এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • গুপি গাইন বাঘা বাইন নিয়ে বাৎচিত

    Arnab913 লেখকের গ্রাহক হোন
    সিনেমা | ১৩ জুলাই ২০১৭ | ৪৭৬৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • B | 127.194.230.167 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১১:৪৯367462
  • যাঃ, দুটো পোস্ট মাঝে ঢুকে পড়লো। তা ব্রেশ ব্রেশ!!
  • PT | 213.110.242.4 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১১:৫২367463
  • "কিন্তু ওই ছবিতে ববিতা ন্যাতাটি মেরে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে হয় ।"
    "Though its field of vision is narrow, more or less confined to the social awakening of a young village Brahmin and his pretty, naive wife, the sweep of the film is so vast that, at the end, you feel as if you'd witnessed the events from a satellite........
    ......Ray has chosen to photograph the film in rich, warm colors, the effect of which is not to soften the focus of the film but to sharpen it. The course of terrible events seems that much more vivid in landscapes of relentless beauty."
    http://www.nytimes.com/movie/review?res=9800EFD81639E73ABC4A52DFB6678388669EDE

    অকৃপণ প্রকৃতির প্রেক্ষিতে man-made holocustঃ ছবির এই উপস্থাপনাটির বিস্তৃতি ও বিশালত্ব ১৯৭৩-এর বাঙালীর বোঝার মত মুডই ছিল না। এখনো অনেকের নেই। ববিতাও ঐ অকৃপণ পৃথিবীর অংশ। কিন্তু ছবি দেখতে গিয়ে শুধু ববিতায় চোখ আটকে থাকলে কি করে চলবে? ববিতা সৌন্দর্য ও naivety -কে সত্যজিৎ ব্যালান্স করেছেন যদু পোড়ার বিভৎসতা দিয়ে।

    "উত্তাল সত্তরকে মৃণাল ধরেছিলেন, ঋত্বিকও তবে তাঁদের 'সীমাবদ্ধ' করতে হয়নি, 'জন অরণ্য'-ও না ।"
    মৃণালও তো রাত-ভোর, বাইশে শ্রাবণ থেকে শুরু করে খারিজ বা পরশুরামের মত ছবি করেছেন। তাতে তাঁর কৃতিত্ব কিছু কমে গেল নাকি? মধুমতির গল্প ও স্ক্রিপ্ট লেখক ঋত্বিক হয়ত আরেকটু স্বভাবিক জীবন যাপন করলে কমার্শিয়াল ও সমন্তরাল দুটো ছবির জগতকীই আরো সমৃদ্ধ করতে পারতেন।

    সব শিল্পীকেই নিজের কান কেটে অন্যের ক্ষত সারানোর জন্য পাঠাতে হবে এমন কোথাও লেখা আছে নাকি?
  • dc | 57.15.4.37 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১২:০৬367464
  • সত্যি কি খারাপ পরিচালক যে ছিলেন মানিকবাবু ! আর শাখা প্রশাখা , গণশত্রু তো বাবা কেন চাকর এর থেকেও অধম ! সত্যি তো আমাদের এইটা ভাবার দরকার নেই যে ভদ্রলোক কে একটা প্রোডাকশন হাউস চালাতে হতো , এতগুলো লোকের রুটি রুজি , একটা আর্ট শুধু নয় একটা ইন্ডাস্ট্রি ও বটে ! সেমতো অবস্থায় দাঁড়িয়ে উনি 'লা দোলচে ভিটা' না বানিয়ে যে 'গুপি gyne বাঘা byne ' বানিয়ে বসলেন এটা কি মস্ত অপরাধ নয় ? দেশটার নাম ভারতবর্ষ এইটা ওনার প্রথম ভুলে যাওয়া উচিত ছিল ! কোনো মূল্য নেই ফিল্ম সোসাইটি মুভমেন্ট , ফিল্ম নিয়ে লেখা বই পত্তর , দর্শক রুচি তৈরী করা ! সদর্থক সমালোচনা র রাস্তায় না হেঁটে কত সহজেই 'ইকোনোক্লাসম' এর নামে কাদা ছেটানো যেতে পারে । সোজা কথাটা সোজাসুজি বলা ভালো অর্থাৎ লেবেল মারা মার্ক্সিস্ট না হলে ঐসব মানবতাবাদী ফাদির কোনো মূল্য আমাদের কাছে নেই । ওর্থাৎ শিল্প বিচারের ক্ষেত্রেও এ সেই একদেশদর্শিতার পরিনাম ।
  • lcm | 109.0.80.158 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১২:২১367465
  • আহা বড়ো-বি,

    সিনেমা নিয়ে লিখুন না। সত্যজিত তপেনকে আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে বারণ করলেন বলে তপেন আর সিনেমা করলেন না, নাকি, অন্য কোনো পরিচালক খুব একটা ডাকাডাকি করলেন না বলে তপেন আর তেমন সিনেমা করলেন না - এসব জেনে কি হবে।

    সিনেমাটি নিয়ে লিখুন।

    সেই বাজারে এটি ছিল সত্যজিত-এর বড় প্রজেক্ট। প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচা হয়েছিল। তার আগে আর ডি বনশল এর প্রযোজনায় দুটি ছবি - কাপুরুষ-মহাপুরুষ এবং নায়ক -- বক্স অফিসে লক্ষ্মী আসে নাই, বনশল সাহেব আর খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সত্যজিত প্রযোজক খুজঁছেন, পাচ্ছেন না। পথের পাঁচালী-র পর নাকি এমন দশা তার হয় নি। এমন সময় প্রিয়া সিনেমার মালিক নেপাল দত্ত আর অসীম দত্ত ফান্ডিং করতে এগিয়ে এলেন, পূর্ণিমা পিকচার্স (পূর্ণিমা দত্ত-র নামে) এর ব্যানারে শুরু হল শুটিং।

    সত্যজিৎ-এর নিজের বয়ানে -

    "এটা হবে গানে ভর্তি ফ্যান্টাসি... এটা হবে আমার নিরীক্ষামূলক ছবি, অনেক টেকনিক্যাল এফেক্ট থাকবে। উড়ন্ত স্লিপারের দৌলতে সারা ভারত ভ্রমণ আছে। ছবির কিছু অংশ তোলা হবে হেলিপটারে, যেখান থেকে ছবির নায়করা নামবে মোঘল প্রাসাদে, মাহারাজাদের দূর্গে, ঐতিহাসিক কেল্লায় এবং তাজমহলে - তবে নিস্তব্ধ ফতেপুর সিক্রি আমার বেশি পছন্দ।"

    মিউজিক্যাল/পলিটিক্যাল/সোশ্যাল/অ্যাবিসম্যাল... যাই বলুন, দুকথা লিখুন না।
  • blank | 52.110.173.168 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১২:৪০367466
  • ঋত্তিক আসলে সময়ের আগে জন্মেছিলেন। এ যুগে জন্মালে গুছিয়ে বাঙ্গলা সিরিয়ান করতে পারতেন। যত মেলোড্রামা , তত টিআর্পি।
  • B | 127.194.230.167 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৩:২৫367468
  • লসাগু-দা(এই সম্বোধনেই বহু আগে আপনার উদ্দেশ্যে লিখেছি, তাই এখনও লিখলাম),
    আপনার দেওয়া তথ্যগুলো সমৃদ্ধ করলো। তবে আপনার বক্তব্যের প্রথমাংশ আমাকে কেন লিখলেন, বুঝলাম না। কারণ ওরকম কোন তথ্য আমি লিখি নি।

    বাকি যেটুকু লিখেছেন তাতে আগেও লিখেছি, আবারও লিখছি, ঋদ্ধ হয়েছি। আপনার শেষ অনুরোধটা নিয়ে পরে কোনসময় ভেবে লিখব, তবে অতগুলো পার্সপেক্টিভ নিয়ে আমার থেকে অনেক বেশী তথ্যসমৃদ্ধ, অনেক বেশী মনোজ্ঞ এবং অবশ্যই অনেক বেশী বহুজন বা সর্ব্বজন সমর্থনযোগ্য লেখা লিখবার ক্ষমতাসম্পন্ন পণ্ডিত এখানে অনেকেই আছেন, দেখুন তাঁদের যদি ইচ্ছে হয়।
  • haha | 125.97.128.244 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৩:২৫367467
  • "আর নাচটা! ওটা বোঝার ক্ষমতা ওই ইস্ত্রি করা চেহারার চন্দ্রিলের নেই। তর্ক করলে মনে হয় প্রাণ ভয়ে শূকর ছানা চেঁচাচ্ছে"

    টইটা আজই খুললাম, আর এটা পড়ে সেই যে হাসতে শুরু করেছি এখনও হেসেই চলেছি। যা-তা বর্ণনা, একেবাবে তেকোনা পরোটার ওপর দুটো দিমের সাথে তুলনীয়।
  • সিকি | 158.168.96.23 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৪:১৪367469
  • খুড়ো বড় হলে কবীর সুমন হবে, এই আমি লিখে দিয়ে গেলাম। মিলিয়ে নেবেন।
  • রোবু | 213.132.214.84 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৪:২৮367470
  • ডিসি আর পিটির সাথে একমত হয়ে যাচ্ছি।
    আর সবচেয়ে বেশি একমত হয়েছি ছোটাই-দির সাথে।
  • অভিষেক | 52.110.181.102 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ১৭:৪৬367472
  • খুব ভালো আলোচনা চলছে!! তবে চন্দ্রিলের চেহারা আর গলার আওয়াজ নিয়ে খোঁচাটা অবশ্য ভালো লাগেনি। বক্তব্যের কুযুক্তি বা রেটোরিক নিয়ে বললে খারাপ লাগতো না।
    চন্দ্রিলকে অপছন্দ করলেও এই কথাটা বলতাম।
  • avi | 57.11.11.159 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২০:১০367473
  • চন্দ্রিলের এই দুজনকে নিয়ে দুটো দারুণ লেখা পড়েছিলাম ছোটবেলায়। সত্যজিতের ওপর প্রবন্ধটির নাম ছিল 'ব্যাপার সহজপ্রাচ্য নয়'।
  • cb | 208.240.130.75 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২০:১৪367474
  • চন্দ্রিলের বক্তব্য তো আমার বেশ লাগে। পাওলির ছত্রাক আর সিনেমার পাইরেসি এই ২ টো পুরনো ভিডিয়ো শুনছিলাম কদিন আগে। চমৎকার বলল। কোনরকম ধরি মাছ না ছুঁই পানি নেই। পরিস্কার দাবি যে বিনা পয়সায় মাল পেলে কেন লোকে পয়সা দিয়ে কিনবে আর যে জিনিষ দেখে লোকের এত আনন্দ তা নিয়ে পাওলি কে দোষ দেওয়া কেন? এ তো আমার কাছে বেশ যুক্তিযুক্ত ঠেকলো

    টি, শুকরছানা তো কম পড়ে নাই :P
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২১:০০367475
  • দে, নাঃ উত্তর পাই নাই :-(

    অক্ষ-কে খুব মিস করি। দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষজন, আদিবাসী-দের কথা আসত ওর লেখায়, সেটা একটা কারণ। আর একটা কারণ হল খুব টু দ্য পয়েন্ট, প্রেসাইস উত্তর দিতেন। কেউ হয়ত একটা প্রশ্ন করেছে, এবং তা নিয়ে বিবিধ ধোঁয়াশাপূর্ণ ট্যানজেন্ট কথাবার্তা চলছে, অক্ষ এসে কোন টালবাহানা, বিটিং অ্যারাউন্ড দ্য বুশ না করে ঠিক উত্তর-টা দিয়ে দিতেন, বেচারা প্রশ্নকর্তা হাঁপ ছেড়ে বাঁচত।
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২১:০৪367476
  • চন্দ্রিল-এর চেহারা আর কন্ঠস্বর নিয়ে কমেন্ট-টা খুবই নিম্ন রুচির হয়েছে
  • aranya | 172.118.16.5 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২১:১৫367477
  • কবীর সুমনের কিছু কাজ যেমন নন্দীগ্রাম পর্বে রোজ ৫ জন সিপিএম-কে খুন করতে বলা, শ্রীজাত এবং আরও কয়েকজনকে পাব্লিক ডোমেনে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ, অভিজিৎ রায় এবং অন্যান্য ব্লগার-দের হত্যার সময় তারা নিজেদের দোষে খুন হয়েছেন এমন কিছু পোস্ট, ইসলামিক মৌলবাদ-কে সমর্থন করে কথাবার্তা - এইরকম কিছু কাজ আমার খারাপ লেগেছে।

    কিন্তু আমি যখন সুমনের গান শুনি বা তার গান বিশ্লেষণ করি - তোমাকে চাই, জাতিস্মর, নিষিদ্ধ ইস্তাহার, পেট কাটি চাঁদিয়াল - আরও কত গান মুক্তার মত জ্বলজ্বল করছে - এই সব গান নিয়ে আলোচনার সময় সুমনের মন্দ কাজের লিস্টি টেনে আনি না।

    তেমন-ই সত্যজিতের সিনেমার আলোচনার সময় উনি তপেন-কে কি বলেছেন বা সন্দীপ-কে কি বলেছেন, এগুলো প্রাসঙ্গিক নয়।

    এইটুকুই।
  • Arnab913 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২১:৪৮367478
  • বিখ্যাতদের ব্যাপারে আমাদের একটা নাক গলানো স্বভাব আছে। নিজের সাথে ব্যাপারটা হলে একদমই সহ্য হয়না, তবুও বিখ্যাত প্রিয় মানুষদের খুঁটিনাটি জানার ব্যাপারে একটা অদম্য আগ্রহ কাজ করে। এই হিপোক্রেসিটা হয়তো খারাপ, কিন্তু এই জানার ব্যাপারটা ভালোবাসার জায়গা থেকেই আসে।
    তর্ক এমন একটা জায়গায় ঠেকছে যে, সত্যজিতের শিল্প নিয়ে আলোচনা চলছে, এখানে তাঁর স্বভাব বিশ্লেষণ কেন? কবির সুমনের কথা যখন এলোই তখন বলছি , তাঁর মতো সঙ্গীত বিশারদ বাঙালি এখন খুব কমই জীবিত আছেন। তাঁর বক্তব্য, বই মন দিয়ে শুনি-পড়ি। সঙ্গীতগুরু হিসেবে তাঁকে দ্রোনাচার্য মানতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনাচরণ, সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য আমার পছন্দ নয়, তাই ওটা অনুসরণ করিনা। তাঁর অনুনুকরণীয় ব্যক্তিসত্তা শিল্পস্রষ্টা সুমনকে মোটেই মলিন করছেনা। আমি দুটোকে আলাদা দেখতে স্বচ্ছন্দ।
    বিখ্যাতদের দোষ-ত্রুটি হাইলাইট করে স্টান্টবাজির কিছু নেই, কেউই তো দোষের উর্ধ্বে নয়। দোষত্রুটির আলোচনা তখনই ক্ষতিকর যদি সেটা শিল্পীর কাজের প্রতি জাজমেন্টাল করে তোলে। আর এই লাগামটার ওপর ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিৎ বইকি।
    যখন কেউ যদি রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ বা পছন্দের বিখ্যাত ব্যক্তির মাঝে ঐশ্বরিক গুণ খোঁজেন তবে বলতেই হয় সেই ভালোবাসাটা মানবিক কিংবা গুণের কদরমুখী নয়; সেলিব্রেটিজম,প্রফেসির প্রতি একটা না-বুঝেই আনুগত্যের মত।
    ব্যক্তিগত ভাবনাপদ্ধতি, কেউ জোরপূর্বক কষ্ট নেবেননা।
  • এলেবেলে | 160.129.177.52 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২১:৫৪367479
  • “ওহো, "পাম্পড আপ বেলুন", "ভূষিমাল", "ছেঁদো" -- এগুলো হল বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গী, ভিন্নদৃষ্টি থেকে দেখা ভিন্নমত। মানে যেগুলি ব্যক্তিগত সংগ্রেঅহে নাই সেগুলি সব এইদলে। জিরো বা ওয়ান। বাইনারি। বুঝতে পারি নি "।
    আশ্বস্ত করে বলি ভুসিমাল ও ছেঁদোসমেত ‘অভিযান’ ছাড়া প্রতিটি ছবি এবং তথ্যচিত্র ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে । এবং দীর্ঘদিনই আছে । তাতে ভুসিমাল দুর্দান্ত হয়নি, চিড়িয়াখানাও হয়নি, অরণ্যের দিনরাত্রিও না । ঋত্বিকের আত্মজৈবনিক ছবি ছিল যুক্তি তক্কো যেখানে তিনি নিজেকেও রেয়াত করেননি । সত্যজিতের আগন্তুক (উৎপল দত্তকে তিনি সত্যজিৎ-এর ভূমিকায় নির্বাচিত করেছিলেন) -এ উৎপল সাঁওতালদের নাচ দেখেন যাঁরা পরিপাটি সেজে তাঁকে এবং দর্শকদের ‘মনোরঞ্জন’ করে । এখানেই সামান্য ফারাক হয়ে যায় আর কি ! চন্দ্রিলকে ‘ইস্ত্রি করা চেহারার’ বলব আর ‘পাম্পড আপ বেলুন’ শুনলে গাল ফোলাব তা হয় নাকি ? সত্যজিৎ চমৎকার বর্ণময় বেলুন তাতে যেমন সন্দেহ নেই তেমন আনন্দবাজার সে বেলুনে বহুত গ্যাস ভরেছিল তাতেও সন্দেহ নেই । ওই পত্রিকাটি গান্ধীর মৃত্যুর পর কেবলমাত্র সত্যজিতের মৃত্যুর পরদিন বিজ্ঞাপনহীন কাগজ বের করেছিল । ভাবা যায় ? শুধুই শ্রদ্ধা নাকি ফেলু-শঙ্কুর ব্যবসাও লুক্কায়িত ছিল ?

    “ অতো সেলাম টেলাম ঠুকতে হবেনা। প্রতিটি ছবি ই মুঘ্ধ হয়ে দেখেন আবার নিজেই বলেন ;সত্যজিৎ পাম্প করা বেলুন।একটু খট মটো লাগছে আর কি!
    সন্দীপন, নাকি সত্যজিতের কাজের প্রভূত নিন্দা করেছে।
    ভালো-তা,মারা যাবার আগে সন্দীপন কে ;লোকে জানতো?
    তারপরে তুলনায় এলো আকিরা কুরোসাওয়া আর সিডনি টিটান। তা,পরের ভদ্রলোক টির নাম আগে শুনি নাই।
    বলে দিলেন বলে জানতে পারলাম ,চিত্র সমালোচক।
    এনিওয়ে, সত্যজিতের সঙ্গে ঋতিক বা মৃনাল বাবুর তুলনায় যেতে চাই না ” ।
    ‘পাম্প করা বেলুন’ ব্যাখ্যা করেছি । সন্দীপন ‘সত্যজিতের কাজের প্রভূত নিন্দা করেছে’ বলিনি, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি দেখে যারপরনাই গালাগাল করেছিলেন’ বলেছি । ২০০১ এ প্রকাশিত ‘সেইসব দিন রাত্রি’ তে ডিটেলটা ছিল । অবশ্য আমি ব্যক্তিটি সম্পর্কে মারা যাবার আগে কিঞ্চিৎ জেনেছিলাম এবং বইটি কিনেছিলাম । আমারই দোষ ! সিডনি টিনান না জানলে দোষ নেই কোনও, তবে মারী সিটন আর জর্জ সাঁদুল না জানলে খানিক দোষ হতেও পারে । তো ঋত্বিক মূল্যায়নে ওঁদের মতামতের যদি কানাকড়ি দামও থাকে তবে একটু দেখে নেবেন না হয় । ‘সত্যজিতের সঙ্গে ঋতিক বা মৃনাল বাবুর তুলনায় যেতে চাই না’ কেউ যেতে বলেনি, কেউ করেওনি শুধু এ দেশ যে গুরুবাদে আচ্ছন্ন সেটা আর একবার মালুম হল । গায়ে সামান্য টোকা পড়লেই যদি এই হারে পলেস্তারা খসে পড়ে তাহলে আর দেবমহিমা কীসের ?

    “না, তুলনা করতে হবে। সত্যজিত-এর কটি সিনেমা বারংবার দেখি, পুরো সিনেমা। ঋত্বিকের সিনেমার খন্ড খন্ড অংশবিশেষ বারবার দেখি, কিন্তু কোনো পুরো সিনেমা আর দেখার বাসনা নাই। মৃণাল সেন-এর চালচিত্র আর একবার দ্যাখব, এছাড়া ওনার আর কোনো সিনেমা দেখার বাসনা নাই”
    ‘যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি বাড়ি যায়, তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়’ - মনে হল এই যা।

    “সত্যি কি খারাপ পরিচালক যে ছিলেন মানিকবাবু ! আর শাখা প্রশাখা , গণশত্রু তো বাবা কেন চাকর এর থেকেও অধম ! সত্যি তো আমাদের এইটা ভাবার দরকার নেই যে ভদ্রলোক কে একটা প্রোডাকশন হাউস চালাতে হতো , এতগুলো লোকের রুটি রুজি , একটা আর্ট শুধু নয় একটা ইন্ডাস্ট্রি ও বটে” !
    আস্তে ! আস্তে !! স্পিড কমান !!! এই ‘ইন্ডাস্ট্রি’-র ‘এতগুলো লোকের রুটি রুজি’ চালানোর গুরুদায়িত্ব নেওয়া মানুষটির নিজের পেট চলত ফেলুদার রয়্যালটি থেকে । অতগুলো সার্থক ছবি-করিয়ে ভদ্রলোকটি পারিশ্রমিক বাড়ানোর কথা নিজের মুখে বলতে লজ্জা পেতেন । কাহিনি, চিত্রনাট্য, সঙ্গীত ও পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া মানুষটিকে অনিলবাবুর কাছে টাকা বাড়ানোর কথা বলতে স্বয়ং বিজয়া রায় অনুরোধ করেছিলেন ।

    “দেশটার নাম ভারতবর্ষ এইটা ওনার প্রথম ভুলে যাওয়া উচিত ছিল ! কোনো মূল্য নেই ফিল্ম সোসাইটি মুভমেন্ট , ফিল্ম নিয়ে লেখা বই পত্তর , দর্শক রুচি তৈরী করা” !
    শুধু সত্যজিতের না, ঋত্বিকেরও ভুলে যাওয়া উচিত ছিল । বেদেনী এক্সপোজড না হওয়া, নাগরিক জীবদ্দশায় মুক্তি না পাওয়া, সুবর্ণরেখার পর পাক্কা দশ বছর কোনও ছবি না পাওয়া, আলাউদ্দিনের তথ্যচিত্র অন্যের নামে চালান হয়ে যাওয়া, মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, মাতাল ঋত্বিক কোনও ছবি করার অবস্থায় নেই জাতীয় চুকলিবাজির মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও লোকটা কী করে তিতাস আর যুক্তি তক্কো করেছিলেন কে জানে । অবশ্য ঠিক জানি না ‘ফিল্ম সোসাইটি মুভমেন্ট , ফিল্ম নিয়ে লেখা বই পত্তর , দর্শক রুচি তৈরী করা’-র ক্ষেত্রে ওঁর কোনও অবদান ছিল কিনা । পারলে জানাবেন ।

    কল্লোলবাবুর ‘সূত্রে পাওয়া’ খবরাখবর নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করলেও এটা নিয়ে কেউ করেননি --- “সন্দীপন বাবুর কাছ থেকে এক সাক্ষাত উক্তি পারিবারিক সূত্রে শোনা , 'রবীন্দ্রনাথের সবই ছিল খালি একটা জিনিসেরই অভাব, প্রতিভা' - যিনি শুনেছিলেন তিনি আর কিছু জিজ্ঞেস করে উঠতে পারেননি”।
    আমিও বলছি “এআমার 'অধোবদন নতশির' জিজ্ঞাসা নয়। সরাসরিই জিজ্ঞাসা করছি। আছে কোনো প্রমাণ”?
  • 4z | 209.167.35.20 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:২৩367480
  • আচ্ছা রায়সাহেব তো রবি ঘোষ বা সৌমিত্র চট্টো কে অন্য করোর সঙ্গে কাজ করতে বারন করেননি, তাহলে শুধু তপেন চট্টো কে কেন করলেন? তাহলে কি একমাত্র উনিই বুঝেছিলেন যে 'বেটা তুমসে না হো পায়েগা'?
  • Du | 182.58.104.114 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:৩১367481
  • যিনি শুনেছিলেন তিনি সরাসরি আমাকে বলেছেন। কলকাতায় থাকলে গিয়ে শুনে আসতে পারেন। সন্দীপনের মেয়েকে জিজ্ণেসও করতে পারেন চেনা থাকলে বরানগরে তাদের প্রতিবেশী ইনি ছিলেন কিনা। সন্দীপন বেঁচে থাকলে উনিও কনফার্ম করতেন তবে সেটা আর পারলাম না। এই আমার উত্তর। এখানে গুজব কিছু নেই।
  • Du | 182.58.104.114 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:৩৪367483
  • এটা তো কোন নিন্দাও ছিল না। উনি একথা বলতে পারেন এটা বিশ্বাস করা যাচ্ছে না কি? বরং এটা বানিয়ে বলাটাই গুরুভজা আমাদের পক্ষে কঠিন। নয় কি?
  • DU | 182.58.104.114 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:৩৬367484
  • ছোটাইয়ের করা সব প্রশ্নগুলোই অবিশাস্য কিছু 'তথ্য' নিয়ে। তার উত্তরে এইটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হল?!!!!
  • এলেবেলে | 160.129.177.52 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:৪৬367485
  • পিটি, আপনি টিপিক্যাল ওয়ান লাইনার (নির্মোহ ব, কে দেয়, সিরিয়ল করতেন) না লিখে সিরিয়াস আলোচনা করতে চাইছেন । আপনার ব্যাপারে আলাদা করে লেখা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে । অশনি সংকেত, সীমাবদ্ধ ও জন অরণ্য সম্বন্ধে আমার ভাবনা কিঞ্চিৎ অন্যরকম ।

    অশনি সংকেত --- তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ শুধু চালের নয়, বরং কাপড়ের। সে দুর্ভিক্ষ অনেক দীর্ঘস্থায়ী। ... কিন্তু অশনি সংকেতে যেরকম রঙীন কাপড়ের ছড়াছড়ি দেখা গেছে মেয়েদের গায়ে সেটা সমসাময়িক ইতিহাসের সাথে পরিচিত যেকোন লোকের চোখেই দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়ায়। ছুটকী পেট আর লজ্জা নিয়ে অনেক কথা বলেছে। কিন্তু কাপড়ের সমস্যা এই সময়ে মেয়েদের কাছে কী নিদারুণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার কোন আভাসই ছবিতে পাওয়া যায় না। এই দুর্ভিক্ষের তথ্য আর একটা দিকের দিকে আঙুল দেখিয়েছিল সেটা হলো বহু জায়গায় মূল্যবোধের বিসর্জন। মা ছেলের হাত থেকে খাবার কেড়ে খেয়েছে, বাবা মেয়েকে বিক্রী করে দিয়েছে। ... দুর্ভিক্ষের সেই নিষ্ঠুরতা সত্যজিৎ রায়ের কালচেতনায় নেই বরং বামুন-বৌ ছবির ঠিক শেষ মুহূর্তে গুচ্ছের লোককে ঘরে আশ্রয় দেবে যখন তার পেটে আর একটা প্রাণ আসছে। এই গোটা ব্যাপারটা এত অবাস্তব এবং এতটাই অনৈতিহাসিক যে অশনি সংকেত পঞ্চাশের মন্বন্তরের একটি কিম্ভূত প্যারডি ছাড়া আর কিছু হয়নি। (সত্যজিৎ চলচ্চিত্রের কালচেতনা - গৌতম ভদ্র)

    জন অরণ্য --- খুবই আশ্চর্য ছবিটার নাম জন-অরণ্য, অরণ্যের নিয়ম থাকে। বড়বাজারের ব্যবসার ক্ষেত্রে পারস্পরিক তীব্র প্রতিযোগিতার সংগ্রামই নিয়ম। যেখানে বড় মাছগুলো সবসময়ই চেষ্টা করে ছোট মাছগুলোকে খেয়ে ফেলতে। গোটা জন-অরণ্যে কিন্তু কোথাও এই অরণ্যের নিয়ম কাজ করেনি। নাদান, ভালো মানুষ সোমনাথকে সবাই বড় ভাই-এর মতো উপদেশ দেয়, সবাই সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আদকবাবু তাকে আশ্বস্ত করে আর নটবর মিত্র তার কাছে হাফ-প্রাইসে কাজটা সেরে দেয়ার প্রস্তাব দেন। শিশুর প্রতি এই পিতৃত্বসুলভ ব্যবহার যে বড়বাজারের ব্যবসা চালাবার নিয়মকানুন তা এই প্রথম জানা গেল। (ঐ)

    সীমাবদ্ধ --- নিজের অসামান্য চলচ্চিত্রবোধ নিয়েও সত্যজিৎ রায় চরিত্রায়ণের ত্রিমাত্রিক রীতিতে বরাবরই অনীহ। অসংখ্য আলংকারিক detail-এর সাহায্যে যুগ ও সমাজের একটা স্পষ্ট outline তৈরি করেও সেই পরিবেশের অন্তর্নিহিত dynamism-এর সার্থক ব্যবহারে বিরত থাকেন সত্যজিৎ। এক্ষেত্রে শিল্পীর প্রধান সহায় যে বিভিন্ন ব্যক্তিচরিত্র তাদের তিনি করে তোলেন না স্থান-কালের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি। ... ফলে অচিরেই ছবির কাহিনী বিশিষ্ট কোন ব্যক্তিসমস্যার সংকীর্ণ খাতে বাঁক নেয় এবং তারপর সেইভাবেই বয়ে চলে, ইতিহাসের অন্তর্বস্তুকে উপেক্ষা করে। ... আবার সেই কাহিনীর ভারে ভারাক্রান্ত চরিত্রগুলিও, যুগের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার বদলে, কাহিনীর নিজস্ব ধারাকে সাহায্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই পারস্পরিক বিচ্যুতির মাধ্যমে ইতিহাসের খণ্ডাংশের পরিবর্তে দর্শকের সামনে উপস্থিত হয় নিছক এক ‘গপ্পো’। (‘ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, প্রগতি, পিছুটান’, সিনেমার ভালোমন্দ, সোমেশ্বর ভৌমিক) খেয়াল করলে দেখা যাবে শ্যামলেন্দুর সংকটটি অর্থনৈতিক নয়, নিছকই এক মানবিক সংকট হিসেবে সিনেমাটিতে উপস্থাপিত । এইখানেই ছবিটি সম্পর্কে আমার খারাপ লাগা ।

    আশা করি দীর্ঘ উদ্ধৃতি তিনটে পড়ে ‘এ কী লিকেচে ও কী লিকেচে’ বলবেন না । গৌতম ভদ্র ও সোমেশ্বর ভৌমিক যে আপনার পরিচিত পরিজন সে কথা জানি কাজেই ‘সন্দীপন আবার কে’ জাতীয় উক্তি আসবে না সে বিষয়ে নিশ্চিত রইলাম ।
  • dc | 113.242.190.129 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:৫৬367487
  • অদ্ভুত এই বাঙালিসুলভ মানসিকতা ! নাটকের ক্ষেত্রে শম্ভু মিত্র এবং উৎপল দত্ত এর যে দ্বৈরথ তা সর্বজনবিদিত । সাহিত্যে মানিক , তারাশঙ্কর , বিভূতিভূষণ প্রত্যেকেই স্বকীয় এবং স্বতন্ত্রভাবে বাংলা সাহিত্য কে সমৃদ্ধ করেছেন । এরকম উদাহরণ প্রভূত । বলার বিষয় ,এর কোনোটাতেই সাধারণ বা অসাধারণ বাঙালি সমাজ একজন কে ব্রাত্য করে অন্যজন কে মহান করার কোনো উদগ্র প্রচেষ্টায় লিপ্ত নয় অথচ সিনেমার প্রসঙ্গ এলেই যেন অদ্ভুত এক ছায়াযুদ্ধ শুরু ! ঋত্বিক ঘটক নিঃসন্দেহে সিনেমার একজন auteur । যে সাফল্য তিনি জীবদ্দশায় পাননি, সে দুঃখ আজীবন শুধু তাকেই নয় আপামর সিনেমাপ্রেমী মানুষ কে haunt করবে , ভাবাবে , বিরক্ত করবে এই সমাজের প্রতি । কিন্তু সত্যজিৎ বাবু কে টেনে নামানোর মধ্যে এই দুঃখের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে কি শুধু নিজের মুখেই থুতু ছেটানো ছাড়া ?বাস্তবে তো যতদূর জানি দুজনেই দুজনের প্রতি আন্তরিক এবং শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, ফিল্ম সোসাইটি মুভমেন্ট এ ঋত্বিক ঘটক অবশ্যই যুক্ত ছিলেন তবে not as a pioneer , কিন্তু তাতে কি ? সেটা একটা ঐতিহাসিক তথ্য মাত্র আর কিছু নয় ! শেষ বিচার বলে কিছু হয়না হয়তো,কিন্তু দুজনকেই comrade in arms তো বলাই যেতে পারে ? both were committed to the cause in their own way ।
  • এলেবেলে | 160.129.177.52 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২২:৫৬367486
  • উনি একথা বলতে পারেন এটা বিশ্বাস করা যাচ্ছে না কি?

    ব্যক্তি আলোচনা করতে দেখেছেন এখনও ? সত্যজিৎকে নিয়ে, সন্দীপ রায়কে নিয়ে বা ঋত্বিককে নিয়ে ? সন্দীপন একথা বলেছিলেন কিনা তা নিয়ে আমার আগ্রহও নেই । যেমন কল্লোলবাবুর 'সূত্রের খবর' নিয়েও নেই । দু'টি ক্ষেত্রেই লিখিত আকারে থাকলে হয়তো থাকত । শুধু এটুকুই বলতে চাওয়া ।
  • Du | 182.58.107.63 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২৩:২৪367488
  • দুটোতেই উৎসাহ না থাকলে ইগনোর করলেই বুঝতে সুবিধে হত। খামোখা একগাদা লিখতে হল আমাকেও।
  • B | 127.194.230.167 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২৩:৪০367489
  • এত রাত্তিরে এখানে এসে এই টই খুলে 'ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে থির হয়ে বসেছিলুম কিচুক্কোণ, তারপর সম্বিত ফিরতে লিখতে বসলুম। তবে সম্বিত ঠিক ফিরেচে কিনা হলপ করে বলতে পারচি না। কারণ উত্তেজনায় small letter আঙুলের অস্থিরতায় capital হয়ে যাচ্চে। যে শমীককে দিল্লির আনাচে কানাচে বিজেপি ইয়ে ভাজপা ইয়ে বজরং দল বিরোধী সমাবেশে দেকার জন্য আকুলিবিকুলি করে মন, তাকে কিনা বিপ্লবী, প্রগতিশীল, সর্ব্বধর্মসমন্বয়ের বাঙালীর শেষ আশা এবিপি আনন্দে জ্যোতিষ হয়ে বসে থাকতে দেকচি। তাইলে কি বিজেপি-র জ্যোতিষ শিক্কাতে ও'ও নাম নেকালো?

    কি আপদ, এইবয়েসে আমাকে সাংসদ হতে হবে? এ অবিচার গণনা কিচুতেই মেনে নেবো নি।
    ***********************************************
    আরেকটা কথা - কলেজ না ইশকুল কোন কালে একটি মেয়ে বলেচিল, 'কৃষ্ণা করলে লীলা, আর আমি বা তুই করলে বিলা।"

    আর আরও একটা কথা- এটা খুব জোরে সম্বিতে প্রবেশ করচে। বহু লোককে বলতে শুনতাম,"জানেন, এটিএম মেশিনে জাল নোট পাওয়া গেচে।"
    বক্তাকে, তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা কিনা, জিজ্ঞেস করতেই একটাই উত্তর, "না না, আমার সাথে ঘটে নি, আরেকজনের সঙ্গে ঘটেচে, তিনি নিজের মুখে আমাকে বললেন"।(তারপর পুরো বাক্যের উপর পৌনঃপুনিক চিহ্ন বসিয়ে নিতে হয়। অথবা রেফারেন্স টু রেফারেন্স টু.... চরৈবেতি ! চরৈবেতি !
  • B | 127.194.230.167 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২৩:৪৫367490
  • মাননীয় dc,

    শম্ভু মিত্র ও উৎপল দত্তের সর্বজনবিদিত দ্বৈরথ নিয়ে কিছু লিখুন না। রাগ করবেন না, ও ব্যাপারটা আমার খুব একটা জানা নেই। এই অনুরোধ যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে মাফ করবেন আর উপেক্ষা করবেন।
  • এলেবেলে | 212.142.70.80 | ১৮ জুলাই ২০১৭ ২৩:৪৯367491
  • বলার বিষয় ,এর কোনোটাতেই সাধারণ বা অসাধারণ বাঙালি সমাজ একজন কে ব্রাত্য করে অন্যজন কে মহান করার কোনো উদগ্র প্রচেষ্টায় লিপ্ত নয় অথচ সিনেমার প্রসঙ্গ এলেই যেন অদ্ভুত এক ছায়াযুদ্ধ শুরু !

    'অতগুলো সার্থক ছবি-করিয়ে ভদ্রলোকটি পারিশ্রমিক বাড়ানোর কথা নিজের মুখে বলতে লজ্জা পেতেন' । লিখেছিলাম, পড়লেন ? বেশ দাগা বুলিয়ে দিতে পারলেই অপার শান্তি লাভ করেন ? আমাকে লড়াইক্ষ্যাপা ভাবছেন বুঝি ? সব দেখেশুনে আমার কেবলই 'একা এবং কয়েকজন' মনে পড়ছে !
  • B | 127.194.230.167 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ০০:১৪367492
  • এরকম তথ্যনিষ্ঠ লেখার কলমধারীকে কেউ একা করতে চাইলেই সে/তিনি একা হয়ে যায়/যান না। আর বাকি জিনিষগুলো এমন ব্যাধি যার নিরাময় কোনদিনই হবে না। অবশ্য ক্যামোফ্লাজিং চলছে, চলবে।
  • B | 127.194.230.167 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ০০:২৩367494
  • অরণ্যবাবু, আপনার লেখা মিস করে গিয়েছিলাম। যদিও আপনি আমাকে লেখেন নি, তবে বক্তব্যে প্রতিপাদ্য বিষয় বা ব্যক্তি বোধহয় আমিই ছিলাম, তাই দু কলম লিখে যাই। অক্ষ বা আত্রেয়ীর সম্বন্ধে ওই মতামতটা আমারও, হয়তো বা অনেকেরও। তবে এটা সত্যি যে বিটিং অ্যারাউণ্ড দ্য বুশ না করার অভিপ্রায়ে আপনাকে অন্য কারুর বক্তব্যকে মাথায় রেখে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনটে পোস্ট করতে হয়েছে।

    এবং পূর্ব্বের মতই কবীর সুমনকে নিয়ে লেবু কচলাতে হয়েছে। যদিও এগুলির কোনটাই আমার কোন লেখাতেই ছিল না, তবুও আপনাকে সন্তুষ্টিপ্রদান না করতে পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করলাম। এবং আপনার মন্তব্যে যারপরনাই আহ্লাদিত হয়েছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন