এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এখন নন্দিগ্রাম - ১৪ই মার্চের থেকে

    Binary
    অন্যান্য | ০৫ মে ২০০৭ | ২২৫২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • m_s | 116.193.130.60 | ২৫ নভেম্বর ২০০৭ ১১:৪৬385098
  • শাসকবিরোধী বহুদলীয় জোট

    নন্দীগ্রাম এলাকায় জামাত উলেমা দলের কাছে ওখানকার মানুষের যেমন অনেক প্রত্যাশা আছে , তেমনই গোটা রাজ্যের মানুষেরও কিছু প্রত্যাশা আছে।
    তারা যেমন ভুমি উচ্ছেদ প্রতিরোধের জন্যে সব সময় এলাকার মানুষের পাশে আছেন, ঠিক তেমনি ভাবে এখন রাজ্যের শাসনক্ষমতার অপব্যবহারকারী, অরাজক , দায়িত্বজ্ঞানহীন, এই অপরাধীদেরকে তাদের কায়েমী ক্ষমতার আসন থেকে সরানোর চেষ্টাকে সামনে রেখে শাসকবিরোধী জোট তৈরীর কাজে সক্রিয় ভাবে সামিল হয়ে , নন্দীগ্রামের ব্যাপারে এখনকার এই আন্দোলনে আরও বড় ধরনের ভূমিকা তারা সহজেই নিতে পারেন।

    ২২ নভেম্বরের ঘটনায় ( http://tinyurl.com/3y5yrw ) অশান্ত প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে মানুষের যে রাগ, ক্ষোভ, এইসব দেখা গেছে , স্বাভাবিক ভাবেই তার রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করেছে শাসক দল।
    এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, কংগ্রেস দল তাদের মাইনরিটি সেলের প্রভাবশালী নেতা আর AIMFএর অধ্যক্ষ ইদ্রীশ আলিকে সাসপেন্ড করেছে আর কারণ-দেখানোর চিঠি দিয়েছে, যদিও উনি নিজেও সেদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ও পরে বারবার জানিয়েছেন যে সেদিনের অশান্ত প্রতিবাদ তার ইচ্ছেতে বা মদতে হয়নি। কংগ্রেস দলের এই পদক্ষেপ এই সময়ে কখনই অভিপ্রেত ছিল না। এখন রাজ্যপুলিশও এই সুযোগে তাকে গ্রেপ্তার ক'রে ( http://tinyurl.com/2o8x5u ) তার বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ এনেছে।
    তাছাড়া, তসলিমাকে রাজ্য থেকে সরানো আর সেদিনের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেসের রাজ্যনেতাদের বক্তব্যের কার্যত বিরোধীতা করে কংগ্রেসী সাংসদ রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলকেই পরোক্ষ সমর্থন করেছেন ( http://tinyurl.com/23qlhx ) যে'টি কংগ্রেস দল সম্পর্কে রাজ্যবাসীর কাছে, মানে যারা নন্দীগ্রামের ঘটনায় ঘৃণা-প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্বত:স্ফুর্ত ভাবে, তাদের কাছে ভুল সংকেত পৌঁছে দেবে। এই পুরো ব্যাপারটিতে সম্ভবত রাজ্যের শাসকবিরোধী অন্দোলনের ক্ষতি হবে।

    তসলিমার ভিসা বাতিল নিয়ে মানুষ যে দাবী জানাচ্ছেন , সে সম্পর্কে আমার মনে হয় যে, তিনি এদেশে থাকুন কিংবা না-থাকুন, সেটি ঠিক এই সময়ে আদৌ কোন বড় কথা নয়, কারণ তিনি কোন বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন , এবং তার প্রভাব তো কখনই তার উপস্থিতি দিয়ে পড়ে না, পড়ে তার কলম দিয়ে। সেখানে তো কিছু করা সম্ভব নয়, কারণ, যদি বাংলাদেশের মতো (যতদূর এক্ষুনি মনে পড়ছে) এদেশেও তার বই ছাপা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, তবে বিদেশে কোন বাংলা-প্রকাশনা সংস্থা থেকে তা ছাপা হয়ে বেরুতে পরে, আর তাছাড়া ইন্টারনেট তো খোলা আছেই। তার অনেক বই সেখানে পুরো বিনামূল্যে লোকেরা পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই জানি যে, সরকারী তরফে অনেক চেষ্টা করেও ওনার দ্বিখন্ডিত নামের বইটিকে লোকের হাতে যাওয়া থেকে আটকানো যায় নি। তাই দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র তাকে দেশছাড়া করে, বিশেষ কোন লাভ-লোকসান কিছুই আসলে হচ্ছে না, বরং এর পরে তার নাম আর লেখা আরও বেশী করে আন্তর্জাতিক মহলে প্রচারিত হবার সুবিধে পাবে। মাঝখান থেকে, সেদিনের ঘটনায় এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো দুটি সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের সুবিধে হয়ে গেল।
    প্রথমত:, ওনাকে তাড়াতাড়ি এই রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে ফেলে নন্দীগ্রামের ঘটনায় প্রতিবাদী মানুষের ঘৃণা আর রাগকে ভোলানোর চেষ্টার মধ্যে দিয়ে তাদের কাছাকাছি আসার জন্যে, আর চট-জলদি সমর্থন কুড়োনোর জন্যে ইতিমধ্যেই তারা রাজনৈতিক চাল চেলেছে।
    আর দ্বিতীয়ত: সেদিনের ঘটনায় রাজ্যপুলিশের তরফ থেকে ছাত্র সংগঠন SIMI বা ISIএর কোন সম্ভাব্য ভূমিকার সন্দেহের কথা ( http://tinyurl.com/yttnxj ) ইতিমধ্যেই মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিয়ে তারা একই সাথে AIMFএর ও জামাত দলের নেতা-সদস্যদেরকে অন্য দিক থেকে চাপের মধ্যে রাখতে চাইছে।
    এর মোকাবিলার জন্যে অবশ্যই সবার আগে AIMFএর ও জামাত দলের নেতারা যদি নিজেদের মধ্যে জনসমর্থন যোগাড়ের প্রতিযোগীতায় না নেমে, ঐক্য নিয়ে আসেন তাহলে ভালো হয়। একই কথা রাজ্যের অন্য বিরোধী দলগুলির বেলাতেও খাটে। আগে অনেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যে , সমর্থন ভাগ হলে পরে খালি শাসক দলেরই আখেরে লাভ ছাড়া আর কিছু হয় না।

    এই সময় আরও সতর্ক হয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার সাথে রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সাথে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে হয়। রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্যে বহুদলীয় জোট বানানোর সময়ে কেউই ব্রাত্য নয়, বিশেষত: উদ্দেশ্য যখন এক, তখন কোন একটি ব্যবহারিক সমঝোতার জন্যে সব দলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
    পারস্পরিক সব বিভেদকে আর বিরোধকে আপাতত: সামনের চার-বছরের জন্যে মুলতুবি রেখে শুধু একটিমাত্র সাধারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে আজ বিভিন্ন দলকে এক মঞ্চে আসতে হবে।
    এমনিতে যতই অবাস্তব বা অসম্ভব মনে হোক না কেন, যদি ১৪ নভেম্বরের মহামিছিলের দিনে তা সম্ভব হতে পরে, তবে কেন বাস্তব-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তা সম্ভব করা যাবে না? যদি নন্দীগ্রামের ভূমি-উচ্ছেদ আটকানোর সময়ে একজোট হয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়ে থাকে , তবে নির্বাচনের সময় কেন তা হতে পারে না ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় আজ এসেছে।

    যে কোন প্রাকনির্বাচনী জোটে সামিল হতে গেলেই তার আগে অন্যান্য জোটসদস্যদের সম্বন্ধে যা কিছু আপত্তি , পারস্পরিক সন্দেহ , ভুল-বোঝাবুঝি , এইসবের তাড়াতাড়ি কোন ফয়সালা না করা গেলেও একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কয়েকটি নির্দিষ্ট লিখিত ও বাধ্যতামূলক কর্মসূচী তৈরী হওয়া সবচেয়ে জরুরী।
    রাজনৈতিক আদর্শের দিক দিয়ে পুরোপুরি উল্টোদিকে থাকা দুটি গোষ্ঠী যদি কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তা করতে পারে, তবে রাজ্যের বেলাতে সেই রকম কিছু সম্ভব না হবার কোন কারণ নেই। এই ব্যাপারে সঠিক উদ্দেশ্যটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া'ও খুবই দরকার ; যাতে তারা এই সময়ে সম্প্রদায়-সংস্কৃতি, রাজনৈতিক মত, বা বিশেষ দলীয় সমর্থন, এই সব নিয়ে সবরকম বিরোধকে বা দূরত্বকে ভুলে থেকে শুধু সামনের নির্বাচনী উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে, অপশাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ'টি ভোটের মেশিনে জানাতে পারেন।

  • Samik | 122.162.82.220 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৩:১৮385099
  • icici bankএর লিস্টে কানাড়া ব্যাঙ্কের শিয়ালদা শাখা বলে কিছু পেলাম না, তবে একটা পেলাম এ পি সি রোড, শিয়ালদা শাখা। MICR কোড 700015024

    এটাই কি সেটা?
  • a x | 207.69.137.24 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৭:১১385100
  • SBI'র a/c no. দিলেও কি এই কোড লাগবে?
  • Arijit | 128.240.229.66 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৭:২৬385101
  • নন্দীগ্রাম আর সেদিনের কলকাতার গণ্ডগোলকে একসাথে গুলিয়ে দিলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। এই নিয়ে ওপরের পোস্টটা পুরোপুরি বাল্যখিল্য। আবার অন্য কথাও বলা যায় - ওই গণ্ডগোলকে মানুষের রাগ-ক্ষোভ ইত্যাদি বলে আরেকটা ম্যানিপুলেশন। সুব্রত মুখুজ্জের "স্বাধীনতা আন্দোলন'-এর সাথে তুলনা করা চলে।
  • d | 192.85.47.1 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৭:৩৩385102
  • অক্ষ,
    MICR কোড তো চেকবুকে পেয়ে যাবে। একটু দেখতে বলো অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে। নীচের বাঁদিকের কর্ণারে ৯ ডিজিট নাম্বার। আর যদ্দুর জানি অনলাইন ট্র্যান্‌স্‌ফারে ওটা একটা ইউনিক নাম্বার হিসাবে ব্যবহার করা হয় ব্র্যাঞ্চকে আইডেন্টিফাই করতে। কাজেই SBI হলেও লজিক্যালি লাগা উচিৎ।
  • Samik | 122.162.84.59 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৭:৪৩385103
  • আমি যদি icici থেকে পাঠাতে চাই, তা হলে icici ব্যতীত যে কোনও ব্যাঙ্কের জন্যই সেই গ্রহীতা ব্যাঙ্কের MICR কোড লাগবে।

    চেক বুকে চেক নম্বরের পরেই একটা ন ডিজিটের নম্বর থাক, সেইটাই MICR কোড ঐ ব্যাঙ্কের ঐ ব্র্যাঞ্চের।
  • m_s | 202.78.232.194 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৯:২৩385104
  • রাজ্যের শাসকদলের পোষা গিরগিটিগুলি ভেবেছে একদিন মনে মনে মহামিছিলে হাঁটার ভান করলেই মানুষ এদের দালালগিরির কথা ভুলে গিয়ে এদের'ও সুশীল ভাববে। ঐ খুনী-ধর্ষকগুলির চেয়ে এগুলি আরও সাংঘাতিক। মানুষের উচিত এদের চিনে রাখা।
    এরা গুলি চালাবার সময় , আর মেয়েদের উপর অত্যাচার করার সময় , হিন্দু-মুসলিম বিচার করে না।
    নন্দীগ্রামের ভূমি উচ্ছেদ আটকানোর সময় , কিংবা মহামিছিলে হাঁটার সময় যেভাবে হিন্দু-মুসলিম একসাথে হাতে হাত রেখে সামিল হয়েছে, ঠিক সেইভাবে, শাসকদলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ভোটের লড়াইয়ের কাজেও এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে। তবেই এদেরকে রাজ্য থেকে তাড়ানো যাবে।
    নিজেদের মধ্যে যতই বিভেদ থাকুক, যতও সন্দেহ আর ভুল'বোঝাবুঝি থাকুক, সে'সব ভুলে আজ একজোট হয়ে এই সব অত্যাচারী, অসাংবিধানিক কাজ করা, অপরাধীদেরকে শাস্তি দেবার সময় এসেছে।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ১৯:৪২385105
  • এমন "সুশীল'-এর চেয়ে "হার্মাদ' হওয়া ভালো;-)
  • a x | 192.35.79.70 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২০:১২385107
  • ইয়ে m_s, গুলি চালানো বা মেয়েদের উপর অত্যাচারের সময় হিন্দু-মুসলিম বিচার করা উচিত ছিল বলছেন?
  • m_s | 202.78.232.194 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২০:১৮385108
  • নন্দীগ্রাম সহ রাজ্যের অসংখ্য মানুষ জানেন যে এই শাসকগোষ্ঠী কি ভাবে হিন্দু, মুসলিম , সবার উপর অত্যাচার চালায়, যারা ওদের হুকুমে চলতে রাজী হয় না। ওদের হাতের পুতুল হয়ে যাওয়া পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে সন্ত্রস্ত করে রেখে, আর জালিয়াতি ক'রে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে স্রেফ তামাশা বানিয়ে ফেলেছে ওরা।
    গত তিরিশ বছরের অপশাসনের মধ্যে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে কি বেশী আর কতটুকু বেশী উন্নতি হয়েছে সংখ্যালঘু মানুষদের? কিচ্ছু না।
    ২২শে নভেম্বরের বিক্ষোভের দিনে তসলিমাকে তক্ষুনি রাজ্য থেকে সরানোর পেছনে যে আসলে শুধুমাত্র চটজলদি মানুষের সমর্থন কুড়োনোর চেষ্টা ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না, সেকথা স্পষ্ট হয়ে গেল দুদিন বাদেই, যখন ওরা বললো যে তিনি যদি ফিরে আসতে চান তাহলে আসতে পারেন।
  • m_s | 202.78.232.194 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২০:৩৯385109
  • ax
    এখানে উচিত অনুচিতের কথা আসছে না। ভয় দেখিয়ে হুকুম তামিল করানোর বিরোধিতা করার সাহস যারা'ই দেখায় , ওরা তাদের উপরেই অত্যাচার চালায়। রাজ্যের মানুষ তিরিশ বছর ধরে এই শয়তানদের সহ্য করে আসছে। এরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে এই অবস্থাতে নিয়ে এসেছে যে, এখন ভয়-পাওয়া'ই মানুষের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তবু'ও নন্দীগ্রামের ঘটনায় মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
    ঐ এলাকার মানুষ যেভাবে গত কয়েক মাস ধ'রে জমি-ভিটেমাটি রক্ষার জন্যে একজোট হয়ে লড়েছে, তেমনি ভাবেই একজোট হয়ে ভোটের সময়েও লড়তে হবে।
  • a x | 192.35.79.70 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২১:০৯385110
  • m_s উচিত অনুচিতের প্রশ্ন আসছে। আপনি যা বলছেন, একটু ভেবে আর দায়িত্ব নিয়ে বলবেন। আবেগ খুব ভালো জিনিস, কিন্তু সেটা অন্ধ দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হলে পুরো causeটারই ক্ষতি করে।
  • m_s | 202.78.232.194 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২২:০৮385111
  • ax
    আমার লেখার ব্যাপারে সাধ্যমতো ভাবনা, আর সব দায়িত্ব পুরোপুরি আমার। আমি যে ঠিক কি বলতে চেয়েছি , সে আপনি খুব ভালো ভাবেই বুঝেছেন। তা সত্বে'ও ইচ্ছে ক'রেই লেখার ভুল মানে খুঁচিয়ে বার ক'রে বিরোধিতা করছেন। এতে আখেরে কাদের যে লাভ হবে তা'ও আপনি বেশ জানেন। ভালো'ই হলো, আপনার id'টিও আমি চিনে রাখলুম।
    যে মানুষদের জন্যে এই সব কথা লেখা , তাদের একজনও যদি আমার লেখা পড়ার পরে ওদের সম্বন্ধে নিজের মনের ভুলভক্তিকে আর ভয়কে তাড়িয়ে দিয়ে ওদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলেই যথেষ্ট।
  • a x | 192.35.79.70 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২৩:০৫385112
  • আপাতত আমি খুব ভয় পেইছি। আমার id চিনে রাখবে উরিবাবা।
  • m_s | 202.78.232.194 | ২৬ নভেম্বর ২০০৭ ২৩:২২385113
  • উঁহু ,আমাকে ভয় পাওয়া'টি আপনার মিথ্যেছল।
    আমি তো আপনাদের নেতা আর গুন্ডা'ক্যাডারদের মতো নই। আপনাদের দেওয়া অত্যাচারের coinএর pay-backটি অত্যাচারের বদলে নিজের ভোটের coin দিয়ে দিতে চাই। আর, এই ভাবনা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। সেখানে'ই হয়তো আপনাদের আসল ভয়।
  • ® | 203.197.96.50 | ২৭ নভেম্বর ২০০৭ ০৯:৪৩385114
  • অক্ষদা, তোমাকেও তো cpm ভেবে বসলো :-) পুরো either you are with us or you are with cpm কেস।
    যাক এখানে একজন আছে যে ভাবে সে নিজের কলমের জোরে জনমত ঘুরিয়ে দিতে পারে :-)

  • m_s | 116.193.130.52 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ০৩:০৯385115
  • আইনের ভাষাতে দুটি কথা আছে, bona fide - মানে, আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে অনিচ্ছাকৃত ; mala fide - মানে, ক্ষতির উদ্দেশ্যের সাথে ইচ্ছাকৃত -- যে কোন কাজ। আমার লেখার পুরো বিষয়টি পড়লে বুঝতে মোটেই অসুবিধে হয় না যে, কোন বাক্যের সম্ভাব্য ভুল মানে থেকে-যাওয়া পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত। কিন্তু, সেই ব্যাপারে অন্যের মন্তব্য? -- কখনই তা নয়। যদি সত্যিই মনে করা হয়েছিল যে, বাক্যের গঠনের জন্যে এমন কোন বিভেদের ভুল মানে বার হতে পারে -- যাতে শাসকবিরোধী আন্দোলনের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে, তাহলে সাধারণ উদ্দেশ্যের স্বার্থের কথা ভেবে কখনই কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো খোলাপাতায় সেই ব্যাপার নিয়ে মন্তব্য করা হতো না। নির্দোষ মন্তব্যের ভাষাও অন্যরকম হতো। মন্তব্যের স্বাভাবিক উত্তরের মধ্যে কোন বিবাদের কথা নেই, বরং ব্যাপার'টির গুরুত্ব বুঝে আগের লেখা সংশোধন ক'রে নিয়ে সঠিক মানে তুলে ধরার চেষ্টা ছিল, তা সত্বেও অন্যের আর তর সইলো না। শুরুতে ইচ্ছে ক'রে বাঁকা প্রশ্ন করার পরে, আবার পরের বার উপদেশ দেবার মিথ্যেছল-বাহানা ক'রে ফের সেই প্রসঙ্গ আনা হলো। এর পরে এই সবের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ না-করার কোন কারণ থাকে না। এই ধরনের মন্তব্যের জন্যে অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

  • m_s | 116.193.130.52 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ০৩:১১385116
  • শাসকবিরোধী বহুদলীয় জোট গঠন

    দেশ পত্রিকার ২ অক্টোবর ১৯৯৯এর সংখ্যায় মহম্মদ ইয়ুনূসের বিভিন্ন কাজের উপর একটি প্রতিবেদন , আর ওনার সাথে সাক্ষাতকারের বিবরণ লিখেছিলেন সুদীপ্ত সেনগুপ্ত।
    তার থেকে, ৪৬ নম্বর পাতার বাঁ-দিকের শুরুর কিছু অংশ লিখছি....

    .... গত প্রায় দশ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি ধারাবাহিক প্রচার হলো -- ""ভোট দিতে যাও , সঙ্গে পড়শিদের নিয়ে যাও।'' -- এর মধ্যে দারুণ নতুনত্ব কিছু নেই। কিন্তু এর পরে ইউনূস যে'টি যোগ করেছেন তার মধ্যে অবশ্যই আছে -- ""আপনারা নিজেদের মধ্যে আলাপ ক'রে ঠিক করুন কাকে ভোট দেবেন না।'' .... "" ডাকাতটিকে আটকাতে চোরটিকে জেতান '' - এই হলো বাস্তব থেকে উঠে আসা মন্ত্র। ""বাছতে-বাছতে যদি একমত হন যে, এই লোকটিকেই ভোট দেওয়া যায়, তবে সে কথা ভোটের আগে থেকেই প্রকাশ্যে বলতে শুরু করুন। ভোটের গোপনীয়তা আপনারই স্বার্থে , আপনি তা মানতে বাধ্য নন।''
    ------------------------------------------------------------------------------

    ক্ষমতার অপব্যবহার ক'রে রাজ্যের শাসকদল নন্দীগ্রামের ভূমিউচ্ছেদ-বিরোধী মানুষের উপরে যে অত্যাচার করেছে, সেই সব অত্যাচারের অপরাধের জন্যে দায়ী অপরাধকারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা আর প্রতিবাদ তখনই কোন বাস্তব আকার নেবে যখন তার প্রভাব পড়বে ভোটের মেশিনে। নয়তো শুধুমাত্র কথা আর লেখা দিয়ে প্রতিবাদ করা, কিংবা নেতাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা, বা তাদের পদত্যাগ দাবী করা, এই সব ক'রে খুব বেশী কিছু লাভ হবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সত্যিকারের প্রতিবাদ আর বিরোধিতার অস্ত্র হলো ওই ভোটের মেশিন। ওর উপরে শাসকদলের চিহ্নের পাশের বোতাম'টিকে ক্ষতিকারক মারণ-বিষের মতো এড়িয়ে, অন্য কোন পছন্দের বোতাম টেপার মধ্যে দিয়েই প্রত্যেকটি নাগরিক নিজের মনের ভিতরেই ঠিক টের পাবেন যে, তিনি সত্যি-সত্যি'ই নন্দীগ্রামে ওদের করা এই অত্যাচারের-অপরাধের ঠিকমতো প্রতিবাদ করতে পেরেছেন। আর তা না হলে বুঝবেন যে, শুধু মিথ্যে প্রতিবাদের ভাণ করেছিলেন।

    ওদের বিরোধিতা ক'রে যে সব ভোট মানুষ দেবেন, সেগুলিরও সঠিক জায়গায় আঘাত করার ক্ষমতা অনেক বাড়বে, যদি সেগুলি একজোট হয়। শুধু নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে নয়, তার অনেক আগে থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে সেই জোট বাঁধার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের মধ্যে পুরনো নানান ধরনের বিরোধিতা , ভুল-বোঝাবুঝি, পারস্পরিক সন্দেহ, রাজনৈতিক মতাদর্শের কিংবা সংস্কৃতি-সম্প্রদায়গত মতভেদ , এই সব কিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র রাজ্যের গত তিরিশ বছরের অপশাসনের রাজনৈতিক প্রতিকার আর দরকারী দ্রুত-ক্ষমতাবদলের সাধারণ উদ্দেশ্যের কথা মাথায় নিয়ে , সব বিরোধী দলগুলিকে আজ এক মঞ্চের উপর আলোচনায় বসতে হবে, যা'তে আগামী নির্বাচনের অনেক আগেই সম্ভাব্য শাসকবিরোধী জোটের জন্যে দরকারী একটি সুষ্ঠু, কার্যকরী, সাধারণ কর্মসূচী ঠিক করা যায়, যা অনুযায়ী এই সময়টুকুর মধ্যে গোটা রাজ্যে একসাথে একজোট হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে প্রচার চালানো সম্ভব হবে।

    গত এক বছর ধ'রে ভূমি'উচ্ছেদ আটকানোর সময়ে, কিংবা কলকাতায় মহামিছিলের দিনে যদি শাসকবিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে একই মঞ্চে আসতে পারে, তবে নির্বাচনী উদ্দেশ্যের জন্যেও সে'রকম হওয়া খুব সম্ভব। এইটুকু অন্তত সবার ভাবা উচিত যে, এই ছাড়া আর অন্য কোন পথ নেই। এখনও যদি আমরা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ভুলে গিয়ে জোট না-বাঁধতে পারি, তবে এতো অত্যাচার আর অপরাধ করেও ওরা পার পেয়ে যাবে, কোন শাস্তি'ই ওদের দেওয়া যাবে না। আদালত থেকে বড়জোর অত্যাচারিত মানুষদের ক্ষতিপূরণ পাবার ব্যবস্থা হতে পারে, কিংবা হয়তো ওদের কিছু সাধারণ ক্যাডার যারা নেতাদের হুকুমে ঐ সব অপরাধ করেছিল , তাদের শাস্তিও হ'তে পারে ; কিন্তু শুধু সেইটুকু দিয়ে সন্তুষ্ট থাকার মানে'ই হলো ওদেরকে এর পরে আরও এ'ধরনের অপরাধ করার সুযোগ দেওয়া, ওদের ভয়-দেখানো-চোখরাঙানি আর জুলুমকে সহ্য করা , ওদের সম্পর্কে নিজের মনের ভুল ভক্তি-সমর্থনকে মনের ভিতরে ওদের কায়েমী-অপশাসনের মতো'ই শিকড় গেঁড়ে বসতে দেওয়া, আর নয়তো আবারও বৃষ্টিহীন মেঘের ফাঁকা-আওয়াজের মতো মিথ্যে বিরোধ-প্রতিবাদের ভড়ং করা।
    সামনের নির্বাচনে বিরোধী সব ভোটগুলিকে দলমত নির্বিশেষে যে-ভাবেই-হোক একজোট বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, নইলে এই সব প্রতিবাদের আর বিরোধিতা স্রেফ তামাশা ছাড়া আর কিছু হবে না।
    কংগ্রেস আর তৃণমূল দল একসাথে একটি জোট গঠনের কাজ শুরু করেছে, এখন তার নাম দেওয়া হয়েছে -- প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক জোট। আশা করা হচ্ছে পি ডি এস, এস ইউ সি আই, মুসলিম লীগ, এতে যোগ দেবে। বি জে পি, জামাত, আর কয়েকটি বাম-শরিক দলকেও আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেখা যাক কি হয়। জোটের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পালা শেষ করে, কোন সাধারণ জোট-কর্মসূচী তৈরীর চেষ্টা করা হবে।

  • ® | 203.197.96.50 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ০৯:৫২385118
  • ওরে বাবা! অক্ষদার আই ডি চিনে রাখাতেই শেষ হয়ে যায় নি, এ আবার ক্ষমা চাইতে বলে।
    জনতা , যারা যারা দ্বিমত পোষণ করেছো শীগ্গির ক্ষমা চাও নইলে পাপ হবে কারণ ইনি ই সুশীল সমাজের একমাত্র অবতার।অন্যদের তো চিন্তাশক্তি কিছু নেই ,ইনি ই একমাত্র সব ঠিক জানেন, তাই আপামর জনতার এনার কথাকেই মেনে চলা উচিত। না মানলেই কুশীল।

  • r" | 203.196.253.193 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ১০:৩৫385119
  • এই সুশীল অবতারদের লজ্জা বলে কিছু নেই, নাহলে একটা কাগজ বেওসায়ির অঙ্গুলিহেলনে আন্দোলন করে,,

    বিদ্বজনদের চামচরা এখন থেকেই চিনে রাখার হুমকি দিচ্ছে! পরে কি করবে? অবিশ্যি সুযোগ পাবে বলে মনে হয় না
  • kallol | 122.167.85.78 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ১৫:০৫385120
  • _স - এমনিতে আমি নন্দীগ্রাম বা সিপিএম বিষয়ে আপনার সাথে অনেকটাই একমত। কিন্তু আপনার ""প্রগতিশীল-ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক জোট""-এ মুসলিম লীগ, জামাত আর বিজেপি-কে নিয়ে চলতে চাইছেন। সেটা কতটা প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ আর গণতান্ত্রিক হবে তাতে আমার খুব সন্দেহ আছে। এই তিন দলই এই তিনটি বিষয় থেকে শত যোজন দূরে। মুসলিম লীগ বা জামাত নিয়ে খুব পরিষ্কার ধারনা না থাকলেও তসলিমা, সলমন রুশদি বা শাহ্‌বানুর ক্ষেত্রে এদের অবস্থান আমাকে এদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে ভাবতে বাধা দেয়। আর বিজেপি? আপনার ধারনা আছে কি না জানি না। জরুরী অবস্থার সময় এদের আজকের অনেক রাজ্য নেতাদের সাথে একসাথে জেলে ছিলাম। বেশ কাছ থেকে দেখেছি। এরা সিপিএম-এর হিন্দু সংষ্করন।
  • d | 192.85.47.11 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ১৫:১৬385121
  • কল্লোলদা,

    এইটা পড়ে দেখতে পারেন।
    http://tinyurl.com/2vgmzc
  • d | 192.85.47.11 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ১৬:০৭385122
  • এই হিনী ইঞ্জিরির চেয়ে আমি বরং ভাটে না ঢোকাই ঠিক করলাম। টই ঘুরে চলে যাব।

    (ছি: মেরেধরে কি কাউকে দিয়ে লেখাতে হয়!! লেখকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে যে!
    তবে বেশী ভ্যানতাড়া করলে ..... )
  • d | 192.85.47.11 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ১৬:০৭385123
  • উফ্‌ এটা এখানের নয়।
  • Du | 67.111.229.98 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ১৯:৩৮385124
  • সিপিএম বিজেপির কি সংস্করণ এটা বুঝিয়ে বললে আগের কথাটা বুঝতে সুবিধে হত।
  • a x | 192.35.79.70 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ২০:১৩385125
  • শমীক, দ, শুভজিৎ, আরো যাঁরা ঐ টাকা পাঠানোর ইনফো চেয়েছিলেন, এটাতে কাজ হবে কি -

    Beneficiary's Name:

    Janasqwastha Swadhikar Mancha
    A/C No. S/B 24941 with canara bank, Sealdah, Kolkata( 0396)swift code: CNRBINBBCFD Canara Bank A/C No 2000193008894 with Wachovia Bank, Newyork, Swift Code: PMBPUS3NNYC

  • r | 59.162.191.115 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ২০:২০385126
  • মহাশ্বেতা দেবীকে দেখলাম তসলিমা নাসরিন ও শিল্পী স্বাধীনতা নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। এই মহাশ্বেতা দেবীই মাথায় কালো ফেট্টি বেঁধে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মিটিঙে যোগ দিয়েছেন। আবার এই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তসলিমা নাসরিনকে তাড়াবার আন্দোলনের প্রধান শরিক। অনেকেই দেখলাম প্রশ্ন করেছেন যে ইমাম তসলিমার মুন্ডচ্ছেদের ফতোয়া জারি করেছেন তাকে সরকার গ্রেফতার করে কি কেন? সেই একই স্লোগান উঠেছে ১৫ই নভেম্বর মিলি ইত্তেহাদ কমিটির মিছিল থেকে। এই মিলি ইত্তেহাদ কমিটির প্রধান আহ্বায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তসলিমার বিতাড়ন দাবী করে প্রকাশ্য সভায় বক্তৃতা দিয়েছেন। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোথাও একটিও শব্দ কেউ ব্যয় করেন নি।

    কারে আর কি কই? প্রতিবাদ তো করতেই হবে, কিন্তু কেউ নৈতিকভাবে অন্যদের থেকে ভালো- এই দাবী করার জায়গায় নেই।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ২০:২৩385127
  • এঁরা সবাই কি সুকুমার রায় পড়েছে(ন) রিসেন্টলি?

    একটা আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরী হোক - সিটিজেনস মুভমেন্ট গোছের।
  • r | 59.162.191.115 | ২৯ নভেম্বর ২০০৭ ২১:২৪385129
  • ধুর, সিটিজেন্‌স্‌ মুভমেন্ট দিয়ে কোনো রাজনৈতিক লড়াই লড়া যায় না। তবে আমার মতে এইরকম একটা কিছু তৈরি হওয়া উচিত, কারণ শুধু রাজনৈতিক পার্টিদের কথা শোনা যাবে, আর বাকিরা চুপ করে থাকবে- এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না।

    এই রাজনৈতিক লড়াই করবে? শরিক পার্টিগুলোর মত উঞ্ছজীবীরা? আজ ক্ষিতিবাবু সুড়্‌সুড়্‌ করে মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন শুনলাম। মিডিয়া না থাকলে এঁদের নামও কেউ শুনতে পেত না, বক্তব্য তো দূরস্থান। এরপর আছেন তৃণমূল ও কংগ্রেস। কংগ্রেসের ব্যাপার তো সবাই জানে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের নেতারা এই তিরিশ বছরে ভালই করেকম্মে খেয়েছেন, কর্মীরা যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন। ফ্ল্যাট, জমি, দোকান- বামফ্রন্ট রাজত্বে কম সুখ? তার উপর বেশি দায়িত্বও নেই। যে সব নেতারা বাইরে এত গরম গরম কথা বলেন, রাইটার্সের ভিতরে ঢুকে তাঁদের কি রূপ হয় যে কোনো সরকারী আমলাকে জিজ্ঞাসা করে দেখো। এ ছাড়া আছেন শিবদাস ঘোষ পার্টি- সাকুল্যে দুইজন এম এল এ, তাদের মধ্যে একজন আবার খুনের দায়ে জেল খাটছেন। আর আছেন ছুটকোছাটকা নকশালেরা- তাঁদের দুই তিনজন মেম্বার থাকলেও "বিপ্লবটা প্রায় করে ফেলিচি ফেলিচি" ভাব, এখনও কে স্তালিনপন্থী, কে মাওপন্থী, কে ট্রটস্কিপন্থী- এই নিয়ে নৈয়ায়িক বামুনদের মত তক্কো করে চলেছেন।

    সি পি এমের একমাত্র দাওয়াই সি পি এম- এর প্রমাণ নন্দীগ্রাম, এর প্রমাণ সিঙ্গুর। খবরে প্রকাশ, সিঙ্গুরে তৃণমূলবাবুরা ক¾ট্রাকটরি এবং হ্যানা ত্যানা পেয়ে খুশিই আছেন। কাজেই যাদের হাতে নেতৃত্ব ছিল তাদের আন্দোলনের কোনো তাগিদই নেই। কিন্তু নন্দীগ্রামে সি পি এমের বিপুল বাহিনীর বিরুদ্ধে এগারো মাস লড়াই করে স্টেলমেট থাকে কি করে? কারণ, দুই পক্ষেরই রণকৌশল শিক্ষা একই জায়গায়। একটা নেতৃত্বের শূন্যতা ছিল, যেটা তৃণমূল মত ফোঁপরদালালেরা এবং নকশালদের মত সলিডারিটি দেখানেওয়ালারা এসে পূর্ণ করেছে। শেষে এই স্টেলমেট ভাঙতে সি পি এমকে বাইরে থেকে রি-এনফোর্সমেন্ট আনতে হল। কিন্তু তিরিশ বছরের মধুর স্বাদ পার্টির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়াতে এই লড়াইটা মধ্যবিত্তদের দিয়ে হবার নয়। লড়াইটা গ্রামেই করতে হবে এবং হতদরিদ্ররা এই লড়াই লড়বেন। এই অবস্থাটা অনেকটা তৈরি হয়েছিল রেশন রায়টের সময়। নেতৃত্ব ছিল না, কিন্তু প্রচন্ড বিক্ষোভ ছিল। কিন্তু শহর, তার বুদ্ধিজীবী এবং তার মিডিয়া এদের পাশে দাঁড়ায় নি। দায়সারাভাবে রিপোর্টিং করে কাজ সেরেছে। বুদ্ধিজীবীরা তো রা কাড়েন নি। সাধে কি ধান্দাবাজির কথা বলি? এজেন্ডা তৈরি করে মিডিয়া এবং তারপরে বুদ্ধিজীবীরা তার পোঁ ধরে চলেন। তাই লড়াইটা হতে হবে গ্রামে এবং লড়াইটা লড়তে হবে এই অসহনীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। যেভাবে পাঁচজনকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে- সেই লড়াইটা গ্রাম থেকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন