এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এখন নন্দিগ্রাম - ১৪ই মার্চের থেকে

    Binary
    অন্যান্য | ০৫ মে ২০০৭ | ২২৫২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 59.162.191.115 | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ ০০:১৬385030
  • খাইসে! এ তো দেখি মহাজোটের বিজ্ঞাপন, এক্স-বি জে পি এক্স-তৃণমূল নট ইয়েট এক্স-কংগ্রেস পরশ দত্ত মহাশয় দ্বারা প্রচারিত!!
  • debu | 170.213.132.253 | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ ০২:২১385031
  • এতে খারাপ কি দেখলে?
    united we stand!!
    দেবু
  • r | 59.162.191.115 | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ ১২:৪৫385032
  • এই যা:! এনার গুলায়া গ্যাসে! "We" মানে কি? পরশ দত্তদের সাথে "We" হওয়া তো অসম্ভব!
  • Suvajit | 121.218.103.141 | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৯:০৩385033
  • একটা প্রশ্ন ছিলো। হাইকোর্ট (বা অন্য কোন কোর্ট) কি ক্ষতিগ্রস্তদের কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তাও সরকারকে নির্দিষ্ট করে দিতে পারে ? এই খবরটা পড়ে প্রশ্নটা এলো। http://timesofindia.indiatimes.com/HC_slams_WB_govt_for_Nandigram_violence/articleshow/2545997.cms
  • Du | 67.111.229.98 | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ ২১:০৬385034
  • তিস্তা শেতলবাদের লেখাটা লিংক দিচ্ছি -- এই বিষয়ে আমি একটু কথা বলেছিলাম বলে - গুলিয়ে না যেতে চাইলে ইগনোর করুন
    http://www.anandabazar.com/16edit3.htm

  • dd | 202.122.17.210 | ১৬ নভেম্বর ২০০৭ ২৩:৪০385035
  • যে গুলি লক্ষ্য করলাম

    ১। এবারে সৌমিত্র বাসুর "প্রতিবেদন"এর মতন ফালতু কেউ লেখেন নি। বর্ত্তমানও নয়। মিছিলে নিহত দুশোজন কয়েক মিনিটের মধ্যে পাঁচে নেমে এসেছে। কেউ প্রতিবাদের ছলায় সেটাকে ফাজলামোর স্তরে টেনে নামান নি। এটা ভালো হয়েছে।

    ২। প্রতিবাদের বর্ষাফলক আর মমতা ইত্যাদির হাতে নয়, সাধারন মানুষের হাতে। এমন মিছিলের কথা কখনো ভাবাও যেতো না।

    ৩। বুদ্ধবাবুর র‌্যালা। আমি আপ্লুত। অভিভুত। কখনো কোনো মুখ্যমন্ত্রীকে সজ্ঞানে এইরকম মস্তানির কথা বলতে শুনি নি। ভাবতে ভয় লাগে মস্তানিকে কি রকম লেজিটিমেসি দিলেন এরপর হাপা সামলাতে পারবেন তো ? পেত্যয় হয় না।

    ৪। অশোক মিত্তিরের চমৎকার প্রবন্ধ, আনন্দবাজারে। ক্ষিতি গোষ্বামীর সাহস, আর এস পি ফরোয়ার্ড ব্লকের ফোঁস ফোসানি। এ সবই আস্থা ফিরিয়ে আনে।

    ৫। নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই সিপিএম পার্টীর ভিতরেও প্রশ্ন উঠবে। নেতা মানেই ভগবান সেই মনোভাব টিঁকবে না।

    ৬। একই সাথে যেন মমতা ইত্যাদিরও ঘোলা জলে মাছ ধরার অবস্থানও লোকে স্পষ্ট দ্যাখে।
  • kallol | 122.167.80.166 | ১৭ নভেম্বর ২০০৭ ০২:২১385036
  • একেবারে প্রসঙ্গান্তরে না হলেও সামান্য অন্য সময়ে যাচ্ছি। প্রথমবার বামফ্রন্ট বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে (মাধাই হালদার শহীদ হন যেবার), দলহীন দলীয় ব্যানারহীন মহামিছিল হয়। দেশবন্ধু পার্ক থেকে দেশপ্রিয় পার্ক। সে মিছিলও এমনটাই হয়েছিলো। দেশবন্ধু পার্ক থেকে যখন শেষ মানুষটি বেরুচ্ছে, মাথা তখন বৌবাজারে। পরে একটা বন্ধ হয়, খুব স্বত:স্ফুর্ত।
    ইতিহাস আছে।
  • m_s | 202.78.233.133 | ১৭ নভেম্বর ২০০৭ ১৬:০৪385037
  • মিছিল

    প্রতিবাদ আর বিরোধিতার যে মনোভাব ১৪নভেম্বরের গোটা মিছিলে ছিল, সেই বিরোধিতা শুধুমাত্র হিংসা-রক্তপাত-অশান্তির আর মনুষ্যত্বের অপমানের বিরোধিতা ছিল না ; যে শাসনক্ষমতার ঔদ্ধত্ব, শঠতা, অসাংবিধানিক আচরণ আর জবরদস্তি থেকে এই সব কিছুর শুরু হয়েছে -- সেই শাসনক্ষমতার বিরোধিতাও ছিল সেই মিছিলে। তা যদি না হতো , যদি অপরাধকারীর বিরোধিতা না হয়ে শুধুমাত্র অপরাধের বিরোধিতা হতো, তবে কলকাতার বুকে সেদিনের সেই জনস্রোত দেখা যেত না। হলেও , তা অর্থহীন নিষ্ফল হতো। সেই কায়েমী ক্ষমতাকে যদি ""ওরা'' ব'লে চিহ্নিত করতে হয় , তবে তাই করতে হবে ; আর ""আমরা'' হবে সেই মানুষেরা , যারা সেই অপরাধ-হিংসা-রক্তপাত-অশান্তির আসল উৎসক্ষমতাকে একেবারে শিকড় সহ তুলে ফেলতে চায়। গণতান্ত্রিক দেশের শাসনক্ষমতা বদলের রাজনীতিতে ওরা-আমরা থাকবেই, বিরোধিতা থাকবেই।
    কিন্তু সেই বিরোধিতা আর প্রতিবাদ করতে হবে বন্দুক দিয়ে নয় , ভোটমেশিনের বোতাম টিপে ; ওদের বুকে গুলি বিঁধিয়ে নয় , ওদের চিহ্নে ভোট না-দিয়ে।
    they’ll never be paid back in their own coin , it’ll be a different coin ... that coin won’t be a bullet , it’ll be a ballot.

    সেই লড়াইয়ের এখনও চার বছর দেরী। এই সময় নিজের মনে সঞ্চয় করতে হবে ঘৃণা , সেই ঘৃণার আগুন থেকে ওদের একটি সমব্যথীও যেন রেহাই না পায় , সেই সমব্যথী প্রতিবেশী , বন্ধু, আত্মীয় ; এমনকি, ভাই, বোন, মা, বাবা যেই হোক না কেন।
    ওদের একটি সমব্যথীর প্রতি এতটুকু ভালোবাসা আর স্নেহ থাকলেও , সেই লড়াইয়ের দিনে নিজের হাত কাঁপতে পারে, নিশানা ভুল হতে পারে।

    ঘৃণা দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে তাদের , যারা ওদের সমব্যথী হয়েও এখন প্রতিকূল পরিবেশে গিরগিটির মতো রঙ পাল্টিয়েছে ; অথবা সাময়িক ভাবে ১৪নভেম্বরের মিছিলস্রোতে নিজেদের রঙ ধুয়ে ফেলতে চাইছে।
    যারা আজ শুধুমাত্র দুর্গতদের ত্রাণ , অশান্তির মধ্যে শান্তির সন্ধান , আর স্বৈরাচারীর কাছে অত্যাচারের কৈফিয়ত তলব ক'রেই খুশী থাকবে, তারা ভুল করবে। এ বিদ্রোহে তাদের কোন ভূমিকা নেই। তাই, ঘৃণা তাদের জন্যেও।

    হ্যাঁ ! ঘৃণা করতে হবে তাদের সবাইকে, আর সেই ঘৃণাই এই চার বছর ধরে শক্তি যোগাবে , সেই আগামী লড়াইয়ের জন্যে।

    যদি সেই ঘৃণা নিজের'ই মনের অশান্তি ডেকে আনে, যদি নিজের'ই মনের ভিতর রক্তপাত হয় , তবে তাই হোক। এই ঘৃণা থেকে জন্ম নেওয়া সেই অশান্তি, আর নিজের মনের ভিতরের সেই রক্তপাত ওদের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে আরও পবিত্র করবে, আর পবিত্র করে তুলবে সেই মহামিছিলের স্মৃতিকে।
    যদি ক্ষমতার অন্যায় অত্যাচারের বিরোধিতা করতে হয়, যদি দায়িত্বজ্ঞানহীন অপদার্থ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হয়, তবে নিজের মনের ভিতরের এই রক্তপাত, এই অশান্তিকে সহ্য করতে হবে। শান্তি , মৈত্রী, সদ্ভাবনা, এই শব্দগুলি আজ অর্থহীন। সে পথে আর যাই হোক দিনবদলের স্বপ্ন সফল হয় না।

    সৌন্দর্য্য , পবিত্রতা এই সব শুধুমাত্র শান্তি-স্থিরতা-সহমত-মৈত্রী-সদ্ভাবনাতে থাকে না ; অশান্তি-শত্রুতা-অস্থিরতা-বিরোধিতা-প্রতিবাদের মধ্যেও সেই সৌন্দর্য্য-পবিত্রতা থাকে , যদি তার মধ্যে ন্যায় আর বিবেকবোধ থাকে। বিপ্লবীরা ছিলেন এক-এক জন মূর্তিমান অশান্তি , তবু সেই অশান্তির-অস্থিরতার স্মৃতি আজ স্বাধীন দেশের সব শান্তির চেয়েও অনেক সুন্দর, অনেক পবিত্র।

    যে যেখানেই থাকুক না কেন, যদি নন্দীগ্রাম নামটি মনের মধ্যে সাড়া জাগায়, যদি ব্যথা-অস্থিরতা-অশান্তি-প্রতিবাদ জাগায় , তাহলে নিজের মনের মধ্যে খুঁজে দেখলেই সেখানে তার পথের হদিস পাওয়া যাবে। এই অশান্তি-অস্থিরতা-প্রতিবাদের আগুনের আলোয় মনের সব আঁধার ঘুচিয়ে খুঁজতে হবে। সামনে চার বছর সময় , সেই হদিস ধ'রে খুঁজতে-খুঁজতে এই সময়টুকু পার হয়ে যাবে। তারপর সেই নন্দীগ্রামকে মনের মধ্যে, বুকের মধ্যে রেখে সেই লড়াই হবে।
    এই চার বছরের প্রত্যেক দিন হয়ে উঠুক ১৪নভেম্বর , ক্ষমতা-আস্ফালনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে উঠুক ১৪নভেম্বর , উদ্ধত ক্ষমতাকেন্দ্রের আতঙ্ক-দু:স্বপ্ন হয়ে উঠুক ১৪নভেম্বর , গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিদ্রোহপথের দিশা হয়ে উঠুক ১৪নভেম্বর। এ তারিখ কালজয়ী হয়ে উঠুক। যখনই শাসকের চোখরাঙানি আর অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার শুরু হবে, বার-বার ফিরে আসবে ১৪নভেম্বর।

  • Santanu | 198.36.34.57 | ১৭ নভেম্বর ২০০৭ ১৬:১৫385038
  • বেশ, খুউউব একমত।

    কিন্তু ৪ বছর পরের ১৪ নভেম্বর ভোট টা কাকে দেব?
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৭ নভেম্বর ২০০৭ ১৭:২০385040
  • পশ্চিম বঙ্গের মোটা মুটি ৫০% লোক কে ঘৃনা করা টা বেশ চাপের কাজ।
    ধরা যাক তাও করা গেলো, মনের সুখে সক্কল কে ঘৃনা করলাম। করে চার বছর বাদের ১৪ ই নভেম্বর অ-সিপিএম কে ভোট দিলাম।
    ১৫ ই নভেম্বর থেকে তো আবার এদ্দিন যাদের ঘৃনা করেছি, তাদের কে ভালবাসতে হবে। সে তো আরো চাপ...
  • Samik | 122.162.83.40 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ০০:২৭385041
  • ক্ষিতি গোস্বামী ও তাঁর দল সম্বন্ধে আবারও আমার একই কমেন্ট: ঐভাবে বৈরাগ্য হয় না।

    আগেই জানতুম।
  • Somnath | 59.93.203.173 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ০০:৩৭385042
  • বাজে ভাট। সহজ কথায় রাজনৈতিক বিকল্প দাও। ২৩৫ কে ৩০ এ আনার ফাণ্ডা দাও। নতুবা মিটিং মিছিল প্যাঁচাল আর বিবেকের কুলকুচি ছেড়ে মন দিয়ে নিজের কাজ করো। ১৪ই নভেম্বরের মিছিলে সি পি এম বা বুদ্ধ ভটচাযের একটাও লোম ছেঁড়া গেছে বলে তো এখনও বোধ হচ্ছে না।

    বাংলা ভাষায় সুন্দর সুন্দর বাক্য রচনা করতে করতে দেখতে দেখতে ক্লান্ত আমি। প্র্যাকটিকালি কনভার্টেবল কাজের কথা বল, নইলে ফোট্‌ বে।
  • Abhyu | 130.207.140.165 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ০২:৫৮385043
  • পাওয়া গেছে - পাওয়া গেছে ! নন্দীগ্রাম ঘটনায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কালো হাতের সন্ধান পাওয়া গেছে ! বিশ্বাস না হলে আজকের গণশক্তি দেখুন ।
  • sucheta | 202.63.56.114 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ১২:৩৮385044
  • আমার বলা হয়তো ঠিক হচ্ছেনা এভাবে উড়ে এসে জুড়ে বসে, কিন্তু না বলেও পারলামনা। অবশ্যই ভোটের মাধ্যমেই তুলে ফেলতে হবে এই অত্যাচারী শাসন। কিন্তু তার জন্য প্রস্তুতিও দরকার এখন থেকেই।

    এভাবে হয় না। ঘৃণা করে কিছুতেই সম্ভব নয়। ১৪ই নভেম্বরের মিছিলে রঙ ধূয়ে ফেলার জন্য এবং তাদের প্রতি সমব্যাথী আত্মীয় স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশীদের ঘৃণা করে আর যাই হোক না কেন ভোট যুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে না। কেননা তারাই সংখ্যায় বেশী। এই সব মানুষেরই পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধুমাত্র ঘৃণা দিয়েও তিরিশ বছরের এই শক্ত-পোক্ত গভীরে চারিয়ে যাওয়া অপরাধ-অন্যায়-অসংবিধানিক কার্যকলাপের সূত্রকে শিকড় সমেত তুলে ফেলা সহজ তো নয়ই অসম্ভব। অশান্তির বিপ্লব স্বৈরতন্ত্রকে নাড়া দিয়েছে অবশ্যই, সবক্ষেত্রে কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ইতিহাস জানে। বিপ্লবীরা সব সময় প্রণম্য, তাঁদের স্বার্থহীন উদ্দেশ্যের কথা মনে রেখেই, তবু কিছু কথা থেকেই যায়।

    আজকের এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পালটানোর সময় এসেছে, এ প্রায়-সবাই হয়তো বুঝেছি। আর এই সময়ের সূচনার জন্যই শুধুমাত্র 'ওদের সমব্যথী হয়েও প্রতিকূল পরিবেশে গিরগিটির মত রঙ পালটানো' দলছুট ও জনসাধারণের এই উত্তাল জমায়েত ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে। আজকে বিরোধীতার যে জনজোয়ার এসেছে তা কিছুতেই সম্ভব হতোনা যদি এনারা উঠে না দাঁড়াতেন, নিজেদের ঘরের দরজা খুলে বেড়িয়ে না আসতেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দাদা/দিদিদের হাত ছাড়িয়ে যে বের হয়ে আসা সম্ভব এই দেখানো ও জরুরী ছিল। সেই সঙ্গে, দুর্গতদের ত্রাণ জরুরী, শান্তির সন্ধান জরুরী, অত্যাচারের কৈফিয়ৎ তলব সবার আগে জরুরী। যারা আজ এই আগুন জ্বালিয়েছে-পুড়িয়েছে, সে যে দলই হোকনা কেন সেই জ্বালা-পোড়ার দগদগে ঘা সারানোর দায়িত্ব তাদের ওপর ছেড়ে দিতে পারা যায় না। কেননা তারা সব কিছু নিশ্চিহ্ন করার জন্যই মুখিয়ে আছে অথবা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে।

    চার বছর পরের কথা এখন থেকেই কি ভাবতে হবে না? চার বছর পরে শুধু লড়াই জেতা। ঠিক কথা নন্দীগ্রামের ১৪ই নভেম্বর মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন জেতার কথা মাথায় রেখে, নিশানা ঠিক রেখে - স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করার লক্ষ্যে ঠিক থেকে। আর এই জয় সহজ হবে না। এখন ও পর্যন্ত খুবই সত্যিই যে 'বুদ্ধের একটা লোম' ছেঁড়াও সম্ভব হয়নি। বুদ্ধ এবং কোম্পানি মুখের কথায় যে নিজেদের মহান হাসি মুছে ফেলে সরে যাবে না এও সত্যিই। তারা জানে যে নগর কোলকাতা এদের ঘাঁটি নয় অথবা এই সব হঠাৎ বিবেকের তাগিদে উঠে দাঁড়ানো মানুষজনকে পাশে আনতেও সময় লাগবে না। তারা যেমনকার তেমনই থাকবে। তাই দাগী বুদ্ধ ও তার দলবলকে সরাতে হলে এই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ জাগিয়ে রাখতে হবে কোলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে, গ্রামে।

    আজ কোলকাতার এই বিরোধী মহামিছিল না হলে, মফ:স্বল/গ্রাম জানতো না বুঝতো না যে এরকম ঘটনা ঘটানো যেতে পারে। এভাবেও বিরোধীতা হতে পারে। একের পর একে ছোট শহরে যে এখনও পর্যন্ত বিরোধী মিছিল, বয়কট চলছে - বুদ্ধিজীবিদের এই স্পিরীট এর জন্যই প্রয়োজন এই সমস্ত মানুষদের পাশে পাওয়া। একটু চিন্তা করলে বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয় যে এই হঠাৎ বিরোধী মানুষগুলোকেও যথেষ্ঠ হুমকি ও ভয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এনারা যদি আবার সরেও যেতে চান এই বিরোধ থেকে তাহলেও এনাদের খুব দোষ দেওয়া যায়না। প্রাণের ভয়, অপমানের ভয় কার নেই। এনাদের ও নিরাপত্তার দরকার এখন প্রতিবাদ করার ফল হিসেবে অপমানের বিরুদ্ধে।

    গত কদিন থেকে তিনটে ছোট শহরের লোকজনের সাথে কথা বলে এটুকু বুঝেছি যে সিপিএম শাসক ও তার অনুচরদের সম্পর্কে মফ:স্বল ও গ্রামে/গঞ্জের লোকজনের মধ্যে ভয় কীভাবে ঢুকে গেছে। পুরোপুরি ধূয়ে মুছে গেছে অন্য কোন বিরোধী চিন্তাও। মাথার ধূসর পদার্থ কখন যে সলিড হয়ে গেছে (আর নড়বেনা যেন) নিজেরাও বোঝেনি। এই সাধারণ মানুষের মন থেকে ভয় তাড়ানো হোক প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। এও ঠিক যে এই সাধারণ জনসাধারণ রাজনীতি বোঝেনা, বোঝে নেতা/দাদার দল/প্রতীক। এই দাদাদের ভয়/প্রভাব মুছে ফেলা না পর্যন্ত সম্ভব নয় বড় কিছু করতে পারা। কোন নতুন ইসম বা কোন শুভ বুদ্ধিই পারবে না এই অত্যাচারের জাল ছিঁড়তে, যদি না সাধারণ মানুষ পাশে থাকে। আর এই ঘটনা ঘটানো বাস্তবে সম্ভব বলেই মনে করি। একদল মানুষ নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছেমত পাল্টাবে ধরে নিয়েই এগোতে হবে।

    একজনও যদি নিজেদের পাশের আরেক জন মানুষকেও সাহস দিতে পারে, বোঝাতে পারে এই স্বৈরাচারী সম্রাটকে তুলে ছুঁড়ে দেওয়া সম্ভব তবেই ভোট যুদ্ধে চার বছর পর হয়তোবা জয় হতে পারে। রেশন কেলেংকারী কিংবা নন্দীগ্রাম/সিঙ্গুর অথবা একের পর এক চাবাগানের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের যে পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে, তাতো দেখছি রোজ। এদের পাশে থাকার দরকার। নিজেদের নিরাপত্তার বলয়ে রেখে আলোচনায় নয়, প্রত্যেককে দায়িত্ব নিতে হবে অন্তত একজন মানুষের মন থেকে ভয় তাড়িয়ে তাকে ঠিকভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করা যাতে সুস্থির সময় আসা সম্ভব। সম্ভব নিজেদের অধিকার কায়েম করা ভোট বাক্সের মাধ্যমেই। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব যেভাবে সম্ভব পাশের মানুষের দিকে তাকাতেই হবে, নইলে সম্রাট বুদ্ধ ও তার গোষ্ঠীর অত্যাচার থেকে কিছুতেই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করা যাবে না। নিষ্ঠুর, লোভী ও স্বার্থপর নেতাদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর তাগিদেই প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে, নতুন নেতা তৈরী হবে/করতে হবে। আর এই নতুন নেতারাও একই হবে (যে যায় লংকায় সেই হয় রাবন) এই ভেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে নিজেদের ঘরে আগুন লাগতেও দেরী যে নেই সে বোঝায় যাচ্ছে। হয়তোবা নিজেদের পিঠে আঁচ লাগলে উঠে দাঁড়াবেও সবাই একে একে। তখন অনেক দেরী হয়ে যেতে পারে, তাই এখনই শুরু করতে হবে নিজের নিজের জায়গায় থেকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। আগামী চার বছর পর্যন্ত। তবে বুদ্ধের পদত্যগ চাই এখনই, এই মুহুর্তে।

    বি:দ্র: - কাউকে কোনরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ করা আমার উদ্দেশ্যে নয়। এখানে আলোচনা দেখে বলে ফেললাম নিজে কী ভাবছি, করছি। আর কিছুনা। তাড়াতাড়িতে হয়তো অনেক ভুলভাল হলো বানানে।
  • m_s | 202.78.237.81 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ১৩:৫৭385045
  • প্রতিকূল পরিবেশে রঙ পাল্টানো হয় -- আত্মরক্ষার জন্যে , স্বার্থের জন্যে ; গিরগিটিরা এইরকম ক'রে থাকে।
    নি:স্বার্থ ভাবে মনের মধ্যে অশান্তি-বিরোধিতা-প্রতিবাদের মনোভাব, আর অপরাধকারী উৎসক্ষমতা'র প্রতি ঘৃণার আগুন মনের মধ্যে জ্বালিয়ে যদি কেউ মহামিছিলে সামিল হয় , তবেই সে পারবে -- চার-বছর পরের লড়াইয়ে নিজের হাত না-কাঁপিয়ে নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদ করতে।

    একটি গোটা শহরকে পোড়াবার জন্যে বিরাট দাবানল দরকার হয়, আর সেই দাবানল তৈরী হয় একটি ছোট্ট ফুল্‌কি থেকে। সেই ফুল্‌কি নিজের জ্বালানি যোগাড় ক'রে আস্তে-আস্তে ছড়িয়ে পড়ার জন্যে চেষ্টা ক'রে, এভাবেই তৈরী হয় দাবানল।

    ঘৃণার সেই ফুল্‌কি জ্বালাতে হবে , নিজের মনের মধ্যে। গণতন্ত্রের ক্ষমতাবদলের লড়াই প্রত্যেক নাগরিককে একাই লড়তে হয়।

    ""ওদের'' সমব্যথীদের মধ্যে -- প্রতিবেশী, আত্মীয়, বন্ধু, ভাই, বোন, মা, বাবা, যে কেউ থাকতে পারে। চেষ্টা করতে হবে যা'তে নিজের মনের ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে পড়ে তাদের মনেও। যদি তা সম্ভব হয়, তবে তাদের মনের সব পুরনো সমর্থন-সমব্যথা সেই ছড়িয়ে-পড়া আগুনে পুড়ে শেষ হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তবে আগুন-ছড়ানোর সেই চেষ্টায় নিজেরই মনের ভিতরে স্বজনবন্ধু-বিরোধের দু:খ-অশান্তি-রক্তক্ষরণ তৈরী হবে, যা সেই আগুন-ছড়ানোর চেষ্টাকে সুন্দর-পবিত্র ক'রে তুলবে।

    দুর্গতদের ত্রাণ, অশান্তির মধ্যে শান্তি খোঁজা, স্বৈরাচারীর অত্যাচারের কৈফিয়ত-তলব, এই সব কাজ নিশ্চয়ই আগে জরুরী, কিন্তু আমি লিখেছি যে,শুধুমাত্র এইটুকু ক'রেই যারা খুশী থাকবে , তারা ভুল করবে। এই বিদ্রোহে তাদের কোন ভূমিকা নেই। কারণ এইটুকুতেই খুশী-হওয়া দুর্বল মন নিয়ে সেই লড়াইয়ে গিয়ে তাদের হাত-কাঁপবে। নিশানা ভুল হবেই।
  • paaThaker mataamat | 121.247.232.39 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ২১:৩৪385046
  • 'ঘৃণার আগুন' রচনা লেখা টা পড়ে মমতার লেখা বই এর কথা মনে এলো :-) রচনা লেখার অভ্যেস খুব ভালো (যদিও সবার রচনা সবাই পড়ে না)
  • m_s | 202.78.237.81 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ২১:৫২385047
  • আলোচনার মধ্যে মোট চার বার ""ভয়'' শব্দটির উল্লেখ দেখলুম।
    মনের ভয় কাটিয়ে সাহস আনার জন্যেই, আজ সেই ভয়ের দশগুণ বেশী শক্তিশালী ঘৃণার আগুন মনের মধ্যে জ্বালাতে হবে। সেই অপূর্ব আগুনই পারবে এই ভয়কে একেবারে শিকড় সমেত জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করে দিতে। ওদের চিহ্নকে যে ভয় মানুষ পাচ্ছে, সেই ভয়কে বদলে দিয়ে ঐ চিহ্নের উপর প্রচন্ড ঘৃণা জাগাতে হবে মনের মধ্যে। তবেই সেই লড়াইয়ের দিনে নিশানা ঠিক করার সময় একটুও হাত কাঁপবে না। সেই ঘৃণার আগুনের আলোয় খুঁজলেই পাওয়া যাবে বিকল্প চিহ্নের হদিস।
  • m_s | 202.78.237.81 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ২২:০২385048
  • :-) কুশীল গিরগিটি অবশেষে আত্মপ্রকাশ করেছে :-)
    এতটুকু সুযোগ পেলেই সে রঙ বদলে যায় :-)
    আরও দেখা যাচ্ছে যে, মহামিছিলের স্রোতে পাকা-রঙ ধুয়ে সাফ্‌ হয়না :-)

    কতদিন লুকিয়ে থাকবে? মহামিছিল থেকে জন্মানো ঘৃণা দিয়ে খুব সহজেই এদের চিহ্নিত করা যায়।
  • Blank | 59.93.218.8 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ২২:২৪385049
  • আহা সেই জন্যি তো কবি বলেছিলেন 'অঙ্গার শত ধৌতেন ...'।
    তাও সকাল বিকেল কয়লা ছারা রান্না হয় না :-)

  • m_s | 202.78.237.81 | ১৮ নভেম্বর ২০০৭ ২২:৫৬385051
  • দৈনিক স্টেটসম্যান
    ১২নভেম্বর
    সুকুমার মিত্রের প্রতিবেদনের কিছু অংশ :

    .... নাম শিবানী মন্ডল। .... ইনি গোকুলনগরের গৃহবধূ .... হামলার পর কয়েক'শো অপহৃতের মধ্যে ইনিও ছিলেন একজন। সকালে পুলিশ শিবানীসহ এমন ১১ জন অপহৃতকে খেজুরি থেকে উদ্ধার ক'রে নিয়ে এসেছে। .... অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বারবার তাঁর গলা কেঁপে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ ধাতস্থ হয়ে বলেন .... "" .... ওদের হাতে বন্দী আমরা প্রায় ৬০০ জন। মাথার উপর দু'হাত তুলে প্রায় সাড়ে-তিন কিলোমিটার দূরে খেজুরির আমড়াতলা প্রাইমারি-স্কুলে নিয়ে যাওয়া হ'ল। সেখানে পৌঁছতেই ছেলেদের উপর শুরু হ'ল অকথ্য অত্যাচার। পাঁঠা কেটে ঝোলানোর মতো পা-ওপরে,মাথা-নীচে ক'রে বাঁশের ডগায় বেঁধে ফেলা হ'ল। তারপর অমানুষিক মার। কারও মাথা ফাটল, কারও হাত ভাঙল। অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেলেন না একজন অচেনা বছর আশির বৃদ্ধও। ওঠবোস করতে পারলেন না ব'লে, মোটা বাঁশ দিয়ে তাঁর মাথাটা ফাটিয়ে দোচালা ক'রে দিল। তিনি সেই যে মাটিতে পড়লেন আর উঠলেন না। পরে দু'জন তাঁর পা ধ'রে হিড়-হিড় ক'রে পিছন দিকে টেনে নিয়ে গেল। মাগো .... '' -- ব'লে দু'চোখে হাত-চাপা দিলেন শিবানী। .... তারপর বললেন, "" ওই দলে আমরা প্রায় ১০০ জন মহিলা ছিলাম। কয়েকজন মুখবাঁধা লোক আমাদের কাছে এসে মুখ দেখে বয়স মাপার চেষ্টা করতে শুরু করল। মুরগি বাছার মতো জনা বারোকে তারা বেছে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মিশে গেল। এরপর কানে এসেছে কেবল হৃদয় ফালাফালা করা মেয়েলি কন্ঠের আর্ত চিৎকার.... তাদের আর দেখতে পাইনি। কে জানে বেঁচে আছে,না নিকেশ ক'রে দিয়েছে? '' ... নিজের মনেই উচ্চারণ করলেন শিবাণী।

    ** ১৪নভেম্বর মহামিছিলে এই লেখাটি'র লিফলেট বিলি হচ্ছিল। যারা গেছিলেন, অনেকেই পেয়েছেন। সেই লিফলেট থেকেই কিছু অংশ লিখেছি।
  • . | 59.93.219.53 | ১৯ নভেম্বর ২০০৭ ০০:৪৭385052
  • আজ ডাক্তারদের একটি দল নন্দীগ্রামে গিয়েছিলো। তাদের সাথে সাথেই প্রায় আরেকটি দলও গিয়েছিলো যাঁরা Switzerland-এর Amnesty International-এর কলকাতা শাখার লোকজন।

    ডাক্তার-রা যখন বাইরের ত্রাণ শিবিরে কাজ করছিলেন, সেসময় অন্য দলটি ভাঙ্গাবেড়ার দিক দিয়ে নন্দীগ্রামে যায়। কিন্তু ভাঙ্গাবেড়াতেই নব সামন্ত এবং তার লোকেরা তাদের ঘিরে ধরে ও 'কেন এসেছিস, কাদের জন্য এসেছিস, ইত্যাদি বলতে শুরু করে। বেশ কিছু গালিগালাজ-ও করে শোনা গেছে। দুটি দলের একসাথে কলকাতা ফেরার কথা থাকায়, অনেক সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এই দলটি না ফেরাতে ডাক্তারদের দল খোঁজ খবর করতে শুরু করে। মোবাইলে-এ ঘিরে রাখার খবর পেয়েই তারা পুলিশের কাছে অ্যাপ্রোচ করে, পুলিশ-ও একই কথা জিজ্ঞেস করে যে তারা কেন গেছে ওখানে। তাদের কিছু করার নেই, নন্দীগ্রাম থানায় রিপোর্ট করতে হবে। সমস্যা হোলো নন্দীগ্রাম থানা-ও বর্তমানে ঘেরাটোপের মধ্যেই আটকা। অত:পর CRP-কে ঘটনা জানানো হয়। CRP-কেও খুব সক্রিয় দেখায় নি, মোটামুটি তারাও স্থানীয় পুলিশ আর বিশিষ্ট লোকেদের কথায়ই চলছে বা চলতে বাধ্য হচ্ছে বলে মনে হোলো।

    মরিয়া হয়ে জনৈক ডাক্তারনী চিকিৎসা সূত্রে পরিচয় থাকার কারনে ডিজি শ্রী ভোরাকে ফোন করে। যদিও তিনি প্রথমে একই কথা জিজ্ঞেস করেন যে "কে বলেছিলো মেডিক্যাল দল পাঠাতে" বা "কে বলেছিলো নন্দীগ্রামে ঢুকতে?" কিন্তু পরে উনিই ঐ দলটিকে ছাড়ানোর বন্দোবস্ত করেন। এবং দুটি দল অবশেষে একসাথে হয়ে কলকাতা রওনা হয়।

    অ্যাম্‌নেস্টি ইণ্টার্‌ন্যাশ্‌নালের মানুষজনের অভিজ্ঞতার পুরো চিত্র দেওয়া হলো না অনিবার্য কারণে।
  • m_s | 202.78.232.44 | ১৯ নভেম্বর ২০০৭ ১১:১৮385054
  • Arise , O’my beloved, sacred hatred,
    arise from the depth of the frozen minds,
    with your blazing golden flames
    to burn the fear and terror
    which’ve gripped the frightened souls

  • kallol | 220.226.209.5 | ১৯ নভেম্বর ২০০৭ ১১:২৮385055
  • ১৮ নভেম্বর, রবিবার, ব্যাঙ্গালুরু।
    আমরা প্রায় জনা ৬০ জড়ো হয়েছিলাম এম.জি. রোডের গান্ধী মূর্তির সামনে (এটা ব্যাঙ্গালুরুর সি-কা-ড) বেলা ২টোর সময়। কথা ছিলো ওখানে রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা থাকব। মাঝে এম.জি. রোড-ব্রিগেড রোড মোড়ে কাবেরী এমপোরিয়ামের সামনে নাটক আর গান গেয়ে আবার ফিরে আসবে গান্ধী মূর্তির সামনে।
    প্রসূন-অরুন্ধতী-বাদশা-টিয়া-নিলাব্জ পোস্টার নিয়ে চলে এলো। কালো দড়ি দিয়ে পোস্টারগুলো গালায় ঝুলিয়ে নিলাম আমরা।
    স্বতস্ফূর্ত ভাবে সকলে হাত লাগালেন। হাতে হাতে বিলি হতে লাগলো পোস্টার।
    অনুপ এসে গেলো লিফলেট নিয়ে।
    শুরু হল গান দিয়ে - অনুপম, আমি, সৃজিত দ্বিতীয়া এবং আরো অনেকে একসাথে Blowing In The Wind গাইলাম।
    পুলিশ এসে পারমিশন দেখতে চাইলো। পারমিশন নেওয়া ছিলো। কিন্তু পুলিশ বলল সেটা ১ ঘন্টার জন্য। পারমিশনের চিঠিটা কানাড়ায় লেখা। আমরা যারা পারমিশনের জন্য গেছিলাম (আমি আর অরুন্ধতী) দুজনেই কানাড়া জানি না।
    পুলিশের সাথে সম্ভব অসম্ভব সব রকম কায়দা কানুন করে ওটা ৪টে পর্যন্ত বাড়ানো গেলো।
    এর মধ্যে সৃজিতদের নাটক শুরু হয়ে গেছে। মানুষ আসতে শুরু করে দিয়েছেন। তখন সাড়ে তিনটে। প্রায় ১০০ মানুষ জড়ো হয়ে গেছেন।
    আমরা ঠিক করলাম ৪টে বাজতে দশ-এ আমরা সকলে মিলে হাঁটতে হাঁটতে মাঝে এম.জি. রোড-ব্রিগেড রোড মোড়ে কাবেরী এমপোরিয়ামের সামনে চলে যাবো।
    ঠিক ৪টে বাজতে দশ-এ সকলে গান গাইতে গাইতে হাঁটতে শুরু করলাম।
    মিনিট পনেরোর মধ্যে পৌঁছে গেলাম এম.জি. রোড-ব্রিগেড রোড মোড়ে। এখানে নাটক গান, কবিতা আলেখ্য (অয়ন-দেবু-অনিন্দিতা আর ওদের বন্ধুরা করল) চলল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। তার পরে মিছিল করে পেছনে হাঁটা হল কিছুটা।
    সাতটায় মোমবাতি জ্বলে উঠলো হাতে হাতে - সকলে গাইছিলাম আগুনের পরশমণি......
    মোমবাতি হাতে গান গাইতে গাইতে একটা লম্বা চক্কর মেরে মিছিল শেষ হল ব্রিগেড রোডে। মিছিলে নানান কলেজের ছেলে-মেয়েরা ছিলো। ওরা হঠাৎ We Shall Overcome গাইতে গাইতে গেয়ে উঠলো No More Nandigram / No More SEZ / No More Violence / No More Nandakudi (ব্যাঙ্গালুরু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটা গ্রাম,এখানেও SEZএর পরিকল্পনা চলছে)। ভীষণ ভালো লাগছিলো, ভীষণ.......

  • Samik | 122.162.82.242 | ১৯ নভেম্বর ২০০৭ ১২:১১385056
  • ছবি দেখলাম। খুব ভাল লাগছে। কিন্তু আরও কিছু যে চাই।

    আমার কাছে অনেক পরিধানযোগ্য জামাকাপড় আছে, যেগুলো এখন আর ব্যবহার করা হয় না। এগুলো কি কোনওভাবে নন্দীগ্রাম ও অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো যায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন