এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারীদিবস ঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম ঃ কিছু সংযোজন

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৪৭ বার পঠিত
  • ঘরকন্না ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প

    যে জীবন ফড়িং-এর দোয়েলের, মানুষের সাথে তার যে দেখা হয় না, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু যেসব জীবন মানুষের-মানুষীরই, তাদের আশেপাশেই থেকেও সেইসব জীবনের সাথেও যে মানুষের আসলে দেখা হয় না, তাও মাঝে মাঝে এমনভাবে জানতে পেরে অবাক হতে হয়।
    এই ক’দিন আগে আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে দেবেন না কেন ?’ পড়ে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হল। সেদিনটা দোলের ছুটির পরের দিন, কাগজের প্রিন্ট বেরোয় নি তাই লেখাটা শুধু আবাপ’র ওয়েব সংস্করণেই বেরিয়েছিল, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্তও। এবং মহিলারা বেশির ভাগই কর্মরতা। তাই এই লেখা, এই ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে’র ধারণা হয়তো সরাসরি তাঁদের জন্য নয়। যে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধুদের কথা ভেবে এই লেখা, তাঁদের হয়ত এই লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু তাঁদের যে আমরা একেবারেই চিনি না, এমনও তো নয় ! কিন্তু দেখা গেল এই লেখা যাঁরা পড়েছেন সেই পাঠকগোষ্ঠীর সিংহ ভাগ মহিলা ও কিছু পুরুষ এই ব্যাপারটায় নানাভাবে আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। লেখকের কাছে প্রতিটি মতামতই মূল্যবান, বিরুদ্ধ মতামত বেশীই মূল্যবান কারণ তা প্রায় টর্চের আলোর মত যেকোন ধারণার অন্ধকার কোণায় আলো ফেলে দেখিয়ে দেয় তার ভুল ভ্রান্তি। উল্টোদিকে বিরুদ্ধ মত যারা পোষণ করেন, লেখকেরও দায় থাকে তাঁদের বোঝার ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়া।
    তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো গৃহশ্রমের / গৃহকর্মের মূল্যায়নই এই লেখার মূল কথা। গৃহকর্ম বলাই বেশী ভালো কারণ ততটা শ্রমসাধ্য নয় কিন্তু অনেকটা যত্ন ও ভালোবাসা (এবং আত্মত্যাগ) মেশানো যে সব ছোট ছোট কাজ একটা ঘর কে সংসার করে তোলে আর গৃহবধু কে পরিচারিকার থেকে আলাদা করে সেগুলোর কথাও এখানে ভাবা হয়েছে। সেই গৃহকর্ম যাতে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হতে পারে এবং গৃহবধুও নিজেকে বঞ্চিত না ভাবেন বা ‘আমি তো কিছু করি না’ জাতীয় হীনম্মন্যতায় না ভোগেন, সেই জন্য তাঁর একটা নিয়মিত বেতনের কথা ভাবা, যেটা তাঁর স্বামীর বেতনের একটা অংশ (ধরুন ২০%)হিসেবে নিয়মমাফিক সরাসরি তাঁর কাছে আসবে (যেভাবে ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে আসে)। স্বামী এখানে এমপ্লয়ার নন, দাতা তো ননই, তাঁর রাজী হওয়া না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেভাবে ট্যাক্স, পি এফ এর টাকা কাটা যায় সেই ভাবেই নিয়মমাফিক তাঁর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন কাটা হবে (অবশ্যই যদি স্ত্রী চাকরী না করেন)। সেই বেতন ঘরের কাজের দরুণ মহিলাটির নিজস্ব উপার্জন, আর এই উপার্জনই তাঁকে স্বনির্ভর করে তুলবে। নিজের ছোটখাটো চাহিদার জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে না, কৈফিয়ৎ দিতেও হবে না। একজন গৃহবধু সসম্মানে বলতে পারবেন ‘আমি ঘরের কাজ করি’।
    এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অজস্র যুক্তি ও আপত্তির মধ্যে প্রথমই হল, গৃহবধুর আর আলাদা করে কাজ কি ? ঘরের সব কাজই তো পরিচারিকা করেন, বাচ্চাকে পড়ান টিউটর আর স্কুলে নিয়ে যায় পুলকার বা স্কুলবাস। তাছাড়াও এইসব মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতখরচা পান, তাতেই তাদের শখ-আহ্লাদ দিব্য মিটে যায়। আর খাওয়া-পরা সমেত সংসারের বড় খরচ তো পুরুষটির(স্বামী)উপার্জন থেকেই হয়, এর পর আবার মাইনে কিসের ! এই কথাগুলো পড়েই মনে হয়েছিল আমরা কবে খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের বাইরের পৃথিবীটা চিনতে শিখব ! অথচ আমরা যে একেবারেই সংবেদনশীল নই তাও নয়, গায়ক অভিজিৎ যেদিন রাস্তায় থাকা মানুষদের গালাগাল দিয়েছিলেন, সেদিন আমরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলিনি। বাড়ির পরিচারিকাদের এমনকি যৌনকর্মীদেরও শ্রমিকের সম্মান দেওয়া নিয়ে আমরা ভাবি। তাহলে গৃহবধুদের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন কেন !
    আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের চাকরী করা জীবনটা দেখতে পাই, পাশের বাড়ির / ফ্ল্যাটের গৃহবধুর আরামের জীবনটা দেখতে পাই আর দেখতে পাই নীচের তলার বাসিন্দা আমার ‘কাজের মাসি’র কঠিন জীবনটা। এর বাইরে মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উপার্জন স্তরের বাসিন্দা যে গৃহবধুরা তাঁদের জীবনটা আমরা দেখতেই পাই না। এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।
    কিন্তু নিয়ম যদি করতেই হয় তাহলে তা সকলের জন্যই করতে হবে আর তাতে আখেরে কিছুটা যাতে সুরাহা হয় সেটাই দেখতে হবে। স্বামীর মাইনের / উপার্জনের কিছু নির্ধারিত অংশ যদি স্ত্রী-র হাতে আসে আর মহিলাটি যদি তার থেকেই পরিচারিকার মাইনে দেন তাহলে একটা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে যিনি বেশির ভাগ কাজ নিজের হাতে করেন আর যাঁর সব কাজ পরিচারিকা করে দেয় তাঁদের মধ্যে উপার্জনগত ভাবে একটা তফাৎ থাকবে। স্বামীকে আর আলাদা ভাবে বৌকে হাত-খরচ দিতে হবে না, আর স্ত্রীও নিজের এই উপার্জনের কতটা সংসারে খরচ করবেন, কতটা নিজের হাতে রাখবেন সেটা তিনিই ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁকে স্ব-নির্ভর বা উপার্জনক্ষম নন একথা আর বলা যাবে না কারণ মাসের শেষে তাঁর হাতেও নিয়ম করেই কিছু টাকা আসছে আর সেই টাকাটা তাঁর স্বামী দিচ্ছেন না। এই কথাটিই এই ব্যবস্থার মূল কথা আর এই কথাটা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে তাই আবার লিখতে হল।
    কিন্তু যাঁরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতেই পারছেন না, বাড়ির কাজ যা অনেকটা নিজের জন্যও করা, যা ভালবেসে করা তার জন্য মাইনে কেন ! পুরুষেরা কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলেছেন যে মাইনে থেকে ভাগ দিতে হলে তো কাজের লোক রাখলেই হয়, বিয়ে করার দরকার কিসের ! আর মেয়েরা অনেকেই একটা কথা বলেছেন যে সংসারের পেছনে একজন মহিলার যা অবদান তা কি টাকা দিয়ে মাপা যায় ! অর্থাৎ নিজের সংসারে কাজ করে টাকা নিতে তাঁদের ‘ইগো’তে লাগছে। আবারও বুঝিয়ে বলি, দেখুন, একটা রাস্তায় যানজটের জন্য দেরী হলে সেই দেরীর দরুণ ক্ষতিটুকুও অর্থমূল্যে মাপা যায় কারণ তা দেশের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। ওপরে যেসব কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা সমেত একটা পূর্নাঙ্গ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে গৃহবধুরা যে তাকে তাকে সুষ্ঠু ভাবে চালান, সেটা কাজের মানুষটির(পড়ুন পুরুষটির)উৎপাদনশীলতাকে ও কর্মক্ষমতাকে নিশ্চই প্রভাবিত করে কিন্তু সেই বিরাট পরিমাণের শ্রম আমাদের অর্থনীতিতে উহ্যই থেকে যায় যুগের পর যুগ তার কোন ‘মূল্যায়ন’ হয় না, এটা কতটা সঙ্গত সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। সংসারের ‘সমস্ত’ কাজের জন্য কাজের লোক রাখা এমনিতেই সম্ভব নয়, যতটা রাখা সম্ভব তার জন্যও খরচের অঙ্ক বিরাট। কিন্তু সেই খরচ দিয়েও একজন গৃহবধুর মত পরিষেবা পাওয়া যায় না, এইটা ছেলেদের ও মেয়েদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সেভাবে দেখতে গেলে কোনো পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা, যত্ন ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে মাপা যায় না; যে যত্ন নিয়ে একজন আদর্শ ডাক্তার একটি শিশুর জন্ম ঘটান বা যে ভালোবাসা নিয়ে একজন শিক্ষক কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখান তাও কি টাকায় মাপা যায় ? তবু সেই সব পেশার ক্ষেত্রেই আমরা আর্থিক মূল্যায়নকে মেনে নিয়েছি কারণ এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই গৃহকর্মকে একটা পেশা হিসেবে সম্মান দিলে তার মূল্যায়নের কথাও ভাবতে হবে।
    কিন্তু হয়নি এযাবৎ। আর সেই জন্যই কেউ গৃহকর্মকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারেন না আর সেই ভাবেই সংসারের ছোটবড় কাজগুলো অকিঞ্চিৎকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সে কাজগুলো না করলে যে চলবে এমনও নয়। খেতে আপনাকে হবেই, গৃহবধু রান্না না করলে রান্নার লোক রাখা, না হলে হোম ডেলিভারী। রান্নার লোকের ওপর তদারকি না করলে রান্না খারাপ, তেল বেশি, পরপর ক’দিন খারাপ / একঘেয়ে রান্না খেলে একদিন বাইরের খাওয়া চাইই। তার মানে রান্না-খাওয়া ব্যাপারটা একেবারে এলেবেলে নয়, কিন্তু যখন তা বাড়ির বৌটি করছেন তখন আমরা সেটা আলাদা করে ভাবছি না। সেই রকমই অন্যন্য কাজও। কাউকে না কাউকে সেগুলো যত্ন করে করতেই হয়, না হলে পরিবারের ধারণা দাঁড়ায় না। তাই বিয়ে করাটা নারী-পুরুষ কারুর কাছেই সমাজসেবা নয়, নারীর যেমন নিরাপত্তা চাই, পুরুষেরও দিনের শেষে নিজের সংসার নিজের ভালোমন্দ দেখার মানুষ দরকার।
    তবে এখানে ঘরের কাজ মূলতঃ মেয়েরা করেন এবং পুরুষ বাইরেই কাজ করেন বলেই বার বার ‘গৃহবধু’ বলা হয়েছে, তবে আসলে এটা গৃহশ্রমের মূল্যায়নের গল্প। তাই যে নারী বাইরে কাজ করতে চান করুন, যে পুরুষ ঘরে কাজ করতে চান করুন (সেই ‘কি’ আর ‘কা’ এর গল্প), বেতনের নিয়মটা আলাদা কিছু হবে না কারুর জন্য। দুজনেই বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ তাঁরা কিভাবে করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন কারণ সে ক্ষেত্রে মহিলাটিরও নিজের মত জানানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। কিন্তু ঘরের তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলো সে মেয়েরা করুন বা ছেলেরা করুন, কাজ হিসেবে যে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটাই মনে করানোর জন্য এবং তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এই নিয়ম।
    গৃহশ্রমের এইভাবে মূল্যায়নকে যারা সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করতে পারেন না দেখা গেছে তারা এর বাস্তবায়ন নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। যেমন গৃহবধু যদি ‘মাইনে’ পান তাহলে ইনক্রিমেন্ট, পি এফ, গ্রাচুইটি, ইত্যাদি কি ভাবে হবে, সি-এল, ই-এল এর সুযোগ থাকবে কিনা, আরো ভালো ‘মাইনে’ পেলে গৃহবধুর চাকরী বদলানোর সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি। বোঝাই যাচ্ছে এর অনেক কিছুই স্রেফ বিরোধিতা করার জন্য বলা, কিন্তু লেখকের দায় থাকে সব প্রশ্ন নিয়েই ভাবার। তাই এই ধরনের সমস্যারও কিছু সমাধানের কথা ভাবতে হয়। স্ত্রীর বেতন যেহেতু স্বামীর বেতনের একটা অংশ হিসেবে আসবে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর আয় যেমন যেমন বাড়বে, স্ত্রীরও সেই অনুপাতেই বাড়বে, পেনশনও পাবেন সেই ভাবেই। কিন্তু দেশের সমস্ত চাকরীর শর্ত যেমন একরকম নয়, সেইরকম এই চাকরী থেকে ‘ছাঁটাই’ এর প্রশ্ন নেই কারণ বর এর এমপ্লয়ার নন, মহিলাই বা চাকরী ‘বদলানো’-র কথা ভাবতে পারবেন কি করে, নিজের স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্য সংসারে অন্য স্বামী-সন্তানের মাঝখানে ফিট করে যাওয়া কি বাস্তব সম্মত কথা হল ! যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্ভবতঃ এত কিছু না ভেবেই বলেছেন। কিন্তু এর পর থেকে এইরকম প্রশ্ন করার আগে আশা করব একটু ভেবে করবেন। আর সি-এল-ই-এল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বলব আপনি যেমন অফিসে প্রয়োজনমত ছুটি নেন, গৃহবধুও দরকার মত নেবেন, তখন ঘরের কাজ কিভাবে হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে এই সব অনেক প্রশ্নই অবান্তর কারণ গৃহবধু পরিচারিকা নন, নিজের দায়িত্বেই তিনি সংসারের নানাদিক দেখে থাকেন। বিনা পারিশ্রমিকেই। শুধু পারিশ্রমিক নিলেই তাঁকে ভাড়া করার কাজের লোকের সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। গৃহবধুকে তাঁর জায়গায় রেখে তাঁর পরিষেবাকে সম্মান জানাবার জন্যই এই ভাবনা।
    এই নিয়ম চালু হতে গেলে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেক মেয়েরা নিজেরাই এই পারিশ্রমিক নিয়ে চাইবেন না। কিছুটা চক্ষুলজ্জা (নিজের সংসারে কাজ করে পয়সা নেবো ! ছিঃ, লোকে কি বলবে ), কিছুটা ইগোয় লাগা (আমার দায়িত্ব কি টাকায় মাপা যায় !) যে কথা আগে বললাম। কিন্তু ‘সাফারার’ এর মতামত নিয়ে নিয়ম চালু করতে গেলে হয়তো সতীদাহ-বিধবা বিবাহ-বহুবিবাহ কিছুই রদ করা যেত না। কিন্তু যখনি একটা নিয়ম চালু হয়, কিছু মানুষ তার সুবিধে পেতে শুরু করেন, তখনই আস্তে আস্তে সেটা অর্থবহ হয়ে ওঠে। তার বাস্তবায়নের নানা সুবিধে অসুবিধেও তখনই সামনে আসে আর তার সংশোধনেরও রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাবটা গোড়ায় বিনাশ করে দিলে এ সব কিছুই আর হয়ে ওঠে না।
    গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু মজার কথা হল, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁরা কেউ কিন্তু কোনও সমাধান দেননি, শুধু নানারকমের প্রশ্ন তুলে ঠাট্টা-তামাশা করেই কর্তব্য সেরেছেন। তবু এই অবকাশেই এই বিষয় নিয়ে দু-চারটে কথা আবারও লেখার সুযোগ হল, এটাই বা কম কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৬52252
  • "স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শ্রমের সমান বন্টন নেই, সমান অর্থনৈতিক অধিকার নেই, সমান সম্মান নেই, সমান সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা নেই।"------- এইগুলোর দিকে যাতে যাওয়া যায় সেজন্যই অর্থকরী কিছু করা আরও জরুরী...
    বরং আগে সোসেন যেমন লিখেছেন, যে নিম্নবিত্ত পরিবারে সমান সমান রোজগার থাকা সত্ত্বেও, বা এমনকি পরোক্ষে বরের চুল্লু স্পন্সর করেও সমান অধিকার নেই, সেগুলোর জন্যে আইনের কথা বললে দুহাত তুলে সমর্থন করব...

    আইন করে ফুলটুসি হয়ে থাকার সমানাধিকার চাই শুনলে বলতে ইচ্ছে করে 'দোবেড়ের চ্যাং' দেখেছেন?
  • sosen | 176.137.143.35 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩২52253
  • শ্রমের বন্টন, অর্থনৈতিক অধিকার, সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এগুলো পরিবারের মধ্যে আইন করে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আইনের কাছে বলা যায় যে অমুক অধিকারগুলো আমি পাচ্ছিনা। সেটা এখনো বলা সম্ভব, এবং সেই ভিত্তিতে ডিভোর্স পাওয়া সম্ভব। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঐ ভাবে আইন এসে দাঁড়ালে সেটা আর পরিবার হিসেবে টিঁকে থাকবে না। থাকা দরকার বলছি না, বলছি সেক্ষেত্রে গোড়ার ব্যাপারগুলো অর্থহীন হয়ে যায়। বিবাহ যে চরমতম কোনো প্রতিষ্ঠান নয় এবম অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেবে না- এটা প্রথম থেকে গিলে নেওয়া প্রয়োজন, তেতো বড়ির মতো।
  • প্রশ্নস | 178.26.197.46 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:০২52254
  • প্রশ্ন ১ঃ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সমান অর্থনৈতিক অধিকার থাকাটা আইন করে দিলে, ঠিক কি ভাবে পরিবার ভেঙ্গে যাবে?

    প্রশ্ন ২ঃ সমান অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকতে গেলে ঠিক কি কি দরকার? দুজনকেই চাকরি করতে হবে? যদি দুজনের মাইনে এবং কাজের চাপে আকাশ পাতাল তফাত থাকে, তাহলে কি সমান অধিকার থাকবে না?

    ধরুন, বৌ মাল্টি ন্যাশনাল কনসাল্ট্যান্ট, লাখে মাইনে পায়। আর বর, প্রাইমারী স্কুলের টিচার। ইস্কুলে পড়ানোর পরে তার দেদার সময় ফুর্তি করার। কেননা বৌ এর মাইনেতে পাওয়া কাজের লোক এবং টেকনোলজির দৌলতে গৃহাশ্রম জিরো। বরের বাবা মা, বলাই বাহুল্য, নিতান্ত গরীব। এবার বরের ইচ্ছে বুড়ো বাবা মাকে কাশ্মীর ঘোরানোর। বৌএর একেবারে ইচ্ছে নয়। বৌ বেশি মাইনে পায় বলে কি তার অধিকার বেশি হবে এক্ষেত্রে?

    তারপর কি হল, কাশ্মীর যাওয়া হল ঠিকই, কিন্তু সেখানে টেররিস্টের বোমায় বরের চোখদুটো গেল, আর তার ফলে চাকরিও। প্রাইমারী স্কুলের চাকুরের লং টার্ম ডিসেবিলিটির টাকা নেই। কিন্তু বৌ লাখে মাইনে পায় বলে সংসারে তেমন অসুবিধা হয় না। বরের বাবা মাকে এবার কে দেখবে? বৌ যদি দেখতে না চায় কি হবে?

    প্রশ্ন ৩ঃ বিবাহ চরম অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেয় না। চাকরিও দেয় না। ৫০-৫০ অধিকার থাকলেই একজন চাকরি না করেও চরম নিরাপত্তা পেয়ে যায় কি ভাবে?

    প্রশ্ন ৪ঃ বেকার ভাতা কি তুলে দেওয়া উচিত? বেকার ভাতা আছে বলে কি বহু লোক, মানে ছেলেরাও দিব্বি বেকার থেকে যাবার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে না? এই আম্রিগাতেও কেন বেকার ভাতা ট্যাক্সো পেয়ারদের পকেট থেকে যায়?

    প্রশ্ন ৫ঃ স্বর্নেন্দুর উদাহরনে "ফুল্টুসি" কেন? "ফুল্টুস" নয় কেন? কেন ধরেই নেওয়া হচ্ছে যে একমাত্র মেয়েরাই, এবং পরিশ্রমবিমুখ, আল্লাদী, লেখাপড়া না করে কেবল সিনেমা দেখে বেড়ানো মেয়েরাই এই আইনের সুযোগ নিয়ে দিব্বি চমৎকার বরের ঘাড়ে চেপে খাবে? আজকাল বড় চাকুরে মেয়েদের তো অভাব নেই। ৫০-৫০ আইন হলে ছেলেরা কি সে সুযোগ নেবে না? যদি না নেয়, তাহলে কেন নেবে না?
  • তির্যক | 24.139.222.45 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:০৬52207
  • কিছুতেই কেন বেসিক জিনিসটা বোঝনো যাছে না, সেইটাই বুঝতে পারছি না। এই যে একজন লিখেছেন " যাঁরা (গৃহস্বামীরা) কাজ ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী নন তাঁরা মাসের উপার্জন ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী হবেন" এটা বাস্তবোচিত নয়। এখানে একটা নিয়মের কথা বলা হয়েছে, সেটা রাজী হওয়া না হওয়ার ওপর নির্ভর করে না, মাসের শেষে যে মাইনে থেকে ট্যাক্স কাটা যায়, তা কি আপনি বিশ্বাসী কি বিশ্বাসী নয় তার ওপর নির্ভর করে ? সেই বেসিক বিষয়টা না বুঝলে আপনি গৃহস্বামী হলে কি করতেন, সেই প্রশ্নই তো অবান্তর।
    @সোসেন,
    মাইনে দিলে নয়, মাইনে 'পেলে'। বরের কাছ থেকে নয়, বরের এম্প্লয়ারের কাছ থেকে সরাসরি 'পেলে' মহিলাটি নিজেকে স্বনির্ভর ভাববেন। এখানে দেওয়া না দেওয়ার অপশন স্বামীর হাতে না থাকলে আপনি যেমন বলেছেন সেইরকম 'ছেলেখেলা' হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমবে। তাতে স্বামী-স্ত্রী-র সরাসরি প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্কও হবে না। চলতি ব্যবস্থায় গৃহবধুরা স্বামীর কাছ থেকে হাতখরচা পান, আর সংসারের অন্যন্য খরচ স্বামীর বেতনে থেকেই হয় (কারণ স্ত্রী উপার্জন করেন না) সে ক্ষেত্রে কি আপনাদের ভিক্ষা-অনুদান ইত্যাদি কথা মনে হয় না ? সেক্ষেত্রেও তো টাকাটা স্বামীর মাইনে থেকেই বৌয়ের হাতে ও সংসারের খাতে আসছে, তাহলে স্বামীর মাইনে থেকে একটা অংশ সরাসরি বৌয়ের হাতে এলেই কি এমন অধিক ক্ষতির / অপমানের ব্যাপার হল, এইটা সত্যি বোঝা যাচ্ছে না।
    কাজ ভাগাভাগির প্রস্তাব খুব ভালো। কিন্তু যে মানুষটি সপাহে ৫ / ৬ দিন সকাল ৬'টায় বাড়ি থেকে বেরোন আর রাত ৯ টায় বাড়ি ফেরেন তাঁর কাছ থেকে কি রোজকার কাজে খুব বেশি অংশ নেওয়া সম্ভব হয় ! সকাল ন'টা সাড়ে ন'টায় যে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাওড়া-শিয়ালদায় এসে নামেন, তাঁদের এটাই জীবন। তাঁদের সংসারে ঘরের কাজের চাপটা ঘরে থাকা মানুষটিকেই নিতে হয়, সেটাও তো একরকমের শ্রম ভিভাজনই হল নাকি ! এই গৃহবধুদের জীবন আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে হতে পারে কিন্তু হিসেবের বাইরে তো নয় ! ঠিক যেমন আমাদের দেখা গৃহবধুরা কেউ নির্যাতিতা নন কিন্তু তাই বলে 498A অপ্রাসঙ্গিক নয়।
    স্বনির্ভর সবাই হয়ে উঠুক এতো সবাই চায়, আমিও। কিন্তু যে সমাজে আমরা বাস করি সেখানে সবাই স্বনির্ভর হয়ে ওঠার স্বপ্ন তো এখনই বাস্তব নয়, খুব তাড়াতাড়ি বাস্তব হয়ে উঠবে এমন ভাবাও যচ্ছে না। তেমন দিন এলে এই ভাবনা তো আপনিই অপ্রাসংগিক হয়ে পড়বে।

    @দ,
    আপনি প্রথম থেকেই বেশ একটা 'কেমন দিলাম' মোডে আছেন। না হলে খেয়াল করতেন আমার নিয়মে পরিচারিকার আর গৃহবধুর জায়গা আলাদা। তাই সন্তাধারণ বা আলাদা আলাদা কাজের জন্য তিনি আলাদা টাকা দাবী করবেন কিনা সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনো দায় আমার নেই। বরং ঘরের কাজে আটকে না থেকে যাঁরা যে কোনও প্রকারে বাইরে কাজ করাকে বেশি সম্মনের মনে করেন, তাঁদের কাছে জানতে চান নিজের শরীরের ওপর নিজের অধিকার এই যুক্তিতে মহিলাটি নিজের সন্তান ধারণ না করে স্বনির্ভর হবার জন্য (পড়ুন টাকা রোজগারের জন্য) সারোগেট মাদারের কাজ করলে বেশি ভালো হবে কিনা।

    কাজের ভাগাভাগির বিষয়ে আপনি নতুন কিচ্ছু বলেন নি যেটা কেউ জানে না বা কেউ করে না। তবে কথাগুলোয় অপত্তির কিছু নেই, বাচ্চাদের সব কাজই শেখানো উচিত আর বাড়ির সব সদস্যদেরই কাজে হাত লাগানো উচিত। তাতে চাপ কিছুট হলেও কমে।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:২৬52208
  • 'কেমন দিলাম' মোডে আছি???!!!!
    বাঃ বাঃ। বিরুদ্ধমত দেখলেই যা দাঁতনখ বেরোচ্ছে .....
  • তির্যক | 24.139.222.45 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩১52210
  • দ,
    এই আলোচনাটা বহু দিন ধরে চলছে। আগের পর্যায় & এই পর্যায় মিলে দীর্ঘ দিন ধরে মোটের ওপর বিরুদ্ধমতই পেয়ে আসছি। তাই 'দাঁতনখ' যদি দেখেই ফেলেন, সেটা অন্ততঃ 'বিরুদ্ধমত দেখলেই' বলবেন না। আপনার এই সারোগেসির পয়েন্টটাও কিন্তু দাঁতনখ বেরোনই মনে হবে। অন্ততঃ খুব ভেবেচিন্তে বলা বলে তো মনে হল না !
    প্রথমে অবিবাহিত বোনের কি হবে জানতে চাইলেন (যেন অবিবাহিত বোনের কথাটা জুড়ে গেলেই প্রস্তবটা গ্রহণজোগ্য হয়ে যেত !)। উত্তর দিতে দেরী হলেই তাকে উপেক্ষা বললেন, সেটার উত্তর পাওয়ার পর জেন্ডার স্টিরিওটইপিং এর কথা বল্লেন। সেখানে উত্তর দেওয়া হল তো এইবার গৃহবধু কে ভাড়া করা লোকের সংগে গুলিয়ে ফেল্লেন। তবে এই সবই গোলপোস্ট সরানোর উদাহরণ, দাঁতনখ বের করার নয়, তাই তো !
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৪52255
  • ১ঃ পরিবার ভাঙ্গার কথা কে বললো?
    ২ঃ "অর্থনৈতিক" স্বাধীনতা একেবারেই টাকার ব্যাপার - নাম্বার দিয়ে মাপতে হবে, প্যানপেনে আবেগ দিয়ে নয়। অতেব দুপক্ষের সমান ওয়েল্থ থাকতে হবে (এইবারে বিয়ের আগের ওয়েল্থ কি হবে সেইটা নয় গল্প)।
    না। তবে কাপলের টাকার ইউজের লিমিট করা যেতে পারে। মানে ৫০০০ এর বেশি খরচ করতে গেলে বা অন্যকে দিতে গেলে অন্যপক্ষের অনুমতি নিতে হবে ইত্যাদি।
    আগে যে দেখছিলো তিনিই দেখবেন। বৌএর কোনো উপায় নাই। কর্তব্য অপশনাল নয়। ডিভোর্সের অপশান আছে।
    ৩ঃ বিয়েতে তো অনেকেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা খোঁজে।
    ৪ঃ ভারতে আছে বেকার ভাতা? কত সেটা? থাকা না থাকতে কোনো পার্থক্য হয়? আম্রিগা এই আলোচোনার বাইরে - নইলে ইস্যু গুলো গুলিয়ে যাবে।
    ৫ঃ ঠিক কথা। নিতেই পারে - অনেক ছেলেই বড়লোক শ্বশুর দেখে বিয়ে করে। তবে এই ব্যাপারে একটা বৈষম্য তো আছেই।
  • aka | 80.194.3.213 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫৪52256
  • মূলত এলজিবিটি ম্যারেজের একটা মূল ড্রাইভিঙ্গ ফ্যাক্টর হল ম্যারেজ নামক ইন্স্টিটিউশনের সাথে আসা এই লফুল শেয়ারিঙ্গ। একজন পার্টনার কাজ করে না, তার হেল্থ কেয়ারের কি হবে? বা সন্তান অ্যাডাপ্ট করলে তার ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটির কি হবে? ইত্যাদি।

    অধিকার একটা আইনি টার্ম আমার মতে, ঠিকমতন ডিফাইন না হলে, প্রোটেকশন না থাকলে কোনটা অধিকার বলব, আর কোনটা নয়, আনা, পাই পয়সার হিসেবে মাথা খুড়ে মরতে হবে। আর যেহেতু আইনত প্রোটেক্টেড নয় তার সত্যিই কোন প্রোটেকশন হয় না।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০৩52257
  • আকাদার লাস্ট প্যারায় বড় করে ক।
  • sosen | 177.96.14.251 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২০52258
  • ল'ফুল শেয়ারিং তো বলবৎ। অলরেডি বলবৎ আইনের বাইরে নতুন আইনের কথা হচ্চে তো।
  • সনদিহান | 80.193.161.79 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৩৩52259
  • ভারতে ৫০-৫০ শেয়ারিঙ্গ এর আইন আছে কি? পরিষ্কার করে কি লেখা আছে? এই যেমন এককালে বিধবাদের স্বামীর সম্পত্তি পাবার ব্যপারে পরিষ্কার কোনো আইন ছিল না। মেয়েদের বাবার সম্পত্তি পাওয়া নিয়েও আইন ছিল না। অলিখিত নিয়ম হিসেবে ভাত কাপড় ইত্যাদি আছে। ডিভোর্র্স হলে খোরপোষের আইন আছে। কিন্তু পরিষ্কার করে ৫০-৫০ শেয়রিঙ্গের আইন আছে বলে তো শুনি নি। অলিখিত নিয়ম আর আইন এক নয়।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ১২:০৪52204
  • আর ঐ নৈরাষ্ট্র নৈমাহিনা মডেল হলে তো আরো ভালো। কারুর কোনো মাইনে নেই, সবাই পেটচুক্তি কাপড়চুক্তি ঘরচুক্তি তে কাজ করেন। ল্যাঠা চুকে গেল।
    ঃ-)
  • sosen | 184.64.4.97 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১৯52262
  • হ্যাঁ ডিভোর্সের কথাই তো বলছি।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২১52263
  • চলন্ত বিয়ে?
  • sosen | 184.64.4.97 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২৯52264
  • চলন্ত বিয়ে নিয়ে তো কোনো আইন নেই। ধরেই নেওয়া হচ্ছে তো সব জয়েন্ট।
  • | 183.21.199.39 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩১52281
  • অপূর্ব সব হাতের কাজ, উলবোনা, সেলাই,রান্নাবান্না যা আর দেখিনা তার জন্যে দুঃখ হয়, আমি সেগুলো পারিনা বলে, সময় থাকতে শিখিনি বলে এখন আর শেখারও উপায় নেই। আমার মা গাড়ি চালাতে জানতেন না কিন্তু অসম্ভব সুন্দর সোয়েটার প্রত্যেক শীতে আমাদের গায়ে ঝলমল করতো,আমার সে স্কিল নেই। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে নিজের যে কোন স্কিল ছেলেমেয়েদের শিখতে উৎসাহ দিন,বিশেষ করে যেগুলো আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। হারিয়ে যেন না যায়।
    এখানে বয়স্ক ক্যান্সার সার্ভাইভারদের একটা সংগঠন আছে। মহিলারা আসেন, গল্পের ফাঁকে ফাঁকে কি তাক লাগানো কুইল্ট বোনেন,কুরুশের কাজ করেন। পুরুষরাও আসেন, তাস খেলেন,কাগজ পড়েন। এই মহিলারা অধিকাংশই কাজ করতেন,এখনো উৎসাহ দেখলে অবাক হতে হয়।

    ঘরে থাকা মহিলারা তাদের নানাবিধ গুণ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসুন।সবাই আপিশে নাই বা গেলেন, কেউ কেউ নাহয় নিজেই ছোটখাটো কিছু শুরু করলেন। এখানে যে সমস্ত ছেলে/মেয়েরা লিখছেন,তাদের কজন গৃহবধু মাকে কিছু করার জন্যে উৎসাহ দিয়েছেন,জানতে আগ্রহী। মেয়েদের কাজ, ছেলেদের কাজ বিভাজন বাদ দিয়ে কজন ঘরের কাজ গুছিয়ে করতে জানেন? আমি দারুন নাচি আর দারুন রান্না করি- কোনটি বেশী আবেদন রাখে?প্রথমটির জন্যে শ্রম, সময়,অর্থ সব বরাদ্দ হয়, দ্বিতীয়টি এত এলেবেলে কেন?
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩১52265
  • চলন্ত বিয়ে আবার কি রে বাপ?!
  • sosen | 184.64.4.97 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৪52266
  • দেশে তো ননম্যারিটাল প্রপার্টির সম্ভবত আর এক্সিস্টেন্স নেই। ইনহেরিটেড প্রপার্টিও ম্যারিটাল প্রপার্টি।
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৫৩52282
  • এলেবেলে কারণ পরীক্ষিত নয় । নাচ অনেকের সামনে , মোটামুটি একটা গ্রহণ-বর্জনের মধ্যে দিয়ে গ্যাছে যে আদৌ দারুন কিনা । অন্যদিকে , মা এর রান্না কে খারাপ খুব কম সন্তান ই বলেন । খানিকটা ওই স্বাদের টেম্পলেট এ অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া খানিক সম্পর্কের দায় । একেবারেই পরীক্ষিত যোগ্যতা নয় । জনদের ক্ষেত্রে সেটাও মাস লেভেলে পারফর্মদ যেমন কিনা শেফ , সেখানে তো কই আর এলেবেলে না ।
  • aka | 80.194.3.213 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৯52267
  • তাইলে নিজ নিজ কাজে যান, এর থেকে বেশি প্র্যাকটিকালি অসম্ভব।

    নইলে পুরো বিয়েটা কন্ট্র্যাক্ট হয়ে যায়। সেটাও হয়ত হবে কোন এককালে, কিন্তু এখনও হয় নি।

    অনেক সমস্যা আছে, কেউ যদি বিয়ের পরও ঘরকন্যার কাজ না করেন? ভারতে সেটা এখনও দিব্য সম্ভব। যদি স্বামী গৃহকর্মে সহযোগীতা করেন। যদি সার্ভিস কোয়ালিটি স্বামীর পছন্দ না হয়। ইত্যাদি অনেক কম্প্লেক্ষিটি গৃহকর্মকে সার্ভিস ইন্ড্রাস্ট্রী করতে গেলে।
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:২৪52283
  • রান্না করাটা সত্যি অসাধারন স্কিলের কাজ। আর গানের মতো রান্নারও যে কতোরকম স্কুল! আমি একটা সময়ে রান্না একেবারে জানতাম না, কিন্তু এখন আস্তে আস্তে শিখছি। তবে আমার বেকিং, গ্রিলিং এই সব করতে বেশী ভাল্লাগে।
  • | 24.97.137.181 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৯52268
  • আরে না না গৃহকর্মকে সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি করতে চাইছেন কি মশাই!? উহা একটি হোলিয়ার দ্যান দাউ ব্যপার। মহা পবিত্র এবং তার জন্য মূল্যও চাই আবার পারফরমেন্স ইভ্যালুয়েশান ইত্যাদি চইলবেক নাই।
  • Robu | 11.39.37.42 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪০52284
  • আপনি যে ফাকিবাজ আপনার লেখাপত্তর পড়েই বোঝা যায় ঃ-)
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৭52285
  • দুদিকের প্রস্তাবই অবাস্তব লাগছে। ঘরের কাজের জন্যে মাইনে ইম্প্লিমেন্ট করা যেমন প্রায় অসম্ভব সেই রকম প্রতি পরিবারের দুজনের ওয়েজ আর্নিং ও সম্ভব নয়। বিশেষ করে ভারতে মতন দেশে, যেখানে কাজের থেকে লোকের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। সবাই কাজ করতে চাইলেও পাবে না। আর ভবিষ্যতে কাজের সুযোগ অটোমেশনের জন্যে কমবে বই বাড়বে না।
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫০52286
  • ওভাবে দেখলে সব কাজই স্কিল্ফুলি করা যায় আবার জাস্ট কাজ চালানো গোছের ও । যেমন দরকার তেমন রাঁধলেই হয়। এই রান্না একটা আর্ট -অসাধারণ স্কিলের কাজ ইত্যাদি হলো জাস্ট একটা এক্সট্রা হাইট দিয়ে রাখা ইন অর্ডার টু এভয়েড। রান্না করতে জানা আবার কি , খেতে জানলে রাঁধতেও জানা যায়। আবার আর্ট খুঁজলে খেতে জানার ও হাজার আর্ট । টেবল এটিকেট ট্রেনিং নেওয়া নেই বলে কাওকে খালি পেটে থাকতে তো দেখিনা । অথচ ডাল-ভাত বানাতে গেলেও লোকে কয় আর্ট ।
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৬52287
  • আরে নানা রান্না সত্যি স্কিলের কাজ, বার খাওয়ানোর জন্য বলিনি :d এই যে ডালের কথা বললেন, ডালেরই যে কতো রকমফের! শুধু যে নানারকম ডাল আছে তাই না, একেকরকম ডালও কতোভাবে রান্না করা যায়! খেতে জানলে রাঁধতে জানা যায় সে তো বটেই, কিন্তু আবার অসাধারন খেতে হয় সেভাবেও রান্না করা যায়। সেই স্কিলের কথা বলছি।
  • sosen | 177.96.94.175 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১১52288
  • দেখুন সব কাজই আর্টিস্টিক্যালি করতে সময় লাগে। মা ঠাকুমাদের হাতে সময় ছিল। এখনো আছে। বিশেষ করে জয়েন্ট থেকে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি হওয়ার পর আরো বেশি। আমি আঁকতে,রাঁধতে, সেলাই করতে ভয়ানক ভালোবাসি, ঘর গুছোতে, লোক খাওয়াতে কিন্তু কি জানেন, বারো-তেরো ঘন্টা আপিসে খাটার পর আমার ওসবই পন্ডশ্রম মনে হয়, এমনকি আজকাল বই পড়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়ি, তাও ছানাপোনা নেই নইলে আরো কিছু ঘন্টা যোগ হোতো। জীবনে আনন্দের উৎস বলতে মাঝে মাঝে গুরুতে মিনিময়, তাতে এট লিস্ট এ হেন অবস্থায় যদি আর এক ঘন্টা বেশি জেগে থাকা যায়। বাকি সব অ্যাকটিভিটি চুলোয়। তো সব চাকুরিরতা বধূদের অবস্থাই অনুরূপ, তাদের বরং আরেকটু বেশি বেতন দেওয়া উচিত। বাড়িতে থাকলে আমি মোটামুটি দশজনের ফ্যামিলি রেঁধে সামলে দেবো-কাপড় কাচতে বাসন মাজতে পারবো না মেশিন না থাকলে, কিন্তু সে নেহাত বাতের ব্যথার জন্য। ওসব তেমন চাপের কাজ না। বাচ্চা সামলানো এবং বাচ্চার স্কুল সামলানো একটু চাপ, কিন্তু আপনারই তো বাচ্চা। ঐ মিঠুদি যেরম বল্লো ট্রেনিং দিলেই হয়ে যায়। এসবের জন্য ট্যাক্সো না কেটে বরম চাকুরিরতা/রত দের হবি টাইম ছুটি দিন বেতন সহ। পিলিজ। আমার কতো বন্ধু বান্ধব যে সিম্পলি চাকরির চাপে অনবদ্য গান, নাচ, আঁকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৬52289
  • একককে ক। স্কিল স্কিল করে এত মাথা খারাপের কিছু হয়নি। হাগু করারও অতীব সূক্ষ্ম্য সব স্কিল লেভেল আছে তাবলে কি সেটা না শিখে কেউ বাথ্রুম যায়না? আসল কথা হলো কাজগুলো করার অভ্যাস আর করতেই হবে এই বোধ। কাজ চালানো না পাঁচতারা সে যার যেমন।
  • pi | 233.231.43.158 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২২52290
  • এখানে লেখা কাটিয়ে দেব ভেবেছিলাম, কিন্তু একের পর এক পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে লিখি। আগে আমার নাম করেও কিছু কথা এসেছে, যেগুলো মোটেও বলিনি।

    যাহোক, আপাতত বেশ কিছু পোস্টে স্বর্ণেন্দু, সোসেন , দেদি , আর একক কে ক দিয়ে গেলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন