এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • পায়ের তলায় সর্ষে - ৭

    Binary
    বইপত্তর | ২২ জুন ২০০৭ | ২০৭০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৮389093
  • বকুনি দেয়।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৮ জুলাই ২০১০ ১৮:৪০389094
  • মানে ফোং করলে। "দেখতে নাহি হাম গাড়ি চালা রহাঁ হুঁ' - এরকম কি যেন বলে;-)
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ জুলাই ২০১০ ১৮:৪৮389095
  • হ্যাঁ ফোনের কথাই কইছি তো, ব্ল্যাংকোরে আইএসডি করে বকুনি খেয়েছি। :))
  • Samik | 121.242.177.19 | ০৮ জুলাই ২০১০ ১৮:৫৩389096
  • আরে ভাই কা কার রহে হো, দেখত্‌ নাহি হো কা কি ম্যায় গাডি চালা রহা হুঁ? অভি কাইসে বাতিয়া করেঁ বতাও ... আরে দেখো দেখো, এক ট্রাক আ গয়া সামনে ...
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০০:০৬389097
  • :-)))
  • Tim | 198.82.19.226 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০০:২৬389098
  • এইটা তো তাও ভালো। আগেরটায় একটা বাচ্ছা ছেলে হিন্দিতে বকতো। কি, না আঙ্কল হোমওয়ার্ক করছে। :-)
  • Blank | 59.93.203.89 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০১:১৯389099
  • ইদিকে ভাবছিলাম একটু পেলিং যাই
  • sana | 114.78.33.110 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০৫:৫০389100
  • আরে,আমাদের কে কি ঐ টং এর চা-দোকানেই রেখে পেলিং চল্লে নাকি? আগে তো তুংগনাথ পৌঁছে দাও,নামিয়ে আনো হরদ্বার/হরিদ্বার এ,দুরন্ত তে তুলে আবারো গল্প-গাছায় কলকাতা ফেরত করো,তবে না পেলিং এর ট্রেন ধরবো আবার!
  • Samik | 122.162.75.24 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০৯:১৫389101
  • ব্ল্যাংকি কি এখনও ট্রাকের পেচুনে গাড়ি চালাচ্ছে?
  • Lama | 155.57.192.1 | ০৯ জুলাই ২০১০ ০৯:১৯389103
  • ট্রাকের পেচুনে চালালে ক্ষতি নেই, ট্রাকের মুকোমুকি হলেই চাপ
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৭:০২389104
  • ফের হাঁটা শুরু হলো ওখান থেকে। চাঁদু আবার সেই চা-ওলার ছবি ও তুল্লো !! এরেই কয় আদিখ্যেতা। আমার তো পতাকাটা দিয়েই ঠ্যাঙাতে ইচ্ছে হচ্ছিলো চাঁদু গাম্বাটকে।
    এবারে যত ওপরে উঠছি তত পাহাড়ের খাড়াই বারছে। কোথাও কোথাও পাথরের খাঁজে গুহা। দুজনেই অপেক্ষায় আছি, যদি একটা স্নো-লেপার্ড বা পাইথন দেখা যায় অন্তত:।
    তখন আকাশের বেশ উঁচুতে দেখা যাচ্ছে গোল্ডেন ঈগল। গোল গোল করে চক্কর কাটছে। সেই কবে থেকে দেখার শখ এগুলোকে। কিন্তু তখনো ক্যামেরার লেন্সের পক্ষে বড্ড ছোট ওগুলো।
    বেশ কিছুদুর আশার পর একটা ছোট্ট বুগিয়ালের ওপরে দেখা মিললো একটা মন্দিরের। এই রাস্তার প্রথম মন্দির। হেঁটে উঠে দেখলাম একটা ছোট্ট গনেশ মন্দির। মাথা নীচু করে ভেতরে ঢুকতে হয়। আমাদের পাড়ার শনি মন্দিরের চেয়েও সাইজে ছোট। ওপরের হলুদ পতাকাটা হেলে পরে গেছে। আমি আর চাঁদু মিলে পাথর সাজিয়ে, তাতে পতাকা গুঁজে সোজা করলাম জিনিস টাকে।
    এই মন্দির থেকে আর বেশী দুর নয় তুঙ্গনাথ। কিলোমিটার খানিক হাঁটার পর দেখতে পেলাম একটা পাথরের খাঁজে কিছু বাড়ি দেখা যাচ্ছে আর একটা কালচে মন্দিরের চুড়া। দেখেই আমি বুঝেছি যে এটাই তুঙ্গনাথ। আমার তো যাকে বলে জহুরীর চোখ, দেখেই চিনতে পারি। একি আর চাঁদু ব্যটা যে চায়ের দোকান কে মন্দির ভাবে !!!
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৯ জুলাই ২০১০ ১৮:১৭389105
  • তুঙ্গনাথে থাকার জয়গা নিয়ে খুব একটা সমস্যা নেই, যদি না কোথায় থাকবেন, তাই নিয়ে নাক উঁচু ব্যপার থাকে। এখানে পাকা বাড়ি বলতে কালীকমলি ধর্মশালা আর মন্দিরের ধর্মশালা। বাকি থাকার জায়গা হলো কিছু খুচরো হোটেল (যদি ওগুলোকে হোটেল বলা যায়)। হোটেল গুলোতে ২ টো কি ৩ টে ঘর। মাটির ঘরে টিন বা পাতলা পাথরের ছাদ। আর ঢালাও বিছানা। এক একটা ঘরে খান পাঁচ ছয় লোক থাকতে পারে। কোনো পুন্য তিথিতে লোকাল ভীড় বাড়লে নাকি ঐ ঘরে খান পঞ্চাশ অব্দি মানুষ ঢুকে যায়। ভাগ্য ভালো থাকলে কোনো ঘরে জানলাও পেতে পারেন, তবে দরজা আছে সব ঘরেই।
    আর হোটেলের বাইরে একটা কমন বাথরুম , চান করার কোনো কনসেপ্ট আছে বলে মনে হলো না। সাথে অবস্যই মনে করে ডিওডোরেন্ট রাখবেন, নইলে জুরাসিক লেপ আর কম্বলের গন্ধ পেলব বাঙালী নাকের পক্ষে একটু অন্যরকম লাগতে পারে । আমাদের অবশ্য স্লীপিং ব্যাগ ছিলো ঘুমোবার জন্য। সাথে ওটা রাখাই সেফ।
    রাস্তার ধারে প্রথম কয়েকটা এমনি হোটেল দেখার পরেও আমাদের মনে সামান্য আশা ছিলো যে হয়তো আরো ওপরে সামান্য ভালো কিছু পেতেও পারি। কিন্তু যখন দেখলাম সামনের রাস্তা প্রায় শেষ হয়ে এলো, তখন বাধ্য হয়ে ঢুকে পরলাম সামনের গনেশ হোটেলে। বাঙলায় লেখা নাম। বছর দশেক আগে কোনো এক বাঙালী ভদ্রলোক লিখে দিয়েছিলেম বাংলায়। পরে হোটেলের মালিক সেটা দেখে দেখে দেওয়ালে বড় করে বাংলায় লিখেছেন নামটা।
    হোটেলের মালিক বেশ ভাও। ওনার হোটেলে দুটো ঘর আছে। একটা ঘরে একজন বাঙালী বিজ্ঞানী থাকেন। তার সাথেই সেই রাত থাকবো আমরা। ঐ ভদ্রলোক অবশ্য তখন নেই ঘরে। ওখানেই ব্যাগ পত্তর রেখে, গরম খিচুরী আর পাঁপড় ভাজা খেয়ে আমরা গেলাম মন্দির দেখতে। পাথরের মন্দির। দেখে মনে হয় বহু পুরনো। ভেতরে শিব লিঙ্গে যোনীপীঠ নেই কোনো। ভেতরে আলো অব্দি নেই। খান দুই প্রদীপ জ্বলে সারাক্ষন। ভীড় নেই একেবারে। এই সব অঞ্চলে ইলেকট্রিক আসেনি এখনো। সোলার লাইট আছে মন্দিরে। কিন্তু খুব মেঘলা আর কুয়াশার চোটে সেটাও কাজ করছে না কদিন ধরে।
  • Lama | 203.99.212.53 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১২:১৩389106
  • জ্জয় বাবা তুঙ্গনাথ!!!
  • d | 219.64.177.125 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১২:১৭389107
  • ব্যটা আবার পেলিং গেছে!!!
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৭:৪৫389108
  • মন্দির দেখার পরে ফিরে এলাম গনেশ হোটেলে। আকাশ তখন খুব মেঘলা, কনকনে ঠান্ডা হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। এদিকে আমাদের প্ল্যান চন্দ্রশীলা টা ঘুরে আসা আজই। হোটেল মালিক বললেন চন্দ্রশীলা আরো দেড় দু কিলোমিটার ওপরে। পুরো টাই পাহাড়ের গা বেয়ে মাটির পায়ে চলা রাস্তা। বৃষ্টি নেমে গেলে মাথা গোঁজার কোনো জায়গা নেই রাস্তায়। আর রাস্তাও খুব খাড়াই, তাই পিছল হয়ে থাকবে বৃষ্টিতে। তার চেয়ে বরং ভোর বেলা গিয়ে চন্দ্রশীলা দেখা ভালো।
    এব্যপারে আবার আমার আর চাঁদুর মনে খুব কনফিউশান আছে যে সুর্যোদয়ের সাথে সুর্যাস্তের তফাৎ কি অ্যাঁ? ছবি তুললে কি বোঝা যায় সুর্য উঠছে না ডুবছে? দুবেলাই তো সুর্য থাকে লাল হয়ে। তো কেনো শুধু শুধু ভোর বেলা যাবো পাহাড়ে? যত্ত অস্বাস্থ্যকর অভ্যেস সব।
    বাইরে বসে তখন চা খাচ্ছি গরম। মেঘ আর ঠান্ডা হাওয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে সামনের রাস্তায়। এমন সময় টিপ টিপ করে শুরু হলো হলো বৃষ্টি। মাথায় টকাস টকাস ব্যথা লাগার সাথে সাথে মাথায় হাত দিয়ে দেখি, এতো বরফ। তারপরেই সেই অদ্ভুত বরফ বৃষ্টি। সাদা তুষার নয়, গোল গোল সাবু দানার মতন শক্ত বরফ, অঝোরে পরছে আকাশ থেকে। কোনো ক্রমে এসে দাড়ালাম সামনের উঠোনে। চারদিক সাদা হয়ে গেলো ঐ সাবু দানায়। এরা বলে 'ওলে'।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৭:৫৫389109
  • বদ্রীনাথে নর-নারায়ণের মাঝখানে ঢিল-ছোঁড়া দূরত্বে আপাদমস্তক বরফে ঢাকা বিশাল নীলকন্ঠের ভোরবেলায় যা চেহারা থাকে সেটা একবার দেখলে ব্ল্যাংকি বার বার ভোরবেলা উঠবে। গ্যারান্টি।

    টাইগার হিল/কাঞ্চনজঙ্ঘা - সব ভুলে যায় লোকে ওই দৃশ্য দেখে।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:১০389110
  • প্রায় একটানা মিনিট ৪৫ চলার পর থামলো 'ওলে' বৃষ্টি। আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম চন্দ্রশীলার দিকে।
    মন্দিরের পাশ দিয়ে রাস্তা উঠে গেছে ওপরে। এই পাহাড়ের চুড়াটাই হলো চন্দ্রশীলা। কিছুদুর ওঠার পর দেখি হঠাৎ সামনে রাস্তা নেমে যাচ্ছে। মিনিট ৫ বেশ আনন্দে নামছি, যেন কত্তদিন পর উৎরাই। কিছুক্ষন পরে হঠাৎ আমার মনে সেই কুটিল সন্দেহ উঁকি দিলো, যে পাহাড়ের চুড়ো তো পাহাড়ের মাথায় থাকে, নীচে তো নয় !! কক্ষুনো কোনো পাহাড়ে এমনি কিছু হয় নি। কেমন সন্দেহ সন্দেহ মুখ করে চাঁদুকে ব্যপারটা জানাবার পর চাঁদু ও আমাকে সমর্থন করলো পুরোপুরি। সেও তার ক্ষুদ্র জীবনে পাহাড়ের নীচে কোনো চুড়ো দেখে নি।
    এদিকে এই রাস্তায় কোনো জনমনিষ্যি নাই। কাউকে পাচ্ছিনা জিজ্ঞাসা করার। শেষে ফোন শমীককে। সে ব্যটা পুরো রুট মুখস্থ করেছিলো, ফান্ডা চাই রাস্তা নিয়ে। শমীকের তখন দাবী যে, রাস্তা সরাক্ষন ওপরেই যেতে থাকবে, নীচে নামার কোনো জায়গাই নেই। আর মন্দিরের পাশ দিয়েই রাস্তা। আমরা কেমন চুড়ান্ত চিন্তিত হয়ে গেলাম তাতে।
    গুটি গুটি ফিরছি মন্দিএর দিকে, নতুন করে হাঁটবো বলে। হঠাৎ চাঁদুর আবিষ্কার, একটা সরু পায়ে চলা রাস্তা উঠে গেছে সোজা পাহাড় বেয়ে। নিশ্চয়, নিশ্চয় ওটাই সেই রাস্তা।
    সেই রাস্তা ধরে শুরু হলেও হাঁটা। রাস্তা টা পাহাড়ের গা বেয়ে Z এর মতন এঁকে বেঁকে উঠে গেছে। এরা বলে 'কাঁচি'। সেই কাঁচি বেয়ে বেয়ে ওঠা শুরু। এই রাস্তা তুঙ্গনাথের চেয়ে অনেক খাড়াই। তবে পুরো টাই বুগিয়ালের ওপর দিয়ে, পায়ের তলায় নরম ঘাসের কার্পেট। ভিজে রাস্তায় পা চেপে হাঁটতে হয়। নীচে ক্রমশ ছোট হচ্ছে মন্দির, আর আরো নীচে .... নাহ ওসব দেখা যায় না। তিনহাজার মিটারের ওপর থেকে মাটি দেখা যায়্‌না নীচের।
    রাস্তার একদিকে হিমালয়ের বরফ ঢাকা রেঞ্জ, অন্য দিকে ঢেউ খেলানো নীল পাহাড় দক্ষিন অব্দি চলে গেছে। বহু দুর অব্দি সেই পাহাড়, যেদিকে দুচোখ যায়। নীল ধোঁয়া পাহাড় গুলো, আমার চেনা জগতের বাইরের এক ছবি।
    ছবি তোলার সময় সাবধানে দাঁড়াবেন, গড়িয়ে পরার খুব চান্স, আর সেটা কোথায় কেউ জানে না ...
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:১৩389111
  • কেনো শুনি? কেনো? বিকেল বেলা ঐ পাহাড়ে কি হয় সুয্যি ডোবার সময় !!
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:২২389112
  • চন্দ্রশীলায় পৌছতে লাগলো প্রায় ২ ঘন্টা। রাস্তাটা খুব স্টীফ, তার মধ্যে কিছুটা ক্লান্তও হয়ে গেছিলাম হয়তো। একদম ওপরে একটা ছোট্ট মন্দির, গঙ্গা মাইয়ার। ছোট বলতে খুবই ছোট, ঐ পাড়ার শনি মন্দির টাইপ। সামনে একটা গেট করা, আর অনেক ঘন্টা ঝুলছে। মন্দিরের চার পাশে অজস্র ছোট ছোট পাথরের স্তুপ। বড় পাথর, তার ওপর ছোট, তার ওপর আরো ছোট, এমনি ভাবে তৈরী। ওগুলো মৃত মানুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। ওখানে মারা গেছেন যারা, তাদের জন্য।
    এই ওপরে সারাক্ষন কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। বেশী ক্ষন দাঁড়াতে কষ্ট হচ্ছিলো। মন্দিরের পেছনে গিয়ে বসলাম। এদিকে হাওয়া একটু কম। আমরা বসেই ছিলাম ওখানে। চারদিকে শুধু পাহাড় চুড়ো, পাহাড়ের মধ্যে ছোট ছোট রাস্তা দেখা যায় দুর থেকে। এতক্ষন শুধু হাওয়ার শব্দ পাচ্ছিলাম, এরপরে হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে এলো মানুষের গলা।
    অনেক দুরে নীচে কতকগুলো মানুষ তখন আসছে এদিকে। মিনিট ৪৫ পরে তারা যখন একটু বড় হলো, দেখি তারা সেই গাড়ির চার কাকু। সাথে আবার একজন গাইড !!!
    কাকুদের ভয়ে পুরো লুকিয়ে বসে আছি মন্দিরের পেছনে। চার কাকু বীর দর্পে তখন মন্দিরের সামনে গাইডের সাথে ঝগড়া করে চলেছে যে, ইয়ে তো গঙ্গা মন্দির হ্যায়। চন্দ্রশীলা কাঁহা হ্যায়?? ইধার কিউ লে আয়া হামকো?
  • pipi | 92.225.74.122 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:২৬389114
  • নীলকন্ঠের ব্যাপারে অজ্জিতকে সেকেণ্ড করলাম। কল্পনারও অতীত। আর ভোরেই সবচেয়ে সুন্দর। আমি মোটেও ভোরে ঊঠতে ভাল বাসি না। তাই ভোররাতে আমায় জাগানোর বৃথা চেষ্টা করে মা-বাবা শেষমেষ আমাকে ফেলেই পূজো দিতে চলে গেছিল। এদিকে পেট ব্যাথার চোটে জেগে উঠে বাইরে বেরিয়ে দেখি নীলকন্ঠ! সবে ভোর হচ্ছে তখন। আঁধার থেকে আলোয় যাবার সে কি বাহার! তারপর সারাদিন বারান্দায় বসে নীলকন্ঠের বদলানো দেখলাম, সারাটাদিন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতে সূর্যাস্তও দেখলম। কিন্তু অন্ধকার থেকে আলোয় যাবার সেই রূপ ভোলা গেল না।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:২৯389115
  • মাফলার, হনুমান টুপি, জ্যাকেট জড়ানো লোক গুলোকে দেখে মনে হচ্ছে ছোট খাটো ইয়েতি সব। একজন আবার একটা সাদা র ওপর গোলাপী ফুল আঁকা প্যান্টুল পরে আছে !!!!! তার মধ্যে তাদের ঐ কনফিউশান, খ্যা খ্যা করে হেসে চলেছি আমরা।
    ইতিমধ্যে দেখি এক কাকু হঠাৎ বলে উঠলো উধার ভালু হ্যায় ভালু। অমনি চার জনে দৌড়লো অন্যদিকে ভালো দেখবে বলে। শুধু শুধু অটো বিরক্ত হয়ার চেয়ে নেমে যাওয়া ভালো। তাই আস্তে আস্তে নামা শুরু করলাম আমরা। শেষ আমাদের চন্দ্রশীলা ঘোরা। আবার কবে এখানে আসবো তা জানি না।
    নীচে যখন নামলাম, তখন পাহাড়ে লাল রঙ ধরেছে। কনকনে ঠান্ডা চারদিকে। প্রায় সাতটা বাজে। গনেশ হোটেলে এক প্লেট করে ম্যাগী আর মোষের দুধের চা খেয়ে চললাম মন্দিরে। তখন সন্ধারতি হবে।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৩389117
  • ভোর বেলা ঘুমিয়ে আমি অমনি পাহাড়ের রেঞ্জ ডেলি দেখতে পাই। যা যা রঙ দরকার, সব থাকে তাতে, তার বেলা !!
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৩389116
  • কারণ সুজ্জি ওঠে পূবদিক থেকে। ভোরের প্রথম আলো নীলকন্ঠের গায়ে যখন পড়ে তখন মনে হয় তখনও অন্ধকার নর-নারায়ণের মাঝখানে একটা বিশাল সোনার পিরামিড বসে রয়েছে। সুজ্জি ডোবার সময় সেটা তো দেখা যাবে না বাবা...
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৫389118
  • সোনার পিরামিড ভালো, না ভোরের ঘুম এই নিয়ে আমি একটা সার্ভে করবো
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:৪৩389119
  • বাইরে তখন মুষলধারে ওলে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। একটা ছোট্ট পাথরের অন্ধকার মন্দির। গর্ভ গৃহে একটা প্রদীপ জ্বলে, আর বাইরে একটা। বড় আগুনের একটা গোলা নিয়ে তার ভেতর শুরু হয় আরতি আর গান। মেঝেতে পাতা শুকনো খড়ে বসে কালচে দেওয়ালে আগুনের নাচন। আর কনকনে ঠান্ডা হাওয়া, ছিটকে আসা বরফরের টুকরো বদলে দেবে আপনাকে। মার্ক্স, মাও, অক্টোপাস, স্পেন সব এক করে দেবে। মন্দিরের বাইরে কোনো মানুষ নেই, মন্দিরে মানুষ বলতে আমরা দুজন, দেরাদুন থেকে আসা একটা পরিবার আর পুরোহিত নিজে। কোনো শব্দ নেই কোথাও, শুধু পাথরের দেওয়ালে আগুন নাচ।
    আরতি শেষ হতে বেড়িয়ে এলাম মন্দির থেকে। কোনো রকমে ওলে থেকে মাথা বাঁচিয়ে ছুট গনেশ হোটেলে। ঘরে ঢুকে কাঁপছি ঠক ঠক করে। ইতিমধ্যে এসে গেলো রাতের খাবার। খান কয়েক রুটি, ডাল আর তরকারি একটা। আমাদের দুজনের জন্যই বসে আছে ওরা। বাকি সবাই খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পরেছে। রাত আটটা মানে এখানে গভীর রাত।
    যে বাচ্ছাটা খাবার দিয়ে গেলো, সে কাজ করে হোটেলে। প্রতিদিন পায় ১ টাকা করে !! আর তার সাথে খাওয়া ফ্রী। ওর বাড়ি নীচের কোনো এক গ্রামে।
    খেতে খেতে পরিচয় হলো সেই বাঙালী বিজ্ঞানীর সাথে, আমাদের ই বয়সী ছেলে। TIFR এ রিসার্চ করছে। বেচারার দু:খ যে zoology সাবজেক্ট হওয়া সত্তেও, এখন কাজ করতে হচ্ছে botany তে। এদিককার কোনো একটা ফুল টুল নিয়ে ওনার কাজ। মাঝে মাঝেই আসতে হয় আর টানা থাকতে হয় কয়েক সপ্তাহ।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ জুলাই ২০১০ ১৮:৫১389120
  • খাওয়া দাওয়া শেষ করে আর কোনো কাজ নেই। ঘরের আলো ও গেছে নিভে। স্লীপিং ব্যাগ খুলে তার ওপর কম্বল চাপিয়ে শুয়ে পরলাম। চাঁদু গাম্বাটটা শুয়েই ঘুমিয়ে পরলো। আমি অনেক ক্ষন মোবাইলে গেম টেম খেলে বুজলাম যে এমনি ভাবে ঘুমানো খুব কঠিন। এত তাড়াতাড়ি অভ্যেস নেই ঘুমানোর। আরো খানিকক্ষন এপাশ ওপাশ করে শেষে দুর ছই বলে চলে এলাম বাইরে।
    তখন মেঘ কেটে গেছে বাইরে। বাইরে একটা খোলা তারা ভর্তি আকাশ। কোনো আলো নেই কোথাও। খালি চোখে দেখা যায় Vergo, Leo আর লালচে মঙ্গল। দুরের সাদা বরফের পাহাড় গুলোকে চেনা যায় অন্ধকারেও। বরফের আলো আছে নিজস্ব, অনেক রাতেও সাদা চুড়া গুলো যেন জ্বল জ্বল করে।
    কতক্ষন এমনি ভাবে ছিলাম জানিনা, তারপর মনে হয় ঘুমোতে চলে গেছিলাম। ঘুম ভাঙলো চাঁদুর ডাকে, তখন ৯ টা বেজে গেছে।
  • sana | 114.78.33.110 | ১৫ জুলাই ২০১০ ০৫:৪৭389121
  • Blank,লেখা পড়ে,মনটা পালকের মতো হালকা হয়ে ফুরুৎ করে জানলা গ'লে শীতের নরম রোদে হাওয়া!! যাই দেখি সারাদিনের চেষ্টায় ওকে ঘরে ফেরানো যায় নাকি......
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৫:১৭389122
  • ১৩ June ২০১০
    ---------------
    ঠান্ডা র মধ্যে যখন স্লীপিং ব্যাগ ছেরে বাইরে এসে দাঁড়ালাম, তখন কেমন পাল্টে গেছে চারদিক। চারদিক মেঘ কুয়াশায় ঢাকা। ভিজে ভিজে রাস্তা। মন্দিরের সামনে কয়েকটা মেঘ তখনো চক্কর কাটছে, টকটকে লাল ধুতি পরা এক সাধুবাবা নিজের ঘরের উঠোনে বসে আছে তখন খালি গায়ে।
    মুখ ধুতে গিয়ে বুঝলাম যে এত ঠান্ডা জলে চাপ নেওয়ার কোনো মানে নেই। এক্কেবারে নেমে গিয়ে উখীমঠে পৌঁছে বরং মুখ ধোবো। চাঁদু দেখি নিজের স্লীপিং ব্যাগ টাকে তাল গোল পাকিয়ে প্যাকিং করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। আমি টুক করে সেটাকে নিজের ব্যাগের সাথে ঝুলিয়ে নিলাম, ব্যাস ওটা আমার হয়ে গেলো। প্রথমে চাঁদু ব্যটা জিনিসটা বোঝে নি, কিন্তু তারপরেই ব্যপারটা টের পেয়ে আমায় চাট্টি কথা শোনালো। গুরুজনদের প্রতি সম্মান টন্মান দেয় না আজকালকার ছেলে গুলো। যাকগে যাক, আমার মনে তখন একটা আধ্যাত্মিক ব্যপার স্যপার জেগে উঠেছে। আমি শুধু স্মিত মুখে হেসে বেড়িয়ে এলাম ঘর থেকে। সে বেচারা অন্য স্লীপিং ব্যগ টাকে তখন প্যাকিং করছে।
    এবারে নামা শুরু হলো ফের। এখন রাস্তা একদম ফাঁকা। এত সকালে এতদুর অব্দি এসে পৌছতে পারেনি কেউ। কুয়াশা আর মেঘ পেরিয়ে তুঙ্গনাথ থেকে নেমে আসা। নামার রাস্তায় বিশেষ কিছু হয় নি। একবার খালি শর্টকাট নিতে চাঁদুর পাতাল প্রবেশ হতে যাচ্ছিলো হড়কে গিয়ে। নীচে নামতে ঘন্টা দেড়েক মতন লাগলো। তখন সবে লোকজন ওঠা শুরু করছে তুঙ্গনাথের দিকে। একপাল ঘোড়া দাঁড়িয়ে নীচে।
    নীচে নেমে জানা গেলো যে উখী মঠের জন্য বাস ছেরে গেছে একটু আগে। এখানে 'পরের বাস' বলে কিছু হয় না। ওরা সবাই স্বাধীন বাস, নিজের ইচ্ছে মতন আসে যায়। বাসে নামটা বেশ মজার, 'ভুখ হরতাল' বাস। কারা নাকি কবে ভুখ হরতাল করে এই রুটে বাস আদায় করেছিলো।
    কিন্তু সে বাসের জন্য অপেক্ষা করে আর অহল্যা হওয়ার মানে হয় না কোনো। তাই দু প্যাকেট বিস্কুট কিনে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। রাস্তায় কোথাও না কোথাও গাড়ি পেয়ে যাবো। আর গতকাল থেকে হাঁটাহাঁটি করে তখন কনফিডেন্স চুড়ান্ত। প্লেন রাস্তায় হাঁটা তখন টেস্ট প্লেয়ারের কাছে গলি ক্রিকেট পুরো।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৫:২৯389123
  • রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে সেই বুগিয়াল গুলো কে পেরিয়ে যাওয়া। এক পাল গরু নিয়ে বুগিয়ালে নামছে দুটো ছোট্ট ক্ষুদে। ওদের নাকি তখন গরমের ছুটি ইস্কুলে। মাথার ওপর চক্কর মেরে যায় সোনালী পাখী গুলো বিশাল ডানা মেলে। হঠাৎ চাঁদুর আবিষ্কার যে একটা সোনালী পাখী সামনের একটা মরা গছের মগডালে বসে। অমনি ব্যাগ পত্তর রেখে ক্যামেরা নিয়ে ধাওয়া করে তার ছবি তোলা।
    ছোট্ট দোকানে ফের চা খাওয়া আর হাল্কা মেঘ রোদ্দুরে ফের হাঁটা। তখন আমরা প্রায় ৫ কিমি হেঁটে চলে এসেছি, হঠাৎ শুনি একটা গাড়ি হর্ন মারছে পেছনে। তাকিয়ে দেখি আগের দিনের মন্দিএর দেখা সেই দেরাদুনের পরিবার। আমরা উখীমঠ যাবো শুনে আমাদের তুলে নিলো গাড়িতে।
    উখীমঠ পৌঁছে খবর পেলাম যে শমীক ব্যটার ও হাল ঢিলে। ওর ট্রেনও ততক্ষনে ঘন্টা ৬ লেটে চলছে, কখন হরিদ্বার ঢুকবে কে জানে। কোনোমতে চান করে খেয়ে দেয়ে ফের ঘুম একচোট।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৫:৪২389125
  • বিকেলের মধ্যে ঘুম ভাঙলো। সেটা তেমন ভালো কিছু ব্যপার না। ঘুম ভাঙলো ছারপোকা কামড়ে। এখানেও ছারপোকা !!! ছারেনি ছারেনি পিছু ছারেনি। গাম্বাট টাকে ডেকে তুললাম তক্ষুনি। ঘুম যখন ভেঙেই গেলো, তখন যাই উখীমঠের মন্দির টা ঘুরে আসি। শীত কালে এই মন্দিরেই এনে রাখা হয় তুঙ্গনাথ শিব কে।
    হাঁটতে হাঁটতে বেড়িয়ে পরলাম দুজনে। শুনেছি ডেটলের গন্ধে ছরপোকা পালায়। দুটো ডেটলের শিশি কিনলাম ওষুধের দোকান থেকে। তারপর চললাম মন্দিরের দিকে। মন্দির অনেকটা নীচে। ছোট্ট পুরনো মন্দির। রঙীন কাজকরা দরজা আছে খুব সুন্দর। এখানেই নাকি অনিরুদ্ধ আর উষার বিয়ে হয়েছিলো। তবে আজকাল আর বিয়ে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় না। এখন শুধু পুজো হয় এখানে। পুজোতে দেওয়া নারকেল গুলো খুব অদ্ভুত। কোথা থেকে আসে কে জানে !! একদম মসৃন গা, অনেকটা বড় আলুর মতন দেখতে। মন্দিএর আশে পাশের বাড়ি গুলো খুব অদ্ভুত। কাঠের জানলা দরজা খুব কারুকাজ করা। আর খুব চোখ ঝলসানো সব রঙের ব্যবহার চারদিকে।
    সন্ধের মুখে ফিরে এলাম মন্দির দেখে। সেদিন রাতেও ফের চিকেন আর রুটি। তার পরে সারা গায়ে ডেটল মেখে, পুরো স্লীপিং ব্যাগের ভেতর এক বোতল ডেটল ঢেলে ঘুম। ঘুমোবার আগে অবশ্য টিভি গাড়োয়ালি সিনেমাও দেখছিলাম। এদের সব সিনেমা মনে হয় 'হোম ভিডিও'।
    আগামীকাল যাওয়া দেওরাতাল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন