এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গান-ফাইট

    pi
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৯৩৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • NB | 74.233.173.185 | ২২ মার্চ ২০১৬ ২২:২১698417
  • বলো কি আছেগো গানটাতেও কি হিন্দি বান্গ্লা ভার্সানে কিছু চেন্জ আছে? হিন্দি টা অত বাজে শোনাচ্ছে না
  • pi | 24.139.209.3 | ২২ মার্চ ২০১৬ ২২:৩৬698418
  • ইন্টারেস্টিং।
    সলিল চৌ, এস ডি র গানগুলো নিয়েও হোক।
  • Rit | 213.110.242.22 | ২২ মার্চ ২০১৬ ২৩:১৭698419
  • গানের টেকনিক্যাল দিকটা আমার কাছে হিব্রু। কিন্তু ঈশানদার অ্যানালিসিস পুরো ম্যাথেমেটিক্যাল লাগছে। চলুক চলুক।
  • san | 113.245.14.101 | ২২ মার্চ ২০১৬ ২৩:২৪698420
  • এই পোস্ট টার জন্যে ঈশানকে থ্যাংকুজ :-)
  • agantuk | 138.48.44.180 | ২২ মার্চ ২০১৬ ২৩:৪১698421
  • আপনারা সবাই জানেন নিশ্চই, তাও দিয়ে রাখি। তেসরা জানুয়ারি থেকে রোববার প্রতিদিনে হারমোনিয়াম বলে একটা কলাম শুরু হয়েছে, যাতে প্রতি সপ্তাহে কবীর সুমন কাঁটাছেড়া করছেন জনপ্রিয় গান, আর গানটির অনুসন্ধান চালাচ্ছেন সুপ্রিয় রায়। "বাংলা গানের স্বরলিপিতে নতুন হারমোনি।" প্রথম পর্বে আলোচনা হয়েছিল 'আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে' নিয়ে, এবং, এই গত রোববারের গান ছিল 'এ মন মোর জানিনা কোথা যে হারাল'।

    http://www.ezinemart.com/robbar
  • h | 184.79.160.147 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৭:১৪698422
  • অসম্ভব খুশি হলাম, শিখবার মত। থ্যাংক্স ইশান।
  • san | 113.245.14.101 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১০:২০698423
  • অন্যান্য পয়েন্টগুলির সঙ্গে সঙ্গে সা চিহ্নিতকরণ দ্বারা ( বা স্থায়ী তে সা কে প্রমিনেন্স দেওয়া, যেভাবেই বলি ) সুরকে ভারতীয় করে তোলার অ্যাংগল টা ধরিয়ে দেওয়ায় বিশেষ করে ভাল লাগল।

    ছোটো প্রশ্ন হল , এই রাত তোমার আমার তার পাশ্চাত্য চলন সত্ত্বেও তো খুব জনপ্রিয়ই হয়েছিল , তাহলে সর্বভারতীয় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছনোর জন্য এই ভারতীয়করণ করতে হল কেন ?
  • PM | 233.223.155.50 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১১:৩১698424
  • দারুন। আমার আবার হাতে খড়ি হছে মনে হচ্ছে ঃ)
  • ন্যাড়া | 109.72.224.255 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১২:২৯698425
  • ঈশান "এই রাত তোমার আমার" নিয়ে মিউজিকালি যেটা লিখেছে, সেটা খুব ঠিকঠাক। কিন্তু তার থেকে যে ব্যাখ্যায় পৌচচ্ছে সেটা আমার গোলমেলে মনে হচ্ছেঃ "একজন শিল্পী, একটা কম্পোজিশনে যে টেকনিক, যে আবিষ্কারগুলি ব্যবহার করেছিলেন নিজের সৃষ্টির কাজে, সে ভালো হোক বা না হোক, তিনি বলিউডিকরণের প্রয়োজনে নিজেই সেই টেকনিক, সেই আবিষ্কারের চিহ্নগুলি মুছে দিচ্ছেন, ব্যক্তিগত ভাবে, এইটা আমার কাছে একটা ট্র‌্যাজেডি মনে হয়। একটা ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে, তার স্ট্রাকচারে ঢুকে সর্বভারতীয় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছতে গেলে তো কিছু একটা কমপ্রোমাইজ করতেই হবে। " এটা আমার কষ্টকল্পিত মনে হচ্ছে।

    কেন, সেটা বলি।

    প্রথমতঃ হেমন্ত সুরকার হিসেবে পশ্চিমি হার্মনির ব্যবহার করতেন না, খুব সম্ভবতঃ দীক্ষিত ছিলেন না, ইচ্ছেও ছিল না। "এই রাত তোমার আমার" ব্যতিক্রম। এরকম আরও একটা-দুটো ব্যাতিক্রম থাকতে পারে, কিন্তু সেগুলো ব্যতিক্রমই। নিজে গানের সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গও পছন্দ করতেন না। এগুলো ওনার সাক্ষাৎকারগুলো পড়লেই জানা যায়। নিজে অ্যারেঞ্জেমেন্টও করতেন না। ওই সময় তো আরোই নয়। বাংলায় ওনার অ্যারেঞ্জমেন্ট করতেন ভি বালাসারা। বালসারা আবার পশ্চিমি সঙ্গীতে দীক্ষিত ও পরিশীলিত। কাজেই ওনার সুরে, অ্যারেঞ্জমেন্টে পশ্চিমি প্রভাব পড়বেই।

    হেমন্তর বম্বেতে অ্যাসিস্টেন্ট ও অ্যারেঞ্জার ছিলেন রবি। যিনি নিজে পরের দিকে ইন্ডেপেন্ডেন্ট সুরকার হয়ে প্রচুর ভাল সুর দেন ও নাম করেন। চৌদভি-কা-চান্দ, আগে ভি জানে না তু, নীলে গগন কি তলে ইত্যাদি। কিন্তু রবি ভারতীয় সঙ্গীতে অনুশীলিত। তাঁর পক্ষে পশ্চিমি অ্যারেঞ্জমেন্ট করা সম্ভব নয়। কাজেই, গানটি যখন বম্বেতে ট্রান্সপোর্টেড হয়ে নতুন সাজে সাজল, তখন সেটার হার্মনি-ছাড়া একটা রূপ দিতে হবে, এমন ভাবনাচিন্তা এসেছে বলে মনে হয়না। বাংলা মেনস্ট্রিম দর্শক যে অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়েছে, সর্বভারতীয় দর্শক সেটা নেবেনা, এরকম ভাবারো বিশেষ কারণ আছে কি? যদিও অনেক সময়ে সলিল, রাহুলরা বাংলা বেসিক গানকে এক্সপেরিমেন্টের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করেছেন একটা সুরকে হিন্দিতে লাগানোর আগে। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম ছিলনা। সুরের প্রয়োজনে তৈরি করা একটা গান লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিনেম্যাটিক সিচুয়েশনের তফাতের জন্যে হিন্দি গানটাকে লম্বাও করতে হয়েছে। কাজেই একটা জায়গায় সুর যোগ করা হয়েছে। তাছাড়া অনেকসময় বাজেট ইত্যাদির জন্যে, বিশেষত সলিল, বাংলায় হাত খুলে অ্যারেঞ্জ করতে পারেননি। সেসব জায়গায় উল্টোটাই ঘটেছে যে বাংলা গানের অ্যারেঞ্জেমেন্ট ন্যাড়া, হিন্দি গানের অ্যারেঞ্জমেন্ট পত্রপুষ্পেপল্লবিত।

    এবার চট করে বলি, গানের ষড়জ কোথায় সে নিয়ে। দারুণ অবজার্ভেশন। তবে মিউজিকাল টেনশন রাখার জন্যে এটা তো একটা জানা টেকনিক গানের স্পেসিফিক ষড়জ থাকলেও তাতে না ফিরে আসা। এখানে তো আমার মনে হল শুরুর নোটটাই সা। সেটাকে C ধরলে তো C-G-Em-F প্রগ্রেশন পাওয়া যাচ্ছে।

    এই ষড়জে না থামার আর একটা উদাহরণ সুমনের "চেনা দুঃখ, চেনা সুখ"। তবে সেও পশ্চিমি চলনের গান। সারপ্রাইজিংলি, এই টেকনিক পাচ্ছি "মধুর রূপে বিরাজ" গানে। সে তো একেবারে দেশি চলনের গান।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ১২:৪৯698427
  • ঈশানের টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস অনবদ্য। এবং তার ওপর ন্যাড়ার কমেন্টও দুরন্ত। দুজনেই সঙ্গীতবোদ্ধা, সুগায়ক এবং সুলেখক।

    কিন্তু, হেমন্তবাবুর (অদীক্ষিত) প্রতিভা বম্বের বাজারি ফিল্মের জন্য কম্প্রোমাইজ্‌ড্‌ হল, বা, সর্বভারতীয় মার্কেটের জন্য হেমন্তবাবু বাধ্য হলেন গানটির বাঙালীয়ানা কমাতে এবং এতে অরিজিন্যাল সুরটি উৎকর্ষ হারালো --- একটি/দুটি গানের ক্ষেত্রে তেমন মনে হলেও, ওভারঅল এমন সিদ্ধান্তে কি আসা যায় - হেমন্তবাবুকে জিগ্গেস না করে এগুলো জানা মুশকিল। হয়ত উনি নিজেই ইচ্ছে করে এটা করেছিলেন, এবং তাতে করে ভালো হয়েছে, ইয়ে নয়ন ডরে ডরে - ভারি সুন্দর গান। বাঙালী সুরকারেরা বম্বে গিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছেন - এমনটাই শুনে/পড়ে এসেছি, মানে যে সময়ের কথা হচ্ছে তার হিসেবে।
    আরো উদাহারণ পেলে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধে হবে।
  • h | 182.56.35.61 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ২০:১৯698428
  • এতো ভালো লাগছে বেরোতে পারছি না। থ্যান্ক্স বোথ। এবার আমার প্রশ্ন হছে 'সর্ব ভারতীয়' শ্রোতা কে কম বোঝে ভাবার আস্পদ্দা টা কার হছে আইপিটিএ করা সলিল হেমন্ত দের নাকি প্রজোজিক দের নাকি পরিচিত প্যাটার্ন বলে জেটা জেটা ধরা হছে সেটা একটি প্যাটার্ন মাত্র। আরো প্য়্টার্ন আছে, জনগন বৈজু বাওরার গান শুন্ছে তানসেন
  • h | 182.56.35.61 | ২৩ মার্চ ২০১৬ ২০:২৩698429
  • সিনেমার গান্শুনছে রেডিও তে এমনকি খেয়াল দ্রুপদ শুনছে।
  • ঈশান | ২৩ মার্চ ২০১৬ ২২:১১698430
  • ন্যাড়াদা, ওই গানটার শুরুর ঝ্যাং ঝ্যাং টা F F F Dm এইরকম আছে। শিসের প্রিলুডটায় কর্ড নেই, কিন্তু Dm Am --- এই চলনে চলছে, পিছনের হামিং টাও ডি মাইনরের হারমনিক চলন নিয়ে চলে। পরে যেটাকে জাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এই জন্যই ডি মাইনর স্কেলের গান হিসেবে ধরেছি এটা।

    অবশ্যই যে কর্ডগুলো ব্যবহার করা হয়েছে(বা হয়নি), তার বেশিরভাগই সি মেজরে লাগে। নইলে ষড়জ পরিবর্তনটা করা যেতনা। টিউনে একটু আধটু বদল অবশ্য করতে হয়েছে। সেটা তো লিখেছি।

    তবে ট্র্যাজেডি ইত্যাদি ওসব আমার ধারণামাত্র। বা অনুভব। :-)হতেই পারে হেমন্ত আসলে খুবই খুশি হয়েছিলেন। কে জানে। আমার পয়েন্ট টা কি এবং আরও নানা বস্তু আমি পরে লিখছি। আজকে আপিসে বাওয়াল চলিতেছে।
  • ঈশান | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২১:২৩698431
  • বাকি গুচ্ছের টপিকে পরে আসব। 'ভারতীয়করণ' বা 'বলিউডিকরণ' বলতে কী বোঝাচ্ছি, সেটাতে আসতে হবে। এমনকি হেমন্তের গাইবার ভঙ্গী নিয়েও খুব ইন্টারেস্টিং একটা অবজারভেশন বলার আছে। কিন্তু তার আগে, আমি আরও একটা গান শুনেছি, সেটা নিয়ে চাট্টি কথা বলার আছে। এই গানটাও খুবই বিখ্যাত, এবং হিন্দি ও বাংলা দুখানা ভার্সনই আছে। গানটা হল 'আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা'।

    এই গানটা শুনতে সোজা হলেও, এ একদম সলিল চৌধুরি সিগনেচার। তাতে নানারকম মজা আছে। সবকটা লিখে বোঝানো সম্ভব না। কিন্তু স্ট্রাকচারটা বুঝতে অবশ্য অসুবিধে নেই। গানটা যদি জাস্ট বাজিয়ে মন দিয়ে শোনেন, দেখবেন প্রিলুড এবং ইন্টারলুডে নানারকম পাশ্চাত্য কায়দা আছে। সেগুলো অমিট করে গেলে দেখবেন, সুরের দুটো নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে। একটা হল প্রথম অংশটা, যেটা একটা মেজর স্কেলের শুদ্ধ গা তে শুরু হচ্ছে। 'আমায় প্রশ্ন করে' থেকে শুরু করে 'আমি তুমি হারা', (নাকি এ জীবন সারা) পর্যন্ত। তারপর একটা ট্যাঁ ট্যাঁ ট্যাঁ। এবং তারপরেই নতুন একটা চলন, 'কারা যেন'।

    আগেই বলেছি, গানটা মেজর স্কেলের গান। প্রথমে কর্ড সিকোয়েন্সটা দিয়ে দেওয়া যাক, কারণ গানে কর্ড সেভাবে স্পষ্ট করে দেওয়া নেই।।উনি অনেকটা চড়ায় করেছেন, আমরা ধরে নেব C স্কেলে গাওয়া হচ্ছে। শুরু হচ্ছে শুদ্ধ গা(E) থেকে। সঙ্গে এরকম কর্ড বাজালে ভালো লাগবেঃ
    (C) আমায় প্রশ্ন করে (Dm)নীল ধ্রুব (G)তারা(G#)আ(Am)আর কত কাল আমি (G)রব দিশাহারা রব দিশা(C/Am)হারা।
    (G)জবাব কিছুই তার (Dm)দিতে পারি নাই শুধু (F) পথ খুঁজে কেটে গে(Em)ল এ জী (Bm)বন (G)সারা এ জীবন (C)সারা।
    (G)কারা (Am)যেন (G)ভালো (Am)বেসে আলো জ্বেলেছিল (Dm)সূর্যের আলো (G)তাই নিভে গিয়েছিল
    (G)নিজের ছায়ার পিছে (Dm)ঘুরে ঘুরে মরি মিছে (F)একদিন চেয়ে (Em)দেখি (Bm)আমি তুমি হা(G)রা আমি তুমি (C)হারা।

    ইত্যাদি প্রভৃতি। স্লাইট অন্য ভ্যারিয়েশনও ব্যবহার করতে পারেন, কিছু যাবে আসবেনা। যেমন আ আ আ তে আমি পরপর G, G#, Am বসিয়েছি, তা না করে জাস্ট তিনটে নোট (পদধ)ব্যবহার করতে পারেন। এরকম আর কি।

    তো যাই হোক, এবার গানটা প্রথম থেকে শোনা যাক। একদম প্রথম থেকে। গানের শুরুতেই একটা ওয়েস্টার্ন পিস আছে। প্রিলুড। তার তিনটে চলন। প্রথমটা ধনসগরস, ধনসগরস, ধনসগরস এরকম। দ্বিতীয়টা গমপনধপ, গমপনধপ। (এটা এক্স্যাক্ট স্বরলিপি না, শুধু প্যাটার্ন বাজালে একটু শুনে চেক করে নেবেন)। দুটোতেই দেখবেন শুধু শুদ্ধ স্বর। এবং সারেগামার প্যাটার্ন, বাচ্চারা ছোটো থেকে যা অভ্যাস করে। তাহলে শুনতে ওয়েস্টার্ন মনে হচ্ছে কেন? সেটা হচ্ছে তিন নম্বর টুকরোয়। দ্বিতীয় টুকরো থেকে একটু নেমে এসে দেখবেন শুদ্ধ নি থেকে শুরু করে একটা প্যাটার্ন বাজানো আছে, যেখানে একটা অন্য স্বর ব্যবহার করা হয়েছে। প্যাটার্ন টা হল নসরগহ্মপ। এবং এইটা শুনলেই একটা পশ্চিমী ফিলিং আসছে। সেটা কেন? কারণ এখানে যুগপৎ দুটো স্কেলে বাজনা চলছে, যেটা আমরা ভারতীয় সুরে শুনিনা। কিরকম? আমরা এখানে C কে সা ধরেছি। তার জায়গায় যদি G কে ধরে সারেগামা বাজাতাম, তাহলে দেখতেন এই চলনটা আসছে। অর্থাৎ G স্কেলে সরগমপধনস বাজালে সেটা C স্কেলে পধনসরগহ্মপ হবে। অর্থাৎ, উনি তৃতীয় চলনে G স্কেলে চলে গেছেন, তাতে একটা আলতো ম বসিয়ে রেখেছেন, যাতে সাড়ে তিন নম্বর চলনে মগরস মগরেস করে সি মেজর স্কেলে ফিরে আসতে কোনো অসুবিধে না হয়। এইটা খুব ভালো বোঝা যাবে, যদি কোনো একটা যন্ত্রে পরপর C এবং G স্কেলে সারেগামাপাধানিসা বাজান (একটু নেড়েচেড়ে বাজালে খুবই ভালো, নাড়াচাড়া না করলেও চলবে)। দেখবেন এই প্রিলুডের প্যাটার্নটা পেয়ে যাচ্ছেন।
    এই প্রিলুডটার ব্যবহার কেন? না, উনি প্রথমেই বলে রাখছেন, ভাই এটা পাশ্চাত্য সুর। এবং এতে আমি সি আর জি দুটো স্কেল ব্যবহার করব। গানটার শুরুতে শুধু শুদ্ধ স্বর দেখে ভেবোনা সোজা সি স্কেলের গান, এতে কড়ি মা আসছে কিন্তু পরে।

    প্রিলুডের পর গান শুরু। শুদ্ধ C মেজর স্কেলের চলন। যেটা এসে প্রথম ভাঙ্গে 'ধ্রুবতারা'র পর আ আ আ তে। এই আ আ আ টা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, এখানে পরপর তিনটে পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। পদধ। ভারতীয় গানে এরকম খুবই কম। এটা পাশ্চাত্য চলন। যেটা মূলত স্কেল পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং সেই পরিবর্তনটা ভালো লাগবে ধরে নিয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। বাংলা গানেও ব্যবহার আছে, এই মুহূর্তে যেটা মনে পড়ছে, সেটা হল, মৌসুমী ভৌমিকের 'এখানে তুমি সংখ্যালঘু'র শেষ অংশ। '....নিঃসহা আ আয় কোথায় যেন... ' এই জায়গটা, পরপর তিনবার গান মৌসুমী এবং সেখানে স্পষ্টতই স্কেল পরিবর্তন করেন। এখানেও স্পষ্টই ওই একই চলন, এবং বলাবাহুল্য সলিল স্কেল পরিবর্তন করেন। কিন্তু G নয়, C থেকে লাফ দিয়ে চলে আসেন A তে। সা থেকে ধা তে। এর জন্য তিনি আমাদের প্রস্তুত করেননি প্রিলুডে। তার একটাই কারণ, উনি এখানে Am স্কেল ব্যবহার করেছেন, যার সঙ্গে C Major স্কেলের সুরগত কোনো পার্থক্য নেই। অর্থাৎ, C কে সা বলে ধরলে, Am স্কেল হল, ধনসরগমপধ। শুধু চলন পরিবর্তন ছাড়া সুরগত কোনো পরিবর্তন এখানে নেই। তাই আমাদের্ সুরগত কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিলনা। বস্তুত ওই 'আ আ আ' থেকে চলনটা বদলে যায়, সেটা কর্ড সিকোয়েন্স দেখলে পরিষ্কার। Am,G,Dm,F,Em(জবাব কিছুই থেকে কেটে গেল পর্যন্ত) এই সিকোয়েন্সটা অব্যর্থ ভাবেই Am স্কেলের সিকোয়েন্স। এবং এই সিকোয়েন্সের শেষে পরে অবধারিতভাবে যে কর্ডটা আসে, সেটা Am। মজা হচ্ছে এটা সেখানে এলনা। উনি একটা চমক দিয়ে চলে গেলেন কড়ি মা তে ( এ জীবন) , কর্ডের হিসেবে Bm. এই সেই কড়িমা, এই সেই চলন, যার জন্য উনি প্রিলুড থেকে প্রস্তুত করেছিলেন, সেটা এবার ইন অ্যাকশন। আমরা জি স্কেলে ঢুকে পড়লাম। খুব ছোট্টো একটু সময়ের জন্য। খুব অল্প সময়ের জন্য। Bm, G (এ জীবন সারা, এ জীবন)। পরক্ষণেই ফিরে এলাম সি স্কেলে। কিন্তু সময়ের বিচারে এই স্কেল পরিবর্তনটা মাপা যাবেনা। কড়ি মা খুব ছোটো, কারণ তাতেই পাঞ্চটা বেশি আসে। জি স্কেলও এখানে ছোটো কিন্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

    এর পর আসে অন্তরা, যদি ওটাকে অন্তরাই বলি। তার আগে ইন্টারলুড। সেটায় উল্লেখ্য যে, জিনিসটা শেষ হচ্ছে A তে। অর্থাৎ কিনা শুদ্ধ ধা। এবং অন্তরা, যদি ওটাকে অন্তরাই বলি, সেটা শুরু হচ্ছে ওই একই পর্দায়('কারা যেন'র যেন তে) একটা জোরে ধাক্কা মেরে। বলাবাহুল্য, স্কেলটি Am। অর্থাৎ, কম্পোজারের স্টেটমেন্ট ক্লিয়ার। C আর Am এরা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত স্কেল। কানে শুনলে বদলটা বোঝা নাও যেতে পারে। তাই তিনি সিধে A তে এসে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, বস এই দেখ স্কেল চেঞ্জ হচ্ছে। এতক্ষণ না বুঝে থাকলেও এবার তোমাকে চোখে আঙুল দিয়ে শুরু করলাম। এবং অন্তরা শুরু হচ্ছেও Am এর দাপটেই। এবং Am স্কেলে শুরু, G ছুঁয়ে একই পদ্ধতিতে আবার C তে ফিরে আসা। সেটায় আলাদা কিছু নেই। স্থায়ীর মতই অবিকল এক।

    এই হল মোটামুটি বাংলা গানটার গপ্পো। এটার আবেদন, আমার কাছে সম্পূর্ণ সেরিব্রাল। প্রতিটি টুকরো যেন কার্যকারণ সম্পর্কে আটকানো। যেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করলে মনে হয়, শুধু গান নয়, যেন একটা চিন্তপদ্ধতি ধরা যাচ্ছে।

    এবার এরও একটি হিন্দি ভারসন আছে, যে জন্য এই গানটা বাছা। কানে শুনলেই বোঝা যায় তার আবেদন আলাদা। কেন আলাদা? এবার তুলনাটা করা যাক।

    ১। প্রিলুড। বাংলার মতো হিন্দি ও শুরু হয় একটা প্রিলুড দিয়ে। কিন্তু অশ্চর্যজনক ভাবে সেটা সরল। শুদ্ধ পধনস চলন দিয়ে চলে। কড়ি মা, যেটা গানের স্কেল বদলের সিগনেচার ছিল, সেটা বাদ। পশ্চিমী ঘরানার C, G স্কেলে অবাধ বিচরণটি বাদ। শুনলেই বোঝা যায় পাশ্চাত্য ঘরানাটি মুছে ফেলা হচ্ছে এই গানে। এবং অবশ্যই পশ্চিমী ঘরানার স্কেল পরিবর্তনের চিহ্নগুলি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

    ২। এটা আরও বোঝা যায়, যখন গান শুরু হয়। বাংলা গানে, আমরা দেখেছি, ধ্রুবতারা তে আ আ আ দিয়ে পরপর তিনটে নোট যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা এখানে বাদ। আ আ আ টা গানের বাণীর কারণেই ভেঙে এ এ | সা (যায়ে সাঝ কি) দু টুকরো হয়ে গেছে। ফলে পাশ্চাত্য স্কেল বদলানোর এফেক্টটি হাওয়া। এই পর্যন্ত গানটা শুনলে একবারও মনে হবার কোনো চান্স নেই, যে, এখানে স্কেল পরিবর্তনের কোনো গপ্প একদা ছিল।

    ৩। এর পরে অন্তরা। মনে যেটাকে আমরা অন্তরা বলছি। এবং তার আগে ইন্টারলুড। বাংলা ভারসানে, এই ইন্টারলুডে আমরা দেখেছি, C থেকে Am এ পরিবর্তনটা এমফ্যাসাইজ করা হচ্চে ইন্টারলুডে। যেহেতু দুই স্কেলের নোট হুবহু এক, তাই শ্রোতাদের পক্ষে ধরা কঠিন, তাই তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কেলটা। যদিও খুব সাটলি। এখানে এসে দেখা গেল পদ্ধতিটাই উল্টে ফেলা হল। ইন্টারলুডে ব্যবহার করা হয়েছে একটা চ্যাঁ চ্যাঁ আওয়াজ, যেটা পুরোনো ইলেকট্রনিক কিবোর্ডের তথাকথিত 'অর্গ্যান' এর আওয়াজ(এই শব্দটা এই ভাবে নানা হিন্দি গানে আমরা শুনেছি, এটা বস্তুত ওই সময় থেকে হিন্দি গানের একটা সিগনেচার, সে কথায় পরে আসব)। এবং শুদ্ধ ধৈবতের (A) বদলে এই সরল ইন্টারলুডটি সোজা গিয়ে শেষ হয় সা অর্থাৎ C তে। অর্থাৎ শোরোতাদের আন্ডারলাইন করে বলে দেওয়া হল, ভাই স্কেল কিন্তু বদল হয়নি। এই দেখ সা(উল্টোদিকে বাংলায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছিল, স্কেল কিন্তু বদলাল)। দুটো ইন্টারলুড যদি পাশাপাশি রেখে শোনেন, এফেক্টের তফাতটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    এই হল তিনখানা গোদা তফাত। মোদ্দা কথা কি? আগের গানটার মতো এটাতেও, হিন্দি ভারসানে গানটির বলিউডিকরণ করা হয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছে স্কেল পরিবর্তনের চিহ্নগুলি। যত্ন করে। এইটা পড়ে গান দুটো পরপর শুনে নিন। এফেক্টের পার্থক্য কানে ধরা পড়বে। তারপর আমি পরের কথায় আসব।
  • PM | 233.223.158.17 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২২:০৬698432
  • যাঃ কলা, হিন্দি গানটা কি বল্লো না ঃ( মনেই করতে পারছি না। সেরকম জনপ্রিয় হয় নি নিশ্চই
  • b | 24.139.196.6 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২২:০৮698433
  • কহিঁ দূর যব দিন ঢল যায়ে, আনন্দ সিনেমার গান।
  • PM | 233.223.158.17 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২২:২৭698434
  • ওক্কে, সরি। মনে ছিলো না এক্কেবারে ঃ(
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২২:৩৮698435

  • ঈশান | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২৩:০৩698436


  • হিন্দিটা এইটা শুনুন। নইলে প্রিলুডটা মিস হয়ে যাবে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২৩:২৬698438
  • ওহ্‌, আবার ঈশান যে গানটা দিয়েছে, তার বাংলা-হিন্দি দুটো ভার্সানই আমার দারুণ লাগে।
    হিন্দি ভার্সানটা হেমন্তকে দিয়ে না গাওয়ানোতে সলিলের ওপর হেমন্ত একটু ক্ষুন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু গানটি তৈরী হলে শোনার পরে স্বীকার করেছিলেন একদম ভিন্ন আঙ্গিকে দারুণ সৃষ্টি। (কোনো এক পুজোসংখায় স্মৃতিচারণমূলক লেখায় লিখেছিলেন বোধহয়)
  • ranjan roy | 24.99.64.70 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ২৩:৫০698439
  • আলোচনা এমন একটা আনন্দদায়ক জায়গায় পৌঁছেচে যে আঅমার মত অদীক্ষিত মনেও ---!!! ন্যাড়াবাবু ও ঈশানকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রোজ রাত্তিরে পড়তেই হয়, নইলে--!
  • aka | 81.12.161.229 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০২:০১698440
  • আমারও দুটোই ভালো লাগে। বাঙলাটা একটু দৃপ্ত, হিন্দীটা কেমন যেন একটু দুঃখী। শুনে মনে হল। দূরারোগ্য রোগে ৬ মাসে মারা যাবে হাট্টাখাট্টা জোয়ান। একদিকে সে ভয়ংকর ফিলজফিকাল।

    অন্যদিকে নিঃসঙ্গ মুহূর্তে দুঃখ - "কঁহি দুর যব দিন ঢল যায়/সাঁঝ কি দুলহন বদন চুড়ায়ে/ছুপকে সে আয়ে/ছুপকে সে আয়ে// মেরে খেয়ালো কি অঙ্গন মে কৈ স্বপ্নো কা দ্বীপ জালায়ে দ্বীপ জালায়ে"।

    অন্যদিকে বাঙলা লিরিক - "আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা/আর কতকাল আমি রব দিশেহারা, রব দিশাহারা/জবাব তার কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু/পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবনো সারা এ জীবনো সারা"

    বাঙলা একজন প্রায় বোহেমিয়ানের ফিলজফিকাল আত্মোপলব্ধি। তাতে খানিকটা দৃপ্ততা মিশে। লিরিকেও পরিস্ফুট। "আমি পথ খুঁজি নাই, পথ মোরে খোঁজে"।

    আর হিন্দী মৃতপ্রায় লোকের সেল্ফ রেট্রোস্পেকশন। সুর ও দৃশ্যাবলীও তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আমার মনে হয়েছে।

    যা মনে হল শুনে টুনে তাই লিখলাম। এর কোন ব্যাখ্যা হয় বলে মনে হয় না।

    দুটোই আমার অসাধারণ লাগে।
  • aka | 81.12.161.229 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০২:১৭698441
  • "আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা"র মধ্যে একটু উদ্ধত ভাব যে বাপু আমায় কেন প্রশ্ন করছ যে আমি কেন "দিশাহারা"?

    আর "কঁহি দুর যব দিন ঢল যায়ে"র মধ্যে দুঃখ, আশার দ্বীপ কি আছে?

    হিন্দীতে মাঝে যখন ফুল দেখে অন্য জন্মর কথা মনে হল তখন যেন একটু আশার ঝিলিক - ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিকে।

    সব শেষে গান অনুভূতিকে টাচ করে কিনা সেটাই বিচার্য্য। বাকি সব সেকেণ্ডারি।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০698442
  • বাহ্‌, কেয়া বাত
  • Wowww | 178.26.97.116 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:০৮698443
  • আরিব্বাপস!! এ আকা কোন আকা?????
  • aka | 34.96.82.109 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৭:৪১698444
  • আর একটা উদা দিই, একই গান কতরকম ভাবে বা কতরকম মুডে গাওয়া যায়। এই গানগুলোয় কোথায় শুদ্ধ ণি বা কোমল পা বা মেজর মাইনর বদলে গেছে বা ইন্টারল্যুড প্রিল্যুডে ঝ্যা ঝ্যা, চ্যাচ্যা এসেছে বা স্পর্শ্স্বর বা অস্পৃশ্যস্বর এসেছে তা জানি না। সে বোধ আমার নেই। অনেকটা দৃএর মতন, তাল বা বিট বুঝলেও বুঝতে পারি, কিন্তু নোট পারি না।

    অটাম লিফসঃ

    ন্যাট কিঙ্গ কোলঃ



    ইভা ক্যাসিডিঃ



    আন্দ্রে বচেল্লিঃ



    অ্যান্ড আর্ডি বা আড্ডিঃ
    ১)



    ২) ফাস্টার ভার্সনঃ



    এই সবকটা গান আমার কানে অন্য গান, আর সবকটাই ভালো লাগে। সবথেকে ভালো লাগে ন্যাট কিঙ্গ কোল।
    অনেকে বলে ইভা ক্যাসিডি নাকি বেটার।

    সবার আগে ভালো লেগেছিল আড্ডি - মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ব্যরাকপুরে জমীর।
  • dc | 132.164.210.69 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৮:০৮698445
  • এই দুটো গানে মধ্যে কেন জানিনা, আমার হিন্দি ভার্সনটা বেশী ভাল্লাগে, "কাঁহি দুর যব দিন ঢল যায়ে"। এটার মধ্যে যে নিঃসঙ্গতা সেটা বাংলা গানটায় নেই। অবশ্য এতে ঈশানের প্রতিপাদ্যই প্রমানিত হয়, যে আমাদের মতো সর্বভারতীয় ম্যাঙ্গো পাবলিকদের জন্যই এসব গোদা গান বানানো হয়েছে যাতে আমরা তাও কিছুটা বুঝতে পারি। যাই হোক, এই আলোচনাটা পড়ে বুঝলাম সলিল চৌধুরির আরো কিছু ধন্যবাদ প্রাপ্য আমাদের মতো পাবলিকদের মতো করে গান বানানোর জন্য।
  • aka | 34.96.82.109 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৯:৪২698446
  • বাই দা ওয়ে ইহা কি জ্যাজ ইনফ্লুয়েন্স?



    ইহা আমার এসপির জন্য ভালো লাগে? না আড্ডির জন্য বুইতে নারি।
  • ন্যাড়া | 109.72.224.255 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:১৭698447
  • রাহুলদেবের পশ্চিমি কায়দার কী-চেঞ্জের সঙ্গে তালের খেলা করে কম্পোজিশন নিয়ে বাতেলা -

    https://soundcloud.com/buddhist-monk/rdb-sondhyabelay
  • PM | 11.187.251.89 | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৮698449
  • আকা যা বলছেন ( অনুভুতিকে ছোঁয়া) , ঈশান বোধ হয় সেটারই টেকনিকাল অ্যানালিসিস করছেন। কেনো প্রায় এক-ই সুর মনের দুটো আলাদা আলাদা কর্ড ছোঁয় আলাদা আলাদা অনুভুতি জাগায়। দুটোর খুব বিরোধ নেই মনে হয় ঃ)

    কিন্তু ঈশান বাবুর টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসে সিনেমার কোন সিকোয়েন্সে ব্যাবহৃত হয়েছে---- তার জন্য গানটার সুরে কি পরিবর্ত্তন আনতে বাধ্য হয়েছেন সুরকার--এই অ্যাঙ্গেলটা মিসিং মনে হয়।

    বেসিক বাংলা গানে এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ যতটা, একটা মুভির একটা সিকোয়েন্সকে ফিট করতে গেলে (বাংলা/হিন্দি নির্বিশেষে) , সেই স্বাধীনতার অনেকটাই জলান্জলী দিতে হয় সুরকারকে । এটাকেও কি হিসেবে রাখা উচিত ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন