এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দ্য রমস্তনকি গেজেটিয়ার - ১১

    পাগলা গণেশ লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জুলাই ২০২৪ | ২১৮ বার পঠিত
  • 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16
    দোসরা জানুয়ারি, ২০১৪

    "জল আর তেল মিশে না কে বলেছে? তবে সেই ঝাঁকুনির খোঁজ পাওয়া খুব মুশকিল।"

    আমার সিলেবাসের বই অনেকদিন শেষ হয়ে গেছে। সব বইগুলোই অন্তত বার দশেক রিভাইজ দিয়েছি। এখন আমি নিশ্চিত। শুধু ঘর ছাড়তে হয়েছে বলেই একটু চিন্তা। মা, দিদি বা দাদার নয়। নিজের পেটের চিন্তা। ওদের সাথে থাকলেও ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু ছিল না। ওরা তো মারা পড়বেই একদিন, সাথে আমিও মরতাম। সেকথা বলাতেই ওরা আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিল। বলেছে আমি নাকি কুলাঙ্গার। নেপথ্যে নাকি আমিই আমার বাবাকে খুন করেছি। আমিও কালবিলম্ব করিনি, বেরিয়ে এসেছি।

    আচ্ছা রুদ্রদমন বাচস্পতিকে যে ওরা মারবে বলছে, সেটা কি পাগলামি নয়! তার নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন কোটি কোটি ক্যারাব খরচ হয়। সেনাবাহিনীর সেরা কমান্ডোরা তার পাহারায় নিযুক্ত। তারা কি ভেড়া? ওরা কয়েকজন উদ্বাস্তু, সহায়সম্বলহীন, অসভ্য টেরাডাইটদের নিয়ে তাকে খুন করবে! এসব পাগলামি নয় তো আর কী?

    তবে খুব যে কষ্ট হচ্ছে তা নয়। তবে লোকের সাথে মিশতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। চেষ্টা করছে আমাকে ঠকানোর। কিন্তু আমি যখনই তাদের ঠিকুজি-কুষ্ঠী বলতে আরম্ভ করছি, ভয় এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখে সরে যাচ্ছে। যেন পালিয়ে বাঁচছে। এতে আমার সুবিধাই হচ্ছে। আমি আমার ক্ষমতাগুলো ঝালিয়ে নিচ্ছি। আগে যে ভুলগুলো হতো লোকের চরিত্র বুঝতে, এখন সেটা ক্রমশ নির্ভুল হচ্ছে। এইভাবে চললে লোকের চরিত্র বিচারের যে কৌশল, তাকে আমি একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাব।

    আমি কাজ করছি একটা নার্সিং হোমে। এখানে অন্যান্য রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি প্লাস্টিক সার্জারি হয়। তবে সেটা লুকিয়ে আর অত্যন্ত সাবধানতার সাথে। এখানের মানুষদের নয়, টেরাডাইটদের। টোপানবাসীদের কোনো নথিভুক্ত নয়, বা অননুমোদিত জায়গায় প্লাস্টিক সার্জারি করানোর অধিকার নেই। শুধু যে করবে এবং করাবে তাদের যে শাস্তি হবে তা নয়, ওদের পরিবারের সবার পাঁচশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড।

    আমি কাজ শুরু করেছিলাম রিশেপশনিস্ট হিসেবে। তবে মাঝে একদিন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আসেনি, আমি একটু হাত লাগিয়েছিলাম। আমার দক্ষতা দেখে ওরা এখন আমাকে ল্যাবের কাজও দিয়েছে। এখন আমি প্রায় ল্যাবের সব কাজই পারি। শুনেছি ওরা নাকি ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টকে ছাড়িয়ে দিবে। ওর জন্য খারাপ লাগছে।

    আমি ভেবেছিলাম, এতে পড়ার অসুবিধা হবে। সময় পাব না। কিন্তু তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। আশা করি পরীক্ষার ফল ভালোই হবে।

    মিনু এখন আবার আমার সাথে কথা বলছে। আমি ওকে নিয়ে অনেক কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু সেসব সোনার পাথরবাটি। আমি ওর সঙ্গ ছাড়া আর কিছু পাব না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.242.180 | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০০:০৪534737
  • একটা প্রশ্ন। বক্তা বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও থাকছেন আর কাজ করছেন। কিন্তু স্কুল আর টিউশনি কন্টিনিউ করছেন তাই তো? নাকি মিনুর সাথে অন্য কোথাও দেখা হচ্ছে?
  • পাগলা গণেশ | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০০:১৫534738
  • ঠিক।
    আমি একটা কথা জিগ্যেস করব?
  • kk | 172.58.242.180 | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০০:৪৭534740
  • হ্যাঁ, করুন।
  • পাগলা গণেশ | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০০:৫৪534741
  • আমার লেখার শৈলীটা কি ঠিক নয়? 
    সবমিলিয়ে কেমন হচ্ছে?
  • kk | 172.58.242.180 | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০১:১৫534743
  • এই প্রশ্নের উত্তর তো এক কথায় দেওয়া যাবে না। তবে আমার পার্সোনালি মনে হয় লেখার শৈলী 'ঠিক' বা 'ঠিক নয়' বলে কিছু হয়না। বিভিন্ন লেখকের শৈলী বিভিন্ন হয়। মানে কিনা একেক জনের স্টাইল একেক রকম, তাই না? এবার কিছু স্টাইল কিছু লোকের পছন্দ। আবার কিছু স্টাইল আরেক দলের পছন্দ (বা অপছন্দ)। আপনার কবিতাও পড়েছি। তো কবিতা আর গদ্যের শৈলী দুটোও আলাদা লেগেছে। আমার একেক সময়ে মনে হয়েছে কবিতায় আপনার আত্মবিশ্বাস বেশি দেখতে পেয়েছি। গদ্যের ক্ষেত্রে আমার একটু টেন্টেটিভ লাগে মাঝেমাঝে। কিন্তু তারপরে আপনার এই সিরিজের শিরোনামের কথা ভাবলে মনে হয় যে এটা যখন একজন মানুষের ডায়েরী, তখন ঠিকই আছে। ডায়েরীতে লেখার স্টাইল এইরকম হতেই পারে। তাছাড়া এই রমস্তনকি চরিত্রটিও গড় সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। কাজেই তার প্রকাশভঙ্গী অন্যরকম হলেও সেটা বেমানান হবেনা। আমার এখনও এই সিরিজের গতিপথ নিয়ে একটু স্কেপ্টিসিজম আছে। কিন্তু সেখানে হয়তো আমি পাঠক হিসেবে কোনোভাবে বায়াসড হয়ে আছি। সেইজন্য আমি চাইছি লেখা আরো এগোক। তাহলে হয়তো আমিও জাজমেন্টাল না হয়ে লেখাটার প্রতি সুবিচার করতে পারবো। অন্যদিক থেকে আপনাকে একটা কথা বলি। কোনোভাবে জ্ঞান বা উপদেশ দেওয়া নয় কিন্তু। আমার এটা মনে হয়েছে যে আপনি পাঠকের কেমন লাগছে সেই নিয়ে একটু টেন্সড হয়ে পড়ছেন। সেইসব না ভেবে আপনি আপনার মতো মন খুলে লিখুন না। একই লেখা কিছু লোকের ভালো লাগবে, কিছু লোকের লাগবেনা। কেউ হয়তো পড়বেইনা। তাতে খুব ক্ষতি নেই। লেখালেখির জগতও অনেক বড়। আপনি আপনার মত বিন্দাস লিখুন। এ তো বুঝতেই পেরেছেন যে আমি সিরিজটা পড়ছি। আরো অনেকেই হয়তো পড়ছেন, নীরব পাঠক হিসেবে। লেখা চলতে থাকুক। আমার ধারণা শেষ অব্দি আমি কেমন লাগলো তা বেশ খুলেই লিখবো। অন্য কেউও হয়তো লিখবেন। আপনি এখনই অত ভাববেন না। নিজের আনন্দে লিখে চলুন।
  • পাগলা গণেশ | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০১:২৩534745
  • বাস্তবিকই গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তা করছি। আমি এর আগে কখনোই গদ্যে কিছুই লিখিনি। তাই আরো বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমি কবিতা দিয়েই শুরু করেছিলাম তো। তাই বছর পাঁচেক লেখার পর ওটাতে আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি।
     
    গদ্য তো সদ্যপ্রসূত কোলের বাচ্চা। তাই একটু বেশিই উদ্বিগ্ন।
     
    অনেক ধন্যবাদ। তবে কখনো কোনো মতামত দিতে কুণ্ঠা বোধ করবেন না।
     
    আর যদি আমি রমস্তনকির সাথে দেখা করি তাকে নিশ্চয় বলব আপনার কথা। বলব যাতে সে ডায়েরীর শুধু মূল অংশগুলো দেয়।
     
    অনেক ভালোবাসা নেবেন।
  • kk | 172.58.242.180 | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০১:২৬534746
  • আরে না, শুধু মূল অংশগুলো কেন? সবই দিন। তাতেই তো একটা মানুষের সাদা, কালো, ধূসর সব দিকগুলো চোখে পড়বে।
    আপনিও ভালো থাকবেন।
  • পাগলা গণেশ | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০১:২৯534747
  • আচ্ছা।
    ঠিক আছে।
    অনেক ভালোবাসা নিবেন।
  • সুধাংশু শেখর | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০১:৫৬534751
  • আমার একটি স্বীকারোক্তি করার আছে। আমি নিয়মিত সব লেখাই পড়ি, আপনার ধারাবাহিকটিও পড়ছি। কিন্তু আমার মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মন্তব্য না করার অর্থ অনাগ্রহ নয়। প্রতিটি পর্ব-ই পড়ি। এটা অবশ্য বলে বোঝানো কঠিন। আপনি লেখাটা অবশ্য শেষ করুন। শৈলী নিয়ে এখন ভাববেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকুন। সঙ্গে আছি।
  • পাগলা গণেশ | ১৬ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৮534764
  • সুধাংশু বাবু অনেক অনেক ধন্যবাদ।আমি চেষ্টা করতে থাকব।
    আপনার ভালো লাগছে তো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন