা বেটার ছিল। দু একটা বল খেলা দেখেই ব্যাটসম্যানের উইকনেস বুঝতে পারতাম। এক্স ফ্যাক্টর = ইনটিউশন।
  • Abhyu | 81.12.145.52 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২১:০৬698468
  • অঙ্কের ব্যাপারটা আরো জটিল। ঠিকভাবে করতে পারলে অঙ্কটা প্রাণ পেয়ে যায়। তখন নিজে নিজেই করে চলে কখনো শেষ হয় না।
  • Tim | 108.228.61.183 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২১:২১698469
  • স্যানকে,
    কথা সুর তাল যদি গানের মৌলিক উপাদান হয়, তাহলে সেগুলোর নিখুঁত প্রোপোরশন নিয়ে ইমোশনের অঙ্কটা মিলবে তো। সেটাও কিন্তু ঐ ২০ গ্রাম ইমোশন দেওয়ার মতই হলো, যেমন লোকে আলাদা করে সোরা, গন্ধক, কাঠকয়লা কিনতে পারে আবার বারুদও কিনতে পারে। অঙকই তো।
  • | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২১:২৩698471
  • আরে ইমোশানের তো কোনও আলাদা অস্তিত্ব নেই রে বাবা। ট্যানজিবল মেজারেবল নয়। ইমোশান বুঝতে গেলেও তো বেসিক কথা ছন্দ সুর তালেই যেতে হবে। @পাই।
  • π | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২১:৫৬698472
  • আমার মনে হয় স্রষ্টার ইমোশন আর শ্রোতার ইমোশন, এদুটো একসাথে এসে একটু ঘেঁটে যাচ্ছে বলে বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে। তর্ক হচ্ছিল শ্রোতার ইমোশন নিয়ে। আমাদের কোন গান ইমোশানালি ভাল লাগে, নাকি অ্যানালিটিকালি। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কে কোনটাকে ওয়েটেজ দেবে ইঃ। সেখানে এই যুক্তিটা অবশ্যই আসে যে, আমাদের যে ভালোলাগা খারাপ লাগা, তার পিছনেও কোন একটা কারণ তো থাকে। খামোখা কিছু ভাল লাগল, কিছু খারাপ , এমন না হয়ে কোন একটা প্যাটার্ন থাকতে পারে। তো, সেখানে এই অ্যানালিসিস সেই ভালো খারাপ লাগার খোলসের ভিতরের স্তরটা নিয়ে কাজ করে, যেখান থেকে খোলসের জন্ম। এবার শুধু খোলসেই কেউ মজে প্রচুর রস পেলেন, এও হতেই পারে, কেউ আরো ভিতরে সেঁধিয়ে বেশি পেলেন, কেউ পেলেন না, এটা হতেই পারে। কিন্তু শ্রোতার ইমোশনের ব্যাখ্যা হয়, আর হলে সেই কাটাছেঁড়া সুর, তাল দিয়েই হবে, সেটা অবশ্যই মনে করি। কারণ ইমোশনের বেসিস একটা থাকেই।
    এবার কথা হচ্ছে স্রষ্টার ইমোশন নিয়ে। এখানে সেই কম্পোনেন্টটা আনা হয়েছে শ্রোতার ইমোশনকে স্রষ্টা কীভাবে জাগিয়ে তোলেন, সেটা বোঝানোর জন্য। বলা হয়েছে, স্রষ্টার নিজের ইমোশন সুর তাল বেয়ে শ্রোতার ইমোশনকে ইগনাইট করছে, তাই সুর তালের কাটাছেঁড়া প্রয়োজন। এখানে দ্বিমত পোষণ করি। কারণ, এক, শ্রোতার কোন ইমোশন জাগিয়ে তোলার জন্য স্রষ্টার ইমোশন প্রয়োজন মনে করিনা। মানে নট নেসেসারিলি, শ্রষ্টা ও শ্রোতার ইমোশন এক হতে হবে। কবিতারই মত পুরো। কবি কিছু ভেবে লিখলেন। একএক জন শ্রোতার একেকরকম ইমোশন নিয়ে পড়লো, যেটা এমনকি স্রষ্টার ইমোশনের থেকে আলাদা, এটা হতেই পারে। আর দ্বিতীয়তঃ শ্রোতার অমুক ইমোশন জাগাবো বলে স্রষ্টা কখনো কখনো, ফিল্মের সিচ্যুয়েশানাল কেসে সচেতন ভাবে কোন ইমোশন ঢালতে পারেন ( যদিও সচেতন ইমোশন ব্যাপারটা কেমন অক্সিমোরোন শোনাচ্ছে, স্বতঃস্ফূর্ততার ব্যাপারটাই চলে যাচ্ছে), কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই শ্রোতার কেমন কী মনে হবে সেটা সচেতনভাবে বা আগে মাথায় না রেখেই স্রষ্টার মনে সুর আসে।

    আবার এখানে বারবার সুর বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সুর আর অ্যারেন্জ্মেন্টের ব্যাপরটাও বোধহয় আলাদা করা দরকার। কারণ এই স্বতঃস্ফূর্ততা, ইমোশন ইঃ হয়তো সুরের বেলায় অনেক বেশি প্রযোজ্য, আরেঞ্জমেন্টের তুলনায়। মেপে জুখে সুর দেওয়া হয় না, সুর আসে, কিন্তু আরেঞ্জমেন্টও কি তাই ? ধন্দ আছে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২২:০০698474
  • অফ কোর্স। কত রকমের অ্যারেঞ্জমেন্ট/বাদ্যযন্ত্র নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষা করতে করতে, একটি চমৎঅকার কম্বিনেশন কখনও চলে আসে।
  • π | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২২:০০698473
  • দমদি, আমি তো একবারও বলিনি ইমোশনের আলাদা অস্তিত্ব আছে। এটা তো আলাদা করার বলারই নেই , যে ইমোশনকে কিছুর মাধ্যমে এক্সপ্রেসড হতে হবে। হ্যাঁ , হতে তো হবেই। বরম উল্টে বলেছি, সুর তাল খামোখা ইমোশনবিহীন হতে যাবেই বা কেন তাই তো বুঝলাম না। মানে ইমোশান থেকেই তো কোন একটা সুর ছন্দ আসে। গানের ক্ষেত্রে এগুলোই তো তার ভেহিকল।
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২২:০৩698475
  • স্রষ্টার নিজের ইমোশন সুর তাল বেয়ে শ্রোতার ইমোশনকে ইগনাইট করছে, তাই সুর তালের কাটাছেঁড়া প্রয়োজন।

    -- এইটা আমি বলিনি। মিনও করিনি। অন্য কারুর উদ্দেশ্যে বলা হলে প্লিজ ইগনোর। আমি কি বলেছি তা আবার বলে কোনো লাভ নেই , গোল গোল ঘুরবে। বাকিরা হোপফুলি পড়ে বুঝে যাবেন । কাটি।
  • π | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২২:০৭698476
  • 'গানে/ বাজনায় টেকনিকালিটির অতিরিক্ত যে ফ্যাক্টরের অস্তিত্ব নিয়ে জনতা বলছেন , তা শ্রোতার পার্সপেক্টিভে। যিনি রসসৃষ্টি করছেন তাঁকে ঐ অতিরিক্ত ফ্যাক্টরটি তৈরি করতে সেই টেকনিকালিটির সাহায্যই নিতে হচ্ছে।'

    এটার মানে তাহলে কী ? স্রষ্টার নিজের ইমোশন সুর তাল বেয়ে শ্রোতার ইমোশনকে ইগনাইট করছে, তাই সুর তালের কাটাছেঁড়া প্রয়োজন , শ্রোতার ইমোশন তৈরি করার জন্য স্রষ্টাকে নিজের ইমোশনকে সুর, তাল ছন্দের টেকনিকালিটির সাহায্য নিয়ে এক্সপ্রেস করতে হচ্ছে, এরকম বলতে চাওয়া হয়েছে বলেই তো মনে হল ?

    আর এটা নাহলে শ্রোতার ইমোশনের প্রসঙ্গ থেকে স্রষ্টার ইমোশানে জাম্প করা হল কেন বুঝতে পারিনি।
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২২:৪১698477
  • অতিরিক্ত ফ্যাক্টর মানে শ্রোতার ইমোশন। স্রষ্টার নয়।

    স্রষ্টার ইমোশন নিয়ে আদৌ কোনো কথা তুলিনি।

    একটা সিস্টেমে ইনপুট হল সুর তাল ইত্যাদি টেকনিকালিটি। এটা স্রষ্টার পার্সপেক্টিভ যে তাঁর হাতে দেবার মত উপাদান আছে সুর , তাল , কথা ইত্যাদি ট্যানজিবল জিনিস। আউটপুট হল (যা টিম পামিতাদি এবং আরো নানাজনে বলেছেন) সুর-তাল-কথার অতিরিক্ত একটা কিছু। একটা ইমোশন , অ্যাসোসিয়েশন , যে নামই দেওয়া হোক , শ্রোতার পার্সপেক্টিভে একটা 'অন্য ফ্যাক্টর' যা টেকনিকালিটি দিয়ে সে পুরোটা ব্যাখ্যা করতে পারেনা। তা আমি বলেছি ইনপুট যখন ট্যানজিবল , তখন শ্রোতার ঐ 'অতিরিক্ত ফ্যাক্টর' এর বিশ্লেষণ করতে গেলেও ঐ বেসিক ট্যানজিবল ইনপুটেই ফেরত যেতে হবে , বা ঐ দিয়েই সম্ভবত ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
  • ranjan roy | 24.99.150.83 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২৩:০৩698478
  • কিন্তু স্যান, স্রষ্টা যখন টেকনিক্যালিও কিছু সৃষ্টি করেন তখনও উনি প্রথমে ইমোশনের হাত ধরেই সেই ইমোশনের স্ট্রাকচারে প্রবেশ করেন তো? না কি?
    কেউ স্বতস্ফুর্তঃ ভাবেই হোক, বা কারো ফরমায়েশেই হোক, যখন একটি নির্দিষ্ট থিম এ সঙ্গীত সৃষ্টি করতে যান তখন সেই থিমের সঙ্গে একটা মিনিমাম ইমোশনাল বন্ডিং তৈরি না হলে উনি এগোবেন কী করে? থীম থেকে-- ইমোশনাল বন্ডিং জনিত ভাব-- থেকে গুনগুনিয়ে সুর-- থেকে তাকে নির্দিষ্ট সুরের ও তালের স্ট্রাকচারে ধরা -- ব্যাপারটা এরকম নয়? সুর/তাল তো তাঁর উপাদান মাত্র।
    যিনি ছবি আঁকেন বা কবিতা/গদ্য লেখেন তাঁর কাছেও স্টেজগুলো অমনই নয় কি? রং/তুলি বা রূপকল্প/ শব্দ তো উপাদান মাত্র।
    এটা একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
  • π | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২৩:০৫698479
  • তাহলে এই লাইনটা ভুল বুঝেছি।
    'ইমোশন বা স্বতঃস্ফুর্ততাও প্রকাশের মাধ্যম তো সেই সুর , তাল এটসেটরা-ই । '
    এই 'প্রকাশের' মাধ্যম মানে স্রষ্টার 'প্রকাশের' মাধ্যমের কথা বলা হচ্ছে বলে মনে হয়েছিল। শ্রোতার ইমোশন বা স্বতঃস্ফূর্ততা সুর, তাল ছাড়াও প্রকাশ পেতে পারে বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই পেয়ে থাকে বলে। ইমোশনের কারণ বলছিনা। পরেও পোস্টেও তাই মনে হওআতে একটু ঘেঁটে গেছিলাম। যাইহোক।
  • san | 11.39.40.115 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২৩:১৫698480
  • কারণ পরের পোস্ট গুলো তোমার বক্তব্যের উত্তর। সেখানে অলরেডি তুমি বলছো স্রষ্টার কি ইমোশন থাকেনা ? সুরে তো স্বতস্ফূর্ততার জায়গা আছেই ইত্যাদি। তার উত্তর দিয়েছি।
  • π | ২৬ মার্চ ২০১৬ ২৩:২০698482
  • আর আমার মনে হয়, স্রষ্টার সুরসৃষ্টি তাগিদ থেকে আসে, সে তাগিদ যতনা ( বা আদৌ না) শ্রোতার মধ্যে ইমোটিভ ফ্যাক্টর ঢুকিয়ে ইমোশন তৈরি করা, তার থেকে অনেক বেশি বা কেবলি নিজের ইমোশনকে প্রকাশ করা। জানিনা সুরকাররা নিজেরা এই নিয়ে কী বলেছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন