এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • গুপি গাইন বাঘা বাইন নিয়ে বাৎচিত

    Arnab913 লেখকের গ্রাহক হোন
    সিনেমা | ১৩ জুলাই ২০১৭ | ৪৭৬৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 213.132.214.88 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৩:২৮367933
  • হিমঘর নামে একটা মুভি পাচ্ছি IMDB তে যেটা ১৯৯৬ এ। ডিরেক্টরের নাম সন্দীপ রায়, লিংকে সত্যজিতের ছেলেকে দেখাচ্ছে, যদিও সেটা নিস্চয় ভুল।
    অনুপকুমারের ফিল্মোগ্রাফিতে হিমঘরের নাম আছে, সাল দেখাচ্ছে ১৯৯৬। সেন্সরের সার্টিফিকেট বলছে ১৯৮৫। এটা কি ১৯৮৬ তে রিলিজড?
    তার ৬ বছরের মধ্যে সত্যজিৎ মারা যান।
  • B | 127.194.233.89 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৩:৫৯367934
  • T এবং অরণ্য
    আজ আমি তুমি করেই লিখছি। তোমাদের প্রচুর লেখা পড়ে তোমাদের গভীরতা নিয়ে আলোচনা করার ক্ষমতা সম্বন্ধে আমার একটা ধারণা তৈরী হয়ে আছে, কিন্তু সেই বক্তব্য পেশ করার ফাঁকে কখনও কখনও একটি দুটি 'অদ্ভূত শব্দ'(অশ্লীল বললাম না, কারন শ্লীল-অশ্লীলের মাপকাঠি অনেকটাই পাল্টে গেছে আমাদের সেই সময়ের থেকে) ব্যবহার করা দেখলে অবাক লাগে, কারণ ওতে বক্তব্য আরও জোরালো হয় বলে আমার মনে হয় না। এটা এখানে যারা ধারাবাহিকভাবে বেশ অর্থপূর্ণ বক্তব্য রাখে তাদের কাউকে কাউকে দেখি এই পদ্ধতি মাঝে মাঝে অবলম্বন করতে। কিন্তু এর প্রয়োজনীয়তা বুঝি না।

    যাই হোক, ধান ভানতে শিবের গীতের কথাটা যখন প্রচলিত তখন শিবের গান হয়তো চলে আসে অনেকেরই। সময়বিশেষে প্রায় প্রত্যেকেরই। সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে যে অব্‌সেশান তৈরি করার প্রচেষ্টা বহুদিন ধরেই চলে আসছে, তাতে আমার খুব বিচলন হয় নি। হয়তো এটাও মনে হয়েছে যে এই মিডিয়া বা এই লোকগুলো এটা তৈরী করতে এত উঠেপড়ে লেগেছে কেন। তার ফলশ্রুতিতে ওঁর ছবিগুলোকে মোহিত হয়ে না দেখে কিছুটা খুঁটিয়ে দেখার অভ্যেস অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে বাবার থিয়েটার গ্রুপ তারপর ছোটকাকার থিয়েটার গ্রুপ, তাঁদের মহড়া দেবার ধরণ ও তার থেকে তৈরী মঞ্চে বা ক্যামেরার সামনে নড়াচড়া করার সাবলীলতা ও দুর্ব্বলতা চোখে লাগে বৈকি। আমি তো প্রথমেই লিখেছি যে মতামতটা এককালে আমার পারিপার্শ্বিক থেকে তৈরী হওয়া শুরু হয়েছিল। পরে অন্যান্য ঘটনাবলীতে সেটা জোরালো হয়।

    আর আজকের দিনে বসে 'এক যে ছিল রাজা' গানটার কথা ও গানের কলি নিয়ে আমার মতই ধারণা সাধারণ বামপন্থীদের যদি না হয় তো তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আমার পার্থক্য থাকতেই পারে। সেটা একেবারেই আমার নিজস্ব নয় বলে আমি জানি আর আর অত্যি কথা বলতে গেলে সেটা কোন আকাশকুসুম কল্পনা বা মন গড়াও নয়।

    ছোটদের মনে কোন কোন ঘটনা কি কি ভাবে প্রভাব ফেলে এ নিয়ে বর্তমান তো অনেক সজাগ ও সচেতন। নিছক বিনোদন যদি সব হ'ত, তাহলে এই সাইটের বহু লেখা অপ্রয়োজনীয় ও অবান্তর হয়ে পড়তো পূর্ব্বে ও পড়বেও আগামীতে।

    কল্লোলদার কি অ্যাজেণ্ডা আছে তা তোমরা বেশী ভালো জানো, কিন্তু তার ক্ষেত্রেও তো সেটা তাঁরই। বহুকাল আগে এই মরাল গার্জিয়ানশিপ নিয়ে অনেক বাকবিতণ্ডা হয়েছে, বা বলা ভালো বাক হয়েছে বিতণ্ডা নয়। কিন্তু এখনও দেখি তা পরিপূর্ণরূপে বিদ্যমান।

    অসংসদীয়' ভাষা ব্যবহার করে বিরোধী মতাবলম্বীদের আক্রমণ করা এক আর সুস্থভাবে নিজের মত প্রকাশ করা আর এক। সেই জায়গা বা স্পেস্‌টুকু না দিলে বা না পেলে তো মুশকিল ভাই(বা বাবা)। (এই অতিরিক্ত সম্বোধনটা প্রৌঢ়ত্বের কারণে, হয়তো বা আমার বড় ছেলের বয়স একত্রিশ বলেও, খারাপ লাগলে বাতুলতা বলে ঐ '**' বলে উড়িয়ে দিও)।
  • B | 127.194.233.89 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৪:৪২367935
  • sm
    আপনার বক্তব্যের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন দেখছি। তবে তা আপনি মেনেছেন কিনা বা মানবেন কিনা জানা নেই।

    আপনার উল্লিখিত নামের মধ্যে কয়েকটি নাম দেখে বিস্মিত হলাম। যেমন সৌমিত্র, যেমন রবি ঘোষ, যেমন পাহাড়ী সান্যাল, যেমন তুলসী চক্রবর্তী, যেমন সন্তোষ দত্ত ও যেমন উৎপল দত্ত।

    এঁদের প্রত্যেককে নিয়ে এক একটা বড় লেখা লেখা যায়, যেতও। কিন্তু তা করলাম না। ছবি বিশ্বাসের কপাল ভালো যে তাঁর নাম আপনি উল্লেখ করেন নি।

    আপনি 'নিশ্চয়ই' জানেন যে সৌমিত্র, অনুপকুমার, রবি ঘোষ, লিলি চক্রবর্তীদের একটা নাট্য দল ছিল 'অভিনেতৃ সংঘ'। এঁরা মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াতেন। ওই সময়েই আরেকজন দাপুটে অভিনেতা অজিতেশকে তপন সিংহ কিন্তু হাটে বাজারে বা অতিথি'তে নিয়েছিলেন। তাতে অজিতেশ আলাদা করে মহিমান্বিত হন নি বলেই আমার ধারণ। উৎপল দত্ত তো কবে শশী কাপুর, জিওফ্রে কেণ্ডাল, জেনিফার কেণ্ডাল-দের সাথে শেক্‌স্‌পীয়ারওয়ালার হয়ে বিভিন্ন দেশে চুটিয়ে অভিনয় করে বেড়িয়েছেন কোন কালে। তার ফলেই 'সপ্তপদী'তে ওথেলো'র গলা ও কথা তাঁরই ছিল।

    সন্তোষ দত্ত একজন বড় পসারসম্পন্ন ক্রিমিনাল ল'ইয়ার ছিলেন। তিনি প্রথম সত্যজিতের ছবিতে আসেন, মনে হয়, গড়পারের পড়শী হিসেবে। কারন ওই যে প্রেস, প্রিণ্ট ইত্যাদি আলোচনা হচ্ছিল, সেটিও ঐ অঞ্চলেই ওই আমহার্স্ট স্ট্রীতে কার্তিক বসু(এককালে ভারতের ক্রিকেট দলের সদস্য)-দের বাড়িতে গোড়াপত্তন করেছিল, যিনি সম্ভবতঃ মানিকবাবুর 'তুতো ভাই বা মামা। ওই পাড়া থেকেই এসেছিলেন 'নায়ক'এর শঙ্করদা, যাঁকে পরে মহাপুরুষেও দেখা যায়।

    পাহাড়ী সান্যাল নাট্যমঞ্চে শিশির ভাদুড়ী, ছবি বিশ্বাস, অহীন্দ্র চৌধুরী, সরযুবালা, প্রমুখদের সাথে চুটিয়ে অভিনয় করতেন। ঠিক যেমন করতেন নৃপতি চ্যাটার্জী(বাংলা সিনেমায় সর্বাধিক ছবিতে অভিনয় করার রেকর্ডটি ওনার দখলে ছিল, আজ আছে কিনা জানি না)।

    ঋত্বিক একচেটিয়া সতীন্দ্রকে বা অনিলকে মুখ্য ভূমিকায় রাখতেন, রাখতেন বিজন ভট্টাচার্য্যকেও। সত্যজিৎবাবু অনিলকে নিলেন মহানগর-এ এবং সতীন্দ্রকে, মনে হয়, 'কাঞ্চন্জঙ্ঘা', 'মহাপুরুষ' ও 'বাক্সবদল'-এ। যদিও 'বাক্সবদল'-এর চিত্রনাট্যই তাঁর ছিল, পরিচালনা নয়।

    সৌমিত্র'র মানিকবাবুর পরিচালনা বাদে অন্যান্য কয়েকটি বইয়ের নাম দিলাম, দেখুন দেখেছেন কিন- ক্ষুধিত পাষাণ, ঝিন্দের বন্দী, কাঁচ কাটা হীরে, অতল জলের আহ্বান, সাত পাকে বাঁধা, অপরিচিত, তিন ভুবনের পারে, ইত্যাদি প্রভৃতি। তপন সিংহ শেষ দিকে এঁকে ছাড়া সিনেমা করার কথা ভাবতেন না মনে হয়। সে নামগুলো দিলাম না, বড় অধুনা বলে।

    সর্ব্বশেষে বলি তুলসী চক্রবর্তীর নাম, দুর্ভাগ্যক্রমে বা সৌভাগ্যক্রমে তাঁর নামটিও উল্লেখ করেছেন আপনি। আজ যদি উনি বেঁচে থাকতেন এবং এটা পড়তেন, তাহলে ওই 'সাড়ে চুয়াত্তর'এর নির্দ্দিষ্ট দৃশ্যে মলিনার উদ্দেশ্যে যেরকম বলেছিলেন, সেরকমই বলতে থাকতেন "বাপ রে বাপ রে বাপ রে বাপ রে বাপ...."
    }8>))
  • T | 165.69.109.92 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৬:২৬367936
  • ই বাবা, ছি ছি, বি দা কিছু মনে করবেন না। অতি বাজে অভ্যেস। ত্যাগ কত্তে হবে।
  • sm | 52.110.141.202 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৭:২২367937
  • আরে, যেসব আর্টিস্ট দের নাম করলাম তাঁরা সব্বাই তো পাকা অভিনেতা বা নেত্রী। তাঁরা সুদক্ষ বলেই মানিক দার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতেন। খালি মানিক দা নয় -মৃনাল বাবু ,তপন সিনহা বা ঋত্বিক কেও কম বেশি শ্রদ্ধা করতেন। কারণ ভালো পরিচালকের কদর বুঝতেন।
    ধরা যাক উত্তম কুমারের কথা। মানিক বাবু ওঁকে প্রথম দেখেন যখন তিনি পরিচিতি পান নি।
    ওর প্রথম দিককার তিনটি ছবি দেখে বড়োই প্রীত হন।যেটা ওঁকে মুগ্দ্ধ করে, তা হলো ওই সময়ের প্রেক্ষিতে উত্তম কুমারের থিয়েটার বর্জিত অভিনয়।তখন থেকেই ওঁকে কেন্দ্র করে নায়ক এর কাহিনী ভাবা। যখন উনি উত্তম কুমার কে এপ্রোচ করলেন-তিনি তখন মেগা ষ্টার।
    কিন্তু উত্তম কুমার ওনার প্রস্তাব লুফে নেন কেবল ই নিজের অভিনয় ক্ষমতা কে জাস্টিস দিতে।
    একটি শটে উত্তম কুমার বেসিনে মুখে জল দেবার পর আয়নায় তাকাচ্ছেন। গড়ানো জল যেন তাঁর মনের ভিতরের চুঁইয়ে পড়া ক্লেদ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ফার্স্ট শট ওকে। মানিক বাবু খুশ। কিন্তু উত্তমের মনে খুঁত খুঁতানি যায়নি। বললেন আর একবার শট নিতে। মানিক বাবু অবাক!
    ভালোই তো করেছো-
    তবু নিলেন।তিন বারের বার উত্তম খুশ ;মানিক বাবুও খুশ।
    ওনার মতে উত্তম সেরিব্রাল নয় ইনস্টিকটিভ অভিনেতা।
    ভীষণ রকম উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন। বলেছিলেন -নায়ক ফিল্মে আমার পরিচালনায় গলদ থাকতে পারে উত্তমের অভিনয়ে নয়।
    দুই আসি ছবি বিশ্বাসের কথায়। প্রচন্ড থিয়েট্রিকাল অভিনয়। মানিক বাবুর একান্ত অপছন্দ। কিন্তু ওই স্ক্রিন প্রেসেন্স ও ব্যক্তিত্ব ;আর কারো মধ্যে দেখতে পান নি।
    পরে বলেছেন,জলসাঘরে ওঁর কাছে নতি স্বীকার করেছিলাম।ওঁকে ওঁর মতোই অভিনয় করতে দেই।
    উনি ছাড়া জলসাঘর হয় না।
    এগুলি সব ই পারস্পরিক শ্রদ্ধা।
    চিন্ময় এর গপ্পো ও পরে করা যাবে।
  • de | 24.139.119.171 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৭:৩১367938
  • যাঃ! কোত্থেকে কোতায় এলো টই -
  • B | 127.194.233.89 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৮:৩৩367939
  • প্রসঙ্গ যখন 'গুগাবাবা নিয়ে বাৎচিত', তখন তার স্রষ্টা নিয়ে দুচার কথা হবেই, সেই স্রষ্টার হাত ধরে আরও কিছু শাখাপ্রশাখায় ছড়াবে। সত্যজিৎবাবুকে আকাশে পৌঁছতে কজন দিকপাল অভিনেতাকে নিয়ে কিছুটা হেয়জ্ঞান করে কথা বললে তাঁদের সম্বন্ধে এক আধ লাইন লিখতেই হয়।

    অবশ্য আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশী এত দৃঢ় মাইণ্ডসেট যে দেখাই বটে যে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছি, শ্রদ্ধা করছি, কিন্তু আদপে যেগুলো আমাদের সেট-থিওরীতে সেট করে যায়, সেগুলোতেই হীরক রাজার সভাসদদের মত 'ঠিক, ঠিক, ঠিক' বলার জন্য আকুলিবিকুলি করি।

    বাকিগুলোতে চুপ করে থাকি, বা উপেক্ষা করে যাই। অবশ্য পছন্দের কিছু লোকজন কোন মন্তব্য করলে তাকে সাব্‌স্ট্যান্‌শিয়েট করতে মঞ্চে অবতীর্ণ হই। sm বা অন্যেরা কিভাবে নেবেন এ কথাগুলো, তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।

    sm মানিকবাবুর নামের পথ বেয়ে উত্তমপ্রশস্তিতে পৌঁছে বেশ দু চার অনুচ্ছেদও লিখে ফেলেছেন। তা অধমের অধোবদন, নতশির জিজ্ঞাসা সেক্ষেত্রে - বহুকাল আগের প্রসঙ্গ, প্রশ্নের পুনরায় অবতারণা করে- চিড়িয়াখানায় ব্যোমকেশের ভূমিকায় বিপরীত চেহারার উত্তমকুমারের সিলেকশন এবং ব্যোমকেশকে জাপানী সাজিয়ে জাপানি(?) কথা বলানো, এবং ব্যোমকেশের মত আদ্যন্ত ছাপোষা কিন্তু প্রখরবুদ্ধি ব্যক্তির বটুয়াতে বাসুকি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো দেখে কি কি ভাব মনে জাগ্রত হওয়া উচিত ছিল? গল্পটার তো ## ......*****..... ##

    এবং....
    ছবি বিশ্বাস সম্বন্ধে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বহুকাল আগের একটা উক্তি( কাগজে বা ম্যাগাজিনে) মনে পড়লো - 'নাটকের মঞ্চে শিশিরকুমার এবং সিনেমার পর্দায় ছবি বিশ্বাসই শেষ কথা"। সৌমিত্রকে একবার পেলে জিগ্গেস করতুম।

    অতিরিক্ত থিয়েট্রিকাল লোকটির কাবুলিওয়ালা, শশীবাবুর সংসার, সবার উপরে, শেষ পর্য্যন্ত, এক দিন রাত্রে, ইত্যাদি প্রভৃতি বইয়ের কথা মনে আছে তো? আর অতিরিক্ত মোটা দাগের অভিনেতা হারাধন বা বেশীরভাগ সময় একটু লাউড অভিনয় করা উৎপলবাবুকেই বা শেষ দিকে সব সিনেমায় নিতে শুরু করলেন কেন তাও?
  • কল্লোল | 233.186.195.129 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৮:৪১367940
  • গুগাবাবা সিরিজ নিয়ে বলা যায় - টিপিক্যাল রবীন্দ্র রাজনৈতিক ভাবনা যার প্রকাশ ঘটেছে রক্তকরবীতে। মার্কসিস্ট তত্ত্ব মতে শ্রেণী সমন্বয়ের রাজনীতি।
  • Rabaahuta | 233.186.160.49 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৮:৫৬367941
  • টি, অরণ্যদা এরা এক্কেবারে বখে গেছে।
    শীর্ষেন্দু, সত্যজিত এরা যে এদের শিশুমনে কি বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এরা সেটা zআনতেই পারেনি।
  • sm | 52.110.141.202 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৯:৩৭367943
  • শশী বাবুর সংসারে ;ঘর কাকে বলে, সেই নিয়ে ঝাড়া তিন মিনিট সংলাপ কোনো রকম আধুনিক,অত্যাধুনিক,পৌরাণিক যে কোনো রকম সিনেমার পক্ষে বেমানান। অথচ ওই ৩ মিনিট সংলাপ ই যেন ছবিটার প্রাণ ভোমরা।
    এমন ই ছবি বাবুর ব্যক্তিত্ব ও থিয়েট্রিক্যাল অভিনয় ক্ষমতা!
  • :( | 69.160.210.3 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৯:৪৪367944
  • আমার মেয়ের মনেও পড়েছে। ভুত নেই বললে আর বিশ্বাস করে না। খুব ভয় পায় আর গুগাবাবার রেফারেন্স দেয়। ট্যাঞ্জিবল ভৌতিক অবয়ব দেখানো খুবই অনৈতিক হয়েছে এটা বলতে বাধ্য হলাম।
  • avi | 57.11.9.186 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২০:২৪367945
  • হ্যাঁ, শীর্ষেন্দু না আসা অব্দি আলোচনাটা কেমন যেন ছানা কেটে যাচ্ছিল। এবার জমা উচিত।
  • এলেবেলে | 212.142.99.141 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২০:৫৭367946
  • ছবি বিশ্বাস থিয়েট্রিকাল অভিনয় করতেন !!!

    ... এক ধরণের সাবেক অভিনয় রীতি প্রায় লোপ পেয়ে যাচ্ছে। ... এটা যে একই ছাঁচে ঢালা কোন অভিনয়ের রীতি তা নয়। শিশির ভাদুড়ি, নরেশ মিত্র, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, যোগেশ চৌধুরী - এঁরা সকলেই সমসাময়িক, একই আবহাওয়ায় পরিপুষ্ট ক্ষমতাবান মঞ্চশিল্পী হলেও, এঁদের প্রত্যেকেরই অভিনয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। ... এই অভিনয়ের ট্র্যাডিশন যদি বজায় থাকত, তাহলে এই বাঙালীয়ানার চেহারাটাও অভিনয়রীতির মধ্যে দিয়েই জিইয়ে রাখা সম্ভব হত। ট্র্যাডিশনটাই উবে যেতে বসেছে। (‘দুটি সমস্যা’, বিষয় চলচ্চিত্র)

    ছবি বিশ্বাস, তুলসী চক্রবর্তীরা নাকি সত্যজিতের সাথে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন !!!

    ছবিবাবু চলে যাবার আগে বুঝতে পারিনি বাংলা ছবি কী বিপজ্জনকভাবে তাঁর উপর নির্ভরশীল ছিল। আজ যদি কোন গল্প উপন্যাস পড়তে বসে কোন জাঁদরেল জমিদার চরিত্র বা এক ধরণের কেতাদুরস্ত ভারভার্তিক বাঙালী বা ইঙ্গ-বঙ্গ চরিত্রের সামনে পড়ি, তাহলে অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে মনে মনে বলতে হয় যে এ চরিত্র ছবিতে মূর্ত করার উপযুক্ত কোন অভিনেতা আজ আর বাংলাদেশে নেই। (ঐ)
    তুলসী চক্রবর্তী চলে গিয়েও বাঙলা ছবিকে অন্য আরেকটি দিক দিয়ে কানা করে দিয়ে গেছেন। শুধু কমিক চেহারা থাকলেই ত আর কমেডিয়ান হওয়া যায় না। আকৃতির সঙ্গে একটা বিশেষ ধরনের হাস্যরসবোধ বা কমিক সেন্স ও দুর্দান্ত অভিনয় ক্ষমতা থাকলে তবেই তুলসী চক্রবর্তীর মত কমেডিয়ান হওয়া যায়। ... ভাঁড়ামিতেই হোক বা জাত কমেডিতেই হোক, ঠিক তুলসীবাবুর জায়গা নিতে পারে এমন আর কেউ বাংলাদেশে নেই। (ঐ)

    সত্যজিৎ নিঃসন্দেহে পাম্পড আপ বেলুন । ৫৫-র পথের পাঁচালী থেকে ৭০-এর প্রতিদ্বন্দী-র মধ্যেই ওঁর কারিকুরি শেষ । তার মধ্যেই অভিযান, চিড়িয়াখানা, অরণ্যের দিনরাত্রি (যে সিনেমা দেখে সন্দীপন চট্টো যারপরনাই গালাগাল করেছিলেন) ইত্যাদি ভূষিমাল গিজগিজ করছে । মৃণাল সেন যখন কলকাতা ট্রিলজি করছেন তখন ওঁর হাত দিয়ে বেরোচ্ছে সীমাবদ্ধ, অশনি সংকেত কিংবা জন অরণ্য । ঘরে বাইরে-র চিত্রনাট্য নাকি পথের পাঁচালী-র আগে ভাবা হয়েছিল । তার কী হাল ! একই অবস্থা গণশত্রু কিংবা আগন্তুক-এর । আনন্দবাজার পেছন থেকে ক্রমাগত হাওয়া সাপ্লাই দিয়ে গেছে, সাথী হয়েছে অ্যান্ড্রু রবিনসন, মারী সিটন যাঁরা ‘অপরাজিত’-র কালপুরুষের ব্যাপারটা আদৌ বুঝেছিলেন কিনা সে বিষয়ে ঋত্বিক ঘোর সন্দেহে ছিলেন ।

    ঋত্বিক সোনার কেল্লা করেননি, বাড়ী থেকে পালিয়ে করেছিলেন; অভিযান-এর বছর পাঁচেক আগে অযান্ত্রিক করে ফেলেছিলেন এবং সোয়ান সং ছিল যুক্তি তক্কো, ছেঁদো আগন্তুক নয় । দীনেন গুপ্ত সরাসরি বলেছেন “কলকাতার নামী পরিচালকদের সবাইয়ের সঙ্গেই তো আমি কাজ করেছি, সত্যজিৎবাবুর সঙ্গে কাজ করেছি, তপনবাবুর সঙ্গে কাজ করেছি, রাজেনবাবুর সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু ঋত্বিকবাবুর বিশেষত্ব টোটাল ব্যাপারটা ওঁর মাথায়। স্ক্রিপটে নেই সেটা, টেকিং-ওয়াইজ ট্রিটমেন্ট বা শট ডিভিশন কিছু করা নেই।” ঋত্বিকের ‘খেরোর খাতা’ লাগবে না কোনওদিন কিন্তু বাংলাদেশের প্রযোজক তিতাস করতে প্রথমে সত্যজিতের কাছে গেলেও তিনি বলতে বাধ্য হবেন ‘বিষয়টা আমার নয়, আপনারা ঋত্বিক ঘটকের কাছে যান’ ।

    কল্লোলবাবুর অ্যাজেন্ডা এর পরেও হাস্যকর যাঁদের মনে হয় তারা আর একবার খ্যাক খ্যাক হাসুন ।
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২১:০৩367947
  • কি মুস্কিল, আমি তো অশ্লীল বা অসংসদীয় কিছু লিখি নি। অব্শ্য লিখেছি, বুঝতে পারছি না, তাও হতে পারে। অল্পবুদ্ধির কারণে।

    বি, আপনার লেখা আমার ভাল লাগে, মন দিয়ে পড়ি। বাঘা-র সংলাপে শিশু মনে কি প্রভাব পড়তে পারে, আমি সত্যিই বুঝি নি, খুবই আন্তরিক ভাবে বলছি।

    যদি সংলাপ ধরে ধরে বুঝিয়ে দেন (অবশ্যই যদি হাতে সময় থাকে এবং এনগেজ করতে চান, তবেই), কৃতজ্ঞ থাকব।
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২১:১৪367948
  • বাকী দুটো পয়েন্ট, যা আমি লিখেছিলাম -

    ১। সৃষ্টি-কে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে, স্রষ্টা ব্যক্তি জীবনে কত খারাপ বা ভাল তা টেনে আনার মানে নেই। কবীর সুমন (আমার মাপকাঠিতে) বেশ কিছু মন্দ কাজ করেছেন এবং করে থাকেন, তার গান ভালবাসার পথে সেগুলো অন্তরায় হয় না।

    এটা অবশ্যই আমার মত। আপনি যখন লিখেছেন -
    'প্রসঙ্গ যখন 'গুগাবাবা নিয়ে বাৎচিত', তখন তার স্রষ্টা নিয়ে দুচার কথা হবেই, সেই স্রষ্টার হাত ধরে আরও কিছু শাখাপ্রশাখায় ছড়াবে' , আমাদের মতে মিলছে না, বোঝাই যাচ্ছে।

    ২। 'আর আজকের দিনে বসে 'এক যে ছিল রাজা' গানটার কথা ও গানের কলি নিয়ে আমার মতই ধারণা সাধারণ বামপন্থীদের যদি না হয় তো তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আমার পার্থক্য থাকতেই পারে'

    - আমি বামপন্থী নই, কোন পন্থী-ই নই, পন্থী-র তকমায় বিশ্বাস করি না। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি, আর কিছু না।

    তো এখানেও আপনার সাথে মতপার্থক্য হচ্ছে মনে হয়। তা হোক। মতান্তর মনান্তরে পরিণত না হলেই হল :-)
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২১:১৫367949
  • শীর্ষেন্দু-টা ভাল হয়েচে :-)
  • T | 229.75.11.86 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২১:৪৫367950
  • অবশ্যই। খ্যাক খ্যাক করে তো হাসবই। খালি এ কি বলেচে আর ও কি বলেচে। নিজস্ব বিশ্লেষণ দুলাইন লিখতে বললে এদিকে সব উলটে বসে থাকে।

    যাহোক। গুপী বাঘা নিয়ে কথা হচ্চে, কল্লোলদা সেখানে রায়মশায়ের ব্যক্তিগত জীবন টেনে আনলেন। এই তো অবস্থা। অ্যাপ্রোচটাই বিরক্তিকর।
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২১:৫১367951
  • ঋত্বিক-এর যুক্তি-তক্ক-গপ্পো-টা এখনও হন্ট করে, এলেবেলে-র লেখা পড়ে মনে হল
  • Blank | 37.63.137.132 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২২:০৭367952
  • অর্থাৎ ঋত্তিক পাম্পড আপ বেলুন নন। সিপিয়েমের ষঢ়যন্ত্র ইত্যাদির জন্য উনি কল্কে পেলেন না। তাই গুগাবাবা বেশ জালি কারন সত্যজিত সুবিধে মতন পলিটিক্স করতেন। এই হলো সামারি।
  • এলেবেলে | 212.142.99.141 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২২:১০367954
  • খালি এ কি বলেচে আর ও কি বলেচে। নিজস্ব বিশ্লেষণ দুলাইন লিখতে বললে এদিকে সব উলটে বসে থাকে।

    "সত্যজিৎ নিঃসন্দেহে পাম্পড আপ বেলুন । ৫৫-র পথের পাঁচালী থেকে ৭০-এর প্রতিদ্বন্দী-র মধ্যেই ওঁর কারিকুরি শেষ । তার মধ্যেই অভিযান, চিড়িয়াখানা, অরণ্যের দিনরাত্রি (যে সিনেমা দেখে সন্দীপন চট্টো যারপরনাই গালাগাল করেছিলেন) ইত্যাদি ভূষিমাল গিজগিজ করছে । মৃণাল সেন যখন কলকাতা ট্রিলজি করছেন তখন ওঁর হাত দিয়ে বেরোচ্ছে সীমাবদ্ধ, অশনি সংকেত কিংবা জন অরণ্য । ঘরে বাইরে-র চিত্রনাট্য নাকি পথের পাঁচালী-র আগে ভাবা হয়েছিল । তার কী হাল ! একই অবস্থা গণশত্রু কিংবা আগন্তুক-এর । আনন্দবাজার পেছন থেকে ক্রমাগত হাওয়া সাপ্লাই দিয়ে গেছে, সাথী হয়েছে অ্যান্ড্রু রবিনসন, মারী সিটন যাঁরা ‘অপরাজিত’-র কালপুরুষের ব্যাপারটা আদৌ বুঝেছিলেন কিনা সে বিষয়ে ঋত্বিক ঘোর সন্দেহে ছিলেন ।

    ঋত্বিক সোনার কেল্লা করেননি, বাড়ী থেকে পালিয়ে করেছিলেন; অভিযান-এর বছর পাঁচেক আগে অযান্ত্রিক করে ফেলেছিলেন এবং সোয়ান সং ছিল যুক্তি তক্কো, ছেঁদো আগন্তুক নয় । ঋত্বিকের ‘খেরোর খাতা’ লাগবে না কোনওদিন কিন্তু বাংলাদেশের প্রযোজক তিতাস করতে প্রথমে সত্যজিতের কাছে গেলেও তিনি বলতে বাধ্য হবেন ‘বিষয়টা আমার নয়, আপনারা ঋত্বিক ঘটকের কাছে যান’ ।" এগুলোও লেখা ছিল । থেলো হুঁকো হাতে চণ্ডীমণ্ডপ আলো করে বসে থাকা গুরুর প্রগাঢ় পণ্ডিতরা এ লাইনগুলো পড়লেন কিনা কে জানে !!

    বিষয়টা যখন সত্যজিৎ তখন 'এ বলেচে আর ও বলেচে'-তে সীমাবদ্ধ হয়নি, হয় সত্যজিৎ বলেচে না হয় সত্যজিতের উল্লেখের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েচে --- সেটা দেখতে আতসকাচ লাগে না !!!
  • lcm | 179.229.10.212 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২২:১৭367956
  • সত্যজিৎ "পাম্পড আপ বেলুন", "ভূষিমাল", "ছেঁদো" ...
    একবার চেন্নই-তে এক তামিল বলেছিল, সত্যজিৎ মনিরত্নম-এর ধারে কাছে আসে না...
  • PT | 213.110.242.8 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২২:১৭367955
  • "মৃণাল সেন যখন কলকাতা ট্রিলজি করছেন তখন ওঁর হাত দিয়ে বেরোচ্ছে সীমাবদ্ধ, অশনি সংকেত কিংবা জন অরণ্য ।"

    "অশনি সংকেত"-কে হ্যাটা দিয়েছিলাম রক্ত গরমের কালে। কিন্তু এই ছবির প্রসঙ্গে রক্ত কিছুটা ঠান্ডা হলে পরে সত্যজিৎকে টুপি খুলে সেলাম জানিয়েছি। বাঙালী তথা ভারতীয় ঐতিহাসিকরা বোধহয় কেউ ঐ দূর্ভিক্ষকে man-made আখ্যা দেননি-অথবা দিলেও সেরকম নজরে আসেনি। সত্যজিৎ একটা সাধারণ গল্পকে অন্য এক রাজনৈতিক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন মন্যুষ্যসৃষ্ট ঘটনা বলে। সত্যজিতের সেই সাহসী ইন্টরপ্রিটেশনের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি এসেছে অনেক পরে।
    Bengal Famine Of 1943 - A Man-Made Holocaust
    http://www.ibtimes.com/bengal-famine-1943-man-made-holocaust-1100525
  • b | 160.129.100.155 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:০১367957
  • শ্রীরাধিকে চন্দ্রাবলী/কারে রাখি কারে ফেলি।
    (শিবু ভূতের গান, ভূষন্ডীর মাঠ)
  • agantuk | 138.48.44.88 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:০৩367958
  • @কল্লোল 16 Jul 2017 -- 10:54 PMঃ সন্দীপ রায় হিমঘরের পরে একাধিক ছবি করেছেন তো! অন্ত্তত একটা দেখেছি, নীললোহিতের লেখা বাস ডাকাতির গল্প নিয়ে টেলিফিল্ম, দূরদর্শনে দেখিয়েছিল, অর্জুন চক্রবর্তী আর সোহাগ সেন ছিলেন, অতি খাজা। উনি যে শেষ অবধি সেরকম কিছু করে উঠতে পারেন নি তার কারন সত্যজিত চেপে দিয়েছিলেন, তা বোধহয় নয়।

    আর একই নামে দুজন নতুন পরিচালক একসাথে শুরু করলে কিছুটা কনফিয়ুজন তো হতেই পারে, আইএমডিবিতে যেমন হিমঘর সত্যজিত পুত্রের ফিল্মোগ্রাফিতে দেখাচ্ছে। সত্যজিত, যদি নাম বদলাতে বলেই থাকেন, হয়ত এরকম গোলমাল এড়ানোর জন্যেই বলেছিলেন?

    সবই তো স্পেকুলেশান!
  • sm | 37.131.213.229 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:১৫367959
  • অস্কার কমিটির লোক এলেবেলের সমালোচনা পড়লে আর দেখতে হতো না। ওর ওই পাম্প দেওয়া বেলুনে পিন ফুটিয়ে দিতো লোকজন।
    এই প্রসঙ্গে আকিরা কুরোসাওয়ার একটা মন্তব্য না উল্লেখ করে পারছিনা।
    সত্যজিতের সিনেমা যে দেখেনি সে পৃথিবী তে চন্দ্র ও সূর্য্য কি তা জানেনা।
  • agantuk | 138.48.44.88 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:২৩367960
  • যাকগে, যখন গুগাবাবা ছাড়া আর সব কিছু নিয়েই আলোচনা হচ্ছে, তখন একটু লাইনে আনার চেষ্টা করি। একটা কোশ্নো বহুদিন ধরে আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, দেখি এখানের কেউ সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন কিনা।

    'মহারাজা তোমারে সেলাম' এর শেষের অংশে রাজামশাই গানের তালে তালে নেচে ওঠেন। কিন্তু গুপিবাঘার গানের সময় তো সবার একদম স্ট্যাচু হয়ে যাবার কথা। তাহলে?

    এর কোনো স্পেসিফিক এক্ষপ্লেনেশন কি ছবিতে দেওয়া হয়েছে?
  • এলেবেলে | 212.142.70.240 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:২৫367961
  • অশনি সংকেত-কে টুপি খুলে সেলাম জানালে আমার আপত্তির কোনও কারণ নেই কিন্তু ওই ছবিতে ববিতা ন্যাতাটি মেরে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে হয় । সে রক্ত গরম বা ঠান্ডা যাই হোক না কেন । উত্তাল সত্তরকে মৃণাল ধরেছিলেন, ঋত্বিকও তবে তাঁদের 'সীমাবদ্ধ' করতে হয়নি, 'জন অরণ্য'-ও না ।

    "সত্যজিৎ "পাম্পড আপ বেলুন", "ভূষিমাল", "ছেঁদো" ..." চেরিপিকিংটা দুর্দান্ত সন্দেহ নেই !!!

    কল্লোলবাবু লিখেছেন "ঋত্বিক আর সত্যজিৎ নিয়ে ঝগড়া থাকবেই। তাতে ছোট বড় হবেই। তাতে কারুর কৃতিত্ব কম হয় না।" সম্পূর্ণ সহমত ।

    উত্তম এবং সত্যজিৎ-এর নায়কের একটা দৃশ্যের কথা বলি --- অরিন্দম তার বন্ধুর কথার উত্তরে টেবিলে তিনবার ঘুষি মেরে বলে আই উইল রিচ টু দ্য টপ --- পারলে আর একবার দেখবেন । ভালোলাগাটা পালিয়ে যেতেও পারে !!!
  • এলেবেলে | 212.142.70.240 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩১367963
  • "'মহারাজা তোমারে সেলাম' এর শেষের অংশে রাজামশাই গানের তালে তালে নেচে ওঠেন। কিন্তু গুপিবাঘার গানের সময় তো সবার একদম স্ট্যাচু হয়ে যাবার কথা। তাহলে?"

    ওই জিনিস গুগাবাবায় আকাশ থেকে যখন মন্ডা মিঠাই নেমে আসে তখন যাঁরা উট নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের আর একবার দেখবেন ।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩১367962
  • টেবিলে ভাগ্যিস জলের গেলাস ছিল না। ঃ-)
  • sm | 113.219.46.237 | ১৭ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩২367965
  • বাড়ি থেকে পালিয়ে ;সবুজ দ্বীপের রাজা,সোনার কেল্লা।
    নাম্বার ১০ এ - ৬,৭,সাড়ে ৯ যথাক্রমে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন