এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • চিনের সাথে ক্যাঁচাল

    দেব
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জুলাই ২০১৭ | ১৫৬০৪ বার পঠিত
  • ১৯৬২র পর ১৯৮৬-৮৭, তারপর এই ২০১৭ এ এসে আবার চিনের সাথে ভাল রকম ঝামেলা শুরু হয়েছে। সেই একই গপ্পো - জমি কার?

    ঘটনার স্থল সিকিম-তিব্বত-ভুটান এই তিনটি রাজ্য ও দেশ যেখানে এসে মিলেছে সেই বিন্দু এবং তার পূর্বদিকের কয়েক বর্গকিমি ক্ষেত্র নিয়ে। সিকিম এবং তিব্বতের সীমানা ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ভারত ও চিনের রাজার মাঝে হওয়া চুক্তিতে স্থির হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 184.45.155.75 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৫৩367051
  • "আপনি যদি সব সময়েই মন্দা আসছে ঘোষণা করেন একটা সময়ে গিয়ে লেগেই যাবে। একটা বন্ধ ঘড়িও দিনে দু'বার সঠিক সময় দেখায়। কিন্তু আসলে কি কোন দেশে কখন মন্দা আসবে সেটা বলা সম্ভব? না। তাহলে আর মন্দা আসতই না। লোকে সাবধান হয়ে যেত।"

    এইটায় একদম একমত। কিন্তু এটা শুধুমাত্র চীন নয়, আমেরিকার ইকনমি নিয়েও বলা হয়। জাপান বা ইয়োরোপের ইকনমি নিয়ে অতটা বলা হয়্না কেন? কারণ ওদের নিয়ে কেউ ইন্টারেস্টেড নয়। বিগত আট বছরের ওবামা প্রেসিডেন্সিতে লোকে বোধয় গ্লুম অ্যান্ড ডুম টাইপের ইমেল পেয়ে পেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছে। কিছু এক্সপার্ট সবসময়ই এইসব বলে যায়। কখনো কখনো লেগে যায়। লেগে গেলে ইন্টারভিউ, টক শো, স্পীচ, বুক ডীল ইত্যাদি - মানে ভালো আয় হয় এঁদের। না লাগলে কয়েকদিন চুপ থেকে আবার শুরু করে।

    এই ও-ই-সি-ডির রিপোর্টে তো তেমন কিছু দেখছিনা।
    http://www.oecd.org/economy/china-economic-forecast-summary.htm

    এটা ঘটনা যে চীনা ইকনমিতে কিছু জল মেশানো ছিলো, হয়তো এখনো আছে। কম বেশি। কিন্তু চীনের ইকনমি অনন্তকাল ধরে ৮% গ্রোথ দেবে, তা হতেই পারেনা। কেউ ভাবেওনা। একটা খুব বড় কারণ হলো স্কেল। এতোবড় ইকনমির ৫% গ্রোথ মানে ইন্ডিয়ার ইকনমির প্রায় ২০-২৫%। অতেব এখন চীনের ইকনমি ঐধরনেরই গ্রোথ দেবে। গ্লোবাল ইকনমিকে অনেকদিন ধরে টেনেছে। এইবারে অন্য গ্রোথ ইন্জিন খুঁজতে হবে। নইলে মন্দা আসবেই।
  • S | 184.45.155.75 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৫৭367052
  • "দি মিডল কিংডম ইস ব্যাক। উইথ এ ভেনিগ্যান্স।"

    এইরকম কিছু একটা মনে হয় হিটলারও জার্মানদের বুঝিয়েছিলো।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৩৯367053
  • @S - চার্টটা আপনি ঠিক করে খেয়াল করেননি। ১৯৭৮এ বাজার খোলার আগেই মাওএর গোটা শাসনকাল জুড়ে চিনের গড় গ্রোথ রেট ছিল ৭.৩%। প্রায় ঐ একই সময়ে ভারত ৪-৫% রাখতে স্ট্রাগল করেছে। এবং চিন এটা অ্যাচিভ করেছিল ডেসপাইট ওয়াটারটাইট স্যাংশনস বাই ইউএস অ্যান্ড ফ্রেন্ড্স।

    তাহলে চার্টটা ওরকম দেখতে কেন? কারণ কিছুই না। পাতি জ্যামিতি। গ্রোথ রেটের সাথে জিডিপির সম্পর্কটা একটা এক্সপোনেনশিয়াল ফাংশন। কমপাউন্ড ইন্টারেস্ট মনে আছে? এক্সপোনেনশিয়াল ফাংশন গ্রাফে প্লট করলে ওরকমই দেখতে হয়। শুরুর দিকে আস্তে তারপর ঝট করে বেড়ে যাওয়া।

    ১৯৪৯ থেকে ১৯৭৮ এর মধ্যে -

    - চিনের জনসংখ্যা ৫০ কোটি থেকে বেড়ে ১০০ কোটি হয়েছে।
    - গড় আয়ু দ্বিগুণ হয়েছে।
    - স্বাক্ষরতা চারগুণ হয়েছে।
    - জিডিপি পাঁচগুণ হয়েছে।
    - শস্য উৎপাদন চারগুণ হয়েছে।

    আই ক্যান গো অন। কিন্তু এগুলোও আসল জিনিস নয়। আগে কি ছিল আর বিপ্লবের পরে চিনের কি উন্নতি হয়েছে সে কোনও চার্টে ধরা পড়বে না। সামাজিক ক্লিনসিং হয়ে চিন ক্লেদমুক্ত হয়ে মেরুদন্ড তুলে দাঁড়িয়েছে। ও জিনিসের দাম আলাদা। কেএমটির অপশাসন থেকে মুক্তি তো ছেড়েই দিলাম। বিপ্লব না হলে কোরিয়ায় চিন আমেরিকাকে ধোলাই দেবার কথা ভাবতেও পারত না। রক্তের শোধ রক্ত ছাড়া হয় না। হিন্দি সিনেমা না, একদম বাস্তব কথা। ভারতীয়রা সেই সুযোগটা পায়নি এবং আজও আমরা মাথা হেঁট করে দাঁড়িয়ে।

    টু কন্টেক্সচুয়ালাইজ, চিনের মতন আপনি যদি ১৯৪৭ থেকে ভারতের চার্টটা আঁকেন সেটাও হুবহু একই রকম দেখতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ১৯৪৭এর পরে নেহেরুর জায়্গায় গোলওয়ালকর প্রধানমন্ত্রী হলেও কিস্যু পার্থক্য হত না। নেহেরু মাওএর স্তরে পড়েন না। এবং ভারত চিনের থেকে অনেক পিছিয়ে। কিন্তু তাতেও। আশা করি পয়েন্টটা বোঝাতে পারছি।

    চিন বা ভারত কেন মুক্তি পাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজার খুলে হাট করে দেয় নি তার কারণ ছিল। পরে কখনও সেই নিয়ে হবেখন।

    চিনে সত্যিই 'ঘোস্ট টাউন' বলে কিছু নেই। সব হাউসিং প্রোজেক্ট কোনদেশেই সমান সফল হয় না। কিন্তু গোটা শহর বেকার যাওয়া সম্ভব নয়। চিনের ৪৫% মানুষ গ্রামে বাস করেন। এনাদেরকে পার্টি ধরে ধরে নতুন ফ্ল্যাটগুলোতে ঢুকিয়ে দেবে। সাথে ফ্রিজ আর ওয়াশিং মেশিনও দেয় শুনেছি। আর এই পশ্চিমী মিডিয়ার প্রোপ্যাগ্যান্ডা পুনরাবৃত্তি করে কি লাভ? চিন তো আর বড়লোক দেশ নয়। দুর্নীতি, দূষণ, শ্রমিকদের রক্তচোষা এসব থাকবেই। ইউরোপ আমেরিকাতেও ছিল। আমেরিকাও মায়ের পেট থেকে পড়েই ফুলের মতন পবিত্র উন্নত দেশ হয়ে তো আর ওঠেনি। উঠেছে কি? ও সব চিনেও (এবং ভারতেও) আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।

    আর - "জিডিপি গ্রোথকে আর্টিফিসিয়ালি চালু রাখার জন্য" - খেপেছেন না কি মশাই। চিনের মাথাপিছু আয় আমেরিকার তিনভাগের একভাগ। গড় শ্রমিকের প্রোডাক্টিভিটিও তাই। একটা নতুন ব্রিজ বানালেই সেই জেলায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ১০% বেড়ে যায়। চিনের মতন গরীব দেশে 'আর্টিফিসিয়াল' গ্রোথ লাগে না। কারণ চিন ইজ নোহয়্যার নিয়ার ডান গ্রোইং।
  • a | 24.201.129.123 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৫৫367054
  • চায়নাই যাই তাহলে!! দারুন নেমেছে।
  • S | 184.45.155.75 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৭:৩৬367055
  • এইতো এইবারে আবার আপনাকে গ্রোথ রেটও বোঝাতে হবে। ১ থেকে ২ হইলে সেটা ১০০% গ্রোথ হয়। ২ থেকে ৩ হলে ৫০%। ৩ থেকে ৪ হলে ৩৩%। ৪ থেকে ৫ হলে সেটা ২৫%। ৫ থেকে ৬ হলে সেইটা ২০%। তাই ছোটো ইকনমিগুলো সবসময়ই বেশি গ্রোথে রেট দেখায়। অতেব ১৯৭৮এর আগের গ্রোথ রেট হলো স্কেলের ফল।

    ১৯৫২ সালে চীনের জিডিপি ছিলো ৩০ বিলিয়ন ডলার। ১৯৭৮ সালে ২১৮ বিলিয়ন। ১৯৯০ সালে ৪০০ বিলিয়ন। ১৯৯৮ সালে ১ ট্রিলিয়ন। ২০০৮এ ৪ ট্রিলিয়ন। ২০১৬তে ১১ ট্রিলিয়ন।

    আর ভারতের চার্টটাও চীনের মতন - সেটা বোধয় আমার পয়েন্টটাকেই প্রমাণ করে যে ১৯৯০ এর পরেই অর্থনৈতীক উন্নতিটা হয়েছে। ১৯৯০ নাগাদ ভারতের জিডিপি চীনের থেকে খুবেকটা পিছিয়ে ছিলোনা। কিন্তু পরে পার্থক্যটা খুব বেড়েছে।

    ১৯৮১ সালে চীনে পভার্টি রেট ছিলো ৮৮%, এখন বোধয় ৫% এর আশে পাশে।

    "চিন বা ভারত কেন মুক্তি পাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজার খুলে হাট করে দেয় নি তার কারণ ছিল।" এটার বোধয় আলোচোনারই দরকার নেই। এইটা যে ঠিক ডিসিশানই ছিলো - সেইটা আজকে সবাই জানে।

    "রক্তের শোধ রক্ত ছাড়া হয় না।" কি আর বলবো বলুন? তবে চীন নিজেদের স্বার্থেই কোনো বড় কনফ্লিক্টের পথে হাঁটবে বলে মনে হয়্না।

    আর লাস্ট প্যারাটা যে ঠিক লেখেননি সেইটা আপনিও জানেন। পার ক্যাপিটা জিডিপি কম মানেই এই নয় যে একটা ব্রিজ বানালেই (মেটাফরিকালি) গ্রোথ হবে। কারণ পপুলেশন প্রচুর। আর এইসব ঘোস্ট সিটি এক একটা তৈরী করতে নাকি ৫০-১০০ বিলিয়ন খরচ হয়েছে। আর এগুলো যে ঠিক হাউজিঙ্গ প্রজেক্ট নয়, সেটা সবাই জানে। নইলে নিউ ইয়র্ক বা প্যারিসের আদলে শহর তৈরী করার দরকার হতোনা। তবে পরে নিস্চই পপুলেটেড হবে, যতদিনে সেখানে উপার্জন করার বন্দোবস্ত হবে।
  • sm | 52.110.196.20 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:০২367056
  • কিন্তু চীন যে ১১ ট্রিলিয়ন এর ইকোনোমি হয়েছে এটা তো ঠিক।
    এখন দেখতে হবে চীন কতটা ধার করেছে?মানে জাতীয় ঋণ ও পার্সোনাল ঋণ কতটা?তারপর তুলনা হবে উন্নত দেশের সঙ্গে।
    চীনের প্রায় সমান আয়তন কানাডা ,ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ার।
    এদের উন্নতিই বা কতটা?
    দুই,চীনের রাস্তাঘাটের ম্যান শুনেছি খুব ভালো?কতটা সত্যি?
    আমেরিকা উন্নতি শুরু করার পিছনে কিন্তু উন্নত সড়ক ব্যবস্থার একটা বড়ো হাত ছিল।
    তিন,চীন ২০০০০ কিলোমিটার এর ওপর হাইস্পিড রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপান ৫০০০কিমি মতন। চাট্টিখানি কথা নয়। এতো পয়সা পেলো কোথায়?টেকনোলজি ই বা আয়ত্ব করলো কিভাবে?
    ভারতের কথা ধরলাম না কারণ আজ ও মেট্রো রেল ও বুলেট ট্র্যাক করতে উন্নত দেশের মুখাপেক্ষী ।
    আজকেই কাগজে দেখলাম চীন থেকে কিছু মেট্রো রেল এর রেক আসবে ডিসেম্বরে কলকাতায়। তবে কলকাতার একটু সুরাহা হবে।
    চার,দেব লিখেছেন চীন কার্ড খেলে ট্রাম্প জিতলো। এটা বেশ লুজ কমেন্ট। কারণ আমেরিকার মতন একটি বড়ো দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিদেশ নীতি দিয়ে হয় না।
    এখানে ব্যক্তি গত ক্যারিশমা,আগের সরকারের কাজ,প্রতিশ্রুতি রক্ষা,ট্যাক্স ছাড়,হেলথ এর ক্ষেত্রে বীমা ছাড় ,
    ইত্যাদি প্রচুর ছোট বড়ো পয়েন্ট লুকিয়ে থাকে।
  • SS | 160.148.14.151 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:২২367057
  • ওভার অল, প্রচুর তথ্য সহকারে খুব ভাল লেখা। তবে যেটা আসল মেসেজ, চীন আর কয়েক বছরের মধ্যেই বড়দাদা হয়ে যাবে, সেটা নিয়ে নানামত আছে। আমি যেটুকু বুঝেছি, সেটা লিখছি।
    দেখুন, এই বিশ্বের দাদারা, যেমন আমেরিকা কি বৃটেন, এর খালি অর্থ্নীতি বা মিলিটারি মাসল দেখিয়ে দাদা হয়নি। নরমে গরমে মেশানো ফরেন পলিসি দেখিয়ে হয়েছে। এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার বানাতে হবে, আবার সেই সাথে নিজের বর্ডারও খুলে দিতে হবে। নিজের দেশের কাজ অন্য দেশে চলে যেতে দিতে হবে, ওপেন ইমিগ্রেশান পলিসি রাখতে হবে। চীনের এখনো ওপেন ইমিগ্রেশান পলিসি করার মত লাক্সারি নেই। আর কোনোদিন হবে কিনা তাও জোর দিয়ে বলা যায় না। শিপিং চ্যানেল বন্ধ করে দেবার ভয় দেখিয়ে পার্মানেন্ট দাদাগিরি করা যায় না। মানে আজ চীন তো কাল অন্য কোনো দেশ এসে সেই ভয় দেখাবে।
    এই জের টেনেই আসবে গণতন্ত্র। দেব যতই মনে করুন গণতন্ত্র না থাকলে কিছু এসে যায় না, কিন্তু গণতন্ত্র হল সেই এলিট ক্লাব, যা দাদাগিরির জন্যে এশেন্শিয়াল। গণতন্ত্র আর ফ্রি প্রেস না থাকলে ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রেসির এলিট ক্লাবের দরজা বন্ধ। পলিটিকাল ডিসিডেন্টরা নোবেল পিস প্রাইজ আর না পেলেও চাইনিজ সায়েন্টিস্টরাও কেমিস্ট্রি কি অর্থ্নীতিতে নোবেল পাবেন না। আমার ধারণা ভবিষ্যতে চীনের সবথেকে বড় স্ট্রাগল হবে ইন্টার্নাল। যতই বাজার ওপেন হবে, গণতন্ত্রের আইডিয়া জোরদার হবে। আর পলিটিক্যাল ক্র্যাক্ডাউন দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে সেই প্রসেসটা কিরকম হবে। আর একবার গণতন্ত্র এসে গেলে তো হয়েই গেল। চীনের মত ডাইভার্স দেশে প্রসেসটা কিরকম কেওটিক হবে আন্দাজ করা যায়।

    আর ফাইনালি ট্রাম্প। শি যদি ভেবে থাকেন ট্রাম্প হচ্ছেন ট্রাম্প কার্ড, তাহলে শির কপালেও দুঃখ আছে। এখনো পর্যন্ত যারা যারা ট্রাম্পের সাথে ওঠাবসা করতে গেছেন প্রায় সকলেরই ভরাডুবি হয়েছে। খুব বেশী দূর নয়, ট্রাম্প আর ট্রাম্প কথিত রকেট ম্যান এর ভার্বাল ডুয়েলিং এর কথা ভাবুন। নর্থ কোরিয়া যদি সত্যি সত্যি সাউথ কোরিয়া কি জাপান বা গুয়ামে মিসাইল ছোঁড়ে, তারপর সব থেকে বড় বাঁশ হবে চীনের। প্রচন্ড প্রেশার আসবে সব রকম সাপ্লাই লাইন বন্ধ করার জন্যে। আর আমেরিকা দায়ীত্ব নিয়ে সাউথ কোরিয়া আর জাপানকে নিউক্লিয়ার কেপেবল করে দেবে। চাই কি ভিয়েতনাম ও সেই লিস্টে ঢুকে যেতে পারে। সেই ইস্ট এশিয়ার কথা চিন্তা করুন। চীনের জন্যে সেটা খুব সুখের হবে না।
  • S | 184.45.155.75 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:৫৩367058
  • চীনে অন্য কারণে ডেমোক্র্যাসি আসা উচিত। ট্যাক্স। এখনো চীনের ইকনমির একটা বড় অংশ এক্সপোর্ট থেকে আসে। কয়েক বছর আগেও এক্সপোর্ট/জিডিপি ৪০% ছিলো। এখন কিছুটা কমেছে। ডোমেস্টিক কনজাম্পশান সেই তুলনায় কম। এখনো সবথেকে বড় কোম্পানিগুলোতে সরকারী মালিকানা আছে। ট্যাক্স কালেকশন হয়তো এখনো সেভাবে কম। যখন সেটার উপরে নির্ভরশীল হতে হবে, তখন ডেমোক্র্যাসির দিকে ঝুঁকতেই হবে। আর তাছাড়া বর্তমান ব্যবস্থায় বিগত তিন দশক ধরে সব ঠিকঠাক চলেছে। তাই আপাতত এই ব্যবস্থার উপরে সবাই খুশি।
  • sm | 52.110.196.20 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:০৯367059
  • গণতন্ত্র না থাকলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।চীনের অয়েল অর্গানিজড পার্টি বেসড সরকার আছে। তারা যথেষ্ট দক্ষ অভ্যন্তরীণ ও এক্সটার্নাল প্রব্লেম সামলাতে।
    তিয়েন অন মেন্ স্মরণ করুন। সারা পৃথিবী ছিঃ ছিক্কার করেছে কিন্তু চীনের কিছু এসে গেছে কি?
    কেউ কি চীনের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করেছে?
    রেয়ার আর্থ মেটেরিয়াল এর সর্ববৃহত প্রোডাকশন হলো চায়না। সুতরাং চায়না কেও অনেক দেশের দরকার।
    আজ গোটা ইউরোপে চায়না মাল ঢুকছে কীভাবে?
    চায়না, ইউরোপ পর্যন্ত্য রেলপথ করে ফেলছে কিভাবে?নিশ্চয় ঐসব উন্নত দেশ গুলির ও স্বার্থ আছে।
    আর চায়না ফ্রি কান্ট্রি কোনোদিন হবে না। কারণ পপুলেশন বেশি । দক্ষ শ্রমিক ও টেকনোলজিস্ট দের অভাব নেই। সুতরাং ভারত বা ওই ধরণের উন্নয়ন শীল দেশের কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ার এর দরকার নেই।
    যদি কিছু দরকার পরে তখন ভাড়া করে নেবে খন।
    যুদ্ধাস্ত্র ও কিছু কম বানাচ্ছে না। সুতরাং ,ভবিষ্যতে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি করেও কামাতে পারবে।
    শেষে -পরমাণু শক্তিধর দেশ অচিরে অনেক গড়ে উঠবে। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাসও ফেলবে।যে দেশ তার আত্মরক্ষার পদ্ধতি বার করে ফেলবে;সে দেশই ভবিষ্যতের ইতিহাস লিখবে।
  • সুধন্য | 59.36.1.233 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:৩৭367061
  • "তিনিও ম্যাপে গুপি মেরেছিলেন। ম্যাপটা অত্যন্ত ছোট স্কেলে আঁকা হয়েছিল। তাতে উনি সীমারেখাটা আমুর-উসুরির থলওয়েগ বরাবর না দেখিয়ে দেখালেন চিনের দিক বরাবর। অর্থাৎ নদীদুটির মাঝের সবকটি দ্বীপ রাশিয়ার দিকে পড়ে গেল। সেই সঙ্গে আরেকটা স্পেশাল গুপি - আমুর ও উসুরি নদীদুটি যেখানে এসে মিলেছে সেই বিন্দু থেকে প্রায় ৩৫ কিমি আগে আরেকটা সরু নালা নদী দুটিকে জুড়েছে। নালাটির নাম ফুইউয়ান। ফলে এই তিনটি জলধারার মাঝে - আমুর, উসুরি ও ফুইউয়ান - একটা দ্বীপ রয়েছে। চিনাদের কাছে দ্বীপটির নাম 'ভালুক' দ্বীপ। রাশ্যানরা বলে বড় উসুরি দ্বীপ। এটা কিন্তু নদীখাতের দ্বীপ নয়। পিকিং চুক্তির বয়ানে পরিস্কার লেখা ছিল সীমারেখাটা যাবে আমুর ও উসুরি নদী বরাবর, নদীদুটির মিলনস্থল হয়ে। সুতরাং সীমারেখাটি চিনের দিকের তীর বরাবরও যদি ধরা হয় তাহলেও ভালুক দ্বীপ চিনের দিকেই পড়ে। কিন্তু কাজাকেভিচের ম্যাপে এই অংশে সীমারেখাটা দেখানো হল ফুইউয়ান নালাটি বরাবর। ফলে ম্যাপে গোটা ভালুক দ্বীপ চলে গেল রাশিয়ার দিকে। ভয় দেখিয়ে হোক বা ঠকিয়ে কাজাকেভিচ ঐ ম্যাপে চিনা প্রতিনিধিদের সই হাসিল করলেন।"

    এইটা কেমন একটা লাগল । ছোট স্কেলে ম্যাপ এঁকে টুপি খাইয়ে দিল ? অথবা ভয় দেখাল ? এত সহজ নাকি সই করানো ? নাকি চিন তখন সেই ম্যাপ মেনে নিল এবং পরে ডিগবাজি খেল ?
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ২০:০৩367062
  • @সুধন্য - এটা হতে পারে যে কাজাকেভিচও ভুলই করেছিলেন। হয়তো উনি ফুইউয়ান নালাটিকেই ভেবেছিলেন আমুরের মূল ধারা। ওনার উত্তরসূরীরাও সেইটাকে ফলো করে গেছেন। কিন্তু কাজাকেভিচের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। উনি খুব সম্ভবত ওটা ইচ্ছে করেই করেছিলেন।

    আর টুপি পড়ানো নিয়ে এত অবাক হচ্ছেন কেন ঃ)। টুপি পড়ানো এবং পড়া তো মানুষের ধর্ম।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ২১:১৪367064
  • জিনিসটার সম্বন্ধে আমিও শুনেছি। যদ্দুর মনে হয় এটা ক্রেডিট রেটিং টাইপের একটা জিনিস। কিন্তু যদি রিপোর্টগুলো সত্যি হয় তাহলে আমেরিকার এনএসএর মতন একটা ডিপ কভারেজ নেটওয়ার্ক বানাতে চলেছে চিন। এ হবেই। কিছু করার নেই। ভারতেও হতে চলেছে কয়েক বছরের মধ্যে। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই আছে।

    আমেরিকায় সরকারী (এবং বেসরকারী) নজরদারীর বিরুদ্ধে আমজনতার ঘোর বিরোধ আছে। তাই লুকিয়ে করতে হয়। চিনে সেরকম নয় (অন্তত এখনও)। সরকার সবই মনিটর করে। চিনে কিছু কিছু জিনিসের ইতিমধ্যেই ব্যবসায়িক প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে যেগুলো ইউরোপ-আমেরিকায় হলে লোকের অস্বস্তি হতে পারে। যেমন এই সম্প্রতি বড় রেলস্টেশনগুলোতে ফেসিয়াল রেকগনিসন মেশিন বসল। আর মানুষ টিকিট চেকার লাগবে না। টিকিট আর আইডিটা ঢুকিয়ে স্লটে ঢুকিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকান। কম্পিউটার আপনার মুখ দেখে চিনে যাবে আপনাকে। তিন সেকেন্ডে।

    http://www.ecns.cn/2017/10-11/276564.shtml
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ২১:১৯367065
  • ওয়াও!!!!
  • S | 184.45.155.75 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৩৩367066
  • ক্রেডিট স্কোর তো সব দেশেই আছে। আম্রিগাতে তো খুল্লাম খুলাই আছে। ভারতেও আছে - সিবিল স্কোর।
  • Ishan | 180.202.22.2 | ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৩৯367067
  • আমেরিকায় যা যা আছে।
    ১। ক্রেডিট স্কোর/হিস্ট্রি (কেনাবেচাও ইনক্লুডেড)।
    ২। ক্রিমিনাল রেকর্ড।
    ৩। মেডিকাল হিস্ট্রি।
    ৪। ওয়েব সার্চ অ্যাকটিভিটি (গুগল আর ফেবু যত্ন করে জমিয়ে রাখে)।
    ৫। বিবিধ।

    এ দিয়ে কী করা যায়, সে তো অকল্পনীয়। টার্গেটের সেই প্রেগনেন্সির গপ্পো তো সবাইই জানেন। আমার নিজের ক্ষেত্রে কয়েকবার ব্যাঙ্ক আমার আইডেন্টিটি চে্ক করেছে। তাতে বোঝা গেছে আমার সমস্ত ঠিকানা, যাবতীয় গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, সবই ওদের জানা। আর গুগল তো কবেই ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে, ওদের লক্ষ্য হল সকালে উঠে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টকে জিজ্ঞাসা করবেন, 'আজকে কী করা যায় বলো তো'।

    কিন্তু সরকারি স্তরে এই উদ্যোগ এই প্রথম। চিনের সবই অরওয়েলের মতো।
  • SS | 160.148.14.151 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৪২367068
  • বাহ, এই সিভিলিটি স্কোর চালু হলে গণতন্ত্রর দাবী আরো জোরদার হবে। হোক।
    এটা পড়ে বেল রিঙ্গার্স বলে একটা বই পড়েছিলাম, তার কথা মনে পড়ল। হেনরি পোর্টার নামে একজন ব্রিটিশ সাংবাদিকের লেখা ফিকশন। বৃটেনে এই রকম অরওয়েলিয়ান স্টেট চালু হবার গল্প।

    আর NSA এর সার্ভেল্যান্স নিয়ে দেবের কিছু ভুল ধারণা আছে। NSA যে কল মনিটার করে তাতে আমেরিকান সিটিজেনদের নাম মাস্ক করে দেওয়া হয়। কোনো সাসপিশাস কনভার্সেশান থাকলে প্রথমে FBI বা অন্য কোনো ল এনফোর্সমেন্ট কে FISA কোর্টে গিয়ে জাজের থেকে ওয়ারেন্ট জোগাড় করতে হয়। আনমাস্কিং এর রিকোয়েস্ট ফাইল করতে হয় জাজের কাছে। এখনো পর্যন্ত টেররিজম বা ফরেন স্পাইং ছাড়া এই ফাইজা ওয়রেন্ট গ্রান্ট হয়েছে বলে মনে হয় না। অর্থাৎ ব্যাপার্টায় জুডিশিয়ারি ইনভলভ্ড। আর সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে ফোন কনভার্শেসান ফোর্থ অ্যামেন্ডমেন্টের আওতায় পড়ে। মানে প্রপার ওয়ারেন্ট ছাড়া শুধু কনভার্শেশান শুনে কাউকে অ্যারেস্ট করা আন রিজনবল সার্চ অ্যান্ড সিজার। মানে তা হবে অসাংবিধানিক।

    মোদ্দা কথা হল লোকের সোশাল মিডিয়া আর সে কোনো সময় বিল পে করছে দেখে কোনো সিটিজেনকে গ্রেড করা তাও আবার গভর্নমেন্টের ডিসিশান - অরওয়েলিয়ান বললেও কম বলা হয়।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৫২367069
  • ফেসবুকও নাকি সোজাসুজি খোলা যায় না মহান চীন থেকে । ঃ-)
  • aranya | 172.118.16.5 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৮367070
  • দেব, চীন-এর কিছু বড় শহরের, যেমন বেইজিং, দূষণ নিয়ে অ্যালার্মিং খবর মাঝে সাঝে মিডিয়ায় আসে - আকাশে ধোঁয়ার মেঘ, মাস্ক পরে ঘুরছে লোকজন, অক্সিজেন ক্যান বিক্রি হচ্ছে - এগুলো নিয়ে একটু লিখবেন, যদি তথ্য থাকে।
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:২৩367072
  • চীনের এই সিটিজেনের গ্রেডিঙ্গটা মনে হয় তেমন মারাত্মক কিছু না। র‌্যাদার দ্যান বিয়িঙ্গ কন্টিনিউয়াস এই ভেরিয়েবলটা অর্ডিনাল হবে। ভারতেও আছে - বিপিএল। আধার দিয়েও সেইরকম কোথাও একটা যাওয়ার চেস্টা করা হচ্ছে। এরকম দেখলে অনেক দেশেই থাকতে পারে।
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩০367073
  • এইযে এখানে পেয়ে যাবেন এয়ার কোয়ালিটির লাইভ রিপোর্ট। দেখাচ্ছে আনহেল্দি (১২৪)। শাংহাইতে বেটার (৯৪)।

    http://aqicn.org/city/beijing/

    এই সাইট অনুযায়ী ভারতের সবকটি শহরে আরো খারাপ। দিল্লিতে এই মুহুর্তে ২০০ বা তারও বেশি। মনে রাখবেন এখন এই সবকটি শহরে রাত বা সবে ভোর হয়েছে।
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩১367074
  • ফেসবুক কেন, চীন থেকে ছাত্রদের হোমওয়ার্ক সাবমিট করতেও অসুবিধে হয়। কিসব টাইমিঙ্গ আছে ইত্যাদি।
  • Atoz | 161.141.84.119 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৩৭367075
  • কিন্তু মাস্ক পরা মাস্ট অবস্থা হলে সে খুবই ভয়ানক। সে কি আর সাইটে টাইটে দেবে? চেপে দেবে হয়তো।
    যারা আসছেন যাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জানা যায় না? অবশ্য তাঁরাও কি আর বলবেন? বললে হয়তো বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবে ।
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪০367076
  • মুখ ফুটে কি আর বলবে? কিন্তু ক্যানাডা অস্ট্রেলিয়া থেকে তো অক্সিজেন ক্যান যাচ্ছে চীনে।
  • Atoz | 161.141.84.119 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:২৩367077
  • তাই বলুন! হুঁ হুঁ বাবা, বেওসা বলে কথা! সেইজন্যেই কিছু কয় না মিডিয়া। হয়তো প্রফিটাংশ দিয়ে কিনে রেখেছে। ঃ-)
    আর, আফিম? আফিমের ব্যবসা কি এখনও চলে?
  • pi | 24.139.221.129 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:০৯367078
  • দেব, কাল পরশু মেইল করছি।
  • sm | 52.110.198.210 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৯:০৯367079
  • চিনে পলুশন কত সে নিয়ে কুনো মাথা ব্যাথা নাই। কলকারখানার দেশ । দূষণ তো থাকবেই। ক্ষতিগ্রস্ত হলে চীনের জনগণ বেশি হবে। সুতরাং,এটা চাইনিজ গভ নিজের স্বার্থেই সমাধান করতেচাইবে।
    চীনের দুটো বাজে দিক হলো-পৃথিবীর সব বাঘ ওরা মেরে ফেলবে।
    দুই অনলাইনে ড্রাগ বিক্রি।এটাতে চীন অনেক দেশের মাথা ব্যাথার কারণ।পশ্চিমী দেশগুলোতে প্রচুর লোকজন এই ড্রাগের কবলে মারা যাচ্ছে।
    ইন্ডিয়া তেওঁ এই বিপদ হু হু করে ঢুকে পড়বে;আশু কোনো ব্যবস্থা না নিলে।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:৫৮367080
  • চিনের দূষণ মারাত্মক রকমের। বাতাস ও জল দুইই। তবে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সারা পৃথিবীর প্রায় ২৫% শিল্পোৎপাদন চিনে হয়। PPP হিসেবে ধরলে ৩৫-৪০% হয়ে যাবে! কয়েকটা উদাহরণ দিই - সারা পৃথিবীর ৮০% এয়ার কন্ডিশনার, ৭০% মোবাইল ফোন, ৬০% জুতো, ৫০% স্টীল উৎপন্ন হয় চিনে। আর এই বিশাল উৎপাদন প্রক্রিয়া চালাতে সারা পৃথিবীর সর্বমোট বাৎসরিক উৎপাদনের ৫০% কয়লা তুলতে এবং পোড়াতে হয় চিনকে। সারা পৃথিবীর অর্ধেকটা! বেশীর ভাগটাই যায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে পৃথিবীর ২৫% বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চিন। চিনের জনসংখ্যা পৃথিবীর ১৮%। ভারতের সাথে তুলনা করলে এইটুকু বলাই যথেষ্ট যে চিনের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার ভারতের ৫ গুণের বেশী। এর ওপরে সম্প্রতিকালে চার চাকার গাড়ী বেড়েছে অনেক। এখনই প্রতি হাজার লোকপিছু সংখ্যাটা ১৮০ (সামেরিকায় ৮০০, ভারতে ৬০) এবং দ্রুত বাড়ছে।

    বেজিংএ শীতকালে এরকম দশা হয়েছিল ২০০৭এ।



    নিউ ইয়র্কে একইরকম ধোঁয়াশা হত ৫০-৬০ বছর আগে।



    গত কয়েক বছরে চিনের সরকার এইদিকটাতে নজর দিয়েছে। দু'টো জিনিসকে বিশেষ করে টার্গেট করেছে চিন। এক হচ্ছে গাড়ী। বড় শহরগুলোতে বিশেষ করে বেজিংএ অনেক কড়াকড়ি আজকাল। বেজিংএ নতুন গাড়ীর লাইসেন্স দেওয়া অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা লটারী হয়। তাতে নাম লাগলে পেলেন নইলে গেল। লাইসেন্স ছাড়া পিক আওয়ারে ঢোকা বারণ। বেজিংএর ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর প্রধান, সং জিয়ানগুয়ো গত বছর ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স দিচ্ছিলেন, ধরা পড়েছেন। বিচারে যাবজ্জীবন পেয়েছেন।

    https://www.nytimes.com/2016/07/29/world/asia/china-beijing-traffic-pollution.html

    এছাড়া জোড়-বিজোড়ের নিয়ম আছে। ইদানিং দিল্লিতে যেমন হয়েছে। এইসব নিষেধাজ্ঞার বদলে ইলেকট্রিক গাড়ীকে সরকার উৎসাহ দিচ্ছে। ইলেকট্রিক গাড়ীতে এইসব নিষেধাজ্ঞা নেই। চিন বর্তমানে ইলেকট্রিক গাড়ীর বৃহত্তম বাজার। সারা দেশে করতে গেলে অত ইলেকট্রিক গাড়ী বানানো সাসটেনেবল হবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু শুধু বড় শহরাঞ্চলগুলোতে হতেই পারে।

    https://en.wikipedia.org/wiki/Road_space_rationing_in_Beijing

    https://en.wikipedia.org/wiki/New_energy_vehicles_in_China

    তবে ঐ অক্সিজেন ক্যান কেনার গল্পটা গুল। সাধারণ লোকের হুজুগ হতে পারে।

    দ্বিতীয়টা হচ্ছে বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ। দশ বছর আগে পর্যন্ত প্রায় ৮০% বিদ্যুৎ আসত কয়লা পুড়িয়ে। এখন সেটা ৬৬%। বাতাস থেকে আসে ৪%। সৌরবিদ্যুতের পরিমাণটা এখনও কম - < ১% - কিন্তু খুব দ্রুত বাড়ছে। বাজারে ফোটোভোল্টাইক প্যানেলের দাম সম্প্রতি অনেকটা কমে আসায়।





    --------------------------------------------------------------

    চিনের ইন্টারনেট আমেরিকা-ইউরোপের থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। আমেরিকান প্রোপ্যাগ্যান্ডার হাতে দেশবাসীকে মগজধোলাই হওয়া থেকে বাঁচাতে চিন ইন্টারনেটে কড়া নিয়ন্ত্রণ করে। চিনে ব্যবসা করতে গেলে চিন সরকারকে সার্ভারের যাবতীয় তথ্য দেখার অনুমতি দিতে হয়। সেই সঙ্গে যখন যে মুহূর্তে সরকার বলবে অমুক পেজটা নামিয়ে নাও, তক্ষুণি মানতে হবে। অপ্রত্যাশিত ভাবে এর দারুণ একটা সুফল পেয়েছে চিন। ইন্টারনেটে ভারতের নিজস্ব পরিষেবা কিছুই প্রায় নেই। আমরা আমেরিকার সাইটগুলোকে ব্যবহার করি - গুগল, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি। পয়সাটা যায় আমেরিকায় (অ্যাড দিতে)। কিন্তু এত বিধিনিষেধের ফলে চিনে শুরুর থেকে আমেরিকান সাইটগুলো ঢুকতে পারেনি। ফলে স্থানীয় চিনা সাইটগুলো সেই শুন্যস্থানটা দখল করেছে। ইদানিংকালের আমেরিকার সবকটা বড় সাইটের চিনা বিকল্প আছে। গুগল এর বিকল্পে বাইদু, ফেবু/টুইটার - রেন রেন/উইবো, ই-বে/আমাজন - তাওবাও (আলিবাবা কোম্পানীর), হোয়াটস্যাপ - উইচ্যাট, জিমেল - কিউ কিউ (QQ, সঠিক উচ্চারণ নিশ্চিত নই)। দেশের কোম্পানী, ট্যাক্স দেশেই থাকে, দেশের লোকেরই চাকরি হয়। আমেরিকান কোম্পানীগুলির পৃথিবী বিজয় করলেও চিন দরজাগোড়ায় আটকে দিয়েছে।

    তো যেটা শুরু হয়েছিল প্রোপ্যাগ্যান্ডা আটকাতে, সেটার আজকে একটা বাণিজ্যিকে যুক্তি চলে এসেছে। আন্দাজ করতে অসুবিধা হয় না যে ভবিষ্যতে চিনের সরকার ইন্টারনেটে আমেরিকান কোম্পানীগুলোকে খোলাখুলি ঢুকতে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা শুরু করলে এই দেশী কোম্পানীগুলোর থেকে প্রবল বাধা আসবে। হয়তো ইতিমধ্যেই আসছে।

    Atoz যে কথা বললেন, ফেবু চিনে ২০০৯ অবধি ছিল। চিনা আইন মেনেই কাজ করত। ২০০৯এর জুলাইতে চিনের শিংকিয়াং রাজ্যের রাজধানী উরুমকি শহরে উইঘুর জনগোষ্ঠীর সাথে হান জনগোষ্ঠীর প্রবল একটা দাঙ্গা হয়। একটি উইঘুর বিচ্ছিন্নতাকামী দল এতে যুক্ত ছিল। ২০০ মতন লোক মারা যায়। ব্যাপারটা অরগ্যানাইজ করা হয়েছিল ফেসবুকে। তখন চিন সরকার ফেসবুককে বলে যে যে গ্রুপগুলো এতে যুক্ত ছিল সেগুলোকে ব্যান করো। ফেবু আকাশ থেকে পড়ল। "বাকস্বাধীনতা! আমরা দুঃসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই! এরা স্বাধীনতা সংগ্রামী (কথাটা সত্যি)। করবো না ব্যান।" চিন ফেবুকে জুতিয়ে বের করে দেয়।

    http://en.people.cn/90001/90776/90882/6697993.html

    https://en.wikipedia.org/wiki/July_2009_%C3%9Cr%C3%BCmqi_riots

    তারপর থেকে ফেবু কয়েকবার চেষ্টা করেছে চিনে আবার ঢোকার। লাভ হয়নি। কিছুদিন আগে ফেবুর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ শি জিনপিংএর সাথে এক ডিনারে সাক্ষাত হলে মার্ক শি কে অনুরোধ করেন নিজের হবু শিশুর নামকরণ করতে (আয়্যাম নট কিডিং)! মানে "আপনি তো আমার বাবার মতন" অ্যাঙ্গেল। কিন্তু তেল দিয়েও লাভ হয়নি। ফেবু এখনও বাইরে দাঁড়িয়ে।

    http://www.independent.co.uk/news/people/china-s-president-xi-jinping-turns-down-mark-zuckerberg-s-request-to-name-his-unborn-child-at-white-a6679156.html

    প্রসঙ্গত ইন্টারনেটের এই সমস্ত নিয়মকানুন হংকং ও ম্যাক্যাও শহরদুটোর ওপরে প্রযোজ্য নয়।

    শেষকথা, চিন নিয়ে পশ্চিমী মিডিয়ায় যা কিছু ছাপা হয় সেগুলোকে এইভাবে প্রসেস করবেন। যেগুলো হার্ড ফ্যাক্ট (যেমন গত বছর কত ছাগল উৎপন্ন হল) শুধু সেইগুলোকে বিশ্বাস করবেন, কিন্তু পারলে যাচিয়ে নিয়ে। খুব অস্বাভাবিক মনে হলে (ভারতকে রেফারেন্স ধরে নিন, নিজেকে পুঁছুন ভারতে এরকম নিকট ভবিষ্যতে হতে পারে কি না) বিশ্বাস করবেন না।

    যেগুলো পশ্চিমী পন্ডিতদের মতামত, ইন্টারপ্রিটেশন, ফোরকাস্ট, উপদেশ, সেগুলো রিগার্ডলেস অফ টপিক, রিজেক্ট অন অ্যারাইভাল করবেন। সবাইকে। হ্যাঁ এগুলো সবই ধোঁকা। বিশেষ করে গুগল সার্চে যেগুলো প্রথমে আসে। অল্প কিছু ব্যতিক্রম আছে কিন্তু পড়াশোনা না থাকলে ধরতে পারবেন না
  • S | 184.45.155.75 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:৪৬367081
  • আপনি নিজে তো ভুড়ি ভুড়ি পস্চিমী মিডিয়ার লিন্ক দিয়েছেন। হা হা।

    তার মানে যা বুঝলাম আপনার বক্তব্য অনুযায়ী এইসব লিন্কের মধ্যে কোথাও কোনো চীন বিরোধী কথা বার্তা থাকলেই সেটাকে বর্জন করুন, কারণ চীনে কোনো খারাপ কিছু নেই।

    আমার তো মনে হচ্ছে আপনি অলরেডি ব্রেইনওয়াশড হয়ে গেছেন।
  • S | 184.45.155.75 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:৫১367083
  • আর আপনার ১৫০ বছরের পুরোনো রক্তের পরিবর্তে এখন রক্ত চাই টাইপের কথাবার্তাটাও বেশ মজার এবং ভয়ের। মানে এখন চীন যেসব যুদ্ধ টুদ্ধ করবে তার দোহাই দেওয়া হয়ে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন