এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারীদিবস ঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম ঃ কিছু সংযোজন

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৫১ বার পঠিত
  • ঘরকন্না ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প

    যে জীবন ফড়িং-এর দোয়েলের, মানুষের সাথে তার যে দেখা হয় না, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু যেসব জীবন মানুষের-মানুষীরই, তাদের আশেপাশেই থেকেও সেইসব জীবনের সাথেও যে মানুষের আসলে দেখা হয় না, তাও মাঝে মাঝে এমনভাবে জানতে পেরে অবাক হতে হয়।
    এই ক’দিন আগে আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে দেবেন না কেন ?’ পড়ে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হল। সেদিনটা দোলের ছুটির পরের দিন, কাগজের প্রিন্ট বেরোয় নি তাই লেখাটা শুধু আবাপ’র ওয়েব সংস্করণেই বেরিয়েছিল, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্তও। এবং মহিলারা বেশির ভাগই কর্মরতা। তাই এই লেখা, এই ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে’র ধারণা হয়তো সরাসরি তাঁদের জন্য নয়। যে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধুদের কথা ভেবে এই লেখা, তাঁদের হয়ত এই লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু তাঁদের যে আমরা একেবারেই চিনি না, এমনও তো নয় ! কিন্তু দেখা গেল এই লেখা যাঁরা পড়েছেন সেই পাঠকগোষ্ঠীর সিংহ ভাগ মহিলা ও কিছু পুরুষ এই ব্যাপারটায় নানাভাবে আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। লেখকের কাছে প্রতিটি মতামতই মূল্যবান, বিরুদ্ধ মতামত বেশীই মূল্যবান কারণ তা প্রায় টর্চের আলোর মত যেকোন ধারণার অন্ধকার কোণায় আলো ফেলে দেখিয়ে দেয় তার ভুল ভ্রান্তি। উল্টোদিকে বিরুদ্ধ মত যারা পোষণ করেন, লেখকেরও দায় থাকে তাঁদের বোঝার ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়া।
    তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো গৃহশ্রমের / গৃহকর্মের মূল্যায়নই এই লেখার মূল কথা। গৃহকর্ম বলাই বেশী ভালো কারণ ততটা শ্রমসাধ্য নয় কিন্তু অনেকটা যত্ন ও ভালোবাসা (এবং আত্মত্যাগ) মেশানো যে সব ছোট ছোট কাজ একটা ঘর কে সংসার করে তোলে আর গৃহবধু কে পরিচারিকার থেকে আলাদা করে সেগুলোর কথাও এখানে ভাবা হয়েছে। সেই গৃহকর্ম যাতে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হতে পারে এবং গৃহবধুও নিজেকে বঞ্চিত না ভাবেন বা ‘আমি তো কিছু করি না’ জাতীয় হীনম্মন্যতায় না ভোগেন, সেই জন্য তাঁর একটা নিয়মিত বেতনের কথা ভাবা, যেটা তাঁর স্বামীর বেতনের একটা অংশ (ধরুন ২০%)হিসেবে নিয়মমাফিক সরাসরি তাঁর কাছে আসবে (যেভাবে ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে আসে)। স্বামী এখানে এমপ্লয়ার নন, দাতা তো ননই, তাঁর রাজী হওয়া না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেভাবে ট্যাক্স, পি এফ এর টাকা কাটা যায় সেই ভাবেই নিয়মমাফিক তাঁর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন কাটা হবে (অবশ্যই যদি স্ত্রী চাকরী না করেন)। সেই বেতন ঘরের কাজের দরুণ মহিলাটির নিজস্ব উপার্জন, আর এই উপার্জনই তাঁকে স্বনির্ভর করে তুলবে। নিজের ছোটখাটো চাহিদার জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে না, কৈফিয়ৎ দিতেও হবে না। একজন গৃহবধু সসম্মানে বলতে পারবেন ‘আমি ঘরের কাজ করি’।
    এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অজস্র যুক্তি ও আপত্তির মধ্যে প্রথমই হল, গৃহবধুর আর আলাদা করে কাজ কি ? ঘরের সব কাজই তো পরিচারিকা করেন, বাচ্চাকে পড়ান টিউটর আর স্কুলে নিয়ে যায় পুলকার বা স্কুলবাস। তাছাড়াও এইসব মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতখরচা পান, তাতেই তাদের শখ-আহ্লাদ দিব্য মিটে যায়। আর খাওয়া-পরা সমেত সংসারের বড় খরচ তো পুরুষটির(স্বামী)উপার্জন থেকেই হয়, এর পর আবার মাইনে কিসের ! এই কথাগুলো পড়েই মনে হয়েছিল আমরা কবে খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের বাইরের পৃথিবীটা চিনতে শিখব ! অথচ আমরা যে একেবারেই সংবেদনশীল নই তাও নয়, গায়ক অভিজিৎ যেদিন রাস্তায় থাকা মানুষদের গালাগাল দিয়েছিলেন, সেদিন আমরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলিনি। বাড়ির পরিচারিকাদের এমনকি যৌনকর্মীদেরও শ্রমিকের সম্মান দেওয়া নিয়ে আমরা ভাবি। তাহলে গৃহবধুদের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন কেন !
    আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের চাকরী করা জীবনটা দেখতে পাই, পাশের বাড়ির / ফ্ল্যাটের গৃহবধুর আরামের জীবনটা দেখতে পাই আর দেখতে পাই নীচের তলার বাসিন্দা আমার ‘কাজের মাসি’র কঠিন জীবনটা। এর বাইরে মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উপার্জন স্তরের বাসিন্দা যে গৃহবধুরা তাঁদের জীবনটা আমরা দেখতেই পাই না। এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।
    কিন্তু নিয়ম যদি করতেই হয় তাহলে তা সকলের জন্যই করতে হবে আর তাতে আখেরে কিছুটা যাতে সুরাহা হয় সেটাই দেখতে হবে। স্বামীর মাইনের / উপার্জনের কিছু নির্ধারিত অংশ যদি স্ত্রী-র হাতে আসে আর মহিলাটি যদি তার থেকেই পরিচারিকার মাইনে দেন তাহলে একটা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে যিনি বেশির ভাগ কাজ নিজের হাতে করেন আর যাঁর সব কাজ পরিচারিকা করে দেয় তাঁদের মধ্যে উপার্জনগত ভাবে একটা তফাৎ থাকবে। স্বামীকে আর আলাদা ভাবে বৌকে হাত-খরচ দিতে হবে না, আর স্ত্রীও নিজের এই উপার্জনের কতটা সংসারে খরচ করবেন, কতটা নিজের হাতে রাখবেন সেটা তিনিই ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁকে স্ব-নির্ভর বা উপার্জনক্ষম নন একথা আর বলা যাবে না কারণ মাসের শেষে তাঁর হাতেও নিয়ম করেই কিছু টাকা আসছে আর সেই টাকাটা তাঁর স্বামী দিচ্ছেন না। এই কথাটিই এই ব্যবস্থার মূল কথা আর এই কথাটা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে তাই আবার লিখতে হল।
    কিন্তু যাঁরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতেই পারছেন না, বাড়ির কাজ যা অনেকটা নিজের জন্যও করা, যা ভালবেসে করা তার জন্য মাইনে কেন ! পুরুষেরা কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলেছেন যে মাইনে থেকে ভাগ দিতে হলে তো কাজের লোক রাখলেই হয়, বিয়ে করার দরকার কিসের ! আর মেয়েরা অনেকেই একটা কথা বলেছেন যে সংসারের পেছনে একজন মহিলার যা অবদান তা কি টাকা দিয়ে মাপা যায় ! অর্থাৎ নিজের সংসারে কাজ করে টাকা নিতে তাঁদের ‘ইগো’তে লাগছে। আবারও বুঝিয়ে বলি, দেখুন, একটা রাস্তায় যানজটের জন্য দেরী হলে সেই দেরীর দরুণ ক্ষতিটুকুও অর্থমূল্যে মাপা যায় কারণ তা দেশের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। ওপরে যেসব কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা সমেত একটা পূর্নাঙ্গ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে গৃহবধুরা যে তাকে তাকে সুষ্ঠু ভাবে চালান, সেটা কাজের মানুষটির(পড়ুন পুরুষটির)উৎপাদনশীলতাকে ও কর্মক্ষমতাকে নিশ্চই প্রভাবিত করে কিন্তু সেই বিরাট পরিমাণের শ্রম আমাদের অর্থনীতিতে উহ্যই থেকে যায় যুগের পর যুগ তার কোন ‘মূল্যায়ন’ হয় না, এটা কতটা সঙ্গত সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। সংসারের ‘সমস্ত’ কাজের জন্য কাজের লোক রাখা এমনিতেই সম্ভব নয়, যতটা রাখা সম্ভব তার জন্যও খরচের অঙ্ক বিরাট। কিন্তু সেই খরচ দিয়েও একজন গৃহবধুর মত পরিষেবা পাওয়া যায় না, এইটা ছেলেদের ও মেয়েদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সেভাবে দেখতে গেলে কোনো পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা, যত্ন ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে মাপা যায় না; যে যত্ন নিয়ে একজন আদর্শ ডাক্তার একটি শিশুর জন্ম ঘটান বা যে ভালোবাসা নিয়ে একজন শিক্ষক কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখান তাও কি টাকায় মাপা যায় ? তবু সেই সব পেশার ক্ষেত্রেই আমরা আর্থিক মূল্যায়নকে মেনে নিয়েছি কারণ এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই গৃহকর্মকে একটা পেশা হিসেবে সম্মান দিলে তার মূল্যায়নের কথাও ভাবতে হবে।
    কিন্তু হয়নি এযাবৎ। আর সেই জন্যই কেউ গৃহকর্মকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারেন না আর সেই ভাবেই সংসারের ছোটবড় কাজগুলো অকিঞ্চিৎকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সে কাজগুলো না করলে যে চলবে এমনও নয়। খেতে আপনাকে হবেই, গৃহবধু রান্না না করলে রান্নার লোক রাখা, না হলে হোম ডেলিভারী। রান্নার লোকের ওপর তদারকি না করলে রান্না খারাপ, তেল বেশি, পরপর ক’দিন খারাপ / একঘেয়ে রান্না খেলে একদিন বাইরের খাওয়া চাইই। তার মানে রান্না-খাওয়া ব্যাপারটা একেবারে এলেবেলে নয়, কিন্তু যখন তা বাড়ির বৌটি করছেন তখন আমরা সেটা আলাদা করে ভাবছি না। সেই রকমই অন্যন্য কাজও। কাউকে না কাউকে সেগুলো যত্ন করে করতেই হয়, না হলে পরিবারের ধারণা দাঁড়ায় না। তাই বিয়ে করাটা নারী-পুরুষ কারুর কাছেই সমাজসেবা নয়, নারীর যেমন নিরাপত্তা চাই, পুরুষেরও দিনের শেষে নিজের সংসার নিজের ভালোমন্দ দেখার মানুষ দরকার।
    তবে এখানে ঘরের কাজ মূলতঃ মেয়েরা করেন এবং পুরুষ বাইরেই কাজ করেন বলেই বার বার ‘গৃহবধু’ বলা হয়েছে, তবে আসলে এটা গৃহশ্রমের মূল্যায়নের গল্প। তাই যে নারী বাইরে কাজ করতে চান করুন, যে পুরুষ ঘরে কাজ করতে চান করুন (সেই ‘কি’ আর ‘কা’ এর গল্প), বেতনের নিয়মটা আলাদা কিছু হবে না কারুর জন্য। দুজনেই বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ তাঁরা কিভাবে করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন কারণ সে ক্ষেত্রে মহিলাটিরও নিজের মত জানানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। কিন্তু ঘরের তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলো সে মেয়েরা করুন বা ছেলেরা করুন, কাজ হিসেবে যে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটাই মনে করানোর জন্য এবং তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এই নিয়ম।
    গৃহশ্রমের এইভাবে মূল্যায়নকে যারা সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করতে পারেন না দেখা গেছে তারা এর বাস্তবায়ন নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। যেমন গৃহবধু যদি ‘মাইনে’ পান তাহলে ইনক্রিমেন্ট, পি এফ, গ্রাচুইটি, ইত্যাদি কি ভাবে হবে, সি-এল, ই-এল এর সুযোগ থাকবে কিনা, আরো ভালো ‘মাইনে’ পেলে গৃহবধুর চাকরী বদলানোর সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি। বোঝাই যাচ্ছে এর অনেক কিছুই স্রেফ বিরোধিতা করার জন্য বলা, কিন্তু লেখকের দায় থাকে সব প্রশ্ন নিয়েই ভাবার। তাই এই ধরনের সমস্যারও কিছু সমাধানের কথা ভাবতে হয়। স্ত্রীর বেতন যেহেতু স্বামীর বেতনের একটা অংশ হিসেবে আসবে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর আয় যেমন যেমন বাড়বে, স্ত্রীরও সেই অনুপাতেই বাড়বে, পেনশনও পাবেন সেই ভাবেই। কিন্তু দেশের সমস্ত চাকরীর শর্ত যেমন একরকম নয়, সেইরকম এই চাকরী থেকে ‘ছাঁটাই’ এর প্রশ্ন নেই কারণ বর এর এমপ্লয়ার নন, মহিলাই বা চাকরী ‘বদলানো’-র কথা ভাবতে পারবেন কি করে, নিজের স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্য সংসারে অন্য স্বামী-সন্তানের মাঝখানে ফিট করে যাওয়া কি বাস্তব সম্মত কথা হল ! যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্ভবতঃ এত কিছু না ভেবেই বলেছেন। কিন্তু এর পর থেকে এইরকম প্রশ্ন করার আগে আশা করব একটু ভেবে করবেন। আর সি-এল-ই-এল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বলব আপনি যেমন অফিসে প্রয়োজনমত ছুটি নেন, গৃহবধুও দরকার মত নেবেন, তখন ঘরের কাজ কিভাবে হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে এই সব অনেক প্রশ্নই অবান্তর কারণ গৃহবধু পরিচারিকা নন, নিজের দায়িত্বেই তিনি সংসারের নানাদিক দেখে থাকেন। বিনা পারিশ্রমিকেই। শুধু পারিশ্রমিক নিলেই তাঁকে ভাড়া করার কাজের লোকের সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। গৃহবধুকে তাঁর জায়গায় রেখে তাঁর পরিষেবাকে সম্মান জানাবার জন্যই এই ভাবনা।
    এই নিয়ম চালু হতে গেলে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেক মেয়েরা নিজেরাই এই পারিশ্রমিক নিয়ে চাইবেন না। কিছুটা চক্ষুলজ্জা (নিজের সংসারে কাজ করে পয়সা নেবো ! ছিঃ, লোকে কি বলবে ), কিছুটা ইগোয় লাগা (আমার দায়িত্ব কি টাকায় মাপা যায় !) যে কথা আগে বললাম। কিন্তু ‘সাফারার’ এর মতামত নিয়ে নিয়ম চালু করতে গেলে হয়তো সতীদাহ-বিধবা বিবাহ-বহুবিবাহ কিছুই রদ করা যেত না। কিন্তু যখনি একটা নিয়ম চালু হয়, কিছু মানুষ তার সুবিধে পেতে শুরু করেন, তখনই আস্তে আস্তে সেটা অর্থবহ হয়ে ওঠে। তার বাস্তবায়নের নানা সুবিধে অসুবিধেও তখনই সামনে আসে আর তার সংশোধনেরও রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাবটা গোড়ায় বিনাশ করে দিলে এ সব কিছুই আর হয়ে ওঠে না।
    গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু মজার কথা হল, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁরা কেউ কিন্তু কোনও সমাধান দেননি, শুধু নানারকমের প্রশ্ন তুলে ঠাট্টা-তামাশা করেই কর্তব্য সেরেছেন। তবু এই অবকাশেই এই বিষয় নিয়ে দু-চারটে কথা আবারও লেখার সুযোগ হল, এটাই বা কম কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mandira | 88.149.106.243 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:০৫52312
  • আমি বহুবার আমার মাকে বাইরে বেরিয়ে কোনো চ্যারিটি গ্রুপে কাজ করতে বলেছি, প্রায় দশ বছর ধরে। মাকে কোনদিন কিছু রোজগার করার চাপ নিতে হয় নি, বাবা আর আমরা দুই ভাই বোন ই যা করার করে এসেছি। মা কিন্তু কিছুতেই রাজি হন নি , কারণ " কেউ যদি কিছু খারাপ বলে" ।এই যে সব আমাকে প্রথম বারেই ঠিক করতে হবে, না হলে বিশ্ব মিথ্যা , সবাই আমার কাজের ভুল ধরতে বসে আছে ,এই সব পেটি পারফরমেন্স ভীতি সম্ভবত বাইরে কাজ না করলে কাটানো যাবে না। ঘরের কাজে কম্পিটিশন না থাকার জন্য , আমার সব ঠিক হতেই হবে ব্যাপারটা জয় করা মুশকিল ।
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:১৬52313
  • পার্টনারশিপে লায়াবিলিটি থাকে তো।

    আমরা বিয়ে করছি, তুমি জানো যে আমার কোন উপার্জন নেই। কিন্তু আমার অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দরকার। যেটা শুধু ভলান্টারি হাতখরচের বাইরে। এটা শুধু তাদেরই প্রোটেক্ট করার জন্য যাদের দরকার। যাদের দরকার নেই, তাঁরা কন্ট্র্যাক্টে লিখবেন কোন টাকা লাগবে না। মিটে গেল, আর বছরে বছরে রিনিউ করতে পারলে, উপার্জন বাড়লে অন্যজনেরও টাকা বাড়ানোর সুযোগ থাকল। বা মত পরিবর্তন হলে কন্ট্র্যাক্টও সেইরকম বদলে নেওয়া গেল।

    দ্রি বলেছেন, অন্য মিনিস্ট্রি লাগবে, আসলে লাগবে না। ট্যাক্সো যারা দেখে সেখানে কিছু অ্যাডিশনাল অডিটর লাগবে। যা কন্ট্র্যাক্টে আছে তা ফলো না করলেই ফাইন + অরিজিনাল + ইন্টারেস্ট অন্যপক্ষকে দিতে হবে।

    তবে হাউসহোল্ড কাজের জন্য মাইনে ইত্যাদি হলেই ব্যপারটা ঘোরালো হয়ে যায়।

    আমার মতে ভারতের মতন দেশে মেয়েদের অর্থনৈতিক নির্ভরতা দেওয়াটা জরুরী। সেটার সিম্পলিফায়েড ভার্সন।

    একক, ৫০% শতাংশ নয়, মিউচুয়ালি এগ্রিড আপন মূল্য প্রতি মাসে, এর সাথে কাজের কোন সম্পর্কই নেই। সেই টাকা দিয়ে সে কি করবে তার ব্যপার। পার্টনারকে পারফিউম কিনে দিতে পারে, ঘরদোর আপগ্রেড করতে পারে। ওটা তখন তার নিজস্ব মানি।

    এটা নিভন্ত বিয়ের ৫০-৫০ ভাগের এক্সটেনশন চলন্ত বিয়ের জন্য।
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:২৩52314
  • "একক, ৫০% শতাংশ নয়, মিউচুয়ালি এগ্রিড আপন মূল্য প্রতি মাসে, এর সাথে কাজের কোন সম্পর্কই নেই। সেই টাকা দিয়ে সে কি করবে তার ব্যপার। পার্টনারকে পারফিউম কিনে দিতে পারে, ঘরদোর আপগ্রেড করতে পারে। ওটা তখন তার নিজস্ব মানি।
    "

    বাস্তব ভাবুন । আইন কখন দরকার হয় ? যখন কেও ভলান্টারি একট করতে চাচ্ছে না । কাজের কোনো সম্পর্ক নেই তো কি হয়েছে , সে তো "গৃহে " থাকে , আউত্সর্স আর অটোমেশন বাবদ মাসিক যে খরচ টা আগে হত সেটা না দিলে তাকেই বাধ্য হয়ে নিজের ভাগ থেকে দিতে হবে । নাকি তখন আরেকটা আইন আনবেন দেখার জন্যে যে ঐসব খাতে সমান লগ্নি যেন হয়।

    আপনি যে ভাবনা থেকে ওই পার্টনার কে পারফিউম কেনা জাতীয় কথা ভাবছেন , এটা সেই সেট এর সমস্যা নয়।

    আমি ভাবছি একটা অডিট ফার্ম খুলবো যারা এরকম ম্যারিটাল ইন্স্তিতিউত এর অডিট করবে শুধু , যেভাবে আপনারা ট্যাক্স ফাঁকির রাস্তা একটার পর একটা খুলে যাচ্ছেন তাতে ফিফটিন পার্সেন্ট কাটমানি রাখলে আয় মন্দ হবেনা :)
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩১52315
  • আমার মনে হয় ভারতের মত দেশে কী দরকার ভাবার সময় ভারতের অসামান্য জুডিশিয়াল সিস্টেমের স্পিড এফিশিয়েন্সি ইত্যাদিও মনে রাখা উচিত। নইলে জাতিস্মর হয়ে তাকা আদায় করতে আসতে হবে
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩২52316
  • আউটসোর্স কেন? একই প্রশ্ন থাকে রোজকার খাবার দাবারের টাকাও কি তখন পার্টনারকে দিতে হবে? শেয়ার করতে হবে সমস্ত খরচ? না।

    মোট আয় = ১০০
    সমস্ত খরচ = ৮০
    সেভিংস = ১৫
    পার্টনারশিপ = ৫

    কারুর ৫ এ পোষালো না সে সেটাকে ৬ বা ৪ করতে চাইল। নিজেদের মধ্যে নেগোশিয়েট করে কন্ট্র্যাক্ট সাইন করে নিল।

    কারুর কারুর ক্ষেত্রে পুরো পার্টনারশিপ মানি = শূন্য হতে পারে। তাতে দুজনে রাজী হলে ভালো, নইলে অন্যপক্ষ বিয়ের আগে হলে ওয়াকস আউট, নইলে লাস্ট সাইনড কন্ট্র্যাক্ট বলবত বা উলিলের মধ্যস্থতা। এসব কারণে বিয়ে সবসময় ভাঙা যায় না, কিন্তু রিজলভও তো করতে হবে।
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৪52317
  • টিম দিব্য ডিভোর্স হয়, কোর্টের রায়ে খরপোষও পায়।

    জুডিশিয়ারি সিস্টেমের এফিশিয়েন্সি অন্য তর্ক।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৫52318
  • সেতো অনেক সিম্পুল ক্যালকুলেশন। গৃহশ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্য বেতন অনাদায়ে কোর্টে গেলে কেওসের একশেষ হবে তো (তুমিই তো বলেছো ঘোরালো কেস)।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৬52319
  • মানে বলতে চাইলাম অ্যাবিউজ (কনট্র্যাক্ট না মানা) হলে কোর্টকেই তো চুলচেরা বিচার করতে হবে কে ঠিক বলছে। এইসব।
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫১52320
  • আবার পড়া করে না। খুব সিম্পল ট্যাক্সের সাথে জমা দিতে হবে পার্টনার্শিপ খাতে কত টাকা কোথায় জমা দিয়েছো। সেইমতন টাকা না পড়লেই

    প্রাপ্য বকেয়া + ইন্টারেস্ট + ফাইন, অটোমেটিক ট্যাক্স দফতরের চিঠি আসবে দুকপি, দুই পার্টনারের নামে। সেটাও না মানলে প্রথমে উকিল, পরে কোর্ট। হ্যাঁ কোন একসময়ে কোর্ট আসবে। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্যও সবাই কোর্টে যায় না, কিন্তু আইনটা ইম্পর্ট্যান্ট।

    আর আমি কোন কাজের বিনিময়ে মাইনের কথা বলছি না, বোধহয় প্যারাডাইম শিফট করে দিয়েছি, পার্টনারশিপের বিনিময়ে কন্ট্র্যাকচুয়ালি নেগোশিয়েটেড মানি। ঃ)
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫২52321
  • কন্ট্র্যাক্ট মানে স্ট্যাম্প পেপারে উকিলের মাধ্যমে সাইন করা পেপার, কোন মৌখিক কন্ট্র্যাক্ট নয়।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০২52322
  • সেটা বুঝেছি (স্ট্যাম্প পেপার, কনট্র্যাক্ট ইঃ), সেটা ঠিকাছে।

    ওকে, পার্টনারশিপের বিনিময়ে নেগোশিয়েটেড মানি। এতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আসবে কিভাবে? মানে এতো পকেট মানির মতই হলো, চুক্তি ইত্যাদি করে একটু গ্লোরিফায়েড। সেই তো ডিপেন্ডেন্ট হয়েই রইলো, শুধু অফিশিয়ালি। এই আইনকে ফাঁকি দেওয়াও খুব সোজা হবে। অসংগঠিত সেক্টরে স্পাউস কাজ করছে বা ব্যবসা করছে এরকম দেখিয়ে দিলেই চুক্তি ভয়েড।
  • S | 117.151.152.218 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:১৪52323
  • আমি একটু ছ্যাবলামো করবো। পিলিজ। মানে এইটুকু নাগরিক অধিকার আমার আছে।
    তাহলে খাওয়া ঢোকানো ও বের করা দুই প্রসেসেই শিল্প আছে। তাইতো? তাহলে সকলের মধ্যেই একটা সিল্পি মানুষ আছে।
    ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রির এমিরেটাস পদে থাকবেন শশি থারুর।
    তাহলে ফ্যামিলি ডক্টরের মতন ফ্যামিলি অ্যাকাউন্টেন্টটো থাকবেন। কে যেন তাঁর ছেলের জন্যে (সেও তো কমার্স পড়েছে) কেরিয়ার অ্যাডভাইস চাইছিলেন না। পেয়ে গেছি।
    লোকে এখানে যে রেটে লিখছেন সেই সময়টা রোজ রান্না করলে, ফ্যামিলিতে ৭ কোর্স মিল সরবরাহ করা যায়।
    আপনারা কেন যে দ্রিয়ের দেওয়া ঐ গৃহবধু ইসে স্কিমটা নিলেন না কে জানে?
    আচ্ছা ইউনি সেক্স পারফিউম বানানো যেতে পারেনা। এই আইডিয়াতে আমার রাইটস থাকলো।

    পরে আবার গম্ভীর আলোচোনা করবো।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২০52324
  • স্পেস, স্পেসটা যে কত দরকারি জিনিস...
  • S | 202.156.215.1 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২৫52325
  • না না। ওগুলো আলাদা লাইন। স্পেস দেবো কেন খামোখা।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২৯52326
  • দিয়েছেন তো, পারফিউমে ;-)
  • Atoz | 161.141.84.108 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪২52327
  • শেষ পর্যন্ত কী সাব্যস্ত হল? বেতন না বিনাবেতন?
  • S | 202.156.215.1 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১১:১২52328
  • ওহ তাইতো ঃ)) তাহলেও রাইটস আমার থাকলো। আরো ভালো আইডিয়া।
  • avi | 213.171.241.254 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১১:১৩52278
  • আরে এই খোকাকে তো জানি, একেবারেই বাচ্চা। তবে ভালো লেখে।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১১:১৪52329
  • তির্যক লিখেছিলেন এঁদের কথা, "এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।"
    আরো লিখেছিলেন,"গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।"

    আলোচনাটা অন্যভাবেও হতে পারত। শ্মেষ ব্যঙ্গ বিদ্রূপের বাইরেও অন্য কিছু। সোসেন এবং আর কয়েকজনের লেখার ধরণ আমার ভালো লেগেছে। বক্তব্যও।

    কে কি ভাবে লিখবেন কোন ভঙ্গিতে লিখবেন সে বিষয়ে কিছু বলা আমার এক্তিয়ারবহির্ভূত আর গুরুতে এতই কম আসি যে আমি এখানে একদম আউটসাইডার। মনের দিক থেকেও এই সাইট থেকে বহুদিন অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ।অন্য টইতে কি কি লেখেন তাও সঠিক জানি না। জাজমেন্টাল হব না এই অবস্থানে।
    তির্যক আমার বন্ধুমানুষ বলেই পড়তে এসেছিলাম- একথাও স্বীকার করি।

    অন্যরকম হতে পারত গোটা আলোচনাটা। স্কোপ ছিল। হল না।
    খুব তিক্ত স্বাদ মুখে নিয়ে ফিরে গেলাম।

    ইতি ছোটাই।
  • de | 69.185.236.51 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১১:২৮52279
  • ভালো খোকাকে বিগড়াবেন্না পিলিজ ঃ)

    যত্ত পেসিমিস্টিক জনতা!! ঃ)
  • sosen | 184.64.4.97 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:১৫52260
  • Hindu Marriage Law ammendment act,2010, accepted with changes in 2012..
  • | 183.21.199.39 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৪৬52280
  • বাড়িতে ছেলেপিলের জন্ম হলে বয়সের উপযুক্ত কাজকর্ম ধরিয়ে দিন। ছেলেমেয়ে ভাগ না করে।মহিলাদের যেমন বাড়ির বাইরে কাজ করাটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, ছেলেদেরও বাড়ির প্রত্যেকটি কাজ করতে জানা উচিত।
    বাড়ির কাজ মানেই নিকৃষ্ট আর মা কি অসম্ভব ভালো মোচার চপ বানাতো- দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। মোচাকাটা টাও একটা স্কিল, মার মতই সেটা শিখে নিতে উৎসাহিত হন। শিখতেই হবে এমন কোনও মানে নেই, তবে কাঁদুনি গাওয়াটা বন্ধ রাখুন।
    ছেলেমেয়ের পরীক্ষা, নেত্যগীতবাদ্য র জন্যে তাদের ঘরের কাজ করা যেন বন্ধ না থাকে। আমি হিসেব করে দেখেছি নিজের বিছানা গুছিয়ে রাখতে মাত্র ২ মিনিট সময় লাগে।মশারি গোছাতে হলে আরো এক্স্ট্রা ৩ মিনিট।মোট ৫ মিনিটে পরীক্ষার পড়া, রেওয়াজ কিছুরই তেমন ক্ষতি হয় না। কাজকেও জীবনের বাকি জিনিসের মত গুরুত্ত্ব দিতে শেখান।এক্ষেত্রে বাড়ির অন্য গুরুজনদের( বাপমা জাতীয়)শিশুশ্রম জাতীয় হাহুতাশকে পাত্তা দেবেন না।
    আমি কেন করবো, বাবা,দাদা, দাদু কেন বসে আছে,জাতীয় প্রশ্নে হেসে ফেলুন। তারপর বলুন, আমি ওদের মা নই,তোমাকে শেখানোটা আমার কাজ। নিজের বাড়িতে আজ থেকেই শুরু করুন।সুফল অবশ্যই মিলবেঃ)
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০০52331
  • টিম,
    ভালো লাগল। বিশেষ করে শেষ প্যারা।
  • দিদিমনি | 178.26.197.46 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৫৭52364
  • " রেগুলার টাইম হিসেবে গৃহবধূত্ব, এইটা বন্ধ হওয়া উচিত" - উঁহু, হিসেব অত সহজ নয় খোকা। আরেকটু বড় হলে টের পাবে। এখনো জীবনের কিছুই দেখনি।

    একটা কাজ করতে পারো বরং। যেসব মেয়েরা চাকরি করে না, তাদের ইন্টারভিউ নিয়ে দেখ কেন তারা চাকরি করে না। নিচের কারন গুলোতে টিক মার্ক দাও।

    ১। যোগ্যতা তৈরী করিনি। কেরিয়ার তৈরীর সময় সিনেমা দেখে প্রেম করে ফুচকা খেয়ে বেড়িয়েছি।
    ২। যোগ্যতা তৈরী হয় নি, কারন মেধা নেই। অনেক পড়াশুনো করেও ক্রমাগত ডাব্বা খেয়েছি।
    ৩। বাবা মা যোগ্যতা তৈরী করতেই দেয় নি, প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল বিয়েই হবে কেরিয়ার।জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে পড়াশুনো শেষ হবার আগেই।
    ৪। যোগ্যতা আছে, কিন্তু স্বামীর পরিবার চায় না চাকরি করি।
    ৫। যোগ্যতা আছে, কেরিয়ার ছিল, কিন্তু বাচ্চার যত্ন নেবার জন্যে চাকরি ছাড়তে হয়েছে।
    ৬। যোগ্যতা আছে, কিন্তু চাকরি করি না দরকার নেই বলে। বরের অঢেল মাইনে।
    ৭। যোগ্যতা নেই, কারন পড়াশুনো খরচাসাপেক্ষ। গরীব বাবা মা ভাইকে পড়িয়েছেন, আমাকে পড়ান নি।

    এর সঙ্গে প্রতি পার্টিসিপ্যান্টের আরও কিছু সাইড ডেটা নাও, যেমন, বয়স, বাবা মার গড় রোজগার, বাবা মার এডুকেশন লেভেল, ভাই বোনের সংখ্যা, গড় রোজগার, বরের এডুকেশন লেভেল, বরের বাবা মার গড় রোজগার ও এডুকেশন লেভেল, বাচ্চা আছে কি না, না থাকলে পরে হবে কি না ইত্যাদি।

    এবারে এই ডেটা নিয়ে পাতি ফ্রিকোয়েন্সি ডিস্ট্রিবিউশন কর। এরপর বিভিন্ন রকম হাইপোথিসিস নিয়ে সেগুলো একের পর এক টেস্ট করে যাও।

    একটা সম্ভাব্য হাইপোথিসিসঃ মেয়েরা চাকরি করে না কেননা তারা বরের পয়সায় ফুলটুসি হয়ে থাকতে চায়।

    তারপর এখানে সেই ডেটা পেশ কর।
    তাহলে এসব তক্কো আরো সলিড হবেকো।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৫৯52332
  • "যতটুকু না হলেই নয় ততটুকু, কেউ বাবা মাকে কাশ্মীর নিয়ে যেতে চাইলে বেশি, কেউ অন্তত বছরে একটা কাপড় দিতে চাইলে কম।"

    চাইলেই তো আর সেইটুকু ইনকাম করা যায়্না। তার জন্য সুযোগ ও যোগ্যতাও চাই। যোগ্যতা থাকতেই পারে, কিন্তু সুযোগ?

    "আইন প্রণয়ণে শূন্য পাওয়া ভারত সরকারের হাতে এই বিষয়টা চাপিয়ে দিয়ে কি সত্যিই কোন লাভ আছে?"
    আইন প্রণয়ণে তো ভারত সরকারের জুড়ি মেলা ভার, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বরং প্রচুর খামতি আছে। কিন্তু আইন থাকতেই তার প্রয়োগ হয়না, না থাকলে কি করে প্রয়োগ হবে বলুন তো। অতেব আইনটা দরকার। সহজ আইন যাতে বেশিরভাগ গৃহবধুদের অর্থনৈতীক স্বনির্ভরতা আসে আর সিকিউরিটি বাড়ে। এই দুটো ব্যাপার না থাকলে অনেক রকম চাপ থাকে। সন্মান বা ইত্যাদির মতন ব্যাপার গুলোকে আলোচোনার থেকে দুরে সরিয়ে রেখেও দরকার।

    আরেকটা ব্যাপার আছে। এখানে অনেকেই বলেছেন যে তাঁরা চাকরী করেও বাড়ির সব কাজ করেন - দুজনে মিলে করেন বা ভালো লাগে বলে করেন ইত্যাদি। তাহলে গৃহবধুরাও কেন বাইরের কাজ করবেন না। খুব ভালো যুক্তি। এই কারণেই সরকার ভাতা থিয়োরিটা চলবে না। গৃহবধু অনেক রকমের আছেন - যোগ্যতা ও/বা সুযোগ আছে/নেই, ই্চ্ছে আছে/নেই, দরকার আছে/নেই ইত্যাদি। তাহলে সবাই কেন ভাতা পাবেন?

    উপরের যুক্তিটা আরেকটু দেখা যাক। এখানে একটা সিলেক্শন বায়াস আছে। এখানে ফিরে যাই আমার আগের একটা পয়েন্টে। যে মহিলারা বাইরে কাজ করছেন তাদের যোগ্যতা বেশি বলেই করছেন। মানে এক্জন আর্টস গ্র্যাজুয়েটের গৃহবধুর হওয়ার প্রোবাবিলিটি এক্জন ইন্জিনিয়ারের থেকে বেশি। অতেব যিনি গৃহবধু তাঁর ক্ষেত্রে হয়তো বাইরে থেকে এক্সপেক্টেড ইনকাম এতটাই কম যে তিনি সেইসব ঝামেলা করে ঐ দু পয়সার থেকে বাড়ির কাজ করাতে বেশি ভ্যালু দেখেন।

    সেইজন্যেই ঐ জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রুলটা অ্যাপ্লাই করার কথা বলেছিলাম আমরা অনেকেই। সহজ বোধগম্য রুল। সরকারের পক্ষে মনিটার করাও সহজ। কিন্তু সিকিউরিটি ও স্বনির্ভরতার দিকেও কিছুটা এগোনো গেলো। এবং খরচের একটা লিমিট করে দেওয়া হলো যে মাসে যত জমা পড়বে তার মধ্যে আর্ধেক এক্জনের সইতে তোলা যাবে, বাকিটাতে দুজনের সই লাগবে ইত্যাদি।

    এইবারে কথা আসতেই পারে যে যেসকল পরিবারের ব্যান্ক অ্যাকাউন্ট করার মতন ক্ষমতাই নেই তাদের কি হবে? এলিটিস্ট শুনতে লাগতে পারে, কিন্তু তাদের জন্য এই আলোচোনাটাই নয়। তাদের জন্যে অন্য অনেক কিছু করার আছে - খাদ্য, বস্ত্র, জল, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের নুন্যতম যোগানের বন্দোবস্ত করা হোক আগে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০৩52333
  • ছোটাইদি, কিছু পোস্ট পড়ে বিরক্ত লাগছিল বলে আর লিখবনাই ভাবছিলাম। কিন্তু তোমার পোস্ট পড়ে মনে হল, কিছু কথা স্পষ্ট করা দরকার। হয়তো তুমি লিখেছ বলেই বলছি।

    এখানে আগের টইয়ের আলোচানাটাও থাকা দরকার।
    http://www.guruchandali.com/default/2015/04/10/1428687000000.html?commentPage=15#comments
    থাকা দরকার এটার জন্যই যে লোকজন যথেষ্ট সিরিয়াসলিই আলোচনা করেছে, এই মডেলের অসুবিধা নিয়ে, অন্যথায় কার কী মনে হয়, সেই সব নিয়ে। আর সেটা হয়েছিল, কারণ লেখিকা তর্ক-বিতর্কের কল ই দিয়েছিলেন। তো, সেসবের পরে, প্রায় একবছর বাদে আবাপ তে লেখা বেরোলো, http://www.anandabazar.com/editorial/why-you-are-not-giving-money-for-household-works-1.340216
    সেই লেখার শেষ প্যারায় এইটি লেখা, 'একটি প্রগতিশীল ইন্টারনেট পত্রিকায় প্রস্তাবটা পেশ করার পর, উচ্চশিক্ষিত পাঠকদের কাছ থেকে মতামত পাওয়া গেল: ১) গৃহবধূদের তো বিশেষ কিছু কাজ নেই, সবই পরিচারিকারা করেন (এ ভাবনা মূলত কর্মরতা মহিলাদের); ২) সংসার তো নিজের, নিজের কাজ করার জন্য মাইনে কেন; ৩) গৃহবধূর কাজ তো পরিচারিকার কাজেরই মতো, তার মাইনে কেন পরিচারিকার চেয়ে বেশি হবে; ৪) বরের মাইনের ওপর নির্ভর করে না থেকে নিজে যা পারে উপার্জন করলেই তো হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ, এলজিবিটি, সংখ্যালঘু, এমনকী পরিচারিকাদের সমস্যাও যাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, গৃহবধূদের সমস্যার সঙ্গে তাঁরা মোটেই রিলেট করেন না। এখানেই আসল অন্ধকার।'

    এখানে উল্লিখিত 'প্রগতিশীল ইন্টারনেট পত্রিকা' এই গুরুচণ্ডা৯ র ফোরাম।

    এই প্রগতিশীল বলে খোঁচা দেওয়া, এখানকার লোকজনের ভাবনাতে কোথায় আসল অন্ধকার , সেগুলো খুব ভাল পদ্ধতি কী ? যা মনে হয়েছে, লিখতেই পারেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার এখানেই আলোচনা করতে চাইলে যাদের খোঁচাগুলো দেওয়া হয়েছে তাদের বিরক্তি বা রিজার্ভেশন তো থাকতেই পারে। থাকতে পারার আরো কারণ আছে।

    ঐ টইতে এত আলোচনা তর্ক বিতর্কের পরেও প্রায় প্রথম লেখাটাই আবার বেরোলো ( সামান্য কিছু মডিফিকেশন ছাড়া), সে নাহয় হতেই পারে, লেখিকা এর মধ্যে কোনো সমালোচনাই প্রায় গ্রহণযোগ্য মনে করলেন না। কিন্তু সেই আলোচনার সামারি অন্য একটি পত্রিকায় প্রকাশ করছেন নিজের মত করে, অতিসরলীকরণ করে, আলোচনার কণ্টেক্স্ট বা বাকি পয়েন্ট বাদ দিয়ে, পুরো নিজের মত ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে, কিন্তু সেটাকে এই ফোরামের মতামত বলে প্রকাশ ক'রে দিলে বিরক্তি আসে বইকি।
    এবং তির্যক বলেই বেশ অপ্রত্যাশিত ও অবাক করা।

    তা সত্ত্বেও সেই লেখাটি নিয়েও মতামত দিয়েছিলাম, আর মডেলটি নিয়ে কী কী সমস্যা এখনো আছে, লিখেছিলাম।

    এই সংযোজনে, আগের টইতে তোলা কিছু প্রশ্ন অ্যাদ্রেস করার চেষ্টা হয়েছে, সেটা ভাল , কিন্তু তারপরেও আমার এবং আরো অনেকের মনে হয়েছে অনেক সমস্যা রয়ে গেছে, আর আগের টইতে অনেক আলোচনাই হয়ে যাওয়াতে কেঁচে গণ্ডুষ করতে হচ্ছে।
    একটা মডেল এলে কেউ মনে করতেই পারে আগে সেই মডেলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। বিশেষ করে বিক্ল্প কী কেন মনে করি যখন আগে নানা জায়গায় লিখেছি, আর সেগুলো নিয়ে কথা না বলে লেখিকা আবার মডেল নিয়েই আলোচনা চেয়েছেন। সেটা লিখতে গেলেই বারবার শুনতে হচ্ছে শুরু থেকে কেন এত সমালোচনা করছি ! তারপর শুরু হয়েছে যেগুলো আমি বলিনি, অন্যে বলছেন, সেটা আমি বলেছি বলে বলা। আর আমি যেগুলো বলেছি, সেগুলোকে ভুলভাবে কোট করা। এদিকে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর না পেলে সেগুলো তো করবই। কিন্তু করতে গেলেই সেগুলো করা যাবেনা, এগুলো কেন করছি, এরকম একটা টোন আসতে দেখেছি, যেটাতে অসুবিধে হচ্ছে। এবং আবারো তির্যকের থেকে সেটা বেশ অপ্রত্যাশিত।

    এরপরেও কিছু কথা বলার আছে, এই বিষয় নিয়ে, সেগুলো সময় বা ইচ্ছা হলে বলব।

    ,
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০৪52334
  • ছোটাই, শ্মেষ ব্যঙ্গ বিদ্রূপ কিন্তু এখানে তেমন করা হয়নি। হয়তো মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে মজা করেছেন কেউ কেউ, বিশেষ কাউকে উদেশ্য করে নয়।

    আর টিম বাবু যেটা বললেন এখানে লিখে তো আমরা পৃথিবীতে এক্চুলও কিছু সরাতে পারবোনা। মিনিময় টুকুই সার। মনের আনন্দের জন্য। সেখানে ইয়ার্কি ঠাট্টা এসেই যায় ঐ মনের জন্য। আপনিও তো মনের কথাই লিখেছেন।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৬52335
  • এস, সুযোগ যোগ্যতা এসবের আলোচনা ইচ্ছে করেই বাদ দিয়েছি। প্রয়োজনটাই আসল, নয় কি? যেকোন লোকেরই তো প্রয়োজন হতে পরে একটা নির্দিষ্ট ন্যুনতম আয়ের, যা নাহলে তার স্ট্রাকচার ভেঙে পড়বে। সেইটা প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে লড়ে অর্জন করার চেষ্টা করেন। সেই জায়গাটায় রোজগারহীন গৃহবধূ আর বেকার অন্য কোন ছেলেমেয়ের তফাৎ নেই এটাই বলতে চাইছিলাম।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৮52336
  • আর দ্বিতীয়তঃ ওভাবে যোগ্যতা বিচার কি হয়? সেতো সাপ্লাই ডিম্যান্ডের গল্প, এর মধ্যে কোন গৌরব নাই। লড়াইয়ের মধ্যে আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন