এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • চিনের সাথে ক্যাঁচাল

    দেব
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জুলাই ২০১৭ | ১৫৬০৫ বার পঠিত
  • ১৯৬২র পর ১৯৮৬-৮৭, তারপর এই ২০১৭ এ এসে আবার চিনের সাথে ভাল রকম ঝামেলা শুরু হয়েছে। সেই একই গপ্পো - জমি কার?

    ঘটনার স্থল সিকিম-তিব্বত-ভুটান এই তিনটি রাজ্য ও দেশ যেখানে এসে মিলেছে সেই বিন্দু এবং তার পূর্বদিকের কয়েক বর্গকিমি ক্ষেত্র নিয়ে। সিকিম এবং তিব্বতের সীমানা ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ভারত ও চিনের রাজার মাঝে হওয়া চুক্তিতে স্থির হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SS | 160.148.14.130 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:২৬367084
  • হ্যাঁ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়ার খবর বিশ্বাস করবেন না, খালি গভর্নমেন্ট কনট্রোলড তোতাপাখি ওরফে শিনহুয়া নিউজে বিশ্বাস করবেন।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:৫৩367085
  • আমায় দোষ দিয়ে কি লাভ বলুন? এত বছর ধরে পাবলিককে টুপি পড়িয়ে এলে আর বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে? খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কি বলেছেন শুনেছেন তো? "ফেক নিউস"। ভাবুন! তাহলে? ওনার আর যত কীর্তিকলাপ থাকুক না কেন এই কথাটা ভুল বলেননি।

    তবে হ্যাঁ এটা মানতে হবে যে নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রোপ্যাগ্যান্ডা জিনিসটাকে আর্টের স্তরে নিয়ে গেছে। চিনা মিডিয়া ওর কাছে তুশ্চু। রাশিয়া কিন্তু কায়্দাটা কিছুটা আয়ত্ত করেছে ইদানিং (RT চ্যানেল)। ভারতের মিডিয়াও ভালই পারে কিন্তু ভারতকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না এই যা।
  • de | 69.185.236.51 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:৫৯367086
  • বিদেশনীতি, ইতিহাস আর ভূগোলের একটা মারকাটারি কম্বিনেশন হয়েছে লেখাটা! এই লেখাটা আমার পড়া গুরুর সেরা বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ! সময়ে সময়ে চীনা বায়াস দেখতে পেয়েছি বলে মনে হলেও, এই মাপের একটা লেখা, সম্পূর্ণ সরসতা বজায় রেখে লেখার জন্য সিমপ্লি আলাদা ক্ষমতা লাগে।

    দেব - আপনাকে অনেক ধন্যযোগ, এই লেখার জন্যে। আপনি নিশ্চয়ই দীর্ঘদিন ফরেন সার্ভিসে কাজ করেন বা করতেন!
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২০:০৪367087
  • খোদ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কাদেরকে "ফেক নিউজ" বলেছেন জানেন তো? যারা উনার সমালোচোনা করেছেন বা করেন। আপনিও কি তাই বলছেন?
  • SS | 160.148.14.130 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২০:২৪367088
  • একটাই কথা বলতে চাই। ওয়ার্ল্ড লীডার হতে গেলে ফ্রি প্রেস ছাড়া হবে না। ও জিনিসের স্বাদ যে বুঝেছে সে কখনো গভর্নমেন্ট কল্ন্ট্রোল্ড নিউজে ফিরে যাবে না। প্যান্ডোরা'স বক্স। একবার খুলে ফেললে ব্যাস। নো টার্নিং ব্যাক।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২০:৫৩367089
  • @S - রিগার্ডিং বদলা - বদলার কথা শুনে অস্বাভাবিক লাগার কি আছে? এতো একদম বেসিক হিউম্যান ইন্সটিন্ক্ট। ভুল বলছি কি?

    হ্যাঁ সবার সুযোগ হয় না। আর সুযোগ হওয়া মানেই যে যুদ্ধ লাগবেই এমন নয়। আপনিই বোধহয় লিখেছিলেন - পরমাণু বোমার জন্য আজকাল আর যুদ্ধ লাগা সম্ভব নয় - ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ২০৫০ এর পরেও চিন কোরিয়ায় আমেরিকাকে বসে থাকতে দেবে। নিজের দেশ আর সাম্রাজ্যের সুদূরপ্রান্তের ভ্যাসাল তো আর এক জিনিস নয়।

    চিনারা অবশ্য মনে করেন অতদূর যেতে হবে না। চিনারা আশা করেন আমেরিকা অতটাও আনরিজনেবল নয়। আর কয়েক বছরের মধ্যে আমেরিকাই গিয়ার চেঞ্জ করে চিনকে অ্যাকোমোডেট করতে শুরু করে দিতে পারে। এক শতাব্দী আগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য যেমন উঠতি আমেরিকাকে করেছিল।

    @SS - গণতন্ত্র আর ফ্রি প্রেস নিয়ে লিখছি। এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৪৩367090
  • মহান চীনের লোকেরা যদি এতই খুশি থাকেন আর তাঁরা নিজেদের ইতিহাস, ভুগোল, রাজেনীতি, সবকিছু সম্বন্ধে যদি এতোটাই ওয়াকিবহাল হয় তাহলে পস্চীমের ফ্রি প্রেসে বায়াস্ড কথাবার্তা নিয়ে তো চীনা প্রশাসকদের এতো চিন্তা করা উচিত নয়। তাহলে এতো সেন্সরশীপ কেন?
  • S | 202.156.215.1 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৪৬367091
  • অন্য একটা গল্প লিখি। আমার একজন চৈনিক কোহর্টের সঙ্গে একবার কথা হচ্ছে চীন নিয়ে। ইনি কিন্তু প্রচন্ড প্রো-চিন। মানে ঝগড়ার লেভেলে চলে যান। একটা জিনিস দেখেছি যে যাঁরা ডেমোক্র্যাটিক দেশ থেকে আসেনা, তাদের অনেকের মধ্যেই ডেমোক্র্যাসি নিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের ব্যাপার থাকে। মানে বক্তব্যগুলো এরকম যেঃ তোমাদের দেশেও তো ডেমোক্র্যাসি নেই, বা ডেমোক্র্যাসি থেকেও কি লাভ, বা ডেমোক্র্যাসি ইজ ওভাররেটেড।

    তা এই ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথা হচ্ছে। তার বক্তব্য হলো ডেমোক্র্যাসি থেকেও বা কি লাভ হতো। আমি বললাম যে ফ্রিডম তো খুব ইম্পর্ট্যান্ট। তিনি জানালেন যে চীনে তার সব ফ্রিডম আছে। আমি জিগালাম যে চীনের যেকোনো জায়্গায় তুমি যেতে পারো উইদাউট পার্মিশন। তিনি জানালেন যে না, কিন্তু তিনি জানেন যে ইন্ডিয়াও কোথাও পার্মিশান ছাড়া যাওয়া যায়্না। আমি বললাম কই সেরকম না তো। আমি তো যেকোনো জায়্গায় যেতেই পারি, কোথাও কোনো পার্মিশন লাগেনা। জিগালেন কি করে যাও। আমি বললাম টিকিট কেটে বাসে, ট্রেনে, বা প্লেনে চড়ে বসি। তা তিনি সেটা কিছুতেই মেনে নেবেন না। বুঝলাম বহুদিন ধরে মগজ ধোলাইয়ের ফল।
  • T | 129.74.180.59 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২১:৫৭367092
  • পশ্চিমি প্রেস, আমেরিকা, গণতন্ত্র, ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান, মিডল ইস্ট, হিলারী, আরটি নিউজ ইত্যাদি বক্কাবাজি সেই ট্রাম্পের ইয়ের সময় থেকে চলছে। আর তো পারা যায় না। দূর বাবা। গণতন্ত্র ছাড়াই চীন যা অ্যাচিভ করেচে সে তো চরম, আর অন্যদিকে ভারত অ্যাদ্দিন গণতন্ত্র মাড়িয়েও তার ধারে কাছে নেই। গণতন্ত্র ভালো না খারাপ এই সব না করে বরং দেবকে অনুরোধ করব চীন নিয়ে লেখাটা চালিয়ে যেতে। চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে।
  • দেব | 57.11.197.35 | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ২২:৫৮367094
  • "পস্চীমের ফ্রি প্রেসে বায়াস্ড কথাবার্তা নিয়ে তো চীনা প্রশাসকদের এতো চিন্তা করা উচিত নয়।"

    আমেরিকার বেশী পয়সা যে। যে বড়লোক তার কথা লোকে সিরিয়াসলি নিয়ে নেয়। ঐজন্য। এখনও অবধি চিন যুক্তিতথ্য দিয়ে কাউন্টার করে। আর কিছুদিন যেতে দিন আমেরিকা মুখ খুললে চিন থেকে টিটকিরি ভেসে আসতে শুরু করবে। অলরেডিই আসছে। ভারতীয়দের যেভাবে আজকাল চিনারা ট্রিট করেন - উইথ ডিসডেইন। মকারি ইজ আ গ্রেট আই ওপনার।

    আর বায়াসড কথা লেখেই বা কেন? অ্যাজেন্ডা আছে বলে? অবশ্যই। কিন্তু সেক্ষেত্রে 'ফ্রি প্রেস' বলে চক্ষুনিমীলিত করলে চলবে না। কোদালকে কোদাল বলাটা বাঞ্ছনীয়।

    গড় আমেরিকানরা গড় চিনাদের সমান মগঝধোলাই হয়ে আছেন 'ফ্রি প্রেসের' বদান্যতায়। নইলে ইরাক হত না। তবে চিন্তা নেই। আস্তে আস্তে চোখ খুলে যাবে।
  • S | 202.156.215.1 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৮367095
  • "আমেরিকার বেশী পয়সা যে। যে বড়লোক তার কথা লোকে সিরিয়াসলি নিয়ে নেয়। ঐজন্য।"

    এই একই কথা কি চীন আর ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? যেহেতু চীনের বেশি পয়সা তাই তারা এখন মক করতে পারছে ভারতীয়দের। নইলে সবই ঢপ।

    আমেরিকান আর চীনাদের মধ্যে পার্থক্য একটাইঃ আমেরিকানরা অন্তত এখন বোঝেন এবং বলেন যে ইরাকের যুদ্ধে গিয়ে ভুল হয়েছিলো। চীনাদের মধ্যে তিয়েনমান নিয়ে সেই ধরনের উপলব্ধি কবে আসবে সেটাই দেখার।
  • S | 202.156.215.1 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৯367096
  • আর ডোকালাম বোধয় টেস্ট ড্রাইভ ছিলো। সবাই (ইনক্লুডিঙ্গ ভারত) দেখে নিলো যে চীন কতদুর একটা কনফ্লিক্ট নিয়ে যেতে পারে।
  • S | 202.156.215.1 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০১:২২367097
  • টইয়ের নাম চীনের সাথে ক্যাঁচাল। ভারত, জাপান, কোরিয়া, আমেরিকার সাথে। তাই "পশ্চিমি প্রেস, আমেরিকা, গণতন্ত্র, ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান, মিডল ইস্ট, হিলারী, আরটি নিউজ" এগুলো আসবেই।

    নইলে টইয়ের নাম বদলে লিখে দিলেই হতোঃ "চীনের সব ভালো। সেগুলো লিখছি। কারো আপত্তি থাকলেও জানাবেন না"।

    দেব বাবুর লেখায় প্রচন্ড চীনা বায়াস আর অ্যান্টি আমেরিকা-পস্চীম (এমনকি অ্যান্টি ভারত) সেন্টিমেন্ট পেলেও উনাকে তো কখনো এইসব আলোচোনার থেকে দুরে থাকতে দেখিনি। কারণ উনি জানেন যে এগুলো ঐ একই আলোচোনার অঙ্গ। কারণ এটা গপ্প কথা নয়, লেখার স্টাইলটা সেরকম হলেও।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৮367098
  • পুরাতন সোভিয়েত বিষয়েও এককালে এরকম শোনা যেত ।
    " নাহি রবে হিংসা-অত্যাচার নাহি রবে দারিদ্র্য যাতনা, যাও সবে নিজ নিজ কাজে"। ঃ-)
    তারপরে যা হইল শ্যামলাল তো জানেই, অন্যরাও জানে।
  • de | 24.139.119.171 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১০:৫৪367099
  • বড়েসের আলোচনা ঠিকই আছে - এই অ্যাঙ্গেলটা না এলে টইটা একটু একপেশে হয়ে যেতো -
  • b | 135.20.82.164 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১১:১৯367100
  • মক করা নিয়ে চিন্তিত নই। সবাই সবাইকে নিয়ে মক করে। সবারই নিজেদের ইস্পেশাল হনু (এইচ নন) ভাবার ওব্যেস। কি করা যাবে।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:৩৬367101
  • @S - "এই একই কথা কি চীন আর ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? যেহেতু চীনের বেশি পয়সা তাই তারা এখন মক করতে পারছে ভারতীয়দের। নইলে সবই ঢপ।"

    অবশ্যই। নাথিং সাকসিডস লাইক সাকসেস। করে দেখাতে না পারলে সব থিওরীই ফেল।

    তবে এখানে একটু পরিস্কার করে লিখি নইলে ভুল বোঝার সম্ভাবনা হতে পারে। মক করার কথা বলছিলাম মুখ খুললে তখনই। এমনি এমনি না। আমেরিকার তুলনায় ভারতীয়রা অবশ্য কোনদিনই চিনকে খুব একটা ভাষণ দিত না। তবে অল্প কিছুটা দেয়, পিপল টু পিপল লেভেলে বিশেষ করে ইন্টারনেটে আজকাল।

    আমেরিকায় শিক্ষিতদের মধ্যে একটা সাইজেবল অংশ আছেন যারা ইরাক (এবং অন্যান্য) অপরাধগুলোর ব্যাপারে বোঝেন। সে চিনেও আছেন (অবশ্য ইরাক তিয়েনানমেনের চেয়ে অনেক বড় অপরাধ)। কিন্তু তাতে কিস্যু লাভ হয়নি। সাম্রাজ্য নিজের প্রয়োজন বুঝে চলে। 'ফ্রি প্রেস' তার প্রোপ্যাগ্যান্ডার দায়িত্ব নেয়। সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন চলতেই থাকে। সে চলুক প্রকৃতির নিয়ম। আজ আমেরিকা করছে কাল চিন বা XYZ দেশ করবে। কিন্তু 'ফ্রি প্রেস' বা গণতন্ত্র দিয়ে যে এগুলো আটকানো যাবে না সেটাকে স্বীকার করাটা জরুরি।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:৩৭367102
  • @SS - গণতন্ত্র এবং স্বাধীন সংবাদপত্র - চিন নিয়ে আলোচনায় এই দুটো অত্যন্ত মোক্ষম প্রশ্ন। সম্প্রতিকালে এই দুটো কনসেপ্টই মারাত্মক অ্যাবিউজ হয়েছে। ইরাক দখলের জন্য আমেরিকা 'গণতন্ত্র' ও 'স্বাধীনতা' প্রতিষ্ঠার অজুহাত দেওয়ায় দুটো কনসেপ্টই আজ কলুষিত। কিন্তু পশ্চিমী মিডিয়ায় এই দুটোকে নিয়ে যে খেউরি হয় সে নিয়ে আমাদের ভাবার দরকার নেই। সরাসরি দেখা যাক। আমার ব্যাক্তিগত মতামত হচ্ছে এইরকম -

    প্রথম স্তর - কোন ধরনের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা একটা দেশের পক্ষে সবথেকে ভাল? অভিজ্ঞতা বলছে (শুধু থিওরী নয়) ধনতন্ত্র উইথ সার্টেন এলিমেন্ট্স অব সমাজতন্ত্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো এবং এদের সাথে সম্প্রতি আরেকটা যোগ হয়েছে - পরিবেশ - এগুলোতে সোশ্যাল সেফটি নেট। লক্ষ্য করুন এখানে একটা কন্ট্রাডিকশন আছে। ধনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র মেশে না।আংশিক ভাবেও না। ধনতন্ত্রের কোন দায় নেই আমজনতার মঙ্গল করার। সরকার আটকে না রাখলে ধনতন্ত্র এই সেফটি নেটগুলোকে এক এক করে ভাগিয়ে দেবে। ট্রিকল ডাউন বলে কিছু হয় না। এতে ধনতন্ত্রকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। ইটস জাস্ট দা ওয়ে ইট ইজ। কিন্তু মোদ্দা কথা এই মিশ্রণটা স্টেবল নয়। কন্টিন্যুয়াস ব্যাটল।

    দ্বিতীয় স্তর - কোন ধরণের নেতৃত্ব দেশে এইরকম একটা সিস্টেম মেনটেন করতে পারে? এগেন, অভিজ্ঞতা বলছে মোটের উপর সৎ, বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, দূরদর্শী লোক হলেই হল। তেনারা ভোটে জিতে আসুন বা যুদ্ধে জিতে কিছু যায় আসে না, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চিন নিজে, তার কমপ্রিহেনসিভ ডেমনস্ট্রেশন দিয়ে দিয়েছে।

    তৃতীয় স্তর - এইধরনের নেতৃত্বের হাতেই যে শাসনক্ষমতা থাকবে এইটা কি করে নিশ্চিত করা যাবে? চিনের বর্তমান নেতৃত্ব যতই কর্মঠ হন এনারা আজ বাদে কাল পটল তুলবেন। তারপর? এইখানটাতে পিকচারে গণতন্ত্রের প্রবেশ। যুক্তি হচ্ছে - এক - গণতন্ত্র বাই ডিজাইন ভাল নেতা তুলে আনে। কারণ লোকে নিজের ভাল বোঝে। সুতরাং তারা নিজেরাই সেরকম নেতা নির্বাচন করবেন। দুই - যদি পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যায়, ভোট হচ্ছে শেষ সেফটি নেট। আপনি ভোট দিয়ে তাড়াতে পারবেন।

    এবার এই গণতন্ত্রকে আরো জোরদার করার জন্য কিছু অ্যানসিলিয়ারী জিনিসপত্র আছে। ফ্রি প্রেসটা তার মধ্যে পরে। এছাড়া ডিভিশন অব পাওয়ার আছে (স্বাধীন বিচারবিভাগ), মেয়াদসীমা, বয়সসীমা আছে। তবে এগুলো যে শুধু গণতন্ত্রে সাথেই থাকতে পারে এমন কোন কথা নেই।

    প্রথম দু'টো স্তর নিয়ে চিনের সাথে বাকীদের নীতিগত কোন পার্থক্য নেই, দু'পক্ষই এতে একমত। পার্থক্যটা শুধু মাত্রার। দ্বিমত রয়েছে তৃতীয় স্তরে। এইখানে চিনাদের যুক্তিটা বেশ সোজাসাপটা। চিনাদের ব্যাপার হচ্ছে শুধু মেটাফিজিক্স দিলে চিনারা মানবেন না, একটা থিওরী শুনতে ভাল হলেই হল না। প্রমাণ চাই, ডেমনস্ট্রেশন চাই।

    এবার আমার ব্যাক্তিগত মতামত নয় চিনারা কি বলছেন শুনুন। ওনারা বলছেন দেখো সবই তো বুঝলাম কিন্তু থিওরী আর বাস্তব যে মিলছে না। এশিয়া, আফ্রিকার অনেক গরীব দেশেই গণতন্ত্র অ্যাডপ্ট করেছে, করে কিস্যু লাভ হয় নি। চিন উন্নত দেশ নয়। সুতরাং ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার সাথে তুলনা করে লাভ নেই। চিনের তুলনা হতে পারে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কেনিয়ার সাথে। এগুলোতে গণতন্ত্র থেকেও ক্লাস্টারফাক হয়ে আছে। চিনের পারফরম্যান্স সে তুলনায় অনেক ভাল। তো আমরা এই সিস্টেম অ্যাডপ্ট করতে যাব কেন?

    মোক্ষম যুক্তি, টু বি অনেস্ট।

    ফ্রি প্রেস নিয়ে এরিক লি বলছেন - "অত্যধিক ট্রান্সপারেন্সি ভাল জিনিস নয়। সরকারের সব কর্মপদ্ধতি, সিদ্ধান্ত, অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনা এগুলো হাট করে খুলে দিলে বিপদ আছে। কি বিপদ? ওয়েল...ইন্টারেস্ট গ্রুপস। যদি আপনি সবকিছু সবাইকে জানিয়ে করেন সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারেস্ট গ্রুপ তৈরী হয়ে যাবে। এরা সিস্টেমটাকে গেম করতে শুরু করবে। প্রোপ্যাগান্ডা হবে। লবিবাজি হবে। আমজনতার এত সময় বা পয়সা নেই যে এগুলোকে খুঁটিয়ে দেখতে পারে। ফলে এই গ্রুপগুলো চেটে ফাঁক করে দেবে।"

    নো কমেন্টস।

    ফাইনালি, আপনি যেটা বললেন, আগামী দিনে চিনারা পয়সা করার সাথে সাথে গণতন্ত্র ও ফ্রি প্রেসের দাবী উঠতে শুরু করবে - সেটা হতে পারে। কিন্তু চিনে যদি কোনদিন গণতন্ত্র আসেও আই ক্যান অ্যাসিয়োর ইউ ভূরাজনৈতিক সমীকরণ হুবহু একই থাকবে।
  • de | 69.185.236.51 | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৪৬367103
  • de | 69.185.236.51 | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৪৮367105
  • জলসম্পদ নিয়ন্ত্রণে চীনের রোল নিয়ে দু চার পয়সা হবেনা?
  • দেব | 135.22.193.149 | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:২৩367106
  • "মনে রাখা জরুরি কাশ্মীরের একাংশ চিন দখল করে রেখেছে। সেখান দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে পাকিস্তানের সাথে সংযোগকারী সড়কও বানিয়েছে চিন।" - লিখছেন কিংশুক বন্দোপাধ্যায়।

    এই গোপাল ভাঁড়কে নিয়ে কি আর বলব বলুন। আকসাই চিনের গপ্পো ওপরে বিস্তারে লিখেছি। আর কথা বাড়াচ্ছি না। তবে ইনি রাস্তাটাও গুলিয়েছেন। চিন-পাকিস্তান সংযোগকারী কারাকোরাম মহাসড়ক গিলগিট-বাল্তিস্তানের মধ্যে দিয়ে। আকসাই চিন নয়। আকসাই চিনের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তাটি চিন ১৯৫০এর দশকে বানিয়েছিল (যেটা নিয়ে ঝগড়ার প্রাথমিক সূত্রপাত) তার সাথে পাকিস্তানের কোন সংযোগ নেই। ওটা চিনের ভেতরের রাস্তা।

    জলসম্পদ নিয়ে ভারতের উত্তেজিত হবার কিছু নেই। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপরে ভারতের বিশেষ কিছু নির্ভরতা নেই। উত্তর-পূর্ব ভারত এমনিতেই বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বাম্বু হতে পারে বাংলাদেশের। উপস। বাংলাদেশকে তো আসল ঝাড়টা চিন দেয়নি। ওটা ভারত দিয়েছে। গঙ্গা আর তিস্তার জল আটকে দিয়ে। এবং বাংলাদেশের ভেতরের রাজনীতিতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ আছে এই কারণে। একপাতা জোড়া এই হ্যাজের ভেতরে কোথাও এই কথাটা কিন্তু লেখা নেই। হিপোক্রেসি?

    যদ্দুর আমি জানি এরকম কোন প্রোজেক্টের কথা চিনে অ্যাপ্রুভ্যালের কাছে নেই। যেদিন হয় সেদিন দেখা যাবে। আন্তর্জাতিক কিছু গাইডলাইন আছে। সেগুলোর ভিত্তিতে এগুলো স্থির করা যায়।

    https://en.wikipedia.org/wiki/Berlin_Rules_on_Water_Resources

    https://en.wikipedia.org/wiki/Convention_on_the_Law_of_the_Non-Navigational_Uses_of_International_Watercourses

    লেখক আরো অনেক হেজিয়েছেন। ঐ একদম শুরুতেই যেটা লিখেছিলাম - ভারতীয় মিডিয়া চিনের ব্যাপারে একেবারে কাছাখোলা এই লেখাটি তার একটি স্পেসিমেনবিশেষ। সিরিয়াসলি।
  • sm | 52.110.195.239 | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:৫১367107
  • কিন্তু দেববাবু;ভারতের দিকে গঙ্গায় তো জল ই নেই। তিস্তায় একই অবস্থা!এনটিপিসি জলের অভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
    বাঙলাদেশ কে সাধ্যের অতিরিক্ত জল দেওয়া হচ্ছে। অন্তত জ্যোতিবাবু সেই চুক্তি করে গেছেন। মমতা, তিস্তা নিয়ে এখনো রাজি হয় নি।
    কথা হলো বাংলাদেশেও তো জল সম্পদ কম নয়।
    আর ওদের প্রচার মাধ্যম পুরো দেশ কে প্যারানয়েড করে রেখেছে। এস ইফ ভারত পুরো বাংলা দেশ কে শুকনো করার চক্রান্তে নেমেছে।
    এ হেন বাংলাদেশ কে যতই জল ছাড়া হোক; সন্তুষ্ট করা যাবে না। সুতরাং কি ভাবলো ,না দিলে কি হবে -এতো ভাবলে অন্তত ভারতের মতন দেশের চলে না।
    তবে একথা ঠিক;ভারত কতটা বাম্বু দিচ্ছে সেটা জানালে ভালো হয়।
  • দেব | 135.22.193.149 | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:৩৬367108
  • ঐটাই সমস্যা। জল নিয়ে ঝগড়া প্রতিবেশী দেশের মধ্যে থাকবেই। যেটা দরকার সেটা হচ্ছে খবরের কাগজে লেভেল হেডেড রিপোর্টিং। প্যারানয়েড রিপোর্টিং আরো ঘুলিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তব এটাই যে ভারতও এই সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। কিন্তু যে প্রোজেক্টের অস্তিত্বই নেই তাকে নিয়ে এই একপাতা জোড়া হ্যাজ নামালে কি বলা যাবে?

    তিস্তার জলবন্টন নিয়ে বাংলাদেশে গরমের মরসুমে ভাল সমস্যা আছে। দু'পক্ষেরই জল চাই। কিন্তু কোন ডিল ছাড়াই ভারত জল আটকে রাখছে এখন। হয়তো একটা কিছু চুক্তি নিকট ভবিষ্যতে হয়ে যাবে। কিন্তু হিপোক্রেসিটা এইখানেই। ভারতের কোন শখ নেই বাংলাদেশের ক্ষতি করার। বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে। চিনেরও সেরকমই।
  • | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:৪৯367109
  • আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী একঘটি জল থাকলে সেটারই ভাগ দেবার কথা না?
  • S | 184.45.155.75 | ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৫367110
  • কিন্তু দেব বাবু, ব্রহ্মপুত্র নদী চীনের যেখান দিয়ে গেছে (জ্যাঙ্গবো), সেখানে তো চীনের কোনো পপুলেশন আছে বলে মনে হয়না। পুরো তিব্বতে মনে হয় ৩০ লাখ লোক থাকে। আর ম্যাপ দেখে তো মনে হচ্ছে না যে সে নদী সিজুয়ানকে বা ইউনানকে টাচ করছে। চীনের এই পলিসিটা তো মনে হয় কিছুটা স্ট্র্যাটেজিক, কিছুটা ভারতকে শিক্ষা দেওয়া, আর বাকিটা দাদাগিরি।
  • দেব | 57.11.233.45 | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:০২367111
  • @S - যেটা শুনছি পাইপলাইনে করে যেমন তেল নিয়ে যাওয়া হয় সেরকম জল নিয়ে যাওয়া হবে উত্তরে জলঘাটতি শিংকিয়াং রাজ্যে। ১০০০ কিমি লম্বা পাইপলাইন। চিনে দক্ষিণের ইয়াংজি নদী থেকে উত্তরে জল নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি খাল ইতিমধ্যেই কাটা হয়েছে বা কাজ চলছে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নিয়ে এরকম কোন প্রোজেক্ট সরকারী স্তরে ঘোষিত হয় নি। বাতাসে গপ্পো উড়ে বেড়াচ্ছে বহুদিন ধরেই। আমি অন্তত ১০-১৫ বছর আগের আর্টিকলও দেখেছি ব্রহ্মপুত্র নিয়ে চিন কি না কি করে বসবে সেই নিয়ে গুজব। ওদিকে ডোকলাম নিয়ে ভারতকে একপ্রস্থ শিক্ষা চিন ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। হাফিদ সইদের পর মাসুদ আজহার নামক রত্নটিকে ইউ এনে প্রোটেকশন দিয়ে।

    ইতিমধ্যে ডোনাল্ডবাবু চিনে ঘুরে এলেন। রাজকীয় খাতির পেয়েছেন। চিন নিয়ে এত গর্জনবর্ষণ যে সবই মায়া আবার প্রমাণ হল। সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলারসন এই বছরের শুরুর দিকে হুমকি দিয়েছিলেন - "আমরা চিনকে পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, এক - দক্ষিণ চিন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ বানানো চলবে না আর দুই - ঐ দ্বীপগুলিতে চিন আর ঢুকতে পাবে না"। দু'মাস বাদে চিন সফরে গিয়ে - "আমরা চিনের সাথে বিবাদ না করে পারস্পরিক সমঝোতার মধ্যে দিয়ে কাজ করতে চাই"। তিনমাসে বাদে ভারতে এসে - "চিনকে আটকাতে আমরা ভারতকে দলে চাই"। আবার তার একমাস বাদে ডোনাল্ডবাবু এই চিনে গিয়ে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের (!) বাণিজ্যচুক্তি করে এলেন।

    http://www.scmp.com/news/china/diplomacy-defence/article/2119046/xi-trump-sign-trade-deals-worth-us280-billion-sources

    মানে ভারতের নেতাদের সাথে আমেরিকান নেতাদের একটা জায়গায় কোন পার্থক্য নেই - প্লেয়িং টু দা গ্যালারী। যখন যে ফোরামে যে বচনে কাজ হয় সেই দাবী করে দাও। কে দেখতে যাচ্ছে আসলে কি হল? টিপিপি হাওয়ায় উড়ে গেল ওদিকে চিনের সাথে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের ডিল! এরপর যদি কেউ আশা করে যে আমেরিকা চিনের সাথে মারপিটে যাবে তালে আর কিছু বলার নেই। এগুলো এবার ভারতীয় কমেন্টেটরদের বোঝার সময় এসেছে।

    ভাল কথা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের একটি ছ'বছরের মেয়ে আছে - অ্যারাবেলা - ডোনাল্ডবাবুর নাতনী। সে ক'মাস আগে শি জিনপিং এবং তার স্ত্রী পেং লিউয়ানকে উদ্দেশ্য করে গান গেয়ে শুনিয়েছে, চিনা ভাষায়!



    বাচ্চাটা সম্বোধন করছে - "শি দাদু, পেং দিদা" বলে। অর্থাৎ প্রাচ্যের সভ্যতায় অনাত্মীয় বয়স্কদেরও আত্মীয়বাচক বিশেষ্যভূষিত করার যে প্রথা আছে, সেটা মা শিখিয়েছে। তা এহেন পরিবারকে চিন খাতির করবে না কেন!
  • S | 184.45.155.75 | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:৫২367112
  • চীন তো ভুলে যান, আম্রিগা এখন নিজে থেকে উঃ কোরিয়া বা ইরানের সাথেও মনে হয় না যুদ্ধে যাবে। ইরাকের পরে যুদ্ধ লবি খুব দুর্বল, আর জনমানসেও তেমন সমর্থন নেই।

    ট্রাম্পও গ্যালারি খেলছে। দেশের জনগনকে বলে হ্যান করেঙ্গা, ত্যান করেঙ্গা। কিন্তু চীনে গিয়ে কোনো ট্যাঁ ফোঁ করেনি।
  • S | 184.45.155.75 | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:০৭367113
  • ট্রাম্পকে চীন খাতির করেছে অন্য কারণে। চীন, খুব সঠিক ভাবেই, বুঝেছে যে এই লোকটার পলিসি টলিসি নিয়ে খুবেকটা নলেজ বা ইন্টারেস্ট নেই। বাংলা ভাষায় "ইনি পুরো গ্যাস খাওয়ার পাবলিক"। শুধু খাতির করা হলো কিনা, সেটাই এর একমাত্র মাপকাঠি। তাই খাতির করেই যা করার, তা করে নেওয়া যেতে পারে।

    কিন্তু আমার যেটা অবাক লেগেছে সেটা হলো উত্তর কোরিয়ার প্রতি ট্রাম্পের বক্তব্যঃ “North Korea is not the paradise your grandfather envisioned”
    তাহলে কি আরেকটা শান্তি বৈঠক হবে? কিছু স্যাংশন কি সরতে চলেছে? কিন্তু কেন?
  • দেব | 57.11.233.45 | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:৪৮367114
  • এইটা আমি সব জায়গাতেই শুনছি যে ডোনাল্ডবাবুকে খাতির করলেই নাকি কাজ হয়ে যায়। কিন্তু এত গাবদা একটা বিনিয়োগ/বাণিজ্য প্যাকেজ উনি নিয়ে এলেন চিন থেকে। ২৫০ বিলিয়নের মধ্যে যদি ১০০ বিলিয়নও যদি কার্যক্ষেত্রে সম্পন্ন হয় - আর্ট অব দা ডিল? গিভ অ্যান্ড টেক হল। সেরকমই তো হওয়ার কথা। একথা নিশ্চয়ই কেউ ভাবছে না যে চিনকে হুমকি দিয়ে কাজ হবে। ওবামা হালকা চাপ রেখেছিলেন। ডোনাল্ডবাবু পুরো কো-অপারেট মোডে খেলছেন। আফটার অল আমেরিকানদেরও চাকরি দরকার। এই হচ্ছে ডিলটার ব্রেকডাউন -

    ১. চিন ৪৩ বিলিয়ন ডলার ঢালবে আলাস্কায়। প্রাকৃতিক গ্যাস কিনবে আমেরিকা থেকে।
    ২. ৮৪ বিলিয়ন পশ্চিম ভার্জিনিয়ায়। শেল গ্যাস, তেল, কেমিক্যালস কিনবে।
    ৩. ৩০০ খানা বোয়িং এর প্লেন কিনবে চিন - ৩৭ বিলিয়ন।
    ৪. চিনের বিভিন্ন মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানীগুলো আমেরিকার ব্রডকম কোম্পানী থেকে চিপ কিনবে - ১২ বিলিয়ন ডলার।

    এছাড়া অন্যান্যও আছে। সূত্র - http://www.scmp.com/news/china/policies-politics/article/2119218/look-inside-beijings-us253-billion-trade-package-trump

    এগুলো যদি ঠিক করে নামানো যায়, চিনের সাথে আমেরিকার বাণিজ্যঘাটতি অনেকটা কমে আসবে। অর্থাৎ অন্যতম প্রধান যে জিনিসটা নিয়ে ট্রাম্প ক্যাম্পেন করেছিলেন।

    এদিকে প্লেয়িং টু গ্যালারী বলছিলাম, ডোনাল্ডবাবু চিন থেকে ভিয়েতনামে অ্যাপেক সামিটে গিয়েই জানিয়েছেন যে তিনি দক্ষিণ চিন সাগরে বিভিন্ন দেশের মধ্যে এলাকাগত বিবাদে মধ্যস্থতা করতে তৈরী। বলাই বাহুল্য দক্ষিণ চিন সাগরে গেম ইজ অলরেডি ওভার। চিন যা চাইবে তাই হবে। কিন্তু অ্যাপেক সামিটে উপস্থিত দেশগুলিকে - বিশেষ করে ভিয়েতনামকে - তেল দিতে হবে একটু। তাই বলা। রেক্স টিলারসন যেমন ভারতে এসে বাড় খাইয়ে গেছেন একটু।

    https://www.reuters.com/article/us-trump-asia-southchinasea/trump-offers-to-mediate-in-south-china-sea-dispute-idUSKBN1DC01F?il=0

    http://indianexpress.com/article/beyond-the-news/is-rex-tillersons-visit-a-new-dawn-for-south-asia/

    বেসিক্যালি আমাদের উচিত আমেরিকান নেতাদের ভারতে নেতাদের মতই ট্রিট করা। কি বলছেন দেখার দরকার নেই। কাজে কি করছেন শুধু সেইটা হচ্ছে মাপকাঠি। আমেরিকার একটা লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ আছে তৃতীয় বিশ্বে, ভালখারাপ মিশিয়েই। ফলে আমরা ওনাদের মুখের কথাকে সিরিয়াসলি নিয়ে নিই। অবশ্য সাউথ ব্লক এত বোকা নয়। কিন্তু এদেশের গণমাধ্যমে ও জনমানসে এখনও এই প্রবৃত্তি পুরোমাত্রায় বর্তমান। পাল্টানো দরকার। তাতে আমাদেরও ভাল, আমেরিকারও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এই নিবন্ধটায় অবশ্য উন্নতি দেখছি একটু। প্রবীণ স্বামী লিখেছেন -

    "It is, without dispute, the most ambitious diplomatic initiative by the US the region has seen in years, but is it the light at the end of the tunnel or just another false dawn?

    There is no way to tell; however, there are good reasons to be sceptical of the gushing prognosis emanating from New Delhi’s flattery-addicted strategic affairs community."

    "গুড রিজনস টু বি স্কেপটিক্যাল" - ইনডিড।
  • S | 184.45.155.75 | ১২ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:০০367116
  • দেব বাবু, এতোদিন কিন্তু আম্রিগার নেতারা কিছু বললে ধরা হতো যে কোনো বিশেষ কারণে সেটা বলা হচ্ছে। যেমন উত্তর কোরিয়া নিয়ে আমি যেটা কোট করলাম। হঠাত করে ঠাকুর্দা তুলে অমন সেন্টু মার্কা কথা কেন বললো, সেটা নিস্চই একেবারে ইনোকুয়াস নয়।

    প্রথমতঃ এইসব ডীলের কতটা কি হবে, সময় হলেই দেখা যাবে। এসবই সেই দাদুর মৌ স্বাক্ষরের নতুন ফর্ম। চীন এখন সর্বত্রই মিনারেল রাইটস কিনছে। অতেব নাথিঙ্গ নিউ।

    আর চীনারা কেমন করে ট্রাম্পকে খাতির করেছে তার একটা প্রমাণ হলো, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে চীনা ডিপ্লোম্যাটরা সব ডিসির ট্রাম্প টাওয়ারে সুইট ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছিলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন